নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ বউ চোর

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

শহর থেকে গ্রামে নানার বাড়ি বেড়াতে যাওয়া এক কালে খুব আনন্দের ব্যাপার ছিল। আমরা ছয় ভাইবোন যখন ছোট ছিলাম, তখন স্কুল ছুটি হলে নানার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকতাম। গ্রামের খোলামেলা পরিবেশ, গাছের টাটকা ফল, পুকুরের তাজা মাছ, বাড়ির গাই দোয়ানো দুধের সর, আহা! তবে নানাভাইয়ের কাছে গল্প শোনার প্রতি আমাদের আকর্ষণ ছিল সবচে’ বেশি। তাঁর ভাণ্ডারে ছিল অসংখ্য গল্পের মজুদ। রাখালের গল্প, চাষীর গল্প, বাঘ সিংহ হরিণ শেয়াল আর সারসের গল্প। যুবক বয়সে তিনি কী কী দুঃসাহসিক কাজ করেছেন, সেসব গল্প। অন্যের গাছে উঠে চুরি করে ফল পেড়ে খাওয়ার গল্প।

একবার (১৯৬৭ সালের দিকে) আমাদের পাঁচ ভাইবোনকে (বড়ভাই এসব গল্প শুনতেন না) তাঁর চারপাশে বসিয়ে নানাভাই জিজ্ঞেস করলেন, ‘এ পর্যন্ত তোমরা আমার কী কী চুরির গল্প শুনেছ?’ আমরা সমস্বরে বললাম, ‘আম, তেঁতুল, নারকেল, কলা আর বাতাবী লেবু।’
‘বেশ। আজ তোমাদেরকে বলবো বউ চুরির গল্প।’
‘বউ চুরি?’
‘হাঁ, বউ চুরি। আমার বউকে আমি কীভাবে চুরি করে নিয়ে এসেছিলাম, সেই গল্প।’
আমাদের নানী আমাদের জন্মের আগে মারা যাওয়ায় তাকে আমরা কেউ দেখিনি। সে যুগে তার কোন ছবিও ছিল না। তার ব্যাপারে আমাদের বরাবরই খুব কৌতূহল ছিল। কিন্তু মায়ের কাছে তার সম্পর্কে যৎসামান্য শুনে আমাদের কৌতূহল মিটতো না। তাই নানাভাইয়ের বউ চুরির গল্প শোনার জন্য আমরা লাফিয়ে উঠলাম। ‘ইস্, বউ চুরির গল্প!’নিজেদের মধ্যে আমরা বলাবলি করলাম, ‘খুব মজার হবে, তাই না? বলো নানাভাই, তাড়াতাড়ি বলো।’
‘তোমাদের নানীর বয়স যখন দশ বছর, তখন আমার বয়স ছিল পনেরো। ঐ বয়সে আমাদের বিয়ে হয়ে গেল।’
‘এ আল্লাহ্‌! এত ছোট বয়সে কোনদিন বিয়ে হয়?’
‘তখনকার দিনে যে তাই হতো ভাই।’
‘এ্যাই, তুই চুপ কর! খালি বকর বকর করে! তুমি বলো নানাভাই।’
‘হাঁ, শোনো। বিয়ে তো হলো, কিন্তু ফ্রক প্যান্ট পরা তোমাদের নানী তার বাবার বাড়িতেই থেকে গেল।’
‘কেন?’
‘তোমাদের নানী যে তখনো লায়েক (সাবালিকা) হয়নি। লায়েক না হলে স্বামীর বাড়ি যেতে নেই।’
‘লায়েক হলে কী হয়?’
আমাদের মা সে সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি নানাভাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘আপনি যে কী সব গল্প বলেন না আব্বা! এসব গল্প ওদের বলবেন না তো!’
নানাভাই বিব্রতমুখে মায়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আচ্ছা, ঠিক আছে। বউ চুরির গল্প থাক। অন্য গল্প বলি, কেমন?’
‘না, না, না।’ আমরা অন্য গল্প শুনতে রাজী নই। বউ চুরির গল্পই বলতে হবে। নানার সাথে বহু দেন দরবারের পর শেষে সিদ্ধান্ত হলো যে, আজ নয়, কাল নানার আমবাগানের ভেতর মাদুর পেতে বসে আমরা বউ চুরির গল্প শুনবো। আর গল্প শোনার সময় কেউ কোন কথা বলতে পারবে না।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরদিন নির্ধারিত স্থানে বসে নানাভাই গল্প বলা শুরু করলেন। যেহেতু প্রশ্ন করা যাবে না, তাই ‘লায়েক হলে কী হয়’, সেটা আর জানা হলো না।
‘তোমাদের নানী তো তার বাপের বাড়িতে থেকে গেল। আমাদের গ্রাম থেকে তার বাপের বাড়ি অনেক দূর। অত দূরে তো আর যখন তখন ইচ্ছে করলেই যাওয়া যায় না। কিন্তু সেখানে যেতে আমার খুব ইচ্ছে করতো।’
‘কেন? তোমার যেতে ইচ্ছে করতো কেন?’ সব ছোট ভাইটার (বয়স ছয় বছর) এই আজগুবি প্রশ্নে আমি (বয়স বারো বছর) ও আমার বোন (বয়স চৌদ্দ বছর) মহাবিরক্ত। আমরা দু’জন তার দুই কান মলে দিয়ে চুপ থাকার জন্য ধমকে দিলাম। কানমলা খেয়ে সে কেঁদে ফেললো। নানাভাই তাকে আদর করে কান্না থামিয়ে কোলে বসিয়ে নিয়ে বললেন, ‘তুমি বড় হয়ে যখন বিয়ে করবে, তখন তোমারও শ্বশুরবাড়ি যেতে ইচ্ছে করবে।’
ছোটভাই বললো, ‘আমি বিয়ে করবো না।’
‘আচ্ছা করিস না। নানাভাই, তুমি ওর সাথে বক বক করো না তো! গল্প বলো।’
‘হাঁ, শোনো। আমার বাবা ও শ্বশুর দু’জনেই ছিলেন জোতদার মানুষ।’
‘জোদ্দার কী?’ আমার আরেক ভাইয়ের প্রশ্ন (বয়স দশ বছর)।
‘যাদের অনেক জমি জমা থাকে, তাদের জোতদার বলে। তো শোনো, এরপর কী হলো। একদিন আমি খুব ভোরে কাউকে কিছু না বলে একা একা আমার বউকে দেখার জন্য ওদের গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম। হাঁটতে হাঁটতে দুপুরবেলা গিয়ে পৌঁছালাম ওদের গ্রামে। কিন্তু ওদের বাড়ি আর খুঁজে বের করতে পারি না। কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করতেও ভয় লাগে। বিয়ের সময় ঢাক ঢোলের বাদ্য বাজনাসহ অনেক লোকজন নিয়ে ছোট বাবার (ছোট চাচার) সাথে ঘোড়ায় চড়ে এই গ্রামে এসেছিলাম। শুধু এটুকু মনে আছে যে, আমার শ্বশুরবাড়ি ছিল টিনের ছাউনি দেওয়া বিশাল লম্বা একটা বাড়ি। চারপাশে আম কাঁঠালের গাছ। কিন্তু এখন সে বাড়ি আর চোখে পড়ছে না। চারদিকে খড়ের চালা দেওয়া ছোট ছোট কুঁড়ে ঘর দেখে মন খারাপ হয়ে গেল।’
‘কুঁড়ে ঘর দেখে তোমার মন খারাপ হয়ে গেল কেন?’ আরেক ভাইয়ের প্রশ্ন (বয়স আট বছর)। নানাভাই হতাশ কণ্ঠে বললেন, ‘উকিলের ছেলেরা খালি উকিলের মতো প্রশ্ন করে। গ্রামের কাঁচা রাস্তায় দশ বারো মাইল হেঁটে ক্লান্ত হয়ে বউ দেখতে এসেছি। কিন্তু বউয়ের বাড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। মন খারাপ হবে না?’
‘তুমি হেঁটে গেলে কেন? ঘোড়ায় চড়ে গেলেই তো হতো।’
‘এ্যাই চুপ! একদম কথা বলবি না।’
নানাভাই বললেন, ‘আরে বোকা! আমাদের বাড়িতে ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি, পালকি সবই ছিল। কিন্তু সেসব নিয়ে রওনা দিলে বাবা টের পেয়ে যাবে না? আমার বাবাকে তো তোমরা দেখনি। ভীষণ রাগী মানুষ ছিল। যাই হোক, কথা বোলো না, শোনো। বউয়ের বাড়ি খুঁজতে খুঁজতে বিকেল হয়ে গেল। ক্ষিধে ও ক্লান্তিতে আমার দুই পা আর চলে না। অচেনা লোকজনকে কিছু জিজ্ঞেস করতেও সাহস হয় না। তা’ছাড়া আমার শ্বশুরের নামও আমি জানতাম না। শুধু বউয়ের নাম জানতাম। ময়মুনা।’
‘ময়মুনা? ছিঃ, কী বিচ্ছিরি নাম!’
‘এ্যাই, তুই চুপ করবি?’
‘খুঁজে খুঁজে বাড়ি না পেয়ে আমি হতাশ হয়ে ফিরে যাবো কী না ভাবছি, ঠিক এই সময় হঠাৎ সেই বড় বাড়িটা আমার চোখে পড়লো। বাড়ির পাশে আমবাগানের ভেতর ক’জন ছেলে মেয়ে এক্কা দোক্কা খেলছে। আমি গাছগুলোর আড়ালে নিঃশব্দে পা টিপে টিপে হেঁটে তাদের কাছাকাছি গিয়ে দেখি, একটা মেয়েকে আমার বউয়ের মতো লাগছে।’
বিপুল উল্লাসে হাততালি দিয়ে আমরা সবাই দাঁড়িয়ে গেলাম। নানাভাই তার বউ খুঁজে পেয়েছে, এটাই আমাদের উল্লাসের কারণ।
‘বসো বসো। আসল গল্প তো এখনো শোনইনি।’ নানাভাই আমাদের হাত ধরে বসিয়ে দিয়ে বললেন। ‘ওদের খেলা শেষ হতে হতে সন্ধ্যে হয়ে গেল। সে পর্যন্ত আমি চোরের মতো চুপচাপ আমগাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকলাম। খেলা শেষে সবাই নিজ নিজ বাড়ি চলে গেল। আমার বউয়ের মতো দেখতে মেয়েটা এক্কা দোক্কা খেলার মাটির তৈরি হাঁড়ি ভাঙা খোলা গুলো কুড়িয়ে নিয়ে বাড়ির ভেতর যাওয়ার আগে আমি গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে তার কাছে গিয়ে বললাম, তোমার নাম ময়মুনা? মেয়েটি ঘাড় নেড়ে হাঁ-সূচক জবাব দিয়ে বললো, আপনি কে?’
আমি মজিবর। তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে।
মেয়েটি এদিক ওদিক তাকিয়ে ভয়ে ভয়ে বললো, এখানে এসেছেন কেন?
আমি বললাম, তোমাকে দেখতে।
মেয়েটি আরো ভয় পেয়ে গেল। বললো, বাবা জানতে পারলে আমাকে মারবে।
আমি বললাম, ঠিক আছে। তোমাকে দেখা হলো। আমি এখন যাই।
মেয়েটি হড়বড় করে বললো, তাই করেন। আপনি চলে যান।

আমি ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত শরীরে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। কিছু দূর আসার পর মনে হলো, ময়মুনা আমাকে পেছন থেকে ডাকছে। তার হাতে এক জগ পানি আর বাঁশের তৈরি কাঠা ভর্তি গুড় মুড়ি। সে দৌড়ে আমার কাছে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো, এগুলো খেয়ে যান।
রাস্তার ধারে একটা গাছের নিচে বসে আমি রাক্ষসের মতো গুড় মুড়ি খেয়ে জগ মুখে ধরে ঢক ঢক করে ঠাণ্ডা পানি খেয়ে প্রাণ ফিরে পেলাম। ময়মুনা পাশে বসে আমার খাওয়া দেখছিল। সে বললো, রাত হয়ে গেল। অন্ধকারে বাড়ি যাবেন কীভাবে? ভয় লাগবে না?
আমি বললাম, একটু একটু ভয় তো এখনই লাগছে। তুমি যাবে আমার সাথে? তুমি সাথে থাকলে ভয় লাগবে না।
ময়মুনা কিছুক্ষণ ভেবে বললো, চলেন যাই।

গ্রামের রাস্তায় রাতের বেলা লোকজন তেমন থাকে না। ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ছাড়া চারদিক নিস্তব্ধ। আমি আর ময়মুনা রওনা হলাম আমাদের বাড়ির দিকে। মাইল খানেক হাঁটার পর ময়মুনা কাঁদো কাঁদো স্বরে বললো, হাঁটতে পারছি না।
কী মুশকিল! আমি বললাম, আস্তে আস্তে হাঁটো।
কিন্তু কিছুদূর হেঁটে ময়মুনা রাস্তার ওপর বসে পড়লো। কাঁদতে কাঁদতে বললো, আমি আর হাঁটতে পারবো না।
আকাশে আধ ফালি চাঁদ উঠেছে। চাঁদের আলোয় ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আমি ঘাবড়ে গেলাম। বেচারী ঘেমে নেয়ে অস্থির। এত রাস্তা এই ছোট মেয়ে হেঁটে যাবে কীভাবে, আগে ভেবে দেখিনি। বললাম, এক কাজ করো। আমার পিঠে উঠে বসো। আমি তোমাকে পিঠে করে বয়ে নিয়ে যাবো।
ময়মুনাকে পিঠে তুলে নিয়ে আমি বড় বড় শ্বাস নিতে নিতে হাঁটছি। মাঝে মাঝে ওকে পিঠ থেকে নামিয়ে রাস্তার ধারে বসে একটু জিরিয়ে নিই। তারপর আবার ওকে পিঠে তুলে নিয়ে হাঁটা ধরি। এভাবে কতক্ষণ হেঁটেছি বলতে পারবো না। এক সময় আমার আর কিছু মনে নাই।’
‘তারপর? তারপর কী হলো?’ আমরা সবাই উৎকণ্ঠা নিয়ে নানাভাইয়ের গা ঘেঁষে বসলাম।
পরদিন দুপুরে প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে আমি নিজের ঘরে শুয়ে উহ্ আহ্ করছি। আমার রাগী বাবা বাড়ির উঠানে বাঘের মতো পায়চারী করছেন আর বলছেন, ভাবতে পারো, অতটুকু ছোট মেয়েটা রাতের অন্ধকারে রাস্তার মধ্যে বসে হারামজাদাটাকে আঁকড়ে ধরে হাউ মাউ করে কাঁদছে আর চিৎকার করে বলছে, আমার স্বামী মরে গেছে, আমার স্বামী মরে গেছে। আরে, আমার বংশের ছেলে বউ নিয়ে আসবে পালকিতে করে। বাড়িতে চার চারজন বেহারা তিনবেলা বসে বসে খায়। আর তোমার এই কুলাঙ্গার ছেলে চুরি করে বউ নিয়ে আসছিল পিঠে বয়ে। ছিঃ ছিঃ ছিঃ। হারামজাদার জ্বরটা সারুক, তারপর ওর পিঠের চামড়া কীভাবে তুলতে হয়.........।’
‘তুমি কী সত্যি সত্যিই মরে গিয়েছিলে নানাভাই?’ (সব ছোট ভাইটা)।
‘এক থাপ্পড় দেব বেকুব কোথাকার! মরে গেলে কেউ আবার বেঁচে ওঠে? নানাভাই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল।’ (আমার বড় বোন)।

গল্পের শেষটুকু এরকমঃ এই ঘটনার এক সপ্তাহ পর নানাভাইয়ের রাগী বাবা মহা ধুমধাম করে ছেলের বউ তুলে এনেছিলেন। বউ এসেছিল সেজেগুজে পালকিতে চড়ে। কিন্তু নানাভাইয়ের বউ আরো দেড় বছর নানাভাইয়ের মায়ের কাছে ছিল। শুধু দিনের বেলা নানাভাই খেতে বসলে সে হাতপাখা দিয়ে তাকে বাতাস করতো। ব্যস্।
*******************************************************************************************************
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৯২ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্প ভাল লেগে । ধন্যবাদ ভাই

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শাহরিয়ার কবীর।
শুভেচ্ছা রইল।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

Rahat Islam বলেছেন: :) :-B
আগের দিনগুলাই ভাল ছিল ভাই।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো মন্দ সব যুগেই থাকে। ধন্যবাদ ভাই রাহাত ইসলাম।
শুভেচ্ছা রইল।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

মাতৃভুমি বলেছেন: আগেকার দিনে প্রায়শঃই এরকম ঘটত বলে শুনেছি। গল্পটি ভালই লাগল।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মাতৃভূমি।
শুভেচ্ছা রইল।

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: আপনার লেখা না পড়লে এমন দারুন ঘটনা আমরা জানতামই না।

ধন্যবাদ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই তৌফিক মাসুদ।
শুভেচ্ছা রইল।

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: গল্পটি ভাল লেেগছে।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী। মনে হচ্ছে অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম।
শুভকামনা রইল।

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

অশ্রুকারিগর বলেছেন: ভাবতে পারো, অতটুকু ছোট মেয়েটা রাতের অন্ধকারে রাস্তার মধ্যে বসে হারামজাদাটাকে আঁকড়ে ধরে হাউ মাউ করে কাঁদছে আর চিৎকার করে বলছে, আমার স্বামী মরে গেছে, আমার স্বামী মরে গেছে। আরে, আমার বংশের ছেলে বউ নিয়ে আসবে পালকিতে করে। বাড়িতে চার চারজন বেহারা তিনবেলা বসে বসে খায়। আর তোমার এই কুলাঙ্গার ছেলে চুরি করে বউ নিয়ে আসছিল পিঠে বয়ে। ছিঃ ছিঃ ছিঃ। হারামজাদার জ্বরটা সারুক, তারপর ওর পিঠের চামড়া কীভাবে তুলতে হয়.........।’

এই জিনিস ভাবতেই এমন হাসি পেলো যে আশেপাশের লোকজন অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে। অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে মন্তব্য করতে বসলাম। অনেক সুন্দর এবং মজার প্রেমকাহিনী ছিল। আগের দিনই ভালো ছিল।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ। চিরসত্য প্রবাদ। তবে ভাল মন্দ সব কালেই থাকে। তারপরেও আমি আপনার সাথে একমত।
আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: বাল্যবিবাহ /:) কাহিনীটা ভালোই।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

গোধুলী রঙ বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: বাল্যবিবাহ /:)

তবে একটা বয়স পর্যন্ত না পৌছানো পর্যন্ত বরের কাছে ভিড়তে দেওয়া হতো না। হ্যা সেটাও অবশ্য একালের ডিফাইন্ড ১৮র কম। তর্কে যাবো না, তবে আজ যেসব নানী/দাদীর বয়স ৯০ প্লাস, এখনো হেটে বেড়াতে পারেন তাদের ৯৯%র ই বিয়ে হয়েছে ১২র কাছাকাছি সময়ে, এখন বিয়ের বয়স ১৮ করে শরীর সাস্থ্যের দিকে হাজারো খেয়াল রাখার পরও বয়সটা কিন্তু ৬০ পার হয় না।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কথায় যুক্তি আছে। এই কাহিনী অনেক আগের। আমরা ভাই বোনরা নানাভাইয়ের কাছে গল্পটা শুনেছি ১৯৬৭ সালে। তখন নানাভাইয়ের বয়স ছিল আনুমানিক ৬০/৬৫ বছর। তাঁর বর্ণনামতে তিনি বিয়ে করেছেন ১৫ বছর বয়সে। অর্থাৎ ৬০-১৫=৪৫বছর আর ১৯৬৭ এর পরে ২০১৬ পর্যন্ত ৪৯ বছর মোট ৯৪ বছর বা ৯৯ বছর (নানাভাইয়ের বয়স ৬৫ ধরলে) আগের কাহিনী এটি। সেই যুগে আমার তো মনে হয় ৯০% শতাংশ মেয়ের ১১/১২ বছর বয়সেই বিয়ে হয়ে যেত।
অবশ্য আমি নিজে বাল্যবিয়ের পক্ষপাতি নই। কিন্তু সত্য ঘটনা ভিত্তিক এই গল্প লিখতে গিয়ে তো সেই সময়ের বাল্যবিয়ের ঘটনাকে এড়িয়ে যেতে পারি না।
আপনাকে ধন্যবাদ গোধূলী রঙ। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

মাসুম এইচ বিল্লাহ বলেছেন: গল্পটা পড়তে পড়তে নিজেকে মজিবর মজিবর মনে হচ্ছিল । আহা কি কঠিন অনুভূতি মাইরি ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। হাসালেন ভাই। যাক, গল্পটি আপনার হৃদয় স্পর্শ করেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার গল্পের মজাটাই এখানে। খুব সুন্দর করে গল্প বলার ঢঙে একটা দারুন গল্প ফেঁদে ফেলেছেন।

এমন মজার মজার গল্প উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ হেনা ভাই।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মৃদুল শ্রাবন। গল্প ভালো লাগায় শ্রম সার্থক মনে করছি।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: লায়েক না হলে স্বামীর বাড়ি যেতে নেই।’ ‘লায়েক হলে কী হয়?’

আফসোস! উত্তর টা জানলাম না!
সত্য নির্ভর গল্পটা অসাধারণ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। উত্তরটা সবাই জানে। তাই আমার নানা ভাই আর বলেননি।
অনেক ধন্যবাদ ভাই মিজানুর রহমান মিরান। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: যার নানা বউ চোর, সে না জানি কতো কিছু চুরি করে =p~

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সে পরের বউ চুরি করে। হে হে হে।

১৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা চিরকালের। ধন্যবাদ কামাল ভাই।

১৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: আহা, কত কস্ট!!! আর এখন ফোন কইরা বলে, আসো বাসায় কেউ নাই। ছেলে কইলো, আসতেছি জান। ব্যাস হয়ে গেলো। দশ মাইল হাটার ঝক্কিও নাই আর দেড় বছর অপেক্ষার ব্যাপারও নাই :P

আমার নানীর কাছেও কিছু শুনেছি, কোনোদিন হয়তো লিখবো-আমার অগাবগা ভাষায়। অনেক ভালো লাগল। শুভ কামনা।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন তাসলিমা আক্তার।

আর এখন ফোন কইরা বলে, আসো বাসায় কেউ নাই। ছেলে কইলো, আসতেছি জান। ব্যাস হয়ে গেলো। দশ মাইল হাটার ঝক্কিও নাই আর দেড় বছর অপেক্ষার ব্যাপারও নাই

ফলে ভালোবাসার গভীরতাও এক হাঁটু জলের মতো। বসন্ত গিয়ে গ্রীষ্ম এলেই এই জল শুকিয়ে যায়। হাঃ হাঃ হাঃ।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:

আগেরদিনের আবেগ। খাঁটি। ভেজালহীন।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চেষ্টা করি এই নির্ভেজাল আবেগ ও ভালোবাসার কথা বলতে।
ধন্যবাদ দিশেহারা রাজপুত্র। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//‘তুমি কী সত্যি সত্যিই মরে গিয়েছিলে নানাভাই?’ (সব ছোট ভাইটা)।// এইটাই গল্পের পরধার প্রশ্ন!

আরেকটা প্রশ্ন ছিল //লায়েক হলে কী হয়// :)



আবার পড়লাম।

এখন গ্রামের বাড়িতে গেলে মাথা আউলাইয়া যায়...

মনে হয় //গ্রামের খোলামেলা পরিবেশ, গাছের টাটকা মাছ, পুকুরের তাজা ফল, বাড়ির মুরগি দোয়ানো দুধের সর, আহা! // /:)

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। //গ্রামের খোলামেলা পরিবেশ, গাছের টাটকা মাছ, পুকুরের তাজা ফল, বাড়ির মুরগি দোয়ানো দুধের সর, আহা! //

গ্রামে কী আজকাল এইসব পাওয়া যাচ্ছে? তাহলে তো বাংলাদেশের গ্রামগুলো অনেক উন্নত হয়েছে!

আবার পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মইনুল ভাই। ভালো থাকুন। গাছের টাটকা মাছ, পুকুরের তাজা ফল আর মুরগীর দুধ খেতে থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: হা হা হা ! আপনার ছোট ভাইটার কাণ্ড দেখে খুব মজাই পেয়েছি। কিছুক্ষণ একা একাই হাসলাম !

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ফেরদৌস প্রামানিক।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৯

জাহিদ হাসান মিঠু বলেছেন: অসাধারন হয়েছে।
আপনাকে এবং আপনার নানা ভাইকে অনেক ধন্যবাদ।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই জাহিদ হাসান।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর একটি গল্প । অনেক ভালো লাগলো বউ চুরির গল্প । আগের দিনের মানুষের ভালোবাসার গল্প শুনতে আমার বেশ লাগে । গল্পটি প্রিয়তে রেখে দিলাম ।

অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য ।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ গুলশান কিবরীয়া। আশা করি, আমার আগের ও পরের লেখাগুলিও পড়বেন।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেক দিন পর একটা সুন্দর গল্প পড়লাম।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ এক নিরুদ্দেশ পথিক।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪১

মানসী বলেছেন: আমাদের ছোটোখাটো এই জীবনের ছোটো ছোটো এই স্মৃতিগুলোই আমরা কেবল সঙ্গে নিয়ে যাব, আর কিছু নয়।

খুব ভালো লেগেছে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের ছোটোখাটো এই জীবনের ছোটো ছোটো এই স্মৃতিগুলোই আমরা কেবল সঙ্গে নিয়ে যাব, আর কিছু নয়


একদম ঠিক। ধন্যবাদ মানসী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: গল্প পড়ে হেসেই যাচ্ছি।

আহারে কার কাছে কি বলব, আমিও বিয়ের পর সোয়ামিরে চিনতে পারি নাই।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খাইছে আমারে। আমার নানাভাইয়ের ঘটনা তো কম বেশি একশো বছর আগের। কিন্তু এ যুগের বিয়েতেও বর চেনার সমস্যা? লিখে ফেলুন না ঘটনাটা আমাদের জন্যে। অবশ্য যদি সমস্যা না থাকে।

ধন্যবাদ ফেরদৌসা। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৩০

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: ভেজালহীন আবেগ!! খুব ভালো লেগেছে আপনার নানা ভাইয়ের বউ চুরির গল্প। আপনার গল্প বলার ধরনটাও সুন্দর। মনে হচ্ছিল আমিও আপনাদের সাথে বসে আপনার নানা ভাইয়ের গল্প শুনছি ।

না পড়লে দারুণ কিছু মিস করতাম। :)

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভেজালহীন আবেগ!! খুব ভালো লেগেছে আপনার নানা ভাইয়ের বউ চুরির গল্প। আপনার গল্প বলার ধরনটাও সুন্দর। মনে হচ্ছিল আমিও আপনাদের সাথে বসে আপনার নানা ভাইয়ের গল্প শুনছি ।


ধন্যবাদ অন্তঃপুরবাসিনী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩

সুমন কর বলেছেন: পড়ে মজা পেলাম।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



বাইল্য বিবাহ দেখা যায়। :D

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কাণ্ডারি অথর্ব।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা...... আপনার গল্প মানে আলাদা কিছু ...........+++++++++++

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী। গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: আপনার গল্পগুলোতে বার বার নিজের শৈশবকে ফিরে ফিরে পাই! অসাধারণ!

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাইফুল্লাহ শামীম।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: নির্মল আনন্দের অসাধারন গল্প।তখনকার মানুষের মাঝে কত সারল্যতা,আর এখনকার মানুষ সহজ না হয়ে কঠিন হতে ভালোবাসে

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তখনকার মানুষের মাঝে কত সারল্যতা,আর এখনকার মানুষ সহজ না হয়ে কঠিন হতে ভালোবাসে


গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবন। ধন্যবাদ ভাই রুদ্র জাহেদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১২

জেন রসি বলেছেন: আপনার গল্পে একটা সহজ সরল এবং সাবলীল ছন্দ আছে। পড়ে আরাম পাওয়া যায়। যেমন নানার মুখে বউ চুরির কাহিনী খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।

++

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ জেন রসি। গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৭

শেয়াল বলেছেন: আগের সিস্টেমটা আবার চালু করা উচিত। দশ বছর বয়সে বিয়ে দিয়ে ১৮ বছরে ঘরে আনা হবে। আর ছেলের বয়স ১৫ থেকে ২৩ হলেই ঘরে আনা হবে বউ। তাহলে ইভটিজিংটা অনেক কমে যাবে।
আর ওদের দেখা সাক্ষাতের ব্যবস্থা থাকবে বছরে দুই একবার। তাহলেই হলো। :) :)

এরকম হলেই ভাল হয় আসলে। তাদের বোঝাপড়াটাও ভাল হবে এতে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। এই সিস্টেম চালু হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবু আপনি বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় মন্দ প্রস্তাব দেননি। কী আর হতো? ভালোই হতো।
ধন্যবাদ শেয়াল। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

বিঃ দ্রঃ আপনার এই নিক কী বদলানো যায় না?

৩১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৪৮

দিয়া আলম বলেছেন: ভাইয়া তুমি অনেক মজার গল্প লিখেছো। হাসতে হাসতে শেষ হিহীহিহিহিহিহিহ। এক আপু তোমার ব্লগের লিনক দিলো দেখে এমন সুন্দর লেখা পড়তে পেরেছি,

অনেক অনেক ভালো থেকো ভাইয়া

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ দিয়া আলম।
তুমিও ভালো থেকো বোন। শুভকামনা রইল।

৩২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
শুভ সকাল

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুভ সকাল কামাল ভাই। সকাল সকাল এমন চা পেলে মনটা ভালো হয়ে যায়। কোটি কোটি ডলার রিজার্ভ থেকে চুরি হয়ে গেল। মনটা ভালো ছিল না। আপনি ভালো করে দিলেন। ধন্যবাদ।

৩৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি ভাগ্যবান যে ঐ রিজার্ভে আমার কোন ট্যাকা ছিলো না

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমারও তো ছিল না ভাই। কিন্তু দেশের তো ছিল। আমার কাছে আমার এই দেশ, এই জন্মভূমি সবার আগে।

৩৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এক নিশ্বাসে পুরোটা পড়ে গেলাম। চমৎকার +++

বউ চোর নানার গল্প পড়ে, নাতির গল্প জানতে মন চাইছে :P

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। নাতির গল্প জানতে হলে ২০১১ সালে প্রকাশিত নাতির আত্মজৈবনিক উপন্যাস 'স্বপ্ন বাসর' পড়তে হবে।

গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ বো মা ব চা। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নাতি আরো এক কাঠি সরেন (বোকা মানুষ) হাসান ভাই :-B

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হে হে হে। =p~

৩৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




চমৎকার ঢংয়ে বলে গেলেন । খুব ভালো লাগলো ।
বউ চুরির পর্বটা পড়ে ( মেয়েটি খাবার নিয়ে পিছু ডাকছে.... ) বারবার মনে হলো --- এরই নাম প্রেম ।
একসময় এরকমটাই ছিলো । আজকাল কি থেকে যে কি হয়ে গেলো.........!

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, আজকাল প্রেম ভালোবাসার নতুন সংজ্ঞা তৈরি হয়েছে, যা শুধু ইন্দ্রিয় কেন্দ্রিক। এটা আসলে কোন প্রেমই নয়। দৈহিক সম্পর্ক প্রেমের অপরিহার্য অংশ। তবে সেটাই সব নয়। প্রেমে ভালোবাসা ও পবিত্রতা না থাকলে সেই প্রেম হয় ঠুনকো কাঁচের মতো। তরুণ তরুণীদের এটা অনুধাবন করা উচিৎ।

গল্প ভালো লাগায় আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

জুন বলেছেন: গল্পটি দারুন উপভোগ করলাম হেনা ভাই। নানাভাইকে স্যালুট।
+

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ জুন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
দারুণ গল্প :)

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার। নিয়মিত আমার লেখা পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এত সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন যে সত্যি মনটাই ভাল হয়ে গেল -- গল্পটাতে শুধুই সুন্দর ছড়িয়ে আছে -- মন দিয়ে পড়লাম - তারপরও বার বার পড়তেই ইচ্ছে করে

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে রাখুন। অবসর সময়ে পড়বেন।
ধন্যবাদ বোন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

শায়মা বলেছেন: বউ চুরির গল্প পড়ে অনেক হাসলাম ভাইয়া।


এবার ভাবীচুরির গল্পটা শুনতে চাই। :P

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। দেখা যাক, ভাবী চুরি করা যায় কী না।
ধন্যবাদ শায়মা। শুভেচ্ছা রইল।

৪১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৩

প্রামানিক বলেছেন: হা হা হা গল্পটা কি নানার না নাতির এটাই তো বুঝতে পারছি না। তবে মজাই মজা - --

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটা নানার। ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। শুভেচ্ছা রইল।

৪২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪০

আরাফআহনাফ বলেছেন: গল্প পড়ার পর মন্তব্য পড়তে পড়তে ভাবছিলাম নানারটা তো জানলাম, নাতির বউ চুরির গল্পের ব্যপারে জানতে চাইবো - শায়মা কথাটা তুলেই ফেললেন।

আমার পর্যবেক্ষণ:
আমাদের ভাবীরে যেদিন আনলেন ঐদিনই নাতি আপনি, নানার মত কর্ম সারাইয়া ফেলছেন!
ঐদিন আপনি না আনলে তো ভাবী এতোদিনে অন্যের বউ হয়ে থাকতো - নাকি?

সো, "হাউ মেনি কেটস হ্যাভ ইয়ু কিলড ইন ইয়োর ব্রাইডাল চেম্বার" গল্পটা হয়ে যাক এইবার।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। রসালো মন্তব্য। আই হ্যাভ কিলড নট এ সিঙ্গেল নাম্বার অফ ক্যাট ইন মাই ব্রাইডাল চেম্বার।

ধন্যবাদ আরাফআহনাফ। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

রাজু বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা গল্প... ভালো লাগলো খুওব...!!!

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজু। আমার আগের ও পরের লেখাগুলিও পড়ার আমন্ত্রন রইল।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

মুক্তি ইফতেখার বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মুক্তি ইফতেখার।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৪৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: হা.. হা... দারুণ লাগল বউ চুরির গল্প । :D

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মহা সমন্বয়।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

টরপিড বলেছেন: হা হা, ঘটনা মজার। সাথে আপনার বলার ধরণটাও।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ টরপিড।
আপনিও ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.