নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিচারণঃ বেঁচে আছি আজও

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৪



(সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা ভিত্তিক এই স্মৃতিচারণামূলক লেখাটি ১৯৭১ সালের সেই ভয়াবহ দিন গুলোর কথা স্মরণ করার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস। নতুন প্রজন্ম জানুক, কেমন ছিল সেই দিনগুলি। ১৯৭১ সালে আমি ছিলাম ১৬ বছরের কিশোর। পরম করুণাময় আল্লাহর ইচ্ছায় ঐ দিনের পর থেকে আজ পর্যন্ত আরও ৪৭ বছর আমি বেঁচে আছি। কিন্তু সেই ভয়াবহ ঘটনায় আমার বেঁচে থাকার কথা ছিল না। )

১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ। রাজশাহী শহরে কারফিউ চলছে। বিকেল ৪ টা থেকে সন্ধ্যে ৭ টা পর্যন্ত মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যার যা কাজ কাম বা কেনাকাটা সেরে নিয়ে আবার নিজ নিজ বাড়ি ঘরে দরজা জানালা আটকে বন্দী হয়ে যেতে হবে। সন্ধ্যে ৭ টার পর রাস্তায় বা ঘরের বাইরে কাউকে দেখা গেলে পাকিস্তানী সৈন্যরা তাকে গুলি করে মেরে ফেলবে। আগের তিন দিন শহরের অনেক লোককে তারা মেরে ফেলেছে। অনেক বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানী সৈন্যদের নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের সাথে সাথে অবাঙালীরা পাড়ায় পাড়ায় দলবদ্ধভাবে ছুরি, চাকু ও রামদা’ হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ শ্লোগান দিয়ে তারাও হত্যা ও লুটতরাজ শুরু করেছে। শহরে চরম আতংক। তখনো ঢালাওভাবে গ্রামে গঞ্জে বা ভারতে পালিয়ে যাওয়া শুরু হয়নি। তবে পালিয়ে যাওয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছে সবাই।

আমরা ছিলাম পাঁচ ভাই এক বোন। বড়ভাই বি এ পাশ করে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছেন। আমি তখন রাজশাহী সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। অন্যান্য ভাই বোনরা ক্রমানুসারে বিভিন্ন ক্লাসে পড়ে। কারফিউ শিথিল হলে আব্বা বড়ভাইকে সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটার জন্য বাজারে গেলেন। ঘর থেকে না বেরনোর জন্য আমাদের ওপর ছিল কড়া নির্দেশ।
কেনাকাটা সেরে আব্বা এবং বড়ভাই সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ফিরে এলেন। কারফিউ শুরু হতে তখনো দেড় ঘণ্টা বাঁকি। বড়ভাই বাজারের ব্যাগ নামিয়ে রেখে বললেন, ‘আমি একটু আসছি।’
আব্বা এবং মা সমস্বরে ‘যাস না বাবা, যাস না’ বলতে বলতেই বড়ভাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাওয়া। বড়ভাইয়ের সিগারেট খাওয়ার নেশা ছিল। বাড়িতে সেটা হচ্ছিলো না বলে সম্ভবতঃ ঐ কাজে তার বেরিয়ে যাওয়া।
কিন্তু সাড়ে ছয়টা বেজে যাওয়ার পরেও বড়ভাই ফিরে না আসায় মা কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন। আব্বার কপালে চিন্তার ভাঁজ। আমরা ভাই বোনরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লাম। মায়ের দেখাদেখি ছোট দুটি ভাইও কাঁদতে শুরু করে দিল। এ অবস্থায় সাতটা বাজার দশ মিনিট আগে আমি আর থাকতে পারলাম না। সকলের নিষেধ সত্ত্বেও বড়ভাইকে খুঁজতে আমি বেরিয়ে পড়লাম।

বাড়ির আশেপাশে তাকে খুঁজে না পেয়ে আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। হঠাৎ মনে হলো আমাদের মহল্লার শেষ প্রান্তে বড়ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মতি ভাইয়ের বাসায় একবার খুঁজে দেখা যেতে পারে। সে বাড়ির ছাদে বসে বড়ভাইয়ের বন্ধুরা সবাই আড্ডা দেয়। তাস, দাবা খেলে। আড্ডা দেওয়া অনেকটা নেশার মতো। একবার বসলে সময় জ্ঞান থাকে না। কিন্তু আমার একবারও মনে হলো না যে এই পরিস্থিতিতে সেখানে তাদের আড্ডা বসার কথা নয়। আমি মতি ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
আমাদের বাড়ি থেকে কয়েক পা হেঁটে গেলে প্রধান সড়ক। ঐ সড়ক দিয়ে গেলে মতি ভাইয়ের বাড়ি খুব কাছে। কিন্তু সাতটা বেজে গেছে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর টহল যান গুলো ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমে পড়েছে। সশস্ত্র সৈন্য বোঝাই গাড়ি গুলো রক্ত হিম করা আওয়াজ তুলে ছড়িয়ে পড়ছে সারা শহরে। এ অবস্থায় রাস্তা দিয়ে যাওয়া চরম বিপজ্জনক। মহল্লার অলি গলি দিয়েও মতি ভাইয়ের বাসায় যাওয়া যায়। কিছুটা ঘোরা পথ হলেও আমি গলি পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু সে পথে যেতে হলেও প্রধান সড়কের আড়াআড়ি ত্রিশ ফুটের মতো রাস্তা পাড়ি দিতে হয়। আমি সতর্ক চোখে দুই দিক দেখে নিয়ে তীরের মতো রাস্তা পাড়ি দিয়ে গলিপথে ঢুকে পড়লাম। তারপর নির্জন চিপা অলি গলি দিয়ে হন হন করে হেঁটে রওনা হলাম মতি ভাইয়ের বাড়ির দিকে। গলির দু’পাশে বাড়িঘরের দরজা জানালা সব বন্ধ। কোথাও কেউ নেই। গলিপথের স্ট্রীট লাইট গুলো জ্বলে উঠেছে। এক বাড়ির নিচ তলার জানালা সামান্য ফাঁক করে কে যেন চাপা স্বরে সতর্ক করলো আমাকে, ‘এই হেনা, কারফিউয়ের মধ্যে তুমি কোথায় যাচ্ছ? বাড়ি যাও, বাড়ি যাও।’
আমার মাথায় তখন জেদ চেপেছে। মতি ভাইয়ের বাসায় যেতেই হবে। সেখানে আমার বড়ভাই আছেন। থাকলেও যে তিনি মতি ভাইয়ের পরিবারের সাথে নিরাপদে আছেন, সে কথা একবারও আমার মনে আসছে না। রক্তের টান বোধহয় একেই বলে।

কিন্তু মতি ভাইয়ের বাসায় পৌঁছে আমি হতাশ হলাম। দশ বারো বার দরজার শিকল ঝাঁকিয়েও বাসার ভেতর থেকে কারো সাড়া শব্দ পেলাম না। ‘বড়ভাই, আমি হেনা’ বলে কয়েকবার চিৎকার করার পরেও কেউ সাড়া দিল না। মনে হলো বাসায় কেউ নেই। প্রধান সড়কে আর্মির গাড়ি চলাচলের ভীতিকর আওয়াজ বেড়ে গেছে। এই প্রথম নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আমি শংকিত হলাম। আর দেরি না করে বাড়ি ফিরতে হবে। একই গলিপথে বাড়ির উদ্দেশ্যে আমি দ্রুত হাঁটা দিলাম।
গলির শেষ মাথায় এসে আমার মনে হলো, প্রধান সড়কের ত্রিশ ফুট রাস্তা পার হবার আগে একবার রাস্তাটা দেখে নেয়া দরকার। গলি থেকে মাথা বের করে রাস্তার বাম দিকে কিছু দেখতে পেলাম না। কিন্তু ডান দিকে তাকাতেই মাত্র দশ পনের ফুট দূরে দেখলাম পাকিস্তানী সৈন্যদের একটা কনভয় যমদূতের মতো দাঁড়িয়ে আছে। কয়েকজন সৈন্য হাঁটাহাঁটি করছে, অন্যেরা গাড়িতে বসে আছে। আমি গলি থেকে মাথা বের করার সাথে সাথে ওরা স্ট্রীট লাইটের আলোয় আমাকে দেখে ফেলেছে।
‘ওয়ে শুয়ার কা বাচ্চা, রোক্ কে, রোক্ কে!’
কয়েকজন সৈন্য আমাকে ধরার জন্য ছুটে এলো। আমি এক মুহূর্ত দেরি না করে উল্টো পথে আবার গলির ভেতর দৌড় দিলাম। ওরাও গলির ভেতর ঢুকে পড়েছে এবং আমাকে ধরার জন্য দৌড়ে আসছে। দৌড়াতে দৌড়াতে রাইফেলের নিশানা তাক করছে আমার দিকে। আমি প্রাণপণে ছুটে চলেছি। ওদের সাথে আমার দূরত্ব ক্রমেই কমে আসছে।

এভাবে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে ছুটতে আমার কেন জানি মনে হলো, ওদের সাথে দৌড়ে আমি পারবো না। ওরা প্রশিক্ষিত সৈন্য। আমার চেয়ে ওদের গতি বেশি। তাছাড়া ওরা যে কোন সময় গুলি ছুঁড়তে পারে। দূরত্ব আরও কমে গেলে ওদের গুলির নিশানা ব্যর্থ হবে না। আমাকে বাঁচতে হলে অন্য কিছু করতে হবে।
গলির বাম দিকে ‘শাহী জামে মসজিদ’ নামে একটা মাঝারী আয়তনের দোতলা মসজিদ ছিল। আতংকে দিক বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে আমি চট্ করে ঢুকে পড়লাম সেই মসজিদের ভেতর। মাগরিবের নামাজ শেষে মুসল্লিরা চলে গেলে ইমাম সাহেব মসজিদের ভেতর একা একা বসে প্রতিদিন কিছু সময় কোরআন তেলাওয়াত করেন। মহল্লার প্রায় সবাই এই মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়ে। সেই সূত্রে ইমাম সাহেব আমাকে চিনতেন। তিনি প্রায়ই আমাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার জন্য খুব বিনয়ের সাথে অনুরোধ করতেন। চট্টগ্রামের মানুষ। সাথে পরিবার পরিজন না থাকায় তিনি মসজিদ সংলগ্ন হুজরাখানায় একাই থাকতেন এবং নিজে রান্না করে খেতেন। ষাটোর্ধ ছোটখাটো নির্বিরোধী মানুষ। কখনো উচ্চস্বরে তাকে কথা বলতে শুনিনি।

আমি যখন মসজিদে ঢুকে পড়ি, তখন ইমাম সাহেব কোরআন তেলাওয়াত শেষে হুজরাখানায় যাওয়ার জন্য মসজিদের বারান্দায় এসে আমার সামনে পড়ে গেলেন। আমি কোন কথা না বলে ছোঁ মেরে তাঁর মাথা থেকে টুপি খুলে নিয়ে নিজের মাথায় পরে নিলাম। তারপর শার্টের গুটানো হাতা খুলে ফেলে (তখনকার দিনে ফুলহাতা শার্টের হাতা গুটিয়ে পরা একটা ফ্যাশনের মতো ছিল) এক দৌড়ে মসজিদের ভেতর মুসল্লিদের নামাজ পড়ার জায়গায় চলে গেলাম। একেবারে মিম্বারের সামনে দাঁড়িয়ে আমি নিঃশব্দে নামাজ পড়ার অভিনয় শুরু করে দিলাম। এত বছর পরেও আমি জানিনা যে তখন ওসব বুদ্ধি কিভাবে আমার মাথায় এসেছিল?
ইমাম সাহেব ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব। ঠিক এই সময় বুটের খটাখট আওয়াজ আমার কানে এলো। আর্মিরা ঢুকে পড়েছে মসজিদে। তাদের আর একটা দল গলিপথে চলে গেছে সামনে। আমার বুকের ভেতর ধক ধক করতে লাগলো। আমি ঘোরের মধ্যে চোখ বুজে নামাজ পড়ার মতো করে রুকু সেজদা করে যাচ্ছি। কিন্তু কোন সুরা কালমা আমার মনে পড়ছে না। আর্মিদের উচ্চস্বরে কথাবার্তা কানে এলো। ইমাম সাহেবকে ধমকাচ্ছে একজন সৈন্য। বলছে, ‘এ বুঢঢা, ইধার এক লাড়কা আয়া, তু দেখা?’
ইমাম সাহেব ঝটপট উত্তর দিলেন, ‘লাড়কা? জি নেহি। কোয়ি লাড়কা তো নেহি আয়া।’
‘এ বুঢঢা! ঝুটা মাত বোল্।’
‘ঝুটা নেহি সাব। আপলোগ তালাশ করকে দেখিয়ে।’
মনে হলো আমার হৃৎপিণ্ডটা বুকের ভেতর থেকে ছিঁড়ে বেরিয়ে যাবে। সৈন্যরা দাঁড়িয়ে আছে মসজিদের বারান্দায়। একজন মুসল্লি মসজিদের ভেতর নামাজ পড়ছে, সেটা ওরা পেছন থেকে পরিস্কার দেখতে পাচ্ছে। এখন যদি ওরা ইমাম সাহেবের কথায় তল্লাশি করে তো আমি নির্ঘাত ধরা পড়ে যাবো। কিন্তু আশ্চর্য! ওরা কেউ মসজিদের ভেতরে ঢুকে আমার কাছে এলো না। কয়েকজন সৈন্য খটাখট বুটের আওয়াজ তুলে মসজিদের সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠে গেল। তারা দোতলাসহ মসজিদের মিনার, ছাদ ও অন্যান্য স্থান তন্ন তন্ন করে খুঁজতে লাগলো। অন্যেরা নিচতলার হুজরাখানা, ওজুখানা ও কুয়ার চারপাশ টর্চ জ্বেলে দেখতে লাগলো। মসজিদের জানালা দিয়ে টর্চের আলো দু’একবার আমার গায়েও এসে পড়লো। কিন্তু তারপরেও ওরা কেউ আমার কাছে এলো না। প্রায় আধা ঘণ্টা খোঁজাখুঁজি করার পর মসজিদের বারান্দায় জড়ো হয়ে ওরা নিজেদের মধ্যে কি যেন বলাবলি করলো। তারপর একজন ধমকের সুরে ইমাম সাহেবকে বললো, ‘তু কৌন হ্যায়?’
‘জি, ম্যায় মসজিদ কা ইমাম হুঁ।’
আর একজন সৈন্য বললো, ‘এ বুঢঢা, উও লাড়কা ইধার কোয়ি আশপাশ হি হ্যায়। কম উমর, তেরে য্যায়সা লম্বি। শুয়ার কা বাচ্চা বহত তকলিফ দিয়া হামে। উও কাভি ইধার আয়ে তো হামলোগ কো খবর দে না। হামলোগ বড়ে রাস্তে পর হ্যায়। সামঝা?’
‘জি সাব, সামাঝ লিয়া। খবর কর দুঙ্গা।’
এরপর সৈন্যরা যে কখন চলে গেছে, আমি টের পাইনি। ঘোরের মধ্যে একটানা আমি রুকু সেজদা করে চলেছি। হঠাৎ কানের কাছে ইমাম সাহেবের কণ্ঠস্বর শুনে চমকে উঠলাম।
‘হয়েছে। থামো।’
আমি নামাজ পড়া বন্ধ করে তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি তিনি মৃদু মৃদু হাসছেন। পেছনে তাকিয়ে দেখি, সৈন্যরা কেউ নেই। ইমাম সাহেব বললেন, ‘কি হয়েছিল?’
আমি ঢোক গিলে চাপা স্বরে সব ঘটনা খুলে বললাম তাঁকে। শুনে তিনি গম্ভীর মুখে কিছু চিন্তা করলেন। তারপর বললেন, ‘তুমি উকিল সাহেবের ছেলে না? হাফেজিয়া মাদ্রাসার পেছনে তোমাদের বাড়ি?’ আমি বললাম, ‘জি।’
‘শোন।’ ইমাম সাহেব আমার পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন, ‘ওজুখানায় যাওয়ার দরকার নাই। মসজিদের যে কোন দেয়ালে হাত ঠেকিয়ে তায়াম্মুম করে নাও। তারপর দু’রাকাত নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করো। এশার নামাজের সময় হয়ে গেছে। আমি একটু পরে আজান দেব। হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা কারফিউর মধ্যেও নামাজ পড়তে আসে। আর্মিরা ওদের দেখলে কিছু বলেনা। নামাজ শেষে তুমি ওদের সাথে মিশে মাদ্রাসায় চলে যাবে। আমি ওদের বলে দেব। তারপর মাদ্রাসার পাঁচিল টপকে বাসায় চলে যেতে পারবেনা?’
‘জি, পারবো।’

এশার আজানের পর মাদ্রাসার ছাত্ররা নামাজ পড়তে এলো। ইমাম সাহেবের নির্দেশ অনুযায়ী আমি নামাজ শেষে ওদের সাথে মাদ্রাসায় চলে গেলাম। পাঁচিল আর টপকাতে হলো না। পাঁচিলের একটা ভাঙ্গা অংশ দিয়ে বের হয়ে ডোবার পাড় ধরে হেঁটে আমাদের বাড়ির পেছন দিকে লাকড়ি রাখার ঘরের বন্ধ দরজায় নক করলাম। কয়েকবার নক করার পর ভেতর থেকে আব্বার গলা শোনা গেল, ‘কে?’
বড়ভাইকে খুঁজতে বেরবার পনের বিশ মিনিট পর তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু আমার জন্য টেনশনে সবাই অস্থির। আমাকে ফিরে পেয়ে যেন বাড়িতে ঈদের আমেজ ফিরে এলো। মা এবং ভাই বোনরা সবাই আমাকে জড়িয়ে ধরে নিঃশব্দে কাঁদতে লাগলো। আব্বা আড়ালে চোখ মুছে মাকে বললেন, ‘ভাত দাও।’

‘শাহী জামে মসজিদের’ ইমাম সাহেব ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত একটানা চল্লিশ বছর ইমামতি করার পর চট্টগ্রামে তাঁর দেশের বাড়িতে ফিরে গিয়ে ইন্তেকাল করেন। আমার দুর্ভাগ্য যে, তাঁর নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে বা তাঁর কবরে এক মুঠো মাটি দিতে পারিনি। তবে সৌভাগ্য এই যে, আমার জীবনের সবচেয়ে সংকটময় দিনে তাঁর মতো একজন মানুষরূপী ফেরেশতাকে আল্লাহ আমার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আল্লাহ ইমাম সাহেবকে বেহেশতে নসিব করুন।
*******************************************************************************************************************
ছবিঃ নেট।
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৮৩ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৮৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৬

তোমার জন্য মিনতি বলেছেন: আগে প্রথম হইলাম পড়ে পড়মু, অনেক বড় গল্প দিছেন।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সময় করে পড়বেন।


ধন্যবাদ মিনতি। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতির কস্টের সময়ে, আপনিও ভয়ংকর অনস্হার মাঝ দিয়ে গিয়েছেন; সেটাই ছিল ১৯৭১ সাল, জাতির কস্টের সময়, বীরত্বের সময়।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধৈর্য সহকারে পুরোটা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

তোমার জন্য মিনতি বলেছেন: অনেক ভয়ে ভয়ে পড়লাম! আপনার নামাজ পড়ার তাড়া হুড়োতে আমিও যেন তাড়াহুড়ো শুরু করে দিলাম, কি যে ভয় আমি বুঝাতে পারবোনা। অনেক কষ্টের সময় ছিল। পাকিস্তানি কিত্তারা কত অত্যাচার করেছে তার নমুনা মাত্র। নাজানা আরো কত অত্যাচার সহ্য করেছে বাংলার মানুষ!

অনেক ভালো করেছেন শেয়ার করে আমাদের পড়ার সুযোগ দিয়ে। কিছুটা জানলাম মহান স্বাধীনতা পর্ব।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নাজানা আরো কত অত্যাচার সহ্য করেছে বাংলার মানুষ!


সেসব কাহিনী বলতে গেলে অনন্তকাল ধরে বলতে হয়। সত্যিই খুব ভয়ংকর সময় ছিল সেটা।


ধন্যবাদ তোমার জন্য মিনতি। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: কতটা কঠিন সময় পার করেছে মানুষ ওই সময় সেটা কিছুটা হলেও অনুভব করা যায় এই স্মৃতি চারনে

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খুব ছোট্ট এক টুকরো ঘটনা। ১৯৭১-কে ১০%শতাংশ জানতে পারলেও এই জেনারেশনের মানুষ হতবাক হয়ে যাবে।


ধন্যবাদ আমি চির-দুরন্ত। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

বালাম সিটিকে বলেছেন:
লোমহর্ষক এক সত্য কাহিনী----- রুদ্ধশ্বাসে পড়লাম
মনে হচ্ছে ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চের পর থেকে আজ পর্যন্ত সময় হচ্ছে আপনার বোনাস লাইফ-----
বেচে থাকুন দীর্ঘকাল
অনেক ধন্যবাদ

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, আপনি ঠিকই বলেছেন। এজন্যই লেখার শুরুতে বলেছি, আমার বেঁচে থাকার কথা ছিল না।


ধন্যবাদ ভাই বালাম সিটিকে। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ইতিহাস হিসেবে পড়লাম।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শাহাদাৎ হোসাইন।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এগুলোই ইতিহাস। বইয়ের কচকচানি ভালো লাগে না। আরো লিখুন প্লিজ।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লিখবো ইনশাআল্লাহ।


আপনাকে ধন্যবাদ ভাই টারজান০০০০৭। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: যুদ্ধের শুরুতেই যদি পাকিস্তানি হায়েনারা এত অত্যাচার করে তাহলো আরও কত অত্যাচার সহ্য করেছিল বাঙালিরা তার কিছুপরিমাণ বুঝাই গেল আপনার স্মৃতি থেকেই। আপনার ভয়ে আমিও ভয় পেয়ে গেলাম যেন!
আপনার বড় ভাই সম্পর্কে আর কিছু জানাইলেন না গুরুজ্বি। আপনার ভাই মনে হয় যুদ্ধেই গিয়েছিল সেদিন থেকেই।

আপনার স্মৃতি আমার কাছে ইতিহাস হয়ে রইল প্রিয়তে।
শুভকামনা জানবেন গুরুজ্বি।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার বড় ভাই সম্পর্কে আর কিছু জানাইলেন না গুরুজ্বি।


শেষ প্যারার আগের প্যারায় বড় ভাইয়ের বাসায় ফেরা সম্পর্কে বলা হয়েছে। না, ভাই বড়ভাই বা আমি কেউ মুক্তিযুদ্ধে যাইনি। এই ঘটনার এক সপ্তাহ পরেই আমরা সপরিবারে গ্রামে দাদার বাড়ি চলে যাই।

ধন্যবাদ ভাই নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪২

সুমন কর বলেছেন: গল্প পড়ে খুব ভালো লাগল।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: ভাই লিখাটা কার্টেসি সহ শেয়ার করতে চাই। যাতে নতুন প্রজন্ম জানতে পারে।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লেখকের নামসহ পুরো লেখাটা শেয়ার করতে পারেন।


ধন্যবাদ ভাই অদৃশ্য যোদ্ধা। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: উফফ্ কি ভয়ংকর অবস্থা! সেসব দিনের কথা শুনলে গা শিউরে ওঠে।
আল্লাহ আপনাকে আরো অনেক অনেক বছর হায়াত দিন।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন উম্মে সায়মা। এই ঘটনার এক সপ্তাহ পরেই আমরা সপরিবারে গ্রামে দাদার বাড়ি চলে যাই। তারপরই আমার লেখা আত্মজৈবনিক উপন্যাস 'স্বপ্ন বাসর'-এর শুরু, যা আপনি পড়েছেন।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১২| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

জুন বলেছেন: আমাদের উপর ঘৃন্য পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতম অত্যাচার নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত উদাহরন সবার সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আবু হেনা ভাই । সবার যতটুকু অভিজ্ঞতা আছে তা লিখে রাখা এবং জানানো উচিত ৭১ পরবর্তী প্রজন্মকে । এমন টুকরো টুকরো ঘটনাই বিশাল ইতিহাস সৃষ্টি করে।
অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নতুন প্রজন্মের কাছে সেই দিনগুলোকে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব থেকেই এটা লেখা।


আপনাকে ধন্যবাদ বোন জুন। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

রানা আমান বলেছেন: সেই সময়টায় আমিও দুনিয়াতে আসিনি , আপনাদের এমনি সব টুকরো টুকরো ঘটনা থেকে নতুন করে কিছু জানতে পারছি আমরা । পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতম অত্যাচার নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত উদাহরন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ৭১ পরবর্তী প্রজন্মের পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আবু হেনা ভাই ।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই রানা আমান।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি রেষ্টে ছিলাম, আর আপনি এই ফাকে যুদ্ধ জয় করে ফিরে এলেন.......এবার পড়তে শুরু করি।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পড়া কাহিনী। নতুন করে পড়ে খুব বেশি ভালো লাগবে বলে মনে হয় না। আসলে যারা পড়েননি, তাদের জন্য রিপোস্ট দেওয়া।

১৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩

রক বেনন বলেছেন: যুদ্ধের একটি দিন যেন খুব কাছ থেকে দেখলাম! ভাল থাকবেন হেনা ভাই। শুভ কামনা রইল। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে দীর্ঘজীবী করুক!

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন:
যুদ্ধের একটি দিন যেন খুব কাছ থেকে দেখলাম!

ধন্যবাদ ভাই রক বেনন।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ! সত্যিই এই অসাধারণ শিল্প সৃষ্টির তুলনা হয় না।


তবে ডিম আমার পছন্দের খাবার। তাই শিল্প ভাঙচুর কইরা খাইতে মুঞ্চায়।

১৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আগে পড়েছিলাম, তবু আজ পড়ার সময় যেন আমি খুবই ভীত হয়ে উঠেছিলাম, এটাকে নিজের সৌভাগ্য ছাড়া আর কিইবা বলা যায়..........লেখনিতে এমন চমৎকার বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা কয়জনারই বা আছে?

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লজ্জা দিয়েন না কামাল ভাই।

১৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নতুন লেখা না আসলে একশত একবার লইজ্জা দিমু =p~

১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হে হে হে। এই কথায় লইজ্জা পাই নাই। =p~

১৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: রক্তের টান বোধহয় একেই বলে। - ঠিক, ঠিক। রক্তের টানের জন্যই ওরকম হয়েছিলো।
আমি ঘোরের মধ্যে চোখ বুজে নামাজ পড়ার মতো করে রুকু সেজদা করে যাচ্ছি। কিন্তু কোন সুরা কালমা আমার মনে পড়ছে না - ভয়ে হৃদস্পন্দন যে একেবারে থেমে যায়নি, এই তো বেশী!
লেখাটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। মরহুম ইমাম সাহেবের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন তাঁকে এই ইহসানটুকুর ওসিলায় জান্নাত নসীব করুন!

১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মরহুম ইমাম সাহেবের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন তাঁকে এই ইহসানটুকুর ওসিলায় জান্নাত নসীব করুন!


আপনাকে ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২০| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লোম হর্ষক কাহিনী। তখন ভয়ঙ্কর সময় পার করেছিল জাতী।
আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি হেনা ভাই।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তখন ভয়ঙ্কর সময় পার করেছিল জাতী।


অবশ্যই। ওরকম বিপর্যয় আমাদের জনগন আর কোনদিন মোকাবিলা করেনি, এটা নিশ্চিত।

ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২১| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

মিঃ আতিক বলেছেন: আপনার সমান কাঁপেনি, তবে পড়ার সময় আমার বুকটা কেঁপেছিল কিছুক্ষণ।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই আতিক।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২২| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চমৎকার লিখনিতে একটি নির্মম সত্য চিত্রায়নে গুরু জি আপনার তারিফ লা জওয়াব । আল্লাহ আপনাকে আমাদের মাঝে বহু বছর রাখুন আর আপনার হাতের সুন্দর সব লিখা উপভোগ করার সুভাগ্য আমাদের করুণ।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান সুজন।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪১

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: সাবলীল লেখায় স্মৃতিচারণ ভাল লাগল।
শুভেচ্ছা নিন।

১১ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বি এম বরকতউল্লাহ।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: এই লেখাটা ও পূর্বে পড়েছি। আবার ও পড়লাম। এই রকম নতুন লেখা চাই।

১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কলিমুদ্দি দফাদার।

নানা কারণে আপাতত ব্লগে নতুন লেখা দিচ্ছি না। কিছুদিন পরে দেব।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভ শুক্কুর বার :-0

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুভ রবিবার। আগামীকাল ঢাকায় যাচ্ছি। পরশুদিন বাঁ চোখে ক্যাটারাক্ট অপারেশন হবে। দোয়া করবেন কামাল ভাই।

২৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভ কামনা সব সময়, ঢাকা কোন হসপিটালে অপারেশন হবে?

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মীরপুর ১ নম্বরে ডঃ গোলাম রসুল সাহেবের আই কেয়ার হসপিটালে। ধন্যবাদ কামাল ভাই।

২৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বাস্তব গল্পের কাহিনীটি রুদ্ধশ্বাসে পাঠ করলাম ,
নতুন প্রজন্মের কাছে অনেক ইতিহাস পৌঁছে দিবে লেখাটি ।
চোখের সফল অপারেশনের জন্য দোয়া রইল ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।


ভালো থাকবেন শুভকামনা রইল।

২৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

সামিয়া বলেছেন: এরকম সময় ও আমাদের দেশে ছিল! আপনার অভিজ্ঞতা পড়তে পড়তে ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভাললেগেছে আপনার এত ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার ঘটনা। আপনি বিপদে মাথা ঠাণ্ডা রেখেছেন আর ভাগ্য ও আপনার সহায় ছিল।।
লেখাটি প্রিয়তে নিলাম। অনেক অনেক ভালোলাগা।।

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন ইতি সামিয়া। আল্লাহ সহায় ছিলেন, তাই ওদের হাত থেকে বেঁচে গেছি।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: [img|https://chahida.com.bd/wp-content/uploads/2016/12/horlicks_original_200gm-40

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ?

৩০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: [img|https://chahida.com.bd/wp-content/uploads/2016/12/horlicks_original_200gm-40

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ? ?

৩১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
প্রামানিক ভাই আপনার জন্য ফার্ম গেইট থেকে হর্লিক্স কিনে রেখে ঢাকায় আসার অপেক্ষা করছে

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তাই নাকি? সত্যিই প্রামানিক ভাইয়ের মতো পরোপকারী মানুষ হয় না। এই হরলিক্স আপনাকে ছাড়া আমি একা খেতে পারবো না কামাল ভাই। আপনাকে ফোন দিলে চলে আসবেন কিন্তু। =p~

৩২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




এমন সত্য কাহিনীগুলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক একটা দলিল ।
১২ নম্বরে করা জুন এর মন্তব্যের সাথে সহমত ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চোখের অপারেশনের জন্য কয়েকদিন অনলাইনে না থাকায় উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল।


ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভ রাত্রী :D

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল ভাই।

৩৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

স্বপ্নের_ফেরিওয়ালা বলেছেন: লোম হর্ষক কাহিনী বটে !

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জি, ঠিকই বলেছেন।


ধন্যবাদ ভাই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০৮

অপরিচিত মানব শুণ্য বলেছেন: আপনার লিখা বরাবরই
অসাধারণ...!!
------

আমি কিন্তু আপনার নিয়মিত পাঠক...
ভাল আছেন.... অনেকদিন যাবত অফলাইন আপনার
লিখা গুলো পড়লেও পাসওয়ার্ড সমাস্যায় কোন
মন্তব্য করতে পারছিলাম না...
অনেক চেস্টার পর আজ ঠিক হল....

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি আমার নিয়মিত পাঠক জেনে ভালো লাগলো।


ধন্যবাদ ভাই অপরিচিত মানব শুন্য। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: কার কাছ থেকে শুনেছিলাম আপনি অসুস্থ ছিলেন? এখন কেমন আছেন?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, ভাই। আমার বাঁ চোখে অপারেশন হয়েছে। এখন ভালো আছি।


ধন্যবাদ ভাই চিটাগং এক্সপ্রেস। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: হেনা ভাই কেমন আছো
শুনেছিনু ছিলে সিক;
এখন কি হাল বলো
আছেতো হে সব ঠিক?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো আছি ভাই। সব ঠিক আছে।


খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অপারেশনের পর আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ব্লগে ফিরে এসেছেন দেখে ভাল লাগছে।
ভাল থাকুন, সবসময়। শুভেচ্ছা...

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আগামী ২০ তারিখে আমার ২য় চোখটির অপারেশন হবে। দোয়া করবেন খায়রুল ভাই।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

নক্ষত্র নীড় বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলির কথা আরও লিখুন।আরও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লিখবো। ধন্যবাদ নক্ষত্র নীড়।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

কামরুননাহার কলি বলেছেন: সত্যিই আঙ্কেল বড়ই দুঃখজনক। বেচে থাকুন অনেক দিন ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কামরুননাহার কলি।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা রইল।

৪২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

আখেনাটেন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের এই কাহিনিগুলো শুনলে গা শিউরে উঠে। কি ভয়ঙ্করভাবেই না মানুষ সে সময় দিন কাটিয়েছে।

ভাবায় যায় না।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের এই কাহিনিগুলো শুনলে গা শিউরে উঠে। কি ভয়ঙ্করভাবেই না মানুষ সে সময় দিন কাটিয়েছে।


আসলে তখনকার ভয়াবহ অবস্থার কথা লিখে বোধহয় দশ শতাংশও বোঝানো যাবে না ভাই। আমি প্রত্যক্ষদর্শী বিধায় আজ এত বছর পরেও মর্মে মর্মে উপলব্ধি করি।

আপনাকে ধন্যবাদ ভাই আখেনাটেন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.