নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যরচনাঃ এক্সকিউজ মি!

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২১

ডাক্তার ও পুলিশের মধ্যে কিছু চমকপ্রদ মিল আছে। এই দুই পেশার মানুষ সাধারণতঃ তাদের ক্লায়েন্টের সামনে হাসে না। মুখ গম্ভীর করে রাখে। এরা তাদের ক্লায়েন্টদের সাথে রহস্য করতে ভালোবাসে। যেমন ধরুন, আপনি কোন মামলার আসামী হয়েছেন। পুলিশ আপনাকে গ্রেপ্তার করতে এসেছে। আপনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার ভাই,আপনারা
আমার বাড়িতে কেন?’ পুলিশ মুখ গম্ভীর করে বলবে, ‘থানায় গেলেই জানতে পারবেন।’ বলার সময় পুলিশের চোখে মুখে একটা রহস্য রহস্য ভাব থাকবে, যা দেখে আপনি ভীত বা বিভ্রান্ত হবেন। বাস্তবে আপনি কখনো আসামী না হয়ে থাকলে আমার কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য স্বেচ্ছায় আসামী হয়ে পুলিশকে বাসায় আমন্ত্রন করার দরকার নেই। বাংলাদেশের সিনেমা বা নাটক দেখলেই চলবে।

ঠিক একইভাবে পেশাব, পায়খানা ও রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট ডাক্তারের সামনে হাজির করার পর ডাক্তার সাহেব যখন আপনার প্রেসক্রিপশন লিখছেন তখন আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন যে, ‘আমার কী হয়েছে ডাক্তার সাহেব?’, তাহলে তিনি গম্ভীর মুখে বলবেন, ‘আপনার এত কিছু জানার দরকার নাই। ওষুধ দিলাম, ঠিকমতো খাবেন। ঠিক আছে?’
অবশ্য পুলিশ ও ডাক্তারদের মধ্যে সবাই এমন গম্ভীর ও রহস্যপ্রিয় নন, কিছু ব্যতিক্রম আছে। যেমন, আমার এক আত্মীয় পুলিশ ইন্সপেক্টর তার অধীনস্থ এস,আই ও কনস্টেবলদের প্রায়ই নানারকম ধাঁধা বলে উত্তর জানতে চান এবং তারা উত্তর দিতে না পারলে নিজে উত্তর বলে দিয়ে হা হা করে হেসে লুটোপুটি খান। আবার আমাদের শহরে একজন মেডিসিনের ডাক্তারকে দেখেছি রোগীদেরকে জোক বলতে। জোক শুনে রোগযন্ত্রণায় কাতর রোগীদের মুখে হাসি না ফুটলেও ডাক্তার সাহেব নিজে হো হো করে হেসে সেটা পুষিয়ে দেন। তো এগুলো হলো ব্যতিক্রম।

এই দুই পেশার মানুষের মধ্যে আরও যেসব মিল পাওয়া যায়, সেগুলো এরকমঃ

* পুলিশের হাতের লেখা কোর্টের পেশকার ও উকিল মুহুরী ছাড়া অন্যেরা বুঝতে পারেনা। ডাক্তারের হাতের লেখা ওষুধের দোকানদার ছাড়া কেউ বোঝে না (কিছু ব্যতিক্রম বাদে)।

* এই দুই পেশার লোকের কাছে ফ্রি সার্ভিস বলে কিছু নেই (কিছু ব্যতিক্রম বাদে)।

* এই দুই পেশার লোকেরই বদ্ধমূল ধারণা যে, তাদের সামনে যে লোকটি বসে বা দাঁড়িয়ে আছে তার অবশ্যই কোন না কোন সমস্যা আছে (এ ক্ষেত্রে কোন ব্যতিক্রম নেই)।

* এই দুই পেশার লোকই তাদের ক্লায়েন্টদের সাথে রসিকতা করা পছন্দ করে না (এ ক্ষেত্রেও কোন ব্যতিক্রম নেই)।

কিছুদিন আগে একটা কাজে আমি থানায় গিয়েছিলাম। থানায় ঢোকার মুখে দেখলাম, দু’জন মহিলা পুলিশ সেখানে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করছে। আমাকে দেখেই তারা হাসি থামিয়ে মুখ গম্ভীর করে ফেললো এবং এমনভাবে আমার দিকে তাকালো যেন আমি এইমাত্র স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করতে এসেছি। আমি রিটায়ার করা বুড়ো মানুষ। এই বয়সে পুলিশ দেখলে ভয় ডর বেড়ে যায়। তাই হাসি হাসি মুখ করে বললাম, ‘মায়েরা ভালো আছেন?’
মায়েরা আমার গতিরোধ করে গম্ভীর কণ্ঠে বললো, ‘কে আপনি? এখানে কী চাই?’
আমি থতমত খেয়ে বললাম, ‘কিছু চাই না। ওসি সাহেবের সাথে দেখা করতে এসেছি।’
এক মা ধমক দিয়ে বললো, ‘ওসি সাহেবের কাছে কী দরকার?’
আমি বললাম, ‘উনি আমার স্ত্রীর ভাই। একটু পারিবারিক কথা আছে।’
আর এক মা আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত উকুন বাছার মতো পরখ করে দেখে বললো, ‘পাগল নাকি?’
আলসেমীর কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে দাড়ি গোঁফ না ছাঁটায় আমাকে পাগলের মতো দেখাচ্ছিল কী না কে জানে! চেহারায় হয়তো খানিকটা ওরকম ভাব ছিল। না হলে মহিলা পুলিশের কাছে সুস্থ মানুষকে পাগল মনে হবে কেন?

এ তো গেল পুলিশের কথা। এবার একটু ডাক্তারের কথা শুনুন। চার বছর আগে আমার একটা মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল। তারপর থেকেই শরীরের নাট বল্টুগুলো মাঝে মাঝে ঢিলে হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই আমাকে ডাক্তারের কাছে ছুটতে হয়। কিন্তু বার বার গিয়েও তাদের সাথে আমার সখ্যতা হয় না।
গত কিছুদিন থেকে বাঁ চোখে একটু ঝাপসা দেখছিলাম। চোখ দেখাবো দেখাবো করে একটু দেরিই হয়ে গেল। চোখের ডাক্তার ইয়ং ম্যান। সম্ভবতঃ চল্লিশ পার হননি। চেহারায় রাগী রাগী ভাব। বললেন, ‘কী হয়েছে?’
আমি বললাম, ‘কী জানি, হয়তো ছানি।’ আমার অজান্তেই উত্তরটা সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমার সংলাপের মতো হয়ে গেল। ডাক্তার সাহেব স্থির দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। তারপর গম্ভীর মুখে নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এবং ব্লাড প্রেশার মেপে বললেন, ‘রেটিনোপ্যাথী।’
আমি বললাম, ‘রেটিনোপ্যাথী? আমি তো এ্যালোপ্যাথী হোমিওপ্যাথীর নাম শুনেছি। রেটিনোপ্যাথীর নাম তো কখনো শুনিনি!’
ডাক্তার সাহেব গম্ভীর মুখে বললেন, ‘আপনি কী আমার সাথে রসিকতা করছেন?’
আমি জিবে কামড় দিয়ে বললাম, ‘ছিঃ ছিঃ, রসিকতা করবো কেন?’
‘শুনুন।’ ডাক্তার সাহেব ভয়ানক গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘রেটিনোপ্যাথী কোন চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। এটা আপনার রোগের নাম। হাই ব্লাড প্রেশারের কারণে আপনার বাঁ চোখে রক্তক্ষরণ হয়ে ঝাপসা দেখছেন।’
‘আমার প্রেশার কত?’
‘দুশো কুড়ি বাই একশো। এত হাই প্রেশার নিয়ে রোগীরা সাধারণতঃ রেগে থাকে। আর আপনি আমার সাথে রসিকতা করছেন? আজব লোক তো আপনি!’
আমি মাথা চুলকে বললাম, ‘এক্সকিউজ মি! বুঝতে পারিনি।’
আমার ওপর রাগ করেই কী না কে জানে, ডাক্তার সাহেব কোন চিকিৎসাই দিলেন না। পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলাফল লিখে প্যাডের একটা পাতা ছিঁড়ে তিনি আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তাড়াতাড়ি একজন মেডিসিন বা কার্ডিয়াক ফিজিশিয়ানকে দেখিয়ে আগে ব্লাড প্রেশার কন্ট্রোলে আনুন। তারপর রেটিনোপ্যাথী চিকিৎসার জন্য ঢাকার ফার্মগেটে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে যাবেন। রাজশাহীতে এ রোগের চিকিৎসা নাই।’

দেখুন, কী হ্যাপা হলো! তাই বলছিলাম কী, ভুলেও কখনো পুলিশ ও ডাক্তারের সাথে রসিকতা করবেন না।
*****************************************************************************************************************
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

শুভ্র বিকেল বলেছেন: হ্যা হ্যা। বাস্তব অভিজ্ঞতার লেখাগুলো যেমন রসে ভরা তেমনই অনেক কিছু জানার ক্ষুদা মেটায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ হেনা ভাই।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শুভ্র বিকেল। লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

ডি মুন বলেছেন: হা হা হা

ঠিকই বলেছেন। ডাক্তার আর পুলিশের সাথে রসিকতা করে লাভ নেই। কাতুকুতু দিয়েও ওদের হাসানো সম্ভব না। :)
ইসলামি আই হসপিটালে চোখের উপর একটা কোর্স করার জন্যে আমি ভর্তি হয়েছিলাম ওদের ইনস্টিটিউটে। যদিও ৪ মাস পর সেটা অসম্পূর্ণ রেখেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসি পড়াশোনা করার জন্যে। সে ২০১০ সালের দিকের কথা।

সুস্থ থাকুন প্রিয় ব্লগার।
:)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ইসলামি আই হসপিটালে আমি গিয়েছিলাম। তবে চোখের উল্লেখযোগ্য কোন উন্নতি হয়নি। দৃষ্টিশক্তির অস্বস্তি নিয়েই লেখা পড়া করি। সামনের অক্টোবর নভেম্বরের দিকে চেন্নাইয়ের শঙ্কর নেত্রালয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। দোয়া করবেন।
ধন্যবাদ ভাই ডি মুন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

ডি মুন বলেছেন: তাই !

কিছুদিন আগে আমার এক টিচার গিয়েছিলেন চেন্নাই -এ একটা ছোট অপারেশনের জন্যে।
উনার কাছে শুনলাম, ওখানকার ডাক্তাররা নাকি ভীষণ আন্তরিক। আর পরিবেশ খুব সুন্দর, চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যাধুনিক।

আপনার জন্যে দোয়া রইলো
সুস্থ হয়ে আসুন।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

রোষানল বলেছেন: ধন্যবাদ হেনা ভাই রোষানলে মনটা খুব খারাপ ছিল ।রম্যরচনাটা পড়ে এখন ফুরফূরা লাগছে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই যে একজন ব্লগার বন্ধুকে পেলাম! অন্তত একজনের মন খারাপ ভালো করতে পেরেছি। হাঃ হাঃ হাঃ।
ধন্যবাদ ভাই রোষানল। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

রোষের অনল = রোষানল। নিকটা বদলে দেখুন তো মন ভালো থাকে কী না।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

প্রামানিক বলেছেন: বস্তবতায় দারুণ লেখা। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন।

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

তট রেখা বলেছেন: ভালো লাগলো।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ তট রেখা।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: রম্য রচনা ভাল লেগেছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তাই বলছিলাম কী, ভুলেও কখনো পুলিশ ও ডাক্তারের সাথে রসিকতা করবেন না।" ভালো বলেছেন ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রূপক বিধৌত সাধু।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ডাক্তাররা কিংবা পুলিশরা রসিক হন না সম্ববত তাদের পেশাগত কারণে। ব্যাপারটা আপনি রসযোগে ভালই তুলে আনতে পেরেছেন। ভালই লাগলো আপনার লেখনী। (+)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার কথা যৌক্তিক। ধন্যবাদ ভাই গেম চেঞ্জার।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ।:)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: ভ্রমনের ব্যাপক ধকলের পর আপনার লেখা পড়ে মন জুরিয়ে গেলো। সারাদিনের রোদতাপ মুছে গিয়ে পেলাম অনাবিল আনন্দ।

শুভেচ্ছা রইল।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন তাসলিমা আক্তার।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৬

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: :D

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মিজানুর রহমান মিরান।
উত্তর দিতে বিলম্ব হওয়ায় দুঃখিত।

১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

সাঈদ এন কে বলেছেন: "আর এক মা আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত উকুন বাছার মত পরখ করে দেখে বললো, 'পাগল নাকি'?" ওরে বাবা, আমি হলে তো ভয়ে তাড়াতাড়ি বাসার পথ ধরতাম। যাই হোক, দীর্ঘ প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর নেট পেয়ে সাথে সাথে পড়লাম আর মন্তব্য লিখলাম। আসলে দু'টি ঘটনা-ই আমাদের শিখিয়ে দিল, তেনাদের সাথে রসিকতা করতে নেই। আপনার উপস্থাপনার কোন তুলনা হয় না। রি-পোষ্ট হোক, আমাদের জন্য লিখে যাবেন এই কামনা করি। আপনার দ্রুত সুস্থতার জন্য মহান প্রভুর দরবারে দোয়া করছি।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সাঈদ এন কে। গতকাল সারাদিন আমিও নেট পাইনি। আজ অবশ্য সারাদিন আমি পিসিতে বসিনি। কিন্তু ব্যাপার কী? নেটের কী কোন সমস্যা হয়েছিল?
তোমার দোয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ভালো থেক। শুভকামনা রইল।

১৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০০

তিথীডোর বলেছেন: ধানমন্ডির বাংলাদেশ আই হসপিটালে দেখাতে পারেন..আমার বোন আর ভগ্নিপতি সেখানকার চক্ষু চিকিৎসক। সবার কাছ থেকে তাদের অমায়িক ব্যবহার আর সঠিক সেবার প্রশংসাই শুনেছি--আমি নিজেও আমেরিকা থেকে দেশে গেলে ওনাদের কাছে দেখাই। আমার আ্যসটিগম্যাটিজম উইথ হাই পাওয়ার দুই চোখে..এখনকার ডাক্তাররাও হিমশিম খেয়ে যায় আমার পাওয়ার এ্যডজাস্ট করতে! কিন্তু আমার ভগ্নিপতির প্রেসক্রাইব্ড আইগ্লাসে আল্লাহর রহমে বেশ ভালো দেখতে পারি!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সুপরামর্শের জন্য ধন্যবাদ তিথীডোর। আগামী অক্টোবর নভেম্বরের দিকে ভারতের চেন্নাই যাওয়ার ইচ্ছা আছে। সেখানকার শঙ্কর নেত্রালয় হসপিটাল উপমহাদেশের মধ্যে সেরা বলে শুনেছি। তাই আপাতত আর বাংলাদেশে কোথাও দেখাতে চাচ্ছি না বোন।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০২

তিথীডোর বলেছেন: ধানমন্ডির বাংলাদেশ আই হসপিটালে দেখাতে পারেন..আমার বোন আর ভগ্নিপতি সেখানকার চক্ষু চিকিৎসক। সবার কাছ থেকে তাদের অমায়িক ব্যবহার আর সঠিক সেবার প্রশংসাই শুনেছি--আমি নিজেও আমেরিকা থেকে দেশে গেলে ওনাদের কাছে দেখাই। আমার আ্যসটিগম্যাটিজম উইথ হাই পাওয়ার দুই চোখে..এখনকার ডাক্তাররাও হিমশিম খেয়ে যায় আমার পাওয়ার এ্যডজাস্ট করতে! কিন্তু আমার ভগ্নিপতির প্রেসক্রাইব্ড আইগ্লাসে আল্লাহর রহমে বেশ ভালো দেখতে পারি!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সম্ভবত দুইবার মন্তব্য পোস্ট হয়েছে।

১৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

সায়েম মুন বলেছেন: তারপরও পুলিশ না হোক ডাক্তারের কাছে প্রায়ই যেতে হয়। যে ডাক্তারের কাছে ভাল ব্যবহার পাই না, তার কাছে আর যাই না। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ঘটনা গল্পের উল্টো। অর্থাৎ ব্যতিক্রমটাই প্রযোজ্য।

গল্প ভাল লেগেছে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সায়েম মুন।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

রাজু বলেছেন: অনেক সুন্দর হইচে.।।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজু।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: এত ব্লাড প্রেসার ছিলো! এখন কী অবস্থা?

লেখা মজাদার হৈছে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এখন প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আছে। সিসটোলিক চাপ ১৪০ থেকে ১৫০-এর মধ্যে উঠা নামা করে আর ডায়াসটোলিক চাপ ৮০ থেকে ৯০-এর মধ্যে। তবে রেটিনোপ্যাথির কারণে বাঁ চোখের সমস্যা আছেই। চেন্নাইয়ে যাওয়ার একটা পরিকল্পনা আছে। দেখা যাক।

ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

১৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

কালনী নদী বলেছেন: পুলিশের হাতের লেখা কোর্টের পেশকার ও উকিল মুহুরী ছাড়া অন্যেরা বুঝতে পারেনা। - মামাদের এই বিষয়টা জানা ছিল না।
পুলিশরা মানুষ হিসেবে খারাপ না, যতবার দড়া খেয়েছি ভালোই সমাধর পেয়েছি!
কিসের সাথে কিয়ের তুলনা ভাই ডাক্তার থেকে পুলিশ অনেক ভালো।
‘রেটিনোপ্যাথী কোন চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। এটা আপনার রোগের নাম। হাই ব্লাড প্রেশারের কারণে আপনার বাঁ চোখে রক্তক্ষরণ হয়ে ঝাপসা দেখছেন।’- হাই প্রেসারটা আসে কোত্তেকে? একেকটা বদের হাড্ডি! নচিদার কথা- কসাই জবাই করে প্রকাশ্য দিবালোকে ওদের আছে ক্লিনিক আর চেম্বার।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নচিদার কথা- কসাই জবাই করে প্রকাশ্য দিবালোকে ওদের আছে ক্লিনিক আর চেম্বার

উপলব্ধি মন্দ নয়। ধন্যবাদ কালনী নদী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.