নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইংরেজি কেন আমেরিকার সরকারী ভাষা নয়?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪১



১৮০টি দেশে সরকারী ভাষা থাকলেও আমেরিকা তার ব্যতিক্রম। আমেরিকা এমন একটি দেশ যেখানে কোনও ভাষাকে তার সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয় হয় নাই। এর পিছনে কারণ জানতে হলে আমেরিকার উৎস এবং এর প্রতিষ্ঠাতা পরুষদের সুদূর প্রসারী নীতিমালাগুলো জানতে হবে।

বিশ্বের প্রায় ১৮০টি দেশ অফিসিয়াল ভাষা রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১০০ টিরও বেশি দেশে একাধিক সরকারী ভাষা রয়েছে। বলিভিয়া বর্তমানে স্প্যানিশ এবং কয়েক ডজন আদিবাসী ভাষা সহ মোট ৩৭টি সহ সর্বাধিক সরকারী ভাষা থাকার রেকর্ড ধারণ করেছে।



বিশ্বের অনেক দেশ তাদের শাসন ব্যবস্থায় সরকারি কাজে এবং যোগাযোগের সুবিধার্থে অফিসিয়াল ভাষা প্রতিষ্ঠা করে। সরকারি ভাষা ওই দেশের সাংস্কৃতিক পরিচয় সংরক্ষণের সাথে সাথে জাতীয় ঐক্যকে উন্নীত করতেও সাহায্য করতে পারে।

১৮ শতকে যখন আমেরিকা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তখন এর প্রাথমিক ফোকাস ছিল ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং সাম্য বা ইনসাফের আদর্শের উপর ভিত্তি করে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। যদিও ১৭০০ এর দশকে আমেরিকান উপনিবেশগুলিতে ইংরেজি প্রভাবশালী ভাষা হয়ে উঠছিল, তবুও অনেক লোক তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতো, যার মধ্যে রয়েছে জার্মান, ডাচ, ফ্লেমিশ, ফ্রেঞ্চ, ড্যানিশ, নরওয়েজিয়ান, সুইডিশ, পোলিশ, গ্যালিক, পর্তুগিজ, ইতালীয় এবং আরও অনেক ভাষা।



বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অভিবাসীরা বিভিন্ন ভাষায় কথা বলত। তাই কোন একটি ভাষাকে অন্য ভাষাগুলির উপর মর্যাদা দিয়ে সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিলে সাম্য নষ্ট হবে এবং অন্য ভাষাবাসীদের উপর বেইনসাফী হবে বলে প্রতিষ্ঠাতা পুরুষরা মনে করতেন। তবে কেউ কেউ ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসাবে গ্রহণ করার পক্ষে ছিলেন। ১৭৮০ সালে জন অ্যাডামস কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসে ইংরেজিকে আমেরিকার সরকারী ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলেন। কিন্তু অধিকাংশ প্রতিনিধি এই প্রস্তাবকে "অগণতান্ত্রিক এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য হুমকি" বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

ফেডারেল স্তরে অর্থাৎ আমেরিকার কেন্দ্রীয় সরকারে কোন অফিসিয়াল ভাষা নেই। কিন্তু আমেরিকার ৫০টি স্টেটের মধ্যে ৩২টি এবং পাঁচটি অঞ্চলে (ইউ এস টেরিটোরি) ইংরেজিকে স্থানীয়ভাবে সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।



তবে এখনো মাঝে মাঝে ইংরেজিকে আমেরিকার সরকারী ভাষা করার জন্য বেশ কয়েক বার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালে ওহিওর রিপাবলিকান সিনেটর জেডি ভ্যান্স এবং নর্থ ডাকোটার কেভিন ক্রেমার ইংরেজিকে আমেরিকার সরকারী ভাষা হিসাবে ঘোষণা করার জন্য একটি বিল উত্থাপন করেছিলেন। এই প্রচেষ্টাগুলি যারা করেন তারা খুব রক্ষণশীল ধরণের। তাদের মনে ভয় হয় যে ইংরেজ ভাষা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, তাই সরকারি ভাষা হিসাবে এটা ঘোষণা করা উচিত।



সর্বশেষ আদমশুমারির তথ্য অনুসারে আমেরিকার ৭৮.৩ শতাংশ মানুষ বাড়িতে শুধুমাত্র ইংরেজিতে কথা বলে। যদিও এই সংখ্যাটি আগের বছরগুলি থেকে সামান্য কম। ২০১৩-২০১৭ সালে ছিল ৭৮.৭ শতাংশ। তবে আমেরিকাতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের কথ্য ভাষা হচ্ছে ইংরেজি। স্প্যানিশ আমেরিকার দ্বিতীয় সর্বাধিক কথ্য ভাষা। তবে স্প্যানিশ ভাষাভাষীদের ৬১ শতাংশও খুব ভাল ইংরেজি বলতে পারে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৩

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: জানা ছিলো না। আপনাকে ধন্যবাদ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করেছে সরকারি ভাষা হিসাবে ইংরেজি না রাখার কারণ না। মূলত আমি এই কারণেই পোস্ট দিয়েছি।

সেই অষ্টাদশ শতাব্দীতে একদল মানুষ মনে করছে একটা ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসাবে গ্রহণ করলে বা কোন একটি ভাষাকে অন্য ভাষাগুলির উপর মর্যাদা দিয়ে সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিলে সাম্য নষ্ট হবে এবং অন্য ভাষাবাসীদের উপর বেইনসাফী হবে।

সাম্য এবং ইনসাফের ধারণা কত প্রখর। কোন একটি কাজের দ্বারা কোন একজন মানুষ যেন মনে কষ্ট না পায় সেই প্রচেষ্টা তারা করে গেছেন। তাই প্রকৃতি দুই হাত উজাড় করে এই দেশকে দিয়েছে।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


Good post.

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতা পুরুষরা ছিলেন প্রকৃতপক্ষে সাম্য এবং ন্যায় বিচারের ধারণার ধারক। তারা বিশ্বাস করতেন যে, সকল মানুষ সমান, এবং তাদের সমান অধিকার ও সুযোগ রয়েছে। এই ধারণার ভিত্তিতে, তারা আমেরিকার সংবিধান রচনা করেন, যেখানে সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।

ভাষার ক্ষেত্রেও, প্রতিষ্ঠাতা পুরুষরা একই ধারণা অনুসরণ করেন। তারা মনে করতেন যে, কোন একটি ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে গ্রহণ করলে, তা অন্যান্য ভাষাভাষী মানুষের অধিকার লঙ্ঘন করবে। তারা চেয়েছিলেন যে, সকল ভাষার সমমর্যাদা থাকুক, এবং সকল মানুষ তাদের নিজস্ব ভাষায় সরকারি কাজে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হোক।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৫

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: এটা সম্পর্কে আগে কিঞ্চিত ধারণা ছিলো। আজ মোটামুটি জানলাম...

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


সকল ভাষার সমমর্যাদা থাকুক, এবং সকল মানুষ তাদের নিজস্ব ভাষায় সরকারি কাজে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হোক -- এই ধারণার ভিত্তিতে, আমেরিকার সংবিধানে কোন একটি ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। বরং, সংবিধানে বলা হয়েছে যে, সকল নাগরিককে তাদের নিজস্ব ভাষায় আইনের আওতায় আনা হবে।

এই ধারণাটি খুবই প্রগতিশীল ছিল এবং এটি আমেরিকার বহুভাষিক সমাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করেছিল। প্রতিষ্ঠাতা পুরুষদের এই ধারণাটি আজও প্রাসঙ্গিক এবং এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও অনুকরণীয়।

প্রতিষ্ঠাতা পুরুষদের সাম্য এবং ন্যায় বিচারের ধারণার প্রখরতা নিম্নলিখিত যুক্তিগুলির মাধ্যমে বোঝা যায়:

১. তারা বিশ্বাস করতেন যে, সকল মানুষ সমান, এবং তাদের সমান অধিকার ও সুযোগ রয়েছে।

২. তারা চেয়েছিলেন যে, সকল ভাষার সমমর্যাদা থাকুক।

৩. তারা চেয়েছিলেন যে, সকল মানুষ তাদের নিজস্ব ভাষায় সরকারি কাজে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হোক।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২১

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন:


সকল ভাষার সমমর্যাদা থাকুক, এবং সকল মানুষ তাদের নিজস্ব ভাষায় সরকারি কাজে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হোক -- এই ধারণার ভিত্তিতে, আমেরিকার সংবিধানে কোন একটি ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। বরং, সংবিধানে বলা হয়েছে যে, সকল নাগরিককে তাদের নিজস্ব ভাষায় আইনের আওতায় আনা হবে।

এই ধারণাটি খুবই প্রগতিশীল ছিল এবং এটি আমেরিকার বহুভাষিক সমাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করেছিল। প্রতিষ্ঠাতা পুরুষদের এই ধারণাটি আজও প্রাসঙ্গিক এবং এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও অনুকরণীয়।

প্রতিষ্ঠাতা পুরুষদের সাম্য এবং ন্যায় বিচারের ধারণার প্রখরতা নিম্নলিখিত যুক্তিগুলির মাধ্যমে বোঝা যায়:

১. তারা বিশ্বাস করতেন যে, সকল মানুষ সমান, এবং তাদের সমান অধিকার ও সুযোগ রয়েছে।

২. তারা চেয়েছিলেন যে, সকল ভাষার সমমর্যাদা থাকুক।

৩. তারা চেয়েছিলেন যে, সকল মানুষ তাদের নিজস্ব ভাষায় সরকারি কাজে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হোক।





আমার একটা প্রশ্ন। মনে করেন একই প্রতিষ্ঠানে তিনজন তিন ধরণের ভাষা ব্যবহার করে। এতে কাজের সমস্যা হয় না? জাস্ট জানতে চাওয়া।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ধরুন একজন বাংলায় কথা বলছে, আরেক জন আরবিতে এবং অপর জন জার্মান ভাষায়। এতে কেউ কারো কথা বুঝতে পারবে না। ভাষার কাজ হচ্ছে একজন আরেক জনের সাথে যোগাযোগ করা। এই ক্ষেত্রে তিন জনের কেউই একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না।

এখন এই তিনজনের কাছে কি উপায় থাকবে?
উপায় একটাই আছে, সেটা হল তিনজনে এমন একটা ভাষায় কথা বলবে যেটা তিন জনই বুঝতে পারে বা অধিকাংশ জন বুঝতে পারে।

এখানে জোর করে এক ভাষার উপর আরেক ভাষার প্রাধান্য দেওয়ার কোন প্রয়োজন নাই। অথবা কোন ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়ার প্রয়োজন নাই। মানুষ নিজের প্রয়োজনই এমন একটা ভাষা ব্যবহার করবে যেটা সবাই বা অধিকাংশ মানুষ জানে।

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৪

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন:


ধরুন একজন বাংলায় কথা বলছে, আরেক জন আরবিতে এবং অপর জন জার্মান ভাষায়। এতে কেউ কারো কথা বুঝতে পারবে না। ভাষার কাজ হচ্ছে একজন আরেক জনের সাথে যোগাযোগ করা। এই ক্ষেত্রে তিন জনের কেউই একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না।

এখন এই তিনজনের কাছে কি উপায় থাকবে?
উপায় একটাই আছে, সেটা হল তিনজনে এমন একটা ভাষায় কথা বলবে যেটা তিন জনই বুঝতে পারে বা অধিকাংশ জন বুঝতে পারে।

এখানে জোর করে এক ভাষার উপর আরেক ভাষার প্রাধান্য দেওয়ার কোন প্রয়োজন নাই। অথবা কোন ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়ার প্রয়োজন নাই। মানুষ নিজের প্রয়োজনই এমন একটা ভাষা ব্যবহার করবে যেটা সবাই বা অধিকাংশ মানুষ জানে।




ক্লিয়ার হলাম। ধন্যবাদ দাদা।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


যেমন ধরেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। অথচ বাংলাদেশে বাংলা বাদে আরো ৩৯ টি ভাষা আছে। যাদের মাতৃভাষা বাংলা না, তারা নিশ্চয়ই তাদের ভাষার ব্যাপারে সমান অধিকার অনুভব করে না।

আমাদের সংবিধান প্রণেতারা যদি বিশ্বাস করতেন যে, সকল মানুষ সমান, এবং তাদের সমান অধিকার ও সুযোগ রয়েছে অথবা তারা যদি চাইতেন যে, সকল ভাষার সমমর্যাদা থাকুক অথবা তারা যদি চাইতেন যে, সকল মানুষ তাদের নিজস্ব ভাষায় সরকারি কাজে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হোক তাহলে তারা মানুষকে সেই অধিকার দিতেন।

তারা অন্য ভাষার মর্যাদার ব্যাপারে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। শুধু নিজের ভাষা, নিজের সংস্কৃতি, আর নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ মনে করে। তাদের কাছে আর সব কিছু তুচ্ছ, মূল্যহীন, নিকৃষ্ট।

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৮

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: কিন্তু আমেরিকার অধিকাংশ মানুষ ইংরেজিতে কথা বলে, নেতাদের ও পার্লামেন্টের ভাষাও ইংরেজি। আমেরিকা থেকে বের হওয়া সিনেমা ইংরেজিতে। যতটা সম্ভব ওদের সংবিধানও ইংরেজিতে লেখা। তাহলে আর বাকি রইল কী, সরকারি ভাষা হওয়া থেকে?

যদিও সরকারিভাবে ইংরেজিকে যে ওদের সরকারি ভাষা হিসাবে অফিসিয়াল ঘোষণা দেয়নি, তা আমার জানা ছিল না।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


কিন্তু আমেরিকার অধিকাংশ মানুষ ইংরেজিতে কথা বলে,

-- হা, বলে। মানুষকে তো বলা যাবে না, তোমরা ইংরেজিতে কথা বলতে পারবে না।

নেতাদের ও পার্লামেন্টের ভাষাও ইংরেজি।

-- হা, নেতারা কংগ্রেসে ইংরেজিতে ভাষণ দেয়। তবে কেউ তাকে আইনগত ভাবে ইংরেজিতে ভাষণ দিতে বাধ্য করে না।

আমেরিকা থেকে বের হওয়া সিনেমা ইংরেজিতে।

-- হা, অধিকাংশ সিনেমা ইংরেজিতে। অন্য ভাষার ছবি বাণিজ্যিক ভাবে সফল না।

যতটা সম্ভব ওদের সংবিধানও ইংরেজিতে লেখা।

-- হা, সংবিধান ইংরেজিতে লেখা।

তাহলে আর বাকি রইল কী, সরকারি ভাষা হওয়া থেকে?

-- বাকি রইল, আমেরিকার সংবিধানে বা কোন আইনে ইংরেজিকে রাষ্ট্র ভাষা বা সরকারি ভাষা হিসাবে ঘোষণা করা হয় নাই। যেমন করা হয়েছে বিশ্বের ১৮০টা দেশে। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, "প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা৷" এই ধরণের কোন কথা আমেরিকার সংবিধানে নাই।

যদিও সরকারিভাবে ইংরেজিকে যে ওদের সরকারি ভাষা হিসাবে অফিসিয়াল ঘোষণা দেয়নি, তা আমার জানা ছিল না।

-- জানা নাই বলেই তো পোষ্ট দিলাম। জানানোর জন্য। সবাই যা জানে তজ্জন্য তো পোস্ট প্রয়োজন হয় না।

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো তথ্য।

বাংলাদেশের সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ কোনটা?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা বাংলা। তবে, ইংরেজিকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ইংরেজিকে একটি আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ইংরেজির ব্যবহার ব্যাপক। তাই, বলা যায় যে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভাষা হলো ইংরেজি।

বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৯০% মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। তবে, ইংরেজির ব্যবহারও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইংরেজির ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের একটি ইতিবাচক লক্ষণ।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তবে, ইংরেজিকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

কোনো অফিশিয়াল নথি, সরকারি আদেশ, কিংবা কোনো সংসদীয় বিলে কি এটা পাশ হয়েছে? উত্তর হ্যাঁ-সূচক হলে সূত্র দিন। এ নিয়ে ৫/৭ বছর আগে একবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেছিলাম। ইংরেজি এ দেশের ফরেইন ল্যাঙ্গুয়েজ, সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ না বলেই জানতে পারি, যদিও সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজের সব বৈশিষ্ট্যই ইংরেজির মাধ্যমে হয়।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


"ইংরেজিকে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হল" এই রকম সরাসরি কোন আইন বা ঘোষণা নাই।

কিন্তু সংবিধান এবং অনেকগুলি আইনের ধারা এবং আইন আদালতে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার থেকে এই ধারণা পাওয়া যায়।
যেমন --

১. সংবিধানের ১৫৩ ধারা।

২. Code of Civil Procedure, 1908 এর ১৩৭ ধারা।

৩. Code of Criminal Procedure, 1898 এর ৫৫৮ ধারা।

৪. তাছাড়া ১৭৯৯ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বলবত সব আইন এখন পর্যন্ত ইংরেজি ভাষায় প্রচলিত আছে। তাই মামলা করতে এবং আইন ব্যাখ্যা করতে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করতে হয়।

৫. সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট এবং আপিলেট ডিভিশনের মামলার নথি এবং রায় ইংরেজিতে প্রদান করা হয়।

৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আমেরিকা বরাবরই বর উদার দেশ।
কপাল খারাপ কোন কালেই ডিভি লটারিতে আমার নাম উঠেনি।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আমেরিকার ভাগ্য এমন ভাল যে আমেরিকার প্রতিষ্ঠার সময় এক সাথে একই মাপের অনেকগুলি ভাল মানুষ একত্রিত হয়েছিল।

শুধু যে তারা ভাল মানুষ ছিলেন তা না, নীতিমান, জ্ঞানী, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতা, রাষ্ট্রনায়ক, ইত্যাদি বহুগুণে গুণান্বিত ছিলেন।

নৈতিক শিক্ষা থেকে তারা উদারতা, মমতা, ভালোবাসা, সততা ইত্যাদি গুণগুলি আহরণ করেছিলেন। তারা বিশ্বাস করতেন সব মানুষ সমান অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।

ডিবি লটারি নিয়ে বহু বাংলাদেশী আমেরিকাতে এসেছে। তারা ধর্মীয় এবং সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে আমেরিকার মূল স্রোত ধারা সাথে মিশে না। ফলে সুদীর্ঘকাল এখানে বসবাস করেও আমেরিকার খারাপ জিনিসগুলি ছাড়া কোন ভাল কিছু শিখে না।

১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

পড়া এবং জানার জন্য ধন্যবাদ।

১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

রানার ব্লগ বলেছেন: কারন তারা বহু জাতি ও বহু ভাষার সমন্বিত দেশ ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৬

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ইংরেজি কেন আমেরিকার সরকারী ভাষা নয়?

আপনি কারণ দেখিয়েছেন ---

কারণ তারা বহু জাতি ও বহু ভাষার সমন্বিত দেশ।

ধরুন আমেরিকা এক জাতি এবং এক ভাষার দেশ।

এই বার প্রশ্ন করা হল, ইংরেজি কেন আমেরিকার সরকারী ভাষা নয়?

তখন কেউ ঠিক উল্টো কারণ দেখাতে পারে --

কারণ তারা এক জাতি ও এক ভাষার সমন্বিত দেশ।

এখন দেখা যাক বিশ্বের বহু জাতি ও বহু ভাষার সমন্বিত দেশগুলি কি করেছে?

১. ইন্ডিয়া:

ইন্ডিয়ার সংবিধানের ৩৪৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে হিন্দি ইন্ডিয়ার সরকারি ভাষা।

343. Official language of the Union.—(1) The official language of the
Union shall be Hindi in Devanagari script.


২. পাকিস্তান:

পাকিস্তান সংবিধানের ২৫১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে পাকিস্তানের সরকারি ভাষা উর্দু।

251. (1) The National language of Pakistan is Urdu,

৩. বাংলাদেশ:

বাংলাদেশ সংবিধানের ৩ ধারায় বলা হয়েছে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা৷

3. The state language of the Republic is Bangla.


এখন আপনার কাছে প্রশ্ন, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান বা বাংলাদেশ কি বহু জাতি ও বহু ভাষার সমন্বিত দেশ নয়?

যদি উত্তর হা সূচক হয়, তাহলে প্রশ্ন এই দেশগুলি বহু জাতি ও বহু ভাষার সমন্বিত দেশ হয়েও শুধু মাত্র হিন্দি, উর্দু বা বাংলাকে কেন সরকারি ভাষা হিসাবে গ্রহণ করল?

আমেরিকার সাথে এই দেশগুলির মৌলিক পার্থক্য কোথায়?

১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


বিষয়টি ভাল লাগায় আপনাকে ধন্যবাদ।

১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৩

চিত্রা নদীর পাড়ে বলেছেন: পুরাটা পড়ে,অনেক কিছু জানলাম, ছবি গুলাও লেখার সাথে আরো সুন্দর করছে। ভালো পোস্ট!!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.