নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা-৬

০৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

অনুচ্ছেদ ১
ধারা ৬।
দফা ১। সিনেটর এবং রিপ্রেসেন্টেটিভরা তাদের কাজের জন্য আইনের দ্বারা নির্ধারিত পরিমান প্রতিদান গ্রহণ করতে পারবেন, এবং যুক্তরাষ্টের কোষাগার থেকে তা পরিশোধ করা হবে। প্রতিদানের পরিমান পরিবর্তণ করা হলে, প্রতিনিধিদের নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সেই আইন কার্যকর হবে না। রাষ্ট্রদ্রোহ, গুরুতর অপরাধ এবং শান্তি ভঙ্গ ছাড়া অন্নান্য মামলার ক্ষেত্রে তাদের নিজ নিজ অধিবেশনে অংশ নেয়ার সময়, এবং অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়া ও অধিবেশন থেকে ফিরার সময় গ্রেফতার থেকে বিশেষ অধিকার লাভ করবেন; এবং উভয় পরিষদের যেকোনো পরিষদে যে বক্তব্য রাখবেন বা বিতর্কে অংশ নিবেন, তা নিয়ে অন্য কোনো স্থানে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

ভাষ্য
এই দফাতেও দুইটা ভিন্ন ভিন্ন বিষয়কে একত্রে বর্ণনা করা হয়েছে। এই দফার প্রথম অংশে কংগ্রেসম্যানদের সরকারি বেতন প্রসঙ্গে বিধান রাখা হয়েছে। আইনের দ্বারা নিজেরাই তাদের বেতন নির্ধারণ করবেন। তবে আইন সংশোধন করে বেতনের পরিমান পরিবর্তন করা যাবে। এখানে পরিবর্তন শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে, অর্থাৎ বেতন বাড়ানো যাবে আবার কমানো যাবে। তবে বেতনের পরিমান পরিবর্তন করে আইন সংশোধন করা হলে সেই আইন সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে না। যেই কংগ্রেস এই আইন প্রণয়ন করবে, সেই কগ্রেসের মেয়াদ শেষ হলে নির্বাচনের মাধ্যমে যখন নতুন কংগ্রেস গঠিত হবে তখন নতুন কংগ্রেস থেকে এই পরিবর্তিত আইন কার্যকর হবে। মূল সংবিধানে এই বিধি ছিল না। ১৭৮৯ সালে সংবিধান সংশোধন করে এই শর্তটা যোগ করা হয়। তবে সংবিধানের এই সংশোধনীটা অনুমোদিত হয় মাত্র ১৯৯২ সালে অর্থাৎ সংশোধনী পাস হওয়ার ২২৩ বছর পরে সংবিধানের ২৭ তম সংশোধনীর মাধ্যমে। আমার মনে হয় এটা একটা বিশ্ব রেকর্ড, আইন পাস হওয়ার ২২৩ বছর পরে অনুমোদিত হয়ে বলবৎ হওয়া।

এই দফার দ্বিতীয় অংশে কতগুলি বিশেষ অপরাধ ছাড়া কংগ্রেসম্যানদের গ্রেফতার না করার বিধান রাখা হয়েছে। সিনেটর বা রিপ্রেসেন্টেটিভ, তারা যখন অধিবেশনে থাকবেন, বা অধিবেশনে যোগ দিতে আসতে থাকবেন, বা অধিবেশনে যোগ দিয়ে ফিরে যেতে থাকবেন, তখন রাষ্ট্রদ্রোহ, গুরুতর অপরাধ এবং শান্তি ভঙ্গ ছাড়া অন্নান্য মামলার তাদেরকে গ্রেফতার করা যাবে না।

দফা ২। কোনো সিনেটর বা রিপ্রেসেন্টেটিভ তার নির্বাচিত পদে থাকার সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো বেসামরিক পদে নিযুক্ত হতে পারবেন না, যে পদ ওই সময়ে সৃষ্টি করা হবে, বা যে পদের বেতন ভাতা ওই সময়ে বাড়ান হবে; এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো পদ গ্রহণ করে আছে এমন কোনো ব্যক্তি ওই পদে থাকার সময় উভয় পরিষদের কোনোটির সদস্য হতে পারবেন না।

ভাষ্য
এই বিধানের ফলে কোনো ব্যক্তি নির্বাহী বিভাগ বা বিচার বিভাগে থাকা অবস্থায় কংগ্রেসের সদস্য হতে পারবেন না। আবার বিপরীত ভাবে কংগ্রেসের কোনো সদস্য একই সাথে নির্বাহী বিভাগ বা বিচার বিভাগের কোনো পদ লাভ করতে পারবেন না। সরকারের ক্ষমতা বিভাজনের নীতি থেকে এই ধারণাটা এসেছে। সরকারের তিনটি বিভাগ -- নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইনবিভাগ সম্পূর্ণ পৃথক থাকবে। এটা ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত। ব্রিটেনে লিডার অফ দা হাউস অর্থাৎ সংসদ নেতা একই সাথে প্রধান মন্ত্রী অর্থাৎ নির্বাহী বিভাগের প্রধান। আবার একজন কংগ্রেস সদস্য কংগ্রেসে থাকার সময় কোনো সরকারি পদ সৃষ্টি করা হলো বা সরকারি পদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হলো, পরে কংগ্রেস থেকে এসে ওই পদ গ্রহণ করলেন -- তা তিনি পারবেন না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.