নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবচেতন মনের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য প্রয়োজন নীরব মুহূর্ত।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৫



নীরবতা আমাদের অতি-চেতনার সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয়। আমাদের প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে নীরবতার জন্য কিছু সময় বের করে নেওয়া উচিত।

নীরবতা আমাদের অবচেতন মনের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে এবং চিন্তাভাবনার স্পষ্টতা অর্জন করতে সাহায্য করে।

অবচেতন মনের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য প্রতিদিন কিছুটা সময় নীরবতায় কাটানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিস্তারিত ব্যাখ্যা:

১. অতি-চেতনা হল আমাদের মনের সেই অংশ যা সচেতন মনের চেয়ে গভীর। এটি আমাদের অনুভূতি, স্মৃতি এবং অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার।

২. নীরবতা আমাদের মনকে শান্ত করতে এবং অতি-চেতনার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। যখন আমরা নীরব থাকি, তখন আমাদের মন ভাবনাচিন্তা থেকে মুক্ত হয় এবং আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ কণ্ঠস্বরকে শুনতে পারি।

৩. অবচেতন মন হল আমাদের মনের সেই অংশ যা সচেতন মনের কাছে অজানা। এটি আমাদের আবেগ, ইচ্ছা এবং বিশ্বাসকে নিয়ন্ত্রণ করে।

৪. নীরবতার মাধ্যমে আমরা আমাদের অবচেতন মনের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারি এবং আমাদের আবেগ, ইচ্ছা এবং বিশ্বাস সম্পর্কে আরও জানতে পারি।

৫. মনের স্পষ্টতা অর্জনের জন্য নীরবতা গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা নীরব থাকি, তখন আমরা আমাদের চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিগুলিকে আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি।

নীরবতার উপকারিতা:

(ক) মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে
(খ) মনোযোগ এবং একাগ্রতা বৃদ্ধি করে
(গ) সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে
(ঘ) আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধি করে
(ঙ) মানসিক সুস্থতা উন্নত করে।

কিভাবে নীরবতার অভ্যাস শুরু করবেন:

(অ) প্রতিদিন ১০ মিনিট নীরবতার জন্য বরাদ্দ করুন।
(আ) একটি শান্ত জায়গা বের করুন যেখানে আপনাকে কেউ বিরক্ত করবে না।
(ই) চোখ বন্ধ করে আপনার শ্বাসপ্রশ্বাসের উপর মনোযোগ দিন।
(ঈ) আপনার মনে যেকোনো চিন্তা আসুক না কেন, তাকে বিচার না করে ছেড়ে দিন।
(উ) ধীরে ধীরে আপনি নীরবতায় আরও বেশি সময় কাটাতে পারবেন।

শেষ কথা:

নীরবতা আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আমাদের অতি-চেতনার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে, আমাদের অবচেতন মন সম্পর্কে জানতে এবং স্পষ্টতা অর্জন করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিছুটা সময় নীরবতায় কাটানো আমাদের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: অবচেতন মনের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য প্রয়োজন নীরব মুহূর্ত।
পোষ্টের শিরোনাম ভালো লেগেছে। ভেতরের লেখা ভালো কিছু নেই। কিছু মনে করবেন না। আপনি নিজে লিখেছেন নাকি কোণ টুলস দিয়ে লিখেছেন। বেশ নির্জীব লেখা। অবচেতন মন, এর সাথে সংযোগ স্থাপন-- এসব বিষয়ে লেখায় একটু পার্সোনাল টাচ চাই

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
না, মনে করার কিছু নাই।
লেখা ভাল লাগে নাই, এটা বলতে যে আপনি দ্বিধা করেন নাই সেটা বরং ভাল লেগেছে।

এই লেখাগুলি অনেকটা নির্দেশনামূলক।
তাই যে এই নির্দেশনাগুলি চর্চা করতে চাইবে সে এইরকম আবেগহীন লেখা পড়ে উপকৃত হবে।
আর যে শুধু জানার জন্য বা আনন্দ পাওয়ার জন্য পড়বে তার জন্য বেশ কষ্ট হবে।

আমার লেখার লক্ষ্য হচ্ছে পাঠক জানার পাশাপাশি যেন অনুশীলন বা চর্চা করতে পারে। এখানে অনুশীলনটা আমার মুখ্য উদ্দেশ্য।

কারণ পৃথিবীতে যত নীতি কথা, অথবা যত ভাল ভাল কথা আছে তা বাংলাদেশের সব মানুষ জানে বলে আমার বিশ্বাস।
মানুষের সাথে কথা বলে আমার এই ধারণা হয়েছে।
কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানা সত্ত্বেও পালন বা চর্চা করে না।

অনেকেই সরাসরি বলেন যে লেখা বা বলা সহজ কিন্তু পালন করা কঠিন।

আমার লেখার ধরণটা এই কারণে এই রকম যে মানুষ যেন সহজেই জানতে পারে যে এই ভাল কাজগুলি কি ভাবে নিজে চর্চা করতে পারে।

শেষ প্রশ্ন, আমি নিজে লিখেছি কি না।
উত্তর, হা, নিজেই লিখেছি।

শেষ কথা, এই লেখাকে সাহিত্য হিসাবে বিচার না করে ইন্সট্রাকশন ম্যানুয়াল হিসাবে বিবেচনা করুন।

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১২

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি বড় বড়, ভালো ভালো শিরোনাম দেন, তারপর কিসব ম্যাঁওপ্যাঁও লিখে ভরায়ে রাখেন।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
দুঃখিত, লেখা ভাল না লাগার জন্য।
তবে ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।

আমি তো আমার সাধ্যের বাইরে লিখতে পারবো না।
আমার যতটুকু সক্ষমতা ততটুকুই তো লিখতে পারবো।

তবে সব লেখা সবার জন্য উপযোগী না।

বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ:
যাদের এই লেখা পছন্দ না তার এই সব লেখা পড়ে সময় নষ্ট করবেন না।
আমিও অনেকের লেখা পড়ি না।

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৩১

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: নীরবতা চিন্তার জন্য খুবই সহায়ক। আমি আমার লেখা সব গুলো উপন্যাসই লিখেছি গভীর রাতে, রাত ১-২ টার পর হতে ভোর পর্যন্ত।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:১৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
নীরবতা যে শুধু আপনার উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে মনোযোগ বৃদ্ধি করবে তা না।
নীরবতা আপনার অবচেতন মনের সাথে যোগাযোগ করবে।
আমাদের কাজের ৯০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের অবচেতন মন।
অথচ আমরা আমাদের অবচেতন মনের কোন খবর জানি না।

কেন একজন একটা বিশেষ রং পছন্দ করে, অথচ আরেক জন একই রং অপছন্দ করে?
কেন একজন একটা লেখা পছন্দ করে, কেনই তা আরেক জন তা অপছন্দ করে?

অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।
কারণ সে তার অবচেতন মনের খবর জানে না।
এই অবচেতন মন তাকে একটা বিশেষ রং বা একটা লেখা পছন্দ করতে প্রভাবিত করে।
অবচেতন মনের গভীরে প্রবেশ করলে এই কারণগুলি দেখতে পাবেন।
আর এই অবচেতন মনের গভীরে প্রবেশ করতে হলে নীরবতার প্রয়োজন হয়।

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: ভালো কিছু করার জন্য সচেতন মন চাই।যে মন যুক্তি সহকারে চিন্তা করতে পারে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:২২

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
সচেতন মন চাইলে আগে অবচেতন মনের খোঁজ নিতে হবে।
আমাদের সচেতন কাজের ৯০ ভাগেরও বেশি অবচেতন মন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

তাই আমরা যদি আমাদের অবচেতন মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তাহলে সচেতন ভাবে ভাল কাজ করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব না।

কেউ যদি নীরবে তার অবচেতন মনকে পর্যবেক্ষণ করে তাহলে সে সেখানে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি দেখতে পাবে। তখন সচেতন মনে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করে ভাল কাজ করা যাবে।

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫২

এম ডি মুসা বলেছেন: উপকারী পোস্ট

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
জানিয়ে গেলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.