নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ তেতো সন্দেশ

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

ডাক বিভাগে চাকরি পেয়ে জয়পুরহাট পোস্ট অফিসে ট্রেজারার পদে জয়েন করলাম ১৯৮০ সালে। আমি তখন পঁচিশ বছরের তরুণ।
জয়পুরহাট তখন থানা সদর। গ্রামীণ সংস্কৃতির আড়মোড়া ভেঙে ধীরে ধীরে জেগে উঠতে থাকা ছোট্ট একমুঠো শহর। ধানহাটী নামে একটা বাজার আর শহর সংলগ্ন সুগার মিলকে কেন্দ্র করে মানুষের যা কিছু চাঞ্চল্য। শহরের বুক চিরে একটাই পাকা রাস্তা। পোস্ট অফিসসহ দু’চারটি সরকারি ভবন পাকা, বাকি সব টিনের ঘরবাড়ি। শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও বেশির ভাগ বাড়ি ও দোকানপাটে তখনো হারিকেন ও কূপিবাতির দাপট।
রাজশাহী বিভাগীয় শহর থেকে আত্মীয়স্বজনহীন এই নির্জীব শহরে এসে আমি মনমরা হয়ে পড়লাম। সারা শহর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও থাকার মতো কোন মেস বা ঘর ভাড়া পাওয়া গেল না। আসলে এ ধরনের আধা গ্রাম, আধা শহরের মতো জায়গায় তখনো বহিরাগতদের জন্য মেস বা ঘর ভাড়া দেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি।

প্রথম কয়টা দিন অফিসের মধ্যে দুটো টেবিল জোড়া দিয়ে তার ওপর শুয়ে রাত কাটালাম। রাস্তার ধারে নোংরা রেস্টুরেন্টে খেয়ে আমার পেট নেমে গেল। অফিসের টয়লেট আমি নিজেও নোংরা করে ফেললাম।
দয়ামায়াহীন পোস্টমাস্টার বললেন, ‘ট্রেজারার সাহেব, সরকারি অফিসে এভাবে রাতে শুয়ে থাকা ঠিক হচ্ছেনা। অফিসে ক্যাশ স্ট্যাম্প থাকে। উনিশ বিশ কিছু হলে আপনিও ফেঁসে যাবেন, আমাকেও বিপদে ফেলবেন।’
কথা ঠিক। কিন্তু আমি তো নিরুপায়।
আমার এই দুরবস্থার কথা অফিসের সব স্টাফই জানতো। আমার একটা থাকার ব্যবস্থার জন্য অনেকেই চেষ্টা করছিল। তাদের মধ্যে মোজাম্মেল নামে এক পোস্টম্যান একদিন অফিস টাইমের পর আমাকে নিয়ে গেল শহরের কাছাকাছি একটা জায়গায়। জায়গাটা পুরোদস্তুর গ্রাম। সঙ্গত কারণে গ্রামটির নাম আমি বলছি না।

মোজাম্মেলের ভায়রা কফিলউদ্দিন এই গ্রামের মোড়ল। আমার দুরবস্থার কথা শুনে তিনি তার বাড়ির সামনের দিকে একটা টিনের ঘর ভাড়া দিতে রাজি হয়েছেন। ভাড়া দেড়শো টাকা। খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা আমার নিজের। আর যেহেতু গ্রামে সমাজ আছে এবং আমি যুবক ছেলে, সেহেতু আমাকে একটু হিসাব করে চলতে হবে। মোড়লের যেন কোন বদনাম না হয়।
সরকারি চাকরি সোনার হরিণ। আমি সব শর্তে রাজি হয়ে পরদিনই সুটকেস হাতে চলে এলাম। ঘর ভর্তি আউড়ের পালা। কামলা ডেকে সেসব অন্যত্র সরিয়ে ঝাড় দিয়ে ঘর সাফ করে দেয়া হল। ঘরের দুই দরজার একটি দিয়ে বাড়ির ভেতর যাওয়া যায়। বাড়ির ভেতর থেকে শেকল তুলে তালা দিয়ে সেটি বন্ধ করে দেয়া হল। কফিলউদ্দিন দয়াপরবশ হয়ে আমার শোয়ার জন্য বাড়ির ভেতর থেকে একটা ঘুণে ধরা কাঠের চৌকি বের করে দিলেন। আমি বাজার থেকে কেরোসিনের চুলা, হাঁড়ি পাতিল, চাল ডাল সব কিনে নিয়ে এলাম।
নিজে কোনদিন রান্না করে খাইনি। রাঁধতে গিয়ে হাত পোড়ালাম। গরম তেল পায়ে পড়ে ফোস্কা উঠলো। কোনদিন ভাত হল চালপোড়া, কোনদিন হল হালুয়া। ডিম ভাজতে গিয়ে উল্টে ফেলে দিলাম চুলায়। রান্না করার আতংকে কোন কোনদিন দোকান থেকে কেনা কলা আর বানরুটি খেয়ে রাত পাড়ি দিলাম।

এভাবে দিন পনের যাওয়ার পর একদিন অফিস থেকে ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফিরে দেখি, মেঝেতে একটা ছোট মাদুরের ওপর পরিস্কার গামলা ও বাটিতে কিছু খাবার ঢেকে রাখা। ঢাকনা খুলে দেখি, গরম ভাত, ডিমের তরকারি আর একমুঠো ডাল ভর্তা। পাশে একটা চিরকুটে কাঁচা মেয়েলী হাতে লেখাঃ হাত পুড়িয়ে রান্না করার দরকার নাই। মেয়েদের কাজ ছেলেরা পারেনা। আব্বাকে বলবেন না। বললে আমার যা হয় হবে, আপনাকে ঘাড় ধরে ঘর থেকে বের করে দেবে। মনে থাকে যেন।
দেখলাম, ঘরে নতুন দড়ি টানিয়ে তার ওপর আমার প্যান্ট শার্ট, গামছা লুঙ্গি সব সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা। বিছানার চাদর টান টান। ঘরের মেঝে ঝকঝকে, তকতকে। বুঝলাম, মোড়লের মেয়ের কাজ। বাড়ির ভেতর দিকের দরজা খুলে ঘরে ঢুকে সে এসব করেছে। আমার একটু ভয় ভয় করতে লাগলো।
পরদিন সকালে সুটকেস থেকে একটা খাতা বের করে তাতে লিখলাম, এসব না করলে ভাল হয়। জানাজানি হলে সমস্যা হবে।
খাতাটা ওভাবেই বিছানার ওপর রেখে আমি ঘরে তালা দিয়ে অফিসে চলে গেলাম।
সন্ধ্যার পর ঘরে ফিরে হারিকেন জ্বালিয়ে দেখি মেয়েটি আবার রান্না করে রেখেছে। খাতায় আমার লেখার নিচে লেখাঃ ভীতুর ডিম!
মেজাজ খাট্টা হয়ে গেল। ওর লেখার নিচে লিখলামঃ ভয় দেখালেন আপনি, আর এখন আপনিই বলছেন ভীতুর ডিম? বেশ বেশ।
পরদিন মেয়েটি কিছু লিখলো না। আমি লিখলামঃ আপনারা কয় ভাই বোন? আপনি কি বিবাহিতা?
মেয়েটি লিখলোঃ হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিনা। আমাকে বিয়ে করবে কে? আমার কোন ভাই বোন নেই। শুধু দাদি আছে। আমার জন্মের সময় মা মারা গেছেন। সৎ মা পাওয়ার ভাগ্য হয়নি। কিন্তু আপনি এসব জানতে চাচ্ছেন কেন? বেশি জানা ভাল না। তরকারিতে ঝাল লবণ ঠিক হচ্ছে তো?
দুষ্টামি বুদ্ধি মাথায় চাপলো। আমি লিখলামঃ দুটোই বেশি বেশি। একটু কম হলে ভাল হয়।
গ্রামের মেয়ে। আমার লেখার তাৎপর্য বুঝল না। পরদিন তরকারিতে ঝাল লবণ দুটোই বেশ কম হল। খাতায় লিখলামঃ আমি তরকারির ঝাল লবণের কথা বলিনি। আপনার নিজের ঝাল লবণের কথা বলেছি। আপনার নামটা কিন্তু আমার এখনো জানা হয়নি। ওটাও ঝাল ঝাল নয় তো?
উত্তরে মেয়েটি লিখলোঃ আমার ঝাল লবণ তো কেউ চেখে দেখেনি। আপনি একটা ফাজিল লোক। আমার সঙ্গে ফাজলামো করবেন না। ফাজলামো করলে নাম বলব না।
এরপর কিছুদিন আর লেখালেখি নেই। কিন্তু রান্নাবান্না, ঘর গোছানো সব ঠিক মতই চলছে। সত্যি বলতে কি, প্রেমঘটিত একটা দুর্ঘটনা আমার জীবনে আগে একবার ঘটে যাওয়ার পর থেকে নতুন কোন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে আমার প্রচণ্ড অনীহা ছিল। মেয়েদের আমি যথাসম্ভব এড়িয়েই চলতাম।
অফিস থেকে ঘরে ফিরে রাতে বিছানায় শুয়ে হারিকেনের আলোয় আমি খাতার লেখাগুলো পড়ি। সে শুধু সময় কাটানোর জন্য। মেয়েটিকে আজ পর্যন্ত চোখে দেখিনি। অবস্থাপন্ন বাপের একমাত্র মেয়ে। বিয়ে হয়নি কেন কে জানে? মাঝে মধ্যে আমার সতর্ক চোখ খুঁজে বেড়ায় তাকে। কিন্তু মেয়েটি যেন দৃশ্যমান জগতে এক অদৃশ্য রহস্যময় মানবী।

এভাবে প্রায় তিন মাস কেটে গেল। কাজে যোগদানের পর পরই আমি রাজশাহীতে বদলির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলাম। এখানে আমার কষ্টের কথা জানিয়ে রাজশাহীর পোস্টমাস্টার জেনারেলের অফিসে তদবির করার জন্য বাড়িতে বড় ভাইয়ের কাছে চিঠিও লিখেছিলাম। তখন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার এত রমরমা ছিল না। মোবাইল ফোনের তো প্রশ্নই ওঠে না।
বড়ভাই আপ্রাণ চেষ্টা করে ঠিক তিন মাসের মাথায় আমার ট্রান্সফার অর্ডার বের করে ফেললেন এবং আমাকে চিঠি দিয়ে জানালেন।
সেদিন খুশি মনে ঘরে ফেরার পর এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা হল। মেয়েটির সঙ্গে আমার কথাবার্তার সেই খাতার মধ্যে একটা সাদা কালো ছবি পেলাম। নিষ্পাপ চেহারার সুন্দর একটি মেয়ে। কাজল টানা দীঘল চোখে বিষণ্ণ দৃষ্টি। বয়স আঠারো উনিশ হবে। খাতায় লেখাঃ আপনি তো চলেই যাবেন। যাওয়ার আগে ছবিতে আমাকে দেখে যান। ছবির উল্টো পিঠে আমার নাম লেখা আছে। ছবিটা নিয়ে যাবেন না কিন্তু।
মনে হল, আমি বৈদ্যুতিক শক খেলাম। আমি চলে যাবো এটা এই মেয়ে জানলো কিভাবে? বদলির কথা তো আমার জয়পুরহাট অফিসের লোকজনই এখনো জানেনা। ইনটুইশন? থট রিডিং? ছবিটা উল্টে দেখলাম গোটা গোটা হরফে লেখা, নার্গিস।

এক সপ্তাহের মধ্যে আমার ট্রান্সফার অর্ডার চলে এলো। সকাল দশটার মধ্যে নতুন ট্রেজারারের কাছে চার্জ বুঝিয়ে দিয়ে ঘরে ফিরে এলাম। দুপুর সাড়ে বারোটায় রাজশাহী যাওয়ার ট্রেন। বাড়ি ফেরার আনন্দে আমার মন চঞ্চল হয়ে উঠেছে। ঘরে ফিরে দেখি, বিছানার ওপর একটা কাঠের ট্রেতে পিরিচ দিয়ে ঢেকে রাখা দুটো সন্দেশ আর এক গ্লাস পানি। পাশে রাখা খাতায় লেখাঃ কাল বিকেলে আমাকে বিয়ে না করার জন্য এক ছেলে তার অভিভাবকসহ দেখতে এসেছিল। এই প্রথম আমাকে কেউ দেখতে এলো। তাদের আনা মিষ্টি থেকে আপনাকে দুটো সন্দেশ দিলাম। আশা করি, যাওয়ার আগে খেয়ে যাবেন।
বিয়ে না করার জন্য ছেলেপক্ষ দেখতে এসেছিল? এমন কথা কখনো শুনেছি বলে মনে পড়লো না। বুঝলাম, যে কোন কারণেই হোক ছেলেপক্ষ নার্গিসকে তাদের বউ করতে রাজি হয়নি। দেখতে তো মেয়েটি অসুন্দর নয়। সম্ভবত যৌতুক বা লেনদেনে বনিবনা না হওয়ায় বিয়ে ভেস্তে গেছে।
মনে মনে দুঃখ পেলেও বাড়ি ফিরে যাওয়ার আনন্দে আপাতত দুঃখবোধ ধামাচাপা পড়ে গেল। এখন মিষ্টি খাওয়ার সময় নাই। দ্রুত হাতে সুটকেস গুছিয়ে নিয়ে সন্দেশ গুলো কাগজের ঠোঙায় ভরে সঙ্গে নিলাম। ট্রেনে বসে খাওয়া যাবে।
গোছগাছ শেষে বাড়ির মালিকের কাছে গেলাম বিদায় নিতে। কফিলউদ্দিন আমার হাঁড়ি পাতিল, থালাবাসন ও কেরোসিনের চুলা বস্তাবন্দি করে সঙ্গে দিতে চাইলেন। আমি বললাম, ‘না, থাক।’ তার সঙ্গে কথা বলার ফাঁকে আড়চোখে খুঁজলাম মেয়েটিকে। কিন্তু না, কোথাও নেই সে। তবে কেন জানি আমার মনে হল, এ বাড়ির কোন না কোন আড়াল থেকে কাজল টানা দুটি দীঘল চোখে সে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।

আমাকে ট্রেনে তুলে দিতে প্ল্যাটফরমে অপেক্ষা করছিল মোজাম্মেল। ট্রেন আসার দেরি আছে দেখে ওর সাথে গল্প করছিলাম। কথা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তোমার ভায়রার মেয়েটির বিয়ে হচ্ছেনা কেন? দেখতে তো সে ভালোই।’
মোজাম্মেল বলল, ‘বিয়ে কি করে হবে, স্যার? মেয়ে যে বোবা, মুখে জবান নাই। একটা বোবা মেয়েকে জেনে শুনে কে বিয়ে করবে স্যার, বলেন?’
ট্রেন আসার ঘণ্টা পড়লো। মনে হল, আমার হৃৎপিণ্ডটাকে ঘণ্টা বানিয়ে আঘাত করলো কেউ। মোজাম্মেল মাথা নিচু করে বলল, ‘বহু চেষ্টা তদবির করে গতকাল বগুড়ার এক ছেলে পক্ষকে আনা হয়েছিল মেয়ে দেখাতে। মেয়ে তো তাদের এক দেখাতেই পছন্দ। কিন্তু মেয়ে বোবা শুনে তারা আর এক মিনিটও বসেনি। আমার ভায়রা পাঁচ বিঘা ধানী জমি লিখে দিতে চাইলো। তাতেও রাজি হল না।’
আমাকে ট্রেনে তুলে দিয়ে চলে গেল মোজাম্মেল।

চলন্ত ট্রেনে অনেকক্ষণ পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগীর মতো আমি বসে রইলাম। হাতে ধরা ঠোঙা থেকে একটা সন্দেশ বের করে দেখে মনে হল, এই সন্দেশের স্বাদ তেতো। নিম পাতার রসের চেয়েও তেতো। এই সন্দেশ খাওয়া যাবেনা। মনে মনে বললাম, ‘নার্গিস, আপনার অনুরোধ রাখতে পারলাম না। দুঃখিত।’ ট্রেনের জানালা দিয়ে সন্দেশসহ ঠোঙাটা ফেলে দিলাম বাইরে।
নার্গিসের সাথে আমার কথা বিনিময়ের সেই খাতাটা সুটকেস থেকে বের করে চোখের সামনে মেলে ধরলাম। ঝাপসা চোখে কষ্ট করে খুঁজে বের করে আবার পড়লাম মেয়েটির সেই লেখাটা, আমাকে বিয়ে করবে কে?
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
****************************************************************************************
এই লেখাটি মাসিক মৌচাকে ঢিল পত্রিকার নভেম্বর, ২০১১ মিষ্টি (দ্বিতীয় পর্ব) সংখ্যায় প্রকাশিত। ব্লগার বন্ধুরা যারা এটি পড়েননি, তাদের জন্য ব্লগে প্রকাশ করলাম। ধন্যবাদ।
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

বাকপ্রবাস বলেছেন: অসাধারণ গল্প হিসেবে, সত্য ঘটনা তায় মনটা খারাপ হয়ে গেল

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, এটা সত্য ঘটনা ভিত্তিক গল্প। আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: আসলেই দুঃখজনক। তবে আপনার চলে আসার কথা নার্গিসের জানতে পারাটা কিন্তু সত্যিই রহস্যজনক।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ জনৈক অচম ভুত।
ব্যাপারটা নিয়ে আমিও অনেক ভেবেছি। নিজে এই রহস্যের সমাধান করতে পারিনি। তবে একজন মনোবিজ্ঞানীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে যে উত্তর পেয়েছি, সেটাই আমার কাছে ঠিক বলে মনে হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এক বা একাধিক ইন্দ্রিয় কম থাকা মানুষের ইনটুইশন ক্ষমতা বেশি হয়। তারা তাদের ইনটুইশন ক্ষমতার জোরে আগে থেকে অনেক কিছু অনুমান করতে পারে। নার্গিস সম্ভবত এভাবেই অনুমান করেছিল যে আমি বদলী হয়ে জয়পুরহাট থেকে চলে যাবো।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চমৎকার গল্প । সত্য ঘটনার ভিত্তিতে বলে মনে হয় আরো বেশি ভাল লেগেছে । আপনি দারুণ লিখিয়ে, বাস্তবকে গল্পে সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে পারেন যা পাঠককে বেশ মুগ্ধ করে ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন। সত্য ঘটনা ভিত্তিক এই গল্পটি আপনার কাছে ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১১

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: কি বলবো!!!!!!!!
আপনার উপর খুব রাগ হচ্ছে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। আমার ওপর রাগ হবার কারণ বুঝতে পারছি। তবে কিছু করার ছিল না ভাই। মন্তব্যের এই ছোট পরিসরে সব কথা বলতে পারছি না। আমার লেখা আত্মজৈবনিক উপন্যাস স্বপ্ন বাসর পড়লে সব উত্তর পেয়ে যাবেন।

ধন্যবাদ ভাই সাইফুল্লাহ শামীম। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১২

প্রামানিক বলেছেন: হৃদয় ছোঁয়া কহিনী। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। এই গল্প তো আপনার পড়া আছে। তারপরেও আবার পড়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপনার স্মৃতিচারণ পড়লাম। কিছুটা মন খারাপও হলো বোধ করি।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কাণ্ডারি অথর্ব। মন খারাপ হবারই কথা।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭

ডি মুন বলেছেন:
চমৎকার। আপনার লেখা পাঠে আনন্দ পাই।

সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা জেনে আরো কৌতূহল হচ্ছে। আপনি কী আর কখনো খোঁজ নিতে পেরেছিলেন নার্গিসের ব্যাপারে? উনি এখনই বা কেমন আছেন? আপনার গল্পটা যদি কোনোভাবে উনার চোখে পড়ে, কেমন অনুভূতি হবে উনার ?

+++

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ডি মুন। আপনার তিনটি প্রশ্নের উত্তর হলো, ১) না, আমি আর নার্গিসের খোঁজ খবর নিতে পারিনি। এর নানা কারণ আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ১৯৭১ সালে আমার বয়স যখন ১৬/১৭ বছর, তখন আমাদের গ্রামের বাড়িতে (দাদার বাড়ি) সপরিবারে পালিয়ে থাকার সময় আমার এক চাচাতো বোনের (বয়স ১৪/১৫) সাথে আমার ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেই প্রেম পরিণতি পায়নি। এই ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ২০১১ সালে আমার লেখা আত্মজৈবনিক উপন্যাস 'স্বপ্ন বাসর' প্রকাশিত হয়েছে। এই ঘটনায় প্রেম ভালোবাসার প্রতি আমার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায়। এই গল্পের ৫৩/৫৪ লাইনে আমার এই অনাগ্রহের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে আসলে আমি নার্গিসের প্রতি অনুরক্ত ছিলাম না। আর ট্রেনে উঠার আগে পর্যন্তও আমি জানতাম না যে সে বোবা ছিল। হয়তো নার্গিসের দিক থেকে আমার প্রতি আগ্রহ ছিল, কিন্তু আমার দিক থেকে ছিল না। জয়পুরহাট থেকে চলে আসার পর আমি খুব মনঃকষ্টে ছিলাম, কিন্তু নার্গিসের সঙ্গে আবার দেখা করে নতুনভাবে সম্পর্ক তৈরি করবো (আসলে সেখানে থাকাকালীনও সেভাবে সম্পর্ক ছিল না) এরকম কোন ইচ্ছা আমার ছিলনা। এই জন্য তার খোঁজ খবর করিনি।
২) সে এখন কেমন আছে বা আদৌ বেঁচে আছে কী না আমি জানি না।
৩) এই গল্প তার চোখে পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর যদি পড়েও, তার অনুভূতি কী হবে আমি জানি না।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫১

সুমন কর বলেছেন: লেখা হৃদয় ছুঁয়ে গেল। অনেক অনেক ভালো লাগা, সে বোবা মেয়েটির জন্য আর লেখাটি শেয়ার করার জন্য।

দৃষ্টিভঙ্গি তখনো কিংবা এখনো বদলে যায়নি !!!

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দৃষ্টিভঙ্গি তখনো কিংবা এখনো বদলে যায়নি !!!

উপরের কথাটির অর্থ ঠিক বুঝলাম না ভাই।

ধন্যবাদ সুমন কর। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২১

সুমন কর বলেছেন: বোবা মেয়েদের বিয়ে করা....

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না, আমাদের সমাজে এই দৃষ্টিভঙ্গির কোন পরিবর্তন হয়নি।

১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

মোঃ আবু হেনা সাজ্জাদ বলেছেন: চমৎকার গল্প । সত্য ঘটনার ভিত্তিতে বলে মনে হয় আরো বেশি ভাল লেগেছে ।
আমার হোম টা্উন জয়পুরহাট।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ আবু হেনা সাজ্জাদ। আপনার হোম টাউন জয়পুরহাট জেনে খুশি হলাম।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: সিনেমাটিক বাস্তব। আশা করি তার জীবনে রূপকথা নেমে এসেছে। শূদ্ধ হৃদয়ের অধিকারীরা যেমন সেখানে নানা ঝড়-ঝঞ্ঝার পরেও "অতঃপর সুখে শান্তিতে বসবাস" করে থাকেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বুঝলাম না অাপনার লেখাটা পড়ে মেয়ে মানুষের মত চোখে পানি এসে গেলো কেন?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নারী পুরুষ উভয়েই মানুষ। হাসি কান্নার অনুভূতি একইরকম হওয়ার কথা।

ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: প্রথম দিকে ভেবেছিলাম মিষ্টি প্রেমের গল্প কিন্তু শেষে এসে মনটা ভারি হয়ে গেলো ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই শাহাদাত হোসেন।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: "ট্রেনের জানালা দিয়ে সন্দেশসহ ঠোঙাটা ফেলে দিলাম বাইরে।"
ভাই এই সন্দেশের মধ্যে ঐ মেয়েটার না বলা ভালোবাসা লুকায়িত ছিল, তাই না খেয়ে পেলে দেওয়াটা উচিত হয়েছে কিনা বলতে পারবোনা......। আপনার লিখাটা এতবেশি ভাল লেগেছে ভাষায় প্রকাশ করার মত না। কতই না পবিত্র ছিল তখনকার দিনের ভালবাসা...। ধন্যবাদ জানবেন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তখন আমার মানসিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। বিশেষ করে পাত্রপক্ষের উপর আমার অত্যন্ত রাগ হচ্ছিল। তারা শুধুমাত্র বোবা হবার কারণে নার্গিসকে প্রত্যাখ্যান করে। অথচ ছবিতে তাকে যতটুকু দেখেছি, তাতে সে যথেষ্ট সুন্দরী ছিল। এই রাগের কারণে পাত্রপক্ষের আনা মিষ্টি (সন্দেশ) আমার গলা দিয়ে নামতো না। আমি নার্গিসের ওপর বিন্দুমাত্র অসন্তুষ্ট ছিলাম না। শুধুমাত্র অমানবিক ও স্বার্থপর পাত্রপক্ষের আনা মিষ্টি খাবো না বলে ফেলে দিয়েছি। জানি না ঠিক করেছি কী না!
লেখাটি ভালো লাগায় আপনাকে ধন্যবাদ। বোবা মেয়েটির জন্য দোয়া করবেন আল্লাহর কাছে।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৫| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

স্বপ্নহীন মানুষ বলেছেন: অসাধারন!

০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নহীন মানুষ।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০

আরাফআহনাফ বলেছেন: আপনার বদলীর খবর উনি জানলেন কিভাবে সে এক রহস্যই থেকে গেল।
যাক, লেখনি দারুন আপনার সব ক্ষেত্রেই।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ২ নং মন্তব্যের উত্তরে আপনার এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছি। দয়া করে দেখলে খুশি হব।

ধন্যবাদ আরাফআহনাফ ।
শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আরাফআহনাফ বলেছেন: পৃথিবীর অনেক কিছুই রহস্যে ঘেরা আর অমিমাংসিত, প্রকৃতিই সেই আয়োজন করে রাখে। এ রহস্য ভাংগার নয়।
হেনা ভাই, আমি কিন্তু ব্যাখ্যা/উত্তর চাইনি, শুধু বলতে চাইছিলাম "রহস্যই থেকে গেল"। আশা করছি নিজের অবস্হান তুলে ধরতে পেরেছি। আপনার সব লেখা, মন্তব্য, প্রতিউত্তর সবসময় মনোযোগ দিয়েই পড়তে হয়, পড়ি..... আর মন্তব্য, প্রতিউত্তরগুলো মূল লেখনি থেকে কম যায় না।

আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা রইলো - বরাবরের মতোই।
ভালো থাকুন অবিরত।

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। সেকশপিয়রের ভাষায়, 'দেয়ার আর মেনি থিংস ইন হেভেন এ্যান্ড আর্থ....... ' পৃথিবীর অনেক রহস্যই অমীমাংসিত। একদম সঠিক বিশ্লেষণ।

ধন্যবাদ আরাফআহনাফ। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

তাওফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে গেলো।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই তাওফিকুর রহমান চৌধুরী।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুণ লেখনি!

জীবনের এমন রুঢ় বাস্তবতায় আসলেই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যেতে হয়!

হামা ভাইর সােথ সহমত।

++++++++

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

ইফতি সৌরভ বলেছেন: লেখক বলেছেন: তখন আমার মানসিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। বিশেষ করে পাত্রপক্ষের উপর আমার অত্যন্ত রাগ হচ্ছিল। তারা শুধুমাত্র বোবা হবার কারণে নার্গিসকে প্রত্যাখ্যান করে। অথচ ছবিতে তাকে যতটুকু দেখেছি, তাতে সে যথেষ্ট সুন্দরী ছিল। এই রাগের কারণে পাত্রপক্ষের আনা মিষ্টি (সন্দেশ) আমার গলা দিয়ে নামতো না। ------


আর এত সুন্দর একটা লেখা পড়লাম অতচ লেখককের উপর রাগ কমছে না। বুঝলাম এক তিক্ত সম্পর্কে উনি মানসিক ভাবে নিহত তখন কিন্তু তারপরও সেই বিপদবেলায় যে এভাবে সাহায্য করেছে, তার খবরটা না হয় নাই বা নিলেন কিন্তু মাতব্বর সাব এর সাথে একবার দেখে করতে গেলেও আমি নিশ্চিত, মেয়েটি বুঝত আর নি:স্বার্থ এক ফোটা চোখের পানিও ঝরত। মেয়ে টির লেখা পড়ে বুঝলাম, রোমান্টিকতায় সেও কম ছিল না; ছিল না শুধু মুখের ভাষা!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। লেখকের ওপর রাগ কমছে না? ভাই, এই গল্পের মধ্যেই এক জায়গায় বলা আছে যে নার্গিসের অনেক আগে আমার একটা ব্যর্থ প্রেমের ঘটনা ছিল। সেই তখন থেকেই আমি মেয়েদের এড়িয়ে চলতাম। তা' ছাড়া আমি জয়পুরহাট ত্যাগ করার সময় ট্রেনে উঠার আগ মুহূর্তে জানতে পারি যে নার্গিস বোবা মেয়ে ছিল। তখন কিই বা করার ছিল বলুন?

আর পরের কথা বলছেন? এই ঘটনার কিছুদিন পর আমার মায়ের পীড়াপীড়িতে আমার বিয়ে হয়ে যায়। আমার আগের সেই ব্যর্থ প্রেমের কারণে আমার মা আমাকে নিয়ে সব সময় খুব আশংকার মধ্যে থাকতেন। তাই তিনি অনেকটা জোর করেই আমার বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের পরে নার্গিসের সাথে বা তার বাবার সাথে যোগাযোগ করা আমি সমীচীন মনে করিনি। এতে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারতো। তবে নার্গিসের প্রতি যদি আমার সহানুভূতি ও দরদ না থাকতো, তাহলে ঘটনার ত্রিশ বছর পর তাকে নিয়ে লিখতাম না।

ধন্যবাদ ভাই ইফতি সৌরভ। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.