নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যরচনাঃ বাবর আলীর ১/১১

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

এবারের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমাদের ওয়ার্ডে আনুমানিক ৫৫/৫৬ বছর বয়সী একজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ছিলেন, যিনি হেরে গিয়ে ডবল হ্যাট্রিক করেছেন। এর আগে পাঁচ বার দাঁড়িয়ে তিনি প্রতিবারই বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন। এর মধ্যে দু’বার ছিল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। সম্ভবতঃ জ্ঞান বুদ্ধি হবার পর থেকেই তিনি স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন। পেশায় তিনি একজন গ্রোসারি শপের মালিক। ধরা যাক, তার নাম বাবর আলী (আসল নাম বলে তাকে আর বেইজ্জত করতে চাচ্ছি না। তিনি জানতে পারলে আমার নিজেরও বেইজ্জত হবার সম্ভাবনা আছে)।

একটা মানুষ এতবার দাঁড়িয়ে একবারও জিততে পারলেন না, এটা আমার কাছে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার বলে মনে হয়নি। টাকা ও পেশীশক্তি থাকলে নির্বাচনে জেতা কোন ব্যাপার না-প্রচলিত এই ধারণা বাবর আলীর ক্ষেত্রে কেন বার বার ব্যর্থ হচ্ছে, জানার খুব কৌতূহল হলো। কারণ এই দুটি বস্তু তার পর্যাপ্ত পরিমানে রয়েছে। ভদ্রলোক যেহেতু আমাদের মহল্লার বাসিন্দা নন, তাই তার সম্পর্কে আমার বেশি কিছু জানা ছিলনা। খোঁজ খবর করতে গিয়ে কিছু চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেল। তথ্য গুলো এরকমঃ

১) ভদ্রলোকের মরহুম পিতা অনেকদিন আগে এই এলাকার একজন জোতদার শ্রেনীর মানুষ ছিলেন। তখন এই এলাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত ছিল না। প্রচুর জমি জমার মালিক হলেও বাবর আলীর পিতা তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনবারই পরাজিত হয়েছেন।

২) পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি বাবর আলীরা তিন ভাই ধুমসে বিক্রি বাট্টা করে জুয়া খেলে আর মদ খেয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন। বাবর আলীর ভাগের জমিগুলো আজ থেকে প্রায় কুড়ি বছর আগে সিটি কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে পড়ায় জমিগুলোর দাম রাতারাতি বেড়ে যায়। ফলে প্রায় শেষ হয়ে আসা দশ বারো বিঘা জমিও এখন কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি।

৩) বাবর আলীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে একেক জন একেক কথা বলে। কেউ বলে ম্যাট্রিক পাশ, কেউ বলে বাংলায় ‘ম্যাট্রিক’ লিখতে বললে তিনি কলম ভেঙ্গে ফেলবেন ইত্যাদি ইত্যাদি। তিনি নিজে কিছু বলেন না। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে তিনি কী লেখেন কেউ জানেনা। তবে ভদ্রলোক কথাবার্তায় খুব চৌকশ। বাট, সো, হোয়াই ইত্যাদি ইংরেজি শব্দ তিনি আকছার ব্যবহার করে থাকেন। এ ছাড়া তার একটি প্রিয় ইংরেজি বাক্য আছে, ড্রিঙ্কস ফেস্টিভ্যাল। সে কথায় পরে আসছি।

৪) “বাবর এ্যান্ড সন্স” (যদিও তার কোন পুত্র নাই, চারটিই কন্যা) নামে তার গ্রোসারি শপটি মুলতঃ আড্ডাখানা। বাবর আলী এই দোকানে বসে যত না ব্যবসা করেন, তার চেয়ে বেশি মহল্লার কিছু সুযোগ সন্ধানী লোকেদের সাথে বসে চা, পান ও সিগারেট সহযোগে আড্ডা দেন। দু’জন কর্মচারী দোকান চালায়। দোকানের পেছনে একটা ঘর আছে। সন্ধ্যের পর সেই ঘরে বসে গভীর রাত পর্যন্ত মদ খাওয়া হয়। বাবর আলীর ভাষায়, ড্রিঙ্কস ফেস্টিভ্যাল।

৫) চার কন্যার তিনটিকে তিনি অনেক টাকা পয়সা খরচ করে বিয়ে দিয়ে ফেলেছেন। শেষ কন্যাটি ক্লাস নাইনে পড়া অবস্থায় এক ট্রাক ড্রাইভারের ছেলে তুফান মিয়ার সাথে পালিয়ে গেছে। তুফান মিয়ার আগের পক্ষের স্ত্রী ও একটি সন্তান আছে। তাদের ফেলে রেখে সে বাবর আলীর মেয়েকে নিয়ে পলাতক। বাবর আলী থানায় জিডি করলেও পুলিশ এখনো তাদের ধরতে পারেনি। তবে তারা তুফান মিয়ার বাবা ট্রাক ড্রাইভার ইরফান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে চালান দিয়ে দিয়েছে।

৬) পঞ্চমবার নির্বাচনে হেরে যাবার পর বাবর আলীর স্ত্রী স্ট্রোক করে মারা যান। ফলে তার স্ত্রীর সংখ্যা তিনটি থেকে কমে দু’টিতে নেমে আসে। এতদিন সেই শূন্যস্থান পূরণের চিন্তা ভাবনা বাবর আলীর ছিল না। তবে এবার নির্বাচনের প্রচারে নেমে বাড়ি বাড়ি ঘুরতে ঘুরতে ওয়ার্ডের প্রত্যন্ত এলাকায় এক ষোড়শী মেয়েকে দেখার পর থেকে তার মন একটু নরম হয়েছে। মেয়েটি গরীব ঘরের হলেও দেখতে সুশ্রী। বিস্তর টাকা পয়সা থাকায় মেয়েটিকে নিজের ঘরে তুলে আনা বাবর আলীর জন্য তেমন কঠিন কাজ নয়। তিনি আপাততঃ সেই চিন্তা ভাবনার মধ্যে আছেন এবং টুকটাক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ইতিমধ্যে বাবর আলীর লোক মেয়েটির বাড়িতে এক টুকরি ফজলী আম দিয়ে এসেছে।

৭) ষষ্ঠবার বাবর আলী হারলেন কেন, তার পোস্ট মর্টেম তিনি নিজেই করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, মীর জাফর আলী খানের বংশের বাতি এখনো জ্বলছে। অর্থাৎ বাবর আলীর লোকেরা বেইমানী করেছে। এর আগেও বার বার লোক বদল করে বেইমানী ঠেকানো যায়নি। বস্তিবাসী ও নিম্নবিত্তদের জন্য বাবর আলী ভোট প্রতি একশো টাকা করে বরাদ্দ করলেও সে টাকা তাদের হাতে পৌঁছায়নি। প্রচারের কাজে নিয়োজিত তার নিজের লোকজনই সেই টাকা মেরে দিয়েছে।

৮) ভোটে হেরে যাবার আর একটা বড় কারণ হলো, ভোটারদের দোয়া না পাওয়া। ওয়ার্ডের যেসব ভোটারকে নগদ টাকা দেওয়া সম্ভব নয়, তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বাবর আলী প্রত্যেকের নম্বরে দু’শো টাকা করে ফ্লেক্সি পাঠিয়েছেন এবং এসএমএস করে দোয়া চেয়েছেন। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল থেকে দেখা গেছে এই কৌশলে দোয়া চেয়ে তেমন লাভ হয়নি। উল্টো রিটার্নিং অফিসারের কাছে জবাবদিহি করতে গিয়ে বাবর আলী পেরেশান।
‘ফ্লেক্সি করে টাকা কে পাঠিয়েছে, আমি কী জানি?’
‘আপনি দোয়া চেয়ে এসএমএস পাঠাননি?’
‘হাঁ, পাঠিয়েছি। তাতে কী হয়েছে? ডিজিটাল বাংলাদেশে আমি ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটারদের কাছে দোয়া চেয়েছি। এতে দোষের কী হলো?’

৯) পরাজয়ের আর একটা কারণ হলো, বাবর আলীর চেহারা। বাংলা ছায়াছবির ভিলেন ডিপজলের চেহারার সাথে তার চেহারার খুব মিল। অনেকটা যমজ ভাইয়ের মতো মনে হয়। চেহারার এই সাদৃশ্য নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে। তিনি যে খারাপ লোক নন, সেটা তার চেহারা দেখে কেউ বিশ্বাস করেনি। বস্তিবাসী ও নিম্নবিত্ত ঘরের বউ বেটিরা বিটিভিতে বাংলা ছায়াছবি দেখে ডিপজলকে খুব ভালোভাবেই চেনে। তারা কেউ বাবর আলীকে ভোট দেয়নি।

১০) বাবর আলী নিজের চেহারা সম্পর্কে সচেতন থাকায় তার পোস্টার ও লিফলেটে নানা এ্যাঙ্গেলের নিরীহ ভঙ্গীর ছবি ছাপিয়ে বিলি করেছেন। ছবিতে তার পরনে সাদা পাঞ্জাবী, চোখে সুরমা ও মাথায় কিস্তি টুপী। কিন্তু এতে তেমন কাজ হয়েছে বলে মনে হয়না।

১১) বাবর আলীর প্রতীক ছিল মোরগ। লোকজন নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি ভোট চাইতে যাওয়ার সময় তার একজন চামচার হাতে সব সময় একটা তাজা মোরগ থাকতো। সে প্রার্থীর গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে মোরগটি ভোটারের সামনে উঁচু করে তুলে ধরতো। সন্ধ্যের পর মোরগটি জবাই করে বাবর আলীর মদের আসরে উৎসর্গ করা হতো। পরদিন সকালে আবার একটি নতুন মোরগ কেনা হতো। নির্বাচনে হেরে যাবার পর এ নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে। বোতলের নাপাক পানির সাথে ভোটের মার্কা জবাই করে খেয়ে ফেলা ঠিক কাজ হয়নি। তা’ না হলে এভাবে কেউ হারে?

একজন বাবর আলীর এই এগারোটি তথ্য জানার পর আমার মনে হয়েছে, নির্বাচনে তার জেতার কোন কারণ ছিল না। আপনাদের কী মনে হয়?
**********************************************************************************************************************
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: হা....হা......হা.........
গিনেস রেকর্ড বুকে তার নাম উঠা সময়ের ব্যপার মাত্র!

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাইফুল্লাহ শামীম।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

বিজন রয় বলেছেন: ব্যতিক্রম রম্য। আপনার লেখা বলেই সম্ভব।
++++

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না, না, ভাই। নিশ্চয় আরও লেখক আছেন, যারা হয়তো আমার চেয়েও ভালো লিখতে পারবেন। আমি অত উচ্চাঙ্গের লেখক নই ভাই। পাঠককে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করি এই মাত্র।
ধন্যবাদ ভাই বিজন রয়। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: আহা! এত কষ্ট করলো বেচারা! জেতার দরকার ছিলো তো!!

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জেতার দরকার ছিল বলছেন? তাহলে বেচারা বাবর আলীর কপালটাই খারাপ। হাঃ হাঃ হাঃ।
ধন্যবাদ ভাই মিজানুর রহমান মিরান। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
আপনি কফি খান, আমি পড়ে এসে পড়বো

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: থ্যাঙ্কু। :(

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: এরকম একটা গল্প আমার জানা আছে। একদা গ্রামের এক লোক মেম্বর প্রার্থী হলেন। যথারীতি ভোট হইল। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হইল। লোকটা মন খারাপ করে বসে আছেন। তাহার নাতি এসে সান্ত্বনা দিতে লাগিল, নানা একবার হেরেছ তো কি হয়েছে! এর পরের বার নিশ্চয় জিতবা। নানা বলিলেন ওরে ভোটে হেরেছি তাতে আমার দুঃখ নেই। আমার দঃখ তোর নানীও আমাকে ভোট দিল না। আমি এক ভোট পেয়েছি রে। :(

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। মন্দ নয়।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: আপনার রম্য দারুণ হয়েছে =p~=p~

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ অন্তঃপুরবাসিনী।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে বাবর আলীর আসনে আপনি দাঁড়াইলে ভালো ফলাফল করতে পারবেন :-B

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কম খারাপ বলেন নাই। তয় প্রতীক কী মোরগই রাখব? =p~

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:২৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মুরগী হলে বেশী ভালো হয়

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্ত্রী লিঙ্গের প্রতি এত আকর্ষণ কেন?

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এটা আকর্ষণ না মধ্যাকর্ষণ =p~

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হে হে হে। ফটু মাস্টার চাপা মাস্টার হইল কবে?

তবে মোরগের চেয়ে মুরগির মাংসের স্বাদ বেশি, এটা ঠিক। দেশী মুরগি হলে তো কথাই নেই।

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আড্ডা শুরু করবো নাকি আশরাফুল ভাই?

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: করতে পারেন।

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: =p~

ট্রাক ড্রাইভার হতে মঞ্চায়।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ট্রাক ড্রাইভার তো তুফান মিয়ার বাপ ইরফান মিয়া। তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে চালান দিয়েছে। আপনি কী তুফান মিয়া হতে চান নাকি ইরফান মিয়া?

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: =p~

ট্রাক ড্রাইভার হতে মঞ্চায়।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঐ।

১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: =p~

ট্রাক ড্রাইভার হতে মঞ্চায়।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঐ।

১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: =p~

ট্রাক ড্রাইভার হতে মঞ্চায়।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঐ।

১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
এত্তোবার মন্তব্য হইলো। /:)

ছোট থাকতে এইম ইন লাইফ ছিল গাড়ি চালাবো। বড় গাড়ি। :)

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এইম ইন লাইফ মন্দ ছিল না। কিন্তু ভাই এইম তো ১% ক্ষেত্রেও সফল হয়না। হাঃ হাঃ হাঃ। এখন আপনি কী করেন?

ধন্যবাদ দিশেহারা রাজপুত্র। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

নীলপরি বলেছেন: দারুন লাগলো।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: পরাজয়ের আর একটা কারণ হলো, বাবর আলীর চেহারা। বাংলা ছায়াছবির ভিলেন ডিপজলের চেহারার সাথে তার চেহারার খুব মিল। অনেকটা যমজ ভাইয়ের মতো মনে হয়। চেহারার এই সাদৃশ্য নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে। তিনি যে খারাপ লোক নন, সেটা তার চেহারা দেখে কেউ বিশ্বাস করেনি। বস্তিবাসী ও নিম্নবিত্ত ঘরের বউ বেটিরা বিটিভিতে বাংলা ছায়াছবি দেখে ডিপজলকে খুব ভালোভাবেই চেনে। তারা কেউ বাবর আলীকে ভোট দেয়নি

চেহারা আল্লাহর দান, তিনি মেহেরবান। ইহাতে তাহার দোষ কোথায়। তবুও বউ বিটিরা তার প্রতি অন্যায় আচরন করেছে। ইহার আশু বিচার প্রয়োজন। হে হে....

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কঠোর বিচার হতে হবে। আমিও একমত। হাঃ হাঃ হাঃ।
ধন্যবাদ বোন তাসলিমা আক্তার। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: এত তদবির করেও বাবুল মিয়া জিততে পারল না।তার একবার হলেও জেতানো উচিত ছিল,কত সন্ত্রাসইতো জয়ী হয়।রম্য খুব ভালো লেগেছে
+

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাবুল মিয়া < বাবর আলী হবে।
ধন্যবাদ ভাই রুদ্র জাহেদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: হাহহা কমেন্টেও বাবর আলীর নামটা হরাইয়া যেতে চায় ;)

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তাহলেই দেখুন বাবর আলীর কপাল কত খারাপ! হাঃ হাঃ হাঃ।
ভুল সবারই হয় ভাই। এটা কোন ব্যাপার নয়। ধন্যবাদ ভাই রুদ্র।

২০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

খোলা মনের কথা বলেছেন: আমি যখন মাধ্যমিকে পড়ি তখন আমাদের অঞ্চলে একজন সতন্ত্রতে একজন নির্বচন করেন তার ফলাফল এমনই হয়। টাকা ছড়ায় কিন্তু কোথাও ভোট পাইনি। যদিও এখন তার ছেলে আমাদের এলাকার এমপি। আপনার লেখা পড়ে অনেক দিনের আগের কথা মনে পড়ে গেল। মজাও পাইছি

ভাল থাকবেন হেনা ভাই।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ খোলা মনের কথা।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩৮

সোহানী বলেছেন: বলেন কি!!!!! টাকা আর ট্যাকা থাকলে আমাদের দেশের নির্বাচনে হারে !!!! হুম পরিমান কম হয়েছিল মনে হয়!!!!!!!!!

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কখনো কখনো টাকাও ফেল মারে।
ধন্যবাদ সোহানী। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: দোকানের গোপন ঘরে মদ্যপান না করে এলাকার উঠতি ছেলে-ছোকড়া আর মাতব্বরদের একটি করে বোতল গিফ্ট করলে জেতার একটা চান্স ছিলো।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। মন্দ বলেননি।

ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:০৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা , বেশ ভালো রম্য হয়েছে। তবে কি, চারিদিকে আজ বাবর আলীদেরই জয়জয়কার। ইহা আবার বিশাল ট্রাজেডিও বটে। শুভেচ্ছা রইল।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ শান্তির দেবদূত। আপনি ঠিকই বলেছেন। চারদিকে বাবর আলীদেরই জয় জয়কার। তবে এদের মধ্যেও কিছু হতভাগা আছে, যদিও তারা সংখ্যায় খুব কম। বাবর আলী তাদেরই একজন।
আপনাকে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.