নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজিব ভাই

আজিব ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশে উচ্চশিক্ষা- কিভাবে নিবো প্রস্তুতি

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২১

আমাদের অনেকেরই ইচ্ছা বিদেশে ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পরতে যাওয়া। সে অনুযায়ী চাই যথাযথ প্রস্তুতি। কিভাবে আমাদের প্রস্তুতি নেয়া উচিত এব্যাপারে অনেক লেখা পাবেন ইন্টারনেটে। তাছাড়া ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র যারা গিয়েছেন তাদের থেকেও অনেক পরামর্শ নিতে পারেন। আমরাও আজকে বাইরে পড়তে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলবো তবে আমরা চেষ্টা করবো নির্দিষ্ট এমনকিছু পয়েন্ট নিয়ে কথা বলতে যেগুলো গুরুত্বপুর্ন হলেও সাধারণত অব্যক্ত থেকে যায়। অথচ জানলে আরো গুছিয়ে প্রস্তুতি নিতে পারতেন। ভূমিকা না বাড়িয়ে চলুন বরং মূল আলোচনায় যাই।

বাইরে মাস্টার্স পড়তে যেতে চাইলে আইইএলটিএস আপনার লাগবেই। এর সাথে জিআরই সবক্ষেত্রে না লাগলেও এটা স্ট্রংলি রেকোমেন্ড করবো দিতে, কেননা ব্যাচেলর শেষে ভালো সিজিপিএ না থাকলে জিআরই বা জিম্যাটে ভাল স্কোর তুলে পুষিয়ে দিতে পারবেন। সহজ কথায় ফান্ডিং পেতে কাজে লাগবে। এই দুটি পরীক্ষা মানে আইইএলটিএস আর জিআরই দিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা লেগে যাবে। অর্থাৎ আপনি নিজে নিজে প্রস্তুতি নিলেও পরীক্ষা ফি বাবদ এই টাকাটা আপনার লাগছেই। অনেকেই শেষ মুহুর্তে জিআরই দেয়ার প্ল্যান বাদ দিয়ে দেন খরচের কথা ভেবে। এর বাইরে অনেক পটেনশিয়াল ক্যান্ডিডেট হটাত এত টাকা দিয়ে আইইএলটিএস দিবেন কিনা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে শেষ পর্যন্ত বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে দেন। এটা কিন্তু খুব সহজেই সমাধান করতে পারেন। ১ম বর্ষে থাকাকালীন সময়েই বছরে ১০ হাজার টাকা করে জমানোর প্রতিজ্ঞা নিন। মানে মাসে ১ হাজারেরও কম। বা মাসে ১ হাজার করেই জমান। চার বছর পর আপনার হাতে ৪৮ হাজার টাকা থাকবে। এই যে অল্প অল্প করে জমিয়ে ৪৮ হাজার টাকা করলেন এটা দিয়ে আইইএলটিএস+জিআরই+পাসপোর্ট এর খরচ খুব সহজেই হয়ে যাবে। না জমিয়ে পরিবার থেকে একসাথে এতগুলো টাকা ম্যানেজ করা যেমন অনেকের ক্ষেত্রে কঠিন ঠিক তেমনি পরীক্ষাগুলো দেয়ার আগেই একটা বাড়তি চাপ অনুভব করবেন যে এতগুলো টাকা খরচ হয়ে গেলো, কোথাও চান্স না পেলে একেবারেই লস প্রজেক্ট। নিজের জমানো টাকায় যখন এই খরচগুলো করবেন তখন এরকম মানসিক চাপ থেকেও কিন্তু কিছুটা মুক্তি পাবেন।


ব্যাচেলরে গুরুত্বপুর্ন কোর্সে কোনো কারণে স্কোর ভালো না থাকলে Coursera এর মত সাইটগুলোতে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট টপিকের কোর্স করতে পারেন। আরো একবার পড়া হয়ে গেলো সাথে করে আপনার কম স্কোরের ক্ষতিও কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন। লক্ষণীয় যে এটা কখনোই ভালো স্কোরের বিকল্প নয়।


বিদেশে মাস্টার্স প্রোগ্রামে দেয়া স্কলারশিপগুলোতে চোখবন্ধ করে সিরিয়ালি একটার পর একটায় আবেদন করার প্রবণতা দেখা যায় আমাদের মধ্যে। এটা করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা মূলত ভাবেন যে স্কলারশিপ পাওয়ার চান্স বেড়ে যাবে। আসলে ঘটে উল্টো। মূলত এরকম করে সার্বিকভাবে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মোট স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে। বাস্তব উদাহরণ দিই, গোলাপীর ভালো সিজিপিএ এবং আইইএলটিএস আছে। তো সে একটি ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে আবেদন করে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্কলারশিপের জন্য সিলেকটেড হলো। এখন সে জানলো যে ভিসার জন্য তাকে ভারতে যেয়ে ইন্টারভিউ দিতে হবে এবং ঐ দেশে যাওয়ার বিমান খরচ তাকে দিতে হবে। গোলাপী না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল এবং এরমধ্যে ঐ সেশনের সময় শেষ তাই গোলাপী আবার পরের বছর এরথেকে ভালো স্কলারশিপে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিল। এতে করে গোলাপীর একটি বছর নষ্ট হয়ে গেলো। আর ঐ স্কলারশিপে যেতে আগ্রহী এবং যোগ্য আরেকজন বাংলাদেশীর সুযোগটুকুও নষ্ট হল। এরকম পটেনশিয়াল গোলাপীর সংখ্যাই বেশি। যার কারণে দেশের জন্য কোটাভিত্তিক স্কলারশিপগুলোতে বাংলাদেশের কোটা সবসময় পুর্ন হয় না। নিজের সম্ভাবনা বাড়াতে গিয়ে আমরা নিজেদের সম্ভাবনা কমিয়ে দিচ্ছি। গোলাপী যদি প্রথমেই সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে এগোত তাহলে কিন্তু তার এই সময়টুকু নষ্ট হত না। তাই আবেদনের আগেই নিজেকে প্রশ্ন করুন এই স্কলারশিপ পেলে আসলেই আপনি যাবেন কিনা। না গেলে আরেকজনের সুযোগটুকু কেড়ে নিবেন না।


মুল লেখা- https://www.kholabakso.com/haatekhori/study-abroad-preperation-for-bangladeshi-student

https://www.kholabakso.com

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হুম। অনেকে শুধুশুধু, খেলারছলে আবেদন করে। তাদের এতসব ভাববার সময় নেই।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

আজিব ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

রাকু হাসান বলেছেন:

দরুণ কারও ইচ্ছা নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে মাস্টার্স করবে । বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোর শর্তও তো কোর্স অনুসারেই সাজাঁনো থাকে ? হ্যাঁ এক্সট্রা কারিকুলাম তো থাকবেই । কারও এমন কোনো স্কিল আছে যা কোর্সের সাথে বেমানান । তখন অর্জিত স্কিলটি স্কলারশিপ পেতে সহায়তা করবে ?
উচ্চ শিক্ষা নিয়ে বিস্তারিত আকারে একটি সিরিজ লিখলে পাঠকদের সুবিধা হবে । ভালো লিখেছেন ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০০

আজিব ভাই বলেছেন: প্রশ্নটা স্পষ্ট না। আর প্রশ্নের উত্তর অবস্থা অনুযায়ী পরিবর্তন হবে। সহজ কথায় বলি। প্রাসঙ্গিক করতে পারলে সহায়ক হবে, করতে না পারলে বা প্রাসঙ্গিক করার ক্ষেত্র না থাকলে কাজে লাগবে না। ধরুন আমি আবেদন করবো সিএসই তে। আমি গাড়ি চালাতে পারি। এখন যে স্কলারশিপে আবেদন করবো সেখানে স্কলারশিপ দেয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর সৃজনশীল চিন্তা, লিডারশিপ ক্যাপাবিলিটি আমলে নেয়। আমি সুন্দর করে লিখলাম যে পড়ুয়া ছেলেদের ড্রাইভিং শেখাটা কমন না হওয়া সত্ত্বেও কেনো আমি শিখলাম (অনেকটা পরোক্ষভাবে বলা যে, দেখো আমি বক্সের বাইরে চিন্তা করি)। এভাবে বেমানান স্কিল দিয়ে নিজের নেতৃত্বগুণও জাহির করা যায়। আর এভাবে করলে ব্যাপারটা কনভিন্সিভও হয়।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লেগেছে, প্রিয়তে রাখলাম। এরকম লেখা সামুতে কহুব কম আসে। আরো লেখার অনুরোধ করছি।

আচ্ছা টোফেল নাকি আইইএলটিএস, কোনটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশি ভাল?

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৮

আজিব ভাই বলেছেন: আইইএলটিএস।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

ইসিয়াক বলেছেন: প্রয়োজনীয় পোষ্ট ।
শুভসন্ধ্যা

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২৮

আজিব ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.