নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুপার টুয়েসডে কি এবং এর গুরুত্ব কি?

০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৭



১. সুপার টুয়েসডে ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছরের মার্চ মাসের প্রথম মঙ্গলবারকে বলা হয় সুপার টুয়েসডে। সেই হিসাবে এই বছর অর্থাৎ ২০২০ সাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছর এবং এই বছর মার্চ মাসের প্রথম মঙ্গলবার হচ্ছে ৩ তারিখ। ২০১৬ সালে মার্চ মাসের প্রথম মঙ্গলবার ছিল ১ তারিখ।

২. রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেটিক উভয় পার্টি আইওয়া ককাসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়নের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করে।

৩. এরপর সারা আমেরিকায় বিভিন্ন তারিখে বিভিন্ন স্টেটে প্রাথমিক নির্বাচন বা প্রাইমারি এবং ককাস হতে থাকে।

৪. কিন্তু এই সুপার টুয়েসডেতে উভয় পার্টি অনেকগুলি স্টেটে একই সাথে প্রাইমারি এবং ককাস আয়োজন করে।

৫. উভয় পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়নের জন্য যে জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে এবং তাতে যে সব ডেলিগেট বা প্রতিনিধি বিভিন্ন স্টেট থেকে অংশ নিবে, তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এই সুপার টুয়েসডেতে নির্বাচিত হবে। ফলে এই দিন অনেকটা পরিষ্কার হবে কে হতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।

৬. সুপার টুয়েসডের আগে আইওয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নেভাদা এবং সাউথ ক্যারোলিনাতে প্রাইমারি বা ককাস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৭. সুপার টুয়েসডেতে প্রাইমারি এবং ককাস অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৪টি স্টেট এবং একটা আমেরিকান টেরিটোরিতে। ১৪টা স্টেট হচ্ছে, এলাবামা, আরকানসাস, ক্যালিফর্নিয়া, কলোরাডো, মেইন, ম্যাসাচুসেট্স, মিনেসোটা, নর্থ ক্যারোলিনা, ওকলাহোমা, টেনেসি, টেক্সাস, উটাহ, ভারমোন্ট এবং ভার্জিনিয়া। আর আমেরিকান টেরিটরি হচ্ছে, আমেরিকান সামোয়া।

৮. এই সুপার টুয়েসডেতে ডেমোক্রেটিক পার্টির ১,৩৫৭ জন ডেলিগেট জাতীয় কনভেনশনের জন্য নির্বাচিত হবে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালো, আপনি এই ধরণের সিষ্টেম পছন্দ করেন?

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



ভালো, আপনি এই ধরণের সিষ্টেম পছন্দ করেন?

সুপার টুয়েসডে একটা পোশাকি নাম।
আসল কথা হচ্ছে কোন পার্টি থেকে কে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবে তা ঠিক করবে ঐ পার্টির সমর্থকরা।
এতে মানুষের ইচ্ছা এবং পছন্দের অনেক বেশি সুযোগ থাকে।
তা না হলে পার্টির নেতা নিজেই নিজের মত করে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যায়।

প্রতিটা স্টেটে পার্টি সমর্থিত রেজিস্টার্ড ভোটাররা ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে ফলে ঐ পার্টির কে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করবে তা তাদের সমর্থক দ্বারা ঠিক হয়। এতে সমর্থকদের মতামত প্রতিফলিত হয়।

আমি মনে করি সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটা স্তরে জনগণের মতামত নেয়া উচিত। একটা পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ, রাষ্ট্র, এমন কি বিশ্ব ব্যবস্থা মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। তাই সব স্তরে মানুষের মতামত প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

আরেকটা বিষয় -- স্বভাবগত ভাবে সব মানুষ কোন একটা বিষয়ে একমত হবে না। সেই ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের মতামতকে প্রাধান্য দিতে যেয়ে সংখ্যালঘু মানুষের মতকে একেবারে তুচ্ছ করা যাবে না। এক্ষেত্রে মতের সমন্বয় করা বুদ্ধিমানের কাজ।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: সুপার টুয়েসডে কি এবং এর গুরুত্ব কি?

আমি জানি না।

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"সুপার টুয়েসডে কি এবং এর গুরুত্ব কি?
আমি জানি না।"

আমিও এক সময় জানতাম না।
যখন জানার ইচ্ছা হল তখন জানতে পারলাম।

আপনার যদি জানার ইচ্ছা হয়, তাহলে জানতে পারবেন।

তবে জানার ইচ্ছা হলে ভাল।
আর জানার ইচ্ছা না হলেও, খারাপ কিছু না।

সবার সব কিছু জানার ইচ্ছা এবং প্রয়োজন নাও হতে পারে।
আর জানার ইচ্ছা বা প্রয়োজন না হওয়ার খারাপ কিছু না।

পৃথিবীতে কত বিষয় আছে জানার।
আপনার যা জানতে ইচ্ছা করে তাই জানুন।

তবে প্রতিদিন কিছু না কিছু জানার চেষ্টা করুন, যা ভাল লাগে।

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জানি না।

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"জানি না।"

আপনি যে জানেন, যে আপনি "জানেন না", এটা অনেক বড় জানা।

অধিকাংশ মানুষ জানেনা যে, সে "জানে না"।

আবার অনেক মানুষ আছে, যারা ভুল জানে, কিন্তু সে জানে যে, সে সঠিক জানে।

আবার কিছু কিছু মানুষ আছে সে জানে যে, সে জানে না কিন্তু সে জানার ভান করে।

সবার মধ্যে আপনি উত্তম।
আপনি জানেন আপনি জানেন না।
আপনি যেহেতু জানেন আপনি জানেন না তাই ভুল জানার কোন সম্ভাবনা নাই।
আপনি না জেনে জানার ভান করছেন না।

আপনার এই সরল উক্তির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

জাহিদ হাসান বলেছেন: ডেমোক্র্যাট শিবিরে বাইডেন আর বার্নির রশি টানাটানি চলছে।
আমি বার্নির সাপোর্ট করতেছি।

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"ডেমোক্র্যাট শিবিরে বাইডেন আর বার্নির রশি টানাটানি চলছে।
আমি বার্নির সাপোর্ট করতেছি।"

এটা আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার আপনি যে কাউকেই সমর্থন করতে পারেন।

শুরুতে মোট প্রার্থী ছিলেন ২৯ জন।

আজকে (অর্থাৎ ৫ মার্চ, ২০২০) প্রার্থী ৪জন এবং আজকে তাদের অবস্থান:
১. জো বাইডেন (তিনি এখন সবচেয়ে এগিয়ে আছেন)
২. বার্নি স্যান্ডার্স (তিনি এখন দ্বিতীয় অবস্থান আছেন)
৩. এলিজাবেথ ওয়ারেন (তিনি প্রথম দুই জনের থেকে অনেক পিছনে)
৪. তুলসী গ্যাবার্ড (তার অবস্থা খুব খারাপ কিন্তু হয়তো কোন কৌশল গত কারণে এখনো সরে যাচ্ছেন না)

বাকিরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন:

৫. মাইকেল ব্লুমবার্গ (সুপার টুয়েসডেতে আশা অনুরূপ ফল না পাওয়াতে প্রত্যাহার করেছেন)
৬. মাইকেল বেনেট (১১ ফেব্রুয়ারি নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারির পর)
৭. কোরি বুকার (ষষ্ঠ বিতর্কের জন্য বিবেচিত না হওয়ায় ১৯ ডিসেম্বর)
৮. স্টিভেন বুলক (তৃতীয় বিতর্কের জন্য বিবেচিত না হওয়ায়)
৯. পিট বুটেজেজ (১ মার্চ সুপার টুয়েসডের ঠিক আগে)
১০. জুলিয়ান কাস্ত্রো (পঞ্চম বিতর্কের জন্য বিবেচিত না হওয়ায় জানুয়ারি মাসে)
১১. বিল ডি ব্লাসিও (তৃতীয় বিতর্কের জন্য বিবেচিত না হওয়ায়)
১২. জন ডেলানি (প্রথম বিতর্কের জন্য বিবেচিত না হওয়ায়)
১৩. কার্স্টেন গিলিব্র্যান্ড (তৃতীয় বিতর্কের জন্য বিবেচিত না হওয়ায়)
১৪. মাইক গ্রেভাল (প্রথম বিতর্কের জন্য বিবেচিত না হওয়ায়)
১৫. কমলা হ্যারিস (নির্বাচন পরিচালনার পর্যাপ্ত টাকার অভাবে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে)
১৬. জন হিকেনলুপার (সিনেট নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য ১৫ আগস্ট প্রত্যাহার করে নেন)
১৭. জেয় ইন্সলী (২১ আগস্ট প্রত্যাহার করে নেন)
১৮. অ্যামি ক্লুবুচার (২ মার্চ সুপার টুয়েসডের ঠিক আগে)
১৯. ওয়েইন মেস্যাম (কোন বিতর্কের জন্য বিবেচিত না হওয়ায়)
২০. সিথ মোলটন (২৩ আগস্ট)
২১. রিচার্ড ওজেদা ("নির্বাচন করার মত সমর্থ তার নেই", এই কথা বলে সবার আগে তিনি বিদায় নেন)
২২. বেটো ও'রউর্ক (টাকার অভাবে তিনি ২ নভেম্বর প্রত্যাহার করে নেন)
২৩. ডেভাল প্যাট্রিক (১২ ফেব্রুয়ারি নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারির পর)
২৪. টিম রায়ান (তৃতীয় বিতর্কের জন্য বিবেচিত না হওয়ায়)
২৫. জো সেস্তাক (কোন বিতর্কের জন্য বিবেচিত না হওয়ায়)
২৬. টম স্টিয়ার (২৯ শে ফেব্রুয়ারি প্রথম ৪টা প্রাইমারিতে খারাপ করার পর)
২৭. এরিক সোয়্যালওয়ের (প্রথম প্রাথমিক বিতর্কের পর)
২৮. মেরিয়েন উইলিয়ামসন (দ্বিতীয় প্রাথমিক বিতর্কের পর)
২৯. অ্যান্ড্রু ইয়াং (১১ ফেব্রুয়ারি নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারির পর)

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আপনার মন্তব্যটির উত্তর পোস্ট করার পর পরই USA Today ব্রেকিং নিউজ থেকে জানতে পারলাম এলিজাবেথ ওয়ারেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮

জাহিদ হাসান বলেছেন: ব্লুমবার্গ ও এলিজাবেথ সরে গেছেন।

এখন শুধু বাইডেন ও বার্নিই ধরতে গেলে টিকে আছেন।

০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



হাঁ, আমি ৪ নং মন্তব্যের জবাবেই বলেছি, মাইকেল ব্লুমবার্গ সুপার টুয়েসডেতে আশা অনুরূপ ফল না পাওয়াতে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
আর এলিজাবেথ ওয়ারেন গতকাল অর্থাৎ ৫ মার্চ প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

এখন কার্যত জো বাইডেন এবং বার্নি স্যান্ডার্স প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কিন্তু তুলসী গ্যাবার্ড তার নাম এখনো প্রত্যাহার করে নাই। আমার মনে হয়, তার অবস্থা খুব খারাপ সত্ত্বেও (অস্তিত্ব নাই বললেই চলে) হয়তো কোন কৌশল গত কারণে এখনো সরে যাচ্ছেন না।
আরেকটা কারণ হতে পারে শুধু নাম প্রচারের আশায় এখনো দাঁড়িয়ে আছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.