নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ম্যারিল্যান্ডের উত্তরাধিকার আইনের সংক্ষিপ্তসার: ৪র্থ পর্ব

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

লিভিং ট্রাস্ট --১

লিভিং ট্রাস্ট বলতে ম্যারিল্যান্ড আইনে কি বুঝায়?
লিভিং ট্রাস্ট একটা বৈধ দলিল, যার মাধ্যমে একজন তার সম্পত্তি অন্যের নামে হস্তান্তর করতে পারেন।
যিনি তার সম্পত্তি হস্তান্তর করেন তাকে বলা হয় "গ্রান্টর", যে এই সম্পত্তি ভোগ করে তাকে বলা হয় "বেনিফিশিয়ারি" এবং যে এই সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় থাকে তাকে বলে "ট্রাস্টি"।

সাধারণত লিভিং ট্রাস্টে গ্রান্টর, বেনিফিশিয়ারি, এবং ট্রাস্টি একই ব্যক্তি।

লিভিং ট্রাস্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রান্টর অর্থাৎ সম্পত্তির মালিক তার জীবদ্দশায় এই সম্পত্তি ভোগ করবে, তার মৃত্যুর পর ওই সম্পত্তি তার স্বামী বা স্ত্রী এবং সন্তানদের কাছে হস্তান্তরিত হবে।

সম্পত্তির মালিকানার এই হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় কোর্টের হস্তক্ষেপের কোন প্রয়োজন হবে না। অর্থাৎ একটা উইল বাস্তবায়নের জন্য যেমন প্রবেট প্রয়োজন হয়, কিন্তু লিভিং ট্রাষ্টের ক্ষেত্রে কোন প্রবেটের প্রয়োজন নাই।

গ্রান্টর তার জীবিত কালে লিভিং ট্রাস্টের সম্পত্তি যেমন-তার বাড়ি, বিনিয়োগকৃত অর্থ এবং ব্যাংক একাউন্ট তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে পারবেন, অর্থাৎ লিভিং ট্রাস্টের নামে তার সম্পত্তি দেয়ার আগে যে ভাবে ওই সম্পত্তি ব্যবহার করতেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পরে এই ট্রাস্টের সম্পত্তি ট্রাস্ট দলিলে যেভাবে বলা আছে সেই ভাবে বিলি বণ্টন হবে। কারণ ট্রাস্টের নামে যে সম্পত্তি তার মালিক এই ট্রাস্ট; যিনি ট্রাস্ট সৃষ্টি করেছেন অর্থাৎ গ্রান্টর ট্রাস্ট সৃষ্টির পর এই সম্পদের মালিক না।

ম্যারিল্যান্ডের উত্তরাধিকার আইনের সংক্ষিপ্তসার: ১ম পর্ব

ম্যারিল্যান্ডের উত্তরাধিকার আইনের সংক্ষিপ্তসার: ২য় পর্ব

ম্যারিল্যান্ডের উত্তরাধিকার আইনের সংক্ষিপ্তসার: ৩য় পর্ব

ম্যারিল্যান্ডের উত্তরাধিকার আইনের সংক্ষিপ্তসার: ৫ম পর্ব

ম্যারিল্যান্ডের উত্তরাধিকার আইনের সংক্ষিপ্তসার: ৬ষ্ঠ পর্ব

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

ঢাকার লোক বলেছেন: আমার জানা মতে,
উইলে কারা কি পাবে লিখা থাকলেও অন্য কোনো ব্যাক্ত সাধারণত কোনো আত্মীয়, মৃতের সম্পত্তির অংশ দাবি করতে পারে এবং আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত তার দাবি বিবেচনা করবে এবং মৃত ব্যাক্তির উত্তরাধিকারীদের আইনি লড়াইয়ের খরচ বহন করতে হবে, পক্ষান্তরে, যেহেতু লিভিং ট্রাস্ট করা হলে আদালত বা প্রবেট এর শরণাপন্ন হতে হয় না একজন যদি তার বাড়ি বা অন্য সম্পত্তি মৃত্যুর পর ঝামেলা মুক্ত ভাবে স্ত্রী বা ছেলে মেয়ে কে দিয়ে যেতে চান তাহলে উইল না করে লিভিং ট্রাস্ট করা উত্তম . প্রবাসী বাংলাদেশিদের যারা শুধু উইল করেন তাদের বিষয়টি জানা দরকার ।
লিভিং ট্রাস্টের গ্রান্টর, বেনিফিশিয়ারি এবং ট্রাস্টি কেন একই ব্যাক্তি হবেন বুঝতে পারলাম না ! একজন বিস্বস্থ বেনিফিশিয়ারি ট্রাস্টি হতে পারেন ( যেমন একজনের বড় ছেলে) কিন্তু গ্রান্টর কেন একই ব্যাক্তি হবেন? তারই তো সম্পত্তি মৃত্যুর পর বেনিফিসিয়ারিদের দিয়ে যাচ্ছেন !

১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৪৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


১. ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

২. ম্যারিল্যান্ডের উত্তরাধিকার আইনের সংক্ষিপ্তসার: ৩য় পর্বে আমি উইল নিয়ে আলোচনা করেছি।

৩. ম্যারিল্যান্ডের উত্তরাধিকার আইনের সংক্ষিপ্তসার: ৪র্থ পর্ব থেকে লিভিং ট্রাস্টের উপর আলোচনা শুরু করেছি। এটা লিভিং ট্রাস্টের উপর লেখা ১ম খণ্ড। পরবর্তী খণ্ডগুলিতে লিভিং ট্রাস্টের ধারণাটা আরো স্পষ্ট হবে। এবং উইলের সাথে লিভিং ট্রাস্টের পার্থক্য এবং সুবিধা-অসুবিধা বুঝা যাবে।

৪. আমি লিখেছি "সাধারণত লিভিং ট্রাস্টে গ্রান্টর, বেনিফিশিয়ারি, এবং ট্রাস্টি একই ব্যক্তি।" এটা একটা স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস। হ্যাঁ, কেউ ইচ্ছা করলে যে কোন বেনিফিশিয়ারিকেও ট্রাস্টি করতে পারেন। আইনগত কোন বাধা নাই।

৫. একজন লোক যখন লিভিং ট্রাস্ট সৃষ্টি করে তখন সে আর ওই সম্পত্তির মালিক থাকে না। ওই সম্পত্তির মালিক হয় ওই ট্রাস্ট। তার পরিচয় সে গ্রান্টর। ট্রাস্ট তো আর মানুষ না, সে একটা আইনগত সত্ত্বা (legal entity) সুতরাং ট্রাস্টের সম্পত্তি দেখাশুনা করার জন্য একজন মানুষ লাগবে, সেই হলো ট্রাস্টি। তাই যিনি তার সম্পত্তি দিয়ে ট্রাস্ট সৃষ্টি করলেন, তিনি চান তিনিই ট্রাস্টের সম্পত্তি দেখা শুনা করবেন। এইভাবে গ্রান্টরই হয়ে গেলেন ট্রাস্টি। অর্থাৎ গ্রান্টর তার সম্পত্তি দিয়ে ট্রাস্ট বানিয়ে ওই সম্পত্তির দেখাশুনার ভার ট্রাস্টি হিসাবে নিজের হাতে রেখে দিলেন। ট্রাস্ট করার পর ওই সম্পত্তির মালিক তো আর গ্রান্টর নাই, তা হলে ওই সম্পত্তির ফল তিনি কি ভাবে ভোগ করবেন? ট্রাস্ট সম্পত্তি ভোগ করতে হলে তাকে আবার হতে হবে ওই ট্রাস্টের একজন বেনিফিশিয়ারি।

৬. এর পর ট্রাস্ট দলিলে লেখা থাকবে গ্রান্টর বা বর্তমান ট্রাস্টির মৃত্যুর পর ওই ট্রাস্ট সম্পত্তির বেনিফিশিয়ারি কারা হবে। এবং কেই বা নতুন ট্রাস্টি হবে।
৭. পরবর্তী পর্বগুলোতে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন। তবে যেহেতু এই লেখা কোন আইনি পরামর্শ না, শুধুমাত্র একটা সাধারণ ধারণা লাভ করার জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

২| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: রাতদুপুরে শিয়াল হাসে,
মুরগি কাঁদে দুঃখে,
সোনার খাঁচায় বন্দি থেকে
লাভ কি আছে তাতে?

১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ছড়াটা খুব সুন্দর হয়েছে।
আপনি যে এত ভাল ছড়া লিখতে পারেন তা জানতাম না।
ছড়াকার রাজীব নুর !

৩| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

ঢাকার লোক বলেছেন: ধন্যবাদ, বুঝিয়ে বলার জন্য !

১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

আপনি যে আগ্রহ নিয়ে পড়েছেন এবং বুঝার চেষ্টা করেছেন, এই জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.