নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: সোনালী বালির প্রাচীর

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৭



“Destiny's what you make of it. You have to face whatever life throws at you.”
― Darren Shan, Hell's Heroes



‘’কলার খোসাটা এভাবে রাস্তার উপর ফেললেন কেন?’’ লোকটা উঁচু স্বরে কথাটা বলে চলে যাচ্ছিল। সাথে সাথে আমার মেজাজ গেল হট হয়ে। কাছে গিয়ে ঠাস করে দেড় টনি চড় হাঁকালাম। ঘটনার আকস্মিকতায় লোকটা মারাত্মক ভয় পেয়ে গেছে। আমি কুৎসিত কিছু গালি দিয়ে বাসার দিকে রওয়ানা হলাম। এই সাধু বাবাদের জন্য সমাজে যে নিজের খুশি-রুচিতে চলব সেটাও হওয়ার জো নেই। এই ভদ্রলোকদের পাছার কাপড় খুলে প্যাঁদানো দরকার। এত ভদ্রগিরি কোথা থেকে আসে এদের!

আশেপাশে দুএকজন ঘটনাটা দেখেও না দেখার ভান করে পাশ কাটিয়ে চলে গেল। কারণ তারা আমাকে চেনে। এ ব্যাটা মনে হয় পাড়াতে নতুন ভাড়াটিয়া। আমাকে চিনলে আমার কর্মকাণ্ড নিয়ে বেগড়বাই করত না। আজ থেকে নিশ্চয় চিনবে। এই ভাড়াটিয়ারাও এক একটা হা*জাদা। মনে করে বাসা ভাড়া নিয়েছে মানে দুনিয়া কিনে নিয়েছে। এদের সবসময়ের জন্য শাল্টিং এর উপর রাখতে হবে। তাহলেই টনটাইট থাকবে।

মেজাজটাই খারাপ করে দিলো সকালবেলা। গলির মোড় থেকে বাসায় ফিরে আসলাম। বাসার ঢুকার আগে নিজেদের ঝাঁ-চকচকে বিল্ডিংটার দিকে তাকালে মনটা বেশ ফুরফুর হয়ে যায়। আজকেও তাই হল! আর ঘরে শিলার উপস্থিতি তো বেহেশতের এন্তেজাম! শিলা মাই ডিয়ার শিলা।

অথচ বছর দশেক আগেও এখানে ছোট্ট তিনটা টিনশেডের ঘরে গাঁদাগাদি করে থাকতাম বাবা-মা সহ আমরা চার ভাইবোন। সে সব কষ্টের দিনগুলো ভুলেও স্মরণ করতে চাই না আর। পাশে নিজেদের টিনশেডে থাকত দুটো হিন্দু পরিবার। উনারা ভিটেমাটি অামাদের কাছে অল্পদামেই বিক্রি-বাটা করে ভারতে স্থায়ীভাবে চলে গিয়েছে। এজন্য অবশ্য লোকে আমাদের দুই ভাইকে দোষ দেয়। ভূমিদস্যু বলে। ভাইয়া বলত মানুষ দোষ দিবেই। মানুষের কথা শুনলে উন্নতি হবে নাকি! এখন সেই জীর্ণ টেনশেডের ঘরগুলো আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের ছোঁয়াতে জঁমকালো উনিশটা দামী অ্যাপার্টমেন্টে রূপ নিয়েছে। মাঝে মাঝে নিজেই চমকিত হই। ভাবি সবি ভবের লীলাখেলা!

অবশ্য বড় ভাই এজন্য প্রচুর খেটেছে। ওই আমার গুরু। কীভাবে চাঁদা তুললে আম-ছালা দুটোই বজায় থাকবে। কীভাবে মারামারী-কোপাকুপি করলেও পুলিশের অগ্রিম মিষ্টি পাওয়া যাবে? সবই ভাইয়ের শেখানো। টেন্ডার ধরার কলাকৌশল রপ্ত করা সবই বড় ভাইয়ের অবদান। সেই আমার নিষ্পাপ নিষ্কলুষ বড় ভাই দু দুটো কথিত খুনের মামলায় সাত বছর ধরে পলাতক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লং বীচে বাস করছে। কমিশনার টেংরি সালামের খুনের ব্যাপারে ভাইয়াকে ফাঁসানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আমার ভাইয়ের প্রতি শতভাগ আস্থা আছে। আমি নিজেও কিছু অপারশনে ছিলাম। এগুলো পাড়াতে হয়। নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে হলে এগুলোতে শামিল হতে হয়। না হলে অন্যরা ঘাড়ে চড়ে বসবে। এতে দু একটা বিলাই যদি মারাও যায় তাহলেই মামলা দিতে হবে! আজব এক দেশে বাস করছি আমরা। একটু দাদাগিরি করে যে ভালো মতো চলব সেটাও সুষ্ঠু মতো হবে না। ভদ্রলোকেরা এখানেও তাদের নোংরা নাকটা গলিয়ে দেবে।

যাহোক ভাইয়া এখন নিউইয়র্কে ক্ষমতাসীন দলের বড় পদে আছেন। ওখান থেকেই অনেক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত দেশে। কিছুদিন আগেই লেকের পাড়ের একটা জায়গা নিয়ে ঝামেলা চলছিল অন্য দুই পরিবারের। শেষে সামান্য কিছু টাকা খরচে ওটা আমরা কিনে নিয়েছি। ওটা দখলে নিতে ভাইয়া ও আমি বেশ খেটেছি। এখন ঐ বারো কাঠার প্লটে হাই রাইজ বিল্ডিং তোলার জন্য ডেভালপারদের সাথে কথা চলছে। ভাইয়ার এই গুণগুলোর জন্যই আমি উনার ভীষণ ভক্ত। বিদেশে থেকেও দেশের জন্য উনার কত মায়া! আর ঠিক এই বিষয়গুলোই শিলার একদম পছন্দ না।



ঘরে ফিরেই শিলাকে জড়িয়ে ধরলাম। কিন্তু ওর বেঢপ পেটটার কারণে তা পুরোপুরি সমর্থ হলাম না। তাছাড়া ও আমাকে দূর দূর করে তাড়িয়েও দিল। ওর আটমাস চলছে। আমাকে কাছে খুব একটা ভীড়তেও দেয় না। বলে আমার মতো কুলাঙ্গার থেকে বাচ্চাটি যতই দূরে থাকবে ততই মঙ্গল। আমিও মেনে নিয়েছি। কিন্তু বেবিটি শিলার পেটে আসার পর থেকেই সারাদিন মা ও বাচ্চার স্বপ্নে আমি বিভোর থাকি। ওর পিছে পিছে ঘুর ঘুর করি নেড়ি কুকুরের মতো। আমার জগত ইদানিং কিছুটা ছোট হয়ে এসেছে। ও সেটা লক্ষ করে আমি জানি।

এই অতীব রূপসী মেয়েটাকে আমার কেন জানি একটু ভয় ভয় লাগে। এটা কি নিজের অতি প্রিয় জিনিসটি হারিয়ে ফেলার ভয়? সব ক্ষমতাবান পুরুষেরাই কি এরকম কোনো না কোনো অজানা ভয়ের রাজ্যে বাস করে? দুনিয়ার আর কাউকেই ভয় পাই না শুধু শিলাকে ছাড়া। কেন? অনেক চিন্তা করেও এর উত্তর খুঁজে পাই নি।

একটু পরেই প্রিয় ডুকাতি সুপারবাইকটি নিয়ে নেতার বাসায় রওয়ানা দিলাম। আজকে তিন ও চার নম্বর ব্লকের ড্রেন ও ফুটপাত তৈরির দশ কোটি টাকার টেন্ডারের ব্যাপারে নেতাকে জানাতে হবে। কাজটা বাগাতে পারলে ইতি-উতি দিয়ে-থুয়েও কমছে কম তিন কোটি টাকা পকেটে আসবে। শুনছি হাতকাটা মকছুদের লোকজনও তদবীর করছে। এ তেলাপোকাটা ইদানিং উড়তে শিখেছে মনে হচ্ছে। ভাইয়ের সাথে পরামর্শ করতে হবে। ভারতীয় গোদরেজের নতুন একটা কীটনাশক নেমেছে। তেলাপোকা বিনাশে বেশ কার্যকর শুনেছি। কাজে লাগাতে হবে মনে কয়।

নেতার অফিসে বসে অপেক্ষা করছি। মনে মনে ভাবছি একদিন আমিও ঠিক এভাবেই তদবীরকারীদের অপেক্ষা করাব। ভাবতেই মনটা চনমন হয়ে উঠল।

শিলা ফোন দিয়েছে। ও বিপি মাপার জন্য মোড়ের শফিক চাচার ফার্মেসীতে যেতে চায়। আমি জানালাম চাচা গিয়েই প্রেশার মেপে আসবে। ও প্রতিউত্তরে জানাল নিজে গেলে একটু হাঁটাহাটিও হবে।

শিলা। আমার দিলের টুকরা। আমার কেন জানি মনে হয় শিলা আমাকে প্রচণ্ড ঘৃণা করে। আবার একই পরিমাণ ভালোও বাসে। যদিও ব্যাপারটি বিদ্ঘুটে শুনায়। কিন্তু সত্য। ও নিজেও মাঝে মাঝে বলে সেইরকমই বলে। অবশ্য ঘৃণা না করাটাই অস্বাভাবিক হত। কারণ আমি যেভাবে ওকে বিয়ে করেছি তা কোনো মেয়েরই ভালোলাগার কথা না।

আসলে শিলাকে বিয়ে করাটা আমার অনেক অপরাধের মধ্যে একটি বড় অপরাধ। বছর পাঁচেক আগে যখন আমাদের নতুন বিল্ডিং হয়েছে, সেখানে শিলারা ভাড়াটিয়া হিসেবে আসে। ওর বাবা পেশায় একজন ডাক্তার। শিলা তখন হলিক্রসে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। একদিন লিফটে উঠার সময় ওকে প্রথম দেখি। লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট বলে কথা আছে না! ওকে দেখার পর থেকেই বুকের বামপাশে চিকন একখান ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। এই পরীর মতো মেয়েটা কোথা থেকে আসল। শিলাও আমার হাভাতে তাকানো দেখে নিশ্চয় অামাকে এতক্ষণে কুকুর গোত্রীয় ভেবে বসে আছে।

যদিও আমি ঐ বিশেষ প্রাণীটির চেয়ে খুব একটা ভালো কেউ নই। ধাক্কাধাক্কি করে তিনবারের প্রচেষ্ঠায় এসএসসির ফাঁড়া কাটিয়েছি। বাবা-মার আরেক পশলা ধাক্কাধাক্কির চাপে পড়ে কারিগরী প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিগ্রি নিয়েছি অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে। খালি মনে হয়েছে এত কষ্ট কেন লেখাপড়ায়? কানে ধরে শপথ নিয়েছি বেঁচে থাকতে আর বেলতলা মানে পড়াশুনার ধারে কাছেও যাব না। শুনে বিধাতা মুচকি হেসেছিল মনে হয়।

শিলাকে দেখার পরের দিনই পাশের একটি প্রাইভেট ভার্সিটিতে বিএসসি ইঞ্জিয়ারিং এর জন্য ফরম তুলে আনলাম। এ কাজ কেন করলাম, কি জন্য করলাম আমি নিজেও কিছুটা ধন্ধের মধ্যে। বাবা আমার নতুন করে পড়াশুনার খবর শুনে পাশের মসজিদে বিশাল মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করেছে।

তখনও তারা জানে না কেন এই পরিবর্তন আমার। আসল ব্যাপারটা হচ্ছে শিলার পরিবারের শিক্ষার শানে নুযুল জানার পর মনে হয়েছে, এ জনমে তো দূর কি বাত, পরজনমেও শিলার বাবা আমার মতো লাফাঙ্গার সাথে ওর বিয়ে মেনে নিবে না। তাই নিজেকে একটু জাতে তোলার ধান্ধা আর কি! যদিও জানি এটা কোনো কাজ দিবে বলে মনে হয় না!

মাস তিনেক পরে শিলাকে যেদিন প্রথম আমি আমার ভালোলাগার কথা জানাই, সেদিনের ওর প্রতিটা কথা আমার মনে আছে। জবাবে স্পষ্ট উচ্চারণে শিলা বলেছিল, ‘আমি জানি আপনি আমাকে সেই শুরু থেকেই ফলো করছেন। আপনার চেহারা সুরত মাশাল্লা। দশে দশ। অর্থবিত্তে দশে দশ। সমস্যা হচ্ছে আপনার শিক্ষা ও দীক্ষা নিয়ে। এই জায়গাতে আপনি দশে এক। আমার বাবার কথা অনুসারে মানুষের উপরের দুটো বড় কোনো বিষয় নয়। পরেরটাই সব। সেই মতে আপনি আমাদের কাছে গার্বেজ। আর গার্বেজের অবস্থান কোথায় হয় তা নিশ্চয় জানেন। সুতরাং আপনার আর না এগুনোই বেটার। বেস্ট অব লাক মিঃ রবিন’। বলে আমার শিলা রাজেন্দ্রীর মতো মৃদ মন্দ কোমর দোলায়ে আমার চউক্ষের সামনে দিয়ে চলে গিয়েছিল।

আর হ্যাঁ, তখনি আমি বিয়েটা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। সেটা দশে এক থেকে দশে দুই-তিনে উত্তরণের পরেই।

পড়ার প্রতি দারুন মনোযোগী হলাম। এদিকে চলতে ফিরতে শিলাকে দেখি আর ভালোবাসার সুনামী বাঁধ দিয়ে আগলায়ে রাখি। কিছুতেই যেন উপচে না পড়ে। মনে মনে বলি আর কিছুদিন সবুর কর হে চান্দ্রেয়ী!

গুণ্ডাগিরি করা কিছুটা হলেও কমেছে। তবে বাদ দেই নি। হাড় বেআদবের খাতা থেকে ‘হাড়’ শব্দটি কেটে বেআদবে উওরণ ঘটেছে। পাড়ার মুরুব্বীরা কানাঘুঁষা করছে পোলা কিছু আদব লেহাজ শিখছে ইদানিং। সবি শিলার অদৃশ্য অবদান। শিলাও নিশ্চয় এগুলো লক্ষ করছে।

একদিন লিফটে শিলাকে একা পেয়ে মাথা আউলা-ঝাউলা হয়ে গেল। ভালোবাসার বাঁধ ভেঙ্গে যায় যায় অবস্থা। বালির জিও ব্যাগ ফেলতে শুরু করলাম কিনারায় যেন কিছুতেই না ভাঙ্গে। কংক্রিটের বোল্ডার ফেললাম। মনে হয় না আজকে তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে। কি সুন্দর করে সেজেছে! মনে পড়ল আজকে পহেলা বসন্ত। হলুদ শাড়ি পড়েছে। সাথে মাথায় ফুলের মালা। ওফ, পাগল হয়ে যাব আমি। এই দুষ্টু পরীগুলোও ক্যামন যেন? বসন্ত হলেই এমন মারদাঙ্গা সাজতে হবে। এখনই গিটারে সুর তুলতে ইচ্ছা করছে। থাকতে পারলাম না। আবার আমি বেআদবের খাতা পাশে রেখে হাড় বেআদবের খাতা নতুন করে খুললাম। পরের দশ সেকেন্ড হাল্কা একটু ধস্তাধস্তি হয়েছিল লিফটে। গিটারের তার ছিঁড়ে ফেলেছি সুর তুলতে গিয়ে। একজনের কান্না আর আরেকজনের সিগারেট খাওয়া ঠোঁটে লিপস্টিক ও সাথে গালে পাঁচ আঙুলের দাগ নিয়ে দুজন দুদিকে চলে গিয়েছিলাম।

ফলাফল। শিলাদের পরের মাসে বাসা ত্যাগ। যাওয়ার আগে ওর বাবা মানে ডাক্তার সাহেব আমাকে বিশ শিক্কার একটি রামচড় দিয়ে গেলেন। শিলা ডান হাতি হলেও শিলার বাবা বাম হাতি। আদর্শবান পিতা ও মেয়ের এই সামান্য অমিলটুকু আমাকে আশাবাদী করল। আমি হাড় বেআদব থেকে ভীষণ ভদ্র হয়ে মাথা পেতে নিলাম এই আশির্বাদটুকু। হাজার হলেও হবু শ্বশুর। অন্য কেউ হলে চড় মারা হাতটা পাশের বিলাইছড়ির খালে পাওয়া যেত পরের দিন।



নেতার রুমে বসে বসে এসব পুরোনো কথা ভাবছি। তখনই ছোট বোন নায়লা ফোন দিয়েছে। কাঁদতে কাঁদতে বলছে ছোড়দা তাড়াতাড়ি ইউনাইটেড হসপিটালে আস। শিলা ভাবীর অবস্থা ভালো না। আমার মাথা চক্কর দিয়ে উঠল। শিলা আটমাসের প্রেগনেন্ট। একটু আগেই ওকে সুস্থ দেখে আসলাম। এক ঘন্টাও হয় নি। হঠাৎ কি ঘটল! ঝাঁপ দিয়ে নেতার বাসা থেকে বের হলাম। গোল্লায় যাক টেন্ডার। আমার শিলা হাসপাতালে। আমার এই একটাই দুর্বলতা। শিলার কিছু হলে আমি জীবন্মৃত হয়ে যাব।

নায়লা কাঁদতে কাঁদতে জানালো শিলার ব্লিডিং হয়েছে অনেক। প্রিম্যাচিউর ডেলিভারী। বাচ্চাটা বেঁচে নেই। ভাবীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আর কি বলছিল? ফোনটা পকেটে রেখে বাইকের দিকে দৌড় দিলাম।

কীভাবে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল? বাসাতে সকল প্রকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া আছে, যাতে ওর কোনো প্রকার সমস্যা না হয়। বাবা-মা ও নায়লা সার্বক্ষণিক চোখ রাখে ওর উপর। এরপরও দুর্ঘটনা ঘটল। শিলার কথা যতই ভাবছি ততই বুকের ভিতর কান্না দুমড়ে মুচড়ে উঠছে। কেন এমন হয়? এ নিশ্চয় আমার অতীত পাপের ফল। কিন্তু সেটা শিলার উপরে কেন? কেন আমি নই? ওর প্রতি আমার ভালোবাসার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। আমার বাইকের পেছনে শান্টু বসে ছিল। আমি কাঁপছি দেখে শান্টু চালকের আসনে বসল। শিলাকে নিয়ে কত স্মৃতি! আমি শুধু ওকে কষ্টই দিয়ে গেলাম। একবুক চাপা ক্ষোভ, ঘৃণা ও কিছুটা ভালোবাসা নিয়ে হয়ত ও আমার সাথে থাকছে।

মনে আছে কিছুদিন আগে এক ভাড়াটিয়ার ভাড়া দু মাসের বকেয়া রেখেছিল। বেচারা নাকি গার্মেন্টেসের চাকরি খুয়ে এখন খুব খারাপ অবস্থায় আছে। এই কাড়ি কাড়ি টাকা কামাইকারী গার্মেন্টেসের মালিকপক্ষও হাড়ে হা...জাদা। একটুতেই কর্মচারীর চাকরি নট। আর এর ঝামেলা আমাদের মতো বাড়িওয়ালাদের পোহাতে হবে। কাঁহাতক ভালো লাগে। আমেরিকা থেকে ভাই পরামর্শ দিল পাছায় লাথি মেরে বের করে দে ছারপোকাটারে। ভাড়া বাকি রাখবে। এগুলো কোত্থেকে যে ঢাকা শহরে আসে। বড় ভাইয়ের কথা মতো লোকটাকে আল্টিমেটাম দিলাম। সময় চাচ্ছিল। ধমক দিলাম। নো সময়। পরে বেকার লোকটি আমাকে ভাড়াটিয়ার অধিকার নিয়ে কথা শুনাচ্ছিল। আমার মেজাজ সপ্তমে উঠে গেল। শান্টুকে ডেকে ঐ বিকেলেই লাথি মেরে বিদায় করলাম মালপত্র ছাড়াই। সে কি কান্নাকাটি ভাড়াটিয়ার বউয়ের। সাথে ছোট দুটো বাচ্চাও ভ্যাঁ ভ্যাঁ করছিল।

ঐ দিন সন্ধ্যায় দেখি শিলা লাগেজ নিয়ে বাপের বাড়ি যাচ্ছে। বলা নেই কওয়া নেই হুট করে তো শিলা কখনও এভাবে যায় না। আমি কারণ জিজ্ঞেস করাতেই গোখরা সাপের মতো ফোঁস করে উঠল। মানে হচ্ছে আমার মতো নিকৃষ্ট জীবের সাথে আর এক মুহূর্তের জন্যও নয়। বাবা-মা ওর এই চলে যাওয়ার ব্যাপারে সায় দিয়েছে। মনে মনে বললাম, রসুনের গোয়া এক জায়গায় হয়েছে।

কথা দিলাম ঐ ভাড়াটিয়াকে আজকেই আবার এই বাসাতেই ফেরানো হবে। আমি মানুষ খারাপ হতে পারি কিন্তু বউয়ের অবাধ্য নই (সব ব্যাপারে নয়)। পরে সেই ভাড়াটিয়ার হাতে পায়ে ধরে আবার ফিরে আনলাম। এ কি সহজ কাজ! শুধু আমার শিলার জন্য। আর ভাড়াটিয়ারে বলে দিলাম যতদিন নতুন চাকরী না হয়েছে ততদিন ভাড়া দিতে হবে না। আজ থেকে আপনি আমার মায়ের পেটের ভাই। আজীবন এই ফ্লাটেই থাকুন নিজের মনে করে। সাথে এও বলে রাখলাম নগদ কিছু লাগলেও যেন আমাকে বলে।

ঐ দিন রাতে শিলা আমাকে ভীষণ আদর করেছিল। নানা অঘটন-ঘটনের বিয়ে। সেই বিয়ের একবছর ধরে ভিক্ষুকের মতো দ্বারে দাঁড়িয়ে থাকলেও শিলা আদর ভিক্ষা দেওয়াতে দেশের সেরা কৃপণকেও হার মানিয়েছে। যে একমুঠো দুমুঠো দিত কাড়া-আঁকাড়া না ভেবে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতাম। কিন্তু সে রাতে আদরের সিডর উঠেছিল আমাদের পনেরো বাই আঠারো-ফুটের দেয়ালঘেরা রুমে। যার আটমাস পরে শিলা এখন হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে। শুধু আদরের ফসলটুকু ঘরে তুলতে পারলাম না। এগুলো ভাবতে গিয়ে চোখে পানি বাধা মানছে না।

যে আমি শুক্রবারের নামাজও ঠিকমত পড়ি না সেই আমি ওয়াদা করলাম শিলা সুস্থ হয়ে ফিরলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী হয়ে যাব। মনে মনে এবার ওমরা হজ করারও প্লান করলাম। কাতল পীরের দরবারে গরু সদকার ওয়াদা করলাম। হাতি খাদে পড়েছে।

শিলার ছোটভাই মবিন দেখি হাসপাতালের গেটেই দাঁড়িয়ে আছে। আমি যাওয়ার সাথে সাথেই সে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদাকাটি শুরু করে দিল। আমার চোখও দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। বুকটা খালি খালি লাগছে। ভীষণ অপরাধী মনে হচ্ছে নিজেকে। মনে হচ্ছে আমি শিলাকে বিয়ে না করলেই হয়ত ওর এরকম অবস্থা হত না!

মবিনকে জিজ্ঞেস করলাম কীভাবে এটা ঘটল? মবিন বেশ রাগত স্বরে চিৎকার করে বলল, ‘শিলাপা, শফিক সাহেবের ফার্মেসিতে ব্লাড প্রেশার মাপার জন্য নেমেছিল আপনার ছোটবোনের সাথে। কোন শুয়োরে নাকি আপনাদের গলির মুখে রাস্তার উপর কলার খোসা ফেলে রেখেছিল। ওটার উপর পা পিছলেই শিলা আপা পাশের…’

মবিন আর সব কি যেন বলছিল! আর আমার কানের কাছে কথাগুলো গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের মতো এসে বিঁধছে। এভাবেও প্রকৃতি প্রতিশোধ নিতে পারে। মাথা চক্কর দিয়ে উঠল। খালি মবিনকে একটি কথা আস্তে করে বলতে পারলাম, ‘‘শুয়োরটা তার নিজের বাচ্চাকেই খেয়ে ফেলেছে রে মবিন। বাচ্চার মাকেও...’’। ...এরপরই সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেল চারপাশে...।

***********************************************************************
অাখেনাটেন/অক্টো-২০১৮


মন্তব্য ১২৬ টি রেটিং +২৬/-০

মন্তব্য (১২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

বাকপ্রবাস বলেছেন: দারুণ ছিল। খুভ ভাল মানের একটা অণুগল্প পড়লাম।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: প্রীত হলুম। :D

সাথে প্রথম মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

আমি এমনিতে ভয়ে ভয়ে ছিলাম, এত বড় লেখা পাঠক খাবে তো। সেখানে আপনি একে 'অনুগল্প' বলে দিল ঠান্ডা করে দিলেন। যাক বাঁচলুম, পাঠকেরা এটাকে বিশাল মনে করছে না। এখন কেউ 'পরমানু গল্প' না বললেই হয়। হা হা হা। :P

শুভকামনা বাকপ্রবাস ভাইয়ের জন্য।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

রাকু হাসান বলেছেন:


প্রথমে নতুন পোস্টে স্বাগতম ভাইয়া !
গল্প নয় বাস্তব কোনো পুরুষের পরিবর্তনের গল্প যেন শুনছিলাম । দিনশেষে নারীর আদর -ভালোবাসার প্রতি পুরুষরা যে চির দুর্বল সেটার আবারও প্রমাণ পেলাম । রবিনের জন্য খারাপ লাগছে । সে কিভাবে সব কিছু এখন ঘুছিয়ে নিবে । শেষটাই কষ্ট পেলাম । এই হারানোর ব্যথ্যা নিয়ে রবিনের বেঁচে থাকাটা কষ্টকর । সে কি আরও ভালো যাবে না এই আঘাতের পর ! নাকি রিয়্যাকশন করবে !
খুব ভালো লিখেছেন ভাইয়া । গল্প ভালো লেগেছে ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: গল্প নয় বাস্তব কোনো পুরুষের পরিবর্তনের গল্প যেন শুনছিলাম । -- হুম; গ্রামে একটি কথা প্রচলিত 'ঠেলায় পড়লে বিলাই গাছে উঠে'। রবিন বাবুর ক্ষেত্রেও সেরকম কিনা কে জানে? তবে ভাবগতি দেখে মনে হচ্ছে বেচারার দিল বেশ ভালো মতোই টুট গ্যায়া। |-)

দিনশেষে নারীর আদর -ভালোবাসার প্রতি পুরুষরা যে চির দুর্বল সেটার আবারও প্রমাণ পেলাম -- এখানে কবি নিরব থাকিবেক!!!!!

প্রিয় মানুষের ব্যথা-বেদনা প্রকৃত ভালোবাসায় কাছের মানুষদের নাড়া দেয় ভালো ভাবেই। রবিনও নিশ্চয় টের পাচ্ছে।

অাপনাকে শুভেচ্ছা রইল ব্লগার রাকু হাসান সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা।

৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া গল্পটি।এক কথায় অসাধারন।
ছোট্ট একটি গল্পের মাঝে কি সুন্দর করে একটি বার্তা দিয়ে গেলেন।
গল্পে +++

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: অনেকদিন থেকেই একটি গল্প লেখার চেষ্টা করছিলাম। এক দু লাইন লিখে আবার মুছে ফেলতাম। হঠাৎ করে ক্যামনে যেন এটা চুইংগামের মতো টেনে এতদূর আনতে পেরেছি।

সন্দেহ ছিল এসব ছাইপাস পাঠক পছ্ন্দ করবে তো। নাকি কেঁচে গন্ডুস করে ফেললাম। আপনাদের মন্তব্য উৎসাহ দিচ্ছে।

শুভকামনা আপনার জন্য ব্লগার মোস্তফা সোহেল। আপনি নিজেও দু একটা ট্রাই করেন না। অাপনি নিজেও তো বেশ ভালোই লিখেন।

৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখার হাত অতি উচুমানের। আগেও পড়েছি আর মুগ্ধ হয়েছি, এবারও হলাম। দারুন।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

আখেনাটেন বলেছেন: এই সারছে!!! এত এত পাম দিবেন না!! ফেটে গেলে শব্দ দুষণ হবে ক্ষণ। এটা মনে হয় আমার জীবনে দ্বিতীয় বারের মতো গল্প লেখার প্রচেষ্টা (রম্যগল্প বাদে)। এক্সপিরিমন্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।


আপনি নিজেও বেশ ভালো লিখেন। শুভকামনা আপনার জন্য ব্লগার নীলআকা৩৯। ভালো থাকুন।

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: চিরন্তন কিছু সত্য থাকে ।আর আপনি সে সত্যে কে গল্পে প্রকাশ করেছেন । ভাল লাগল ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অাপ্লুত হলুম লিলিয়ানপা।

গবেষণা নিয়ে পোস্টে আপনার মন্তব্যটি আমাকে ভীষণ অানন্দ দিয়েছিল। যতদূর জানি আপনি নিজেও গবেষক সাথে একজন সৃষ্টিশীল লেখকও। পোস্টে আপনার উপস্থিতিতে চমৎকৃত হলুম।

শুভকামনা রইল।

৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: লেখার মান বেশ ভাল ++++

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

আখেনাটেন বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার শাহরিয়ার ইমন।

শুভকামনা।

৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
প্রকৃতির প্রতিশোধের চেয়ে নির্মম আর কিছু নেই। আপনার গল্পে এটাই চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে যে কয়জন ব্লগারের লেখা আমার চমৎকার লাগে বা আমি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি তাদের পরবর্তী পোষ্টের, আপনি তাঁর মধ্যে অন্যতম। আপনাকে আগে গল্প লিখতে দেখি নি। সেই হিসাবে এই লেখাটিকে যদি আপনার লেখা প্রথম গল্প হিসেবে বিবেচনা করি, তাহলে বলতে হয়, প্রথম ওভারে দুই একটি ডট বল খেললেও বাকি সবগুলোতে চার আর ছক্কা। দুর্দান্ত শুরু। আশা করি নিয়মিত লিখলে আমরা দারুন একজন গল্পকার পাবো।

এবার অভিজ্ঞ পাঠক হিসেবে আমার কিছু নিজস্ব মতামত-
১। একজন অসম্ভব ভদ্রলোক যদি হঠাৎ করে কুখ্যাত মাস্তান চরিত্র নিয়ে লেখে - তাহলে যে সমস্যাটি দেখা দিতে পারে, আপনার লেখার শুরুটাও ঠিক তাই হয়েছে। রবিন যে ধরনের কুখ্যাত মাস্তান তার চরিত্রের বর্ণনায়, আচরনে আরো কিছুটা ধৃষ্টতা, অশিষ্টতা আনতে পারলে আরো বেশি চমৎকার হতো। যেমন ধরুন, রবিন সম্পর্কে আমরা ধারনা পাই প্রথম অংশেঃ

'কলার খোসাটা এভাবে রাস্তার উপর ফেললেন কেন?’’ লোকটা উঁচু স্বরে কথাটা বলে চলে যাচ্ছিল। সাথে সাথে আমার মেজাজ গেল হট হয়ে। কাছে গিয়ে ঠাস করে দেড় টনি চড় হাঁকালাম। ঘটনার আকস্মিকতায় লোকটা মারাত্মক ভয় পেয়ে গেছে। আমি কুৎসিত কিছু গালি দিয়ে বাসার দিকে রওয়ানা হলাম।

এখন যদি এভাবে লেখা হতো তাহলে কেমন হতো?
'কলার খোসাটা এভাবে রাস্তার উপর ফেললেন কেন?’’ লোকটা উঁচু স্বরে কথাটা বলে চলে যাচ্ছিল। সাথে সাথে আমার মেজাজ গেল হট হয়ে। কাছে গিয়ে ঠাস করে একটা দেড় টনি চড় মেরে বললাম, তোর কি হইছে? তোর বাপের রাস্তার মাঙ্গের পো?
ঘটনার আকস্মিকতায় লোকটা মারাত্মক ভয় পেয়ে গেছে। আমি আরো কিছু কুৎসিত গালি দিয়ে বাসার দিকে রওয়ানা হলাম।

এইভাবে বা অন্যকোনভাবে যদি রবিনকে আরো কিছুটা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরন দিয়ে ব্যাখ্যা করা যেত, তাহলে অনেক গল্পের কাঠামোটি আরো দৃঢ় বা মেদহীন হতো।

আপাতত, এইটুকু থাক। আমার এত পাকনামিতে আশা করি বিরক্ত হন নি! অনেক অনেক শুভ কামনা রইল। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত গল্প লিখবেন। :)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

আখেনাটেন বলেছেন: প্রকৃতির প্রতিশোধের চেয়ে নির্মম আর কিছু নেই। -- হুম; আমি এই জিনিসটিই দেখাতে চেয়েছি গল্পে। আমরা ভাবি এক, আর হয় আরেক! সুখের জন্য অন্যের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিয়ে মনে করি অামি নিজেই আমার ভগবান। কিন্তু প্রকৃতিরও যে প্রতিশোধের স্পৃহা রয়েছে সেটা ভুলে যাই।

আপনি আমার লেখা আগ্রহ নিয়ে পড়ছেন জেনে অাপ্লুত হলুম। অার হ্যাঁ, বলতে গেলে এটাই গুছিয়ে লেখা প্রথম কি দ্বিতীয় জীবনের গল্প লেখার প্রচেষ্টা। এর আগে কিছু রম্য গল্প লিখেছি। :D

গল্পের ভূমিকাটা নিয়ে আমিও 'টু বি অর নট টু বি' দ্বিধায় ছিলাম। সত্যি কথা বলতে কি, কিছু কটূ বাক্য লিখেও আমি পরবর্তীতে কেটে দিয়েছি। গল্পের প্রয়োজনে ওখানে ওগুলো ভীষণ দরকার ছিল। ঐ জায়গাতে অামি গল্পের প্রোটাগনিস্টের দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে আমার নিজ দৃষ্টিভঙ্গীকে গুলিয়ে ফেলেছি। অামি নিজে যেহেতু ঐ ধরণের শব্দ ব্যবহার করি না কস্মিনকালেও (যদিও এই গল্পেও দু একটা স্লাং ব্যবহার বাধ্য হয়েই করতে হয়েছে), সেটা প্রোটাগনিস্টের মুখ দিয়ে বলাতে অাড়ষ্টতা কাজ করছিল। এখানে আমার ব্যক্তিসত্তা থেকে বের হয়ে গল্পের চরিত্রে ঢুকে পড়া আমার হয়ে উঠে নি পরিপর্ণভাবে। হয়ত সামনের কোনো গল্পে, আদৌ যদি লিখি, এই দুর্বলতা নিয়ে কাজ করতে হবে। আপনার এই পরামর্শ দ্বিধার রাস্তাটা পরিষ্কার করে দিল। :)

অাপনাকে ধন্যবাদ কাভা ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

নীলপরি বলেছেন: দারুণ লিখেছেন । ++

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: নায়কের নীল বিষে জর্জরিত হওয়ার গল্পে নীলপরির ভালো লেগেছে খুশি হলুম।

শুভকামনা আপনার জন্য। ভালো থাকুন। শারদীয় পূজোর শুভেচ্ছা নিবেন। :D

৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্লট পছন্দ হয়নি, শিলাকে এসব থেকে দুরে রাখার দরকার ছিলো

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: প্লট পছন্দ হয়নি, শিলাকে এসব থেকে দুরে রাখার দরকার ছিলো -- হা হা হা। শিলারা পালাবে কোথায়?

হাজারো শিলারা এভাবেই সমাজের অানাচে কানাচে বোতলবন্দী হয়ে আছে। না পারছে শিকল ছিড়ে বের হতে না পারছে চালিয়ে যেতে। এ এক অদৃশ্য বাঙ্গালী মায়া!!! সমাজটাও এতটা উদার না।

আপনার উপস্থিতে ভীষণ অাপ্লুত হলুম। :D

১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

মিথী_মারজান বলেছেন: চমৎকার গল্প!
সেই সাথে শিক্ষামূলক থিম।
শেষটায় এসে আবার যেভাবে পাঠকদের শুরুতে ফিরিয়ে নিলেন, দারুন লেগেছে ব্যাপারটা।
আমি নিজেই গল্পের শুরুটা আরেকবার পড়ে এসেছি।
মাথার ভেতর গেঁথে গেল গল্পটা।
গল্পটা যারা পড়বে, আমি শিওর, কলার খোসা যেখানে সেখানে ফেলতে গেলেই এই গল্পটা প্রতিবারই তাদেরকে সচেতনতার সিগন্যাল দিবে।
অনেক অনেক ভালোলাগা।:)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: শেষটায় এসে আবার যেভাবে পাঠকদের শুরুতে ফিরিয়ে নিলেন, দারুন লেগেছে ব্যাপারটা।
আমি নিজেই গল্পের শুরুটা আরেকবার পড়ে এসেছি।
-- আমি মারাত্মক খুশি হলাম এই কথাটাতে। আমি নিজেও দেখতে চাচ্ছিলাম পাঠকেরা শেষটুকু পড়ে আবার প্রথমে ফিরে যায় কিনা। আপনি আমার সে অাশাকে পূর্ন করেছেন।

একটা কথা আছে 'পাপ নাকি বাপকেও ছাড়ে না'। গল্পটার ব্যাপারে এটা মাথায় রেখেছিলাম। অামরা যতই নিজেদেরকে ডন ভাবি, অদৃশ্য কিছু একটা আছে যা আমাদের সকল অহংকার মাটিতে মিশায়ে দিতে পারে। সাথে সামান্য অসচেতনা কীভাবে জীবনকে সঙ্কটময় করে তুলতে পারে।

আরেকটা জিনিস হয়ত খেয়াল করেন নি। যে ভদ্রলোক ঐ কথাটি বলে চড় খেল তিনিও কিন্তু কলার খোসাটি তুলে পাশে না ফেলেই চলে গেছেন। এখানে আমাদের টোটাল ভদ্রগিরির একটি কুৎসিত রূপও দেখাতে চেয়েছিলাম। আমরা মুখে অনেক কিছুই বলি কিন্তু বাস্তব কাজে তার সামান্যই প্রতিফলন ঘটে।

অসংখ্য ধন্যবাদ ব্লগার মিথী_মারজান আপনাকে। এমন চমৎকার একটি মন্তব্য করে গল্পকে আরো দৃঢ় করেছেন।

১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা। ধন্যবাদ। সেই কারনেই বলেছিলাম, একজন অসম্ভব ভদ্রলোক যদি হঠাৎ করে কুখ্যাত মাস্তান চরিত্র নিয়ে লেখে তাহলে যে সমস্যা হতে পারে, আপনারও সেই সমস্যা হচ্ছে। সত্যি বলতে আপনার এই সমস্যাটা আমি কিঞ্চিত উপভোগই করেছি।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। আপনার শেষ বাক্য আমাকে অতীতে ফিরে নিয়ে গেল।

ভার্সিটি লাইফে আমার এক বেস্ট ফ্রেন্ড, ক্লাসমেট ও একইসাথে রুমমেট ছিল (বর্তমানে আমলা)। হিন্দু। সুদর্শন। কিন্তু মাঝে মাঝে ভীষণ মুখ খারাপ করত। মোবাইলে বন্ধুদের সাথে কথা বললেও খিস্তি খেউড় লেগেই থাকত। অামি যেহেতু এসব পছন্দ করি না, ফলে সে কিছুদিন পরেই দু একটি স্লাং শুরু করেই আমার দিকে তাকিয়ে কিছুটা বিরক্ত হয়েই রুম থেকে বের হয়ে যেত।

এভাবে চলতে চলতে (তিন বছর) কিছুদিন পরে বেচারা একসময় ঐ সকল খিস্তি প্রায় ছেড়ে দিয়েছে। সঙ্গদোষে লোহা ভাসে (ভালো অর্থে)। পরে সে আমাকে অল্পমাত্রার গালি দিয়ে বলে 'তোর জন্য আমার সাধের গালাগালি' নদীর জলে ভেসে গেল। হা হা হা।

১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুগ্ধ পাঠ ভায়া!

একেবারে ডুবে গেছিলাম!

প্রকৃতি এভাবেই প্রতিশোধ নেয়। আমরা দেখেও দেখিনা! বুঝেও বুঝিনা!
আবারো কলার খোসা ছড়িয়ে রাখি পথে - -

কাভা ভাইয়ের মন্তব্যেও ভাললাগা।
আপনার বিশ্লেষনে প্রীত :)

+++++

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

আখেনাটেন বলেছেন: প্রকৃতির মার দুনিয়ার বার................. |-)


ছোট ভুলও কখনও কখনও জীবনের কাল হয়ে যেতে পারে। সময় থাকতে সাবধান হয়ে যাওয়ায় ভালো।

মন্তব্যে প্রীত হলুম ভৃগু দা। শুভেচ্ছা।

১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শেষটায় খুব কষ্ট লাগলো।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: জীবনের গল্পগুলো বেশ কষ্টেরই বোধ হয়। সুখ সে তো বহুদূর..........


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার সাধু।

১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: একজন খারাপ ব্যক্তিত্বের অধিকারী থেকে ভালো চরিত্রের একজন মানুষ হয়ে উঠার গল্প পড়লাম। চমৎকার লিখেছেন ভাইয়া। শেষের দিকটি পড়ে খারাপ লাগছে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

আখেনাটেন বলেছেন: ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: একজন খারাপ ব্যক্তিত্বের অধিকারী থেকে ভালো চরিত্রের একজন মানুষ হয়ে উঠার গল্প পড়লাম। --- ফারিয়া দেবীর কেন মনে হল মিঃ খারাপ ব্যক্তিত্ব ভালো হয়ে যাবে? মুখে বললেও সেটা কি বাস্তবে পালন করা সহজ.........।

গল্প পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুভকামনা রইল ব্লগার ফারিহা হোসেন প্রভা। B-)

১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

জুন বলেছেন: মাস্তান চরিত্রটি এমন নিখুত ভাবে কি করে ফুটালেন বলেন দেখি আখেনাটেন :-*
আমিতো বিস্মিত চমকিত ;)
শেষের ট্র্যাজেডি টুকু এই বলে গেল প্রকৃতি তার শোধ ঠিকই নিয়ে নেয় যা আমরা বুঝতে পারি না ।
গল্পে ভালোলাগা ।
+

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

আখেনাটেন বলেছেন: জুনাপা,

আপনার গল্প ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলুম। মাস্তানের একটু ইয়ালিক ঢিসুয়া ঢিসুয়া থাকলে মনে হয় আরেকটু জমত। হা হা হা।

প্রকৃতির শোধবোধটুকু নিয়েই গল্পটিকে উপজীব্য করেছিলাম। অামরা অামার অামিত্বে এতই ব্যস্ত থাকি যে খারাপ জিনিসকেও আর খারাপ মনে হয় না। ফলে প্রকৃতি মনে হয় সেই শোধটুকি তোলে।

চমৎকার কমেন্তোর জন্য শুভেচ্ছা জুনাপাকে। :D

১৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

আরোগ্য বলেছেন: গল্প নয় যেন আমার এক কাজিনের গুন্ডামির দৃশ্য। দারুণ লাগলো।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: আরোগ্য বলেছেন: গল্প নয় যেন আমার এক কাজিনের গুন্ডামির দৃশ্য। -- তাই নাকি! শুনে ভালো মন্দের মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। সমাজের একটি শ্রেণি এভাবেই চলছে। তবে এখানে যতটা খারাপভাবে দেখানো হয়েছে তারচেয়েও খারাপ অবস্থা।

আপনার ভালোলেগেছে জেনে খুশি হলাম ব্লগার অারোগ্য।
আপনার একটি কবিতা দেখলাম প্রথম পাতায়। পরে একসময় পড়ব। ভালো থাকুন।

১৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

লাবণ্য ২ বলেছেন: অসাধারন লেখনি।আশাকরি নিয়মিত গল্প পাবো।প্রিয়তে নিলাম ভাইয়া।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

আখেনাটেন বলেছেন: প্রীত হলুম আপনার কামেন্টোতে ব্লগার লাবণ্য ২।


আপনাদের ভালোলাগা আমার অনুপ্রেরণা। যদিও এই সামুর কল্যাণেই লেখালেখির হাতেখড়ি। নিয়মিত না হলেও লিখব অাশা করি।

সুন্দর মন্তব্য ও প্রিয়তে নেওয়ার জন্য লাল পদ্মের শুভেচ্ছা রইল। :D

১৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।
সহজ সরল ভাষা।
কলার খোসা যারা রাস্তায় ফেলে তারা নির্বোধ।
শিলার মতো আমার একটা বন্ধু ছিল।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০১

আখেনাটেন বলেছেন: কলার খোসা যারা রাস্তায় ফেলে তারা নির্বোধ। -- এইরকম নির্বোধে ভরে গেছে চারপাশ।

শিলার মতো আমার একটা বন্ধু ছিল। -- অাহা, বেচারি। এখন কি অবস্থা।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

১৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫১

করুণাধারা বলেছেন: দারুন গল্প। নিজের ভিতর মাস্তানকেও দারুণভাবে লালন করেছেন- সব চরিত্রই খুব বাস্তবসম্মত হয়েছে।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২২

আখেনাটেন বলেছেন: গল্প ভালো লাগায় ভীষণ খুশি হলুম। মাস্তানটাকে আর একটু রাফ অ্যান্ড টাফ বানাতে পারলে মনে হয় ভালো হত। এ ব্যাটা বউ পাগল। :P

আপনাকে আমার এর আগের পোস্টে না দেখে মনে করলুম আপা রাগ-টাগ করল কিনা। :D

অনেক অনেক শুভকামনা রইল করুণাধারাপা।

২০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৯

কাতিআশা বলেছেন: উফ্‌ দুর্দান্ত! কি যে ভালো লাগলো পড়ে আপনার লেখাটা..+++++++++++++

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার গল্পের ভালোলাগার অভিব্যক্তি আমাকেও ছুঁয়ে গেল কাতিঅাশাপা।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা থাকল আপনার জন্য।

২১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২০

সাইন বোর্ড বলেছেন: অনেকগুলো বিষয় গল্পে উঠে এসেছে, যা গল্পকে অারো সমৃদ্ধ করেছে । মুগ্ধ পাঠ, সুন্দর !

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: সাইন বোর্ড বলেছেন: অনেকগুলো বিষয় গল্পে উঠে এসেছে, যা গল্পকে অারো সমৃদ্ধ করেছে --- ব্যাপারটি আপনার জহুরীর চোখ এড়িয়ে যায় নি দেখে ভালো লাগল। এই লেখাটির উদ্দেশ্যই এগুলো। সমাজটা কীভাবে চলছে?

অনেক অনেক শুভেচছা রইল আপনার জন্য।

২২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ফ্যারাওভাই,

গল্পটাতে যখন লাইক দিয়েছিলাম তখনই নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছিলাম। কিন্তু কমেন্ট করার মত অবস্থায় ছিলাম না
।যেকারনে এখন আবার আসা। মন্তব্যগুলিও পড়লাম। সবাই খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। তবে কাভাভায়ের মন্তব্যটা ভীষণ ভালো লেগেছে ।
এবার আমার কথা, অসাধারণ লাগলো রবিনকে। একেবারে আদর্শ ছোটোভাই আরকি। কলার খোসার বৃত্তান্তটা গল্পের মাত্রাকে পরিপূর্ণতা দিয়েছে। সবমিলিয়ে আপনি সত্যিকার রাজকীয় মেজাজে বা ফ্যারাও মেজাজে রাজ্য শাসন থুরি গল্প বলেছেন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।


১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: লেখাটি একটু বড় হওয়াতে অনেকেই খিঁচে দৌড় দেওয়ার কথা। হা হা হা। মনে করেছিলাম আপনি সেইরকম লাইক দিয়ে দৌড় লাগালেন কিনা। হা হা হা। আমাকে ভুল প্রমাণিত করিয়া সদর্পে রাজ্যসভায় পদার্পণ করিয়া কৃতার্থ করিলেন উজিরে আলা পদাতিক দা। :P

কিছু মিষ্টিমুখ করুন আর শুভেচ্ছা নিন গল্পটি ভালো লাগায়।

অনেক অনেক ভালবাসা রইল আপনার জন্য।

২৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন ,



আখেরে এমন টুইষ্ট থাকবে ভাবিনি ।
জমাটি গল্প । মূল চরিত্রটি ফুটিয়েছেন দারুন । ব্রাভো...........

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন:
প্রীত হলাম আপনার ভালোলাগাতে।

অশেষ ধন্যবাদ নিবেন প্রিয় ব্লগার অাহমেদ জী এস। শুভকামনা। ভালো থাকুন।

২৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কত শিলাকে এভাবে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আজীবনের জন্য বন্দী(পড়ুন ধর্ষিত) হতে হচ্ছে তার হিসাব নেই। তবুও প্রকৃতির প্রতিশোধের ব্যপারটা যদি ওরা মাথায় রাখে...

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: একটি স্বপ্নচারী মেয়ে একটি বখাটে ছেলের সাথে ইচ্ছা-অনিচ্ছার দোলাচলে পড়ে ঘর করে যাচ্ছে। নিশ্চয় এরকম শিলার অভাব নেই এদেশে।

এজন্য হয়ত প্রকৃতি ব্যাপারগুলো খেয়াল করে। কিন্তু ঝড়গুলোও যায় ঐ অসহায়দের উপর দিয়েই।


অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ব্লগার বিচার মানি তালগাছ আমার।

২৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

চাঙ্কু বলেছেন: দারুন গল্প। মাস্তান চরিত্রটি পছন্দ হইছে!! আপনি গদ্য আসলেই ভালো লেখেন!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

আখেনাটেন বলেছেন: জেডা অবশেষে দেখা দিলেন।

মাস্তান চরিত্রটি আমারও পছন্দ। কিন্তু ব্যাটা মনে হচ্ছে বেশিই বউয়ের ন্যাওটা। :P


শুভেচ্ছা গভীর রাতে উঁকি দিয়ে মন্তব্য করার জন্য। :D

২৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখার হাত অতি উচুমানের। আগেও পড়েছি আর মুগ্ধ হয়েছি, এবারও হলাম। দারুন।

চাপাবাজি বন্ধ করেন ;) আমি ব্লগে মোটামুটি বর্তমান সবার লেখাই পড়ে ফেলেছি এরই মধ্যে। আমি সবার ব্লগ পেজে যেয়ে পড়ে আসি। এটা আমার স্বভাব। লেখা পছন্দ না হলে বা কোন কিছু ঠিক মনে না হলে সরাসরি বলে আসি। এই পোষ্টে না জেনে কোন কিছু বলিনি। এই সামু ব্লগে আপনার মতো স্যাটায়ার লেখা আমি খুবই কম দেখেছি। আপনার পোষ্টে কতজন পড়ে সেটা দেখলেই বুঝা যাবে…........
আগের কথাই রিপিট করলাম।
আপনার লেখার হাত অতি উচুমানের। আগেও পড়েছি আর মুগ্ধ হয়েছি, এবারও হলাম। দারুন।
আরেক টা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম গতবার, ছবি টা চমতকার হয়েছে, রুপক অর্থে পারফেক্ট।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: স্যাটায়ার লেখাটা আমি নিজেও উপভোগ করি। যদিও অনেকের পড়ে মনে হয় পিত্তি জ্বলে। X((

কিন্তু ৫৭ ধারার খড়ক সেটি এবার বন্ধ করে দিয়েছে। কে হায় খাল কেটে কুমীর অানতে চায়? তারচেয়ে এই ভালো মাস্তানদের নিয়ে গল্পগুজব করা। :(

আর ছবিটির ব্যাপারে আপনি বলাতে বেশ ভালো লাগল। এই গল্পের নাম চুজ করতে গেছে বেশ কিছু সময়। আর ছবি পছন্দ করতে জান ঝালাপালা। অনেক ঢুড়ে শেষে এই জিনিস। দ্যা মরিবান্ড বিউটি অ্যান্ড দ্যা ক্রেস্টফলেন বিস্ট।

২৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হোয়াট গউজ এরাউন্ড
কামস এরাউন্ড ......
সবাই অনেক সুন্দর করে আগেই বলে গেছেন ; আমি ও বলছি -
চমৎকার লেখা।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১১

আখেনাটেন বলেছেন: ...Karma... নরকেও টেনে নিতে পারে।


পড়ে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ মনিরাপা। শুভকামনা।

২৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: স্যাটায়ার লেখাটা আমি নিজেও উপভোগ করি। যদিও অনেকের পড়ে মনে হয় পিত্তি জ্বলে। X(( কিন্তু ৫৭ ধারার খড়ক সেটি এবার বন্ধ করে দিয়েছে। কে হায় খাল কেটে কুমীর অানতে চায়? তারচেয়ে এই ভালো মাস্তানদের নিয়ে গল্পগুজব করা। :(
আমি নিজে লেখা লিখির চেষ্টা করি। কি ঘোড়ারডিম হয় জানিনা, পৃথিবীতে বিশ্বাস করুন এই টাইপের লেখাই সব চেয়ে কঠিন। আপনার একটা লেখা পড়ে খুব উতসাহ নিয়ে একটা লিখেছিলাম, Click This Link
কিছুই হয়নি। সবার কে দিয়ে সব কিছু হয় না। সাধে কি আপনাকে জোড় দিয়ে বলেছি...........

লেখা অনেকেই দেয়, কিন্তু এর সাথে ম্যাচিং করে ছবি দেয়া, সিমবোলিক মিনিং সহ যা পুরো লেখাটা কে অর্থবহ করে তুলে, এরকম আমি খুব কম পাই এই ব্লগে। আমি ও যে পারফেক্ট ছবি দিতে পারি না নয়, তবে সব সময় চেস্টা করি। যাদের টা সুন্দর হয়, অর্থবহ হয় বা অন্তত: যারা চেষ্টা করে তাদের কে আমি অবশ্যই বলে যাই।
শুভ সকাল।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২১

আখেনাটেন বলেছেন:
একটু সময় দিলে, লেখার প্রতি প্যাশন থাকলে সবার লেখাই কম-বেশি ভালো হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের সকলের সময়ের যে বড্ড দাম। ফলে আমরা সবাই অ্যামেচার লেখক। :D

অাসলে মনের অানন্দে লিখতে পারাটায় বড় কথা। যেহেতু এগুলোর জন্য কেউ আমাদেরকে দু পয়সা দিবে না সেহেতু নিজের অানন্দটা যেন শতভাগ থাকে সেদিকেই সৌখিন লেখকদের মনোযোগ দেওয়া উচিত। আর ভালো লেখার জন্য মনের একটা ক্ষিদে থাকাও দরকার। আমি কিন্তু সেটা অনুভব করি, বিশেষ করে স্যাটায়ার ও রম্যগুলোর ক্ষেত্রে। যদিও কখনই পরিপূর্ণ তৃপ্ত হতে পারি না, যখন আমার কিছু প্রিয় লেখকদের সাথে তুলনা করি। |-)

*আপনার লেখাটা পড়ে আসলাম। মন্তব্য রেখে এসেছি।

২৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওয়াও, শুধুই ওয়াও!!! :)

কোথাকার কলার খোসাকে কোথায় নিয়ে গেলেন!! একেই বলে লেখকের মুন্সিয়ানা।
আপনার লেখার জন্যে অপেক্ষা করে থাকি, এটা কিভাবে মিস হয়ে গেল? আলোচিত পাতায় না আসলে তো সহজে চোখেই পড়তো না।
যাই হোক, আপনার রম্যগুলো তো অসাধারন হয়ই, এখন দেখি গল্পও সেরাম!!!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: কোথাকার কলার খোসাকে কোথায় নিয়ে গেলেন!! -- হা হা হা। গল্পের নামটা 'কলার খোসা' দিলে মন্দ হত না। এ ব্যাটা কি বিড়ম্বনায় না নিয়ে এসেছে আমাদের মাস্তান ভায়ার জীবনে।


ধন্যবাদ পাম তেলের জন্য। যদিও এ তেল শরীরের জন্য নাকি খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। :P

শুভকামনা। আপনার ঈর্ষার কাহানি পড়ে কিন্তু আপনার লেখার প্রতিও ঈর্ষা বাড়ছে ভুয়া মফিজ ভাই। আমার হাতে আপনি ঠিকই একদিন মোরগ দাবড়ানি আপনি খাবেন কয়ে দিলুম কিন্তু। :-P

৩০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

রক বেনন বলেছেন: কতটা ভালো লেগেছে বলে বা লিখে প্রকাশ করতে পারব না, ব্লগার!! পোষ্টে ++++++

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: ক্লিন ইস্টউডের আপনার এই প্রোপিক দেখে খালি 'দ্যা গুড, দ্যা ব্যাড, দ্যা আগলি'র কথা মনে পড়ে যায়। আমি কিন্তু একসময় রাত-বিরাত ওয়েস্টার্ন বই আর ছবি দেখে কাটিয়েছি। :D

আপনার অনুবাদ গল্প আর দেখছি না। শুভকামনা।

৩১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

জ্ঞান পাগল বলেছেন: অসাধারণ গল্প একবারে পড়ে ফেললাম

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: জ্ঞানের জন্য আপনার পাগলামী দেখে আপনার ব্লগবাড়িতে ঢু দিয়েছিলুম। কিন্তু হতাশ হলুম। এতদিন ব্লগে থেকেও একটিও লেখা দ্যান নাই। ক্যামনে কী?

জ্ঞান পাগলের কাছ থেকে চমৎকার জ্ঞানী-গুণী লেখা চাই শীঘ্রই। জ্ঞানকে আমি ভালো পাই। :D

অামার ব্লগে সু্স্বাগতম।

৩২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

অন্তরন্তর বলেছেন: গল্প অসাধারন। দারুন একটা মেসেজ আছে গল্পে। এমন গল্প পড়তে ভাল লাগে। সব বিজ্ঞ ব্লগাররা সব বলেই দিয়েছেন আপনার লিখার ব্যাপারে। থাক আর পাম দিলাম না। শুভ কামনা।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

আখেনাটেন বলেছেন: থাক আর পাম দিলাম না। :P-- সঠিক কাজটিই করেছেন প্রিয় ব্লগার অন্তরন্তর। পাম তেল শরীরের জন্য ভালা নয়। হা হা হা।

আপনার জন্য থাকল ভালোবাসা ও শুভকামনা নিরন্তর।

৩৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

কিরমানী লিটন বলেছেন: মুগ্ধ ভালোলাগার অনুগল্প । নিরন্তর শুভকামনা....

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার মুগ্ধতা আমাকেও নাড়া দিয়ে গেল। ছোট্ট কথাগুলো লেখনের মনে শরতের স্নিগ্ধ বাতাসের মতো দোলা দিয়ে যায়।

শুভকামনা। ভালো থাকুন।

৩৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: গল্পেই ভাল শোনায় ।বাস্তবে অসৎ চরিত্রের মানুষের এই ধরনের আবেগ থাকে না।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

আখেনাটেন বলেছেন: বাস্তবে অসৎ চরিত্রের মানুষের এই ধরনের আবেগ থাকে না। -- হা হা হা। খুব একটা মন্দ বলেন নাই। তবে আমার বাস্তবে দেখা কিছু অসৎ মানুষ আছে বউকে যমের মতো ভয় পায়। এই ভয়টাকে কি হিসেবে দেখা যেতে পারে? :D

ধন্যবাদ ব্লগার ঢাবিয়ান গল্পটি পড়া ও মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য। শুভকামনা আপনার জন্য।

৩৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এধরেণর গল্প নিয়ে সিনেমা হলে হিট হবে। দর্শকও ভিন্ন স্বাদ পাবে।

দারুন। ফাটাফাটি।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এধরেণর গল্প নিয়ে সিনেমা হলে হিট হবে। -- বাংলাদেশের সিনেমার গল্পগুলো কিন্তু খারাপ না। কিন্তু কারিগর ভালো না হলে যা হয়। সব কেঁচে গুন্ডুস করে ফেলে।

সত্যি কথা বলতে কি, কচিকালে একবার আমারও সিনেমার পরিচালক হওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল। :P আমার এক কলেজ ফ্রেন্ড ও বুজম বন্ধু নাটক-ছবির বিখ্যাত পরিচালক। রেদওয়ান রনির নাম শুনে থাকবেন। এই বিট্টু। কী হতে চেয়েছিল আর কী হয়েছে? আমার ক্ষেত্রেও তাই।

সবি ভবের লীলাখেলা।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।

৩৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: গল্পটি একটি নিদিষ্ট থিম নিয়ে এগিয়েছে। শেষে এসে যেভাবে কনক্লুসন টেনেছেন তাতে থিমটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
আপনি নিয়মিত গল্প লিখুন।

আমার ভাললাগা রইল গল্পে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: ব্লগের কল্প কাহিনির গুরুর ভালোলাগায় অাপ্লুত হলুম। :D


নিয়মিত লিখতে পারব কিনা জানি না তবে চেষ্টা থাকবে নিশ্চয় আপনাদের মতো পাঠক পেলে।

শুভকামনা আপনার জন্য ব্লগার কাছের-মানুষ। ভালো থাকুন।

৩৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

মুক্তা নীল বলেছেন: গল্পটা ভালো লেগে গেলো। Desperate টাইপ ছেলেরা এমনই ভালোবাসে। কিন্তু শিলার জন্য এই বিচার কেন? জানিনা কেন শিলার জন্য খারাপ লাগছে

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৪

আখেনাটেন বলেছেন: Desperate টাইপ ছেলেরা এমনই ভালোবাসে। -- কিছু কিছু ক্ষেত্রে সত্য। সবাই নয় মনে হয়। কিছু আছে টোটাল কুলাঙ্গার।

শিলাদের জন্য রইল অসীম ভালোবাসা।

সাথে আপনার জন্যও থাকল অশেষ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ব্লগার মুক্তা নীল। আপনার নামটা এই প্রথম দেখলাম মনে হচ্ছে ব্লগে।
ভালো থাকুন। হ্যাপি ব্লগিং।

৩৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

বিজন রয় বলেছেন: আমার কিছু বলতে হবে?

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। না না না। এই এক বাক্যেই অনেক কিছু বলা হয়ে গেছে বিজন দা। এ শুধু কবির পক্ষেই সম্ভব। :D


শুভকামনা আপনার জন্য। ভালো থাকুন।

৩৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার লেখার হাত জমাটি

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

আখেনাটেন বলেছেন:

জমাটি লেখায় ছুটু কমাটি মন্তব্যে প্রীত হলুম। :D

এবার আপনার গল্প লেখার পালা। মোল্লাদের পিছে লেগে থাকতে গিয়ে এই সত্তাটা হারিয়ে ফেললে ক্যামনে হবে। :)

৪০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

শিখা রহমান বলেছেন: গল্পটা ভালো লেগেছে। চরিত্র চিত্রণ আর বর্ণনা খুব সুন্দর, একটু গতানুগতিকতার বাইরে। তবে গল্পটা কিভাবে শেষ হবে বুঝতে পারছিলাম না বলে শেষ পর্যন্ত খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েছি। শেষটা দুর্দান্ত হয়েছে।

আশাকরি আরো গল্প পাবো আপনার কাছে থেকে। শুভকামনা ও ভালোলাগা!!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্য পড়ে অাপ্লুত হলুম শিখাপা। :D

আপনারা হচ্ছেন গল্পের গুরু। আর আমি করছি কেবল শুরু। হা হা হা। অানাড়ি লেখাতে প্রশংসা উপভোগ করলুম।

শুভকামনা নিরন্তর শিখা'পা। ভালো থাকুন।

৪১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ওয়াও...........অনবদ্য

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২১

আখেনাটেন বলেছেন: :D


জানি অামি রচিয়াছি গোবরযুক্ত গদ্য
কি করি'র কাছে সেটাই নাকি অনবদ্য
কাশি অাসে হাসি অাসে বুকে ব্যথা সদ্য
পণ করেছি লিখব এবার খাসা একখান পদ্য।

শুভকামনা।


৪২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রথম প্যারাগ্রাফ পড়ে আমিই যেন কলার খোসায় পা দিয়ে দড়াম করে পিছলে পড়লাম (সূত্র কাভা -র প্রথম পয়েন্টের প্রথম অংশ ) I ধীরে ধীরে ব্যাথা কমে গল্পে মুগ্ধতা I দারুন অন্যরকমতার দরুন গল্পে দুর্ধর্ষ ভালোলাগা I

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। বেড়ে বলেছেন।


শুভকামনা নিরন্তর।

৪৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

শায়মা বলেছেন: প্রথমেই বিউটি এ্যান্ড দ্যা বিস্টের ছবি দেখিয়া ভীত হইলাম!!!!!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: ভীত হলে হইবেক না...বিস্ট দেখছেন না কীভাবে কাপড়-কুপুড় ছিঁড়ে-চুট্টে যুয়ান পোলাতে রূপান্তর হইবার লাগছে। ;)

৪৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১২

শায়মা বলেছেন: হা হা হা ভাইয়া বিউটি এ্যান্ড দ্য বিস্টের প্রথমালাপের পড়াশুনা সম্পর্কিত অংশটুকু পর্যন্ত পড়ে কমেন্ট করছি। শিলার বাক্যবাণ পড়ে বড়ই আমোদিত হইলাম আর বিস্টের পড়ালেখা সম্পর্কিত এত কষ্ট কেনো পড়ালেখার গান শুনে হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পড়ে গেছি !!!!!!!!!!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: একটা গানের সুর মনে হয় টুকে দিয়েছিলুম সেখানে...হা হা হা।


আমার এক কাজিনের বাচ্চা ছোটকালে এতই বদ ছিল। এতই বদ ছিল। এতইই বদ ছিল যে টিউটরের বাসায় নেওয়ার জন্য তাকে বাঁশের মধ্যে হাত পা বেধে দুজন কাজের লোক ঘাড়ে করে নিয়ে যেত। হা হা হা।

৪৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এখনও হাসছি......

ডানহাতি চড় আর বামহাতি বাবা চড়!!!!!!!


আহারে আমার ভাইয়াটার তার পর কি হলো ভাবছি ....

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১২

আখেনাটেন বলেছেন: কি আর করবে? হবু শ্বশুড়ের চড় বলে কথা। নাইকার সামনে চড় খেলেও গড় করে পেন্নাম করবে? এদের কে চেনেন না? হা হা হা।

৪৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া শেষ পর্যন্ত এই মজার হাসাহাসি লেখাটার এই হাল করলে!!!

:(

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: |-) |-)

৪৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

ওমেরা বলেছেন: কি ফান্টাস্টিক একটা গল্প। আল্লাহ মানুষের পাপের শাস্তি শুধু আখেরাতেই দিবেন না কিছু কিছু শাস্তি দুনিয়াতেও দেয় আমরা হয়ত এটা অনুধাবন করি না । সুন্দর গল্পে ভাল লাগা।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: ঠিক তাই।

সুখের লাগিয়া এ ঘর-বাড়ি বাঁধিনু (অবৈধ উপায়ে)
অনলে পুড়িয়া গেল, পানিতে ভাসিয়া রলো।

অনেক ধন্যবাদ ওমেরা সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।

৪৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

নজসু বলেছেন: কষ্টের স্মৃতি ভুলতে নেই আমার মতে।
ভবিষ্যতে কাজে লাগে।


গল্প যখন পাঠ করা শুরু করলাম একটু অবাক হলাম। কি ব্যাপার লেখক নিজেই খল চরিত্রের।
একজন নিরপরাধ লোক অপ্রিয় সত্য কথা বলেছিল বলে ঠাস করে চড় হজম করতে হয়েছিল।

দুনিয়ার ধার দুনিয়াতেই শোধ হয়”,
আপনার কৃতকর্মের ফল পৃথিবীতে থাকা অবস্থায়ই মানুষ পেয়ে যায়।

গল্পটা পড়ে কষ্ট লাগলো; কিন্তু বিরাট একটা শিক্ষা পেয়ে গেলাম।




১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

আখেনাটেন বলেছেন: দুনিয়ার ধার দুনিয়াতেই শোধ হয়”,
আপনার কৃতকর্মের ফল পৃথিবীতে থাকা অবস্থায়ই মানুষ পেয়ে যায়।
-- কিছুক্ষেত্রে মনে হয় তাই। কখন কোনদিক দিয়ে মহাপরাক্রমশালী মহারাজার পতন ঘটবে কেউ কি জানে?

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার নজসু। শুভকামনা।

৪৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪০

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: গল্পের প্লট বেশ ভালো ছিল। সাথে লেখনীও। শুভকামন রইলো। :)

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫০

আখেনাটেন বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলুম।

আর মন্তব্যের জন্য থাকল এক ডালি ফুলের শুভেচ্ছা।

৫০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

আরিফ রুবেল বলেছেন: জমজমাট গল্প। আক্ষরিক অর্থেই এক নিঃশ্বাসে পড়লাম।

ধন্যবাদ এরকম চমৎকার একটা সময় উপহার দেয়ার জন্য। গল্প তো অনেকেই লেখে, এরকম করে কয়জনই বা লেখে।

শুভ কামনা রইল :)

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০২

আখেনাটেন বলেছেন:

অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্লগার অারিফ রুবেল চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

শুভকামনা।

৫১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:০৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন প্রকৃতির প্রতিশোধ। শিলার হাঁটতে যাওয়ার বিষয়টা আসতেই বোঝা গিয়েছিল শেষে কি হবে।
শেষের চমকটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারলে বেশ হতো

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: শিলার হাঁটতে যাওয়ার বিষয়টা আসতেই বোঝা গিয়েছিল শেষে কি হবে। -- অাপনি খুবই সিরিয়াস পাঠক। :D

এখন মনে হচ্ছে উপরের ঐ অংশটাতে কিছুটা প্যাঁচ-পুঁচ মারলে মনে হয় ভালো হত। :P

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আপনাকে । ভালো থাকুন।

৫২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?

ছবিটা দেখলে আমার ভয় করে!!!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১২

আখেনাটেন বলেছেন: বেশ!!!

বিজন দা, আপনার এই অ্যাপ্রোচটা আমার কাছে চমৎকার লাগে। অন্যের কাছে গিয়ে কুশল জিজ্ঞেস করা, কয়জনই বা এতটা উদার হতে পারে আপনার মতো।

অার ছবির ঐ দানবটি সত্যিই ভীতিকর। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এমনতর দানবেরা আমাদের চারপাশেই বিষনিঃশ্বাস ফেলছে প্রতিনিয়ত। তাই ভয় কে জয় করাই মনে হয় উচিত হবে। :D

শুভকামনা আপনার জন্য।

৫৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

টিয়া রহমান বলেছেন: অনেক সুন্দর আর সেই সাথে শিক্ষণীয় গল্প

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

আখেনাটেন বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল টিয়া রহমান আপনাকে।

৫৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




টুইস্টটা বেশ ভাল ছিলো । আমি ভেবেছিলাম তার কোন শত্রু কিছু করেছে যেহেতো সে একজন কুখ্যাত লোক । কিন্তু দেখা গেলো এ নিজেই নিজের শত্রু !!

ভাল লেগেছে বেশ ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৩

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লাগল আপনার মন্তব্য দেখে ব্লগার কথাকথিকেথিকথন।

অামরা মনে হয় মাঝে মাঝে নিজেই নিজের শত্রু হয়ে যাই বিধাতার অদ্ভুত লীলাখেলায়।

শুভকামনা।

৫৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

সিগন্যাস বলেছেন: বাহ বাহ ফারাও ভাই শেষে এসে একদম হতভম্ব হয়ে গেলাম।কিছুটা কষ্টও পেলাম। এদেশের একটা অন্ধকার দিক খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৪

আখেনাটেন বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে জেনে অাপ্লুত হলুম ব্লগার সিগন্যাস। অাপনাকে ইদানিং খুব কম দেখা যাচ্ছে ব্লগে। আপনার জীন-ভূতের গল্প নিয়ে আবার জমিয়ে তুলুন ব্লগ। :D

শুভকামনা আপনার জন্য সুন্দর মন্তব্যে।

৫৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সুমন কর বলেছেন: দারুণ বর্ণনা। বেশ লাগল। শেষটাও বিস্ময় !!

+।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: গল্পের ভালোলাগায় খুশি হলুম।

শারদীয় উৎসব ক্যামন কাটল সুমন দা।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

৫৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

সুমন কর বলেছেন: এইতো ভালোই। ছুটিতে দৌড়ের উপর ছিলাম।

ধন্যবাদ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০১

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো থাকুন সবসময়।

৫৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: কি মন্তব্য করবো বুঝতেছি না! :( শুরু মজার ছিল শেষ একটু কষ্টের ছিল।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

আখেনাটেন বলেছেন: মানব জীবনটাই বুঝি এমনতর কবি।


শুভকামনা আপনার জন্য।



৫৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লেখাটি মন্ত্রমুগ্ধের মত একটানে পড়লাম । এটা গল্প হয় কি করে , এটা তো বাস্তব , এটা এই সমাজেরই কিছু অংশের চলমান অহংকারী কুৎসিত ও ঘৃন্য জীবনালেখ্য । এর থেকে উত্তরনের কোন রাস্তা দেখছিনা , এটা জ্যমিতিক হারে ক্রমে বেড়েই চলেছে । দমনের কারিগরেরা বিবিধ প্রকারের সমন হাতে নিয়ে ঘুরছে, এর ফল কি হচ্ছে তা বলার কি আর অবকাশ রাখে, । কলার খোশায় পড়ে পা পিছলানো হয়তবা দুচার টনি চর থাপ্পর দিয়ে বন্ধ করা যাবে , কিন্তু মাস্তান- অমস্তান, সুশীল- কুশীলদের বাহন হতে অবিরাম প্রচন্ড বেগে সুরে বেসুরে , সাদায় কালোয় মিশে যে দারুন পদার্থ- অপদার্থ কাধের উপর দিয়ে বিবিধ প্রকারে দেহ যন্ত্রে প্রবেশ করে শত শত এপার্টন গড়ছে সেখান হতে সৃজন হওয়া প্রকৃতির প্রতিশোধ নিবারন করবেটা কে । লিখে যান, এমন তর বালির বাধের লেখা আপনার হাতেই নিখুতভাবে জমবে ভাল, তাতে হয়ত মায়াবি একটি ঝড় আসলেও আসতে পারে, যা পিশাচদের এই কুৎসিত জীবনাচারকে লন্ডভন্ড করে দিতে পারে ।

শুভেচ্ছা রইল

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২১

আখেনাটেন বলেছেন: আপনি এত চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন দেখে ভীষণ ভীষণ ভালো লাগল। অনেক দিন পর আপনাকে আমার ব্লগে পেলাম। চিরাচরিত সেই মূল্যবান মন্তব্য নিয়ে হাজির হয়েছেন।

অশিক্ষা ও কুশিক্ষা আমাদের মানবিক গুণাবলীগুলোকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণের রাস্তাগুলোও আস্তে অাস্তে মনে হয় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারপরও অাশাবাদী হই...

অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিবেন প্রিয় ব্লগার। অাপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। ভালো থাকুন নিরন্তর।

৬০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১১

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: ইস এখন তো মায়া লাগছে রবিন মিয়ার জন্যে! #:-S

আমি মাঝে মাঝে চিপসের খালি প্যাকেট পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াই। বলেন দেখি ক্যানো?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

আখেনাটেন বলেছেন: রবিন মিঞারা আগে সতর্ক হয় না। X(


আমি মাঝে মাঝে চিপসের খালি প্যাকেট পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াই। বলেন দেখি ক্যানো? -- অাশে পাশে শকুন দৃষ্টি রাখছেন কোথায় ডাস্টবিনটা পাওয়া যায়। আমার নিজেরও এই অবস্থা হয় কিনা। :D

মন্তব্যে প্রীত হলুম ডাচম্যান। শুভকামনা নিরন্তর।

৬১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার ফিনিশিং এ দারুণ গল্প। মূল চরিত্রের ভাষা নিয়ে কিছু বলার ছিল, কিন্তু কা_ভা'র মন্তব্যে তা দেখে আর বলার রইলো না। ++++

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লাগায় প্রীত হলুম। :D


ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৬২| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামের ছবিটা এবং গল্পের শুরুতে ড্যারেন শ্যান এর উদ্ধৃতিটা যুৎসই হয়েছে।
গল্প লেখায় আপনার হাত অতি চমৎকার! এখন থেকে হাত খুলেই গল্প লেখা চালিয়ে যেতে পারেন। এ কথাটা যে আমি একাই সবার শেষে এসে প্রথম বলে গেলাম, তা নয়। মন্তব্যগুলো ধরে কিছুটা এগোতেই দেখি অনেকেই এ কথাটি আমার আগেই বলে গেছেন। তবুও আমার কথা আমারই, তাই আমিও এখানে এ কথাটি বলে গেলাম।

গল্পের মূল বার্তাটাও ভাল লেগেছে।

মন্তব্যের ঘরে রাকু হাসান এর খুব সহজ করে বলা একটা ছোট্ট পর্যবেক্ষণ খুব ভাল লেগেছেঃ "দিনশেষে নারীর আদর -ভালোবাসার প্রতি পুরুষরা যে চির দুর্বল সেটার আবারও প্রমাণ পেলাম"।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: দু:খিত দেরিতে প্রতিমন্তব্য করায়...ভালো আছেন নিশ্চয়।


এখন থেকে হাত খুলেই গল্প লেখা চালিয়ে যেতে পারেন ---- অনুপ্রাণিত করার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৬৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার রম্যগুলো তো অসাধারন হয়ই, এখন দেখি গল্পও সেরাম!!!" - ভুয়া মফিজ এর এ মন্তব্যটি আমার উপরের মন্তব্যে বলা কথাটাকে জোরালো সমর্থন করে।

নীল আকাশ, কা_ভা, শিখা রহমান, নজসু, ডঃ এম এ আলী প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে। আপনার প্রতিমন্তব্যও (এগুলোর এবং আরও অন্যান্য মন্তব্যের) চমৎকার হয়েছে।

এত চমৎকার একটা গল্প মিস হয়ে গিয়েছিল। অভ্যাসবশতঃ পিছু পথে হাঁটতে গিয়ে তার সাক্ষাৎ পেলাম এবং পড়ে তৃপ্ত হ'লাম।

গল্পে ভাল লাগা রেখে গেলাম। + +

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০০

আখেনাটেন বলেছেন: :D :D


আবারও ধন্যবাদ লেখাটি পাঠের জন্য......। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.