নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার লেজেগোবরে অবস্থাঃ অচিরেই কি আমরা একটি মেধাহীন জাতিতে পরিণত হতে যাচ্ছি????

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩০



অন্যকে অনুকরণ করে, অন্যের ভাষায় কথা বলে, অন্যের মতো চলাফেরা করে, অন্যের মতো আচরণ করে নিজেকে কি প্রকাশ করা সম্ভব? সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘না’। এতে মানুষ না পারে তাঁর উপস্থিতিকে জানান দিতে, না পারে অন্যদের অনুরূপ হতে। এতে এক ধরণের আইডেন্টিটি ক্রাইসিস বা স্বকীয়তার অভাবে নিজেদের অস্তিত্বের জন্য নিজেরাই হুমকী হয়ে পড়ে। আমরা বাংলাদেশীরা কি এই রোগে ভোগা শুরু করেছি?

আমাদের বিশেষত্ব কি? এমন কি আছে যা আমাদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা করে চিনিয়ে দিচ্ছে?

অতীতে অনেক কিছুই ছিল। কিন্তু বর্তমানে আমরা তা হারিয়ে ফেলছি প্রতিনিয়ত। নিজেরাই নিজেদের ধ্বংসের কারণ হয়ে যাচ্ছি।
মেধা ও মনন কোনো অলৌকিক বিষয় নয়। এটা চর্চার ফল। যে জাতি যত বেশি চর্চারত এই বিষয়ে সে জাতি গোটা বিশ্বে ততই অগ্রসরমান। আমরা কতটা চর্চা করছি?

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার হালহকিকত অন্য দেশের সাথে তুলনা করলেই এর কংকালটা চোখে পড়বে। গায়ে কোনো মাংস নেই। শুধুই হাড়সর্বস্ব কংকাল। এই কংকালটাও কবে উধাও হয় তা দেখার বিষয়।

কোন দেশ অপরাপর বিশ্বে নিজেদের অনন্য উচ্চতায় দেখতে চায় তা তাদের গবেষণা ও উন্নয়ন খাতের ব্যয় দ্বারা বিবেচনা করা যায়। বাংলাদেশে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে জিডিপির এত কম (১০০ মিলিয়ন ডলারের নিচে হলে বিবেচনায় নেওয়া হয় না) পরিমাণ ব্যয় করেছে যে তা ইউনেস্কো তাদের হালনাগাদে উল্লেখ করতে পারে নি। অর্থাৎ বাংলাদেশ জিডিপির ০.১০% এরও কম এ খাতে বরাদ্দ করেছে।

অন্যদিকে দরিদ্রদেশ নেপাল পর্যন্ত জিডিপির .৩০% ব্যয় করেছে এই খাতে। ২০১৭ সালে ভারত (.৮০%), ইসরাইল (৪.১১%), দক্ষিন কোরিয়া (৪.৩০%)। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে শুধু মালয়েশিয়া (১.১৩%), তুরস্ক (.৯৬%)।

বাংলাদেশ সরকারের কত টাকা কত দিকে অপচয় করছে? এর সামান্য কিছু কি বরাদ্দ করতে পারে না গবেষণা ও উন্নয়নে। এটা যে ভবিষতে জাতির জন্য আশির্বাদ হয়ে আসবে তা কি নীতিনির্ধারকেরা জানে না। যদি জানে তবে মানে না কেন? এই কেন’র উত্তর কীভাবে পাওয়া যাবে? মৌলিক গবেষণা ছাড়া একটি জাতি কোনভাবেই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। এটা না করলে সারাজীবন আমাদের অন্যের গোলামী করেই যেতে হবে।

একটি শিক্ষিত ও বিবেকসম্পন্ন জাতি নিজ সম্প্রদায় তথা দেশের খোলনোলচে পাল্টে ফেলতে পারে। তবে এই শিক্ষিত দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে পড়ে লাইব্রেরীতে হাবিজাবি গাইডবই গলাধঃকরণ করে চাকরী সর্বোচ্চ তথাকথিত শিক্ষিত নয়। যখন দেশের সেরা ছাত্ররা মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং বা ভার্সিটির ফলাফলে টপ পজিশনে থেকেও গাইডবই পড়ে চাকরীর ধান্ধায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন বুঝতে হবে জাতি এক ভয়ঙ্কর সময় পার করছে।

এতে অবশ্য আমাদের শিক্ষার্থীদের পুরোপুরি দোষ দেওয়াও অন্যায়। আমাদের নীতিনির্ধারকেরাই এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। নিজেদের সামান্য ব্যক্তি স্বার্থের জন্য আমরা জাতির ভয়ঙ্কর ক্ষতি করে চলেছি। এতে আমরা কেউ পিছিয়ে নেই। সরকারপ্রধাণ থেকে শুরু করে নিচের ধাপ পর্যন্ত বেশির ভাগেরই এই অবস্থা।

প্রশ্ন আসতে পারে। দেশের যাঁরা একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন সেই স্বাধীনতার পর থেকেই তাঁরা কি জানতেন না এইসব। এখনো যিনি আছেন, তিনি কি জানেন না। উত্তর, ‘হ্যাঁ, জানেন’। তাহলে মানেন না কেন? এর উত্তর জানা নেই। তাহলে ইনারা কীভাবে দেশপ্রেমিক হলেন যদি দেশের ভালোর জন্য এই কাজটুকু না করতে পারেন। যেখানে তাঁরা ইচ্ছা করলেই করতে পারেন। ইনারা সবি জানেন, বোঝেন কিন্তু মানেন না। জনগণও এতে টেনশনের কিছু দেখছে না। জাতি গোল্লায় যাক! আপনি বাঁচলে বাপের নাম! সবাই যেন গায়ে গণ্ডারের চামড়া নিয়ে বসে আছি।

সে জন্য কবি শামসুর রাহমান আক্ষেপ করে কবিতায় লিখেছেন, ‘একদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে জেগে চোখ কচলাতে কচলাতে দেখি/ আমার জন্মশহরের প্রায় প্রতিটি রাস্তা শত শত গণ্ডারে/ ভরে গেছে’। কারো কোনো বিকার নেই!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭ সালে গবেষণার জন্য বরাদ্দ ১৪ কোটি। পাশের দেশ ভারতের আইআইটি মুম্বাই একাই ব্যয় করছে ২৪৫ কোটি রুপি (৩০০ কোটি টাকা)। সবগুলো আইআইটি মিলে পাচ্ছে প্রায় ৭,৭৭১ কোটি টাকা। বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় মিলে এর কত শতাংশ পায়?

আমরা অনেক কিছুতেই ভারতকে অনুসরণ করি। তাহলে এই ভালো দিকটিতে অনুসরণ করি না কেন? ভারতে জিআরএফ (জুনিয়র রিসার্স ফেলো) ইত্যাদির মাধ্যমে গবেষক নিয়োগ দেওয়া দেওয়া হচ্ছে। তারা ফুলটাইম জবের মতো করে গবেষণা করছে। পিএইচডি ডিগ্রি নিচ্ছে। নতুন জ্ঞানের সঞ্চার করছে।

আর আমাদের মাথামোটা পলিসি মেকাররা এসি রুমে বসে এখন পর্যন্ত একটি সুষ্ঠু পলিসি তৈরি করতে পারছে না। প্রশ্ন আসতে পারে, ‘এটা কি স্বদিচ্ছার অভাব’? নাকি জাতির প্রতি ভালোবাসাহীনতা। নাকি উদাসীনাতা! নাকি ভালোবাসাহীনতার কারণেই এই উদাসীনতা। তাহলে এই সব নষ্ট লোকেরা দেশপ্রেমিক হয় কি করে?

উন্নত দেশ উন্নত কারণ তারা তাদের পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা অনুন্নত কারণ আমরা নিজের জন্য বাঁচি। তারা বুঝেছিল একমাত্র শিক্ষায় পারে জাতির ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে, তাই সে অনুসারেই তাদের কর্ম পরিকল্পনা। মানব সম্পদ উন্নয়নে নিজেদের নিংড়ে দিয়েছে।

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কথা ধরুন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও কোরিয়ান যুদ্ধের পরে বিধ্বস্ত দুটি দেশ। অর্থনীতি ও অবকাঠামো বলতে কিছু নেই। সেখান থেকে ফিনিক্স পাখির মতো কীভাবে এখানে চলে আসল ভাবা যায়। তারা কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকার মতো গরীব দেশগুলোতে গিয়ে ছলচাতুরীর মাধ্যমে নিজেদের সম্পদ কুক্ষিগত করে নি। তিলে তিলে গড়ে তুলেছে মেধা ও মননের চুড়ান্ত পরাকষ্ঠা দেখিয়ে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১৩২ ডলার। দক্ষিণ কোরিয়ার ৩০১ ডলার। ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাংকের মতে বাংলাদেশ ১৩৫৯ ডলার, আর কোরিয়া ২৭,৫৩৯ ডলার। ভাবা যায়। এটা এমনি এমনি ঘটে নি। তাদের ছিল ঘটে বুদ্ধিওয়ালা কিছু নেতা ও আমলা। আর আমাদের কি ছিল বা আছে নিজেকে প্রশ্ন করলে উত্তরটাও দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার।

আমরা কখনই জাতির পটেনশিয়াল সত্তার কথা ভাবি নি। নিজেদের আমিত্বকে গুরুত্ব দিয়েছি বেশি। ফলে গুটিকয়েকজন নিজেদেরকে নব্য জমিদারীর জাতে তুললেও জাতিকে ডুবিয়েছি আগপাশতলা।

তারা যদি যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থায় শিক্ষাখাতে জিডিপির সিংহভাগ ব্যয় করতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারি নি। এর পরবর্তীতেও কেন পারি নি? এখনো কেন পারছি না? এখনো শুধু গবেষণা ও উন্নয়ন খাতেই ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে জাপান ব্যয় করছে জিডিপির ৩.৫৬% বা ১৮০ বিলিয়ন ডলার, দক্ষিণ কোরিয়া ৪.৩০% বা ৯২ বিলিয়ন ডলার। মানব সম্পদ উন্নয়নের পেছনেই জিডিপি’র ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ব্যয় কার্যকর করছে। তারা সনি, মিতসুমিশি, স্যামসাং, হুন্দাই, এলজির, দাইয়ুর মতো বৈশ্বিক কোম্পানি বানাবে নাতো কি আমরা বানাব?

এইভাবে চলতে থাকলে বিপদে আপদে বা ভাল কিছু খাওয়ার জন্য এইসব দেশের কাছে সামনের বছরগুলোতে আরো বেশি করে দৌড়াতে হবে সাহায্যের আশায়। ইতোমধ্যেই মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১০ বছরে ২০০% বেড়ে গেছে (এখন জিডিপি’র ৩৩%)। ঋণ বাড়ুক তাতে অর্থনৈতিক ভাষায় সমস্যা নয়। তবে তা কার্যকরভাবে ব্যয় করা শিখতে হবে। কোথায় ব্যয় করলে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ট পাওয়া যাবে সেখানেই তা করতে হবে। তছরুপ করলে চলবে না। এ দেশে শেষেরটাই ঘটছে। ফলে এই ঋণ জনগণের উপর একসময় বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। সামনে আরো কালোরাত অপেক্ষা করছে।

তবে দুর্ভাগ্য যে জাতির এই অনাগত দুর্ভোগগুলো আমাদের অসৎ নেতা ও আমলাদের ভোগ করতে হবে না। যা ঝড় যাবে বা যাচ্ছে তা ঐ আম আদমিদের উপর দিয়েই।

বাংলাদেশের বাজেট এখন প্রায় ৫০,০০০ মিলিয়ন ডলারের। এর থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার কি গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে ব্যয় করতে পারে না। বার্ষিক বাজেটকে মানব সম্পদ উন্নয়নমূখী করতে পারে না। তারপরো পুকুরে যতটুকু পোনা (পড়ুন বরাদ্দ) ছাড়া হচ্ছে তাঁর বেশির ভাগই পুকুরে আগে থেকে থাকা রাক্ষুসে মাছ (পড়ুন অসৎ নেতা ও দুর্ণীতিবাজ আমলা) গলাধঃকরণ করে দ্রুতই মাছশুণ্য করে ফেলছে।

নন-প্রডাকটিভ প্রতিরক্ষা খাতে যদি বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে পারে তাহলে প্রডাকটিভখাত যেখানে জাতির ভবিষ্য নিহিত সেখানে ব্যয় করতে এত কার্পণ্য কেন? এর পেছনের কারণ কি?

আবার দেখুন প্রাইভেট খাতের ইন্ডাস্ট্রিগুলো থেকে যে কোনো রিসার্স গ্রান্ড বাংলাদেশের ইউনি প্রফেসররা পাবে সেই কালচারটাই তৈরি হয় নি এখানে। বাংলাদেশের প্রফেসররা আছেন রাজনৈতিক তাঁবেদারীতে। অথচ সায়েন্টিফিক গবেষণায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফান্ডিং বলে একটা কথা আছে। ইন্ডাস্ট্রিগুলো নিজেরা মৌলিক গবেষণায় না গিয়ে ইউনির সাথে কোলাবরেশনে যায়। বাংলাদেশে এ ধারণার এখনো জন্মই হয় নি। তাঁরমানে এই নয় বাংলাদেশের প্রাইভেট সেক্টরের শিল্পকারখানাগুলোর সক্ষমতা নেই। তাদের তা যথেষ্ট আছে। কিন্তু কেন ফান্ডিং হয় না তা বেশিরভাগ মেধাহীন ইউনি শিক্ষক বলতে পারবেন। রিসার্স গ্রান্ড পাওয়ার জন্য আপনাকে একটা গ্রহনযোগ্য রিসার্স প্রোপোজাল লিখতে হবে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এই রিসার্স প্রোপাজাল শব্দটা নিয়ে আতঙ্কে থাকে। যদিওবা দুএকজন তা আনতে পারে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার কদাচিৎ হয়।

পরিশেষে ইত্তেফাকের সম্পাদকীয় দিয়ে শেষ করি, ‘গবেষণা খাতে বরাদ্দের এইরূপ চিত্র কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নহে, সরকারি-বেসরকারি সকল বিশ্ববিদ্যালয়েরই। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তাহার ৮০ হইতে ৮৫ ভাগ টাকা চলিয়া যায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে। তদুপরি অবকাঠামোসহ মৌলিক কিছু কাজও করিতে হয় প্রতি বত্সর। ফলে গবেষণার জন্য যথোপযুক্ত অর্থ বরাদ্দের সুযোগই থাকে না। ইতোপূর্বে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষণা খাতে বরাদ্দের বিষয়ে উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করিয়াছে। ইহার এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সনে সরকারি ও বেসরকারি ১২৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে এক পয়সাও ব্যয় করে নাই। এইগুলির মধ্যে ২৮টি বেসরকারি আর ১১টি সরকারি। কোনো ধরনের প্রকাশনা ও সাময়িকী নাই বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক বা ছাত্র স্বপ্রণোদিত হইয়া বা নিজস্ব অর্থায়নে গবেষণা করিতেছেন এমন নজিরও নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক গবেষণা করিবেন তাহা আমরা আশা করি না। কিন্তু হাতে গোনা যে কয়েকজন গবেষণা করেন তাহার মান নিয়াও যথেষ্ট প্রশ্ন থাকিয়া যায়। ফলে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষণার চিত্র ভয়াবহই বলিতে হইবে।

শিক্ষা ও গবেষণা খাতে ব্যয় কম কেবল বাংলাদেশেই। এইখাতে মোট জাতীয় আয়ের দশমিক এক শতাংশও বরাদ্দ থাকে না। অথচ উন্নত বিশ্বে এইখাতে অনেক বেশি ব্যয় করা হয়। আর, বিশ্বের মান-সম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি গবেষণাকে প্রাধান্য দান করিলেও আমাদের দেশে এই খাতের চিত্র উল্টা। গবেষণা খাত সবচাইতে অবহেলিত। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ দুইটি। প্রথমত, শিক্ষাদান। দ্বিতীয়ত, শিক্ষাদানের জন্য নূতন নূতন জ্ঞানের উদ্ভাবন। একটিকে বাদ দিয়া অপরটি চলে না। গবেষণা না করিয়া জ্ঞান সৃষ্টিও সম্ভব নহে। ইহার ফলও আমরা হাতেনাতে পাইতেছি। অপ্রিয় হইলেও সত্য যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি দিনে দিনে অজ্ঞানতার ‘ভাগাড়ে’ পরিণত হইতেছে। শিক্ষকেরা সংকীর্ণ দলীয় লেজুড়বৃত্তি, টেলিভিশনের টক-শোতে ফাঁকা জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতাবাজি আর এনজিওগুলিতে টাকার ধান্দায় লিপ্ত হইয়া থাকিতেছে।‘’


আমার এই আগের পোষ্টটিও পড়ে দেখতে পারেন: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কতটা উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক হিসেবে আমাদের গড়ে তুলছে? নাকি যারা এখানে ভালো করছে তারা কিছুটা স্ব-উদ্যেগী হয়ে শত প্রতিকূলতার মাঝেও নিজেকে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্ঠা করে যাচ্ছে...।

মন্তব্য ৯৬ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৯৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৩

বিলুনী বলেছেন: খুবই তথ্যবহুল গুরুত্বপুর্ণ কথা । ভাল লিখেছেন । এর জন্য দায়ী মাথা মোটা অযোগ্য আমলাতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: এর জন্য দায়ী মাথা মোটা অযোগ্য আমলাতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা । -- বহুলাংশে সত্য। সাথে ক্ষমতালোভী তথাকথিত দেশপ্রেমিক নেতাদের যোগ করে দিন। এই দুই দল মিলেই দেশের বারোটা বাজিয়ে চলছে জন্মের পর থেকেই।

বিবেক বলে কিছু অবশিষ্ট থাকলে জাতির মাথা এতটা মোটা হত না।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সাথে বাংলাদেশের তুলনা?
যুদ্ধ শেষে ওরা কত বিলিয়ন ডলার পেয়েছিল আমেরিকার কাছ থেকে। বিশাল বিশাল অবকাঠামো তৈরি করে দিয়েছিল।
বাংলাদেশ সুরু করেছিল এবসোল্যুট শুন্য রাজকোষ নিয়ে। এরপরও দখলদার পাকিদের চেয়ে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সাথে বাংলাদেশের তুলনা? -- এখানে তুলনাটা করা হয়েছে অাজ থেকে কয়েক দশক আগের অবস্থা আর বর্তমান অবস্থার।

অাপনার অজ্ঞতা দূর করার জন্য কিছু তথ্য যোগ করছি। দক্ষিণ কোরিয়া যুদ্ধের পরে তৎকালীন পাকিস্থানের (বাংলাদেশও পাকিস্থানের অংশ) অর্থনীতিকে ভিত্তি ধরে নিজেদের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সাজিয়েছিল পাকিস্থানেরই এক অর্থনীতিবিদ মাহবুবুল হকের দ্বারা। তখনকার কোরিয়া রীতিমত পাকিস্থানের অবস্থা দেখে ঈর্ষা করত। এখন পাকি তথা বাংলাদেশ কোথায় আর কোরিয়া কোথায়? সেটাই অালোচনা করা হচ্ছে এই পোষ্টে।

আর যুদ্ধ শেষে বাংলাদেশও কম ডলার পায় নি। এরপরও কম আসে নি। শত শত কোটি ডলার এসেছে। কিন্তু ডলারটা তো সঠিক জায়গায় ব্যয় করা শিখতে হবে। সেটাই ঘটে নি। আর এই বিষয়টা নিয়েই আলোচনা।

বড় ধরণের যুদ্ধের পরে সব দেশই শুন্য রাজকোষ দিয়েই শুরু করে। জার্মানীরও যুদ্ধ শেষে রাজকোষ পূর্ণ ছিল না। এখন আপনার উচিত যুদ্ধের পরে ঐসব দেশের শিক্ষাখাতের ব্যয় তথা মানবসম্পদ উন্নয়নে জিডিপির কত শতাংশ ব্যয় হয়েছিল আর বাংলাদেশের কত শতাংশ। আর সেই বরাদ্দকৃত টাকাগুলো কতটা উন্নয়নে ব্যয় হয়েছিল আর কতটা নিজেদের পকেটে ঢুকেছিল সেটাও বাংলাদেশের সাথে তুলনা করবেন। আর এই বিষয়গুলো নিয়েই অালোচনা হচ্ছে। সেটা যেমন এ দেশে যুদ্ধের পরে তছরূপ হয়েছে। এর পরেও হয়েছে। এখনও হচ্ছে।

আশা করি এ বিষয়ে আর বিস্তারিত লিখতে হবে না।

আর দখলদার পাকিদের থেকে পিছিয়ে আছি কি এগিয়ে আছি তা অালোচ্য বিষয় নয়। আমরা যে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের থেকে পিছিয়ে আছি সেটিই অালোচ্য।

ধন্যবাদ অালোচনায় যোগ দেওয়ার জন্য।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৫

সোহাগ সালেহ বলেছেন: যে দেশের বুদ্ধিজিবীদের সে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের ২ দিন আগে হত্যা করা হয়, সে দেশ কতটুকুই আর উন্নত হবে?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: এটা একটা কারণ। পাকিরা ও তাদের এ দেশীয় দোসরা চেয়েছিল এ দেশকে মেধাশুন্য করতে। কিছুটা সফলও হয়েছে তারা। এটা জাতির জন্য বড় ক্ষতির কারণ ছিল।

কিন্তু যাঁরা ছিল তাঁরাও সংখ্যায় নিতান্তই কম ছিল না। বাস্তবতা হচ্ছে এই সকল বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের অাখের গোছাতেই বেশি ব্যস্ত ছিল তাই দেশের জন্য গুটিকয়েক বাদে বাকিদের কোনো মায়া-ভালোবাসা না থাকার দরুনই জাতিকে আজ এই চরম মুহূর্তগুলো পার করতে হচ্ছে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: মেধা ও মনন কোনো অলৌকিক বিষয় নয়। এটা চর্চার ফল। যে জাতি যত বেশি চর্চারত এই বিষয়ে সে জাতি গোটা বিশ্বে ততই অগ্রসরমান - এ কথা ধ্রুব সত্য।
মৌলিক গবেষণা ছাড়া একটি জাতি কোনভাবেই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। এটা না করলে সারাজীবন আমাদের অন্যের গোলামী করেই যেতে হবে - এটাও।
যখন দেশের সেরা ছাত্ররা মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং বা ভার্সিটির ফলাফলে টপ পজিশনে থেকেও গাইডবই পড়ে চাকরীর ধান্ধায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন বুঝতে হবে জাতি এক ভয়ঙ্কর সময় পার করছে - এ ভাবনাটা আমার মাথায়ও এসেছিল, যখন দেখেছি আমার ছেলে আর বৌমা অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছাত্রী হবার পরেও বিসিএস পরীীক্ষার পূর্বে গাইড বই এর আশ্রয় নিতে গলদঘর্ম হতো।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এই রিসার্স প্রোপাজাল শব্দটা নিয়ে আতঙ্কে থাকে - :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: সারা বিশ্বে টপ কোয়ালিটির ছাত্ররা হয় একাডেমিসিয়ান কিংবা গবেষক বা উভয়টাই। কিন্তু বাংলাদেশে অন্য সব কিছুর মতো এখানেও ব্যতিক্রম।

এখানে এখন শিক্ষকতা পেশায় যাচ্ছে গবদামার্কা মেধাহীন বেশির ভাগ ছাত্র অসততার মাধ্যমে। ইনারা ছাত্রদের কীভাবে মোটিভেইট করবে?

ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার খায়রুল অাহসান মন্তব্য ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকুন।

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ বিষয়টা নিয়ে আপনি ভাবনা করছেন, নিবন্ধ লিখেছেন, এতে আশান্বিত হচ্ছি। ভাবনাগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

আখেনাটেন বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ মনোযোগ দিয়ে পোষ্টটি পড়েছেন বলে।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: অচিরেই কি আমরা একটি মেধাহীন জাতিতে পরিণত হতে যাচ্ছি? এখনো হইনি ? লাখো শুকরিয়া তাহলে | সরকারের সাফল্যের পালকে এই সাফল্য নিশ্চিতভাবেই যোগ করতে হবে !

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

আখেনাটেন বলেছেন: খারাপ বলেন নি। তবে শেষ পেরেকটা কবে পড়ে জাতি তার অপেক্ষায় আছে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ব্লগার মলাসইলমুইনা।

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যাদের এইসব নিয়ে ভাববার কথা তারা তো আছে শুধু কি ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় তা নিয়ে।
দেশ নিয়ে কি তারা আদৌ ভাবে?
যদি ভাবত তবে আজ আমাদের দেশের এই হাল হত না।
সুন্দর একটি লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

আখেনাটেন বলেছেন: ভাবেনা বলেই তো আজকে এইসব ছাইপাশ লিখতে হচ্ছে আমাদের। তারা আছে নিজেদের গদিটা কেউ কেড়ে নিতে আসছে কিনা এই জুজুর ভয়ে। দেশের ভবিষ্যত রসাতলে গেলেই কি আর আসমানে উঠলেই কি?

মহাপ্যাঁচে জাতি।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ব্লগার মোস্তফা সোহেল।

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৯

আরইউ বলেছেন: বড় সমস্যা হচ্ছে লম্বা সময়ের জন্য আমাদের পরিকল্পনার অভাব। আপনি যদি এখন শিক্ষা গবেষণায় ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে আজই ১১০ টাকা তুলে নিতে চান তাহলে তা সম্ভব নয়। লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হবে, হয়ত ১০ বছর, ঐ ১০০ টাকার বিনিয়োগ ১০০ গুন হয়ে ফেরত আসবে।

আমি ছাত্রদের দোষ দেইনা, এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোকেও না। দোষ শিক্ষকদের। মেরুদন্ডহীন শিক্ষকরা যতদিন সংখ্যাগরীষ্ঠ থাকবে ততদিন কিছু বদলাবেনা। রাজনৈতিক দল সুবিধা নিতে চাইলেই কী আপনাকে সুবিধা দিতে হবে? শিক্ষকরা যতদিন মৌলিক গবেষণায় আগ্রহী না হবে ততদিন ছাত্ররাও বিসিএস দিয়ে আমলা খাঁটার জন্য পড়বে, তারা গবেষণামুখী হবে না, অন্টারপ্রেনরশিপ শিখবে না।

@হাসান কালবৈশাখী, দয়াকরে 'চেক ইউর ফ্যাক্টস!' দলকানা হওয়া ভালোনা।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: আসলে কলুষিত রাজনীতি এই মেরুদণ্ডহীন শিক্ষকদের যোগান দিচ্ছে। এখন এটি একটি চেইন সিস্টেমে পড়ে গেছে। একদল ক্ষমতায় গেলে তার লোক। আরেকদল ক্ষমতায় গেলে তাদের লোক। যেন ভোটার নিয়োগের প্রতিযোগিতা।

ফলে তারা যে শিক্ষক সেটিই ভুলে যায়। দলবাজি আর এখনতো মারামারিতেও কামেল মনে হচ্ছে কিছু শিক্ষককে। এদের আর ছাত্রদের মোটিভেইট বা জ্ঞান যোগান দেওয়ার ইচ্ছা বলেন বা সক্ষমতা বলেন কোনটাই নেই। বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কীভাবে নিজেদের ঝোলা ভরানো যায় এই ধান্ধায় ব্যস্ত।

দেখলেন না নিজেকে কীভাবে অামরণ উপাচার্য থাকার খায়েস শো করলেন মাননীয়।

জাতির বিবেক মরে গেছে। দলকানারা ফ্যাক্ট চেক করে না। উনারা ব্যাংকের চেক (চাঁদাবাজীতে) ঠিকঠিক আছে কিনা সেটা দেখে।

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ব্লগার আরইউ।

৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: তাহলেতো ভালো মনে হচ্ছে :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

আখেনাটেন বলেছেন: ভালোই তো! বলদে বলদে লড়াই হবেক! গাধায় গাধায় একঘাটে জলপান করবেক! ;)

ধন্যবাদ।

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মেধাহীন জাতি হবে কি না জানি না। তবে প্রশাসন এবং সরকার কর্মকর্তাদের জায়গাটা মেধা খড়ায় ভূগবে । যেখানে প্রশাসন ৫৫% কোটায় আবার বাকীটুকু ঝামেলাপূর্ণ সেখান থেকে কতটা ভাল আশা করা যায় ??

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: প্রশাসনে ক্ষরা অনেক অাগেই লেগেছে। সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে অাম আদমি। নানারকম অদক্ষতায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। ইনোভেটিভ কোনো পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। উপমহাদেশের সবচেয়ে অদক্ষ প্রশাসন।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমরা ভালো রোহিংগা।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী যদি নোবেল পেয়ে যান, আমরা সবাই আলোকিত নোবেলের মানুষ হয়ে যাবো

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: তাড়াতাড়ি তা পেয়ে জাতিকে উদ্ধার করলেও তো লাভ।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

জুন বলেছেন: সহমত আখনাটেন ।
+

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ জুনাপু।

১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: পোস্ট ভাল লেগেছে। কিছু বিষয় নিয়ে আমি নিজেও এভাবেই ভেবেছি, কিছু বিষয়ে আপনি নতুন ভাবনার খোরাক দিয়েছেন।

প্রথমেই আপনার প্রশ্নের উত্তর - অচিরেই কি আমরা একটি মেধাহীন জাতিতে পরিণত হতে যাচ্ছি? এটা কি আর প্রশ্নের অপেক্ষা রাখে? শিক্ষা পদ্ধতি এমন কিরা হয়েছে যে এখন মেধার কোন ভূমিকা নেই। কোচিং, নোটবই ইত্যাদি দিয়ে শিক্ষাকে করে তোলা হয়েছে পন্য। তারপর প্রাথমিক থেকে শুরু করে সব স্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হচ্ছে। এরপর যারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পৌঁছায় তাদের মেধার পরিমাপ পাওয়া যায় সম্প্রতি প্রকাশিত ঢাবির গ ইউনিটের ফলে। মাত্র ১৪% পাশ!!!! এদের ৯০% জিপিএ ফাইভ কারণ ঢাবিতে এসএসসি ও এইচ এস সি তে প্রাপ্ত নাম্বার যোগ করে ফলাফল দেয়া হয়। এই আমাদের মেধা!!

আর গবেষণা। এখনো ভাল গবেষণা করার সক্ষমতা আছে কিছু ছাত্রের,কিন্তু ফান্ড নেই। এরপর ফান্ড দেয়া হবে যখন বিশ্ববিদ্যালয় ভরতি পরীক্ষায় ১০% পাশ করবে।

আমাদের দেশে উন্নত বিশ্বের মত গবেষণা হবে এটা কেউ আশা করে না। তাই বলে কিছুই কেন হবে না? রিনিউএবল এনার্জি নিয়ে কোন গবেষণা হয় না। অথচ এটা ফান্ড করার মত অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, আমাদের জন্য এটা দরকার আর এদেশে এমন অনেক কিছু রয়েছে যা দিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন সম্ভব। করা হয় না, কারণ তাতে কুইক রেন্টালের মত কুইক চুরির সুযোগ থাকবে না।

২ নং মন্তব্যের একটা যুতসই উত্তর দেবেন আশাকরি।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

আখেনাটেন বলেছেন: গবেষণার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বাংলাদেশের ভালো করা সম্ভব। কৃষি গবেষণাতে বাংলাদেশের অমিত সম্ভবনা রয়েছে। শুধু পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। আর সঠিক মনিটরিং।

শত শত গবেষক বিদেশে কাজ করছে। তারা দেশে আসতে চায়। কিন্তু সরকার সেই ক্ষেত্রটাই তৈরি করতে পারছে না যুগের পর যুগ ধরে।

চীন, ভারত এরা অতীতের ব্রেইন ড্রেইন থেকে এখন ব্রেইন গেইন করছে। যারা আগে পড়াশুনার জন্য দেশত্যাগ করেছিল তারা উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ায় নিজ দেশে একটি অংশ ফিরে অাসতে শুরু করেছে। এটি তাদের জাতির জন্য অাশির্বাদস্বরুপ।

আর আমরা প্রতিনিয়ত হারাচ্ছি জাতির সেরা সন্তানদের। এদের ফিরে আনারও কোনো পরিকল্পনা নেই। ভয়াবহ অবস্থা। এভাবেই মেধাহীন জাতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো একটা সমস্যা তুলে ধরেছেন ভাই, বিষয়টি সত্যি আগামীকে বিপদে ফেলবে এমনটা আমারও ধারণা। সবকিছু কেমন ব্যবসায়ে পরিণত হচ্ছে দিনদিন!!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

আখেনাটেন বলেছেন: হুম। শিক্ষা এখন ব্যবসা। এটা হত না যদি স্বচ্ছ্ব মনিটরিং ব্যবস্থা থাকত। কিন্তু দুর্ভাগ্য এ জাতির। কে করবে সেই নীতি?

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীর নিকৃস্টতম দেশের নিকৃস্টতম শিক্ষাব্যাবস্হাতে এর চাইতে ভাল কিছু আশাই করিনা! গন্ডারের অনেক উপকারিতা আছে এখন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যা প্রোডাকশন হসসে সে গুলান কোন কামেরই না! জিপিএ পাঁচ পেয়ে তার ইংরেজী বলে ' আই এম জিপিএ ফাইব' ।
পুরোণো একটা গল্প মনে পড়ল। এক মহিলা তার স্বামীর জন্য জন্মদিনের গিফট কিনতে গেছেন। বিরাট দোকান, দোকানদার অনেক কিছু দেখাল মহিলার পছন্দই হয় না। শেষে দোকানদার বলে 'আচ্ছে তাকে একটা ভাল বই উপহার দিননা'। মহিলা রাগত স্বরে বললেন 'ওটাও (বই) তো তার (স্বামীর) একখান আছে'!
ভিসিরা ব্যাস্ত মন্ত্রী আর উপরের নেতাদের তেল মারতে, আরেক টার্ম কিভাবে ভিসি থাকা যায় সারা বছর সেই চেস্টা করতে, সরকারকে খুশী রাখতে, লেখাপড়া নিয়ে ভাবার টাইম কই? কি ভয়াবহ অবস্হা!
হেড মাস্টাররা বলবে ' ময়ুর সিংহাসন আমি চুরি করি নাই'। ভাল কথা দেশের ২১০০০ প্রাইমারি স্কুলে হেড মাস্টারই নাই! অর্থ মন্ত্রী ব্যাংক চোরদের খরচের জন্য-- বাঁচাবার জন্য ২০০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেন, ওদিকে হেডমাস্টার রাখার টাকা নাই!!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

আখেনাটেন বলেছেন: আসলে আমরা মানুষগুলো হয়েছি ভীষণ স্বার্থপর। শুধু নিজেকে নিয়ে বাঁচতে চাই। সেটিই জাতির উপর অভিশাপের মতো হয়ে গেছে। যে যেভাবে পারছে লুটতরাজ করে চলেছে। কিসে দেশের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে থোড়াই কেয়ার করছে না রাজনীতিবিদ না আমলা না জনগণ। গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়েছি সবাই।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ব্লগার ঢাকাবাসী।



১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮

নতুন বলেছেন: সহমত....

সরকার শিক্ষা গবেষনা উদ্ভাবনে বিনিয়োগ না করলে জাতীর কোন লাভই হবেনা।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আখেনাটেন বলেছেন: এটা সরকার মশায়ও ভালো করেই জানে কিন্তু কেন মানে না তা এক রহস্য! ইনারাই আবার এক একটা দেশপ্রেমিকের ডিব্বা।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন জ্ঞানগর্ভ সময়োচিত পোষ্ট! +++

চলতি শিক্ষানীতিতে এই দশ বছরে জাতিকে অন্তত হাজার বছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এই আইএম জিপিএ ফাইভ জেনারেশন যখন দাপ্তরিক দায়িত্বে থাকবে তখনকার কথা ভাবতেও ভয় হয়।
এই ব্যর্থতা কেবল ব্যার্থ রাজনৈতিক নয় বরং বাইরের কোন সূদূরপ্রসারী বিনিয়োগ কিনা তাো ভাবা যেতে পারে।
জাতিগত সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্স বা বানিজ্যিক ভবিষ্যতে বা চানক্য কোন নীতির বিষপল কিনা সেই ভাবনাো ফেলে দেবার মতো নয়!

সৃজনশীলতার নামে যে ভয়াবহ এক্সপেরিমেন্ট করল- লাখো কোটি ছাত্র ট্র্যাক হারা! তারা ভবিষ্যতে জাতিক ভাল কিছু কিভাবে দেবে- যার ফাউন্ডেশনই কাঁচা!!

কাঁদলে কেউ দেয় না। অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়। শিক্ষা অধিকারের জণ্য সিদ্দিক চোখ হারিয়ে -টেলিফোন অপারেটর হল!!!!
এই কি ছিল সিদ্দিকের স্বপ্ন??????

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

আখেনাটেন বলেছেন: অামলা ও বুদ্ধিজীবীদের অসৎ রাজনৈতিক নেতাদের চামচামি ও তাঁবেদারীই জাতির সব ভালোত্বকে খেয়ে ফেলেছে। শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। সেখানেও যখন চামচামি গুবরে পোকার মতো কিলবিল করতে থাকে তখন জাতির শেষ অালোটুকুও যে দপ করে নেভার অপেক্ষায় আছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আর যার কারণেই দেশের কোনো ইউনি বিশ্ব র্যাংকিং এ পাত্তা পায় না। উল্টোমুখে চলছে স্বদেশ। শিক্ষা এখন পণ্য। নব্য জমিদারদের তো টেনশন নেই। যত দামি পণ্যই হোক তাদের হাতের নাগালে। মরণ সেই সিদ্দিকদের।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ব্লগার বিদ্রোহী ভৃগু। ভালো থাকুন।

১৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

জেরার্ড পিকে থ্রি বলেছেন: সহমত! আমরা সবাই জন্মগতভাবে ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জন্মগ্রহণ করি!

সরকারের অবশ্যই শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত। তবে সবার আগে প্রয়োজন জনসচেতনতা বাড়ানো। এক্ষেত্রে জাপান আমাদের রোল মডেল হতে পারে। তবে অন্ধ অনুকরণ নয়, উন্নত চিন্তাশক্তির অনুকরণ করা যেতেই পারে নিজেদের স্বার্থে!

সবচেয়ে জরুরী যে বিষয়টা আমাদের করা উচিত সেটা হল, নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরা!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

আখেনাটেন বলেছেন: মৌলিক গবেষণা ছাড়া কোনো জাতিই তার অবস্থানকে বিশ্বে সুসংহত করতে পারবে না। ইসরাঈল ছোট্ট একটি দেশ। তার যে গবেষক সংখ্যা তা গোটা অারব বিশ্বে নেই।

গত বছর শুধু বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ দেশ দক্ষিণ কোরিয়া থেকেই অামেরিকাতে পড়াশুনা করতে গেছে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ছাত্র। তাদের বড় একটি অংশ পড়াশুনা শেষে দেশের প্রতিষ্ঠানে এসে যোগ দিবে, দিচ্ছে। আর কোরিয়াকে পশ্চিমাদেরও ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ সম্পদহীন জনবহুল একটি দেশ। আজ কোথায়।

ইনোভেশনের কোনো বিকল্প নেই।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

গড়াই নদীর তীরে বলেছেন: প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (আপনিও সম্ভবত ওখানকার গ্রাজুয়েট)। সেখানে কি হয় জানেন?

রেহানার মেয়ে টিউলিপ লন্ডনে এম পি হওয়ায় ছাত্রলীগ আনন্দ মিছিল বের করে। ছেলেদের হল এমনকি মেয়েদের হল থেকেও অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীকে ক্লাসে অনুপস্থিত থেকে এই জাতীয় মিছিলে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়।

আহ! কি অদ্ভুত সেই সব দৃশ্য!
যারা একটি জাতির স্বপ্ন আশা। যারা আত্মবিশ্বাসের বলে বলীয়ান হয়ে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারা একটা ডাবলিং বেডে ঠাই পাওয়ার জন্য ক্লাস টাইমে কলা ভবনের সামনে লাফাচ্ছে, তালি বাজাচ্ছে আর মুখে স্লোগান দিচ্ছে -"শুভ শুভ শুভদিন-শেখ হাসিনার জন্মদিন!"
কারা এগুলো করাচ্ছে? হলের কথিত বড়ভাইরা।
তাদের স্বার্থ? নেতাদের কাছে নিজেদের ম্যান পাওয়ার দেখিয়ে পরবর্তী কমিটিতে একটা পদ বাগানো। কত ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য কত বৃহৎ বলি!
এই অক্সফোর্ড দিয়ে জাতির কি উন্নতি চান আপনি?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫০

আখেনাটেন বলেছেন: এসব দেখেও সবাই ঘোড়ার মতো চোখে ঠুলি পরে অাছে। গায়ে গণ্ডারের চামড়া। অার রাজনীতির মাঠ গরম করে রাজা উজির মারছে।

জাতিকে স্বপ্ন দেখানোর মতো কেউ নেই।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: পরমাণু শক্তি কমিশন, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটএর মতো আরো গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। আমরা গরীব জাতি। ২৫ বছর শুধু লেখাপড়াই করি। এরপর দ্রুত আয় রোজগারে নেমে পড়তে হয়। জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। ভার্সিটির লেকচাররা যা পান তাতে কোন রকমে খেয়ে পরে বেচে থাকা যায়। পেটের দায়ে এই ভার্সিটি ওই ভার্সিটি দৌড়েই দিন শেষ হয়। প্রমোশন পেয়ে এসোসিয়েট প্রফেসর হতে হতে বয়সটা অনেক বেড়ে যায়। তখন আর এতো উদ্যম থাকে না তাছাড়া পরিবারকেও সময় দিতে হয়। গবেষণাকে প্রফেশন হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে সুফল পাওয়া যাবে না।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

আখেনাটেন বলেছেন: কিছু রিসার্স ইনস্টিটিউট তৈরি করে সন্মানজনক বেতনে পিএইচডি গবেষক নিয়োগ দিতে পারে না সরকার। রিসার্স প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার জন্য বিদেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের উচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে অানতে পারে।

এর জন্য দরকার একজন দেশপ্রেমিক নেতা। এই জায়গাতেই গণ্ডগোল। আমরা মুখে দেশপ্রেমিক, দেশপ্রেমিক বলে ফেনা তুলে ফেলছি। কিন্তু কাজ করছি জনগণের কল্যাণের বিপরীতে। কথা ও কাজের মিল নেই। ফলে সবকিছুতেই যাচ্ছেতাই অবস্থা।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ব্লগার লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস। ভালো থাকুন।

২১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: এই শিক্ষিত দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে পড়ে লাইব্রেরীতে হাবিজাবি গাইডবই গলাধঃকরণ করে চাকরী সর্বোচ্চ তথাকথিত শিক্ষিত নয়।

যথাযথ বলেছেন। গাইড বই পড়ে চাকরীর পরীক্ষা দেয়াটা আমার কাছে এক ধরনের ছাগলামি। আজীবন পরাশুনা করলাম বিজ্ঞান বিভাগে, চাকরীতে আমাকে প্রশ্ন করা হল, উগান্ডার রাজধানীর নাম কি কিংবা সৌদির তেল ব্যবসায় লাভ লস হিসেব কর।


এত লোক প্রতিবছর অনার্স পাশ করে যাচ্ছে, এদের জব ফিল্ড কোথায় !! কেনইবা এত লোক উচ্চশিক্ষা নিতে এত আগ্রহী ! আমি এসবের উত্তর ভেবে পাই না।


পোষ্ট টা ভাল লাগল।


ধন্যবাদ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৭

আখেনাটেন বলেছেন: আমাদের উচ্চশিক্ষা তো আসলে ইনোভেশনমুখী নয়। পড়ে নতুন কিছু অাবিস্কারের নেশা এই পড়াশুনা থেকে উধাও হয়ে গেছে। ফলে দু একজন যদিও বা স্রোতের বিপরীতে চলে চাকরীমুখী থেকে গবেষণামুখী হচ্ছে তারাও পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোকষতার অভাবে ট্রাক পরিবর্তন করছে অথবা দেশান্তরী হচ্ছে।

জাতির মাথার উপর বসে থাকা মহামানবের তা কি জানে না। জানে এবং এর থেকে উত্তরণের উপায়ও জানা থাকা সত্ত্বেও তা কার্যকর করে না। চরম ভণ্ডামী। সারা দেশ ভরে গেছে এইসব ভণ্ডামীতে। তাই এখানে আর মেধার চর্চা হয় না। সবকিছুতেই মরচে পড়ছে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ব্লগার জাহিদ অনিক।

২২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আগে তাও দু-একটা বিদেশে মেধা পাচার হতো ;এখন হলে হবে সব গাধা পাচার।




এখন এতো পড়ে কি লাভ? এতো পড়াশোনা করে চাকরির পাওয়ার ক্ষেত্রে নিজের মেধা ছলনা করে না,আমাদের মামু,খালুরা।


২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১০

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো বলেছেন। সরকার গাধা তৈরির কারখানা বানাচ্ছে।

এভাবেই খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে হবে জাতিকে। অন্যরা লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে যাবে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ব্লগার শাহরিয়ার কবীর।

২৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন ,




খুব ভালো একটি পোস্ট ।

যেখানে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধু এই জাতীয় রেওয়াজই চালু -- " .... ভাইয়ের হুলিয়া নিতে হবে তুলিয়া " সেখানে আপনি আর কি আশা করেন ?
নিজেদের সামান্য ব্যক্তি স্বার্থের জন্য যে দেশের লোকজন দেশ পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে পারে সেখানে আশার কোনও আলো কোনদিন জ্বলবে কিনা সন্দেহ আছে । স্কুল কলেজের ইট যে খুলে এখনও বিক্রি করতে শুরু করেনি এটা আমাদের ভাগ্য ।

( উচ্চ , নিম্ন সকল শিক্ষার লেজেগোবরে, কাদামাটিতে গড়াগড়ি অবস্থা দেখে নিস্ফল আক্রোশে এমন হতাশাজনক মন্তব্য ।
কেউ অন্যভাবে নেবেন না )

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো বলেছেন।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন নামেই বিশ্ব। দেখনদারী বিশ্ববিদ্যালয়। তদবিরের শিক্ষকের মর্যাদা পাওয়া অধিকাংশই মাথামোটা। ছাগল দিয়ে হালচাষের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আর ছাগল দিয়ে যেহেতু হালচাষ সম্ভব নয়, তাই ছাগলেরা বিভিন্ন ক্ষেতখামারের মূল-পাতা খেয়ে জীবনধারণ করছে অার ইউনিগুলোকে খাদের কিনারে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষা ও গবেষণার এই চরম অবস্থা আমাদের এখনও বোধগণ্য হচ্ছে না। অাপসোস।


অালোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ব্লগার অাহমেদ জী এস।



২৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ আখেনাটেন সময়োপযোগী পোস্টটির জন্য বা বলতে পারেন যুগ যুগ ধরেই এটি সময়োপযোগী পোস্ট। কারন কোনকালেই কোন ক্ষমতাসীন মাথাওলাই এটি নিয়ে ভাবেনি। আগে যাও হতো তা সম্পূর্ণ ব্যাক্তি পর্যায়ে হতো। সময়ের সাথে সে ব্যাক্তি পর্যায়ের দূরাবস্থা দেখে কেউই আর এগিয়ে আসেনি। এখন শুধু একটাই ধারা, কে কিভাবে বিদেশের একটা স্কলারশীপ জোগাড় করে দেশ থেকে ভাগতে পারে।

আপনার কি ড: মাকসুদের(পাটের জিন রহস্য ইদ্ধারকারী বিজ্ঞানী) সেই সাক্ষাতকারের কথা মনে আছে, সেখানে উনি বলেছিনের যে বিজ্ঞানীকে যদি সারাক্ষন আলু পটল আর সংসার কিভাবে চলবে তার হিসবে রাখতে হয় তাহলে তার বিজ্ঞান চর্চা কিভাবে হবে??

হাঁ, সেই বিজ্ঞানী ড: মাকসুদের কথা বলছি, যিনি মিলিয়ন ডলারের লোভ ছেড়ে দেশের জন্য ফিরে এসেছিলেন ও পাট, চা সহ আরো অনেক গভেষনা করে বাংলাদেশের নাম বিশ্বের মাঝে লিখিয়েছিলেন। তারপর ও থাকতে পারলেন না। সামান্য ফান্ডিং এর অভাবে আবারো ফিরে গিয়েছিলেন আমেরিকা আলু পটলের খরচ জোগাতে।

সঠিক সময়ে বা সঠিক জায়গায় ইনভেষ্টমেন্টের চিন্তা থাকলে আজ আমরা মালয়শিয়া বা তার কাছাকাছি কিছু হতে পারতাম। শুধু অাই এম এ জিপিএ ফাইব প্রডাকশান করলেতাে এ অবস্থাই হবে দেশের।

অনেক ভালো থাকেন...

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: ইনোভেটিভ মাইন্ডসেট ছাড়া কোনো জাতিরই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। অাগে আমরা জানতাম চীনারা সবকিছু নকল করে। বাস্তবেই তাই ছিল। তারা কয়েক দশক পেছনে তাকালেই দেখা যাবে ইনোভেশনের বদলে উৎপাদনমুখী ছিল নকল করে। ৯০'র দশকে তাদের টনক নড়ে। চীনারা প্রচুর বিনিয়োগ করে গবেষণা ও উন্নয়নে। আগে জিডিপির ১ শতাংশও ব্যয়ও এখাতে ব্যয় করত না। আর এখন ব্যয় করছে ২ শতাংশেরও উপরে।

ফলটাও হাতে নাতেই পাচ্ছে। যে চীনাদের ২০০০ সালের আগেও ফরচুন ৫০০ লিস্টে কোনো কোম্পানী ছিল না। সেখানে এখন ফরচুন ৫০০'র প্রথম থেকে শুরু করে ৫০'র বেশি কোম্পানী চীনাদের। দু দশক আগেও চীনা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র‌্যাংকিং এ অনেক পেছনে ছিল। সেই চীনাদের পিকিং ইউনি এখন ৩০'র মধ্যে। ভাবা যায়। প্রথম সারির বেশ কিছু রিসার্স ইউনি। দেদারসে টাকা ঢালছে চীনারা গবেষণার পেছনে।

ফলে বের হয়ে আসছে হুয়াওয়ে, শাওমি, লেনোভো, অালীবাবা, বাইদু, টেনসেন্ট, মেজর ব্রিজের মতো কোম্পানীরা। এর বেশির ভাগেরই ২০০০ সালের আগে জন্মই হয় নি। আর এখন ওয়ার্ল্ড লিডার হওয়ার পথে আছে।

এসব ঘটেছে কারণ তারা বুঝেছে বিনিয়োগটা কোথায় করতে হবে। সেখানেই করেছে। আর ডিভিডেন্ট ঘরে তুলছে। ]

এখন ভারতীয়রাও সে পথ ধরেছে। আর আমরা এসব দেখে-শুনেও চোখ-মুখে কাপড় গুঁজে বসে আছি।

শত শত ড। মাকসুদের স্যারের মতো লোক জন্মভূমিতে সন্মানজনক সেলারীতে কাজ করার জন্য মুখিয়ে অাছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য জাতির। অসৎ ও অপরিণামদর্শী নেতা ও অামলাদের কারণে তারা এদেশে কাজের সুযোগ পাচ্ছে না বা সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। কী নিদারুণ অবহেলা মেধার প্রতি!

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ব্লগার সোহানী।

২৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: শিক্ষা খাতকে অগ্রাদিকার না দিলে দেশ আগাবে না এটাই বাস্তবতা। আমাদের দেশে শিক্ষাকে দিন দিন উন্নত হবার চেয়ে বানিজ্যে পরিনত হচ্ছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কর্মি তৈরির কারখানা অথচ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া উচিৎ গবেষোনার প্রান কেন্দ্র, নতুন জ্ঞান তৈরি করাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ।

এর উপর আমি একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম।

ধন্যবাদ সুন্দর এবং তথ্যযুক্ত পোষ্টের জন্য।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

আখেনাটেন বলেছেন: ইত্তেফাকের সম্পাদকীয়তেই বলে দিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আমরা 'ভাগাড়ে' পরিণত করছি। শুধুই অাবর্জনা তৈরির কারখানা। এভাবে চলতে থাকলে জাতির অভিশাপে পরিণত হবে। কোটি কোটি চাকরীমুখী তথাকথিত শিক্ষিত নিয়ে কি করবে জাতি?

আপনার পোষ্টিটি দেখলাম। চমৎকার লেখা ও পরামর্শ।

ধন্যবাদ অালোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য ব্লগার কাছের-মানুষ।

২৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০

জেরার্ড পিকে থ্রি বলেছেন: এক্ষেত্রে আমি সোহানী আপুর কথার শেষে কিছু কথা যোগ করতে চাইবো। ড.মাকসুদুল আলম এরপর আবার দেশে ফিরে আসেন এবং তোষা পাটের(Corchorus olitorius)জিনোম রহস্য আবিষ্কার করেন। তবে চুক্তি ছিলো প্রত্যেক মাসে তাকে ২ কোটি টাকা বেতন হিসেবে দেওয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি তা পান নাই। ১৬ কোটি টাকা বাকি ছিলো। যা তিনি মৃত্যুর আগে মাফ করে দেন। এখন প্রশ্ন হলো, এভাবে যদি চলে তাহলে কি কেউ মৌলিক গবেষণায় আগ্রহী হবে?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

আখেনাটেন বলেছেন: যে দেশে গুণীর কদর নেই সে দেশে গুণী জন্ম নেবে না। ভুলক্রমে নিলেও পালাই পালাই করবে এটাই স্বাভাবিক।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮

সোহানী বলেছেন: আবারো ফিরে আসলাম.... ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না। দেশের জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার এনেছিলাম আর ড: মাকসুদ স্যারের মতো নিজের বেতনতো দূরে থাক জীবন নিয়েই টানাটানি পড়ে গেছিল। অথচ মাসে ১০ লাখ টাকা করে বেতনের ভুটানী আর ইন্ডিয়ান কনসালটেন্ট এর বুদ্ধি ও পলিটিক্স এ নিয়ে টোটাল ফান্ডিং হারালো। এখন বলেন বিদেশ যাবো না তো পড়ে পড়ে লাশ হবো.................

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

আখেনাটেন বলেছেন: এইসব অস্বাস্থ্যকর কর্মকাণ্ডের কারণেই তো জাতির বেহাল দশা। এটাই এখন আমাদের নিয়তি খুড়িয়ে খুড়িয়ে পথ চলা। মহান দেশপ্রেমিকেরাও তাই চায়।

পুনরায় মন্তব্য করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪০

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: বিলুনী বলেছেন: খুবই তথ্যবহুল গুরুত্বপুর্ণ কথা । ভাল লিখেছেন । এর জন্য দায়ী মাথা মোটা অযোগ্য আমলাতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ।

সহমত

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ অালোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য ব্লগার সামিউল ইসলাম বাবু।

২৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আসলে ভেবে পাচ্ছি না কোথায় এবং কেন এই গলদের গোঁড়া।।শিক্ষার সাথে জড়িত এমন কোন প্রতিষ্ঠান আমার চোখে ধরা পড়ছে না, যারা জাতির বর্তমন বেহাল অস্থার জ্য দায়ী নয়!! আর বর্তমানেতো চলছে পড়াশুনা নিয়ে পরিক্ষা-নিরীক্ষা!! ফলাফল তো দেখেই পাচ্ছি।। সব যেন জিপিএ ফাইভ।। মনটা বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তারপরও শান্ত থাকি।।
ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ব্লগার সচেতনহ্যাপী।

'বিবেকের দংশন' বলে একটা কথা আছে। খারাপ কাজ করলে এটি হয় বলে অনেকে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। শত অভাব অনটনের মাঝেও ঐ শব্দ দুটি কাঁটা হয়ে থাকে বলে অন্যায় করা সম্ভব হয় না।

আমাদের উপরওয়ালাদের ডিকশনারীতে ঐ শব্দ দুটি অনপস্থিত। ফলে শত অন্যায় করলেও গায়ে বাঁধে না। তাই তারা জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা অাত্মসাৎ করে খুশি মনে। এই বিবেকবর্জিত অংশটির জন্যই জাতির পশ্চাদপদতা। তারা শিক্ষিত তবে সামনে উপসর্গ 'কু' যুক্ত করে।

৩০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আখেনাটেন, মুল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ লেখাটির জন্য । দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য গবেষনার গুরুত্ব , এর প্রতি যথাযথ কতৃপক্ষের অবহেলা বা উদাশীনতা এবং স্বল্প বাজেট বরাদ্ধের কথামালা খুব পরিস্কার ভাবে উঠে এসেছে লেখাটিতে । উন্নত বিশ্ব এমনকি বিশ্বের অনেক দরিদ্র দেশের থেকেও আমাদের দেশ গবেষনার ক্ষেত্রে কতখানি পিছিয়ে আছে সে সকল বিষয়াবলী এ লেখাটিতে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে ।

তবে একটি বিষয়ে কষ্ট লাগে এ লেখাটিতে যে সমস্ত গঠনমুলক বিষয় উঠে এসেছে এবং সরকারের দুর্বলতা , অসমর্থতা কিংবা দুর্বলতার কথা এ ব্লগের বিভিন্ন বিজ্ঞগনের মন্তব্যে উঠে এসেছে সে গুলি যথাযথ কতৃগক্ষের নজরে পড়বে বলে মনে হয়না । আমার জানা মতে বাংলাদেশের প্রতিটি মন্ত্রনালয় ও সরকারী আধা সরকারী , সায়ত্বসাসিত সংস্থায় একজন করে তথ্য অফিসার আছেন যিনি দেশের ষখর সংবাদপত্র ও মিডিয়ায় প্রকাশিত গুরুত্বপুর্ণ সংবাদ এবং দেশের যে কোন খাতের উন্নয়ন সংক্রান্ত খবর, প্রবন্ধ ও মতামত এর পেপার ক্লিপিং সংণ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সংস্থা প্রধানের নিকট সকাল বেলাতেই উপস্থাপন করার কথা । মন্ত্রী ও সংস্থা প্রধান সেগুলিতে প্রথমেই চোখ বুলিয়ে সেগুলির বিষয়ে করনীয় কাজ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে দিনের কাজ শুরু করার কথা । কিস্তু বাস্তবে তা হয়না । ফলে গুরুআ্বপুর্ণ বিষয় থেকে যায় তাদের আগোচরে শুধু প্রাধান্য পায় যে গুলিতে নির্মানকাজ আর মেটেরিয়াল প্রকিউরমেন্ট জড়িত আছে ।

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হতে জানি এমনকি এ ব্লগেও আমি অতি সাধারণ মানের হলেও বাংলাদেশের জন্য বেশ কিছু সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করে লেখা পোষ্ট করেছি । আমার লেখাগুলি নিয়ে দেশের বেশ কটি সংবাদ পত্রের সাথে কথা বলেছি , তারা বলেছেন ছবিবাদ দিয়ে অল্পকথায় ২/৩শত শব্দের মধ্যে হলে তারা লেখাটি প্রকাশ করবেন । আমি বলেছি আমার কোন লেখাই ১০০০০ শব্দের নীচে নয়, সাথে প্রায় অর্ধশতাধিক ইমেজ অআছে , এগুলি লেখার মধ্যে না থাকলে অামি সংবাদ পত্রে আমার লেখা দিতে রাজী নই । তবে বসেো থাকেনি । সস্ভাবনামুলক বিষয়গুলি নিয়ে সংষ্লিষ্ট অনেকের সাথে কথা বলেছি । আপনি ঠিকই বলেছেন অনেকেই জানেন না যে একটি গবেষনা প্রস্তাবনা ( Research Proposal) কিভাবে তৈরী করা যায় । বাংলাদেশের এই দুর্বলতার সুযোগটুকু বিভিন্ন টেকনিকেল এসিসটেনসের আওতায় বিদেশিরা ভোগ করে নিচ্ছে , তাইতো দেখা যায় গবেষনাসহ যে কোন প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি হতে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত সকল কাজ বিদেশী কনসালটেন্ট দ্ধারা করানো হয়ে থাকে , এতে অবশ্য দেশী বিদেশী উভয়েরই বেশ ফায়দা আছে । তবে এগুলি গবেষনা কর্ম হলেও কোন মৌলিক গবেষনা কর্ম নয় , শুধু বাইরের টেকনোলজিকে কিভাবে বেশী দামে কেনা যাবে সে বিষয়ের গবেষনা । আর এই ধরনের গবেষনার জন্য অর্থের কোন অভাব নেই , প হাজার কোটি টাকার সকল বড় প্রকল্পের মধ্যে এরকম সেকেন্ডারী গবেশনার জন্য মোটা অংকের অর্থ বরাদ্ধ আছে , শুধু নাই দেশী বিজ্ঞানীদের মাধ্যমে মৌলিক কোন বিষয়ের গবেষনার জন্য অর্থ বরাদ্ধ । তাই মৌলিক গবেষনাখাতে অর্থ বরাদ্ধের জন্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকতে হবে । সরকারের সাথে বিরোধি দলেরও ভুমিকা থাকতে হবে । তক্তা সরকার বা নিরপেক্ষ সরকারের দিয়ে ভোটের দাবীর সাথে জাতীয় বাজেটের মাত্র শতকরা এক ভাগ মৌলিক গবেষনার জন্য বরাদ্ধ দানের দাবীটি যুক্ত করে দিলে তাদের আপত্তিটা কোথায় । এক্ষেত্রে পজিসন অপজিশন সকলেই দেখা যায় এক কাতারে । শুধু মুখে মুখে ব্যর্থতার কথা কাজের বেলায় সকলেই হরিহর আত্মা !!!

যাহোক, আপনার এই পোষ্ট টি সংস্লিস্টদের নজরে পড়ুক এ কামনা করছি , পোষ্টে বলা গঠনমুলক কথাগুলির মধ্যে যদি একটি শুপারিশও তারা বাস্তবায়ন করে তাহলেও কিছুটা কাজ হয়েছে বলে ধরে নেয়া যাবে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ড. এম এ আলী ভাই, আপনার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।

অামার কথা হচ্ছে সরকার যদি মৌলিক গবেষণার জন্য বরাদ্দ বাড়ায়, আর সে বরাদ্দকৃত টাকাগুলো সঠিক উপায়ে ব্যয় নিশ্চিত করা যায়। তাহলে দেশের জ্ঞান-বিজ্ঞান সাধনায় নবদিগন্ত সূচনা হবে। নতুন জ্ঞানের সঞ্চারের ফলে নব নব উদ্ভাবনের শত দরজা জাতির সামনে উন্মূক্ত হয়ে যাবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত টেকসই হতে বাধ্য।

এর জন্য সরকারকে বিশাল টাকা ঢালতে হবে না। জিডিপির সামান্য কিছু অংশও যদি ব্যয় করা যায়, এক-দুশকের মধ্যে দেশের চেহারা পালটে ফেলা সম্ভব।

এই কাজটাই ঈসরাইল, তাইওয়ান, চীন, হালের ভারত, নতুন দেশ হিসেবে মালয়েশিয়া, চিলি, তুরস্ক করছে। ফলও হাতে নাতে পাচ্ছে।

নেচার ইনডেক্স-এর তথ্য মতে, উপরে উল্লিখিত বেশিরভাগ দেশই গবেষণা খাতে তেমন ব্যয় করছিল না। যখন ব্যয় শুরু করেছে, তাদের প্যাটেন্ট হার, সাইটেশনও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। বিশ্বে ইমার্জিং ইকোনমির দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নতুন নতুন বৈশ্বিক কোম্পানি গড়ে উঠছে এইসব তৃতীয় বিশ্বের দেশে।


তারা একটি ভিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের কোনো ভিশন নেই। আমরা যে ভিশন ভিশন বলে গলা ফাটাচ্ছি সেটা শুধুই বুলি সর্বোস্ব বাগাড়ম্বর। ভেতরে অশ্বডিম্ব।


যে বুদ্ধিজীবী বা প্রফেসর বা পলিসি মেকাররা সরকারকে উপদেশ দিয়ে মৌলিক গবেষণার সুফল বুঝাবে, তাঁরা তাদের স্বার্থের কাছে বশীভূত কিংবা হিমালয়সম চাটুকারীতায় অাকণ্ঠ নিমজ্জিত।

উনাদের কীভাবে ও কখন ঘুম ভাঙবে কে জানে?

৩১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: কাউকে না কাউকে লেংটাকে লেংটা বলে দিতেই হয়, আপনি না হয় সেই কঠিনটা করলেন। অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ থাকে না। প্রলয়টাযে আরও অনেক আগেই শুরু হয়েছে তা স্বীকার করতে আর কতদিন লাগবে নীতিনির্ধারকদের তার অপেক্ষায় রইলাম......।

গুরুত্ব বিবেচনায় পোস্টটা স্টিকি করার জোর দাবি জানালাম।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: যারা দেশ নিয়ে দেশের মানুষ নিয়ে ভাবে ও নিজেকে শত অনাচার থেকে কষ্ট করে হলেও বিরত রাখতে সম্ভব হচ্ছে তারা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য হাহাকার জানিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু এই সংখ্যাটা কমতে কমতে এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

সবসময় ভাবনাতে অাসে তারা পারলে আমরা পারি না কেন? লুপহোলগুলো কোথায়? সর্ট আউট করে মাটিচাপা দিলেই তো হয়। দেশের কর্তা ব্যক্তিরা এগুলো জানে। জেনেও অজ্ঞাত কারণে সমাধানে যায় না। এ এক অদ্ভুদ অবস্থা!


ধন্যবাদ ব্লগার মেঘনা পাড়ের ছেলে মন্তব্যের জন্য।

৩২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৭

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ,খুবই যুগোপযোগী লেখনির জন্য।
আমি দেখতে পাচ্ছি,আজ মানুষের জ্ঞান বেড়ে গিয়ে সকলেই শক্তিশালী ও উন্নত হতে চাচ্ছে-উন্নত বিশ্বের মত। এবং পরিস্থিতি সকলকেই সেরকমই নির্দ্দেশ দিচ্ছে।
কিন্তু পৃথিবীর সকল মানুষকে এক হয়ে মিলেমিশে-এক নীতিতে এসে মিলিত হওয়ার লক্ষে জ্ঞানগবেশনার পিছে যদি সকল রাষ্ট্র ব্যায় ও প্রচেষ্টা করে,তাহলে অনেক জ্ঞানের ব্যবহার,প্রযুক্তি ও যুদ্ধের ব্যবহার ছড়া আরো বিভিন্ন ব্যাবসায়িক মগজধোলাই ও কৌশলীগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং অপচয় ও দুর্নীতি কমে যাবে। বিজ্ঞানের অনেক ভূল ও অন্যায় ব্যবহার বা প্রযুক্তি,পদার্থ ও কেমিক্যাল মানুষকে দিনে দিনে উত্তেজিত ও উন্মাদ করে,মূল সুখ-মানবাতা,সভ্যতা ও একতা থেকে চরমভাবে আলাদা করে দিচ্ছে এবং মানুষ কমন প্লাটফর্মে আসতে পারছেনা। রাজনীতি ও বিভিন্ন সুভিদাবাদি সংস্থা সহ প্রায় সকল ক্ষেত্রেই পৃথিবী জুড়ে চলছে-পচা কৌশলের উপর ডিগ্রি নিয়ে মগজধোলায়ের নিত্য নতুন পথ আবিস্কার করে একে অন্যকে ঠকানো ছাড়া কিছু নয়। আর ঠকানোর মোটা অর্থ মানুষকে সবসময় উন্মাদ করে ভূল পথের ব্যবহারে নিয়ে যায়।

জ্ঞান ও বিজ্ঞান পৃথিবীর সকল মানুষকে একক করার জন্য ও মৌলিক চহিদা পুরনের জন্য উপযুক্ত সংস্থা সৃষ্টি করতে পারে। মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত হলে সকল ঠকানো ব্যবস্যা বন্ধ হয়ে যাবে। সকলেই প্রকৃত্বি প্রেমিক,সুস্থতা ও একে অন্যকে ভালবাসার মাঝেই আত্নতৃপ্তি লাভ করবে। তাছাড়া পৃথিবীকে ঠিক না করে মহাকাশ অভিযান ও গবেষনার কাজে বা মানব প্রয়জনে ক্ষতিকর প্রযুক্তির জন্য পৃথিবীর অভ্যন্তরের কোন খনিজ-পদার্থের ব্যবহার বা জালানী বন্ধ করে পৃথিবীটাকে বাচাতে পারে। ফলে অবৈধ অর্থের প্রয়জনিতা ও ভূল ব্যবহার কমবে। আমরা মায়ের (পৃথিবীর) বুকের উপর আছি-এটা কখনও কোন পৃথিবী প্রেমিক ভূলে যেতে পারেনা। পৃথিবীতে সুন্দর ভবে টিকে থাকতে হলে দেশ প্রেমিক নয় পৃথিবী প্রেমিক হওয়ার লক্ষে জ্ঞানার্যন করতে হবে সকল মানুষকে। সকলেই যদি অনুভব করে হালহীন-পালহীন-কুলকিনারাহীন একটি নৌকায় মোরা অনিশ্চিত,অসহায় ও একা,তাহলে কেউ গোলযোগ সৃষ্টির নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বনের ভূল পথ সৃষ্টি করবে না ও জ্ঞান-বিজ্ঞানকে কোন ধরনের নেগেটিভ ও ব্যাবসায়িক পথে ব্যবহার করবে না। বরং মিলে মিসে এক পরিবারের মত থাকার চেষ্টা করবে। কেননা নৌকার ক্ষতির প্রভাব সকলেরই উপরই পড়বে। এজন্য এ পৃথিবীকে ধংশের জ্ঞান থেকে বাচিয়ে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রনের জন্য পৃথিবী প্রেমিক ও মানব প্রেমিকের উপর জ্ঞান-গবেশনা সৃষ্টি করতে হবে। এবং কৃত্বিমতা নয় প্রকৃত্বির সাথে তাল মিলিয়ে চলাটাই সঠিক ও সুস্থ পথ হবে। কেননা সায়েন্স এর ভূল ব্যবহার আমাদেরকে মাকড়শার জালের গভীরে দিনে দিনে আরও কঠিনভাবে আটকে ফেলছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: মানব কল্যাণে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার কোনো বিকল্প নেই। দেশের মানুষকে সুখী দেখতে চাইলে, তিনবেলা পুষ্টিকর খাবার যোগান দিতে চাইলে এ জিনিস অপরিহার্য। জাতিকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে হলেও এর কোনো বিকল্প নেই।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।

৩৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

তিতাস৮১ বলেছেন: অনেক ভাল এবং সময় উপযোগী পোস্ট । আমি যখন কলেজে পড়ি তখন আমাদের রসায়নের স্যার অনেক ভাল পড়াতেন। আমি একদিন বললাম স্যার আপনি গবেষণা করেন না কেন? উত্তরে বললেন যে টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চলে না গবেষণা করব কি ভাবে । তো এক জন প্রফেসর যদি সংসার চালানোর জন্য টিউশনি করতে হয় তাহলে গবেষণা করবে কখন । এই দেশ টা চালাচ্ছে কিছু মাথামোটা গর্দভ আমলা / গামলা আর পা চাটা কুত্তার দল তারা গবেষণার 'গ' বুজেনা । গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে আমি এ প্লাস পেয়েছি এটা ইংরেজি বলতে পারেনা । তাহলে কেমন আমাদের দেশের পড়াশুনার অবস্তা । শুধু আওয়ামীলীগ এর মত ফটকা দেশ প্রেম আর সব কিসুতেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দিয়ে দেশ উন্নত করা যায় না। দেশ উন্নত করতে হলে যোগ্য নেত্রীত্ত এবং দেশপ্রেম প্রয়োজন যা আমাদের কোন নেতার মধ্যে নেই।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: শিক্ষক মানে জ্ঞানের বাতিওয়ালাদের অবমূল্যায়ন করে দেশ এগিয়ে নেওয়া কোনো মতেই সম্ভব নয়। এখন তো আবার শিক্ষক নামে অসততার মাধ্যমে ভাঙাচোরা হারিকেনের ডিব্বাওয়ালাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

অসৎ নেতা ও কর্মকর্তাদের দ্বারা মাথামোটা শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ায় শিক্ষকেরাও অসৎ হয়ে পড়ছে। গোটা সিস্টেমটাই এখন সমাজের 'দুষ্টক্ষত' হয়ে গেছে। এর থেকে সহজে পরিত্রাণ হবে বলে মনে হয় না।

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছাড়া জাতির সামনে ভয়ঙ্কর দুর্ভোগের অাশঙ্কা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গ্রামের স্কুলগুলো শিক্ষার্থী হারাচ্ছে গণহারে। মরছে গরীব বাবা-মারা। কারণ তাদের সামর্থ নেই প্রাইভেট স্কুলে পড়ানো ছেলেমেয়েদের।

সরকারী ইউনিগুলোতে চাকরীমুখী পড়াশুনা। প্রথম বর্ষ থেকেই একাডেমিক পড়া বাদ দিয়ে চাকরীর গাইড নিয়ে ব্যস্ত ক্লাসের টপার থেকে পেছনের রোলধারী ছাত্রটিও। এটা কি অশনি সংকেত নয় জাতির জন্য।

ধন্যবাদ অালোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য তিতাস৮১।

৩৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আখেনাটেন সুন্দর প্রতি উত্তরের জন্য । আজকে প্রার্থনার দিবস , দেখি সময় পেলে আবার আসব পোষ্ট টিতে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: শুভকামনা ড. এম এ অালী ভাই।

৩৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হচ্ছে, ব্লগারেরা গবেষনার গুরুত্ব বুঝেন; আমাদের শিক্ষার প্রসার ও মান বাড়ানোর জন্য সরকারের থেকে চেস্টা করা হয় না। গত ৪৬ বছরে যারা দেশ চালায়েছে, এরা প্রায় সবাই নিজেরাই শিক্ষাকে ফাঁকি দিয়ে এসেছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

আখেনাটেন বলেছেন: যারা দেশকে সমৃদ্ধির শিখরে দেখতে চায়, তারা গবেষণার গুরুত্ব বোঝেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। শুধু বোঝেন না মহান নেতা ও দেশপ্রেমিকেরা। যুগ যুগ ধরে এরা এ জায়গায় অন্ধ।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৪

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: অপ্রিয় হইলেও সত্য যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি দিনে দিনে অজ্ঞানতার ‘ভাগাড়ে’ পরিণত হইতেছে। শিক্ষকেরা সংকীর্ণ দলীয় লেজুড়বৃত্তি, টেলিভিশনের টক-শোতে ফাঁকা জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতাবাজি আর এনজিওগুলিতে টাকার ধান্দায় লিপ্ত হইয়া থাকিতেছে।‘’ যে বুদ্ধিজীবী বা প্রফেসর বা পলিসি মেকাররা সরকারকে উপদেশ দিয়ে মৌলিক গবেষণার সুফল বুঝাবে, তাঁরা তাদের স্বার্থের কাছে বশীভূত কিংবা হিমালয়সম চাটুকারীতায় অাকণ্ঠ নিমজ্জিত।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ অালোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য ব্লগার ওসেল মাহমুদ।

এখনই সময় সবকিছু ঢেলে সাজানোর। দল-মত-নির্বিশেষে এ ব্যাপারে একাট্টা হওয়া দরকার। সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে জাতির ভবিষ্যৎ বিনষ্ট করা কারো উচিত না।

৩৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৩

রন৬৬৬ বলেছেন: Thanks to Mr.Akhenaten, was an ancient Egyptian pharaoh of the 18th Dynasty who ruled for 17 years and died perhaps in 1336 BC or 1334 BC. The above article is a master piece writing related to current affairs of Bangladesh at present. I highly appreciate the author to write boldly such type of article. We need 'Whistle-blower' in the society. However, Children of our past or present Prime Ministers, Cabinet Ministers, MP, Bureaucrats, Secretaries, Bankers, Engineers and Generals are living in foreign countries safely. They have sizable amount of money (millions of dollar) invested in overseas ventures. They transferred (money-laundering process) huge amount of money from poor Bangladesh to rich countries such as, USA, Canada, UK, Australia, Malaysia, and UAE. How do you expect these people in power will do something good for the common people? We are living in a total darkness and surrounded by the corrupted government officials. By the way, you will find these people in our family and in our very dear society. They live healthy life abroad. I have seen their lifestyle in overseas. WHO WILL RING THE BELL?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

যারা এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করবে, ভাববে, পলিসি মেকিং করবে, তারাই চরমভাবে সিস্টেমটাকে অকার্যকর করে রেখেছে। ফলে এর থেকে জাতির পরিত্রাণ মিলছে না। আপনি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন বিষয়টা।

কিন্তু কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতে হবে এর সমাধানে। দেশে স্বাধীনতার পর থেকেই গণতন্ত্র, সামরিকশাসন ইত্যাদি থাকলেও অাসলে সব সময়ের জন্যই বলতে গেলে একনায়কতন্ত্র বিরাজ করেছে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের জন্য। দেশের মাথা যিনি তিনিই সর্বেসর্বা। বাকিসব ধামাধরা। তাই কিছু যদি করতে হয় সেটা দেশের মাথায় যিনি বসে থেকেছেন বা আছেন তাঁর থেকেই আসতে হবে। তিনিই পারেন গলায় ঘন্টা বাঁধতে। কিন্তু দুর্ভাগ্য জাতির যে যুগের পর যুগ ধরে এই ক্ষমতার শিখরে বসে থাকা নেতারা ক্খনই জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে ততটা ভাবে নি যতটা নিজেদের গদি নিয়ে ভেবেছে। এগুলো এখন জাতির জন্য অভিশাপ হয়ে অাসছে।

৩৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মেধা ও মনন কোনো অলৌকিক বিষয় নয়। এটা চর্চার ফল। যে জাতি যত বেশি চর্চারত এই বিষয়ে সে জাতি গোটা বিশ্বে ততই অগ্রসরমান -

অসাধারন একটা লেখার জন্য ধন্যবাদ ; লেখায় সহমত ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৬

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার মনিরা সুলতানা আপনাকেও পড়ে মতামত দেওয়ার জন্য।

৩৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৮

প্রামানিক বলেছেন: খুব ভালো একটি পোষ্ট। ধন্যবাদ

০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: শুভকামনা রইল।

৪০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আমরা অনেক কিছুতেই ভারতকে অনুসরণ করি। তাহলে এই ভালো দিকটিতে অনুসরণ করি না কেন? ভারতে জিআরএফ (জুনিয়র রিসার্স ফেলো) ইত্যাদির মাধ্যমে গবেষক নিয়োগ দেওয়া দেওয়া হচ্ছে। তারা ফুলটাইম জবের মতো করে গবেষণা করছে। পিএইচডি ডিগ্রি নিচ্ছে। নতুন জ্ঞানের সঞ্চার করছে।

আর আমাদের মাথামোটা পলিসি মেকাররা এসি রুমে বসে এখন পর্যন্ত একটি সুষ্ঠু পলিসি তৈরি করতে পারছে না। প্রশ্ন আসতে পারে, ‘এটা কি স্বদিচ্ছার অভাব’? নাকি জাতির প্রতি ভালোবাসাহীনতা। নাকি উদাসীনাতা! নাকি ভালোবাসাহীনতার কারণেই এই উদাসীনতা। তাহলে এই সব নষ্ট লোকেরা দেশপ্রেমিক হয় কি করে.।.।.।।।অনেক অনেক ভাল একটা লেখা । নিজে পড়লাম । আশেপাশের অনেক কেই লেখাটা পড়তে পাঠালাম যারা গবেষণা পেশায় আছে । বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যেখানে অনেক শিক্ষিত মানুষ ও গবেষণা বা এর মূল্য বুঝে না । আপনার জন্য শুভ কামনা ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ অাপা লেখাটুকু পড়েছেন বলে। অার মন্তব্য করা বা অালোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য নিরন্তর শুভকামনা।

আসলে দেশে দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা কিসে আমাদের সবচেয়ে ভালো হবে তা জানলেও নিদারুণ অবহেলায় কিংবা অসততার কারণে জাতির উপরে উঠার সিঁড়িকে প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত করে রেখেছে।

এরপরেও একটু একটু আমরা এগুচ্ছি তা ঐ খেটে খাওয়া মানুষ ও কিছু সৎ মানুষ সমাজে অাছে বলে।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৪১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেনেটিক ইনজিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি নিয়ে কোন এক মোবাইল ফোন কোম্পানীতে মার্কেটিং অফিসার হিসাবে কাজ করছে তথাকথিত উচ্চ বেতনে। মেধা আর শ্রমের কি করুন অবচয়........ । সরকারের তো অনেক অর্থ ব্যায় হয় এদের লেখাপড়া শিখাতে, কিন্তু তা থেকে কি রিটার্ন পাচ্ছে এদের কাছ থেকে?

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪১

আখেনাটেন বলেছেন: সরকার মশায়ের এদিকে চোখ রাখার সময় কোথায়। সব সরকারই গদির প্রতি চোখ রাখতে গিয়ে অন্যদিকে...।


এর কুফল প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ভোগ করেই যাচ্ছে। তাই এতো সহজে এ দেশ থেকে গরীবীয়ানা বিদায় হবে না।

মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৪২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

কালীদাস বলেছেন: আলোচনটা গুরুত্বপূর্ণ। সময় নিয়ে পড়লাম কমেন্ট করার আগে। মন্তব্যগুলোও দেখলাম। করুণাধারা আর বিদ্রোহী ভৃগুর মন্তব্য দুইটা স্পেসিফিক পয়েন্টে গুরুত্বপূর্ণ টপিকে এসেছে। চমৎকার।

ভারতের এক্সাম্পল আপাতত বাদ দিলাম মাথা থেকে। ১৯৭৩ এক্টের ইউনি চারটা এবং বুয়েট ছাড়া বাকি সব কয়টাকে ফাইনাল ডিসিশনের জন্য সেক্রেটারিয়েটে একবার যেতে হয়ই, যদিও আগে চেয়ে অনেক কম এখন ব্যাপারটা। ঐ জায়গাটায় যারা বসে চিন্তা করে, সিদ্ধান্ত নেয়, কয়জন রিয়াল লাইফের রিসার্চের ব্যাপারে আদৌ আইডিয়া রাখে? উত্তরটা জানি, বললাম না।

ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক নিয়োগ। বিনোদন আরে কাকে বলে? পলিটিকাল তামাশা তো আছেই, সাথে সবচেয়ে বড় পয়েন্ট এখন হওয়া উচিত কেবল মাস্টার্স বা ব্যাচেলর হোল্ডার লোকজনকে আর কতদিন টিচার পোস্ট নিয়োগ দেয়া হবে? একটা বড় অংশ বাদবাকি জীবনে আর কোন পারসোনাল ডেভেলপমেন্টে জড়িত হয়না। খুব রুড একটা পয়েন্ট বলি: আমি দেশে ফেরার পর দেখব আমার ডিপার্টমেন্টে যারা এই চারবছরে হায়েস্ট একটা পেপার পাবলিশ করেছে লোকাল কোন প্রায় অজানা জার্নালে: সে মুটামুটি আমার কাছাকাছি লেভেলে থাকবে সিনিয়রিটিতে। তাহলে দুনিয়ার উপকার করে বাংলাদেশে আমার লাভটা কোথায়?

এখন আপনিই বলেন, এই লোকজনের কাছ থেকে আপনি রিসার্চ প্রোপোজাল দূরের কথা রিসার্চ শব্দটাই বা আশা করবেন কিভাবে? সরকারী ফান্ডের কথা বলছেন? হেহে, এই ফান্ডটাও খরচ হয়না বেশিরভাগ ইউনিতেই। কারণ পলিটিকাল কেরামতি লাগে এই জিনিষ যোগাড় করতে। সেকেন্ড, যাদের দরকার এবং আসলেই যোগ্যতা আছে তারা বেশিরভাগ সময়েই ইফেক্টিভ কোলাবরেশন মেইনটেন করেন ইন্ডাস্ট্রি বা বাইরের সোর্সগুলোতে, দীর্ঘসূত্রীতা এবং খামোকা ঘুরাঘুরির জন্য সময় নষ্ট করেন না এরা।


সিন্ডিকেট নিয়ে কিছু কথা বলা উচিত। ইন্জিনিয়ারিং বা ডাক্তারদের খবর জানিনা, বেশ কিছু সাবজেক্টে পুরান রিসার্চারদের কিছু শক্তিশালী অঘোষিত সিন্ডিকেট আছে। এদের সাথে ভাল যোগাযোগ না রেখে সেইম বা কাছাকাছি ফিল্ডে রিসার্চে ঢোকা এবং শাইন করাটা এরা পছন্দ করে না এবং বিহেভও যথেষ্ট হামবড়া টাইপের এদের। এদের বেসগুলোর নাম বলতে চাচ্ছি না। এদের কাছে এদের ফান্ডিং দেয়া সামন্ত প্রভুর গুরুত্বই মেইন, দেশ না। এই জিনিষ এড়ানো অসম্ভব।

কই যাব?? :(

% # &

আপনার পোস্ট পড়ার পর কনসিক্যোয়েন্স নিয়ে একটা পোস্ট লিখতে ইচ্ছা করছে, "মেধাহীন জাতি নাকি জাতিহীন মেধা" শিরোনামে ;) কিছু আউটকাম দেশের ভবিষ্যতের জন্য আশংকাজনক।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৪

আখেনাটেন বলেছেন:
সেক্রেটারিয়েটে ...কয়জন রিয়াল লাইফের রিসার্চের ব্যাপারে আদৌ আইডিয়া রাখে? --রেডটেপিজম জটিলতা একটি ভয়ঙ্কর রোগ এদেশে। যা আমি পোস্ট ও মন্তব্যে বারবার উল্লেখ করেছি। এগুলোই জাতিকে একটি অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে টানছে। আর অাক্ষেপ বাড়িয়েই চলছে--কি হতে পারতাম কিন্তু কি হতে যাচ্ছি?

ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক নিয়োগ। বিনোদন আরে কাকে বলে? -- বিনোদনই বটে!!! এ নিয়ে আমার অারেক পোস্টে বক্তব্য রেখে নিজের হতাশা ব্যক্ত করেছি।
একটি জিনিস আমারও বোধগম্য হয় না, শিক্ষক নিয়োগে এখনো কেন পিএইচডি ডিগ্রিকে বেইজ ধরা হচ্ছে না। পারলে পোস্ট-ডক ও শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাও যোগ করে নিয়োগ শুরু করতে পারে। এট লিস্ট কিছু কোয়ালিটি শিক্ষক তো ইউনিগুলো পাবে।

'যদি না থাকে কাজ তো বসে বসে খই ভাজ'-- বেশিরভাগ শিক্ষকদের তো এখন এটিই উপায়। যে যত বেশি খই ভাজতে পারবে তার তত বেশি রোজগার আর ক্ষমতার মাখন স্বাদ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এগুলো একদিনের ফল নয়। দীর্ঘদিন থেকে চলে অাসা অনিয়মের কারণেই এটা এখন স্থায়ী রূপ নিয়েছে। তাই ডিপার্টমেন্টভিত্তিক সিন্ডিকেটবাজী ভালো দু-একজন শিক্ষকের উদ্যোমে কষে পেরেক মেরে দিচ্ছে। হাবিজাবি জার্নালে একটি টোকাটুকির লেখা পোস্ট করেই সহকারী, সহযোগী অধ্যাপক। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী কে জানে?

রিসার্চ প্রোপোজাল -- এই জিনিস আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার অালোকে বলছি, অনেক ইউনি শিক্ষকের কাছে একটি ভয়ঙ্কর শব্দবন্ধ। ;) তবে সরকার থেকে কিছু পাওয়ার জন্য লেখা প্রোপোজাল নিয়ে আমি কিছু বলছি না। এটার শানে নুযুল আরো ব্যাপক বিনোদনের হবে এটাই স্বাভাবিক। সরকারও এ দেশে গবেষণার জন্য কত টাকা দেয়, কেন দেয়, কীভাবে দেয় এটা তো রীতিমত অারেক গবেষণার বিষয়।

আপনার পোস্ট পড়ার পর কনসিক্যোয়েন্স নিয়ে একটা পোস্ট লিখতে ইচ্ছা করছে, "মেধাহীন জাতি নাকি জাতিহীন মেধা" শিরোনামে ;) কিছু আউটকাম দেশের ভবিষ্যতের জন্য আশংকাজনক। -- আশা করি শীঘ্রই তা পাব।

এ নিয়ে জাতির ঘুম ভাঙা দরকার। গোটা দুনিয়া ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়ে ছুটছে আর আমরা খচ্চর কিংবা গাধা হলেও হয়, তা না-- ছাগলের পিঠে চড়ে এই কন্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিচ্ছি। অাপসোস।


এই অালোচনায় আপনার একটি মন্তব্য আপনি ব্লগে একটিভ হওয়ার পর থেকেই এক্সপেক্ট করছিলাম। কারণ এই জটিল স্যোসাল ইস্যুগুলো নিয়ে ব্লগে অালোচনা করার মতো ব্লগারের সংখ্যা খুব বেশি না। আবার অনেকে পড়লেও অজানা কারণে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। যদিও এটা ভালোলাগা বা মন্দলাগা পোস্ট না, আলোচনা-সমালোচনামূলক লেখা, তাই হয়তবা অনেকে এই গুরুগম্ভীর বিষয় এড়িয়ে যেতে চায়।

যাহোক আপনার চমৎকার ও গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৪৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: রাজনৈতিক কারবারীরা যতদিননা অমানুষ থেকে মানুষ হচ্ছে ততদিন আমরা ভালো কিছুই আশা করতে পারিনা সেজন্যই অচিরেই আমরা একটি মেধাহীন জাতিতে পরিণত হতে যাচ্ছি নিঃসন্দেহে!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: রাজনৈতিক কারবারীরা যতদিননা অমানুষ থেকে মানুষ হচ্ছে ততদিন আমরা ভালো কিছুই আশা করতে পারিনা -- অশিক্ষা ও কুশিক্ষায় শিক্ষিত জাতির কাছে রাজনীতিবিদের তো অমানুষই হতে হবে।

বৈপ্লবিক পরিবর্তন ছাড়া এ জাতির দ্রুত বিকাশ কখনই সম্ভব নয়। আর এটা তখনই ঘটবে যখন শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করা হবে।

৪৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমাদের শিক্ষার গুনমত মান দেখুন:

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: সামনে প্রশ্নফাঁস জেনারেশনেরা আসছে। জাতি এক ভয়ঙ্কর অবস্থার মুখোমুখী। টপ লেভেলে বা পলিসি মেকিংএ কাজ করার জন্য বাইরে থেকে লোক হায়ার করতে হবে আরো ব্যাপক হারে সামনের দিনগুলোতে এটা নিশ্চিত।

৪৫| ২৯ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আমার কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে কেমিস্ট্রির শিক্ষক বলেছিলঃ আমার সাথে পাল্টা দিয়ে শেষ পর্যন্ত যে ছেলেটা ঢাবির ফার্মেসী ডিপার্টমেন্ট থেকে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিলো সে পরবর্তীতে এর দরুণ স্কলার পেয়েছিলো বাহীরে যেয়ে পিএইচডি করার জন্য। কয়েকমাসের মধ্যেই ওর শিক্ষা অর্জনের ব্যাপারে কিছু প্রশ্নবোধক মন্তব্য আসে। পরবর্তীতে এক প্রফেসর (আমি নামটা ভুলে গেছি) লেটার এর জবাব দিয়েছিল,"ওকে নির্দিষ্ট টপিকের নির্দিষ্ট কিছু লাইন দাগীয়ে দিবেন, এবং পরবর্তীতে ওর পরের পরীক্ষার ফলাফল টা জানাবেন।" পরের ফলাফলে দেখা গেল ঐ ছেলেটাই প্রথম হয়েছে। কিন্তু পিএইচডি তো আর এমন দাগীয়ে দাগীয়ে পড়ার মত কোন বিষয়না। ওকে কিছুদিন পরেই দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৮

আখেনাটেন বলেছেন: দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পড়াশুনার হাল দেখলে মন খারাপ হয়ে যায়। কীভাবে অমিত সম্ভাবনার তরুণ মষ্তিস্কগুলোকে অচল করা হচ্ছে?

গতকাল প্রথম আলোতে এ নিয়ে মনে হয় একটি লেখা পড়লাম। কী নিদারুণ অরাজকতা শিক্ষা নিয়ে?

৪৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: অনেক বেশী তথ্যবহুল একটি লেখা। নিঃসন্দেহে চমৎকার।
আমাদের অবশ্যই মেধা আছে কিন্তু নেই তাঁর চর্চা করার মত সুযোগ। আর এখনতো ছোট বেলা থেকেই শিশুদের কে এমন ভাবে বড় করে তোলা হচ্ছে যে আর বেশী দিন লাগবেনা শুন্য তে পৌছাতে। ছাত্র জীবন শেষ করি আমরা পরীক্ষায় পাশ করার জন্য দৌড়াতে দৌড়াতে আর শেষ করার পর ভালো চাকরী পাওয়া ও টাকা পয়সার পেছনে দৌড়াতে । সুযোগ আর সময় কই মেধাকে নিয়ে ভাবার

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: ছাত্র জীবন শেষ করি আমরা পরীক্ষায় পাশ করার জন্য দৌড়াতে দৌড়াতে আর শেষ করার পর ভালো চাকরী পাওয়া ও টাকা পয়সার পেছনে দৌড়াতে । সুযোগ আর সময় কই মেধাকে নিয়ে ভাবার -- ঠিক তাই;

কিন্তু সরকারের উচিত ছিল প্রথম সারি স্টুডেন্টদের প্রণোদনা দিয়ে হলেও মৌলিক গবেষণায় কাজে লাগানো। উন্নত বিশ্বসহ বর্তমানে ইমার্জিং ইকনোমির দেশগুলোও তাই করছে। এভাবেই তাদের সাথে আমাদের বিশাল এক গ্যাপ তৈরি হচ্ছে উদ্ভাবনী চিন্তাই।

ফলে আমরা তাদের প্রযুক্তি বিলিয়ন ডলার খরচ করে কিনে ফকির থেকে মিসকিনের দিকে ধাবিত হচ্ছি শুধু কিছু তৃতীয় শ্রেণীর মানুষের চতুর্থ শ্রেণির চিন্তাতে।

৪৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সবচেয়ে বড় বিনোদন হলো ভিসি নিয়োগ। রংপুরের সদ্য বানানো পাবলিক ইউনির প্রথম ভিসি টেবিলল বেঞ্চ সোফা ক্রয় বিক্রয় থেকে শুরু নিয়োগের সময় টাকা, টাকা না পাইলে দেহ এমনকি একজনকে চাকুরীর কথা বলে নিয়ে তা না দিয়ে বিয়ে করতে গিয়ে পেট বাধানোর মতো ঘটনা, ওদিকে গোপাল গন্জ ইউনি, বরিশাল ইউনি....একটা ইউনিভার্সিটির ভিসি নিয়োগে যেসব ক্রাইটেরিয়া দেখা হয় বাংলাদেশে দেখা হয় তার উল্টোটা। সে কতটা দলদাস। যেদেশে প্রথম হওয়া ছাত্রটিকে বেকার হয়ে থাকতে হয় এবং ক্লাশের ১০-১২ নম্বর ছাত্রটি খুটির জোরে শিক্ষক হয় সেদেশে গবেষনা কে করবে? আপনাকে ধর্ষন সম্পর্কিত একটা পোস্টে গবেষনা নিয়ে যে কথাটা বললেন তার উত্তরে দেখলাম বান্দা গবেষনা শব্দটিকে ছাড়তে নারাজ। গবেষনার ওপর গবেষনা করে তার লেখা পোস্ট আবার শুরু হইছে এস্ট্রোনোমি বা জ্যোতির্বিজ্ঞান দিয়ে।

কি আর বলবো দেশের হাল

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: একটা ইউনিভার্সিটির ভিসি নিয়োগে যেসব ক্রাইটেরিয়া দেখা হয় বাংলাদেশে দেখা হয় তার উল্টোটা। সে কতটা দলদাস। যেদেশে প্রথম হওয়া ছাত্রটিকে বেকার হয়ে থাকতে হয় এবং ক্লাশের ১০-১২ নম্বর ছাত্রটি খুটির জোরে শিক্ষক হয় সেদেশে গবেষনা কে করবে? --এইসব অনাচার নিয়ে দেশের সুশীল সমাজও কোনো উচ্চবাচ্য করে না। যদিও দেশে 'সুশীল' বলে আদৌ কোনো 'সমাজ' অাছে কি-না মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়।

এভাবে আর কয়েকবছর চললে পাবলিক ভার্সিটিগুলো গারবেজ হিসেবে বিবেচিত হবে। না হচ্ছে এগুলোতে কোনো উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশ, না হচ্ছে কোনো মৌলিক গবেষণা। গবেষণার নামে চলছে গারবেজ প্রসবের মচ্ছব। নেচার ইনডেক্সে বাংলাদেশের গবেষণার চিত্র দেখলে চোখে জল চলে আসবে। এত এত ছাত্র! এত এত বিশ্ববিদ্যালয়! এত এত পাহাড়সম জ্ঞানী শিক্ষক? অথচ মাত্র বছরে ২১...। এ জাতির কপালে শনি অপেক্ষা করছে নিকটেই।

ইতোমধ্যে দেশের আয়ের প্রধান আরএমজি খাতে ভারতীয়-পাকি-শ্রীলংকানরা জেঁকে বসেছে। স্কিল লোকের অভাব। টেকনিক্যাল লোকের অভাব। সবাই বিবিএ এমবিএ পড়ছে তবুও ভালো মিড লেভেল ম্যানেজার তৈরি করতে পারছে না। কি পড়াশুনা হয় বিবিএ স্কুলগুলোতে খোদা মালুম। বিজ্ঞান তো অনেক আগে থেকেই অজ্ঞান।

৪৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

কালীদাস বলেছেন: উদাসী একটা ভাল খোঁচা মেরে গেছেন ভিসি নিয়ে ;) ড.ইউনুস বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হবার পর প্রায় ৬ বছর Glasgow Caledonian University তে ছিলেন চ্যান্সেলর হিসাবে। খুঁজলে দেখা যাবে পশ্চিমা দুনিয়ায় সব ইউনিতেই এই পজিশনটা এক্সেপশনাল কাউকে দেয়া হয়। হাতে গোণা কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বাংলাদেশে বেছে বেছে সবচেয়ে নিম্নমানের তেলবাজগুলো পায় এই পজিশনটা। এমনকি মাস্টার্স ডিগ্রি নেই এরকম ভিসিও আছে কোন এক পাবলিক ইউনিতে ;) বাইরের কেউ যদি দয়া করে রিসার্চ নেটওয়ার্ক বানানোর জন্য চিন্তা করেও, এই প্রোফাইল দেখে কি আইডিয়া পাবে?

উদাসী স্বপ্নের একটা পয়েন্টে আমি একমত না। প্রথম হওয়া স্টুডেন্টটা বেস্ট থাকে কি সবসময়? আর্টসে কিছু এক্সেপশন ছাড়া, ম্যাক্সিমাম পাবলিক ইউনিতেই অন্তত গত বিশ বছর ধরে ফার্স্ট/সেকেন্ডের বাইরে নিয়োগ দেয়া হয় না। এই বিপুল সংখ্যক অতি মেধাবীর পরবর্তীতে আউটকাম এত স্হবির কেন? আপনি এই পয়েন্টটা ভাল ফোকাস করেছেন, পিএইচডি বা হায়ার লেভেলের এক্সপেরিয়েন্স এখন ইমপোজ করা দরকার মান বাড়াতে। আইসিডিডিআরবি বা এরকম কিছু রিসার্চ ইনস্টিটিউট আছে দেশে যেখানকার প্রায় সব রিসার্চারই ঐ মধ্যম সারির স্টুডেন্ট (উদাসীর ভাষায় ১০/১২ তম পজিশনের), এনাদের রিসার্চ আউটপুট পাবলিকের অনেকের চেয়ে বহুগুণে বেটার।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬

আখেনাটেন বলেছেন: একবার বাংলাদেশে ভারতীয় ড. এ পি জে আবদুল কালাম এসে এক বক্তৃতায় বলেছিলেন যে প্রতিটা ভালো কাজের জন্য একটি মিশন দরকার যেটি পরিচালিত হবে ভিশন দ্বারা, আর এই ভিশনটি নিয়ন্ত্রিত হবে ইনোভেশন দ্বারা। আর এই ইনোভেশনের জন্য চাই গুণগত শিক্ষা যা উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশে পাথেয় হবে।

এখন চিন্তার করুন এই গুণগত শিক্ষা লাভের বা তার পরিবেশ তৈরি করার চিন্তা করবার লোক এ দেশে আছে কিনা। এ দেশে একজন ভিশনারী নেতার মারাত্মক দরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উঁইপোকারা আবাস গড়লে সে জাতির উন্নতি হলেও তা অত্যন্ত ধীর লয়ে হবে সেটা তো দেখাই যাচ্ছে।

আর উদাসী যে কথাটা বলছে তা ঠিক/বেঠিক দুটোই। কারণ বাংলাদেশে আসলে রেজাল্ট দিয়ে মানদণ্ড বিচার করা দুরুহ। পড়াশুনার স্ট্যান্ডার্ড না থাকলে সেখানে মান যাচাই করা মুশকিলই বটে। উনি হয়ত বোঝাতে চেয়েছেন পলিটিক্যালি মোটিভেইট হয়ে যে গার্বেজগুলোকে নিয়োগ দেওয়া হয় সেগুলোকে মিন করে।

আর আইসিডিডিআর'বির ক্ষেত্রে আপনার অবজার্ভেশন ঠিক। ভালো এনভাইরনমেন্ট তৈরি করতে পারলে এ দেশেও সোনা ফলানো যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.