নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিচারণঃ বন্ধুর বাড়ি

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭



ছোট বেলায় আমি একবার হারিয়ে যাই। তখন আমার বয়স সাত আটের মতো হবে। এক অন্ধ ভিক্ষুক প্রতি রবিবার আমাদের বাড়িতে ভিক্ষা করতে আসতো। আমার বয়সী একটি ছেলে ছিল তার। ছেলেটি তার বাবার লাঠি ধরে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসতো। ছেলেটির নাম জয়নাল। পঞ্চাশ বাহান্ন বছর আগের মফঃস্বল শহর। শান্ত নিরিবিলি এই শহরে তখন লোকসংখ্যা যেমন কম ছিল, তেমনি ভিক্ষুকের সংখ্যাও ছিল কম।

তো এই জয়নালের সাথে কীভাবে যে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল, আজ আর মনে পড়ে না। ভিক্ষুকের ছেলের সাথে উকিলের ছেলের বন্ধুত্ব! আজকের দিনে এমনটা ভাবাই অসম্ভব। কিন্তু তখনকার দিনে অস্বাভাবিক হলেও অসম্ভব ছিল না। এমন সম্পর্ক তখন কোন গুরুত্বও বহন করতো না। প্রতি রবিবার স্কুল ছুটির দিনে আমি জয়নালের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। সে তার অন্ধ বাবাকে নিয়ে বেলা দশটার মধ্যে চলে আসতো। আমার মা নগদ দু’চার আনা পয়সার সাথে দু’মুষ্টি চাল দিয়ে দিতেন। এছাড়া ওদের খেতেও দিতেন তিনি। কখনো রুটি, কখনো বাসি ভাত-তরকারি। ওরা বাপ-বেটা খুব তৃপ্তি করে খেত। আর আমি ওদের সামনে বসে বসে দেখতাম। কেন জানিনা, অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষ পেট ভরে খাচ্ছে, এই দৃশ্য আজও আমার সবচে’ প্রিয় দৃশ্য। অভুক্ত মানুষ একমুঠো খেয়ে যখন তৃপ্তির ঢেকুর তোলে, তখন তার ঢেকুরের আওয়াজ আমার কাছে পৃথিবীর সবচে’ শ্রুতিমধুর আওয়াজ বলে মনে হয়।

এক রবিবার জয়নাল তার বাবাকে ছাড়া একাই ভিক্ষা করতে এলো। ওর বাবার জ্বর হওয়ায় আসতে পারেনি। রাতে বেঁচে যাওয়া বাসি ভাত-তরকারি খেতে দেওয়া হলো জয়নালকে। খাওয়া শেষ হলে মায়ের দেওয়া একখানা সিকি সে তার ছেঁড়া হাফ প্যান্টের পকেটে চালান করে দিয়ে আমাকে হাত ইশারায় বাইরে ডাকলো। আমাদের বাড়ির সামনে পাঁচিল ঘেরা লেবু, বাতাবি লেবু ও নারকেলের বাগান ছিল। আমি আর জয়নাল সেখানে মার্বেল খেলায় মেতে উঠলাম। খেলা শেষ হলে জয়নাল বললো, ‘আমাদের বাড়ি যাবি?’
আমি সাথে সাথে বললাম, ‘যাবো।’

মা বাড়ির ভেতর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আব্বা তাঁর চেম্বারে মক্কেল নিয়ে ব্যস্ত। আমার অন্যান্য ভাই বোনেরা কেউ আশেপাশে ছিল না। সবার অগোচরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমরা দু’জন রওনা হলাম ওর বাড়ির দিকে। কোন্ পথে কোথায় গিয়েছিলাম, আজ আর মনে পড়ে না। শুধু এটুকু মনে পড়ে যে, রেল স্টেশন পার হয়ে হাঁটছিলাম আমরা। কখনো রেল লাইনের গা ঘেঁষে, কখনো লাইনের ওপর দিয়ে হেঁটে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হলো। মাঝে মাঝে বসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম, তারপর আবার হাঁটা। জয়নালের হাঁটাহাঁটির অভ্যাস থাকায় সে তেমন ক্লান্ত হলো না। কিন্তু আমি অনভ্যাসের কারণে অতটা পথ হেঁটে একেবারে নেতিয়ে পড়লাম। ওদের বাড়িতে পৌঁছার পর আমি প্রায় কেঁদে ফেললাম। জয়নালের মা আমার অবস্থা দেখে তাড়াতাড়ি এক দলা গুড়ের সাথে টিনের গ্লাস ভর্তি ঠাণ্ডা পানি খাইয়ে আমাকে কিছুটা সুস্থ করে তুললেন।

ভিক্ষুকের বাড়িঘর। কেমন আর হবে? যতদূর মনে পড়ে, রেল লাইনের পাশে ঝুরঝুরে খড়ের চালা দেওয়া পড়ো পড়ো একখানা মাটির ঘর। ট্রেন চলার সময় পুরো ঘর থর থর করে কাঁপে। জয়নালের মা আমার পরিচয় জানার পর জয়নালের পিঠে দুম দুম করে দুটো কিল বসিয়ে দিলেন। ওর বাবা ঘরের বারান্দায় একখানা ভাঙ্গা দড়ির খাটিয়ায় শুয়ে ছিলেন। খাটিয়া থেকে নেমে লাঠি ঠুকে ঠুকে তিনি আমাদের কাছে এসে বললেন, ‘সর্বনাশ! এইডা কী করছস জয়নাল? বড়লোকের পোলারে আমগো বাড়িত্ লইয়া আইছস? উকিল সাহেব জানবার পারলে.......’
জয়নালের মা বললেন, ‘আপনের পোলার সাহস কত, দ্যাখছেন?’

আমি তাদের কারো কথাই কিছু বুঝিনা। ঐ বয়সে বোঝার কোথাও না। দীর্ঘ পথ হাঁটার কষ্ট ছাড়া আমার আর কোন কষ্ট নাই। মায়ের হাতে আর এক দফা মার খেয়েও জয়নালের লজ্জা নাই। ওদের ঘরের সামনে এক চিলতে খোলা জায়গায় আমি আর জয়নাল খেলায় মেতে উঠলাম। সাথে এসে জুটলো আশপাশ থেকে জড়ো হওয়া সমবয়সী আরও কিছু বস্তির ছেলেমেয়ে। দু’একজনের পরনে জীর্ণ শীর্ণ ফ্রক প্যান্ট ছাড়া প্রায় সবাই উদাম। শুরু হলো এক্কা দোক্কা আর কানামাছি খেলা। মাঝে মাঝে ট্রেন যাওয়ার আওয়াজ পেলে সবাই মিলে একযোগে ছুটে গিয়ে লাইনের ধারে উবু হয়ে বসে যন্ত্রদানবের সর্পিল যাত্রা দেখে আনন্দে হাততালি দেওয়া। খেলা শেষে কাছাকাছি একটা ডোবায় নেমে সবার সাথে ন্যাংটো হয়ে গোসল করা। বাঁধ ভাঙ্গা শৈশব। সেই উদ্দাম শৈশবের কথা মনে হলে আজও আমার দেহে শিহরণ জাগে।

এরপর দুপুরে মাটির বারান্দায় বসে ভাত খাওয়া। বারোমিশালি মোটা চালের সাথে খুদ কুঁড়ো মেশানো গরম ভাত, ডাল আর সজনের পাতা ভাজি। ভিক্ষুকের পক্ষে মেহমানদারি করার জন্য এই খাবারটুকু জোগান দেয়াই ছিল কষ্টকর। ঐ বয়সে না বুঝলেও আজ সেটা বুঝি। আর মনে পড়ে, ওই খাবারই আমি খুব তৃপ্তি করে খেয়েছিলাম। ক্ষুধার জ্বালায় শুধু এক মুঠো ভাতও বেহেশতী মেওয়ার মতো লাগে।

একটু বেলা বাড়ার পর জয়নালের বাবা অসুস্থ শরীরে আমাকে ও জয়নালকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। আমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে আসবেন তিনি। জয়নাল ওর বাবার লাঠি ধরে সামনে সামনে হাঁটছে আর আমি ওর পাশে পাশে হাঁটছি। কিন্তু হাঁটতে হাঁটতে আমি বার বার বসে পড়তে লাগলাম। কাঁদো কাঁদো গলায় বললাম, ‘হাঁটতে পারছিনা।’ জয়নালের বাবা তার দুর্বল শরীরেই আমাকে কাঁধে তুলে নিয়ে হাঁটতে শুরু করলেন। তার ডান কাঁধে আমি, আর তার বাম হাতের লাঠি ধরে পথ দেখিয়ে নিয়ে চলেছে জয়নাল। রেল লাইনের ধার ঘেঁষে আমাকে কাঁধে নিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে হেঁটে চলেছেন অন্ধ মানুষটা। মাঝে মাঝে আমাকে কাঁধ থেকে নামিয়ে ওরা বাপ বেটা দু’জনে একটু বিশ্রাম নেয়। তারপর আবার হাঁটা।

এভাবে হাঁটতে হাঁটতে ঠিক সন্ধ্যের সময় পৌঁছে গেলাম আমরা। আমি হারিয়ে গেছি বলে বাড়িতে প্রচণ্ড হৈ হট্টগোল চলছে। সকাল থেকে খোঁজাখুঁজি করা হচ্ছে আমাকে। শহরের সব আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা জড়ো হয়েছে বাড়িতে। আব্বা ও বড় ভাইসহ অনেকেই আমাকে খুঁজতে বেরিয়েছেন। বাড়ির ভেতর মা ও অন্যান্য ভাই বোনেরা কান্নাকাটি করছে। আমাকে পাওয়া যাবে বলে সবাই তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে ইঁদারা ঝালাইকারি লোক এনে বাড়ির ইঁদারায় নামিয়ে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়েছে। দড়ি কাছি গোছ গাছ করে তারা এখন চলে যাচ্ছে।

বাড়ির বাইরে আমাকে কাঁধ থেকে নামিয়ে দিয়ে জয়নালের বাবা ঘর্মাক্ত দেহে মাটিতে বসে হাঁপাতে লাগলেন। আমি দৌড়ে বাড়ির ভেতর ঢুকতেই হৈ চৈ পড়ে গেল। মা ছুটে এসে আমাকে কোলে তুলে নিয়ে অঝোরে কাঁদতে লাগলেন।
এক ঘণ্টা পর। আব্বা ও বড় ভাই ফিরে এসেছেন। বাড়ির সামনে আমাদের নারকেল বাগানে মাটির ওপর জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে জয়নাল ও ওর অন্ধ বাবা। হারিকেন উঁচিয়ে সবাই দেখছে ওদের। কেউ কেউ কঠিন গলায় ওদের ধমকাচ্ছে। ছোট মামা বাপ বেটা দু’জনকে থানায় দেওয়ার জন্য আব্বার সাথে পীড়াপীড়ি করছেন। প্রতিবেশীদের কেউ কেউ অতি উৎসাহে ওদের কান মুচড়ে দিচ্ছে। এসব দেখে আমার খুব কান্না পাচ্ছে। মায়ের কোলে বসে আমি ফোঁপাচ্ছি। ভেজা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে জয়নাল।
আব্বা হাত ইশারায় সবাইকে থামতে বললেন। তারপর পকেট থেকে দুটো এক টাকার নোট বের করে জয়নালের বাবার হাতে ধরিয়ে দিয়ে শান্ত গলায় বললেন, ‘তোমরা যাও।’

আমার তখন কী যে হলো কে জানে? মায়ের কোল থেকে নেমে ছুটে গিয়ে আব্বার কোলে চড়ে বসলাম। দু’হাতে আব্বার গলা জড়িয়ে ধরে জয়নালের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বললাম, ‘আবার তোদের বাড়ি যাবো।’
সবাই হৈ হৈ করে উঠলো। ‘সর্বনাশ! এই ছেলে বলে কী? খবর্দার, আর কখনো যাবেনা।’ চার দিক থেকে আমার ওপর শাসন গর্জন শুরু হয়ে গেল। মা আমাকে কোলে নিয়ে বাড়ির ভেতর চলে গেলেন।

সেই বন্ধুর বাড়ি আমার আর যাওয়া হয়নি। আর কখনো দেখা হয়নি জয়নালের সাথে। নির্মম নিষ্ঠুর বাস্তবতা ছিন্ন করে দিয়েছে আমাদের সম্পর্ক। জানিনা, সে বেঁচে আছে কী না। যেখানেই থাকো, ভালো থেকো বন্ধু।
*******************************************************************************************************************
[ ঢাকা থেকে প্রকাশিত দ্বিমাসিক পত্রিকা 'অফলাইন'-এর অক্টোবর-নভেম্বর/২০১৬ সংখ্যায় প্রকাশিত। ব্লগার বন্ধুদের মধ্যে যারা পড়েননি, তাদের জন্য ব্লগে প্রকাশ করলাম। ]
ছবিঃ নেট।
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৯৪ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৯৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

মানবী বলেছেন: "সাথে এসে জুটলো আশপাশ থেকে জড়ো হওয়া সমবয়সী আরও কিছু বস্তির ছেলেমেয়ে। দু’একজনের পরনে জীর্ণ শীর্ণ ফ্রক প্যান্ট ছাড়া প্রায় সবাই উদাম। শুরু হলো এক্কা দোক্কা আর কানামাছি খেলা। মাঝে মাঝে ট্রেন যাওয়ার আওয়াজ পেলে সবাই মিলে একযোগে ছুটে গিয়ে লাইনের ধারে উবু হয়ে বসে যন্ত্রদানবের সর্পিল যাত্রা দেখে আনন্দে হাততালি দেওয়া।"
- অদ্ভুত সুন্দর স্বপ্নীল অভিজ্ঞতা!
আধুনিক যুগের শিশুদের কাছে অকল্পনীয়, রূপকথার মতো।

আমাদের দেশে হতদরিদ্র মানুষের জন্মই যেনো অপরের হাতে প্রহার আর অপমান সহ্য করার জন্য- কোন দোষ করার প্রয়োজন পরেনা। দিনশেষে আপনার বাবার মানবিক আচরণ সেই নির্মমতায় কিছুটা হলেও কোমল প্রলেপ দিয়ে যায়।

চমৎকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম।

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের দেশে হতদরিদ্র মানুষের জন্মই যেনো অপরের হাতে প্রহার আর অপমান সহ্য করার জন্য- কোন দোষ করার প্রয়োজন পরেনা। দিনশেষে আপনার বাবার মানবিক আচরণ সেই নির্মমতায় কিছুটা হলেও কোমল প্রলেপ দিয়ে যায়।


হাঁ বোন, আপনি ঠিক কথাই বলেছেন। আমার বাবা আমার আদর্শ। তিনি বহুদিন আগে মারা গেছেন। কিন্তু তিনি আজও আমার বাতিঘর। জীবনে কখনো কোন সমস্যায় পড়লে আমি আল্লাহর পরে তাঁকেই স্মরণ করি।

আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শৈশবের কিছু স্মৃতি কখনই ভোলার নয়।ভাল লেগেছে আপনার ছোট্টবেলার বন্ধুটির কথা পড়ে।

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোস্তফা সোহেল।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

তার ছিড়া আমি বলেছেন: অসাধারণ স্মৃতিচারণ। ছোট বেলার কথা মনে পড়লে মন অন্যরকম হয়ে যায়। আমারও একটা ছোট বেলার হারিয়ে যাওয়ার গল্প আছে, একদিন হয়তো লিখে ফেলবো।

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হয়তো নয়, লিখেই ফেলুন এবং ব্লগে পোস্ট দিন।


ধন্যবাদ তার ছিঁড়া আমি। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: ভাল লাগলো ।

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩২

রক বেনন বলেছেন: আমার বিনম্র শ্রদ্ধা আপনার বাবার প্রতি। যিনি নিজের ছেলেকে কটূক্তি করার চেয়েও একজন দরিদ্র বাবার মহানুভবতাকে বড় করে দেখাকে অনুভব করতে পেরেছিলেন।

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার বিনম্র শ্রদ্ধা আপনার বাবার প্রতি। যিনি নিজের ছেলেকে কটূক্তি করার চেয়েও একজন দরিদ্র বাবার মহানুভবতাকে বড় করে দেখাকে অনুভব করতে পেরেছিলেন।

হৃদয়গ্রাহী মন্তব্য। হাঁ ভাই, আমার বাবা তাঁর এরকম দূরদর্শিতার কারণেই আমার সারা জীবনের পথপ্রদর্শক।

ধন্যবাদ ভাই রক বেনন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৬| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



রীতিমত অনন্য!

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নতুন নকিব।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৭| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



কামাল ভাই কোথায়? তিনি এলে তো আপনার সাথে জমে ভাল। বিশেষত: তার ছবি ব্লগ নিয়ে লাইনে লাইনে আপনার সতর্ক বিশ্লেষন এবং তার যথানুরুপ প্রত্যুত্তর - দারুন উপভোগ্য।

ভাল থাকবেন।

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। কামাল ভাই রসিক মানুষ। তাকে কয়েকদিন হলো ব্লগে দেখছি না। ভ্রমন পাগল মানুষ। হয়তো কোথাও বেড়াতে গেছেন বা ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে ব্যস্ত আছেন।

৮| ০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

রাতু০১ বলেছেন: শৈশব স্মৃতি , ওওহহ।

শুভকামনায়।

০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রাতু০১।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৯| ০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: নির্মম নিষ্ঠুর বাস্তবতা ছিন্ন করে দিয়েছে আমাদের সম্পর্ক।
এটাই হলো পৃথিবীর নিয়ম, ভালো না কিন্তু কিছু করারও নেই। আবার অনেক কিছুই করার আছে ভাবার সময় নেই।

লেখা খুবই ভালো লাগলো ভাই +++

০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ধ্রুবক আলো।


ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

১০| ০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: লেখায় তখনকার সামাজিক অবস্থা এবং জীবন ব্যাবস্থার চিত্রের ধারনা পেলাম। আপনার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা রইল, এরকম বর মনের মানুষ আজকাল দেখা যায় না। সমাজের আজকাল বৈষম্য অনেক বড় আকার ধারন করেছে।
চমৎকার এবং ঝরঝরে একটা গল্প পড়ে ভাল লাগল।
শুভেচ্ছা নিবেন ভাই।

০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সমাজের আজকাল বৈষম্য অনেক বড় আকার ধারন করেছে।


একমত। ধন্যবাদ ভাই কাছের মানুষ। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১১| ০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখা পড়ে। মন ছুঁয়ে গিয়েছে। :)

০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আলভী রহমান শোভন।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১২| ০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

লাইনে লাইনে পড়লাম। অবশেষে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে, গল্পটি পড়া।

আবুহেনা ভাই... শুভেচ্ছা জানবেন... দোয়া কাম্য।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ মইনুল ভাই, এটা নিশ্চয় আপনার পূর্ব পঠিত। ব্লগে নতুন লেখা খুব কম দিচ্ছি। মাঝে মধ্যে একটা দুটা নতুন লেখা দেই। আর বেশির ভাগ লেখাই পূর্বে প্রকাশিত।

আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৩| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

আখেনাটেন বলেছেন: ভাল লাগল জেনে....

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আখেনাটেন।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৪| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো, সব শিশুই বড় মনের অধিকারী হয়।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো, সব শিশুই বড় মনের অধিকারী হয়।


সঠিক উপলব্ধি। ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৫| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার শৈশবের গল্প !!

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন মনিরা সুলতানা।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৬| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন । গল্পচ্ছলে অর্ধ শতাব্দি আগের আমাদের সমাজের মানুষের সমাজিকতা বোধের কিছু বৈচিত্রময় চিত্র ফুটে উঠেছে লেখাটিতে । একদিকে ছোটদের মাঝে যেমনি রয়েছে মানুষের জন্য প্রেম ভালবাসা:
ভিক্ষুকের ছেলের সাথে উকিলের ছেলের বন্ধুত্ব! আজকের দিনে এমনটা ভাবাই অসম্ভব। কিন্তু তখনকার দিনে অস্বাভাবিক হলেও অসম্ভব ছিল না। এমন সম্পর্ক তখন কোন গুরুত্বও বহন করতো না।
ঠিকই বলেছেন কথাটা এমন সম্পর্ক তখন কোন গুরুত্বও বহন করতো না যা লেখাটির শেষের দিকে এসে দেখা যায় কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে সে সম্পর্ক তখন তেমন কোন গুরুত্বও বহন করেনা , সামাজিক মুল্যবোধ অনেকের লোপ পেয়ে যায় যেমনটি দেখা যায় :
বাড়ির সামনে আমাদের নারকেল বাগানে মাটির ওপর জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে জয়নাল ও ওর অন্ধ বাবা। হারিকেন উঁচিয়ে সবাই দেখছে ওদের। কেউ কেউ কঠিন গলায় ওদের ধমকাচ্ছে। ছোট মামা বাপ বেটা দু’জনকে থানায় দেওয়ার জন্য আব্বার সাথে পীড়াপীড়ি করছেন। প্রতিবেশীদের কেউ কেউ অতি উৎসাহে ওদের কান মুচড়ে দিচ্ছে।

আবার সচেতন অংশের কিছু বিত্তবানদের রয়েছে মানুয়ের প্রতি গভীর মমত্ববোধ যেমনটি দেখা যায়:
আব্বা হাত ইশারায় সবাইকে থামতে বললেন। তারপর পকেট থেকে দুটো এক টাকার নোট বের করে জয়নালের বাবার হাতে ধরিয়ে দিয়ে শান্ত গলায় বললেন, ‘তোমরা যাও।’

সবচেয়ে বড় কথা হলো বিত্তবান সচ্ছল ও বিত্তহীন ভিক্ষুক সমাজের উভয় অংশের মায়েদের পক্ষ হতে মানুষের প্রতি ভালবাসা ও দরদের কোন কমতি নাই , যেমনটি দেখতে পাওয়া যায় :
আমার মা নগদ দু’চার আনা পয়সার সাথে দু’মুষ্টি চাল দিয়ে দিতেন। এছাড়া ওদের খেতেও দিতেন তিনি। কখনো রুটি, কখনো বাসি ভাত-তরকারি। ওরা বাপ-বেটা খুব তৃপ্তি করে খেত। ভিক্ষুকের মাও কম যান না , তিনি
বারোমিশালি মোটা চালের সাথে খুদ কুঁড়ো মেশানো গরম ভাত, ডাল আর সজনের পাতা ভাজি দিয়ে করছেন মেহমানদারি


অসাধারণ লিখেছেন , সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে লেখাটি বেশ সহায়ক ।

ধন্যবাদ , শুভেচ্ছা রইল ।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা হলো বিত্তবান সচ্ছল ও বিত্তহীন ভিক্ষুক সমাজের উভয় অংশের মায়েদের পক্ষ হতে মানুষের প্রতি ভালবাসা ও দরদের কোন কমতি নাই ,

একেবারে খাঁটি কথা বলেছেন আলী ভাই। তখনকার সামাজিক অবস্থায় এই দরদ ও ভালোবাসা নিখাদ ও অকৃত্রিম ছিল, যা বর্তমানে কিছুটা ফিকে হয়ে গেছে বলে মনে হয়। আমি চেষ্টা করি সেই নিখাদ ও অকৃত্রিম মূল্যবোধের কথা লিখতে।

ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৭| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০০

eajulhas বলেছেন: “মাটির বারান্দায় বসে ভাত খাওয়া। বারোমিশালি মোটা চালের সাথে খুদ কুঁড়ো মেশানো গরম ভাত, ডাল আর সজনের পাতা ভাজি। ভিক্ষুকের পক্ষে মেহমানদারি করার জন্য এই খাবারটুকু জোগান দেয়াই ছিল কষ্টকর। ঐ বয়সে না বুঝলেও আজ সেটা বুঝি। আর মনে পড়ে, ওই খাবারই আমি খুব তৃপ্তি করে খেয়েছিলাম। ক্ষুধার জ্বালায় শুধু এক মুঠো ভাতও বেহেশতী মেওয়ার মতো লাগে”

অসাধারণ। খুব ভাল লাগলো ভাই।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ eajulhas।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৮| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৪

সুমন কর বলেছেন: মনে হয়, আগে পড়েছিলাম। সুন্দর গল্প। +।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুনরায় পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৯| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মর্মস্পর্শী। অসাধারণ লেখা। শুভেচ্ছা আশরাফুল ভাই।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২০| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

চোরের পুরো দশদিন হয়ে গেছে। গেরস্থের একদিনও নেই। অতএব পুরান এবং মুদ্রিত লেখাই দেবেন...

কামাল ভাই কই গেলেন...?

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ব্লগে কপি পেস্ট করার সুবিধা বন্ধ না হলে লেখা চুরি রোধ করা যাবে না মইনুল ভাই। এ কারণে একেবারে আনকোরা লেখা দিতে ভয় লাগে।

কামাল ভাই ভ্রমন পাগল মানুষ। গেছেন হয়তো কোথাও লম্বা সফরে। আমিও তাকে কয়েকদিন হলো দেখছি না।


২১| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ভাগ্যিস সামুতে আমার একটা একাউন্ট ছিল। না হলে এত অপূর্ব একটা লেখা পড়ে লেখককে কিভাবে ভাল লেগেছে বলে কৃতজ্ঞতা জানাতাম। সবই সামু পাগলা০০৭ জন্য সম্ভব হয়েছে। ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭ আর শ্রদ্ধেয় হেনা ভাইকে।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তাহলে আসল কৃতিত্ব সামু পাগলার, তাই না? হাঃ হাঃ হাঃ।


ধন্যবাদ ভাই শুভ ঢাকা। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২২| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪০

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: প্রিয় লেখক হেনা ভাইয়ের লেখাগুলো পড়ে বাস্তবতার একটা করুন
চিএ চোখে পড়ে, নিজেকে বড় অসহায় মনে হয় মনটা খারাপ হয়।
লেখা পড়ে পড়ে মন এখন অনেকটা শক্ত হয়ে গেছে, তাই সে ব্যাপারে কিছু বলার নাই।

খেলা শেষে কাছাকাছি একটা ডোবায় নেমে সবার সাথে ন্যাংটো হয়ে গোসল করা। বাঁধ ভাঙ্গা শৈশব। সেই উদ্দাম শৈশবের কথা মনে হলে আজও আমার দেহে শিহরণ জাগে।
বয়সউদ্ধ একজন লেখক হয়ে ও পাঠক প্রিয়তার জন্য ছোটবেলার আনন্দপ্রিয় মূহুত্যের কথা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় লেখক হেনা ভাইয়ের লেখাগুলো পড়ে বাস্তবতার একটা করুন
চিএ চোখে পড়ে, নিজেকে বড় অসহায় মনে হয় মনটা খারাপ হয়।
লেখা পড়ে পড়ে মন এখন অনেকটা শক্ত হয়ে গেছে, তাই সে ব্যাপারে কিছু বলার নাই


শেষের বাক্যটিই আসল কথা। বাস্তব জীবন সব সময়ই খুব কঠিন। বিশেষ করে আমাদের মতো বৈষম্যমূলক সমাজে প্রান্তিক শ্রেনির মানুষকে চিরকাল লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়। তাই গল্পে উপন্যাসে আমরা যখন এরকম নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি হই, তখন মনকে শক্ত না করে উপায় কী?

ধন্যবাদ ভাই কলিমুদ্দি দফাদার। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৯

শাহিন-৯৯ বলেছেন: খুব ভাল লাগল, আমি খুলনা শহরে থাকার সময় এক হিন্দু ছেলের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল, তখন আমার বয়স সাত বছর। পরে আমার পরিবার গ্রামে চলে যায়, আজও তাকে খুব মিস করি।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পরে আমার পরিবার গ্রামে চলে যায়, আজও তাকে খুব মিস করি।


জয়নালের ব্যাপারে একই অনুভূতি এত বছর পরেও আমাকে নস্টালজিয়ায় ভোগায়। ধন্যবাদ ভাই শাহীন-৯৯। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৪| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫০

করুণাধারা বলেছেন: ছবিটা যোগ করার পর গল্পটা আরো ভাল লাগল।++++

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, ছবিটা পরে এডিট করে যোগ করেছি। পরে কেন যেন মনে হলো এরকম একটা ছবি যোগ করলে ভালো হয়।


ধন্যবাদ করুণাধারা। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৫| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: মনে হয় এরকম জীবনে সবারই দুই একবার হারিয়ে যাওয়া বা বন্ধুর বাড়িতে যাওয়া উচিত । জীবনের উপলব্ধিটা বাড়ে ।

স্কুলে পড়ার সময় আমারো এরকম ২/১ জন বন্ধু ছিল । ওদের বাড়ি স্কুলের কাছেই ছিল । যেতাম প্রায়ই। ক্রিকেট খেলে ক্লান্ত হয়ে গেলে ওদের বাড়িয়ে গিয়ে জল খেয়ে, বাতাস খেয়ে আসতাম ।

দুঃখের কথা, ওদের কারো সাথেই কেন যেন আর যোগাযোগ রাখা হয়ে ওঠে নি। সম্ভবত আর যোগাযোগ থাকে না কারো সাথেই ।


প্লাস এবং প্রিয়তে ।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মনে হয় এরকম জীবনে সবারই দুই একবার হারিয়ে যাওয়া বা বন্ধুর বাড়িতে যাওয়া উচিত । জীবনের উপলব্ধিটা বাড়ে


অসাধারণ একটা কথা বলেছেন। নিজের গণ্ডির বাইরে না গেলে মানুষ আসলে জীবনের সঠিক উপলব্ধির বাইরে থাকে।

ধন্যবাদ ভাই জাহিদ অনিক। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২৬| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:০৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পড়তে পড়তে আজ হঠাৎ করেই একটু পিছন ফিরে গেলাম।। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিসাবে বন্ধুরাও ছিল সেই শ্রেনীরই।। কেউবা একটু উঁচু/নীচু।। আজই এমন এক বন্ধুর সাথে কথা হল (প্রায় ২৫ বছর পর) ।। স্মৃতিচারন হলো অনেক।। দিন কতত বদলে গেছে!! সেই উদ্যাম, উত্তাল দিনগুলি!! জীবনকে পরোয়া না করা দিনগুলিতে একত্রে থাকলেও আজ সুস্থির এই জীবনে আছি, ভিন্ন দেশে-বিদেশে!!

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি ভাগ্যবান মানুষ। ২৫ বছর পরে হলেও একজন বন্ধুর সাথে কথা বলতে পেরেছেন। আপনার বন্ধুসুলভ অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রইল।

ধন্যবাদ ভাই সচেতনহ্যাপী। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৭| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:৩২

উম্মে সায়মা বলেছেন: অনেক ভালো লাগল আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে আবুহেনা ভাই। বন্ধু বন্ধুই। তাতে ছোট বড় ভেদাভেদ থাকেনা। আর ছোটবেলার বন্ধুত্বটাই মনে হয় সত্যিকারের। কোন চাওয়া পাওয়া, স্বার্থ থাকেনা। বড় হতে হতে এমন সব বন্ধুত্ব কেমন করে যেন হারিয়ে যায়।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বন্ধু বন্ধুই। তাতে ছোট বড় ভেদাভেদ থাকেনা। আর ছোটবেলার বন্ধুত্বটাই মনে হয় সত্যিকারের। কোন চাওয়া পাওয়া, স্বার্থ থাকেনা। বড় হতে হতে এমন সব বন্ধুত্ব কেমন করে যেন হারিয়ে যায়।

একদম ঠিক। ঐ বয়সের বন্ধুত্বটা সম্পূর্ণ নির্ভেজাল। ধন্যবাদ বোন উম্মে সায়মা। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৮| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চোখে জল আসা গল্প, আপনার শুভ কামনা সত্বেও জয়নালরা আর কতটুকু ভালোইবা থাকবে?

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আগে কন, এই কয়দিন কই আছিলেন? আপনারে সবাই বিচরায়। এই পোস্টের মন্তব্যেও দেখেন দুইজন আপনার খোঁজ করছে।

২৯| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:১৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তবে আর যাই হোক আপনি বুদ্ধি কইরা জয়নালদের ছবি তুলে রেখেছেন দেখে ভালো লাগছে :-B

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার একটা 'নেট-২০১৭' মডেলের ক্যামেরা আছে। সেটা দিয়ে এই ছবি তুলেছি। হাঃ হাঃ। খালি পেটে হাসি ঠিকমতো জমে না।

৩০| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩১

শুভ_ঢাকা বলেছেন: দু’হাতে আব্বার গলা জড়িয়ে ধরে জয়নালের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বললাম, ‘আবার তোদের বাড়ি যাবো।’

অসাধারণ অভিব্যক্তি।

১৯৭১ পর কি দেশ বানানোর কথা ছিল আর কি দেশ বানাইলাম। জয়নালরা এখনও রেল লাইনের পাশে ঝুপড়িতে থাকে ছিঃ।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, প্রান্তিক শ্রেনির মানুষের কোন পরিবর্তন আমারও চোখে পড়ে না। স্বাধীনতার পরের জয়নালরা স্বাধীনতার আগের জয়নালদের মতো এখনো রেল লাইনের পাশে ঝুপড়িতেই থাকে। তাদের জীবনের কোনই পরিবর্তন হয়নি।

২য় দফায় আমার পোস্টে আসার জন্য ধন্যবাদ শুভ ঢাকা।

৩১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫

আরাফআহনাফ বলেছেন: যেখানেই থাকো, ভালো থেকো বন্ধু। বন্ধুর জন্য আপনার শুভ কামনা যেন সত্যি হয়।
অনেক হৃদয়গ্রাহী লেখা আমাদেরকে উপহার দিলেন হেনা ভাই, দারুন লাগলো। +++++

ছোটবেলায় কেন যেন ঠিক এভাবেই দূরে কোথাও হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করতো - সাহস পেতাম না বলে হারিয়ে যেতে পারতাম না।

ভালো থাকুন অজস্র।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরে আরাফআহনাফ যে! তোমার অটোমেশন কাজের সাফল্যে আমি নিজেই গর্ব অনুভব করছি। দেশটাকে তোমাদের মতো তরুণরাই বদলে দিতে পারবে। হ্যাট'স অফ টুঁ নিউ জেনারেশন।

আমি ছোটবেলা থেকেই বন্ধুপ্রেমিক মানুষ। জয়নালের মতো হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর সংখ্যাও নেহাত কম নয়।

লেখাটি পড়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। ভালো থেকো। শুভকামনা রইল।

৩২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কেন? আপনার এই পোষ্টের একদিন আগেই তো আমি ব্লগে ভালোবাসার তালা ঝুলিয়ে দিলাম এখনো দেখেন্নি ক্যান???

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হায় হায় আমি দেখিনি? আমি কী কানা নাকি? এখুনি দেখছি।

৩৩| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
খালি পেটে না জমলে পেটে তো কিছু দিতেই হয় :D

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরে ভাই, রমজান মাস চলতেছে। পারলে কিছু ইফতারি পাঠান। সওয়াব হইব।

৩৪| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১০

ওমেরা বলেছেন: দাদু ভাইয়া আপনার সাথে আমার অনেক মিল আছে তো ! আমি যখন ছোট আমাদের বাসায় একটা বৃদ্ধ মহিলা ভিক্ষুক আসত আমার আম্মু ঐ ভিক্ষকতে খেতে দিত আমি ও পাশে বসে দেখতাম তো মহিলা আমাকে দুই এক লুকমা দিত আমি খুব মজা করে খেতাম আর বাসার সবাই আমাকে খুব বকা দিত কারন এমনিতে আমি খাওয়া নিয়ে খুব ঝামেলা করতাম ।

খুব ভাল লাগল দাদু ভাইয়া আপনার ছোট বেলার স্মৃতিচারন ।

অনেক ধন্যবাদ দাদুভাইয়া ।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। তুমি ভিক্ষুকের দেওয়া লোকমা খেয়ে আমাকেও ছাড়িয়ে গেছ। জয়নালের অন্ধ বাবা কোনদিন আমাকে এরকম খেতে দেয়নি। দিলে হয়তো আমিও খেয়ে ফেলতাম। শিশু বয়সে সবাই এরকম সরল হয়। বড় হবার পরেই যত প্যাঁচ ঘোঁচ এসে ভর করে মানুষের মনে।

ধন্যবাদ ওমেরা বুবু। ভালো থেকো। শুভকামনা রইল।

৩৫| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৩

অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: শৈশব স্মৃতি দিনের প্রথম রোদের মতোই উজ্জ্বল থাকে সব সময় । ভালো লাগলো আপনার ফেলে আসা দিনের বন্ধুত্ব ও তার প্রতি ভালোবাসার কথা ।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শৈশব স্মৃতি দিনের প্রথম রোদের মতোই উজ্জ্বল থাকে সব সময় ।


সত্য বলেছেন। ধন্যবাদ ভাই অসিত কর্মকার সুজন। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩৬| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: খেলা শেষে কাছাকাছি একটা ডোবায় নেমে সবার সাথে ন্যাংটো হয়ে গোসল করা।...........।আমার লইজ্জা লাগতাছে =p~

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এতে লজ্জার কী আছে? আপনিও ঐ বয়সে ন্যাংটো হয়ে গোসল করেছেন। কেউ ছবি তুলে রাখে নাই, তাই।

৩৭| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: রহিম নামে এমনই একটা ছেলে আমার বন্ধু ছিল। বাড়ি থেকে বেশি দুরে না বলে ওর সাথে স্কুল ছুটির পরপরই বেরিয়ে পড়তাম। সে-ই ক্লাস থ্রি-ফোরের কথা। কিন্তু সেও হারিয়ে গিয়েছিল এমন এক ঘটনার পর থেকে!! :(

যাহোক-
অভুক্ত মানুষ একমুঠো খেয়ে যখন তৃপ্তির ঢেকুর তোলে, তখন তার ঢেকুরের আওয়াজ আমার কাছে পৃথিবীর সবচে’ শ্রুতিমধুর আওয়াজ বলে মনে হয়।

আপনার এই মানসিকতার প্রতি আমার অন্তর থেকে ভালবাসা রইল!! :)

০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলে এই ধরণের ঘটনা গুলো সাধারণত ওই বয়সের দিকেই ঘটে। শিশু মনের সরলতা ও অজ্ঞানতার কারণে হারিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার।

ধন্যবাদ ভাই গেম চেঞ্জার। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৮| ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

প্রথমকথা বলেছেন: আশাকরি জয়নালের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, আগামি কোন পোষ্টে জয়নালের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে এই খবর যেন পাই, ভাল লাগল।

০৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না ভাই, এত বছর আগে যে বন্ধুকে আমি হারিয়ে ফেলেছি, তাকে আর ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। জয়নাল বেঁচে আছে কী না সেটাই তো জানি না।

আপনাকে ধন্যবাদ প্রথমকথা। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৩৯| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আশাকরি, জয়নাল ভালো আছে; হয়তো সেও জীবনের সেইসব স্মৃতিচারণ করে, নিজের শৈশবকে অনুভব করে!

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হয়তো। বা হয়তো নয়। আপনি তার ভালো থাকা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৪০| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: সেই বন্ধুর বাড়ি আমার আর যাওয়া হয়নি। আর কখনো দেখা হয়নি জয়নালের সাথে। নির্মম নিষ্ঠুর বাস্তবতা ছিন্ন করে দিয়েছে আমাদের সম্পর্ক। জানিনা, সে বেঁচে আছে কী না। যেখানেই থাকো, ভালো থেকো বন্ধু।


এই অসাধারণ কাহিনী আর বর্ণনায় মুগ্ধ হলাম যেমনই তেমনি মনটাও খারাপ হলো ভীষন।

প্রিয়তে রেখে দিচ্ছি এ অসাধারন লেখাটা।

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ স্পর্শিয়া।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪১| ০৯ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১

পার্থিব লালসা বলেছেন: সেই বন্ধুর বাড়ি আমার আর যাওয়া হয়নি। আর কখনো দেখা হয়নি জয়নালের সাথে। নির্মম নিষ্ঠুর বাস্তবতা ছিন্ন করে দিয়েছে আমাদের সম্পর্ক। জানিনা, সে বেঁচে আছে কী না। যেখানেই থাকো, ভালো থেকো বন্ধু।


ভালবাসার নিরমল অভিব্যক্তি
ামার ভালোলাগা জানবেন
+++

০৯ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ পার্থিব লালসা। আমার ব্লগের অন্য লেখাগুলিও পড়ার আমন্ত্রণ রইল।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪২| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আগেকার দিনগুলি সিনেমার মত ছিলো।

১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, আসলেই তাই ছিল। এখন গণ্ডিবদ্ধ জীবনে বৈচিত্র্যের বড়ই অভাব।


ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইল।

৪৩| ১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে ভালো লাগলো।সত্যিই ক্ষুদার্ত মানুষকে তৃপ্তি নিয়ে খেতে দেখা পৃথিবীর আনন্দময় দৃশ্যগুলোর ভিতর একটি।

১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তাহলে আমি ঠিকই বলেছি তাই না? আসলেই একজন ক্ষুধার্ত মানুষের খাওয়ার দৃশ্য আমাকে খুব আনন্দ দেয়। আপনার সমমনা অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

আপনাকে ধন্যবাদ ভাই কল্পদ্রুম। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪৪| ১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২২

জুন বলেছেন: সে সময়কার মানুষের মনগুলো অনেক সহজ সরল ছিল । বাচ্চারা তো বটেই বয়স্করাও সামাজিক মর্যাদা নিয়ে এখনকার মত এত মাথা ঘামাতো না । এখন স্বচ্ছল পরিবারের বাচ্চারা পেট থেকে পরেই শিখে যায় তারা কাদের সন্তান ।
অনেক ভালো লাগলো আপনার হারিয়ে যাবার স্মৃতি হেনাভাই ।
অনেক ভালোলাগা জানবেন ,
+

১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাচ্চারা তো বটেই বয়স্করাও সামাজিক মর্যাদা নিয়ে এখনকার মত এত মাথা ঘামাতো না । এখন স্বচ্ছল পরিবারের বাচ্চারা পেট থেকে পরেই শিখে যায় তারা কাদের সন্তান ।

আপনি ঠিকই বলেছেন। আমি দু'তিনটি জেনারেশন তো দেখলাম। আগের মানুষ সত্যিই এসব সোশ্যাল স্ট্যাটাস নিয়ে এতটা মাথা ঘামাতো না। টুক টাক উন্নাসিকতা কারো কারো থাকলেও তা' উল্লেখ করার মতো নয়।

ধন্যবাদ বোন জুন। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৪৫| ১৩ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

প্রামানিক বলেছেন: আপনার হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি পড়ে আমার ছোট কালের অনেক কথাই মনে পড়ে গেল। সেই সাথে কামাল ভাইকে দেয়া কলার পাতায় ভাত আর আটার পিঠালী যে এখনও শিকায় তুলে রেখেছে সেটা দেখে আরো ভালো লাগল।
img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/pramanik99/pramanik99-1497335995-5ef45d2_xlarge.jpg]

১৩ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছবি আসে নাই প্রামানিক ভাই।

আপনার ছোটবেলার ঘটনাগুলো নিয়ে ব্লগে লিখুন না। ভালো লাগবে। আপনি ছড়াকার হলেও আপনার গদ্যের হাত ভালো।

৪৬| ১৩ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৬

বিজন রয় বলেছেন: আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম!!
+++

১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মানুষের মনে যদি পাপ ও পঙ্কিলতা না থাকতো, মানুষ যদি মানুষকে ভালবাসতে পারতো, তাহলে আজও আমরা সুন্দর দিন কাটাতে পারতাম।

ধন্যবাদ ভাই বিজন রয়। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৪৭| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: ছবিটা দুইবার চেষ্টা করার পরও ডিসপ্লে হলো না। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.