নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষকে নিপীড়ন না করে একটি সহানুভূতিশীল দেশ গড়ে তোলার জন্য নম্রতা অনুশীলন করা উচিত।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:০৮


মানুষকে নিপীড়ন না করে একটি সহানুভূতিশীল দেশ গড়ে তোলার জন্য নম্রতা অনুশীলন করা উচিত।

নম্রতা, শিষ্টাচার, ভদ্রতা এবং বিনয় অনুশীলন করে কি ভাবে একটি সহানুভূতিশীল দেশ গড়ে তোলা সম্ভব?

নম্রতা মানে নিজেকে অন্যদের সমান মনে করা। নম্রতা মানে অহংকার ত্যাগ করা এবং অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। নম্রতা অনুশীলন করলে আমরা অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে পারি, তাদের অনুভূতি, সুখ, দুঃখবোধ ইত্যাদি বুঝতে পারি এবং তাদের প্রতি সহায়ক বা উপকারী হতে পারি।

নম্রতার সাথে সহানুভূতির সম্পর্ক:

অহংকার দূর করে:
নম্রতা আমাদের অহংকার দূর করতে সাহায্য করে। যখন আমরা অহংকারী হই তখন আমরা নিজেদের অন্যদের চেয়ে বড় মনে করি এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হই না। নম্রতার অভাবে আমরা অন্যের অনুভূতি, সুখ, দুঃখবোধ ইত্যাদি বুঝতে পারি না বা বুঝতে চাই না বা উপলব্ধি করি না।

অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সাহায্য করে:
নম্রতা আমাদের অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সাহায্য করে। যখন আমরা নম্র হই, তখন আমরা অন্যদের কথা মন দিয়ে শুনি এবং তাদের অনুভূতি বুঝতে চেষ্টা করি।

সহায়ক হতে অনুপ্রাণিত করে:
নম্রতা আমাদের অন্যদের সাহায্য করতে অনুপ্রাণিত করে। যখন আমরা নম্র হই, তখন আমরা নিজেদের চেয়ে অন্যদের চাহিদাকে বেশি গুরুত্ব দিই।

নম্রতা অনুশীলন করে সহানুভূতিশীল দেশ গড়ে তোলার উপায়:

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নম্রতার শিক্ষা:
শিক্ষা ব্যবস্থায় নম্রতার শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করলে শিশুরা ছোটবেলা থেকেই নম্র হতে শিখবে।

পরিবারে নম্রতার শিক্ষা:
পরিবারে নম্রতার শিক্ষা চালু করলে সন্তান ছোটবেলা থেকেই নম্র হতে শিখবে।

সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি:
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষকে নম্রতার গুরুত্ব সম্পর্কে জানাতে হবে।

নম্র ব্যক্তিদের সম্মান:
নম্র ব্যক্তিদের সম্মান করা এবং তাদের অনুকরণ করার জন্য উৎসাহিত করা উচিত।

শেষ কথা:

প্রতিটা মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে নম্রতা, শিষ্টাচার, ভদ্রতা এবং বিনয় অনুশীলন করা একটি সহানুভূতিশীল দেশ গড়ে তোলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নম্রতা আমাদের অহংকার দূর করতে, অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে এবং তাদের সাহায্য করতে অনুপ্রাণিত করে। নম্রতা অনুশীলন করে আমরা একটি সুন্দর ও সহানুভূতিশীল, মানবিক এবং দরদী সমাজ গড়ে তুলতে পারি।

মানুষ যদি নম্রতা অনুশীলন না করে তাহলে সমাজে এবং দেশে নিপীড়ন, অত্যাচার, অন্যায়, বে-ইনসাফী বেড়ে যাবে। অল্পসংখ্যক ক্ষমতাশালী এবং বিত্তশালী মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫

সামরিন হক বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


মন্তব্য এবং পোস্ট ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ।

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এগুলো কেমনে অনুশীলন করবে? এত এত ইমানদার দেশে থাকা সত্ত্বেও তো চুরি-চামারি-বাটপারি বন্ধ হয় না।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যা লিখছেনে গুলো পারিবারিক শিক্ষা যা বাবা মা শিশু বয়স থেকেই তার সন্তানদের দিয়ে থাকেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.