নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজিব ভাই

আজিব ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

একনজরে সিরিয়া যুদ্ধের টাইমলাইন

০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০১



মার্চ ২০১১- সিরিয়ার দারা শহরে দেয়ালে রাজনৈতিক গ্রাফিতি আঁকার অপরাধে একদল শিশু-কিশোরদের গ্রেপ্তারের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে নিহত হয় ডজনখানেক বিক্ষোভকারী।

মার্চ ২৪, ২০১১- চলমান পরিস্থিতি উত্তরণে সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেয়। সরকারি চাকুরীজীবীদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়। সিরিয়ার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা জরুরী আইন ও নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ব্যাপারে পর্যালোচনা করার আশ্বাস দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

মার্চ ৩০, ২০১১- টেলিভিশনে বাশার আল আসাদ জাতির উদ্দেশ্যে ৪৫ মিনিটের ভাষণ দেন। এসময় তিনি স্বীকার করে নেন যে সরকার জনগণের প্রয়োজন পূরণ করতে পারছে না, তবে কোনো বস্তুনিষ্ঠ পরিবর্তনের কথা বলেননি। জরুরী অবস্থা অব্যাহত থাকে।


এপ্রিল ২১, ২০১১- আসাদ সিরিয়ার ৪৮ বছর ধরে চলমান জরুরী অবস্থা তুলে নেন। এছাড়া হায়ার স্টেট সিকিউরিটি কোর্ট (জরুরী অবস্থায় কার্যকর সামরিক আদালত) ভেঙ্গে দিয়ে “সিরিয়ান সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে শান্তিপুর্ণ আন্দোলন করার অধিকার নিয়ন্ত্রন” ডিক্রি জারি করেন।

মে ১৮, ২০১১- আসাদ এবং সিরিয়ার ৬ জন সিনিয়র অফিশিয়ালের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

আগস্ট ১৮, ২০১১- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে সিরিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আমেরিকায় থাকা সিরিয়ান সরকারের সম্পদ ফ্রিজ করা হয়।

সেপ্টেম্বর ২, ২০১১- ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়া থেকে তেল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

সেপ্টেমবর ২৩, ২০১১- সিরিয়ান সরকারের অব্যাহত নৃশংস অভিযানের জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোকিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ।

অক্টোবর ২, ২০১১- আসাদ সরকারকে উৎখাত করে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিরোধী গ্রুপগুলোর সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল গঠন।

অক্টোবর ৪, ২০১১- আসাদ সরকারের চলমান ক্র্যাকডাউন তড়িৎ বন্ধ করার জন্য আনিত জাতিসংঘের রেজুলেশনে রাশিয়া এবং চীনের ভেটো প্রদান।

নভেম্বর ১২, ২০১১- আরবলীগ সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করে।

নভেম্বর ২৭, ২০১১- আরবলীগের ১৯ দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সিরিয়ায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে ভোট দেয়।

নভেম্বর৩০, ২০১১- তুরস্ক সিরিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধসহ বেশকিছু পদক্ষেপের ঘোষনা দেয়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০১১- সহিংসতা বন্ধে আরবলীগের প্রস্তাবনায় সিরিয়া সাক্ষর করে।

জানুয়ারি ২৮, ২০১২- সিরিয়ায় আরবলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১২- জাতিসংঘের রেজুলেশনে রাশিয়া, চীনের পুনরায় ভেটো প্রদান।

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১২- দামেস্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বন্ধ ঘোষনা করে কুটনীতিকদের প্রত্যাহার।

ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১২- গালফ কর্পোরেশন কাউন্সিলের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ নিজ নিজ দেশের দূতদের প্রত্যাহার এবং স্বদেশে থাকা সিরিয়ার রাষ্ট্রদূতদের বহিস্কারের ঘোষনা দেয়।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১২- সিরিয়ায় সংবিধান সংশোধনী ভোট গ্রহণ করা হয়। ৯০ শতাংশ ভোটার পক্ষে ভোট দেন।

মার্চ ১৩, ২০১২- সিরিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত কফি আনান তুর্কি সরকার এবং সিরিয়ার বিরোধীগ্রুপের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎকার করেন।

মার্চ ১৫, ২০১২- গালফ কর্পোরেশন কাউন্সিলের ৬ দেশ সিরিয়ায় তাদের দুতাবাস বন্ধ করে দেয়। গালফ কর্পোরেশন কাউন্সিল এসময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সিরিয়ায় হস্তক্ষেপের আহ্বান জানায়।

মার্চ ২৭, ২০১২- সহিংসতা বন্ধে কফি আনানের প্রস্তাবনা গ্রহণ করে সিরিয়ান সরকার। এ প্রস্তাবনায় সহিংসতা বন্ধ, হিউম্যানটারিয়ান সংস্থার প্রবেশাধিকার, গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি এবং রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানানো হয়।

এপ্রিল ১, ২০১২- ইস্তানবুলে এক সম্মেলনে ফ্রেন্ডস অব দ্যা সিরিয়ান পিপল নামের আন্তর্জাতিক গ্রুপ সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলকে সিরিয়ান জনগণের বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করে।

জুলাই ৩০, ২০১২- লন্ডনে সিরিয়ার দায়িত্বশীল কূটনীতিক খালেদ-আল-আইয়ুবী দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন। এসময় তিনি বলেন যে, নিজদেশের মানুষের উপর সহিংসতা এবং নিপীড়ন চালানো রেজিমের প্রতিনিধিত্ব করতে চান না।

আগস্ট ২, ২০১২- জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন জানান যে আগস্টে শেষ হতে যাওয়া আনান এর ম্যান্ডেট নবায়ন করা হবে না।

আগস্ট ৬, ২০১২- সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী রিয়াদ হিজাব পদত্যাগ করে সপরিবারে জর্ডানে পালিয়ে যান।

আগস্ট ৯, ২০১২- আসাদ নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়ায়েল আল-হাল্কিকে নিয়োগ দেন

অক্টোবর ৩, ২০১২- তার্কিশ সীমান্ত শহর আককালেতে সিরিয়ান শেল এর আঘাতে ৫ জন নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়ান বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে তুর্কী আঘাত হানে এবং তুরস্কের সংসদে বিদেশে তার্কিশ সেনা মোতায়েনের রেজুলেশন গৃহীত হয়।

নভেম্বর ১১, ২০১২- ইসরায়েলের মিলিটারি পোস্টে মর্টার শেল আঘাত হানার পরে সিরিয়ার দিকে ইসরায়েলে সতর্কতামূলক ফায়ারিং। ১৯৭৩ সালের পর সিরিয়ায় ইসরায়েলের প্রথমবারের মত গোলাবর্ষনের ঘটনা এটি। সিরিয়ার বিরোধীগ্রুপগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে জোটবদ্ধ হয়ে রেভুলেশনারি ফোর্স গঠন করে।

জানুয়ারি ৬, ২০১৩- আসাদ সরকার থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানায়।

মার্চ ১৯, ২০১৩- বিরোধীজোট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘাসসান হিত্তোকে নির্বাচিত করে। দামেস্কে জন্ম নেয়া হিত্তো আমেরিকা এবং সিরিয়ার দ্বৈত নাগরিক।

এপ্রিল ২৫, ২০১৩- ওবামা প্রশাসনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল জানান সিরিয়ার সল্প পরিসরে রাসায়নিক অস্ত্র “সারিন” ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

মে ২৭, ২০১৩- ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো সিরিয়ার বিদ্রোহীদের উপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথম কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে মার্কিন সিনেটর জন ম্যাককেইনের সিরিয়া সফর।

জুন ১৩, ২০১৩- মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে সিরিয়া “রেড লাইন” অতিক্রম করে ফেলেছে। তার প্রশাসন বিদ্রোহীদের সরাসরি সমর্থন প্রদান করে।

জুলাই ৬, ২০১৩- বিদ্রোহীদের জোট সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলের নতুন নেতা হিসেবে আহমাদ আসসি জার্বা নির্বাচিত হন।

আগস্ট ১৮, ২০১৩- জাতিসংঘের অস্ত্র পর্যবেক্ষক দল সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেন।

আগস্ট ২২, ২০১৩- রেজিম-বিরোধী সক্রিয়গ্রুপগুলো দাবি করে ২১ আগস্ট নারী-শিশুসহ ১৩০০ এরও অধিক নাগরিককে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যা করে আসাদ সরকার। জাতিসংঘ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘটনার তৎক্ষণাৎ তদন্তের আহ্বান জানায়।

আগস্ট ২৪, ২০১৩- ডক্টরস উইথআউট বর্ডারস জানায় ২১ আগস্ট দামেস্কের নিকটবর্তী ৩ টি হাসপাতালে ৩ হাজারের অধিক রোগী “নিউরোটক্সিক সিম্পটমস” এ ভুগছে। ৩৫৫ রোগী মারা যাওয়ার খবর রিপোর্ট করা হয়।

আগস্ট ২৬, ২০১৩- রাসায়নিক অস্ত্রের ঘটনাস্থল মুয়াদামিয়েত আল-শামে জাতিসংঘের তদন্তকারী দল পৌছায়। পথে তদন্তকারী দলের গাড়িবহর লক্ষ্য করে স্নাইপার গুলিবর্ষনের ঘটনা ঘটলেও কেউ আহত হননি।

আগস্ট ২৯, ২০১৩- ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সিরিয়ায় কোনো ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপ নেয়ার বিপক্ষে ভোট পড়ে।

আগস্ট ৩০, ২০১৩- মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি জানান মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী বিগত সপ্তাহের রাসায়নিক অস্ত্রের আক্রমণে ১৪২৯ জন নিহত হন। এরমধ্যে ৪২৯ জন শিশু ছিল।

সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৩- রাশিয়্যর প্রস্তাবিত রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রন ছেড়ে দিতে সম্মত হয় সিরিয়া।

সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৩- এক বিবৃতিতে মার্কিন সেনা মোতায়েনের আশংকা নাকচ করে দেন বারাক ওবামা।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৩- সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র বিলুপ্তির ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌছায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৩- ২১ আগস্টের ঘটনার উপর জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ। সারিন ব্যবহারের সচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়ার কথা জানানো হয়।

সেপ্টেমবর ২০, ২০১৩- রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসুচির উপর সিরিয়া একটি প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করে।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৩- জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র বিলুপ্তির একটি রেজুলেশন পাস হয়। আসাদ উক্ত রেজুলেশন মেনে চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অক্টোবর ৬, ২০১৩- সিরিয়া সরকার তাদের রাসায়নিক নিরস্ত্রীকরণ শুরু করে।

অক্টোবর ৩১, ২০১৩- ওপিসিডব্লিউ ঘোষণা দেয় যে সিরিয়া তাদের সবগুলো রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন ফ্যাসিলিটি ধ্বংস করেছে।

নভেম্বর ২৫, ২০১৩- জাতিসংঘ ঘোষণা দেয় যে ২২ জানুয়রি থেকে সিরিয়ার সরকার এবং বিরোধীগ্রুপগুলো সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসবে।

ডিসেম্বর ২, ২০১৩- জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার নাভি পিল্লায় জানান সিরিয়ান সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকগনের যুদ্ধপরাধের বড়সর প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ।

জানুয়ারি ২০, ২০১৪- সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল জেনেভায় নির্ধারিত আলোচনয়া ইরানের অংশগ্রহণ বাতিলের দাবি জানায়। অন্যথায় বিরোধীগ্রুপ আলোচনায় বসবে না বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪- ওপিসিডব্লিউ জানায় সিরিয়া তাদের রাস্যনিক মজুদের ১১% বের করেছে যদিও ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পুর্ন মজুদ বের করে দেয়ায় সময়সীমা ছিল।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৪- দ্বিতীয়দফা শান্তি আলোচনা।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪- জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির ব্যাপারে রেজুলেশন গৃহীত।

জুন ৩, ২০১৪- ৮৮.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে আসাদ পুনঃনির্বাচিত।

সেপ্টেম্বর, ২০১৪- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রজোট সিরিয়ার রাক্কায় আইএসাইএসকে লক্ষ্য করে এয়ারস্ট্রাইক পরিচালনা করে।

সেপ্টেম্বর, ২০১৫- পেন্টাগন মুখপাত্র জানায়, পশ্চিম সিরিয়ায় রাশিয়ান মিলিটারি অগ্রবর্তী অপারেটিং বেস তৈরির চেষ্টা করছে। ভ্লাদিমির পুতিন জানায় রাশিয়া আইএসআইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সিরিয়ান সরকারকে সাহায্য করছে।

অক্টোবর ৩০, ২০১৫- হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনধিক ৫০ সদস্যের স্পেশাল অপারেটিং ফোর্স কুর্দিশ নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে প্রেরণ করবে। মার্কিন ট্রুপস স্থানীয় কুর্দিশ এবং আরবদের আইএসআইএসের সাথে যুদ্ধে লজিস্টিকস ও পরিকল্পনায় সহায়তা করবে।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৬- সাময়িক যুদ্ধবিরতি।

মার্চ ১৫, ২০১৬- সিরিয়া থেকে রাশিয়ান ফোর্স প্রত্যাহার করা শুরু হয়।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৬- এয়ারস্ট্রাইকে ৯ শিশুসহ ২৩ জন নিহত। আমেরিকা রাশিয়া একে অপরকে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার জন্য দোষারোপ করে আসছিল ১২ সেপ্টেম্বর থেকে।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৬- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের দেইর ইজ্জর বিমানবন্দরের কাছাকাছি আইএসআইএসকে লক্ষ্য করে চালানো এয়ার স্ট্রাইকে ৬২ সিরিয়ান সৈন্য নিহত।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬- সিরিয়ান আরব রেড ক্রিসেন্টের গাড়িবহর এবং ওয়্যারহাউজে বোমা বিস্ফোরণ। ঘটনার দায়ভার কেউ স্বীকার করেনি।

সেপ্টেম্বর ২৩-২৫, ২০১৬- প্রায় ২০০ এয়ার স্ট্রাইক আলেপ্পো শহরে আঘাত হানে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০১৬- বিদ্রোহী গ্রুপ থেকে আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রন চলে যায় সিরিয়ান সরকারি হাতে। তুরস্ক এবং রাশিয়ার মধ্যস্ততায় আলেপ্পোর পুর্বাঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে যুদ্ধবিরতি। যুদ্ধবিরতি ১ দিনও স্থায়ী হয়নি।

ডিসেম্বর ২২, ২০১৬- চারবছর পর সিরিয়ার সরকারি বাহিনী আলেপ্পোর পুর্ননিয়ন্ত্রণ লাভ করে।

এপ্রিল ৪, ২০১৭- খান শেইখুন শহরে সন্দেহজনক রাসায়নিক অস্ত্রের আক্রমণে ১ ডজন বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগ। রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় জানায়, সিরিয়ান সরকারি বাহিনী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী দ্বারা চালিত অস্ত্রের ডিপোতে বোমা হামলা করলে গ্যাস নিঃসরণ ঘটে। তবে অপরপক্ষের দাবি সরকারি বাহিনীই রাসায়নিক আক্রমণ পরিচালনা করে।

এপ্রিল ৬, ২০১৭- রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার সরকারি এয়ারবেজে মিলিটারি স্ট্রাইক চালায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ রাসায়নিক আক্রমণের জন্য ব্যবহৃত এয়ারবেজে ৫৯ টি টমাহক ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করে।

জুলাই ৭, ২০১৭- জার্মানিতে জি ২০ সম্মেলনে ট্রাম্প-পুতিন আলোচনায় সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সহিংসতা কমিয়ে আনার ব্যাপারে চুক্তি হয়। ৯ জুলাই থেকে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হয়।

অক্টোবর ১৭, ২০১৭- আইএসআইএস তাদের স্বঘোষিত রাজধানী রাক্কার নিয়ন্ত্রণ হারায় মার্কিনপন্থী বাহিনীর কাছে।

অক্টোবর ২৬, ২০১৭- জাতিসংঘ এবন আইসিডব্লিউআই এর যৌথ রিপোর্টে এপ্রিল ১৭ তে ঘটা সারিন আক্রমনে আসাদ রেজিমকে দায়ী করা হয়। এই রাসায়নিক আক্রমণে ৮০ জনের অধিক সিরিয়ান নাগরিক মারা যান। আসাদ সরকার রাসায়নিক অস্ত্রের কথা অস্বীকার করেন।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮- পুতিনের আদেশে শুরু হওয়া মানবিক বিরতির মধ্যে সরকারি অবস্থান থেকে শেলিং এবং আর্টিলারি ফায়ারিং এর অভিযোগ। এতে গুতায় ১ জন নিহত হয়।

মার্চ ৬, ২০১৮- বিভিন্ন সোর্সের বরাত দিয়ে দুইমাসে ১ হাজারের অধিক শিশু হতাহতের খবর জানায় ইউনিসেফ।

এপ্রিল ৭, ২০১৮- বিদ্রোহীদের হাতে থাকা সর্বশেষ শহর গুতার পুর্বাঞ্চলে হেলিকপ্টার থেকে বিষাক্ত গ্যাস ভর্তি ব্যারেল বোমা নিক্ষেপ। হু এর মতে ৫০০র মত সিরিয়ান এতে আক্রান্ত হন।

এপ্রিল ১৪, ২০১৮- গুতার পুর্বাঞ্চলে চালানো রাসায়নিক আক্রমণের জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য এয়ারস্ট্রাইক পরিচালনা করে।

জুলাই ২৭, ২০১৮- জাতিসংঘ জানায় সিরিয়ার যুদ্ধের কারণে বিগত ৭ বছরে অন্তত ৭ হাজার শিশু হত্যা বা অঙ্গহানির ব্যাপারে তারা যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছে। তবে যাচাই ছাড়া তাদের রিপোর্টে এই সংখ্যা ২০ হাজারের উপরে।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮- সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশ ডিমিলিটারাইজড জোন সৃষ্টি করার ব্যাপারে রাশিয়া এবং তুরস্ক ঐক্যমতে পৌছায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮- ট্রাম্প টুইটে জানান সিরিয়ায় আইএসআইএসকে পরাজিত করতে মার্কিন জোট সক্ষম হয়েছে। সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের চিন্তাভাবনা শুরু।

মার্চ ২৩, ২০১৯- সিরিয়ার পুর্বাঞ্চলে থাকা আইএসআইএসের শাসনে থাকা শেষ জনবহুল এলাকা কুর্দিশ যোদ্ধারা দখলে নেয়।

অক্টোবর ৯, ২০১৯- মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার ঘোষনার একদিন পর সিরিয়ার উত্তর-পুর্বাঞ্চলে তুরস্কের আক্রমণ। অপারেশন পিস স্প্রিং মূলত কুর্দিশ যোদ্ধাদেরকে সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে দিতে এবং ২ মিলিয়ন সিরিয়ান রিফিউজিদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যা চালানো হয়।

মার্চ ৫, ২০২০- ইদলিবে তুরস্ক এবং রাশিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষনা।

(সিএনএন থেকে অনুবাদকৃত)মার্চ ২০১১- সিরিয়ার দারা শহরে দেয়ালে রাজনৈতিক গ্রাফিতি আঁকার অপরাধে একদল শিশু-কিশোরদের গ্রেপ্তারের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে নিহত হয় ডজনখানেক বিক্ষোভকারী।

মার্চ ২৪, ২০১১- চলমান পরিস্থিতি উত্তরণে সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেয়। সরকারি চাকুরীজীবীদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়। সিরিয়ার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা জরুরী আইন ও নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ব্যাপারে পর্যালোচনা করার আশ্বাস দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

মার্চ ৩০, ২০১১- টেলিভিশনে বাশার আল আসাদ জাতির উদ্দেশ্যে ৪৫ মিনিটের ভাষণ দেন। এসময় তিনি স্বীকার করে নেন যে সরকার জনগণের প্রয়োজন পূরণ করতে পারছে না, তবে কোনো বস্তুনিষ্ঠ পরিবর্তনের কথা বলেননি। জরুরী অবস্থা অব্যাহত থাকে।


এপ্রিল ২১, ২০১১- আসাদ সিরিয়ার ৪৮ বছর ধরে চলমান জরুরী অবস্থা তুলে নেন। এছাড়া হায়ার স্টেট সিকিউরিটি কোর্ট (জরুরী অবস্থায় কার্যকর সামরিক আদালত) ভেঙ্গে দিয়ে “সিরিয়ান সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে শান্তিপুর্ণ আন্দোলন করার অধিকার নিয়ন্ত্রন” ডিক্রি জারি করেন।

মে ১৮, ২০১১- আসাদ এবং সিরিয়ার ৬ জন সিনিয়র অফিশিয়ালের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

আগস্ট ১৮, ২০১১- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে সিরিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আমেরিকায় থাকা সিরিয়ান সরকারের সম্পদ ফ্রিজ করা হয়।

সেপ্টেম্বর ২, ২০১১- ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়া থেকে তেল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

সেপ্টেমবর ২৩, ২০১১- সিরিয়ান সরকারের অব্যাহত নৃশংস অভিযানের জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোকিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ।

অক্টোবর ২, ২০১১- আসাদ সরকারকে উৎখাত করে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিরোধী গ্রুপগুলোর সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল গঠন।

অক্টোবর ৪, ২০১১- আসাদ সরকারের চলমান ক্র্যাকডাউন তড়িৎ বন্ধ করার জন্য আনিত জাতিসংঘের রেজুলেশনে রাশিয়া এবং চীনের ভেটো প্রদান।

নভেম্বর ১২, ২০১১- আরবলীগ সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করে।

নভেম্বর ২৭, ২০১১- আরবলীগের ১৯ দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সিরিয়ায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে ভোট দেয়।

নভেম্বর৩০, ২০১১- তুরস্ক সিরিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধসহ বেশকিছু পদক্ষেপের ঘোষনা দেয়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০১১- সহিংসতা বন্ধে আরবলীগের প্রস্তাবনায় সিরিয়া সাক্ষর করে।

জানুয়ারি ২৮, ২০১২- সিরিয়ায় আরবলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১২- জাতিসংঘের রেজুলেশনে রাশিয়া, চীনের পুনরায় ভেটো প্রদান।

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১২- দামেস্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বন্ধ ঘোষনা করে কুটনীতিকদের প্রত্যাহার।

ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১২- গালফ কর্পোরেশন কাউন্সিলের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ নিজ নিজ দেশের দূতদের প্রত্যাহার এবং স্বদেশে থাকা সিরিয়ার রাষ্ট্রদূতদের বহিস্কারের ঘোষনা দেয়।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১২- সিরিয়ায় সংবিধান সংশোধনী ভোট গ্রহণ করা হয়। ৯০ শতাংশ ভোটার পক্ষে ভোট দেন।

মার্চ ১৩, ২০১২- সিরিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত কফি আনান তুর্কি সরকার এবং সিরিয়ার বিরোধীগ্রুপের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎকার করেন।

মার্চ ১৫, ২০১২- গালফ কর্পোরেশন কাউন্সিলের ৬ দেশ সিরিয়ায় তাদের দুতাবাস বন্ধ করে দেয়। গালফ কর্পোরেশন কাউন্সিল এসময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সিরিয়ায় হস্তক্ষেপের আহ্বান জানায়।

মার্চ ২৭, ২০১২- সহিংসতা বন্ধে কফি আনানের প্রস্তাবনা গ্রহণ করে সিরিয়ান সরকার। এ প্রস্তাবনায় সহিংসতা বন্ধ, হিউম্যানটারিয়ান সংস্থার প্রবেশাধিকার, গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি এবং রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানানো হয়।

এপ্রিল ১, ২০১২- ইস্তানবুলে এক সম্মেলনে ফ্রেন্ডস অব দ্যা সিরিয়ান পিপল নামের আন্তর্জাতিক গ্রুপ সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলকে সিরিয়ান জনগণের বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করে।

জুলাই ৩০, ২০১২- লন্ডনে সিরিয়ার দায়িত্বশীল কূটনীতিক খালেদ-আল-আইয়ুবী দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন। এসময় তিনি বলেন যে, নিজদেশের মানুষের উপর সহিংসতা এবং নিপীড়ন চালানো রেজিমের প্রতিনিধিত্ব করতে চান না।

আগস্ট ২, ২০১২- জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন জানান যে আগস্টে শেষ হতে যাওয়া আনান এর ম্যান্ডেট নবায়ন করা হবে না।

আগস্ট ৬, ২০১২- সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী রিয়াদ হিজাব পদত্যাগ করে সপরিবারে জর্ডানে পালিয়ে যান।

আগস্ট ৯, ২০১২- আসাদ নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়ায়েল আল-হাল্কিকে নিয়োগ দেন

অক্টোবর ৩, ২০১২- তার্কিশ সীমান্ত শহর আককালেতে সিরিয়ান শেল এর আঘাতে ৫ জন নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়ান বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে তুর্কী আঘাত হানে এবং তুরস্কের সংসদে বিদেশে তার্কিশ সেনা মোতায়েনের রেজুলেশন গৃহীত হয়।

নভেম্বর ১১, ২০১২- ইসরায়েলের মিলিটারি পোস্টে মর্টার শেল আঘাত হানার পরে সিরিয়ার দিকে ইসরায়েলে সতর্কতামূলক ফায়ারিং। ১৯৭৩ সালের পর সিরিয়ায় ইসরায়েলের প্রথমবারের মত গোলাবর্ষনের ঘটনা এটি। সিরিয়ার বিরোধীগ্রুপগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে জোটবদ্ধ হয়ে রেভুলেশনারি ফোর্স গঠন করে।

জানুয়ারি ৬, ২০১৩- আসাদ সরকার থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানায়।

মার্চ ১৯, ২০১৩- বিরোধীজোট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘাসসান হিত্তোকে নির্বাচিত করে। দামেস্কে জন্ম নেয়া হিত্তো আমেরিকা এবং সিরিয়ার দ্বৈত নাগরিক।

এপ্রিল ২৫, ২০১৩- ওবামা প্রশাসনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল জানান সিরিয়ার সল্প পরিসরে রাসায়নিক অস্ত্র “সারিন” ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

মে ২৭, ২০১৩- ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো সিরিয়ার বিদ্রোহীদের উপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথম কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে মার্কিন সিনেটর জন ম্যাককেইনের সিরিয়া সফর।

জুন ১৩, ২০১৩- মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে সিরিয়া “রেড লাইন” অতিক্রম করে ফেলেছে। তার প্রশাসন বিদ্রোহীদের সরাসরি সমর্থন প্রদান করে।

জুলাই ৬, ২০১৩- বিদ্রোহীদের জোট সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলের নতুন নেতা হিসেবে আহমাদ আসসি জার্বা নির্বাচিত হন।

আগস্ট ১৮, ২০১৩- জাতিসংঘের অস্ত্র পর্যবেক্ষক দল সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেন।

আগস্ট ২২, ২০১৩- রেজিম-বিরোধী সক্রিয়গ্রুপগুলো দাবি করে ২১ আগস্ট নারী-শিশুসহ ১৩০০ এরও অধিক নাগরিককে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যা করে আসাদ সরকার। জাতিসংঘ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘটনার তৎক্ষণাৎ তদন্তের আহ্বান জানায়।

আগস্ট ২৪, ২০১৩- ডক্টরস উইথআউট বর্ডারস জানায় ২১ আগস্ট দামেস্কের নিকটবর্তী ৩ টি হাসপাতালে ৩ হাজারের অধিক রোগী “নিউরোটক্সিক সিম্পটমস” এ ভুগছে। ৩৫৫ রোগী মারা যাওয়ার খবর রিপোর্ট করা হয়।

আগস্ট ২৬, ২০১৩- রাসায়নিক অস্ত্রের ঘটনাস্থল মুয়াদামিয়েত আল-শামে জাতিসংঘের তদন্তকারী দল পৌছায়। পথে তদন্তকারী দলের গাড়িবহর লক্ষ্য করে স্নাইপার গুলিবর্ষনের ঘটনা ঘটলেও কেউ আহত হননি।

আগস্ট ২৯, ২০১৩- ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সিরিয়ায় কোনো ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপ নেয়ার বিপক্ষে ভোট পড়ে।

আগস্ট ৩০, ২০১৩- মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি জানান মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী বিগত সপ্তাহের রাসায়নিক অস্ত্রের আক্রমণে ১৪২৯ জন নিহত হন। এরমধ্যে ৪২৯ জন শিশু ছিল।

সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৩- রাশিয়্যর প্রস্তাবিত রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রন ছেড়ে দিতে সম্মত হয় সিরিয়া।

সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৩- এক বিবৃতিতে মার্কিন সেনা মোতায়েনের আশংকা নাকচ করে দেন বারাক ওবামা।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৩- সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র বিলুপ্তির ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌছায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৩- ২১ আগস্টের ঘটনার উপর জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ। সারিন ব্যবহারের সচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়ার কথা জানানো হয়।

সেপ্টেমবর ২০, ২০১৩- রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসুচির উপর সিরিয়া একটি প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করে।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৩- জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র বিলুপ্তির একটি রেজুলেশন পাস হয়। আসাদ উক্ত রেজুলেশন মেনে চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অক্টোবর ৬, ২০১৩- সিরিয়া সরকার তাদের রাসায়নিক নিরস্ত্রীকরণ শুরু করে।

অক্টোবর ৩১, ২০১৩- ওপিসিডব্লিউ ঘোষণা দেয় যে সিরিয়া তাদের সবগুলো রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন ফ্যাসিলিটি ধ্বংস করেছে।

নভেম্বর ২৫, ২০১৩- জাতিসংঘ ঘোষণা দেয় যে ২২ জানুয়রি থেকে সিরিয়ার সরকার এবং বিরোধীগ্রুপগুলো সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসবে।

ডিসেম্বর ২, ২০১৩- জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার নাভি পিল্লায় জানান সিরিয়ান সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকগনের যুদ্ধপরাধের বড়সর প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ।

জানুয়ারি ২০, ২০১৪- সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল জেনেভায় নির্ধারিত আলোচনয়া ইরানের অংশগ্রহণ বাতিলের দাবি জানায়। অন্যথায় বিরোধীগ্রুপ আলোচনায় বসবে না বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪- ওপিসিডব্লিউ জানায় সিরিয়া তাদের রাস্যনিক মজুদের ১১% বের করেছে যদিও ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পুর্ন মজুদ বের করে দেয়ায় সময়সীমা ছিল।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৪- দ্বিতীয়দফা শান্তি আলোচনা।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪- জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির ব্যাপারে রেজুলেশন গৃহীত।

জুন ৩, ২০১৪- ৮৮.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে আসাদ পুনঃনির্বাচিত।

সেপ্টেম্বর, ২০১৪- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রজোট সিরিয়ার রাক্কায় আইএসাইএসকে লক্ষ্য করে এয়ারস্ট্রাইক পরিচালনা করে।

সেপ্টেম্বর, ২০১৫- পেন্টাগন মুখপাত্র জানায়, পশ্চিম সিরিয়ায় রাশিয়ান মিলিটারি অগ্রবর্তী অপারেটিং বেস তৈরির চেষ্টা করছে। ভ্লাদিমির পুতিন জানায় রাশিয়া আইএসআইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সিরিয়ান সরকারকে সাহায্য করছে।

অক্টোবর ৩০, ২০১৫- হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনধিক ৫০ সদস্যের স্পেশাল অপারেটিং ফোর্স কুর্দিশ নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে প্রেরণ করবে। মার্কিন ট্রুপস স্থানীয় কুর্দিশ এবং আরবদের আইএসআইএসের সাথে যুদ্ধে লজিস্টিকস ও পরিকল্পনায় সহায়তা করবে।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৬- সাময়িক যুদ্ধবিরতি।

মার্চ ১৫, ২০১৬- সিরিয়া থেকে রাশিয়ান ফোর্স প্রত্যাহার করা শুরু হয়।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৬- এয়ারস্ট্রাইকে ৯ শিশুসহ ২৩ জন নিহত। আমেরিকা রাশিয়া একে অপরকে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার জন্য দোষারোপ করে আসছিল ১২ সেপ্টেম্বর থেকে।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৬- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের দেইর ইজ্জর বিমানবন্দরের কাছাকাছি আইএসআইএসকে লক্ষ্য করে চালানো এয়ার স্ট্রাইকে ৬২ সিরিয়ান সৈন্য নিহত।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬- সিরিয়ান আরব রেড ক্রিসেন্টের গাড়িবহর এবং ওয়্যারহাউজে বোমা বিস্ফোরণ। ঘটনার দায়ভার কেউ স্বীকার করেনি।

সেপ্টেম্বর ২৩-২৫, ২০১৬- প্রায় ২০০ এয়ার স্ট্রাইক আলেপ্পো শহরে আঘাত হানে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০১৬- বিদ্রোহী গ্রুপ থেকে আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রন চলে যায় সিরিয়ান সরকারি হাতে। তুরস্ক এবং রাশিয়ার মধ্যস্ততায় আলেপ্পোর পুর্বাঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে যুদ্ধবিরতি। যুদ্ধবিরতি ১ দিনও স্থায়ী হয়নি।

ডিসেম্বর ২২, ২০১৬- চারবছর পর সিরিয়ার সরকারি বাহিনী আলেপ্পোর পুর্ননিয়ন্ত্রণ লাভ করে।

এপ্রিল ৪, ২০১৭- খান শেইখুন শহরে সন্দেহজনক রাসায়নিক অস্ত্রের আক্রমণে ১ ডজন বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগ। রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় জানায়, সিরিয়ান সরকারি বাহিনী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী দ্বারা চালিত অস্ত্রের ডিপোতে বোমা হামলা করলে গ্যাস নিঃসরণ ঘটে। তবে অপরপক্ষের দাবি সরকারি বাহিনীই রাসায়নিক আক্রমণ পরিচালনা করে।

এপ্রিল ৬, ২০১৭- রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার সরকারি এয়ারবেজে মিলিটারি স্ট্রাইক চালায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ রাসায়নিক আক্রমণের জন্য ব্যবহৃত এয়ারবেজে ৫৯ টি টমাহক ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করে।

জুলাই ৭, ২০১৭- জার্মানিতে জি ২০ সম্মেলনে ট্রাম্প-পুতিন আলোচনায় সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সহিংসতা কমিয়ে আনার ব্যাপারে চুক্তি হয়। ৯ জুলাই থেকে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হয়।

অক্টোবর ১৭, ২০১৭- আইএসআইএস তাদের স্বঘোষিত রাজধানী রাক্কার নিয়ন্ত্রণ হারায় মার্কিনপন্থী বাহিনীর কাছে।

অক্টোবর ২৬, ২০১৭- জাতিসংঘ এবন আইসিডব্লিউআই এর যৌথ রিপোর্টে এপ্রিল ১৭ তে ঘটা সারিন আক্রমনে আসাদ রেজিমকে দায়ী করা হয়। এই রাসায়নিক আক্রমণে ৮০ জনের অধিক সিরিয়ান নাগরিক মারা যান। আসাদ সরকার রাসায়নিক অস্ত্রের কথা অস্বীকার করেন।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮- পুতিনের আদেশে শুরু হওয়া মানবিক বিরতির মধ্যে সরকারি অবস্থান থেকে শেলিং এবং আর্টিলারি ফায়ারিং এর অভিযোগ। এতে গুতায় ১ জন নিহত হয়।

মার্চ ৬, ২০১৮- বিভিন্ন সোর্সের বরাত দিয়ে দুইমাসে ১ হাজারের অধিক শিশু হতাহতের খবর জানায় ইউনিসেফ।

এপ্রিল ৭, ২০১৮- বিদ্রোহীদের হাতে থাকা সর্বশেষ শহর গুতার পুর্বাঞ্চলে হেলিকপ্টার থেকে বিষাক্ত গ্যাস ভর্তি ব্যারেল বোমা নিক্ষেপ। হু এর মতে ৫০০র মত সিরিয়ান এতে আক্রান্ত হন।

এপ্রিল ১৪, ২০১৮- গুতার পুর্বাঞ্চলে চালানো রাসায়নিক আক্রমণের জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য এয়ারস্ট্রাইক পরিচালনা করে।

জুলাই ২৭, ২০১৮- জাতিসংঘ জানায় সিরিয়ার যুদ্ধের কারণে বিগত ৭ বছরে অন্তত ৭ হাজার শিশু হত্যা বা অঙ্গহানির ব্যাপারে তারা যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছে। তবে যাচাই ছাড়া তাদের রিপোর্টে এই সংখ্যা ২০ হাজারের উপরে।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮- সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশ ডিমিলিটারাইজড জোন সৃষ্টি করার ব্যাপারে রাশিয়া এবং তুরস্ক ঐক্যমতে পৌছায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮- ট্রাম্প টুইটে জানান সিরিয়ায় আইএসআইএসকে পরাজিত করতে মার্কিন জোট সক্ষম হয়েছে। সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের চিন্তাভাবনা শুরু।

মার্চ ২৩, ২০১৯- সিরিয়ার পুর্বাঞ্চলে থাকা আইএসআইএসের শাসনে থাকা শেষ জনবহুল এলাকা কুর্দিশ যোদ্ধারা দখলে নেয়।

অক্টোবর ৯, ২০১৯- মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার ঘোষনার একদিন পর সিরিয়ার উত্তর-পুর্বাঞ্চলে তুরস্কের আক্রমণ। অপারেশন পিস স্প্রিং মূলত কুর্দিশ যোদ্ধাদেরকে সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে দিতে এবং ২ মিলিয়ন সিরিয়ান রিফিউজিদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যা চালানো হয়।

মার্চ ৫, ২০২০- ইদলিবে তুরস্ক এবং রাশিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষনা।

(সিএনএন থেকে অনুবাদকৃত)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ, তথ্য বহুল। সিরিয়ার উপর লিখে ফেলুন আরও কিছু।

০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০০

আজিব ভাই বলেছেন: আগ্রহ আছে। চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ।

২| ০২ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: এগুলো তো ইতিহাস।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

আজিব ভাই বলেছেন: হ্যাঁ।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি সিরিয়া যুদ্ধ নিয়ে যথেষ্ট পড়াশুনা করেছেন বোঝা গেল। আপনার কাছে তাই জানতে চাচ্ছি আপনার মতে এই যুদ্ধ কবে নাগাদ শেষ হওয়ার শম্ভবনা আছে?

০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

আজিব ভাই বলেছেন: যেহেতু তুরস্কের সীমান্তবর্তী ইদলিব বাদে পুরোটাই আসাদ রেজিমের নিয়ন্ত্রনে তাই বলা যায় আর ২-৩ বছরের মধ্যে হয়ত শেষ হবে। তবে ইরাকের মতই যুদ্ধ পরবর্তী স্থবিরতা থাকতে পারে আরো কয়েক বছর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.