নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যগল্পঃ চৌধুরী সাহেব এক কথার লোক

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৮



চৌধুরী সাহেব এক কথার লোক। না বললে আর কখনো হাঁ করেন না। তাঁর স্ত্রী পুত্র-কন্যাসহ আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, অফিস কলিগ সবাই সে কথা জানে। অতএব, তিনি যখন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে আজ থেকে আর ধূমপান করবেন না, তখন কার সাধ্য তাঁকে আর ঐ কুকর্মে ফেরায়?

আগের রাতে ভীষণ শ্বাসকষ্টে চৌধুরী সাহেবের ঘুম হয়নি। সকালে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ইসিজি, ইটিটি, এক্স রে ইত্যাদি হাফ ডজন টেস্ট করাবার পর বিকেলে ডাক্তার যখন গম্ভীর মুখে প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়ে বললেন যে, সিগারেট ছাড়তে না পারলে ওষুধ খেয়ে লাভ হবে না, তখন তিনি বাসায় ফিরে এসে স্ত্রী, কন্যা ও শ্যালকের সামনে সিগারেটের প্যাকেট জুতার নিচে ফেলে মাড়িয়ে দিলেন। জানালা দিয়ে লাইটার ছুঁড়ে ফেলে দিলেন আরেক বাড়ির ছাদে। স্ত্রীকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘এবার খুশি হয়েছ তো?’
চৌধুরী-পত্নী খুশি হবেন না? তিরিশ বছর ধরে চেষ্টা করে তিনি স্বামীর এই বদভ্যাস ছাড়াতে পারেননি, আর আজ এক কথাতেই তিনি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলেন! খুশিতে রাহেলার ঠোঁটের কোণে বাসরঘরের হাসি। শ্যালক সুলতান বিড় বিড় করে বললো, ‘ঠেলার নাম বাবাজী!’ সুলতানের অস্পষ্ট কথা বুঝতে না পেরে চৌধুরী সাহেব জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী বললি রে?’
‘বলবো আর কী? ভাবছি, আপনাকে এবার আমি একটা স্মার্ট ফোন কিনে দেব দুলাভাই। সিগারেট ছাড়ার পুরস্কার।’
‘দিবি?’ চৌধুরী সাহেব শ্যালকের প্রস্তাবে মোমের মতো গলে গেলেন। বললেন, ‘দিতে যখন চাচ্ছিস, দে। কোনদিন তো কিছু দিস না! তবে আমার তো একটা ফোন আছে রে ভাই। খামোকা আর একটা ফোন দিয়ে কী করবো? একটা মুখ দিয়ে কথা বলতে দুইটা ফোনের দরকার কী? থাক। শুধু শুধু টাকা নষ্ট করিস না।’
মেয়ে জেসমিন এমবিবিএস থার্ড ইয়ারের ছাত্রী। সে বাবাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো অভিযোগ করে বললো, ‘পাশ করা ডাক্তারের এক কথায় তুমি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলে, আর আমি এখনো পাশ করিনি বলে তুমি কোনদিন আমার কথায় পাত্তা দাওনি। মেয়ের চেয়ে ডাক্তারই তোমার আপন! তোমার ওপর আমার এক ডজন রাগ আছে।’

চৌধুরী সাহেব বক্তা মানুষ। তিনি ফোন করে করে আত্মীয় স্বজন সবাইকে জানিয়ে দিলেন যে, তিনি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। প্রতিবেশী যার সাথে দেখা হলো,তাকেই ব্রেকিং নিউজের মতো প্রথম এই সংবাদটাই দিলেন। অফিসে গিয়ে সবার সাথে দেখা করে ধূমপান ছাড়ার খবর দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভালো করিনি?’ এমন একটা ভালো কাজে কেউ কখনো না বলে? ‘খুব ভালো করেছেন’, ‘ফ্যান্টাস্টিক’, ‘দারুণ’, ‘এতদিনে সত্যিই আপনি একটা কাজ করলেন স্যার’-ইত্যাদি নানারকম প্রশংসাবাক্যে চৌধুরী সাহেব গলে হালুয়া হয়ে গেলেন। মনে মনে ভাবলেন, এত সামান্য ব্যাপারে সবাই এত প্রশংসা করছে! আশ্চর্য তো! আনন্দে সেদিন আর কোন ফাইলই সই করলেন না তিনি। ধূমপায়ী কলিগ ও ঠিকাদাররা তাঁর চেম্বারে ঢুকলে তিনি কড়া গলায় হুকুম দিলেন, ‘মুখে সিগারেটের গন্ধ নিয়ে আমার চেম্বারে কেউ ঢুকবেন না। ভালো করে মুখ ধুয়ে তারপরে আসুন।’ ভয়ে ভয়ে সবাই তাঁর চেম্বার থেকে কেটে পড়লো। চৌধুরী সাহেব তাঁর পিওনকে ডেকে ধমক দিয়ে বললেন, ‘এই এ্যাশট্রেটা এখুনি অফিসের বাইরে ফেলে দিয়ে আয়।’ পিওন আব্দুল কাদের পড়িমরি করে টেবিলের ওপর থেকে এ্যাশট্রে তুলে নিতে গিয়ে সেটা উল্টে ফেলে দিয়ে ছাই আর পোড়া সিগারেটের টুকরায় টেবিল নোংরা করে ফেললো। চৌধুরী সাহেব ‘ননসেন্স’ বলে পিওনকে গালি দিয়ে নাকে রূমাল চেপে চেম্বার থেকে বেরিয়ে গেলেন। যাবার আগে পিওনকে টেবিল পরিস্কার করে চেম্বারে এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করার হুকুম দিয়ে গেলেন।

এভাবে একবেলা কোন মতে কেটে গেল। কিন্তু দুপুরে লাঞ্চ ব্রেকের পর থেকে চৌধুরী সাহেবের চেহারার দিকে আর তাকানো যায় না। অফিসে আসার আগে চৌধুরী সাহেবের কোষ্ঠ পরিস্কার হয়নি। প্রতিদিন মুখে একটা জ্বলন্ত সিগারেট নিয়ে তাঁর টয়লেটে যাওয়ার অভ্যাস। আজ খালি মুখে কমোডে বসে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় গর্জন ছাড়া বর্ষণ তেমন হয়নি। মুখটা তখন থেকেই বিস্বাদ। নাস্তা খেতে বসে রাহেলার বুড়ো গলায় আদুরে কথাবার্তা তাঁর কাছে বিষের মতো লাগছিল। জেসমিন কলেজে যাওয়ার আগে ‘বাবা, থ্যাংক ইউ ফর নট স্মোকিং’ বলে টা টা দিয়ে তাঁর মেজাজ আরও বিগড়ে দিয়ে গেছে। কিন্তু ধূমপান ছেড়ে দিয়ে মেজাজ দেখালে তো হবে না। তাই সকাল থেকে তিনি কষ্ট করে হাসিমুখেই ছিলেন। কিন্তু লাঞ্চের পর আর মেজাজ ঠিক রাখা গেল না। তিন চারটা ফাইল তিনি ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। কম্পিউটারে কচ্ছপগতি নেটের স্পীড আর সার্ভারের ন্যাকামোপনা তাঁকে আরও তাতিয়ে দিল। মাউস খুলে তিনি ছুঁড়ে মারলেন কাদেরের দিকে। সেভেন আপের বোতল খুলে ঢক ঢক করে সবটুকু খেয়ে খালি বোতল ছুঁড়ে ফেললেন কার্পেটের ওপর। তারপর রিভলবিং চেয়ারে বসে ঢেকুর তুলতে তুলতে রাগ কমাবার চেষ্টা করতে লাগলেন তিনি।
কিন্তু ঠাণ্ডা সেভেন আপ খেয়ে চৌধুরী সাহেবের মেজাজ ঠাণ্ডা না হয়ে আরো গরম হয়ে গেল। কোল্ড ড্রিঙ্কসের নাম সেভেন আপ। অথচ এই ড্রিঙ্কস খেয়ে তাঁর ছয়টা আপ হলো আর একটা ডাউন হলো। তীব্র দুর্গন্ধে চৌধুরী সাহেব নাকে রূমাল চাপা দিলেন। মেজাজ ঠাণ্ডা হবে কীভাবে? ঠিক এই সময় তাঁর বড় ছেলে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফোন করে বললো, ‘বাবা, তুমি নাকি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছ? মা বললো।’
চৌধুরী সাহেব গম্ভীর মুখে বললেন, ‘হাঁ, ছেড়ে দিয়েছি। কেন, তোমার মায়ের কথা কী বিশ্বাস হয়নি? আমাকে ফোন দিয়ে সেটা জানতে হবে?’
‘না না বাবা, সে জন্যে না। আমি তোমাকে কংগ্র্যাচুলেশন জানাবার জন্যে ফোন দিয়েছি। কংগ্র্যাচুলেশন এ্যান্ড এ লট অফ থ্যাংকস,পাপা।’
চৌধুরী সাহেব আরো গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘শোন। যে কোন একটা বলবে। হয় বাবা, না হয় পাপা। দেশে থাকতে তো কখনো আমাকে পাপা ডাকোনি। পিএইচডি করতে গেলে কী বাবাকে পাপা ডাকতে হয়?’
‘ও মাই গড! হোয়াট’স্ রং পাপা?
‘আমার সাথে ইংরেজিতে কথা বলবে না। আমি ইংরেজের বাচ্চা না। অলসো ইউ আর নট। হোয়াই আর ইউ টকিং উইথ মি ইন ইংলিশ?’
ফোন বন্ধ করে কঠিন মুখে বসে রইলেন চৌধুরী সাহেব। আব্দুল কাদের চা নিয়ে চেম্বারে ঢুকছিল। লাঞ্চের পর চা খাওয়া চৌধুরী সাহেবের অনেক দিনের অভ্যাস। চায়ের পর একটা বেনসন ধরিয়ে লম্বা সুখটান। কিন্তু আজ কাদেরের হাতে চায়ের পেয়ালা দেখে চৌধুরী সাহেবের মেজাজ বিগড়ে গেল। কষে ধমক লাগালেন তিনি, ‘চা নিয়ে যা হারামজাদা!’ কাদেরের হাত থেকে চায়ের পেয়ালা পড়ে কার্পেট ভিজে গেল।

রাতে খেতে বসে জেসমিন জিজ্ঞেস করলো, ‘তোমার কী হয়েছে বাবা? ভাইয়া ফোন দিয়ে বললো তোমার মেজাজ নাকি খুব খারাপ।’
রাহেলা শাড়ির আঁচলে চোখ মুছে বললেন, ‘ছেলেটা একা একা বিদেশে পড়ে আছে। তার ওপর বাপের কাছে যদি এমন ব্যবহার পায়.......।’
‘স্টপ! ফুল স্টপ!’ গর্জে উঠলেন চৌধুরী সাহেব, ‘ডোন্ট টক উইথ মি।’
রাহেলা কেঁদে ফেললেন। কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘অফিস থেকে আসার পর থেকে তোর বাবা আমাকে এভাবে ধমকাচ্ছে। ইংরেজিতে ধমকালে আমি কী করে বুঝবো যে আমার কী দোষ?’
জেসমিন মাকে থামতে ইশারা করে বললো, ‘বাবা, তোমার কী হয়েছে বলো তো? অফিসে কোন সমস্যা?’
‘ডোন্ট ট্রাই টু ফাইন্ড আউট প্রবলেম। অফিসে আমার কোনদিন কোন সমস্যা হয়েছে? শুনেছ কোনদিন?’
খাওয়ার পরে চৌধুরী সাহেব বেসিনে ছাড়া হাত ধোন না। আজ তিনি দিব্যি প্লেটে হাত ধুয়ে উঠে পড়লেন। জেসমিন ও রাহেলা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইল তাঁর দিকে।

পরদিন চৌধুরী সাহেব মোবাইল ফোন হারিয়ে বাসায় ফিরলেন। রাহেলা স্বামীর প্যান্টের জিপার খোলা দেখে লজ্জিত মুখে ইঙ্গিত করে দেখালেন। চৌধুরী সাহেব থতমত খেয়ে জিপার লাগিয়ে মনে মনে ভাবলেন, জিপারটা কী সারাদিন এভাবেই খোলা ছিল? ছিঃ ছিঃ। ভীষণ লজ্জার কথা! রাহেলাকে বললেন, ‘তোমার ফোনটা একটু দাও তো।’
‘কেন, তোমার ফোন কী হয়েছে?’
‘ফকিরকে দিয়ে দিয়েছি। তোমাকে ফোন দিতে বললাম, দাও। ডোন্ট আসক্ এনি কোয়েশ্চেন।’
রাহেলা ভয়ে ভয়ে নিজের ফোন এনে স্বামীর হাতে দিলেন। চৌধুরী সাহেব ফোন বুক ঘাঁটতে ঘাঁটতে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার ক্রিমিনাল ভাইটার নম্বর আছে এখানে?’
‘আমার ক্রিমিনাল ভাই? কার কথা বলছ তুমি? সুলতান?’
‘হাঁ হাঁ, ঐ শয়তানটার কথাই বলছি। পেয়েছি, পেয়েছি। থামো।’ চৌধুরী সাহেব শ্যালককে কল দিয়ে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘ওর বাপের নাম যদি আজ আমি.......হ্যালো, কে শয়তান?’
‘হাঁ, সুলতান বলছি। কে? দুলাভাই নাকি?’
‘এই হারামখোর, কথা দিয়ে যদি রাখতে না পারিস তো সেই কথা দিস কেন?’
‘কেন দুলাভাই, এ কথা বলছেন কেন?’
‘একটা স্মার্ট ফোন কিনে দিবি বলে ছয় মাস ধরে ঘোরাচ্ছিস। তোর লজ্জা করে না?’
‘তওবা, তওবা। দুলাভাই আপনি কী বলছেন? আপনার অসুখের খবর শুনে এই তো গত পরশু আপনাকে দেখতে গিয়ে স্মার্ট ফোন কিনে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনিই তো নিতে চাইলেন না। বললেন, একটা মুখে কথা বলার জন্য কয়টা ফোন লাগে? ছিঃ ছিঃ, ছয় মাস ধরে আপনাকে ঘোরাবো কেন? আপনার মাথা টাল হয়ে গেছে দুলাভাই। আমি কালই আপনার জন্য সবচে’ দামী ফোন কিনে নিয়ে আসছি।’
‘আমার মাথা টাল হয়ে গেছে?’ চৌধুরী সাহেব চরম অস্থির ভাবে পায়চারী করতে করতে ফোনটা নাক বরাবর ধরে চিৎকার করে বললেন, ‘লাগবে না তোর দামী ফোন। দামী ফোন তোর.......(অকথ্য শব্দ)-য়ের মধ্যে ঢোকা।’
‘দুলাভাই, শোনেন, শোনেন.......।’

চৌধুরী সাহেব লাইন কেটে দিয়ে ফোনটা স্ত্রীকে ফেরত দিয়ে বললেন, ‘আজ ড্রাইভার হারামজাদাকে রাতে ভাত দিবা না। সারা রাত না খেয়ে থাকুক। ওটা আর একটা ইবলিশ।’
‘কেন, কী হয়েছে?’
‘তোমাকে বলেছি না কোন প্রশ্ন করবা না। ভাত দিবা না বলেছি, ভাত দিবা না। ব্যস্।’
জানা গেল, ড্রাইভার সীট বেল্ট না বাঁধায় আজ ট্রাফিক সার্জেন্টকে জরিমানা দিতে হয়েছে। চৌধুরী সাহেব তখন গাড়িতেই ছিলেন। জরিমানার টাকা শোধ করে তিনি রাস্তায় পুলিশ ও লোকজনের সামনে ড্রাইভারকে চড় থাপড় মেরেছেন। ড্রাইভার এখন নিচ তলার গ্যারেজে বসে নিঃশব্দে কাঁদছে। বাড়ির দারোয়ান চাঁন মিয়া তার পিঠে হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছে। ‘কাঁইন্দেন না ভাই, গরীবের আল্লা আছে।’


‘কে?’
‘আমি জেসমিন, বাবা।’
‘এত রাতে কী চাই?’
দুই রাত হলো চৌধুরী সাহেবের ঠিকমতো ঘুম হয় না। গভীর রাত পর্যন্ত করিডোরে চেয়ার পেতে অন্ধকারে বসে থাকেন তিনি। রাহেলা কাছে গিয়ে শোবার কথা বললে ক্ষেপে যান। বলেন, ‘আউট, আউট!’ রাহেলা ভয়ে আর কথা না বাড়িয়ে চলে যান। জেসমিনও ভয়ে ভয়ে বললো, ‘কিছু চাই না বাবা। তোমার সাথে একটু কথা বলবো।’
‘সকালে বোলো। এখন যাও। এত রাত পর্যন্ত জেগে আছো কেন? কাল কলেজ নাই?’
‘সকালে বললে হবে না বাবা। এখুনি বলা দরকার।’
চৌধুরী সাহেব কথা না বলে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে রইলেন। তারপর বললেন, ‘বেশ, বলো।’
জেসমিন একটা চেয়ার টেনে নিয়ে ওর বাবার মুখোমুখি বসে বললো, ‘আমার হাতের দিকে তাকাও বাবা।’
অন্ধকারে মেয়ের হাতে সাদা মতো কী একটা দেখে চৌধুরী সাহেব বললেন, ‘কী ওটা?’
জেসমিন জিনিষটা বাবার হাতে দিয়ে বললো, ‘সিগারেট। তুমি যে ব্র্যান্ড খাও, সেটা। তবে প্রতিদিন একটার বেশি না।’
চৌধুরী সাহেব আঁতকে উঠে বললেন, ‘না, না, আমি এক কথার লোক। সিগারেট খাবো না বলেছি, খাবো না। ব্যস্।’
‘আহা!’ জেসমিন চেয়ার ছেড়ে উঠে চৌধুরী সাহেবের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো, ‘তুমি এক কথার মানুষ, সেটা সবাই জানে। তুমি তো আর আগের মতো প্যাকেট প্যাকেট খাচ্ছো না। এই যে এখন যদি তুমি এখানে অন্ধকারে বসে একটা সিগারেট খাও তো কে জানতে পারবে বলো? আমরা তো আর কাউকে বলছি না। নাও ধরাও।’ জেসমিন ফস্ করে একটা ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে বাবার মুখের সামনে ধরলো।
‘খাবো?’
‘হাঁ, খাবে। আমি প্রতিদিন তোমার জন্য একটা করে সিগারেট নিয়ে আসবো। তুমি রাতে এখানে অন্ধকারে বসে বসে খাবে। কেউ দেখতে পাবে না। ঠিক আছে?’
চৌধুরী সাহেব সিগারেট ধরিয়ে ভুস করে এক মুখ ধোঁয়া ছেড়ে বললেন, ‘ঠিক আছে তুই যখন বলছিস, একটা খাই।’ মেয়ের ওপর খুশি হলে চৌধুরী সাহেব ‘তুই’ সম্বোধনে কথা বলেন, অন্য সময় ‘তুমি’।
‘আচ্ছা, সকালে টয়লেটে যাবার সময় আর একটা সিগারেট খেলে কেমন হয়?’
‘মোটেই ভালো হয় না।’ জেসমিন বললো, ‘তবে তুমি যখন বলছো, তখন কাল থেকে তিন দিন সকালের জন্য আর একটা করে বরাদ্দ থাকলো। তিন দিন পর অফ। আর শোন, রাতের সিগারেটও সাত দিনের জন্য। তারপর এটাও অফ। ততদিনে তোমার নেশা অনেক কমে যাবে, বুঝেছ?’
অন্ধকারে রাহেলা স্বামীর পেছনে এসে দাঁড়িয়েছেন। জেসমিন দেখতে পেলেও চৌধুরী সাহেব টের পাননি। রাহেলা খুক খুক করে কেশে বললেন, ‘অন্ধকারে আমি কিন্তু কিছু দেখতে পাচ্ছি না। করিডোরের লাইট জ্বালিয়ে কী দেখবো বাপ-বেটি এখানে কী করছে?’
চৌধুরী সাহেব আঁতকে উঠে বললেন, ‘না, না, লাইট জ্বালিও না।’ তিনি অন্ধকারেই স্ত্রীর কাছে সিগারেট আড়াল করার জন্য তাঁর সিগারেট ধরা হাতটা চেয়ারের নিচে লুকিয়ে ফেললেন।
********************************************************************************************************************
ছবিঃ নেট
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ১১৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (১১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পটি বেশ হয়েছে গরু জ্বী। অনেক ভাল লেগেছে। ভাল থাকবেন সবসময়।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান সুজন।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ছবি দেখেই মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম গুরু। গল্পটা পরে এসে পরবো এখন প্রিয়তে থাকবে।

দারুণ একখান ছবি দিছেন। ছিবেতেই অনেক কথা বোঝানো হয়েছে।

শুভকামনা

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নিশ্চয় সময় পেলে পড়বেন।

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




ওয়াও.................
একেবারে বাস্তব । এরকমটা বোধহয় সিগ্রেটখানেওয়ালাদের ঘরঘর কীঁ কঁহানী ........... 8-|

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভুল বলেননি ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৭

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: বাম্তবে সিগারেট প্রেমীদের অবস্থা এমনই। গল্পটি খুবই ভালো লেগেছ্! স্যালুট!!

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাসেল উদ্দীন।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া হাসতে হাসতে মরেই গেলাম!!!!!!


চৌধুরী সাহেব আরো গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘শোন। যে কোন একটা বলবে। হয় বাবা, না হয় পাপা। দেশে থাকতে তো কখনো আমাকে পাপা ডাকোনি। পিএইচডি করতে গেলে কী বাবাকে পাপা ডাকতে হয়?’
‘ও মাই গড! হোয়াট’স্ রং পাপা?
‘আমার সাথে ইংরেজিতে কথা বলবে না। আমি ইংরেজের বাচ্চা না। অলসো ইউ আর নট। হোয়াই আর ইউ টকিং উইথ মি ইন ইংলিশ?’
ফোন বন্ধ করে কঠিন মুখে বসে রইলেন চৌধুরী সাহেব। আব্দুল কাদের চা নিয়ে চেম্বারে ঢুকছিল। লাঞ্চের পর চা খাওয়া চৌধুরী সাহেবের অনেক দিনের অভ্যাস। চায়ের পর একটা বেনসন ধরিয়ে লম্বা সুখটান। কিন্তু আজ কাদেরের হাতে চায়ের পেয়ালা দেখে চৌধুরী সাহেবের মেজাজ বিগড়ে গেল। কষে ধমক লাগালেন তিনি, ‘চা নিয়ে যা হারামজাদা!’ কাদেরের হাত থেকে চায়ের পেয়ালা পড়ে কার্পেট ভিজে গেল।



হা হা হা

প্রিয়তে রেখে দিলাম মাঝে মাঝে হাসবো!!!!!!!!

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মাঝে মাঝে হাসার জন্য ভালো বুদ্ধি। মন খারাপ হলে পড়তে পারো বোন। হাঃ হাঃ হাঃ।


তোমাকে ধন্যবাদ। ভালো থেক। শুভকামনা রইল।

৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩১

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ভালো মানে অনেক ভালো !!!!!!!! :) :)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ অতঃপর হৃদয়।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: হাহাহা। বেচারা =p~

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন উম্মে সায়মা।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: কিন্তু ঠাণ্ডা সেভেন আপ খেয়ে চৌধুরী সাহেবের মেজাজ ঠাণ্ডা না হয়ে আরো গরম হয়ে গেল। কোল্ড ড্রিঙ্কসের নাম সেভেন আপ। অথচ এই ড্রিঙ্কস খেয়ে তাঁর ছয়টা আপ হলো আর একটা ডাউন হলো।।।


এই নাহলে আপনি রম্য লিখলেন???
হাসানোর জন্য ধন্যবাদ।:)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের সমস্যা জর্জরিত জীবনে একটু খানি হাসির বড় প্রয়োজন, তাই না?


ধন্যবাদ দ্যা ফয়েজ ভাই। ভালো থাকবেন। হাসি খুশি থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ছিগারেটের নেশা ছাড়তে অনেক মনের জোর লাগে! চৌধুরী সাহেব এক কথার মানুষ, তারপরও কঠিন হোলো তার জন্যে।
লেখা দারুন লাগলো ++

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, ধূমপান ছাড়তে হলে একমাত্র উপায় মনের জোর। ইস্পাতদৃঢ় মানসিক শক্তি ছাড়া এতে সফল হওয়া যায় না।


ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৪

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পরিপূর্ণ মজার গল্প। ৪র্থ +।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৪

মানবী বলেছেন: ছোট্ট্ এক টুকরো কাগজে মুড়ানো সামান্য কিছু শুকনো তামাক পাতার কাছে সৃষ্টির সেরা জীবের এমন আত্মসমর্পন আর অসহায়ত্বের গল্পগুলো বরাবরই পীড়াদায়ক। ধুমপানের প্রতি এমন নির্ভরশীলতা মাদকের নেশার চেয়ে কোন অংশে কম মনে হলোনা!
ধুমপায়ীরা পরাজিত মানুষ। এক সামান্য তামাকের কাছে অসহায় আত্মসমর্পন তাদের করুণ পরাজয়টাই প্রকট করে তুলে।


লেখা নিঃসন্দেহে সাবলীল আর মসৃন।
ছবিটি চমৎকার, ঠিক এভাবেই মানুষ সিগারেটকে না বরং সিগারেটই মানুষকে গ্রাস করে।

ধন্যবাদ আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নিকোটিন এমন একটি রাসায়নিক পদার্থ, যা ক্ষেত্রবিশেষে অন্যান্য মাদকের চেয়েও ভয়ঙ্কর। আপনি ঠিকই বলেছেন। অথচ রাষ্ট্র ও সমাজ ধূমপানের বৈধতা দিয়েছে। মানুষ যুগের পর যুগ ধূমপান করে চলেছে। আমাদের দুর্ভাগ্য।


ধন্যবাদ বোন মানবী। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: গল্পটি বেশ ভালো লাগল।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ঠ্যঠা মফিজ।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৪০

সোহানী বলেছেন: হুম এটা ও আহে পড়েছি....আমর বাবার সাথে খুব মিল... :P

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ বোন, এই গল্পটি আপনি আগে পড়েছেন। পুনরায় পড়ার জন্য ধন্যবাদ।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ছবি দেইখাই আমি টাস্কিত B:-)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অতএব নো স্মোকিং।

১৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:১৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: লাইটারটা অন্য বাড়ির ছাদে ফেলার মাহাত্ব্যটা বুঝলাম না, ওখানে কি কোন সিগারেট খোর আছে? অথবা লাইটারটা রান্না করার চুলা জ্বালানোর জন্য গিন্নির হাতে দিয়ে দিলে কি অপচয়টা একটু কম হতো না? (গেয়ানী লুকের ইমো হবে)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্প লেখার আগে এইডা কন নাই ক্যান?

১৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



@মাহমুদুর রহমান সুজন,
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
কিন্তু, রম্যগুরু প্রিয় হেনা ভাইকে 'গরু' সম্বোধন করলেন যে!!! কপাল আমার!!!
সম্ভবত: তাড়াহুড়োর কারনে এমনটা হয়েছে। কোনভাবে শব্দটি সংশোধন করা যেত যদি!

@হেনা ভাই,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ভারি মজার গল্প।

ভাল থাকবেন নিরন্তর।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওটা নেহাতই মিসটেক। অন্য কিছু নয়।


গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ ভাই নতুন নকিব। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:০৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পড়ে অনেক হাসলাম। নেশা ছাড়া মনে হয় আসলেই কঠিন।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খুব কঠিন। নেশা না করাটাই উত্তম পথ।


ধন্যবাদ ভাই মোস্তফা সোহেল। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: হা..হা...হা... এমন লেখা পড়লে না হেসে পারা যায় "কোল্ড ড্রিঙ্কসের নাম সেভেন আপ। অথচ এই ড্রিঙ্কস খেয়ে তাঁর ছয়টা আপ হলো আর একটা ডাউন হলো। তীব্র দুর্গন্ধে চৌধুরী সাহেব নাকে রূমাল চাপা দিলেন।"

"চিৎকার করে বললেন, ‘লাগবে না তোর দামী ফোন। দামী ফোন তোর.......(অকথ্য শব্দ)-য়ের মধ্যে ঢাকা।’" কানে কানে শব্দ গুলো বলা যায় হেনা ভাই ।

অত্যন্ত হাসির একটা গল্প না সত্যি ঘটনা?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটি কাল্পনিক। তবে আমাদের বাস্তব জীবনের প্রেক্ষাপটে লেখা। ধূমপান ছাড়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আমি কাছে থেকে দেখেছি। মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করেছি প্রতিক্রিয়া গুলো। সেসবের ওপর ভিত্তি করে এটি লেখা।


ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: :P :P :P :-B
বাহহহহহহহহহ

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সিনবাদ জাহাজি।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

রক বেনন বলেছেন: হা হা হা!! বরাবরের মতই চমৎকার হেনা ভাই!! বিশেষ করে - আজ খালি মুখে কমোডে বসে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় গর্জন ছাড়া বর্ষণ তেমন হয়নি / কোল্ড ড্রিঙ্কসের নাম সেভেন আপ। অথচ এই ড্রিঙ্কস খেয়ে তাঁর ছয়টা আপ হলো আর একটা ডাউন হলো/ পিএইচডি করতে গেলে কী বাবাকে পাপা ডাকতে হয়?/ রাহেলা স্বামীর প্যান্টের জিপার খোলা দেখে লজ্জিত মুখে ইঙ্গিত করে দেখালেন। চৌধুরী সাহেব থতমত খেয়ে জিপার লাগিয়ে মনে মনে ভাবলেন, জিপারটা কী সারাদিন এভাবেই খোলা ছিল? ছিঃ ছিঃ। ভীষণ লজ্জার কথা! :) :) :)

ভাল থাকবেন হেনা ভাই!! শুভকামনা রইল!! :) :)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। দীর্ঘদিনের ধূমপানের অভ্যাস হঠাৎ করে ছেড়ে দিলে অনেকেই তাদের আচার আচরণে বেসামাল হয়ে পড়েন। এমনটি আমি স্বচক্ষেই দেখেছি বলে সেইসব সঙ্গতিহীন আচরণের ভিত্তিতে গল্পটি লিখেছি। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ধন্যবাদ ভাই রক বেনন। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইল।

২১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: মরদের সিগারেট
মরদই তা টানে;
ধূমপানে কত সুখ
কেবলি সে জানে।

কেমন লোক হে তিনি
কি রকম আক্কেল!
ছেড়ে দিতে হবে তারে
হলে থোড়া হার্ট ফেল!!

ছেড়েতো বুঝেছ চাঁদু
কত তার ফ্যাকরা;
যে সে লোকে বিড়ি খায়?
খায় ডন শেখরা।

ছেড়ে যায় বউ-বিবি
ছেড়ে যায় গার্লফ্রেন্ড;
ছাড়েনা এ সিগারেটই
সস্তা বা দামী ব্রেন্ড।

এই বুকে সব সয়
বেইমানী সয়না;
সিগারেটে বেইমানী.....................!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
অত নীচ হয়না।

হেনাভাই ইয়ে মানে
লাজে মরি বলতে;
যদি থাকে দ্যাওনাগো
একপিস সলতে............... :-B

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছড়ার মাধ্যমে অসাধারণ মন্তব্য। খুব ভালো লিখেছেন। প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন পাঁড় ধূমপায়ী। ধূমপানের কারণে একবার তাঁর পায়ের আঙ্গুলে গ্যাংগ্রিন হয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করে। ডাক্তারের পরামর্শ ছিল ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। তা' না হলে গ্যাংগ্রিন থেকে ক্যান্সার হয়ে মৃত্যু অনিবার্য। কবি ক্যান্সার বেছে নিয়েছিলেন, যে কারণে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। তবুও তিনি ধূমপান ছাড়তে পারেননি।

ধন্যবাদ ভাই কি করি আজ ভেবে না পাই। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২২

জুন বলেছেন: চমৎকার এবং বাস্তব গল্প লিখেছেন হেনা ভাই । খুব ভালোলাগলো ঝরঝরে লেখাটি।
আমার বাসার অবস্থাই মনে হলো । কতবার ছাড়লো আর কতবার ধরলো তার হিসাব আর রাখিনা ।
+

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একজন আর এক জনকে বললো, সিগারেট ছাড়া খুব কঠিন কাজ। অন্যজন বললো, মোটেই কঠিন না। আমি জীবনে দশ বারোবার ছেড়েছি।

আপনার বাসার অবস্থা এরকমই মনে হয়। হাঃ হাঃ হাঃ। ধন্যবাদ বোন জুন। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

নাগরিক কবি বলেছেন: কেউ আমারে বোতা দাও দিয়া কাইট্টা লান ;)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নাগরিক কবি।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫২

কাল্পনিক কামিনী বলেছেন: ভালো হইছে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক কামিনী।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

তোমার জন্য মিনতি বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে। ভাল লাগলো পড়তে

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ তোমার জন্য মিনতি।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

বাকরখানি বলেছেন: আগে দেখছি লেখাটা। পেপারে না ব্লগে?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, আগে ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে। তবে তখন ছবি দিই নাই।


ধন্যবাদ বাকরখানি। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: রম্য গল্প ভালো লিখেন আপনি। আশা করি ব্লগে নিয়মিত আপনার গল্প পাব। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চেষ্টা করবো ভাই।


আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: প্রতি সন্ধ্যার সৃষ্ট ক্ষতের পরিচর্যা করি সারা দিনমান।
ক্ষত শুকোয় না, ক্ষতে পচন ধরে না। নিত্য রক্তাক্ত হয়ে নিত্য সে ঘোচে।
আপনাকে আপনার এ এক মরণ খেলা।
নিত্য চলে যার রিহের্সাল।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মন্তব্যের তাৎপর্য ঠিক বুঝলাম না। একটু বুঝিয়ে বলবেন কী?

২৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: লেখকের নাম দেখেই বুঝে ছিলাম গল্পটা ভাল হবে। পড়ে মনে হলো প্রত্যাশার চেয়েও ভাল হয়েছে। দারুণ গল্প লিখেন আপনি। পড়লে মনে হয় সময়টা ভালই কাজে লেগেছে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ফরিদ আহমদ চৌধুরী। আশা করি, আমার পরের লেখাগুলিতেও আপনাকে পাবো।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।


৩০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এক কথার মানুষকে ২ কথার মানুষে পরিণত করলেন?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। এরকম মানুষই আমাদের সমাজে বেশি।


ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চৌধুরী সাহেব আরো গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘শোন। যে কোন একটা বলবে। হয় বাবা, না হয় পাপা। দেশে থাকতে তো কখনো আমাকে পাপা ডাকোনি। পিএইচডি করতে গেলে কী বাবাকে পাপা ডাকতে হয়?’
‘ও মাই গড! হোয়াট’স্ রং পাপা?
‘আমার সাথে ইংরেজিতে কথা বলবে না। আমি ইংরেজের বাচ্চা না। অলসো ইউ আর নট। হোয়াই আর ইউ টকিং উইথ মি ইন ইংলিশ?

দারুন জমেছে গল্প , দুদিকেই রম্য , ইংরেজী যে পছন্দ নয় তা ইংরেজীতেই জানানো হল :)
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর গল্পটির জন্য ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: কার কেমন লেগেছে জানিনা । তবে, আমার পুরোটাই ভাল লেগেছে। দারুন লেগেছে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই খুরশীদ আলম।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

মিঃ আতিক বলেছেন: 'খুশিতে রাহেলার ঠোঁটের কোণে বাসরঘরের হাসি'

অনেকরে দেখি বাপের বাড়ী থেকে যাওয়ার সময় কান্না করে মেকাপ উঠায় ফেলে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাপের বাড়ী থেকে যাওয়ার সময় কান্না করে মেকাপ উঠায় ফেলে।


মেক আপ উঠে গেলে মেয়েটি সুন্দর নাকি অসুন্দর সেটা বুঝা যায়। হাঃ হাঃ হাঃ।

ধন্যবাদ মিঃ আতিক। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৩৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩২

আহা রুবন বলেছেন: চমৎকার! বেশ রসিয়ে রসিয়ে পড়লাম। খুব ভাল লেগেছে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আহা রুবন।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

শুভ_ঢাকা বলেছেন: সর্দারজী, অ-সা-ধা-র-ন লিখেছেন বললেও কম বলা হবে। প্রাণ খুলে হাসলাম। ভাগ্যিস রিপোস্ট দিয়েছিলেন।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মোবাইল, না ল্যাপটপ? মোবাইল হলে ক-ষ্-ট-ও করে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ শুভ।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আমি এমনও মানুষ দেখেছি বাথরুমে যাবার সময় মুখে একটা সিগারেট ধরিয়ে নেয় আর কানে একটা গুঁজা থাকে। :D =p~

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ হাঁ এরকম লোকও আছে। তবে চৌধুরী সাহেবের মতো অফিসার লেভেলের লোকেরা সম্ভবত সিগারেট কানে গুঁজে নিয়ে যান না। আবার যেতেও পারেন। পাঁড় ধূমপায়ীরা এরকম করে থাকেন।

৩৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: অসাধারণ। সিগারেট ছাড়ার এ কি কস্ট তা খুব ভালভাবে বুঝিয়ে দিলেন।ধন্যবাদ সুন্দর রম্য গগ্পের জন্য।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কলিমুদ্দি দফাদার।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দুইবার ছেড়েছি , এইবার ছাড়লে আর ধরুম না।
ভাইজান কি ধূমপায়ী ছিলেন?

বেশ মজা করে লিখেছেন, পড়ে আরাম পেলাম।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ছাড়া এ ধরণের লেখা সহজ নয়। তবে আমি দীর্ঘদিন থেকে ধূমপান করি না।


ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৪

ওমেরা বলেছেন: দীর্ঘ দিনের যে কোন নেশা হঠাৎ করে ছাড়া যায় না ,ছাড়া ঠিক ও না কারন তাহলে শরীরের উপর খারাপ ইফেক্ট করে । আস্তে আস্তে চেষ্টা করতে হবে । ধন্যবাদ ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দীর্ঘ দিনের যে কোন নেশা হঠাৎ করে ছাড়া যায় না ,ছাড়া ঠিক ও না কারন তাহলে শরীরের উপর খারাপ ইফেক্ট করে । আস্তে আস্তে চেষ্টা করতে হবে


ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ বোন ওমেরা। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৪০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৫৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

খুশিতে রাহেলার ঠোঁটের কোণে বাসরঘরের হাসি........অট্ট হাসি, মুচকি হাসি এমন কত কি নাম শুনলাম, কিন্তু বাসরঘরের হাসির নামটা আজই প্রথম শুনলাম, এটা কিভাবে হাসতে হয় একটু ব্যাখ্যা করবেন কি? :D

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাবীরে জিগান।

৪১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৫৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: একটা মুখ দিয়ে কথা বলতে দুইটা ফোনের দরকার কী?.........এই কথাগুলো মোবাইল ফোনওয়ালারা শুনলে আপনার নামে মামলা ঠুকে দেবে নিশ্চিৎ =p~

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এইডা তো আমি কই নাই। চৌধুরী সাহেব কইছে। মামলা হইলে তার নামে হইব। আমার কী?

৪২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

কাছের-মানুষ বলেছেন: হা হা , অসাধারন ।পড়ে ভাল লাগল রম্য ।

+++

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কাছের-মানুষ।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৪৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পিওনকে ডেকে ধমক দিয়ে বললেন, ‘এই এ্যাশট্রেটা এখুনি অফিসের বাইরে ফেলে দিয়ে আয়।’ পিওন আব্দুল কাদের পড়িমরি করে টেবিলের ওপর থেকে এ্যাশট্রে তুলে নিতে গিয়ে সেটা উল্টে ফেলে দিয়ে ছাই আর পোড়া সিগারেটের টুকরায় টেবিল নোংরা করে ফেললো।..........ভাইটামিনে ভরপুর লেখনি :)

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাইটামিনের নাম তো বললেন না।

৪৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:০২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পিএইচডি করতে গেলে কী বাবাকে পাপা ডাকতে হয়?’ ‘ও মাই গড! হোয়াট’স্ রং পাপা?.......ব্যচারা আছে জ্বালায়, তার মাঝেও রং তামাশা করছেন :D

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পোলাপান বাবারে পাপা ডাকলে কোনদিন যে আঙ্কেল বা গ্র্যান্ডপা বলে ডাকবে না তার তো কোন গ্যারান্টি নাই। তাই চৌধুরী সাহেব রাগ করেছেন।

৪৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: সাদা মনের মানুষ ও আবু হেনা আনন্দময় জীবনের প্রতিক।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শাহিন-৯৯।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চৌধুরী সাহেব সিগারেট ধরিয়ে ভুস করে এক মুখ ধোঁয়া ছেড়ে বললেন, ‘ঠিক আছে তুই যখন বলছিস, একটা খাই।.....সত্যিই ব্যাটা এক কথার মানুষ, অনেকটা আপনারই মতো।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এক কথার লোকেরা আমার মতোই হয়। হে হে হে। =p~

৪৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর স্টাইলে লেখা চমৎকার রচনা। ভাল লেগেছে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
নেন রাজশাহীর খাটি আমের জুস খান :)

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: করলা গাছের আমের জুস আমার খুব পসন্দ।

৪৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
এই যাহ্ কার জিনিস কারে দিলাম B-)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি যে বুড়া হইছেন এইবার বুঝছেন তো?

৫০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বুড়া মানে তো মন্দ, আপনি থাকতে আমি মন্দ হতে যাবো ক্যান? :D

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সাত দিনের জীবনে দেড় দিনের যৌবন।

৫১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: রিপোস্ট!!:)


তাইতো বলি চেনা চেনা লাগছে কেন!:)


প্লাস!:)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিলিয়ার রহমান।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৫২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভ হাইঞ্জালা ;)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুভ হাইঞ্জালা ;)


লিখি নাই। আপনারডাই কপি পেস্ট মাইরা বোল্ড কইরা দিছি। হে হে হে। আমার কত বুদ্ধি দেখছেন?

৫৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ইফতি সৌরভ বলেছেন: কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন,
......
যে সে লোকে বিড়ি খায়?
খায় ডন শেখরা।

ছেড়ে যায় বউ-বিবি
ছেড়ে যায় গার্লফ্রেন্ড;
ছাড়েনা এ সিগারেটই....

- কথা সত্য আর সিগারেট খোর 'চৌধুরী' সাহেবদেরকে নিয়ে লেখাটি পড়ে হাসতে হাসতে অনেকেই হয়তো একটা সিগারেটে আগুন দিয়ে বসেছেন :-B

+++++ (GOLDEN)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কথা সত্য আর সিগারেট খোর 'চৌধুরী' সাহেবদেরকে নিয়ে লেখাটি পড়ে হাসতে হাসতে অনেকেই হয়তো একটা সিগারেটে আগুন দিয়ে বসেছেন

তাহলে আর কী লাভ হলো? যে উদ্দেশ্যে লিখলাম, সেটাই তো মাঠে মারা গেল। হাঃ হাঃ হাঃ।

ধন্যবাদ ইফতি সৌরভ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৫৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম, বুদ্ধির ঢেকি :D

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঢেঁকি উঠে গেছে কবে! বলেন 'বুদ্ধির রাইস মিল'।

৫৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এপ্রিলের ২৭ তারিখে আপনার বাড়ির পাশে বেড়াতে যাবো :-B

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কোথায়? কোথায়? কোথায়?

৫৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নবাবের শহর মুর্শিদাবাদে, মানচিত্র ওপেন করলে ঠিক আপনার বাড়ির পাশেই দেখায়, যদিও মাঝখানে ছোট্ট একটা পদ্মা নদীও আন্তর্জাতিক সীমারেখা টানা আছে =p~

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ইন্ডিয়া যাচ্ছেন? ভালো, ভালো। সোনা মসজিদ বর্ডার দিয়ে গেলে তো রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ হয়ে যেতে হবে। তাহলে আমার গরীবালয়ে আপনার পদধুলি কাম্য।

৫৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এইবার ঢাকা থেকে ট্রেনে যাবো, আপনি ট্রেন লাইনের পাশে দাঁড়ালে টাটা দিতে পারবো B-)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: টাটা বিড়লা যাই দেন, হতাশ হলাম। দুধের স্বাদ কী আর ঘোলে মিটে?

৫৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১৯

কল্পদ্রুম বলেছেন: গল্প পড়তে ভালো লেগেছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।কিন্তু পরিস্থিতি ভয়াবহ।নিজের সিগারেটের অভ্যাস না থাকলে নিকটজনের অনেকের আছে।তাঁদের অনেকেই এরকম ঘোষণা দিয়ে ছাড়তে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ফলাফল শূন্য।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, বাস্তবে এটাই হয়। সিগারেটের অভ্যাস ত্যাগ করা খুব কঠিন।


ধন্যবাদ ভাই কল্পদ্রুম। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.