নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের শিক্ষার মান কী এতটাই খারাপ!

২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২১


সম্প্রতি Times Higher Education--200 Asian University Ranking প্রকাশ করেছে। সেখানে শুধু আমাদের সবেধন নীলমণি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শেষের দিক থেকে প্রথমে রয়েছে।

আমাদের মহাপ্রতাপশালী বুয়েটের কোন নাম নিশানা নেই। অন্যগুলো তো...।

অথচ আমাদের পাশের দেশ ভারতের ১৬ টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিয়েছে এবং অনেকগুলোই প্রথম দিকে। পাকিদেরও তিনটি আছে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হল পাশের রাজ্য পশ্চিমবংগ যাদের সাথে প্রায়শই আমরা বিভিন্ন কিছুতে তুলনা করি, তাদেরও দু-দুটি ইউনি জায়গা করে নিয়েছে--যাদবপুর ও কলকাতা---এবং তারা প্রথম দিকেই আছে।

এটা আমাদের শিক্ষা পণ্ডিতদের তথা গোটা দেশের 'জাতীয় লজ্জা দিবস' হিসেবে ঘোষণা দেওয়া উচিত।

শিক্ষার এই বেহাল দশা যে অামাদের জাতীয় জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে অশনি সংকেত হিসেবে দেখা দিয়েছে--তা অনুধাবন করার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হবে না। শিক্ষার সাথে জাতীয় জীবনের প্রতিটা শাখার ওতপ্রত সম্পর্ক রয়েছে। এই অধপতনের দরুন বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় পাশধারীরা জানে না শিক্ষার আসল উদ্দেশ্যটা কী?

কবে আমাদের নীতিনির্ধারকদের বোধোদয় হবে যে শিক্ষার মানোন্নয়ন ছাড়া শত বুলি কপচালেও দেশ সমৃদ্ধির পথে নেওয়া সম্ভব নয়।

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কি ইনডেক্স দিয়ে র‌্যাংকিং করা হয়েছে তার উপরে নির্ভর করে। বুয়েট চুয়েট ইত্যাদি ঠিক স্বয়ংসম্পূর্ন বিশ্ববিদ্যালয় নয়। সেগুলো না আসাটাই স্বাভাবিক।

২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: ভারতের আইআইটি ও বুয়েট প্রায় একই ধরণের ইউনি। ওগুলো থাকলে বুয়েট, চুয়েট থাকবে না কেন? ইনডেক্স হচ্ছে Teaching, International Outlook, Research, Citation, Industrial Income প্রভৃভি।

২| ২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন:
exam hall এ নকল, democracy নামে রগ কাটাকাটি, কোপাকুপি। শুধু result depend করে teacher নিয়োগ (political support also added with it), research এর নামে ফাজলামো, (output zero). .............................ইত্যাদি।

২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

আখেনাটেন বলেছেন: হম...ভালো বলেছেন। এগুলোতো সেই প্রকৃত শিক্ষার অভাব। সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের জাতির মেরুদণ্ড যে ভেংগে দেওয়ার উপক্রম করেছে তা এখনও আমরা টের পাচ্ছি না।

এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন অদ্ভুত ও নিম্নশ্রেণির তার কিছু নমুনা। কয়েকদিন আগে কয়েকজনের পরিচয় পেলাম যারা বুয়েট অার্কিটেকচার, ঢাকা মেডিকেল ইত্যাদি হাইলি টেকনিক্যাল বিষয়ে পড়ে বিসিএস কর কমিশনার হয়েছে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে উনারা অবশ্যই মেধাবী কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু ঐ সকল বিষয়ে পাঁচ বছর পড়াশুনা করে কি শিখেছিল প্রশ্ন থেকেই যায়।

অবশ্য এর মাঝেও কেউ কেউ ভালো করছে তা যতটা না প্রাতিষ্ঠানিক তার চেয়ে ব্যক্তি শ্রম।

৩| ২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

বাংলার জামিনদার বলেছেন: বর্তমান বাজারে যেসব মেধাবী চাকরিজিবী, ব্যাবসায়ী, নেতা, শিক্ষক এদের দেখলেই বোঝা যায়, বিগত বছরগুলোতে সব ভার্সিটি থেকে চোর ছাড়া আর কিছু বের হয়নাই।

২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: অাসলে ঢালাওভাবে সকলকে তা বলা যাবে না--কিছু ভালো লোকও অাছে তাদের মধ্যে। তাছাড়া তো গোটা সিস্টেমটাই ধ্বসে যেত। তবে এটা অবশ্যই ঠিক বাজারমুখী শিক্ষাব্যবস্থা কিছু মানুষকে মানুষরুপী পশুতে পরিণত করেছে। যার জন্য এক কিমি চার লেনের রাস্তা তৈরি করতে অন্য দেশের যেখানে ১০ থেকে ২০ কোটি লাগে, অামরা তা ১০০ থেকে ১৫০ কোটিতে নিয়ে যাই।

নীতি-নৈতিকতা পদ্মার জলে বিসর্জন দিয়েছি।

৪| ২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

র‍্যাশ বলেছেন: শীর্ষ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সমস্যা যে নেই তা অস্বীকার করবো না তবে এই সব র‍্যাংকিংকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়ার কারণ নেই। তাছাড়া র‍্যাংকিং সব সময় সঠিক তথ্য তুলে ধরে না।রাষ্ট্রে কোথাও যেখানে সুশাসন নেই, বিশ্ববিদ্যালয় আর কি করে এর বাইরে থাকবে? শত সমস্যার মধ্য দিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়েও অনেকে ভাল করছে।

২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: 'র‍্যাংকিংকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়ার কারণ নেই'---অাপনার কথায় একমত হতে পারলাম না। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে ভুঁইফোড় কিছু র‍্যাংকিংকে (যেমন ওয়েবোম্যাট্রিক্স) পাত্তা না দিলেও চলে। কিন্তু কিউএস, টাইম, হুরুন ইত্যাদি র‍্যাংকিংকে পাত্তা দিতে হবে বৈকি!

কারণ ঐ সকল র‍্যাংকিং একটি দেশের সার্বিক উচ্চশিক্ষার চিত্র তুলে ধরে। আপনি দেশের বাইরে পড়তে বা চাকরী করতে গেলে কিংবা অন্য দেশের ছাত্র আমাদের দেশে পড়াশুনা করতে চাইলে এই ব্যবস্থা খুবই জরুরী।

'শত সমস্যার মধ্য দিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়েও অনেকে ভাল করছে'--এটার ক্ষেত্রে আমি আগের মন্তব্যের উত্তরে বলেছি। অবশ্য এর মাঝেও কেউ কেউ ভালো করছে তা যতটা না প্রাতিষ্ঠানিক তার চেয়ে ব্যক্তি শ্রম।

৫| ২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনকাম আর সাইটেশনে আমরা পিছিয়ে আছি। মৌলিক কাজ কম হয়। সরকারি সাহায্য পাওয়া যায় না কোন ছাত্রের প্রজেক্টে। ছাত্র দূর, আমরা শিক্ষকেরাই গবেষণা করতে গেলে শত প্রতিবন্ধকতা চেহারা দেখায়। কি করার আছে?

২১ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

আখেনাটেন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনকামের জন্য যে ধরণের উদ্যেগ দরকার সেটাই তো আজকের শিক্ষা পণ্ডিতদের নেই। আর সাইটেশন হবে কোথা থেকে---এই শব্দটির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকেরই জানাশোনা নেই।

'মৌলিক কাজ কম হয়'--হবে কোথা থেকে, মৌলিক কাজ করার মত কয়টা যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। অনেকে তো প্রাইমারী লেভেলের শিক্ষক হওয়ারও যোগ্য নয়--তারাও আজ আলোর ঝাণ্ডাধারী।

'সরকারি সাহায্য পাওয়া যায় না কোন ছাত্রের প্রজেক্টে'-- এটা ঠিক যে বাংলাদেশের সরকারের গবেষণাতে কোন নজর নেই। তথাকথিত সর্ব বিষের ওঝা অামলারাও চায় না গবেষণায় বরাদ্দ বাড়িয়ে শিক্ষকদের অতিরিক্ত হালুয়া-রুটির ব্যবস্থা করতে। তারা ধরেই নিয়েছে যে বরাদ্দকৃত টাকা সঠিকভাবে ব্যয় হবে না। কারণ ছাগল দিয়ে হাল চাষ হয় না--ব্যয় করা বা গবেষণা করার মত শিক্ষকই নিয়োগ দেওয়া হয় নি।

আর এই অামলারাও হাড়ে...। তারা নিজেরাও যে অকর্মার ঢিকি তা তাদেরকে জানাবে কে? তাদের গোবর মস্তিস্কের একটা নমুনা--বাংলাদেশের উন্নয়ন বাজেটের ৫০% ও ব্যয় করতে না পারা। মানে কতটা অকর্মা হলে টাকা থেকেও প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের নলেজের অভাবে ব্যয় করা সম্ভব হয় না।

দুর্নীতি আমাদের পঙ্গু করার অপেক্ষায় অাছে।

৬| ২১ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

র‍্যাশ বলেছেন: "অবশ্য এর মাঝেও কেউ কেউ ভালো করছে তা যতটা না প্রাতিষ্ঠানিক তার চেয়ে ব্যক্তি শ্রম"- যে মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইলেন সেই মান দন্ড গুলো কি ? নিজে ভাল করলে সব কৃতিত্ব আমার আর খারাপ করলে সব দায় প্রতিষ্ঠানের এই জাতীয় ভাবনা হচ্ছে টিপিক্যাল বাঙ্গালী সংকীর্ণতা। উন্নত দেশের হায়ার র‍্যাংকড ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা অন্তত এই জাতীয় ভাবনা ভাবে না। দেশে গণতন্ত্র , সুশাসনের সংকটই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুরবস্তার কারণ।

২১ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

আখেনাটেন বলেছেন: মান দন্ডের কিছুটা জানতে পারবেন আমার আগের মন্তব্যে। যে আপনাকে শিক্ষা দিবে তাঁর ভাবনাই যদি পরিস্কার না থাকে তাহলে তাঁর কাছ থেকে ছাত্ররা কি আশা করতে পারে।

'নিজে ভাল করলে সব কৃতিত্ব আমার আর খারাপ করলে সব দায় প্রতিষ্ঠানের এই জাতীয় ভাবনা হচ্ছে টিপিক্যাল বাঙ্গালী সংকীর্ণতা'--আপনি মনে হয় উপরের লাইনটা ভালভাবে বুঝতে পারেন নি কিংবা আমিই বুঝাতে পারি নি। ওখানে আমি বলেছি--'যতটা না প্রাতিষ্ঠানিক'...মানে আমি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে একেবারে ফেলে দেই নি। শুধু বলেছি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ব্যক্তি উদ্যেগর কথা। আর এটা যে কতটা বাস্তব তা সকলেই জানে। আপনারও না জানার কথা নয়। অস্বীকার করলেই সব শুদ্ধ হয়ে যায় না।



৭| ২১ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

সুমন কর বলেছেন: হতাশ হবার মতো খবর। প্রথম দেখে আমারও খারাপ লেগেছিল।

২১ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: এই হতাশাটা যদি কর্তাব্যক্তিদর হত। আমরা উন্নয়নের সিঁড়ি দিয়ে উঠতেছি কি নামতেছি বলা মুশকিল।

৮| ২১ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই কেউ আসল কথা বলে না।

কথা হইলো সরকার মাঝে মাঝে হাবিজাবি প্রজেক্টে লক্ষ কোটি টাকার ব্যায় করে যেগুলা থেকে কোনো লাভ নাই। যেমন জাতীয় সঙ্গিতে ৯০ কোটি, তার অর্থমন্ত্রীর স্বপ্নদোষের বিল্ডিং এ হাজার কোটি অথবা প্রধান মন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বা লীগের মিথ্যা সাফল্যগাথার বিজ্ঞাপনে লক্ষ লক্ষ টাকা অথচ আমাদের বুয়েট, চুয়েট কোথাও একটা লিথোগ্রাফ বা এসওপির ল্যাব বসাইতে পারে নাই, ম্যাকানিকাল ম্যাকাট্রনিক্স বা এরোনটিক্সের জন্য ভালো বা খনিবিদ্যার জন্য ম্যাকানিকাল ড্রিল মেশিন বা ক্লাউড কম্পিউটিং বা সুপার কম্পিউটারের জন্য নিজস্ব একটা মেইন ফ্রেম সেটা করতে থাকে না। যদিও এসব ল্যাব বানাতে ১-২ কোটি দিলে হয়তো বুয়েট স হ বাকি চুয়েট কুয়েট রুয়েটের ল্যাব ও হয়ে যায়। অবকাঠামো তো এদের আছেই, শুধু ল্যাব গুলো করে দিক না!

তার ওপর এই যে এতো মেধাবী ছেলে বিএসসি কাজ করছে কিন্তু সরকার সামান্য টেকনিক্যাল জিনিস বানানোর জন্য বিদেশী ভুয়া কন্ট্রাক্টরদের ওপর নির্ভরশীল অথচ এসব টাকা যদি এসব বিএসসি মাস্টার্সের পোলাপান দেয়া হতো তাহলে তারা যা বানাতো, হয়তো প্রথম পর্যায়ে কিছু বাগ থাকতো, কিন্তু যখন ফ্রিতে এর ডেভেলপার থেকে শুরু করে মেইনটেনেন্স বাংলার মেধাবী পোলাপান করতো সেটা কেউ দেখে না।

এগুলো নিয়ে কথা বলেন। সেলফী মন্ত্রী বলেন ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান, এই ২০ লাখ লোক পাইলো কই? এই যে হাইটেক পার্ক করতেছে এখানে কয়টা বিনিয়োগ হইছে? আবার আপনে যদি নিজের টাকা দিয়া এসব ইউনিতে ল্যাব বসাইতে দিতে যান তখন আপনেরে হাইকোর্ট দেখায় দেবে।

বুয়েটের বেশ কিছু উন্নতি হয়েছে বেশ কিছু গবেষনায়। এই যে বুয়েট বা ঢাকা ইউনির যত টেকনিক্যাল গবেষনা জানেন এগুলাতে কে অর্থ বিনিয়োগ করেছে? বিশ্বব্যাংক, বাংলাদেশ সরকার না।

এখন আপনি বলেন কেমনে এগুলা র‌্যাংকিং এ উঠবে? সেই ক্ষেত্রে প্রাইভেট গুলার তো সেই বাধা নাই, তারা কি করতেছে?

২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:০২

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার বক্তব্যে সম্পূর্ণ একমত। এই জিনিসটা নিয়ে আমিও ভেবে কোনো কূল-কিনারা পাই না। যেখানে সামান্য কিছু টাকা বরাদ্দ দিলে (অন্য ভাবেও তা দেওয়া যায় কোনো প্রজেক্টের মাধ্যমে কিংবা বৃত্তির মাধ্যমে--সঠিক ও যোগ্য লোককে) একটি মৌলিক গবেষণা পরিচালনা যায়। সেখানে গবেষণা খাতে ঢাকা ইউনিতে বরাদ্দ মাত্র দুই কোটি টাকা। অন্যগুলোতে তো আপ্যায়ন বিলের টাকা গবেষণার চাইতে বেশি।

এভাবে একটা জাতি খুড়িয়ে খুড়িয়ে কতদূর যেতে পারে। দক্ষিন কোরিয়া বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ একটা দেশ, অথচ টপ পর্যায়ের ইউনি ও গবেষণার দ্বারা তারা আজ গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই কিছুদিন আগেও যে দেশটা বিশ্বকাপ ফুটবলের স্টেডিয়াম বানানোর টাকা যোগাড় করতে না পেরে জাপানের সহায়তা নিয়েছিল। কত দ্রুত বদলে গেছে। কত দ্রুত বদলে যাচ্ছে পৃথিবী। আমরা এখনও ঘুমিয়ে আছি।

৯| ২১ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

র‍্যাশ বলেছেন: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা আছে, গবেষনায় বরাদ্দ কম এই তথ্য আমি জানি । এও বুঝলাম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে একেবারে ফেলে দেন নি , সামান্য একটু রাখছেন কিন্ত কৃতিত্বের প্রায় পুরোটাই যে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার ফল তার পিছনে যুক্তিটা কি? এটা কি নেগেটিভিটি বেইজড লজিক মানে আওয়ামী লীগ খারাপ তাই বিএনপি কে ভোট দেওয়া ভাল এই টাইপের যুক্তি নাকি অন্য কিছু আছে? "সবাই জানে" কথাটা হাইপোথিটিক্যাল । যতক্ষণ যুক্তি দিয়ে প্রমাণিত হয়নি ততক্ষণ ঐ কথার কোন মুল্য নেই।

অভিজ্ঞতা থেকেই জানি বিদেশী ছাত্ররা নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগকে অতটা গ্লোরিফাই করে না যতটা না বাঙ্গালীরা করে । এটা আমাদের কালচারের সমস্যা।

২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

আখেনাটেন বলেছেন: 'ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার ফল তার পিছনে যুক্তি'-- প্রথমত, দেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের সিলেবাস মান্ধাতার আমলের। এই সিলেবাস পাঠে ছাত্ররা প্রকৃত জ্ঞানের সন্ধান পায় না। ফলে যারা একটু স্মার্ট তারা স্ব-উদ্যেগে ইন্টারনেট, বই-পত্র ঘাটাঘাটি করে জ্ঞানের বাতিটা সচল রেখেছে।

দ্বিতীয়ত, দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকই পণ্ডিত-মূর্খ (সিস্টেমের দোষ--নিয়োগ-প্রক্রিয়া স্বচ্ছ না হলে এই হাহাকার আরও বাড়বে অদূর ভবিষ্যতে)। তাদের কাছ থেকে জ্ঞানের সর্বোচ্চ সুবিধা যোগান দেওয়া কিংবা আদায় করা মরুভূমিতে শস্যফলানোর মতই কঠিন। (কিছুদিন আগেও আমি নিজে সর্বোচ্চ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষকের ই-মেইল ওপেন করে দিয়েছি--বুঝুন এবার অবস্থাটা)

তৃতীয়ত, ভালো শিক্ষকদেরও উচ্চপর্যায়ের পাঠদানে অনীহা। এটা হওয়ার কারণ--অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক। আশা করি এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে হবে না। এর ফলে মধ্যম মানের ও যাদের আর্থিক অস্বচ্ছলতা রয়েছে সেই ছাত্ররা সঠিক জ্ঞান লাভে ব্যর্থ। আর যাদের ঐ গুলোর অভাব নেই তারা দ্বিতীয় কারণ ফলো করে।

"সবাই জানে" কথাটা হাইপোথিটিক্যাল-- বাংলাদেশের সবকিছুই এখন হাইপোথিটিক্যাল। বুঝে নিন।

'অভিজ্ঞতা থেকেই জানি বিদেশী ছাত্ররা নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগকে অতটা গ্লোরিফাই করে না যতটা না বাঙ্গালীরা করে । এটা আমাদের কালচারের সমস্যা।'--- সবকিছুতে বাংগালী, কালচার এটা খাটে না। এই সমস্যা সকল জাতির, সকল গোত্রের।
-'বিদেশী ছাত্ররা নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগকে অতটা গ্লোরিফাই করে না'- এটা আপনি সঠিক অভিজ্ঞতা লাভ করেন নি কিংবা বলার জন্য বলছেন। গ্লোরিফাই করা আর না করা দুইটা ভেগ ইম্প্রেশন দেয়। এটা ওদের সিস্টেমের মধ্য পড়ে না। তার পরও বড় ব্যতিক্রমগুলো তাদেরই সৃষ্টি।

আপনার কথা সত্য ধরলে বিল গেটস, স্টিভ জবস, বা হালের মার্ক জুকারবার্গের পয়দা হয় না

১০| ২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের শিক্ষার মান যাচ্ছে তাই খারাপ। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষরাও জ্ঞানের দিক থেকে একেবারে হ য ব র ল অবস্থায় আছেন। কিভাবে এ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পাবে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আজও যখন অনেকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে আত্মপ্রসাদ লাভ করে, আমার তখন ভীষণ হাসি পায়।

ধন্যবাদ আখেনাটেন।

২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

আখেনাটেন বলেছেন: হম--ভালো লিখেছেন। এই আত্নতুষ্টিই আমাদের অনেক সর্বোনাশের কারণ।

১১| ২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: ১৯৮২ সালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন তো ওখানে কোন লেখা পড়াই হয় না।

২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: এই পচা রাজনীতি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মটাকে (পড়ুন নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত প্রজন্ম যারা এই ইউনিগুলোর উপর...) কী উপহার দিতে যাচ্ছে তা ভাবতেও ভয় লাগে।

১২| ২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:০১

বিজন রয় বলেছেন: কবে আমাদের নীতিনির্ধারকদের বোধোদয় হবে

কোনদিন নয়।

২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩২

আখেনাটেন বলেছেন: আশার বীজ বুনি...। হয়ত একদিন আমরাও...।

১৩| ২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৫৬

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: হা হা, বঙদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা!" কয়েকদিন আগে দেখেন নাই "জিপিএ ৫ প্রাপ্তরা কেমন মেধাবী! আর এই ছাত্র/ছাত্রী গুলাই ত একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে! তখন কি তারা আদৌ পড়ালেখা করবে? -উত্তর না! তারা সবাই নোংরা রাজনীতি করবে, এরপর আবার বিশ্ববিদ্যালয় গুলার শিক্ষক ও হবে এরাই... এভাবেই চক্র আকারে পিছন থেকেই আসতেছে সব। আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা গোঁড়াতেই ভেঙে দিচ্ছি... পরে এখন আর আপসোস করে লাভ কি??

২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

আখেনাটেন বলেছেন: এ নিয়ে দেশ পরিচালনাকারীদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। এমনি এমনি আর গ্রীক বীর আলেকজান্ডার তাঁর সেনাপতি সেলুকাসকে বলেন নি 'কী বিচিত্র এ দেশ সেলুকাস!' এখানে সবকিছুই বিচিত্র।

১৪| ২২ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:১০

মাদিহা মৌ বলেছেন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে আর কিচ্ছু বলার নাই। বলবটা
কী?

২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: সবাই বুঝলেও তেনারা বোঝেন না বা বুঝেও না বুঝার ভান করে থাকেন। কারণ তেনাদের লুতুপুতুরা তো এদেশের ঐ সকল তাদেরই ভাষায় থার্ড ক্লাস, ব্যকডেটেট ইউনিতে পড়াশুনা করবে না।

১৫| ২২ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৩৩

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: সেহরীর সময় ডিসকোভারী চ্যানেল দেখছিলাম। বাইরের দেশের যে সিস্টেম সে তুলনায় আমাদের দেশের পড়াশোনা সম্পূর্ণই বাজে।

২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: সেটার বাস্তবে দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষার মানে আমরা অনেক অনেক পিছনে। এর মাঝেও যারা এখানে সফল তাদেরকে অনেক কিছুর বিরুদ্ধে লড়েই তবে সফলতা আনতে হয়েছে।

১৬| ২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃস্ট অতীব নীচুমানের জঘন্য নেতা আমলাদের দ্বারা বানানো শিক্ষাব্যাবস্হা হল বাং...

২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

আখেনাটেন বলেছেন: হায়ার সেকেন্ডারী পর্যন্ত বাংলাদেশের পড়াশুনার কারিকুলাম অন্য যে কোনো দেশের চাইতে খারাপ না--শুধু পরীক্ষা পদ্ধতি ছাড়া। এর পরেই যত গণ্ডগোল।

১৭| ২২ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

র‍্যাশ বলেছেন: প্রথম যুক্তিটা একটু গ্রহনযোগ্য বাকি গুলো নেগেটিভিটি বেইজড লজিক মানে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় বরাদ্দ কম , শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি আছে তাই ঐ প্রতিষ্ঠানে, ঐ শিক্ষকদের ত্বত্তাবধানে থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সাফল্যের কৃতিত্ব তার ব্যক্তিগত। এটা অনেকটাই বাঙ্গালী সুলভ সংকীর্ণতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হলে মেইল খোলা জানতে হবে এমন কি কোন কথা আছে নাকি ? অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার পরও মেইল খুলতে না পারাটা একটা ব্যর্থতা বটে কিন্ত এটা দিয়ে তার পেশাগত দক্ষতাকে প্রশ্ন বিদ্ধ করা অন্যায়। প্রযুক্তি বিষয়ে তার অনভিজ্ঞতা থাকতে পারে, কেউই জন্মের পর সবকিছু শেখে না। তিনি তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কতটা জানেন সেটাই তার যোগ্যতা বিচারের মান দন্ড হওয়া উচিত। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি , দলীয়করণ নেই তা বলবো না। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি শিক্ষক নিয়োগে ভাল রেজাল্টের পাশাপাশি কিছু মৌলিক রাজনৈতিক বিষয়ে তার আদর্শও বিবেচ্য হওয়া উচিত।

বিল গেটস হার্ভাড ইউনিভার্সিটি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিল। পরে তাকে সেখান থেকে ডেকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। বিল গেটস বাঙ্গালী কেউ হলে হয়তো এই ঘটনাকে পুঁজি করে সভা সেমিনার আর ইন্টারভিউতে নিজেকে গ্লোরিফাই করতো , পাশাপাশি হার্ভাডকেও খোঁচা দিতে ছাড়তো না। ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ করা এক জিনিশ , আর ক্রিয়েটিভিটি গ্লোরিফাই করা আরেক জিনিস। এই দুটোকে এক বানিয়ে আত্ন তুষ্টি খুঁজে লাভ নেই।

২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

আখেনাটেন বলেছেন: 'যাবতীয় সাফল্যের কৃতিত্ব তার ব্যক্তিগত'---আপনি মনে হয় শুধু পাল্টা মন্তব্য করার জন্যই মন্তব্য করে যাচ্ছেন কিংবা খেই হারিয়ে ফেলছেন যে আমি প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো কিছু, যদিও আমার বিবেচনায় সামান্য, লিখেছি। কিন্তু আপনি মন্তব্য ভালোভাবে না পড়ে এক্সট্রিম শব্দ 'সব', 'যাবতীয়' ব্যবহার করছেন। এটা কি ইচ্ছাকৃত নাকি অন্য কিছু।

'বাঙ্গালী সুলভ সংকীর্ণতা'-- সব বাঙ্গালীকে এক কাতারে ফেলে দিলেন। এটাও কী আপনারই কথা অনুসারে 'বাঙ্গালী সুলভ সংকীর্ণতা' নয়।

'বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হলে মেইল খোলা জানতে হবে এমন কি কোন কথা আছে নাকি ?'--- আজকের এই যুগে যেখানে সকালটা একরকম আবার বিকালটা প্রযুক্তির কল্যাণে অারেক রকম, সেখানে এইরকম ভাইটাল একটা প্রযুক্তি জ্ঞান (যে এইটা জানে না সে আরও অনেক কিছুই জানে না ধরে নেওয়া যায়) ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক...। এমনকি একটা অার্টিকেল লিখে তা ভালো মানের জার্নালে পাবলিশ করতে গেলেও ঐ জ্ঞানটা জরুরী। তারমানে তিনি ঐ সকল বালাই এর মধ্যে যান নি। এভাবেই তিনি একটা ইউনির শিক্ষক অথচ...থাক আর লিখলাম না। উনারাই আবার ছাত্রদের জ্ঞান বিতরণ করবেন। জ্ঞান কী এতটাই সস্তা! উনি তার পাঁচটা বছর কীভাবে পড়াশুনা চালিয়ে তা হয়েছিলেন তা জাতির জানা দরকার।

'ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি শিক্ষক নিয়োগে ভাল রেজাল্টের পাশাপাশি কিছু মৌলিক রাজনৈতিক বিষয়ে তার আদর্শও বিবেচ্য হওয়া উচিত'--- আপনি এখানে মৌলিক রাজনৈতিক অাদর্শ বলতে কী বুঝাতে চেয়েছেন তা পরিস্কার না। এটা যদি তথাকথিত আওয়ামী, জাতীয়তাবাদী বা জামাতী আদর্শ হ্য়, তাহলে বলতে হ্য় আমার এই পাল্টি মন্তব্য দেওয়াটায় বৃথা। যে সিস্টেম জাতির সমস্ত ভালোকে অন্ধকারে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তাকে সাপোর্ট করার মতো অবস্থায় এই লেখক নয়।
আর যদি বলেন তা পুঁজিবাদী বা সমাজতন্ত্রের সারবেত্তা--তাহলে বলব এই ধারণাও এখন ব্ড্ড সেকেলে। সেক্ষেত্রে জি জিন পিং ও পুতিন ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবে, অথবা আমাদের এখানে ইনু বা মেনন সাহেবরাও ভালো বলতে পারবেন।

'বিল গেটস বাঙ্গালী কেউ হলে হয়তো এই ঘটনাকে পুঁজি করে সভা সেমিনার আর ইন্টারভিউতে নিজেকে গ্লোরিফাই করতো , পাশাপাশি হার্ভাডকেও খোঁচা দিতে ছাড়তো না'--- আপনি আমার 'প্রাতিষ্ঠানিক ভার্সাস ব্যক্তিগত' বিষয়টা এখনও বুঝে উঠতে পারেন নি কিংবা বুঝতে চাচ্ছেন না। এখানে অামেরিকান ইউনির সাথে বাংলাদেশের ইউনির কীভাবে তুলনা করতে পারেন। বাংলাদেশের ইউনি থেকে পাশ করার পর পাশ্চাত্যের ইউনিতে ভর্তি হলে যে পার্থক্য চোখে পড়বে তাতে দেশের ইউনির সমালোচনা আপনাতেই চলে আসবে। এবং তা কেন তা সেটা ব্যাখ্যা করার দরকার নেই।

' ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ করা এক জিনিশ , আর ক্রিয়েটিভিটি গ্লোরিফাই করা আরেক জিনিস;-- দয়া করে স্টিব জবসের আত্মজীবনীটা পড়বেন...তিনি প্রকাশ করেন নি...সবসময় নিজেকে সেরা--আপনার ভাষায় গ্লোরিফাই-- প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন সারাজীবন।

১৮| ২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

র‍্যাশ বলেছেন: বুঝলাম সাফল্যের কৃতিত্ব কিছু প্রতিষ্ঠানের উপর রাখছেন , যাবতীয় শব্দ ব্যবহারটাকে টাইপিং মিস্টেক হিসেবে মেনে নিলাম।
'বাঙ্গালী সুলভ সংকীর্ণতা' বলতে সংকীর্ণতার উৎপত্তিস্থল বাঙ্গালীদের মধ্যে এটা বোঝানো হয়েছে, সব বাঙ্গালিকে সংকীর্ণ বলা হয় নাই।মৌলিক রাজনৈতিক অাদর্শ বলতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সার্ব ভৌমত্ব, অসাম্প্রদায়ীকতার মত মূল বিষয়গুলোকে বোঝানো হয়েছে। এই আদর্শগুলোকে আওয়ামী, জাতীয়তাবাদী বা জামাতী ট্যাগ দেওয়া ভয়াবহ অন্যায়। কোন একটি ধারণা সেকেলে না একেলে তা বিচারের মানদণ্ড কি ? আর যদি সব আদর্শকেই সেকেলে , সব সিস্টেমই "জাতির সমস্ত ভালোকে অন্ধকারে টেনে নিয়ে যাচ্ছে" বলে মনে করেন তাহলে আপনিই একটা নুতুন আদর্শ বা মতবাদের সুচনা করেন। আমরা উপকৃত হতাম।

এখানে অামেরিকান ইউনির সাথে বাংলাদেশের ইউনির কীভাবে তুলনা করতে পারেন। বাংলাদেশের ইউনি থেকে পাশ করার পর পাশ্চাত্যের ইউনিতে ভর্তি হলে যে পার্থক্য চোখে পড়বে তাতে দেশের ইউনির সমালোচনা আপনাতেই চলে আসবে।- আপনি বিল গেটসের উদাহরণের উদ্দেশ্য কিছু বোঝেন নি। বিল গেটসের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে বাঙ্গালীদের সাথে এমেরিকানদের মানসিকতার পার্থক্য বোঝানোর জন্য। তার মানে এই না যে এটি সব বাঙ্গালী বা সব এমেরিকানদের জন্য খাটে। ঐ উদাহরনের মধ্য দিয়ে অামেরিকান ইউনির সাথে বাংলাদেশের ইউনিরও তুলনা করা হয় নি। অামেরিকান ইউনির সাথে বাংলাদেশের ইউনির যে অনেক পার্থক্য আছে সেটা সবাই জানে। তুলনা করা হয়েছে দুই দেশের ছাত্রের মানসিকতার। মানসিকতা তৈরিতে ইউনিভার্সিটি ম্যান্ডাটরি নয়।

ষ্টিভ জবসে আত্নজীবনী পড়িনি বটে তবে অন্য অনেক ক্রিয়েটিভ মানূষের জীবনি পড়েছি ( ষ্টিভ জবসের জীবনী পড়ে মন্তব্যের সত্যতা যাচাই করে নেব অবশ্যই) । ষ্টিভ জবসকে যদি ব্যতিক্রম ধরি তবুও ঐ ধারণা থেকে সরে আসার কোন কারণ নেই। শুধু জবসই পৃথিবীর একমাত্র ক্রিয়েটিভ ব্যক্তি নয়। তবে ইন্টারনেটে জবসের এই উক্তিটা পাইলাম “Great things in business are never done by one person. They’re done by a team of people.” দেখেন তো আপনার আগের কমেন্টের সাথে মিলে কিনা।


২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

আখেনাটেন বলেছেন: 'সব আদর্শকেই সেকেলে'-- আমি কখনই সব আদর্শকে সেকেলে বলি নি। সবকিছুকে জেনারালাইযড করার এ জিনিসটা ভালো ঠেকছে না।

'সব সিস্টেমই "জাতির সমস্ত ভালোকে অন্ধকারে টেনে নিয়ে যাচ্ছে'-- এখানেও সেই একই মুদ্রাদোষ। আমার ঐ লাইনটি দিয়ে আমি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের নোংরা শিক্ষক-ছাত্র রাজনীতিকে বুঝাতে চেয়েছি। এটা না বুঝার কোনো কারণ দেখি না।

'আপনি বিল গেটসের উদাহরণের উদ্দেশ্য কিছু বোঝেন নি। বিল গেটসের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে বাঙ্গালীদের সাথে এমেরিকানদের মানসিকতার পার্থক্য বোঝানোর জন্য'-- এটাই আমিও আপনাকে বুঝাতে পারছি না যে, যেখানে আপনি প্রকৃত শিক্ষাই পাচ্ছেন না, সেখানে আপনি কীভাবে আশা করতে পারেন বাংগালী ও আমেরিকানদের মানসিকতা এক হবে।

“Great things in business are never done by one person. They’re done by a team of people.” -- আপনি ব্যবসার সাথে শিক্ষা, ক্রিয়েটিভিটি ইত্যাদিকে গুলিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। দয়া করে বলবেন না--রবীন্দ্রনাথ টিম তৈরি করে তার সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেছেন। যদিও রবি বাবু কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ধারে কাছেও যান নি। আর এই 'a team of people' মানে ছাত্র-শিক্ষক কম্বিনেশন--সেইটাই তো নেই এদেশে। কেন নেই তা উপরে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। ও হ্যাঁ, স্টিভ জবস ঐ মন্তব্য করেছেন প্রথমবার আ্যপলের ব্যবসায় ধ্বস নামার পর--উনার চাকরিও চলে গিয়েছিল নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান থেকে।

ক্রিয়েটিভ মানুষেরা একটু পাগল টাইপের হয়, প্রতিষ্ঠানের চেয়ে তারা ব্যক্তিসত্তাকেই প্রাধান্য দেয়--তা না হলে আজকেও কম্পিউটারের বাটন টিপার বদলে তীর-ধনুক নিয়ে আপনাকে আমাকে পরিবারের জন্য খাদ্য সংগ্রহে বের হতে হত।

প্রতিষ্ঠান শুধু পারে তার ডিসাইপলদের সঠিক দিক বাতলে দেওয়া---বাংলাদেশের ইউনিগুলোতে সেই জিনিসটার অভাবের কথাই আমি গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে যাচ্ছি কিন্তু অনেকের কর্ণগুহরে প্রবেশ করছে না। কি আর করা...তথাস্তু।

১৯| ২২ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

রমিত বলেছেন: 'আখেনাতেন' একটি রহস্যময় নাম, যিনি হঠাৎ উদিত হয়ে মিশরে একেশ্বরবাদ প্রচার করা শুরু করে দিয়েছিলেন। আপনার নিকে সেই নামের যাদু আছে!

যাহোক, নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই তাই জানি, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আসলেই অনেক খারাপ। কারন, অনেক অনেক অনেক।

২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো বলেছেন। এই ব্যক্তি মিশরের ফারাওদের তথা গোটা মিশরীয় সভ্যতার চিন্তা-ধারাতে বিরাট পরিবর্তন এনেছিলেন। যদিও উনার আয়ুষ্কাল বেশি ছিল না, তথাপি তাকে মিশরের ইতিহাসে বিশেষ স্থান দিতে হ্য়।

যাহোক, নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই তাই জানি, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আসলেই অনেক খারাপ। কারন, অনেক অনেক অনেক। -- হ্যাঁ, অনেক কারণ। এর থেকে উত্তরণের পথও সবার জানা। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? সবাই আমরা নিজের তালে ব্যস্ত।

২০| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

র‍্যাশ বলেছেন: আগের একটা মন্তব্য সরাসরি কোট করি-এটা যদি তথাকথিত আওয়ামী, জাতীয়তাবাদী বা জামাতী আদর্শ হ্য়, তাহলে বলতে হ্য় আমার এই পাল্টি মন্তব্য দেওয়াটায় বৃথা। যে সিস্টেম জাতির সমস্ত ভালোকে অন্ধকারে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তাকে সাপোর্ট করার মতো অবস্থায় এই লেখক নয় । লক্ষ্য করুন এখানে সিষ্টেম সম্পর্কিত যে বাক্যটি লিখেছেন তার আগের লাইনে সুষ্পষ্ট ভাবে আওয়ামী, জাতীয়তাবাদী বা জামাতী আদর্শের কথা উল্লেখ করেছেন। আর সমাজ তন্ত্রকে তো আগেই "সেকেলে" বলে রায় দিয়েছেন। যদি সব সিষ্টেম বা আদর্শের কথা নাই বলে থাকেন তাহলে এই আদর্শ গুলোর বাইরে বাংলাদেশে আর কোন আদর্শ একেলে অবস্থায় আছে, আর কোন সিষ্টেম বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন তার একটু তালিকা দিন তো, নিজের জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ করি।

আপনি ব্যবসার সাথে শিক্ষা, ক্রিয়েটিভিটি ইত্যাদিকে গুলিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। দয়া করে বলবেন না--রবীন্দ্রনাথ টিম তৈরি করে তার সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেছেন।
আপনি আবারো ক্রিয়েটিভিটি চর্চা আর ক্রিয়েটিভিটি গ্লোরিফাই করাকে এক করে ফেলেছেন। প্রতিটা ক্রিয়েটিভ ব্যক্তি তার ক্রিয়েটিভিটি চর্চার ক্ষেত্রে নিজেই রেন্সপন্সিবল। এমনকি যদি টিম তৈরী করে কোন ক্রিয়েটিভ কাজ করা হয় তাহলে সেই টিমেরও একজন ক্রিয়েটিভ লিড থাকে। মূলত তিনিই ক্রিয়েটিভিটির মূল দায়িত্ব পালন করেন। এখানে তো তর্কের জায়গা নেই। আমি ষ্টিভ জবসের উক্তিটা দিয়েছি ষ্টিভ জবসের উদার ও মহৎ মানসিকতা বোঝাতে আর আপনি এর সাথে ক্রিয়েটিভিটি চর্চাকে এক করে ফেললেন !!! এই যে উদার -মহৎ মানসিকতা এটা তৈরীতে ইউনিভার্সিটির খুব একটা ভূমিকা নেই। কারণ এটা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির আগেই অধিকাংশ ছাত্রের মধ্যে তৈরী হয়। মূলত পরিবার আর সমাজ এই মানসিকতা তৈরীতে ভূমিকা রাখে। বাঙ্গালীদের মধ্যে এটার ঘাটতি আছে। এটাই তো দুই দিন ধরে বোঝানোর চেষ্টা করছি।

আগের একটা মন্তব্যে ষ্টিভ জবস প্রসঙ্গে লিখেছেন -.তিনি প্রকাশ করেন নি...সবসময় নিজেকে সেরা--আপনার ভাষায় গ্লোরিফাই-- প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন সারাজীবন।। এখন লিখেছেন -স্টিভ জবস ঐ মন্তব্য করেছেন প্রথমবার আ্যপলের ব্যবসায় ধ্বস নামার পর--উনার চাকরিও চলে গিয়েছিল নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান থেকে। আপনার দুটো কথাকেই যদি সত্যি বলে ধরে নেই তাহলে এটা বলা যায় যে ষ্টিভ জবস ব্যবসায় লস খাইলে এক রকম দৃষ্টি ভঙ্গী ধারন করতেন আর ব্যবসায় লাভ খাইলে বা ক্রিয়েটিভিটি চর্চার সময় অন্য রকম দৃষ্টি ভঙ্গী ধারন করতেন। আমি ঠিক নিশ্চিত নই তিনি ঠিক সত্যিই এরকম ছিলেন কিনা আর যদি সত্যিই এরকম হয়ে থাকেন তাহলে আমার প্রথম প্রশ্ন তার এই দ্বৈত মানসিকতা কি এডমায়ারেবল? কোন সন্দেহ নেই জবস মেধাবী ছিলেন কিন্ত দিন শেষে তিনিও একজন সাধারণ মানুষ। অবশ্য আপনি যদি তাকে পীর- পয়গম্বর বলে মনে করে থাকেন তাহলে অবশ্য ভিন্ন কথা।

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ-- লেবুকে চিপে এর শেষ নির্যাসটুকু বের করার জন্য। ও, হ্যাঁ...আমরা এই পোষ্টে কমলা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। ভালো থাকুন।

২১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৩৩

হাসমত০০৯ বলেছেন: ভাল লাগল পোস্ট আর কমেন্টগুলো পড়ে । দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সরকারি মহলে কেউ ভাবেনা । ওরা খালি চিন্তা করে কাড়ি কাড়ি জিপিএ ফাইভ দিয়ে মানুষকে লুটপাট, ভোট ডাকাতি আর অন্যসব অন্যায় কাজকর্ম ভুলিয়ে দিতে । যে দেশে প্রতি কিলোমিটার রাস্তা করতে বিশ্বের সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ (গড়ে ৫৪ কোটি টাকা মাত্র) খরচ করা হয় (আদতে কতটা রাস্তায় যায় আর কতটা কর্তাব্যক্তিদের পকেটে যায় সেটা সবাই জানে ) সেখানে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এর মোট গবেষণার বাজেট মাত্র ২-৩ কোটি টাকা ! ভাবতে খুব কষ্ট লাগে, এ কাদের হাতে পড়েছে আমাদের দেশ ।

এত প্রতিকুলতা সত্ত্বেও আমাদের বেশির ভাগ শিক্ষকরা এখনো পড়িয়ে যাচ্ছেন । এখানকার (আমেরিকার ) বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর সাথে তুলনা করলে আমাদের আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেল এর শিক্ষার মান মোটেও খারাপ মনে হয় না । আমার বিশ্ববিদ্যালয় টা মাঝারি সারির, তারপরও এখানকার আন্ডারগ্রাড দের তুলনায় আমাদের টপ পাবলিক ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা খুব একটা পিছিয়ে নেই । এখানে বুয়েট বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সারির ছাত্ররা পিএইচডি লেভেলেও প্রথম সারিতেই থাকে । মূল পার্থক্য আসলে গ্র্যাজুয়েট লেভেলে । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে প্রতিবছর ১০০ মিলিয়ন ডলারের উপরে গ্র্যান্ট পায় । এটার প্রায় পুরোটাই ব্যয় হয় পিএইচডি আর মাস্টার্স লেভেলের গবেষণায় ।

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সরকারি মহলে কেউ ভাবেনা এই জিনিসটাই বড্ড খারাপ লাগে। কী অমিত সম্ভাবনাময় একটা দেশ, অথচ শিক্ষার এই অধোগতি কেউ দেখার নেই, কেউ শোনার নেই।

২২| ২৭ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

র‍্যাশ বলেছেন: হাহাহা . ঝুড়িতে কমলা লেবু দুইটাই ছিল। কমলা চিপতে যেয়ে প্রসঙ্গ ক্রমেই লেবু চিপা হয়ে গেছে। তাছাড়া এমন তো না যে লেবু শুধু আমি একাই চিপেছি। যাই হোক নিজের যুক্তিতে নিজের আটকে যাওয়ার কষ্টটা বুঝতে পারছি। সহমর্মিতা থাকলো।

২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:০১

আখেনাটেন বলেছেন: যাই হোক নিজের যুক্তিতে নিজের আটকে যাওয়ার কষ্টটা বুঝতে পারছি-- হম... এত মারাত্মক, বিধ্বংসী, পিছলা যুক্তির পসরা আমাকে জীবনে কখনও মোকাবেলা করতে হয় নি তো তাই হাল ছেড়ে দিয়েছি। আপনিই WWE চাম্পিয়ন।

২৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

শরতের ছবি বলেছেন:

শিক্ষা এখন ব্যবসা ।পাইভেটে ব্যবসা --প্রেম ,পীরিতি । বুয়েট ,চুয়েটে রাজনীতি, লেজুর বৃত্তি ।পড়াশোনা যেখানে হয় না সেটা কিভাবে শিক্ষার মান অনুযাযী শ্রেষ্ট হবে !

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: এক সময় বাঙ্গালী রেঁনেসা নামে একটা যুগ ছিল। এই বাঙ্গালীরাই সে সময় গোটা ভারতবর্ষকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। আজ আমরা সে স্থান থেকে অনেক অনেক দূরে সরে গেছি। আরো যাচ্ছি.।.।

২৪| ২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা করেছেন, সেজন্য প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শিক্ষার সাথে জাতীয় জীবনের প্রতিটা শাখার ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে - এ কথাটা ধ্রুব সত্য- অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
এটা অবশ্যই ঠিক বাজারমুখী শিক্ষাব্যবস্থা কিছু মানুষকে মানুষরুপী পশুতে পরিণত করেছে। যার জন্য এক কিমি চার লেনের রাস্তা তৈরি করতে অন্য দেশের যেখানে ১০ থেকে ২০ কোটি লাগে, অামরা তা ১০০ থেকে ১৫০ কোটিতে নিয়ে যাই - ৩ নং প্রতিমন্তব্যে বলা এ কথার সাথে একমত।
রাষ্ট্রে কোথাও যেখানে সুশাসন নেই, বিশ্ববিদ্যালয় আর কি করে এর বাইরে থাকবে? -- ৪ নং মন্তব্যে একদম ঠিক কথা বলেছেন র‍্যাশ
দেশে গণতন্ত্র , সুশাসনের সংকটই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুরবস্তার কারণ (৬ নং মন্তব্য) - চমৎকার পর্যবেক্ষণ।
পরের মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্যের অনেকগুলোই এনলাইটেনিং। মন্তব্যকারী(গণ) এবং লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ, গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের উপর এমন চমৎকার আলোচনার জন্য।
পোস্টে প্লাস + +

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

আখেনাটেন বলেছেন: আপনি এখানে একটি মন্তব্য করেছেন জেনে ভালো লাগল।

দেশে খোলনলচে পাল্টে ফেলতে সুশিক্ষার কোন বিকল্প নেই। দেশে এই জিনিসটা আজ পর্যন্ত নীতিনির্ধারকেরা বাস্তবায়ন করতে পারল না। অাপসোস!

শুভকামনা।

২৫| ২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এখানে প্রকাশিত আপনার প্রথম লেখাটি দিয়েই আপনার ব্লগ পড়া শুরু করলাম। বাংলা ব্লগের এ আসরে আপনাকে সুস্বাগতম জানাচ্ছি। এখানে আপনার বিচরণ স্বচ্ছন্দ হোক, আনন্দময় হোক, দীর্ঘস্থায়ী হোক, ফলপ্রসূ হোক!

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০২

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার খায়রুল অাহসান।

আপনার জন্যও রইল হিমালয়সম শুভকামনা। যুগ যুগ জিও।

২৬| ২৭ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৩

বিষাদ সময় বলেছেন: শুধু বুয়েট, চুয়েট নয় দেশের সামগ্রিক শিক্ষার মানই অত্যন্ত নিম্নগামী। কিছুদিন এ বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি করে বুঝলাম যে এই অবনমন এর পিছনের কারণ হচ্ছে রাজনীতি, যা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এক অশনীসংকেত।

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: দেশের পচা রাজনীতিই খেয়ে ফেলেছে সব ভালোত্ব। তবুও অাশায় বুক বাধি, হয়তবা একদিন সবকিছুর অবসান হবে।

২৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

করুণাধারা বলেছেন: কবে আমাদের নীতিনির্ধারকদের বোধোদয় হবে যে শিক্ষার মানোন্নয়ন ছাড়া শত বুলি কপচালেও দেশ সমৃদ্ধির পথে নেওয়া সম্ভব নয়। নীতিনির্ধারকদের বোধোদয় অনেক আগেই হয়েছে। তাই আজ শিক্ষা হয়ে গেছে কোচিং সেন্টার সর্বস্ব, ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা হচ্ছে।

আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বহির্বিশ্বর সাথে ছাত্রদের সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ। এখানে একজন ছাত্র কেবল বই মুখস্থ করে ডিগ্রী অর্জন করে, জানে না এই বিষয়ে বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কি করছে বা ভাবছে। বিশ্ববিদ্যালয় যে গবেষনার স্থান এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক বা নীতিনির্ধারক - কেউ জানে না। ফলাফল এই, আমাদের দেশে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে এটা বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিংকারীরা জানে না।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় যে গবেষনার স্থান এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক বা নীতিনির্ধারক - কেউ জানে না। ফলাফল এই, আমাদের দেশে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে এটা বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিংকারীরা জানে না। --- অবস্থা এখন তাই দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় যতটা না জ্ঞান বিতরণের জায়গা, তারচেয়ে বেশি জ্ঞান তৈরির কারখানা। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের সে কারখানার কলকব্জায় হয় মরচে ধরেছে না হয় চাইনিজ বা ভারতীয় বাজে মেশিনে ভরে ফেলা হয়েছে যা থেকে কোন প্রোডাক্ট তৈরি করা সম্ভব নয়।

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ব্লগার করুণাধারা।

২৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনি যত সুন্দর করে কমেন্ট লিখেন সেই হিসেবে আপনার এই পোস্টের গেট আপ আরো সুন্দর হবে এটাই ডিজার্ভ করেছিলাম ( এটা কমেন্ট পড়ার পরের অনুধাবন কিন্তু।) গেট আপ বলতে আরেকটু বিস্তারিত হইতে পারতো আপনার মতামত - আমাদের শিক্ষা পণ্ডিতদের তথা গোটা দেশের 'জাতীয় লজ্জা দিবস' হিসেবে ঘোষণা দেওয়া উচিত কেন এবং কারণ গুলো। পোস্টের শিরোনাম আরও ভালো হইতে পারতো।

কমেন্ট গুলো সত্যিই ভালো লাগলো পড়ে।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় কারিগরি শিক্ষাকে নামে রাখা হইছে মনে হয়। যা পড়ি আর পরবর্তীতে যা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি তাতে মনে হয় নির্দিষ্ট সাব্জেক্টে না পড়লেও তেমন ক্ষতি ছিল না।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: আসলে এটা ছিল আমার সেফ হওয়ার পর প্রথম পোস্ট। তাড়াহুড়ো করে পোস্ট লিখে পাবলিশ করে দিয়েছি ফলে লেখাটা গোছানো হয় নি। এর পরের লেখাগুলো আশা করি কিছুটা গোছানো পাবেন। যদিও আমি লেখালেখিতে খুব একটা দক্ষ না।

শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রায়োগিক দিককে গুরুত্ব দিয়ে শেখার ও জানার কোনো বিকল্প নেই। আর উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তির যোগান সঠিক না হলে দেশে উৎপাদন বাড়বে কীভাবে? আর উৎপাদন না বাড়লে নয়া কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে কীভাবে? এগুলোর জন্যই দেশের উ্চ্চশিক্ষার খোলনলচে পাল্টে ফেলা দরকার।

ধন্যবাদ আপনার উপস্থিতির জন্য।

২৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আশা করবো পরবর্তী পোস্টগুলোর শিরোনাম এবং গোছানো লেখা আপনার কমেন্টের মতোই খুব সুন্দর হবে।
ভালো থাকবেন।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য।

৩০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৫

কালীদাস বলেছেন: প্রথম পোস্ট হিসাবে ভালই তো :) এত ভারি টপিকে প্রথম পোস্ট দিতে আমজনতা সাধারণত সাহস করেনা খুব একটা। বাইদ্যাওয়ে, ব্লগে স্বাগতম ;)

অনেক টপিক চলে এসেছে কমেন্টগুলোতে। আপাতত র‌্যাকিং নিয়ে দুয়েকটা কথা বলতে পারি। র‌্যাংকিং জিনিষটা খুব গোলমেলে একটা টপিক ভাই। কিছু ইউনি আছে, এদের র‌্যাংকিং নিয়ে কেউ ভাবে না, শয়ে শয়ে বছরে এমন একটা পজিশনে চলে গেছে রেপুটেশনের দিক থেকে যে আদারস কেউ চিন্তাও করে না। যে র‌্যাংকিংই হোক (কিউএস, টাইমস)। আবার সব সাবজেক্টে সব ইউনি ভাল না। এমনকি অক্সফোর্ডেও দুয়েকটা ডিপার্টমেন্ট আছে গড়পরতা মানের, অক্সফোর্ড বলতে লোকে যা বুঝায় তার চেয়ে উইক। কানাডাতে আমার এক কলিগ গেছে বেশ কয়েক বছর হয়, সেও মুটামুটি কাছাকাছি জিনিষই বলল; র‌্যাংকিং জিনিষটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট নর্থ আমেরিকার জন্য, কারণ অনেক ইউনি সে তুলনায় ফান্ডিং সোর্স অনেক কম। র‌্যাংকিংটা জরুরী এবং ধরে রাখাও জরুরী ওদের চেয়ার টেবিল ধরে রাখার স্বার্থেই। ইউরোপে ব্যাপারটা অন্যরকম, পুরান বা রেপুটেড ইউনিগুলো লোকজন এমনিতেই চেনে শয়ে শয়ে বছর ধরে, প্লাস এদের মাথার উপর টাকার গাছ নিয়ে আছে ইইউ। কারও মধ্যে পটেনশিয়াল দেখলে টাকা ঢালতে এরা কার্পন্য করে না, প্লাস বর্ডার ফ্রি জোন হওয়াতে রিসার্চ নেটওয়ার্কগুলো খুবই শক্তিশালী। আবার আপনার কোন একটা পোস্টে বলা বাংলাদেশি চামার সিন্ডিকেটগুলোর খানিকটা স্বভাবও আছে কয়েকটা জায়গায়।


বাংলাদেশে গবেষণার জন্য সরকারী বরাদ্দ কে কিভাবে পায় আপনার অন্য পোস্টে বলেছি, এখানে ঘ্যানঘ্যান করলাম না আর।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

আখেনাটেন বলেছেন: কিছু ইউনি আছে, এদের র‌্যাংকিং নিয়ে কেউ ভাবে না, শয়ে শয়ে বছরে এমন একটা পজিশনে চলে গেছে রেপুটেশনের দিক থেকে যে আদারস কেউ চিন্তাও করে না। -- ঠিক বলেছেন। ইউরোপীয়ান ইউনিগুলোর জন্য র‌্যাঙ্কিং খুব একটা কাজে লাগে না। বিশেষত এদের শত শত বছরের ঐতিহ্যের কারণে। তারপরও আমরা ওদের ইউনিতে ভর্তি হতে গেলে ঐ জিনিসটা চেক করে দেখি। তারপর সিদ্ধান্ত নেই।

কিন্তু ইউরোপের বাইরের ইউনিগুলোর বিশেষ করে এশিয়ান দেশগুলোর জন্য এটা কিছুটা এখন মানদণ্ড হয়ে গেছে। উত্তর আমেরিকাতেও র‌্যাঙ্কিং এর গুরুত্ব মারাত্নক। এর উপর ভিত্তি করেই বিদেশী ছাত্র টানা। বিলিয়ন ডলার উপার্জন।

আর বাংলাদেশে কোন ভালো র‌্যাঙ্কিং ইউনি নেই এটাও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পড়াশুনার মানের বেহাল অবস্থাকেই নিরূপণ করে। চীনারা-মালয়েশিয়ানরা-ভারতীয়রা এটা উপলব্ধি করেছে বলেই তাদের ঝুলিতে এখন হাজার হাজার বিদেশী ছাত্র। এই দেশগুলো আন্তর্জাতিক বাদেও দেশেও সরকারী-বেসরকারী র‌্যাঙ্কিং এর ব্যবস্থা চালু করেছে। শুধু প্রতিযোগিতাই নিজেদের সামিল করার জন্য।

এই ব্যাপারগুলো নীতিনির্ধারকদের তড়িৎ অনুধাবন করতে হবে। আমার মতে বাংলাদেশকেও এই র‌্যাঙ্কিংকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য। কারণ র্যাঙ্কিং কে গুরুত্ব দেওয়া মানে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো।


ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

৩১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১৭

কালীদাস বলেছেন: স্যরি, আরেকটা জিনিষ মনে পড়ায় সেকেন্ড টাইম কমেন্ট করলাম। সৌদি এবং মিডল ইস্টের বেশিরভাগ বর্বরই তেলবেঁচা ধনী ইকোনমির কল্যাণে হয়ত লেখাপড়ায় পিছিয়ে, তবে এদের ফিউচার প্লানিং কিন্তু খুবই বাস্তবসম্মত। এদের কোন স্টুডেন্ট বাইরে পড়তে চাইলে/সুযোগ পেলে, যতদূর জানি রাষ্ট্রীয়ভাবে এদের পেছনে ব্যাপক টাকা ঢালা হয়। কন্ডিশন একটাই থাকে যে পড়াশোনা শেষ হলে দেশে ফিরে কোন উপযুক্ত জবে জয়েন করতে হবে। আমেরিকার অনেক ইউনির গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের লোকজন মাঝে মাঝে হাপিত্যেশ করে যে ওরা সরকারের টাকায় রাজার হালে চলে যেখানে এভারেজ গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টকে গাধার খাটনি খাটতে হয় এসিস্ট্যান্টশিপের জন্য। আবার রেজাল্ট ধরে রাখতে হয়; গ্রেড নিচে নামলে পরের সেমিস্টারে কোর্স নেই :|

এজিনিষটা বাংলাদেশেও আগে ছিল, সরকারী ফান্ডে পাবলিক ইউনিভার্সিটির টিচারদের বাইরে পড়াশোনা। সাইফুর রহমান এটাকে বন্ধ করেছিল, এমনকি রানিং স্টুডেন্ট অনেকেও নাকি তখন ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিল। সত্যি মিথ্যা ডিটেইলস জানিনা, আমার এক কলিগ দাবি করেছিলেন যে তাকে নাকি প্রোগ্রাম শেষ না করেই ফিরতে হয়েছিল এই কারণে। এই লোক আবার হাইলি পলিটিকাল (লীগার), কাজেই ..... বাংলাদেশে কাউকে বিশ্বাস করা টাফ!!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: অারব স্প্রিং এর পর গালফ কান্ট্রিগুলোর কিছুটা হলেও টনক নড়েছে। সব দেশেই এখন শিক্ষাখাতে বিনিয়োগের জোয়ার চলছে। অবশ্য এর কারণও অাছে। তারা বুঝতে পারছে হাইড্রোকার্বনের জৌলুস যুগের ভাটার টান।

সাবেক সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ শিক্ষাখাতে বৈপ্লবিক রিফর্ম আনেন। তিনিই প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেন উচ্চশিক্ষার জন্য। শর্ত অাপনি যেটা উল্লেখ করেছেন। পড়া শেষে দেশে ফিরতে হবে। এতে দেখা যায় দুহাজার সালের শুরুর দিকে যেখানে অামেরিকাতে ৫০০০ হাজারও সৌদি ছাত্র-ছাত্রী ছিল না সেখানে ২০১০ এর পরে ৫০০০০ হাজার অতিক্রম করেছে। ভাবা যায়। তারা এখন চীন ও ভারতের পরেই অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে সমস্যা হচ্ছে STEM বিষয়ে এদের হার কম। তবে সচেতন হচ্ছে।

এছাড়াও কয়েকবিলিয়ন ডলার খরচ করে গড়ে তুলেছে KAUST। রিসার্সে এই বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে নেচার ইনডেক্স-এ দেখলাম ভালো অবস্থানে রয়েছে কয়েক বছরের মধ্যে। ভাবা যায়। তবে এই রিফর্মটা আজ থেকে কয়েক যুগ আগে হলে আমাদের হয়ত এই কাল্ট গোষ্ঠী আইএসআইএস দেখতে হত না।


বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বৃত্তির ব্যাপারে যেগুলো ঘটছে এটা তো স্রেফ নোংরামী। আমি দেশের বাইরে পড়ার সময় আমার সাথে সেখানে একজন দেশসেরা ইউনির সহকারী অধ্যাপকও উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়েছিলেন কি একটা সরকারী বৃত্তিতে। কী নিদারূণ অপচয় সরকারী অর্থের! এর বেশি কিছু আর বলতে পারছি না। ভদ্রলোক শেষে ডিগ্রি নিয়ে ফিরেছেন নাকি কিনে ফিরেছেন আর জানা হয় নি। অামরা সঠিক লোককে সঠিক জায়গায় বসাতে পারি নি। এটা জাতির জন্য লজ্জা!

৩২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০১

গরল বলেছেন: আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পড়ার বিষয় একটাি আর সেটা হল BCS (Bachelor of Civil Service)। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বীতিয় বর্ষ থেকেই শুরু হয়ে যায় বিসিএস এর গাইড পড়া। এই যদি হয় পড়াশুনার অবস্থা তাহলে র‌্যাংকিং এ আসবে কিভাবে। আর এ অবস্থাই বা হবে না কেন, যে দেশের প্রধানমণ্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষদের পরামর্শ দেয় বিসিএস দিয়ে কেরাণী হয়ে যাওয়ার জন্য। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ ও উদ্দেশ্য হল শুধু কেরাণী তৈরী করা তারা কোন ক্লাসের মধ্যে পড়ে তা বুঝতে দেড়ি হওয়ার কথা না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের গর্ব হল বিসিএস যত ছেলেমেয়ে পাশ করে তাদের ৪০ ভাগ এককভাবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকেই হয়। এই হল আমাদের মান নির্ণয়ের স্কেল, যা বহিরবিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ আলাদা তাই আমাদের স্থান সেখানে হয় না।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পড়ার বিষয় একটাি আর সেটা হল BCS (Bachelor of Civil Service)।যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ ও উদ্দেশ্য হল শুধু কেরাণী তৈরী করা তারা কোন ক্লাসের মধ্যে পড়ে তা বুঝতে দেড়ি হওয়ার কথা না। -- বেশ বলেছেন। এইটাই জানান দিচ্ছে দেশের উচ্চশিক্ষার কংকাল। আমাদের পলিসি মেকারদের চিন্তার দৈনতা কিংবা অন্য কিছু দেশের শিক্ষাখাতকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। কারো কোনো বিকার নেই এই অবস্থাতেও। অাশ্চর্য।

দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে চিন্তা করে এমন একটা লোকও কি নেই উপরমহলে?

৩৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার প্রথম পোষ্টই যে সাড়া ফেলে দিবে, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই। আর এ'ধরনের পোষ্টে কিছু অতি-জ্ঞানীর আগমন অবধারিত....এটাও অনুমিত। ;)

দেশের শিয়াল পন্ডিতদের (শিক্ষা পন্ডিত) লজ্জা-শরম থাকলে না ''জাতীয় লজ্জা দিবস'' ঘোষণার প্রশ্ন আসে!! এটাই তখন-এখন এর ট্রেন্ড.....লজ্জাহীনতা। :)

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

আখেনাটেন বলেছেন: সাড়া ফেলেছে নাকি কাইজ্জা লাইগা গেছে..... :P


দেশের শিয়াল পন্ডিতদের (শিক্ষা পন্ডিত) লজ্জা-শরম থাকলে না ''জাতীয় লজ্জা দিবস'' ঘোষণার প্রশ্ন আসে!! এটাই তখন-এখন এর ট্রেন্ড.....লজ্জাহীনতা। ---- গুবরে পোকার মতো কিলবিল করছে এরা সবখানেই। :(

আজকে ব্লগে প্রবেশ করেও দেখি কাইজ্জা লাগা পোস্ট ঝুলছে........তবে আগের মতো পন্ডিতেরা এখন আর কাইজ্জা লাগাই না। তার জায়গায় শিয়াল পন্ডিতেরা জায়গা দখল করেছে.....এক মাল্টিবাবা তো দেখি একাই ব্লগ দখল করে রেখেছে। নানা কায়দায় গিয়ানি ব্লগারদের বিভ্রান্তির মধ্যে রেখেছে....মাগার কেউ টের পাচ্ছে না... মজাই মজা.. .হা হা হা।

প্রাগৈতিহাসিক পোস্টে মন্তবাইনের জন্য করোনামুক্তভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.