নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ ফাতেমার প্রেম

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

সালিসের রায় শুনে সারা গাঁয়ে হৈ হুলস্থুল পড়ে গেল। একাত্তরের যুদ্ধের পর দীর্ঘ চুয়াল্লিশ বছরে এই গাঁয়ে এমন তোলপাড় আর কখনো হয়নি। চারদিকে চাপা উত্তেজনা। মনা মণ্ডলের দোকানে চায়ের বিক্রি বেড়ে গেল। বিড়ি সিগারেটের ধোঁয়ায় চায়ের দোকান অন্ধকার। গ্রামের বউ ঝিরা ঘরে বাইরে, পুকুর ঘাটে, কলের পাড়ে ছি ছি করতে করতে মুখের থুতু শুকিয়ে ফেললো। গাঁয়ের একদল অতি উৎসাহী যুবক বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরাতন জুতা স্যান্ডেল সংগ্রহের কাজে নেমে পড়লো।

ঘটনা হলো, পালপাড়ার কুমোর সতীশ পালের ছেলে অশোক পাল গাঁয়ের ক্ষেতমজুর আব্দুল হাকিমের মেয়ে ফাতেমাকে নিয়ে পালিয়েছে। এই প্রত্যন্ত নিরিবিলি গ্রামে এমন ঘটনা এই প্রথম। এর আগে এমন লজ্জার কথা কেউ শোনেওনি, এমন ঘটনা কেউ দেখেওনি। হিন্দু ছেলের সাথে মুসলমান মেয়ে পালিয়েছে। বোমা পড়ার মতোই ঘটনা বটে।

সালিসের হর্তাকর্তারা গম্ভীর মুখে নিজ নিজ মতামত দিলেন। ইউ পি চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী বললেন, এই ঘটনা শুধু এই গ্রামের নয়, পুরো ইউনিয়নের মাথা হেঁট করে দিয়েছে। মেম্বার গনি মিয়ার মত হলো, গ্রামের সব নারী পুরুষের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এর একটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। মসজিদের ইমাম সাহেব বললেন, এই ব্যাভিচারের শাস্তি একশো ঘা দোররা। কিন্তু সমস্যা হলো যারা এ কাজ করেছে, তারা তো পালিয়ে গেছে। দোররাগুলো মারা হবে কাকে? শেষে প্রায় দেড় ঘণ্টা বাক বিতণ্ডার পর রায় হলো, যেহেতু ব্যাপারটা হঠাৎ করে ঘটেনি, অশোক ও ফাতেমার মধ্যে গোপনে অনেকদিন ধরে ফষ্টিনষ্টি চলছিল-যা দুই পরিবারের প্রশ্রয় ছাড়া সম্ভব নয়, সেহেতু এটা পরিস্কার যে এদের দুই পরিবার এই ঘটনার জন্য দায়ী। অতএব, দুই পরিবারের দুই মাথা সতীশ পাল ও আব্দুল হাকিমকে শাস্তি পেতে হবে। তাদের শাস্তি হলো পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, পঁচিশ ঘা বেত ( একশো ঘা বেত্রাঘাতে দুই বুড়ো মরে গেলে আরেক কেলেঙ্কারি হবে ), মাথা কামিয়ে মুখে চুনকালি লেপন এবং গলায় জুতার মালা পরিয়ে সারা গ্রামে ঘোরানো।

বয়োঃবৃদ্ধ মুরুব্বিরা এই রায়ে খুব খুশি। কেননা এতে গ্রামের ইজ্জত রক্ষা হবে। ভবিষ্যতে এমন কেলেঙ্কারি করতে কেউ সাহস পাবে না। কিছু মুরুব্বি আমতা আমতা করলেন। কলেজে পড়া দু’একজন যুবক নিচু স্বরে আপত্তিও করলো। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের হাত তালিতে তাদের সেসব দুর্বল প্রতিবাদ ধামাচাপা পড়ে গেল। ঘটনাবিহীন নিস্তরঙ্গ পল্লী জনপদে এমন জবরদস্ত শাস্তি দেখার জন্য সবাই উদগ্রীব। নারী পুরুষ সবার মধ্যে টান টান উত্তেজনা। ছোটখাটো আপত্তি, আরও ভেবে দেখার অনুরোধ সব ভেসে গেল খড়কুটোর মতো।

ছেলে মেয়ের মতো ওদের বাপেরাও যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য তাদের আটকে রাখা হলো গ্রামের প্রাইমারী স্কুলের একটা ঘরে। দরজায় বড় সড় একটা তালা ঝুলিয়ে লাঠি হাতে ঘরের সামনে পাহাড়ায় বসে গেল চার জন উৎসাহী যুবক। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাঁড়ির তলা চেঁছে কালি জোগাড় করা হলো। স্বেচ্ছাসেবীদের গাঁটের পয়সা খরচ করে চুন কেনা হলো। আর পুরাতন জুতা স্যান্ডেল সংগ্রহের কথা তো আগেই বলা হয়েছে। সতীশ পালের গাই গরু আর আব্দুল হাকিমের রামছাগল হাটে তুলে বিক্রি না করা পর্যন্ত জরিমানার টাকা পরিশোধ করা যাচ্ছে না বলে মানবিক কারণে সামনের হাটবার পর্যন্ত তাদেরকে সময় দেওয়া হলো। তবে অন্য দুটো শাস্তি আজই কার্যকর করা হবে। এই দুটো শাস্তির মধ্যে বেত আগে, না জুতা আগে এই নিয়ে সালিসে বেশ তর্ক বিতর্ক হলো। আগে বেত মারার কারণে আসামীরা হাঁটতে অসমর্থ হয়ে পড়লে জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘুরানো সম্ভব হবে না। অতএব সিদ্ধান্ত হলো, জুতা আগে।

সালিসের রায় হবার পর থেকে চারদিকে সাজ সাজ রব। গ্রামের কমবয়সী ছেলেপুলেরা কাঠি লজেন্স মুখে নিয়ে মহা উৎসাহে ঘুরে বেড়াচ্ছে স্কুলের মাঠে। চারপাশে বাড়িঘরের মেয়েলোকেরা দরজা জানালার ফাঁক দিয়ে ঘোমটার ভেতর থেকে উঁকিঝুঁকি মারছে স্কুলের দিকে। মুসল্লিরা নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বেরোবার সময় কটমট করে তাকাচ্ছে সেদিকে। সব মিলিয়ে টান টান উত্তেজনা।

দুই বুড়োকে জুতার মালা পরিয়ে বিকেলবেলা ঘুরানো হবে। তার আগে তাদের মাথা কামিয়ে মুখে চুনকালি মাখানো হবে। বেত একটা জোগাড় করা হয়েছে বটে, তবে সেটা অনেকেরই মনঃপুত হচ্ছে না। প্রাইমারী স্কুলের বাচ্চাদের পেটানোর জন্য মহসিন মাস্টারের এই বেত আনা হয়েছে তার বাড়ি থেকে। অতি ব্যবহারে বেতের অবস্থা করুণ। কর্তব্যকর্মের মাঝপথে বেতের দফা রফা হয়ে যেতে পারে। উদ্যোক্তারা শলাপরামর্শ করে বয়েনউদ্দিনের বাঁশের ঝাড় থেকে গোটা চারেক কাঁচা কঞ্চি কেটে নিয়ে এলো। সেগুলোর শক্ত গিরা দা’ দিয়ে কেটে সাইজ করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লো একজন। পাশের গ্রামের শীলপাড়া থেকে নাপিত আনা হয়েছে মাথা কামানোর জন্য। চামড়ার টুকরায় ঘষে ঘষে ক্ষুরের ধার তুলছে মাঝবয়সী নাপিত ঘনা শীল। তার চোখে মুখে কৌতূহল। জীবনে সে বহু মাথা কামিয়েছে, কিন্তু এমন শাস্তির জন্য মাথা কামানো তার জীবনে এই প্রথম। তাই তার উৎসাহের ঘাটতি নাই।

দুপুরের পর স্কুলঘর থেকে আসামীদের হাত বাঁধা অবস্থায় বের করে আনা হলো। স্কুলের উত্তরে পুকুরের পাশে ছাতিয়ান গাছের নিচে মাটির ওপর বসানো হলো ওদের। এখানে ওদের মাথা কামানো হবে। কিন্তু ঘনা শীলের মন খারাপ। দু’জনের মাথা কামানো হবে বলে আনা হয়েছে তাকে। এখন দেখা যাচ্ছে একজনের মাথায় কোন চুলই নাই। সতীশ পালের মাথায় চকচকে টাক। ঘাড় ও কানের ওপর সামান্য ক’টা শণ পাটের মতো সাদা চুল। সে চুল না কামালেও চলে। ঘনা শীল সে কথা বলতেই সবাই খাঁই খাঁই করে তেড়ে এলো ওর দিকে। ওই চুলও চেঁছে ফেলতে হবে। পুরো মাথাসহ আশপাশটা হতে হবে চকচকে নতুন আয়নার মতো। কোন ধানাই পানাই চলবে না। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে পানের পিক ফেলে হাসিমুখে কাজে লেগে গেল ঘনা শীল। তার জন্য গ্রামের এক বাড়ি থেকে গোটা চারেক খিলি পান একটা পিরিচে করে সাজিয়ে আনা হয়েছে। নরসুন্দররা পান খায় তা’ সবাই জানে। পানের অভাবে তার কাজে কোন খুঁত হোক তা’ কেউ চায় না। কিন্তু সমস্যা হলো আব্দুল হাকিমের বেলায়। তার মাথা কামানো শেষ করে ঘনা শীল জিজ্ঞেস করলো, ‘দাড়ি কী থাকবে, না ফেলে দেব?’

তাই তো! দাড়ির কথা তো ভাবা হয়নি। আব্দুল হাকিমের মুখ ভর্তি কাঁচাপাকা চাপ দাড়ি। সেগুলো কী রেখে দেয়া হবে, না ফেলে দেয়া হবে এ ব্যাপারে সালিসের কোন নির্দেশ নাই। উদ্যোক্তারা বুঝতে পারছে না কী করা উচিৎ। ঘনা শীলকে অপেক্ষা করতে বলে উদ্যোক্তাদের কয়েকজন চলে গেল মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে। ইমাম সাহেব সমস্যার কথা শুনে নিজেও সমস্যায় পড়ে গেলেন। নবীজির সুন্নত কেটে ফেলা যায় না, আবার রেখে দিয়ে জুতার মালা গলায় পরালে জুতার স্পর্শে সুন্নতের অবমাননা হবে। তা’ ছাড়া গাল ভর্তি চাপ দাড়ি রেখে দিলে গালে চুন কালি মাখানো মুশকিল। দাড়ির ওপরেই চুন কালি মেখে দেওয়া যায়, কিন্তু তাতেও তো সুন্নতের অবমাননা। এই কাজ কখনোই করা সম্ভব নয়। ইমাম সাহেব বুঝতে পারছেন না কী বলবেন। শেষে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত হলো। শাস্তি কার্যকরের জন্য চেয়ারম্যান সাহেব ও সালিসের অন্যান্য লোকজন এলে তখন দাড়ির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।

আব্দুল হাকিমের ছেলে এবং সতীশ পালের বউ তাদের জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে এসেছে। ছেলেটির বয়স চৌদ্দ পনের হবে। বাপের সামনে ভাতের থালা এগিয়ে দিয়ে চোখ মুছছে সে। সতীশ পালের প্রৌঢ়া বউ স্বামীর সামনে ভাতের থালা রেখে পালাগানের মতো একটানা সুর করে কাঁদছে। আসামীদের হাতের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়েছে। তারা কাঁদতে কাঁদতে ভাত খাচ্ছে। চারপাশ ঘিরে সবাই উপভোগ করছে তাদের ভাত খাওয়ার দৃশ্য।

আসামীদের পাহাড়াদার চার যুবকসহ উদ্যোক্তাদের সবার জন্য খিচুড়ি রান্না করা হচ্ছে। আসামীদের শাস্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এরা কেউ বাড়ি যাবে না। বিরাট দায়িত্ব। গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল ডাল, আলু পটল, হাঁড়ি পাতিল এসব চেয়ে আনা হয়েছে। ছাতিয়ান গাছের নিচে গর্ত খুঁড়ে চুলা বানিয়ে খিচুড়ি রান্না করা হচ্ছে। কাঁচা খড়ির ধোঁয়ায় চারদিক অন্ধকার।

আসামীদের খাওয়া শেষ হলে আবার পিছমোড়া করে তাদের হাত বেঁধে স্কুলঘরে ঢুকিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হলো। চার যুবক বসে গেল পাহাড়ায়। আব্দুল হাকিমের ছেলে আর সতীশ পালের বউ বাড়ি না গিয়ে এঁঠো থালা হাতে দূরে বসে নিঃশব্দে কাঁদছে। তাদের কান্নাকাটিকে গুরুত্ব দেওয়ার মতো সময় নেই কারো। সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত। কলাগাছের পাতা কেটে আনা হয়েছে। সেই পাতায় গরম গরম খিচুড়ি নিয়ে খেতে বসেছে সবাই। আজাদ নামে আটাশ বছরের এক যুবক ইতিমধ্যেই উদ্যোক্তাদের নেতা বনে গেছে। বি,এ ফেল হলেও গাঁয়ে একমাত্র আজাদই শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে পারে। তাই নেতৃত্বটা কব্জা করা তার জন্য কঠিন হয়নি। তা’ ছাড়া গ্রামের সব ব্যাপারেই সে এক পা এগিয়ে থাকে। চেয়ারম্যান মোকছেদ আলীরও সে পেয়ারের লোক। নিজে না খেয়ে অন্যদের খাওয়া দেখভাল করছে সে। এদের সবার খাওয়া শেষ হলে সে খাবে। খিচুড়িতে টানাটানি পড়বে কী না হাঁড়ির ঢাকনা তুলে বার বার পরখ করছে সে। একবার মনে হচ্ছে টান পড়বে, আবার মনে হচ্ছে পড়বে না। বিনে পয়সার খিচুড়ি। সবাই হাতের কব্জি পর্যন্ত মাখামাখি করে খাচ্ছে। এক পর্যায়ে সত্যি সত্যিই খাবার ফুরিয়ে গেল। নেতা আজাদের আর খাওয়া হলো না। কিন্তু তাতে কী? নেতা হলে কত কিছু সহ্য করতে হয়!

কোত্থেকে এক হিজড়া এসে ঘোরাঘুরি করছে স্কুলের মাঠে। এই হিজড়ার অত্যাচারে স্বেচ্ছাসেবীরা অতিষ্ঠ। গ্রামের বাড়ি বাড়ি থেকে চেয়ে আনা জুতা স্যান্ডেলের স্তূপ থেকে একজোড়া স্যান্ডেল তুলে নিয়ে নিজের পায়ে পরে সারা মাঠ ঘুরে বেড়াচ্ছে সে। স্বেচ্ছাসেবীদের কারো কারো গালে হাতের তালু দিয়ে হাল্কা করে চাঁটা মেরে বলছে, ‘যাহ্‌, তোরা সব নিম মরদ। লাইলী মজনু পালিয়ে গেল তো তোদের ক্যানে ঘুম নাই?’
নেতা আজাদ এসে কঞ্চিপেটা করে হিজড়ার পা থেকে স্যান্ডেল খোলালো। তারপর সে নির্দেশ দিতেই একদল বাচ্চা ছেলেমেয়ে হৈ হৈ করে তাড়া করলো হিজড়াকে।

গ্রামের একমাত্র কবি স্বঘোষিত ‘কাব্যরত্ন’ ইমান আলী এস এস সি। মাধ্যমিক পাশ করার পর থেকে সে তার নামের শেষে এস এস সি টাইটেল ব্যবহার করে। সালিসের রায় হবার পর পরই সে স্কুলের বারান্দায় বসে ‘ফাতেমার প্রেম’ নামে একটা কবিতা লিখে ফেলেছে। এখন সেই কবিতা নিয়ে সে অনেকক্ষণ থেকে নেতা আজাদের পিছে ঘুর ঘুর করছে। তার উদ্দেশ্য হলো শাস্তি প্রদান অনুষ্ঠানে কবিতাটি পাঠ করা। এ জন্য নেতার অনুমতি চাই। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে কবিতাটি পড়ে দেখার সময় পাচ্ছে না নেতা। এমন একটা ভাবগম্ভীর অনুষ্ঠানে তো যেন তেন ফাউল কবিতা পড়ার অনুমতি দেওয়া যায় না। কাব্যরত্নের কাব্য প্রতিভায় গ্রামের লোকের আস্থা কম। কিন্তু কাব্যরত্নের ক্রমাগত ঘ্যানর ঘ্যানর শুনতে শুনতে এক সময় বিরক্ত হয়ে তার কবিতাটা পড়তেই হলো নেতাকে।

কবিতার শীর্ষে একটি সংখ্যাঃ ৭৮৬ তারপর কবিতার শিরোনামঃ ফাতেমার প্রেম
হায় ফাতেমা, তুমি কেন আজ এই বাজে কাজ করলে?
প্রেমের তরে সব ছেড়ে আজ পালের নায়ে চড়লে!
ইমান আলীর স্টিমার ছিল, দেখলে না তা’ একবারও
সময় তোমার হলো না হায় আমার দিকে দেখবারও
হায় ফাতেমা...........................

আর পড়ার ধৈর্য হলো না নেতার। ফাতেমা একটু আলটপকা গোছের মেয়ে ছিল বলে নেতা আজাদ নিজেও সামান্য দুর্বল ছিল তার প্রতি। কিন্তু তাই বলে ইমান আলীর মতো হাফ ম্যাডও............! ছি ছি ছি। কবিতার কাগজটা টুকরা টুকরা করে ছিঁড়ে ফেলে দিল নেতা। বললো, ‘এসব কী লিখেছ তুমি? এইগুলা কী এসব অনুষ্ঠানে পড়া যায়? তুমি পাবনা মেন্টালে গিয়ে ভর্তি হও। আহাম্মক কোথাকার!’
কবিতা ছিঁড়ে ফেলা আর ইমান আলীর কলিজা ছিঁড়ে ফেলা একই কথা। ব্যথায় মুখটা কুঁচকে গেল তার। কাগজের টুকরা গুলো মাটি থেকে কুড়িয়ে নিয়ে মন খারাপ করে চলে গেল সে। নিজেকে সে এই বলে সান্ত্বনা দিল যে কবিতা সবাই বোঝে না।

পাটের রশি দিয়ে জুতার মালা গাঁথার কাজ শেষ হয়েছে। ছেঁড়া ফাটা পরিত্যক্ত সব জুতা স্যান্ডেল। তবে তার মধ্যে দু’এক জোড়া পরার মতোও আছে। আসামীদের গ্রাম প্রদক্ষিন শেষে এগুলো ফেরত দেবার শর্তে চেয়ে আনা হয়েছে। কাঁচা কঞ্চিগুলোর গায়ে শর্ষের তেল মেখে আরও মসৃণ করা হচ্ছে। যারা বেত্রাঘাত করবে, তাদের নামের লিস্ট তৈরি করা হচ্ছে। অনেকেই এ কাজে অংশ নিতে চায়। কিন্তু নেতা আজাদ যাদের নাম বলছে তাদের বাইরে কারো নাম লেখা হচ্ছে না। স্কুলের বারান্দার সামনে তিরপল খাটিয়ে চেয়ার টেবিল সাজানো হচ্ছে। চেয়ারম্যান সাহেবের জন্য গদিওয়ালা কাঠের চেয়ার, অন্যান্যদের জন্য প্লাস্টিকের।

ঠিক এই সময় উপজেলা সদর থেকে দুটো মোটর সাইকেলে চড়ে দু’জন এনজিও কর্মী ও একজন মহিলা সাংবাদিক এসে হাজির। তাদের চোখ মুখ পাথরের মতো শক্ত। এখানে কী ঘটছে সে বিষয়ে তারা জানতে চায়। কোত্থেকে খবর পেয়ে এই অজ পাড়াগাঁয়ে এসে তারা হাজির হলো কে জানে! মোবাইলের যুগে এই এক জ্বালা। কোন কিছুই আর চাপা থাকছে না।
নেতা আজাদ ও অন্যান্যদের সাথে কথাবার্তা বলে সাংবাদিক ও এনজিও কর্মীরা স্কুল ঘরে গেল। সেখানে ঘরের তালা খুলিয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় সতীশ পাল ও আব্দুল হাকিমকে স্কুলের বারান্দায় এনে তাদের ছবি তুললো মহিলা সাংবাদিক। ছবি তোলা নিয়ে নেতা আজাদের সাথে সামান্য বাক বিতণ্ডা হলো তার। ছবি কার অনুমতিতে তোলা হলো—আজাদের এই নেতাসুলভ প্রশ্নে সাংবাদিকের পাল্টা প্রশ্ন, ‘অনুমতি কার কাছে নিতে হবে?’ নেতা আজাদ সন্তোষজনক জবাব দিতে না পেরে গাঁইগুঁই করে থেমে গেল। উপস্থিত লোকজনের মধ্যে মৃদু গুঞ্জন শোনা গেল। একটা মিনি টেপ রেকর্ডার অন করে আসামীদের সাথে কথা বলা শুরু করলো সাংবাদিক ও এনজিও কর্মীরা।
‘আপনাদের হাত বাঁধা কেন?’
উত্তর নাই।
‘আপনার মেয়েকে নিয়ে ওনার ছেলে পালিয়েছে?’
এবারও উত্তর নাই।
‘আজ সকালে এ ব্যাপারে গ্রামে সালিস হয়েছে?’
‘কারা সালিস করেছে?’
‘সালিসে কী রায় হয়েছে বলুন।’
সতীশ পাল ও আব্দুল হাকিম দু’জনেই চুপচাপ। তারা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে প্রশ্নকর্তাদের দিকে।
‘দেখুন, আমরা একটি মানবাধিকার সংস্থার লোক। আমাদেরকে সব খুলে বলুন। কোন ভয় নাই। প্রয়োজন হলে থানা পুলিশের সাহায্য নিয়ে আপনাদের মুক্ত করা হবে। কেউ আপনাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। এখন বলুন কারা সালিস করেছে আর সালিসের রায় কী?’
ভয়ার্ত চোখে প্রশ্নকর্তাদের দিকে তাকিয়ে আছে দুই বুড়ো। দু’জনের কারো মুখে টুঁ শব্দ নেই।
‘আপনাদের পালিয়ে যাওয়া ছেলে মেয়ের বয়স কত?’
নেতা আজাদ ভীষণ রেগে গেল। বললো, ‘ওদের বয়স দিয়ে আপনাদের কী কাম?’
‘আপনি বলতে পারবেন ওদের বয়স কত?’ এবার নেতা আজাদকে সাংবাদিকের সরাসরি প্রশ্ন।
‘জানি না।’ নেতার কথায় স্পষ্ট বিরক্তি।
‘আপনি কী এদের হাত বেঁধেছেন?’
‘জি না।’
‘কে বেঁধেছে জানেন?’
‘জি না, জানি না।’
‘সালিসে চেয়ারম্যান সাহেব ছাড়া আর কে কে ছিল? আপনি নিজে ছিলেন কী?’
‘জি না।’
নেতা আজাদের উত্তর শুনে উপস্থিত সবার মধ্যে একটা চাঞ্চল্য দেখা দিল। নেতা আজাদ রণে ভঙ্গ দিচ্ছে এবং নিজের চামড়া বাঁচানোর চেষ্টা করছে সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে। সকালে হলো সালিস, আর বিকেল হতে না হতেই সব কিছু কেমন বদলে যাচ্ছে। নিজেদের মধ্যে ফিস ফিস করে কথাবার্তা বলে কেউ কেউ সটকে পড়লো। অন্যেরা চোখে মুখে ভয় নিয়ে পাথরের মূর্তির মতো নিজ নিজ জায়গায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল।

মহিলা সাংবাদিক ইতিমধ্যে নেতা আজাদের ছবি তুলে জনতার ছবি তোলার আয়োজন করছে। লোকজন হাত দিয়ে চেহারা আড়াল করে একে একে কেটে পড়তে লাগলো। দশ মিনিটের মধ্যে ফাঁকা হয়ে গেল মাঠ। নেতা আজাদও গায়েব। শুধু আব্দুল হাকিমের ছেলে আর সতীশ পালের বউ কাঁদো কাঁদো মুখে বসে আছে মাঠে। তারা থাকবে, না চলে যাবে বুঝতে পারছে না। ছবি তোলার জন্য মহিলা সাংবাদিককে পীড়াপীড়ি করছে হিজড়া। তার একটা ছবি তুলে দিতে হবে। সাংবাদিকের সাথে সাথে এনজিও কর্মীরাও বিব্রত। তারা নিজেদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে মোটর সাইকেলে চেপে দ্রুত স্থান ত্যাগ করলো। শুধু হাত বাঁধা অবস্থায় দুই বুড়ো বসে রইল স্কুলের বারান্দায়।

এক ঘণ্টা পর থানার দারোগা হযরত আলীর নেতৃত্বে পিক আপে চড়ে ছয়জন পুলিশ এসে হাজির। এই দারোগার স্ত্রী কয়েকমাস আগে আর এক দারোগার সাথে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে হযরত আলীর কথাবার্তা একটু আউলা ঝাউলা। দুই ছেলের মা এভাবে তার স্বামী সন্তান ফেলে পালিয়ে যাবে স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। স্ত্রী শোক কাটিয়ে উঠলেও হযরত আলীর কথাবার্তা চলাফেরার কোন সিরিয়াল নাই। থানা থেকে বেরিয়ে কখন কী কাজে যাচ্ছেন ঠিকঠাক মনে রাখতে পারেন না। এক তদন্তে বেরিয়ে আর এক তদন্ত করে আসেন। দোকানে চা খেয়ে ভুল করে চায়ের দাম দিয়ে দেন। এরকম ভুলভাল তার লেগেই থাকে।

পিক আপ থেকে নেমে ফাঁকা মাঠে হযরত আলী ভীষণ হম্বিতম্বি শুরু করলেন। মাঠের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত অহেতুক হাঁটাহাঁটি করে স্কুলের বারান্দায় আসামীদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন তিনি। হাতের ছড়ি সাঁই সাঁই করে শূন্যে ঘুরিয়ে ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তাহলে ব্যাটা তোরাই সেই দুই চোর?’
সতীশ পাল ও আব্দুল হাকিম আরও জড়োসড়ো হয়ে পরস্পরের গা ঘেঁসে বসলো। সেপাইদের একজন বললো, ‘স্যার, এটা তো চুরির কেস না। ওসি স্যার বলছিলেন একটা সালিসে নাকি এদের...............।’
‘শাট আপ!’ হযরত আলী দারোগা ধমক দিয়ে বললেন, ‘গ্রামের লোকজন হাত বেঁধে বসিয়ে রেখেছে এদের। আর তুমি বলছো এরা চুরি করেনি! আসামীর হয়ে সাফাই গাইছো তুমি? এর মধ্যেই মাল খেয়ে ফেলেছ?’
‘এসব কী বলছেন স্যার?’ প্রায় কেঁদে ফেলার উপক্রম হলো সেপাইটির।
‘স্টপ! ফুল স্টপ! একদম কথা বলবে না। আমি নিজে পুলিশ, আর তুমি আমাকে পুলিশ চেনাচ্ছো?’

ভুরু কুঁচকে চোখের কোনা দিয়ে আব্দুল হাকিমের ছেলে আর সতীশ পালের বউকে দেখে ফেলেছেন হযরত আলী। সেপাইদের তিনি ইঙ্গিত করলেন ওদের ধরে আনার জন্য। দু’জন সেপাই গিয়ে ধরে নিয়ে এলো ওদের। হযরত আলী ছড়ি হাতে ওদের চারপাশে দু’বার চক্কর দিয়ে এসে ফৌজি কায়দায় বুক টান করে দাঁড়িয়ে পড়লেন। চিন্তিত ভঙ্গিতে দাঁত দিয়ে আঙ্গুলের নখ খুঁটতে লাগলেন তিনি। মনে হচ্ছে এই বালক আর আধবুড়ো মহিলাটি তার জন্য বিরাট সমস্যা সৃষ্টি করেছে। তারা ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে আছে হযরত আলীর দিকে। সেপাইরাও তটস্থ। দারোগা সাহেব স্ত্রী শোকে মাথা আউলা মানুষ। কখন কী করেন বুঝা মুশকিল।

নেতা আজাদ পালিয়ে গিয়ে ইতিমধ্যে মোবাইল ফোনে ঘটনা জানিয়ে দিয়েছে চেয়ারম্যান সাহেবকে। শাস্তি প্রদান অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য চেয়ারম্যান সাহেব তার লোকজন নিয়ে রওনা হয়েছিলেন। নেতা আজাদের ফোন পেয়ে তিনি অট্টহাসি দিয়ে বললেন, ‘অমন দু’চারটা সাংবাদিক আর এনজিওর লোক আমার পকেটে থাকে, বুঝলি? ওসব নিয়ে মাথা ঘামাস না আজাদ। সব কিছু রেডি করে ফেল। আমরা আসছি।’
‘কিন্তু ওরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ এসেছে।’
‘পুলিশ? পুলিশ কেন আবার এর মধ্যে? ওরা কখন এলো?’
‘ওই তো বললাম না এনজিওর লোকেরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ এসেছে। আমরা দূর থেকে ফলো করছি ওদের।’
‘তো পুলিশ কী করছে ওখানে?’ জোঁকের মুখে লবন পড়ার মতো দুর্বল কণ্ঠস্বর চেয়ারম্যান সাহেবের। এই পুলিশ জাতটা বড় ঠ্যাঁটা। ছাই দিয়ে রশি পাকায়।
‘ওরা স্কুলের বারান্দা থেকে আসামীদের গাড়িতে তুলেছে। এখন দেখা যাচ্ছে ওরা সতীশের বউ আর হাকিমের ছেলেকে হ্যান্ডকাফ দিয়ে গাড়িতে তুলছে।’
‘কী বলছিস তুই?’
‘যা দেখছি তাই বলছি চেয়ারম্যান সাহেব। সেপাইরা জুতার মালা দুটো কোলে নিয়ে বসে আছে পিক আপে। মনে হয় আলামত হিসাবে জব্দ করেছে।’
‘বলিস কী? আচ্ছা, ইমাম সাহেব কোথায়?’
‘উনি পালিয়েছেন। গ্রামের বেশির ভাগ পুরুষ মানুষ পালিয়ে গেছে। আমরা শুধু চার পাঁচজন সাহস করে এখনো আছি। মহসিন মাস্টারের বাড়ির পেছনে রান্নাঘরের টালির ছাদে উঠে দূরবীন দিয়ে সব দেখছি।’
‘দূরবীন? দূরবীন কোথায় পেলি?’
‘গত বছর চড়কের মেলায় লটারি খেলে পেয়েছি।’
‘দাম কত রে? সব পরিস্কার দেখা যাচ্ছে?’
‘দাম তো জানি না। হাঁ, পরিষ্কারই তো দেখছি।’
‘আচ্ছা, তুই ফোন রাখ।’ চেয়ারম্যান সাহেব বললেন, ‘আমি থানায় যাচ্ছি। দেখি কী করা যায়। দেশটা তো এখনো মগের মুল্লুক হয়ে যায়নি।’

সন্ধ্যের পর থানায় হাজির হয়েছেন চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী। ওসির চেম্বারে বসে আছেন তিনি। এনজিওর সেই দুই কর্মী ও মহিলা সাংবাদিকও হাজির। এদিকে দারোগা হযরত আলী চেম্বারের মেঝের ওপর চিত হয়ে চোখ বুঁজে শুয়ে আছেন। পুরাতন মৃগী রোগে মূর্ছা গেছেন তিনি। সেপাইদের চামড়ার বুট জুতা তার নাকে ধরে শোঁকানো হচ্ছে। ওসি সাহেব আশ্বাস দিচ্ছেন পাঁচ মিনিটের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। হলোও তাই। হযরত আলী জ্ঞান ফিরে পেয়ে একদম সুস্থ মানুষের মতো ওসি সাহেবের পাশের চেয়ারে গিয়ে বসলেন। চেয়ারম্যান সাহেবের লোকজন থানার বারান্দায় গুণ্ডাপাণ্ডার মতো মুড নিয়ে ঘোরাফিরা করছে।
সতীশ পাল, আব্দুল হাকিম ও তার ছেলে থানার পুরুষ হাজতে বসে নির্বাক চোখে তাকিয়ে আছে। মহিলা হাজতে সতীশ পালের বউ গরাদের শিক ধরে মাথা নিচু করে সুরেলা গলায় কাঁদছে। তার পেছনে দাঁড়িয়ে ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী এক মহিলা বার বার বিরক্ত করছে তাকে, ‘কয় বোতল নিয়া ধরা খাইছেন খালা? কন না ক্যান?’

‘আপনারা বলছেন ওদের ছেলে মেয়ে প্রেম করে পালিয়ে যাওয়ায় গ্রাম্য সালিসে বিচার করে ওদেরকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল সেখানে?’ ঠাণ্ডা গলায় প্রশ্ন করলেন ওসি সাহেব।
একজন এনজিও কর্মী বললো, ‘জি হাঁ।’
‘কিন্তু আমার এস আই সাহেব বলছেন ওরা জুতা চুরি করেছে। তাই গ্রামের লোকজন ওদের পাকড়াও করে হাত বেঁধে বসিয়ে রেখেছিল।’
‘ইয়েস! দে আর জেনুইন জুতাচোর।’ একজন সেপাইকে জুতাগুলো আনার জন্য ইশারা করলেন হযরত আলী। বললেন, ‘হযরত আলী প্রমান ছাড়া কোন কেসে হাত দেয় না।’
সেপাই জুতার মালা গুলো নিয়ে এলে ওসি সাহেব বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘এতগুলো জুতা স্যান্ডেল চুরি হলো, অথচ একটা বাড়ির লোকও টের পেল না? এটা কেমন কথা?’
‘স্যার।’ হযরত আলী মুচকি হেসে বললেন, ‘বাড়ি থেকে তো চুরি করেনি ওরা। মুসল্লিরা যখন নামাজ পড়ছিল, তখন মসজিদের বারান্দা থেকে জুতাগুলো চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছিল হারামজাদারা। দেখতে পেয়ে গ্রামের লোকজন ওদের ধরে ফেলে। কী সোলেমান, ঠিক কী না?’
জুতার মালা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সেপাই সোলেমান খুব কষ্টের সাথে মাথা নেড়ে সায় দিল।
মহিলা সাংবাদিক বললো, ‘আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে এস আই সাহেব। আমাদের কাছে যা ইনফরমেশন আছে, তাতে এটা জুতা চুরির কোন কেসই না। ওই যে সতীশ পালকে দেখছেন, ওর ছেলের সাথে আব্দুল হাকিমের মেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় গ্রামের লোকেরা সতীশ পাল আর আব্দুল হাকিমকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করছিল। চেয়ারম্যান সাহেব সালিস ডেকে বিচার করেছেন। ওনাকেই জিজ্ঞেস করুন না।’
চেয়ারম্যান সাহেব গম্ভীর মুখে বললেন, ‘আপনি কোন্ সালিসের কথা বলছেন, বলুন তো। আমার ইউনিয়নে একুশটা গ্রাম। প্রতিদিনই একটা না একটা সালিসে আমাকে যেতে হয়। মারামারি, পিটাপিটি, বউ তালাক, হিল্লা বিয়ে, আইল কাটা, কলা চুরি, গরু চুরি সালিসের কী শেষ আছে? আমরা সালিসে এসব মীমাংসা করে দেই বলে থানায় মামলা মোকদ্দমা কম হয়। তা’ না হলে ওসি সাহেবরা বাথরুমে যাওয়ার সময় পেতেন না। কী ওসি সাহেব, ঠিক না?’
ওসি সাহেব বললেন, ‘তাহলে আপনি বলছেন এরকম কোন সালিস হয়নি?’
‘আমার তো মনে পড়ছে না।’

এই সময় হযরত আলী দারোগা চেয়ার ছেড়ে উঠে হাজত ঘরের সামনে গিয়ে কষে ধমক লাগালেন আসামীদের, ‘এই ব্যাটা, তোরা চুপ করে আছিস কেন? জুতা চুরি করেছিস কী না ওসি স্যারকে বল।’
পঁচিশ ঘা বেত, পাঁচ হাজার টাকা ফাইন আর মুখে চুনকালি মেখে জুতার মালা পরে গ্রামে ঘোরার চেয়ে মসজিদের জুতা চুরির অভিযোগ কবুল করে এক মাস জেল খেটে আসা অনেক ভালো। জুতা তো আর তারা সত্যি সত্যিই চুরি করেনি। গ্রামের সবাই সেটা জানে। মিথ্যে মামলায় সাজা হলে তারা বরং গ্রামের লোকের কাছে সহানুভূতিই পাবে। অশোক আর ফাতেমার ব্যাপারটাও ধামাচাপা পড়ে যাবে। ভিলেজ পলিটিক্সের এসব হিসাব নিকাশ হযরত আলী দারোগা তাদেরকে আগেই বুঝিয়ে দিয়েছে। তাই সতীশ পাল ও আব্দুল হাকিম হযরত আলীর ধমক খেয়ে সমস্বরে চিৎকার করে বললো, ‘হাঁ স্যার, আমরা জুতা চুরি করেছি।’
চুরির দায়ে স্ত্রী পুত্রসহ সতীশ পাল ও আব্দুল হাকিম পরদিন সকালে কোর্টে চালান হয়ে গেল। আলামত হিসাবে জুতা স্যান্ডেল গুলো বস্তায় ভরে কোর্টের মালখানায় জমা দেওয়া হলো।

ওসি সাহেব হযরত আলী দারোগাকে ডেকে বললেন, ‘এখন সাক্ষী সাবুদ জোগাড় করে মামলার চার্জশীট তৈরি করেন।’
হযরত আলী একগাল হেসে বললেন, ‘এসব নিয়ে আপনি একদম ভাববেন না স্যার। মামুলি জুতা চুরির মামলা। ও আমি সব ম্যানেজ করে নেব।’ তারপর ওসি সাহেবের কানের কাছে মুখ নিয়ে হযরত আলী ফিস ফিস করে বললেন, ‘ভাবতে পারেন স্যার, আসল ঘটনায় কেস হলে কী ভয়ানক অবস্থা হতো। গ্রামসুদ্ধ সব লোককে আসামী করতে হতো। চেয়ারম্যান, মেম্বার, মসজিদের ইমাম সবাইকে এনে ঢোকাতে হতো গারদে। তার ওপর হিন্দু মুসলমান সেন্টিমেন্ট। দাঙ্গা লেগে গেলে সামাল দেওয়া মুশকিল হতো। এসপি ডিআইজির কাছে কৈফিয়ত দিতে দিতে জান বেরিয়ে যেত। চাকরি করাই.........।’
‘স্টপ! প্লিজ স্টপ!’ চাকরি চলে যাওয়ার কথা শুনলে ওসি সাহেবের মাথা ঠিক থাকে না। তবে পরে তিনি ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখলেন হযরত আলীর কথাই ঠিক। বিরাট ঝামেলা থেকে বেঁচে গেছেন তিনি। গ্রামের লোকজনও বেঁচে গেছে মামলা মোকদ্দমা থেকে।
আর সতীশ পাল ও আব্দুল হাকিম তাদের বউ ছেলে নিয়ে এক মাস পর জামিনে মুক্ত হয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। ওপরওয়ালাকে ধন্যবাদ। শুধু মাথা কামানোর ওপর দিয়ে গেছে। ভাগ্যিস এই থানায় পাগলা দারোগা হযরত আলী ছিল।

এসব ভালো মনে হচ্ছে না শুধু এনজিওর সেই দুই কর্মী ও মহিলা সাংবাদিকের। তাদের মন খারাপ। নির্যাতিত মানুষ সত্যি কথা বলতে ভয় পায়, এর চেয়ে মন খারাপের বিষয় আর কী হতে পারে?
*********************************************************

মন্তব্য ১৫৪ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (১৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পুলিশ চাইলে কী না করতে পারে?

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, ব্রিটিশ আমলেই পুলিশকে যা কিছু করার ক্ষমতা দিয়ে রাখা হয়েছিল, যা আজও আমাদের পুরো উপমহাদেশের পুলিশ ব্যবহার করে চলেছে।

ধন্যবাদ ভাই রূপক বিধৌত সাধু। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

সাঈদ মুহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গুণে ধরা সমাজের বাস্তব চিত্র, যেখানে বিচারের বাণী নিভৃত কাঁদে। অনেক বড় গল্প হলেও পুরোটাই ধৈর্য্য ধরে পড়লাম। প্রিয় স্যার, অনেক কষ্ট করে আমাদের জন্য নতুন একটি বড় গল্প উপহার দেয়ায় আপনাকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করছি।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধৈর্য ধরে এত বড় গল্পটি পড়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ সাঈদ।

ভালো থেক। শুভকামনা রইল।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

প্রামানিক বলেছেন: সমাজের দারুণ একটা বাস্তবতা গল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: গ্রামে কত রকমই যে ঘটনা হয়, আর পুলিশ বাবাজীরা দিনকে রাত করার ওস্তাদ!!! :)
আপনার লেখা সব সময়ই রসালো!! :)

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কামরুন্নাহার।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২

রানা আমান বলেছেন: '' নির্যাতিত মানুষ সত্যি কথা বলতে ভয় পায়, এর চেয়ে মন খারাপের বিষয় আর কী হতে পারে? " আসলেই কিন্তু এমনই একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেছে বলে আশংকা করছি ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: '' নির্যাতিত মানুষ সত্যি কথা বলতে ভয় পায়, এর চেয়ে মন খারাপের বিষয় আর কী হতে পারে? " আসলেই কিন্তু এমনই একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেছে বলে আশংকা করছি ।

চমৎকার বলেছেন। ধন্যবাদ ভাই রানা আমান। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: হেনা ভাই, আপনি যে একজন অত্যন্ত রসিক মানুষ তাতে কোন সন্দেহ নেইঃ

//তবে অন্য দুটো শাস্তি আজই কার্যকর করা হবে। এই দুটো শাস্তির মধ্যে বেত আগে, না জুতা আগে এই নিয়ে সালিসে বেশ তর্ক বিতর্ক হলো। আগে বেত মারার কারণে আসামীরা হাঁটতে অসমর্থ হয়ে পড়লে জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘুরানো সম্ভব হবে না। অতএব সিদ্ধান্ত হলো, জুতা আগে। //

//তবে অন্য দুটো শাস্তি আজই কার্যকর করা হবে। এই দুটো শাস্তির মধ্যে বেত আগে, না জুতা আগে এই নিয়ে সালিসে বেশ তর্ক বিতর্ক হলো। আগে বেত মারার কারণে আসামীরা হাঁটতে অসমর্থ হয়ে পড়লে জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘুরানো সম্ভব হবে না। অতএব সিদ্ধান্ত হলো, জুতা আগে। //

// বিনে পয়সার খিচুড়ি। সবাই হাতের কব্জি পর্যন্ত মাখামাখি করে খাচ্ছে। এক পর্যায়ে সত্যি সত্যিই খাবার ফুরিয়ে গেল। নেতা আজাদের আর খাওয়া হলো না। কিন্তু তাতে কী? নেতা হলে কত কিছু সহ্য করতে হয়! //

//কবিতা ছিঁড়ে ফেলা আর ইমান আলীর কলিজা ছিঁড়ে ফেলা একই কথা। ব্যথায় মুখটা কুঁচকে গেল তার। কাগজের টুকরা গুলো মাটি থেকে কুড়িয়ে নিয়ে মন খারাপ করে চলে গেল সে। নিজেকে সে এই বলে সান্ত্বনা দিল যে কবিতা সবাই বোঝে না। //


(কবিতা দারুণ হয়েছে লেখক/কবি।)

// দোকানে চা খেয়ে ভুল করে চায়ের দাম দিয়ে দেন। এরকম ভুলভাল তার লেগেই থাকে। //

চমৎকার হাসির এবং শিক্ষণীয় গল্প।

ভাল থাকুন। সবসময়।


২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। লেখায় রসকষ না থাকলে এত বড় গল্প পাঠক পড়বে কেন বলুন?

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শামছুল ইসলাম ভাই। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

ফরিদ আহমাদ বলেছেন: নেতা আজাদের কাহিনী অসাধারণ লেগেছে।
গল্পটা অনেক অনেক ভালো লেগেছে আঙ্কেল।
দোকানে চা খেয়ে ভূল করে চায়ের দাম দিয়ে দেন,হাহাহা

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ফরিদ আহমাদ। অনেক দিন পর।

ভালো থেকো। শুভকামনা রইল।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ফরিদ, গতকাল ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। তোমার নাম্বারে কয়েকবার রিং দিয়েও যোগাযোগ করতে পারলাম না বাবা। তুমি কী নাম্বার বদলেছ? তাহলে এসএমএস করে আমার নাম্বারে জানিয়ে দিও, কেমন? ধন্যবাদ।

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: দোকানে চা খেয়ে ভুল করে চায়ের দাম দিয়ে দেন। এরকম ভুলভাল তার লেগেই থাকে। ........খিক খিক খিক :-B

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল ভাই। এত বড় গল্প পড়ার ধৈর্য হলো কিভাবে? অষ্টম আশ্চর্য!

৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০১

রাস্তার সম্রাট বলেছেন: ভাল লেগেছে। পরের লেখার জন্য শুভকামনা।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাস্তার সম্রাট।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা নাকি? তবে এখনো আমাদের গ্রামগুলোতে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে অন্ধকারে ভড়পুর।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না ভাই, এটা কাল্পনিক গল্প। তবে এই গল্পের শেকড় তো আমাদের সমাজের গভীরে প্রোথিত, তাই না?

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩১

সোহানী বলেছেন: এ ধরনের ঘটনার কোন সময় নেই বয়স নেই শুধু গল্পের পাত্র-পাত্রী পরিবর্তন হয়।

অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম আবুহেনা ভাই। গল্পে ভালোলাগা সহ ++++++++

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এ ধরনের ঘটনার কোন সময় নেই বয়স নেই শুধু গল্পের পাত্র-পাত্রী পরিবর্তন হয়।


ধন্যবাদ বোন সোহানী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সামাজিক অসভ্য নীতির বলি হয়েছেন হাজার হাজার লাখো লাখো মানুষ! এখন এটা আর চলতে দেয়া যায় না। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের উচিত ছিল পুলিশের অহেতুক ক্ষমতাগুলো সীমিত করা। কিন্তু করবে সে আশা করাও পাপ! :|

গল্প খারাপ না, ভালই হয়েছে! গ্রামের একটা সুষ্পষ্ট আভা পাওয়া গেল! :)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ব্রিটিশ আমলের নিয়ম কানুনে উপমহাদেশের পুলিশ এখনো অভ্যস্ত। ফলে পুলিশের ক্ষমতা সীমিত হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আপনি ঠিকই বলেছেন।

ধন্যবাদ ভাই গেম চেঞ্জার। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সাদা মনের মানুষ বলেছেন: দোকানে চা খেয়ে ভুল করে চায়ের দাম দিয়ে দেন। এরকম ভুলভাল তার লেগেই থাকে। ........খিক খিক খিক =p~ =p~


এখানে যে আপনেও দারগার ন্যায় ভুল করে ফেললেন! B:-/

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মনে হয়না। চায়ের দোকানে দাম দিয়ে চা খাওয়ার অভ্যাস অধিকাংশ পুলিশের নাই। দারোগা হযরত আলীরও ছিল না। কিন্তু তার বউ পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তার সব কাজে ভুল হয়। আশা করি, আমি কী বলতে চেয়েছি তা' বুঝতে পারছেন।

ধন্যবাদ ভাই গেম চেঞ্জার।

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অষ্টম আশ্চর্য! কিন্তু আগেই শেষ, এটা নবম দশম হতে পারে। তাছাড়া আপনার গল্প পড়লে ঠকবোনা এই বিশ্বাসেই পড়ে ফেলি :D

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: থ্যাংক ইউ কামাল ভাই। আমার ওপর আস্থা আছে জেনে খুশি হলাম।

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
হায় ফাতেমা, তুমি কেন আজ এই বাজে কাজ করলে?
প্রেমের তরে সব ছেড়ে আজ পালের নায়ে চড়লে!
ইমান আলীর স্টিমার ছিল, দেখলে না তা’ একবারও
সময় তোমার হলো না হায় আমার দিকে দেখবারও
হায় ফাতেমা...........................


...........আপনি যে কবিতা লিখতে পারেন পরোক্ষ ভাবে কিন্তু সেই প্রমান ও এখানে রেখে গেলেন :-B

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ইমান আলী কাব্যরত্নের মতো।

১৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:১২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অর্ধেক সকালে পড়েছিলাম, বাকি অর্ধেক এখন পড়লাম। আমি আবার বড় লেখা বিশেষ করে ভালো লেখাগুলো রসিয়ে রসিয়ে সময় নিয়ে পড়ি। প্রথমে ভেবেছিলাম আপনার বাস্তব জীবনের দেখা এই গল্পটি, মন্তব্যে দেখলাম তা নয়। সমাজের অন্ধত্বকে হিউমারাস ওয়েতে প্রেসেন্ট করেছেন অসাধারন ভাবে। আর আপনি যে গদ্য, পদ্য দুটিতেই মাহির তাও বুঝলাম।

ভীষন সাবলীল, সুখপাঠ্য ছিল।
ধন্যবাদ এমন একটা লেখা শেয়ার করার জন্যে।
ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন হেনাভাই।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সমাজের অন্ধত্বকে হিউমারাস ওয়েতে প্রেসেন্ট করেছেন অসাধারন ভাবে। আর আপনি যে গদ্য, পদ্য দুটিতেই মাহির তাও বুঝলাম।


তোমার প্রশংসায় লইজ্জা পাইছি। ধন্যবাদ বোন সামু পাগলা০০৭। ভালো থেকো। শুভকামনা রইল।

১৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা কি পুরোনো গল্প? আগে পড়েছি বলে মনে হয় না। যাই হোক, আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। কাহিনী খুব সাদামাটা ভাবে শুরু হলেও ধীরে ধীরে জমজমাট হয়েছে। সাসপেন্সে ভরা সিচুয়েশন তৈরি করেছেন। সেখান থেকে দারুণ বাঁক নিয়েছেন। ক্লাসিক ছোটগল্প।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না ভাই, এটা পুরনো গল্প নয়। সম্পূর্ণ নতুন গল্প। এর আগে এই গল্প কোন প্রিন্ট মিডিয়াতেও প্রকাশিত হয়নি।

ধন্যবাদ হা মা ভাই। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

শুভ_ঢাকা বলেছেন: হেনা ভাই, নিকট অতীতে কোন গল্প পড়ে এত হেসেছি বলে মনে করতে পারিনা। একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে উঠা অসম্ভব। পুরো সাসপেন্সের উপর রেখেছেন। মনে হল আল্ফাড হিচককের একটা ফিল্ম দেখলাম। কাল্পনিক হলেও এই ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে প্রচুর আছে।

অসাধারন লিখেছেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ ঢাকা। আমার গল্প বা উপন্যাসে সব সময় একটা ভিশনারি এ্যাপ্রোচ রাখার চেষ্টা করি, যেন পাঠকের মনে হয় যে তিনি পড়ছেন না, দেখছেন। অনেকটা মুভি দেখার মতো। এই গল্পটিতেও সে চেষ্টা করেছি। মূল্যায়ন আপনাদের হাতে।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

মেরাজ চৌধুরী বলেছেন: মনে হচ্ছে সত্য ঘটনা , ভাল লেখছেন

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সমাজের বাস্তব অবস্থার ভিত্তিতে লেখা বলে আপনার কাছে গল্পটি সত্য বলে মনে হয়েছে।

ধন্যবাদ ভাই মেরাজ চৌধুরী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন প্রিয় কথাসাহিত্যিক।

গল্পটি পরে পড়ে নিব।
শুভকামনা।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি ভালো আছি ভাই। শুভকামনা আপনার জন্যেও।

২১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৬

পবন সরকার বলেছেন: আপনার লেখা গল্প পড়ার মজাই আলাদা।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পবন সরকার।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



শক্তিশালী লেখা, এই শতাব্দীতে বাংলার অবস্হান পরিস্কার হয়েছে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৭

মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা বলেছেন: সালাম হেনা ভাই,
অনেক দিন কেটে গেল কথা হয় না। আপনার উপস্থিতি দেখে বিস্মিত হই। এখনো লিখে যাচ্ছেন দেখে বেশ ভালো লাগছে। ব্লগে অনিয়মিত । পত্রিকাতে লিখছি।
আপনার লেখা দেখে না পড়ে পারা যায় না। লগ ইন করা হয় না তবু আপনার লেখা প্রায় পড়া হয়।
শ্রদ্ধা জানবেন।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরে, বাবলা ভাই! ওয়ালাইকুম আস সালাম। অনেকদিন পর আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগছে ভাই। ব্লগেও মাঝে মধ্যে লিখবেন। তাহলে আপনার সান্নিধ্য পাবো আমরা।

ভালো থাকুন বাবলা ভাই। শুভকামনা রইল।

২৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২০

বিজন রয় বলেছেন: [sb]@ প্রিয় আশরাফুল ভাই...[/sb] আপনি আমার লাস্ট ১০/১১টি পোস্ট একটু দেখবেন দয়াকরে। তার আগের পোস্টগুলো তো সবে শুরু।

যাইহোক আমর কাছে কমেস্টস খুব গুরুত্ব বহন করে না। লেখার গুণগত মানটাই আসল।
আমি আপনার গল্পের দারুন ভক্ত। কিছুদিন পর আমিও গল্প পোস্ট করবো। তখন আপনার পরামর্শ লাগবে।

ধন্যবাদ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই বিজন রয়, পরামর্শ দেওয়ার মতো যথেষ্ট যোগ্যতা আমার নাই। কারণ আমার গল্প তেমন উচ্চ মানের নয় বলে মনে করি। আপনি আমার গল্প পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। আমি অবশ্যই আপনার লাস্ট ১০/১১টি পোস্ট দেখবো।

আর আপনার সাথে আমিও একমত। কমেন্ট কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। লেখার গুনগত মানই গুরুত্বপূর্ণ। কমেন্ট একজন লেখক/ব্লগারকে উৎসাহিত করে, এর বেশি কিছু না। এই উৎসাহ পেলে তার লেখার মান ডেভেলপ করবে এমনটা নয়। লেখার মান ডেভেলপ করা তার নিজের চর্চা ও প্রচুর পড়াশুনার উপর নির্ভর করে। আর ঈশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতার ব্যাপারটা তো আছেই।

পরামর্শ নয় ভাই, আপনি চাইলে আমি কিছু টিপস দিয়ে আপনাকে সহযোগিতা করতে পারি। সেরকম হলে আমাকে জানাবেন। আমি অবশ্যই সহযোগিতা করতে করবো।

অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার 'কৃষ্ণগহ্বরে যাব না আর' থেকে 'অন্য ভুবনের পুরুষ' পর্যন্ত ১১টি কবিতা পড়লাম। নিঃসন্দেহে আপনি একজন জনপ্রিয় কবি। সবগুলো কবিতাতেই ১০০ বা ১০০ প্লাস ( এমনকি ২০০ প্লাস ) কমেন্ট দেখলাম।

অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: চমৎকার হাসির এবং শিক্ষণীয় গল্প।

ভাল থাকুন সবসময়।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিলিয়ার রহমান।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

জেন রসি বলেছেন: এমন ঘটনা আমাদের চারপাশে প্রায়ই ঘটে থাকে। আপনার গল্পে বাস্তবতা খুব চমৎকার ভাবে প্রতিফলিত হয়।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এত বড় গল্পটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই জেন রসি। ব্লগে বড় লেখা সাধারণত কেউ পড়তে চান না।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

জেন রসি বলেছেন: গল্পটা আগেই পড়েছি অফলাইনে। তখন বিজি ছিলাম বলে মন্তব্য করা হয়নি। আপনার গল্প বেশ সাবলীল। তাই একটানে পড়ে ফেলা যায়। বড় হলেও যারা গল্প পড়তে পছন্দ করে তারা ঠিকই পড়বে। :)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, এটা ঠিক বলেছেন। গল্পের প্রকৃত পাঠক ছোট বড় বিচার করেন না।

ধন্যবাদ ভাই।

২৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



চমৎকার ভাবে একটি সামাজিক সমস্যা , ভিলেজ পলিটক্স ও
এর সাথে আইন শৃংখলায় নিয়োজিতদের যোগসুত্রের বিষয়াদি
তুলে ধরেছেন গণ্পে কাল্পনিক চরিত্রের ভিতর দিয়ে ।
অসাধারণ হয়েছে ।
ঈদ শুভেচ্ছা রইল ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।


ঈদ শুভেচ্ছা আপনাকেও।

২৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতি উত্তরের জন্য

৩০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আশরাফুল ভাই, প্রায় এক মাস হয়ে গেলো আপনার কোন গল্প পাচ্ছিনা, বলুন তো ব্যাপার খানা কি?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ব্যাপার কিছুই না। নিশ্চয় নতুন নতুন গল্প পোস্ট দেব কামাল ভাই। তবে কম্পিউটারে টাইপ করতে কষ্ট হয় তো। এক হাতে টাইপ করি। তাই আগের মতো ঘন ঘন লেখা পোস্ট দিতে পারছি না। একটা গল্প টাইপ করা আর ছোট খাটো দুই চারটা কমেন্ট টাইপ করার মধ্যে অনেক পার্থক্য। বেশিক্ষণ টাইপ করলে হাত থেকে শুরু করে কাঁধ ও ঘাড় পর্যন্ত ব্যথায় টন টন করে। দুই হাতে টাইপ করতে পারলে এটা বোধহয় হতো না।
তা' ছাড়া প্রিন্ট মিডিয়ায় লেখা পাঠাই। সে ক্ষেত্রে কাগজে কলম দিয়ে লিখতে তেমন অসুবিধা হয় না। তাই ওদিকেই সময় দিচ্ছি বেশি। তবে ব্লগেও লেখা দেব নিশ্চয়। ধন্যবাদ।

৩১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এক হাতে টাইপ করতে হয় কেন, অন্য হাতে কি কোন সমস্যা?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ২০১৪ সালে স্ট্রোক করার পর বাঁ হাতটা প্রায় অকেজো। তাই শুধু ডান হাতে টাইপ করি। ওষুধ ও ফিজিওথেরাপীর উপর আছি। কিন্তু উন্নতি খুব ধীর। আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরের দিকে চেন্নাই যাওয়ার একটা পরিকল্পনা আছে। দেখা যাক।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ২০১৪ সালের পর প্রায় দেড় বছর আমি অনলাইনেই ছিলাম না। সামুতে আমার ব্লগে ঢুকে দেখুন পুরো ২০১৫ সাল সহ আরও কয়েক মাস আমি ব্লগিং করতে পারিনি।

৩২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: চমৎকার সুখপাঠ্য কথামালায় সাজানো গল্প।
খুব ভালো লাগলো। সময়ের স্বল্পতা ও ব্যস্ততার
কারণে খুব একটা আসা হয়না আগের মতো।
তবে স্মরণে আছেন, থাকবেন সর্বদা।
সালাম জা্নবেন, দোয়া করবেন সুস্থ্য থাকি যেন।
সুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপনার জন্য।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই। অনেকদিন পর ব্লগে পেলাম আপনাকে। কয়েকদিন আগে আমি আপনাকে দুই/তিনবার ফোনে ট্রাই করেছিলাম। কিন্তু রিং হলেও আপনি ধরলেন না। হয়তো ব্যস্ত ছিলেন।

ভাই, ব্লগে লেখালেখি করছেন না কেন? আপনার ব্যতিক্রমী ধারার পোস্ট থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। আগে অনেক কিছু জানতে পারতাম, শিখতে পারতাম।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,





ওয়াও............... আপনিও দেখি গাঁয়ে হৈ হুলস্থুল পড়ে যাওয়ার মতো হুলস্থুল লাগিয়ে দিলেন এই গল্পে । একদম বাস্তবের খুঁটিনাটি বাদ দেননি কিছুই । দারোগা হযরত আলীর মতো সামাল দিয়েছেন পুরো গল্পটাই । পারেন ও বটে ...............।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, গল্পটি এই জন্যই একটু বড় হয়ে গেছে। ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫১

পুলক ঢালী বলেছেন: হেনাভাই! দারুন গল্প লিখেছেন, আমি শুধু দেখলাম নিষ্ঠুরতার মধ্যে পৈশাচিক আনন্দ পাওয়ার জন্য পুরো গ্রামের লোকজন কেমন পাগলপারা হয়ে গেছে। বুড়ো দুই বাবার কথা, তাদের কষ্টের কথা, তাদের শাস্তি পুরো পরিবারের উপর যে অপমানের কষাঘাত হানবে তাও কেউ ভাবছেনা । পড়ছি আর সারাক্ষন ভাবছি, শেষে কি হবে, শেষে কি হবে? দারোগা হযরত আলীকে দিয়ে সব মেটালেন, কিন্তু, সমাজ যে অন্ধকারে ছিলো সেখানেই রয়ে গেল, যদিও, গ্রামে বিএপাশ/ফেল ম্যাট্রিক পাশ করা, কিছুটা হলেও, শিক্ষার আলোয় আলোকিত, তরুন জেনারেশন ছিলো। পুলিশ এরকমই থাকবে, যতদিন না ক্ষমতাসীনরা এদেরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবে।

নির্যাতিত মানুষ সত্যি কথা বলতে ভয় পায়, এর চেয়ে মন খারাপের বিষয় আর কী হতে পারে?

এটাই সার কথা।
আপনার ভিতর গড গিফটেড সৃজনী মেধা আছে । সীমাবদ্ধতার ভিতর যতটুকু পারেন লিখতে থাকুন। ভাল থাকুন প্রিয় হেনা ভাই।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিলম্বে উত্তর দেওয়ার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিছু পারিবারিক কাজ এবং চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে কয়েকদিন অনলাইনে ছিলাম না।

এত বড় গল্প সাধারণত ব্লগে কেউ পড়তে চান না। আপনি আদ্যোপান্ত পড়েছেন এবং চমৎকার মন্তব্য করেছেন জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পুলক ঢালী। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অসাধারণ গল্প। ফিনিশিং টুইস্টটা চরম ছিল। প্রিয়তে নিলাম :)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনিবার্য কারণে উত্তর দিতে বিলম্ব হওয়ায় দুঃখিত।

গল্পটি প্রিয়তে নেওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

জুন বলেছেন: গল্পটি পড়ে অনেক্ষন চুপ করে রইলাম। আমাদের সমাজের মাতব্বরদের এই বিচারসালিস এর নামে নিরীহ মানুষের উপর নির্যাতন কতটা অমানবিক তা মনে হয় তাদের চিন্তায়ও আসে না। সংশপ্তকের হুরমতীর কথা মনে হলো।
ছোট গল্প লেখায় আপনি অতুলনীয় আবু হেনা ভাই। অনেক ভালোলাগা রইলো।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন জুন।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক দিন হল নতুন লিখা দেখছিনা যে । এটা আবার পাঠে ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে লেখালেখি থেকে বিরত আছি। গত মাসে ভারতের চেন্নাই থেকে চিকিৎসা করে ফিরেছি। নতুন লেখা দেব ইনশাআল্লাহ।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চায়ের জন্য ধন্যবাদ কামাল ভাই।

৩৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি পান খাই না। তবে পান দিয়ে ভালোই করেছেন কামাল ভাই। আমার দোস্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব পান খায়। কুরিয়ারে তার কাছে পাঠাইয়া দিমু। খুশিতে ব্যাটা দুই বিলিয়ন হাততালি দিব।

৪০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নরসিংদীর কলাটার এই হাল? ড্রাইভিং সিটে তো ট্রাম্পরে দেখা যায়।

৪১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চা, পান, কলা ও কমলা সব মিলিয়ে মহা আয়োজন। ধন্যবাদ কামাল ভাই। তবে হরলিক্স পেলে ধন্যবাদটা মহা ধন্যবাদ হয়ে যেতো। অবশ্য ফার্ম গেটের সেই হরলিক্স নয় কিন্তু। কোহিনূর ভাই ফার্ম গেটে যাইতে আমারে না করছে। আন্নেও যাইয়েন না।

৪২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আবার ফার্ম গেইটের দিকে গেলে আপনার পছন্দের হরলিক্স খুঁজে দেখবো :D

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বুঝছি, আন্নের কাঠের গুঁড়া খাওনের হাউশ হইছে! :-P

৪৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আহ! জিভে জল থুক্কু ওয়াটার এসে গেল। আজকাল ইংরেজি কথাবার্তা বলা অভ্যাস করছি। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসাবে হোয়াইট হাউসের প্রথম ডিনারে আমাকে নিমন্ত্রণ করার জোর সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশে আমার চেয়ে বড় পাগল সে খুঁজে পায়নি।

৪৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: খিক খিক খিক, আমারে আপনার সহকারী হিসাবে মনোনয়ন দিয়ে সাথে নিয়া নিয়েন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হ, নিমুই তো! আপনারে না নিলে ফটু তুলবো কেঠা? তয় অগো ডিনারে নানা রঙের তিতাপানি থাকে, এইগুলা কিন্তু খাইয়েন না কইলাম।

৪৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর গল্প যা কিনা একটি সম্পূর্ন সমাজকে চিত্রায়িত করেছে। অনেক ভাল লেগেছে স্যার আপনার গল্পখানি।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান সুজন।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৪৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
জীবন থেকেই গল্পের রচনা......

সমাজের হাল-হকিকত গল্পের মধ্যে পেলাম। যা হয় আর কি!

পড়ে ভালো লাগা রেখে গেলাম।


ভালো থাকুন ভাই।


১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শাহরিয়ার কবীর।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
কিছু করার নাই, নতুন পোষ্ট আসার আগ পর্যন্ত পুরোনোটাতেই মন্তব্য করে যাবো :D

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ট্রাম্পের আত্মীয়স্বজনের মতো কথা!

৪৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এটা কী ফটোগ্রাফি, নাকি ফটোশপ? বাস্তবে এরকম কাপ আছে? আমি কিন্তু প্রথম দেখলাম কামাল ভাই।

৪৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি কমু কেম্নে? আমি তো নেট থেকে পেয়েছি, সারা বছর তো আপনাকেও শুধু চা/কফি খাওয়াই আজ ভাবলাম ভাবীকে দেওয়াটা ঠিক না :D

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার বুড়ি চা/কফি খায় না। সে শুধু মাছ ভাত খায়। পুরাপুরি বাঙ্গাল।

৫০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পান্তা ভাতে ইলিশ মাছ না হয় না দিলেন, এক চামচ ঘি তো দিতে পারতেন!

৫১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মনে হচ্ছে বকরির দুধের ঘি!

৫২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বকরির দুধের ঘিতে সোয়াদ বেশী ;)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কুনদিন খাইছি না।

৫৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ও বুঝেছি, আপনি ভেড়ার দুধের ঘি দিয়েছেন। আগে কইবেন না?

৫৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চশমাটা আগে চোখে দেন :-B

২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরে এইগুলা তো বকরি! আগে কইবেন না?

৫৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এটা নিশ্চয় আপনার ছোটবেলার ছবি, তাই না কামাল ভাই? ছুডু বেলায় আন্নে ভীষণ ট্যাটন আছিলেন। :-P

৫৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারণ একটি গল্প পড়লাম! অসাধারণ!!

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন। অনিবার্য কারণে উত্তর দিতে বিলম্ব হওয়ায় দুঃখিত।

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৫৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ফ্যান্টাসটিক!

৫৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার পোষ্টের সন্ধান এখনো পায়নি ঐ গুণী লোকগুলো।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, আপনি ঠিক বলেছেন। সন্ধান পেয়ে যাবে। চিন্তার কিছু নেই। হাঃ হাঃ হাঃ।

৫৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনি আর লিখছেন না নাকি! :||

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শারীরিক অসুস্থতার কারনে সাময়িকভাবে লেখালেখি থেকে বিরত আছি।

ধন্যবাদ ভাই গেম চেঞ্জার।

৬০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনি আর লিখছেন না নাকি! :||.........আমি কিন্তু কিছুই বলিনা =p~

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না বলেও অনেক কিছু বলা যায়। হে হে হে।

৬১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: থ্যাংক ইউ।

৬২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হে হে হে। তালপাখার বাতাসে কয়লা জ্বালাইয়া ভুট্টা পুড়াইতাছেন? এই কাম আপনারে কেডা দিল কামাল ভাই?

৬৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ব্যবসা বানিজ্য খারাপ যাইতাছে, তাই নতুন ব্যবসা খুললাম :D

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বেসম্ভব ভালা কাম করছেন। তয় বাঁকি দিয়েন না। আগের ব্যবসাডা তো বাঁকি দিয়া লালবাতি জ্বালাইছেন। ভুট্টার ব্যাবসায় বাঁকি দিলে নীল বাতি জ্বলবো কইলাম। =p~

৬৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বাবারে বাবারে বাবা
কলমের সেকি ধার;
খেলতো দেখালো শেষে
হযরত আলী স্যার।

গল্পের ক্রিটিকের
নেই মোর স্পর্ধা;
মন থেকে অটো এলো
তোমা তরে শ্রদ্ধা।

সামুর লেখক কুলে
তুমি ভায়া ইউনিক;
নিজেরে চড়িয়া কই
শিখ ব্যাটা কিছু শিখ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রাপ্যের বেশি প্রশংসা করে ফেলেছেন ভাই। এতটা আমার প্রাপ্য নয়। তার ওপর ছড়া কেটে মন্তব্য করা খুব কঠিন। কিন্তু আপনি অনায়াসে তা' করতে পারেন, যা ব্লগে একমাত্র আপনিই করেন। তাই তুমি ভায়া ইউনিক; ছত্রটি আপনার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আমি লেখালেখির চেষ্টা করি মাত্র। আমার চেয়ে অনেক ভালো ভালো লেখক এই ব্লগেই আছেন।

ধন্যবাদ কি করি আজ ভেবে না পাই।

৬৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: লেখনিতে বুঝা যায়
তোমা-আমা কত ভেদ;
আমি জুনায়েদ
জুনায়েদ জুনায়েদ। :D B-) ;) :P :-B =p~

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। সেই জুনায়েদ! আপনার মনে আছে দেখছি।

৬৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার পাট মনে হয় এইবার শেষ হলো, কারণ আমি কি করি আজ ভেবে না পাই :-B

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কী যে বলেন না কামাল ভাই? আমার কাছে আপনার পাট কী কখনো শেষ হতে পারে? অসম্ভব।

আপনাকে কিছু করতেও হবে না, কিছু ভেবে পেতেও হবে না। শুধু মাঝে মাঝে ব্লকবাস্টার ফটো পোস্ট দিবেন। ব্যস!

৬৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হে হে হে, সব ঠিক আছে, তয় আপনি আবার আমার কাছে ভুট্টা বাকী খেতে চাইয়েন্না কিন্তু :D

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাকি চাহিয়া আপনারে লজ্জা দিমু না। ইমানে কই। =p~

৬৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: হেনা ভাই'র খাছলত
গেছে ফ্রী'তে খায়া খায়া;
হবেই না কেনো বলো
সাপ্লাইয়ে সাদা ভায়া।

চাল ঘি আটা নুন
দুধ কলা ভুট্টা;
চায়ের সাথেও আছে
ফ্রী'তে বিস্কুটটা।

এই ব্লগে সবে জানে
সাদা-হেনা দোস্তি;
ঘুরা আর খাওয়াদাওয়া
আহা সেকি মাস্তি।

খানা সব তোমা তরে
এ কপালে কিছু নাই;
তুমি একা সব তার
আমি যেনো সৎভাই। |-)

সাদা যথা দোস্ত মেলে
করে মহা পূণ্যি;
সে সুখ কি আছে মোর
কেবলি তা শুণ্যি। :-<

তোমার ঐ সুখ দেখে
মনে জাগে হিংসে;
যতই দেওনা গালি
পাজী বদ মিনসে। /:)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ছড়ায় আপনার দক্ষতা অসামান্য। স্বীকার করতেই হবে।

আসলে সাদা ভাইয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ব্লগিং করছি তো। একটা আত্মিক সম্পর্ক হয়েই যায়। ফটোগ্রাফিতে এত উঁচু মাপের একজন মানুষ হয়েও সাদা মনের মানুষ সাদাই থেকে গেছেন। তাঁর এই গুনটাই আমাকে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুতে পরিণত করেছে। তবে শুধু সাদা মনের মানুষ কেন, আপনারা সবাই আমার বন্ধু।

ধন্যবাদ ভাই কি করি আজ ভেবে না পাই।

৬৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
একলা খাইয়েন্না কবি ভাইকে দিয়া খাইয়েন :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই যে দেখেন কি করি ভাই, সাদা ভাই খাদ্য খানা পাঠাইয়া দিছেন। আবার আপনারে দিয়া খাইতে কইছেন। লুকটা বেসম্ভব ভালা। হাত ধুইয়া চইলা আসেন। হাউ মাউ কইরা সব খাইয়া ফেলি। :-P

৭০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আহা! ইরাম খানাপিনা যদি পেত্যেক দিন পাইতাম! =p~

৭১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভাবীর সাথে ভাবসাব ভালো রাখলে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ্ :-B

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাবীর সাথে ভাবসাব ভালো রাখলে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ্

এই বুড়ো বয়সে আর ভাবসাব! চিল্লায় যামু কী না ভাবতাছি।

৭২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বেশী চিল্লাচিল্লি ভালানা :-B

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তাহলে ইজতেমায় যাই।

৭৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এইসব ভাজা পোড়া খাওয়া আমার নিষেধ। তার চেয়ে এক গ্লাস ননীবিহীন দুধ দিন না! বুড়ো মানুষের হাড় গোড় শক্ত হবে।

৭৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ফাতেমার সাথে প্রেম করা আপাতত বন্ধ, এখন আমি ময়ুর সিংহাসনে উপবেশন করবো :D

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কুর্নিশ জাঁহাপনা।

৭৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩০

কালীদাস বলেছেন: করুন বাস্তবতা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ভাল লেগেছে আমার এই লেখাটা।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কালীদাস।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৭৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনার লেখার স্টাইলটা আমার ভালো লাগে।সহজ ও প্রাঞ্জল।গল্পটা ভালো লাগলো।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কল্পদ্রুম। আমার লিখন শৈলী আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.