নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধুবালাঃ দ্যা ভেনাস অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮



সিনেমার নায়ক নায়িকারা কাল্পনিক প্রেম ভালোবাসার গল্পে অভিনয় করে থাকেন। আমরা দর্শকরা সেসব ছবি দেখে আবেগাপ্লুত হলেও জানি যে, এসব প্রেম ভালোবাসার গল্প সত্যি নয়। কিন্তু আজ এমন একজন নায়িকার কথা বলবো, যার বাস্তব জীবনে ব্যর্থ প্রেমের কাহিনী সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। বলিউডে ৭০ টি হিন্দী-উর্দু ছবিতে অভিনয় করা সেই নায়িকার নাম মধুবালা, যাকে তার জীবদ্দশায় বলা হতো দ্যা ভেনাস অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা।

আসল নাম ছিল মুমতাজ জাহান বেগম দেহলভী। অভিনেত্রী দেবিকা রানী তার ফিল্মি নাম রাখেন মধুবালা। ১৯৩৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লীতে তার জন্ম (কাকতালীয়ভাবে দিনটি ছিল ভালবাসা দিবস) এবং মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়। ভেন্ট্রিকুলার সেপটাল ডিফেক্ট বা হৃদপিণ্ডে ছিদ্র রোগ ছিল তার মৃত্যুর কারণ। তাকে সমাধিস্থ করা হয় মুম্বাইয়ের (তৎকালীন বোম্বাই) সান্তাক্রুজ মুসলিম সিমেট্রিতে।

মধুবালার পিতার নাম ছিল আতাউল্লাহ খান। তারা জাতিতে ছিলেন পশতুভাষী ইউসুফজাই গোত্রভুক্ত পাঠান। ৯ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে মধুবালা ছিলেন ব্যতিক্রমী সুন্দরী। খুব ছোটবেলা থেকেই তার সৌন্দর্য ও ভুবন ভুলানো হাসি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতো। তিনি যখন হাসতেন, তখন মনে হতো যেন চারদিকে ফুল ফুটেছে। একজন জ্যোতিষী (কাশ্মীরিওয়ালা বাবা নামেও পরিচিত) মধুবালার হাত দেখে বলেছিলেন, ‘এই মেয়ের ভবিষ্যৎ হবে খুবই বর্ণাঢ্য ও চাকচিক্যময়। বড় হয়ে সে অনেক সুনাম ও ধন সম্পদ অর্জন করবে। কিন্তু ভঙ্গুর প্রেম ও ভালোবাসাহীন বিবাহের কারণে সে অত্যন্ত অসুখী জীবন যাপন করবে এবং খুব কম বয়সে মারা যাবে।’ কাশ্মীরিওয়ালা বাবার সবগুলো ভবিষ্যতবাণী অক্ষরে অক্ষরে ফলে যায়।

পিতা আতাউল্লাহ খান পেশোয়ারে ইমপেরিয়াল টোব্যাকো কোম্পানিতে চাকরি করতেন। একবার যে কোন কারণে তার চাকরি চলে যায়। সংসারে চরম অভাব অনটন নেমে আসে। ছেলেমেয়েদের মুখে খাবারের জোগান দিতে তিনি হিমশিম খেতে থাকেন। দারিদ্র্যের কষাঘাতে আতাউল্লাহ খান সম্ভবত সাধারণ বোধ বুদ্ধিও হারিয়ে ফেলেন। মধুবালাকে সাথে নিয়ে তিনি বেশ কয়েকবার দিল্লী থেকে মুম্বাইয়ের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যাতায়াত করেন এই আশায় যে, যদি তার মেয়ে সৌন্দর্যের কারণে শিশু শিল্পী হিসাবে চলচ্চিত্রে কাজ পায় তাহলে তাদের সংসারের অভাব অনটন দূর হবে। তিন বছর চেষ্টার পর অবশেষে ১৯৪২ সালে ৯ বছর বয়সে ‘বসন্ত’ ছবিতে মধুবালা সত্যি সত্যিই শিশু শিল্পীর চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। এরপর থেকে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পেতে থাকেন এবং পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনেন। তিনি মাত্র ১২ বছর বয়সে ড্রাইভিং শিখে ফেলেন এবং মনের আনন্দে প্রায়ই লং ড্রাইভে চলে যেতেন।


মধুবালা (১৯৬০ সালে ২৭ বছর বয়সে)

পরিচালক কেদার শর্মাঃ-
এই সময় পরিচালক কেদার শর্মা মধুবালাকে তার ছবিতে নায়িকার কিশোরী বয়সের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দেন। স্ক্রীন টেস্টের সময় মধুবালার অনিন্দ্যসুন্দর চেহারার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তিনি তার প্রেমে পড়ে যান এবং ছবি নির্মাণ শেষ হলে মধুবালার পিতার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন। আতাউল্লাহ খান এই প্রস্তাবে হতভম্ব হয়ে গেলেও মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি বলে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তিনি প্রথম থেকেই তার মেয়েকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখতেন। ফলে কেদার শর্মার সাথে মধুবালার সম্পর্ক শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে যায়।

পরিচালক কামাল আমরোহীঃ-
কামাল আমরোহী পরিচালিত ‘মহল’ ছবিটি (১৯৪৯) বক্স অফিসে হিট করে। এই ছবিতে মধুবালা ও অশোককুমারের অভিনয় বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়। ছবির শ্যুটিং চলাকালে মধুবালা ও কামাল আমরোহী গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু মধুবালার পিতা আতাউল্লাহ খান এই সম্পর্কের ব্যাপারে খুব আশংকার মধ্যে ছিলেন। আমরোহী ছিলেন বিবাহিত পুরুষ। তার সাথে মধুবালার বিয়ে হলে তার জীবন যে সুখের হবে না, এটা তার পিতা বুঝতে পারছিলেন। কিন্তু তিনি আমরোহীর মতো চলচ্চিত্র জগতের তৎকালীন বিশাল ব্যক্তিত্বকে সরাসরি না বলতে পারছিলেন না।
বিষয়টি সমাধানের জন্য শেষ পর্যন্ত মধুবালা নিজেই আমরোহীকে প্রস্তাব দেন প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করতে। এজন্য এমনকি আমরোহীকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে চেয়েছিলেন মধুবালা। কিন্তু আমরোহী ঘৃণাভরে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, ‘আমি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কাহিনী, সংলাপ ও মেধা বিক্রি করি, কিন্তু কখনো আমার স্ত্রী, সন্তান ও নিজের বিবেককে বিক্রি করতে পারি না।’
এরপর তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় এবং তারা আর কখনো একজন আর একজনের সাথে দেখা পর্যন্ত করেননি।

অভিনেতা প্রেমনাথঃ-
নায়ক হিসাবে প্রেমনাথের সাথে মধুবালার প্রথম ছবি ছিল ‘বাদল’ (১৯৫১)। এই ছবির শ্যুটিং চলাকালে মধুবালা একদিন প্রেমপত্রসহ একটি লাল গোলাপ প্রেমনাথের মেক আপ রুমে রেখে আসেন। ভারত সুন্দরীর এই প্রেম নিবেদনে প্রেমনাথ অবাক হয়ে যান এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ভালোবেসে ফেলেন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলার পর প্রেমনাথ বুঝতে পারেন যে, মধুবালা তাকে এড়িয়ে চলছেন। মধুবালা কেনই বা তাকে হুট করে প্রেম নিবেদন করেছিলেন আর কেনই বা তাকে এড়িয়ে চলছিলেন, তা’ আজও রহস্য হয়ে আছে। হয়তো প্রেমনাথের ওপর তিনি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেননি। অনেকে বলেন, মধুবালা সেই সময়ের মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় তারকা দিলীপকুমারের প্রেমে পড়েছিলেন। এটা সত্য হলেও হতে পারে। কারণ, পরবর্তীতে মধুবালা সত্যি সত্যিই দিলীপকুমারের প্রেমে পড়েছিলেন এবং তাদের সম্পর্ক তুলনামুলকভাবে বেশি দিন স্থায়ী হয়। ওদিকে অশোককুমারকে জড়িয়ে মধুবালার আর একটি স্ক্যান্ডাল প্রেমনাথকে ক্ষিপ্ত করে তোলে এবং তিনি চিরদিনের মতো মধুবালার সাথে তার সম্পর্ক শেষ করে দেন।


মুঘল-এ-আজম ছবিতে মধুবালা ও দিলীপকুমার

অভিনেতা দিলীপকুমারঃ-
দিলীপকুমারের সাথে মধুবালার প্রেমের সম্পর্ক ছিল নানা উত্থান পতনে ভরা ও নাটকীয়তাপূর্ণ। তাদের সম্পর্ক ছিল কোন রোমান্টিক হিন্দী ছবির স্ক্রিপ্টের মতোই। মধুবালার মতো দিলীপকুমারও (ইউসুফ খান) ছিলেন পাঠান ও মুসলিম। জাত ও ধর্মীয় ঐক্যের কারণে তাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ ইতিবাচক হবে বলে সবাই ধারনা করতো। মধুবালার বয়স যখন ছিল মাত্র ১৭ বছর, তখন থেকে দিলীপকুমারের সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। কিন্তু এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে আতাউল্লাহ খান ছিলেন প্রধান বাধা। মধুবালা ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য। তার আয়ের উপরেই পরিবারটি টিকে ছিল। আতাউল্লাহ খান মনে করতেন, দিলীপকুমারের সাথে মধুবালার বিয়ে হয়ে গেলে তার পরিবার মধুবালার আর্থিক সমর্থন থেকে বঞ্চিত হবে এবং তারা আবার দারিদ্র্যের কবলে পড়বে। ঐ সময়ের দিকে মধুবালা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অনেক টাকা পয়সা রোজগার করতে শুরু করেছিলেন। তবে তার আর্থিক ব্যবস্থাপনা ছিল তার পিতার হাতে। বিয়ের পরে সেটা দিলীপকুমারের হাতে চলে যাবে এই ভয় তার সব সময়ই ছিল। ওদিকে দিলীপকুমার কখনোই আতাউল্লাহ খানকে পছন্দ করতেন না এবং মধুবালার ওপর তার সার্বক্ষণিক খবরদারীতে ত্যক্ত বিরক্ত ছিলেন। খান তার কন্যাকে শুধুমাত্র স্টুডিওর সেটে দিলীপকুমারের সাথে অভিনয়ের অনুমতি দিতেন, স্টুডিওর বাইরে আউটডোরে নয়। খানের এরকম অযাচিত ও অযৌক্তিক মনোভাবের কারণে পরিচালক প্রযোজকরাও তার ওপর অসন্তুষ্ট ছিলেন। অবশ্য আতাউল্লাহ খানের কঠোর নজরদারি সত্ত্বেও মধুবালা ও দিলীপকুমার সেটের বাইরে গোপনে মেলামেশা করতেন।
যাই হোক, তাদের এই সম্পর্ক কয়েক বছর ধরে অব্যহত ছিল। কিন্তু একটি ঘটনায় তা’ ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। ১৯৫৭ সালে ‘নয়া দৌড়’ ছবির জন্য তারা দু’জনেই প্রযোজক পরিচালক বি, আর, চোপড়ার কাছ থেকে সাইনিং মানি গ্রহন করেছিলেন। এই ছবিতে ভূপালের আউটডোর লোকেশনে ৪০ দিন শ্যুটিং করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আতাউল্লাহ খান মেয়েকে দিলীপকুমারের সাথে আউটডোর শ্যুটিং-এ যেতে দিতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে অনেক টানা হেঁচড়ার পর বি, আর, চোপড়া তার ছবি থেকে মধুবালাকে বাদ দিয়ে বৈজয়ন্তীমালাকে সাইন করান। তার আগে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতের বাইরেই এর মীমাংসা হয়। কিন্তু ততদিনে মধুবালা ও দিলীপকুমারের সম্পর্ক তিক্ততার শেষ সীমায় পৌঁছে যায়।
মধুবালা কে, আসিফের ‘মুঘল-এ-আজম’ ছবিতে দিলীপকুমারের বিপরীতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। দিলীপকুমারের সাথে প্রায় ব্রেক আপ এবং শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছিলেন। ‘মুঘল-এ-আজম’ ছবিতে আনারকলি ও শাহজাদা সেলিমের চরিত্রে মধুবালা ও দিলীপকুমারের রোমান্টিক অভিনয় ছবিটিকে সর্বকালের সেরা হিট ছবির মর্যাদা এনে দেয়। কিন্তু বাস্তব জীবনে তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক ছিল খুবই তিক্ততাপূর্ণ। দিলীপকুমার শেষ চেষ্টা হিসাবে মধুবালাকে শর্তযুক্ত বিয়ের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেছিলেন, মধুবালা যদি তার পরিবারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে, তাহলে তিনি তাকে বিয়ে করবেন। কিন্তু মধুবালা দিলীপকুমারের এই শর্ত মেনে নিতে রাজি হননি। ফলে চিরকালের মতো তাদের দু’জনের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য যে, ‘মুঘল-এ-আজম’ ছবিতে একটি ধ্রুপদী নাচে পারফর্ম করার সময় মধুবালা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তার হার্টে ছিদ্রজনিত সমস্যার কারণে এরকম হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তিনি ঐ নাচ সহ পুরো ছবি সম্পূর্ণ করতে পেরেছিলেন। তার শ্রদ্ধাভাজন পরিচালক কে, আসিফকে তিনি ভোগাতে চাননি। ছবির দর্শকরা মোটেই বুঝতে পারেনি যে মধুবালা বাস্তবে কী কঠিন শারীরিক ও মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে ছবির কাজ শেষ করেছিলেন! মধুবালা শুধু সৌন্দর্যের দেবীই ছিলেন না, ছিলেন জাত অভিনেত্রীও বটে।

জুলফিকার আলী ভুট্টোঃ-
হাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের চিরশত্রু জুলফিকার আলী ভুট্টোর কথাই বলছি। খুব কম মানুষই জানে যে, ১৯৫০ সাল পর্যন্ত জুলফিকার আলী ভুট্টো একই সাথে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশেই বসবাস করতেন। ভুট্টো অত্যন্ত ধনী মানুষ ছিলেন এবং মুম্বাইতে তার প্রচুর ভূ-সম্পত্তি ছিল। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় তার ‘My Nest’ নামে একটি প্রাসাদোপম অট্টালিকা ছিল। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর ভারত সরকার এই প্রাসাদ সহ তার সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে।
আর্থিক সংকট ও নানারকম প্রতিবন্ধকতার কারণে ‘মুঘল-এ-আজম’ ছবিটির শ্যুটিং ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ দশ বছর ধরে করতে হয়েছিল। তখনকার দিনে এই ছবিটি তৈরি করতে ব্যয় হয় ৩ কোটি টাকা। শুধুমাত্র মধুবালাকে দেখার জন্য ভুট্টো স্টুডিওতে গিয়ে ‘মুঘল-এ-আজম’ ছবির সেটে বসে থাকতেন। ধনী ও অভিজাত মানুষ হওয়ায় স্টুডিওতে তার প্রবেশে কেউ বাধা দিত না। মধুবালার সৌন্দর্য ও ভুবনমোহিনী হাসি ভুট্টোকে মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলে। তিনি মধুবালাকে ভালোবেসে ফেলেন এবং মধুবালাও সুদর্শন ভুট্টোকে পছন্দ করতে শুরু করেন।
ভুট্টো সিনেমা জগতের কেউ ছিলেন না। তিনি ব্যারিস্টার ছিলেন এবং মুম্বাই হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করতেন। আর সময় পেলেই মধুবালাকে দেখার জন্য স্টুডিওর সেটে এসে বসে থাকতেন। তিনি বিবাহিত ছিলেন। তার দুই স্ত্রীর একজন ছিলেন লারকানার একজন ভূ-স্বামীর মেয়ে শিরিন বেগম এবং আর একজন ছিলেন করাচীতে বসবাসকারী ইরানী মেয়ে নুসরাত (সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টোর মা)। ফলে ভুট্টো লারকানা, করাচী ও মুম্বাই এই তিনটি শহরে ঘন ঘন যাতায়াত করতেন। কিন্তু তার রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খার কারণে তিনি শেষ পর্যন্ত স্থায়ীভাবে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নিয়ে মুম্বাইয়ের পাট চুকিয়ে দিয়ে চলে যান।
মধুবালা তার জীবনের প্রায় সব ঘটনাই ডায়েরীতে লিখে রাখতেন। ভুট্টো সম্পর্কেও লিখেছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু কী লিখেছিলেন, তা’ জানা যায়নি। কারণ, মধুবালার মৃত্যুর পর তার অতি সতর্ক পিতা আতাউল্লাহ খান মধুবালার লাশের সাথে সাথে ডায়েরীটিকেও সমাধিস্থ করে দেন।


মধুবালা ও কিশোরকুমার

অভিনেতা/গায়ক কিশোরকুমারঃ-
দিলীপকুমারের সাথে ব্রেক আপ হওয়ার কিছুদিন পর শ্রান্ত, ক্লান্ত ও অসুস্থ মধুবালা কিশোরকুমারের আগ্রহে তাকে বিয়ে করেন। কিশোরকুমার এই বিয়ের জন্য ধর্মান্তরিত হয়ে করিম আবদুল নাম গ্রহন করেন। মধুবালার হার্টে জন্ম থেকেই ছিদ্র ছিল, যে কারণে মাঝে মাঝেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়তেন। ‘মুঘল-এ-আজম’ ছবির সেটে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তার হার্টে ছিদ্র থাকার কথা জানা যায়। চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনেও যান। কিন্তু তখনকার দিনে হৃদরোগের চিকিৎসা সারা পৃথিবীতেই খুব পশ্চাৎপদ অবস্থায় ছিল। ফলে মধুবালা অসুস্থ অবস্থাতেই মুম্বাই ফিরে আসেন। তিনি বুঝতে পারেন যে, তিনি আর বেশি দিন বাঁচবেন না। জীবনের বাঁকি দিনগুলোতে একটুখানি ভালোবাসা পাওয়ার আশায় তিনি কিশোরকুমারকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যান। কিন্তু তাদের বিয়ে হলেও দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না।
আসলে কিশোরকুমার মধুবালাকে ভালোবেসে এই বিয়ে করেননি। সেই সময় তিনি দেনার দায়ে জর্জরিত ছিলেন এবং বিশাল অংকের বকেয়া ট্যাক্স পরিশোধের জন্য ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট তার উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। এমনকি তার বাড়িটিও নিলামে উঠার উপক্রম হয়েছিল। মধুবালা আর্থিক সহযোগিতা করে তাকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন, এই আশায় তিনি তাকে বিয়ে করেছিলেন।

মধুবালা তার অসুস্থতার কারণে জীবনের শেষ কয়েকটা বছর পুরোপুরি শয্যাশায়ী ছিলেন। দাম্পত্য সুখ কেমন, তা’ কখনো অনুভব করার সৌভাগ্য হয়নি তার। ভালোবাসা পাওয়ার আশায় বার বার হাত বাড়িয়েছেন তিনি, কিন্তু প্রতিবারই শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাকে। অবশেষে ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিক্ত জীবনের অবসান ঘটিয়ে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনি এই দুনিয়ার মায়া কাটিয়ে চলে যান।
প্রকৃতপক্ষে মধুবালা ছিলেন ভালোবাসার কাঙাল। অসংখ্য ছবিতে ভালোবাসার অভিনয় করলেও নিজের বাস্তব জীবনে তিনি কখনো ভালোবাসার নাগাল পাননি। পাঠক মাত্রেই জানেন যে, শুধু বলিউড নয়, পৃথিবীর সকল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নায়ক নায়িকাদের প্রেম ভালোবাসার স্ক্যান্ডাল অতি সাধারণ বিষয়। কিন্তু মধুবালার ক্ষেত্রে স্ক্যান্ডালকে ছাপিয়ে হাহাকারের আওয়াজই বেশি শোনা যায়।

এবার এমন একজন মানুষের কথা বলে এই প্রবন্ধটি শেষ করবো, মূলতঃ যার জন্যই এই প্রবন্ধটি লেখা। ভদ্রলোকের নাম লতিফ। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার নামের আগে বা পরের পদবী সম্পর্কে আমি কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারিনি। তো আসুন, শোনা যাক সেই লতিফের কথা।

লতিফঃ-
লতিফ ছিলেন মধুবালার শৈশবের বন্ধু। তারা দিল্লীতে একই মহল্লার পাশাপাশি দুটি বাড়িতে থাকতেন। তখন তাদের দু’জনের বয়স ছিল মাত্র ৬ বছর। খেলার সাথী হিসাবে লতিফ ও মধুবালা একে অন্যকে পছন্দ করতেন। তবে প্রেম বা ভালোবাসা বলতে যা বুঝায়, সেটা অনুভব করার মতো বয়স তাদের তখনো হয়নি।
মধুবালা যখন তার বাবার হাত ধরে মুম্বাইতে চলে যান, তখন লতিফ মনে মনে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। মধুবালাকে হারিয়ে লতিফ একা হয়ে যান এবং শিশু বয়সেই শূন্যতা বোধ করতে থাকেন। মহল্লার অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে খেলতে যেতে তার মন চাইতো না। মুম্বাই যাওয়ার আগে মধুবালা লতিফকে কাগজের তৈরি একটা লাল গোলাপ উপহার দিয়ে যান। লতিফ সেই গোলাপটি অত্যন্ত যত্নসহকারে মধুবালার মৃত্যু পর্যন্ত সংরক্ষণ করেন এবং ৩০ বছর পর মধুবালার মৃত্যু হলে মুম্বাইতে গিয়ে গোলাপটি নিরবে তার সমাধিতে রেখে আসেন। এরপর থেকে তিনি প্রতি বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি (মধুবালার মৃত্যু দিবসে) দিল্লী থেকে মুম্বাই গিয়ে একটি করে লাল গোলাপ মধুবালার সমাধিতে রেখে আসতেন। রিটায়ার্ড আই, এ, এস অফিসার লতিফ ১৯৬৯ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর এইভাবে মধুবালার সমাধিতে লাল গোলাপ রেখে এসেছেন। এই ৩৮ বছরে একবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ২০০৭ সালের পরে লতিফ সাহেব সম্পর্কে অনেক চেষ্টা করেও আর কোন তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তার নামটি ইতিহাসের পাতায় এতই স্বল্পালোচিত (বা বলা যায় অনালোচিত) যে তার সম্পর্কে এখানে উল্লেখিত তথ্যের বাইরে আর কিছু জানা সম্ভব হয়নি। খুব সম্ভবত ২০০৭ সালের পরে তিনিও এই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন।


মধুবালার সমাধিতে পৃথ্বীরাজ কাপুর শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।

মধুবালা তার স্বল্পায়ু জীবনে একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য নিরন্তর হাহাকার করেছেন। পার্থিব জগতের জটিল হিসাব নিকাশ এবং স্বার্থপরতা ও প্রতারণা ভালোবাসার পরিবর্তে কাঁটা হয়ে তাকে ক্ষত বিক্ষত করেছে। এই তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই তিনি চলে গেছেন দুনিয়া থেকে। কিন্তু এই দুনিয়াতেই তাকে যে একজন সত্যি সত্যিই নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতেন, সেটা জেনে যাওয়ার সৌভাগ্য তার হয়নি। আফসোস!
******************************************************************************************************************
তথ্যসূত্রঃ
১) উইকিপিডিয়া
২) টেলিভিশন চ্যানেল মাস্তি
ছবিঃ নেট

মন্তব্য ১০৪ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (১০৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আমি মধুবালাকে ভালবাসি!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কিশোরকুমারের মতো ভালোবাসা নয়তো? হাঃ হাঃ হাঃ।

ডোন্ট মাইন্ড ব্রাদার। জাস্ট জোক করলাম। মধুবালা ভালোবাসা পাওয়ার মতোই মেয়ে ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার পিছু ছাড়েনি।

ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পরমাসুন্দরী নায়িকা, অথচ নিজের জীবনে ভালোবাসার কাঙাল। হায়রে! উপরওয়ালা সব দিয়েছেন, কিন্তু এমন একটা জিনিসের অভাব রেখেছেন যা কোনও কিছু দিয়ে পূরণ করার নয়। লতিফ সাহেবের অমর প্রেমের কথা জেনে ভালো লাগলো।


শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পদাতিক চৌধুরি।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মধুবালার কষ্টকর জীবন সব সময় আমাকে ব্যথিত করেছে

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলেই মধুবালার জীবন কাহিনী শুনলে যে কেউ ব্যথিত হবে।


ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মধুবালা আর সুচিত্রা সেনের চেহারা আমার কাছে একরকম মনে হয়।

মধুবালা, বৈজয়ন্তী মালা, মীনা কুমারীসহ ঐ যুগের আরো অনেক বিখ্যাত নায়িকাদের শেষ জীবন কেটেছে খুব করুণ ভাবে। মাদকাশক্তি ছিল প্রধান কারণ।

এসব নায়িকার ছবি দেখলে আনন্দের সাথে কেমন একটা বেদনাও বুকের ভেতর জমাট বাঁধতে থাকে, হায়, তাঁরা পৃথিবী থেকে সেই কবেই তো হারিয়ে গেছে।

মধুবালার কালজয়ী গানটা শেয়ার না দিয়ে পারলাম না।

চমৎকার পোস্ট।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পেয়ার কিয়া তো ডর না কেয়া / পেয়ার কিয়া কোয়ি চোরি নেহি কি লতা মঙ্গেশকরের অসাধারণ গানটির সাথে লিপ সিং করে মধুবালা ক্ল্যাসিক্যাল নাচটি নেচেছিলেন। এই নাচের সময়ই মধুবালা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। কিন্তু পুরো নাচ গান দেখে কী বুঝার উপায় আছে সেটা? সত্যি একজন অসাধারণ নায়িকা ছিলেন মধুবালা।

ভিডিও ক্লিপটি দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,



আসলেই মধুবালা প্যারাগন এক বিউটি । "মুঘলে আজম" এ "পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া" নাচের দৃশ্যে তার বঙ্কিম হাসির সাথে চোখের কটাক্ষের তুলনা নেই ।
হুম...... খুব কষ্টের এক জীবন ছিলো তাঁর !

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, আপনি ঠিকই বলেছেন। অসাধারণ এক নায়িকা ছিলেন মধুবালা। অথচ কত করুণ ছিল তার পরিনতি!


ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪০

সনেট কবি বলেছেন: সবার জীবনে সুখ আসেনা।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সত্য কথা। এটাই বাস্তবতা।


ধন্যবাদ ভাই সনেট কবি। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিশোর কুমার মুসলিম হয়েছিলেন এই তথ্য আগে জানা ছিল না। যাই হোক, মধুবালার জীবন থেকেই বোঝা যায় রঙীন দুনিয়া আর বাস্তবের দুনিয়ায় কত ফারাক...

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মধুবালার জীবন থেকেই বোঝা যায় রঙীন দুনিয়া আর বাস্তবের দুনিয়ায় কত ফারাক...


একদম ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ ভাই বিচার মানি। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: ওহ নো...
এরপর আরও কত সুন্দর সুন্দর নায়িকা এসেছে, আপনি কেন উনাকে ভুলতে পারছেন না! :(

এই যুগেও কেউ এমন নায়িকার কথা মনে রেখেছে, ভাবতেই অবাক লাগে! ;)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার অবাক হওয়া দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে গেলাম। হাঃ হাঃ হাঃ।

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব ভালো লাগছে বিখ্যাত চিত্রনায়িকা সম্পর্কে জেনে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

লায়নহার্ট বলেছেন: {ওকে}

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই লায়নহার্ট। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৬

শায়মা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো এই লেখাটা ভাইয়া।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন শায়মা। ভালো থেকো। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: মধুবালা নিজেই সুখি হতে চাননি, অসুখি খুঁজে বেড়িয়েছেন দ্বারে দ্বারে এবং সেটা পেয়েছেন ও ভরেছেন মুটো ভরে। কি জানি সেও হয়তো আমার মতো অসুখিকে উপভোগ করতো।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার নিজস্ব মতামত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ ভাই বাকপ্রবাস।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভারতীয় সিনেমার প্রতি কোন আগ্রহ আমার নেই।
তারপরও যা লিখলেন, তাতে তার অন্তত একটি সিনেমা না দেখে উপায় নেই

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আরণ্যক রাখাল।


ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

১৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:২১

সোহানী বলেছেন: মধুবালার জন্য মনটা হুহ করে উঠলো। কি মানসিক কষ্টে সে দিন পার করেছিল....... আহ্ এরকম পাষান বাবা ও হয়???

আমার পার্টনার এর প্রিয়, সে আবার আধুনিক গান বা ছবি দেখে না। মধুবালা/সুচিত্রা সেনের কালে এ বয়সেও আটকে আছে। তার কল্যাণেই মধুবালার ছবি বা গানগুলো দেখেছি। আর আমার মা ছিলেন সে কালের নায়ক নায়িকার ভক্ত। তাই প্রায় আগে মায়ের সাথে ছবিগুলো দেখতাম। মনে করিয়ে দিলেন সেই সব দিন হেনা ভাই।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মধুবালার জন্য মনটা হুহ করে উঠলো। কি মানসিক কষ্টে সে দিন পার করেছিল....... আহ্ এরকম পাষান বাবা ও হয়???



পৃথিবীতে কত অবাক করার মতো ঘটনা আছে! পিতা বা অভিভাবকের দোষে অনেক ছেলে মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনা ভুরি ভুরি রয়েছে।

ধন্যবাদ বোন সোহানী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: তাকে যতবার দেখি তত মুগ্ধ হই।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১০

জাহিদ অনিক বলেছেন:
মধুবালা সম্পর্কে বেশ আগ্রহ ছিল। সেই থেকেই অনেক আগে কিছুটা নেটে ঘেটে জেনেছিলাম। আজ আরও বিস্তারিত জানলাম।
জুলফিকার আলী ভুট্টো আর লতিফ-এর ঘটনাগুলো জানা ছিল না।
অঞ্জন দত্তের একটা গানেও আছে মধুবালার কথা,
তোমার কথা বলা যেন মধুবালা, হাটা চলা সোফিয়া লরেন

মোঘল-ঈ-আজমের, যাব পেয়্যার কিয়া তো ডারনা কেয়া-- কতবার যে দেখেছি।
পোষ্টটা ভালো লাগলো।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জুলফিকার আলী ভুট্টো ও লতিফের ঘটনাগুলো খুব কম লোকই জানেন। যাই হোক, পোস্টটি আপনার ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ ভাই জাহিদ অনিক।


ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

朣楢琴执㝧执瑩浻牡楧㩮㔱硰执㝧执獧浻牡楧敬瑦瀰絸朣 杢㑳执獧扻捡杫潲湵潣潬㩲昣昸昸㬸慢正牧畯摮椭慭敧 敷止瑩札慲楤湥楬敮牡氬晥⁴潴敬瑦戠瑯潴牦浯㡦㡦㡦潴 捥捥捥戻捡杫潲湵浩条㩥眭扥楫楬敮牡札慲楤湥潴昣昸 昸攣散散戻捡杫潲湵浩条㩥洭穯氭湩慥牧摡敩瑮琨灯㡦 㡦㡦捥捥捥㬩慢正牧畯摮椭慭敧獭氭湩慥牧摡敩瑮琨灯㡦 㡦㡦捥捥捥㬩慢正牧畯摮椭慭敧楬敮牡札慲楤湥潴昣昸 昸攣散散戻捡杫潲湵浩条㩥楬敮牡札慲楤湥潴昣昸昸攣 散散汩整㩲牰杯摩䐺䥘慭敧牔湡晳牯楍牣獯景牧摡敩瑮 猨慴瑲潃潬卲牴昣昸昸䔬摮潃潬卲牴攣散散㬩潢摲牥硰 猠汯摩⌠㙣㙣㙣搻獩汰祡戺潬正潭潢摲牥爭摡畩㩳瀲㭸漭 戭牯敤慲楤獵㈺硰敷止瑩戭牯敤慲楤獵㈺硰戻牯敤慲楤 獵㈺硰执獧搴摻獩汰祡戺潬正瀻獯瑩潩㩮敲慬楴敶执獧 搴筮楤灳慬㩹湩楬敮戭潬正漻敶晲潬

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ?

১৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এখনো মধুবালার ছবি হা করে বসে দেখি, অসাধারণ অভিনেত্রী ছিলেন।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। তিনি সত্যিই অসাধারণ অভিনেত্রী ছিলেন।



ধন্যবাদ ভাই সাহাদাত উদরাজী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: অনেক সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের ভীড়ে -- নতুন কিছু বলার নেই - শুধু উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা ছাড়া; ধন্যবাদ ভাইজান আপনাকে এ বিষয়ে বিশদ লেখার জন্য। (শুনেছিলাম - সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা ছিল - মুঘলে আজম;

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন। সেই পঞ্চাশের দশকে ছবিটির বাজেট ছিল তিন কোটি টাকা। ভাবা যায়? পরিচালক কে, আসিফকে ছবিটির একটি যুদ্ধের দৃশ্য শ্যুটিং করার জন্য এক হাজার হাতি জোগাড় করতে হয়েছিল। সে যুগে কম্পিউটার ছিল না। জাঁকজমকপূর্ণ রাজকীয় সেট থেকে শুরু করে সম্রাট আকবরের শান শওকত সব কিছু সত্যি সত্যি তৈরি করতে হয়েছিল।

ধন্যবাদ ভাই কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত)। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনন্য, অসাধারন, কালজয়ী এক অভিনেত্রীকে নিয়ে লেখায় মুগ্ধতা :)

অনেক অনেক ভাললাগা রইল

+++

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু। শেষে যে লতিফ সাহেবের কথা বলেছি, মধুবালার প্রতি উনার অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্যই মুলত এই প্রবন্ধটি লেখা। মধুবালার এমনই দুর্ভাগ্য যে একজন সত্যিকার প্রেমিকের কথা না জেনেই উনি মারা গেছেন।

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মধুবালা দিলিপ কুমার কিংবদন্তী জুটি। মধুবালার জীবনের প্রথম ভিলেইন তার লোভী বাবা। আর মেইন ভিলেইন কিশোর কুমার। দুটো ই খুব বাজে উদাহরণ। কিশোর কুমারের নেতিবাচক বাচক দিকটি উদ্ভাসিত হয়েছে মধুবালার জীবনী থেকে। মধুবালা বলিউডের সবচেয়ে সুন্দরী নায়িকা। তার লাইফ ট্রাজেডি অসহনীয়।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খুব চমৎকার মন্তব্য করেছেন। আপনার মন্তব্যের প্রতিটি কথা সত্য।


ধন্যবাদ ভাই সেলিম আনোয়ার। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বুড়া বয়সে এতো সিনেমা দেখা ভালো না :-B

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ডাক্তারে কইছে সুন্দরী নায়িকাদের সিনেমা দেখতে। হার্টের অসুখ ভালো হয়। তাই একটু দেখি ভাই।

২৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমারে কইছে ম্যাডাম ফুলি মার্কা ছবি দেখতে, আইচ্ছা আমার কি রোগ হইছে বলে আপনার মনে হয়? ;)

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রেম রোগ। আপনি দেশ বিদেশ বেড়িয়ে এই রোগ বাধিয়েছেন। ফুলি ছিল আমার বাড়ির কাজের বুয়া। তারে কেউ বিয়া করতে রাজি হয় নাই। তার ছবি দেখলে আপনার এই রোগ ওষুধ ছাড়াই ভালো হইয়া যাইব। দুনিয়ার কোন মাইয়ার প্রতি আপনার আর রুচি থাকবো না।

২৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
শুভ সকাল

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুভ সকাল। ঈদ মোবারক।

২৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভ দুপুর :D

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুভ দুপুর। মেজদা ধরা খাওয়ায় খুব খুশি হয়েছেন মনে হচ্ছে। মেজদা পীর হইলে আমি কিন্তু তার মুরিদ হমু।

২৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: মধুবালার জন্য এক অদ্ভুত হাহাকার বুকে জমে উঠলো । লিখাটা ভালো ছিল

২২ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শান্তনু চৌধুরী শান্তু।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মধুবালার জন্য একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস মাত্র শূন্যে উড়ে গেলো।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সংবেদনশীল মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই জুনায়েদ বি রাহমান।


ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহারে মধুবালা
জীবনটা হলো তার কারবালা।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই মাইদুল সরকার।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

প্রামানিক বলেছেন:
ফুলির কথা শুইনা কামাল ভাই আপনারে গরম চা দিল কারণ কি?

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কামাল ভাই ম্যাডাম ফুলিরে খুব পছন্দ করে, তাই।

৩০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ফুলির নাম শুইনা প্রামানিক ভাইও দেখছি আপনার বাড়ির আশে পাশের রাস্টা ছাড়ছে না, বলি ঘটনাটা কি??

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঘটনা আপনার মতোই।

৩১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ এই তথ্যবহুল লেখাটি উপহার দেয়ার জন্য।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বোকা মানুষ।



ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: মধুবালা মানেই মুঘল-এ-আজম ছবির সেই 'পেয়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া' চোখে ভেসে উঠে। আমরা অনেক পরের জেনারেশনের হওয়া সত্ত্বেও উনার সেই চাহনি কি ভুলে থাকা যায়। :P

নিচের এই গানের সাথে নাচ তো যুবক বিধ্বংসী। :P

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমরা অনেক পরের জেনারেশনের হওয়া সত্ত্বেও উনার সেই চাহনি কি ভুলে থাকা যায়। :P


মধুবালা ছিলেন ক্ল্যাসিক বিউটি। যে কোন জেনারেশনের কাছে তার সৌন্দর্য, অভিনয় ও নৃত্য আদৃত হবার ক্ষমতা রাখে। লেখাটি পড়ে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই আখেনাটেন।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
নেন দুধ চা খাইয়া মাথাটা খোলতাই কইরা পোষ্ট লিখেন তাড়াতাড়ি :-B

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সবুরে মেওয়া ফলে। হে হে হে। :-P

৩৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০০

খোলা মনের কথা বলেছেন: মধুবালা সম্পর্কে জানতাম কিন্তু এতো বেশি না। যতটুকু জেনেছিলাম দিলিপ কুমারের ইতিহাস থেকে। আগের দিন গুলো বলিউডে মুসলিমদের তেমন দাম ছিল না মনে হয়। ইউসুফ খান থেকে দিলিপ কুমার, মুমতাজ থেকে মধুবালা নামগুলোই বলে দেয়।
সুন্দর তথ্যমুলক পোষ্ট।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই খোলা মনের কথা।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩১

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: তিনি এতোটাই সুন্দর ছিলো বাহ! সৌন্দর্যের আরেক প্রতীক আমাদের মধুবালা।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সৌন্দর্যের সংজ্ঞা এক এক সময় এক এক রকম। দেশ ও জাতি ভেদেও এর পার্থক্য রয়েছে। মধুবালা যে সময়ের নায়িকা ছিলেন, সেই সময় তার চেয়ে সুন্দরী নায়িকা বলিউডে ছিল না বলে তাকে 'ভেনাস অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা' নামে অভিহিত করা হতো। কিন্তু আজকের যুগে অনেকেই তাকে অতটা সুন্দরী বলে হয়তো মানতে চাইবেন না এবং সেটাই স্বাভাবিক। এই প্রবন্ধে মধুবালার সেই সময়ের অবস্থান এবং তার জীবনের করুণ পরিণতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।

ধন্যবাদ বোন ফারিহা হোসেন প্রভা। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: শুভকামনা রইলো আপনার প্রতিও।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

জুন বলেছেন: মধুবালা, মীনাকুমারী, সুচিত্রা সেন, অড্রে হেপবার্ন এদের মত কালজয়ী অভিনেত্রীরা মৃত্যুর পরও ভক্তদের মনে চির জাগুরক থাকে হেনা ভাই ।
পর্দার সামনে লাস্যময়ী মধুবালার জীবনটা যতই ঝলমলে হোক পর্দার পেছনে তা ছিল তেমনি অন্ধকার, যেমনটি থাকে আলোর নীচে। আমি জানতাম কামাল আমরোহী মীনাকুমারীকে বিয়ে করেছিল । তবে সে সত্যি মীনাকুমারীকে ভালোবেসেছিল নাকি তার অঢেল সম্পদকে ভালোবেসেছে সে নিয়ে সন্দেহ জাগে মীনাকুমারীর জীবন যাত্রা ও তার করুন মৃত্যুতে। মধুবালার হৃদয়ে ছিদ্র থাকলেও তার অপার্থিব রূপ-সৌন্দর্য্য, হাসি আর অভিনয়ে বিশাল সংখ্যক মানুষের হৃদয়ে ঝড় তুলে গেছেন ।
ভালোলাগলো জেনে তার ক্ষুদ্র জীবনের ইতিহাস ।
+

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মধুবালার সাথে সম্পর্ক ছেদের পর কামাল আমরোহী মীনাকুমারীকে বিয়ে করেছিলেন। সুতরাং, আপনার জানার মধ্যে কোন ভুল নাই। মীনাকুমারী আমরোহীর বিখ্যাত ছবি পাকিজা নির্মাণে নেপথ্যে অর্থের জোগান দিয়েছিলেন এবং নায়িকার চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন।

লেখাটি আপনার কাছে ভালো লাগায় ধন্যবাদ বোন জুন। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

নজসু বলেছেন: শুধু নজর বুলিয়ে গেলাম।
সুন্দর এই পোষ্টটি সময় নিয়ে পাঠ করবো।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নজসু।

৩৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



নতুন গল্প পাচ্ছি না তো এদানিং।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। নতুন লেখা দেব ইনশাআল্লাহ। আপাতত প্রিন্ট মিডিয়ায় লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত আছি।

৪০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মধুবালা কে নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট ।
মুঘল-এ-আজম ছবিটি দেখেছিলাম। তিন ঘণ্টার উপরে ব্যাপ্তি ছিল ছবিটার।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৪১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অসাধারণ মানুষের করুণ জীবন কাহিনী। জীবন মনে হয় এমনই হয়।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ মানুষের করুণ জীবন কাহিনী। জীবন মনে হয় এমনই হয়।


ঠিক বলেছেন। অনেক শান শওকত ও ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও পৃথিবীর অনেক মানুষ জীবনে সুখী হতে পারেননি।

ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৪২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
সবুর কইরা এই মেওয়া ফলগুলো পাইছি, খাইবেন্নি আম্নে?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ফলের চেয়ে আপনার মন্তব্য বেশি মিষ্টি। ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য নিশ্চয় বৃথা যাবে না। ইনশাআল্লাহ।

আপনার বিদেশ ভ্রমণের ছবি ব্লগ কই?

৪৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চিনলাম মধুবালারে B-))

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আর্কিওপটেরিক্স ।


ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৪৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাটস অফ্ফ টু লেইট লতিফ (এই লেইট কিন্তু সেই লেইট নয়)! ৩৮ বছর ধরে এই প্রেমিক পুরুষ বিনা ব্যতিক্রমে দিল্লী ধেকে মুম্বাই গিয়ে তার ভালবাসার মানুষটির সমাধিতে একটি করে লাল গোলাপ রেখে এসেছেন, এ নিষ্ঠা কোন সাধারণ অর্জন নয়। তার এ নীরব ভালবাসা লোকান্তরে গিয়ে সফলতা পাক, এই কামনা করি।
ভালবাসার চির কাঙাল মধুবালাকে নিয়ে একটি অসাধারণ আলোচনা করেছেন। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলেছি। আর অবাক হয়েছি, দুই বউ থাকতেও ভুট্টো সাহেবের মুম্বাই গিয়ে মধুবালাকে দেখার জন্য শুটিং সেটের সামনে বসে থাকার কথা শুনে।
পোস্টে প্লাস + +

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই। আমি মূলত গল্পকার। এই ধরনের প্রবন্ধ নিবন্ধ খুব একটা লিখি না। এই প্রবন্ধটি আমি লিখেছি শুধু লতিফ সাহেবের জন্য, যা এই প্রবন্ধে আমি উল্লেখও করেছি। আমরা লাইলী মজনু, শিরি ফরহাদ, ইউসুফ জুলেখা ইত্যাদি অসংখ্য প্রেমের গল্প পড়েছি, কিন্তু লতিফ-মধুবালা প্রেমকাহিনী (একপাক্ষিক প্রেম) পড়িনি। অথচ নীরব প্রেমের এই অসাধারণ কাহিনী অবশ্যই পড়া উচিৎ। লতিফ সাহেব সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য না পাওয়ায় তার সম্পর্কে বেশি কিছু জানাতে পারিনি। পারলে ভালো লাগতো।
যাই হোক, লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৪৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সোনাবীজ এর ভিডিও ক্লি্পটি কোথায় গেল?
এর আগে ব্লগার নীলপরি মীনাকুমারীকে নিয়ে একটা পোস্ট লিখেছিলেন বলে মনে পড়ে। উভয় তারকার জীবনে এই একটি বিষয়ে বেশ মিল ছিল- তারা উভয়ে ভালবাসার কাঙাল ছিলেন, কিন্তু ভালবাসা তাদের উভয়কে মরীচিকার মত হাঁটিয়ে হাঁটিয়ে ক্লান্ত করে চিরশায়িত করেছে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সামু ব্লগের টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছে। ক্লিপটি সেই কারণে উধাও হয়ে গেল কী না কে জানে।

৪৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ লেখাটা পড়ে "মুঘলে আজম" এ "পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া" আবার দেখে/শুনে আসলাম। এক কথায় অসাধারণ, অনবদ্য!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই গানটির শুটিং-এর সময় মধুবালা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। সোনাবীজ ভাইয়ের ক্লিপটি ছিল এই গানের। মধুবালার অসাধারণ ধ্রুপদী নাচের সাথে লতা মঙ্গেশকরের হৃদয় ছোঁয়া প্লে ব্যাক। সত্যিই অনবদ্য। ধন্যবাদ খায়রুল ভাই।

৪৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: নূতন পুস্ট দ্যান

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দেব ভাই।

৪৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

ইসিয়াক বলেছেন: আপনা‌কে ধন্যবাদ ও বিজয় দিব‌সের শু‌ভেচ্ছা

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা রইল।

৪৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩০

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওয়ালাইকুম আস সালাম। আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি ভাই। আপনি কেমন আছেন?

৫০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


নতুন কিছু লিখুন।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি প্রিন্ট মিডিয়ায় নিয়মিত লেখালেখি করি। অনলাইনে লেখা চোরের খুব উপদ্রব। তাই আপাতত বিরত আছি। তবে কিছুদিন পর থেকে আবার লিখতে শুরু করবো। যে লেখাগুলো অলরেডি প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোই ব্লগে দেব। দয়া করে কিছুদিন অপেক্ষা করুন।

ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।

৫১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২০

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: Alhamdullah valo

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কেন য যে এই সুন্দর পোষ্টটি এতদিন আমার দেখা হয়ে উঠেনি তা ভাবতেই এখন খারাপ লাগছে । আজকে আপনার কুশল জানতে এসে এর দেখা পেলাম । এক নিশ্বাসে পড়লাম ।

দুধে আলতা রঙ, মুক্ত ঝরা হাসি , সুন্দর মুখের পিছনে কষ্টে ভরা জীবন, বলিউডে সুন্দরীর সংজ্ঞা মানেই মধুবালার কথা এসে পড়ে, জানা গেল পরিচিত কথাগুলিই নতুন করে আরো মধুময়ী ভাষায় ।

গোটা বিশ্বেই মধুবালার ছিল জনপ্রিয়তা ৷ এমন কোনো পুরুষ নেই যে সেই সময় তার প্রেমে পড়েনি। কিন্তু মধুবালা? তিনি কাকে ভালোবেসেছিলেন? কেমন ছিল তার প্রেমের জীবন তার ইতিবৃত্ত সুন্দরভাবে উঠে এসেছে লেখাটিতে ।জীবনের ভালোবাসার কত গল্পই না আমরা শুনি তবে মধুবালার প্রেম ভালবাসার গল্প ফিল্মের গল্পের থেকে কোনো অংশে কম ছিল না, যে গল্পের পরিণতি মুঘল -এ -আজম এর আনারকলির পরিণতিকেও হার মানিয়ে দেয়।

পোষ্টের এ লেখায় দারুন ভাবে উঠে এসেছে তার প্রেমের সব উপাক্ষান , দেখা যায় এই সুন্দর নায়িকার জীবন ছিল না খুব একটা সুন্দর ও সুখের ৷ বরং পদে পদে নানা অশান্তি, প্রেমে যেমন বিরম্গবনা তেমনি রোগে ভুগেছেন মধুবালা,ফুসফুসের রোগ , হৃদপিন্ডে ছিল ছিদ্র ৷ আর সেই কারণেই যখন তখন নাক ও মুখ দিয়ে বের হত রক্ত ৷বিবিধ প্রকারের বিয়োগাত্বক ঘটনার পরে মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই প্রাণ যায় মধুবালার ৷ এসকল কাহিনী সুন্দরভাবে লেখাটিতে উঠে এসেছে ।

তথ্যসমৃদ্ধ সচিত্র লেখাটি পাঠে মুগ্ধ , এটি প্রিয়তে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সালাম নিবেন ডঃ আলী ভাই। অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম আমার পোস্টে। অবশ্য আমি নিজেও অনেকদিন থেকে ব্লগে লিখছি না। এই লেখাটা ১৯ আগস্ট ২০১৮ তারিখের। এরপর আর ব্লগে লেখা হয়নি। তবে প্রিন্ট মিডিয়ায় আমি নিয়মিতই লিখি।

আমি মূলত ছোটগল্প ও রম্যরচনা লিখতে অভ্যস্ত। তাই প্রবন্ধ বা নিবন্ধ আমার হাত দিয়ে খুব একটা ভালো হয় না। আর প্রবন্ধ/নিবন্ধ দু'চারখানা লিখলেও বিষয়বস্তুতে গল্পের গন্ধ আছে এমন বিষয় নিয়েই লিখেছি। হাঃ হাঃ হাঃ। এই প্রবন্ধটি ডকুমেন্টারি হলেও এতে কিন্তু এক নারীর ব্যর্থ প্রেমের হাহাকারের গল্প আছে। মধুবালার নিরব প্রেমিক লতিফ সাহেবের ব্যাপারটা না থাকলে এই প্রবন্ধটি হয়তো আমি লিখতামই না। আসলে খাঁটি প্রবন্ধকার বললে আপনাকেই বলতে হয়। প্রচুর পরিশ্রম করে তথ্য ও ছবি সংগ্রহ এবং চমৎকার গুছিয়ে লেখার ক্ষমতা ব্লগে একমাত্র আপনারই আছে। আমরা আপনার ধারে কাছেও নেই।

তারপরেও এই লেখাটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.