নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ কুদ্দুসনামা

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

সচরাচর মিথ্যে কথা বলে যারা অভ্যস্ত, তাদের সত্যি কথাও মিথ্যের মতো শোনায়। ড্রাইভার কুদ্দুসের ব্যাপারটা দেখুন। ছোটবেলা থেকে সে মিথ্যে কথা বলে। স্কুলে পড়ার সময় ‘পেটে ব্যথা’, ‘মায়ের অসুখ’ ইত্যাদি ছোট ছোট মিথ্যে কথা বলে স্কুল ফাঁকি দেওয়া তার কাছে কোন ব্যাপার ছিল না। মিথ্যে বলার জন্য স্কুলের শিক্ষকদের কাছে বেদম ধোলাই খেয়েও সে এই বদভ্যাস ত্যাগ করতে পারেনি। ধোলাই খেতে খেতে হাঁচড়ে পাঁচড়ে কোনমতে ক্লাস এইট পাশ করার পর সে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে এক সরকারি অফিসের ভেহিক্যাল সেকশনে হেল্পার কাম ক্লিনার পদে মাস্টার রোলে কাজ করতে শুরু করে।

কুদ্দুস গরীবের ছেলে। তার সংসারে অভাব অনটনের কথা শুনে সিনিয়র ড্রাইভার মহসিন মিয়ার দয়া হলো। সে কুদ্দুসকে একটু একটু করে তালিম দিয়ে দু’বছরের মধ্যে পুরোদস্তুর ড্রাইভার বানিয়ে দিল। ঘুষ দিয়ে বিআরটিএ থেকে তার ড্রাইভিং লাইসেন্সও করিয়ে দেওয়া হলো। নিজের কাজের পাশাপাশি কুদ্দুস ভেহিক্যাল সেকশনের ড্রাইভারদের ছুটি ছাটায় গাড়ি চালাতে লাগলো। এভাবে দীর্ঘদিন গাড়ি চালালেও পোস্ট ফাঁকা না থাকায় তার চাকরি পার্মানেন্ট হলো না। ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ ভিত্তিতে কাজ করতে করতে অবশেষে একদিন তার কপাল খুললো। তার ওস্তাদ মহসিন মিয়া রিটায়ার করলে তার শুন্য পদে কুদ্দুসকে নিয়োগ দেওয়া হলো।

এতদূর উঠে আসার পেছনে কুদ্দুসের সবচেয়ে বড় যোগ্যতা ছিল অজস্র মিথ্যে কথা বলা আর দুর্দান্ত অভিনয়। এ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার পর মিথ্যে কথা বলতে বলতে কুদ্দুস সত্যি কথা বলা প্রায় ছেড়েই দিল। স্কুল জীবনের মতো চাকরি জীবনেও মিথ্যে বলাটা তার কাছে হয়ে গেল ডাল ভাত। মিথ্যে বলে কখনো কখনো ধরা খেলেও ‘লজ্জা’ নামের শব্দটির সাথে তার পরিচয় না থাকায় সে মোটেই বিব্রত হলো না। প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে লোণ নেওয়ার সময় সে লোণের কারণ হিসাবে লিখলো, মায়ের চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন। ডাঁহা মিথ্যে কথা। কারণ, তার মা মারা গেছে অন্তত দশ বছর আগে। এইভাবে শুরু হয়ে গেল তার বড় বড় মিথ্যে কথা বলা। ছুটি, লোণ, এ্যাডভান্স, ফানারাল ইত্যাদি সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য হেন মিথ্যে কথা নাই, যা সে তার দরখাস্তে লেখে না। মায়ের চিকিৎসার জন্য লোণ নেওয়ার কিছুদিন পর মাকে মেরে ফেলে ( বাস্তবে নয়, দরখাস্তে ) সে ফানারাল মঞ্জুরি চেয়ে আবেদন করলো। সাথে একখানা ভুয়া ডেথ সার্টিফিকেট। নিম্নপদস্থ সরকারি কর্মচারীদের স্ত্রী, নাবালক সন্তান ও পিতামাতা কেউ মারা গেলে সরকারি খরচে ফানারাল নামের এই মঞ্জুরির টাকা থেকে দাফন কাফনের ব্যবস্থা আছে। আর সেই কারণে এই মঞ্জুরি ইমার্জেন্সী প্রকৃতির। আবেদন করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুই হাজার টাকা মঞ্জুর হয়ে গেল এবং টাকাগুলো পকেটে ভরে কুদ্দুস চোখ মুছতে মুছতে দুই দিনের ছুটি নিয়ে অফিস ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে গেল।

বউয়ের প্রথম বাচ্চা হবার পর কুদ্দুস অফিসের স্টাফদেরকে বলেছিল তার ছেলে হয়েছে। কিন্তু পরে জানা গেল, তার মেয়ে হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় বাচ্চাটি হলো ছেলে। কিন্তু কুদ্দুসের কথা কেউ বিশ্বাস করলো না। কারণ, সে যে প্রচুর মিথ্যে কথা বলে সেটা অফিসের লোকজন বুঝে ফেলেছে। তার দু’একটা সত্যি কথাও তাদের কাছে মিথ্যে বলে মনে হয়। তাই সবাই ধরে নিল কুদ্দুসের এবারও মেয়ে হয়েছে। তারা তাকে আশ্বাস দিয়ে বললো, ‘মেয়ে হয়েছে তো কী হয়েছে? ছেলের চেয়ে মেয়েই ভালো।’
কুদ্দুস রেগে গিয়ে বললো, ‘বলছি তো মেয়ে হয়নি, ছেলে হয়েছে।’
‘ও, ছেলে হয়েছে? ভালো, ভালো।’
এক সপ্তাহ পর অফিসের আরেক ড্রাইভার আকরাম জিজ্ঞেস করলো, ‘কুদ্দুস, তোমার ছোট মেয়েটি কেমন আছে? ভালো তো?’
কুদ্দুস চিৎকার করে বললো, ‘ছোটটি মেয়ে নয়, ছেলে। কতবার বলবো তোমাদেরকে?’
‘ও, আচ্ছা আচ্ছা! তোমার বড়টিও তো ছেলে, তাই না? তাহলে তোমার দুটোই ছেলে। মেয়ে নাই। আহা! একটা মেয়ে হলে কত ভালো হতো! তোমার স্ত্রীর লাইগেশন করিয়ে নিতে পারতে।’

অফিস প্রধানের পাজেরো গাড়ি চালায় জুলফিকার। সরকারি গাড়ি। তেল মবিলের কোন হিসাব নাই। এই গাড়ির দিকে সব ড্রাইভারের নজর। কুদ্দুসেরও মনে মনে খুব ইচ্ছা বসের গাড়ি চালানোর। কিন্তু সুযোগ মেলে না। একবার ভাগ্যক্রমে সুযোগ পেয়ে গেল সে। জুলফিকার জরুরী কাজে সাত দিনের ছুটি নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি গেলে কুদ্দুসকে বসের গাড়ি চালানোর অর্ডার দেওয়া হলো। আর তার ডিউটিসহ ডুয়েল করার অর্ডার দেওয়া হলো আকরামকে।
কুদ্দুস মহা খুশি। বসের গাড়ি চালালে তেল, মবিল, পার্টস, সার্ভিসিংসহ নানারকম চুরি চামারির সুযোগ পাওয়া যায়, যা অন্য গাড়িতে তেমন পাওয়া যায় না। অন্য গাড়ি একবার নষ্ট হলে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার কারণে মেরামত হতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু বসের গাড়ির কোন অসুবিধা হলে সাথে সাথে ঠিক করা হয়। বসের গাড়ি বলে কথা! তা’ ছাড়া বসের ড্রাইভার মানে মিনি বস। বসের কান থেকে ড্রাইভারের মুখের দূরত্ব খুবই কম। অধিকাংশ বসই কান কথা শুনতে ভালোবাসে। তাই স্বাভাবিকভাবেই অফিসের স্টাফরা বসের ড্রাইভারকে সমীহ করে চলে। এসব নানা কারণে জুলফিকারের স্টিয়ারিংটা নিজের হাতে পেয়ে কুদ্দুস আকাশের চাঁদ হাতে পেল। এবার স্টিয়ারিংটা যেন আর জুলফিকারের হাতে ফেরত না যায়, তার একটা যুৎসই ফন্দি বের করতে হবে। আর ফন্দি একটা বেরিয়েও গেল।

বসের অফিসিয়াল ডিউটি ছাড়াও কোয়ার্টার থেকে তার বাচ্চা কাচ্চাদের স্কুলে আনা নেওয়া করা, বাজার হাট, মুদিখানা, লন্ড্রি, ফার্মেসি, বেগম সাহেবার শপিং, পার্লার ইত্যাদি সবই ড্রাইভারের দায়িত্বে। তো একদিন বেগম সাহেবা কুদ্দুসকে একটা পঞ্চাশ টাকার নোট দিয়ে মুদিখানা থেকে দু’হালি ডিম আনতে বললেন। কুদ্দুস ডিম এনে বেগম সাহেবাকে আঠারো টাকা ফেরত দিলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ডিমের দাম কমেছে নাকি?’
কুদ্দুস বললো, ‘না, ম্যাডাম। ডিমের দাম তো কমেনি। ষোল টাকা হালি অনেক দিন থেকেই চলছে। বাজারেও তো একই দাম।’
‘কী বলছো তুমি? জুলফিকার তো গত কয়েক মাস ধরে কুড়ি টাকা করে ডিম আনছে। মাঝে মাঝে বাইশ টাকাও দিতে হয়।’
‘না, না, ম্যাডাম। ডিম তো আমার বাসাতেও লাগে। গত কয়েক মাসে আমি ষোল টাকার বেশি দিয়ে ডিম কিনিনি কোনদিন। তার আগে তো বারো টাকাও ছিল।’
‘বল কী?’ ম্যাডাম হতভম্ব।
কুদ্দুস কিছু না বলে মুচকি হাসির সাথে ইঙ্গিতপূর্ণ মুখভঙ্গির মাধ্যমে এমন একটা অভিনয় করে দেখালো যে ম্যাডামের মাথা ঘুরে গেল। তিনি সেই দিনই তার সাহেবকে বললেন, ‘জুলফিকার ছুটি থেকে ফিরলে ওকে অন্য গাড়িতে বদলি করে দাও।’
‘কেন, কী হয়েছে?’
ম্যাডাম ডিমের ঘটনা খুলে বলে তার সাহেবকে বোঝালেন যে, সামান্য ডিম থেকে যদি সে প্রতি হালিতে চার টাকা চুরি করতে পারে, তাহলে এতদিন তাকে দিয়ে যে হাজার হাজার টাকার কেনাকাটা করানো হয়েছে তা’ থেকে সে নিশ্চয় বহু টাকা চুরি করেছে। তাকে এই গাড়িতে রাখা যাবে না। কুদ্দুস আছে, কুদ্দুসই থাক।

শেষ পর্যন্ত তাই হলো। জুলফিকার ছুটি কাটিয়ে এসে ট্রান্সফার অর্ডার নিয়ে অন্য গাড়িতে চলে গেল। সে জানতেও পারলো না যে কী কারণে তাকে বদলি করা হলো।
কুদ্দুস কয়েক সপ্তাহ নিজের পকেট থেকে ভর্তুকি দিয়ে চালানোর পর একদিন ভর্তুকি তুলে নিয়ে বললো, ‘ডিমের দাম বেড়ে গেছে ম্যাডাম।’
ম্যাডাম বললেন, ‘সব জিনিষেরই দাম বাড়ছে তো ডিমের আর দোষ কী?’

বসের গাড়ি চালিয়ে বেশ সুখেই ছিল কুদ্দুস। কিন্তু এই সুখ তার কপালে সইলো না। কিছুদিন পর তার বস বদলি হয়ে গেলেন। তার জায়গায় ভীষণ রাশভারি চেহারার নতুন বস এসে অফিসের অনেক কর্মচারীকে বদলি করে দিলেন। কুদ্দুসকে বদলি করা হলো ঢাকা থেকে খুলনায়। হেড অফিস থেকে এক ধাক্কায় রিজিওনাল অফিসে বদলি। কুদ্দুসের মাথায় বিনা মেঘে বজ্রপাত।
বদলি ঠেকানোর জন্য পরদিন বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে অফিসে চলে এল কুদ্দুস। কিন্তু বসের চেম্বারে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো সে। বসের এ্যাটেনডেন্ট পিওন জলিল এতদিন কুদ্দুসকে সালাম দিয়ে কথা বলতো। কিন্তু আজ তার চেহারা বসের চেয়েও ভয়ংকর। সে কুদ্দুসকে কড়া গলায় জানিয়ে দিল যে, এই মুহূর্তে যদি সে বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে এখান থেকে চলে না যায় তো বস বলেছেন তাকে সাসপেন্ড করা হবে। কুদ্দুসের বউ বিরামহীন কেঁদে চলেছে দেখে জলিল কষে ধমক দিয়ে বললো, ‘চুপ! একদম চুপ! ননসেন মহিলা! পোলাপান নিয়া অফিসে আইয়া পড়ছে।’

শেষ পর্যন্ত কুদ্দুসকে খুলনায় যেতেই হলো। সেখানে জয়েন করে সে বিকট বিকট মিথ্যে কথা লিখে ঢাকায় বদলির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দরখাস্ত পাঠাতে লাগলো। যেমন- “ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে আমার পক্ষাঘাতগ্রস্থ পিতার ফিজিওথেরাপী চলিতেছে। তাহার চিকিৎসা ও দেখাশুনার জন্য আমি ছাড়া আর কেহ নাই। আমি তাহার একমাত্র সন্তান। এমতাবস্থায়...............”
কিন্তু কুদ্দুসের পিতা আদৌ পক্ষাঘাতগ্রস্থ নন এবং সেও তার পিতার একমাত্র সন্তান নয়। তার আরও তিন ভাই ও দুই বোন আছে। পিতা পঁয়ষট্টি বছর বয়সেও বেশ শক্ত পোক্ত মানুষ এবং তিনি তার বড় ছেলের সাথে গ্রামের বাড়ি বরিশালের মুলাদীতে থাকেন।
ডিপার্টমেন্টাল ইনকোয়ারিতে কুদ্দুসের মিথ্যা ধরা পড়ে গেল। বদলি তো দূরের কথা, মিথ্যা তথ্য দিয়ে বদলির আবেদন করায় তাকে শো-কজ করে একটা ইনক্রিমেন্ট কেটে নেওয়া হলো। কুদ্দুসের বেতন কমে গেল।

বছর খানেক চুপচাপ থাকার পর হেড অফিসে নতুন বস এলে কুদ্দুস আবার বদলির আবেদন করলো। এবার সে লিখলো স্ত্রীর টিউমারের কথা। সাথে একখানা ভুয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট (ডাক্তারকে টাকা দিলে এমন সার্টিফিকেট আকছার পাওয়া যায়)।
“উক্ত টিউমারের অপারেশন খুলনায় সম্ভব নয় বিধায়.........।” অতঃপর ইনিয়ে বিনিয়ে অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ভাষায় ঢাকায় বদলির আবেদন।
কর্তৃপক্ষ তাকে বদলি না করে এক মাসের ছুটি দিয়ে দিল এবং স্ত্রীর অপারেশন শেষে আবার খুলনা অফিসেই যোগদানের আদেশ দিল। যোগদানের সময় জয়েনিং রিপোর্টের সাথে স্ত্রীর অপারেশন করা হয়েছে মর্মে হাসপাতালের সনদপত্র দাখিল করতে হবে।
কুদ্দুসের বেশিরভাগ মিথ্যে কথাই অসুস্থতা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত। কারণ, সে লক্ষ্য করে দেখেছে এতে বেশ কাজ হয়। তবে সে ভুলেও কখনো নিজের অসুখের কথা লেখে না। একবার নিজের এরকম মিথ্যে অসুখের কথা লিখে ছুটি চাওয়ায় তার আগের এক বস বলেছিলেন, ‘কুদ্দুস, মুরগির অসুখ হলে মানুষ কী করে জানো? মুরগিকে জবাই করে খেয়ে ফেলে। তোমাকে কিন্তু আমি ইনভ্যালিড পেনশনে পাঠিয়ে দেব।’
তারপর থেকে কুদ্দুস কখনো নিজের অসুখের কথা লেখে না। কিন্তু আজকাল অন্যদের অসুখের কথা লিখেও কাজ হচ্ছে না। বরং একবার একটা ইনক্রিমেন্ট খোয়াতে হলো, আর এবার আদেশ হলো স্ত্রীর অপারেশন হয়েছে মর্মে হাসপাতালের সনদপত্রসহ আগের অফিসেই জয়েন করতে হবে। বিপদ আর কাকে বলে!
কুদ্দুস ঝুঁকি নিল না। অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পয়সা নাই, তাই আপাতত স্ত্রীর অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে সে এক মাসের ছুটি বাতিল করে দিল। মিথ্যে কথা লিখে এবারও তার কোন ফায়দা হলো না।

বহু চেষ্টা করেও কুদ্দুস ঢাকায় বদলি হতে পারে না। তিন বছর খুলনায় থাকার পর তাকে বদলি করা হলো রাজশাহীতে। সেখানে দু’বছর কাটিয়ে যেতে হলো রংপুর। তারপর চট্টগ্রাম। এভাবে ঢাকার বাইরে ঘুরতে ঘুরতে চাকরি জীবনের শেষের দিকে এসে একদিন সে এক দালালের খোঁজ পেয়ে গেল। সরকারের উপর মহলে এই দালালের ভীষণ দহরম মহরম। মন্ত্রী এমপি সব তার হাতের মুঠোয়। কুদ্দুসকে ঢাকায় বদলি করা তার কাছে ওয়ান টু ব্যাপার। প্রথম প্রথম একটু দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগলেও কুদ্দুস দালালকে কিছু টাকা দিয়ে তার বদলির আবেদনপত্রে একজন মন্ত্রীর লিখিত সুপারিশ নিয়ে হেড অফিসে পাঠিয়ে দিল। দালাল বললো, এক সপ্তাহের মধ্যে অর্ডার হয়ে যাবে।

অর্ডার এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে গেল। তবে সেটা ট্রান্সফার অর্ডার নয়, সাসপেনশন অর্ডার। আবেদনপত্রে ভুয়া সুপারিশের অভিযোগে ‘মিসকন্ডাক্ট’ চার্জ এনে কুদ্দুসকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হলো। এবার অবশ্য কুদ্দুসের বউয়ের আকাশ পাতাল কান্নাকাটি দেখে কর্তৃপক্ষের একটু দয়া হলো। বিভাগীয় তদন্ত শেষে কুদ্দুসকে ডিসমিস না করে কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিতে জয়েন করার সুযোগ দিল। তবে শাস্তি হিসাবে তার দুটো টাইম স্কেল গচ্চা গেল। একই স্কেলের অনেক জুনিয়র কর্মচারীর চেয়ে কুদ্দুসের বেতন কমে গেল।

দেখতে দেখতে কুদ্দুসের রিটায়ারমেন্টের সময় হয়ে গেল। কিন্তু তার মাথা থেকে মিথ্যের ভুত নামলো না। সে কোত্থেকে একটা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র জোগাড় করে সার্ভিস এক্সটেনশনের দরখাস্ত করলো। মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীরা অতিরিক্ত দু’বছর চাকরি করার সুযোগ পায়। এই সুযোগটা সে কাজে লাগাতে চাইল।
দরখাস্ত পেয়ে হেড অফিস থেকে কুদ্দুসকে ডেকে পাঠানো হলো। সে দু’রাকাত নফল নামাজ পড়ে তসবিহ হাতে জিকির করতে করতে বসের সাথে দেখা করতে ঢাকায় চলে এলো।

বস নরম স্বভাবের ভদ্রলোক মানুষ। তিনি অফিসের হেড ক্লার্কের কাছে কুদ্দুসের দরখাস্ত, সার্ভিস বুক, পার্সোনাল ফাইল ও এসিআর চেয়ে পাঠালেন। মনোযোগ দিয়ে সমস্ত নথিপত্র দেখার পর তিনি কুদ্দুসকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি মুক্তিযোদ্ধা ছিলে?’
‘জি স্যার।’
‘কোন্ সেক্টরে যুদ্ধ করেছো?’
কুদ্দুস আমতা আমতা করে বললো, ‘এতদিন পরে কী আর মনে আছে স্যার?’
‘তোমার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার কে ছিল?’
কুদ্দুস মাথা চুলকে মনে করার চেষ্টা করলো। কিন্তু কমান্ডারের নাম তার মনে পড়লো না। সে হাসি হাসি মুখ করে বললো, ‘মনে পড়ছে না স্যার।’
অফিসার ঠাণ্ডা চোখে অনেকক্ষণ কুদ্দুসের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেন। তারপর তার চোখে চোখ রেখে শান্ত গলায় বললেন, ‘দরখাস্ত উইথড্র করো। তোমার জন্য সেটাই ভালো হবে।’
কুদ্দুস উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বললো, ‘কেন স্যার?’
‘তোমার এই মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র যাচাইয়ের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে কী রিপোর্ট আসবে, সেটা আমরাও জানি, তুমিও জানো। তাই দরখাস্ত উইথড্র করাটাই তোমার জন্য ভালো হবে।’
কুদ্দুস কাঁপতে কাঁপতে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললো, ‘ঠিক আছে স্যার। আমার দরখাস্তটা ফেরত দিয়ে দেন।’
‘স্টাফ সেকশন থেকে সই করে ফেরত নিয়ে যাও। আমি বলে দিচ্ছি।’ অফিসার কলিং বেলের সুইচ টিপে হেড ক্লার্ককে ডেকে পাঠালেন।

কুদ্দুস যেদিন অবসরে গেল, সেদিন সে অফিসের স্টাফদের কাছে মাত্র একটাই মিথ্যে কথা বলেছিল, ‘মুক্তিযোদ্ধা হয়েও এক্সটেনশন নিলাম না ভাই। আসলে চাকরি করতে আর ভালো লাগছিল না। বহু বছর তো চাকরি করলাম। আর কত?’
*************************************************************************************************************

মন্তব্য ১৭১ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (১৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

বর্ষন হোমস বলেছেন: ভাইরে জটিল একখানা গল্প।পড়ে খুবই ভাল লাগলো।কুদ্দুসকে মিথ্যার সম্রাট বলা চলে।
তবে একখানা ভুল হয়ে গেল।প্রথমে লিখেছেন তার বাবা মৃত তারপর আবার লিখেছেন বড় ভাইয়ের সাথে গ্রামে থাকে।যাইহোক কাহিনী অসাধারণ!!

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রথমে লিখেছেন তার বাবা মৃত তারপর আবার লিখেছেন বড় ভাইয়ের সাথে গ্রামে থাকে।

না ভাই। কুদ্দুসের বাবা মৃত এ কথা গল্পের কোথাও লেখা হয়নি। তার মা দশ বছর আগে মারা গেছেন এ কথা লেখা হয়েছে।

ধন্যবাদ ভাই বর্ষন হোমস। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

এক কুদ্দুসতো শূধূ নিজরে জীভন জড়িয়ে ছিল নিজের মিথ্যা দিয়ে!
রাষ্ট্রীয়/রাজনীতির কুদ্দুসরাতো পুরা জাতিরে ভোগাইতেছে ;)

তাদেরকে ইট্টু শেষ মিথ্যা দিয়া রিটায়ারমেন্টে পাঠানো যায়না ভাই ;)

গল্পে ++++

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রাষ্ট্রীয়/রাজনীতির কুদ্দুসরাতো পুরা জাতিরে ভোগাইতেছে

ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লেগেছে ভাই। তবে আরেকটু ভাল হলে আরও ভাল হত

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোস্তফা সোহেল।

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পৌনে দশটায় পোষ্ট দিলেন, আমি এতোক্ষণে দেখলাম ক্যান!!!!!!! পরে এসে পড়ে মন্তব্য করবো।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার মনে হয় আপনার ক্যামেরার লেন্সে শীতের কুয়াশা জমে ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। তাই সকালে দেখতে পাননি। হে হে হে।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

রানা আমান বলেছেন: খুবই ভালো লেগেছে এ লেখাটা আমার ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রানা আমান।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

ডি মুন বলেছেন: হা হা হা , বেচারা অবসরের সময়েও মিথ্যের জাল থেকে বের হতে পারল না।
স্বভাব ভয়ানক জিনিস।

গল্প পড়ে আনন্দ পেলাম ভাই।
+++ :)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। স্বভাব বদলানো খুব কঠিন। আমার লেখায় আপনাকে অনেক দিন পরে পেলাম। ধন্যবাদ ভাই ডি মুন।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কুদ্দুস চিৎকার করে বললো, ‘ছোটটি মেয়ে নয়, ছেলে। কতবার বলবো তোমাদেরকে?’
‘ও, আচ্ছা আচ্ছা! তোমার বড়টিও তো ছেলে, তাই না? তাহলে তোমার দুটোই ছেলে। মেয়ে নাই। আহা! একটা মেয়ে হলে কত ভালো হতো! তোমার স্ত্রীর লাইগেশন করিয়ে নিতে পারতে।’
......আহা বেচারাকে আপনি এতোটা মাইর না দিলেও পারতেন :D

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই গল্পটি আমার চাকরি জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। স্থান, কাল, পাত্রের কিছু পরিবর্তন করা হলেও মূল ঘটনা ঠিক রাখা হয়েছে। কুদ্দুসের মতো অবিশ্বাস্য মিথ্যাবাদিকে দেখলে আপনিও এরকম মাইর না দিয়ে পারবেন না কামাল ভাই। হাঃ হাঃ হাঃ।

৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ পোস্ট । সরাসরি প্রিয়তে গেল ।
একবার মিথ্যার জালে জড়ালে তার থেকে বেড়িয়ে অাসার
জন্যও মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়, এ বিষয়টিও এ গল্পটিতে
ফুটে উঠেছে । গল্পটি থেকে অনেক শিক্ষনীয় আছে ।

ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একবার মিথ্যার জালে জড়ালে তার থেকে বেড়িয়ে অাসার
জন্যও মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়,


একদম ঠিক কথা। গল্পটি প্রিয়তে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কুদ্দুস যেদিন অবসরে গেল, সেদিন সে অফিসের স্টাফদের কাছে মাত্র একটাই মিথ্যে কথা বলেছিল, ‘মুক্তিযোদ্ধা হয়েও এক্সটেনশন নিলাম না ভাই। আসলে চাকরি করতে আর ভালো লাগছিল না। বহু বছর তো চাকরি করলাম। আর কত?’ .....খুব মজা পাইলাম কুদ্দুসের এমন কথায়, আর আপনার ক্ষুরধার লেখনীর প্রমান আমাদের কাছে আরো একবার উম্মোচিত হইল।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হে হে হে। ব্যাটা কুদ্দুস যদি নরসিংদীর এক কাঁদি সাগর কলা তার বসকে ঘুষ দিতে পারতো, তাহলে তার এক্সটেনশন হয়ে যেতো। তাই না কামাল ভাই?

১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আহ! এখুনি ভাপা পিঠা খেয়ে এলাম। এসেই এমন লোভ ধরানো চা! আমাকে এখন হাতি দিয়ে টেনেও চায়ের কাপ থেকে কেউ তুলতে পারবে না।

১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এটা তো চা না ভাই, এটা রং ফর্সা করার লোশন। খেয়ে ফেললে সমস্যা নাই, ভেতরের কলকব্জা ক্লিন হবে কুদ্দুসের মতো এমন ভালো ভালো গল্প আরো বের হবে। :-B

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কুদ্দুসনামা পড়ে আপনিও কুদ্দুসের মতো মিথ্যা কথা বলা শিখে ফেলেছেন।


আচ্ছা, রঙ ফর্সা করার ক্রিম আছে, রঙ কালো করার ক্রিম নাই? ট্রাম্পের চামড়া কালা কইরা তারে নিগ্রু বানাইয়া দিতাম। ব্যাটা কুদ্দুসের মতোই মিথ্যাবাদি।

১২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




একটি আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলামীয় প্রযোজনা ।

[ কুদ্দুস ষ্টাইলে বলবো যে, মোটেও ভালো হয় নাই ? :P ]

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কুদ্দুস ষ্টাইলে বলবো যে, মোটেও ভালো হয় নাই ?

হাঃ হাঃ হাঃ।

১৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




একটি আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলামীয় প্রযোজনা । ;)

[ কুদ্দুস ষ্টাইলে বলবো যে, মোটেও ভালো হয় নাই ? :P ]

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রিপিট। ?

১৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




একটি আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলামীয় প্রযোজনা । ;)

[ কুদ্দুস ষ্টাইলে বলবো যে, মোটেও ভালো হয় নাই ? :P ]

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রিপিট এগেইন! ??

১৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




একটি আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলামীয় প্রযোজনা । ;)

[ কুদ্দুস ষ্টাইলে বলবো যে, মোটেও ভালো হয় নাই ? :P ]

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওহ! মাই গড! ???

১৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

কালীদাস বলেছেন: হাসতে হাসতে শেষ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~
আপনার লেখার ভক্ত হয়ে যাচ্ছি। চমৎকার লাগে আপনার রম্যগুলো।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কালীদাস।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
হা,হা,হা কুদ্দুস মজা পেলাম B-)
পড়ে ভালো লেগেছে ।
ভালো থাকুন ভাই।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হা,হা,হা কুদ্দুস মজা পেলাম


ধন্যবাদ ভাই শাহরিয়ার কবীর। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৮

জেন রসি বলেছেন:

হাহা...... কুদ্দুসনামা পড়ে মজা পেলাম। মিথ্যা খুব কার্যকরী একটা টুল। অনেক সফল ব্যাক্তিকে দেখলেই তা বুঝা যায়। :P

গল্পে প্লাস। :)


১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মিথ্যা খুব কার্যকরী একটা টুল।


তবে খুব ঝুঁকিপূর্ণ, তাই না?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই জেন রসি। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩০

কল্পদ্রুম বলেছেন: কুদ্দুসনামা পড়ে খুবই মজা পেলাম।প্রিয় লেখকের সুস্থতা কামনা করি।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কল্পদ্রুম।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কানা কুদ্দুসের গল্পটা কবে লেখবেন?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কানা কুদ্দুস আর কানা নাই / তার গল্প জানা নাই।

২১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
শুভ সকাল

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গুড আফটারনুন। থ্যাঙ্ক ইউ ফর টি এ্যান্ড বিস্কিটস।

ইংরেজিতে কথা বলা ঠিক আছে? ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রবেশ উপলক্ষে তার আমন্ত্রণে আমেরিকা যাচ্ছি। তাই ইংরেজিটা একটু ঝালিয়ে নিচ্ছি। =p~

২২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

আলোরিকা বলেছেন: মিথ্যা সৌভাগ্যের চাবিকাঠি !!! -------বেচারাতো খুব বেশি একটা সুবিধা করতে পারল না :)

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মিথ্যার ঘোড়া প্রথম প্রথম খুব জোরে দৌড়ায়, তারপর এমনভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে যে আর কোন দিন উঠে দাঁড়াতে পারে না।

ধন্যবাদ আলোরিকা। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

সিফটিপিন বলেছেন: কুদ্দুস কবরে গেলেও বলবে আবার হিসাব নিতে আইছেন ক্যান, আমার হিসাব তো কবেই হইয়া গেছে :P

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সিফটিপিন।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কুদ্দুস চরিত্রটিকে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন হেনাভাই। সমাজে যে কত কিসিমের মানুষ থাকে! অনেক শিক্ষনীয় এবং সুখপাঠ্য ও বটে।

আপনার সুস্থ্যতা কামনা করছি।
শুভেচ্ছা!

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭। পৃথিবীতে হরেক কিসিমের মানুষ আছে। হরেক প্রজাতির প্রাণী আছে। হরেক রকমের ও রঙের ফুল আছে। হরেক স্বাদের খাবার আছে। তাই তো পৃথিবীটা এত বৈচিত্র্যময়। পজিটিভ অর নেগেটিভ এভরিথিং আই এনজয় অন দ্যা আর্থ। যদি সব কিছুই পজিটিভ হতো বা সব কিছুই নেগেটিভ হতো তাহলে এই পৃথিবীর রঙ হতো সাদাকালো, রঙিন নয়।

ভালো থেক। শুভকামনা রইল।

২৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি ইংজিরি পারিনা, আমারে একটু টিপস্ দিয়েন, টেম্পে আমারেও দাওয়াত দিছে

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: টেম্পে আমারেও দাওয়াত দিছে


কুদ্দুসনামা লিখে ভুল করেছি। আপনার মতো একজন সাদা মনের মানুষ মিথ্যা কথা বলা শুরু করেছেন।

২৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: যেই দোকানের নাম সততা ষ্টোর সেকানে দেখবেন বাটপারি বেশী হয়, সুতরাং ইচ্ছে হলে কিছু বুঝে নিতে পারেন =p~

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, এবার একটা সত্য কথা বলেছেন। তবে কথার মধ্যে মিথ্যা মিথ্যা ভাব আছে। কুদ্দুসের মতো।

২৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৭

সোহানী বলেছেন: মনে পড়ছে ছোটবেলায় অনেক সময় বাসায় আব্বুর অফিসের লোকজন বউ বাচ্চা নিয়ে হাজির ও ব্যাপক কান্নাকাটর পর শুনতাম আব্বুর চেচামেচি... বেড়িয়ে যাও....

তখন না বুঝলে ও সরকারী কনসালটেন্সি করার সুবাধে এখন বুঝি ঘটনা কি। আমার কঠিন কড়া বাবা কেন বকা-ঝকা দিত তাদের। আর মা তাদের হয়ে কঠিন উকালতি করতো......

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মনে পড়ছে ছোটবেলায় অনেক সময় বাসায় আব্বুর অফিসের লোকজন বউ বাচ্চা নিয়ে হাজির ও ব্যাপক কান্নাকাটর পর শুনতাম আব্বুর চেচামেচি... বেড়িয়ে যাও....


কুদ্দুসের ঘটনার সাথে মিল আছে তাহলে। ধন্যবাদ বোন সোহানী। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বনে জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে এসব জড়ি বটি সংগ্রহ করেছেন কী কবিরাজি ব্যবসা করার জন্যে? এই ব্যবসা মন্দ না। আমার একটা পুরাতন রোগ আছে। দেখেন তো এসব জড়ি বটির মধ্যে এই রোগের ওষুধ আছে নাকি।
রোগটা হলো আমার খালি বিয়ে করতে মন চায়। =p~

২৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
আপনার চিকিৎসক পাইছি, আপনি তাড়াতাড়ি এই জাহাঙ্গীর পাগলার মুরিদ হন। =p~

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হে হে হে। বড়ই সৌন্দর্য! এই কবিরাজের নাম জাহাঙ্গীর পাগলা? আমি তো ভাবছিলাম আপনি এত তাড়াতাড়ি বুড়া হইলেন ক্যামনে?

৩০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

শুভ_ঢাকা বলেছেন: কুদ্দুসনামা পড়েছি মোবাইল দিয়ে ২/৩ দিন আগে। অসাধারন গল্প। আপনার লিখা একবার পড়া ধরলে শেষ না করে কেহ  উঠতে পারবে না। লেখার শেষ পর্যন্তও চমক থাকে। মোবাইল দিয়েই মন্তব্য করলাম। ভ্রমনের মাঝে আছি।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাই শুভ। অনেক দিন পর! আড্ডা ঘরে আসছেন না কেন? আগামী ২৬ তারিখে আড্ডা পোস্টের ছয় মাস পূর্তি আমরা সেলিব্রেট করবো।

মোবাইলে এত বড় লেখা পড়া এবং কমেন্ট করা খুবই ডিফিকাল্ট মনে হয় আমার কাছে। তারপরেও আপনি দুটো কাজই করেছেন ভ্রমনের মধ্যে থেকেও। এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন ভাই। শুভকামনা রইল।

৩১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

সাঈদ মুহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ব্যস্ত থাকায় কয়েকদিন ব্লগে আসতে পারিনি। তাই চমৎকার, শিক্ষনীয় এবং বাস্তবমুখী গল্পটি মিস করেছি। আসলে আমাদের সমাজে এ রকম অসংখ্য কুদ্দুস আছে, যাদের পুঁজি-ই হল মিথ্যা। তবে খুব বেশীদিন মিথ্যা দিয়ে তারা চলতে পারে না। "সে দু'রাকাত নফল নামায পড়ে তাসবিহ হাতে জিকির জিকির করতে করতে বসের সাথে দেখা করতে ঢাকায় চলে এল"-এখানেও কুদ্দুসীয় স্টাইল ছিল নাকি? যাই হোক, গল্পটির মূল্যায়ন করতে গিয়ে এটুকুই বলব, অসাধারণ ! হে আল্লাহ, আমার প্রিয় এবং শ্রদ্ধাভাজন গুণী এ লিখককে তুমি সুস্থ রেখো, দীর্ঘ জীবন দান কর।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: "সে দু'রাকাত নফল নামায পড়ে তাসবিহ হাতে জিকির জিকির করতে করতে বসের সাথে দেখা করতে ঢাকায় চলে এল"-

সাধারণতঃ মিথ্যেবাদি ও প্রতারক টাইপের লোকেরা এক ধরণের সাইকোলজিক্যাল কমপ্লেক্সে ভুগে থাকে। তারা মিথ্যে কথা বলে বা প্রতারণা করেও ভাবে যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাদের মনস্কামনা পূরণ করবেন। কিন্তু তারা এটা ভেবে দেখে না যে তারা আল্লাহর কাছে যে জন্য দোয়া করছে, তা' অত্যন্ত গর্হিত ও হারাম কাজ। এ ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তা তাদের মনস্কামনা পূরণ করতেই পারেন না। আমি বাস্তবে এমনও দেখেছি যে একজন পুলিশ অফিসারের বাবা তার ছেলের উপার্জিত হারাম টাকায় হজ করে এসেছেন। তিনি নিজে ভালো করেই জানতেন যে তার ছেলে ঘুষের টাকায় তাকে হজ করতে পাঠিয়েছে। এই গল্পের কুদ্দুস চাকরি এক্সটেনশনের জন্য ডাঁহা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েও সেই কাজে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করছে। আল্লাহর সাথে প্রতারণা ছাড়াও নৈতিক মূল্যবোধের কী ভয়াবহ অধঃপতন!

ধন্যবাদ ভাই সাঈদ মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম। ভালো থেক। শুভকামনা রইল।

৩২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
আপনার জন্য এক দোকান গামছা পাঠাইলাম =p~

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গামছার ব্যবসা কবে থেকে শুরু করলেন? গামছার রঙ পাকা তো? রঙ পাকা না হইলে আপনার খবর আছে কইলাম।

৩৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
যারা মিথ্যা বলে এবং আরও বলতে চায়, তাদের জন্য কুদ্দুস এক প্রজ্জ্বলিত দৃষ্টান্ত ;)

মিথ্যা একটা অভ্যাস ও প্র্যাকটিসের বিষয়। নিয়মিত চর্চায় কী না হয়!
এর পর আর ছাড়া যায় না, এই আর কি! কুদ্দুস তার উদাহরণ।


হেনা ভাই... ভালো থাকবেন এই শীতে! :)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরে মইনুল ভাই! অনেক দিন পর।


মিথ্যা একটা অভ্যাস ও প্র্যাকটিসের বিষয়। নিয়মিত চর্চায় কী না হয়!
এর পর আর ছাড়া যায় না, এই আর কি! কুদ্দুস তার উদাহরণ


ঠিক বলেছেন। বিপরীত ভাবে যারা সত্য কথা বলায় অভ্যস্ত, তারা অসুবিধা হবে জেনেও মিথ্যা কথা বলতে পারে না।

ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: কিচু মানুস আছে যারা কুদ্দুসের মতই, বিশেষ করে বাঙালী, প্রয়োজন ছাড়াই মিথ্যা কথা বলবে। চমৎকার গল্প, ভাল লাগল।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকে অনেকদিন পর আমার লেখায় পেলাম।

ধন্যবাদ ভাই ঢাকাবাসী। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পাকা রং এর গামছা একটা কিনলে আগামী দুই বছর আর কিনবেন না, এমন বোকা ব্যবসায়ী আমি না। :-B

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি বোকা ব্যবসায়ী না, পাকা ব্যবসায়ী।


৩২ নম্বর কমেন্টে আপনার ঐ গামছার ছবিটা গেল কই?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জাহাঙ্গীর পাগলা সব গামছা নিয়া যায় নাই তো?

৩৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ৩২এর ছবি তো আছে, আগে চশমাটা পড়ে নিন :-B

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছবিটা তো একটু আগেও ছিল না। এখন আবার আইলো ক্যামনে? কইছি না আমার নজর খারাপ।


সত্যিই কামাল ভাই, ছবিটা ছিল না। দুইটা সমান্তরাল রেখা ছিল শুধু। আমি ভেবেছিলাম, হয়তো নেটের প্রবলেম, অথবা হয়তো বড় ছবির কারণে সামুর নিজস্ব কোন সমস্যা। টেকনিক্যাল বিষয় তো আমি অত ভালো বুঝি না।

৩৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এটাই চশমার কেরামতি :)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কম খারাপ বলেন নাই। =p~ =p~ =p~

৩৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫০

মনিরুল হাসান বলেছেন: এত বড় গল্প পড়বো কিনা চিন্তা করে ভাবলাম একটু পড়ে দেখি। পড়তে পড়তে কোন ফাঁকে দেখি পুরোটাই পড়ে শেষ করে ফেলেছি।
গল্পে কুদ্দুসের সাথে সত্যবাদী কাউকে রাখলে, আর শেষে সত্যবাদী লোকটাকে ভালো অবস্থানে নিয়ে গেলে আরো ভালো হতো।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মনিরুল হাসান।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এমন গাঁজাখুরি বিবর্তন কই পাইছেন?

৪০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: গাঞ্জার নৌকা লইয়া পাহাড়ের উপর দিয়া যাওয়ার সময় দেক্লাম, আর সাথে সাথেই ক্যামেরা বন্দি কইরা আপ্নার জন্য নিয়া আইলাম।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এইডা দেখলে ডারউইন সাহেবও লজ্জায় হার্টফেল করতো। লুকটা বান্দরের সাথে মানুষের মিল দেইখা উল্টাপাল্টা লিখছিল। এই জন্য তারে গাইল মন্দ কম খাইতে হয় নাই! :-P

৪১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ডারউইন সাহেবের সাথে দেখা হইলে কইয়েন তো আমারে একটা ফোন দিতে :D

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লুকটা স্বর্গে আছে না নরকে আছে জানিনা। তয় সেখানে তো নেটওয়ার্ক নাই।

৪২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার পান্তা ভাত পিপড়ায় খাইতাছে.....তাড়াতাড়ি দৌড় লাগান :D

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পান্তাভাত?

ও, বুঝেছি। যাচ্ছি এখুনি।

৪৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯

ভিটামিন সি বলেছেন: আপনার কদ্দুছনামা পড়ে বেসম্ভব মজা পাইলাম। আশা করি আগামী পর্বে শরাফত নামা পাবো।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভিটামিন সি।


আশা করি আগামী পর্বে শরাফত নামা পাবো।
হাঃ হাঃ হাঃ। দেখা যাক।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শরাফতে যেন ভিটামিন সি থাকে :)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শরাফতে যেন ভিটামিন সি থাকে


হে হে হে। ভিটামিন ডি দিলে কেমন হয়? ভিটামিন সি তো অনেক খাইলেন। তা' ছাড়া ব্লগার ভিটামিন সি মাইন্ড খাইতে পারেন।

৪৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
খেতে চাইলে লাইনে খাড়ান B-)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এইডা যে আপনার ছুডু বেলার কাম, সেটা না বললেও বুঝছি। এখনো এইভাবে দুধ খান নাকি? ডাইরেক্ট সাপ্লাই। হে হে হে।

৪৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ব্লাগ প্রেসার হাই, তাই আপনার খাওয়া দেখেই আমি তৃপ্ত :D

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ব্লাগ প্রেসার হাই, তাই আপনার খাওয়া দেখেই আমি তৃপ্ত

এইডা কী আমার ছুডু বেলার ছবি? ঝানতাম না তো। আন্নে কী জন্মের আগে থাইকাই ফটু তুলেন নাকি? ফটু মাস্টার কী আর এমনে হইছেন? ইস, আমি যদি আমার জন্মের আগে থাইকা লিখতে পারতাম! তাইলে আমিও লেখামাস্টার হইতে পারতাম।

৪৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
কুদ্দুস আপনার গল্প পড়ে কচু গাছে ইন্নালিল্লাহ হইছে ;)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কচু গাছে গলায় দড়ি দিয়া কুদ্দুস মরে নাই। এইডা তার আর একটা মিছা কথা। ছবিটা সে ফটুশুপ কইরা আপনার কাছে পাঠাইয়া দিছে। আপনি অর চালাকি ধরতে পারেন নাই।

৪৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
কুদ্দুসের কারবার দেহেন

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কুদ্দুসের আঁকা এই ছবিটা আপনি পাইলেন কই? এই ছবির জন্যই তো সে পুলিশ পদক পাইছে (কুদ্দুসের কাছে হুইনা কইতাছি)।


হে হে হে। পুলিশের ড্রেস পইরা কুদ্দুস নিজেই ভ্যানে বইসা আছে। দেখছেন, ব্যাটা কত বড় বাটপার!

৪৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
কুদ্দুস কয় এই ছবি নাকি আপনার। আমি কই আরে না এইলুক হেনা ভাই হইতেই পারেনা। হেনা ভাই কুনুদিনও অন্য মেয়ে মানুষ নিয়া সেলফি তুলার লুকনা.........কিন্তু কুদ্দুস ব্যাটায় মানেনা, আমি এহন কই যাই? কি করি???

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এইডা অন্য মেয়ে মানুষ আপনারে কেঠা কইছে? আমার কলেমা পড়া হালাল বিবি।

৫০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: গল্প সুন্দর হইছে!:)

এইবার এককাপ চা খাইয়া কমেন্টের উত্তর দেন হেনা ভাই!:)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিলিয়ার রহমান। সন্ধ্যের সময় এক কাপ গরম চা, সত্যিই দারুন!

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৫১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

উন্মুক্ত অাঙ্গিনা বলেছেন: nice

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ উন্মুক্ত আঙ্গিনা।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৫২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

আমিই মিসির আলী বলেছেন: বেশ হাসলাম। :D

কেম্নে পারেন ভাই!!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আমিই মিসির আলী।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৫৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
প্রামানিক ভাই আপনার জন্য এই চা পাডাইছে, এগুলো হাগরা না ঘাঘরা পাতার রস থেকে যেন তৈরী

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এইডা খাইলে কী নতুন যৌবন পামু? =p~

৫৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: প্রামানিক ভাইরে জিগান, আমি কি জানি? B-)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রামানিক ভাই তো নতুন যৌবন পাইয়া একবার হাসপাতালে ভর্তি হইছে।

৫৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

প্রামানিক বলেছেন: ফাটাফাটি গল্প অথচ আমি পিছনে পড়ে গেছি।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না, না, প্রামানিক ভাই, ঠিক আছে। সব লেখাই কী আর সব সময় চোখে পড়ে? আপনার কত সুন্দর সুন্দর ছড়া আমি এইভাবে মিস করেছি!

ধন্যবাদ ভাই।

৫৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

প্রামানিক বলেছেন:
গল্পের সব মজা তো দেখি কামাল ভাই নিয়ে নিছে।গল্পের সব মজা তো দেখি কামাল ভাই নিয়ে নিছে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এটাই কী কুদ্দুস? চাকরি এক্সটেনশন না পেয়েই হাসছে!

৫৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: পাঠাইলাম গ্রীন টি হেতে কয় হাগড়া গাছের রস। হেতেরে লই কই যামু।পাঠাইলাম গ্রীন টি হেতে কয় হাগড়া গাছের রস। হেতেরে লই কই যামু।
নেন তাইলে গ্রীন শরবত খান।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কামাল ভাই বনে জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে এসব হাগড়া মাগড়া খেয়ে গ্রীন টিকেও হাগড়া মনে করেছে।


একই মন্তব্য দু'বার করে আসছে প্রামানিক ভাই।

৫৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

রাতু০১ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রাতু০১।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৫৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৫

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুভ নববর্ষ।

ধন্যবাদ ভাই সামিউল ইসলাম বাবু। ভালো তাকুন। শুভকামনা রইল।

৬০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ইংরেজী নব বর্ষে রইল শুভেচ্ছা।
নতুন বছরে জীবন সুন্দর ও সাফল্যময়
হোক এ কামনাই করি ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনাকেও।


নতুন বছর আপনার জীবনে কল্যাণময় হোক।

ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

৬১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ইসলাম ভাই । এই গল্পের সাথে মন্তব্য , প্রতি মন্তব্য ও ছবিগুলি দারুন উপভোগ্য হয়েছে ।
বিশেষ ধন্যবাদ রইল সকলের তরে ।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

৬২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

জুন বলেছেন: একেবারে বাস্তব গল্প যাকে বলা যায় জীবন থেকে নেয়া কুদ্দুসনামা আবু হেনা ভাই । সরকারী ছাড়াও প্রাইভেট শকট চালকদের নিয়েও একই বদনাম বাজারে চালু ।
ভালোলাগা
+

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ বোন, আপনি ঠিকই বলেছেন। আমি যেহেতু সরকারি চাকরি করতাম, তাই এসব ঘটনা ( অনৈতিক সুযোগ সুবিধা নেওয়ার প্রবণতা ) আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি। প্রাইভেট গাড়ির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নাই।

ধন্যবাদ বোন। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৬৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: বসের কান থেকে ড্রাইভারের মুখের দূরত্ব খুবই কম - হা হা হা :)
মুরগির অসুখ হলে মানুষ কী করে জানো? মুরগিকে জবাই করে খেয়ে ফেলে - তুলনাটা চমৎকার হয়েছে।
কুদ্দুসের সর্বশেষ ডায়ালগটাও চরম হয়েছে!
কুদ্দুসনামা পড়ে ভাল লাগলো। এমন কয়েকজন কুদ্দুসকে আমিও চাকুরী জীবনে পেয়েছিলাম। তবে দুঃখের ব্যাপার হলো, নীচের লেভেলের কুদ্দুস মিয়ারা শেষমেষ ধরা খেলেও, উপর লেভেলের কুদ্দুস মিয়ারা সগৌরবে পার পেয়ে যায়।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তবে দুঃখের ব্যাপার হলো, নীচের লেভেলের কুদ্দুস মিয়ারা শেষমেষ ধরা খেলেও, উপর লেভেলের কুদ্দুস মিয়ারা সগৌরবে পার পেয়ে যায়।

একদম ঠিক। ক্ষমতা ও অর্থ বিত্তের দাপট তাদের পার পেয়ে যেতে সাহায্য করে, যেটা কুদ্দুসদের মতো প্রান্তিক মানুষদের থাকে না।

ধন্যবাদ ভাই খায়রুল আহসান। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৬৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হে হে হে। এই মাইয়াডা রান্ধে, নাকি আপনার ক্যামেরার জন্য পোজ দেয়? মাইয়াডা কেঠা? ঢাকার বাংলা ফিল্মের নায়িকা মনে হইতাছে।

৬৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই যে হুদাহুদি গ্যাস পুড়াইয়া জাতীয় সম্পদ নষ্ট করতাছেন। লাকড়ির চুলায় রান্ধলে কী হয়?

৬৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মাইয়াডা আপনার কিচেনে, আমাকে ক্যান জিগান? ;)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওহ হো! এইডা তো নূরজাহান! পাতার বিড়ি সুতার বান / সেই বিড়ি খায় নূরজাহান। বলগিং করতে করতে আমার চোখ শ্যাষ।

৬৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হোটেলে শেফের কাম কইরা কী লাভ? এই চাকরি ছাইড়া দেন।

৬৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: গ্যাস মাটির নিচে ফালাইয়া রাইখা লাভ কি?

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লাভ এইডা যে আমরা কইতে পারুম, আমাগো এত ট্রিলিয়ন গ্যাস মজুদ আছে। যেমন এখন আবুল মাল কয় আমাগো এত বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে।

৬৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তিনটা কলা জিন্দা আছে, বাঁকিগুলা ইন্নালিল্লাহ হইছে। :-P

৭০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
কুদ্দুস আপনার জন্য গোলাপ ফুল পাডাইছে

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এইডাও কুদ্দুসের একটা ভাঁওতাবাজি। বৃষ্টির মধ্যে আপনারে দিয়া ফটু তুলাইয়া এই পুষ্টে পাডাইয়া দিছে।

৭১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

শুভ সকাল

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুভ সকাল। মিঠা পানি, না তিতা পানি?

৭২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভ বিকাল, পানি মিঠা না তিতা, আমি কমু কেম্নে? খাইলেন তো আপ্নে :)

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি তিতা পানি খাই না। তবে টেস্ট করতে আপত্তি নাই। মেজদা ( কোহিনূর ভাই ) কইছে, দুনিয়ার সব জিনিষের স্বাদ নিবেন।

৭৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গল্প চমৎকার! ধারনা করছিলাম মিথ্যার খেসারৎ দিতে গিয়ে শেষে কুদ্দুস ধরা পড়বে, অনুশোচনা করবে।
না , ‘মুক্তিযোদ্ধা হয়েও এক্সটেনশন নিলাম না ভাই। আসলে চাকরি করতে আর ভালো লাগছিল না। বহু বছর তো চাকরি করলাম। আর কত?’ শেষ পর্যন্তও সে তার খাচলত অব্যাহত রেখেছে।
আসলেই আমাদের সমাজের কুদ্দুস রা বদলায় না।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলে মানুষের প্রকৃতি সহজে বদলায় না। জন্মগতভাবে মানুষ কিছু দোষ গুন নিয়ে জন্মায়, যা তার মৃত্যু পর্যন্ত বহাল থাকে।

ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৭৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মাসে একটা পোষ্ট দিলে জাতি মেনে নিবেনা, নেন কফি খায়া মাথা খাটান আর পোষ্ট দেন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। প্রিন্ট মিডিয়ার কয়েকটা লেখা নিয়ে ব্যস্ত আছি ভাই। ব্লগে পোস্ট দেব নিশ্চয়।

৭৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ঠিকাছে, আমরা ওয়েটাইতে থাকলাম :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হে হে হে।

৭৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভ সকাল

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি কালা কফি খাই না। সাদা কফি থাকলে দেন।

৭৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: একটা অসাধারণ কিন্তু দু:শ্চরিত্রের চরিত্র সৃষ্টি করলেন 'কুদ্দুস'। কুদ্দুস আমাদের চারপাশেই থাকে কিন্তু আমরা তাদের চিনতে ভুল করি!

কুদ্দুসনামায় +++++++++

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কুদ্দুস আমাদের চারপাশেই থাকে কিন্তু আমরা তাদের চিনতে ভুল করি!



ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ ভাই শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৭৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

খোলা মনের কথা বলেছেন: কুদ্দুস যেদিন অবসরে গেল, সেদিন সে অফিসের স্টাফদের কাছে মাত্র একটাই মিথ্যে কথা বলেছিল, ‘মুক্তিযোদ্ধা হয়েও এক্সটেনশন নিলাম না ভাই। আসলে চাকরি করতে আর ভালো লাগছিল না। বহু বছর তো চাকরি করলাম। আর কত?’ =p~ =p~ =p~

কুদ্দুসনামায় +++

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই খোলা মনের কথা।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৭৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

অপ্‌সরা বলেছেন:

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৩

লেখক বলেছেন: তিনটা কলা জিন্দা আছে, বাঁকিগুলা ইন্নালিল্লাহ হইছে। :-P


হাহাহাহাহাহা :P

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি ৬৯ নম্বর মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে বলা আমার কথাটা উল্লেখ করেছেন। আসলে আমরা শুধু লেখালেখি করি না বোন, মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যের মধ্যে রস সঞ্চারের মাধ্যমে ব্লগ থেকে মজা নিই।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৮০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি ৬৯ নম্বর মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে বলা আমার কথাটা উল্লেখ করেছেন। আসলে আমরা শুধু লেখালেখি করি না বোন, মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যের মধ্যে রস সঞ্চারের মাধ্যমে ব্লগ থেকে মজা নিই।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

এটাই ব্লগিং এর মজা! তবে ২০১৬ এ একটা সময় কোনো কোনো হিংশুটে মুখপোড়া/পুড়িদের তা সহ্য হয়নি!!!!!!!!! অবশ্য খারাপ কিছুই লং লাস্টিং করে না! করেওনি!!!!!!!!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এটাই ব্লগিং এর মজা! তবে ২০১৬ এ একটা সময় কোনো কোনো হিংশুটে মুখপোড়া/পুড়িদের তা সহ্য হয়নি!!!!!!!!! অবশ্য খারাপ কিছুই লং লাস্টিং করে না! করেওনি!!!!!!!!

আপনার শেষ বাক্যটিই আসলে চূড়ান্ত কথা। খারাপ কোন কিছুই শেষ পর্যন্ত টিকে না।

ধন্যবাদ বোন অপ্সরা।

৮১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

পুলক ঢালী বলেছেন: হেনাভাই আপনি জ্যান্ত মানে একেবারে বাস্তবভাবে কুদ্দুসের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন এমন কুদ্দুস আমি আশেপাশেও দেখি এদের জন্য ভাল মানুষরা পিছিয়ে পড়ে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পুলক ঢালী।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৮২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১২

পুলক ঢালী বলেছেন: আপনার ব্লগে গল্পটাকে উপলক্ষ্য করে বেশ আড্ডার জমজমাট পরিবেশ তৈরী হয়ে যায়, খুব মজা লাগে।
সামমা ভাইয়ের ডায়নোসরের বিবর্তনটা আমার কাছে খুব চমকপ্রদ এবং ক্রিয়েটিভ মনে হয়েছে। সাপটা হাতী গিলে খেয়ে ফ্ল্যাক্সিবল দেহের কারনে হাতীর আকৃতি নিলেও মাথাটা সুরের মাথায় চলে যাওয়াতে ডায়নোসর হয়ে গেছে হাতী না হয়ে,যার মাথা থেকেই বের হোক আইডিয়াটা দারুন। :)
সামমা ভাই বালি যাচ্ছেন? আমি মাত্র মালয়েশিয়া এবং লংকাভী (ইংরেজীতে লঙ্কাই) দ্বীপে ঘুরে এলাম প্রচুর ছবি তুলেছি সময়াভাবে ছবি ব্লগ দিতে পারছিনা দেবো আশা করি। :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সামমা ভাই সম্ভবত বালি থেকে ঘুরে এসেছেন। কারণ উনি গত রবিবারে বালি যাওয়ার কথা বলেছিলেন। আর ফেরার কথা বলেছিলেন গত শুক্রবার। আজ একটা পোস্টে উনার মন্তব্য দেখে মনে হলো উনি ফিরে এসেছেন।
আপনার সফরের ওপর ছবি ব্লগ দেখতে চাই। যত দ্রুত সম্ভব পোস্ট দিন ভাই।

আমার কিছু কিছু লেখায় এরকম হাসি ঠাট্টার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আসলে আমার অধিকাংশ লেখায় হিউমার থাকে তো! তাই ব্লগার বন্ধুরা সম্ভবত আড্ডার মতো করে রসাস্বাদন করতে ভালোবাসেন। আর আমি তো বংশীয় আড্ডাবাজ। সেটা আপনি ভালো করেই জানেন। তাই না? হাঃ হাঃ হাঃ।

৮৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: বংশীয় আড্ডাবাজ ভাই এর লেখাটাতে আরেকবার ঢুঁ মেরে গেলাম!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ধন্যবাদ ভাই খায়রুল আহসান।

৮৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব সুন্দর একটা গল্প পড়লাম। মিথ্যা মানুষকে সাময়িকভাবে সুখি করতে পারলেও বিড়ম্বনা কম থাকেনা সেই সুখেও।



মিথ্যাচারী হওয়া থেকে দূরে থাকাই ভালো মনে করি।
গল্পে কৃতজ্ঞতা রেখে গেলাম।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই। অনেস্টি ইজ দ্যা বেস্ট পলিসি।

ধন্যবাদ ভাই নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.