নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার গল্প: দ্বিঘাত সমীকরণ!!!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৪


২০১০ সাল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর কুণ্ডু স্যারের পাক্কা দেড় ঘন্টার লেকচার শেষ করে ঝিম ধরা মাথায় দুপুরের খাবারের জন্য শের-এ-বাংলা হলের দিকে ফিরছি। সাইলেন্ট করে রাখা নোকিয়া ১৬১৬ মোবাইলটা পকেট থেকে বের করে দেখি একত্রিশটা মিসকল। ভীষণ অবাক ও একইসাথে উদ্বিগ্নও হলাম। +৯১১৫... দিয়ে শুরু অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন। মোবাইল নম্বর যে নয় তা +৯১ কোড দেখে বুঝতে পারছি। ভাবছি টিএনটি বা র‍্যাংগসটেল বা ঢাকা ফোন ইত্যাদি ভুঁইফোঁড়ের মতো ল্যান্ডফোনের যে কোম্পনীগুলো ইদানিং বাজারে ঢুকেছে এদেরই কারো নাম্বার হবে হয়ত।
তড়িঘড়ি করে দুরুদুরু বুকে ফোন দিলাম। শোনাচ্ছে আপনার পর্যাপ্ত টাকা নেই। বিপদ যখন আসে চারপাশ থেকেই আসে। ব্যালেন্স চেক করে দেখি ১১ টাকা। এত টাকা থাকা সত্ত্বেও টাকা নেই। খচ্চর মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলোর উদ্দেশ্যে একটা নাদুসনুদুস গালি দিলাম মনে মনে। আবার ফোন দেই। একই কথা বলে পর্যাপ্ত টাকা নেই। অদ্ভুত সমস্যা তো!

তাড়াতাড়ি করে বশির মামার দোকান থেকে বিশটাকার ফ্লেক্সিলোড দিয়ে আবার ফোন দিলাম। রিং হচ্ছে...। একটু পরেই রিসিভ হয়ে অপরিষ্কারভাবে একটি মেয়ের কান্নার শব্দ শুরুতেই। ভড়কে গেলাম। সাথে কিছুটা আতঙ্কিতও!

ফোনের ওপাশ থেকে কান্নার দমকের সাথে কয়েক সেকেন্ড পরে একটি অতি পরিচিত কন্ঠে, ‘আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও অয়ন দা। আমার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে’।
-সুসি, তুমি দেশে কবে ফিরলে? কাঁদছ কেন? বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, এসব কী আবোলতাবোল বলছ? একসাথে অনেকগুলো প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম ঘটনার আকস্মিকতায়।
-হ্যাঁ, বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে। ডিসেম্বরের ১০ তারিখে। আর আমি কোলকাতা থেকে বল...।
যাহ্‌, লাইনটা কেটে গেল। দুই মিনিটের মাথায় কেটে গেছে। তারমানে এটা ভারতের নাম্বার আর সুসি কোলকাতা থেকে ফোন দিয়ে কাঁদাকাটি করছে। +৯১ কোড দেখে আগেই বুঝা উচিত ছিল।

ভীষণ, ভীষণ রকম অবাক হলাম। কারণ ও কিছুদিন আগে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে কোলকাতায় ওর আত্মীয়দের বাসায় বেড়াতে গেছে। সেখান থেকে দিল্লী ও হায়দারাবাদও যাওয়ার কথা। ভারতের ওসব জায়গায় ওর আত্মীয়স্বজন রয়েছে। দেশে ফিরে আন্ডারগ্রাড ভর্তি প্রস্তুতির জন্য ঢাকায় আসার কথা। আর এখন এসব কী শুনছি? সুসির ভাই অনিকেতও কিছু জানায় নি আমাকে। এত অল্প বয়সে ওর বিয়ে দিচ্ছে কেন? আর হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্তই-বা কেন? নানা চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকল।

ইতিমধ্যে আবার আমার ফোন কোঁ কোঁ করে উঠল। সেই নাম্বার থেকেই। ফোন রিসিভ করার সাথেই সুসির কান্না আর আকুতি।
-‘আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও, অয়ন দা’
- ‘সুসি, সুসি মাই ডিয়ার। প্লিজ, এভাবে কেঁদো না। হঠাৎ কি হল তোমার? আর বিয়েই বা কেন দিচ্ছে?’
- ‘তোমার-আমার সম্পর্কটা মা জেনে ফেলায় অনেকদিন থেকেই মনে হয় চোখে চোখে রাখছিল। আমার এইচএসসি পরীক্ষার পর বেড়ানোর নাম করে কলকাতাতে এনেছে। আর আগেই একজনের সাথে বিয়েও ঠিক করে ফেলেছে। আমি এসবের কিছুই জানতাম না। আমি আর পড়াশুনা করতে পারব না অয়ন দা।’ বলে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল।
কী বলব কিছু বুঝে উঠতে না পেরেও আশ্বাস দিলাম? বুঝালাম সব ঠিক হয়ে যাবে। জানালো এটা ওর এক কাজিনের ফোন নাম্বার।

হলের রুমে ফিরলাম। বিছানার উপরে পড়ে থাকা নীলক্ষেত থেকে কেনা গতরাতে পড়া শেষ করা এরিক সেগালের ‘লাভ স্টোরি’ বইটার দিকে ব্যথাতুর দৃষ্টিতে তাকালাম। অলিভারের মতো আমিও কি আমার জেনিকে চিরতরে হারাতে চলেছি? মনের গহীন কোণে বিউগলের করুণ সুর বেজে উঠল।

টেনশনে আইওটির উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লাসেও গেলাম না। কী করব? কী করা উচিত আমার? মস্তিষ্ক ব্লাংক হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। অথচ সুসির সাথে আমার সম্পর্কটা যে এতটা গভীরে চলে গেছে আমি নিজেও তা অনুধাবন করতে পারি নি। ভালোবাসা কি এমনি হয় নাকি! বুকটা শুন্য মনে হচ্ছে। এ এক অদ্ভুত অনুভূতি! মনে হচ্ছে কেউ আমার কাছ থেকে আমার সবচেয়ে দামি জিনিসটি ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে? যেটাকে আমি বুকে লালন করছি সযতনে বছরের পর বছর নিজের অজান্তেই।

আসলে আমার আর সুসি ওরফে সুস্মিতা রায় চৌধুরীর ভালোবাসাটাও একটু অদ্ভুত প্রকৃতির। ও প্রায় লুকিয়ে লুকিয়ে ওর মা'র নাম্বার থেকে আমাকে ফোন দিত। বেস্ট ফ্রেন্ড অনিকেতের ছোটবোন। দিনাজপুর শহরের নিউটাউনে দুজনেরই বাড়ি।ওরা থাকত মহিলাসংঘ খেলার মাঠের পূর্বদিকে আমরা পশ্চিমদিকে। ফলে বন্ধু অনিকেতের বাসায় সেই পিচ্চিকাল থেকেই অবাধ যাতায়াত। ওদের বাসায় গেলে কাকিমা আমাকে উনার নিজের ছেলের মতোই স্নেহ করতেন। সুসি’র বাবা নারায়ণ রায় চৌধুরী রাশভারী মানুষ। বিশাল ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। আমার সাথে খুব একটা দেখা হত না।

মিষ্টি সুসিটা ছোটকাল থেকেই অয়ন দা বলতে পাগল। কারণ নানাকিসিমের সায়েন্টিফিক এক্সপেরিমেন্ট চালনাতে আমি তখন থেকেই এক্সপার্ট ছিলাম। আর আমার প্রধান কাস্টমার মানে এই বিদ্যা জাহির করার দর্শকদের মধ্যে সুসি ছিল অন্যতম। যেমন গ্লাসের মধ্যে পয়সা হারিয়ে ফেলা কিংবা পয়সা গলিয়ে ফেলা। হাতে আগুন ধরানো। চুম্বক, ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট ইত্যাদির সাহায্যে নানারকম খেলা দেখাতাম ওদের। আর এগুলোর গূঢ় রহস্য ওদের যখন ব্যাখ্যাসহ বলে দিতাম তখন পিচ্চিগুলো বিস্ফারিত চোখে তা গিলত। তখন থেকেই সুসিটা আমার একনিষ্ঠ ও শর্তহীন ভক্ত।

এরপর আমার এসএসসিতে দুর্দান্ত রেজাল্ট, গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে কাজাকস্তান যাওয়া ও বুয়েটে সিএসই তে ভর্তি পাড়াতে কিছুটা হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল। এই সব কিছুই হয়ত ছোট্ট সুসির মনে দাগ কেটেছে। এবং ওকে আমার প্রতি টেনেছে। যদিও তা আমি ঘুণাক্ষরেও টের পাই নি।
সুসি নিজেও মেধাবী। সুসির ভাই মানে আমার বন্ধু অনিকেতও নর্থ-সাউথে অর্থনীতিতে ভর্তি হয়েছে। যদিও সুদর্শন অনিকেত বরাবরই আমার চেয়ে মেধাবী ছিল। কিন্তু বেচারা ইন্টারমিডিয়েটে উঠে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হুজুরের মেয়ের সাথে প্রেম করতে গিয়ে পড়ালেখার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। মেয়েটি আমাদের সাথেই কলেজে একই সাথে পড়ত। ওদের প্রেমের স্টার্টিংএ আমার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু হুজুর জানতে পেরে মেয়ের জোর করে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেয়। এতে অনিকেত জীবন নিয়ে কিছুটা অগোছালো হয়ে পড়ে। এ জন্য আমার কিছুটা অপরাধবোধও আছে। ওদের জুটিটা আজকে অটুট থাকলে আমিই সবচেয়ে খুশি হতাম।

অনিকেত ঢাকায় থাকাতে সুসি ওর কাছে ফোন দিত। আর অনিকেত বসুন্ধরা থেকে বেশিরভাগ সময়ই আমার হল-এ এসে শুয়ে বসে থাকত। ফলে সুসি ওর দাদার সাথে কথা বলার পর আমার সাথেও হাবিজাবি নানাবিষয় নিয়ে আলাপে রত হত। টিনেজ মেয়েরা যা বলে। আজ তাদের ক্লাসে অমুক মেয়ে এটা করেছে। তমুক স্যার ওদের দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে ছিল এইসব। আমিও অমনোযোগী শ্রোতা হিসেবে এইগুলো শুনতাম আর হা হুঁকারি দিতাম। কারণ তখন আমার শুধুই উন্নত দেশের প্রথমসারির ইউনিতে পোস্ট-গ্রাজুয়েশনের চিন্তা।
বছরখানেক যাওয়ার পর অনিকেত একদিন এসে বলে ও আর পড়াশুনা করবে না। বাড়িতে গিয়ে বাবার ব্যবসা দেখবে। অনেক বুঝিয়েও কাজ হয় নি। অনিকেতের জন্য ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায়। অসাধারণ মেধাবী বন্ধু এভাবে নিজেকে গুটিয়ে নিল।

এরপর সুসি সরাসরি আমাকে ফোন দিতে শুরু করে। তবে কখনই সে কিংবা আমি ভালোবাসা জাতীয় কোন কিছু নিয়ে কথা বলতাম না। কিন্তু আমি আমার নিজের ভেতর কিছু একটা টের পাচ্ছিলাম। শেষে এমন হল যে সুসি দুদিন ফোন না করলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তাম। সেটা যে এতদূর গড়িয়েছে আমি নিজেও টের পাই নি। যদিও আমি ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কখনই ওকে ফোন দেই নি।
সুসির মনে কী চলত জানি না? হয়ত টিনেজ বয়সের সেই উদ্দাম ভালোবাসার চোরা স্রোত তার হৃদয়েও আছাড় খেত। এভাবেই দিনের পর দিন কথা চলতেই থাকে তথাকথিত প্রেমিক-প্রেমিকার মতো বাক্যালাপ ছাড়াও। কিন্তু ভেতরে ভেতরে দুজনেই টের পেতাম এক অমোঘ বাঁধভাঙা জোয়ার। সেই জোয়ার দুকূল উছলে মাঠ-ঘাট ভাসিয়ে নিয়ে যেত। যেন ভাঙনেই সুখ! আমরাও সুখের ভেলায় ভাসতে ভাসতে ভবিষ্যতের স্বর্গ রচনা করতাম অজানা আবেগে। সঙ্গোপনে। নিরুদ্বেগে।
এভাবেই সুসি এইচএসসি পরীক্ষা দিল। আমিও আন্ডারগ্রাডের শেষ ধাপে। এরপরই সুসির কলকাতা-দিল্লী বেড়াতে যাওয়া ও সেই কান্না জড়িত ফোন।




সুসির অনিন্দ্য সুন্দর নিষ্পাপ মুখটি চকিতে মনে পড়ছে। বার বার একটি প্রশ্ন মনে উঁকি দিচ্ছে, আমি কি পৃথিবীর সবচাইতে মহার্ঘ সম্পদটি হাতছাড়া করতে যাচ্ছি? কোনো কি উপায় নেই? কী হবে, যদি আমার না সে হয়? এক বুক হতাশা ঘিরে ধরার উপক্রম হয়েছে।
অনেক ভেবে শেষে সুসি’র দাদা মানে আমার বুজম বন্ধু অনিকেত রায় চৌধুরীকে ফোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
অনিকেতকে ফোন দেওয়ার সাথে সাথে সে বলল, ‘জানি তুই কী বলবি?’। যেন ও আমার ফোনের অপেক্ষায় করছিল।
-কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত?

-হঠাৎ নয়। অনেক আগে থেকেই এটা ঠিক ছিল। এইচএসসি পরীক্ষার আগে যখন মা জানতে পারে তখন থেকেই নজরদারীর মধ্যে ছিল। পরীক্ষার জন্য কিছু বলা হয় নি। তখনই বাবা কলকাতাতে গিয়ে মোটামুটি একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।
এখানে বলে রাখা ভালো, সুসির বাবার কলকাতার অভিজাত সল্টলেকেও একটি বাড়ি আছে। এবং সুসির বেশির ভাগ আত্মীয়-স্বজনেরা ভারতেই থাকে। অনেকেই দেশভাগের সময় বাংলাদেশ থেকে ওদেশে গিয়ে সেটেল হয়েছে। আর সুসির বাবা হিলি বন্দর দিয়ে এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের ব্যবসা করায় নিয়মিতই কলকাতাতে যাতায়াত করে।
- এত অল্প বয়সে বিয়ে। আমি তো চিন্তাই করতে পারছি না। ও ভালো স্টুডেন্ট। অনেক দূর যেতে পারত। তুইও এটা মেনে নিলি।
-না, আমি বাবাকে বুঝিয়েছি। আরো কিছু সময় ভাবনা চিন্তা করতে। তবে...
একটু থেমে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আমার উদ্দেশ্যে অনিকেত কঠিন একটি প্রশ্ন ছুঁড়ল, ‘কেন এই কাজটা তুই করলি? বন্ধুত্বের প্রতিদান বন্ধুরা এভাবেই দেয় বুঝি। ’
আমি ফাটা বেলুনের মতো চুপসে গেলাম। পুকুরে অক্সিজেনের অভাবে মাছেরা যেমন পানিতে গাস্পিং করে আমিও এই প্রশ্নে ক্যাফেটেরিয়ার সামনে গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়েও পুকুরের পানিতে মাছেদের মতোই অক্সিজেনের তীব্র অভাব বোধ করলাম।
উত্তর দেওয়ার জন্য কোনো শব্দ খুঁজে পেলাম না। এখন মনে হচ্ছে ফোনটা করাই ভুল হয়েছে। কিছুক্ষণ চুপ থেকে লাইন কেটে দিয়ে অনলাইনে দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য লগ ইন করলাম।

দিনাজপুর পৌঁছেই অনিকেতকে ডেকে নেই। ওকে বুঝাই এত অল্প বয়সে ওর বিয়ে দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। তোর বাবাকে এ নিয়ে বুঝানো উচিত। অনিকেত প্রতিউত্তরে জানাল অনেক বুঝিয়েছে। কোনো লাভ হয় নি, হবেও না। সে নিজেও সুসি’র এত পিচ্চি অবস্থায় বিয়ের পক্ষে নয়। কিন্তু আমার সাথে সম্পর্কটা ওর বিশ্বাসে দারুণ একটা আঘাত হিসেবে এসেছে।
ওর পরিবার নাকি ওকেই দুষছে এ জন্য। ওর অসম্ভব রুপবতী ও বুদ্ধিমতী বোন এবং সুদর্শন ও মেধাবী অত্যন্ত কাছের বন্ধুটি এভাবে ওকে ধোঁকা দিবে তা সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।

আমি মারাত্মক সাহসী একটি সিদ্ধান্ত নিলাম। অনিকেতকে সাথে নিয়ে ওর বাবার কাছে যাওয়ার। নিজের ভুল স্বীকার করে বুঝানোর জন্য। গেলাম। এবং চুড়ান্তরকম অপমান করে আমাকে বাসা থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হল। আর ভবিষ্যতে যেন ওমুখো না হই সে হুমকিও দেওয়া হল। অনিকেতের অবস্থা কি হয়েছে জানি না? কারণ এর পরদিন থেকে অনিকেতের ফোনে তাকে আর পাই নি। সে আর বাসা থেকে বের হয় না। কোনোভাবেই কিছু করতে পারছি না।
এক সমুদ্র লোনাজল চোখে ধারন করে উদ্ভ্রান্তের মতো ইতিউতি ঘুরে ফিরছি। শেষে উপায় না দেখে আমার বড় ভাইকে জানালাম। অন্তত বিয়েটা যেন বন্ধ করে সে চেষ্টা করতে। কথা দিলাম আমি আর কখনই সুসি’র সাথে কথা বলার বা দেখা করার চেষ্টা করব না। সম্পর্কের এখানেই ইতি।

পরের দিন আমার সদা হাস্যোজ্জল ভাই নারায়ণ রায় চৌধুরীর সাথে কথা বলে এসে চোখমুখ লাল করে হানিফ বাসের টিকিট ধরিয়ে দিয়ে বলল, ‘রাতের টিকিট, আজকেই ঢাকা চলে যাবি। আগামী এক বছরে যেন তোকে এ দিকে না দেখি’।
আমি প্রতিবাদ করতে গেলে বাসায় বিরাট তুলকালাম কান্ড ঘটে গেল। আমাদের প্রেম। সুসির বিয়ে। আমার আগমন। বিয়ে ভাঙানোর নানামুখী উদ্যোগ। এসব কিছুই পাড়াতে কয়দিন থেকে মুখরোচক কানাঘুষা।
আমার পরহেজগার বাবা স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী লতিফুর রহমান চৌধুরী যারপরনাই বিব্রত পড়ুয়া ছোট ছেলের এইরকম বেফাজিল বেলাহাজ কাজকর্মে। যদিও উনি সুসিকে অনেক স্নেহ করেন। কিন্তু একজন হিন্দু মেয়েকে তার ছেলে ভালোবেসে কেলেঙ্কারী সৃষ্টি করবে এটা তিনি কিছুতেই মানতে পারছেন না। পাড়ায় ঢি ঢি পড়ে গেছে।
তাই ঘটনার এখানেই সমাপ্তি টানার জন্য উনি আমাকে আল্টিমেটাম দিয়ে দিয়েছেন। রাতেই ঢাকা ফিরে যাও। সুসির কথা ভুলে যাও। নাহলে পিঠের ছাল তুলে ডুগডুগি বানানো হবে। বাধ্য হয়ে রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।

ফোনে সুসি শুধু কাঁদে। কিছু বলে না। আর আমি ওর কান্নাতে কাঁচের টুকরোর মতো ভেঙে খানখান হতে থাকি। কোনো উপায় খুঁজে পাই না। দেশে থাকলে তবুও কিছু করা যায়। পাগলের মতো এদিক-সেদিক ঘুরি। যা জীবনে কখনই করি নি। তাই করতে শুরু করলাম। পড়াশুনা লাটে উঠল। ক্লাসে যাই না। কুইজ, এসাইনমেন্ট সব গোল্লায় গেছে। ফাইনাল টার্ম চলে গেছে। এভাবে দিন-মাস চলে যায়। অদ্ভুত এক কালো বলয় আমাকে ঘিরে ধরছে। ছাদে যাচ্ছি নিয়মিত নৌকা ভাসাতে। আমার নিজের উপর বিন্দু পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ নেই। মনে হচ্ছে অন্য কোন মানুষ আমি। সুসির কান্নার শব্দ আমাকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। আমার চিরাচরিত শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপনকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
আজ নভেম্বরের ১৬ তারিখ। আর মাত্র চব্বিশ দিন। তারপরে সব শেষ। বেঁচে থাকার মানেটা অর্থহীন মনে হচ্ছে। অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেললাম…? (চলবে...)

***অনেক আগের লেখা। কিছু অংশ অন্য কোথাও পড়ে থাকলে অবাক হবো না? :)
***************************************************************************
আখেনাটেন-ফেব্রুয়ারি/২০২১
ছবি: লেখক। তাজমহল, আগ্রা, ভারত।
ভালোবাসার গল্প: দ্বিঘাত সমীকরণ-২

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৬

কল্পদ্রুম বলেছেন: জটিল প্রেমজনিত সমস্যা।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: কল্পদ্রুম বলেছেন: জটিল প্রেমজনিত সমস্যা। --- :(( :((

এখন কি করা যায় বলুন তো ভাইজান.......বেচারা'র জন্য সর্বোত্তম উপায় কি এর থেকে মুক্তিতে..... B:-)

অনেক অনেক শুভেচ্ছা লেখা পাঠে ব্লগার কল্পদ্রুম.......ভালো থাকুন।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



এ পর্যন্ত সাধারণ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০২

আখেনাটেন বলেছেন: এর পরেই তো গিট্টুটা লাগবে......... :((


ধন্যবাদ পাঠে.....। :D

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৮

ওমেরা বলেছেন: হা হা — সাধারন — হলেও ভালোলাগা, ভালোবাসার আবেগ সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন তাই গল্পে ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।
শেষে একটা কথা বলে যাই ঘরে বোন থাকলে ভাইদের উচিত না বন্ধুদের বাসায় আনা।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৯

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ওমেরা........। :D

শেষে একটা কথা বলে যাই ঘরে বোন থাকলে ভাইদের উচিত না বন্ধুদের বাসায় আনা। ---- কেন কেন? এতে কি বোনের পা হড়কানোর দোষ.......নাকি বন্ধুদের...। :(

৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আন্তঃধর্মীয় প্রেম এদেশে সবসময়েই জটিলতা নিয়ে আসে। দু-সম্প্রদায়ের কেউই মানতে চায় না এটা। তবুও মানুষের মন বাঁধা মানে না,বাছ-বিচারও করে না। কখন বেলতলায় চলে যায় ঠিক নাই। দুটো প্রেম দেখেছি এমন। একটা ভেঙে গেছে। আরেকটা সফল। যদিও সফলদের দুজনকেই চোদ্দ গোষ্ঠী ত্যাগ করতে হয়েছে। গল্প ভালো লেগেছে মহামান্য ফারাও।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আন্তঃধর্মীয় প্রেম এদেশে সবসময়েই জটিলতা নিয়ে আসে। -- শুধু এ দেশে না সবখানেই এর রূপ একই মনে হয়। আসলে এটা শুধু আন্ত:ধর্মীয় না....দু পরিবারের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক পার্থক্য থাকলেও সমস্যা পুঞ্জিভূত হতে পারে।

আর প্রেমের বিয়ে হোক, আর অন্য বিয়ে হোক সফল হওয়াটা মনে হয় আরো অনেকগুলো ফ্যাক্টরের উপর কাজ করে। যা সময়ের সাথে সাথে মানব মনে উদয় হতে থাকে। কেউ সুখেই পার করে, কেউ অভিনয় করে, আর কেউ পারে না বলে বিচ্ছেদ...।

ধন্যবাদ ব্লগার তমাল......ভালো থাকুন। :D

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ওয়েটিং ফর দ্যা লাস্ট এপিসোড হা হা

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: তার আগে বলুন লাস্ট এপিসোড কেন??????????????????????????????????? X( X((

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫১

শায়মা বলেছেন: মিলাবো!!! :P

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৮

আখেনাটেন বলেছেন: তারমানে অন্য কোথাও নিশ্চয় আরো দু একটা এপিসোড পড়েছেন........ :P

তাইলে তো আমারেও.............. :((

যাহ, খেলমু না...............। X((

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখা যাক কী প্যাঁচ আছে সামনে!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০০

আখেনাটেন বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখা যাক কী প্যাঁচ আছে সামনে! --- এই প্যাঁচ সহজে খুলবার লয়..... :P


ধন্যবাদ হামা ভাই.....মন্তব্যের জন্য। :D

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০২

শায়মা বলেছেন: না!!!!!!!

ইহা একখানা পড়া গল্প। জীবনের গল্প!!!

অনেকেরই এমন গল্প আছে মনে হয় ......:(

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৭

আখেনাটেন বলেছেন: অনেকেরই এমন গল্প আছে মনে হয় . -----কে সেই জন? রহস্যের গন্ধ পাঁউ........ঝেঁড়ে কাশুন চে...... :)

৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩১

আমি সাজিদ বলেছেন: স্কুল লাইফে বন্ধুর বোনকে পছন্দ করতাম, সেও ক্লাসমেট ছিল। গ্রাজুয়েশন কালীন সময়ে পর একদিন টেক্সট দিতেই বাংলিশে যে রিপ্লাই দিলো তাতে মনে হলো সম্পর্কটা না হয়ে balae hyisa

গ্রাজুয়েশনকালীন সময়ে ক্যারিয়ার কারনিভালে আসলো ঢাকার একটা প্রাইভেট এমসির মেয়ে। হিন্দু। সেসময়ের খুব কাছের বন্ধু দেখেই ধান্দাবাজি শুরু করলো৷ কিন্তু মেয়ে পরে যোগাযোগ করে আমার সাথে, কিসব বুঝাতে চায়। বন্ধুকে দেখাই। সে ওয়ার্ডে না গিয়ে ফুল ভলিউমে একদিন সারাদিন একটাই গান বাজায় - Barq Si Gir Gayi Kaam Hee Kar Gayi
Aag Aisee Lagaayi Maza Aa gaya

ওস্তাদ ফাতেহ আলী খুশী, আমিও খুশী!


ভালো হয়েছে আখেনাটেন ভায়া।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা.............আগ এইসে লাগেই মাজা আয়ে গা........।

কিছু কিছু সম্পর্কতে আগ লাগলেও মজা আসতে জীবন খুরমা হয়ে যায় মনে হয়.......এই অয়ন বেচারাও বুঝবে কত ধানে কত চাল........মাজা আয়েগা....... :(

কলেজ....ফারাও এর রোল ৪১৭, নেফেরতিতির ৪১৩। পরীক্ষার সময় ঘুরে ফারাওয়ের বেঞ্চেই বসত.......এরপর..........কত রাত কত দিন.....থাক আর না বলি.........ঐ যে আন্ত:ধর্মীয়................... :((

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার আমি সাজিদ.......

১০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: আহা প্রেম কাহিনী।
ভালো লেগেছে, পরের পর্বের অপেক্ষায় দড়ি ধরে ঝুলে রইলাম।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৮

আখেনাটেন বলেছেন: ঘন্টা বিশেক ঝুলে থাকুন...........এরপরই..........হাত ধুয়ে বসে পড়ার ব্যবস্থা করছি......... :D


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার ঢুকিচেপা।

১১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন?

নাদুসনুদুস গালি কি রকম হয়? শিখিয়ে দেন।
সুসি। সুস্মিতা রায় চৌধুরী।
বেশ কসকস মিশিয়েই লিখেছেন। সব মিলিয়ে লেখাটা ভালো লিখেছেন। পড়ে আরাম পাওয়া গেলো।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: ওয়ালাইকুম আসসালাম। জী, হুজুর। ভালো আছি। আমাদের ফাইহা মা-মণিটার কী অবস্থা? :D

নাদুসনুদুস গালি শিখতে চাইলে দাওয়াত দ্যান........হাতে-কলমে শিখানো যাবে ক্ষণ। B-)

পড়ে আরাম পেয়েছেন জেনে খুশি হলুম....এতে যদি কিছু ব্যারাম দূর হয় এতেও বিরাট পাওয়া। কি কন? :)

ভালো থাকুন।

১২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: ও -- আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছিলাম।

ছবিটা খুবই সুন্দর হয়েছে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: হুম......আপনি ছবিয়াল মানুষ.........আপনার চোখ না এড়ানোরই কথা। :D

ধন্যবাদ।

১৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আহ প্রেম । প্রেমের মরা জলে ডুবে না। সুন্দর লেখা

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

আখেনাটেন বলেছেন: নেওয়াজ আলি বলেছেন: আহ প্রেম । প্রেমের মরা জলে ডুবে না -- কিন্তু নেওয়াজ সাব এ মরারা.......কিসে যে ডুবে তা তো আগাম বলাই মুশকিল...... B-))

মন্তব্যের জন্য শুভকামনা। ভালো থাকুন। সাথে থাকুন। চোখ রাখুন।

১৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৩৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: সুন্দর হচ্ছে লেখা। প্রথমে ভেবেছিলাম বুঝি গুরুগম্ভীর ক্লাসের কথন। কিন্তু গল্পটা বেশ তরতর করে এগিয়ে গেল।
ফ্যাঁচকাঁদুনে কিশোরী মেয়ের ভালোবাসা শেষে কি তাজমহলের সমাধী পাবে?
আচ্ছা অপেক্ষায় থাকি লেখকের মন কোন দিকে যায় দেখি।
মেয়েটা তো ভালোবাসাটাকে ঠিকিয়েই রাখতে চাচ্ছে। ছেলেটারও এখন দেবদাশ অবস্থা।
কিছু উপমা ব্যবহার বেশ সুন্দর হইছে।
আগামীর অপেক্ষায়..............

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: প্রথমে ভেবেছিলাম বুঝি গুরুগম্ভীর ক্লাসের কথন। === হা হা হা। গুরুগম্ভীর থেকে যদি ভালো কিছু হয়....তাতে মন্দ কি....দেখা যাক রাধা ও কৃষ্ণের ভালোবাসার তরী কই থেকে কই গিয়ে নোঙর করে। :D


আচ্ছা অপেক্ষায় থাকি লেখকের মন কোন দিকে যায় দেখি। --- এটা একটা দারুন কথা বলেছেন লেইসপা। আমিও লক্ষ রাখছি পাঠকের চিন্তা-ভাবনাগুলো কোন দিকে মোড় নেয়। এখানে অনেক বিষয় বা সামাজিক ট্যাবু জড়িত আছে/থাকবে.......? :D

চমৎকার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১১

কালো যাদুকর বলেছেন: সুন্দর। আহা শেরে বাংলা হল। চলুক....

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

আখেনাটেন বলেছেন: চলবেক তো বটেই তবে কোনো প্রকার কালো যাদুর আছর যেন তাদের উপর না লাগে সে দিকটাতে একটু খেয়াল রাখেন ভাইজান....। :P


শুকরিয়া মন্তব্যের জন্য।

১৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের বাংলাদেশের কনটেক্সটে এমন দুই ধর্মের বিয়ে খুবই কষ্টের বিয়ে। শেষ পর্যন্ত যদি পরিণতি লাভ করেও বাকী জীবনটা কাটে আরো দুঃখে। এটা গল্প হলেও বাস্তবে এমনটা ঘটে। আমার পরিচিত তিনটা বিয়েই আছে এমন........যাদের একেবারে ব্যাড়াছ্যাড়া অবস্থা!!!

সেই জন্যেই আমার এই ধরনের বিয়ে কিংবা গল্প পছন্দ না।

শায়মা বলেছেন: না!!!!!!! ইহা একখানা পড়া গল্প। জীবনের গল্প!!! অনেকেরই এমন গল্প আছে মনে হয় ......:(
লেখক বলেছেন: অনেকেরই এমন গল্প আছে মনে হয় . -----কে সেই জন? রহস্যের গন্ধ পাঁউ........ঝেঁড়ে কাশুন চে...... :)


ব্লগার কঙ্কাবতী রাজকন্যার ''একি খেলা আপন সনে'' পোষ্টগুলো পড়েন নাই?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

আখেনাটেন বলেছেন: ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের বাংলাদেশের কনটেক্সটে এমন দুই ধর্মের বিয়ে খুবই কষ্টের বিয়ে। -- হুম। তা আর বলতে। খুব বেশি উদারমনা ছাড়া এ ধরনের সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখা দুস্তর।

যদিও আমার এক পরিচিতজন হ্যাপিলি লাইভ লিড করছে.......কুচ পরোয়া নেহি......এভাবেই চলছে.....ঢাকার এক পাবলিক ভার্সিটির শিক্ষক আপা। আর ভাইজান সাংবাদিক। দুটো বাচ্চা। বেশ আছে।

ব্লগার কঙ্কাবতী রাজকন্যার কথা পেড়ে ভালো করেছেন........রহস্যজট কিছুটা খুলছে তাইলে......। :D

গরীবের বাড়িতে হাতির পাড়াতে খুশি হলুম। ভালো থাকুন। :P

১৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রেম তো জমে ক্ষীর মনে হচ্ছে.... সুসির বয়স আঠারো হইছে কিনা খেয়াল রাইখ্যেন কিন্তুক!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

আখেনাটেন বলেছেন: পদ্ম পুকুর বলেছেন: প্রেম তো জমে ক্ষীর মনে হচ্ছে.... সুসির বয়স আঠারো হইছে কিনা খেয়াল রাইখ্যেন কিন্তুক! --- লেখক কি জন্যে আছে তাইলে.........প্রেম কুমারী ষোলোতে মেট্টিক, জাস্ট ১৮ তে ইন্টার.....। বয়স চুরি করে নাই। লেখক নিজে কাগজ ঠিক করে দিয়েছে। সেই হিসেবে বয়স সাড়ে আঠারো পার.......কি কনচে... :P

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার পদ্মপুকুর।

১৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: ওয়েটিং ফর দ্যা লাস্ট গিট্টূ এপিসোড........................।
প্যাচের মধ্য সবচেয়ে জটিল প্যাচই বেছে নিয়েছেন!

শায়মা বলেছেন: না!!!!!!! ইহা একখানা পড়া গল্প। জীবনের গল্প!!! অনেকেরই এমন গল্প আছে মনে হয় ......:(
লেখক বলেছেন: অনেকেরই এমন গল্প আছে মনে হয় . -----কে সেই জন? রহস্যের গন্ধ পাঁউ........ঝেঁড়ে কাশুন চে...... :)
এটার আসল উত্তর এখানেঃ গোমর ফাঁস
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দেবেন


১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২২

আখেনাটেন বলেছেন: আজ রাত নয়টাতেই নেক্সট এপিসোড................। ভালোবাসার ক্ষীর যত দ্রুত জমে ততই ভালো....বাসী হলে টক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিনা....... :P

রহস্যের পর্দা দেখছি আরো ঘনিভূত হচ্ছে.....এই বরুনা-মরুনারা কোথ্থেকে আসল আবার..... X((

ধন্যবাদ ব্লগার নীল আকাশ।

১৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খুব বেশি উদারমনা ছাড়া এ ধরনের সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখা দুস্তর। যারা প্রেম করছে তারা তো উদারমনা বটেই; কিন্তু তাদের আত্মীয়-স্বজন, সমাজ এতোটা উদারমনা না। আপনার অভিজ্ঞতা ভালো। আমার তিনজনের এক বন্ধু কানাডাতে, এক বান্ধবী অস্ট্রেলিয়াতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। অরেকজন বড়ভাই কোথাও যেতে পারে নাই। দেশেই হালুয়া টাইট অবস্থায় আছে......যেন নিজভুমে পরবাসী!! :(

আপনাকে একটা স্যাম্পল দিলাম। :)
একি খেলা আপন সনে - ১৯

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: দেশেই হালুয়া টাইট অবস্থায় আছে.... ===== :(( :((

সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হলে খুব বেশি হালুয়া টাইট হওয়ার কথা না। তবে পরিবার থেকে পুরোপুরি বা আংশিক বিচ্ছিন্ন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আমার এক কাছের বড় ভাই তো সাত বছর প্রেম করে......শেষে পারে নি গাটছাড়া বাঁধতে সামাজিক ব্যাকলাশের ভয়ে। তবে এখন নিজ ধর্মে বিয়ে করে আবার আক্ষেপ করে....যত বিপত্তিই থাকুক....সেখানেই অটুট থাকা দরকার ছিল। আর আমার সাবেক ভার্সিটি রুমমেট তো না পেয়ে হতাশায় অবস্থা কেরোসিন হতে গিয়েছিল.....উদ্ধার পেয়ে এখনও আক্ষেপ করে। ভুলতে পারে না। আর আমি........থাক......... :((

প্রেম যেমন কোনো ধর্ম, বর্ণ জাঁত পাত মানেনা তেমনি প্রেমিক প্রেমিকারও একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা বা উদ্বেগও হয় অন্ধ। তাই এই ধরনের অসম ভালোবাসার পরিনতিও যদিও অন্ধকারেই মুখ থুবড়ে পড়ে তবুও সেই ক্ষেত্রেও সেটাই যেন করণীয়। তাই তো পৃথিবীতে এত বিফল প্রেমের সফল অমর গল্পগুলি সদা স্মরনীয় বা চির জাগরুক হয়ে থাকে আমাদের মনে। == আপনার দেওয়া লিংক থেকে কোট করলাম। দেখি অয়ন পাগলা কতদূর যেতে পারে.....বিফল প্রেমের সফল গল্প হয়, নাকি সফল প্রেমের বিফল গল্পে পরিণত হয়।

২০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ফাইহা ভালোই ছিলো। কিন্তু গতকাল তাকে তিনটা টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন সে ভালো নেই। টিকার ব্যথায় তার জ্বর এসে গেছে। কান্না করছে। তবে ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেছে। এখন সে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫০

আখেনাটেন বলেছেন: আহা রে........ছোট বাচ্চার কান্না শুনলে ভীষণ খারাপ লাগে। ভালো হয়ে উঠুক দ্রুত পিচ্চি ফাইহা।

২১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫

ওমেরা বলেছেন: শয়তান তো সবার পিছনেই কাজ করে তাই যে কারো পা হড়কাতে পারে ।
আপনার পা হড়কানোর মানে না বুঝলেও ধারনা করে জবাব দিলাম জানি না ঠিক হল নাকি ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: হ্যাঁ, দুদিকের কথায় বলেছি.........যে কোনো দিকেই শুরুতে হড়কাতে পারে.......তবে শেষে তো দুটোর একসাথে না ঘটলে তো ইভ/এডাম টিজিং পর্যায়ে চলে যাবে। তবে হ্যাঁ, এ ধরনের সম্পর্ক থেকে বিরত থাকাই ভালো যদি......সামাজিক ও আর্থিক দিক থেকে বড় ধরনের ফারাক থাকে। নইলে বন্ধুত্ব, সম্পর্ক দুটোরই বারোটা বেজে যাবে। তবে প্রেম না শোনে ধর্মের কথা। এ জিনিস তো আর গণিত মেলে চলে না। :D

২২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: দুজনেরই তো দেখি চৌধুরী টাইটেল!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০০

আখেনাটেন বলেছেন: :D ওদিকে চৌধুরীদের ছড়াছড়ি........মনে হচ্ছে......ভালোই হবে........নামের টাইটেল আর পরিবর্তন করতে হবে না কাউকে.... B-)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার ফয়সাল রকি।

২৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রেমের রস দিয়ে শুরু করলেও ভারী বেরসিক প্রেমিক আপনি। ভালোবাসা দিবসে পোস্ট দিয়েছেন তাও আবার পর্ব করে!!!! এভাবে পাঠকদের আল্টিমেটাম দেওয়া কি ঠিক হলো? তবে পোস্টে একটা বিষয়ের সঙ্গে একমত। ওদের পয়সা ওয়ালা সংখ্যালঘুরা দু'দেশেরই নাগরিকত্ব উপভোগ করেন।নাওগার ডাল পট্টিতে আমার পরিচিত কয়েকজনের কলকাতায় ও ব্যারাকপুরে ফ্লাট আছে।ভারতে জমিজমা কিনতে ভোটার আইডি,প্যান কার্ড ও আধার কার্ড আবশ্যিক। ওনারা ওদেশে থাকলেও স্বর্গের দেশে থাকার যাবতীয় ব্যবস্থা করে রেখেছেন। বর্তমানে পারসিক বংশোদ্ভূত অমিত শাহ আবার শুধু বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য ভারতের নাগরিকত্বের মালা উপহার দিতে দেরাজ হস্ত। যাইহোক সুসী সাময়িক হতাশা কাটিয়ে বাবা-মায়ের মনোমত স্বর্গের দেশে সুখে শান্তিতে থাকবে আশাকরি।
শুভেচ্ছা নিয়েন জাহাঁপনা।


১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৫

আখেনাটেন বলেছেন: ওদের পয়সা ওয়ালা সংখ্যালঘুরা দু'দেশেরই নাগরিকত্ব উপভোগ করেন। --- দাদা, নীতিহীন পয়সাওয়ালারা সবখানেই সুযোগের অপেক্ষায় থাকে........কেউ ভারত, কেউ মালয়েশিয়া, কেউ কানাডার বেগমপাড়ায়......

বাঙালী বাবু সুসিকে কি এত সহজে ছাড়বে পদাতিক দা.........উনি আসছেন কলকাতায়.....অমিত শাহ'র ব্লাড প্রেশার বাড়াতে...এখন দেখা যাক লাভ-জিহাদের মাইনকা চিপায় পড়ে কিনা বেচারারা.......। :(

শুভেচ্ছা দাদা.....

২৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১২

জুন বলেছেন: একি অবস্থা এত বিশাল কাহিনী তার উপর আবার চলবে :|
অপেক্ষায় রইলাম কি হয় পরের পর্বে।
ভালো লাগা রইলো।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৮

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা.............এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভালোবাসা টেনে নিয়ে যাবেন এরপরও বলবেন বিশাল কাহিনি...... :((

বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে না আপা.........। :D


অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

২৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০২

করুণাধারা বলেছেন: আগেই পড়েছি, অফলাইনে। দ্বিঘাত সমীকরণ নামটা ভালো ছিল- একটা জোক বলার পর বক্তাকে যদি বলে দিতে হয় যে এটা জোক, তাহলে যেমন হয় তেমন হয়ে গেল না ব্যাপারটা? :|

ভালোবাসার গল্প ভালো হয়েছে- যদিও এই ধরণের গল্পের সমাপ্তি মধুর হয়না; হয় বিচ্ছেদ অথবা পরিবার ত্যাগ করতে হয়। দেখি আপনার দুই চৌধুরী পরিবার কী ব্যবস্থা নেয়!! পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১১

আখেনাটেন বলেছেন: একটা জোক বলার পর বক্তাকে যদি বলে দিতে হয় যে এটা জোক -- হা হা হা.....


ভালোবাসার গল্প ভালো হয়েছে- যদিও এই ধরণের গল্পের সমাপ্তি মধুর হয়না; হয় বিচ্ছেদ অথবা পরিবার ত্যাগ করতে হয়। --- হুম; বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেটাই ঘটে.........এখানের অবস্থাও যে কোন দিকে মোড় নেয় খোদা মালুম। :(

ধন্যবাদ আপা গল্প পাঠের জন্য।

২৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




প্রেমের দ্বিঘাত সমীকরনই বটে । একদিকে প্রেম আর দিকে বিবিধ মানের ইনটিগার প্লাস ফ্রেকশনাল কমপোনেন্ট ।
মনে পড়ে যায় প্রাচীন আলেকজান্দ্রিয়ার পুরুষ গাণিতিক ডায়োফেন্টাস এর দ্বিঘাত সমীকরণের জটিল সমাধান
প্রক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে পরবর্তীতে আলেকজান্দ্রিয়ারই আরেক মহান মহিলা গাণিতিক হাইপেশিয়ার কথা
যিনি ডায়োফেন্টাসের দ্বিঘাত সমীকরণের বেশ কিছু বিকল্প সমাধানের ব্যবস্থা দিয়েছিলেন । উল্লেখ্য
আমরা যা জানি হাইপেশিয়ার ব্যাপারে- তা বেশ কম। যা জানি তার গণিত সম্পর্কে- তা আরো কম!
হাইপেশিয়া সম্পর্কে সবচেয়ে তীব্র স্মৃতিভুক্ত ঘটনা তাঁর মৃত্যু এবং মৃত্যুর পথে তাঁর মুহুর্মুহ পীড়াদায়ক
অত্যাচার। ধর্মকলহের ছোবল তাঁকে শেষ করেছিল।
জগতের বড় বড় নৃশংস ঘটনাগুলো ঘটেছে ধর্মের কারণে! যতটা আমরা এগিয়েছি, তার অনেকখানি
পিছিয়েছি কেবলমাত্র এই ধর্মের দোষে!ধর্ম ব্রুনোর প্রাণ নিল, কোপারনিকাসের সংশয় জাগাল, গ্যালিলিও
এর সময় খেলো, সম্মান খেলো! আর খেলো যুগ যুগ ধরে হাজার হাজার প্রেমাসক্ত মানব মুন্ডু !

যাহোক, আজকে হাজার হাজার বছর পরে আমাদের মহামান্য ফারাও সম্রাট সে সাথে গণিত আলিস্পিয়াডে
যোগদানের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ গণিতিক গল্প লেখকের হাতে এই দ্বিঘাত সমীকরণ, যার একদিকে প্রেম আর দিকে
ধর্মীয় বিবেধে জড়ানো দুটি ইন্টিগার উপাদান সাথে বিবিধ তেজময়ী ফ্রেকশনাল কমপোনেন্টের সমাহার সম্পন্
সমীকরন কি রূপ ধারণ করে তা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম । দ্বিঘাত সমীকরণ যেমনই হোক সমাধানটি যেন
হাইপেশিয়ার সমাধানকে ছাপিয়ে যায় ( তবে কোনভাবেই হাইপেশিয়ার ব্যক্তিগত করুন পরিনতির মত যেন
না হয় ), সমীকরণের ঘিট্টগুলি যেন একে একে খুলে যায় , জীবন হোক সুন্দর আনন্দময় ।

গল্প এগিয়ে চলুক , পরিনতি যেমনই হোক দেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য পড়ে শুধুই মনে হয়েছে ওয়াও........এমনও সমৃদ্ধ মন্তব্য হতে পারে। ওয়াও। লা-জওয়াব। আপনি গল্পটির নামকরণের একেবারে আপাদমস্তক তুলে ধরেছেন। স্যালুট।

দ্বিঘাত সমীকরণের প্যাঁচের মতোই এর গিট্টু খোলা জটিল হলেও কিছু না কিছু সমাধান তো বের হয়ই শেষে। এখানেও সেরকমই কিছু একটা ঘটতে চলেছে আশা করি। তবে হাইপেশিয়ার সমাধানকে ছাপিয়ে যাক বা না যাক, হাইপেশিয়ার ব্যক্তিগত করুণ পরিণতিতে পড়তে হচ্ছে না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ায় যায়। :D

আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। এই মন্তব্য আমার বহুদিন মনে থাকবে।

২৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,





লেখাটি প্রকাশের শুরুতেই শিরোনামে " দ্বিঘাত সমীকরণ!" লেখা দেখে ভেবেছিলুম গানিতিক কিছু ব্যাপার-স্যাপার। লেখার শুরুতেও সেই ইঙ্গিত। কিন্তু ভেতরে ঢুকেই দেখি " আত্মঘাতী দিলহরণ" । :P
জটিল অংক। এ অংক মিলবে কি করে ? পঞ্চঘাতী সমীকরণেও যে তা মিলবে এমন আশা নেই।

তবে সমীকরণটি ঝরঝরে হয়েছে , রাজশাহীর নতুন চার লেন রাস্তা্র মতোই মসৃণ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: লেখাটি প্রকাশের শুরুতেই শিরোনামে " দ্বিঘাত সমীকরণ!" লেখা দেখে ভেবেছিলুম গানিতিক কিছু ব্যাপার-স্যাপার। লেখার শুরুতেও সেই ইঙ্গিত। কিন্তু ভেতরে ঢুকেই দেখি " আত্মঘাতী দিলহরণ" --- হা হা হা। তা যা বলেচেন.... :P

পঞ্চঘাতী সমীকরণেও যে তা মিলবে এমন আশা নেই। -- কথা একদম হেচা। :D


অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।

২৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৫

সোহানী বলেছেন: ২য় পার্টটা পড়ে ১মটা পড়লা। যাই আবার পড়ে আসি।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১২

আখেনাটেন বলেছেন: :D

ধন্যবাদ সোহানীপা।

২৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মধ্যবিত্তের ছেলে-মেয়েদের প্রেমের ক্ষেত্রে চিরকালীণ বিবিধ সমস্যা ও জটিলতা ছল, থাকবে। আর ধর্ম যদি আলাদা হয় তবে সে প্রেমের পরিনতি যে কি ভয়াবহ হয় তাতো অনুমেয়।

গল্প সুপারহিট। ++++++++

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৮

আখেনাটেন বলেছেন: আর ধর্ম যদি আলাদা হয় তবে সে প্রেমের পরিনতি যে কি ভয়াবহ হয় তাতো অনুমেয়। -- হুম; বিভীষিকাময়।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার মো: মাইদুল সরকার

৩০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রেম ! তাহলে ছাদে নৌকা ভাসানো !!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: প্রেমের নৌকা পাহাড়পানে যায়......শোনেন নাই........এ জিনিস মনে হচ্ছে জীবনে কোনোদিন গাছে না উঠা পোলাকেও ইয়া বড় তালগাছে উঠতেও সাহায্য করবে..... :P

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

৩১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: প্রেম এমনি!!! জাতি,ধর্ম,বর্ণ সব এক হয়ে যায় যেখানে।

আর যত বাধা তত গভীরতা ও আকর্ষন বাড়ে প্রেমের । আহা প্রেম!বাচচা প্রেম!! কুসুম কুসুম প্রেম!!!

তাতে কি বাচচা হবে(সফল হবে) , না অকালেই ঝড়ে যাবে ? ব্যাপোক টেনশনে ফালাইলেন ভাই। আপনার লেখাপড়া সব গেছে আর আমার ত :(( জানডাই চলে যাবার যোগার অইছে আপনার বাচচা প্রেমের কাহিনী পড়ে।

২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:২২

আখেনাটেন বলেছেন: :D :)


মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: প্রেম এমনি!!! জাতি,ধর্ম,বর্ণ সব এক হয়ে যায় যেখানে। ---- ঠিক তাই।

দেরীতে প্রতিউত্তরের জন্য দু:খিত।

ভালো থাকুন।

৩২| ০৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:




আনার লেখার স্টাইল ভালো লাগে আর লাভ স্টোরি আমার অলটাইম পছন্দ ।
সব মিলিয়ে লেখাটা শুরু থেকে শেষ ভালো লেগেছে পড়তে ।

এই পর্ব পড়ে মনে হচ্ছে মিল না হলেই ভালো । প্রথম প্রেমেই যদি পরিণয় হয়ে যায় তাহলে বাকি জীবন কি করবে ? #:-S
প্রেমের জয় হোক, মিলনে না, নতুন এপিসোডে নতুন কিছু চাই :)




২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: এই পর্ব পড়ে মনে হচ্ছে মিল না হলেই ভালো । প্রথম প্রেমেই যদি পরিণয় হয়ে যায় তাহলে বাকি জীবন কি করবে ? --- তাই বলে ওদেরকে আপনি লাইলি-মজনু, রোমিও-জুলিয়েটের ভাগ্য বরণ করতে বলতে পারেন না। বেচারারা এমনিতে টেনশনে রয়েছে...... :((

প্রেমের জয় হোক, মিলনে না, নতুন এপিসোডে নতুন কিছু চাই
-- হুম..। আমিও একমত। :D

দেরীতে প্রতিউত্তরের জন্য দু:খিত।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৩৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার 'ভালোবাসার গল্প'! এ পর্বের বিরহ তো মিষ্টি মিষ্টি বিরহ। পরের পর্বে নিশ্চয়ই গিট্টু আরো জটিল হবে এবং বিরহের মাত্রাও অনেক বেড়ে যাবে।
"শেষে একটা কথা বলে যাই ঘরে বোন থাকলে ভাইদের উচিত না বন্ধুদের বাসায় আনা" (৩ নং মন্তব্য) - কাননে ফুল ফুটলে ভ্রমর আসবেই, কে কবে রুখতে পেরেছে?
গল্পের শিরোনামটা খুব যুতসই হয়েছে।
ভালবাসার গল্পে ১৭ তম ভাল লাগা + +।

২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:২৯

আখেনাটেন বলেছেন:
দেরীতে প্রতিউত্তরের জন্য দু:খিত। :(

কাননে ফুল ফুটলে ভ্রমর আসবেই, কে কবে রুখতে পেরেছে? ---- :D :) বরফের দেশের কন্যা নিশ্চয় সেটা জানে...। ;)

গল্পের শিরোনামটা খুব যুতসই হয়েছে। -- জেনে খুশি হলুম। :D

চমৎকার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

৩৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০

পুলক ঢালী বলেছেন: জটিলেশ্বর প্রেম কাহিনী ভালই লাগলো প্রথম পর্ব।
মন্তব্য দেখে মনেহচ্ছে সুসি এখন লেখকের ঘরনী মধুরেন সমাপয়েৎ :D
বোন ঘরে থাকলে-------- হে হে হে মেওয়া পেকে ঘ্রান ছড়ালে রং বেরং এর পাখীর ছড়াছড়ি কি ঠেকানো যায় ?? ;)

০৯ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

আখেনাটেন বলেছেন: পুলক ঢালী বলেছেন: জটিলেশ্বর প্রেম কাহিনী ---- :D B-)


বোন ঘরে থাকলে-------- হে হে হে মেওয়া পেকে ঘ্রান ছড়ালে রং বেরং এর পাখীর ছড়াছড়ি কি ঠেকানো যায় ?? ;) --- সেটাই........সব পক্ষকে ধৈর্য ধরতে হবে....পাখির উড়াউড়ি ও বাজপাখির আনাগোনাকে নজরদারীতে রেখে...। :P


দেরীতে মন্তব্যের জন্য দু:খিত। নজরেই পড়ে নি। আজকে দেখছি। ভালো থাকুন।

৩৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আগে পড়েছি কি না মনে করতে পারছি না। গল্প পড়ে মনে হচ্ছে কেন্দ্রিয় চরিত্রের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি শুনছি। ঘটনা কি সেরকমই কিছু ;)

এজন্যই বলে, "হায় প্রেম, হায়রে ভালবাসা"। দেখা যাক পরের পর্ব কি বলে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: গল্প পড়ে মনে হচ্ছে কেন্দ্রিয় চরিত্রের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি শুনছি। ঘটনা কি সেরকমই কিছু --- গল্পের গরু গাছে উঠেছে ভাইজান.....হা হা হা....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.