নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেরিয়েট টাবমেন

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৫


হেরিয়েট টাবমেন আনুমানিক ১৮২২ সালে ম্যারিল্যান্ডের ডরচেস্টার কাউন্টিতে এক ক্রীতদাসের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার আব্বা-আম্মা ছিলেন ক্রীতদাস। তিনি ছিলেন একজন অ্যাবোলিশনিস্ট (যারা দাসপ্রথা বিলুপ্তের জন্য আন্দোলন করতেন) এবং রাজনৈতিক কর্মী।

১৮৪৯ সালে হেরিয়েট টাবমেন তার মালিকের কাছ থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। পরে তিনি ১৩ বার অভিযান চালিয়ে তার পরিবারের সব সদস্য, বন্ধুবান্ধব সহ প্রায় ৭০ জন ক্রীতদাস-দাসীকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করেন। তিনি তার এই গোপন অভিযানে উন্ডারগ্রউন্ড রেলরোড ব্যবহার করেন। অ্যাবোলিশনিস্টরা (যারা দাসপ্রথা বিলুপ্তের জন্য আন্দোলন করতেন) তারা ক্রীতদাসদেরকে তাদের মালিকের কাছ থেকে পালতে গোপন পথ, এবং গোপন আশ্রয়স্থল ব্যবহার করতো, এর সাংকেতিক নাম ছিল, আন্ডারগ্রাউন্ড রেলরোড (Underground Railroad)

হেরিয়েট টাবমেন পরে জন ব্রাউন নামের একজন শ্বেতাঙ্গ অ্যাবোলিশনিস্টকে দাস মুক্তির ব্যাপারে সাহায্য করেন। জন ব্রাউন হার্পার্স ফেরি নামক স্থানে ১৮৫৯ সালের ৩ জুলাই আমেরিকান সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণ করেন। দাসপ্রথা বিলুপ্তের পর হেরিয়েট টাবমেন নারী-মুক্তি, নারী-স্বাধীনতার এবং নারীর অধিকারের জন্য আন্দোলন করেন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আন্ডারগ্রাউন্ড হবে....

জানানোর জন্য ধন্যবাদ :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


"আন্ডারগ্রাউন্ড" বানান ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ইতোমধ্যে সংশোধন করে দিয়েছি।
আরেকটা বিশেষ কারণে আপনাকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আপনি অনেক মনোযোগ দিয়ে লেখাটা পড়েছেন -- এই জন্য।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
এরা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবেন।


০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমিও আপনার সাথে একমত।

আমরা যারা সাধারণ মানুষ, তারা কল্পনাও করতে পারবো না তার সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে।

ক্রীতদাসের ঘরে ক্রীতদাস হিসাবে জন্ম। তার মালিক ছিলেন খুব বদমেজাজি এবং নিষ্ঠুর। তাকে খুব মারধর করতো। একবার তার মালিক তার মাথায় খুব জোরে আঘাত করে ফলে সারা জীবন তিনি মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা এবং হাইপারসোমনিয়া রোগে কষ্ট পান। এত অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি প্রথমে নিজেকে মুক্ত করেন, পরে পরিবারের সবাইকে, সব বন্ধু-বান্ধবকেও মুক্ত করেন। কাজটা ছিল যেমন ঝুঁকি পূর্ণ তেমনই কষ্টকর। আধুনিক কোন যান বাহন ছিল না। মাইলের পর মাইল পায়ে হেটে দুর্গম পথ দিয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে চলতে হতো।

দাসপ্রথা বিলুপ্তের পরও তিনি বসে থাকেন নি। আরাম আয়েশ করেননি। আমৃত্যু নারীর অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৮

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক শুভকামনা রইলো।ধন্যবাদ।লেখা ভালো লেগেছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


লেখা ভাল লাগার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সুন্দর এবং শিক্ষণীয় পোষ্ট।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


হেরিয়েট টাবমেনের আম্মা যে বাড়িতে দাসী হিসাবে কাজ করতেন, সেই পরিবারটা ছিল অনেক বড়। কাজের কোন শেষ ছিল না। বিরামহীন ভাবে সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করতে হতো। তাই হেরিয়েট টাবমেনকে তার ছোট ভাই বোনদেরকে লালন-পালন করতে হতো।

যখন তার বয়স পাঁচ কি ছয়, তখন তার মালিক সুসান নামের এক মহিলার বাচ্চা পালনের জন্য তাকে আয়া হিসাবে নিয়োগ করে। তার কাজ ছিল বাচ্চাটাকে ঘুম পারানো। বাচ্চাটা ঘুম থেকে জেগে উঠলে এবং কাঁদলে তাকে চাবুক মারা হতো। কোন কোন দিন এমন হয়েছে, সকালের নাস্তার আগেই তাকে পাঁচ বার চাবুক মারা হয়েছে। সারা জীবন এই চাবুকের দাগ তার শরীরে ছিল।

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট লেডি।
স্যলুট।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


শিশুকালে হেরিয়েট টাবমেন, জেমস কুক নামের এক জমিদার (planter) বাড়িতে দাসী হিসাবে কাজ করতো।
মাস্ক রেট (গন্ধগোকুল) ধরার জন্য জলাভূমিতে ফাঁদ পেতে রাখা হতো। ওই শিশু বয়েসে তার কাজ ছিল জলাভূমিতে পেতে রাখা ফাঁদ থেকে মাস্ক রেট ধরে আনা। একবার সে হামে (marshes) আক্রান্ত হয়, এই শিশু বয়েসে এই রোগ নিয়েই তাকে কাজে যেতে হতো। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মালিক তার আম্মা যে বাড়িতে কাজ করতো তাকে সেখানে পাঠিয়ে দেয়। ওখানে মায়ের কাছে থেকে একটু সুস্থ হয়ে উঠলেই তার মায়ের মালিক তাকে আবার অন্য বাড়িতে কাজের জন্য পাঠিয়ে দেয়। হেরিয়েট টাবমেন পরে তার স্মৃতিচারণে বলেছিলেন, তার মায়ের জন্য সব সময় তার মন কাঁদত। পরে যখন তিনি কিছুটা বড় এবং শক্ত সামর্থ্য হন, তখন তাকে মাঠের কাজে নিয়োজিত করা হয়। সেখানে তাকে হালচাষ করা, গাছ কাটা, গবাদি পশু চড়ানো ইত্যাদি কঠিন কাজে নিয়োজিত করা হয়।

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১২

রাকু হাসান বলেছেন:

অজানাকে জানালেন স্যার ,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । আমেরিকান দাসপ্রথা সর্ম্পকে জেনেছি আগেই কিন্তু এই মহান কীর্তির কথা আজই প্রথম জানলাম । সালাম । যদি সম্ভব হয় আরেকটু ঘনঘন পোস্ট করার অনুরোধ রেখে যাচ্ছি । শুভকামনা ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


দাসপ্রথা ছিল আমেরিকার জন্য অভিশাপ, যার ক্ষত এখনও রয়ে গেছে। এই দাস প্ৰথা উচ্ছেদের জন্য আমেরিকানরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। দাসপ্রথা উচ্ছেদের জন্য যে গৃহ যুদ্ধ হয় (১৮৬১ সালে ১২ এপ্রিল থেকে ১৮৬৫ সালের ৯ মে পর্যন্ত) এতে উভয় পক্ষের ৭ থেকে ১০ লক্ষ মানুষ মারা যায়। তার মধ্যে মাত্র ৮০ হাজার দাস, অন্য নিহতরা সবাই শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান। তারা তাদের জীবনের বিনিময়ে দাসদের মুক্ত করে।

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: উফ! কি নিষ্ঠুরই না ছিল তাঁরা।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


এটা ছিল একটা ঐতিহাসিক ভুল। তারা নিজেরাই এই ভুল বুঝতে পারে। এবং ভুল থেকে মুক্তির জন্য এবং দাসদেরকে মুক্ত করার জন্য ৭ থেকে ১০ লক্ষ্য আমেরিকান তাদের জীবন বিসর্জন দেয়।

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার তথ্য বহুল লেখায় ভালোলাগা!
আরও ভালো লাগছে, আপনি প্রত্যকের মন্তব্যের উত্তরে ও এই মহামানবী র গল্প শোনাচ্ছেন আমাদের।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ; আমাদের জন্য আরও লিখুন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


লেখা ভাল লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আসলে মন্তব্যের উত্তরে একটু একটু করে গল্প বলে যাওয়া একটা কৌশল। আমি একবারেই পুরা গল্পটা বলতে পারতাম। কিন্তু আমার এক যুগের ব্লগ অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বড় লেখা অধিকাংশ ব্লগেরই পড়তে চায় না। তাই সংক্ষিপ্ত লেখা পোস্ট করি। এতে কেউ আগ্রহী হলে, তার আগ্রহের কিছু মূল্য পরিশোধ করি মাত্র।

আপনার জন্য আরো কিছু তথ্য।
১৮৪৯ সালে হেরিয়েট টাবমেন অনেক অসুস্থ হয়ে পরেন। এতে ক্রীতদাস হিসাবে তার বাজার মূল্য কমে যায়। তার মালিক তাকে বেচে দেয়ার চেষ্টা করে কিন্তু কোন ক্রেতা পাওয়া যায় নাই। এক পর্যায়ে সে চিন্তা করতে থাকে, "স্বাধীনতা অথবা মৃত্যু, আর দুটার কোনটাই না পেলে, অন্য ব্যবস্থা।" অর্থাৎ মালিকের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়া।

যা ভাবা, সেই কাজ। হেরিয়েট টাবমেন এবং তার এক ভাই বেন ১৮৪৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মালিকের বাসা থেকে পালিয়ে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.