নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকাতে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য:

০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৫



১. ২০ জানুয়ারি প্রথম রুগী সনাক্ত হয় ওয়াশিংটন স্টেটে। সনাক্ত হওয়ার ৫ দিন আগে সে ওয়াহান থেকে এসেছিল।



২. ৪ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামের একটা প্রমোদ তরীতে। এই প্রমোদ তরীটি জাপানের পানি সীমায় ছিল। এতে যাত্রী ছিল ৩ হাজার ৬০০ জন। তার মধ্যে ৭ শত জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আবার এই ৭ জনের মধ্যে ৪২৮ জন আমেরিকান। ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রমোদ তরীটিকে জাপানের ইউকোহামা বন্দরে সব যাত্রী সহ আটক করে রাখা হয়েছে।



৩. ২৫ ফেব্রুয়ারি রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র বা Centers for Disease Control and Prevention বা CDS সরকারি ভাবে করোনাভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার ঘোষণা প্রদান করে।



৪. ২৯ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিংটন স্টেট করোনাভাইরাসে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তার বয়স ৫০ বছর ছিল।



৫. ১ মার্চে নিউ ইয়র্কে প্রথম একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রুগী সনাক্ত হয়।

৬. ৪ মার্চে ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে একজন মারা যায়। সে প্রিন্সেস প্রমোদ তরীতে করে ফেব্রুয়ারি মাসে সান ফ্রান্সিস্কো থেকে মক্সিকোতে গিয়েছিল।

৭. ৪ মার্চ গ্র্যান্ড প্রিন্সেস নামের আরেকটি প্রমোদ তরীকে ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে ৩ হাজার ৫ শত যাত্রী সহ আটক করা হয়েছে। এতে ২১ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত।

৮. ৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে প্রথম মৃত্যু। ফ্লোরিডাতে ২ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

৯. ৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রথম আঘাত। ৫০ বছর বয়সের একজন রুগী সনাক্ত হয়েছে সে করোনাভাইরাস আক্রান্ত।

১০. ৮ মার্চ (আজকে এই লেখা পর্যন্ত) যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা ৪০০ জন।



১১. যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেটের সিয়াটল অবস্থিত লাইফ কেয়ার সেন্টার নামের একটা নার্সিং হোম থেকে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ঐ নার্সিং হোমেরে কমপক্ষে ১৪ জন মারা গেছে। ঐ নার্সিং হোমের বাকি ৬৩ জনকে গৃহবন্দী করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।



১২. সব শেষে আতংকিত হবেন না। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। এইগুলি তথ্য। জানার অধিকার আপনার আছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই ভাইরাস চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।

০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"এই ভাইরাস চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।"

এটা তো এই ভাইরাসের একটা পজিটিভ দিক।
মানুষকে চিন্তা করতে শেখাচ্ছে।

আজকে মানুষ কোন কিছু নিয়েই চিন্তা করতে পছন্দ করে না।
শুধু ইন্দ্রিয় সুখ চায়।

চিন্তা করুন।
ভাবুন।

জীবনের অনেক রহস্যের জট খুলে যাবে।

কোন কোন ঘটনা চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন।

আর যারা চিন্তা করবে না তাদের জন্য এই ভাইরাস শুধুই ভাইরাস, শুধুই আতংক।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৯

ইলি বলেছেন: বিষয়টা হালকা ভাবে না নেয়া ঠিক হবেনা।

০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"বিষয়টা হালকা ভাবে না নেয়া ঠিক হবেনা।"

আমার মনে হয় না পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ আছে যে বিষয়টাকে হালকা ভাবে নিয়েছে।

বস্তুগত বা ভাবগত বা আধ্যাত্মিক যে ভাবেই নেয় না কেন সবাই এটাকে সিরিয়াসলিই নিয়েছে।

তবে বেশি সিরিয়াস হতে যেয়ে যেন আমরা আতংকিত না হয়ে পড়ি।

সাবধানতা অবলম্বন।

স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা।

শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা ইত্যাদি করণীয় কাজগুলি করতে হবে।

সাথে সাথে যারা বিশ্বাসী তাদেরকে সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা এবং আশ্রয় চাইতে হবে।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন:
আল্লাহ রহমত করো।

০৯ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



"আল্লাহ রহমত করো।"

অবশ্যই আল্লাহর রহমত ছাড়া কোন পরিত্রাণ নাই।

তবে আল্লাহর রহমত পেতে হলে কিছু কাজ করতে হবে।

পৃথিবীতে এমন কোন অসুখ নাই যার ওষুধ বা প্রতিকার আল্লাহ দেন নাই।

তবে এই ওষুধ বা প্রতিকার মানুষকে চিন্তা করে, গবেষণা করে বের করতে হবে। এটা আল্লাহর ইচ্ছা।

কেউ যদি ঔষধ আবিষ্কার না করে এবং সেই ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা না করে তাহলে আল্লাহর রহমত আসবে না।

আল্লাহ সর্ব শক্তিমান। তিনি ইচ্ছা করলে ওষুধ ছাড়াও কোন মানুষকে সুস্থ করতে পারেন। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা বা পরিকল্পনা তা না।

তাই অসুখ হলে --
প্রথম কাজ হবে, চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নেয়া।
তারপর আরো কিছু কাজ করতে হবে --
১. আল্লাহর কাছে রোগ মুক্তির সাহায্য চাইতে হবে।
২. ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. প্রচুর পরিমাণে দান করতে হবে।
৪. ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

এখন প্রশ্ন হতে পারে, চিকিৎসকের কাছ থেকে যদি চিকিৎসা নিব তা হলে আল্লাহর কাছে দোয়া করব কেন? ক্ষমা চাইব কেন? আর প্রচুর দান করব কেন?

এই "কেন" গুলির উত্তর হচ্ছে,
চিকিৎসা রোগ মুক্তির কোন গ্যারান্টি না। যদি চিকিৎসাতেই নিশ্চিত ভাবে মানুষ সুস্থ হতো তা হলে চিকিৎসা নেয়ার পর সবাই সুস্থ হয়ে যেত। তা কিন্তু হয় না। চিকিৎসা নেয়ার পর কেউ কেউ সুস্থ হয়ে উঠে আবার অনেকেই অনেক চিকিৎসার পরেও সুস্থ হয় না।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: :(( :(( :((
কানাডায় কত জন?

০৯ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



কানাডাতে এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায় নাই।
গতকাল (৮ মার্চ) পর্যন্ত ৬৭ জনের দেহে করোনা ভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে।
তার মধ্যে ৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।

আলবার্টা প্রদেশে ৪ জন, ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে ২৭ জন, অন্টারিওতে ৩২ জন, এবং কুইবেকে ৪ জন সর্ব মোট ৬৭ জন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.