নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ এক কাপ হরলিকস

৩০ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

অফিশিয়াল ট্রেইনিংয়ে ঢাকার তেজগাঁওয়ে আমাদের ট্রেনিং সেন্টারের হোস্টেলে ছিলাম। সেটা ১৯৯৩ সালের কথা। তিন মাসের ট্রেইনিং শেষে আমার বাড়ি ও কর্মস্থল রাজশাহী ফেরার এক সপ্তাহ আগের ঘটনা। ফার্মগেট ওভারব্রিজে একজন ভাসমান বিক্রেতার কাছ থেকে এক বোয়ম হরলিকস কিনে ঠকেছিলাম।

তখন কাঁচের বোয়মে হরলিকস বিক্রি হতো। বিক্রেতা মধ্যবয়সী। পরনে জীর্ণ পোশাক। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। সে একটা কাপড়ের পুটলি থেকে এক বোয়ম হরলিকস বের করে হাতে নিয়ে আমার সাথে সাথে হাঁটছিল আর অত্যন্ত করুণ স্বরে সেটি কেনার জন্য আমাকে বার বার অনুরোধ করছিল। সে বলছিল, দোকানে এই হরলিকসের দাম একশো ষাট টাকা। একশো টাকা পেলেই সে হরলিকসটি আমাকে দিয়ে দেবে।

আমি মাঝে মধ্যে হরলিকস কিনতাম বলে দাম জানা ছিল। বিক্রেতার কথা ঠিক। দোকানে এটির দাম একশো ষাট টাকাই। তাই বিস্মিত হয়ে বললাম, ‘তুমি এতো কম দামে দিচ্ছ কিভাবে?’ উত্তরে কাঁদো কাঁদো হয়ে সে যা বললো, তা’এরকমঃ সে গুলিস্তানের একটি কনফেকশনারি দোকানে চাকরি করে। বেতন খুবই কম। সেই বেতনও দোকান মালিক ঠিকমতো দিতে চায় না। ফলে পরিবার ও ছেলেমেয়ে নিয়ে তার অনাহারে থাকার দশা। তাই বাধ্য হয়ে দোকানের স্টক থেকে সে এক বোয়ম হরলিকস চুরি করে বিক্রি করতে নিয়ে এসেছে। বেতন পেলে এক বোয়ম হরলিকস বিক্রি দেখিয়ে মহাজনের ক্যাশ আবার সে পূরণ করে দেবে। অভাবে স্বভাব নষ্ট আর কি!

আমি হরলিকসের বোয়ম পরখ করে কোন অস্বাভাবিকতা দেখলাম না। খাপ খুলে দেখলাম বোয়মের মুখ যথাযথভাবেই এ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে সিল করা আছে। কম দামে হরলিকস কেনার লোভ হলো। তা’ ছাড়া লোকটির দুর্দশা দেখে তার প্রতি সহানুভূতিও হচ্ছিল। বললাম, ‘ষাট টাকায় দেবে?’ চোরাই মাল, যত কম দামে কেনা যায়! চুরির ওপর বাটপাড়ি আর কি!

আমার দাম শুনে লোকটি প্রায় কেঁদে ফেললো। চোরাই মাল যথাসম্ভব দ্রুত বিক্রি করে কেটে পড়ার জন্য সে তাড়াহুড়ো করছিল। আর সন্ত্রস্ত চোখে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল। আমি তার এই অসহায় অবস্থার সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছিলাম। শেষে দর দাম করে আশি টাকায় রফা হলো। লোকটি অতি দ্রুত হরলিকসের বোয়ম আমার হাতে গছিয়ে দিয়ে টাকা নিয়ে নিমেষে উধাও হয়ে গেল।
একশো ষাট টাকার মাল আশি টাকায় পাওয়া গেল। আমার তৃপ্তির শেষ ছিল না। আমার হাসিমুখ দুই কান পর্যন্ত ছড়িয়ে গেল।

কিন্তু এই হাসিমুখ গোমড়া হতে এক বেলার বেশি সময় লাগলো না। হরলিকস কিনেছিলাম সকাল দশটার দিকে। বিকেলে ট্রেইনিং সেন্টারের হোস্টেল রুমে ফিরে এক কাপ হরলিকস বানিয়ে খাওয়া যাক ভেবে হিটারে পানি গরম করলাম। কিন্তু বোয়মের খাপ খুলে এ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের সিল খুলতে গিয়ে দেখলাম সেটি আপনা থেকেই খুলে আমার হাতে চলে এলো। এ রকম তো হবার কথা নয়। ব্যাপার কী? বোয়মের ভেতর উঁকি মেরে দেখলাম হরলিকস ঠিকই আছে। বোয়মের গায়ে লেখা মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখও ঠিক আছে। তাহলে এ রকম হলো কেন? নিশ্চয় কারখানায় সিল করার সময় ফয়েলটি কারিগরি ত্রুটির কারণে ঠিকমতো লাগেনি। যাক গে,এটা তেমন কোন সমস্যা নয়।
এক কাপ গরম পানিতে দুই চামচ হরলিকস আর এক চামচ চিনি মিশিয়ে নাড়াচাড়া করে দেখলাম,হরলিকস পানির সঙ্গে ঠিকমতো মিশছে না। কাপের নিচে স্তূপ হয়ে জমে থাকছে। আর চিনি গুলে গিয়ে ওপরের পানি সামান্য ঘোলা দেখাচ্ছে। ব্যাপার কী? কাপে চুমুক দিয়ে পরখ করতে গিয়ে আমি বেকুব। আঁশটে গন্ধ আর কষযুক্ত স্বাদে আমার বমি হওয়ার উপক্রম। থু থু করে মুখ থেকে সেগুলো জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে ভালো পানি দিয়ে কুলি করলাম। তারপর কাপের পানি ফেলে দিয়ে নিচে জমে থাকা হরলিকস(?)চামচে তুলে পরখ করে দেখলাম, সেগুলো বিস্কিট কালারের কাঠের গুঁড়ো বা ঐ জাতীয় কিছু।

ঠিক এই সময় আমার রুমমেট কুষ্টিয়া থেকে আসা ট্রেইনি শহিদুল্লাহ সাহেব রুমে ঢুকে শার্ট খুলতে খুলতে বললেন, ‘কী হেনা সাহেব,হরলিকস খাচ্ছেন বুঝি?’ আমার আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার দশা। কারণ একা তো খাওয়া যায় না। শহিদুল্লাহ সাহেব যখন দেখেই ফেলেছেন, তখন তাকেও এক কাপ দিতে হয়। আমি হড়বড় করে বললাম, ‘না, মানে বাড়ি যাওয়ার আগে আমার বাচ্চার জন্য এক বোয়ম কিনলাম তো। একটু টেস্ট করে দেখছিলাম আর কী!’
‘ও আচ্ছা।’

চোরের ওপর বাটপাড়ি, তার ওপর আবার একগাদা মিথ্যে কথা। মানুষ ঘুষ দিয়ে চাকরি না পেলে বা পরীক্ষার সময় ফাঁস হওয়া ভূয়া প্রশ্নপত্র কিনে প্রতারিত হলেও কেন সে কথা অন্যকে বলতে পারেনা,সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। যত যাই হোক, নিজেকে তো আর অন্যের সামনে আহাম্মক হিসাবে হাজির করা যায় না!

এই হরলিকস বাড়ি নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু বোয়মটা ফেলবো কোথায়? বোয়ম হাতে হোস্টেল থেকে বেরনোর সময় কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে,হরলিকস নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন? তখন কী জবাব দেব? অহেতুক আবার কিছু মিথ্যে কথা বলতে হবে। অনেক ভেবেচিন্তে গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। শহিদুল্লাহ সাহেব যখন নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন, তখন পা টিপে টিপে ঘর থেকে বেরিয়ে হোস্টেলের ছাদে পানির ট্যাঙ্কের আড়ালে হরলিকসের বোয়ম রেখে এলাম। সহজে কারো চোখে পড়বে না। ঘরে ফিরে এসে বিছানায় শুয়ে আশি টাকা গচ্চা যাওয়ার দুঃখটা ভুলতে চেষ্টা করলাম। তবে টাকা গচ্চা যাওয়ার চেয়ে এই কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়েই বাঁকি রাত আর ঘুম হলো না। হাজার হলেও মান সম্মান বলে একটা কথা আছে না!

ব্রিটিশ শাসনের প্রথম দিকে এ দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের প্রধান ছিলেন ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট(ডিএম)। তারা সবাই ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। একবার ইংল্যান্ডের প্রিভি কাউন্সিল থেকে প্রত্যেক ডিএমের কাছে আলাদা আলাদাভাবে একটা করে চিঠি এলো। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ডিএমের প্রশাসনাধীন এলাকার স্থানীয় অধিবাসীদের স্বভাব চরিত্র ও মন মানসিকতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে ইংল্যান্ডে পাঠানোর নির্দেশ ছিল। ভারতবর্ষকে শক্ত হাতে শাসন করার জন্য এ দেশের মানুষজনের স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের প্রয়োজন থেকেই ব্রিটিশ রাজের এই নির্দেশ। তবে চিঠি ছিল মোস্ট কনফিডেনশিয়াল। এক জেলার ডিএম জানতেন না যে অন্য জেলার ডিএমকেও একই চিঠি দেয়া হয়েছে। তথ্যানুসন্ধান শেষে ডিএমরা রিপোর্ট পাঠালেন ইংল্যান্ডে। দেখা গেল কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, বর্ধমান, মালদা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, যশোর, নোয়াখালী, রংপুর, দিনাজপুর ইত্যাদিসহ অবিভক্ত বাংলার প্রায় সব জেলার রিপোর্টে দারুণ মিল। চুরি-ডাকাতি করা, মিথ্যা কথা বলা, বিশ্বাসঘাতকতা করা, প্রতারণা করা, অন্যের অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করা ইত্যাদি অপকর্ম প্রায় সব জেলার মানুষের সাধারণ প্রবণতা। সামান্য অর্থ বিত্ত বা প্রভাব প্রতিপত্তি অর্জনের লোভে এখানকার লোকেরা যে কোন খারাপ কাজ করতে পারে।

ডিএমদের পাঠানো এই রিপোর্ট এ দেশের মানুষের স্বভাব চরিত্র ও মন মানসিকতার বিশ্লেষণে হয়তো অতিরঞ্জিত ও একপেশে হতে পারে। কেননা নেটিভদের তারা ঘৃণা করতো বলে তাদের কাছে হয়তো আমাদের চরিত্রের অন্ধকার দিকটিই প্রাধান্য পেয়েছে। তাছাড়া পৃথিবীব্যাপী সাম্রাজ্য বিস্তারের নিষ্ঠুর অভিযানে ইংরেজদের চেয়ে বেশি কুকর্ম অন্য কোন জাতি করেছে বলে ইতিহাসে লেখা নাই।

তারপরেও তাদের তৎকালীন একজন ডিএমের রিপোর্টে লেখা এই মন্তব্যটির প্রতি খেয়াল করুন- “এরা প্রতারণা করতে যেমন সিদ্ধহস্ত, প্রতারিত হতেও তেমনি সমান পারদর্শী।”

পঁয়ষট্টি বছর আগে ব্রিটিশরা চলে গেছে। কিন্তু আমাদের মনোজগতে প্রতারণার অবস্থান সম্পর্কে প্রায় আড়াইশো বছর আগে তাদের একজন ডিএমের মন্তব্য আজও প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়। আমরা আজো ধুমসে প্রতারণা করে যাচ্ছি এবং প্রতারিত হয়ে চলেছি। জাত হিসেবে আমাদের তুলনা নেই।
********************************************************************************************************************
এই লেখাটি মাসিক মৌচাকে ঢিল পত্রিকার সেপ্টেম্বর/২০১২ সংখ্যায় (প্রতারণা সংখ্যা) প্রকাশিত। ব্লগার বন্ধুরা যারা পড়েননি, তাদের জন্য ব্লগে প্রকাশ করলাম।
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১০

সুমন কর বলেছেন: মনে হয় আগে পড়েছিলাম, আজ আবার পড়লাম। শেষের কথাগুলো চমৎকার বলেছেন।

৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, এটি রি-পোস্ট। পুনরায় পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

অনিন্দ্য অন্তর অপু (অঅঅ) বলেছেন: অনেকদিন পর আশ্রাফ ভাইয়ের লেখা পড়লাম । শুভ কামনা ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অনিন্দ্য অন্তর অপু।
আপনাকেও অনেকদিন পর ব্লগে পেলাম। কেমন আছেন?

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫১

অনিন্দ্য অন্তর অপু (অঅঅ) বলেছেন: ভালো আছি দাদা । মাঝে মাঝে ঢু মারি ব্লগে । খুজে বেড়াই প্রিয় মুখগুলো ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমরা কয়েকজন আছি ব্লগে। প্রামানিক ভাই, কামাল ভাই, নীলসাধু ভাই, কামরুন্নাহার, ফেরদৌসা, নাসরিন চৌধুরী। তবে সবাই নিয়মিত ব্লগিং করেন না। আসুন, আপনিও লেখালেখি করুন। ভালো লাগবে।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৬

অনিন্দ্য অন্তর অপু (অঅঅ) বলেছেন: আপনারা আর কোন কোন ব্লগে লিখছেন?

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি এখন সামু ছাড়া অন্য ব্লগে লিখছি না। অন্যেরা কে কোন ব্লগে লিখছেন, ঠিক বলতে পারবো না। ধন্যবাদ অঅঅ।

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৪

প্রামানিক বলেছেন: তারপরেও তাদের তৎকালীন একজন ডিএমের রিপোর্টে লেখা এই মন্তব্যটির প্রতি খেয়াল করুন- “এরা প্রতারণা করতে যেমন সিদ্ধহস্ত, প্রতারিত হতেও তেমনি সমান পারদর্শী।”

হে হে হে ডিএম সাহেব অনেক চিন্তাভাবনা করেই লিখেছিল।

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিকই বলেছেন প্রামানিক ভাই।

আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:০৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: একশো ষাট টাকার মাল আশি টাকায় পাওয়া গেল। আমার তৃপ্তির শেষ ছিল না। আমার হাসিমুখ দুই কান পর্যন্ত ছড়িয়ে গেল।............আপনি যখন কাঠের গুড়া খেলেন তখন আমারও মুখের হাসি দুই কান পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হে হে হে। দেখছেন, বুকা লুকদের মধ্যে কত মিল! =p~

৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:০১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তারপরেও তাদের তৎকালীন একজন ডিএমের রিপোর্টে লেখা এই মন্তব্যটির প্রতি খেয়াল করুন- “এরা প্রতারণা করতে যেমন সিদ্ধহস্ত, প্রতারিত হতেও তেমনি সমান পারদর্শী।”.............সেই কথার মান রাখতেই বুঝি আপনার হরলিক্স খাওয়া :-B

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরে, ঐ ব্যাটা ডিএম ইংরেজের বাচ্চা। অর কথা শুইনা হরলিক্স খামু ক্যান?

আমি হরলিকস খেয়েছিলাম এই গল্পটা লিখবো বলে। বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়।

৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ইয়া আল্লাহ! কামাল ভাই কী করেছেন? হরলিকসের সাথে হরলিকস বিস্কুটও!

দেখে প্রাণে বড় আঘাত লাগলো। কাঠের গুঁড়ো খাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল। শস্তায় আর হরলিকস কিনবো না। কসম।

৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তবে এটা ঠিক, আপনি এই হর্লিকস্ না খেলে ইংরেজের বাচ্চা ঐ ডিএম এর কথা জানতেই পারতাম না

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই গল্পের শেষে পাদটীকা হিসাবে ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রথম দিকে এই ডিএমদের মাধ্যমে এ দেশের মানুষদের স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে লন্ডনের প্রিভি কাউন্সিল কর্তৃক গোপনে তথ্য সংগ্রহ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন কংগ্রেস সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদের লেখা INDIA WINS FREEDOM গ্রন্থে। এ ছাড়াও সৈয়দ আমীর আলীর লেখা ইংরেজি গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ 'ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের ইতিহাস' বইতেও এ বিষয়ে তথ্য আছে।

ধন্যবাদ কামাল ভাই।

১০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা ছোটগল্প হয় নি। আত্মকথা এবং প্রবন্ধের মাঝামাঝি কিছু হয়েছে।

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

পুলহ বলেছেন: "মানুষ ঘুষ দিয়ে চাকরি না পেলে বা পরীক্ষার সময় ফাঁস হওয়া ভূয়া প্রশ্নপত্র কিনে প্রতারিত হলেও কেন সে কথা অন্যকে বলতে পারেনা,সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। "-- হা হা হা ভালো মনোবিশ্লেষণ করেছেন। সাথে হরলিক্সের দাম ৬০ টাকা বলার ব্যাপারটাতেও সাঙ্ঘাতিক মজা পেয়েছি...
ডিএম দের ঘটনাটা সত্যি নাকি ভাই?
ভালো থাকবেন। শুভকামনা!

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই পুলহ, ডিএমদের ঘটনা সত্য। এ ব্যাপারে ৯ নং কমেন্টের উত্তরে রেফারেন্স উল্লেখ করেছি।

আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

মানসী বলেছেন: অপরের পরিস্থিতির সুযোগ নিতে গিয়ে আমার নিজেরাই পরিস্থিতির শিকার হয়ে যাই।


ভালো লাগলো।

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ মানসী।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০১

মাদিহা মৌ বলেছেন: সস্তার তিন অবস্থা … ! :P

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চিরন্তন সত্য। ধন্যবাদ মাদিহা মৌ।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

নীলপরি বলেছেন: এককথায় অসাধারণ :)

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

সিগনেচার নসিব বলেছেন: দারুন পোস্ট
ভাল থাকবেন

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সিগনেচার নসিব।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,



গতকাল ৭/৮ বার চেষ্টা করেও আপনার এই পোস্টে মন্তব্য করার সুযোগ মেলেনি । যতোবারই লগইন হয়ে আপনার পোস্টে যেতে চেয়েছি ততোবারই 504 Error............ দেখাচ্ছিলো ।
কি মন্তব্য করতে চেয়েছিলুম তা এখন গরম থেকে ঠান্ডা হয়ে গেছে । :(

তবে এখানা গরম হরলিকসের মতো গরম গরম মনে পড়ছে ---- “এরা প্রতারণা করতে যেমন সিদ্ধহস্ত, প্রতারিত হতেও তেমনি সমান পারদর্শী।”

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গতকাল একই অবস্থা হয়েছে সকলের। আমি তো কয়েকবার চেষ্টা করে বিরক্ত হয়ে পিসি বন্ধ করে দিয়েছি।

মন্তব্য বড় কথা নয় ভাই। আপনি পড়েছেন, এটাই বড় কথা। ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: পঁয়ষট্টি বছর আগে ব্রিটিশরা চলে গেছে। কিন্তু আমাদের মনোজগতে প্রতারণার অবস্থান সম্পর্কে প্রায় আড়াইশো বছর আগে তাদের একজন ডিএমের মন্তব্য আজও প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়। আমরা আজো ধুমসে প্রতারণা করে যাচ্ছি এবং প্রতারিত হয়ে চলেছি। জাত হিসেবে আমাদের তুলনা নেই। ----------

মহামূল্যবান কথা বলেছেন ভাই!!! অনেক অনেক শুভকামনা!!

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কামরুন্নাহার।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

জেন রসি বলেছেন: কিছুক্ষন ফার্মগেটে হাটাহাটি করলেই এ দেশের কিছু স্কিলড কন আর্টিস্টের দেখা পাওয়া যাবে। এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।


০২ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মন্দ বলেননি। হাঃ হাঃ হাঃ।

ধন্যবাদ ভাই জেন রসি। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

হাসান রাজু বলেছেন: " দুধে হরলিক্স মেশাও দুধের শক্তি বাড়াও । "

কৃত্রিম উপকরন মিশিয়ে নাকি প্রাকৃতিক দুধের শক্তি বাড়াতে হবে ! আজব !

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দুধ হলো আদর্শ খাদ্য। প্রাকৃতিকভাবেই এতে সর্বোচ্চ শক্তি বিদ্যমান। দুধে আবার হরলিক্স মেশাতে হবে কেন? এগুলো বহুজাতিক বেনিয়াদের ব্যবসা বাড়ানোর কূটকৌশল।

ধন্যবাদ ভাই হাসান রাজু। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব ভাল লাগল লিখাটি , ডি এম দের রিপোর্টটি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ।
বিশেষ করে
এরা প্রতারণা করতে যেমন সিদ্ধহস্ত, প্রতারিত হতেও তেমনি সমান পারদর্শী।”
এ মন্তব্টা বিশেষ তাৎপর্যপুর্ণ । এর থেকে পরিত্রান পাওয়াও বেশ কঠিন
অনেক সময় পরিপাশ্বির্কতার কারণে মনোবৈকল্পতা ঘ্রাস করে
এর ফলে আমরা সহজেই প্রতারিত হয়ে যাই ।
শুভেচ্ছা রইল ।

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। পারিপার্শ্বিকতার কারণে অনেক সময় আমরা প্রতারণার শিকার হই, এটা সত্য। তবে ইংরেজ ডিএমের মন্তব্যটিও প্রণিধানযোগ্য।

আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতি উত্তরের জন্য ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

২২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

সোহাগ সকাল বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সোহাগ সকাল।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

সাঈদ মুহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি যদি ঐ বেটাকে হাতের কাছে পেতাম, তাহলে সব হরলিক্স (?) সফদার ডাক্তারের মত গুলিয়ে বেটাকে খাইয়ে দিতাম। বেটা কার সাথে প্রতারণা করেছে জানে সে?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। তোমার রাগের কারণ বুঝতে পারছি। তবে সত্যি কথা বলতে কী, আমি নিজেও ঠিক কাজ করিনি। লোভে পড়ে প্রতারণার শিকার হয়েছি। আল্লাহ আমাকে মাফ করুন।

ধন্যবাদ সাঈদ। ভালো থেকো। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.