নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যগল্পঃ গচ্চা

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

উত্তরবঙ্গের কোন এক জেলার অধিবাসীদের কৃপণতার কথা সবাই জানে। তাদের এই কার্পণ্য নিয়ে অনেক মুখরোচক গল্প খোদ উত্তরবঙ্গেই চালু আছে। এই জেলার লোকজন নাকি পোস্ট অফিস ও রেল স্টেশনের কাউন্টারে গিয়ে খাম-পোস্টকার্ড ও ট্রেনের টিকিটের দাম নিয়ে দরাদরি করে। আমি নিজে অবশ্য এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন না হলেও একটু ভিন্ন রকম ঘটনা ঘটতে দেখেছি। এই জেলার বাসিন্দা আমার এক অফিস কলিগকে দেখেছি ফার্মেসীতে গিয়ে সামান্য বেশি দামের কারণে ডাক্তারের লেখা প্রেসক্রিপশনের বাইরে অন্য ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফিরতে। বেশি দামের ওষুধটি ছিল একটি নাম করা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির। ক্যাপসুল প্রতি মাত্র পঞ্চাশ পয়সা বেশি দিতে হবে বলে তিনি এক অখ্যাত কোম্পানির ওষুধ কিনে দাঁত বের করে হেসে বললেন, ‘শুনলেন তো, দোকানদার কী বললো? একই ওষুধ। শুধু শুধু বেশি দাম দিতে যাবো কেন বলুন?’
আমি বললাম, ‘হক সাহেব, এটা বোধহয় ঠিক হলো না। ওষুধের মান কিন্তু একটা ফ্যাক্টর। দামে এত সামান্য পার্থক্যের জন্য আজে বাজে কোম্পানির ওষুধ না খাওয়াই ভালো। ডাক্তার তো ভালো কোম্পানির ওষুধই লিখে দিয়েছেন।’
‘আরে রাখেন আপনার ডাক্তার!’ আব্দুল হক তুড়ি মেরে ডাক্তারকে উড়িয়ে দিয়ে তার স্ত্রীর জন্য অখ্যাত কোম্পানির ওষুধ কিনে নিয়ে গেলেন।

কিন্তু এক সপ্তাহ ওষুধ খেয়েও তার স্ত্রীর ব্যথা ভালো হলো না। ডাক্তারকে দ্বিতীয় দফা দেখাতে গেলে আবার ফি দিতে হবে এবং ঝাড়ি খেতে হবে বলে হক সাহেব তার কাছে না গিয়ে প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধ কিনে নিয়ে বাসায় গেলেন। তার আগে বাজে ওষুধ দেওয়ার জন্য ফার্মেসীর সেই কর্মচারীর সাথে তার ঝগড়াঝাঁটি ও হাতাহাতি হলো। এতে তার চশমার একটা কাঁচ ভেঙ্গে গেল। তবে ভালো খবর হলো এই যে, নতুন ওষুধ খেয়ে তার স্ত্রীর ব্যথা কমে গেল।

আব্দুল হক অফিসে বসে মনে মনে একটা হিসাব কষে আমাকে বললেন, ‘হেনা সাহেব, আপনার কথা না শুনে আমার আটানব্বই টাকা গচ্চা গেল। সেদিন আপনি আমাকে আর একটু ভয় দেখালেন না কেন? তাহলেই তো ওই ওষুধটা আর নিতাম না। ওফ্! আটানব্বই টাকা! ভাবতে পারেন?’
আমি বললাম, ‘ভেবে আর কী হবে? হিসাবের গরমিল হলো এখন ভাবনার বিষয়। আপনার গচ্চা যাওয়া টাকার হিসাবে একটু গরমিল আছে। আরও কিছু টাকা বোধহয় যোগ হবে।’
‘কী রকম, কী রকম?’ আব্দুল হক নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে আমার কাছে এসে উদ্বিগ্ন কণ্ঠে তার মানসাঙ্কের হিসাবটা বুঝিয়ে দিলেন। বললেন, ‘সাত টাকা করে একটা ক্যাপসুলের দাম। প্রতিদিন দু’টা করে খেলে চৌদ্দ টাকা হয়। আমি এক সপ্তাহের ওষুধ নিয়েছিলাম। তাহলে চৌদ্দ ইনটু সাত মোট আটানব্বই টাকা হচ্ছে না?’
আমি বললাম, ‘সেটা তো ঠিক আছে। কিন্তু ফার্মেসী দোকানের কর্মচারীর সাথে ঘুষোঘুষি করে যে চশমার একটা কাঁচ ভেঙ্গে এলেন, ওটার দাম ধরবেন না? চশমা ছাড়া তো আপনি একটা লেখাও পড়তে পারেন না। অফিসে কাজ করবেন কীভাবে?’
‘তাই তো! ওহ্ সর্বনাশ! আপনি তো ঠিক কথাই বলেছেন।’ আব্দুল হক উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বললেন, ‘আচ্ছা, চশমার একটা কাঁচের দাম কত হবে আপনার আইডিয়া আছে?’
‘না ভাই। আইডিয়া নাই। চশমার দোকানে গেলেই জানতে পারবেন। তবে সেখানে গিয়ে পয়সা বাঁচানোর জন্য যদি আবার কম পাওয়ারের কাঁচ নেন তো পরে খরচা আরও বেড়ে যাবে বলে দিচ্ছি।’
‘আরে না! কী যে বলেন না! চশমার কাঁচে যে পাওয়ার লাগবে সেটাই তো নিতে হবে। কম পাওয়ার নিলে ওই কাঁচ কী কাজে লাগবে? মাঝখান থেকে চোখটা আরও খারাপ হবে।’
‘এই তো বেশ বুঝতে পারছেন। তাহলে এবার দোকানে গিয়ে চশমার কাঁচ লাগান আর কাঁচের দাম ওষুধের দামের সাথে যোগ করে দেখুন মোট কত টাকা গচ্চা গেল। চশমার জন্য এ ক’দিনে আপনার কিন্তু অনেক ফাইল পেন্ডিং পড়ে গেছে।’
আব্দুল হক বিরক্তির সাথে হাত নেড়ে বললেন, ‘আপনি তো বলেই খালাস। আরে ভাই, আমার দুই চোখে দুই রকম পাওয়ার। ডান চোখের পাওয়ার যে কত ছিল সেটা তো এখন আমার মনে নেই। আট দশ বছর আগে নেওয়া চশমা। এতদিন কী আর মনে থাকে?’
‘চশমার প্রেসক্রিপশনটা নিয়ে দোকানে যান।’
‘অতদিন আগের প্রেসক্রিপশন যদি বাসায় খুঁজে না পাই? আট দশ বছরে তিনবার বদলী হয়েছি। ওই প্রেসক্রিপশন কী আর আছে? মনে হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
‘তাহলে চোখের ডাক্তারকে দেখিয়ে নতুন প্রেসক্রিপশন নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে চোখের ডাক্তারের ফিও গচ্চা যাওয়া টাকার সাথে যোগ করতে হবে। তিনি তো আর বিনে পয়সায় প্রেসক্রিপশন দেবেন না। এ্যামাউন্টটা তাহলে আর একটু বাড়বে।’
আব্দুল হক দু’হাতে মাথার চুল খামচে ধরে হতাশ গলায় বললেন, ‘নাহ্, আপনি একের পর এক আমার খরচ শুধু বাড়িয়েই যাচ্ছেন। এত টাকা আমি পাবো কোথায়?’
‘ওই ফালতু ওষুধ কোম্পানির নামে একটা ক্ষতিপূরণের মামলা ঠুকে দেন। দেখবেন আপনার সব টাকা পেয়ে গেছেন।’
‘আমার এই বিপদের দিনে আপনি ঠাট্টা করছেন?’

কথাবার্তা সেন্টিমেন্টাল পর্যায়ে চলে যাচ্ছে দেখে আমি আর কিছু বললাম না। আব্দুল হক আমার ওপর বিরক্ত হয়ে চলে গেলেন। বাসায় গিয়ে তিনি সম্ভব অসম্ভব সব জায়গায় লাঙ্গল চষা করে খুঁজেও প্রেসক্রিপশন পেলেন না। অগত্যা কী আর করা! ডাক্তারের ফি এড়ানোর জন্য লায়নস চক্ষু হাসপাতালের আউটডোরে কুড়ি টাকা দিয়ে টিকিট কেটে তিনি চোখ দেখালেন। সেখানে তার বাঁ চোখের পাওয়ারও বদলে দেওয়া হলো। কিন্তু তিনি চশমার দোকানে গিয়ে বিস্তর দরদাম করে শুধু ভেঙ্গে যাওয়া চশমার ডান চোখের কাঁচ লাগিয়ে নিয়ে চলে এলেন।

এরপর একদিন অফিসে বসে কাজ করতে করতে আব্দুল হক ফিস ফিস করে আমাকে বললেন, ‘আচ্ছা, মামলা করলে কী সত্যিই ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে?’
আমি বললাম, ‘ভেজাল বা নকল ওষুধের জন্য তো ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা যায় বলে শুনেছি। এখন ক্ষতিপূরণ কী পাবেন না পাবেন সেটা একজন উকিলের সাথে পরামর্শ করে দেখতে হবে।’
‘তাহলে তো আবার উকিলকে ফি দিতে হবে। তাই না?’
‘শুধু ফি বলছেন কেন? মামলার অন্যান্য খরচ আছে না? স্ট্যাম্পের খরচ, মুহুরীর খরচ, ওকালতনামা...............।’
হক সাহেব দু’হাতে মাথার চুল খামচে ধরে ডুকরে উঠলেন। আমার দুই হাত তার নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন, ‘আর বলবেন না প্লিজ!’
************************************************************************************************************
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

রক বেনন বলেছেন: হা হা হা! মজা পেলুম হেনা ভাই। আর ভাবছি ডাক্তার দেখানোর সময় যাতায়াতের ভাড়ার কথাটা তুললে বেচারা কি করতেন! :) :) :) প্রথম প্লাস ++++

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রক বেনন। আপনি নিয়মিত আমার লেখা পড়ছেন জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।


ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।


২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আগে পড়িনি তাই আমার কাছে নতুন পোষ্ট। এমন কিপটা আর হিসেবি মানুষ আমাদের সমাজে নেহাত কম নয়। তবে এখন বর্তমানে মনে হয় কম দেখা যায়।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না না ভাই, এরকম লোক এখনো অনেক আছে। বিশেষ করে আমি যে এলাকার কথা বলেছি (যদিও সঙ্গত কারণে এলাকাটির নাম উল্লেখ করিনি), সেই এলাকার মানুষদের অধিকাংশই এরকম নেচারের।


ধন্যবাদ ভাই মোস্তফা সোহেল। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ লিখেছেন! এরকম কৃপন লোক প্রায়ই দেখা যায়! অবশ্য আমার অভিজ্ঞতা বলে শেষের দিকে কৃপন লোকরা আসলে অনেক ভাল জীবন যাপন করে, আর যারা বেহিসেবী তারা শেষ জীবনটা কষ্টেই কাটায়!

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ঢাকাবাসী।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
উত্তরবঙ্গের কোন এক জেলার অধিবাসীদের কৃপণতার কথা সবাই জানে। B-)

বড়ভাই ,জানার বড় ইচ্ছা এ কারা ? আমার বাড়ী উত্তরবঙ্গে কিন্তু আমি নিজেও জানি কোন এলাকা।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই শাহরিয়ার কবীর, ব্লগার বন্ধুদের মধ্যে ওই এলাকার মানুষ থাকতে পারেন। জেলাটির নাম উল্লেখ করলে হয়তো তিনি কষ্ট পাবেন। তাই সঙ্গত কারণে জেলাটির নাম উল্লেখ করছি না। তা' ছাড়া আপনি তো অনুমানই করতে পারছেন।


আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আমার দুই হাত তার নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন, ‘আর বলবেন না প্লিজ


হা হা হা!:)

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিলিয়ার রহমান।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

আরাফআহনাফ বলেছেন: মজা পেলাম। হাসতে হাসতে চেয়ার উল্টে পড়ার উপক্রম!
"ওফ্! আটানব্বই টাকা! ভাবতে পারেন?" ভেবে আর কী হবে এরপর তো খরচ আরো বাড়ছেই....।
‘শুধু ফি বলছেন কেন? মামলার অন্যান্য খরচ আছে না? স্ট্যাম্পের খরচ, মুহুরীর খরচ, ওকালতনামা...............।’হক সাহেব দু’হাতে মাথার চুল খামচে ধরে ডুকরে উঠলেন। আমার দুই হাত তার নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন, ‘আর বলবেন না প্লিজ!’ আর বলবেন না প্লিজ - হাসিতে হাসিতে আমার দম যায় যায় :-B

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সত্য ঘটনাভিত্তিক রম্যগল্পটি তোমার কাছে ভালো জেনে খুশি হলাম।


ধন্যবাদ আরাফআহনাফ। ভালো থেক। শুভকামনা রইল।

৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দাদাদের কিপ্টামীর কাছে এটা কিছুইনা।
তবে লিখাটা সুখপাঠ্য হয়েছে।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা।

আগেও পড়েছিলাম। কিন্তু এরস তো প্রতিবারই নতুন লাগছে।

অনেক ভাল রম্য লিখেন আপনি

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রম্য লেখক শিবরাম চক্রবর্তী একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রম্যরচনা কখনো বাসি হয় না।


আমাদের এই সমস্যা জর্জরিত জীবনে হাসির বড়ই অভাব। ধন্যবাদ ভাই আরন্যক রাখাল। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

বিষাদ সময় বলেছেন: জীবন থেকে হাসির ব্যপারটা তো খুব সীমিত হয়ে গেছে। আপনার লেখা পড়ে অনেকদিন পর নির্মল হাসি হাসলাম। চমৎকার হেনা ভাই।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: উপরের প্রতিমন্তব্যে আমি ঠিক এই কথাটাই বলেছি।


ধন্যবাদ ভাই বিষাদ সময় (আশা করি, আর বিষাদগ্রস্থ থাকবেন না। হাঃ হাঃ হাঃ)। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

ইফতি সৌরভ বলেছেন: =p~ :D :-/

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই ইফতি সৌরভ।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

জুন বলেছেন: গল্পটি পড়ে বেশ মজা পেলাম পড়ে আবুহেনা ভাই । এমন অনেক লোক আছে যারা সামনে দিয়ে হাতী গেলেও চোখে পড়ে না , কিন্ত পেছন দিয়ে সুই গেলেও দেখে । বেচারা হক সাহেব :(
অনেক ভালোলাগা রইলো
+

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। তবে কৃপণতা শেষ পর্যন্ত ব্যক্তির জন্য ক্ষতির কারণই হয়।


ধন্যবাদ বোন জুন। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: হাহাহাহা!!!!! এত রস কেন!!!!!!!

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রসরচনায় রস না থাকলে কী ভালো লাগবে?


ধন্যবাদ অতঃপর হৃদয়। ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইল।

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

আমির ইশতিয়াক বলেছেন: হা হা হা গল্পটা পড়ে হাসিও পেল আবার আব্দুল হক সাহেবের জন্য মায়াও লাগছে। বেচারা কিছু টাকা বাচাতে গিয়ে কতগুলো টাকা গচ্চা গেল। সময়ওতো অনেক নষ্ট হলো। যাতায়াত ভাড়া এগুলো হিসেব করলে আরো বেকায়দায় পড়ে যেতেন তিনি।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আমির ইশতিয়াক।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১

আমির ইশতিয়াক বলেছেন: আবুহেনা ভাইকে আমার ব্লড়বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার আমন্ত্রণ গ্রহন করলাম। আপনার ব্লগবাড়িতে অবশ্যই যাবো।

১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


উত্তর দিকের মানুষকে বেশী কস্ট করতে হয়েছে সব সময়।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: গচ্ছা দিতে আইয়া পড়ছি =p~

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মেগাবাইট যখন খরচ হয়, তখন সেটা গচ্চা ছাড়া আর কী? জীবনে কত গচ্চা দিছেন আল্লায় জানে।

১৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এই জন্য আগেই আপনাকে বলেছিলাম ভাবীর জন্য কম দামী ঐষধ কিনবেন না, দেখলেন তো আখেরে কি হল আপনার দশা =p~

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরে ওইডা আমি না, আব্দুল হক।

১৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার কাছ থেকে বাকী নিয়ে টাকা দেয়না এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী, সুতরাং আমার জীবনটাই গচ্ছা হয়ে গেছে

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই যে, পাইছি। আমার দল ভারি করা একজন বুকা লুক পাইছি। চাকরি জীবনে আমি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসাও করতাম। তখন কত মানুষ যে আমার কাছে বাঁকি নিয়া টাকা দেয় নাই, আল্লাহ ছাড়া কেউ কইতে পারব না। আমার কর্মচারীরা আমারে নিয়া আড়ালে হাসি ঠাট্টা করতো। বলতো মহাজন লালবাতি জ্বালাইব। আমি লাল নীল হলুদ সবুজ সব রকম বাতি জ্বালাইয়া ব্যবসা বন্ধ করা দিছি। হে হে হে। =p~

১৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




গল্পের রসের ভিতর দিয়েই বোঝা গেলো, আপনি "জমা-খরচ" খাতা ( ব্যালান্স শীট ) লেখায় পটু । :P
এবার হিসেব করে বলুন তো , এই পোস্ট পড়া, তারপরে ভেবেচিন্তে মন্তব্য করা, তারপরে "মন্তব্য প্রকাশ করুন" বাকসোতে "ক" য় "ল" য় ক্লিক করা , তারপর দেখা মন্তব্যটি প্রকাশ হলো কিনা ইত্যাদিতে কতো সময় ব্যয় হবে ? B-) আমার আবার সময় কম কিনা .... পোষাতে পারবো তো ? :(
গচ্ছা যাবে নাতো ???????? :(( :(( :((

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। আপনার গচ্চা যাবে না।


ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৯

পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা শুধু গচ্চা আর গচ্চা। কারো কারো জীবনটাই গচ্চা! সামমা ভাই ব্যবসা করেন বোঝা গেল :D
ভদ্রলোক ঔষধ কিনতে কি হেটে গিয়েছিলেন? না হেটে গেলে ২ বারে আরো গচ্চা, থাক ভাই হিসাব বন্ধ। ;)
এরকম কিপ্টা সত্যিই আছে। মজা পেলাম। আবার এমন মানুষও অনেক আছে যারা টাকা ধার নিয়ে ভুলে যায় আমিও ভুক্তভোগী বাট বলার কিছু নেই। :D

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হক সাহেবের মতো লোক ওষুধ কিনতে রিক্সাভাড়া না দিয়ে পায়ে হেঁটে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই ফার্মেসিতে যাওয়া আসার খরচ হিসাবে ধরিনি।

ধন্যবাদ ভাই পুলক ঢালী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৪

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: আজ আপনার বেশ কয়টা গল্প পড়লাম। আমি অভিভূত। গল্পগুলো আমাকে আপন বেগে টেনে নিয়ে গেল প্রথম থেকে শেষ অবধি।
প্রিয়তে রাখলাম। আরগুলো না পড়লেই নয়।
আপনার শুভ কামনা করি

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই বি এম বরকতউল্লাহ। আমার লেখা বলে বলছি না, পাঠাভ্যাস যত বাড়াবেন, সৃষ্টিশীল সাহিত্য চর্চা তত বেশি সমৃদ্ধ হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে লেখার চেয়ে পড়ি বেশি।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫১

বর্ষন হোমস বলেছেন: কয়েকটা পয়েন্ট মিলছে না বোধহয়।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একটু খুলে বলবেন প্লিজ!


ধন্যবাদ ভাই বর্ষন হোমস। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ঠিক আছে ভাই আমি বুঝে নিয়েছি ; আপনার গল্প পড়ে ভালো লাগলো । B-)
ভালো থাকুন সবসময়।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জানতাম, আপনি বুঝতে পারবেন।

ধন্যবাদ ভাই শাহরিয়ার কবীর। ভালো থাকবেন।

২৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: অনেক মজা পেলাম... আরও রম্য চাই :)

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চেষ্টা করবো।


ধন্যবাদ ভাই সিলেক্টিভলি সোশ্যাল। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: রম্য গল্পটি পাঠ করলাম, খুব ভাল লেগেছে । আমার মন্তব্যটিও একটি গচ্ছা হতে পারে বলেই ধরে নিলাম :)
গল্পটির অনেক সুন্দর সুন্দর দিক আছে । তবে সব বিষয়ে কথা বলার মত যোগ্যতা আমার নেই ।
আমি আপনার সকল লিখাগুলির মধ্য সামাজিক আবেদনময়ী বিষয়গুলির প্রতি একটু বেশী মনযোগী হই ।
চেষ্টা করি আপনার পাঠক প্রিয় লিখাগুলির মধ্যে সমাজ সচেতন মুলক উপাদান গুলিকে
একটু বের করে নিয়ে এসে সেগুলিকে সকলের সাথে এ মন্তব্যের ঘরে শেয়ার করি ।

প্রধমেই শুরু করি রোগীকে দেয়া ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনটি দিয়ে । আমাদের দেশে ডাক্তার রোগীকে যে প্রেসক্রিপশন দেন তা সঠিকভাবে পাঠ করা খুবই দু:সাধ্য অনেকের কাছে । ঔষধ বিক্রেতা ফার্মেসির লোক জন ছাড়া কম মানুষেই সে লিখা বুঝতে পারে ।

১)তাই প্রথমেই উচিত হবে সকলকে দাবী তোলা ডাক্তাররা যেন পরিস্কারভাবে প্রেসক্রিপসনে ঔষধের নাম লিখে । হাতে লিখতে কষ্ট হলে কম্পিউটারে তা টাইপ করে দিতে পারে । এখন একজন ছাত্রের কাছেও লেপটপ থাকে , তাই একজন ডাক্তারের চেম্বারে লেপটপ কিংবা কম্পিউটার থাকতেই হবে । এটা নীজের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থাকলে ব্যাংক হতে প্রফেশনাল লোন নিয়ে তা কিনতে পারে । এটা আইন করে বাধ্যতামুলক করে দিতে হবে ।

২) প্রাইভেট প্রেকটিস করার জন্য একজন রেজিষ্টার্ড ডাক্তারের কাছে যে রোগী যাবে তাকে প্রথমেই তার কাছে রেজিস্টার বা তালিকাভুক্ত করে নিতে হবে । ডাক্তারের কমপিউটারে তার কাছে যাওয়া তালিকাভুক্ত সকল রোগীর মেডিকেল সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষন করে রাখতে হবে । রোগীকে দেয়া প্রেসক্রিপসনটিও কম্পিউটারে সেভ করে রাখতে হবে, ভবিষ্যতের সুবিধার জন্য ।

৩) প্রেসক্রিপসনে ডাক্তার শুধু ওষধের জেনেরিক নেইম লিখতে পারবে , তাহলে ঔষুধ কোম্পানীর লোক জন ডাক্তারকে কোন বিশেষ ঔশধ কোম্পানীর রিপ্রেজেনটেটিবের কথার উপরে বা কমিশনের ভিত্তিতে যেন তেন ( ভাল মন্দ সে যাই হোক ) ওষধ কোম্পানীর ঔষধের কোন নাম লিখে দিতে পারবেনা । এখন ইউকে সহ পৃথিবীর অনেক দেশেই ডাক্তারেরা শুধু ঔষধের generic name লিখে , বিশেষ কোন কোম্পানীর ব্রান্ড নেইম পারত পক্ষে লিখেনা । Generic name এবং Brand (trade) name এর পার্থক্য নীচে দেখানো হল । ডাক্তার প্রায় প্রতিটি জেনেরিক নামের ঔষধের গুনাগুনের সাথে থাকে পরিচিত । জেনেরিক নামগুলি পেটেন্টেড , এর সংখ্যাও কম তাই ডাক্তারেরা জেনেরিক নামের ঔষধের গুনাগুন সম্পর্কে ভাল জানে ও রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ি জেনেরিক ঔষধের নাম লিখে দেয় প্রেসক্রিপসনে ।

Generic name : Each medicine has an approved name called the generic name. A group of medicines that have similar actions often have similar-sounding generic names. For example, phenoxymethylpenicillin, ampicillin, amoxicillin and flucloxacillin are in one group of antibiotics.

পক্ষান্তরে একটি জেনেরিক ঔষধ অসংখ্য কোম্পানী তৈরী করতে পারে বিভিন্ন ব্রান্ড বা ট্রেড নামে যেমনটি নীচে দেখানো হল

Brand (trade) name : Many medicines also have one or more brand names. This is chosen by the company that makes it. Several companies may make the same generic medicine, each with their own brand name. The name is often chosen to be memorable for advertising, or to be easier to say or spell than the generic name. For example, paracetamol is a generic name. There are several companies that make this with brand names such as Panadol®, Calpol®, etc

কোন বিশেষ ব্রান্ডের ঔষধের ভাল মন্দ গুনাগুন সেটা বুঝে কেমিষ্ট এবং একটি জেনেরিক ঔষধের কি কি ব্রান্ড বাজারে আছে তা জানে ফার্মাসিস্ট । একজন ডাক্তারের সময় কোথায় কেমিষ্টের মত সবগুলি কোম্পানীর ঔষধের কেমিকেল প্রপার্টি নিয়ে গবেশনা করার । তাই একজন ডাক্তার শুধু ওষধের জেনেরিক নামটাই সাধারনত লিখেন।

৪) প্রতিটি ঔষধ বিক্রয়ের দোকানেই থাকতে হবে একজন কোয়ালিফায়েড ফার্মাসিস্ট । একজন ফার্মাসিস্ট ব্যতিত ব্যঙগের ছাতার মত দেশ জোড়ে ঔষধ বিক্রয়ের দোকান গড়ে উঠতে দেয়া উচিত নয় , এটা মানুষের জীবন মরনের প্রশ্ন ।
একথা সত্য যে ইল্যান্ড, আমিরিকার মত এ রকম অবস্থা আমাদের দেশে গড়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে ।

৫) জেনেরিক নাম অনুযায়ী ঔষধ [ অনুমোদিত ফার্মেসী হতে ,( সেখানে কোয়ালিফাইড একজন ফার্মাসিস্ট থাকতেই হবে ) ওষধের মেটারিয়েল বা গুনাগনের দায় ফার্মাসিকেই বহন করতে হবে , তাই সেই বুঝবে কোন কোম্পানীর ঔষধ ভাল , ঔষধের ভালমন্দের ক্ষতিপুরণ তাকেই দিতে হবে , এ ধরনের কেইস দু একটা কোর্টে গেলে দোকানদার ও ওষধ কোম্পানী বুঝত ঠেলা কারে বলে ।

তবে সকলের মাঝে এখন থেকেই সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে । আপনার এই রম্য গল্পের মত সকলকে বুঝাতে হবে কারো নীজের বিবেচনায় কিংবা ঔষধ কোম্পাানীর প্রেজেনটেটিভের কথায় কিংবা ঔষধের মোরকের কথামালায় প্ররোচিত হয়ে বিশেষ কোন কোম্পানীর ট্রেড নামের কোন ওষধ দোকান থেকে কিনে নিয়ে যেন কেও সেবন না করে । যদি সে রকম করে তবে শুধু টাকার অংকেই নয় নীজের জীবনখানি দিয়েও গচ্ছা দিতে হতে পারে ।

অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন শ্রদ্ধেয় আশরাফুল ভাই ।

শুভেচ্ছা রইল

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের ২ নং প্যারাটি সম্পর্কে বলি। ভারতের প্রায় সকল বড় বড় ডাক্তার এটি পালন করেন। তাদের কম্পিউটারে দেশি বিদেশি সকল রোগীর পূর্ণ তথ্য এবং প্রদত্ত চিকিৎসার তথ্য সংরক্ষিত থাকে। আমি নিজে ভারতের চেন্নাইয়ের এ্যাপোলো হাসপাতালের যে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়েছি, তার কম্পিউটারে আমার এসব তথ্য যত্ন সহকারে সংরক্ষিত আছে। পোস্ট ট্রিটমেন্ট কোন সমস্যা হলে এখান থেকে ই-মেইলে সেটা জানিয়ে শুধু আমার রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি জানিয়ে দিলে তিনি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে দেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের দেশে এই ব্যবস্থা চালু নেই।

আর জেনেরিক নেম ও ব্র্যান্ড নেমের ব্যাপারে আপনি যা বলেছেন, সেটা আমাদের দেশের বাস্তবতায় সহজ নয় বলে মনে হয়। কেননা এখানে ওষুধকে মানব হিতৈষী বিবেচনা না করে ব্যবসায়িক পন্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ব্র্যান্ড নেমের আড়ালে চিকিৎসা ও ওষুধ কোম্পানি সংশ্লিষ্টদের আর্থিক স্বার্থ বহাল তবিয়তে বিদ্যমান। সম্ভবত ১৯৮৪ সালের দিকে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও অন্যান্যদের সুপারিশকৃত ওষুধ নীতিতে জেনেরিক নেম বাধ্যতামুলক করার কথা বলা হয়েছিল এবং গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের উৎপাদিত সকল ওষুধের জেনেরিক নেম প্রবর্তন করা হয়েছিল। যেমন- জি-প্যারাসিটামল, জি-ডায়াজিপাম, জি-ওমিপ্রাজল ইত্যাদি ( জি মানে গণস্বাস্থ্য )। কিন্তু সরকার জেনেরিক নেম বাধ্যতামুলক করেনি।

যাই হোক, অসাধারণ মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দারুন

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ফরিদ আহমদ চৌধুরী।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২৯

সুমন কর বলেছেন: মজা পেলাম।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:১৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: হাহাহা। মজা পেলাম =p~

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন উম্মে সায়মা।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৪৩

কোয়েজার বলেছেন: ডঃ এম এ আলী, জেনেরিক ব্যাবহারে ও ঝামেলা আছে । ধরুন , আমি জেনেরিক লিখে দিলাম । কিন্তু কেমিষ্ট নিজে কমিশন খেয়ে বাজে কোম্পানীর ঔষধ লিখে দিল, তখন কি হবে ?

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ডঃ এম এ আলীর মন্তব্যের উত্তরে আমি এই বিষয়ের দিকেই ইঙ্গিত করে বলেছি আমাদের দেশে ওষুধের জেনেরিক নেম ব্যবহার করা সহজ হবে না।


ধন্যবাদ ভাই কোয়েজার। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৪৫

কোয়েজার বলেছেন: মন্তব্য এডিট করতে পারছিনা । উপরে " লিখে দিল" এর স্থানে দিয়ে দিল হবে ।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক আছে। আমি বুঝে নিয়েছি ভাই।

ধন্যবাদ।

৩১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,
ভাল লাগল।

শুভ কামনা নিরন্তর।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নতুন নকিব।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

আমির ইশতিয়াক বলেছেন: বাকীর নাম ফাঁকি। তাই আমি বাকিতে ব্যবসা করি না। তারপরও কিছু কিছু কাস্টমার বেকায়দায় ফেলে বাকি নিয়ে যায়। কাজ শেষ করে বলে, আমিতো মানিব্যাগ আনিনি। অনেকে বলে, আমার কাছে এত টাকা এই মুহূর্তে নেই। কাল দিয়ে দেব বলে চিরদিনের জন্য চলে যায়। এগুলো হিসেব করলে আমারও অনেক টাকা গচ্চা গেছে।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। সাদা মনের মানুষ ও আমার মতোই অবস্থা (আমি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসাও করতাম)।


৩৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! চরম =p~

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই লেখাটি আপনি আগে পড়েছেন হা মা ভাই। আবার পড়ার জন্য ধন্যবাদ।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: হেনা ভাই ঐ কিপ্টা লোকগুলো কি হার কিপ্টা প্রকৃতির? নাটকে দেখছিলাম হার কিপ্টারা কেমন হয়।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই ধরনের মানুষকে লোকে হাড় কিপ্টাই বলে।


ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান সুজন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার গল্প এবং ডঃ এম আলী ভাইয়ের ১ নং পয়েন্ট এর পরিপ্রেক্ষিতে নিচে একটি তথ্য শেয়ার করলাম হেনা ভাই--

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, কিছুদিন আগে হাইকোর্টের নির্দেশে চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন স্পষ্ট ও বড় অক্ষরে লেখার কথা বলা হয়েছে, যাতে ফার্মেসি থেকে ওষুধ দিতে ভুল না হয় এবং রোগীও যেন বুঝতে পারেন তিনি কী ওষুধ খাচ্ছেন। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলে হাইকোর্টের এই নির্দেশ পালিত হচ্ছে না। কয়েকদিন আগে আমার এক আত্মীয়ের প্রেসক্রিপশনে সেই হিজিবিজি লেখাই চোখে পড়লো।
তবে এই গল্পে প্রেসক্রিপশনের লেখা ওষুধের নাম বুঝতে না পারা নিয়ে বিড়ম্বনা হয়নি। এখানে আব্দুল হক সাহেব কার্পণ্য করে সামান্য কিছু পয়সা বাঁচানোর জন্য ডাক্তারের লেখা ব্র্যান্ডের পরিবর্তে একই ওষুধের অন্য ব্র্যান্ড কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন। এসব ক্ষেত্রে কৃপণ লোক বুঝতে পারলে ওষুধের দোকানদাররা কম দামে ভিন্ন ব্র্যান্ড কিনতে প্ররোচিত করে থাকে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিটি সংষোজন করায় আপনাকে ধন্যবাদ ভাই বিষাদ সময়।

৩৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

সোহানী বলেছেন: যদিও আগেই পড়েছিলাম তারপর ও ভালোলাগা।

বিষাদ সময় এর বিজ্ঞপ্তি তা দিয়ে ভালো করেছেন... আকূল জনগন একটু কূল পাবে।

আমার মেঝবোনের হাতের লিখা সবসময়ই সুন্দর ছিল কিন্তু কেন যে পুরোপুরি ডাক্তার হবার পর সে হাতের লিখা আর পড়া যায় না। আর বড় বোন ও বাকি ডাক্তার ভাইদের হাতের লিখা এমনিতেই যাচ্ছেতাই....ডাক্তার হবার পর সেটা আরো ভয়াবহ আকার ধারন করেছে :P :P :P (ভাই-বোনরা শুনলেতো লাঠি নিয়ে আসবে)

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুনরায় পড়ার জন্য ধন্যবাদ বোন সোহানী।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মর্নিং ওয়াকের সময় এই সিগন্যাল আমি মানি না। হাইট্যা চইলা যাই।

৩৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: হা হা মজার গল্প। বেচারাকে চশমার কথাটা বলে ব্যথাটা আরো বাড়িয়ে দিলেন।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন:



কৃপণের আয়
বারো ভুতে খায়।


ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩১

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া!!!!!

তোমার গল্প পড়লে সেখানেই চলে যাই।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন অপ্সরা।


ভালো থেক। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.