নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ স্বাভাবিকভাবেই তাদের ভালোবাসে যারা তার সাথে সদয় আচরণ করে এবং যারা নিষ্ঠুর তাদের ঘৃণা করে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১০


মানুষ স্বাভাবিকভাবেই তাদের ভালোবাসে যারা তার সাথে সদয় আচরণ করে এবং যারা নিষ্ঠুর তাদের ঘৃণা করে।

যারা সদয় আচরণ করে তাদেরকে কেন মানুষ ভালোবাসে এবং যারা নিষ্ঠুর তাদের ঘৃণা করে?

মানুষের মনে সহজাতভাবেই ভালোবাসা ও ঘৃণার অনুভূতি থাকে। এই অনুভূতিগুলো শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয় না, বরং এই ধরণের অনুভূতির পিছনের কারণগুলি অনেক গভীরে অবস্থিত। এই কারণগুলি এত গভীরে অবস্থিত যে এইগুলি মানুষের বেঁচে থাকার এবং বংশ টিকিয়ে রাখার প্রবৃত্তির সাথে সম্পর্কিত।

(ক) সদয় আচরণের প্রভাব:

১. নিরাপত্তা এবং সহায়তা:
যখন কেউ সদয় আচরণ করে, তখন একজন মানুষ নিরাপদ বোধ করে এবং সদয় আচরণকারী ব্যক্তিটিকে তার সাহায্যকারী মনে করে। এর ফলে মানুষ শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ অনুভব করে। এই সময় মানুষের শরীরে ক্ষতিকর হরমোনগুলোর নিঃসরণ কমে যায় এবং ভাল হরমোনগুলোর নিঃসরণ বেড়ে যায়। এতে মানুষ দীর্ঘ ও সুখী জীবনযাপন করতে পারে।

২. সহযোগিতা ও বিশ্বাস:
সদয় আচরণ মানুষের মধ্যে সহযোগিতা ও বিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করে। এর ফলে একজন মানুষ অপর মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। এতে পরিবার, সমাজ এবং দেশকে বেশ আপন মনে হয়। প্রতিটা মানুষ সমাজে তার নিজের অবস্থান অনুভব করতে পারে। এইরকম সদয় পরিবেশে মানুষ তার পরিবার, সমাজ এবং দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

৩. আনন্দ ও সুখ:
সদয় আচরণ মানুষের মনে আনন্দ ও সুখের অনুভূতি তৈরি করে। এর ফলে মানুষ ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করতে পারে এবং জীবনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে।

(খ) নিষ্ঠুর আচরণের প্রভাব:

১. ভয় ও হুমকি:
যখন একজন মানুষের সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়, তখন সে ভয় ও হুমকির মুখোমুখি হয়। এর ফলে মানুষ শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরে। এইরকম পরিস্থিতিতে মানুষ দীর্ঘ ও সুখী জীবনযাপন করতে পারে না। ভয় এবং হুমকির কারণে শরীরে ক্ষতিকর হরমোন নিঃসরণ হয় ফলে অনেক ধরণের জটিল শারীরিক এবং মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়।

২. অসহযোগিতা ও অবিশ্বাস:
নিষ্ঠুর আচরণ মানুষের মধ্যে অসহযোগিতা ও অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করে। এর ফলে একজন মানুষ অপর মানুষের সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে না এবং মানুষটি পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রে নিজেকে অবাঞ্ছিত মনে করে। এতে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের কাঠামো দুর্বল হয়ে যায়।

৩. দুঃখ ও কষ্ট:
নিষ্ঠুর আচরণ মানুষের মনে দুঃখ ও কষ্টের অনুভূতি তৈরি করে। এর ফলে মানুষ সবসময় নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করে। মানুষ জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

এটা শুধু ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, এটা পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রে ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যেসব রাষ্ট্রে মানুষের সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয় সেইসব দেশের নাগরিকরা অসৎ, দুর্নীতি পরায়ণ এবং হিংসাত্মক হয়ে উঠে। তাদের মধ্যে সৃজনশীলতা হ্রাস বা নষ্ট হয়ে যায়। তারা ধীরে ধীরে অন্য রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর্তৃত্বের অধীনে চলে যায়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.