নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ আঁতেল আতাউর

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আতাউর নামে আমার এক আঁতেল কিসিমের বন্ধু আছে। সে আমার সব লেখাই পড়ে এবং ফোনে বা সাক্ষাতে সমালোচনা করার সুযোগ কখনো হাতছাড়া করে না। এই লেখাটিও সে পড়বে এবং ধুন্ধুমার সমালোচনা করবে, আমি নিশ্চিত। গল্পে তার আসল নাম উল্লেখ করার কারণে এই বুড়ো বয়সেও তার হাতে আমার ঘুষি খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তারপরেও আঁতলামির সাথে তার নামটা এত সুন্দরভাবে মানিয়ে যায় যে এই গল্পের একটা জম্পেশ শিরোনামের জন্য ঘুষি খাওয়ার ঝুঁকিটা নিতেই হলো।

তো আঁতেল আতাউর কিন্তু আক্ষরিক অর্থেই ইন্টেলেকচুয়াল। সে হলো জ্যাক অফ অল ট্রেডস, বাট মাষ্টার অফ নান। তাকে দেখলে ‘বইয়ের পোকা’ শব্দগুলি আর আলাদাভাবে ব্যাখ্যা করার দরকার হয় না। দাঁড়িয়ে, বসে বা শুয়ে যে অবস্থায় থাকুক না কেন, তার হাতে একখানা বই নেই-এই দৃশ্য অকল্পনীয়। স্কুল জীবন থেকে বর্তমানের অবসর জীবন পর্যন্ত তার বইপ্রেম একই রকম। ডায়াবেটিসের কারণে প্রতিদিন সকালে তাকে হাঁটতে হয়। এই সময়েও তার হাতে একখানা বই থাকে। হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে গেলে রাস্তার ধারে বসে সে বইয়ের দুটো পৃষ্ঠা পড়তে পড়তে জিরিয়ে নেয়, তারপর আবার হাঁটা ধরে।

সত্যি কথা বলতে কী, আতাউরের কারণেই জীবনে আমার অনেক বই পড়া হয়েছে। স্কুল জীবন থেকে সে আমাকে বই ধার দেয় এবং ধারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ছোটলোকের মতো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বই কেড়ে নেয়। এ কারণে অনেক ভালো ভালো বইয়ের শেষ অংশ আমার পড়া হয়নি।
তবে আতাউর পড়া ছাড়া কখনো লেখার চেষ্টা করেনা। সে হলো বিশুদ্ধ পাঠক। আমি জীবনে কোনদিন তাকে লেখালেখি করতে দেখিনি। এ ব্যাপারে তার কোন আগ্রহও নেই।

২০১১ সালে আমার লেখা উপন্যাস ‘স্বপ্ন বাসর’ প্রকাশিত হলে আঁতেল আতাউরকে একটা সৌজন্য কপি দিলাম। সকালে বই হাতে পেয়ে সে আলোর গতিতে পড়া শেষ করে বিকেলে আমাকে ফোন দিল। বললো, ‘এক্ষুনি আমার বাসায় চলে আয়। শাহীনা (আতাউরের ছেলে-বউ) তোর আর আমার জন্য ডালপুরি বানাচ্ছে। তুই না আসা পর্যন্ত আমি কিন্তু খাচ্ছি না।’

বুঝলাম, আমার কপালে অনেক দুঃখ আছে। কিন্তু কী আর করা! স্ত্রী বিয়োগের পর থেকে আতাউর নিঃসঙ্গ। বাসায় তার ছেলের বউ আর বাইরে আমি ছাড়া তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ নেই। তাই প্রচুর সমালোচনা হজম করার মতো মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ওর বাসায় গেলাম। বাসায় ড্রইং রুমের একটা অংশ এক কালে কয়েকটা শো-কেস দিয়ে পারিবারিক লাইব্রেরীর মতো করা হয়েছিল। কিন্তু এখন পুরো বাড়িটাই লাইব্রেরী। একমাত্র বাথরুম ছাড়া সব ঘরে মেঝের ওপর বইয়ের স্তূপ। এ রকম কয়েকটা স্তূপের আড়ালে আমার উপন্যাসটা হাতে নিয়ে ঘাপটি মেরে বসে আছে আতাউর। আমাকে দেখে সে হাত ইশারায় মেঝের ওপর বসতে ইঙ্গিত করে বললো, ‘এই বুড়ো বয়সে লাভ স্টোরি লেখার কুবুদ্ধি তোকে কে দিয়েছে?’
আমি আমতা আমতা করে বললাম, ‘না, মানে সেলফ বায়োগ্রাফিক্যাল নভেল তো! আর তুই তো আমার সবই জানিস ভাই!’
‘হাঁ জানি। উপন্যাসের কাহিনী নিয়ে তো আমি কিছু বলছি না। কিন্তু এসব প্রেম ভালোবাসা নিয়ে লেখালেখি করবে ছেলে ছোকরারা। তুই লিখবি ক্ল্যাসিক উপন্যাস। মাদার, ওয়ার এ্যান্ড পিস, দি ওল্ড ম্যান এ্যান্ড দি সী, আঙ্কেল টম’স কেবিন।’
‘ওগুলো তো লেখা হয়ে গেছে। আমি আবার নতুন করে কী লিখবো?’
‘আরে ব্যাটা গর্দভ! ওগুলো লিখতে তোকে কে বলেছে? ওরকম ক্ল্যাসিক উপন্যাস লিখে দেখা। তবে তো বাংলা সাহিত্যে অমর হতে পারবি! উঠতি বয়সের মেয়ে পটানো নভেল লিখে ব্যাটার লেখক হওয়ার শখ!’
আমি চুপ করে আছি দেখে আঁতেল আতাউর বললো, ‘তোর দ্বারা হবে না। তুই তো অতো উঁচু মাপের লেখক না। তা’ছাড়া তুই লেখালেখি শুরু করলি কবরে যাওয়ার আগে। সব কিছুর একটা পিক পিরিয়ড থাকে, বুঝলি? এই জেনারেশনের পাঠকরা তোর মতো বুড়ো হাবড়ার লেখা পড়বে কেন?’
আমি বললাম, ‘এই জেনারেশনের পাঠকরা হুমায়ূন, সুনীল, শীর্ষেন্দু এদের মতো বুড়ো হাবড়াদের লেখাই তো পড়ছে।’
আতাউর রেগে গিয়ে বললো, ‘তুই কী তাদের মতো চল্লিশ পঞ্চাশ বছর ধরে লিখছিস? মাত্র এক বছর আগে লেখা শুরু করে ব্যাটার আঁতেল আঁতেল কথা! বানান শুদ্ধ করে লিখতেই তো তোর মতো গর্দভের দু’চার বছর চলে যাবে। ব্যাটা হুমায়ূন সুনীলের সাথে নিজের তুলনা করছে। আহাম্মক কোথাকার!’

এরপর আমার কী লেখা উচিৎ, কীভাবে লেখা উচিৎ, কেন লেখা উচিৎ-এসব বিষয়ে আঁতেল আতাউর রবীন্দ্রনাথ, হেমিংওয়ে ও বার্নার্ড শ’র রেফারেন্স সহ বেশ কিছু মূল্যবান পরামর্শ দিল। ইতিমধ্যে তার ছেলের বউ শাহীনা ডাইনিং টেবিলে গরম গরম ডালপুরি, আলুর চপ, নিমকি ও টমেটো সস পরিবেশন করে আমাদের ডাকতে এসেছে। এই মেয়েটা দুই বছর হলো বিধবা। ঢাকা থেকে বিমানযোগে রাজশাহী ফিরে আতাউরের স্ত্রী ও একমাত্র পুত্র ফারুক বিমানের মাইক্রোবাসে এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় ফিরছিল। পথে ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জনেই মারা যায়। এরপর থেকে নিষ্প্রাণ মেয়েটা শ্বশুরকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছে। আমরা খেতে বসলে সে আমাকে বললো, ‘চাচা, আপনি একটু আব্বাকে বোঝান তো। বই পড়তে গিয়ে দুপুরে আব্বার গোসল, খাওয়া, নামাজ কিচ্ছু হয়নি। ডায়াবেটিসের রোগী, এসব অনিয়ম করলে......।’বলতে বলতে শাহীনা শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছে নিরব হয়ে গেল।
আমার খুব রাগ হলো। বললাম, ‘এটা কেমন কথা হলো আতা? গোসল খাওয়া বাদ দিয়ে বই পড়া?’
শাহীনা বললো, ‘উপন্যাসে আপনি কী লিখেছেন, আমি জানিনা। আপনি আসার দশ মিনিট আগেও আব্বা উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠাগুলো বার বার পড়ে চোখ মুছছিলেন। এই বয়সে এমন ইমোশন শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আব্বাকে সেটা আমি বোঝাতে পারছি না, চাচা।’
আতাউর অসহিষ্ণু কণ্ঠে বললো, ‘আরে বাবা, বাধ্য হয়ে অনেক সময় অনেক কিছু করতে হয়। থার্ড ক্লাস কোয়ালিটির লেখা জেনেও পড়লাম। হেনা আমার ছোটবেলার বন্ধু। সে শখ করে একটা উপন্যাস লিখেছে। না পড়ে ফেলে রাখবো, বলো?’

পত্রিকায় আমার লেখা ছাপা হলে আঁতেল আতাউর কখনো কখনো আমাকে ফোন করে খবর দেয়। বলে, ‘তোর একটা উদ্ভট লেখা ছাপা হয়েছে পত্রিকায়।’ আবার কখনো কখনো আমাকেও খবর দিতে হয় ওকে। পত্রিকায় বা ব্লগে লেখা প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওর ফোন না পেলে বুঝতে পারি আতাউর জানে না। তখন ওকে ফোন করে বলি, ‘আমার একটা থার্ড ক্লাস কোয়ালিটির লেখা বেরিয়েছে দোস্ত্। পড়ে দেখিস।’ লেখা পড়ার পর আতাউর আমাকে ফোন করে জানায়, ‘তোর আরও পড়াশুনা করার দরকার আছে।’

একদিন স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক লিয়াকত সাহেবের সাথে দেখা হলে তিনি বললেন, ‘আপনার বন্ধু আতাউর সাহেব আমাদের খুব জ্বালাতন করছেন।’
‘আতাউর জ্বালাতন করছে? কী রকম?’
‘উনি প্রায় প্রতিদিন ফোন করে জানতে চান আপনি কোন লেখা দিয়েছেন কী না।’
‘সে কী! আমাকে ফোন করলে তো আমিই বলে দিই। অহেতুক আপনাদের জ্বালাতন করে কেন?’
‘সেটা আপনি তাকে একটু বলে দিয়েন বড় ভাই।’
আমি আতাউরকে ফোন দিলাম। বললাম, ‘এই পাঁঠা, সারাজীবন এত বই পড়ে তুই পাঁঠাই থেকে গেলি। মানুষ হতে পারলি না।’
আতাউর গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করলো, ‘কেন, কী হয়েছে?’
‘তুই লিয়াকত সাহেবকে রোজ রোজ ফোন করে জ্বালাতন করিস কেন? পত্রিকায় কী রোজ রোজ কারো লেখা ছাপা হয়? ঢাকা বা রাজশাহীর কোন পত্রিকা বা অনলাইনে লেখা বেরলে আমিই তোকে ফোন করে জানাবো। ঠিক আছে? অহেতুক মানুষকে ডিস্টার্ব করিস না।’
আতাউর ক্ষেপে গিয়ে বললো, ‘তোর লেখা বেরিয়েছে কী না, আমি খোঁজ করতে যাবো কেন? তেলাপোকাও একটা পাখি আর তুইও একটা লেখক! যা ব্যাটা! জীবনে আর তোর লেখা পড়বো না।’
‘ঠিক আছে, পড়িস না।’

আতাউরের সাথে এর আগেও কয়েকবার কথা কাটাকাটি করে আমার সম্পর্কচ্ছেদ হয়েছে। পরে আবার কীভাবে তা’ জোড়া লেগেছে বলা মুশকিল। এবার ওর ওপর ভীষণ রাগ হলো। বাসায় এসে বনফুলের ‘পাঠকের মৃত্যু’ গল্পের একটা ফটোকপি খামে ভরে ডাকযোগে ওর ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলাম। ওর তরফ থেকে উত্তর পেলাম হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে।

কড়া ঘুমের ওষুধে পৃথিবীর কোলাহল থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম আমি। চলছিল অক্সিজেন ও স্যালাইন। বলছি গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের কথা। হার্ট এ্যাটাকের পর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে পুরো একটা দিন ও রাত আমি ঘুমের ঘোরে অচেতন অবস্থায় ছিলাম। অথবা হয়তো কোমায় ছিলাম। ঠিক জানি না। তবে এটুকু মনে আছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছিল। ভর্তি হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আমাকে অনেক গুলো ইনজেকশন দেওয়া হয়। পরে ছেলেদের কাছে শুনেছি, প্রথম রাতটা নাকি আমাকে নিয়ে আজরাইলের সাথে ডাক্তারদের অনেক টানাহেঁচড়া হয়েছে।

দ্বিতীয় দিন ঢুলু ঢুলু চোখে আমার বেডের চারপাশে তাকিয়ে দেখি, আমার স্ত্রী ও দুই ছেলের পাশাপাশি আতাউরও উদ্বিগ্ন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি ওদের দেখে হাসার চেষ্টা করলাম। ডাক্তার ও নার্স এসে আমার স্ত্রী ছাড়া সবাইকে বেডের পাশ থেকে সরিয়ে দিল। আতাউর আমার ছেলেদের সাথে কেবিনের বাইরে করিডোরে দাঁড়িয়ে একটা বই পড়ে একবেলা কাটিয়ে দিয়ে বাসায় ফিরে গেল।

পরদিন সে আবার এলো। তারপরদিন আবার। মুখে কোন কথা নেই। চুপচাপ আমার বেডের পাশে কিছুক্ষণ সে দাঁড়িয়ে থাকে, তারপর চলে যায় করিডোরে, সেখানে বই পড়ে কিছু সময় কাটায়, তারপর আমার স্ত্রীর কাছে বিদায় নিয়ে চলে যায় বাসায়। অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও চেনাজানা লোকজন আসে আমাকে দেখতে। কিন্তু তাদের সাথে আমার কথাবার্তা বলা নিষেধ। এমনকি আমার ছেলেদের সাথে কথা বললেও ডাক্তার রাগারাগি করে। খুব প্রয়োজনীয় দু’একটা কথা হয় স্ত্রীর সাথে। আতাউরকে দেখে বুঝতে পারি, সে কিছু বলতে চায় আমাকে। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে বলতে পারে না।

পঞ্চম দিন আতাউর এলো ওর বৌমাকে নিয়ে। অন্যান্য দিনের মতো আমার স্ত্রীর কাছে নিম্ন স্বরে আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়ে সে শাহীনাকে কেবিনে রেখে করিডোরে গিয়ে দাঁড়ালো। আমি ইশারায় আমার স্ত্রীকে কাছে ডেকে ক্ষীণ কণ্ঠে বললাম, ‘আতাকে আমার কাছে আসতে বল।’
আমার স্ত্রী একটু ইতস্ততঃ করে আতাউরকে ডেকে নিয়ে এলো। আমি ওকে পাশে বসতে ইঙ্গিত করে বললাম, ‘কিছু বলবি?’
আতাউর কিছু না বলে চুপচাপ বসে রইল। আমি ক্লান্ত স্বরে বললাম, ‘ডাক্তারের আসার সময় হয়েছে। তোকে কিন্তু এখানে থাকতে দেবে না।’

আতাউর আমার বালিশের পাশে রাখা চশমাটা তুলে যত্ন করে আমার চোখে পরিয়ে দিয়ে ওর বুক পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে আমাকে দেখালো। কাগজে বড় বড় করে লেখা আছে, “পাঠকের মৃত্যু হলে লেখালেখি করবি কার জন্যে? তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠ্। তোর দ্বিতীয় উপন্যাসের কয়েকটা অধ্যায় লেখা বাঁকি আছে বলেছিলি। সেটা শেষ করতে হবে না?”
আমি আতাউরের কাগজ ধরা দুটো হাতের একটা নিজের হাতের মধ্যে নেওয়ার চেষ্টা করলাম। আতাউর ভেজা ভেজা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বাড়িয়ে দিল হাতটা।
[ সত্য ঘটনা অবলম্বনে ]
**********************************************************************************************************************
রি-পোস্ট

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি আতাউরের মনের মতো বই লিখেছেন, সেটাই ভালো

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পড়ছি আর ভাবছি, পরিচিত লিখা মনে হয় কেন? হেনা ভাইও শেষ পর্যন্ত ------ :P
পরে রিপোস্ট দেখে নিশ্চিত হলাম। =p~

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি আমার লেখালেখির জীবনে কখনো চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নিইনি ভাই। আমার প্রতিটি লেখা ১০০% মৌলিক। বরং আমার মৌলিক লেখাগুলির অনেকগুলো লেখাচোররা চুরি করে অন্যত্র প্রকাশ করেছে। অনেকে ধরা পড়েছে এবং আমার কাছে ক্ষমাও চেয়েছে। অনেকে ধরা পড়েনি। আমি এসব লেখাচোরকে চরম ঘৃণা করি।
আমি আমার পুরনো অনেক লেখা রি-পোস্ট দিই। এর একাধিক কারণ আছে। প্রথমত, যত বেশি সংখ্যক পাঠকের কাছে লেখাগুলো পৌঁছাবে, তত লেখাচোরদের পক্ষে কঠিন হবে আমার লেখা চুরি করে নিজের নামে অন্যত্র প্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, নতুন লেখা ব্লগে প্রকাশ করা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। আমার গত কয়েক মাসের লেখাগুলি লক্ষ্য করলে দেখবেন মাত্র একটা নতুন লেখা দিয়েছি। আর সবই হয় রি-পোস্ট আর নয়তো প্রবন্ধ/নিবন্ধ (যা আমি আগে কোনদিন লিখিনি)। প্রবন্ধ/নিবন্ধগুলি বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লেখা হয় বলে আমার বিবেচনায় এগুলো সৃষ্টিশীল ও মৌলিক লেখা নয়। এগুলো চুরি হয়ে গেলে অতটা কষ্ট লাগবে না। তৃতীয়ত, ব্লগ এমন একটি প্ল্যাটফরম, যেখানে নিত্য নতুন ব্লগার বন্ধুরা আসছেন এবং পুরনো ব্লগার বন্ধুরা সক্রিয় থাকছেন না। নতুন ব্লগার বন্ধুরা অনেকেই আমার লেখার সাথে পরিচিত নন। তাদের জন্যই রি-পোস্ট দেওয়া।

যাই হোক, আপনি কষ্ট করে পুনরায় লেখাটি পড়ায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: অনেকক্ষণ ভাবলাম কি লিখব। কিছু না পেয়ে লিখা আর হল না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোহেবুল্লাহ অয়ন।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৪

কালীদাস বলেছেন: আগে পড়িনি। ভাল লেগেছে।
লেখাটা নিয়ে একটা কথাই বলতে পারি: এরকম ফ্রেন্ড পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আপনি লাকি।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কালীদাস।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪২

ওমেরা বলেছেন: দাদু ভাইয়া আপনাদের বন্ধুত্বে মুগ্ধ হলাম । খুব ভাল লাগল দাদুভাইয়া।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ওমেরা বুবু।


ভালো থেকো। শুভকামনা রইল।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আতেল আতাউর এর মতন আপনি একজন বন্ধু পেয়েছেন যে বই পাগল, থার্ড ক্লাস লেখা বলে আপনার লেখা পড়ে, আপনাকে এপ্রিশিয়েট করে। আপনাকে উৎসাহ দেয়।
আপনার কি সৌভাগ্য!!

আপনার দুজনের দীর্ঘ সুস্থ জীবন কামনা করি। অনেক দোয়া রইলো। আল্লাহ্ আপনাদের দুজনকেই নেক হায়াৎ দান করুক।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আতেল আতাউর এর মতন আপনি একজন বন্ধু পেয়েছেন যে বই পাগল, থার্ড ক্লাস লেখা বলে আপনার লেখা পড়ে, আপনাকে এপ্রিশিয়েট করে। আপনাকে উৎসাহ দেয়।
আপনার কি সৌভাগ্য!!


হাঁ ভাই, আতাউরের মতো বন্ধু পেয়ে আমি সত্যিই সৌভাগ্যবান।

আপনাকে ধন্যবাদ ভাই ধ্রুবক আলো। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন: এরকম বন্ধু সবার জীবনে থাকা উচিত,
আপনার উপন্যাসটি আমি কিভাবে সংগ্রহ করতে পারি?
দ্বিতীয় উপন্যাসটি কি শেষ করেছেন?
আপনার বন্ধুর নিঃসঙ্গ জীবন কাহিনী আমার মন খারাপ করে দিল।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: উপন্যাসটির প্রথম মুদ্রণ ২০১২ সালেই শেষ হয়ে গেছে। ২য় মুদ্রণ করা খুবই জরুরী ছিল। কিন্তু একের পর এক নানা অসুখ বিসুখে সেটা আর সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য যে, উপন্যাসটি আমি নিজেই প্রকাশ করেছি। আগামীতে ২য় মুদ্রণ করলে অবশ্যই আপনাকে একটি কপি পাঠিয়ে দেব (যদি তখন আপনার সাথে যোগাযোগ থাকে)। উপন্যাসটির কিছু কপি আমাদের কয়েকজন ব্লগার বন্ধুর কাছে আছে। বাজারে এটি আর কিনতে পাওয়া যায় না।
২য় উপন্যাসটির কাজও একই কারণে ব্যহত হয়েছে। তবে এটি প্রায় শেষ করে এনেছি। আগামীতে একটি পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের কথাবার্তা চলছে।

ধন্যবাদ ভাই শাহিন-৯৯। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০২

সুমন কর বলেছেন: আগে পড়েছিলাম।

আসলে হৃদয় ছুঁয়ে যাবার মতো লেখা। বেশ লাগল।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দ্বিতীয়বার পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৫

সোহানী বলেছেন: সত্যিকারের বন্ধুর কথা শুনে ও পড়ে ভালো লাগছে হেনা ভাই।

অনেক ভালো থাকেন..........

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সোহানী।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:

“পাঠকের মৃত্যু হলে লেখালেখি করবি কার জন্যে? তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠ্। তোর দ্বিতীয় উপন্যাসের কয়েকটা অধ্যায় লেখা বাঁকি আছে বলেছিলি। সেটা শেষ করতে হবে না?”


প্রথমে ভেবেছিলাম হয়ত বেখেয়ালে উল্টাপালটা লিখেছেন, পরে এর দুইটা অর্থ পেলাম। কে পাঠক আর কে লেখক এটা বুঝতে পারাটাই এখানে আসল।

তেলাপোকাও একটা পাখি আর আমিও একটা পাঠক !

ধন্যবাদ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। হাসালেন আমাকে।


ধন্যবাদ ভাই জাহিদ অনিক। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

একদম নিচের লাইনটি পড়ে শেষ করেছি। B-)
আগে বলুন এ গল্প কি আমি আগে পড়েছি? B:-/

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আগে বলুন এ গল্প কি আমি আগে পড়েছি?


আপনার মতো আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ব্লগার গল্পটি আগে পড়েননি এটা হতেই পারে না। হয়তো মনে নেই।

ধন্যবাদ মইনুল ভাই। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



সত্যিকারের বন্ধু থাকাটা বিশাল বড় ভাগ্যের ব্যাপার। জগতটাই তো স্বার্থপরতায় ঢাকা।

বাস্তবতার ছোঁয়ায় গল্প ভাল লেগেছে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সত্যিকারের বন্ধু থাকাটা বিশাল বড় ভাগ্যের ব্যাপার। জগতটাই তো স্বার্থপরতায় ঢাকা।


হাঁ, সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। ধন্যবাদ ভাই নতুন নকিব। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেঁচে থাক বন্ধুতা !!!

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন মনিরা সুলতানা।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: দারুন বন্ধু আপনার। বন্ধুর গল্প বলেছেনও দারুন সুন্দর করে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই করুণাধারা।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ওটা ফান ছিল।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তবুও ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল লিটন ভাই। অন্যথায় অনেক সময় ভুল বুঝাবুঝি হয়ে থাকে। আপনাকে ধন্যবাদ।

১৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: এমন বন্ধু ভাগ্য অল্প মানুষেরই হয় ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এমন বন্ধু ভাগ্য অল্প মানুষেরই হয় ।


ঠিক বলেছেন। আমি ভাগ্যবান। ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সাধারণ মানুষদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটানোর মতো লেখাটি পাঠে মুগ্ধ । আপনার লেখা গল্প গুলি এখন খুব মন দিয়ে পড়ি। পড়া জরুরী ভেবে। । আপনার লেখা পাঠ বলেতে গেলে বছর দুয়েক ধরে, আমার এ ব্লগে আসার পরে । পাঠে জানতে পেরেছি আপনার সাহিত্যভাবনা, প্রবন্ধ, ইতিহাস বোধ, দেশপ্রেম, অনৈতিকতার বিরুদ্ধে কথা বলা, সব নিয়েই এক ধরনের রূচিশীল লেখকের পরিচিতি । যে পাঠক কোন লেখা পাঠে সমালোচনার প্রাচুর্য সত্ত্বেও তার আত্মার দীনতাকে প্রকাশ না করে বরং লেখাটির সত্যিকার গুনাগুন তুলে ধরে সেইতো বন্ধু পাঠক । এমন পাঠক বন্ধু পাওয়া সত্যিই বড় ভাগ্যের ব্যপার । কোন লেখা পাঠে তার ভিতরে থাকা আসল বিষয়টি বুদ্ধিদীপ্ত ও সুগভীর পাঠকের নজর এড়াতে পারে না বলে বিশ্বাস। কারো লেখা পাঠে সে সময়কার কিংবা সমসাময়িক কালের প্রবীণ-নবীন কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার ও ঔপন্যাসিকদের সাহিত্যকর্মের সাথে তুলনামুলক আলোচনা খুব কম পাঠকই করে থাকেন । আলোচনা কালে সে মৌখিক কিংবা লিখিত যে ভাবেই হোক আলোচিতগ্রন্থ বা লেখক সম্পর্কে নতুন কিছু আবিষ্কার করা সাহিত্যের আলোচনায় সৃজনশীলতারই প্রকাশ। আর এ কাজটই নিরন্তর করে চলেছেন গল্পের আঁতেল বন্ধু আতাউর।

আঁতেল আতাউর নীজে না লিখলেও সুন্দর করে মৌখিকভাবে করেছেন লেখার আলোচনা সমালোচনা । মনে পরে পঞ্চাশের দশকে আমাদের এ অঞ্চলে আবদুল হক এবং হাসান হাফিজুর রহমানের মাধ্যমে সমালোচনা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা তৈরি হয়েছিল। ষাটের দশকে আবদুল মান্নান সৈয়দ এবং হুমায়ুন আজাদের মাধ্যমে তার একটি সফল ধারাবাহিকতাও ছিল। ভালোবাসা, দীপ্তি ও গভীরতায় তা পাঠক হৃদয়কে আন্দোলিত করার মতো ছিল। এদের পরে ওই উচ্চতা নিয়ে লেখকদের মধ্যে খুব কম মানুষই সমালোচনা সাহিত্যকে রুচির পরিচ্ছন্নতা ও উপলব্ধির গভীরতায় আকর্ষণীয় ও উপভোগ্য করে তুলতে পেরেছেন বলে তেমনটি দেখা যায়না , তবে এখানে দেখা গেল আঁতেল আতাউরের জবানীতে এইগল্পের লেখক তা তুলে ধরেছেন খুবই সুন্দর ভাবে । ভাল লাগল আঁতেল আতাউরের বলা কথা “পাঠকের মৃত্যু হলে লেখালেখি করবি কার জন্যে? তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠ্। তোর দ্বিতীয় উপন্যাসের কয়েকটা অধ্যায় লেখা বাঁকি আছে বলেছিলি। সেটা শেষ করতে হবে না?” লেখক ও লেখার বিষয়ে তাঁর কত গভীর ও সুন্দর অপুর্ব মুল্যায়ন , স্যালুট জানাই এমন গুণমুগ্ধ পাঠককে ।

কামনা করি লেখক আর পাঠকের এই বন্ধুত্ব চির অম্লান থাকুক ,
লেখক ও আঁতেল পাঠক দুজনের জন্যই রইল শ্রদ্ধার্ঘ্য । লেখাটি প্রিয়তে গেল ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলে আমার লিখনীর সহজাত হিউমারের কারণে এই লেখায় বন্ধু আতাউরের সম্পর্কে আমি বিস্তারিত উল্লেখ করিনি। আপনার অসাধারণ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ওর সম্পর্কে কিছু বলতেই হচ্ছে। তার নিঃসঙ্গতার কথা তো লেখাতেই জেনেছেন। তার ওপর নানারকম রোগে শোকে কাতর আতাউর বর্তমানে খুব অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছে। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমির আয় এবং পেনশনের টাকায় তার সংসার চলে। সংসার বলতে সে নিজে আর তার বৌমা। মেয়েটি আতাউরের অসংখ্য অনুরোধ সত্ত্বেও আর বিয়ে করেনি। শ্বশুরকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছে। মেয়েটি তার বাবা মা ভাই বোন ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের অনুরোধেও পুনর্বিবাহ করেনি। আতাউরের কোন আর্থিক অসচ্ছলতা নেই। কিন্তু সঙ্গ দেওয়ার জন্য বৌমা ছাড়া আর কেউ নেই। সেই বৌমাও যদি তাকে ছেড়ে চলে যায় তো এই বয়সে সে সত্যিই খুব সমস্যায় পড়বে। মনে হয় শাহীনা ব্যাপারটা বুঝতে পেরে শ্বশুরকে ছেড়ে যেতে চায় না। আর আমি মাঝে মধ্যে ওকে সঙ্গ দিই। তারপরেও ওর মনের গভীরে হয়তো স্ত্রী পুত্র হারানোর একটা বেদনা রয়ে গেছে, যা সে কখনো প্রকাশ করে না।

আর আতাউরের পড়াশুনা ও সাহিত্যের উপর দখল অবিশ্বাস্য। একাডেমিক পড়াশুনা খুব বেশি কিছু নয়। মাস্টার্স করে সরকারি চাকরিতে ঢুকে গিয়েছিল। কিন্তু বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের এমন কোন মাস্টারপিস নেই, যা সে পড়েনি। এ ছাড়া প্রতিটি বিষয়ের ওপর ওর জ্ঞান সত্যিই অসাধারণ। সেই কারণে আমার সাথে আলোচনা সমালোচনার সময় সে অনায়াসে চট করে যে কোন রেফারেন্স দিতে পারে। আমি অনেকবার ওকে সমালোচনা সাহিত্য চর্চায় সিরিয়াসলি উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওর লেখালেখিতেই যত অনীহা। কে জানে, কেন?

যাই হোক, আপনার সংবেদনশীল ও সমৃদ্ধ মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতি উত্তরের জন্য । আপনার গুণী বন্ধু বরের করুন জীবন কাহিনী শুনে আমি বাকরুদ্ধ ।
তাঁর ও তার স্নেহময়ী বৌমার জন্য জন্য রইল সহানুভুতি ও দোয়া । আল্লাহ তাদের মঙ্গল করুন ।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

১৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: ইশ এমন বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার হেনা ভাই। পড়তে এত ভালো লাগছিল। ভালোই হল আপনি রিপোস্ট দেন। আগে তো পড়া হয়নি। আর পেছনের পোস্ট বের করেও পড়া হয়ে ওঠেনা।
আপনার আর আপনার বন্ধুর জন্য শুভকামনা।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালোই হল আপনি রিপোস্ট দেন। আগে তো পড়া হয়নি। আর পেছনের পোস্ট বের করেও পড়া হয়ে ওঠেনা।


খুবই স্বাভাবিক। কোন ব্লগার বন্ধুর পুরনো লেখাগুলো অনেকের পক্ষেই ওইভাবে খুঁজে বের করে পড়া সম্ভব হয় না।

ধন্যবাদ বোন উম্মে সায়মা। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। আগে পড়া ছিল না। একটা ভালো বন্ধু জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ...

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একটা ভালো বন্ধু জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ...


একেবারে সত্য কথা। ধন্যবাদ ভাই বি মা তা আ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গল্প অনেক ভাল লেগেছে হেনা ভাই।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোস্তফা সোহেল।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

সামিয়া বলেছেন: আপনার বন্ধুর কাণ্ড কীর্তি পড়ে কি যে ভাললেগেছে ভাইয়া ।।
সত্যিই আপনি অনেক অনেক লাকি যে এরকম একজন ডাই হার্ট ফ্যান বন্ধু পেয়েছেন।।
ভালো থাকুন আপনারা দুজন সুখে দুঃখে সবসময়।।
লেখা অনেক আবেগময় হয়েছে শেষের দিকে পড়তে পড়তে আমার ও কিন্তু চোখে জল চলে এসেছে ভাইয়া।।

এইভাবে পাঠকদের কাঁদাতে হয় নাকি?
আপনার গত বছর হার্ট এ্যাটাঁকের খবর আমার জানা ছিল না। সাবধানে থাকবেন । আল্লাহ্‌ আপনাদের আরও অনেক অনেক অনেক বছর বাঁচিয়ে রাখুক সেই দোয়া করি।।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লেখা অনেক আবেগময় হয়েছে শেষের দিকে পড়তে পড়তে আমার ও কিন্তু চোখে জল চলে এসেছে ভাইয়া।।


আপনার সংবেদনশীল মন্তব্যে আমিও আবেগাপ্লুত হলাম। আমাদের দুই বন্ধুর জন্য আপনার দোয়া প্রকৃত মানবিকতার পরিচয়।

ধন্যবাদ বোন ইতি সামিয়া। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: চমৎকার লেখা। আগে পড়া হয়নি।
আপনার বন্ধুর জন্য ভালোবাসা রইলো।
ভাল থাকবেন এবং লিখতে থাকুন।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ফয়সাল রকি।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: বেশ লেখা ,বেশ লেখা।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বাবুরাম সাপুড়ে১।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আইয়া পরছি আমি :D

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুরনো লেখা। পড়ে খামোখা কষ্ট করার দরকার নাই।


কই গেছিলেন?

২৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার স্বপ্ন বাসর পড়ে আমার দম বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিল, আমি আমার ঘরের ভেতর অক্সিজেনের ঘাটতি অনুভব করছিলাম। আসলে আপনার কষ্টটা আমার ভেতর সেধিয়ে গিয়েছিল। এখন অবশ্য আর ততো কঠিন মনে হয় না।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার স্বপ্ন বাসর পড়ে আমার দম বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিল, আমি আমার ঘরের ভেতর অক্সিজেনের ঘাটতি অনুভব করছিলাম।

ভাগ্যি ভালো, মারা যাননি। তাহলে তো উপন্যাস লিখে মানুষ মারার দায়ে আমার ফাঁসি হয়ে যেত। আল্লাহ, তুমি মোরে বাঁচাইছ।

২৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কোথাও যাইনি, আজ খালি গিন্নিরে নিয়া এ্যপোলোতে গিয়েছিলাম একজন ডায়েটিশিয়ানের কাছে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ডায়েটিশিয়ানের কাছে কেন? গিন্নি কী খাওয়া দাওয়া নিয়া ঝামেলা করেন? এটা খাবো না, ওটা খাবো না এরকম নাকি? ভাত মাখাইয়া গিন্নিরে খাওয়াইয়া দিলেই তো হয়। স্বামী হইয়া এটুকুও করতে পারেন না?

২৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ঠিক আছে, একদিন আইসা আপনার কাছ থেকে শিখে যাবো B-)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার কাছে শিখবেন ক্যামনে? আমি ভাত খাইতে না চাইলে আমার বুড়ি ভাত মাখাইয়া আমারে খাওয়াইয়া দেয়। শিখলে তার কাছে শিখবেন।

২৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ঠিক আছে, একদিন আইসা আপনার কাছ থেকে শিখে যাবো// এহেম! আপনারা যে এভাবে পারিবারিক আলোচনা করেন, জানা আপা কি তা জানে? X(

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। লজ্জা দিয়েন না মইনুল ভাই। =p~

৩০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৩

ডি মুন বলেছেন: এইরকম ভালো পাঠক এবং বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
আপনার উপন্যাসটা পড়ার ইচ্ছা আছে। সংগ্রহ করার কোনো উপায় কি আছে?

ভালো থাকুন হেনা ভাই

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ৭ নম্বর মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


ধন্যবাদ ভাই ডি মুন। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আতাউরের মতো বন্ধু পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার!!:)


গল্প ভালো লেগেছে!!:)

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিলিয়ার রহমান।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পুরানো লেখা নতুন করে পড়লাম। আপনার লেখার এমন সুহৃদ পাঠক আর পাবেন বলে মনে হয় না। টক-মিষ্টি-ঝাল লেখা। এক কথায় অসাধারণ!!!

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুনঃপাঠের জন্য ধন্যবাদ ভাই ভুয়া মফিজ।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আগেরবার মনে হয় ফস্কে গেছিলো,
রি-পোস্ট না দিলেতো পড়াই হতোনা,
ধন্যবাদ আবুহেনা ভাই আঁতেল আতাকে
আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: গল্প ভাল লাগলো। আপনি কি আগে মৌচেকে ঢিল - ম্যাগাজিনে লিখতেন ?

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, ২০১৪ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত মৌচাকে ঢিল পত্রিকায় আমি নিয়মিত লিখতাম। এখন অন্যান্য পত্রিকায় লিখি।


ধন্যবাদ বোন তামান্না তাবাসসুম। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৩

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার বন্ধু আপনার। এই রকম বন্ধু থাকলে আর কি চাই।


আপনার ও অাপনার বন্ধুর জন্য হিমালয়সম শুভকামনা।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আখেনাটেন।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩১

প্রামানিক বলেছেন: গল্পটি আগেও পড়েছিলাম আবারো পড়লাম। আপনার লেখা গল্প বারবার পড়লেও অরুচি হয় না পড়তেই মন চায়। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

শামচুল হক বলেছেন: আপনার লেখা গল্প সবসময়ই ভালো লাগে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শামচুল হক।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩

অলিউর রহমান খান বলেছেন: চোখের কোণে অশ্রু জমা হয়ে গেলো। এই আঁতেল সাহেবই “আপনার চোখের জনের মতিহার, বাদল দিনের বন্ধু।”
আপনার বন্ধুটিকে একবার দেখার সাধ জেগেছে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই আঁতেল সাহেবই “আপনার চোখের জনের মতিহার, বাদল দিনের বন্ধু।”


ঠিকই বলেছেন। আতাউরের মতো বন্ধু পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।

ধন্যবাদ ভাই অলিউর রহমান খান। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৩৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত একটি হৃদয়ছোঁয়া গল্প। পড়ে মুগ্ধ হ'লাম। আপনি ভাল গল্প লিখেন। কখনো সাক্ষাৎ হলে বোধকরি এটাও বলতে পারতাম, 'বলেনও'!
২ নং প্রতিমন্তব্যে দেয়া ব্যাখ্যাটুকুর জন্য ধন্যবাদ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ চাইলে হয়তো কোনদিন দেখা হয়েও যেতে পারে খায়রুল ভাই। গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৪০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ডঃ এম এ আলী লেখাটি গভীর মনযোগের সাথে পাঠ করে একটা চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য করেছেন (১৭ নং), এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর ঐ মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য থেকে আতাউরের বৌমা শাহীনা সম্পর্কে যতটুকু জানতে পারলাম, তাতে তার প্রতি মনে অগাধ শ্রদ্ধা শেকড় ছড়ালো। বিশেষ করে আপনার এই কথাগুলোতে ভেবে অবাক হই, কি অসাধারণ আত্মত্যাগের নিদর্শন এটাঃ মেয়েটি আতাউরের অসংখ্য অনুরোধ সত্ত্বেও আর বিয়ে করেনি। শ্বশুরকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছে। মেয়েটি তার বাবা মা ভাই বোন ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের অনুরোধেও পুনর্বিবাহ করেনি। আতাউরের কোন আর্থিক অসচ্ছলতা নেই। কিন্তু সঙ্গ দেওয়ার জন্য বৌমা ছাড়া আর কেউ নেই। সেই বৌমাও যদি তাকে ছেড়ে চলে যায় তো এই বয়সে সে সত্যিই খুব সমস্যায় পড়বে। মনে হয় শাহীনা ব্যাপারটা বুঝতে পেরে শ্বশুরকে ছেড়ে যেতে চায় না
আপনার এবং সাদা মনের মানুষ এর ব্লগিং কথোপকথন খুব উপভোগ করি। ব্লগিং জগতে আসার আগেও কি আপনারা একে অপরের সাথে পরিচিত ছিলেন??

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সাদা মনের মানুষের প্রকৃত নাম কামাল উদ্দিন। উনার সাথে আমার পরিচয় হয় ব্লগের মাধ্যমেই। তবে এই সামু ব্লগে নয়। বর্তমানে বিলুপ্ত 'প্রথম আলো' ব্লগে আমাদের পরিচয় হয়। সেটা ২০১১ সালের কথা। তখন থেকেই আমরা একে অন্যের ব্লগ পোস্টে মন্তব্যের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ হই। উনি একবার আমার বাড়িতেও এসেছেন।

কামাল ভাই একজন অত্যন্ত গুনী ফটোগ্রাফার। তাঁর ক্যামেরার কাজ অসাধারণ। ছবি তোলার জন্য সাবজেক্ট ও এ্যাঙ্গেল নির্বাচন, লাইটিং, ফোকাস ও পিক আপ করার ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা আন্তর্জাতিক মানের। তাঁকে আমি একাধিকবার ঢাকায় আলোকচিত্র প্রদর্শনীর জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু প্রচারবিমুখ এই গুনী ব্যক্তিটি আজ পর্যন্ত তা' করেননি। তাঁর আর একটি অসামান্য গুন হলো ভ্রমন করা। দেশে বিদেশে কত জায়গায় যে তিনি ভ্রমন করেছেন গুনে বলা যাবে না। অনেক বিপদসংকুল জায়গাতেও ভ্রমন করেছেন তিনি।

তাঁর ও আমার কয়েক জায়গায় খুব মিল আছে। সেটা হলো তিনি ভ্রমন ও ফটো ব্লগ ছাড়া অন্য কিছু পোস্ট দেন না। আর আমিও গল্পসহ কথাসাহিত্যের অন্যান্য বিষয় ছাড়া অন্য কিছু পোস্ট দিই না। তিনি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিষয় যথাসম্ভব এড়িয়ে চলেন। আমিও তাই করি। তিনি যেমন আমার লেখা পড়তে ভালোবাসেন, আমিও তাঁর ভ্রমন ও ছবি ব্লগগুলো খুব পছন্দ করি। সব মিলিয়ে ভার্চুয়াল জগতে হলেও কামাল ভাই ও আমি খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

কামাল ভাইয়ের মতো একজন গুনী মানুষের সম্পর্কে সামান্য দুই একটি কথা বলতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনি তার ও আমার সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই খায়রুল আহসান।

৪১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: নোটিফিকেশন বিভ্রাটের কারণে আমার মন্তব্যের উত্তরে দিনে দিনেই দেয়া আপনার এ সুন্দর প্রতিমন্তব্যটা এর আগে আমার নজরে আসেনি। চমৎকার এ প্রতিমন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই। নোটিফিকেশন বিভ্রাট সত্যিই এক মহা সমস্যা। কর্তৃপক্ষ কেন যে বিষয়টি সমাধান করছেন না, বুঝতে পারছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.