নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ এক ডজন কষ্ট

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬


জব্বার আলির মেয়েটা জন্ম থেকেই কুৎসিত। একে তো সে বাবার মতো ঘোর কালো, তার ওপর তার বাঁ চোখটা যাচ্ছে তাই ট্যারা। স্কুলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত মহল্লার ছেলেমেয়েরা তাকে খেলতে নেয় না। মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে ছুটে এসে বাবার কোলে চড়ে বলে, ‘ওদের বকে দাও।’ জব্বার আলি মেয়েকে আদর করতে করতে নিজের চোখ মোছে।

স্কুলে যাওয়ার পর থেকে একদিনও মেয়েটা না কেঁদে স্কুল থেকে ফেরে না। স্কুলের সবাই তাকে দেখে ঠাট্টা তামাশা করে। জব্বার আলি ব্যবসায়ী মানুষ। বাজারে তার থান কাপড়ের দোকান। সে সকালে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে দোকানে চলে যায়। বেলা বারোটার সময় মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে বাসায় খেতে আসে। তখন বাবা-মেয়ে দু’জনের চোখ থাকে ভেজা।

মেয়ে যখন প্রাইমারী পাশ করে ক্লাস সিক্সে উঠলো, তখন জব্বার আলি পুত্র সন্তানের পিতা হলো। ছেলেটি তার মায়ের মতো ফর্সা গোলগাল পুতুল পুতুল চেহারার। এমন সুন্দর ছোটভাই পেয়ে মেয়েটির খুশির সীমা নাই। জন্মের পর এই প্রথম মেয়েটির মুখে হাসি ফোটে। কিন্তু সেই হাসিও কুচ্ছিত। মা বলে, ‘থাক, থাক, অমন মা-কালীর মতো চেহারা নিয়ে আর ভাইকে আদর করতে হবে না। ছেলে ভয় পাবে।’ জব্বার আলি চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে জামার আস্তিনে চোখ মোছে।

মেয়ে বড় হয়ে কলেজে গেল। এস এস সির রেজাল্ট ভালো হলে কী হবে, কলেজে সহপাঠীদের ব্যবহার ভালো হলো না। তারা তাকে এড়িয়ে চলে। কথা বলতে চায় না। নিজেরা এক সাথে বা জোড়ায় জোড়ায় ঘুরে বেড়ালেও মেয়েটিকে সঙ্গে নিতে চায় না। মেয়েটি একা একা কলেজের কড়ই গাছের নিচে বসে থাকে। সে এসে বসলে অন্যেরা উঠে চলে যায়।

মেয়ে আরো বড় হলো। কুৎসিত মেয়েও যৌবনে সুন্দর হয়। কিন্তু মেয়েটির বেলায় তা’ হলো না। সে একটু মোটা হয়ে বরং আগের চেয়ে আরো কদাকার হয়ে গেল। বাবা জব্বার আলি মেয়ের জন্য পাত্র খুঁজে হয়রান। পেশাদার ঘটকরাও মেয়ের ছবি রাখতে চায় না। বলে, ‘ছেলের খোঁজ পেলে জানাবো।’ এমন মেয়েকে বিয়ে করবে কে? অনেক টাকা পয়সার লোভ দেখিয়েও ছেলে পাওয়া যায় না। আজকালকার পাত্ররা মনি কাঞ্চন একসাথে চায়। জব্বার আলি বৃদ্ধ বয়সে পাঞ্জাবির আস্তিনে চোখ মোছে।

এম এ পাশ দিয়ে চাকরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হবার পর ঘরে বসে রইল মেয়েটি। ছোটভাইটি বি এ পড়তে পড়তে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে বাবার ব্যবসার হাল ধরলো। আর না ধরেই বা উপায় কী? বাবা জব্বার আলি অসুস্থ। ঠিক মতো ব্যবসার দেখাশুনা করতে পারে না। সে ছেলের হাতে ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে নিজের গতিবিধি বাড়ি আর মসজিদের মধ্যে সীমিত করে ফেললো। বাড়িতে সে যতক্ষণ থাকে, নিজের ঘর থেকে বের হয় না।

মেয়েটির মা মারা গেল। কিছুদিন পর বাবাও। বাড়িতে একা একা দম বন্ধ হয়ে আসে মেয়েটির। ভয়ে কাঁদতেও পারে না সে। ছোটভাই বলে, কাঁদলে তাকে নাকি দেখতে আরও ভয়ঙ্কর লাগে। ভাইয়ের সামনে কখনো কাঁদে না সে। ভাই না থাকলে কখনো কখনো ওর চোখ ভিজে ওঠে। তখন বারান্দার গ্রিল ধরে শুন্য দৃষ্টিতে সে তাকিয়ে থাকে নীল আকাশের দিকে। রাস্তায় লোকজন দেখলে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতে মেয়েটির সংকোচ হয়। তখন সে ঘরে এসে বিছানার ওপর চুপচাপ বসে থাকে।

ছোটভাই বিয়ে করে বউ নিয়ে এলো। কী সুন্দর বউ! দুধে আলতা গায়ের রঙ, মাথা ভর্তি মেঘলা চুল, চপলা হরিণীর মতো দুই চোখ। ছোটভাইয়ের এত সুন্দর বউ দেখে অনেকদিন পর মেয়েটির মুখে হাসি ফোটে। কিন্তু বউ তার সাথে কথা বলতে চায় না। কিছু বললে হুঁ হাঁ করে এড়িয়ে যায়। বড় লোকের মেয়ে তো! তার ওপর সুন্দরী। একটু অহংকার তো থাকবেই!

বউ সন্তান সম্ভবা হলো। ছোট ভাই বললো, ‘বুবু, তুমি না হয় কিছুদিন যশোরে মামার বাড়ি গিয়ে থাকো। ছেলে হলে তারপরে এসো।’
১০
ভাইয়ের বাচ্চা দেখার সৌভাগ্য আর মেয়েটির হলো না। চার মাসের মাথায় সিঁড়ি থেকে পড়ে বউয়ের এ্যাবরশন হয়ে গেল। ছোট ভাই যশোরে খবর দিয়ে জানালো, ‘বুবু, তোমার আর আসার দরকার নাই। তুমি ওখানেই থাকো। টাকা পয়সার দরকার হলে পাঠিয়ে দেব বা আমি নিজে গিয়ে দেখা করে দিয়ে আসবো।’
১১
মেয়েটির টাকা পয়সার দরকার হয় না। ভাইটিও আর আসে না। বিধবা মামী ও মামাতো ভাইবোনদের একান্নবর্তী সংসারে তার টাকা পয়সার দরকারই বা কী? এই সংসারে আগে একজন কাজের বুয়া ছিল। মেয়েটি যাওয়ার পর তাকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন এই সংসারে সারাদিন রান্নাবান্না করা, বাসন কোসন ধোয়া, ঝাড় ঝাঁটা দেওয়া এসব কাজ করে তার ফুরসৎ হয় না। কীভাবে দিন কেটে যায়, টের পায় না সে। রাতে শোবার আগে মেয়েটি কী মনে করে খাটের নিচে রাখা ট্রাংক খুলে মাঝে মাঝে তার অনার্স ও মাস্টার্স পাশের সার্টিফিকেট গুলো বের করে দেখার চেষ্টা করে।
১২
কিন্তু সার্টিফিকেটের একটা লেখাও সে পড়তে পারে না। এ বাড়ির সদস্যদের হাতে সারাদিনে দলে মুচড়ে যাওয়া খবরের কাগজটা টান টান করে সে পড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু খবরের কাগজের লেখা আরও ঝাপসা। বেশ কিছুদিন হলো চোখে ভালো দেখতে পায় না মেয়েটি। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি হয়ে গেছে। এ সময় চোখে ভালো দেখার কথাও না। একটা চশমার বড় দরকার ছিল। কিন্তু.........।
**************************************************************************************
রি-পোস্ট

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: এখন এই সংসারে সারাদিন রান্নাবান্না করা, বাসন কোসন ধোয়া, ঝাড় ঝাঁটা দেওয়া এসব কাজ করে তার ফুরসৎ হয় না। কীভাবে দিন কেটে যায়, টের পায় না সে। রাতে শোবার আগে মেয়েটি কী মনে করে খাটের নিচে রাখা ট্রাংক খুলে মাঝে মাঝে তার অনার্স ও মাস্টার্স পাশের সার্টিফিকেট গুলো বের করে দেখার চেষ্টা করে।

ওহহ ভীষণ দুঃখ লাগল, :(
আমি বুঝি না অনার্স, মাস্টার্স পাশ করা একটা মেয়ে কিভাবে অন্যের বোঝা হয়ে বেঁচে থাকে ? এর নাম কি লেখা পড়া নাকি সর্টিফিকেট অর্জন ? চাকরি না হয় না পেল কিন্তু সে নিজে্ও তো একটা কিছু করতে পারত। আমার মনে হয় কিছু মানুষ ইচ্ছে করেই কষ্টকে লালন করে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না ভাই, সব ক্ষেত্রে তা' নয়। গল্পটিতে মেয়েটির ট্যারা চোখ, কদাকার চেহারা, কালো গাত্রবর্ণ ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে। বুঝতেই পারছেন, তার এসব নিয়ে চরম হীনমন্যতাবোধ ছিল। তার ওপর তার বাবা মা দুজনেই মারা গিয়েছিল। একমাত্র ভাইটি ছিল তার প্রতিকূলে। তারপরেও মেয়েটি যে চাকরি বাকরির চেষ্টা করেনি, তা' নয়। কিন্তু বুঝতেই পারছেন,আজকের দিনে এমন একটি মেয়ের চাকরি পাওয়া কত কঠিন! তাই চাকরির চেষ্টা থেকে সে হাত গুটিয়ে নেয়- এসব কথাএই গল্পে খুব স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। আর অর্থ বিত্তহীন কুশ্রী একটি মেয়ে একা একা কিছু একটা কী করবে বলুন? আশা করি, আপনার প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পেরেছি।

অনেক ধন্যবাদ মহা সমন্বয়। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

জুন বলেছেন: এরকম একটা গল্প পড়েছিলাম শীর্ষেন্দুর মনে হয় বইটার নাম "চক্র "। সেখানেও মেয়েটা দেখতে ভালো ছিলনা বলে বিয়ে হচ্ছিল না। কি দুর্ভাগ্য আমাদের এই উপমহাদেশের মেয়েদের। সব যোগ্যতাই তুচ্ছ হয়ে যায় তাদের গায়ের রঙের কাছে। সেই গল্পের মেয়েটাও বাসায় বসে আচার মশল্লা বানিয়ে দোকানে সাপ্লাই দিত।
আপনার গল্পটাও মনের মাঝে দাগ কেটে গেল আবু হেনা ভাই।
+

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ জুন।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৯

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: আপনার লেখা গুলো ভীষণ বাস্তবধর্মী বলেই পড়ে ভালো লাগে।
....... মা বলে, ‘থাক, থাক, অমন মা-কালীর মতো চেহারা নিয়ে আর ভাইকে আদর করতে হবে না। ছেলে ভয় পাবে।’ জব্বার আলি চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে জামার আস্তিনে চোখ মোছে।
স্যার, আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, সত্যিই কি কোনো 'মা' এমনটা বলতে পারে?
......তার সন্তানকে?
গল্পের মেসেজ অনেক ভালো ছিলো। আমাদের দৃষ্টিভংগিতে আরও অনেক অনেক বেশী পরিবর্তন প্রয়োজন।হৃদয় ছোঁয়া লেখা।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যে দেশে পরকীয়ার জন্য জন্মদাতা মা নিজের হাতে সন্তানকে খুন করতে পারে (মাত্র কয়েকদিন আগে পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এই খবর প্রকাশিত হয়েছিল), সেই দেশে এই গল্পের মা তার কুৎসিত দর্শন মেয়েকে ঐ কথাগুলো বলেছে, এটা পড়ে আপনি অবাক হচ্ছেন?
আমি সমাজের বাস্তব অবস্থার বাইরে কিছু লিখি না। ধীরে ধীরে আমার আরও অনেক লেখার সাথে পরিচিত হোন, দেখবেন আমি মিথ্যে কথা বলিনি। কথায় আছে ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন।

ধন্যবাদ ভাই সাইফুল্লাহ শামীম। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: ............ ধীরে ধীরে আমার আরও অনেক লেখার সাথে পরিচিত হোন, দেখবেন আমি মিথ্যে কথা বলিনি।
স্যার, ব্যপারটা এভাবে নিবেন ভাবিনি। আমি আপনাকে মিথ্যাবাদী বলার জন্য কিন্তু ঐ কথাগুলো বলিনি। বরং মানুষের সহজাত যে কৌতুহল থাকে সেটা থেকে জানার জন্য প্রশ্ন করেছি মাত্র। আমি অত্যন্ত লজ্জিত যে, আমার বলাটা হয়তো যথাযথ হয়নি।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমিও নিশ্চিত যে আপনি আপনার সহজাত কৌতূহল থেকেই প্রশ্নটি করেছেন। কারণ জন্মদাতা মা তার মেয়েকে এমন কথা বলবে, এটা ভাবা সত্যিই কঠিন। কিন্তু বাস্তবে এমন অনেক কিছু ঘটছে যে ভাই! আমার দীর্ঘ জীবনে অনেক কিছু দেখেছি ও শুনেছি, যা জানলে অনেকেই অবাক হবে।
যাই হোক, আপনি কোন খারাপ কথা বলেননি বা আমাকে অসম্মান করেননি। আমি আমার মন্তব্যের মাধ্যমে আপনাকে কোন কষ্ট দিয়ে থাকলে দুঃখিত। আশা করি, আপনি খোলা মনে বিষয়টির এখানেই সমাপ্তি টানবেন।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

প্রামানিক বলেছেন: সমাজের কালো মেয়েদের কষ্ট সুন্দরভাবেই তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: না! না!! স্যার। আমি একদমই কিছু মনেকরিনি।আমি ভেবেছিলাম আপনি আমার কথায় রাগ করলেন কিনা তাই। ইট্স ওকে। ভালো থাকুন নিরন্তর। হ্যাপি ব্লগিং।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাইফুল্লাহ শামীম।
ভালো থাকুন। শুভ ব্লগিং।

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো ........+++++++++++

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: মর্মান্তিক গল্প ।

গল্প ভাল লেগেছে ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: খুব কষ্ট নিয়ে পড়লাম!!! :( চেহারা বা গায়ের রঙের কাছে , সব যোগ্যতাই তুচ্ছ!! :(

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পের নামটাই তো এ জন্য 'এক ডজন কষ্ট'। আমাদের সমাজ এখনো মধ্যযুগে পড়ে আছে। মুখে আমরা প্রগতিশীলতা ও নারী স্বাধীনতার কথা বলি। কিন্তু এগুলো ফাঁকা বুলি ছাড়া কিছুই নয়। আমাদের মন মানসিকতা আজও পুরুষতান্ত্রিক স্বেচ্ছাচারিতায় আচ্ছন্ন। ড্যাম দিস সোসাইটি!

ধন্যবাদ বোন কামরুন নাহার। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লাগল।
++

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন রয়।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

তার আর পর নেই… বলেছেন: পুরো গল্পটাই সুন্দর! শুধু মা এর কথাটা ভালো লাগেনি। মায়েরা এভাবে বলতে পারেনা। যেখানে আপনি বাবাকে পজেটিভ দেখিয়েছেন মাকে উল্টো …
বাস্তব ধরনের গল্পে প্লাস

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জনাব সাইফুল্লাহ শামীমের প্রথম মন্তব্যটির (মন্তব্য নং-৩) প্রেক্ষিতে আমার উত্তরটি দয়া করে দেখুন। মায়েরা এভাবে বলতে পারে কী না সেই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। মা বাবা দুজনের মধ্যে কী একজন বা দুজনেই খারাপ হতে পারে না? আমাদের সমাজে বাবা পজিটিভ মা নেগেটিভ অথবা মা পজিটিভ বাবা নেগেটিভ- এমন তো হর হামেশাই দেখা যায়। যায় না?

ধন্যবাদ তার আর পর নেই। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১০

আমিই মিসির আলী বলেছেন: বড়ই করুন কাহিনী।
বাস্তবতা এমন হয় নাকি জানা নেই।
কিছু মানুষের দুঃখ কখনোই শেষ হয় না।
হয়তো গল্পের মেয়েটিও সেরকম।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আমি মিসির আলি।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: আমাদের সমাজ মুখে বর্ণবাদের বিপক্ষে কথা বলে ঠিকই। কিন্তু নিজেকে এই বর্ণবাদের চক্র থেকে মুক্ত করতে পারেনি।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। সমাজের বাস্তব অবস্থা এরকমই।
ধন্যবাদ জনৈক অচম ভুত। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: এ সমাজের কাছে এই মানুষগুলো এমনই । কবে যে মানুষগুলো বদলে যাবে - সেই প্রতীক্ষায় আছি !

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বদলানো খুব কঠিন। কয়েকদিন আগে পত্রিকায় পড়লাম, মধ্য আফ্রিকার কোন এক দেশে (নামটা এখন মনে পড়ছে না) জেলখানায় খাদ্যের অভাবে কয়েদীরা একে অন্যকে হত্যা করে মাংস খেয়েছে। আপনি কী কোনদিন শুনেছেন, বাঘ তার স্বজাতিকে হত্যা করে মাংস খেয়েছে? অথবা সিংহ বা চিতা হায়েনা যে কোন মাংসাশী প্রাণী?
মানুষকে বদলানো প্রায় অসম্ভব। যে মানুষ যে স্বভাব নিয়ে এই পৃথিবীতে এসেছে, সেই মানুষ সেই স্বভাব নিয়েই পৃথিবী থেকে চলে যাবে। ব্যতিক্রম দু'একজনের কথা হিসাবে না আনাই ভালো।

ধন্যবাদ ফেরদৌস প্রামানিক। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: এ কেমন জীবন! ঘটনা কী, আজকে ব্লগে সব খালি ট্রাজিক লেখা পড়ছি! নাহ, বাসায় গিয়ে সুকুমার রায়ের কমিক কবিতা না পড়লে স্বস্তি পাবো না।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তাই নাকি মাহবুব ভাই? তাহলে ট্র্যাজেডির পরে কমেডিতেই চলুন। কিসমতের ভাগ্য।

ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।

১৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

bishal mondal বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিশাল মণ্ডল।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

জয় মন্ডল বলেছেন: ভাল লাগল। পড়ে খুব ভাল লাগল।আরও লিখুন শুভ কামনা রইল।ভাই আমি ব্লগে নতুন। লেখা প্রকাশ করলাম কিন্তু প্রথম পাতায় আসছে না।আসতে কি কিছু দিন অপেক্ষা করতে হয় নাকি কোন দিন প্রথম পাতায় আসবে না।দয়া করে জানিয়ে দিন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই জয় মণ্ডল। আপনার লেখা প্রথম পাতায় আসবে। তবে কয়েকদিন পরে। কারণ আপনি মাত্র উনিশ ঘণ্টা আগে ব্লগে রেজিস্টার্ড হয়েছেন (আপনার প্রোফাইল দেখে বলছি)। এ সময় ব্লগের নিয়মানুযায়ী আপনার স্ট্যাটাস হল ওয়াচ। অর্থাৎ আপনি কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণে আছেন। জেনারেল/সেফ স্ট্যাটাসে গেলে আপনার লেখা প্রথম পাতায় আসবে। ততদিন আপনি লিখতে থাকুন। লেখা বন্ধ করবেন না। কারণ আপনার লেখা দেখেই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.