নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্লু তে করোনাভাইরাসের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ মারা গেছে। তবে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে এত ভয় কেন?

১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৯

এখন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত আলাপ চারিতায় এই প্রশ্নটা আসছে। প্রশ্নটা আসা স্বাভাবিক। বিশেষকরে আমেরিকানদের কাছে। আমেরিকাতে যারা বাস করে তাদের অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা করোনা ভাইরাসের থেকে বেশি।



আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এক রিপোর্টে বলেছে, ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ মাত্র ৫ মাসে আমেরিকাতে ৪ কোটি ৯০ লক্ষ লোক ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে। এই আক্রান্তদের ২ কোটি ৩০ লক্ষ জন ডাক্তার দেখিয়েছেন, তারমধ্যে ৬ লক্ষ ২০ হাজার জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। তারমধ্যে ৫২ হাজার মারা গেছে।

অপরদিকে এই লেখা যখন লিখছি তখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১,২১,৩১২ জন আর মারা গেছে ৪,৩৭৯ জন। (ফ্লুর হিসাবটা শুধু আমেরিকার আর করোনা ভাইরাসের হিসাবটা সারা বিশ্বের)

তাহলে ভয়টা কোথায়?
রোনাল্ড রেগান ইউ সি এল এ মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগের ডাক্তার অটো ইয়াং, এমডি, এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, "আমার মনে হয়ে ভয়ের বড় কারণ অজানা ভয়। যে শত্রুকে আপনি চিনেন না, সেই শত্রু, যে শত্রুকে আপনি চিনেন তার চেয়ে বেশি ভীতিকর।"

ভ্যাকসিন নাই, ওষুধ নাই
মানুষ বহু শতাব্দী ধরে মৌসুমি ফ্লুর সাথে লড়াই করে আসছে, তাই বিজ্ঞানীরা শীতের মাসগুলিতে প্রচলিত ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অধ্যয়ন করার সুযোগ পেয়েছেন। এই গবেষণার ফলে ফ্লুর ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে এবং অনেক উন্নত ওষুধ বের হয়েছে যা জনসংখ্যার বিশাল অংশকে ফ্লু আক্রান্ত হতে রক্ষা করে এবং যারা সংক্রামিত হয় তাদের ক্ষেত্রে এর তীব্রতা হ্রাস করে। এছাড়াও, এমন ওষুধ পাওয়া যায় যা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাল করে এবং কখনও কখনও অসুস্থতার সময়কাল কমিয়ে দেয়।

এছাড়াও, ফ্লুতে আক্রান্ত হতে হতে মানুষের দেহে ফ্লুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। এর অর্থ ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত সবাই অসুস্থ হয় না।

তবে করোনাভাইরাসটি প্রায় তিন মাস ধরে অস্তিত্বশীল, তাই মানুষের মধ্যে কোনও প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা এখনো জন্মায় নাই। তার উপর দুর্ভাগ্যক্রমে, এখনো করোনাভাইরাসে কোন ভ্যাকসিন বের হয় নাই। যদিও বেশ কয়েকটি পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের কাজ চলছে, তবে কমপক্ষে ১৮ মাসের আগে কোনটাই বাজারে আসবে না।

এছাড়াও করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য কোনও ওষুধ নির্দিষ্টভাবে তৈরি করা এখনো সম্ভব হয়নি , যদিও গবেষকরা বিদ্যমান এন্টিভাইরাল ওষুধগুলি পরীক্ষা করে দেখছেন যে এতে ভাল হয় কি না?

যেহেতু কোন ভ্যাকসিন এবং ওষুধ নাই তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রোগ প্রতিরোধের জন্য হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশি থেকে দূরে থাকা, জনসমাগম হয় এমন স্থান যেমন, মিটিং, অনুষ্ঠান, স্কুল ইত্যাদি বন্ধ রাখা ইত্যাদি ব্যবস্থার কথা বলছেন।

বিশেষজ্ঞরা এখনো করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন:
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের আরও একটি কারণ হ'ল করোনাভাইরাসটি কীভাবে সহজে ছড়িয়ে যায় সে সম্পর্কে তথ্যের অভাব। বিজ্ঞানীরা জানেন ইনফ্লুয়েঞ্জা কি ভাবে ছড়ায়। অর্থাৎ ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত ব্যক্তি কাশি বা হাঁচি দিলে বা কথা বললে ভাইরাসটি ৩ থেকে ৬ ফুট সীমার মধ্যে ব্যক্তিকে আক্রান্ত করে। করোনা ভাইরাসের এই বৈশিষ্ট্য ছাড়াও হাম এবং চিকেনপক্সের জীবাণুর মত বায়ুবাহিত। এটা বাতাসেও প্রবাহিত হতে পারে। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক অবিগ্যালি কার্লসন বলেছেন, "করোনা ভাইরাসের বাতাসে চলার বৈশিষ্ট্যটা ফ্লু ভাইরাস থেকে আলাদা। ফলে ৬ ফুটের বাইরের মানুষকেও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত করতে পারে।"

গবেষকরা বের করার চেষ্টা করছেন কোন জিনিসের উপর যেমন দরজার হাতল, লিফটের বোতাম ইত্যাদিতে এটা কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে।

উচ্চ মৃত্যু হার:
করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার ফ্লু থেকে বেশি। এখন মৃত্যুর হার অনেক বেশি দেখাচ্ছে প্রায় ৩.৬% তবে এটা ০.২% নেমে আসবে। তবুও এটা ফ্লু থেকে বেশি। গত ফ্লু সিজনে মৃত্যুর হার ছিল ০.১৪%

এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভাল উপায়:
যেহেতু ভ্যাকসিন নাই, ওষুধ নাই তাই এখন পর্যন্ত সব চেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে, করোনা ভাইরাস যাতে ছড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করা।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের সচেতন হতে হবে এবং গুজব ছড়ানো ও বিশ্বাস করা হতে বিরত থাকতে হবে । সার্স, মার্স, সহ প্রায় আট-দশটা ফ্লু ভাইরাস জীবানুর নাম করনা। এই টিকা চীন আবিষ্কার করতে পারবে না, আমেরিকা বাদে কেউ পারবে না। টিকা উদ্ভাবনের অবকাঠামো একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আছে। চীন অলরেডি ভাসরাসটির স্যাম্পল ও উপাত্ত দিয়েছে আমেরিকান CDC কে।

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:১৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
প্রথমত: সচেতন হতে হবে।
দ্বিতীয়ত: বিষয়টি যুক্তি ও বিজ্ঞানের আলোকে দেখতে হবে।
তৃতীয়ত: গুজব, আজগুবি কথা এই গুলি পরিহার করতে হবে।
চতুর্থত: কোন তথ্য যাচাই-বাছাই না করে প্রচার করা যাবে না।
পঞ্চমত: তথ্য যাচাই করার জন্য WHO বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং CDC ওয়েবসাইট দেখতে হবে।
ষষ্ঠত: নিরাপদ থাকার জন্য যে বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে তা নিজে এবং পরিবারের সদস্যের মেনে চলতে হবে।
সপ্তমত: আতংকিত হবেন না বা ভয় পাবেন না।
অষ্টমত: সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে হবে।
নবমত: প্রচুর পরিমাণ দান করতে হবে এবং মানুষকে সাহায্য করতে হবে।
দশমত: কাজ না থাকলে বাইরে ঘোরাফেরা না করে বাড়িতে বিশ্রাম নিতে হবে।

আর টিকার ব্যাপারে খবর হচ্ছে, ইতিমধ্যে টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। আমেরিকার একটা সমস্যা হচ্ছে নিশ্চিত না হয়ে বাজারে ছাড়বে না। এতে এই টিকা বাজারে আসতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে।

২| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে তরুন বয়েসে আক্রান্তের বা মৃত্যুর হার খুবই কম। 0.02% ভাগ মাত্র।
বাংলাদেশের ৩ জনের দু জন অলরেডি ভাল হয়ে গেছে।

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:২২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



বয়স হিসাবে মৃত্যুর হার আমি আমার আগের লেখাটায় দিয়েছি।
লিংক: Click This Link
বয়স হিসাবে মৃত্যুর হার:
৮০ + বয়স মৃত্যুর হার ১৪.৮%
৭০-৭৯ বয়স মৃত্যুর হার ৮.০%
৬০-৬৯ বয়স মৃত্যুর হার ৩.৬%
৫০-৫৯ বয়স মৃত্যুর হার ১.৩%
৪০-৪৯ বয়স মৃত্যুর হার ০.৪%
৩০-৩৯ বয়স মৃত্যুর হার ০.২%
২০-২৯ বয়স মৃত্যুর হার ০.২%
১০-১৯ বয়স মৃত্যুর হার ০.২%
০-৯ বয়স মৃত্যুর হার নাই।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজনের
রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ তাছাড়া দেশে নতুন করে আর কেউ এই ভাইরাসে
সংক্রমিত হননি বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর৷

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:২৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আলহামদুলিল্লাহ, ভাল খবর।
বিশ্বের অধিকাংশ আক্রান্ত রুগীই ভাল হয়ে যাচ্ছে।
প্রথম দিকে মানুষ বুঝে উঠার আগেই বেশি মারা গেছে।
এখন অধিকাংশই ভাল হয়ে যাচ্ছে।
আল্লাহর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন:

১২ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



কখন মাস্ক ব্যবহার করবেন?
১. আপনি যদি স্বাস্থ্যবান হন, তবে সন্দেহজনক করোনা ভাইরাস সংক্রমণযুক্ত কোনও ব্যক্তির যত্ন নিলে আপনার কেবল মুখোশ পরা প্রয়োজন।
২. কাশি বা হাঁচি থাকলে মুখোশ পরুন।
৩. অ্যালকোহল ভিত্তিক হেন্ড লোশান বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর মাস্ক ব্যবহার করলে সেই মাস্ক নিরাপদ হবে।
৪. আপনি মাস্ক পরার আগে কি ভাবে পরবেন তা জানতে হবে।

কীভাবে মাস্কটি লাগাতে হবে, ব্যবহার করতে হবে, এবং খুলে ফেলতে হবে?
১. মাস্ক লাগানোর আগে অ্যালকোহল-ভিত্তিক লোশান বা সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
২. মুখ এবং নাক মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার মুখ এবং মাস্কের মধ্যে কোনও ফাঁক নেই।
৩. মাস্কটি ব্যবহার করার সময় হাত দিয়ে স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন; যদি আপনি তা করেন তবে অ্যালকোহল-ভিত্তিক লোশান বা সাবান দিয়ে আপনার হাত পরিষ্কার করুন।
৪. স্যাঁতসেঁতে ভাব আসার সাথে সাথে মাস্কটিকে নতুন করে প্রতিস্থাপন করুন এবং একবার ব্যবহার করার পর মুখোশগুলি পুনরায় ব্যবহার করবেন না।
৫. মাস্কটি খোলার সময় পিছন থেকে এটি খোলুন (মুখোশের সামনে স্পর্শ করবেন না);
৬. খোলার সাথে সাথে মাস্কটি একটি ঢাকনা দেয়া বিনের মধ্যে ফেলে দিন। তারপর অ্যালকোহল-ভিত্তিক লোশান বা সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.