নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ ময়ূর সিংহাসন

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

‘আমরণ অনশন’ নামের এক ধরণের প্রতিবাদ কর্মসূচি আমাদের এই উপমহাদেশে বেশ জনপ্রিয়। মহাত্মা গান্ধী ছিলেন এই কর্মসূচির পথিকৃৎ। প্রতিবাদের এই ভাষা প্রয়োগ করে তিনি কিছু সাফল্যও পেয়েছিলেন। নেটিভরা না খেয়ে মারা যাবে ভেবে ইংরেজ শাসকরা বিব্রত হতো। কিন্তু আজকাল এই কর্মসূচির ধার কমে গেছে। এখন কেউ না খেয়ে মরে গেলে কেউ বিব্রত হয় না। তা’ ছাড়া কর্মসূচির প্রথম অংশ ‘আমরণ’ হলেও দাবী দাওয়া আদায় হোক বা না হোক, বাস্তবে তেমন কাউকে আজ পর্যন্ত মরতে দেখা যায়নি। স্বয়ং গান্ধীও না খেয়ে মরেননি, তিনি মরেছিলেন গুলি খেয়ে।

আমাদের বাংলাদেশে প্রায়ই এই কর্মসূচি পালন করা হয়ে থাকে। দাবী দাওয়া আদায়ের জন্য আজ মাস্টার রোলের কর্মচারীদের আমরণ অনশন পালনের কাহিনী শুনুন। নিম্ন পদের এইসব কর্মচারীদের চাকরি দিনমজুরদের মতো। কাজ থাকলে বেতন পায়, না থাকলে নাই। এদের ইনক্রিমেন্ট, বোনাস, পেনশন, গ্র্যাচুইটি কিচ্ছু নাই। অফিসার জবাব দিয়ে দিলে এই চাকরিও নাই। কিন্তু এবার এরা একাট্টা হয়ে আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছে। এরা মরে যেতে রাজী, কিন্তু দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত কিচ্ছু খাবে না। এক ফোঁটা পানিও না। কঠিন অনশন।

এমএলএসএস, অফিস পিওন, নাইট গার্ড, ড্রাইভার, হেল্পার, মালি, দারোয়ান, দপ্তরী, মেসেঞ্জার, প্লাম্বার, কার্পেন্টার, সুইপার ইত্যাদি বিভিন্ন পদের এসব কর্মচারীরা এসেছে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। তবে অধিকাংশ কর্মচারীই তাদের উনিশ দফা দাবী সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানে না। ছাপানো লিফলেট পড়েও তারা কিছু বুঝতে পারে না। অনেকে লিফলেট পড়তেও পারে না। তাদের নেতাদের কাছে তারা শুধু এটুকু শুনেছে যে, তাদের কাঁচা চাকরি পাকা হবে। সেই সাথে আরও অনেক সুযোগ সুবিধা পাবে। আশায় বুক বেঁধে তারা তাদের রক্ত জল করা উপার্জন থেকে নেতাদেরকে চাঁদা দিয়ে আমরণ অনশন করতে এসেছে।

নেতারা অনশনস্থলে মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে জ্বালাময়ী ভাষায় বক্তৃতা করছে। সকাল আটটা থেকে বক্তৃতা চলছে। বক্তৃতায় ক্ষুদিরাম, সূর্য সেন থেকে শুরু করে চে গুয়েভারা পর্যন্ত সকল বিপ্লবীর গুণগান করা হচ্ছে। নেতারা একের পর এক আসছে আর বিপুল বিক্রমে হাত পা ছুঁড়ে ভাষণ দিচ্ছে। ভাষণের ফাঁকে ফাঁকে বজ্রকন্ঠে সম্মিলিত শ্লোগান উঠছে, ‘অফিসারদের চামড়া তুলে নেব আমরা’। এভাবে দুপুর দু’টো পর্যন্ত ভাষণ শোনার পর কর্মচারীরা ক্লান্ত হয়ে রাস্তার ওপর শুয়ে পড়লো। অবশ্য সকালে অনশন শুরু হবার পরপরই নেতাদের কেউ কেউ রাস্তার ওপর চাদর বিছিয়ে শুয়ে পড়েছে। তাদের পাশে স্যালাইন রেডি। সময় হলে তাদেরকে স্যালাইন পুশ করা হবে। নেতাদের শক্ত চেহারায় ধণুর্ভঙ্গ পণ। দাবী আদায় না করে তারা কেউ ঘরে ফিরে যাবে না।

রাস্তা বন্ধ করে এসব করা বেআইনি জানিয়ে সকাল থেকে একদল হেলমেট পরা পুলিশ বার বার তাদের সরে যেতে বলছে। কিন্তু তারা পুলিশের কথায় কর্ণপাত করছে না। পুলিশ মাঝে মাঝে তাদের কারো কারো হাত ধরে তুলে সরিয়ে দিলেও তারা আবার এসে শুয়ে পড়ছে রাস্তায়। ট্রাফিক পুলিশ হুইশেল বাজিয়ে যানবাহন অন্য রাস্তায় ডাইভার্ট করে দেওয়ার ফলে সকাল থেকে সেসব রাস্তায় তীব্র যানজট। একজন পুলিশ অফিসার কর্মচারী নেতাদেরকে বিনীতভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছে এই বলে যে, ‘ভাই, আপনারা রাস্তার ধারে মানব বন্ধনের মতো করে দাঁড়িয়ে অনশন করলেই তো পারেন। অহেতুক রাস্তায় শুয়ে পড়ে রাস্তা বন্ধ করার দরকার কী?’
‘অনশন ধর্মঘট দাঁড়িয়ে নয়, শুয়ে করতে হয়।’ নেতাদের সাফ জবাব।

ইতিমধ্যে পুলিশ দু’তিনবার মৃদু লাঠিচার্জ করে কর্মচারীদের তুলে দিলেও তারা নাছোড়বান্দার মতো আবার এসে শুয়ে পড়েছে রাস্তায়। নেতাদের একজন ড্রাইভার আকরাম মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলছে, ‘পুলিশ তুমি যতই করো, তোমার বেতন একশো বারো’।
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হেল্পার মনসুর জিভে কামড় দিয়ে ফিস ফিস করে বললো, এইডা কী কইলেন ওস্তাদ? আন্নে তো ফাউল করি হালাইছেন! ফুলিশের বেতন একশো বারো টিয়া আছিল ফাকিস্তান আমলে। অহন তো হ্যাগোর বেতন হাজার হাজার টিয়া।
আর একজন নেতা মাইকে কিছু বলার জন্য অনেকক্ষণ থেকে উসখুস করছিল। এবার সে আকরামকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে মাইকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো।
‘ভাইসব, এই পুলিশরা ঘুষ খেয়ে আমাদের ন্যায্য দাবী দাওয়া আদায়ের কর্মসূচি পণ্ড করে দিতে চায়। কিন্তু শত নির্যাতনেও আমরা রাজপথ ছাড়বো না। মরতে যখন এসেছি, তখন ইয়ে মানে............আপনারা সবাই একসাথে বলেন, মফিজ ভাই ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই।’
এই নেতার নিজের নামই মফিজ। সে একজন নাইট গার্ড। কর্মচারীদের মধ্যে কেউ কেউ মৃদু কণ্ঠে মফিজের শ্লোগান দিলেও অন্যেরা চুপচাপ বসে রইল। নেতা মফিজ কর্মচারীদেরকে চাঙ্গা করার জন্য শ্লোগান বদলে দিল, ‘ভাইসব, আপনারা সবাই আমার সাথে সাথে বলেন, মফিজ তুমি এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে।’ কিন্তু তার এই শ্লোগানেও বিশেষ কাজ হলো না। বরং পুলিশ এসে নেতা মফিজের মাইক কেড়ে নিয়ে তার দুই বগলের নিচে হাত ঢুকিয়ে সরিয়ে নিয়ে গেল।

কর্মচারীদেরকে নেতাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে, দুপুরের আগেই মন্ত্রী মহোদয় এসে তাদের সব দাবী দাওয়া মেনে নেবেন এবং তিনি নিজের হাতে অনশনকারিদেরকে শরবত খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করাবেন। এসব দৃশ্য ভিডিও করার জন্য মোবাইল নিয়ে সবাই প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তিনটা বেজে পার হয়ে গেলেও মন্ত্রী মহোদয় এলেন না। শরবত তো দূরের কথা, ওয়াসার হলদে রঙের নোংরা পানিও দেখা যাচ্ছে না কোথাও।

কোন কোন নেতা গোপনে প্যান্টের পকেটে কলা নিয়ে এসেছিল। সেই কলা লুকিয়ে খেতে গিয়ে তারা অন্যদের কাছে ধরা পড়ে গেল। এই নিয়ে কর্মচারীদের মধ্যে ভীষণ উত্তেজনা। ধরা পড়া নেতারা প্রথমে হম্বি তম্বি করলেও কর্মচারীদের চড় থাপড় খেয়ে পরে তারা চুপসে গেছে। নেতাদের দুই গ্রুপের মধ্যে এ নিয়ে কয়েকবার হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলেও পুলিশ নির্বিকার। তারা দাঁত বের করে হাসছে। এর মধ্যে একজন নেতা সিগারেট ধরালে আবার শুরু হয়ে গেল তর্কাতর্কি। সিগারেট খেলে অনশন ভঙ্গ হয় কী না এই নিয়ে তুমুল ঝগড়া। আধাঘণ্টা এ নিয়ে তর্কাতর্কির পর ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত কর্মচারীরা সবাই শুয়ে পড়লো রাস্তায়।

আর এক নেতা মেসেঞ্জার শাহজাহান তার সহকর্মীদের নিয়ে ধ্বস্তাধস্তি করে পুলিশের কাছ থেকে মাইক ছিনিয়ে নিয়েছে। সে এখন তার ডানহাতের তর্জনী উপরে তুলে বজ্রকন্ঠে ভাষণ দিচ্ছে
‘প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এখানে অনশন করতে এসেছি। কিন্তু পুলিশ আমাদের সাথে ছোটলোকের মতো ব্যবহার করছে। যেন আমরা মানুষই না। এত অসভ্য পুলিশ পৃথিবীর আর কোন দেশে নাই। আপনারা লন্ডনে গেলে দেখবেন সেখানকার উঁচু উঁচু টুপি পরা পুলিশরা মাথা নিচু করে আপনাকে সালাম দিচ্ছে। আপনি সালাম দিলে ওরাও ওয়ালাইকুম আস সালাম বলে জবাব দিবে। ওরা কত ভদ্র! আর...............।’

শাহজাহানের ভাষণ শুনে বিরক্ত হয়ে গেল কর্মচারীরা। তাদের ভেতর থেকে এক পাটি স্যান্ডেল ছুঁড়ে মারলো কেউ। একজন চিৎকার করে বললো, ‘ওই ব্যাটা, লুকাইয়া কয়ডা কলা খাইছস আগে হেইডা কইয়া ফালা। তারপর তর ভাষণ শুনুম।’ শাহজাহান থতমত খেয়ে মাইকের সামনে থেকে সরে গেল। এই স্যান্ডেল ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে কর্মচারীদের দুই গ্রুপের মধ্যে কিছুক্ষণ তর্ক বিতর্ক ও হাতাহাতি হলো। কিন্তু সকাল থেকে দানাপানি কিছু পেটে না পড়ায় নিস্তেজ কর্মচারীরা বেশিক্ষণ তা’ চালিয়ে যেতে পারলো না। শুকনো মুখে রাস্তার ওপর আবার শুয়ে পড়লো তারা।

পুলিশ তাদের হ্যান্ড মাইকে বার বার ঘোষণা দিচ্ছেঃ আপনাদেরকে আর দশ মিনিট সময় দেওয়া হলো। এর মধ্যে যদি রাস্তা খালি করে আপনারা সরে না যান তো আমরা এ্যাকশন নিতে বাধ্য হবো।
কিন্তু কর্মচারীরা মরার মতো পড়ে রইল রাস্তায়। দাবী দাওয়া আদায় না হলে অনশন করে তো মরতেই হবে। পুলিশের হাতে মারা পড়লে লাভ ছাড়া ক্ষতি নাই। কর্মচারীদের মধ্যে একটা লোভনীয় গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ মারা গেলে তার পরিবারকে সরকার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা আর আহত হলে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সুতরাং পুলিশ যা করে করুক, কর্মচারীরা রাজপথ ছেড়ে যাবে না।

কিন্তু বেলা চারটার দিকে পুলিশ যখন সত্যি সত্যিই এ্যাকশন নিল, তখন শত শত কর্মচারী পড়িমরি করে পালাতে শুরু করলো। একদিক থেকে পুলিশের নির্মম লাঠিচার্জ, আর একদিক থেকে জলকামানের হিম শীতল ঠাণ্ডা পানি। সেই পানি আবার লাল রঙের, যেন আসামিকে তার লাল রঙের জামাকাপড় দেখে শনাক্ত করা যায়। পালিয়ে গিয়েও কিছু কর্মচারী দূর থেকে পুলিশের দিকে ইট পাটকেল ছুঁড়তে লাগলো। পুলিশও একের পর এক টিয়ার শেল নিক্ষেপ করতে লাগলো। কাঁদানো গ্যাসের ঝাঁঝালো ধোঁয়ায় চারদিক অন্ধকার।

দেখতে দেখতে আধাঘণ্টার মধ্যে রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেল। ‘পুলিশের চামড়া তুলে নেব আমরা’ শ্লোগান দিতে দিতে নেতা শাহজাহানের নেতৃত্বে কর্মচারীরা কিছু গাড়ি ভাংচুর করলো। পুলিশ ক্ষিপ্রগতিতে তাড়া করে তাদের কয়েকজনকে ধরে ফেললো। তারপর পেটাতে পেটাতে তাদেরকে নিয়ে এলো পুলিশ ভ্যানের কাছে। ধরা পড়া কর্মচারীদের পোশাক আশাক লাল পানিতে ভেজা। ঠাণ্ডায় ও ভয়ে তারা ঠক ঠক করে কাঁপছে। তাদের ক্ষুধার্ত চেহারা, মুখে ছোপ ছোপ লাল রঙ আর কাঁদানে গ্যাসের ঝাঁঝে রক্তবর্ণ চোখগুলো হরর মুভির ভ্যাম্পায়ারের মতো দেখাচ্ছে। দু’জন পুলিশ তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ পরানোর সময় একজন আরেক জনকে বললো, ‘এদের চেহারা ডাকাতের মতো, তাই না?’

ধরা পড়া আটজন কর্মচারীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। হাজত ঘরের বারান্দায় হ্যান্ডকাফ পরে বসে আছে তারা। ওসি সাহেব নিজে দাঁড়িয়ে থেকে থানার মুন্সিকে দিয়ে তাদের নাম ঠিকানা লেখাচ্ছেন। যাদের গাড়ি ভাংচুর হয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন থানায় এসেছে জিডি করতে। তারা চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে আছে কর্মচারীদের দিকে। পুলিশ না থাকলে নির্ঘাত দুই পক্ষের মধ্যে ঘুষোঘুষি শুরু হয়ে যেতো। ওসি সাহেব ঠাণ্ডা মাথার মানুষ। তার ওপর কর্মচারীদের পক্ষে এ পর্যন্ত থানায় কোন ফোন না আসায় তার কোন টেনশন নাই। পান খেতে খেতে আসামিদের সাথে রসিকতা করে কথা বলছেন তিনি।

কয়েকজনের নাম ঠিকানা লেখা হয়ে গেলে নেতা শাহজাহানের পালা এলো। নেতাদের মধ্যে শুধু শাহজাহানই ধরা পড়েছে। অন্য নেতারা পালিয়ে গেছে। ওসি সাহেব হাসতে হাসতে শাহজাহানকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই ব্যাটা, তুই তো পুলিশের চামড়া তুলে নিতে চেয়েছিলি, তাই না?’
শাহজাহান কিছু বলার আগেই অন্যেরা সমস্বরে বলে উঠলো, ‘জি স্যার।’ শাহজাহান কাঁপতে কাঁপতে আতংকিত চোখে তাকিয়ে রইল ওসি সাহেবের দিকে।
ওসি সাহেব বললেন, ‘লন্ডনের পুলিশ খুব ভালো। তোকে সালাম দেয়। আর আমরা অসভ্য ছোটলোক, তাই না?’
সুইপার নীতুরাম কুষ্টিয়ার লোক। ওপাশে পশ্চিম বঙ্গের নদীয়া জেলার লোকেদের মতো শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলে। সে বললো, ‘হাঁ স্যার, ও এসব কথা বলেছে। আমরা সবাই শুনেছি। আমাদের কোন দোষ নেই স্যার। আমরা নির্দোষ খালাস।’
‘চুপ কর ব্যাটা! মামলাই হলো না, ব্যাটা এখনই খালাস!’ ওসি সাহেব ধমক দিয়ে থামিয়ে দিলেন নীতুরামকে। তারপর শাহজাহানকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোর নাম কী?’
‘শাহজাহান। শাহজাহান আলি।’
‘বাপের নাম?’
‘জাহাঙ্গীর আলি।’
‘ওহ্ হো! তুই তো ব্যাটা মোগল সম্রাট শাহজাহান। এই জন্য তোর এত তেজ। তোর বাপও তো সম্রাট ছিল। এবার বুঝতে পেরেছি। আমাদের চামড়া তুই তুলে না নিলে কে নেবে?’ ওসি সাহেব শাহজাহানের পায়ের সামনে পানের পিক ফেলে বললেন, ‘তুই মোগল সম্রাট হয়ে এভাবে হাতে হ্যান্ডকাফ পরে বসে আছিস দেখে আমারই তো লজ্জা লাগছে রে! এই কে আছো, সম্রাট শাহজাহানের ময়ূর সিংহাসনটা নিয়ে আসো। জাঁহাপনাকে আরাম করে সিংহাসনে বসিয়ে দাও। হাঃ হাঃ হাঃ। সম্রাট শাহজাহান দিল্লী আগ্রা ছেড়ে আমাদের থানায় এসে বসে আছে। তাও নোংরা মেঝের ওপর। ছি, ছি, কী লজ্জার কথা!’

দু’জন সেপাই বৈদ্যুতিক তার ও এ্যাডাপটারযুক্ত একখানা ভারি লোহার তৈরি হাতলওয়ালা চেয়ার ধরাধরি করে এনে শাহজাহানের সামনে রাখার সাথে সাথে সে আতংকে মূর্ছা গেল। ওসি সাহেব মৃদু হেসে সেপাইদেরকে চেয়ারটা ফেরত নিয়ে যেতে ইশারা করলেন। তারপর অন্য সেপাইদেরকে শাহজাহানের মাথায় পানি ঢালার নির্দেশ দিয়ে চলে গেলেন নিজের চেম্বারে।
********************************************************************************************************************
[ এই গল্পটি সমাজের কোন শ্রেনী বা পেশার মানুষের প্রতি কটাক্ষ করে লেখা হয়নি। লেখক বিশ্বাস করেন যে, সমাজে ভালো ও মন্দ, নির্দয় ও দয়ালু, উচিৎ ও অনুচিৎ, ক্ষমা ও ঘৃণা ইত্যাদি বিপরীতমুখী সকল বিষয় প্রাণ সৃষ্টির শুরু থেকেই আছে, প্রাণের বিলুপ্তি পর্যন্ত তা’ থাকবে।
এই গল্পে অশিক্ষা, কুশিক্ষা, অজ্ঞানতা ও অদূরদর্শিতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। সমালোচনা করা হয়েছে নিরক্ষরতার অভিশাপ ও অযোগ্য নেতৃত্বকে, যে কারণে অশিক্ষিত দরিদ্র মানুষ কোন কালেই তার প্রাপ্য বুঝে পায়নি। শুধু নিপীড়িত ও নির্যাতিতই হয়ে এসেছে চিরকাল। ]


মন্তব্য ১০০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১০০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ১ম হইছি সাগর কলা দেন :)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সাগর কলা তো আপনি নিয়ে আসবেন। আপনি সাগর কলার দেশের মানুষ।

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কিন্তু শেষে ওদের দাবী আদায়ের কি হলো? সেটা তো জানতে পারলাম না :(

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। অনুমান করে নিন।

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনার গল্প পেয়ে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম :-B

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ইয়া আল্লাহ! কামাল ভাই কয় কী? এতদিন তাহলে হাঁফ আটকে মরে ছিলেন? মরা মানুষ তাজা হয় ক্যামনে? =p~

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক দিন পর লেখায় ফিরলেন। ভালো লাগলো হেনা ভাই। ভালো আছেন তো?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?

ধন্যবাদ হা মা ভাই।

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার ছোট গল্প।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৬

সুমন কর বলেছেন: গল্প ভালো লাগল। শেষের কথাগুলো ভালো বলেছেন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর। শেষের কথাগুলো বলতে আপনি কী গল্পের শেষে পাদটীকার কথা বলছেন? আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৪

সোহানী বলেছেন: হাঁ অমরন অনশন এখন নেই তবে মনে পড়ে কঠিন রাগী বাবার কাছ থেকে কিছু আদায় করতে না পারলে অনশনে যেতাম। মা এক বেলার পর পরের বেলা চুপ থাকতো। আর আমরা সেবেলায় আরেকবার সাধিলে খাইবো জাতীয় ঘোষনা দিতাম। আর না খেলে এবার মা বাবাকে জানিয়ে দিত ও কঠিন বাবার দমক খেয়ে অমশন পালাতো......

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ব্যক্তিগত অনশনের ব্যাপারটা সেন্টিমেন্ট নির্ভর। এতে তেমন কাজ হয় বলে মনে হয় না। আর সাংগঠনিক ভাবে অনশন আরও অকার্যকর। এই গল্পে এ বিষয়ে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

ধন্যবাদ বোন সোহানী। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪০

আনু মোল্লাহ বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার গল্প পেয়ে বেশ ভাল লাগলো। ভাল আছেন হেনা ভাই?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি ভালো আছি।


ধন্যবাদ ভাই আনু মোল্লাহ। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
শুভ সকাল

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুভ সকাল। কমলার খোসা ছিলার মধ্যেও শিল্প আছে। আপনার ছবি দেখে এই নতুন জিনিষটা শিখলাম। তবে আমি নিজে এভাবে কমলা ছিলে শিল্পকর্ম করতে পারবো না। আই এ্যাম নাথিং বাট এ্যান ওল্ড গাই। ধন্যবাদ কামাল ভাই।

১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মরা মানুষ তাজা হয় গল্প পড়ে :D

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আগে আছিলেন বইয়ের পোকা, এখন হইছেন নেটের। তাই মরা মানুষের তাজা হওয়া পুরোটাই ভার্চুয়াল। হাঃ হাঃ হাঃ। :-P

১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চমৎকার গল্প । শিক্ষার অভাবে মানুষ অনেক অধিকারই হারায় ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শিক্ষার অভাবে মানুষ অনেক অধিকারই হারায়


ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

সত্যের ছায়া (সংস্করণ) বলেছেন: বুড়ো মনে হয় ভালই লিখে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মনে হয়।

ধন্যবাদ সত্যের ছায়া। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই যে, এসে গেছে নরসিংদীর সাগর কলা। ছবিটা এমন ভাবে তোলা হয়েছে যে দেখে মনে হবে সাদা মনের মানুষ কলার কাঁদি মাথায় নিয়া আসতেছে। কিন্তু আসলে কাঁদিটা গাছেই ঝুলে আছে। ফটুশুপ! হে হে হে। :-P

১৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ময়ূর সিংহাসন সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু তথ্য দিই। ব্লগার বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই জানতে আগ্রহী থাকতে পারেন।

মুঘল সম্রাট শাহজাহান সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে সম্পূর্ণ স্বর্ণ নির্মিত এবং কোহিনূর হীরক ও অন্যান্য মূল্যবান মনিমুক্তা খচিত ময়ূর সিংহাসন নির্মাণ করান এবং দিল্লীর লালকেল্লায় স্থাপন করেন। নির্মাতা ছিলেন পারস্যের কারিগর বেবাদল খান ও তার সহকর্মীরা। সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যুর পর ১৭৩৯ সালে পারস্যের সম্রাট নাদির শাহ দিল্লী আক্রমন করে ময়ূর সিংহাসন লুট করে নিয়ে যান। এরপর আর সেটির কোন হদিশ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীকালে একজন আফগান নৃপতির হাত ঘুরে কোহিনূর হীরা পাঞ্জাবের মহারাজা দিলীপ সিং-এর হাতে আসে। তিনি ব্রিটিশ রানী ভিক্টোরিয়াকে কোহিনূর হীরা উপহার স্বরূপ দান করেন। এ থেকে ধারণা করা হয় যে, ময়ূর সিংহাসনের মুল্যবান হীরা মনি মুক্তা খুলে বিভিন্ন রাজা মহারাজাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। আর সিংহাসনটির সোনা দানা গলিয়ে একইভাবে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। তবে এ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে দ্বিমত আছে।
যাই হোক, পরবর্তীতে আর একটি বিকল্প ময়ূর সিংহাসন ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ পর্যন্ত দিল্লীর লালকেল্ল্রার শোভা বর্ধন করে। কিন্তু বিকল্প সিংহাসনটি মূল ময়ূর সিংহাসনের তুলনায় একেবারেই অখ্যাত ছিল। ময়ূর সিংহাসন বলতে সম্রাট শাহজাহান নির্মিত সিংহাসনকেই ইতিহাস স্বীকৃতি দিয়েছে।

১৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কাচা কলা দেখে হেলা কইরেন না, ছালার বস্তার ভেতর টাইট কইরা বান দিয়া রাখেন পাইকা যাইব B-)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কারবাইড দিয়া পাকনা কলা খাইতে বেসম্ভব স্বাদ।

১৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এটা কিন্তু ফটোগ্রাফি নয় কামাল ভাই। হাতে আঁকা। আমি নেটে দেখেছি।

আরে আমি কী বুকা! আপনারে ফটোগ্রাফি শিখাই! হাঃ হাঃ হাঃ। =p~ =p~ =p~

১৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

প্রামানিক বলেছেন: শেষে ওদের দাবী দাওয়া আদায় যাও হতো এই কামাল ভাইয়ের জন্য আর হলো না। কারণ এইরকম বিশাল কলার কাঁধি মাথায় নিয়া যদি অনশন করতে আসে তাহলে কি আর সরকার দাবী মেনে নেয়? তারা বুঝতেই পারছে এরা সাত মাস অনশন করলেও মরবে না। তারা চেয়ে পুলিশ দিয়া পিটানি দিলেই সোজা হবে। তাই করেছে।

চমৎকার গল্প। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শেষে ওদের দাবী দাওয়া আদায় যাও হতো এই কামাল ভাইয়ের জন্য আর হলো না। কারণ এইরকম বিশাল কলার কাঁধি মাথায় নিয়া যদি অনশন করতে আসে তাহলে কি আর সরকার দাবী মেনে নেয়? তারা বুঝতেই পারছে এরা সাত মাস অনশন করলেও মরবে না। তারা চেয়ে পুলিশ দিয়া পিটানি দিলেই সোজা হবে। তাই করেছে।

তাহলে যত দোষ নন্দ ঘোষ আমাদের কামাল ভাই? হে হে হে। মন্দ বলেননি। অনশন ধর্মঘটের নেতারা তো লুকিয়ে লুকিয়ে কলাই খাচ্ছিল। নিশ্চয় কামাল ভাই সাপ্লাই দিয়েছেন।

ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

১৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অনশনের ১২টা বাজাইল প্রামানিক ভাই, ওনারে সবগুলো কাচকলা খাইয়ে দেওয়া উচিৎ :D

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই কামডা কইরেন না ভাই। হার্টের রুগী। কাঁচকলা খাইলে কোষ্ঠকাঠিন্য হইব। আর কোষ্ঠ পরিস্কার না হইলে টয়লেটে হার্টবিট বাইড়া যাইব।

১৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এইটা আপনি কি কইলেন ভাই, আমি নিজে সম্রাট শহজাহানের বাড়িতে গিয়া এই ছবি তুইল্লা আনছি :D

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এ কথা আগে কইবেন না? সম্রাট শাহজাহানের লগে আপনার ফ্রেন্ডশিপ কে না জানে? দুইজনে রেল লাইন ধইরা হাঁইটা কতবার লালকেল্লায় গেছেন!

২০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তাহলে এই কাচকলা নিয়া ওনারে কন কমপক্ষে ১০টা ছড়া লিখতে.......তাহলে খেমা কইরা দেওয়া যায়।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ১০ টা? একটা কম করা যায় না?

২১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

আলী আজম গওহর বলেছেন: হেনা ভাই ইজ ব্যাক!! গল্প ভালো লাগল।বিশেষ করে অসি সাহেবের ডায়ালগ। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আলী আজম গওহর। আড্ডায় দেখছি না যে!

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৩৩

কল্পদ্রুম বলেছেন: সম্পূর্ণ লেখা পড়লাম।গল্পের প্রেক্ষাপট এমন যে শুধু গল্প হিসেবে এর ভালোমন্দ দিক নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না।আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গেলাম।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কল্পদ্রুম। আমার লেখা অন্য গল্পগুলিও পড়ার আমন্ত্রণ রইল।

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
শুভ সকাল

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুভ সকাল।

এটা কী? খায়, না মাথায় দেয়?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শর্ষের তেল হলে দিয়ে ভালোই করেছেন কামাল ভাই। আমি শীতের দিনে শর্ষের তেল গায়ে মেখে গোসল করি।

২৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

সাঈদ মুহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: টক-ঝাল-মিষ্টি মিশ্রিত চমৎকার বাস্তবমুখী গল্প ! সাথে বোনাস হিসেবে ময়ূর সিংহাসনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। তাছাড়া আমার ত্রিরত্নের সরব উপস্থিতি। সব মিলিয়ে দারুন একটি লিখা উপহার দেয়ায় আমার শ্রদ্ধেয় স্যারকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও স্ব-শ্রদ্ধ সালাম। আল্লাহ তা'আলা প্রিয় মুখটিকে সুস্থতা এবং দীর্ঘ হায়াত দান করুন।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাঈদ মুহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম। তুমি কেমন আছো? আশা করি আল্লাহর রহমতে সপরিবারে ভালো আছো।

শুভেচ্ছা রইল। ভালো থেকো।

২৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এটা তো কাপ দোয়ার জন্য গরম পানি, আপনি মাথায় দিলে চুলের বারোটা বাজবে B-)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মাথায় চুলই নাই। তার আবার বারোটা বাজলেই কী, আর তেরোটা বাজলেই কী! =p~

২৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

সাঈদ মুহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, আপনার দোয়ায় আমরা সবাই ভাল আছি। অনেক দিন পর আপনার একটি পূর্ণাঙ্গ লিখা পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত হলাম। আপনিও ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন এই কামনা করি।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাঈদ।

২৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
শুভ সন্ধ্যা

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হে হে হে। ইরাম চা বিস্কুট পাইলে তো পেত্যেক দিন সামুতে লগ ইন করুম। =p~

২৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
আপনার জন্য আসলে এই পথ্য দরকার, উপরেরটা আপনার জন্য না, ভাবীর জন্য B-)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: :| :( B:-)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মোদীর দেশের সব গুলা ৫০০ আর ১০০০ রুপীর নোট দিলেও খামু না।

২৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: রাগ করেন কয়ান? আরো লাগলে বইলেন =p~

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তয় ট্রাম্পের দেশের এক বাক্স ডলার দিলে ট্রাই কইরা দেখতে পারি। হে হে হে। =p~

৩০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কয়ান< ক্যান :)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পাগল মাত্রেরই ভুল হয়। আমি ইরাম কত ভুল করছি!

৩১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এইগুলা আমি আপনারে দিয়া দিলাম। ভারত ভ্রমনে গেলে আপনার কাজে লাগবে। আমি খুব দিলদরিয়া।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নোটের পিছনে খাড়াইয়া আছে লুকটা কেঠা?

৩২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: দান করা টাকা ফেরৎ নেওয়ার অভ্যাস আমার নাই =p~

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ফেরত নিবেন ক্যান? দান করা টাকা তো আপনারে আমি অনুদান হিসাবে দিলাম।

৩৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৬

কালীদাস বলেছেন: করূন ঘটনাপণ্জী নিয়ে এরকম মজার লেখা অনেকদিন পড়িনি। হাসলাম। চমৎকার :)
এত অনশন আমাদের সাবকন্টিনেন্টের লোকজন ছাড়া আর কেউই মনে হয় করে না এই জমানায়। আর অনশনের সময় খাওয়া তো মুটামুটি কমন বলতে হয়। হা হা =p~

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এত অনশন আমাদের সাবকন্টিনেন্টের লোকজন ছাড়া আর কেউই মনে হয় করে না এই জমানায়।

আপনি ঠিকই বলেছেন। কিন্তু এসব অনশন কর্মসূচির ফলাফল প্রায়ই ইতিবাচক হয় না। তবুও অধিকার বঞ্চিত মানুষ অনশন করে।

ধন্যবাদ ভাই কালীদাস। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫১

শুভ_ঢাকা বলেছেন: হেনা ভাই, আপনার লেখা গল্প পড়ে খুব আনন্দ পেলাম। হাসলামও। আপনার লেখার ধরনটাই এই রকম। মজা করা, স্যাটায়ার করা, হাসি ঠাট্টার ছলে সমাজের অসঙ্গতি নিয়ে কটাক্ষ করা, সমাজের ক্ষুদ্রতাকে সূক্ষ্মভাবে বিদ্রূপ করা। মানুষের চেতনাকে ঘা দেওয়া।

ময়ূর সিংহাসনের ইতিহাস উল্লেখ করে কৌতূহল মেটালেন। ব্রিটিশ রানী ভিক্টোরিয়াকে কোহিনূর হীরা উপহার পাওয়ার রহস্যটা জানা গেল।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শুভ ঢাকা।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বাংলাদেশের জনপ্রশাসন এর অদুরদর্শিতা ও এর ফলে কর্মচারীদের মধ্যে কোটারী স্বার্থান্বেসী নেতুত্বের উন্মেষ ও ভুক্তভুগীদের নিয়ে দারুন একটি লিখা এটি । গল্পের ছলে হলেও বাস্তবে তাই হয় । উদাহরণস্বরূপ বলা যায় গত ২৯ এ আগস্ট
ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা ছয় দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন ও বিপুল সমাবেশ করেছেন, বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখা যায় । কর্মচারীদের দাবির মধ্যে ছিল , অ্যাডহক ও মাস্টাররোল কর্চারীদের স্থায়ীকরণ, এলডিএ কাম টাইপিস্ট পদ পরিবর্তন করে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে উন্নীত করে বেতন ১২ হাজার টাকা করা, মাস্টার্স পাস করা কর্মচারীদের দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নীত করতে পাঁচ বছরের জায়গায় তিন বছর করা, চাকরির বয়স ৬৭ বছর করা, বন্ধের দিন কাজ করলে ওভারটাইম ভাতা প্রদান এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পর্যায়ক্রমে তৃতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা। সমাবেশ বক্তব্য দেন তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি । কর্মচারী নেতারা এই বলে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন যে অবিলম্বে ছয় দফা দাবি পূরণ না করলে আরো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দাবি আদায় করা হবে । কিন্তু দেখা যায় এক অজানা কারণে সকল তোর জোর হয় অসার , আন্দোলন যায় বিফলে , বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা পড়েন পুলিসি নির্যাতনে দারুনভাবে । আবার উল্টোটি ও দেখা যায় , যেমন কিছুদিন আগের এক সংবাদে দেখা গিয়েছিল যে বরিশাল সিটি করপোরেশন এর নির্বাচিত মেয়র নিয়ম না মেনে অর্ধশতাধিক মাস্টাররোল কর্মচারীদের রাজস্ব খাতভুক্ত করায় অন্যদের মাঝে আন্দোলন দানা বাধে , অনুরূপভাবে মাস্টাররোল থেকে আটজনকে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে কোন এক সময়ে সংসদ সচিবালয়েও চলেছিল তীব্র বিক্ষোভ । তাই অযোগ্য নেতা ও অযোগ্য ব্যবস্থা দুটো নিয়েই সমস্যা । আশরাফুল ভাই যতার্থই বলেছেন, অজ্ঞানতা, অদূরদর্শিতা ও অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে অশিক্ষিত দরিদ্র মানুষ কোন কালেই তার প্রাপ্য বুঝে পায়নি। লিখাটি যথাথ্যোগ্য পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা রাখি ।

ধন্যবাদ সমাজ সচেতনতামুলক সুন্দর এ লিখাটির জন্য, যদিও গল্পের আকারে লিখা তার পরেও সঠিক একটি চিত্রই ফুটে উঠেছে লিখাটিতে ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাকৃবি ও বসিক-এর দৃষ্টান্ত এই গল্পের মূল বার্তাকে অনেকটাই সাপোর্ট করে বলে মনে করি। আপনি চমৎকার দুটি বাস্তব উদাহরণ উল্লেখ করে সামাজিক সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন। এমন অসংখ্য উদাহরণ শুধু আমাদের দেশ ও সমাজের অগ্রগতির অন্তরায়ই নয়, বরং মানুষের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত।

ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নোটের পেছনে দেকা যাচ্ছে বুড়া মতো একজন লোক, মনে লয় আপনিই হবেন B-)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়। =p~

৩৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতি উত্তরের জন্য ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রুটি খামু না, ভাত খামু। রাইতে রুটি খায় ডায়াবেটিস রুগীরা। আমার তো ডায়াবেটিস নাই।

৩৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বেশী ভাত খাইলে মুটিয়ে যাবেন, এখন থেকে হিসেব করে খেতে হবে :D

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কম খারাপ কন নাই। হে হে হে। =p~

৪০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: রাইত হইছে, কি খাইবেন কন :D

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যে কোন ফলের জুস। আজকাল এটাই খাচ্ছি কামাল ভাই। সকালে ঘুম থেকে উঠলে শরীরটা বেশ ঝরঝরে ও এনার্জেটিক মনে হয়।

৪১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এসব ফর্মালিন খেলে তো বেশী দিন টিকবেন্না, ভালো কিছু খেলে বলুন :D

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ফলের জুস সবদিন খাওয়া হয়না। আনারস আর লাল আঙ্গুরের জুস খাই। তবে লাল আঙ্গুর ফরমালিনের ভয়ে চার পাঁচ ঘণ্টা আগে ভিজিয়ে রাখা হয়। তারপর ভালো করে কচলে নিয়ে হাল্কা গরম পানিতে ধুয়ে নিই। আমার এক বন্ধু ডাক্তার এভাবে খেতে বলেছে। আল্লাই জানে কী খাচ্ছি।
আচ্ছা বেশ, জুস না দিলে চিকেন ফ্রাই দেন। আর না হলে চিকেন বারবি কিউ।

৪২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার যা শরীরের অবস্থ্যা চিকেন ফ্রাই বা চিকেন বারবি কিউ খাইলে দুই দিনও টিকবেন্না, অন্য কিছু খেলে বলেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তাহলে খাসির রেজালা বা বিফ ভুনা দিতে পারেন।

৪৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: গরু খাসী হলো রোগের ডিপো, আমি সুস্থ্য জ্ঞানে আপনার এমন ক্ষতি করতে পারি না।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সে তো বটেই। সে তো বটেই। বুড়ো মানুষ তো এমনিতেই মরা। সেই মরা মেরে অহেতুক খুনের দায় নিবেন কেন?

এক কাজ করেন। খাওয়াবেনই যখন, তখন না হয় চকবাজারের 'বড় বাপের পোলায় খায়' এক গামলা দিতে পারেন। এইডা আমার বড় আব্বায় খুব খাইত। =p~ =p~ =p~

৪৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮

পবন সরকার বলেছেন: মজার গল্প পড়ে খুব মজা পেলাম। তবে অনেক পড়ে এসেছি আমার জন্য যা কিছু পারেন খাওন টাওন দেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পবন সরকার। উপরে অনেক খাবার আছে। পছন্দ মতো খেয়ে নিন। হাঃ হাঃ হাঃ।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বড় বাপের পোলায় খায় না, এটা আসলে হবে বাপের বড় পোলায় খায়। আপনি আপনার বাপের বড় পোলা কিনা আগে কন, তারপর আমি ভেবে দেখি =p~

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না, আমি মেজ পোলা। বড়টা পটল তুলছে ২৩ বছর আগে।

বুঝছি, আমার কপালে খাওন নাই। এক গ্লাস পানিই দেন।

৪৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আগে কন কার ক্ষেত থেকে পটল তুলছিলো, অন্য কোন সবজি কেন তুললো না। :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পটল তুলতে বেসম্ভব মজা, তাই আমার বড় ভাই অন্য সবজি না তুইলা পটল তুলছিল। আমিও পটল তুলবো। বেশি দেরি নাই। হে হে হে। পটল তোলার মধ্যে একটা আনন্দ আছে না? =p~

৪৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তবে আমিও বলি পটল তরকারী কিন্তু কম কারাপ না :D

৪৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পটল ভাজা দিয়া কইতাছেন পটলের তরকারি! আমি চোখে খাটো হইলেও কোনডা ভাজা আর কোনডা ঝোল ঠিকই বুঝি। যাক, দিছেন যখন পেটে চালান কইরা দিই। লগে জলপাইয়ের চাটনি হইলে....

৪৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পটল নিজেই একটা তরকারী, সেটা ভাজি হোক বা রান্না করা তরকারী

৫০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৯

পুলক ঢালী বলেছেন: সাধারন মানুষের সরলতা আর অশিক্ষাকে পুজি করে টাউট নেতারা দুটো করে খাচ্ছিলো দিলেন তো আপনি হাটে হাড়ী ভেঙ্গে?
তবে উপভোগ্য হয়েছে আপনার রসালো উপস্থাপনায়। লিখতে থাকুন হেনা ভাই লেখার মধ্যেই মানসিক তৃপ্ততা আপনার জীবনকে দীর্ঘায়িত করবে।ভাল থাকুন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লিখতে থাকুন হেনা ভাই লেখার মধ্যেই মানসিক তৃপ্ততা আপনার জীবনকে দীর্ঘায়িত করবে।ভাল থাকুন।


যথার্থ বলেছেন। লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ততা, উইট, হিউমার এসব নিয়ে থাকলে অতীতকে সাময়িকভাবে হলেও ভুলে থাকা যায়। একেবারে ভুলে যেতে পারি না। একাকী হলেই পেছনের দিন গুলো এসে গ্রাস করে আমাকে। ভুলে থাকতে চাই। কিন্তু পারি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.