নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ কাপুরুষ

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

নারায়ণগঞ্জের একটি কমবয়সী মেয়ে আমার লেখা উপন্যাস ‘স্বপ্ন বাসর’ পড়ে একদিন আমাকে ফোন করে বললো, ‘আঙ্কেল, আপনি কী আমার জীবনের কাহিনী নিয়ে একটা উপন্যাস লিখতে পারবেন?’
আমি বললাম, ‘চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। আপনার জীবনের কাহিনী কী, বলুন।’
মেয়েটি কিছুক্ষণ ইতস্ততঃ করে বললো, ‘না, থাক।’
আমি বললাম, ‘আপনি নিজেই লিখে ফেলুন না! আরো ভালো হবে।’
মেয়েটি বললো, ‘আমি লিখতে পারি না। আমার অসম্ভব বানান ভুল হয়। আমি লিখলে কোন প্রকাশক ছাপাতে রাজি হবে না।’
‘আপনার নাম কী?’
‘রোখসানা’
‘কী করেন? পড়াশুনা?’
‘করতাম। এক বছর আগে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছি।’
‘কেন?’
‘সে অনেক কথা। আপনাকে পরে বলবো। আজ রাখি আঙ্কেল। স্লামালেকুম।’

মেয়েটি ফোনের সংযোগ কেটে দিল। প্রিন্ট মিডিয়ার অনেক পাঠক প্রায় প্রতিদিনই আমাকে ফোন করে আমার লেখা নিয়ে আলোচনা করে। ঢাকার একটি পত্রিকায় আমি নিয়মিত লিখি, যেখানে লেখকের কনট্যাক্ট নম্বর ছাপা হয়। ফলে পাঠকদের কাছে আমি খুবই সহজলভ্য। তাদের কেউ কেউ আবেগপ্রবণ হয়ে নিজেদের জীবনের অনেক কথা আমাকে নির্দ্বিধায় খুলে বলে। নাম ঠিকানা গোপন রেখে তাদের জীবন-কাহিনী নিয়ে লেখারও অনুরোধ করে কেউ কেউ। তাদের সাথে আমার পরিচয় নাই, চেনা-জানা নাই, অথচ তারপরেও তারা কেন তাদের জীবনের এসব স্পর্শকাতর ঘটনা আমাকে বলে দেয়, আমি জানি না। এতে অবশ্য আমার লাভই হয়। তাদের সাথে কথাবার্তা বলে আমি লেখালেখির অনেক উপাদান খুঁজে পাই।

আমি প্রধানতঃ মানুষের জীবনের বাস্তবতা নিয়ে লেখালেখি করি বলে যে কোন মানুষের জীবন-কাহিনী শোনার প্রতি আমার ঝোঁক রয়েছে। এই মেয়েটি তার জীবন-কাহিনী বলতে গিয়েও বললো না দেখে ভাবলাম, এই কাহিনী আর শোনা হবে না। কিন্তু আমাকে আশ্চর্য করে দিয়ে মেয়েটি দু’দিন পর আবার ফোন দিল। বললো, ‘আঙ্কেল, আপনি কী সত্যিই আমার কাহিনী নিয়ে উপন্যাস লিখবেন?’ আমি বললাম, ‘উপন্যাস তো অনেক বড় ক্যানভাসে লিখতে হয়। আপনার কাহিনী কী, সেটা না জানলে তো বলা মুশকিল। উপন্যাস না হলেও ছোট গল্প লেখা যেতে পারে। আমি পত্রিকায় পাঠাবো। ছাপা হলে পড়তে পারবেন।’

মেয়েটি চুপচাপ। আমি একটু অপেক্ষা করে বললাম, ‘আপনি একটা কাজ করতে পারেন। মুখে বলতে অসুবিধা হলে সংক্ষেপে দু’তিন পৃষ্ঠার মধ্যে লিখে আমার ঠিকানায় পোস্ট করে দিন। ঠিকানা আমার উপন্যাসের প্রিন্টার্স লাইনে আছে। পড়ার পর লেখার উপযুক্ত মনে হলে আপনাকে আমি ফোন দিয়ে জানাবো। ঠিক আছে?’
মেয়েটি লাজুক কণ্ঠে বললো, ‘আঙ্কেল, আপনাকে তো আগেই বলেছি আমি বানানে খুব কাঁচা। আমার চিঠি পেলে আপনি বিরক্ত হয়ে ছিঁড়ে ফেলে দেবেন। তাছাড়া কেমন করে লিখতে হয়, সেটাই তো বুঝতে পারছি না।’
মনে মনে সত্যিই একটু বিরক্ত হলাম। তবে মনের ভাব প্রকাশ না করে বললাম, ‘আচ্ছা ঠিক আছে, তাহলে থাক।’
মেয়েটি অপ্রস্তুত হয়ে হড়বড় করে বললো, ‘সেটাই ভালো। আপনাকে ডিস্টার্ব করলাম আঙ্কেল। কিছু মনে করবেন না।’
আমি বললাম, ‘না, না। ইট’স্ ওকে।’

আমার একটা অভ্যাস আছে। কোন পাঠক আমার উপন্যাস বা পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা পড়ে ফোন করলে আমি তার নাম ও নম্বর ফোনবুকে সেভ করে রাখি। রোখসানার নাম ও নম্বরও সেভ করা ছিল। কিন্তু মেয়েটি দীর্ঘ প্রায় তিন মাস আমার সাথে আর কোন যোগাযোগ করেনি। আর ব্যস্ততার কারণে আমার পক্ষেও পাঠক পাঠিকাদের সাথে উপযাচক হয়ে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে নারী পাঠকদেরকে আমি কখনোই ফোন করিনা।

রোখসানা প্রায় তিন মাস পরে আমাকে ফোন দিল। আমি বললাম, ‘কেমন আছেন?’
‘ভালো নেই আঙ্কেল। আমার জন্য দোয়া করবেন।’
‘নিশ্চয় দোয়া করবো।’

অনেক পাঠক পাঠিকা ফোনে কথা শেষ করে দোয়া চায়। রোখসানার দোয়া চাওয়াকে আমি সেরকমই ভেবেছিলাম। কিন্তু তার সাথে এই সর্বশেষ ফোন যোগাযোগের তিন দিন পর আমি ডাকযোগে একটা চিঠি পেলাম। খুলে দেখি, রোখসানার চিঠি। সে সংক্ষেপে তার জীবন-কাহিনী লিখে পাঠিয়েছে। অসংখ্য ভুল বানানে লেখা এই চিঠিতে কাহিনীর শুরু কোথায়, আর শেষ কোথায় কিছুই বোঝা যায় না। অনেক ধস্তাধস্তি করে যেটুকু উদ্ধার করা গেল, তা’ এরকমঃ
মেয়েটি ঢাকার একটি প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়াশুনা করতো। ভার্সিটির নাম কী, ডিসিপ্লিন কী কিছুই উল্লেখ নাই। তার দু’জন সহপাঠী অর্ণব ও সোহেল তাকে ভালোবাসতো। কিন্তু রোখসানা সোহেলকে পছন্দ করতো না। সে ক্লাস আওয়ারের বাইরে অর্ণবের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে মেলামেশা করতো, যা সোহেল মোটেই পছন্দ করতো না। এ নিয়ে সোহেলের সাথে রোখসানার বেশ কয়েকবার বাক বিতণ্ডা হয়। সোহেল অর্ণবকেও শাসায়। পরিস্থিতি খুব উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এক পর্যায়ে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। অর্ণব ও রোখসানা একদিন সন্ধ্যের পর এক চাইনিজ রেস্তোরাঁ থেকে খাওয়া দাওয়া করে বের হবার সময় সোহেল রোখসানার মুখে এসিড ছুঁড়ে মেরে পালিয়ে যায়। দেড় বছর আগের এই ঘটনায় রোখসানার মুখের বেশির ভাগই পুড়ে যায়। একটা চোখও নষ্ট হয়ে যায়। এক চোখ ও কপালের একাংশ ছাড়া তার পুরো মুখমণ্ডলই মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়।

দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসা করার পর ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ফিরে ভয়াবহ বিকৃত চেহারা নিয়ে রোখসানা স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী হয়ে থাকে। খুব জরুরী প্রয়োজন না হলে সে ঘরের বাইরে যায় না। গেলেও বোরকা পরে পরিবারের একজন সদস্যকে সাথে নিতে হয়। ঘটনার পর থেকে তার পড়াশুনার পাট চুকে গেছে।

ঘটনার পর অর্ণব একবার মাত্র দশ মিনিটের জন্য তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিল। এরপর আর তার দেখা পাওয়া যায়নি। সিম বদলে ফেলায় বহু চেষ্টা করেও রোখসানা তার সাথে ফোনে কথা বলতে পারেনি। তার ক্লাসের দু’তিনজন ছাত্রী তাকে দেখতে গেলে রোখসানা অর্ণবের কথা জিজ্ঞেস করায় উত্তর পেয়েছে, ‘ওকে ভুলে যা।’

রোখসানার চিঠি পড়ার পর পরই আমি ফোন দিলাম তাকে। আমার ভেতর একটা অস্থিরতা কাজ করছিল। রোখসানার সাথে কথা বলা দরকার। তাকে সান্ত্বনা দেওয়া দরকার। প্রায় অপাঠ্য একটা চিঠি তার সাথে আমার সম্পর্কটাকে মুহূর্তের মধ্যে বদলে দিয়েছে। লেখক ও পাঠকের সম্পর্ক উধাও হয়ে গিয়ে বাবা ও মেয়ের সম্পর্ক সামনে চলে এসেছে। আমি আমার মেয়ের সাথে কথা বলতে চাই।
কিন্তু ফোন রিসিভ করলো একটি পুরুষ কণ্ঠ। বললো, ‘আপনি কী আবুহেনা সাহেব বলছেন?’
‘জি বলছি। আপনি কী রোখসানার বাবা?’
‘জি না, আমি ওর বড় ভাই। আপনার ব্যাপারে সে আমাকে বলে গেছে। ওর ফোন বুকে আপনার নাম ও নম্বর সেভ করা আছে।’
আমি বিচলিত বোধ করলাম। উৎকণ্ঠিত গলায় বললাম, ‘বলে গেছে মানে? সে এখন কোথায়?’
যুবক শান্ত গলায় বললো, ‘রোখসানাকে নিয়ে বাবা তিন দিন আগে জার্মানি চলে গেছেন। সেখানে রোখসানার কসমেটিক সার্জারি হবে।’
ওফ্, মনে হলো আমার অস্থির হৃৎপিণ্ডটা যেন একটু শান্ত হলো। কয়েক সেকেন্ড ধকল সামলে নিয়ে বললাম, ‘আপনি কী করেন?’
‘আমি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। রোখসানা তো ঘরের বাইরে যেত না। আপনার উপন্যাসটা বার বার পড়ে সে সময় কাটাতো। আপনি ফোন করেছিলেন, সে কথা ওকে বলবো। ও খুশি হবে। দেশে ফিরলে নিশ্চয় সে আপনার সাথে কথা বলবে।’

আমি ধন্যবাদ দিয়ে ফোন রেখে দিলাম। আমার বেডরুমের জানালার ওপাশে একটা নিম গাছ আছে। জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আমি নির্বাক তাকিয়ে রইলাম সেদিকে। বেডরুমের ভেন্টিলেটারে বাসা বেঁধেছে দুটো চড়ুই পাখি। ওরা কিচির মিচির করতে করতে একবার উড়ে গিয়ে নিম গাছের ডালে বসছে, পরক্ষণেই আবার উড়ে এসে বাসায় ঢুকছে। আমি মনোযোগ দিয়ে দেখছি ওদের। নিম গাছের ডালে বসে পাখি দুটো একে অন্যের ঠোঁটে ঠোঁট ঘষে আদর করছে। তারপর ফুড়ুৎ করে উড়ে চলে যাচ্ছে অন্য দিকে। কয়েক সেকেন্ড পরেই আবার ফিরে আসছে ওরা। এই কুৎসিত দুনিয়ায় এত সুন্দর দৃশ্য কত দিন দেখি না!
রচনাঃ ১৪/০৮/২০১৩
**********************************************************************************************************************
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

নুরুল মিলন বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নুরুল মিলন।

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: খুব টাচি একটা গল্প! একদম মন খারাপ করে দেওয়ার মত! তবে সত্যিই খুব ভাল লাগলো!

শুভ কামনা হেনা ভাই!

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সাহসী সন্তান।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মন ভালো করবার জন্য একটা তথ্য দিচ্ছি। চিকিৎসা শেষে প্রায় নব্বই শতাংশ সুস্থ ও ভালো চেহারা নিয়ে রোখসানা ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশে ফিরে আসে এবং ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার আমেরিকা প্রবাসী এক খালাতো ভাইয়ের সাথে তার বিয়ে হয়ে যায়। এরপর একই বছরের জুলাই মাসে তারা স্বামী স্ত্রী দু'জনেই আমেরিকা চলে যায়। আমার সাথে তার এখনো যোগাযোগ আছে।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

অশ্রুকারিগর বলেছেন: রোখসানার দূর্ভাগ্য তার জীবনে আসা দুইটা পুরুষই কাপুরুষ ছিলো।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ অশ্রুকারিগর।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

আপনার আপন বলেছেন: BEST N BEST FINISHING

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার আপন।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার গল্প, ভালো লাগল। +।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার পরবর্তি মন্তব্যটার জন্য! খুব ভাল লাগলো আপনার মন্তব্যটা পড়ে, এবং মনটাও ভাল হয়ে গেল! একজন লেখকের জীবনের সব থেকে বড় পাওয়া বোধ হয়, তার কোন প্রিয় পাঠক/পাঠিকার সাথে যোগাযোগ হওয়া! সেদিক থেকে তার সাথে যে আপনার এখনো পর্যন্ত যোগাযোগ আছে এটা জেনে ভাল লাগলো!

প্রত্যেকের জন্যই শুভ কামনা রইলো!

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একজন লেখকের জীবনের সব থেকে বড় পাওয়া বোধ হয়, তার কোন প্রিয় পাঠক/পাঠিকার সাথে যোগাযোগ হওয়া! সেদিক থেকে তার সাথে যে আপনার এখনো পর্যন্ত যোগাযোগ আছে এটা জেনে ভাল লাগলো!

হাঁ, আপনি ঠিক বলেছেন। এদিক থেকে আমি ভাগ্যবান। শুধু রোখসানা নয়, দেশে বিদেশে বহু পাঠক পাঠিকার সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে। ধন্যবাদ সাহসী সন্তান।

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার উপন্যাসের কোন সফট কপি পাওয়া যাবে? সম্ভব হলে লিংক দিয়েন। রোখসানার সাথে আর যোগাযোগ হয় নি?

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রোখসানার সাথে আমার এখনো যোগাযোগ আছে। সে আমেরিকা থেকে মাঝে মধ্যে আমাকে ফোন করে।

স্বপ্ন বাসর উপন্যাসের একটি সৌজন্য কপি (হার্ড কপি) আপনাকে পাঠিয়ে দেব। এখানে অথবা ই মেইলে আপনার নাম ঠিকানা (অবশ্যই পোস্টাল এ্যাড্রেস) দিলে ভালো হয়।

আপনাকে ধন্যবাদ হা মা ভাই। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার ই মেইলঃ [email protected]

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হার্ট টাচিং!!!! :(

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৩

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: অনন্য সাধারণ এবং সুখপাঠ্য একটি গল্প। ভালো লাগলো আর আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি পড়ে চমৎকার ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ ভাই মইনুদ্দিন।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:১৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বিশেষ করে নারী পাঠকদেরকে আমি কখনোই ফোন করিনা।...........কারণটা কি? ভাবীর ভয়!!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হে হে হে। আসল মাজেজা ধইরা ফালাইছেন। মানিকে মানিক চিনে......।

১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:২৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওফ্, মনে হলো আমার অস্থির হৃৎপিণ্ডটা যেন একটু শান্ত হলো।..........আমারো তাই হয়েছিলো, অথচ দেখেন এই গল্পটা আগে আমার পড়া তা মনেই ছিলো না।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্মৃতিশক্তি কমে যাচ্ছে নাকি? তাহলে শিলাজুত খান।

১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এই কুৎসিত দুনিয়ায় এত সুন্দর দৃশ্য কত দিন দেখি না!..........সতয়িই চমৎকার কথামালা

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলেই ভাই এই দুনিয়ার কুৎসিত রূপ দেখলে বড্ড কষ্ট হয়। মানুষ কেন যে এত হিংস্র হয়?

১৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সকাল সকাল চা বিস্কুটের অসংখ্য ধন্যবাদ কামাল ভাই।

১৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

জুন বলেছেন: গল্পটি পড়ে মন ছুয়ে গেল। অবশ্য এমন কাহিনী আমাদের সমাজে অনেক দেখা যায়। কাপুরুষদের কাপুরুষতা। তবে রোখসানা সৌভাগ্যবতী যে বিদেশে গিয়ে চিকিৎস্যর সুযোগ পেয়েছে। কত জনার তো অন্ধকারেই জীবন শেষ হয়ে গেল।
+

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন বোন। রোখসানার মতো সবাই সুচিকিৎসার সুযোগ পায় না।

আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

১৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

জেন রসি বলেছেন: এসিড সন্ত্রাস সমূলে উৎপাটিত হোক।

+++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই জেন রসি।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১০

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: গল্পের ভিতরের গল্পটি অসাধারন।
মন ছঁয়ে গেল।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নয়ন বিন বাহার।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল। উপন্যাসটি পেয়েছেন কী?

১৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

নীলপরি বলেছেন: গল্পটা আপনার লেখার গুনে মন ছুঁয়ে গেল ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

নীলপরি বলেছেন: তবে মন্তব্য থেকে হ্যাপী এন্ডিং জেনে আরো ভালো লাগলো ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, রোখসানা তার খালাতো ভাইকে বিয়ে করে এখন আমেরিকায় ভালোই আছে। তার চেহারা এখন প্রায় স্বাভাবিক। আমার সাথে মাঝে মধ্যে কথাবার্তা হয়।

১৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার একটা গল্প পেলাম আপনার কাছ থেকে !
আমি আগে মনে হয় পড়েছিলাম ! আলো ব্লগে কি দিয়েছিলেন !!

অনেক শুভেচ্ছা রইল হেনা ভাই ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই কাছের মানুষ। আপনি ঠিকই ধরেছেন। এটি রি-পোস্ট।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: কষ্টের সাথে অনেক অনেক ভাললাগা রেখে গেলাম!!!!!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কামরুন নাহার।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩৭

মহা সমন্বয় বলেছেন: তবে আশার কথা হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশে এসিড সন্ত্রাস নেই কিছুকাল আগেও ছিল। :)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একেবারে নেই বলা যাবে না। তবে আগের চেয়ে অনেক কমেছে।

ধন্যবাদ ভাই মহা সমন্বয়। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

সাঈদ মুহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি আগেও পড়েছি, প্রতিটি কথা একেবারে হ্রদয় ছুঁয়ে গেল! "এই কুৎসিত দুনিয়ায় এত সুন্দর দৃশ্য কত দিন দেখিনা"! সারাটি জীবন এই কথাটি স্মৃতি হয়ে থাকবে। প্রভু হে, সুস্থ করে দাও তাঁকে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সাঈদ। ২ নং মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যের প্রতি তোমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, রোখসানা এখন ভালো আছে। তার সাথে আমার মাঝে মধ্যে কথাবার্তা হয়।

ভালো থেকো। শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,



গতানুগতিক নয় , একটু অন্য ধরনের গল্প । মনে হয় যেন, সত্যি । উপস্থাপনটা তেমনই । ++

এই কুৎসিত দুনিয়ায় কিছু কিছু সুন্দর দৃশ্য থাকেই । চোখ থাকলে তা দেখা যায় ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, এটা সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা গল্প। উপরের ২, ৭ ও ১৮ নং মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যগুলো পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন।

ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:০৭

ফরিদ আহমাদ বলেছেন: মেয়েটির সাথে আর যোগাযোগ হয়েছে..??

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ৭ নং মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যের প্রতি তোমার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ধন্যবাদ ফরিদ আহমাদ। অনিবার্য কারণে উত্তর দিতে বিলম্ব হওয়ায় দুঃখিত।

ভালো থেকো। শুভকামনা রইল।

২৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার বর্ণনা শৈলী চমৎকার!! অসাধারণ লিখেন আপনি।
আপনার কয়টি বই বেরিয়েছে? প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নাম কি ?
আপনাকে অনুসরনে নিলাম।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন। অনিবার্য কারণে উত্তর দিতে বিলম্ব হওয়ায় দুঃখিত।

'স্বপ্ন বাসর' নামে আমার একটি মাত্র উপন্যাস ( আত্মজৈবনিক উপন্যাস ) বেরিয়েছে। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নাম কেয়া পাবলিশার্স।

অনুসরণে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সংগ্রহের আশা রাখলাম ইনশাল্লাহ!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.