নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যরচনাঃ বাদশা আকবরের সাথে ডিনার

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

‘হাকিম’ আর ‘হেকিম’ এই দুটো শব্দের অর্থ আমি অনেক বড় হয়েও মাঝে মধ্যে গুলিয়ে ফেলতাম। হল্যান্ড আর নেদারল্যান্ডস যে একই দেশ সেটা জানা না থাকায় একবার স্কুলে ইংরেজি স্যারের কাছে ভীষণ উত্তম মধ্যম খেয়েছি। আবার কি ব্যাড লাক দেখুন, ডাচরা যে সেই হল্যান্ডেরই লোক তাও জানতাম না। এ জন্য ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের ইতিহাস পড়াতে গিয়ে ইতিহাসের স্যার ক্লাস নাইনে আমাকে নিল ডাউন করিয়ে রেখেছিলেন। লজ্জায় মাথা কাটা যাবার মতো অবস্থা।
অংকে যাচ্ছে তাই ছিলাম বলে অংক টিচার যাচ্ছে তাই ভাষায় আমাকে গালি গালাজ করতেন। সবগুলো গালি বলা যাবে না, তবে দু’চারটা বলি। দু’চোখ দিয়ে পড়ে দু’কান দিয়ে বের করে দেবেন। যেমন- ‘খবিশ’, ‘গাধা’, ‘খচ্চর’, ‘পাঁঠা’ ইত্যাদি ইত্যাদি। সবগুলোই ইতর শ্রেণীর প্রাণী। হাতের লেখা সামান্য সাফ–সুতরো ছিল বলে বাংলা স্যারের কাছে অতটা হেস্ত নেস্ত হতে হয়নি, তবে মাইকেলের মেঘনাদ বধ কাব্য বুঝতে না পেরে একবার কাব্যটিকে ‘জঘন্য’ বলায় স্যারের কাছে মৃদু কানমলা খেতে হয়েছে।
১৯৭০ সালে এস,এস,সিতে আমার উর্দু ছিল। অন্য সব বিষয়ে ধস্তাধস্তি করে ষাট বাষট্টি পেলেও উর্দুতে পেয়ে গেলাম আঠাত্তর। দুই কম লেটার মার্ক। মাতৃভাষায় বাষট্টি, আর উর্দুতে আঠাত্তর? সবাই অবাক এবং বেকুব। কিন্তু তারা তো জানেনা, আবুহেনা বাজারের পয়সা চুরি করে কতোগুলো উর্দু সিনেমা দেখেছে? উর্দু ছবি ও নায়ক নায়িকাদের নাম তার মুখস্থ। এমনি এমনি উর্দুতে আঠাত্তর পাওয়া যায় না।
তবে আমাদের ক্লাসে আমার চেয়েও রদ্দিপচা মাল আরো একটি ছিল। তার নাম আকবর। আজকের গল্প সেই আকবরনামা থেকে।
আকবরের বাবা শহরের নাম করা ব্যবসায়ী। টাকা পয়সা তার হাতের ময়লা। কিন্তু পড়ালেখায় ক-অক্ষর গোমাংস। এমন লোকের ছেলে যে মাঝে মাঝে ফেল করবে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নাই। আমি যখন ক্লাস এইটে উঠে আকবরকে ধরে ফেললাম, তখন নিচের ক্লাসগুলোতে তার তিন চারবার ফেল করা হয়ে গেছে। ক্লাস এইটেও সে সেকেন্ড হ্যান্ড মাল। ফলে তার পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি দেহের পাশে আমরা চার ফুট দশ এগারো মাপের সহপাঠীরা নেহাতই বেমানান।
এই আকবরের সাথে কিভাবে যে আমার বটের আঠার মতো গাঢ় বন্ধুত্ব হয়ে গেল, সে রহস্য আজও রহস্যই থেকে গেছে। হয়তো রতনে রতন চেনে, শুয়োরে চেনে কচু-এ জাতীয় কোন শানে নজুল আছে। আকবরের পকেটে অঢেল টাকা। আর সেই টাকা সে খই মুড়ির মতো ওড়ায় (আজকাল অবশ্য খই মুড়ি আর অত ফালতু জিনিষ নয়। ভুট্টার খই তো পপ কর্ণ নাম ধারণ করে রীতিমতো জাতে উঠে গেছে)। আকবরের রাজকীয় খাই-খরচা দেখে সহপাঠীরা তাকে বাদশা আকবর বলে ডাকে। এই ডাক শুনে আকবর খুশিই হয়। তার কথাবার্তা তখন রাজা বাদশাদের মতো হয়ে যায়।
যাই হোক, জিন্নাহর ছবিওয়ালা একশো টাকার নোট আকবরের কাছেই আমি প্রথম দেখি। আমার জীবনে যা কিছু প্রথম, তার অনেকগুলোই আকবরের কাছে দেখা ও শেখা। যেমন, দুপুরবেলা টিফিন আওয়ারে ক্লাস থেকে পালিয়ে সিনেমা হলে ম্যাটিনী শো দেখতে যাওয়া, স্কুলের পেছনে সীমানা প্রাচীরের আড়ালে বসে লুকিয়ে লুকিয়ে সিগারেট ফোঁকা, রাস্তায় স্কুল ফেরত মেয়েদের দেখলে টিজ করা (যদিও ঐ বয়সে আমি টিজ করার মধ্যে আনন্দের কিছু পাইনি। এই কুকর্মটি আকবরের দেখাদেখি করা)।
এসব করতে গিয়ে ধরা পড়লে আকবরের বিশেষ কিছু হতো না, কিন্তু আমার যা হতো তা’ কহতব্য না। স্কুলে স্যারদের হাতে বেত্রাঘাত, বাসায় মায়ের হাতে চপোটাঘাত, এমনকি টিজের শিকার হওয়া এক দুঃসাহসী মেয়ের চপ্পলাঘাত পর্যন্ত সবই কপালে জুটেছে। ঘটনার সময় আকবর তার লম্বা লম্বা পায়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। চিৎকার করে বলে, ‘হেনা, পালা রে, পালা।’ কিন্তু আমি মেয়েটির পা থেকে স্যান্ডেল খোলা দেখেও বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকি। আকবর দূর থেকে মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে ভাঙ্গা গলায় দুঃখের গান গায়, “ আমি কেন পাগল হইলাম না, মনের মতো পাগলি পাইলাম না।” মেয়েটি তার দিকে স্যান্ডেল তাক করে দাঁতে দাঁত পিষে বলে, ‘এদিকে আয়, কুকুর!’
পরে দেখা হলে আমি আকবরকে বলি, ‘আমাকে রেখে তুই নিমক হারামের মতো পালিয়ে গেলি কেন?’ আকবর খ্যাক খ্যাক করে হেসে বলে, ‘পালাবো না কার ভয়ে? তুই ব্যাটা আহাম্মক নাকি? কলাগাছের মতো দাঁড়িয়ে ছিলি! তোকে পালাতে বললাম না!’
ক্লাস এইটের বার্ষিক পরীক্ষায় পাস করে আমরা সবাই নাইনে উঠে গেলাম। আকবর যথারীতি ফেল করে এইটেই থেকে গেল। আমার কপাল ভালো যে সে ফেল করেছিল। তা’ না হলে আমার জিন্দেগি ফানা ফিল্লা হয়ে যেতো। আকবরের বন্ধু বদল হল। আমার মতো আর একটি রত্ন জুটিয়ে নিয়ে সে চুটিয়ে তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে লাগলো। রত্নটির নাম আবার রতন। আকবর আর রতনকে প্রায়ই দেখা যেত স্কুলের মাঠে ঠা ঠা রোদের মধ্যে দুই কান ধরে দাঁড়িয়ে আছে। স্কুলের এই এক নিয়ম। গুরুতর অপরাধ করলে হেডমাস্টার স্বয়ং এই শাস্তির ব্যবস্থা করতেন। মাঠের তিন দিকের ক্লাসরুম গুলো থেকে স্কুলের সব ছাত্র এই শাস্তি দেখে যেন সতর্ক হয়ে যায় এবং শাস্তি পাওয়া ছাত্রটিও লজ্জা পেয়ে যাতে ভবিষ্যতে আর অমন কুকর্ম না করে, সে জন্য হেড স্যারের এই ব্যবস্থা। বদমাশ ছাত্রকে লজ্জা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থাটি মন্দ না। তবে আকবর লজ্জা পেলে তো! তাকে লজ্জা দেওয়া এত সহজ না। তার বাবাকে স্কুলে ডেকে নিয়ে তার হাতে ছেলের পকেট থেকে উদ্ধার করা সিগারেটের প্যাকেট ও দিয়াশলাই তুলে দেওয়া হলে বাবার চড় থাপড় খেয়ে আকবর টিচার্স রুমের বাইরে এসে খ্যাক খ্যাক করে হাসে। বলে, ‘আমার বাবা একটা রামছাগল। দোকানে কি ঐ এক প্যাকেট সিগারেটই ছিল? কি রে রতন, কোম্পানি কি ঐ এক প্যাকেট সিগারেটই বানিয়েছে?’ রতন বলে, ‘নো, মানে না। এক প্যাকেট বানিয়ে কোম্পানির পেটে ভাত হবে না।’ তারপর দু’জনের সে কি হাসি! খ্যাক খ্যাক খ্যাক, হা হা হা, ঠা ঠা ঠা!
তো সেই আকবরের সাথে আমাদের চিরতরে সম্পর্কচ্ছেদ হল আরও একবছর পর। আমরা তখন ক্লাস টেনে। আর আকবর হাঁচরে পাঁচরে কোন রকমে ক্লাস নাইনে ওঠার পর এক গুরুতর অপরাধে (বলতে লজ্জা হচ্ছে) স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে ফোর্স টি, সি দিয়ে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দিল। আকবরের লেখাপড়ার সেখানেই ইতি।
এরপর অনেকদিন তার সাথে আর কোন যোগাযোগ ছিলনা। কালে ভদ্রে দেখা হতো। বাবার মৃত্যুর পর সে তার পৈতৃক ব্যবসার হাল ধরেছিল এটুকু জানতাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে চাকরি জীবনে প্রবেশ করার পর প্রায় কুড়ি বছর তার সাথে মোটেও দেখা হয়নি। তারপর একদিন দেখা হল। সেটা ২০০০ সালের কথা। পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ঝোলানো সাদা জোব্বা, মাথায় টুপি, মুখে কাঁচাপাকা লম্বা দাড়ি এসবের আড়ালে আকবরকে চেনাই যায়না। কিন্তু সে আমাকে ঠিকই চিনে ফেলেছে।
‘কি রে হেনা, কেমন আছিস?’
আমি অনেকক্ষণ তার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে শেষে চিনতে পেরে বললাম, ‘আরে আকবর, তুই? কেমন আছিস?’
কথায় বলে, বাঁদর বুড়ো হলেও গাছে ওঠে। আকবর বললো, ‘আমার আর থাকা! তোরা হলি অবিচার (অফিসার) মানুষ, আমাদের মতো দুই কানদার (দোকানদার) লোকেরা কি আর তোদের মতো ভালো থাকতে পারে? এই আছি জোড়াতালি দিয়ে আর কি!’ তারপর সে আমাকে একরকম জোর করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে গিয়ে বসালো। দেখলাম, জোড়াতালির কথা বললেও আসলে তার ব্যবসা রমরমা। বিভিন্ন কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটরশিপ ও ডিলারশিপের মহাযজ্ঞ। ট্রাকের পর ট্রাক মাল আসছে আর যাচ্ছে। গোডাউন আর শো রুমে শতাধিক কর্মচারী দিন রাত ব্যস্ত। এই যদি হয় জোড়াতালি দিয়ে চলা তো তাহলে ভালোভাবে চলা কাকে বলে কে জানে?
যাই হোক, আকবর তার কর্মচারীদের হুকুম করে আমার জন্য শিঙ্গাড়া, মাংসের চপ, মিষ্টি, দু’তিন রকম ফল, এসপ্রেসো কফি, কোক আর এক প্যাকেট বেনসন আনিয়ে দিল। আমি বললাম, ‘তোর সেই ধুম ধাড়াক্কা খরচের অভ্যাস এখনো যায়নি দেখছি।’ আকবর দুঃখের সাথে বললো, ‘খরচ আর করতে পারছি কই দোস্ত? ব্যাংক লোণে ডুবে আছি। সেই দুধ দিয়ে কুলি করার দিন আর নাই।’
খেতে খেতে গল্প গুজব হল। আকবরের এক মেয়ে, দুই ছেলে। মেয়েটির বিয়ে হয়েছে ঢাকায়। আকবরের মতোই ধনাঢ্য ব্যবসায়ী পরিবারে। জামাই-মেয়েকে বারিধারায় প্রায় এক কোটি টাকা দিয়ে এক আলিশান ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছে আকবর। দুই ছেলের বড়টি অস্ট্রেলিয়ায় পি এইচ ডি করছে। আর ছোটটি বুয়েটে পড়ে। কর্মচারীরা যাতে শুনতে না পায়, সে জন্য আকবর আমার দিকে ঝুঁকে পড়ে ফিস ফিস করে বললো, ‘আমার দুই ছেলের কেউ ব্যবসা করতে চায়না। তারা অনেক লেখাপড়া করে তোদের মতো অবিচার (অফিসার) হতে চায়। কিন্তু আমার মতো লেখাপড়ায় ডাব্বা মারা লোকের ছেলেদের এই ঘোড়ারোগ হলো কিভাবে বুঝতে পারছি না। এ তো ডুমুর গাছে আঙুর ধরার মতো ব্যাপার! আচ্ছা দোস্ত, ওরা সত্যিই আমার ছেলে তো? আমার কিন্তু সন্দেহ হয়।’
আমি আলগোছে আকবরকে একটা ঘুষি মেরে বললাম, ‘ছি ছি, তোর সেই খাসলত আর গেলনা! তোর মুখে নারকেলের ছোবা ঘষে দেয়া দরকার। আলেমের ঘরে জালেম আর জালেমের ঘরে আলেম কি জন্মায় না? খুব জন্মায়। তুই এখন মৌলবি মুন্সি মানুষ। তোর মুখে এসব কি কথা? এমন কথা আর কখনো বলবি না আকবর।’
মসজিদে জোহরের আজান শুনে আকবর উঠে পড়লো। বললো, ‘চল্ দোস্ত, নামাজ পড়ে আসি। তারপর দু’জন মিলে ডিনার খেতে যাবো, ঠিক আছে?’
আমি বললাম, ‘না, ঠিক নাই। ওটা ডিনার হবে না, লাঞ্চ।’
‘ওই হলো। চল্ ওঠ।’
বাদশা আকবরের সাথে সেদিন আর আমার দুপুরবেলা ডিনার (?) খাওয়া হয়নি। জরুরী কাজ থাকায় চলে এসেছিলাম।
*************
এই লেখাটি পূর্বে প্রকাশিত। স্বল্প পঠিত হওয়ায় পুনরায় পোস্ট দেওয়া হলো।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

হাবীব কাইউম বলেছেন: দারুণ। কিন্তু লম্বা হওয়ার কারণে সম্ভবত পাঠকরা আপনার এই পোস্টটা পড়তে চায়নি।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হতে পারে। ধন্যবাদ হাবীব কাইউম। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

গোধুলী রঙ বলেছেন: অসাম লিখেচেন, চরম মজা পেলাম

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ গোধুলী রঙ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯

আজমান আন্দালিব বলেছেন: বেশ লেগেছে স্মৃতিচারণ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আজমান আন্দালিব। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

জিসান১২৩ বলেছেন: হাসতে হাসতে পেটে ব্যাথা ধরে গেছে....

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ জিসান ১২৩। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

ঢাকাবাসী বলেছেন: অপুর্ব লেখা! লেখার স্টাইল ভাষা শব্দচয়ন অতি চমৎকার। খুব ভাল লাগল। শেষের দিকে একটু হঠাৎ শেষ হল মনে হল। ভাল থাকুন।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বলেছেন: প্রিয় ঢাকাবাসী, প্রথম মন্তব্যটি খেয়াল করে দেখুন। ব্লগে বড় লেখা অনেকে পড়তে চান না। আবার আমার ভক্ত কিছু পাঠক (ব্লগে ও প্রিন্ট মিডিয়ায়) বলেন, আপনার লেখা যত বড় হবে তত ভালো। আমি কোন দিকে যাই?

আপনার কাছে লেখাটি হঠাৎ শেষ হয়েছে বলে মনে হওয়ার কারণ লেখা সংক্ষিপ্তকরনের চেষ্টা। তারপরেও লেখাটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনাকে ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ!!! আসলেই আনন্দের ছিল সে দিনগুলো!!!
অনেক শুভেচ্ছা ভাই!!!!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কামরুন নাহার। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক ভালো লাগল। তবে সেই অনেক বছর আগের মানুষ আপনারা আপনাদের হেন কর্ম্যর বর্ননা ভাল না লেগে যায় কোথায়।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান সুজন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৫

এহসান সাবির বলেছেন: আপনার লেখা আমার সব সময় ভালো লাগে।

গল্পে ভালো লাগা।

শুভেচ্ছা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই এহসান সাবির।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

রাজ বিদ বলেছেন: লেখা বড় হলেও প্রায় পুরোটা জুড়ে রসের ঘাটতি ছিলনা। একটু ধৈর্য ধরে পড়তেই আমেজটা চলে এল..

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পড়ার কাজটাই তো ধৈর্যের কাজ, তাই না? আপনাকে ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন রাজ বিদ। শুভেচ্ছা রইল।

১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুন্দর।
স্কুল জীবনে অনেকেরই এরকম বা কাছাকাছি একজন আকবর থাকে।
হ্যা সত্যই আনন্দের ছিল সে দিনগুলো।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী।

শুভেচ্ছা নিন। ভালো থাকুন।

১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: সরস লেখা। আকবরকে টিসি দেয়ার কারণটা জানতে মন আঁকুপাকু করছে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বলেছেন: সমকামিতা।

ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৮

প্রামানিক বলেছেন: স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ ভোলা যায় না। দারুণ লাগল গল্প। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। ডাল দিয়ে মুরগী খাওয়ার জন্য আমি কিন্তু ঢাকায় আসবো। এত সুন্দর রাঁধতে পারেন আপনি, বিশ্বাসই হয়না। ফ্যান্টাসটিক!

১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: একটানে পড়ে গেলাম, যেন কোন গল্প কাহিনী পড়ছি। এই ধরণের আত্মজীবনীমূলক লেখা পড়তে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ হেনা ভাই, লেখাটি শেয়ার করার জন্য। ভালো লাগার সহিত +++

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোকা মানুষ বলতে চায়।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৩

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ওনেক ভাল লাগা রোইল,

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রাবেয়া রাহীম।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আমার টাইপিং এ কিছুটা সমস্যা হওয়াতে আমি ঠিক মত কমেন্ট করতে পারিনি। আসলে আপনার লেখার হাত আর বিষয় এতটা আকর্ষণীয় যে অল্প কথায় শেষ হয় না। আমি মুগ্ধ হয়ে পড়লাম আপনার লেখা, আমার কাছে বড় মনে হয়নি বরং প্রতিটা লাইনে আনন্দ পেলাম। আপনি অনেক ভাল থাকুন , এভাবেই লিখে যাবেন আপনার পাঠকদের জন্য । আমার অনেক সালাম রইল।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: টাইপিং-এ সমস্যা আমারও মাঝে মাঝে হয়। এটা নিয়ে সংকোচ করার কিছু নাই বোন। যন্ত্রপাতির ব্যাপার।

আমার লেখা আগের ও পরের লেখাগুলিও পড়ার আমন্ত্রন রইল। ধন্যবাদ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার প্রথম মন্তব্যটি দেখে মনে হচ্ছে সম্ভবত ক্যাপস লক বাটনে চাপ পড়েছিল।

১৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫১

রাবেয়া রাহীম বলেছেন:
হ্যা আপনি ঠিক বলেছেন ।
অবশ্যই আপনার সব লেখা পড়ব। খুব ভাল লেখা প্রতিটা ক্ষেত্রে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.