নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা-৯

১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

অনুচ্ছেদ ১
ধারা ৮।
দফা ৯।সুপ্রিম কোর্টের অধঃস্থন ট্রাইবুনাল প্রতিষ্ঠা করবে;
ভাষ্য
এই দফার মাধ্যমে কংগ্রেসকে বিভিন্ন ধরণের ফেডারেল আদালত স্থাপনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এই আদালতগুলি অবশ্যই সুপ্রিম কোর্টের অধীনস্থ হবে। সময়ের প্রেক্ষাপটে ধীরে ধীরে ফেডারেল আদালত পদ্ধতি গড়ে উঠেছে। বর্তমানে সারা যুক্তরাষ্ট্রে ১২ টার মত সার্কিট কোর্ট অফ আপীল, ৯৪টা ফেডারেল ডিস্ট্রিক কোর্ট আছে। তা ছাড়াও বেশ কিছু বিশেষ আদালত আছে।

দফা ১০। গভীর সমুদ্রে জলদস্যুতা এবং গুরুতর অপরাধ, এবং আন্তর্জাতিক আইন (Law of Nations) ভঙ্গের সংজ্ঞা নির্ধারণ করবে এবং সাজা দিবে;

ভাষ্য
গভীর সমুদ্রে প্রকৃত পক্ষে কোনো রাষ্ট্রেরই সর্বভৌমত্ত নাই। তাই আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমায় জলদস্যুতা সহ যে সকল গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হবে তার বিচারে ক্ষমতা কংগ্রেসকে দেয়া হয়েছে। অনুরূপভাবে আন্তর্জাতিক আইনের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা এবং সেই অনুসারে বিচার করার ক্ষমতাও কংগ্রেসকে দেয়া হয়েছে।

দফা ১১। যুদ্ধ ঘোষণা করা, লেটারস অফ মারক (Letters of Marque) অনুমোদন এবং প্রত্যাহার করা, এবং দখলীকৃত সংশ্লিষ্ট স্থল ও জল ভাগের জন্য বিধি প্রণয়ন করা;

ভাষ্য
এই দফায় কংগ্রেসকে একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, সেটা হলো যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা। যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা একমাত্র কংগ্রেসের। প্রেসিডেন্ট কমান্ডার ইন চীফ হলেও যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা তার নাই।
লেটার অফ মারক একটা অদ্ভুত জিনিষ। যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে তার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য জলদস্যূদেরকে ভাড়া করার ক্ষমতা কংগ্রেসকে দেয়া হয়েছে। এই ভাড়ার চুক্তিকে লেটার অফ মারক বলে।
এই দফায় তৃতীয় যে ক্ষমতাটা কংগ্রেসকে প্রদান করা হয়েছে, তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র কোনো স্থলভাগ বা জলভাগ দখল করলে, সেই স্থান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিধিবিধান প্রণয় করার ক্ষমতা কংগ্রেসের।

দফা ১২। সেনাবাহিনী গঠন এবং এর সহায়তা প্রদান করবে, কিন্তু এই খাতে দুই বছরের বেশি সময়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারবে না;

ভাষ্য
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্টাতা পুরুষরা স্থায়ী সেনাবাহিনীর ব্যাপারে ভীত ছিলেন। তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো, ব্রিটিশ রাজা সেনাবাহিনীকে কি ভাবে জনগণকে অত্যাচার করার জন্য ব্যবহার করেছে। তাই সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা নির্বাহীবিভাগ ও আইনবিভাগের মধ্যে ভাগ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট কমান্ডার ইন চীফ কিন্তু সেনাবাহিনীর ব্যয় বরাদ্দ দেয়ার ক্ষমতা কংগ্রেসের। আবার কংগ্রেস ইচ্ছা করলেই দুই বছরের বেশী সময়ের জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যয় বরাদ্দ দিতে পারবে না। অর্থাৎ সেনাবাহিনীর চাকুরির মেয়াদ দুই বছর মাত্র। কংগ্রেসের ব্যয় বরাদ্দের পর দুই বছর করে মেয়াদ বাড়বে।

দফা ১৩। একটি নৌবাহিনী গঠন এবং প্রতিপালন করবে;

দফা ১৪। সরকারের জন্য বিধিমালা এবং স্থল ও নৌবাহিনীর জন্য রেগুলেশন প্রণয়ন করবে;

ভাষ্য
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কংগ্রেস আইন প্রণয়ন করবে।

দফা ১৫। যুক্তরাষ্ট্রের আইন বলবৎ করা, উপপল্লব দমন এবং আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য মিলিশিয়া সৃষ্টি করবে;
ভাষ্য
মিলিশিয়া গঠন করার ক্ষমতা কংগ্রেসের। মিলিশিয়া হলো বেসামরিক নাগরিকদের নিয়ে সঙ্গবদ্ধ নাগরিক সৈনিক। বর্তমান সময়ে মিলিশিয়ার পরিবর্তে ন্যাশনাল গার্ড এই দায়িত্ব পালন করে।

দফা ১৬। রাজ্যগুলির দায়িত্বকে সংরক্ষিত রেখে, এমনভাবে মিলিশিয়া গঠন, অস্ত্র সজ্জিত করা এবং শৃঙ্খলা প্রতিষ্টা করবে যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মে নিয়োজিত কর্মচারী; কর্মকর্তাদের নিয়োগ, এবং মিলিশিয়াদের প্রশিক্ষণের কর্তৃপক্ষ কংগ্রেসের দ্বারা নির্ধারিত নিয়মে হবে
;
ভাষ্য
দুই ধরণের মিলিশিয়া যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত। এক ধরণের মিলিশিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে কংগ্রেস, আর অপর ধরণের মিলিশিয়াকে নিয়ন্ত্রন করে রাজ্য সরকার। যদি কোনো মিলিশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রয়োজনে নিয়োগ করা হয়, তা হলে তার বেতন এবং চাকরি নিয়ন্ত্রণ করবে কংগ্রেস। রাজ্যের প্রয়োজনে রাজ্য কর্তৃক নিয়োজিত মিলিশিয়াদের চাকরি নিয়ন্ত্রণ করবে রাজ্য সরকার।

দফা ১৭। কোনো নিদৃষ্ট রাজ্য কর্তৃক স্বত্ব ত্যাগ করে ছেড়ে দেয়া জায়গার (যার পরিমান দশ বর্গ মাইলের বেশি হবে না) উপর একচেটিয়া ব্যবস্থাপনা প্রয়োগ করবে, এবং কংগ্রেস কর্তৃক গৃহীত হলে ওই জায়গা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শাসন কার্যের জায়গা হিসাবে গণ্য হবে, এবং সেই সব জায়গার উপর একই রকম কর্তৃত্ব থাকবে যে জায়গাগুলি রাজ্য বিধানসভার সম্মতিতে ক্রয় করে দুর্গ, বারুদখানা, অস্ত্রাগার, ডক ইয়ার্ড এবং অন্যান প্রয়োজনীয় ভবনসমূহ নির্মাণ করা হয়েছে;

ভাষ্য
কংগ্রেসের ক্ষমতা হলো যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী স্থাপন করা। সংবিধানের এই বিধান বলে মেরিল্যান্ড থেকে জায়গা নিয়ে যুক্তরাষ্টের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি প্রতিষ্টা করা হয়েছি। ওয়াশিংটন ডিসি কোনো রাজ্যের অংশ না এবং এই উপর কোনো রাজ্যের কর্তৃত্ব নাই। সামরিক স্থাপনাগুলো যেমন, দুর্গ, বারুদখানা, অস্ত্রাগার, ডক ইয়ার্ড এবং অন্যান সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহৃত ভবনগুলি যে রাজ্যেই অবস্থিত হউক না কেন, এইগুলি কংগ্রেসের কর্তৃত্বে ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

এবং -

দফা ১৮। রাষ্ট্রক্ষমতা প্রয়োগ করার জন্য, এবং সংবিধান কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্র সরকার অথবা যেকোনো মন্ত্রণালয় বা এর কর্মকর্তার উপর অর্পিত সব ধরণের ক্ষমতা প্রয়োগ করার প্রয়োজনীয় এবং উপযুক্ত সব আইন প্রণয়ন করবে।

ভাষ্য
কংগ্রেসের প্রধান কাজই হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সব ধরণের আইন প্রণয়ন করা। কংগ্রেস রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে আইনকেই প্রয়োজনীয় এবং উপযুক্ত মনে করবে সে আইনই পাস করতে পারবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.