নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা-১৩

২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:০১

অনুচ্ছেদ ২
ধারা ১।
দফা ১। নির্বাহী ক্ষমতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপর ন্যস্ত হবে। তিনি চার বছর এই পদে বহাল থাকবেন, এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট সহ একই মেয়াদের জন্য নিম্নরূপ ভাগে নির্বাচিত হবেন:
ভাষ্য
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের প্রথম ধারায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বর্ণনা করা হয়েছে। সব নির্বাহী ক্ষমতা তার উপর ন্যস্ত। কিন্তু এই সংবিধানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলীর বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয় নাই। প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের পদের মেয়াদ হবে চার বছর এবং নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি এই পদে বহাল হবেন। সংবিধানের প্রথম অনুচ্ছেদে আইনসভা অর্থাৎ কংগ্রেসের ক্ষমতা ও কার্যাবলী বর্ণনা করা হয়েছে এবং তৃতীয় অনুচ্ছেদে বিচারবিভাগের ক্ষমতা ও কার্যাবলী বর্ণনা করা হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় আইনবিভাগ ও বিচারবিভাগের ক্ষমতা ব্যতীত অন্যান্য সব ক্ষমতাই নির্বাহী ক্ষমতা যা প্রেসিডেন্ট প্রয়োগ করবেন।

দফা ২। প্রত্যেক রাজ্য, আইনবিভাগ যেভাবে নির্দেশ করে সেই ভাবে, সেই সংখ্যক নির্বাচক নিয়োগ করবে, যা সেই রাজ্যে যত সংখ্যক সিনেটর এবং প্রতিনিধি কংগ্রেসে প্রেরণের অধিকার রাখে: কিন্তু কোনো সিনেটর বা প্রতিনিধি, অথবা যেসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ট্রাস্ট বা লাভজনক পদ অধিকার করে আছে তারা নির্বাচক নিযুক্ত হতে পারবে না।
ভাষ্য
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন না। জনগণের ভোটে ইলেক্টোরাল কলেজ বা নির্বাচকমণ্ডলী নির্বাচিত হন। তারপর সেই নির্বাচিত নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এই দফায় নির্বাচকমণ্ডলী গঠনের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। প্রতি রাজ্যের দুই জন করে সিনেটর আছেন, আর রাজ্যের জনসংখ্যার অনুপাতে হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভের প্রতিনিধিরা আছেন। প্রত্যেক রাজ্যের প্রতিনিধি সংখ্যা এবং দুইজন সিনেটরের সমষ্টিই হলো ওই রাজ্যের মোট নির্বাচকের সংখ্যা। উদাহরস্বরূপ, বর্তমানে মেরিল্যান্ডে হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভে প্রতিনিধির সংখ্যা ৮জন এবং সিনেটর ২জন। এতএব ম্যারিল্যান্ডের নির্বাচকমণ্ডলীর সংখ্যা (৮+২) ১০জন। নিউ ইয়র্কে হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভে প্রতিনিধির সংখ্যা ২৭জন এবং সিনেটর ২জন। এতএব নিউ ইয়র্কের নির্বাচকমণ্ডলীর সংখ্যা (২৭+২) ২৯জন।

তিন শ্রেণীর লোক নির্বাচকমন্ডলীর সদস্য হতে পারবেন না। তারা হলেন, সিনেটর, হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভের প্রতিনিধি এবং যেসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ট্রাস্ট বা লাভজনক পদ অধিকার করে আছে।

দফা ৩। নির্বাচকমণ্ডলী তাদের স্বস্ব রাজ্যে মিলিত হবেন এবং প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্টের জন্য ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করবেন, তারা একই রাজ্যের বাসিন্দা হতে পারবেন না; তারা যাকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে ভোট দিচ্ছেন তার নাম ব্যালট পেপারে উল্লেখ করবেন, এবং স্বতন্ত্র একটা ব্যালট পেপারে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে ভোট প্রদান করবেন; এবং তারা ভোটারদের স্বতন্ত্র তালিকা প্রস্তুত করবেন যারা প্রেসিডেন্ট পদে ভোট দিয়েছেন এবং যারা ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে ভোট দিয়েছেন, এবং প্রত্যেকের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা উল্লেখ করবেন, তারা ওই তালিকাসমূহে স্বাক্ষর করবেন ও প্রত্যায়ন করবেন, সিল করে সিনেটের প্রেসিডেন্ট বরাবরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে পাঠাবে; -- সিনেটের প্রেসিডেন্ট সিনেটর ও হাউস রিপ্রেসেন্টেটিভদের উপস্থিতিতে প্রত্যায়ন পত্রগুলি খোলবেন এবং ভোটগুলি গণনা করবেন; -- যিনি প্রেসিডেন্ট পদে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পাবেন তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন; এবং যদি কোন ব্যক্তিই সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট না পায় তা হলে হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ তাৎক্ষণিক ভাবে প্রেসিডেন্ট পদে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া লোকদের মধ্যে যা তিন জনের বেশি হতে পারবে না, ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। এই ভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজ্য অনুসারে ভোট গ্রহণ করা হবে, প্রতি রাজ্যের একটা করে ভোট; এই ক্ষেত্রে দুই তৃতীয়ংশ রাজ্যের উপস্থিতিতে কোরাম হবে, এবং এই ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যের ভোটের প্রয়োজন হবে। এবং হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভস যদি এই ক্ষেত্রে মার্চ মাসের চতুর্থ দিনের পূর্বে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে না পারে, তা হলে পরবর্তী দিন থেকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট, প্রেসিডেন্ট হিসাবে কাজ করবেন যেমন ভাবে প্রেসিডেন্টের মৃত্যু বা অন্যান্য সাংবিধানিক অযোগ্যতার কারণে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে যিনি সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনি ভাইস-প্রেসিডেন্ট হবেন, যদি এই সংখ্যা নিযুক্ত ভোটারদের মোট সংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়, এবং যদি কোনো ব্যক্তিই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পায়, তাহলে সর্বোচ ভোট প্রাপ্ত দুই জনের মধ্যে সিনেট ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে, এই ক্ষেত্রে মোট সিনেটরদের দুই তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে, এবং নির্বাচিত হতে হলে মোট সদস্য সংখ্যার সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রয়জন হবে। কিন্তু কোনো ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য অযোগ্য না হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে যোগ্য হবেন।

ভাষ্য
সংবিধানের ১২ তম সংশোধনীর মাধ্যমে এই দফাটি সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ১৮০০ সালে থমাস জেফারসনের নির্বাচনের সময় উভয় প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পেলে সাংবিধানিক সংকট দেখা দেয়। এরপর সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অনেকগুলি বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়।
১. নির্বাচকমণ্ডলী সারা যুক্তরাষ্ট্রে একই দিনে তাদের নিজ নিজ রাজ্যে ভোট দেয়ার জন্য একত্রিত হবেন।
২. নির্বাচকমণ্ডলী ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোট দিবেন।
৩. প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী একই রাজ্যের বাসিন্দা হতে পারবেন না।
৪. প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদের জন্য পৃথক পৃথক ব্যালটে ভোট দিবেন।
৫. যে প্রার্থীকে ভোট প্ৰদান করা হচ্ছে তার নাম ব্যালট পেপারে লিখতে হবে।
৬. প্রেসিডেন্ট পদে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের নামের একটা তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। অনুরূপভাবে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের নামেরও একটা তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
৭. তালিকাগুলিতে ভোটাররা স্বাক্ষর করবেন এবং প্রত্যায়ন করবেন।
৮. ব্যালট পেপার এবং তালিকাগুলিকে খামে ভরে সিলগালা করবেন।
৯. সিলগালাকৃত খামগুলিকে সিনেটের প্রেসিডেন্টের ঠিকানায় কংগ্রেসে পাঠাতে হবে।
১০. সিনেটের প্রেসিডেন্ট সিনেটর ও হাউস রিপ্রেসেন্টেটিভদের উপস্থিতিতে খামগুলি খুলবেন এবং ভোট গণনা করবেন ।
১১. ভোট গণনার পর যিনি সবচে বেশি ভোট পাবেন তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
১২. যদি একাধিক প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পায় তা হলে তাৎক্ষণিকভাবে হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভে নির্বাচন হবে।
১৩. এই ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট প্রাপ্ত তিন জনের বেশি প্রার্থীকে বিবেচনার জন্য নেয়া যাবে না।
১৪. এই ক্ষেত্রেও ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে হবে।
১৫. এই ক্ষেত্রে ভোটার হবে রাজ্য অর্থাৎ প্রত্যেক রাজ্যের এক ভোট।
১৬. এই ক্ষেত্রে দুই তৃতীয়ংশ রাজ্যের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।
১৭. এই ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবে।
১৮. এই প্রক্রিয়া মার্চ মাসের ৪ তারিখের মধ্যে শেষ করতে হবে।
১৯. এই প্রক্রিয়া মার্চ মাসের ৪ তারিখের মধ্যে শেষ না হলে পরের দিন থেকে অর্থাৎ ৫ তারিখে ভাইস-প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে কার্যভার গ্রহণ করবেন।
২০. যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট মারা গেলে বা অন্য কোনো সাংবিধানিক অযোগ্যতার কারণে দায়িত্ব পালন করতে না পারলে ভাইস-প্রেসিডেন্ট সংবিধান অনুসারে যে ভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন, এই ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসন করা হবে।
২১. প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতই ভোট গণনার পর যিনি সবচে বেশি ভোট পাবেন তিনি ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
২২. যদি একাধিক প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পায় তা হলে সিনেট ভোটের মাধ্যমে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন।
২৩. এই ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত দুই জন প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচন হবে।
২৪. এই ক্ষেত্রে দুই তৃতীয়ংশ সিনেটরের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।
২৫. মোট সিনেটরদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবে।
২৬. নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রেসিডেন্টের যে যোগ্যতা ভাইস-প্রেসিডেন্টেরও একই যোগ্যতা থাকতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.