নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ ফুলের বাগানে সাপ

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫




প্রতিদিন ভোরে ফজর নামাজ পড়ার পর আমি মর্নিং ওয়াক করতে বেরিয়ে যাই। এটা আমার অনেক দিনের অভ্যাস। মোটামুটি দু’তিন কিলোমিটার হাঁটাহাঁটি করে আমি বাসায় ফিরে আসি। কিন্তু আমার দুই চোখে অপারেশন হওয়ার কারণে গত কয়েক মাস মর্নিং ওয়াক করা হয়নি। সপ্তাহ খানেক হলো আবার শুরু করেছি। কিন্তু এ বছর সাবিনাকে দেখতে পাই না।

আমার বাসা থেকে সামান্য দূরত্বে রাস্তার পাশে সীমানা প্রাচীর ঘেরা একটি দোতলা বাড়ি আছে। এই বাড়ির মালিক শৌখিন মানুষ। তার বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভেতরে ছোট পরিসরে একটা ফুলের বাগান আছে। প্রাচীরের গা ঘেঁষে লাগানো একটা শিউলি ফুলের গাছ ডালপালা বিস্তার করে প্রাচীরের বাইরেও খানিকটা ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে শীতের সময় এই গাছে যখন ফুল ফোটে, তখন কিছু ফুল বাইরে রাস্তার উপরেও ঝরে পড়ে।

গত বছর শীতের সময় আমি যখন মর্নিং ওয়াক করতে বেরোতাম, তখন এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতাম সাত আট বছর বয়সের এক বস্তিবাসী গরীব মেয়ে রাস্তার ওপর উবু হয়ে বসে ফুল কুড়াচ্ছে। কনকনে শীতেও মেয়েটির পরনে একটা ময়লা ফ্রক ছাড়া আর কিছু নেই। দু’তিন দিন একই দৃশ্য দেখার পর আমার একটু মায়া হলো।

পুরনো গরম কাপড়ের দোকান থেকে একদিন মেয়েটির মাপ আন্দাজ করে একটা উলেন সোয়েটার কিনে ফেললাম। পরদিন মর্নিং ওয়াকের সময় সেটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। শীতের দিনে ফজরের নামাজের পর অনেকক্ষণ হাল্কা অন্ধকার থাকে। সেদিনও সেই অন্ধকারের মধ্যে মেয়েটি ঠক ঠক করে কাঁপতে কাঁপতে রাস্তায় বসে শিউলি ফুল কুড়াচ্ছিল। আমি তার পাশে গিয়ে তার মতো করে উবু হয়ে বসে সোয়েটারটা এগিয়ে দিয়ে বললাম, ‘এটা পরে নাও।’

মেয়েটি বোধহয় ভয় পেয়ে গেল। সে ফুল কুড়ানো বন্ধ করে আমার কাছ থেকে একটু দূরে সরে গেল। তারপর ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে রইল আমার দিকে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বোধহয় মানুষের ভেতর থেকে বিশ্বাস ও ভরসাও কেড়ে নেয়। আমি মেয়েটির কাছে গিয়ে আশ্বাস দিয়ে বললাম, ‘ভয় পেয়ো না। এটা আমি তোমার জন্য এনেছি।’ তারপরেও মেয়েটি নির্বাক। তবে তার ভয় কিছুটা কমেছে বলে মনে হলো। আমি নিজেই সোয়েটারটা পরিয়ে দিলাম তাকে। তারপর বললাম, ‘চলো, তোমাকে আমি ফুল কুড়াতে সাহায্য করি।’
ফুল কুড়ানোর জন্য মেয়েটির একটা পুরাতন ফাটা প্লাস্টিকের গামলা ছিল। রাস্তায় উবু হয়ে বসে ঝরে পড়া শিউলি ফুলগুলো কুড়িয়ে আমি সেই গামলায় রাখছি দেখে মেয়েটি এক পা দুই পা করে এগিয়ে এসে আবার ফুল কুড়াতে শুরু করলো।

পরদিন হাঁটতে বেরিয়ে আমি আবার মেয়েটিকে ফুল কুড়াতে সাহায্য করলাম। এদিন আমি হাসি হাসি মুখে মেয়েটিকে কিছু প্রশ্ন করলেও তেমন কোন উত্তর পেলাম না। শুধু জানতে পারলাম, তার নাম সাবিনা ইয়াসমিন। আর কাছাকাছি এক বস্তিতে থাকে সে।
এভাবে প্রতিদিন আমি মেয়েটিকে ফুল কুড়াতে সাহায্য করি আর কথাবার্তার ফাঁকে ফাঁকে এটা ওটা জানতে চাই। মেয়েটি ধীরে ধীরে সহজ ও স্বাভাবিক হয়ে এলো। আমি প্রশ্ন করলে সে এখন আর চুপ করে থাকে না, উত্তর দেয়। তিন বোনের মধ্যে সে সবচেয়ে ছোট। পোলার জন্ম না দিয়া মায়ে খালি মাইয়ার জন্ম দেয় দেইখা বাপে পলাইয়া গেছে। মায়ে কাম করার পারে না। একসিডেনে পাও ভাইঙ্গা সারাদিন ঘরে হুইয়া থাকে। বড় দুই ভইন মাইনষের বাড়িত কাম করে।
‘তো তুমি এত ছোট মেয়ে এত ঠাণ্ডার মধ্যে অন্ধকারে ফুল কুড়াতে আসো কেন?’
‘ফুল না টোকাইলে খামু কী?’
দেরি করে এলে অন্য টোকাইরা ফুল কুড়িয়ে নিয়ে চলে যায়। সাবিনার ভাগে কিছু জোটে না। তাই কনকনে ঠাণ্ডায় কষ্ট হলেও সাবিনাকে অন্ধকার থাকতে থাকতে আসতে হয়। ফুল বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে তার নিজের ও মায়ের জন্য খাবার কিনে নিয়ে যায়। খাবার বলতে রুটি আর কলা। ফুল বিক্রির ত্রিশ চল্লিশ টাকায় রুটি আর কলা ছাড়া কী জুটবে? তাও তিন বেলা পেট ভরে খাওয়া হয় না। কোন কোন দিন ফুল কম পেলে এক বেলা না খেয়ে থাকতে হয়। বড় দুই বোন কোন কোন দিন ওদের জন্য কিছু ভাত তরকারি আনে, কোনদিন কিছুই আনে না।
‘তুমি কোথায় ফুল বিক্রি করো সাবিনা?’

ঢাকায় এরকম গরীব ছেলেমেয়েরা যানজটের সময় নানারকম ফুল, ফুলের তোড়া ও মালা হাতে নিয়ে প্রাইভেট গাড়ির জানালা দিয়ে গাড়ির আরোহীদের কাছে বিক্রি করে। কিন্তু আমাদের এই মফঃস্বল শহরে সেটা হয় না। কারণ এখানে যানজট খুব কম ও ক্ষণস্থায়ী। তা’ ছাড়া এই শহরে প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যাও অনেক কম। তার ওপর সাবিনা বিক্রি করে শিউলি ফুল, যার ক্রেতা প্রায় নেই বললেই চলে। তাহলে মেয়েটার ফুল বিক্রি হয় কোথায়?
সাবিনা ও তার মতো টোকাইদের ফুলের ক্রেতা হলো কিছু হিন্দু পরিবার। আমাদের এই মহল্লাসহ আশে পাশের কয়েকটি মহল্লায় কিছু হিন্দু পরিবার আছে। তাদের প্রাতঃকালীন পুজার জন্য প্রতিদিন তাজা ফুলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ইট কাঠ পাথরের এই নিষ্প্রাণ শহরে তারা ফুল পাবে কোথায়? শহরের ধনী পরিবারগুলো তাদের বাগান বা আঙ্গিনা থেকে একটা ফুলও ছিঁড়তে দেবে না। দোকান থেকে কিনতে গেলে অনেক দাম দিতে হয়। আর সেখানে বাসি ফুল ছাড়া তাজা ফুল পাওয়াও যায় না। তাহলে প্রতিদিন এমন তাজা লা-ওয়ারিশ ফুল পাওয়া যাবে কোথায়? এই হিন্দু পরিবারগুলোর ভরসা হলো সাবিনার মতো মেয়েরা, যারা খুব অল্প দামে সকাল সকাল এদের কাছে তাজা ফুল পৌঁছে দেয়।

আমি গত বছর শীতের পুরো মৌসুম সাবিনার সাথে ফুল কুড়িয়েছি। দু’জন একসাথে কুড়ালে ফুলের পরিমান বেশি হয়। বেশি ফুল পেলে সাবিনার মুখে হাসি ফোটে। কিন্তু এ বছর মর্নিং ওয়াক করতে বেরিয়ে সেই প্রাচীর ঘেরা বাড়িটার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় লক্ষ্য করে দেখলাম শিউলি ফুলের গাছটা কেটে ফেলা হয়েছে। সাবিনাকে পাওয়া যাবে না জেনেও বোকার মতো এদিক ওদিক তাকিয়ে ওকে খুঁজলাম। কিন্তু ওকে দেখতে পেলাম না। সঙ্গত কারণে অন্য কোন টোকাইও নেই। মন খারাপ করে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর মনে হলো মেয়েটার একটু খোঁজ খবর করা দরকার। তার অবস্থান সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারনা ছিল। হাঁটতে হাঁটতে সেই বস্তির দিকে যাওয়ার সময় পূর্ব আকাশে উদীয়মান সূর্যের রক্তিম মুখ দেখা গেল। আস্তে আস্তে চারদিকে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ার পর আমি পৌঁছালাম সেখানে। দেখলাম বস্তির ভেতর ও বাইরে বিপুল পরিমান পুরাতন ছেঁড়া ফাটা পলিথিন বস্তাবন্দী করা হচ্ছে। এগুলো কুড়িয়ে আনা হয়েছে শহরের ডাস্টবিন গুলো থেকে। হয়তো শহরের বাইরে থাকা ভাগাড় থেকেও আনা হয়েছে। বস্তির ভেতর ও বাইরে জীবাণুপূর্ণ ধুলোবালি ও মশা মাছি উড়ে বেড়াচ্ছে। চারদিকে নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। সদ্য চোখ অপারেশনের রোগী হিসাবে এই পরিবেশ আমার জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ইনফেকশনের ভয় থাকে। তাই সাবিনাকে পাওয়ার আশা বাদ দিয়ে আমি দ্রুত সেখান থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে গেলাম। ঘণ্টাখানেক হাঁটাহাঁটি করে আমি বাসায় ফেরার পথে সেই প্রাচীর ঘেরা বাড়ির সামনে এসে থমকে দাঁড়ালাম। এই বাড়ির মালিকের সাথে একটু কথা বলা দরকার। যতদূর জানি, এই ভদ্রলোক সমাজসেবা অধিদপ্তরের কোন একটি প্রজেক্টে চাকরি করেন।

কলিং বেল টেপার কিছুক্ষণ পর তিনি বেরিয়ে এলেন। ‘আরে হেনা ভাই যে!’ হাসিখুশি ভদ্রলোক সোল্লাসে আমার সাথে হাত মিলিয়ে বললেন, ‘আসেন ভাই, ভেতরে আসেন।’ মহল্লার প্রায় সবাই আমাকে চেনেন এবং নামও জানেন। কিন্তু আমি মুখ চিনতে পারলেও অসুস্থতা ও বয়সের কারণে সবার নাম মনে রাখতে পারি না। বাড়ির সামনে লটকানো নেমপ্লেট দেখে বুঝলাম ভদ্রলোকের নাম আনিসুর রহমান। বললাম, ‘আনিসুর ভাই, আপনার সাথে আমার একটু কথা আছে।’
‘বেশ তো। কথা বলবেন। ভেতরে আসুন, চা খেতে খেতে কথা বলা যাবে।’
ভদ্রলোক জোর করে আমাকে তার বাসার ভেতরে নিয়ে গেলেন। ড্রইংরুমে বসে তার সাথে এক কাপ চা খেতেই হবে। কোনদিন তার বাসায় আমি যাইনি, জোরাজুরি করার সম্ভবত এটাই কারণ।

চা খেতে খেতে ভদ্রলোক একটু হেসে বললেন, ‘হেনাভাই, আমার নাম কিন্তু আবদুল আলিম। আনিসুর রহমান আমার ভাড়াটে। দোতলায় থাকে।’
‘ও, তাই নাকি?’ আমি একটু লজ্জাই পেলাম। অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আমি যে কথা বলতে এসেছি, হড়বড় করে সেটা বলে ফেললাম, ‘আচ্ছা ভাই, আপনি ঐ শিউলি ফুলের গাছটা কেটে ফেললেন কেন?’
‘আর বলবেন না!’ আলিম সাহেব একটু হতাশার সুরে বললেন, ‘কেউ কী শখ করে নিজের গাছ কাটতে চায়, বলুন? মাদ্রাসার বড় হুজুরের কারণে কাটতে হলো।’
‘কী রকম? ঠিক বুঝলাম না।’
আলিম সাহেব একটু থেমে বললেন, ‘গত বছর শীতের সময় গাছে প্রচুর ফুল এসেছিল। আর শিউলি ফুল কেমন তা’ তো আপনি জানেন। ফুল ফোটার পর পরই ঝরে পড়ে। বাউন্ডারির গা ঘেঁষে গাছটা লাগানোর কারণে গাছের অর্ধেক ফুল পড়তো ভেতরে, আর অর্ধেক পড়তো বাইরে। বস্তির ছেলেমেয়েরা এসে বাইরের ফুলগুলো কুড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতো। আমার অবশ্য এতে কোন আপত্তি ছিল না। কিন্তু হুজুর বললেন গাছটা কেটে ফেলতে।’
আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘কেন?’
আলিম সাহেব নিচু স্বরে প্রায় ফিস ফিস করে বললেন, ‘বুঝতে পারছেন না? ওরা ফুলগুলো বিক্রি করতো হিন্দুদের কাছে। হিন্দুরা সেই ফুল দিয়ে নানারকম দেব দেবীর পুজা করতো।’
‘তাতে কী? এই অসহায় গরীব বাচ্চারা ওদের কাছে ফুল না বেচলে কী হিন্দুদের পুজা করা বন্ধ হয়ে যাবে?’
‘আপনি বুঝতে পারছেন না হেনাভাই। ওরা ফুলের যোগান দিয়ে হিন্দুদের মূর্তিপূজায় সহযোগিতা করতো। শেরেকি কাজে সাহায্য সহযোগিতা করাও শেরেকি। আর আমার লাগানো গাছ থেকে ফুলগুলো এই কুফরি কাজে যেত বলে আমারও গুনাহ হচ্ছিল।’
আমি রেগে গিয়ে বললাম, ‘আপনি নিজেও তাই মনে করেন নাকি?’
‘আমার মনে করা না করায় কী যায় আসে ভাই? আমি তো আর হুজুরের চেয়ে বেশি এলেমদার নই।’
রাগে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেললাম আমি। চিৎকার করে বললাম, ‘তাহলে আপনার এই আলিম নামটা পাল্টে ফেলুন। পেটে এক ফোঁটা এলেম নাই, আর নাম রেখেছেন আলিম! ছি ছি ছি।’
রাগে কাঁপতে কাঁপতে আলিম সাহেবের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমি সোজা নিজের বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। পথে ধর্মান্ধদের গুষ্টি উদ্ধার করে গালি গালাজ করতে থাকলাম, যা আমি কোনদিন করি না। ভাগ্যিস পথে কেউ ছিল না। থাকলে আমার এই পরিবর্তন দেখে নিশ্চিত সে ভিরমি খেত।

এই ঘটনার তিন দিন পর আমি সাবিনাকে খুঁজে পেয়েছিলাম। পাড়ার একটি ছেলেকে বস্তিতে পাঠিয়ে তাকে খুঁজে আনা হয়েছিল। মেয়েটি সেই প্রথম দিনের মতো ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে। পরনে সেই আমার দেওয়া পুরনো সোয়েটারটা। আমি তার পিঠে হাত বুলিয়ে আদর করে বললাম, ‘তুই এখন কী করিস মা?’
এই একটা ‘মা’ ডাকেই মেয়েটা হাউ মাউ করে কেঁদে ফেললো। কাঁদতে কাঁদতে বললো সে এখন ছেঁড়া পলিথিন কুড়ায়। আমি ওকে আদর করে বাসার ভেতরে এনে খেতে দিলাম, কিছু কাপড় চোপড় ও টাকা পয়সাও দিলাম। অভয় দিয়ে বললাম, ‘তোর যখনই কোন অসুবিধা হবে, আমার কাছে চলে আসবি। ভয় বা লজ্জা করবি না, ঠিক আছে?’

সাবিনা চলে যাওয়ার সময় আমার স্ত্রী আমার কানে কানে বললো, ‘মেয়েটাকে আমাদের বাসায় কাজে রেখে দিলে হয় না? অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কাজের মেয়ে পাচ্ছি না।’
কেন জানি না, আলিম সাহেবের বাসা থেকে আসার পর গত তিন দিন ধরে আমার মন মেজাজ খুব খারাপ ছিল। স্ত্রীর প্রস্তাব শুনে আমার মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমি ওর দিকে তাকিয়ে কঠিন গলায় বললাম, ‘না।’
( সত্য ঘটনা অবলম্বনে )
ছবিঃ নেট
রচনাকালঃ ০৪-১১-২০১৭
******************************************************************************************************************
ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কার মানুষের মনুষ্যত্ব ও মানবিক মূল্যবোধকে কিভাবে ভূলুণ্ঠিত করে, সত্য ঘটনাভিত্তিক এই ছোট গল্পে তারই এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখানো হয়েছে। এই গল্পটি লেখার পেছনে লেখকের আর কোন উদ্দেশ্য নাই।

মন্তব্য ১১০ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (১১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আজ প্রথম বার আমি প্রথম হলাম আপনার লেখায় মন্তব্য করতে।
খুব ভালো লাগছে প্রথম হওয়াতে।
ধন্যবাদ আবু হেনা ভাই আপনার গল্প পড়ে।
তবে ফুলের বাগানে কেউ সাপ আশা করে না।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।


ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪

বিষাদ সময় বলেছেন: কিছু বলার নাই হেনা ভাই। উদারতা এবং সংকীর্ণতার দুটো উদাহরণই ঘটনাটিতে আছে। অন্য রকম ভালো লাগলো।
ছোট বেলায় পড়া কবিতাটি আবার মনে পড়লো-

কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর।
রিপুর তাড়নে যখন মোদের বিবেক পায়-গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক-অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পূণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়েঘরে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কবিতাটি চিরকালের। পড়ে যদি কেউ সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারে, তাহলে সে এই গল্পের সাপ হবে না কখনো, ফুল হবে।

ধন্যবাদ ভাই বিষাদ সময়। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কাহিনীটি পড়ে অনেক দুঃখ পেলাম এবং মনের ভিতরটা কেমন যেন একটা মোচড় দিয়ে উঠলো। :(





ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই দেশ প্রেমিক বাঙালী।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

ওমেরা বলেছেন: মানুষের মন কত সংকীর্ন ! আবার মানুষের মনই কত উদার । অনেক ধন্যবাদ দাদু ভাইয়া ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মানুষের মন কত সংকীর্ন ! আবার মানুষের মনই কত উদার ।


ঠিক বলেছ। ধন্যবাদ ওমেরা বুবু। ভালো থেকো। শুভকামনা রইল।

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: হেনা ভাই অনেক দিন পরে মনে হয় নতুন গল্প লিখলেন।
গল্পটি অনেক ভাল লেগেছে।
আমাদের সমাজে এখনও কত রকমের কুসংস্কার আছে তার ঠিক নাই।
আল্লাহ আমাদের সকল রকমের কুসংস্কার থেকে দূরে রাখুন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ব্লগে অনেক দিন পরেই লিখলাম। তবে প্রিন্ট মিডিয়ায় আমার লেখালেখি অব্যাহত আছে।


ধন্যবাদ ভাই মোস্তফা সোহেল। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সত্য সবসময়ই তিক্ত হয়।

দারুণ হৃদয়বিদায়ক ঘটনা।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোঃ মাইদুল সরকার।


ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: গল্পটি আমার সবদিক থেকেই ভালো লাগছে, তাই প্রিয়তে।

আলিম সাহেবের বাড়ি থেকে রাগ করে খুব সুন্দর উক্তি করেছিলেন। শেষের লাইন দুটিও আমার খুব বেশি ভালো লেগেছে।
সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপনাদের মতো কিছু মানুষ এখনো দুনিয়াতে আছে বলেই হয়তো গরীবরা এখনো বেঁচে আছেন, নয়তো কবেই....।

আমাদের ইসলাম ধর্ম নাকি শুনেছি শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম, হিংসা বিদ্বেষহীন ধর্ম। কিন্তু আমাদের আলেম সমাজের কাজকর্ম সম্পূর্ণ বিপরীত কিছুর জানান দেয়।
যাক, মোলা গ্রুপের প্রতি সত্য বললেও তারা ইসলাম বিরোধী প্রচার করতে দুবার ভাববে না!

আপনার পোষ্ট আমার অত্যন্ত ভালো লাগলো গুরু
শুভকামনা আপনার জন্য, সুস্থ সবল থাকুক আপনার দেহ মন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো মন্তব্য করেছেন। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে আমাদের ধর্মই নিষেধ করেছে। তা' ছাড়া কোন কিছুই মানবতার উর্ধে নয়।


ধন্যবাদ ভাই নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

শাহিন-৯৯ বলেছেন: পৃথিবী অদ্ভূত এক জায়গা।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পৃথিবী অদ্ভূত এক জায়গা।


সত্যিই তাই। ধন্যবাদ ভাই শাহীন-৯৯। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

সামিয়া বলেছেন: শুরুটা পড়লাম। ফ্রি হয়ে পুরোটা পড়ে মন্তব্য জানাবো ভাইয়া,

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন ইতি সামিয়া।

১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মানুষ , পকৃতি , ফুল ধর্মান্ধতা , ও মানবিকতার সমন্বয় ঘটিয়ে লেখা গল্পটি অসাধারন হয়েছে । সরাসরি প্রিয়তে গেল । এটা খুবই সাধারণ , যে মানুষ ভাল গল্প শুনতে চায়। উপন্যাস, নাটক কিংবা ছোটগল্প, যা-ই হোক না কেন, যে গল্পে মানুষের কথা থাকে, জীবনের কথা থাকে; সে গল্পই পাঠকের মনকে নাড়া দেয়। জীবন ঘনিষ্ঠ গল্পই যুগে যুগে পঠিত হতে থাকে। ফলে যে গল্পে থাকে সাধারণ মানুষের কথা তাই শুনতে বেশি ভাল লাগে । মানুষ , ফুল ও মানবিকতা নিয়ে কত সুন্দরভাবে গুছিয়ে হৃদয়গ্রাহী গল্প লেখা যায় তা এ লেখাটি পাঠ না করলে হতোনা জানা । অভিনন্দন রইল অসাধারণ লেখাটির জন্য ।

ফুলের প্রতি রাজশাহীর মানুষের ভালবাসা নিয়ে অনেকদিন আগে প্রথম আলোতে পাঠ করেছিলাম একটি লেখা, ভাল লেগেছিল বলে সঞ্চয় করে রেখে ছিলাম সযতনে । আজ প্রসঙ্গক্রমে মনে পড়ল , তাই স্বব্যখ্যাত কিছু কথা তুলে দিলাম এখানে ।

মৃত্যুর আগে বাবা বলেছিলেন'যদি পারো, ফুলের বাগানটা রেখো।' বাবার এই কথার মূল্য দিতে গিয়ে ছেলেমেয়েরা পুরো বাড়িটাই ছেড়ে দিয়েছেন ফুলের জন্য। রাজশাহী শহরের ১৬ কাঠা জমির ওপর বাগানও বাড়ি পুরোটাই গাছগাছালির দখলে। এই সুবাদে মিলেছে জাতীয় পুরস্কারও। শুনেছি শুধু ছাদের বাগানটাই নাকি ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ আন্দোলন ও বৃক্ষমেলা ২০১৪’-এর পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল।

সুত্র : Click This Link

কিন্তু কিছু মানুষের হাতে পরে ফুলের বাগানের কি দশা হয় তারো চিত্র রয়েছে সেই রাজশাহীতেই । কোন এক ব্লগের লেখায় দেখেছিলাম রাজশাহীতে শহর রক্ষা বাঁধে বাগান তৈরী করে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা গচ্ছা দিয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। দুবছরের মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে সেই বাগান। এবার সেই বাগান নতুন করে ঢেলে সাজাতে তিন কোটি টাকা খরচার উদ্যোগ নিয়েছে নগর সংস্থা। নগরীর শাহ মখদুম কলেজ থেকে পঞ্চবটি এবং তালাইমারী শহীদ মিনার হয়ে বাদুড়তলা মসজিদ পর্যন্ত বাঁধের উত্তর ঢালে নতুন করে গড়ে তোলা হবে দৃষ্টিনন্দন বাগান। বলা হয়েছে ২০১৪ সালের শেষের দিকে একই জায়গায় তৈরী হয়েছিলো বাগান। আপনি মর্নিং ওয়াকে মনে হয় দেখে থাকতে পারেন এটাকে । তাই এই বৃহত বাগানটির কি অবস্থা সম্ভব হলে তার একটু হাল নাগাদ তথ্য জানালে খুশী হব

অনেক শুভেচ্ছা রইল

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: উপন্যাস, নাটক কিংবা ছোটগল্প, যা-ই হোক না কেন, যে গল্পে মানুষের কথা থাকে, জীবনের কথা থাকে; সে গল্পই পাঠকের মনকে নাড়া দেয়। জীবন ঘনিষ্ঠ গল্পই যুগে যুগে পঠিত হতে থাকে। ফলে যে গল্পে থাকে সাধারণ মানুষের কথা তাই শুনতে বেশি ভাল লাগে

চমৎকার মন্তব্য করেছেন আলী ভাই। আসলেই মানুষ জীবন ঘনিষ্ঠ গল্পেই নিজেকে খুঁজে পায়। এ ধরনের গল্প উপন্যাস আমাদের সমাজের দর্পণ।

শহর রক্ষা বাঁধে বাগান তৈরির উদ্যোগে কোন সততা ছিল না। এসব হলো জনগনের ট্যাক্স খাজনার টাকা লুটপাট করার ফন্দি। আপনি যে এলাকার কথা বলেছেন, সেদিকে আমার যাওয়া হয় না ভাই। তাই হাল নাগাদ তথ্য জানাতে পারছি না বলে দুঃখিত।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: যে হুজুর এমন কান্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি আদৌ কোন হুজুর কিনা আমার সন্দেহ হচ্ছে। বড়জোর কাঠমোল্লা হতে পারে।
আপনার এই লেখাটার প্রশংসার ভাষা খুঁজে পেলাম না।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সম্রাট ইজ বেস্ট।


ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চা রেডি করেন, আইতাছি।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: থামেন, আগে আমার বুড়ির কাছে জেনে আসি চা-পাতা হিন্দুর দোকানের কী না। সেরকম হলে তো আপনি আমি দু'জনেই কুফরির মধ্যে পড়ে যাবো। হাঃ হাঃ হাঃ।

১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ‘আপনি বুঝতে পারছেন না হেনাভাই। ওরা ফুলের যোগান দিয়ে হিন্দুদের মূর্তিপূজায় সহযোগিতা করতো। শেরেকি কাজে সাহায্য সহযোগিতা করাও শেরেকি।............এই মোল্লাদের ল্যান্জায় তারাবাজি জ্বালিয়ে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: .এই মোল্লাদের ল্যান্জায় তারাবাজি জ্বালিয়ে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ


এই যে একটা নোবেল প্রাইজ পাওয়ার মতো মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ কামাল ভাই।

১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ওমেরা বলেছেন: মানুষের মন কত সংকীর্ন ! আবার মানুষের মনই কত উদার । অনেক ধন্যবাদ দাদু ভাইয়া ।

ওমেরা তো অসাধারণ একটা কথা বললো।

পড়তে গিয়ে চোখ ঝাপসা হয়ে আসলো। অনেক অনেক ভাল থাকবেন হেনা ভাই।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওমেরা কার নাতনি দেখতে হবে তো! হাঃ হাঃ হাঃ।


ধন্যবাদ ভাই শুভ ঢাকা। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ছবিটা কি আপনিই উঠিয়েছিলেন নাকি?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরে না, এই কাম কী আমার দ্বারা হয়? নেট ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে যুতসই ছবিটা পেয়ে গেলাম। গল্পের নিচে লিখে দিয়েছি তো!

১৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

সুমন কর বলেছেন: আপনার গল্প সব সময় ভালো হয়। গল্পের মেসেজটা দারুণ।
+।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

হাফিজ হুসাইন বলেছেন: .বিশ্বাস করুন আবু হেনা সাহেব। আপনার এ লেখায় হুজুরকে ধর্মান্ধ বলে গালি দেয়া মোটেও সঠিক হয়নি। একজন মুসলিম হিসেবে আপনার জানার কথা,
ইসলামে পাপ কাজকে ঘৃণা করতে বলা হয়েছে। দেব দেবীর পুজা করা শিরক। তাই হুজুর হয়তো তার দৃষ্টিকোন থেকে ফুল বেচা পছন্দ করেননি। হুজুর হয়তো জানতেন না যে ফুল বেচে মেয়েটির সংসার চলে। আপনার কথা থেকেই বলি, ফুল না পেলে যেমন পুজা বন্ধ হবে না ঠিক তেমনি ফুল বেচতে না পেয়ে মেয়েটিও না খেয়ে মারা যাবে না। বরং আপনার উচিত ছিল একজন অভিভাবক হিসেবে মেয়েটিকে কোন ভাল বাসা খুজে তাতে কাজে দেয়া অথবা অন্য কোন ব্যবস্থা করে দেয়া। তা না করে আপনি ফুল বেচা কে সমর্থন করলেন। যে ফুল বেচে না তার দারিদ্র দূর হবে না তার অবস্থার উন্নতি হবে।

আরেক টা কথা। আমি কিন্তু আপনার পোষ্টের কথিত ধর্মান্ধ নই। আমিও একজন মাদরাসা শিক্ষার্থী। তাই আমার মতে আপনি যদি সচ্চল পরিবারের কর্তা হয়েও মেয়েটির সমস্যা দূরীকরনে কোন পদক্ষেপ না নেন তবে আপনাকেও আল্লাহর কাছে জবাবদিহী করতে হবে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নো কমেন্ট।

১৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


"‘আপনি বুঝতে পারছেন না হেনাভাই। ওরা ফুলের যোগান দিয়ে হিন্দুদের মূর্তিপূজায় সহযোগিতা করতো। শেরেকি কাজে সাহায্য সহযোগিতা করাও শেরেকি। আর আমার লাগানো গাছ থেকে ফুলগুলো এই কুফরি কাজে যেত বলে আমারও গুনাহ হচ্ছিল।’ "

-বাংলা মাতা ইডিয়ট প্রসব করে চলেছেন!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।



ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:

@হাফিজ হুসাইন ,

আপনার ভাবনাশক্তি বিকলাংগ হয়ে গেছে

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: উনার মন্তব্যের উত্তরে আমি প্রতিমন্তব্য করিনি।

২০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই, আপনার প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। মেয়েটার জন্য আপনি যে করছেন আমি নিজেও সে কাজটা করতে পারবো না।
আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া এই সত্য ঘটনা খানি শেয়ার করলেন, অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো ভাই।

ধর্মের গোঁড়ামির কথা যেটা, আমাদের দেশে এটা একটা বিরাট সমস্যাকে। ঐ হুজুরকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করা উচিত ফুল গাছ কাটাছেন এটা একটা অপরাধ। আর বাচ্চা গুলোর রিজিকের উৎস যে নষ্ট করলেন বাচ্চাদের জন্য কি কাজ করেছেন!?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই ধ্রুবক আলো, ধর্মান্ধদের কথা যদি মেনে নিতে হয়, তাহলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের পুজা পার্বণের জন্য ধুপ ধুনা, আগরবাতি, মোমবাতি, ভগবানের প্রসাদের জন্য কলা, শশা, নারকেল, তিল ইত্যাদি অসংখ্য পদের জিনিসপত্র মুসলমানদের দোকান থেকেই কেনেন ( অন্তত আমাদের দেশে )। ব্যতিক্রম দু'একজন হিন্দু দোকানদার ছাড়া। তাহলে হিন্দুদের পুজার কাজে ব্যবহার্য জিনিষপত্র বিক্রি করে মুসলমান দোকানদাররা সবাই কুফরি করছেন, শিরক করছেন। কী হাস্যকর চিন্তা ভাবনা।


ধন্যবাদ ভাই ধ্রুবক আলো। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তথাকথিত অজ্ঞ আলেমদের কারনে ইসলামের, মানবতার ক্ষতি হচ্ছে বেশি। আল্লাহ এদের হেদায়েত করুন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন।


ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি গত বছর শীতের পুরো মৌসুম সাবিনার সাথে ফুল কুড়িয়েছি।..........বেশ মজার একটা বিষয়, জীবনটাকে এভাবেই উপভোগ করা উচিৎ

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জি, আপনার সাথে একমত।

২৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: হেনা ভাই : আপনার এই অসম্ভব সুন্দর গল্পটা পরে আমার মনটা অসম্ভব খারাপ হলো | রিপিট খুবই খারাপ লাগছে | আপনার গল্পের ঘটনা সত্যি বলেছেন ! তাহলে এই হুজুর ইসলামের কিছু জানেন বলেতো মনে হয় না | একটা যুদ্ধের সময় শুধু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কৌশলগত কারণে একটা গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছিলেন | তাছাড়া নন মুসলিমদের ধর্মীয় কারণে এরকম গাছ কাটার কোনো নির্দেশ দিয়েছেন এমন ঘটনাতো মনে পড়ছে না হাদিসে কোথাও পড়েছি ! এইসব হুজুদের দিয়ে আমাদের এই কাল আর পরকাল দুটোই গেলো !

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খুব ভালো উদাহরণ দিয়েছেন ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঘটনাটি আপনার লেখার গুনে অসাধারন হয়ে গিয়েছে।
একটা কথা না বললেই না। এ ধরনের মেয়েদের শেষ পরিনতি সাধারনতঃ কি হয় তা আমরা সবাই খুব ভালো জানি। ভাবীর প্রস্তাব ভেবে দেখতে পারেন, অবশ্যই ঠান্ডা মাথায়! আপনার বাসায় মেয়েটা অন্ততঃ নিরাপদ থাকতো!
আমি কি মেয়েটাকে কোনভাবে সাহায্য করতে পারি?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মেয়েটির বয়স এখন মাত্র আট নয় বছর। একটা বাড়ির সার্বিক কাজকর্ম এত ছোট বাচ্চার দ্বারা সম্ভব হবে না বলেই আমি রাজি হইনি ভাই। আমার বাসা প্রায় ২০০০ স্কয়ার ফিটের। এত বড় বাড়ি ঝাড়ু দেওয়া, মোছা, বাসন কোসন মাজা, কাপড় কাচা, মশলা করা, কাটাকুটি করাসহ হাজারটা কাজ করতে হয় কাজের মেয়েকে। ভেবে দেখুন এত ছোট মেয়ের পক্ষে কী সেটা সম্ভব? এখন আবেগের বশবর্তী হয়ে হয়তো মেয়েটিকে কাজে নিলাম। কিন্তু দু'চার দিনের মধ্যে তার অপারগতার জন্য আমার স্ত্রীই হয়তো তাকে বকাঝকা শুরু করবে। আমার বাসায় একজন শক্ত পোক্ত বড় কাজের মেয়ে দরকার। এতদিন তাই ছিল। নিশ্চয়ই আবার পেয়ে যাবো। আমাদের কয়েকদিন কষ্ট হবে এই যা।

আর মেয়েটির নিরাপত্তা এবং তাকে সাহায্য করার বিষয়ে আপনি যা বলেছেন, সে জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই পোস্টের বাইরেও কিছু তথ্য আছে, যা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করিনি পোস্টটি বড় হয়ে যাবে বলে। মেয়েটির নিরাপত্তা নিয়ে আমিও ভেবেছি এবং একটা উপায় বের করেছি। ঐ বস্তিতে এক জাঁদরেল মহিলা আছে, যাকে দেখে ওখানকার সবাই ভয় পায়। সাবিনার ঘরের লাগোয়া ঘরে সে থাকে। আমি তো চোখের কারণে বস্তিতে যেতে পারছি না। ঐ মহিলাকে আমি ডেকে পাঠিয়েছি। হয়তো কাল সে আসবে। দেখি তাকে কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে সাবিনার সার্বক্ষণিক দেখভাল করানো যায় কী না। তা' ছাড়া আমি সাবিনাকে ক্লোজ মনিটরিং করাচ্ছি আমার পাড়ার একটি বিশ্বস্ত ছেলেকে দিয়ে। সাবিনাকেও বলেছি যে কোন অসুবিধা হলে সে যেন সরাসরি আমার কাছে চলে আসে।
আর মেয়েটিকে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা ইনশাআল্লাহ আমি নিজেই করতে পারবো ভাই। তারপরেও বলছি, আপনি তাকে সাহায্য করতে চেয়ে অনেক বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সেই জাঁদরেল মহিলা হুসনা বানু আজ আমার বাসায় এসেছিল। তাকে কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে সাবিনার সার্বক্ষণিক দেখভাল করতে রাজী করাতে পেরেছি। তার কথা হলো, ইমুন কুনো বাপের ব্যাটা নাই যে অগো তিন ভইনের গায়ে হাত দেয়। আন্নে নিচ্চিন্ত থাকেন। আঁই মাঝে মাঝে খবর দিয়া যামু গা।
মেয়েটির নিরাপত্তা নিয়ে আমি আর চিন্তিত নই। সে ভালোই থাকবে ইনশাআল্লাহ।

২৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: হিন্দুরা তো মাটি দিয়েই দেব-দেবীর মূর্তি বানায়। তাহলে সে মাটি যদি কোন মুসলিমের জায়গা থেকে আসে তাহলে মুসলিমদের কি মাটি পৃথিবী থেকে গায়েব করে দিতে হবে ! আর এত মাটি গায়েব করবে কিভাবে!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ভালো বলেছেন।


ধন্যবাদ ভাই মোহেবুল্লাহ অয়ন। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: আহারে :(

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মানবতা ভূলুণ্ঠিত।


ধন্যবাদ বোন উম্মে সায়মা। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।।

২৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পড়া শেষ করে স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম।। ধ্মান্ধ কিন্ত ধর্ম নিজে না।। ধর্মান্ধ ধর্ম পালনকারী।।।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অবশ্যই। ধর্মই তো ধর্মান্ধ হতে মানুষকে নিষেধ করেছে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ও মানবতার স্খলন আমাদের ধর্মে নিষিদ্ধ।


ধন্যবাদ ভাই সচেতনহ্যাপী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়। সব কিছুর উর্ধ্বে মানবতা!
গল্পে গল্পে আপনি মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন!

জয় হোক মানবতার!

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়। সব কিছুর উর্ধ্বে মানবতা!


এ্যাবসলিউটলি রাইট। ধন্যবাদ ভাই রাসেল উদ্দীন। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: খুব কষ্ট পেলাম পড়ে।

আমরা কেন জানি কোন কিছুতেই নিজের বিবেক বুদ্ধির ব্যবহার করিনা।

ধর্মান্ধ আমার সমাজে এমনভাবে গেড়ে বসেছে যে এর কারনে এত হানাহানি।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সঠিক উপলব্ধি।


ধন্যবাদ বোন ফেরদৌসা। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হাফিজ হুসাইন সাহেব আমি এক সময় মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে এসেছি, মাদ্রাসায় পড়লেই মনটা এতো সংকির্ন হতে হবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নাই। ধর্মান্ধ কিছু কাঠ মোল্লা ভুল সিদ্ধান্ত দিলে অবশ্যই তার প্রতিবাদ করতে হবে, যা আবু হেনা ভাই করেছেন। যা সঠিক তা সব সময়ই সঠিক, আর বেঠিকটাও তাই। হুজুর বললে ওটার অন্যথা হওয়ার সুযোগ নাই। আশা করছি মাদ্রাসায় পড়লেও আপনার দৃষ্টিশক্তি আরো প্রসারিত হবে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলে হাফিজ হুসাইন সাহেব আমার গল্প পড়ে কিছুই বুঝেননি। তাই উনার মন্তব্যের আমি কোন জবাব দিইনি। এ ধরনের মন্তব্যের জবাব দেওয়া আর অরন্যে রোদন করা একই ব্যাপার।

তবে যেহেতু ব্লগ হলো ভিন্নমত প্রকাশের প্লাটফরম, সবাই নিজ নিজ মতামত প্রকাশের অধিকার রাখেন, তাই আমি তার মন্তব্য মুছে দিইনি এবং তার ভিন্নমত প্রকাশের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখিয়েছি। সমস্যা হলো কেউ কেউ শিরক, কুফরি এইসব শব্দ যতটা বুঝেন, মানবতা ও মনুষ্যত্ববোধ শব্দগুলির কিছুই বুঝেন না। আল্লাহ তায়ালা এসব মানুষকে হেদায়েত করুন, এই দোয়া করি।

ধন্যবাদ কামাল ভাই।

৩১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

সামিয়া বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে ভালোলাগলো। মেয়েটির মঙ্গল হয় এমন কিছু কি করা যায় ওর জন্য??
ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা।।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মেয়েটির জন্য আমি কিছু করার চেষ্টা করছি। আল্লাহর রহমত ও আপনাদের দোয়া থাকলে নিশ্চয় সে ভালো থাকবে।


ধন্যবাদ বোন ইতি সামিয়া। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,





এইসব অশিক্ষিত, মূর্খ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন , ধর্মান্ধ মানুষগুলোর জন্যেই ফুলের বাগানে সাপ এসে হানা দেয় বারেবারে ।

মনুষ্যত্ব ও মানবিক মূল্যবোধে ঋদ্ধ একজন "আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম"কে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এইসব অশিক্ষিত, মূর্খ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন , ধর্মান্ধ মানুষগুলোর জন্যেই ফুলের বাগানে সাপ এসে হানা দেয় বারেবারে ।



খুব সুন্দর কথা বলেছেন আহমেদ জী এস ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

তারেক ফাহিম বলেছেন: পুরোটা পড়া হয়নি, সময় নিয়ে পড়বো মনে করে প্রিয়তে নিয়ে নিলাম।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই তারেক ফাহিম।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

হাফিজ হুসাইন বলেছেন: ।@ সাদা মনের মানুষ। আলহামদুলিল্লাহ আমিও কিন্তু মাদরাসায় পড়ি। এবং বর্তমানে আমি সিলেট আলিয়া মাদরাসায় অনার্স পড়তেছি। হ্যা একথা অনেকটাই সঠিক যে অনেক মাদরাসা ছাত্রই লজিক, বাস্তবতা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বুঝে না। সামাজিক বিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বুঝে না। হয়ত তাদের মধ্যেই অনেকে না বুঝে সংকীর্ণ থাকে।

কিন্তু আমার বক্তব্যের সারমর্ম তা মোটেই নয়। আমি ইসলাম ধর্মকে পৃথিবীর সবচেয়ে ধর্ম বলেই পড়েছি। এটা আমার ব্যক্তিগত মত নয়। ইসলাম সম্পর্কে পৃথিবীর বড় বড় মনীষী (এমনকি অমুসলিম ও) তাই বলেন। আমার বক্তব্য হল আপনি যদি একজন মুসলিম হোন তবে কেউ একজন আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাকে পুজা করবে তাতো অন্তত ভালবাসবেন না। কিন্তু ইসলাম তো মানুষকে জোর করে মুসলমান বানাতে নিষেধ করেছে। তাই সে তার ধর্ম পালন করবে এটাই তো স্বাভাবিক। এবং ইসলাম বলে তার ধর্ম পালনে আপনি কখনো বাধা দিতে পারেন না। এবং একজন অমুসলিম বলে আপনি কখনো আপনি সামাজিক ভাবে হেয় করতে পারবেন না। কিন্তু তাই বলে তো তার মূর্তিপুজা ইত্যাদি সমর্থন করতে পারেন না।

আর আরেক টা কথা। হিন্দু ভাই যারা তারা পুজা করেন ফুল দিয়ে। তাই পুজার ফুল কিনে আনাই তো যথার্থ। কেন আপনি অপর একজনের গাছের ফুল দিয়ে পুজা করবেন। যার থেকে কিনলেন সে কি মালিককে তা বলে এনেছে। যদিও আপনি কিনেন না কেন। নিজেই ফুল গাছ লাগান। কেউ একজন আপনাকে অন্যের গাছ থেকে ফুল এনে দেবে আর আপনি তা দিয়ে পুজো করবেন এটা কি ঠিক।

আরেকটা কথা। ধরুন আপনি একটা গরু জবাই করবেন। কিন্তু যদি চাকু না পান তাহলে যদি আপনার প্রতিবেশী হিন্দু ভাইটিকে বলেন যে ছুরিটা দেন তাহলে তিনি দিলেও কি মনে মনে কি তিনি অসন্তুষ্ট থাকবেন না?

৩৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গুরুজী আপনার গল্প পড়ে ভাল লাগলো। মানবতা আর ধর্মান্ধতা দুই চমৎকার ফোটাতে সক্ষম হয়েছেন। সেলুট আপনাকে, এই গল্প থেকে এই ব্রত নিক মানুষ,মানুষ হতে হলে মানবতাবোধ প্রয়োজন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান সুজন।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

রাতু০১ বলেছেন: ধর্মীয় গোঁড়ামী আমাদের দেশের অনেক গভীরে শেকড় বিস্তার করে আছে। যার জন্য ফুলের বাগানে সাপের আস্তানা অনেক বেশি হয়ে গেছে। আপনার লেখায় মুগ্ধতা এবং শুভকামনা।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধর্মীয় গোঁড়ামী আমাদের দেশের অনেক গভীরে শেকড় বিস্তার করে আছে। যার জন্য ফুলের বাগানে সাপের আস্তানা অনেক বেশি হয়ে গেছে।

একেবারে ঠিক কথা বলেছেন। ধন্যবাদ ভাই রাতু০১। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: ধর্মীয় গোঁড়ামি মানুষকে কতটা অমানবিক করে তোলে গল্প বলার মধ্য দিয়ে চমৎকার ভাবে বলেছেন। খুব ভাল লাগল।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ করুণাধারা।



ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

নীলসাধু বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন।
গল্প এবং মন্তব্য পড়ে ভালো লাগা টের পাচ্ছি।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি নীলসাধু ভাই।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪০

জাহিদ অনিক বলেছেন:


ফুলের বাগানে সাপ; আমি তো আক্ষরিক অর্থেই সাপ খোজা শুরু করে দিয়েছিলাম। পড়ে দেখলাম সাপ আছে কিছু ধর্মান্ধের মনে। ওদের অভিশাপ দেই।


হাফেজ সাহেব এর কথার কোন যুক্তি খুঁজে পেলাম না ! উদ্ভট !

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পড়ে দেখলাম সাপ আছে কিছু ধর্মান্ধের মনে।


একেবারে সঠিক উপলব্ধি। ধন্যবাদ ভাই জাহিদ অনিক। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৪০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ধর্ম ব্যবসায়ী মজিদরা ছিলো, আছে, হয়তো থাকবেন!!


মানবতা, মনুষ্যত্ব যদি ধর্মের মূল কথা হয় তবে সেখানে অমন গোড়ামি ফতোয়া অবশ্যই অধর্ম!!

গল্পের শেষে আপনার দেয়া ম্যাসেজটার সাথে সহমত পোষণ করছি!:)

++

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: : মানবতা, মনুষ্যত্ব যদি ধর্মের মূল কথা হয় তবে সেখানে অমন গোড়ামি ফতোয়া অবশ্যই অধর্ম!!



চমৎকার মূল্যায়ন। ধন্যবাদ ভাই বিলিয়ার রহমান। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৪১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার জন্য শ্রদ্ধা আর মেয়েটির জন্য দোয়া রইলো।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কঙ্কাবতী রাজকন্যা।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৪

ফরিদ আহমাদ বলেছেন: আপনি না বললেন কেন? লিখাটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো। মানুষ কতটা নিচু হতে পারে এইসব আলিম নামের কুলাংগার তার অসাধারন উদাহরন।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি না বললেন কেন? লিখাটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো। মানুষ কতটা নিচু হতে পারে এইসব আলিম নামের কুলাংগার তার অসাধারন উদাহরন।

তোমার প্রথম বাক্যটির অর্থ আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। দয়া করে খোলাসা করবে কী? মন্তব্যের বাঁকি অংশের জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থেকো। শুভকামনা রইল।

৪৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা গল্প অসাধারণ হয়েছে। মেয়েটিকে আপনার সাহায্য করার কথা শুনে মন ভরে গেল।
"Hands that help are more sacred than lips that pray" -মাদার টেরেসা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: "Hands that help are more sacred than lips that pray" -মাদার টেরেসা।

আমি দৃঢ়ভাবে এই কথা বিশ্বাস করি। মানুষকে ভালবাসা এবং তাকে সাহায্য করার চাইতে বড় কোন ইবাদত নেই।

ধন্যবাদ ভাই বাবুরাম সাপুড়ে১। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০

প্রামানিক বলেছেন: কাহিনী পড়ে আমাদের সমাজের কুসংস্কারের একটি চিত্র চোখে পড়ল। এরকম অনেক ঘটনা আমাদের সমাজে ঘটে থাকে, যা কোরান হাদীসের সাথে আদৌ মিল নেই। চমৎকার একটি বাস্তব কাহিনী তুলে ধরেছেন। আপনার জীবন ঘনিষ্ঠ গল্পের তুলনা নাই।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

জুন বলেছেন: এই ধর্মান্ধতা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে আমাদের সবার ভেতরে বর্তমানে এমন ভাবে প্রবেশ করেছে যা ভাবলেও অবাক হই। আলীম সাহেবদের মত মানুষই আজ দুনিয়াজুড়ে হেনা ভাই । সাবিনার জন্য রইলো একরাশ সহানুভূতি ।
খুব ভালোলাগলো আপনাকে প্রতিবাদী চরিত্রে দেখে ।
+

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন জুন।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কি সুন্দর সহজ সতেজ মায়া আপনার ;
এমন সব গল্প পৃথিবীতে সুন্দর করে ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন মনিরা সুলতানা।


ভালো থাকুন শুভেচ্ছা রইল।

৪৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আজ ১০ ই নভেম্বর, শুক্রবার
সাহিত্য আড্ডার আড্ডা বার!
চলে আসুন 'বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র'র ক্যাফেটেরিয়ায়।
লিফটের সর্বোচ্চ ৮ চেপে জাস্ট উপরে খোলা আকাশের নিচে সবুজ সমারোহে চা পর্বে দেখা হয়ে যাক আড্ডাবাজদের।
বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে চারটায় দেখা হচ্ছে তবে!
যোগাযোগঃ
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামঃ ০১৮১৯-৫১৮৯৩৪
এটিএম মোস্তফা কামালঃ ০১৫৫৮৩০৮৮৪৮
আশরাফুল ইসলাম দুর্জয়ঃ ০১৭২৪-৬১৪২৫৬

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ ভাই এ টি এম মোস্তফা কামাল।

৪৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৮

আখেনাটেন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের এই কাহিনিগুলো শুনলে গা শিউরে উঠে। কি ভয়ঙ্করভাবেই না মানুষ সে সময় দিন কাটিয়েছে।

ভাবায় যায় না।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি সম্ভবত আমার লেখা 'স্মৃতিচারণঃ বেঁচে আছি আজও' পড়ে এই মন্তব্যটি করেছেন। কারণ, আপনার মন্তব্যটি এই পোস্টের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

যাই হোক, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৪৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। এমন ভুল কেমন করে হল!!! দুটোই একসাথে ট্যাপ খোলা ছিল।

মন্তব্যটা এবার ওখানে পেস্ট করেছি। এটা ডিলিট করতে পারেন।

ভালো থাকুন ব্লগার অাবুহেনা মো: আশরাফুল ইসলাম ভাই।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এটা কোন ব্যাপার নয় ভাই। এরকম অসংখ্য ভুল আমরা সবাই করি।


অনেক ধন্যবাদ।

৫০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আগে পড়ে গিয়েছিলাম। মন্তব্য করতে পারিনি সময়াভাবে। ভেবেছিলাম কিছু ভেবে বলবো।

আমি আলিম সাহেবের সাথে একমত নই।

স্বল্প শিক্ষাই এ অবস্থা করেছে উনাদের মতো লোকদের।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্বল্প শিক্ষাই এ অবস্থা করেছে উনাদের মতো লোকদের।


হাঁ, এটাই মূল সমস্যা। এই জন্য প্রবাদ আছে, অশিক্ষিত বন্ধুর চেয়ে শিক্ষিত শত্রু ভালো।

ধন্যবাদ ভাই সত্যপথিক শাইয়্যান। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৫১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

আরাফআহনাফ বলেছেন: সাবিনা/সাবিনাদের জন্য আপনার হৃদয়ের ভালোবাসাটুকু অনুভব করলাম যেন - শীত-পোষাকের ঐ উষ্ণতার মতো করে ! !
মানবধর্মই সব ধর্মের মূল কথা - অথচ কত না অন্ধকারে পড়ে আছি আমরা, এখনো ! ! ! !


ভালো থাকুন আপনি সবসময় - অশেষ শুভ কামনা ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মানবধর্মই সব ধর্মের মূল কথা - অথচ কত না অন্ধকারে পড়ে আছি আমরা, এখনো ! ! ! !



সত্যিই তাই। হাজার হাজার বছরের অন্ধকার আজও কাটলো না আমাদের মন থেকে। আফসোস!

ধন্যবাদ ভাই আরাফআহনাফ। ভালো থেকো। শুভকামনা রইল।

৫২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই সাপের নাম কী? বিষ আছে?

৫৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এটা ফুলের বাগানের সাপ, নামটা তো আপনারই ভালো জানার কথা :-B

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বুইড়া মাইনষের কিছু মনে থাকে না ভাই। এই সাপ তো খুবই বিষাক্ত।

৫৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৫

অলিউর রহমান খান বলেছেন: স্যার! আপনার লিখাটা আমি খুব মন দিয়ে পড়ছিলাম। গল্প পড়ছিলাম মনে মনে কিন্তু ক্ষীণ ভোরের আলোতে সাবিনার ফুল কুড়ানোর দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠেছিলো স্পষ্ট ভাবে।
আমি একটি গল্প পড়িনি, আমি একটি করুন, হৃদয় নিংড়ানো ও বাস্তব দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে রইলাম।

-আপনার কৌশলী লিখা আমায় মুগ্ধ করেছে। এমন ভাবে গল্পটি বর্ননা করেছেন যা চোখের সামনে ভেসে উঠেছে অবলীলায়।
-আপনার গল্প আমাকে আনন্দ দিয়েছে পরম মমতা মাখানো ভালোবাসা ও দায়িত্বশীলতায়।
-আপনার গল্প আমাকে কাঁদিয়েছে সাবিনার ক্ষুধার্ত মুখ ও অনিশ্চিত ভবিষ্যত দেখে।

-আচ্ছা স্যার, “একটা কথা বলবেন?”
সাবিনাদের চোখের অশ্রুকণা কি একেবারে মূল্যহীন?
তাদের কে আদর করে দুটো হাত বাড়ানোর মত কি কেউ নেই সমাজে?
আমরা কি স্যার পশু?

আমরা যদি মানুষ হতাম, সাবিনারা তো না খেয়ে থাকার কথা নয়।
আমরা যদি মানুষ হতাম, সাবিনাদের জীবনে ও আসতে পারতো সুনালী সকাল।
যে সকাল নিয়ে আসতো আনন্দের বার্তা, যে সকাল নিয়ে আসতে এক পৃথিবী হাসি।
যে হাসি হতো চিরসবুজ ও অমলিন....





১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: -আপনার গল্প আমাকে আনন্দ দিয়েছে পরম মমতা মাখানো ভালোবাসা ও দায়িত্বশীলতায়।
-আপনার গল্প আমাকে কাঁদিয়েছে সাবিনার ক্ষুধার্ত মুখ ও অনিশ্চিত ভবিষ্যত দেখে।



মানুষের মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত হোক, এই আশা নিয়েই আমি লেখালেখি করি। আপনার মতো করে আমরা সবাই যদি ভাবতে পারতাম, তাহলে এই মাটির পৃথিবীই হয়ে উঠতো স্বর্গ।

ধন্যবাদ ভাই অলিউর রহমান খান। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৫৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

অলিউর রহমান খান বলেছেন: জনাব আসল ভাবনাতো আপনি ভেবেছেন না হলে সাবিনাদের গল্প তৈরী হতো না।
আপনার লেখা এতই উন্নত মানের যে, মুগ্ধ ছাড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে।

আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ জনাব
এত সুন্দর একটি লিখা উপহার দেয়ার জন্য।
আপনার প্রতি রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি একজন অতি সামান্য গল্পকার। লেখালেখি করি মানুষের জন্যে। আর দশজন সাধারণ মানুষের সাথে আমার কোনই পার্থক্য নাই। আপনার কাছে গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে আমি খুশি হয়েছি। সাবিনাদের জন্য আপনাদের মতো মহৎ হৃদয় মানুষদের সহমর্মিতাই আমার গল্প লেখার পুরস্কার।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই অলিউর রহমান খান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.