নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যরচনাঃ বাচ্চা ভয়ংকর

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

কোন এক অজ্ঞাত কারণে বাচ্চা কাচ্চাদের সাথে আমার বনিবনা বেশ ভালো। চকোলেট ও আইসক্রিমের প্রতি এই বুড়ো বয়সেও আমার তীব্র আকর্ষণ এর একটা কারণ হতে পারে। আমার নিজের দুটো বাচ্চা এখন আর বাচ্চা নেই। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, আর একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে দিয়ে চাকরি করছে। তাই আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশিদের বাচ্চা কাচ্চাই আমার ভরসা।
তো এদের মধ্যে ঢাকা নিবাসী আমার এক শ্যালিকার দুটো বাচ্চার কথা বলি। তারা পাঁচ ও সাত বছরের দুই বোন একদিন তাদের মগবাজারের সরকারি ফ্ল্যাটের দোতলায় সিঁড়ির ল্যান্ডিং-এ বসে খেলা করছিল। আমি ঢাকায় গেলে কখনো কখনো এদের বাসায় থাকি। আমার ভায়রাভাই একজন সরকারি কর্মকর্তা। সেদিন ছিল শুক্রবার। ছুটির দিন। বেলা সাড়ে দশটার দিকে মগবাজার পৌঁছে ফ্ল্যাটের বাইরে ল্যান্ডিং-এ বসে বাচ্চাদের খেলতে দেখে আমি আনন্দের সাথে বললাম, ‘হ্যালো আম্মারা, আপনারা কেমন আছেন?’
ওরা খেলতে খেলতে মাথা না তুলেই বললো, ‘ভালো।’
আমি ওদের পাশে ধপ করে বসে পড়লাম। তারপর সাইড ব্যাগ খুলে চারটা চকোলেট, দুটো চিপস্ আর দুটো ম্যাঙ্গো ফ্রুটি বের করে ওদের হাতে ধরিয়ে দিতেই ওদের সাথে আমার পুরনো বন্ধুত্ব চাঙ্গা হয়ে উঠলো। ওরা দু’বোন আমার চকোলেট প্রীতির কথা জানে। তাই একটা চকোলেট আমাকে ফিরিয়ে দিয়ে বললো, ‘এটা তুমি খাও।’
দেখলাম, ওদের ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। আমি চকোলেট খেতে খেতে বললাম, ‘আপনারা বাইরে বসে খেলছেন কেন? এ সময় না আপনাদের কার্টুন দেখার কথা!’
বড় বোনটি কাঁদো কাঁদো স্বরে বললো, ‘আব্বু ছুটির দিনেও বাসায় বসে অফিসের কাজ করে। আমাদেরকে কার্টুন দেখতে দেয় না।’
আমি কলিং বেল টেপার জন্য উঠে দাঁড়ালে ছোট বোনটি মুখভর্তি চকোলেট নিয়ে থড়বড় করে বললো, ‘টলিং (কলিং) বেল টিপো না খালু। আব্বু আম্মু দু’জনেই লেগে (রেগে) যাবে।’
‘কেন, রেগে যাবে কেন?’
বড় বোনটি বললো, ‘অফিসের কাজ করছে যে! আমাদেরকে বলেছে কেউ যেন কলিং বেল না টিপে।’
‘ও, আচ্ছা।’
আধা ঘণ্টা পর অফিসের কাজ শেষ হলো। আমার শ্যালিকা ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ‘আম্মুরা এসো’ বলে আমার দিকে চোখ পড়তেই ভুত দেখার মতো চমকে গেল। থতমত খেয়ে কোনমতে বললো, ‘দু দু দুলাভাই, আপনি?’

চাকরি জীবনে আমার এক কলিগের ছয় বছর বয়সী ছেলের কথা বলি। কলিগ ভদ্রলোক ভীষণ রাশভারি স্বভাবের মানুষ। বাসায় বা অফিসে সব সময় গম্ভীর মুখে থাকেন। কথাবার্তা প্রায় বলেন না বললেই চলে। ফলে বাচ্চার সাথে তার কোন বন্ধুত্ব নেই। কিন্তু একদিনের দেখাতেই বাচ্চাটির সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়ে গেল। কীভাবে জানেন?
আমার বাসায় একটা ছোট খাটো ম্যারেজ ডে’র অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে অফিস কলিগদের কয়েকজনকে কাপল্ ওয়াইজ দাওয়াত দিয়েছিলাম। রাশভারি ভদ্রলোক বাচ্চাটিকে সাথে নিয়ে এসেছিলেন। কেক কাটাকুটি শেষ হলে ডাইনিং-এ বসে খাওয়া দাওয়ার সময় বাচ্চাটি ‘এটা খাবো না’, ‘ওটা খাবো না’ বলে তার মাকে খুব বিরক্ত করছিল। আমি ফ্রিজ খুলে একটা আইসক্রিম আর একটা চকোলেট এনে ওর হাতে দিলে সে মহাখুশি। জিব দিয়ে আইসক্রিম চাটতে চাটতে সে টুপ করে আমার কোলে বসে পড়লো। আমি ওকে আদর করতে করতে বললাম, ‘তোমাকে কে বেশি আদর করে? আব্বু না আম্মু?’
বাচ্চার সোজা সাপটা জবাব, ‘কেউ না।’
বাচ্চার বাবা মা বিব্রত। আমরাও বাচ্চার চটপটে জবাব শুনে একটু থমকে গেছি। পরিবেশ হালকা করার জন্য অন্য একজন কলিগের স্ত্রী হাসতে হাসতে বললেন, ‘ও, বুঝেছি। তোমার আব্বু আম্মু তোমার ছোট বোনটিকে বেশি আদর করে, তাই না?’
‘না।’ বাচ্চাটি চিৎকার করে বললো, ‘আব্বু শুধু আম্মুকে আদর করে।’

আমার ছয়জন ভাড়াটিয়ার মধ্যে একজনের থ্রি মেম্বার ফ্যামিলী। স্বামী, স্ত্রী ও পাঁচ বছরের একটি ভয়ানক বাচ্চা। বাচ্চাটি প্রায়ই তার মায়ের কষ্ট করে বেঁটে রাখা রান্নার মশলাগুলো তিন তলার জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়। আর শুধু মশলা নয়, জানালা বা বারান্দার গ্রিল দিয়ে ছুঁড়ে ফেলা যাবে এমন প্রায় সব জিনিষই সে ছুঁড়ে ফেলে। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া লোকজনের গায়ে পড়ে মাঝে মাঝে এ নিয়ে ভীষণ হাউ কাউ হয়।
একদিন বাচ্চাটি তার বাবার মোবাইল ফোন গ্রিলের ফাঁক দিয়ে ছুঁড়ে নিচে ফেলে দিল। পাকা রাস্তার ওপর পড়ে মোবাইলের দফা রফা। আমার পরিবার গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকে। ওর বাবার হাতে ‘দুম’, ‘দুম’ করে মার খেয়ে বাচ্চার আকাশ পাতাল চিৎকার আমরা গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকেই শুনতে পেলাম। আমার ও আমার মিসেসের খুব কষ্ট হলো। বাচ্চাটিকে ওর বাবার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমি অস্ট্রেলিয়া থেকে আমার এক আত্মীয়ের পাঠানো প্রায় আধা হাত লম্বা একটা চকোলেট নিয়ে ধুপ ধাপ করে তিন তলায় উঠে ওর বাবার উদ্দেশ্যে রাগতঃ স্বরে বললাম, ‘ছোট বাচ্চা। একটা ভুল না হয় করেই ফেলেছে। তাই বলে এভাবে মারতে হবে?’
বাচ্চাটিকে ওর বাবার কবল থেকে মুক্ত করে আমি কোলে তুলে নিলাম। আদর করে চকোলেটটা ওর হাতে দিয়ে বললাম, ‘তুমি তো ভালো ছেলে। এই কাজ আর কখনো করো না, কেমন?’
ভালো ছেলে চকোলেটটা হাতে নিয়ে লাফিয়ে কোল থেকে নেমে দৌড়ে গিয়ে বারান্দার গ্রিল দিয়ে সেটা বাইরে ফেলে দিল। আমি নিচে গিয়ে দেখি, রাস্তার পাশে স্ল্যাববিহীন নর্দমার নোংরা পানিতে পড়ে চকোলেটটা একবার ডুবছে, আর একবার ভাসছে।

কিছুদিন থেকে আমার বড় ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে। প্রস্তুতির অংশ হিসাবে তার ঘরের পুরনো ফার্নিচার বদলে নতুন ফার্নিচার কেনা হচ্ছে। চার পাল্লার (দরজার) একটা চমৎকার আলমারি কেনা হয়েছে। বাড়ির সবার পছন্দ। মোবাইলের যুগে এই যৎসামান্য খবরও কী আর চাপা থাকে? আত্মীয়স্বজন যে যখন আসছে, সেই দেখে বলছে, ফ্যান্টাসটিক! কিন্তু আমার সম্বন্ধীর (স্ত্রীর বড় ভাইয়ের) আট বছরের ছোট মেয়েটি আলমারি দেখে কী বললো, জানেন?
চার পাল্লা আলমারির দুটো অংশ থাকে। এক অংশে সেলফ, অন্য অংশে হ্যাঙ্গার ও ড্রয়ার। মেয়েটি তার আঙ্গুল দিয়ে দুই অংশ দেখিয়ে বললো, ‘একটা ভাইয়ার জন্য, আর একটা ভাবীর জন্য। বেবীর জন্য কই? বেবীর কাপড় চোপড় রাখতে হবে না?’
*******************************************************************************************
রি-পোস্ট

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

ইসমত বলেছেন: আমারও মনে হচ্ছিল রিপোস্ট, শেষ পর্যন্ত এসে দেখলাম তাই-ই। তারপরও আবার পড়তে ভালো লাগলো।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, রি-পোস্ট দেবার প্রধান কারণ হলো নতুন ব্লগার বন্ধুদের সাথে পরিচিত হওয়া। আপনি আবারো পড়ে ভালো লেগেছে বলছেন, এর চেয়ে খুশির খবর আমার জন্য আর কী হতে পারে?

ধন্যবাদ ইসমত। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬

পুলহ বলেছেন: ওরা দু’বোন আমার চকোলেট প্রীতির কথা জানে। তাই একটা চকোলেট আমাকে ফিরিয়ে দিয়ে বললো, ‘এটা তুমি খাও।’- বাচ্চাদের মধ্যে ন্যায়বিচারের বোধটা অনেক শক্তিশালি থাকে, বড় হওয়ার সাথে সাথে নানা কারণে সেটা কমে আসে মনে হয় :)

বাচ্চাটি চিৎকার করে বললো, ‘আব্বু শুধু আম্মুকে আদর করে।’- হাহাহা, মজা পাইলাম ভাই!

অনেক পোলাপান এরই জিনিসপত্র বাইরে ছুড়ে ফেলার অভ্যাস থাকে, আমার নিজেরো ছিলো.... :P

শুভকামনা জানবেন ভাই :)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জিনিষপত্র ছুঁড়ে ফেলার অভ্যাস আপনারও ছিল? মাশাল্লাহ! তাহলে দেখুন আজগুবি কিছু লিখিনি।

অনেক ধন্যবাদ পুলহ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হা হা হা হা। আপনার লেখায় রসবোধ দারুণ!

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন রেজওয়ানা আলী তনিমা।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: মজা পেলাম। :#)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: বাচ্চাটি চিৎকার করে বললো, ‘আব্বু শুধু আম্মুকে আদর করে......হা.....হা.....হা......!!!তারপর ঐ ভদ্রলোকের চেহারা কেমন দেখলেন?
অনেক ভালো লেগেছে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঐ ভদ্রলোকের ও ভদ্রমহিলার চেহারা কেমন হতে পারে, একটু কল্পনা করুন। আমি সব বলে দিলে তো আপনাদের কল্পনাশক্তি কমে যাবে। হাঃ হাঃ হাঃ।
ধন্যবাদ ভাই সাইফুল্লাহ শামীম।

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৭

প্রামানিক বলেছেন: মেয়েটি তার আঙ্গুল দিয়ে দুই অংশ দেখিয়ে বললো, ‘একটা ভাইয়ার জন্য, আর একটা ভাবীর জন্য। বেবীর জন্য কই? বেবীর কাপড় চোপড় রাখতে হবে না?’

ভালই তো বলেছে। কারো মাথায় ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা নাই ওই বাচ্চার মাথায় ভবিষ্যত নিয়ে কত সুন্দর চিন্তা উঠে এসেছে। ধন্যবাদ ওই বাচ্চাসহ আপনাকে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। আজকালকার বাচ্চারা!

ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। গতকাল শরীর খারাপ থাকায় অল্প সময় অনলাইনে ছিলাম। তাই অনেকেরই মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়নি। জবাব দিতে বিলম্ব হওয়ায় দুঃখিত।

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৩

প্রামানিক বলেছেন:

কিন্তু কথা হলো আপনার শালী আর ভাইরা ভাই বসায় দরজা আটকিয়ে অফিসিয়াল কি কাজ করলো তা তো বললেন না।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এইগুলা আপনি চাকরি করেন, অফিসিয়াল কাজ কী করেছিল আপনি ভালো বলতে পারবেন প্রামানিক ভাই। আমি সব কিছু থেকে রিটায়ার্ড।

৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা হা।
আপনি রম্যকিং হয়ে যাচ্ছেন। কেউ যদি এখন একটা রম্য সংকলন করে (আমার করার ইচ্ছা আছে) তবে তাকে অবশ্যই আপনার জন্য আলাদা একটা স্পেস রাখতে হবে।
চরম মজাদার একটা পোস্ট

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আরন্যক রাখাল। আমি অতি ক্ষুদ্র একজন কলমবাজ। আমার জন্য আলাদা স্পেসের দরকার কী? লেবারের আবার কোলবালিশ!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পড়লাম। কিন্তু অবাকও হলাম বাচ্চাদের বাইরে বের করে দিয়ে অফিসের কাজ করতে হয় ভেবে।
বাচ্চারা একটু আধটু দুষ্টুমি না করলে হয় নাকি।
ভালো থাকবেন ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা মন্ময়।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

জুন বলেছেন: সত্যি বাচ্চা ভয়ংকর। তবে এই ছুড়ে ফেলা নিয়ে আমার ছেলেও ছোট থাকতে অনেক জালিয়েছে।
মজা পেলাম আপিনার লেখায়।
+

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ জুন। কোন কোন বাচ্চা ছুঁড়ে ফেলার মধ্যে এক ধরণের আনন্দ পায়।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৬

উল্টা দূরবীন বলেছেন: বাচ্চা আসলেই ভয়ংকর। পড়তে ভাল্লাগছে। আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ উল্টা দূরবীন।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: যাই বলেন, গল্পটির মর্মার্থ বহু গভীরের !

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ফেরদৌস প্রামানিক।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই লেখাটা গতকাল অফলাইনে পড়েছিলাম। আসলে বাচ্চাদের এই ধরণের পাকনামো প্রায়শই আমাদের চারিপাশে দেখা যায় এবং অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থায়ও ফেলে দেয়। মজা পেলাম লেখাটি পড়ে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি ঠিকই বলেছেন। বাচ্চারা মাঝে মধ্যেই বড়দের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। অবশ্য এটা তাদের দোষ নয়। শিশু মনের খেয়াল।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: মজা পেলাম। আমিও বাচ্চাদের সাথে মিশতে খুব পছন্দ করি। কোন এক অলৌকিক কারণে যে কোন জায়গায় গেলেই বাচ্চাদের সাথে আমার সখ্যতা হয়ে যায়। বাচ্চাদের কাহিনীগুলো ভালো লাগলো।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ দিগন্ত জর্জ।

বাচ্চাদের সাথে সখ্যতাসম্পন্ন বড় মানুষের মন বাচ্চাদের মতোই সরল হয়।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.