নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ লাভ লেটার স্বপনভাই

০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪১

ইউনিভার্সিটি জীবনে এক সিনিয়র বড়ভাই সেকেন্ড ইয়ারে পড়তেন, আর আমরা ফার্স্ট ইয়ারে। আমরা জুনিয়র হওয়া সত্ত্বেও তার মেলামেশা আমাদের সাথেই বেশি ছিল। তাকে আমরা ডাকতাম ‘স্বপনভাই’ বলে। তিনি থাকতেন শেরে বাংলা হলে। তার সার্বক্ষণিক পোশাক ছিল পাজামা-পাঞ্জাবি আর খদ্দরের ভেস্ট। কাঁধে একটা শান্তিনিকেতনী ব্যাগ। ব্যাকব্রাশ করা চুল। লম্বায় প্রায় ছয় ফুট। দেখে যে কেউ ভাববে তিনি সাংস্কৃতিক কর্মী অথবা কোন ছাত্র সংগঠনের নেতা। আসলে তিনি এসবের কিছুই ছিলেন না। তিনি যা ছিলেন তা’ হল ক্লাসে অনিয়মিত, বাজে রেজাল্ট করা একজন চোরা প্রেমিক। তার প্রেম নিবেদনের স্টাইলটা ছিল চোরদের কার্যকলাপের মতো।

সে যুগে সেলফোন ছিল না। তাই চিঠি লেখা অথবা নোটশিটের ভেতর চিরকুট গুঁজে দেয়াই ছিল একমাত্র ভরসা। স্বপনভাই এ কাজটা খুব দক্ষতার সাথে করতে পারতেন। ক্লাস শেষে ছেলেমেয়েরা সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামার সময় তার টার্গেট করা মেয়েটিকে সবার অলক্ষ্যে হাতচিঠি বা দলা পাকানো চিরকুট ছুঁড়ে দিয়ে নিমেষে গায়েব হয়ে যেতেন। লাইব্রেরি বা সেমিনারে বসে পাঠরত কোন মেয়েকে কখন যে চিরকুট গছিয়ে দিয়ে তিনি কেটে পড়তেন কেউ টের পেতো না। তবে এ ধরনের ঢিল ছোঁড়া প্রেম নিবেদনের ক্ষেত্রে সাধারণত যা হয়, স্বপনভাইয়ের ক্ষেত্রেও তাই হতো। তার সব চেষ্টাই ব্যর্থ হতো।

তবে ব্যর্থতা নিয়ে স্বপনভাইয়ের কোন মনোকষ্ট ছিল বলে মনে হতো না। তিনি নতুন উদ্যমে শুরু করতেন। পুরনো কথা খুব দ্রুত ভুলে যেতেন। তার নিজের ইয়ারে ব্যর্থ হবার পর তিনি আমাদের ফার্স্ট ইয়ারের প্রতি মনোযোগ দিলেন। তখন থেকেই আমাদের সঙ্গে তার মেলামেশা বেড়ে গেল। ফার্স্ট ইয়ারে আমাদের আট দশ জনের একটা ফাজিল গ্রুপ ছিল। আমরা মাঝে মাঝে ভার্সিটি সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারের এক সেলুন থেকে সবাই মাথা ন্যাড়া করে ক্লাসে আসতাম এবং ক্লাসের ব্যাকবেঞ্চে সারি বেঁধে বসতাম। আট দশটি চকচকে ন্যাড়া মাথা দেখে স্যাররা যেমন বিরক্ত হতেন এবং মাঝে মাঝে ওয়ার্নিং দিতেন, তেমনি মেয়েরাও আমাদের দেখে অচ্ছ্যুৎ জ্ঞ্যানে মুখ ফিরিয়ে নিত। এতে অবশ্য আমাদের খুব বেশি কষ্ট হতো না। তবে স্যারদের ওয়ার্নিং এর কারণে কখনো কখনো মাথা ন্যাড়া করা বন্ধ রাখতে হতো। আমাদের আর একটি উল্লেখযোগ্য গুন ছিল এই যে, আমরা ক্লাসের আগে পরে অথবা ফাঁকে ফাঁকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বসে আড্ডা দিতাম আর আকিকা না দিয়েই মেয়েদের নতুন নতুন মানানসই নাম দিতাম।
কো-এডুকেশন সত্ত্বেও এখনকার মতো তখন মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে একসাথে বসে আড্ডা দিত না। ওই কালচার তখনও গড়ে ওঠেনি। তবে মেয়েদের সঙ্গে ছেলেদের হাই, হ্যালো বা পড়াশুনা, নোট ইত্যাদি নিয়ে দু’চারটা কথাবার্তা হতো। ব্যস, ওই পর্যন্তই।
মাত্র এক বছরের সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও স্বপনভাই মাঝে মধ্যে আমাদের ওপর খবরদারি করার চেষ্টা করতেন। তিনি হঠাৎ হঠাৎ আমাদের মধ্যে চলে আসতেন এবং একজনকে টার্গেট করে বলতেন, ‘তুমি ভীষণ বেয়াদব হয়ে গেছ।’

‘কেন স্বপনভাই, এ কথা বলছেন কেন? আমি কী করেছি?’

‘কী করেছ, জানো না? নায়লাকে ওরকম একটা বাজে নামে ডাকো কেন?’

আমরা সবাই হো হো করে হেসে উঠতাম। আমাদের ক্লাসের নায়লা নামের মেয়েটি ছিল খুবই বেঁটে। তাকে ‘গুটি আমের আঁটি’ নামে ডাকা হতো। সেটা ছিল স্বপনভাইয়ের খুবই অপছন্দ। আর একটি মেয়ে ছিল ভীষণ ফর্সা আর তালঢ্যাঙ্গা লম্বা। তাকে ডাকা হতো ‘টিউব লাইট’ নামে। মেয়েরা স্বপনভাইকে এসব ব্যাপারে কিছু না বললেও তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে আমাদের শাসন করার চেষ্টা করতেন। যদিও আমরা তেমন পাত্তা দিতাম না। আবার আমরা তার দ্বারা শাসিত না হলে তিনিও বিশেষ কিছু মনে করতেন না। তিনি ছিলেন ফার্স্ট ও সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রীদের স্বঘোষিত কেয়ারটেকার। মেয়েরা তার এই কেয়ারটেকিং এবং সেই সুযোগে মেয়েদের প্রতি তার পত্রাঘাতে যথেষ্ট বিরক্ত ছিল। স্বপন ভাইয়ের প্রেম অভিযান ছিল চিঠিপত্র আর ছোট ছোট চিরকুটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে তাকে কখনো দেখা যায়নি।

তবে একদিন এর ব্যতিক্রম হলো। আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে পারভীনের সঙ্গে স্বপনভাইকে কথা বলতে দেখা গেল। কলা ভবনের পেছনে আমগাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে তাদের সেই কথাবার্তা আমরা দূর থেকে দেখতে পেলাম। স্বপনভাই ব্যাপারটা আঁচ করতে পেরে কথা শেষ করেই দ্রুত কেটে পড়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু আমাদের জালে ধরা না পড়ে উপায় আছে?

‘কী ব্যাপার স্বপনভাই? হাই ব্লাড প্রেশারের সাথে কী কথা হলো?’

‘হাই ব্লাড প্রেশার? পারভীনকে তোমরা এই নামে ডাকো নাকি? ছি, ছি, তোমরা কী নোংরা!’

‘আচ্ছা বেশ, আমরা নোংরাই হলাম। আপনি তো পরিস্কার। এখন বলেন, কী কথা হলো?’

স্বপনভাই কিছুতেই বলবেন না। আমরাও কাঁঠালের আঠা। না শুনে ছাড়বো না। শেষে অনেক জোরাজুরির পর তিনি লুকোছাপা করে যেটুকু বললেন তা’ হলো, লাইব্রেরি থেকে পারভীন দুটো বই ইস্যু করেছিল। তার একটার ভেতর স্বপনভাই কৌশলে একটা চিঠি চালান করে দিয়েছিলেন। চিঠিটা ছিল বেনামী। পারভীন তবুও বুঝে ফেলে কাজটা কার। সেই চিঠি সে আজ স্বপনভাইকে ফেরত দিয়ে বলে, ‘চিঠিটা পড়ে দিন।’

স্বপনভাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলেন, ‘কেন, কেন, চিঠি পড়ে দেব কেন? কার চিঠি?’

‘আপনার চিঠি। অত্যন্ত জঘন্য হাতের লেখা। অনেক চেষ্টা করেও কিছু বুঝতে পারিনি। তাই আপনার কাছে নিয়ে এলাম। পড়ে দিন।’

‘আচ্ছা, তোমরাই বলো এটা কী কখনো সম্ভব?’ আমাদের উদ্দেশ্য স্বপনভাইয়ের অসহায় প্রশ্ন। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে বললাম,

‘মোটেই না। আপনার দ্বারা এমন নোংরা কাজ হতেই পারে না। এখন বলেন তারপর কী হলো?’

‘তারপর আর কী? আমাকে আজেবাজে কথা বলল আর চিঠিটা টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলে দিল।’

‘আপনার মুখের ওপর?’

‘না, না, ঠিক মুখের ওপর না। তবে মেয়েটির খুব রাগ। ওর বোধহয় সত্যিই ব্লাড প্রেশার আছে, তাই না?’

‘এই তো স্বপনভাই, এবার বুঝতে পারছেন তো কেন আমরা ওকে হাই ব্লাড প্রেশার বলি?’

‘মেয়েটা সিনিয়রদের সম্মান দিতে জানে না। সত্যি দুনিয়াটা বদলে গেছে। বড়দের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা সব গেছে!’ দুঃখিত ভঙ্গিতে মাথা নাড়তে নাড়তে চলে গেলেন স্বপনভাই।

এই ঘটনার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ক্যাম্পাসে স্বপনভাইয়ের নামের আগে ‘লাভ লেটার’ শব্দটা যোগ হলো। অর্থাৎ তার প্রসঙ্গ উঠলে সবাই বলতো, ‘ও আচ্ছা, লাভ লেটার স্বপন ভাইয়ের কথা বলছো?’
*****************************************************************************************************************
এই লেখাটি মাসিক মৌচাকে ঢিল পত্রিকার মে, ২০১০ (বৈশাখী ভালোবাসা) সংখ্যায় প্রকাশিত। ব্লগার বন্ধুরা যারা এটি পড়েননি, তাদের জন্য ব্লগে প্রকাশ করলাম। লেখাটিতে তারুন্যের চপলতাজনিত আচরণের ত্রুটি বিচ্যুতি থাকায় পাঠককে সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ।
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

কালনী নদী বলেছেন: মৌচাকে ঢিল আমিও নীয়মিত একসময় পড়তাম! লাইব্রেরিতে গেলে নতুন এক কপি কিনতে হবে।
সুন্দর গল্প ভাইজান। প্রিয়তে রাখলুম। শুভ কামনা জানবেন।

০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কালনী নদী।
শুভেচ্ছা রইল।

২| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০২

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার গল্প।
ভাল লেগেছে।

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক।

৩| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:১৭

সাঈদ এন কে বলেছেন: কি বলেন স্যার? তারুন্যের চপলতাজনিত কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি কিছুই আমার চোখে ধরা পড়েনি। বরাবরের মতই সাবলীল উপস্থাপনা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তবে ফাজিল গ্রুপের লিডার বা নেতা কে ছিলেন, জানতে মন চায়। হে দয়াময়, আমার প্রিয় লিখক কে তুমি সুস্থ করে দাও, তাঁর সন্মান আরো বাড়িয়ে দাও এবং সু-দীর্ঘ হায়াত তাঁকে দান কর।

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ফাজিল গ্রুপের নেতা ছিল ফেরদৌস। সে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে পাশ করে এসে আমাদের সাথে ইকনমিকসে ভর্তি হয়েছিল। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। কানাডায় পি এইচ ডি করার পর সে ওখানকার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে জয়েন করে। বর্তমানে সে অস্ট্রেলিয়ায় আছে।
ধন্যবাদ সাঈদ। ভালো থেক। শুভকামনা রইল।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: হেনা ভাই, আপনি এত মজা করে লেখেন, না হেসে পারি না।

খুব চমৎকার গল্প।

ভাল থাকুন। সবসময়।

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৫| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০১

সাঈদ এন কে বলেছেন: না, খুশী হতে পারলাম না। আমি মনে করেছিলাম ফাজিল গ্রুপের নেতা ছিলেন আবু হেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম। এখন দেখি ফেরদৌস সাহেব, এটা কিন্তু একদম ঠিক হয়নি, কি বলেন?

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। আরে না, ফেরদৌসই নেতা হিসাবে চৌকশ ছিল। আমি তো প্রেমে ব্যর্থ হবার পর মামলা মোকদ্দমাসহ নানা কারণে মানসিক সমস্যায় ছিলাম। তা' ছাড়া তিন বছর ব্রেক অফ স্টাডি আমার মুখের হাসিও কেড়ে নিয়েছিল। আমি ফাজিল গ্রুপের সবচেয়ে নিস্তেজ সদস্য ছিলাম। মনঃকষ্ট থেকে বাঁচার জন্য ওদের সাথে থেকে আনন্দ পাওয়ার চেষ্টা করতাম মাত্র। ওরা যদি বলতো 'মাথা ন্যাড়া কর', তো মাথা ন্যাড়া করে ফেলতাম। ওরা যদি বলতো 'চল মেয়েদের জ্বালাতন করি', তো তাই করতে চলে যেতাম। হাঃ হাঃ হাঃ। এখন এসব ভাবলে একটু খারাপই লাগে।
যাই হোক, ফেরদৌস আমার প্রেমে ব্যর্থতা সহ অন্যান্য বিপর্যয় সম্পর্কে জানতো। আমি ওকে আপন মনে করে সব বলেছিলাম। জুনিয়র বন্ধু হলেও সে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ছিল। পড়াশুনায় সে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমার লেখা 'স্বপ্ন বাসর' উপন্যাসে তার কথা আমি কৃতজ্ঞতার সাথে উল্লেখ করেছি। আশা করি, তুমি উপন্যাসটি পড়ে তার বিষয়ে জানতে পেরেছ।
ভালো থেক সাঈদ। শুভেচ্ছা রইল।

৬| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

সাহসী সন্তান বলেছেন: আশরাফুল ভাই, লেখাটা ব্লগে প্রকাশ করে ভালই করেছেন! না হলে এত সুন্দর লেখাটা যদি মিস হয়ে যেত তাহলে আর আফসোসের সীমা থাকতো না!

ভাই, আকিকা ছাড়া বন্ধুদের বিভিন্ন নামে ডাকার অভ্যাস কিন্তু আমারও আছে। আমার সব থেকে প্রিয় একজন বান্ধবী আছে নাম ফারিয়া, ভীষণ রাগি! আমি তারে ডাকি 'হিটার'! এমন আরো আছে........ ;)

গল্পটা খুব ভাল লাগলো! শুভ কামনা জানবেন!

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সাহসী সন্তান।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৭| ০৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:০২

বিপরীত বাক বলেছেন: আমরা মাঝে মাঝে ভার্সিটি সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারের এক সেলুন থেকে সবাই মাথা ন্যাড়া করে ক্লাসে আসতাম এবং ক্লাসের ব্যাকবেঞ্চে সারি বেঁধে বসতাম। আট দশটি চকচকে ন্যাড়া মাথা দেখে স্যাররা যেমন বিরক্ত হতেন এবং মাঝে মাঝে ওয়ার্নিং দিতেন, তেমনি মেয়েরাও আমাদের দেখে অচ্ছ্যুৎ জ্ঞ্যানে মুখ ফিরিয়ে নিত।

০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ বিপরীত বাক।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৮| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: মজার।

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই।
শুভেচ্ছা রইল।

৯| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

জেন রসি বলেছেন: হা হা হা হা

মজা পেলাম। :)

০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই জেন রসি।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১০| ০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চায়ের মধ্যে এইসব ফুল লতা পাতা কেন? এতে কী বাতের ব্যথা ভালো হয়? নিচে আপনার একজন ভক্ত সাঈদের মন্তব্যটি পড়ুন। তাকেও খানা পিনা কিছু দিন কামাল ভাই।

১১| ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

সাঈদ এন কে বলেছেন: আমার প্রিয় স্যারের অনুপস্থিতিতে আমিই না হয় কিছু একটা বলি। আপনার চা,কফি,জুস,শরবত সহ যাবতীয় সব পানীয় ও খাবার-ই মজাদার। আর অন্যান্য ছবিগুলির তো কোন তুলনা-ই হয়না। আপনি না থাকলে আমার মনে হয় সামু ব্লগ সারা জনম অপূর্ণ থেকে যেত। গুড লাক, এগিয়ে যান। আমি আপনার ও একজন একনিষ্ঠ ভক্ত। @ সাদা মনের মানুষ।

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই তো পেয়ে গেছি! ( ডিসকভারি চ্যানেলের আমেরিকান ডিগার-এর স্যাভেজ পরিবারের কর্তা রিক সাহেবের অনুকরণে উল্লাস প্রকাশ করলাম )
আমার অনুপস্থিতিতে তোমার এমন মন্তব্য আমার মন ভরিয়ে দিল সাঈদ। আমার হয়ে মাঝে মাঝে প্রতিমন্তব্য করে ব্লগকে এভাবে জমিয়ে রাখো। সিনিয়র ব্লগারদের প্রতি তোমার শ্রদ্ধা বোধ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। ভালো থেক। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ১০ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

সাঈদ এন কে বলেছেন: আমার প্রতিও আপনার স্নেহ, মায়া-মমতা,ভালবাসা আর আন্তরিকতা নিঃসন্দেহে তুলনাহীন,এ যুগে বিরল। এর কোন প্রতিদান বা বিনিময় দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। আপনার প্রশংসা সূচক বাক্যাবলী ও উৎসাহমূলক কথা আমার চলার পথের পাথেয় হয়ে থাকবে চিরকাল। আর আপনার হয়ে কোন প্রতিমন্তব্য করাও আসলে আমার জন্য দুঃসাহসিক কাজ। তারপরেও আপনি যেহেতু বলেছেন, মাঝে-মধ্যে সেটার চেষ্টা করব। আপনার সুস্থতা ও দীর্ঘজীবন কামনা করছি। @ জনাব আবু হেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম।

১৩| ১৩ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বেচারার হাতের লেখা তাহলে বেশ সুন্দরই ছিলো বলতে হবে, তবে বেচারার জন্য কষ্ট হয়, মনের কথাটা যদি হাই ব্লাড প্রেশার পারভীন পড়তে পারতো তাহলে হয়তো ওনার জীবনে লাভ লেটারের সুন্দর একটা সমাপ্তি ঘটে যেতো........ ভালোলাগা

১৪| ১৩ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
আমার ভক্ত সাঈদ ভাইয়ের জন্য এক কাপ ;)

১৫| ১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০৭

সাঈদ এন কে বলেছেন: আগেই বলেছি, আপনার দেয়া চা, কফি, বা যে কোন ধরনের পানীয় অবশ্যই সুপেয় হয় বা হবে। এবার আমাকে এক কাপ দিয়ে তৃপ্ত করলেন, এ জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। @ সাদা মনের মানুষ।

১৬| ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মজা পেলাম পড়ে।

১৭| ৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:২০

মহা সমন্বয় বলেছেন: দারুণ স্মৃতিচারণ .. ভাল লাগল। :)

১৩ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ১২ থেকে ১৭ পর্যন্ত মন্তব্যকারী ব্লগার বন্ধুদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলছি, অনিবার্য কারণে গত প্রায় এক মাস আমি অনলাইনে না থাকায় আপনাদের মন্তব্যের জবাব দিতে পারিনি বলে দুঃখিত।

১৮| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




ঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈশ ............ দিলেন তো পেছনের দিনগুলোতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে । :|
আমরাও ৭/৮ জনের দল এরকম পরপর ৩ দিন সবার মাথায় টুপি , আবার পরপর ৩দিন সবাই লুঙিও পাঞ্জাবী পরে ক্লাশ করতুম ।এক এক ৩ দিনে একেক রকম ।
ফলাফল ? আপনাদের যা যা হয়েছে আমাদেরও তাই তাই , স্যারদের গালাগালি আর মেয়েদের ................. =p~ :-P

১৬ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ফ্যান্টাস্টিক! এই না হলে যৌবন? ওই বয়সের অভিজ্ঞতা কম বেশি সবারই প্রায় একরকম। এই গল্পটা লেখার পর থেকে কিছুটা হীনমন্যতায় ভুগছিলাম। আপনার মন্তব্যে সেটা দূর হয়ে গেল।

ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৯| ১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

আরাফআহনাফ বলেছেন: "এখন এসব ভাবলে একটু খারাপই লাগে। " কেন ভাই? উত্তর তো আপনিই দিয়ে দিয়েছেন ---"এই না হলে যৌবন?"

যৌবনে দাও রাজটীকা!

১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। তবে এখন বুড়ো হয়ে যাওয়ায় সেসব দিনের উদ্দামতা নিয়ে কে কী ভাববে, তাই একটু সংকোচ বোধ করি এই আর কী। তবে যৌবনের ধর্মই হলো উদ্দামতা। আমিও বলি, যৌবনে দাও রাজটীকা!

ধন্যবাদ ভাই আরাফআহনাফ। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.