নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ এবং বিশ্ব প্রভাব

২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের আমদানি পণ্যের উপর অতিরিক্ত ট্যারিফ ঘোষণার পর থেকেই বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনেক কিছু ঘটেছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং-ইউ'র সাথে আলাদাভাবে সাক্ষাত করেছেন। চীনা কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য চীনের বিভিন্ন প্রদেশ বা অঞ্চল ভ্রমণ করেছেন এবং চীনা কর্তৃপক্ষ চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি জেডটিই কর্পোরেশনকে সাহায্য করার জন্য একটি চুক্তি করতে ট্রামকে রাজি করার জন্য আমেরিকা সফর করেছেন, কিন্তু কোন অগ্রগতি হয় নাই।

চীন-মার্কিন বাণিজ্য বিরোধকে কেন্দ্র করে বাগাড়ম্বর, নানান স্তরের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অন্যান্য আঞ্চলিক বিষয় যেমন উত্তর কোরিয়ার বিষয়টাকে আড়াল করে দিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে চীনা পণ্যের উপর ৫০ বিলিয়ন ডলারের ট্যারিফ বসানো হবে। চীন বলেছে, সে ও মার্কিন পণ্যের উপর ট্যারিফ বসিয়ে এর প্রতিশোধ নেবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রাথমিক লক্ষ্য চীনা পণ্যের উপর ২০০ বিলিয়ন ডলার ট্যারিফ আদায় করা যা পর্যায় ক্রমে ৪৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নত হবে।

অবশ্য যারা চীনের বৈদেশিক ব্যবসার অনৈতিক দিক নিয়ে সোচ্চার তারা মনে করেন চীনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত ট্যারিফ এর কোন সমাধান না। বরং ট্যারিফের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা কার্যত একটি ট্রেড ওয়ারের জন্ম দিবে যা যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন যে বাণিজ্য যুদ্ধ "জয় করা সহজ" হবে এবং চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সাহায্য করবে।

ট্যারিফের মাধ্যমে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে কি পরিমাণ জটিল করে তুলবে তার পরিমাপ করতে অনেকেই ব্যর্থ হয়েছেন। বৈদেশিক আমদানির ওপর অতিরিক্ত ট্যারিফ প্রথমেই মার্কিন কোম্পানি ও ভোক্তাদের ক্ষতি করে। যেমন প্রতিশোধ হিসাবে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানির উপর অতিরিক্ত ট্যারিফ আরোপ করায় সয়াবিন রফতানি ব্যাহত হবে। এই সয়াবিন ব্যবসায়ীরা সবাই ট্রাম্পের সমর্থক।

চীনকে তার অর্থনীতিতে বিকাশ এবং আধুনিকায়নের জন্য উন্মুক্ত করার পর থেকে চীন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে। এর নিজস্ব অর্থনৈতিক শক্তি রয়েছে, বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে দৃঢ় অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এবং তার নিজস্ব অর্থনৈতিক কর্মসূচী আছে যা দিয়ে আঞ্চলিক সংস্থাগুলির নেতৃত্বে দিচ্ছে। চীন এর নিজস্ব বিনিয়োগ ব্যাংক আছে, এটা আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তিশালী যোগানদাতা, এবং তার আঞ্চলিক দেশগুলির সাথে সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের মাধ্যমে নিজস্ব বাণিজ্যিক কাঠামো গড়ে তুলছে।

এই ট্যারিফ যুদ্ধ বন্ধ না হলে উভয় পক্ষ এবং সমগ্র বিশ্ব অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পরবে।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: ভাল বলেছেন

২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা এবং বিশ্লেষণ।

এটার পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা করলে আমাদের ধারণা আরো পরিষ্কার হতে পারে।

আরো ক্ষুদ্র পরিসরে আলোচনা করলে আমরা দেখতে পেতাম, এর আদৌ কোন প্রভাব আমাদের অর্থনীতির উপর পরবে কি না। অথবা যদি পরে, তা হলে আমাদের করণীয় কি ? আমরা কি ভাবে প্রস্তুতি নিতে পারি।

না কি এতে আমাদের লাভই হবে?

২| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০১

আখেনাটেন বলেছেন: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট এর এক অার্টিকেলে (The Costs of Trade War) এই ট্রেড ওয়ার নিয়ে মুখিশা কিতুই শুরুতেই লিখেছেন “When elephants fight, it is the grass that suffers.”

ট্রাম ঝানু ব্যবসায়ী। চীনারাও এখন অনেকটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তারা এর থেকে যেভাবেই হোক পার পেয়ে যাবে। এই ওয়ারে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের মতো গরীব দেশগুলোই।

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


মুখিসা কিতুইর The Costs of Trade War পড়েছি। সেখানে বাংলাদেশের কথাও উল্লেখ আছে। ৪০ থেকে ৫০% ট্যারিফ বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে। এটা আমার কাছে পরিষ্কার না কে এই ট্যারিফ বৃদ্ধি করবে।

আমার কাছে মনে হয়েছে, অনেক আগে থেকেই চীনের একটা প্রস্তুতি আছে। যখন সে তারা বিশ্ববাণিজ্য সম্প্রসারণ করছে, তখন যে কোন সময় ধাক্কা আসতে পারে--এই বিবেচনায় কিছু সুদূরপ্রসারী ব্যবস্থাপনা সৃষ্টি করে রেখেছে।। যেমন- দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়িক স্বার্থ আগে থেকেই গড়ে তুলেছে। আঞ্চলিক সামুদ্রিক বন্দর, আন্ত-রাষ্ট্রীয় সড়ক যোগাযোগ, ইত্যাদির মাধ্যমে একটা স্থিতিশীল বৈদেশিক বাণিজ্যের সম্পর্ক সৃষ্টি করে রেখেছে।

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিম জং উন'কে ঘুরিয়ে দিতে পারে চীন

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


কথাটা পরিষ্কার ভাব আমি বুঝতে পারি নাই।
আপনি কি এটা বলতে চেয়েছেন যে, কিমের মার্কিন নীতি চীন প্রভাবিত করতে পারে?
যদি এটা বুঝিয়ে থাকেন, তা হলে আমি কিছুটা এক মত।
কিছুটা এই কারণে যে, কিম চীনের অনুমতি এবং সম্মতি নিয়েই তার মার্কিন নীতি নির্ধারণ করেছে।
গত তিন মাসে কিম তিনবার রাষ্ট্রীয় ভাবে চীন সফর করেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাতের আগে এবং পরে কিম চীন সফর করেছে।
সুতরাং কিমের মার্কিন নীতি চীনেরই নীতি বলে আমার মনে হয়। কোন একটা কৌশল, যা চীনের স্বার্থেই।

৪| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:১২

রাকু হাসান বলেছেন: ভাল বিশ্লেষণ ধর্মী লেখা । খুব সম্ভবত প্রভাব ফেলা শুরু হয়েছে ।

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


কি কি লক্ষণ থেকে আপনার মনে হচ্ছে যে এর প্রভাব আমাদের উপর পরছে?
এই ট্যারিফ যুদ্ধ কি জ্বালানি তেলের বাজারের উপর প্রভাব ফেলবে?
এর প্রভাব কি আমাদের পোশাক শিল্পের উপর পরতে পারে ?

৫| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: সেখানে বাংলাদেশের কথাও উল্লেখ আছে। ৪০ থেকে ৫০% ট্যারিফ বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে। এটা আমার কাছে পরিষ্কার না কে এই ট্যারিফ বৃদ্ধি করবে। -- আসলে অাঙ্কটাড প্রেডিক্ট করেছে এই ট্রেড ওয়ারে পশ্চিমা বিশ্বে ও চীনে ( ০% থেকে ৪০% পর্যন্ত) ট্যারিফের হেরফেরে তাদের অর্থনীতির জন্য বিশাল ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। কারণ তাদের তা মোকাবেলা করার মতো অবস্থা আছে। কিন্তু একই সময়ে আমাদের মতো দেশে ট্যারিফ ৫০% পর্যন্ত বৃদ্ধি (অবশ্যই পশ্চিমা কর্তৃক) হতে পারে যা আমাদের অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত।

আমার কাছে মনে হয়েছে, অনেক আগে থেকেই চীনের একটা প্রস্তুতি আছে। যখন সে তারা বিশ্ববাণিজ্য সম্প্রসারণ করছে, তখন যে কোন সময় ধাক্কা আসতে পারে--এই বিবেচনায় কিছু সুদূরপ্রসারী ব্যবস্থাপনা সৃষ্টি করে রেখেছে।। যেমন- দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়িক স্বার্থ আগে থেকেই গড়ে তুলেছে। আঞ্চলিক সামুদ্রিক বন্দর, আন্ত-রাষ্ট্রীয় সড়ক যোগাযোগ, ইত্যাদির মাধ্যমে একটা স্থিতিশীল বৈদেশিক বাণিজ্যের সম্পর্ক সৃষ্টি করে রেখেছে। -- হ্যাঁ, ভালো বলেছেন। ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড ও ম্যারিটাইম সিল্ক রোড চীনের দূরদর্শিতার প্রমাণ। চীনারা মারাত্মকভাবে উঠে আসছে।

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


যুক্তরাষ্ট্র ৪৯৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য বাংলাদেশ রফতানি করে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ মাত্র ২৩ মিলিয়ন ডলারের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করে। এই পর্যন্ত বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৫ বিলিয়ন ডলার।
সূত্র: Office of the United States Trade Representative

পশ্চিমা দেশের সাথেও বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৪ বিলিয়ন ইউরো।
সূত্র: European Commission

এইরকম একটা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলি কেন ৪০-৫০% অতিরিক্ত ট্যারিফ বাংলাদেশের উপর চাপাবে? অাঙ্কটাডের প্রেডিক্টসনের কোন ভিত্তি উল্লেখ করা হয় নাই। বাণিজ্যে যার উদ্বৃত্ত থাকে সে ঘাটতি দেশের উপর কখন অতিরিক্ত ট্যারিফ দিতে চায় না।

৬| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: নিজের দেশের কথা কিছু লিখুন।

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমি জানি আপনি একজন ভাল লেখক।
আমি এও জানি একজন ভাল লেখক একজন ভাল এবং মনোযোগী পাঠকও।
কিন্তু এই লেখাটা হতো আপনার প্রিয় লেখকের নয় বলে মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন নি।
আমার দেশ এই বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত একটা দেশ। বিশ্বে প্রভাব পরা মানে আমার নিজের দেশের উপরও প্রভাব পরা।
কোন কোন পাঠক ইতিমধ্যে আমাদের দেশে এর কি প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করছেন।
আমাদের সাথেই থাকুন।

৭| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: পক্ষান্তরে বাংলাদেশ মাত্র ২৩ মিলিয়ন ডলারের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করে। -- এই তথ্য ঠিক নয়।

এইরকম একটা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলি কেন ৪০-৫০% অতিরিক্ত ট্যারিফ বাংলাদেশের উপর চাপাবে? অাঙ্কটাডের প্রেডিক্টসনের কোন ভিত্তি উল্লেখ করা হয় নাই। বাণিজ্যে যার উদ্বৃত্ত থাকে সে ঘাটতি দেশের উপর কখন অতিরিক্ত ট্যারিফ দিতে চায় না। -- বাংলাদেশের মোট রপ্তানীর (৩৪ বিলিয়ন) প্রায় থ্রি-ফোর্থ অংশ রপ্তানী হয় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে। আর আমদানী করে মাত্র এক-দশমাংশ। ফলে বাণিজ্য মারাত্মকভাবে বাংলাদেশের অনুকূলে। ফলে পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের মতো দেশের উপর সামন্য ট্যারিফ চালু করলে আমার মরে ভূত হয়ে যাব।

এই যেমন পোশাক বাদে যুক্তরাষ্ট্র জিএসটি হিসেবে অন্য পণ্যের উপর মনে হয় ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে রেখেছে। বাংলাদেশ তা বহুদিন থেকে উইথড্র করতে বললেও তারা তা করছে না। এখানে বাংলাদেশ লুজার হচ্ছে। আবার ইউরোপ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে গেলে বিশেষ দেশের সুবিধা তুলে নিবে। ফলে বাংলাদেশের লাইফলাইন পোশাক শিল্পের উপর ঝুঁকি নেমে আসতে পারে। এভাবে ঔষধ শিল্পের উপরও খড়গ নামবে আর কয়েক দশক পরে। তাই আমরা এই ধরনের ট্রেড ওয়ারে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। সামান্য ট্যারিফের বৃদ্ধিতে রপ্তানী মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ধন্যবাদ, ২৩ মিলিয়ন ডলারের হিসাবটা ভুল।
বর্তমানে এর পরিমাণ ২.০৪ বিলিয়নের মত।
আমাদের পণ্যের উপর ট্যারিফ বৃদ্ধিতে আমাদের অর্থনীতির সমস্যা হবে, এই কথার সাথেও আমি একমত।
এই ব্যাপারে আমাদের কোন প্রস্তুতি বা হোম-ওয়ার্ক আছে কি?

৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:১১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বাংলাদেশের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মানসুর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘যদি শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবিত সীমান্ত শুল্ক আরোপ করা হয়, তবে অন্য দেশগুলের মতো আমরাও ভুক্তভোগী হবো৷ তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি এটা আমাদের জন্যও বাজে একটি খবর হবে৷''
তিনি বলেন, ‘‘একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশই যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করে৷ এর জন্য বাংলাদেশকে এখন ১৫ ভাগের মতো শুল্ক দিতে হয়৷ কিন্তু তখন শুল্ক দিতে হবে ৪০ ভাগ৷''
এছাড়া তাঁর কথায়, ‘‘চীন এই সীমন্ত করের আওতায় পড়তে পারে৷ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশও এর শিকার হবে৷ তবে শুধু পোশাক নয়, যুক্তরাষ্ট্রে অন্য যেসব পণ্য রপ্তানি হয় সেসব ক্ষেত্রেও এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে৷''
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর সভাপতি সিদ্দিকুর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘যদি প্রস্তাবিত সীমান্ত শুল্ক আরোপ করা হয়, তবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান হারাবো৷''
বর্তমানে মার্কিন খুচরা বিক্রেতাদের বাংলাদেশ থেকে পোশাক পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়৷ বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়, তার ৯৫ ভাগই পোশাক পণ্য৷ যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিকারকদেরকে চীন থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ, ভিয়েতনাম থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ভারত থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ২ দশমিক ২৯ শতাংশ, তুরস্ক থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করতে হয়৷
সেই দিক থেকে তুলনা করলে এখনই বাংলাদেশি পোশাকের ওপর শুল্ক অনেক বেশি৷ তাই সীমান্ত শুল্ক অনেক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে৷ অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে যাবে বাংলাদেশ৷ তবে আহসান এইচ মানসুর মনে করেন, ‘‘এ নিয়ে বাংলাদেশের দেন দরবার করার হয়ত সুযোগ আছে৷ বিশেষ করে গরিব দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সীমান্ত শুল্কের বিরুদ্ধে তার যুক্তি তুলে ধরতে পারে৷''

https://www.dw.com/bn/বাংলাদেশের-রপ্তানি-বাণিজ্যে-ট্রাম্পের-কষাঘাত/a-37179737
উপরের লেখাটি নিচের এই লিঙ্কের। আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। মানে ট্যারিফ যুদ্ধে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উপর প্রভাব অবশ্যই পড়বে। আর প্রত্যক্ষ না হলেও এর পরোক্ষ প্রভাব পড়বে জ্বালানী খাতের উপর। অর্থনীতিতে একটি বড় খাতের বিপর্যয় অপরাপর অনেক খাতের উপর প্রভাব ফেলে।

০২ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
যেহেতু এটা একটা সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন, তাই এখন থেকে সঠিক কোন ধারণা পাওয়া যায় না।

১. আহসান এইচ মানসুর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘যদি শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবিত সীমান্ত শুল্ক আরোপ করা হয়, তবে অন্য দেশগুলির মতো আমরাও ভুক্তভোগী হবো৷। ..........''
প্রশ্ন ১. কে কার বিরুদ্ধেই সীমান্ত শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছে?
প্রশ্ন ২. সীমান্ত শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাবটা কি?
প্রশ্ন ৩. সীমান্ত শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাবটা কি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে?
প্রশ্ন ৪. যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে না হয়, তা হলে আমরাও কেন ভুক্তভোগী হব?

২. তিনি বলেন, ‘‘একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশই যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করে৷ এর জন্য বাংলাদেশকে এখন ১৫ ভাগের মতো শুল্ক দিতে হয়৷ কিন্তু তখন শুল্ক দিতে হবে ৪০ ভাগ৷''
প্রশ্ন ১. কখন বাংলাদেশকে শুল্ক দিতে হবে ৪০ ভাগ?
প্রশ্ন ২. কেন বাংলাদেশকে ৪০ ভাগ শুল্ক দিতে হবে?

৩. এছাড়া তাঁর কথায়, ‘‘চীন এই সীমন্ত করের আওতায় পড়তে পারে৷ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশও এর শিকার হবে৷ তবে শুধু পোশাক নয়, যুক্তরাষ্ট্রে অন্য যেসব পণ্য রপ্তানি হয় সেসব ক্ষেত্রেও এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে৷''
প্রশ্ন ১. "চীন এই সীমন্ত করের আওতায় পড়তে পারে" এটা কোন সীমান্ত কর? আমরা ইতোমধ্যে জানি যুক্তরাষ্ট্র চীনের অনেক পণ্যের উপর অতিরিক্ত ট্যারিফ আরোপ করেছে। চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রশ্ন ২. চীনের উপর ট্যারিফ আরোপে বাংলাদেশ কি ভাবে এবং কেন এর শিকার হবে?

৪. বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর সভাপতি সিদ্দিকুর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘যদি প্রস্তাবিত সীমান্ত শুল্ক আরোপ করা হয়, তবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান হারাবো৷''
প্রশ্ন ১. ইতোমধ্যে কি বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই সীমান্ত শুল্ক প্রস্তাব করা হয়েছে?
প্রশ্ন ২. যদি প্রস্তাব করা হয়ে থাকে, তা হলে প্রস্তাবটা কি?
প্রশ্ন ৩. প্রস্তাবটা কি শুধু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে?
প্রশ্ন ৪. প্রস্তাবটা যদি শুধু মাত্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে না হয়, তা হলে কেবল মাত্র আমরা কেন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান হারাবো?

৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে যা দিয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিপর্যয় মোটামুটি কাটিয়ে উঠতে পারবে। তবে খুব সীমিত সময়ের জন্য। আশার খবর হল প্রধান বৈদেশিক রপ্তানির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীলতা বাংলাদেশের ধীরে ধীরে কমছে। ইতিমধ্যেই জার্মানি যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের প্রধান ক্রেতা হিসেবে উপরে উঠে গেছে। আর ইউরোপের এই দেশটিতে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধাও পায়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে কোন পণ্যতেই পেতো না। বাংলাদেশের বর্তমানে প্রধান চ্যালেঞ্জ এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে জার্মানি সহ ইউরোপীয় এই বাজারটিকে ধরে রাখা। এই সংক্রান্ত লিঙ্কটি নিচে দিলাম।

http://www.prothomalo.com/economy/article/1457786/বাংলাদেশি-পণ্য-রপ্তানির-বড়-বাজার-এখন-জার্মানি

০২ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রফতানি বাণিজ্যের কোন বিকল্প না।
পণ্য রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে আমদানি করে ব্যয় করতে হবে।

আশাব্যঞ্জক খবরটার সাথে আমরা আরো আশা করতে পারি, কোন একক দেশ বা কোন একক পণ্যের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে।
যেমন আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলিতে আমাদের রফতানি বাড়াতে হবে।
ছোট্ট দেশ ভুটানের সাথে আমাদের বাণিজ্য ভুটানের অনুকূলে।

ইন্ডিয়াতে আমাদের অনেক পণ্যের চাহিদা আছে, কিন্তু ইন্ডিয়া ট্যারিফ এবং নন-ট্যারিফ বাধা সৃষ্টি করে এই সমস্ত পণ্যের রফতানি ঠেকিয়ে রেখেছে।
বাংলাদেশের উচিত আলোচনা করে এই শুল্ক এবং অ-শুল্ক বাধাগুলি অপসারণ করা।

১০| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: সেমি কন্ডাক্টর চিপ (মূলত মাইক্রো-প্রোসেসর) এর ব্যপারে চীন মারাত্মক ভাবে আমেরিকার উপরে নির্ভরশীল। চিনের প্রায় সমস্ত হাইটেক কমার্শিয়াল কমিউনিকেশন প্রোডাক্টে চীনের তৈরী মাইক্রো চীপ ১০% ও ব্যবহার হয় কি না সন্দেহ। যদিও চীন এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতেছে, তার পরেও ২০২৫ /২০৩০ সালের আগ পর্যন্ত চীন ব্যকফুটে থাকবে। এই মাইক্রোচীপ কেন্দ্রিক ব্যবসায় আমেরিকা ট্যারিফ/অবরেোধ বসালে এখানে অন্যদের ব্যবসা করার সুযোগ আছে। আফসোসের বিষয় হল আমাদের বাংলাদেশের এই বিষয়ে সঠিক পরিকল্পনা/ প্রস্তুতি/ দক্ষ লোকবল নাই। তবে জাপান বা কোরিয়ার সাহায্য নিয়ে আমরা আমাদের দেশে এই ধরণের ইন্ডাষ্ট্রি গড়ে তুলতে পারি। দরকার হবে শুধু সঠিক পলিসি এবং ষ্টেবল বিদ্যুৎ সরবরাহ। সেই সাথে পাশের দেশের শকুন এবং তাদের দালালদের ব্যপারে জাপানি/কোরিয়ান লোকজনদের নিরাপত্তা দিতে হবে, যাতে আরেকটা হলি আর্টিজান এরা না ঘটাতে পারে।

০২ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


অনেক "কিন্তু" এবং "যদি" থাকার পরও এটা খুব ভাল প্রস্তাব।

আরো অনেক সহজ ব্যবসা আছে, যা দিয়ে রফতানি বাড়ানো যেতে পারে।

গার্মেন্টসের মতো চামড়া শিল্প একটা শ্রমঘন শিল্প।
কাঁচা, বা আধা কাঁচা চামড়া রফতানি বা চোরাই পথে ইন্ডিয়াতে যাওয়া বন্ধ করে, পাকা চামড়া, চামড়া জাত পণ্য যেমন-জুতা, ব্যাগ, ইত্যাদি বিশ্বব্যাপী রফতানি করা যেতে পারে।

সরকার উৎসাহিত করলে, সহযোগিতা করলে এবং বাধাগুলি অপসারণ করলে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মত অলিতে-গলিতে জুতার ফ্যাক্টরি গড়ে উঠবে।

ইন্ডিয়ার বাজারে বাংলাদেশের অনেক পণ্যের চাহিদা আছে। কিন্তু ইন্ডিয়া শুল্ক এবং অ-শুল্ক বাধা সৃষ্টি করে, এই সব পণ্যের রফতানি ঠেকিয়ে রেখেছে। আলোচনা করে এই বাধাগুলি অপসারণ করলে আমাদের রফতানি বাণিজ্য অনেক বাড়বে এবং বহুমুখী হবে।

ইন্ডিয়া বাধা না দিলে সড়ক এবং রেলপথে নেপাল এবং ভুটানের সাথে রফতানি বাণিজ্য অনেক বাড়ানো যেতে পারে।

এইরকম অনেক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে রফতানি বাড়ানো যেতে পারে।

সব শেষে "হলি আর্টিজান" সম্পর্কে একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন, আমি এখানে এই বিষয়ে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকলাম।

১১| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনার প্রথম ২ ধাপের সব প্রশ্নের উত্তর ডয়েচে ভেলের লিঙ্কটিতে আছে। । আমি এখানে সামান্য অংশ তুলে দিয়েছিলাম, লিঙ্কে গেলে আরও বিস্তারিত লেখা পেতেন।
ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে সীমান্ত শুল্ক বসানোর কথা বলেছিলেন নিজ দেশের বেকারত্ব দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের অনেকদিন পেরিয়ে গেলেও এই উদ্যোগ নেননি। কিন্তু এখন যখন আবার ট্যারিফ বসিয়ে চীনকে শায়েস্তা করার প্রসঙ্গ তিনি তুলেছেন তখন ধারণা করা হচ্ছে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সীমান্ত শুল্ক বসাবেন। আর সীমান্ত শুল্ক পণ্য ভিত্তিতে সব দেশের জন্য একসমান হয়, কোন আলাদা দেশের জন্য বসানো হয় না। সেক্ষেত্রে এই শুল্ক বাংলাদেশের উপরও পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো সীমান্ত শুল্ক বসায়নি। কিন্তু যেহেতু চীন এবং ভারতের উচ্চ সীমান্ত শুল্ক দিয়েও বাণিজ্য করার ক্ষমতা আছে যা বাংলাদেশের নেই সেহেতু ভুক্তভোগী এই দেশই বেশি হবে। সেটা যদি না হয় অর্থাৎ সীমান্ত শুল্ক না বসিয়ে একক দেশ হিসেবে চীনের রপ্তানির উপর শুল্ক বসানো হয় সেক্ষেত্রে স্বল্পকালে সরাসরি কোন প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে পরোক্ষ প্রভাব পড়বে। কারণ একদিকে বাংলাদেশের ভোক্তা বাজার চীনের দখলে, অপরদিকে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের বিরাট অংশ যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। সে ক্ষেত্রে দুই দেশের প্রতিশোধ পরায়ণ নানা কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের ফাঁদে পড়বে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সামনে বিকল্প অনেক আছে। এর মধ্যে পোশাকের ক্ষেত্রে ইউরোপের বাজার ধরে রাখা এবং আরও শক্তিশালী করা। মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় এই বাজার তৈরি করা। শক্তিশালী বিনিয়োগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। আরও অনেক পণ্যের শিল্প কারখানা গড়ে তুলে বাণিজ্যের ব্যবস্থা করা। যেমন, পাটের জিনোমের প্যাটেন্ট যেহেতু বাংলাদেশের সেহেতু পাট অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র।পাট থেকে উদ্ভুত ফাইবার আশের অসংখ্য পণ্যের একচেটিয়া ব্যবসা বাংলাদেশ করতে পারে। যাইহোক, এমন আরও অনেক কিছু আছে যেগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অনেকে বলে আসছেন। কিন্তু স্বার্থপর, ক্ষমতালোভী প্রশাসনিক ব্যবস্থায় এসব বলাই সার হচ্ছে।

০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


চমৎকার ভাবে বিশ্লেষণ করার জন্য ধন্যবাদ।

আমার মূল পোস্টটা ছিল "মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ এবং বিশ্ব প্রভাব". অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক চীনের উপর অতিরিক্ত ট্যারিফ বসানোর পর চীন-আমেরিকার মধ্যে যে বাণিজ্যিক বিরোধ দেখা দিয়েছে তার প্রভাব নিয়ে।

এখানে সীমান্ত শুল্ক আমার আলোচ্য বিষয় ছিল না। ফলে আমি কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম।

আর আপনি যে লিংকটা দিয়েছেন তাতে আমি অনেকবার চেষ্টা করেও ঢুকতে পারি নি।
ঢুকতে গেলে লেখা আসে, "Error 404: The page you just selected could not be found."

১২| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: বস বাংলাদেশে কি কি ব্যবসার আরো সম্ভবনা আছে এবং সেই জন্য কি কি করা দরকার এই ব্যপারে একটা লেখা খুলতে পারেন। আলোচনার দ্বারা অনেক জিনিস খোলাসা হবে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (DCCI) উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগের উপর অনেক গবেষণা করেছে।
তারা একটা তালিকাও প্রকাশ করেছে, কোন কোন পণ্যের জন্য রফতানি বাজার ভাল এবং কোন কোন পণ্যের জন্য স্থানীয় বাজার ভাল। নিচের লিংকগুলি দেখুন।
ওদের সাথে যোগাযোগও করতে পারেন, তারা বিনামূল্যে পরামর্শও প্রদান করেন।

Dhaka Chamber of Commerce & Industry (DCCI)
http://www.dhakachamber.com/

Handbook of Entrepreneurship
http://www.dhakachamber.com/publications/Handbook_Entrepreneurship.pdf

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.