নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এপ্রিল ফুল

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:২৩

এপ্রিল ফুলের সাথে ইসলাম ধর্ম বা মুসলমানদের সাথে সম্পর্কিত কোন ঘটনার সাথে কোন সম্পর্ক নাই। কোন কোন মুসলমান মনে করে এই দিনে মুসলমানদের বোকা বানানো হয়েছিল তাই এই দিন এপ্রিল ফুল হিসাবে পালন করা হয়। এটা সম্পূর্ণ ভুল এবং এর কোন ভিত্তি নাই।

বিভিন্ন জাতি বিভিন্ন কারণে এপ্রিল ফুল পালন করে। ইতিহাসবিদরা এর সঠিক কারণ বলতে না পারলেও সম্ভাব্য অনেকগুলি কারণ উল্লেখ করেছেন --

১. ফ্রান্সে ১৫৮২ সালে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের পরিবর্তে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার চালু করা হয়। নতুন ক্যালেন্ডার অনুসারে জানুযারীর ১ তারিখকে বছরের প্রথম দিন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেই সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকতে অনেকেই এটা জানতো না। আবার কেউ কেউ জেনেও নতুন তারিখ মেনে নিতে পারে নাই। তাই তারা পুরাতন নিয়ম অনুসারে এপ্রিলের ১ তারিখেই নববর্ষের উৎসব করতে থাকে। তখন এদেরকে নিয়ে অন্যরা হাসি তামাশা করতো। কাগজ দিয়ে মাছ বানিয়ে এদের পিছনে ঝুলিয়ে দিয়ে মজা করা হতো। ফরাসি ভাষায় এদের ডাকা হতো “poisson d’avril” অর্থাৎ poisson মানে মাছ এবং d’avril মানে এপ্রিল।

২. প্রাচীন রোমে হিলারিয়া নামে একটা উৎসব হতো। সেখানে মানুষ ছদ্মবেশ ধারণ করে বা মুখোশ পরে একজন আরেকজনকে বোকা বানাত।

৩. উত্তর গোলার্ধে এই সময় প্রকৃতি অনেক অনিশ্চিত আচরণ করে যাকে ভার্নাল একুইনক্স (vernal equinox) বলা হয়। মানুষের ধারণা এই সময় প্রকৃতি তার খেয়ালে মানুষকে বোকা বানায়।

৪. অষ্টাদশ শতাব্দীতে ব্রিটেনে এপ্রিল ফুলের প্রচলন হয়। স্কটল্যান্ডে দুইদিন ব্যাপী উৎসব হয়। উৎসবের মূল আকর্ষণ কোকিল শিকার করা। স্কটল্যান্ডে কোকিলকে বোকার প্রতীক হিসাবে ধরা হয়।

এপ্রিল মাসের ১ তারিখ, যেকোনো দিনের মতোই একটা দিন।
এই দিনে অনেক মানুষের জন্ম হয়েছে, এবং হবে। এতে এপ্রিল ফুলের সাথে কোন সম্পর্ক নাই।
এই দিনে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এবং হবে। এতে এপ্রিল ফুলের সাথে কোন সম্পর্ক নাই।
এই দিনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটবে। এতে এপ্রিল ফুলের সাথে কোন সম্পর্ক নাই।

এই দিনে বিশ্ব ইতিহাসে অনেক ইতিবাচক এবং নেতিবাচক ঘটনাই ঘটেছে। এর সাথে এপ্রিল ফুলের কোন সম্পর্ক নাই। কোন জাতি বা সম্প্রদায় এপ্রিল ফুলের সাথে শুধু শুধু নিজেদের কোন ঘটনাকে জড়িয়ে হীনমন্যতায় ভোগার কোন কারণ নাই।
সূত্র এবং লিংক
আরো বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকগুলি দেখতে পারেন --
Hisory
Wikipedia
Infoplease
Reader’s Digest

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৩০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এটা কালও একজনকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম কিছুতেই সে বুঝতে চাইলো না।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:১৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং অবশ্য করণীয় একটা কাজ।
এটা এরকম না, আমি ইচ্ছা করলে জ্ঞান অর্জন করলাম, আর ইচ্ছা না করলে করলাম না।
জ্ঞান ছাড়া আল্লাহকে চেনা যায় না।
জ্ঞান ছাড়া আল্লাহর আদেশ নিষেধ মানা যায় না।
জ্ঞান ছাড়া আল্লাহর কোন ইবাদত করা যায় না।
জ্ঞানের অভাবে আমাদের কাছে মনে হয় নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতই বুঝি ইবাদত।
কেউ যেন ভুল না বুঝেন -- এইগুলি অবশ্যই ইবাদত, এগুলি অবশ্যই করতে হবে। কোন অবস্থাতেই বাদ দেয়া যাবে না।
আল্লাহ তার রসূলের মাধ্যমে বিধানগুলি এইজন্য পাঠিয়েছেন ---
১. মানুষ যাতে মানুষকে ভালবাসে;
২. মানুষ যাতে প্রকৃতি, গাছ-পালা, পশু-পাখিকে ভালবাসে;
৩. মানুষ যাতে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যায়;
৪. মানুষ যাতে মানুষকে কষ্ট না দেয়;
৫. মানুষ যাতে পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি না করে;
৬. মানুষ যাতে সুখে, শান্তিতে এই পৃথিবীতে বসবাস করতে পারে।

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২২

আখেনাটেন বলেছেন: ধর্ম ব্যবসায়ীদের তো এই সব নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে, রাজনীতি করতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞান নিয়ে উনাদের সময় ব্যয় করার সময় কোথায়?

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৩২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


লেখা পড়া না করার কারণে অনেক সাধারণ বিষয় আমরা জানিনা।
এই সুযোগে যারা আমাদেরকে অপছন্দ করে বা ঘৃণা করে তার কৌশলে মিথ্যা কাহিনী, ভুল ব্যাখ্যা, হীনমন্যতা আমাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়।
যেহেতু আমরা পড়াশুনা করি না, তাই মুখে মুখে প্রচলিত এই সব মিথ্যা আজগুবি কাহিনী বিশ্বাস এবং প্রচার করতে থাকি।
অনেক মিথ্যা কাহিনী এবং ভুল ব্যাখ্যার কারণে আমরা হীনমন্যতায় ভুগতে থাকি।

এই রকম একটা কাহিনী প্রচার করে আমাদের মনে হীনমন্যতা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।

আমাদেরকে অনেক অনেক বেশি কোরানশরিফ পড়তে হবে এবং বুঝতে হবে।

প্রথমেই কোরান পড়তে হবে, অন্য কোন ব্যাখ্যা না।

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: এটা জাস্ট ফান। সিরিয়াস নেওয়ার কিছু নেই।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৩৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ধন্যবাদ, আমার লেখাটা পড়ার জন্য এবং বুঝার জন্য।
ঠিক এই কথাটাই বুঝতে চেয়েছি।
"এটা জাস্ট ফান। সিরিয়াস নেওয়ার কিছু নেই।"
এর সাথে কোন ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.