নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ উচ্ছিষ্ট জীবন

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৩

বাবার চেহারাটা মনে পড়ে না ফাতেমার। তিন বছর আগে এক হরতালের দিন রিক্সা নিয়ে বেরিয়ে পিকেটারদের হামলায় আহত হয়ে মারা যায় ওর বাবা। আট বছরের শিশু ফাতেমার চোখে সেই তিন বছর আগে দেখা বাবার মুখটা এখন অনেকটাই ঝাপসা। ওর শুধু মনে আছে বাবার পরনের সবুজ কালো রঙয়ের চেক লুঙ্গিটার কথা। বস্তির কেউ অমন লুঙ্গি পরে ঘরের সামনে দিয়ে হেঁটে গেলে ফাতেমার এক ফোঁটা হৃৎপিণ্ড ধক্ করে ওঠে। সে ছুটে গিয়ে ঘরের চাটাই দেওয়া বেড়ার ফাঁক ফোঁকর দিয়ে দেখার চেষ্টা করে লোকটাকে।

পুরাতন ভাঙ্গা টিনের সাথে পলিথিনের ছাউনি দেওয়া মুরগীর খোপের মতো ছোট্ট একখানা ঘর। এই ঘরে সারাদিন বন্দী হয়ে থাকে ফাতেমা। নড়বড়ে বাঁশের খুঁটির ওপর বাঁশ বিছানো মেঝে। মেঝের কয়েক হাত নিচ দিয়ে কলকলিয়ে বয়ে যাওয়া নোংরা কালো পানি থেকে উঠে আসে কেঁচো আর নানারকম পোকামাকড়। এক সময়ের খাল এখন পুতিগন্ধময় নালা। ফাতেমার সার্বক্ষণিক সঙ্গী কুকুর ছানা ভোলা। সে আছে বলে ফাতেমার রক্ষা। ভোলা থাবা মেরে পোকামাকড় তাড়িয়ে দেয়। মাঝে মধ্যে দু’একটা পোকা তুলে সে মুখে চালান করে। দেখতে পেলে ফাতেমা কষে ধমক দেয়। ভোলা তখন কুঁ কুঁ করে ঘরের এক কোনায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। করুণ চোখে তাকিয়ে থাকে ফাতেমার দিকে। ফাতেমা হাত ইশারা করলে সে আনন্দে ছুটে এসে কোলে চড়ে দুই পা ফাতেমার দুই কাঁধে তুলে দেয়। ফাতেমা ওকে আদর করতে করতে বলে, ‘তর ভুখ লাগছে?’ কুকুর ছানাটা চোখ পিট পিট করে এদিক ওদিক মাথা নাড়ায়। ফাতেমা ওর পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে, ‘এট্টু সবুর কর ভোলা। মায়ে অহনই আইয়া পড়বো।’

মা না এলে তো ফাতেমার নিজেরও খাওয়া নাই। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ঘরের নড়বড়ে দরজায় তালা দিয়ে জয়গুন কাজে চলে যায়। এই বস্তিতে মানুষ নামের কয়েকটা খবিশ আছে। ফাতেমার মতো আট বছরের শিশুকন্যাকে দেখেও তাদের জিব থেকে লালা ঝরে। পালাদার কালুর ব্যাটা বরকত একবার ঘরে ঢুকে ফাতেমার ওপর চড়াও হতে গিয়ে ভোলার কামড় খেয়ে পালিয়েছে। পরে ইনজেকশনের টাকার জন্য কালুর বউয়ের সাথে জয়গুনের ঝগড়ার শেষ নাই।

বেলা বারোটা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ফাতেমাকে না খেয়ে থাকতে হয়। এই সময়টুকু সে ভোলার সঙ্গে খেলা করে কাটিয়ে দেয়। পেটের ভেতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে। তবু নিজের চেয়ে অবলা প্রাণী ভোলার জন্য ওর কষ্ট বেশি। বারোটার পর জয়গুন তার শাড়ির আঁচল দিয়ে ঢেকে এক গামলা খাবার নিয়ে ঘরে ফেরে। বস্তির কল থেকে এক বালতি পানি এনে ঘরের এক কোনায় ফাতেমাকে দাঁড় করিয়ে গোসল করায়। বাঁশের ফাঁক গলে সে পানি নেমে যায় নিচের নালায়। ফাতেমা আবদার করলে মাঝে মাঝে ভোলারও গা ধুয়ে দেওয়া হয়। তারপর জয়গুন গামলা থেকে দু’মুঠো তুলে নিজের মুখে দিয়ে ঢক ঢক করে পানি খেয়ে আবার ঘরে তালা দিয়ে চলে যায়।
বস্তি পার হয়ে চওড়া পাকা রাস্তার ওপাশে সাত তলা ফ্ল্যাট বাড়ির ছয় তলায় পাশাপাশি দুটো ফ্ল্যাটে কাজ করে জয়গুন। স্বামী বেঁচে থাকতে একটা ফ্ল্যাটে কাজ করতো সে। এখন দুটো ফ্ল্যাটে কাজ করেও সে কুলিয়ে উঠতে পারে না। বেতনের টাকা ঘর ভাড়া দিতেই শেষ। গনি মিয়ার গুণ্ডারা ঘর ভাড়া নিতে আসে। তাদের লাল লাল চোখ দেখে ভয় পায় জয়গুন। সারা মাসের ঘাম ঝরানো টাকাগুলো ওদের হাতে তুলে দিতে গিয়ে ওর কলিজা ছিঁড়ে যায়। ভাড়া দিতে দেরি হলে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ শুনতে হয়। ঘর ছেড়ে দেবার হুমকি শুনে জয়গুনের বুক থর থর করে কাঁপে।

টিনের গামলায় পাঁচমিশেলি খাবার। সাদা ভাত, রুটি বা পরোটার আধ খাওয়া টুকরা, ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট হাড় হাড্ডি, শসার ফালি, আধ খাওয়া কেক, মাছের টুকরা, মাংসের ঝোল। কপাল ভালো হলে মাংসবিহীন বিরিয়ানি, এমন কী দু’এক টুকরা মাংসও। আগের রাতের বাসি খাবারের সাথে সকালের নাস্তার মিশেল। ফাতেমা মাংসের হাড্ডিগুলো ভোলাকে দিয়ে দেয়। ভোলা আনন্দে লেজ নাড়তে নাড়তে তীক্ষ্ণ দাঁত দিয়ে হাড্ডিগুলো কামড়া কামড়ি করে। ফাতেমা রুটি বা পরোটার এক টুকরা নিজের মুখে দিয়ে আর এক টুকরা ভোলার মুখে দেয়। কেকটাও ভোলার সাথে ভাগাভাগি করে খায়। ভোলা মাঝে মাঝে অধৈর্য হয়ে গামলায় থাবা মারে। শসার টুকরা ছিটকে পড়ে যায়। ফাতেমা চোখ পাকিয়ে ধমক দিলে ভোলা কুঁ কুঁ আওয়াজ করে সরে যায়। দরজার কাছে গিয়ে সে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ফাতেমা হাসিমুখে হাত ইশারা করে ডাক দিলে দুলতে দুলতে ছুটে এসে খাবারের চারপাশে লেজ নাড়িয়ে ঘুরতে থাকে। ফাতেমা ওকে কোলে তুলে নিয়ে ঝোল দিয়ে ভাত মাখিয়ে একমুঠো নিজে খায়, আর এক মুঠো ওর মুখে তুলে দেয়। মাঝে মাঝে আদব কায়দা ভুলে গিয়ে ভোলা গামলায় মুখ দিয়ে বসে। তখন আবার ফাতেমার ধমক খেয়ে সে কোল থেকে নেমে যায়।

ভোলাকে ছাড়া খেতে পারে না ফাতেমা। গামলা থেকে ঝোল মাখানো ভাত তুলে মেঝের ওপর ছড়িয়ে রেখে সে ডাক দেয় ভোলাকে, ‘অই বেয়াদব, খাড়ায়া আছস ক্যান? জলদি আইয়া খাইয়া ল।’ ফাতেমা মাছের কাঁটা বেছে খানিকটা ভাতের সাথে নিজে খায়, খানিকটা ভেঙ্গে ছড়িয়ে দেয় ভোলার ভাতের ওপর। ভোলা কিন্তু তখন বেশ খায়। চেটে পুটে সবটুকু খেয়ে সে ফাতেমার কাঁধে দুই পা তুলে জিব বের করে হ্যা হ্যা করে। ওর জিব থেকে লালা ঝরে ফাতেমার ফ্রক ভিজে যায়। ফাতেমা বলে, ‘বুঝছি, তর ঝাল লাগছে।’
ভোলার পানি খাওয়ার জন্য একটা ফাটা প্লাস্টিকের বাটি আছে। ওতে পানি ঢেলে দিলে সে মাথা নামিয়ে চুক চুক শব্দ করে পানি খায়। পাশে বসে ভোলার পানি খাওয়া দেখে মজা পায় ফাতেমা। নিজের হাত মুখ ধুয়ে নিয়ে ভোলার এঁঠো মুখ যত্ন করে ধুয়ে দেয় সে। ছেঁড়া ফ্রকে হাত মুছে সে ভোলাকে কোলে তুলে নেয়। আগে ভোলাকে সাথে নিয়ে বস্তির মধ্যে খেলতে যেত ফাতেমা। কিন্ত বস্তির বদমাশ ছেলেমেয়েদের অত্যাচারে সেখানে বেশিক্ষণ খেলা হতো না। ওরা ভোলাকে খুব উত্যক্ত করে। ভোলাও ঘন ঘন তাড়া করে ওদের। তারপর এক সময় ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসে ফাতেমার কাছে। এখন ঘরের দরজায় তালা দেওয়া থাকে বলে বাইরে খেলতে যাওয়া হয় না। ঘরের মধ্যে কিছুক্ষণ খেলা করে ঘুম পায় ফাতেমার। পাটাতন ভাঙ্গা তিন পায়া চৌকির এলোমেলো বিছানার ওপর ভোলাকে কোলে নিয়ে সে শুয়ে পড়ে। ভোলাকে রাক্ষস খোক্ষসের গল্প শোনাতে শোনাতে এক সময় সে গভীর ঘুমে তলিয়ে যায়। ঘুমন্ত ফাতেমাকে ছেড়ে কোথাও যায় না ভোলা। সে তার কোলের কাছে কাত হয়ে নিশ্চুপ শুয়ে থাকে। ফাতেমা যতক্ষণ ঘুমায়, ততক্ষণ সে ওভাবেই পড়ে থাকে। মাঝে মাঝে নিচের নালা থেকে উঠে আসা পোকামাকড় গুলোকে তাড়ানোর জন্য চৌকি থেকে নেমে যায়। তারপর আবার চৌকিতে উঠে ফাতেমার কোলের কাছে এসে ঘাপটি মেরে পড়ে থাকে।

সন্ধ্যের পর থেকে বস্তিতে ফেরার জন্য অস্থির হয়ে ওঠে জয়গুন। অতটুকু ছোট মেয়েটা তার সারাদিন একা থাকে ঘরে। জয়গুনের চোখে মুখে সব সময় উৎকণ্ঠার ছাপ। আগে দু’একদিন ফাতেমাকে সাথে করে ফ্ল্যাটে নিয়ে এসেছিল সে। পিছে পিছে ভোলাও চলে আসে। ফ্ল্যাটের কেউ পছন্দ করে না এসব। সবাই বিরক্ত হয়। বেশি বিরক্ত হলে তারা জয়গুনকে কাজে জবাব দিয়ে দিতে পারে। তাই নাড়ি ছেঁড়া বুকের ধনটাকে বস্তিতে ফেলে এসে কাজ করতে হয় তাকে। কিন্তু তার মন পড়ে থাকে বস্তিতে। দু’হাতে ঝড়ের মতো কাজ করেও দুটো বাসার কাজ শেষ হতে চায় না। বড়লোকের বাসায় কাজের শেষ নাই।
ছয় তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে জয়গুন মাঝে মাঝে তাকিয়ে থাকে রাস্তার ওপাশে বড় বড় ভবনগুলোর দিকে। আগে এই ভবনগুলোর একটাও ছিল না। তখন বস্তিটা দেখা যেত। এক দেড় বছরের মধ্যে জাদুমন্ত্রবলে উঁচু উঁচু ভবনগুলো গজিয়ে গেল আর আড়াল করে ফেললো বস্তিটাকে।

এখন রাত আটটা বাজে। জয়গুনের ছটফটানি বেড়ে যায়। তার হাতে এখনো অনেক কাজ। সিরামিকের বাসন কোসন সিঙ্কের ওপর রেখে ডিশ ক্লিনার দিয়ে ঘষামাজা করতে গিয়ে বেখেয়ালে একটা বোল নিচে পড়ে ঝন ঝন শব্দ করে ভেঙ্গে যায়।
‘কী ভাংলে, ফাতেমার মা?’ বোলের ভাঙ্গা টুকরা গুলো কিচেনের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে গৃহকর্ত্রী রেগে আগুন, ‘এত তাড়াহুড়ো করো কেন বল তো? ধীরে সুস্থে কাজ করতে পারো না?’
গৃহকর্তা সন্ধ্যের পর থেকে ঘরে বসে মদ খান। তার জন্য ফ্রিজ থেকে বরফ, ঠাণ্ডা পানি, আঙ্গুর, রেস্টুরেন্ট থেকে আনা বার-বি-কিউ চিকেন ইত্যাদি ট্রেতে করে সাজিয়ে ঘরে দিয়ে আসতে হয় জয়গুনকে। আজ তিনি সেগুলো সময় মতো পাননি বলে চেঁচামেচি করছেন। জয়গুন কোনটা ছেড়ে কোনটা করে!

ভোলা আজ সন্ধ্যের পর থেকে খুব অস্থির। সে বার বার ফাতেমার ফ্রকের নিচে কামড়ে ধরে তাকে দরজার কাছে টেনে নিয়ে যেতে চায়। সে এমন করছে কেন বুঝতে পারে না ফাতেমা। ঘরের বাইরে লোকজনের ছোটাছুটি আর হৈ চৈ এর শব্দ। মনে হয় বস্তিতে ঝগড়া লেগেছে। ছোটখাটো ব্যাপারে ঝগড়া ফ্যাসাদ আর মারামারি এই বস্তির নিত্য দিনের ঘটনা। প্রথম প্রথম আতংকিত হলেও এখন এসবে অভ্যস্ত হয়ে গেছে ফাতেমা। সে কুপী বাতির আলোয় একটা ছেঁড়া বইয়ের পাতা খুলে ছবি দেখতে থাকে। কিন্তু ভোলা নাছোড়বান্দা। সে লাফ দিয়ে চৌকিতে উঠে কুঁ কুঁ আওয়াজ করতে করতে ফাতেমার ফ্রক কামড়ে ধরে। ওর ছটফটানি দেখে বকা দেয় ফাতেমা, ‘অই ভোলা, কী হইছে তর? অমন করস ক্যান?’

সাইরেনের আওয়াজ শুনতে পায় জয়গুন। একটানা ‘ওঁয়াও’ ‘ওঁয়াও’ আওয়াজে বুকের ভেতর কেমন যেন করে। এই শহরে দমকল ও পুলিশের গাড়ির সাইরেন খুবই পরিচিত শব্দ। তবু জয়গুনের তা’ ভালো লাগে না। সাহেবের বড় মেয়ে পূর্ব দিকের বারান্দায় বসে কানে হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনছিল। তার ডাক শুনে বারান্দায় আসে জয়গুন।
‘তোমাদের বস্তিতে বোধহয় আগুন লেগেছে, ফাতেমার মা।’
‘এ্যাঁ!’ চমকে ওঠে জয়গুন, ‘কী কন, আফা?’
সাহেবের মেয়ে কান থেকে হেড ফোন না খুলে হাত ইশারায় পূর্ব দিকে ইঙ্গিত করে আবার গানের সাথে সাথে পা ঠুকতে থাকে। জয়গুন ভীত সন্ত্রস্থ চোখে তাকিয়ে দেখে, উঁচু উঁচু ভবনগুলোর পূর্ব দিকের আকাশ লাল। রাতের অন্ধকার চিরে আগুনের লেলিহান শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠে যাচ্ছে আকাশের দিকে। সাইরেনের বিকট শব্দে চারদিক প্রকম্পিত করে একটার পর একটা দমকলের গাড়ি ঢুকে পড়ছে রাস্তার ওপাশে গলির ভেতর। গলি মুখ ছাড়িয়ে বড় রাস্তার ওপর অসংখ্য নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধের গগন বিদারী আহাজারি। আতংকে বুক ফাটা আর্তনাদ করে ওঠে জয়গুন, ‘আল্লারে! মোর ফাতেমা একা রইছে..........।’ দিক বিদিক জ্ঞানশূন্য জয়গুন লিফটের অপেক্ষা না করে উন্মাদের মতো মাতম করতে করতে সিঁড়ি ভেঙ্গে নিচে নেমে যায়।

সারা বস্তিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ঘরের চার দেয়ালে চাটাইয়ের বেড়া ও বাঁশের খুঁটি পোড়ার পট পট আওয়াজ। মাথার ওপর চালা থেকে পলিথিন গলে গলে পড়ছে। উদ্বাহু আগুন চার দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে ফাতেমাকে। কাঁদতে কাঁদতে ঘরের এক দিক থেকে আরেক দিকে ছোটাছুটি করছে সে। উন্মত্ত আগুনের নির্মম গ্রাসে ছোট হয়ে আসছে তার পৃথিবী।
জ্বলন্ত বাঁশের মেঝে থেকে একটা বাঁশ খুলে নালায় পড়ে গেছে। সেই ফাঁকে পা আটকে যাওয়ায় উঠতে পারছে না ফাতেমা। সর্বগ্রাসী আগুন মেঝের নিচে থেকেও পুড়িয়ে দিচ্ছে ওকে। যন্ত্রণায় চিৎকার করে কাঁদছে সে। ফাতেমার জ্বলন্ত ফ্রক কামড়ে ধরে ওপর দিকে টেনে আনার চেষ্টা করছে ভোলা। এক সময় দু’জনের শরীরেই দাউ দাউ করে ধরে যায় আগুন। অবোধ কুকুর ছানাটা তবুও অসহায় মানব শিশুর অগ্নিদগ্ধ কাপড়টা কামড়ে ধরে থাকে। ছটফট করতে করতে এক সময় স্তব্ধ হয়ে যায় দুটো নিস্পাপ দেহ। হিংস্র আগুন তবুও ছাড়ে না ওদের। পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া দেহ দুটো পোড়া বাঁশের সাথে সাথে পড়ে যায় নর্দমায়।


জয়গুন পাগলী চাবি খুঁজে বেড়ায়। দুষ্ট ছেলেমেয়েরা ঢিল ছোঁড়ে তাকে। সমস্বরে বলে, ‘জয়গুন, তোর চাবি নাই।’ জয়গুনের জটা চুলের ভেতর থুকথুকে উকুন। সে মাথা চুলকাতে চুলকাতে বিড় বিড় করে নিজের সাথে নিজেই কথা বলে। অসংলগ্ন কথাবার্তা। ‘কান্দিস না। তগো লাইগা রান্না করছি।’
‘কী করছস, পাগলী?’
‘ঘরে তালা দিয়া রাখছি।’
‘পাগলী কী কয়?’
জয়গুন পাগলীর পা ফুলে ঢোল হয়ে গেছে। কাপড় চোপড় বেসামাল। সে পা টেনে টেনে হাঁটে আর বিড় বিড় করে বলে, ‘মোর চাবি কই?’
‘জয়গুন, তোর চাবি নাই!’ এক ঝাঁক নুড়ি পাথর ছুটে আসে ওর দিকে।
*********************************************************************************************************************
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

নকীব কম্পিউটার বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নকীব কম্পিউটার।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: অসম্ভব রকম ভালো বর্ননায় লিখেছেন। হৃদয়ের একেবারে গহীনে নাড়া দিয়ে গেলো। যে মরে গেলো সেত বেঁচেই গেলো। যে বেঁচে থাকলো তার আসলে কিছুই রইলনা। জয়গুনের কস্টটার মনে হচ্ছে নিজের। আহারে......

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন তাসলিমা আক্তার।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জয়গুন, ফাতেমা অার ভোলার জন্য সত্যিই খুব কষ্ট লাগলো । এ নিছক গল্প নয়; যেন বাস্তব কোন ঘটনাই তুলে ধরেছেন হয়তো । অহরহই এমন ঘটনা ঘটছে এদেশে ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, এটা তো বাস্তব জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। ধন্যবাদ ভাই রূপক বিধৌত সাধু।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

অমনিট্রিক্স বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন ভাই।বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। প্লাচ...

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ অমনিট্রিক্স।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

আমি এ আর বলছি বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আমি এ আর বলছি।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

আমি এ আর বলছি বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সম্ভবত দু'বার মন্তব্য।

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ফাতেমা আর ভোলার ভালবাসা পশু ও মানুষের চিরন্তন ভালবাসার কথাই বলে। দুজনের শেষ পরিণতি কষ্ট দিল খুব।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মানুষ অকৃতজ্ঞ হয়, কিন্তু পশুরা তা' হয় না।
ধন্যবাদ অলওয়েজ ড্রিম। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: মানুষ বলে গরীব হয়ে জন্মানো অভিশাপ,
আমি বলি গরীব হয়ে জন্মানো পাপ!
খুব বড় পাপ...........

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মানুষের দারিদ্র্য তার সবচেয়ে বড় শত্রু।
ধন্যবাদ ভাই সাইফুল্লাহ শামীম। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

মুসাফির নামা বলেছেন: কষ্টের চমৎকার গাথুনি গেথেছেন।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মুসাফির নামা।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২২

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ফাতেমা দের অবস্থা এর চেয়েও করুন। দেশে যে হারে খালি জায়গায় উচু ভবন উঠছে তাতে ফাতেমারা আরও সংকুচিত হচ্ছে। ঢাকায় মানুষ বাড়ার সাথেই আবার কেন জানি পশুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই কোন ফাতেমাই সুরক্ষিত হয় বাইরে, শুধু ফাতেমা কেন ফাতেমার মা নিজেই এখন সুরক্ষিত নয়। কারণ কিছু পশু থাকে যারা রাতের আধারে পাগলের ময়লা শরীরে নিজের জিহ্বা বা দাঁত কোনটা বসাতেই দ্বিধা করে না। অথচ এরাই দিনে কি না করে, কতো ভালো মানুষ!

যাই হোক হেনা সাহেব আপনি এতোদিন কই ছিলেন? মাঝে মিস করেছি আপনাকে

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আব্দুল্যাহ। অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ব্লগে ছিলাম না ভাই।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

ফয়সাল রকি বলেছেন: আহারে.... মনটা খারাপ হয়ে গেলো।



পোষ্টে প্লাস।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, মন খারাপের গল্পই বটে। তবে এটি আমাদের সমাজের বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।
ধন্যবাদ ভাই ফয়সাল রকি। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: খুব টাচি লেখা... +++

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বো মা ব চা।
শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন।

১৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

নেক্সাস বলেছেন: লিখাটা বেশ ভাল হয়েছে

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নেক্সাস।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লেখা। সাত তলার ফ্ল্যাট থেকে বস্তির জীবন নিয়ে লিখতে পারাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। আমার কাছে অবশ্য পুরোটাই ভালো লেগেছে, এমন না। বস্তির জীবনের বর্ণনা বেশ ডিটেইল ছিলো, ভালো লাগছিলো পড়তে। এরপর আগুন, এবং মানসিক ভারসাম্য হারানোটা গতানুগতিক।

শুভেচ্ছা।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

রাজসোহান বলেছেন: চমৎকার গল্প। কষ্টটা ছুঁতে পেরেছি...

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রাজসোহান।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: আমাদের আশেপাশে অনেক পাগলীর জীবনের পটভূমি এমন।

ধন্যবাদ দারুন লেখাটির জন্য।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই তৌফিক মাসুদ।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২

প্রামানিক বলেছেন: হৃদয় বিদারক গল্প। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। তনু হত্যাকাণ্ডের ওপর আপনার লেখা ছড়া পড়তে চাই। এই বিষয়ে লেখার জন্য আপনিই উপযুক্ত লোক।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আমিই মিসির আলী বলেছেন:

শুরু এবং শেষ অনেক ভালো হইছে।
গল্পটা পড়ে কেমন যেন লাগলো!! একটা বাচ্চা মেয়েকে নিরাপদে রাখতে গিয়ে কি মর্মস্পর্শী কান্ডটাইই না ঘটে গেল!! :(

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, এরকম ঘটনাই তো দারিদ্র্যের বাস্তবতা।
আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

বিজন রয় বলেছেন: দারুন।

আপনি আসলেই ভাল গল্পকার।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার প্রশংসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই বিজন রয়।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: হৃদয়বিদারক। মন খারাপের বাস্তব গল্প।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মিজানুর রহমান মিরান।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: বাস্তব গল্প খুব ভাল লেগেছে। বর্ননা ও উপস্থাপনকলা খুবি অসাধারন।


+++

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

বিপরীত বাক বলেছেন: ‘মোর চাবি কই?’
‘জয়গুন, তোর চাবি নাই!’ এক ঝাঁক নুড়ি পাথর ছুটে আসে ওর দিকে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ বিপরীত বাক।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,



জয়গুনদের জীবনের বস্তিঘরের দরজাটা যে তালায় আটকে থাকে তার চাবি জয়গুনদের হাতে থাকেনা কোনওদিন....।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জয়গুনদের জীবনের বস্তিঘরের দরজাটা যে তালায় আটকে থাকে তার চাবি জয়গুনদের হাতে থাকেনা কোনওদিন....।

একদম ঠিক। ভালো মূল্যায়ন করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


আহমেদ জী এস ভাই... আমার কথাটি বলে দিয়েছেন।
হেনা ভাই... আপনার জুড়ি নাই!

চাবি... চাবি.. শেষ বক্তব্যেও চাবিই রেখে দিলেন।
মনে হচ্ছে গল্পের নামও 'জয়গুনের চাবি' হলে কম মানাতো না।


কিছু তরতাজা লেখা দিন মাঝেমাঝে... আমরা মচমচে লেখা কুড়মুড়িয়ে পড়ি ;)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মইনুল ভাই। নতুন লেখা অবশ্যই দেব। আপনাদের আগ্রহই আমার প্রেরনার উৎস। তবে দয়া করে আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন।
মনে হচ্ছে গল্পের নামও 'জয়গুনের চাবি' হলে কম মানাতো না।
ঠিকই বলেছেন। এই নামটাও শিরোনামে দেওয়া যেত। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এত কষ্টের জীবন তাদের। আর বস্তিতে আগুন লাগার ব্যাপারটা যেন চোখে ভাসছে। আমাদের বুয়াদের ও কতবার বস্তি পুড়ে ছায় হয়ে গেছে।

কত মানুষ আগুনে পুড়ে মরে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাস্তব কথা বলেছেন বোন। ওদের জীবন সত্যিই খুব কষ্টের। এই জীবন উচ্ছিষ্ট বস্তুর মতো।

ধন্যবাদ ফেরদৌসা। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: মর্মান্তিক প্লটের লেখা । খুব ভাল লেগেছে ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৪৩

কাজী জুনায়েদ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কাজী জুনায়েদ। আশা করি আমার আগের ও পরের লেখাগুলিও পড়বেন।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

সুমন কর বলেছেন: সাবলীল বর্ণনা আর কাহিনী মিলিয়ে ভালো লেগেছে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপনার জন্য।
আপনার অবিরাম লেখালেখি আমাকে
দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে। চমৎকার
গল্পবলার এক যাদুর কাঠির গর্বিত
মালিক আপনি। এই যাদুর পরশে
আলোকিত হয় আপনার গল্পের
ভূবন। বহুদিন চলতে থাকুক
এই প্রয়াস।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। যাদুর কাঠি আর কোথায় পাবো নুরু ভাই? আমি আপনাদের মতোই অতি সাধারণ একজন মানুষ। টুক টাক লেখালেখি করি এই মাত্র। বরং আপনার কথা ভেবেই তো আমি আশ্চর্য হয়ে যাই। এত শ্রমসাধ্য ও জ্ঞানগর্ভ লেখা ব্লগে আর কাউকে লিখতে দেখিনা। অবিশ্বাস্য!
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১১

সাঈদ এন কে বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে গেল! আসলে আপনার লিখার কোন তুলনা-ই নেই।আমি অনেক দিন ধরে যায় যায় দিন (এখন মৌচাকে ঢিল) এর পাঠক।দু'জন প্রবীন লিখকের লিখা আমি আ-মৃত্যু পড়ে যাব,গেঁথে রাখব অন্তরে আর কম্পিউটারে তো সেভ করা আছেই।একজন আপনি আর একজন এম আছাব আলী। আপনার সু-স্বাস্থ্য ও সু-দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এম আছাব আলী সাহেব অত্যন্ত উচ্চমানের লেখক। আমি নিজেও তাঁর লেখার ভক্ত। মৌচাকে ঢিল পত্রিকায় আমার অনেক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাপ্তাহিক ২০০০, সাপ্তাহিক সাতদিন, দৈনিক কালের কণ্ঠ এবং ত্রৈমাসিক নতুন দিগন্ত (এমিরিটাস প্রফেসর ডঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সম্পাদিত) পত্রিকায় আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। আর স্থানীয় পত্রিকাগুলোর মধ্যে মাসিক উত্তর বার্তা ও দৈনিক দিন প্রতিদিন পত্রিকায় আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
আমাকে যে সম্মান আপনি দিলেন, তার ঋণ অপরিশোধ্য। সারাজীবন ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৭

সাঈদ এন কে বলেছেন: বলতে দ্বিধা নেই, আমি আজ ৫ বছর ধরে সামু সহ অনেক ব্লগের শুধুই পাঠক। ভেবেছিলাম কখনো ব্লগে আইডি খুলবোনা।কিন্তু ঐ যে, আপনার লিখা গুলি পড়ে কোন ধরনের মূল্যায়ন বা মন্তব্য করতে না পেরে মনের গভীরে এক ধরনের অ-স্বস্তি বা অশান্তির দাবানল জ্বলছিল,তাই আইডি খুলেই সর্বপ্রথম আমার অতি প্রিয় লিখক তথা আপনার পোষ্টে মন্তব্য করলাম।আপনার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলার বা যোগাযোগ করার কোন উপায় আছে কি?ফেসবুকের ইনবক্সের মত ব্লগে কোন কিছু আছে কি?ব্লগের সকল বন্ধু,বিশেষ করে আপনার সর্বাত্মক সহযোগীতা কামনা করছি।

২১ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার ফোন নম্বর আপনাকে দিলাম। যোগাযোগ করতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.