নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চীনের বিস্ময়কর...উত্থান বিশ্বের জন্য শুভ নাকি অশুভ?

১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৯



সম্প্রতি আমার এক বন্ধু চীনের এক প্রথম সারির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিয়েছে। বন্ধুটি নিউরোসায়েন্স নিয়ে কাজ করে। বিষয়টি আমার কাছে আনন্দদায়ক হলেও কিছুটা অদ্ভুত ঠেকল অন্য কারণে। একশ চল্লিশ কোটির চীনের হঠাৎ করে বাইরে থেকে কর্মী নিয়োগ দিতে হচ্ছে কেন কিংবা দিচ্ছে কেন? এই কেন’র উত্তর খুঁজতে গিয়ে…!!!

যে চীনকে আমরা দু-দশক আগেও চিনতাম নকলের ঠাকুরদার দেশ হিসেবে, সেই চীন এখন বিশ্বের সেরা বাৎসরিক প্যাটেন্ট আবেদনকারী দেশ। যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে। অথচ দু দশক আগেও প্রথম বিশটি দেশের কাতারে ছিল না। বিস্ময়কর উত্থান!! যে দেশ কিছুদিন আগেও প্রযুক্তির জন্য পশ্চিমা দেশের দিকে কাতরভাবে চেয়ে থাকত, সেই কিনা এখন প্রযুক্তি রপ্তানির দেশে পরিণত হয়েছে। দুদশক আগেও যে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র‍্যাংঙ্কি-এ শতের ঘরেও ছিল না, সেখানে তারা এখন ঐতিহ্যে পিছিয়ে থাকলেও অক্সফোর্ড, হার্ভাডকে টেক্কা দেওয়ার পর্যায়ে চলে আসছে গবেষণায়। ২০২১ সালের কিউএস বিশ্বর‍্যাঙ্কি-এ সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় (১৫), পেকিং বিশ্ববিদ্যালয় (২৩), ফুদান বিশ্ববিদ্যালয় (৩৪)। এই ফুদান বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের অনেকের কাছে পরিচিত নাম কারণ দু-দুশক আগেই এই নামডাকহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রিজিওনাল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় আমাদের বুয়েটের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত। আজ ফুদান কোথায় আর...। আজকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতকের চেয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী বেশি সংখ্যক। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক ছাত্র। অবিশ্বাস্য!!

যে দেশের মানুষ কয়েক দশক আগেও ঢাকা ও কলকাতার রাস্তায় ফেরি করে চীনা রদ্দা মাল বিক্রি করত, সেই চীনারা এত দ্রুত কীভাবে আকাশ ছুঁইয়ে ফেলছে? কেউ সাম্প্রতিককালে চীন গিয়ে থাকলে, বেইজিং, সাংহাই, কয়েকদশক আগে বসবাস শুরু হওয়া শহর হংকং-এর প্যারালেল শেনঝেন, গুয়াংঝুর শান-সৈকত দেখে তব্দা খাওয়ার দশা হবে। সেটা শুধু কংক্রিটের স্তুপ নয়, সাথে পরিচ্ছন্নতা এবং এখন পরিবেশের দিকেও তাদের নজর শুধু বিস্ময় জাগাতে পারে। চীনারা রকেট গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিটি সেক্টরে যা বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রকেও ভীত-সন্ত্রস্ত করে তুলেছে? কারণ চীনাদের এই প্রযুক্তিগত উত্থান বিশ্বকে ভীত না করে পারেও না। সে বিষয়ে পরে আসছি।



তাদের নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রথম দিকে সমালোচনার স্বীকার হলেও সেটাই তাদের আজকে এই অবস্থাতে এনেছে তা বলতেই হয়। তারা গুগলের বিকল্প বাইদু, ফেসবুকের বিকল্প উইচ্যাট, ইউটিউবের বিকল্প টিকটক, আমাজনের বিকল্প আলীবাবা, উবারের বিকল্প ডিডি ইত্যাদি দাঁড় করিয়েছে। হুয়াই, জেটটিই’র মতো প্রতিষ্ঠান বিশ্বের ফাইভ-জি’র মতো অত্যন্ত সফিস্টেকেটেড প্রযুক্তির চালিকাশক্তিরূপে আবির্ভাব হয়েছে। যাকে পশ্চিমারাও অস্বীকার করতে পারছে না। অনেকেই শাওমিকে গরীবের নেক্সট অ্যাপল বা স্যামসাং বলতে শুরু করেছে।

আর এগুলো সম্ভব হয়েছে ৯০’র দশক হতে কপি-পেস্টের ধারা থেকে বের হয়ে উদ্ভাবনী চিন্তাধারার বিকাশের মাধ্যমে। প্রথমেই তারা তাদের বিরাট ভোক্তাশ্রেণিকে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে পণ হিসেবে তুলে ধরে এবং পশ্চিমা কোম্পানীগুলোকে বাধ্য করে প্রযুক্তি হস্তান্তরে। বিপুল মুনাফার হাতছানিতে পশ্চিমারাও আগ-পাছ না ভেবে চীনাদের কাছে তা সরবরাহ শুরু করে। এরপর চীন অনেক ক্ষেত্রেই রিভার্স ইঞ্জিনিয়াইং-এর দ্বারা কিছু প্রযুক্তির এদিক সেদিক করে নিজেদের পণ্য উৎপাদন শুরু করে।

একবার চিন্তা করুন, বাংলাদেশ নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করছে। সেখানে চীনা প্রতিষ্ঠান মেজর ব্রিজ কন্সট্রাকশনের দায়িত্ব পালন করছে। কর্ণফুলি নদীর নিচে টানেল তৈরি করছে আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান। এখন ধরুন, বাংলাদেশের সরকার যদি এই ব্রিজ ও টানেল নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তরের চুক্তি করত নিজেদের কিছু লোকসান করে হলেও তাহলে কী হত? পরবর্তী যমুনা নদীর নিচের টানেল কিংবা ভোলা সেতুটা কিন্তু নিজেদের কোনো প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারত। কিন্তু কে হায় হৃদয় খুড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে?

যাহোক, এরপরের ধাপ হিসেবে চীনারা শিক্ষা ও গবেষণাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে দেয় উল্লেখযোগ্য হারে। যেখানে ৯০’র দশকে জিডিপি’র ১%-এর নিচে ব্যয় করত, সেটা ২০০০’র পর বাড়তে বাড়তে এখন ২.৪% এর উপর ($৩৭৮ বিলিয়ন)। বৈশ্বিক গড়ের অনেক উপরে। উদাহরণস্বরূপ, গবেষণা ও উন্নয়নে বাংলাদেশের ব্যয় ০.০১% এর নিচে। এর থেকে চীনাদের সাথে আমাদের উদ্ভাবনী চিন্তার দৈন্যতা নিয়ে ভাবা যেতে পারে। অতীতের ব্রেইন ড্রেইনকে নানামুখী আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা প্যাকেজের মাধ্যমে ব্রেইন গেইনে মনোযোগী হয়েছে। চীনা এই দূরদর্শী চিন্তার ফলস্বরূপই আমার বন্ধুটির চীনে গমন। ফলে আমরা শত শত চীনা নির্মিত নব নব প্রযক্তির ঝলক দেখতে পাচ্ছি।

বিশ্বের স্টিলের প্রায় ৩০% চীনারা ব্যবহার করছে। এয়ারবাস, বোয়িং এর আদলে নিজেদেরকেও এভিয়েশন শিল্পেও তুলে আনতে কোমাক সিভিল বিমান তৈরি করেছে। ফিফথ জেনারেশন ফাইটার প্লেনের স্টিলথ টেকের মতো অত্যন্ত জটিল প্রযুক্তিও আবিস্কার করে ফেলেছে। নিজেরাই টারবো ইঞ্জিন তৈরি করা শুরু করেছে। বিশ্বের মোট হাই-স্পিড রেললাইনের এক-তৃতীয়াংশই চীনে। নিজেদের প্রযুক্তিতেই ম্যাগলেভ লোকোমোটিভ তৈরি করছে। নিউক্লিয়ার রিএক্টর তৈরির প্রযুক্তি যে গুটিকয়েক দেশের হাতে রয়েছে চীনও তাদের মধ্যে অন্যতম। সেমি কন্ডাক্টর উৎপাদন শিল্পে পিছিয়ে থাকায় সেখানে শত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এইসব প্রযুক্তি ও বিশাল ক্যাপিটাল কাজে লাগিয়ে গোটা বিশ্বে অবকাঠামো নির্মাণের হিড়িক ফেলে দিয়েছে। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোই তাদের এইসকল প্রযুক্তির প্রধান ভোক্তা চড়া ঋণের বিনিময়ে। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়।

সফট পাওয়ার ও হার্ড পাওয়ার দুই ক্ষেত্রেই তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে।চীনা ছায়াছবি এখন প্রায় হলিউডের ছবির মতোই ব্যবসা করছে। কারণ কারিগরি দক্ষতায় তারা আর পিছিয়ে নেই।

একটি জাতি যে এত দ্রুতবেগে নিজেদের অনন্য উচ্চতায় নিতে পারবে তা মনে হয় বিশ্বের কোনো অর্থনীতিবিদও ভাবতে পারে নি। তাই বিশেষজ্ঞরাও আর চীনের অর্থনৈতিক উল্লম্ফনকে, দরিদ্রতা হ্রাসকরণকে আলোচনায় আনতে চায় না। চীন পারছে কিন্তু ভারত পারছে না এ নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে'র অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ প্রনব বর্ধনের একটি বিখ্যাত বই রয়েছে 'Awakening Giants, Feet of Clay' নামে।

এখন কথা হচ্ছে চীনাদের এই উত্থান যে রকম নিজ জনগণ উইঘুরদের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। সেরকম আরো উত্থান কী ভবিষ্যতে শত্রু রাষ্ট্র ভেবে আসা জাপানের অধিকার হরণ করবে। এরপর সাউথ চায়না সী ধরে সাউথ ইস্ট এশিয়া এবং তিব্বতের পথ ধরে..। ভয়ের ব্যাপারই বটে। এখনই ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরে এয়ারক্রাফট মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। স্ট্রিং অব পার্ল এর আওতায় মনে হয় বাংলাদেশও ভালো মতোই ছিল। পাশের দেশের হস্তক্ষেপে...এতে দেশের লং টার্ম লস হলো কি লাভ হলো তা ভবিষ্যৎ বলবে। যদিও মিত্র দেশ হিসেবে সিপেক নিয়ে চীনাদের ক্রেডিটে ডুবে রয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ সহ তৃতীয় বিশ্বের বহু দেশই এখন চীনা লগ্নির জন্য হাঁ হয়ে থাকে। বিপদটাও সেখানে লুকায়িত। যে কোনো ভুল অর্থনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে তা শ্রীলংকা কিছুটা টের পেয়েছে হাম্বান্টোটা বন্দর নিয়ে। কেনিয়াসহ আফ্রিকার অনেক দেশই ভুগছে।



সম্প্রতি চীনের এই সম্ভাব্য আধিপত্যকে রোধ করতে ‘কোয়াড’ (যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত, অষ্ট্রেলিয়া) গঠন করা হয়েছে। ইউরোপও হয়ত দ্রুতই সেখানে যোগ দিবে। ইতোমধ্যে ফ্রান্স ইচ্ছে পোষণ করেছে। ওদিকে মস্কো বলছে অতীতের তিক্ততা ভুলে বেইজিং এখন তাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ('দ্যা ডিপ্লোমেটে'র এই আর্টক্যালটা বেশ চমকপ্রদ)। এবং সেটা কাজেও দু দেশই প্রমাণ করছে নানারকম চুক্তি করে। এগুলো কী তিন দশক আগের মৃত সে বিশ্ব মেরুকরণের নব জাগরণের প্রাথমিক সোপান!!!

হংকং এর উপর খবরদারী, তাইওয়ানকে হুমকি, জাপানকে চাপে রাখা, উইঘুরদের অধিকারহরণ, মেকং-ব্রক্ষ্মপুত্র নদে ড্যাম নির্মাণের ফলে ভাটির দেশে অশান্তি (বাংলাদেশেও এর প্রভাব অবশ্যভাবী), দক্ষিণ চীন সাগরে স্প্রাটলি ও অন্যান্য দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার সাথে দ্বন্দ্ব। এত এত হেজেমনি বা আধিপত্যবাদি আচরণ নিয়েও এখন দেখার বিষয় এই আর্থ-সামাজিক ও টেকনোলজিক্যাল উল্লম্ফন মানব সভ্যতার জন্য আশির্বাদ হয় নাকি অভিশাপ?

*****************************************************************************************
@আখেনাটেন-এপ্রিল/২১

মন্তব্য ৮৫ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৮৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট নিয়া কথা হবে পরে, আগে বলেন, সব পোষ্ট ড্রাফটে নেওয়ার কারন কি? :(

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯

আখেনাটেন বলেছেন: তাঁর আগে কন 'বেয়াদব'কে তার নিজের ভাষায় 'খোঁয়াড়ে' কীভাবে ভরা যায়? চেষ্টা করলাম। পারতেছি না। X(

নিজের ভালো মন্দের যার বুঝ নেই, এই ধরনের 'সাইকো' চরিত্রের জন্য এটাই এখন মনে হচ্ছে শেষ প্রচেষ্ঠা।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৪

সোনালি কাবিন বলেছেন: প্রতিবাদস্বরূপ ড্রাফট ?

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

আখেনাটেন বলেছেন: না, ভাইজান রিজনটা অন্য। তবে শীঘ্রই তা ফেরত আসবে আশা করি।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:






চীন বংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। তাদের বিরুদ্ধে যাওয়া কোনক্রমেই উচিৎ হবে না।

পদ্মা সেতুর ঋণের জন্যে বাংলাদেশ যখন মাথা কুটে মরছিল, তখন কোথায় ছিলো সেই সব পশ্চিমা দেশগুলো!!!

তবে, বাংলাদেশ, কারো বিরুদ্ধেই নয়। আগে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে।

সুন্দর একটি পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ নিরন্তর।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২২

আখেনাটেন বলেছেন: চীন বংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। তাদের বিরুদ্ধে যাওয়া কোনক্রমেই উচিৎ হবে না। -- বিরুদ্ধে যাওয়া উচিত হবে না ঠিকই আছে। তবে ক্রেডিটের মূলা'র ব্যপারে সদা সতর্ক থাকতে হবে।

তবে, বাংলাদেশ, কারো বিরুদ্ধেই নয়। আগে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে। --- সেটাই। আর এই মাথা তুলে দাঁড়ানোর জন্য চাই উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশ। আর উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশের জন্য চাই গবেষণা। আর গবেষণার জন্য চাই উপযুক্ত পরিবেশ মানে অবকাঠামো, অর্থ ও পলিসি। আপনার কি মনে হয় আমাদের দেশে এ নিয়ে কারো মাথা ব্যথা আছে।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৪

মেরুভাল্লুক বলেছেন: ব্লগে এখন ব্লগার কই, কয়েকদিন পর পরই দেখছি দুই একজন করে প্রতিবাদস্বরূপ পোস্ট ড্রাফট করছেন, ব্লগকে বিদায় জানাচ্ছেন। জনাকয়েক মাত্র ব্লগার। তার ভেতরেই যদি এমন রাগ অভিমান অবস্থা হয় তাহলে তা কস্টদায়ক

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৪

আখেনাটেন বলেছেন: :|

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১০

নতুন বলেছেন: আমেরিকান সম্রাজ্যকে হঠিয়ে চৌনিক সম্রাজ্য চালুর চেস্টা তারা তো করবেই।

আর চীনের সেই ক্ষমতা আছে বলে মনে হচ্ছে কারন তারা অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: নতুন বলেছেন: আমেরিকান সম্রাজ্যকে হঠিয়ে চৌনিক সম্রাজ্য চালুর চেস্টা তারা তো করবেই। ---- হুম; নতুন ভাই। চীন যেভাবে রকেট গতিতে নিজেদেরকে উপরে তুলছে..........হয়ত শীঘ্রই বিশ্ব ব্যবস্থার পরিবর্তন দেখব।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: তাহলে কী জ্ঞানগম্ভীর লেখা পড়া হতে বঞ্চিত করতে চান।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: সাথে থাকুন নেওয়াজ আলি ভাই। :D

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: আপনার লিখার ভক্ত আমি, বঞ্চিত করবেননা।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার তারেক ফাহিম। :D

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমাদের ঘাটতি কোথায়?
দেশ প্রেমে!!

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমাদের ঘাটতি কোথায়?
দেশ প্রেমে!!
---- আপনি সঠিক জায়গাতেই হিট করেছেন। আমরা সবাই মুখে দেশের প্রেমে মাতোয়ারা। বাস্তবতা হচ্ছে সেটা দেশপ্রেম না আত্নপ্রেম। নিজেরটা ঠিক রেখে, তারপর দেশ। যার কারণেই আমাদের নেতা ও পলিসিমেকারদের বুঝে আসছে না যে কোথায় সামান্য বিনিয়োগ শতগুণ হয়ে জাতির ভাগ্য বদলে সহায়তা করবে।

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০৬

করুণাধারা বলেছেন: মনে হচ্ছে আমি কথা না বললেই সব ঠিক থাকতো... :( তাই পোস্ট নিয়ে কিছু বললাম না, লাইক দিলাম।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯

আখেনাটেন বলেছেন: আপনি ঠিক আছেন আপা। আমিই ভুল ছিলাম। আমি চেয়েছিলাম তিক্ততা হটায়ে উনি যে কারাগারে (নিজের অতীত আচরণের জন্য) এখন বাস করছেন সেখান থেকে টেনে তুলতে। আমার এই উদারতাকে তিনি 'মোরাল গ্রাউন্ড চূর্ণবিচূর্ণ' ধরে নিয়ে রান্টিং করেই যাচ্ছেন। নিজের 'কদর্য আচরণের প্রমাণ' যা আমি উনাকে আজীবন বিব্রত হওয়া থেকে মুক্তি দিতেই ব্লগ থেকে সরিয়ে ফেলেছিলাম, সেটা মনে হচ্ছে ভুল। তবে মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে আবার তা 'জীবন্ত' হয়ে উঠবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত থাকুন।

আপনি আপনার অবস্থান থেকে শতভাগ ঠিক আছেন। স্রেফ বেয়াদব ছাগলের লাদি সরায়ে তাঁহার ভাষায় 'খোঁয়াড়ে' ভরে ফেলুন। যাঁহার যেখানে থাকা মানায় সেখানে থাকায় বেটার। মানসিক চাপ নিয়েন না আপা। ব্লগবাসী সব জানে, কার মোরাল গ্রাউন্ড শক্ত আর কার নরম। ভালো থাকুন। :D

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০৮

জিকোব্লগ বলেছেন:



ব্লগে করোনা মস্তিস্ক বিভ্রাট ঘটেছে। ইহার জন্য কিছু সমুচ্ছা হয়েছে।
মাল্টি ফাল্টি ফোব টোব তুই মুই ব্যবহার ট্যবহার বংশ টংস ইত্যাদি
রোগগুলো অনেকের ভিতর থেকে বের হওয়া শুরু হয়েছে। অনেকে
আবার সহানুভূতি পাওয়ার জন্য ছেলে থেকে মেয়ে হতে চাচ্ছেন।
আপনি রোগ ও রোগী গুলোর ইসপুষ্ট বিবরণ লুকিয়ে ফেললে,
রোগীরা আরো অনেককে সংক্রমিত করে ফেলতে পারে।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩

আখেনাটেন বলেছেন: ব্লগে করোনা মস্তিস্ক বিভ্রাট ঘটেছে। ---- :(

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




চীনের সরকার আফ্রিকা ও এশিয়ার অনেক দেশের প্রশাসনকে ডাকাতে পরিণত করেছে ইতিমধ্যেই; মানব সভ্যতার পতন ওদের হাতে ঘটার সম্ভাবনা।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: চীনের এই উত্থান সত্যিই চিন্তার বিষয়। বিশেষ করে, তারা যেভাবে ব্রক্ষ্মপুত্র নদের উপর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চিন্তা করছে তা আমাদের ভাটির দেশ হিসেবে অশনি সংকেতও বটে।

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: চাইনিজ অধ্যূষিত একটি দেশেই আমার বসবাস। এই জাতির উত্থানের মুল কারন হচ্ছে '' কথা কম কাজ বেশি''।

যাই হোক ব্লগ পোস্ট ড্রাফটের কারন বুঝলাম না। আপনারা পরাতন ব্লগার। দ্বায়িত্ব নিয়ে মাঝে মাঝে ব্লগটাকে একটু ঝাড়ু দেয়ার প্রয়োজনতো আছেই । বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক যে ভাষায় আপনাকে আক্রমন করেছে সেটা সবাই দেখেছে। আর দুই নারী নিকও লজ্জা সরম থাকলে আর ব্লগে দ্বীতিয়বার উদয় হবে না। ব্লগারদের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ এদের স্বরুপ উন্মোচনের জন্য। তানাহলে এদের কারনে অনেক মানসম্পন্ন ব্লগার ব্লগ থেকে বিদায় নিত।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: চাইনিজ অধ্যূষিত একটি দেশেই আমার বসবাস। এই জাতির উত্থানের মুল কারন হচ্ছে '' কথা কম কাজ বেশি''। ---- সহমত।


উনাকে 'তুই' থেকে 'আপনি'তে আনা গিয়েছে। আমি নিশ্চিত 'বেয়াদব' থেকে 'ভালো আচরণের মানুষ'ও রূপান্তর করা সম্ভব হবে।

১৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২

জুন বলেছেন: ২০০৯ এ আমি চীন ভ্রমনে গিয়েছিলাম , চীন মানে বেজিং আর সেখান থেকে প্রায় ১হাজার কিঃমি দুরের বিখ্যাত শিয়াং প্রদেশে যেখানে রয়েছে বানপো- পৃথিবীর প্রাচীনতম মাতৃতান্ত্রিক সভ্যতার নিদর্শন, রয়েছে মাটির নীচে সারি সারি হাজারো টেরাকোটা সৈন্য। যেখান থেকে আমি ব্লগিং শব্দটির সাথে পরিচিত হয়ে এসেছি।
পার্ল এস বাকের মা উপন্যাসের দারিদ্রক্লিষ্ট চরিত্রগুলো সেই সাথে , আফিমের নেশায় বুদ হয়ে থাকা একটি জাতি কতটা উন্নত করেছে তা ওদের না দেখিলে বিশ্বাস হয় না। অনেকে বলে রোবটের মত কাজ করে যায় । এমন সুশৃংখল ভাবে না চল্লে কোটি কোটি জনগন নিইয়ে আরেকটি ভারতীয় জাতিতে পরিনত হতো । আমি যে কদিন দেখেছি তাদের অত্যন্ত চুপচাপ, আমাদের মত রাস্তাঘাটে অযথা বকবক করে না বা কোন রকম পাবলিক নুইসেন্স সৃষ্টি করে না।
আগের পোস্টগুলো কোথায় লুকিয়েছেন ? বের করে আনেন জলদি জলদি । কত কষ্ট করে করে মন্তব্য করেছি :)
লেখায় প্লাস
+

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার অভিজ্ঞতার বয়ান জুনাপা।

চীনাদের আত্ননিবেদন, কঠোর পরিশ্রম থেকে আমাদের অনেকে কিছু শেখার আছে আপা।

ড্রাফটে নিতে গিয়ে কয়েকটি পোস্ট দেখি মুছে গেছে। :( খুব খারাপ লাগছে।

অন্যগুলো শীঘ্রই ফিরে আনব আপা।

১৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

অপু তানভীর বলেছেন: চীনের উত্থান আসলেই বিস্ময়কর সেই সাথে সংঙ্কারও ।
চীনারা যদি বিশ্ব মোড়ল হয়ে ওঠে তাহলে সেটা কোন ভাবেই ভাল খবর নয় । আমরা রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে আমরা যেমন সারা জীবন মন্দের ভালটা বিচার করে এসেছি, এখানে মন্দের ভালো হিসাবে আমেরিকাই ভাল, চীন মোটেই না ।

সব পোস্ট ড্রাফট করা মোটেই ভাল কিছু না । পোস্ট সব ফিরে আসুক ।
ক্ষমা মহৎ গুণ হলেও কিছু নির্দিষ্ট মানুষের কাছে কোন ভাবেই ক্ষমা চাওয়া উচিৎ না ।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: অপু তানভীর বলেছেন: চীনের উত্থান আসলেই বিস্ময়কর সেই সাথে সংঙ্কারও ।
চীনারা যদি বিশ্ব মোড়ল হয়ে ওঠে তাহলে সেটা কোন ভাবেই ভাল খবর নয় । আমরা রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে আমরা যেমন সারা জীবন মন্দের ভালটা বিচার করে এসেছি, এখানে মন্দের ভালো হিসাবে আমেরিকাই ভাল, চীন মোটেই না ।
--- একদম খাঁটি কথা বলেছেন। চীনার আগ্রাসী নীতি তাদের অর্থনীতির উন্নতির সাথে সাথে বাড়তেই থাকবে এটা নিশ্চিত। আর ফল শুভ হওয়ার সম্ভাবনা নয় বলেই নানা বিচারে প্রতীয়মান হয়।

ক্ষমা মহৎ গুণ হলেও কিছু নির্দিষ্ট মানুষের কাছে কোন ভাবেই ক্ষমা চাওয়া উচিৎ না । ---- সঠিক মনে হয়।

১৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার পোস্টের উত্তর পরে দেবো।আগে পোস্ট ফিরিয়ে আনুন.....
কোথায় আরও দ্বিঘাত সমীকরণ ত্রিঘাত পর্বের অপেক্ষায় আছি তা না করে সব ড্রাফটে নেওয়া... রাজামশাই-এর আমাদের মত প্রজাসুলভ আচরণ একেবারেই কাম্য নয়।

আপাতত পোস্ট ফেরানোর অপেক্ষায় রইলাম....

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: :)

ঠিক আছে..........।

১৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ৭৮ সালে তেং শিয়াও পিং পার্টি সেক্রেটারি পদ নিয়েই 'সংস্কারের' কাজে ঝাপিয়ে পড়লেন । তিনি খুব নিগৃহীত হয়েছিলেন সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় লাল বাহিনীর হাতে । তেং এর বড় ছেলেকে তিনতালা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিল স্কুলের ছোকরারা । ৮৮ তে এক পার্টিতে নিবিড় শুনেছিলাম তেং পু ফাঙ্গের বয়ান। ছোটখাটো তেং দারুন প্রানশক্তি ছিল তার । চির শত্রু আমেরিকায় চলে গেলেন ব্যাবসায়িদের দাওয়াত দিতে । অনেকেই চলে এলো , ফ্যাক্টরি গড়ল , কারখানা গড়ল শুধুই সস্তায় মালামাল বানিয়ে আমেরিকা ভর্তি করবার জন্য । সংস্কার একটু দুরুহ ছিল চীনের মত কনজারভেটিভ সমাজে । আমি ৮২ তে গিয়ে ঢাকার মত সুবিধা পাইনি পিকিঙ্গে । হু ইয়াও বাং সিচুয়ানে জমি আলাদা করে যার যার মত চাষ বাস করতে বললেন । পরের বছর আরও অনেক এলাকা প্রডাকশন ব্রিগেড যাতে সবাই শ্রম দিত কিন্তু শ্রমের মাত্রা একই হতো না । একক মাত্রায় দেয়াতে কৃষিতে উন্নতি হল । যারা বাদ পড়লো তাদের নিয়ে ভুগতে হল পার্টিকে । দরিদ্রের সংখ্যা বাড়তে লাগলো । ৮৯র তিয়ান আন মেন বিদ্রোহ এসব অনেক কিছুর জন্য হয়েছিল । সংস্কার কাজ দ্রুততর হল । তেং নতুন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নেত্রিত্তের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন । ৮২ তে গিয়ে আমি অসংখ্য মারিকিনি শিক্ষক পেয়েছি যারা ইংরেজি শেখাতেন চীনাদের । ৯০- ৯৫ সালে শিক্ষা ব্যাবস্থায় সংস্কার , উৎপাদন -বিক্রয় ব্যাবস্থায় সংস্কার , ক্রয় ব্যাবস্থায় সংস্কার এক অভুত পূর্ব পরিবর্তন এনে দিল । আগে এসব নিয়ন্ত্রন করত পার্টির উচ্চ পদের নেতারা । স্থানীয় পর্যায়ে দরিদ্রের সংখ্যা বাড়ল । বিন বেতনে পড়া , চিকিৎসা বন্ধ হল । এককভাবে নির্ধারিত বেতন কাঠামো বন্ধ হল । যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকুরি এবং বেতন । গোটা চীনে উথাল পাতাল শুরু হল। বোয়িং প্লেন এনে পুরো কপি করল । বিবিধ যা কিছু অন্যান্য দেশে লাগে তা স্রেফ কপি করে রফতানি এবং আভ্যন্তরীণ বাজার সামাল দিতে লাগলো । লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বিদেশী প্লান্টে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেই দেশি কারখানায় তা উৎপাদনে লেগে গেল । বিশাল কাহিনী । হংকংকে নিয়ে চীনের তোলপাড় আমার ভাল লাগেনি । হংকং ৮০% রফতানি নিয়ন্ত্রন করে। গতকাল সেভেন্থ ফ্লিট ভারতের লাক্ষা দিপের পাশ দিয়ে গেল জাপানের সাথে যৌথ মহড়ায় । ভারত মৃদু প্রতিবাদ করেছে । কোরিয়া , জাপান , তাইওয়ান তাদের বিনিয়োগ সরিয়ে নিচ্ছে চীন থেকে । জাপান ১৪০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে জাপানিদের সরিয়ে নেবার কাজে । আমেরিকার সমান নেভির যোগ্যতা অর্জনে চীনের ১০০ বছর লাগবে , আমার মত এটি । ককেশাসরা সারা দুনিয়া শাসন করেছে এবং ভবিষ্যতেও তাই করবে । কপিরাইট ভেঙ্গে ইউরোপীয়দের ক্ষতি করায় তারা ক্ষেপে আছে চীনের প্রতি । মার্কিন -চীন গোপন চুক্তি ছিল ইউরোপের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেবার জন্য । বোধকরি তা হচ্ছে না । ক্লান্ত , আবার লিখব।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে তথ্য উপাত্ত পোস্টের মান বাড়িয়ে দিয়েছেন।

আশির দশকের সেই রিফর্ম ও কৃষি খাত থেকে বের হয়ে শিল্পের দিকে ঝুঁকে পড়ার সেই তীব্র বাসনাটাই আজকে চীনকে এই অবস্থায় এনেছে। ক্রমাগত উৎপাদন বাড়িয়ে জীবনযাত্রার মান তথা মানব উন্নয়ন সূচকে উন্নতির মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দির শুরুতেই এর সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে।

এখন এর বেগ এতই বেশি পেয়েছে যে, পশ্চিমারাও এখন ভয় পাচ্ছে, এ জিনিস কই গিয়ে থামবে।

ককেশাসরা সারা দুনিয়া শাসন করেছে এবং ভবিষ্যতেও তাই করবে । কপিরাইট ভেঙ্গে ইউরোপীয়দের ক্ষতি করায় তারা ক্ষেপে আছে চীনের প্রতি । মার্কিন -চীন গোপন চুক্তি ছিল ইউরোপের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেবার জন্য । বোধকরি তা হচ্ছে না । --- আমার এখানে সামান্য দ্বিমত রয়েছে। চীন বুঝে ফেলেছে এতদিন যেভাবে চুরি করে বা অন্য উপায়ে যেভাবে নিজেদের উন্নতির সোপানে রেখেছিল। সেটা কোনো সাসটেইনেবল কোনো পলিসি নয়। ফলে তারা এখন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে গবেষণা ও উদ্ভাবনীতে। আর এর ফলেই হুয়াই এর মতো কোম্পানী পশ্চিমাদের হটিয়ে ফাইভ জি'র মতো সফিস্টিকেটেড টেকের শত শত প্যাটেন্ট আগেই বাগিয়ে নিয়েছে। এভাবে উদ্ভাবন হতে থাকলে তাদেরকে আগামী এক দশকের মধ্যে আর পশ্চিমাদের কাছে প্রযুক্তির জন্য চেয়ে থাকতে হবে, বিশেষ করে সেমিকন্ডাকটর শিল্প যেখানে তারা এখনও অনেক পিছিয়ে। এগুলোর জন্য রিফর্মগুলোই বলে দেয় তার একবিংশ শতাব্দির মাঝামাঝি থেকেই দুনিয়া শাসন করতে চায়। যা আমার মতে দুনিয়ার জন্য শুভ নয় বলেই মনে হয়। আমার ভুক্তভোগী হব নিশ্চিত।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪২

সোহানী বলেছেন: চোরের সাথে রাগ করে নিজের ফলবতী গাছ কেটে ফেলা কি ঠিক!!!!!!!! এসব আলাপ পরে হবে, আগে পোস্ট সব ফিরিয়ে আনেন!!!

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৬

আখেনাটেন বলেছেন: সোহানী বলেছেন: চোরের সাথে রাগ করে নিজের ফলবতী গাছ কেটে ফেলা কি ঠিক!!!!!!!! এসব আলাপ পরে হবে, আগে পোস্ট সব ফিরিয়ে আনেন!!! --- আপা, এভাবে বলেন না, সাধু বাবা গোস্মা করেছেন।

১৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম। শুধু এটুকুই জানিয়ে গেলাম।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৭

আখেনাটেন বলেছেন: ঠিক আছে।

১৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:২৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এর মূলে আছে এক দলের শাসন।এরা কোন্দল করার সময় পায় না।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১০

আখেনাটেন বলেছেন: নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এর মূলে আছে এক দলের শাসন।এরা কোন্দল করার সময় পায় না। -- এটা আংশিক হলেও সত্য।

একদল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে সে থেকে জনগণ সুফল পেতে পারে, যদি দুর্নীতির লাগামটাকে টেনে ধরা যায়। বাংলাদেশও চীন, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া'র মতো সাফল্য পাবে এটা নিশ্চিত তা করলে। কিন্তু.......

২০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৪০

শায়মা বলেছেন: আমাদেরকেও চীনের মত হার্ড ওয়ারকিং আর গুড প্ল্যানার হতে হবে।

চীনা স্টুডেন্টরাও বিশাল স্টুডিয়াস বাপরে!!! .....


ভাইয়া সারাদিন আজকাল একটা গানই শুনছি ........

স্বপন বলাকা মেলেছে পাখা.......
আমায় বেঁধেছে কে সোনার পিঞ্জরে ........ ঘরে ......... :P

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: শায়মা বলেছেন: আমাদেরকেও চীনের মত হার্ড ওয়ারকিং আর গুড প্ল্যানার হতে হবে।
চীনা স্টুডেন্টরাও বিশাল স্টুডিয়াস বাপরে!!! .....
--- ঠিক বলেছেন। জিআরই, জিম্যাটে এদের ম্যাথ স্কিল অবিশ্বাস্য।

Top 5 Countries with Highest GRE Quantitative Score: আউট অব ১৭০
China 162.9
Singapore 160.3
Hong Kong 159.5
Taiwan 159.2
Vietnam 158.9
Turkey 158.7

বাংলাদেশ ১৫৫, ভারত ১৫৪ মনে হয়।

২১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৪২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া রবিঠাকুর কিন্তু রাগ করবেন ......

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৫

আখেনাটেন বলেছেন: :P

২২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:০৯

মা.হাসান বলেছেন: প্রিয় ফারাও, আপনার নিজের পোস্ট আপনি ড্রাফটে নেবেন , আমাদের কি বলার থাকতে পারে? তবে অনুরোধ করবো পোস্টে আমাদের যে কমেন্ট গুলো ছিলো তা ফিরিয়ে আনুন। কত রাত জেগে লেখা কমেন্ট, ওগুলো কেনো সরাবেন?

বাড়ির বাইরে বের হতে গেলে দেখি কুকুর বিড়াল রাস্তায় পটি করে রেখেছে। তাই বলে কি বের হওয়া বন্ধ করে দেই? প্রয়োজনে নোংরা জানোয়ারদের বাসায় ঢোকা বন্ধ করা দরকার।

যাদের হিসুর সময়ে কমোড ফ্যানায় ভরে যায় তারা অসুস্থ, তারা ক্যানভাসারের তাবিজ নিক বা যা করে করুক। এদের নিয়ে ভাববেন না।

পোস্টের বিষয়ে আর কি বলবো- সত্তর বছরের এক দলীয় শাসনের পর চায়না এই অবস্থায় এসেছে। আমাদের এত বছর লাগবে না, ২০৪১এর মধ্যেই পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৬

আখেনাটেন বলেছেন: যাদের হিসুর সময়ে কমোড ফ্যানায় ভরে যায় তারা অসুস্থ, তারা ক্যানভাসারের তাবিজ নিক বা যা করে করুক। এদের নিয়ে ভাববেন না। --- হা হা হা; হাসতেই আছি। :P

ভাবব না। তাই খোঁয়াড়ে ভরেছি।

২৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:১৪

গারোপাহাড় বলেছেন: আরেকটু ডিটেইলস এ গেলে াারো অনেক কিছু জানা যেত। যাক, ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৮

আখেনাটেন বলেছেন: ভাইজান, এমনিতেই বড় লেখা কেউ ব্লগে পড়তে চায় না। তবে আপনার সাথে আমি সহমত আরো বিস্তারিত লিখলে অনেক কিছুই তুলে ধরা সম্ভব হত। :D

২৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: দয়া করে, কারো যদি জানা থাকে কীভাবে কাউকে সামুতে ব্লক করতে হয়, জানায়ে দিলে খুশি হতাম। :D

ইদানিং নিষেধ করার পরেও বেড়া ডিঙিয়ে ছাগল ক্ষেতের প্রভূত ক্ষতি সাধন করার জন্য বেড়ার চারপাশে চক্রাকারে ঘুরিতেছে। এই বেয়াদব ছাগলকে তাঁহার নিজের ভাষায় 'খোঁয়াড়ে' না ভরা পর্যন্ত ঘরের ফসল নিয়ে বিড়ম্বনায় আছি।

২৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮

সোনালি কাবিন বলেছেন: @ আখেনাটেন ভাই,

প্রথমে আপনার প্রফাইলে একদম ডানদিকে উপরে পিকের সাথে থাকা ডাউন এরো চিনহে ক্লিক করে কমেন্ট মডারেশনে যান
এরপর বামদিকের অন্যান্য তালিকা থেকে নিষিদ্ধ তালিকায় ক্লিক করুন
নিষিদ্ধ তালিকায় এড করুন অংশে ক্লিক করুন । তারপর যাকে নিষিদ্ধ করতে যান তার ব্লগের হোমপেজের ইউআরএল থেকে ইউজার আইডির অংশ নিন ।
উদাহরণস্বরুপ Click This Link
এখান থেকে sonalikabin987 অংশটুকু
তারপর এড করুন এ ক্লিক করুন , হয়ে গেল

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৬

আখেনাটেন বলেছেন: ইয়েস, পেরেছি। :D

এই প্রথম ইতরামী করার জন্য শতবার সতর্ক করার পরও 'রান্টিং' না থামানোয় কাউকে ব্লক করতে হল। সে জন্য উনার কাছেও দু:খিত। এখনও সময় আছে নিজের কৃতকর্মের জন্য 'নিজের ইগোকে সরিয়ে' শতভাগ সমর্পণের মাধ্যমে দু:খ প্রকাশ করে নিজের মনোকষ্টের বন্দিদশা' থেকে বের হওয়ার। সে সুযোগ উন্মুক্ত।

আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ ব্লগার সোনালি কাবিন।

২৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৫

সোনালি কাবিন বলেছেন: ব্লক হয়ে গেলে আপনার নিষিদ্ধ তালিকা আপডেট হবে । সংখ্যায় শো করবে । আপনি তাতে ক্লিক করে লিস্ট দেখে নিতে শিওর হতে পারেন

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১১

আখেনাটেন বলেছেন: হ্যাঁ, আপডেট হয়েছে। এবং একমাত্র 'বেয়াদব' যাকে অনেক সুযোগ দেওয়ার পরও তা গ্রহণ না করায় বাধ্য হয়ে তার ভাষায় 'খোঁয়াড়ে' প্রবেশ করানোর লিস্টিতে থাকল। বেয়াদবির জন্য নি:শর্ত ক্ষমা প্রদর্শন করলেই কেবল 'খোঁয়াড়' থেকে বের করা হবে।

ধন্যবাদ সোনালী কাবিন সাহায্যের জন্য।

২৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, "চীনের বিস্ময়কর...উত্থান বিশ্বের জন্য শুভ নাকি অশুভ?" তা কোটি টাকার প্রশ্ন তয় আপনার কর্মকাণ্ড যে ব্লগের জন্য /আমাদের মত নিরীহ ব্লগারদের জন্য শুভ নয় তা ঠিক।

কেন ভাই,কেন? আপনি আমাদের প্রতি এ অবিচার করলেন? ফিরিয়ে দিন যা যা হারিয়ে গেছে তার সব কিছু। আর ছাগল ক্ষেতের ফসল নষ্ট করে ফেলবে এই জন্য ফসল বোনা ছেড়ে দেয়া কিংবা নিজের বোনা ফসল তড়িঘড়ি করে কেটে ফেলা ভাল কাজ নয়।আসুন আমরা ছাগলকে প্রতিরোধ/পরিহার করি ফসলকে নয়।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৪

আখেনাটেন বলেছেন: আসুন আমরা ছাগলকে প্রতিরোধ/পরিহার করি ফসলকে নয়। --- B-)


আইরন ডোম তৈরি করেছি ফসলের চারপাশে। :D

২৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। বাকি মন্তব্য গুলো দেখতে।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: এদিকে উঁকি ঝুঁকি দেওয়ার চেয়ে 'ফাইহা'কে সময় বেশি দেওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ রাজীব ভাই। :D

২৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২০

নীল আকাশ বলেছেন: নীচে তীর চিহ্ন দেয়া সিরিয়াল ধরে এগিয়ে যান। একের পর এক স্টেপ। আসবে।
তালিকায় নাম দেয়ার সময় ব্লগ নিক দিবেন।

এরপরও না পারলে আমারে নক দিয়েন এইখানে যে কোন সময়ে...............

আগাছা প্রথমেই ছেটে ফেলে দিতে হয়। সার পানি বাতাস দিলে বড়ই হয়, কিন্তু কোন লাভ হয় না।
উচিত ছিল প্রথম দিনেই পশ্চাতদেশে লাথি দিয়ে ব্লগ বাড়ি থেকে বের করে দেয়া।

নিজের সব পোস্ট ড্রাফট নেয়া বন্ধ করুন। নিজের পায়ে বাড়ি দিলে অন্যকেউ ব্যথা পাবে না। ব্লগে ফিরলাম শুধু আপনার এই ঝামেলার এই অবস্থার জন্য।

ধন্যবাদ।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: কাজ সুসম্পন্ন হয়েছে.....একটু আগে। :D

এই ঝামেলা থেকে আমি বের হওয়ার জন্য নানামুখি উদ্যোগ নেওয়ার পরও এই বেয়াদব যে এভাবে কচ্ছপের মতো কামড়ে ধরে থাকবে তা কি আমি আগে বুঝেছিলুম। :(

৩০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২২

ফটিকলাল বলেছেন: ব্যাক্তিগতভাবে মনে হয় আমাদের চিনের সাথে সখ্যতা খুবই জরুরী কিন্তু ওদের ঋন নেবার পক্ষপাতি নই। তাহলে আমাদের লাভের চেয়ে ক্ষতি হবে বেশী।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: ফটিকলাল বলেছেন: ব্যাক্তিগতভাবে মনে হয় আমাদের চিনের সাথে সখ্যতা খুবই জরুরী কিন্তু ওদের ঋন নেবার পক্ষপাতি নই। তাহলে আমাদের লাভের চেয়ে ক্ষতি হবে বেশী। --- আমার মতে ঋণ নেওয়া যেতে পারে নিজেদের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য, তবে সেটা অবশ্যই চড়া সুদের কিংবা কঠিন শর্তের মাঝে নয়। যদিও এসব ক্রেডিটের ক্ষেত্রে বিশাল একটি কমিশনের খেলা চলে, সেটা বিবেচনায় নিয়েও। তবে যতটা এড়িয়ে যাওয়া যায় ততই ভালো।

৩১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

নতুন বলেছেন: চীনারা ব্যবসা বোঝে তাদের কাছে আবেগের কোন মূল্যনাই।

তাদের চোখে সব সময় $ $ সাইন থাকে যেমনটা কাটুনছবিতে থাকে।

তাই তাদের সাথে আমাদের সখ্যতা তেমন জমবেনা কিন্তু ব্যবসায়ীক সম্পর্ক জমবে। আমাদের ১৭ কোটি মানুষের বাজার ওরা অবশ্যই আমাদের গুরত্ব দেব।

আমেরিকার অর্থনিতি অনেক বড় কি্‌তু এখন চীনারা তাদের ছাড়িয়ে যাবে । আর বিশ্বের বাজারের দখল এখন প্রায় চীনের আওতায়।

তাই আমার মনে হয় চৈনিক সম্রাজ বা তার শুরুটা আমাদের জীবদ্বসায় দেখে যেতেও পারি।

কিন্তু সেটা মনে হয় আমাদের জন্য ভালো হবেনা।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: তাই তাদের সাথে আমাদের সখ্যতা তেমন জমবেনা কিন্তু ব্যবসায়ীক সম্পর্ক জমবে। আমাদের ১৭ কোটি মানুষের বাজার ওরা অবশ্যই আমাদের গুরত্ব দেব। -- সহমত। উইন-উইন সিচুয়েশনে থাকলে সব কিছুই ওকে।

আমেরিকার অর্থনিতি অনেক বড় কি্‌তু এখন চীনারা তাদের ছাড়িয়ে যাবে । আর বিশ্বের বাজারের দখল এখন প্রায় চীনের আওতায়।তাই আমার মনে হয় চৈনিক সম্রাজ বা তার শুরুটা আমাদের জীবদ্বসায় দেখে যেতেও পারি। --- আর এক দশকের মধ্যে চীনারা বিশ্বকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় সেটাই দেখার বিষয় । আগে ওরা অন্য দেশের রাজনীতিতে নাক গলাতো না। ইদানিং শুরু করেছে। এগুলোই নতুন কিছুর ইঙ্গিত করে।

কিন্তু সেটা মনে হয় আমাদের জন্য ভালো হবেনা। -- আমারও তাই মনে হয়। এখন দেখার বিষয় পশ্চিমারা এই নয়া জায়ান্টকে কীভাবে সামাল দেয়।

৩২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: তাদের উঠে আসার ইতিহাস আপনি তুলে ধরেননি। এমন সুন্দর পোস্টের সাথে ওদের এই অবস্থান তৈরির কিছুটা হলেও ইতিহাস যুক্ত করা যেত। যদি সেটা আলোচনা করতেন তবে আমাদের ব্যর্থতার মূল কারণ খুব অনায়াসেই ওঠে আসতো। হ্যা, আমরা শিক্ষা নেই না ঠিকই, তবে শুনতে তো ভালো লাগে। জানেন, আমার মন লয় অন্যের সফলতার কাহিনী কিন্তু আমরা ভালো বলতে পারি, তার চেয়ে ভালো পারি তাদের আলোচনাকারীদের শত্রুদের তালিকায় যুক্ত করতে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: তাজুল সাব, এমনিতে পোস্ট বড় হওয়ায় আতঙ্কে থাকি। লোকজন ডরাবে কিনা। আর মশাই এসে কয় কি.....ইতিহাস যুক্ত করতে। এ পাড়ায় তো তাইলে কেউ আর আসবে না। :D


এ দেশেও হয়ত একদিন ঠেকে ঠেকে শিখবে। কি আর করা!!!!



৩৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:



নেগেটিভ অবশ্যই আছে সেটা না বলি ।

চাইনিজদের ভালো দিক হচ্ছে ওরা অনেক মেধাবী, ভীষণ পরিশ্রমী, মানি মেইক করতে জানে ।
সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে নিজেদের মধ্যে একাত্মবোধ । সবাই সবাইকে সাপোর্ট করে অনেক ।
পৃথিবীর কোথায় নেই তারা , সব জায়গায় তারা একরকম রাজত্ব করছে তাদের নিজেদের গুনেই ।

চায়নার মতো একটা ওভার পপুলেটেড দেশ শুধুমাত্র সঠিক প্ল্যানিং আর পরিশ্রম দিয়ে কতো এগিয়ে গেছে ।
অনেক কিছু শেখার আছে তাদের কাছ থেকে । আমাদের দেশ ওদের ভালো দিকগুলো ফলো করতে পারে ।

আনা, সিরিজটা শুরু করেছিলাম, শেষ করবো নাহ ???
কি করে করবো এক্সেস না থাকলে :(




১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৮

আখেনাটেন বলেছেন: চাইনিজদের ভালো দিক হচ্ছে ওরা অনেক মেধাবী, ভীষণ পরিশ্রমী, মানি মেইক করতে জানে ।
সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে নিজেদের মধ্যে একাত্মবোধ । সবাই সবাইকে সাপোর্ট করে অনেক ।
পৃথিবীর কোথায় নেই তারা , সব জায়গায় তারা একরকম রাজত্ব করছে তাদের নিজেদের গুনেই ।
-- ঠিক তাই। কঠোর পরিশ্রমী জাতি। এত দ্রুতগতিতে দেশ শিখরে নিয়ে চলেছে যে বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না।

চায়নার মতো একটা ওভার পপুলেটেড দেশ শুধুমাত্র সঠিক প্ল্যানিং আর পরিশ্রম দিয়ে কতো এগিয়ে গেছে ।
অনেক কিছু শেখার আছে তাদের কাছ থেকে । আমাদের দেশ ওদের ভালো দিকগুলো ফলো করতে পারে ।
-- আমাদের নেতা ও পলিসি মেকাররা তা বুঝলেই হয়।

৩৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ওকে, ডান বাবু ডান। বাম দিকে তাকান ;)

তাহলে এবার ওদের উঠে আসার ইতিহাস লিখুন। লিখুন আমাদের আর তাদের মধ্যে মিল-অমিলের কথা। সেখান থেকে অর্জনের কিছু ব্যথা।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: এবার ওদের উঠে আসার ইতিহাস লিখুন। লিখুন আমাদের আর তাদের মধ্যে মিল-অমিলের কথা। সেখান থেকে অর্জনের কিছু ব্যথা। --- হুম; ভালো কথা। সেটা লেখায় যায়। তুলনামূলক বিশ্লেষণ। তবে চীনের চাইতে ভিয়েতনাম কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে তুলনা করা বেশি কার্যকর মনে হয়। এই দুটো দেশই যুদ্ধের ধংসস্তুপ থেকে বাংলাদেশের মতোই যাত্রা শুরু করে আর দিগন্ত ছুঁয়ে ফেলছে। কেন আমরা পারি নি কিংবা পারছি না এই নিয়ে বিস্তারিত লেখায় যায়। মনে থাকল। :D

৩৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২৭

ইলুসন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লাগল জেনে। :D

ধন্যবাদ ব্লগার ইলুসন।

৩৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: চীনাদের সংগে আমাদের সম্পর্ক আর ও জোরালো হবে সামনের দিন গুলিতে। তবে ওদের উপর একটা চোখ সবসময়ই অবশ্যই রাখতে হবে আমাদের। কারন ওদের নতুন চরিত্র ধীরে ধীরে সকলের সামনে উন্মূক্ত হচ্ছে এবং সেটা খুব একটা স্বস্হিদায়ক নয় বিশ্বের কাছে।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: কারন ওদের নতুন চরিত্র ধীরে ধীরে সকলের সামনে উন্মূক্ত হচ্ছে এবং সেটা খুব একটা স্বস্হিদায়ক নয় বিশ্বের কাছে। ---- ঠিক তাই। বিশেষ করে, ব্রক্ষ্মপু্ত্রের উপর হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্ট ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও ভাবনায় ফেলে দেবে। এ নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হলে অবাক হবো না।

৩৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:০০

উম্মে সায়মা বলেছেন: চমৎকার গবেষণাধর্মী পোস্ট। আসলেই ভাববার বিষয়। এই মহামারীতে তারা যেন আরো এক ধাপ এগিয়ে গেছে। ইশ আমাদের দেশের সরকারও যদি সত্যিকারে দেশটাকে উন্নত করার কথা ভাবত!

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: ইশ আমাদের দেশের সরকারও যদি সত্যিকারে দেশটাকে উন্নত করার কথা ভাবত! --- ইনারা আছেন কীভাবে গদিটাকে আরো ভালোভাবে আঁকড়ে ধরা যায় যুগের পর যুগ। মুখে দেশপ্রেম, অন্তরে কি খোদা মালুম। তাছাড়া এত সম্ভাবনাময় দেশ অনেক আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হত।

৩৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৫

করুণাধারা বলেছেন: এত কঠিন বিষয়ে লেখা, কী যে বলি...

খুব তাড়াতাড়ি চীন উন্নতি করছে ঠিকই, কিন্তু চীনের মানুষ কি সুখে শান্তিতে বসবাস করছে? সারাক্ষণ খবরদারি, নিয়ন্ত্রণ এসবের মধ্যে থেকে কি খুব বেশি কিছু করা যায়!! চীনারা খুবই পরিশ্রমী বলেই এতদূর উঠেছে, কিন্তু মনে শান্তি না থাকলে মোড়ল হতে পারবে কি!! আমি মনে করি না।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: ভোগবাদী দুনিয়ায়, মানুষ এখন ভোগ-বিলাসকে সুখের মাপকাঠি বিবেচনা করে। সেই হিসেবে চীনের মানুষও সুখী গত যুগের তুলনায় বলতেই হয়। হাতে অঢেল অর্থ। দেদারসে খরচ করতে পারছে। ১৪০ কোটির দেশে বছরে দুই কোটি প্রাইভেট কার বিক্রি হচ্ছে ভাবা যায়। সেই হিসেবে বাংলাদেশে বিক্রি হওয়ার কথা ছিল বিশ লাখ। অথচ বিক্রি হয় বিশ হাজার। এতেই তাদের অর্থ ও ভোগের চিত্র বুঝা যাচ্ছে।

এখন দেখার বিষয় এই সুখকে তারা কীভাবে অপরাপর দেশের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়। কারণ তাদের অতি সুখ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জন্য ভবিষ্যতে দু:খের কারণ হওয়ার সমূহ সম্ভবনা। তার কিছু নমুনা আমরা দেখতে পাচ্ছি নানাভাবে..।

৩৯| ০৭ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত পরিপাটি একটি পোস্ট, প্রাঞ্জল ভাষা ও বর্ণনায় প্রশংসার দাবীদার। বিশেষ করে জ্ঞাতব্য বিষয়সমূহ সুন্দর করে লিঙ্কড করা হয়েছে।

সবার আগে চাই রাষ্ট্র যন্ত্রের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, আর সেটার জন্য চাই একটা জনকল্যাণমুখি বৈধ সরকার নির্বাচন এবং নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে বৈধভাবে তার পরিবর্তন।

চীনের উল্থান যে গতিতে হচ্ছে, তাতে পশ্চিমা বিশ্ব একত্রে জোট বেঁধে তাকে প্রতিহত করতে উঠে পরে লাগবে, এতে অবাক হবার কিছু নেই। তবে ভয় হচ্ছে, এটা আবার বড় কোন যুদ্ধ বিগ্রহ ডেকে আনে কি না!

০৯ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

আখেনাটেন বলেছেন: সবার আগে চাই রাষ্ট্র যন্ত্রের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, আর সেটার জন্য চাই একটা জনকল্যাণমুখি বৈধ সরকার নির্বাচন এবং নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে বৈধভাবে তার পরিবর্তন। --- :(


চীনের উল্থান যে গতিতে হচ্ছে, তাতে পশ্চিমা বিশ্ব একত্রে জোট বেঁধে তাকে প্রতিহত করতে উঠে পরে লাগবে, এতে অবাক হবার কিছু নেই। তবে ভয় হচ্ছে, এটা আবার বড় কোন যুদ্ধ বিগ্রহ ডেকে আনে কি না! --- ধুন্ধুমার যুদ্ধ হয়ত হবে না। তবে প্রক্সি যুদ্ধ অচিরেই শুরু হবে। শুধু ব্যাটল ফিল্ডটা হবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কোনো মাথামোটা দেশে, যেমন সিরিয়া, লিবিয়া, ইরান, তুরান ইত্যাদি দেশে..... আর চলবে টেক ওয়ার....যা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে....ফলাফল চীনের হুয়াই এর আপাতত পতন। তবে পরবর্তী বছরগুলোতে এ নিয়ে আরো বিস্তৃত পর্যায়ে লড়াই শুরু হবে। যার মূল কারণ হবে রেয়ার আর্থ, সিলিকন চিপ ও লিথিয়াম।

দেরীতে প্রতিউত্তরে দু:খিত। চমৎকার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৪০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২১

গরল বলেছেন: মৌলিক গবেষণা ছাড়া শুধুমাত্র টেকনোলজী দিয়ে খুব বেশিদুর যেতে পারবে বলে মনে হয় না। মৌলিক পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত বা চিকিৎসাবিজ্ঞানে চীনাদের কোন উল্লেখযোগ্য অবদান এখনও চোখে পড়ে নাই। সস্তা শ্রম আর নকল করা প্রযুক্তিই এখনও তাদের প্রধান সম্বল। তবে তারা অনেক দিক থেকেই এগিয়ে গিয়েছে এটা অনস্বীকার্য তবে এখনও তাদের পদচিহ্ন এশিয়া ও আফ্রিকাতেই সীমাবদ্ধ। তারা এখনও Windows, Android, Google, CISCO, INTEL, ARM, Qualcom, Hitachi, TI (Texas Instrument) এরকম আরো ওনেকগুলো বিদেশি প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। যেমন ধরুন Huawei সরাসরি CISCO এর আবিষ্কৃত Protocol ব্যাবহার করে, এরকম আরো ওনেক, লিখতে গেলে পোষ্ট এর চেয়েও বড় হয়ে যাবে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: মৌলিক গবেষণা ছাড়া শুধুমাত্র টেকনোলজী দিয়ে খুব বেশিদুর যেতে পারবে বলে মনে হয় না। --- ঠিক....এটা তারা গত দু দুশক আগেই বুঝতে পেরেছে, বলেই.......এখন জিডিপির বড় একটি অংশ মৌলিক গবেষণায় ব্যয় করছে....।


সস্তা শ্রম আর নকল করা প্রযুক্তিই এখনও তাদের প্রধান সম্বল। --- চীনের বর্তমান ট্রেন্ড কিন্তু তা বলে না। পোস্টে বর্ণনাকৃত সেসব সফিসটিকেটেড টেকের রমরমা সম্ভব নয়...সেমি কন্ডাকটর শিল্পে পিছে ছিল.....শত শত বিলিয়ন ডলার ঢালছে গবেষণার পেছনে........

৪১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৯

গরল বলেছেন: Huawei বা Xiaomi মোবাইল এর কথাই ধরুন, ModiaTek/Qualcom Processor, Hitachi/Samsung Memory, AOLED (Samsung) Display, Android Operating System, Gorilla Glass, শুধুমাত্র নিজেদের কিছু Apps। এইতো, বিশ্বের নামিদামি ফোন কম্পানীর কারখানা চীনে থাকায় তারা শিখে ফেলেছে কিভাবে অ্যাসেম্বল করতে হয়। যেটা তারা নিজেরা করে সেটা হচ্ছে Mother Board টা তারা নিজেরা ডিজাইন করে প্রিন্ট করে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: Huawei বা Xiaomi এরা পিছিয়ে ছিল.......এখন দেদারছে টাকা ঢালছে....ফলও হাতে নাতে পাচ্ছে....Huawei এর ফ্যাব ফাউন্ড্রি হাইসিলিকন আরো টাকা ঢালছে......আর সরকার বুঝে গেছে সিলিকন চিপের নিজস্বতা ছাড়া বিশ্বে প্রযুক্তির ছড়ি ধার করে ঘোরানো সম্ভব নয়.....ফলেই হাজার হাজার ইয়াং জেন কে শুধুই চিপ ডিজাইন, ডেভের জন্য নিয়োগ করছে....আগামী পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে হয়ত ফলও হাতে নাতে পাবে......

৪২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:১৯

সাসুম বলেছেন: আমি নিজে চীন থাকি, জব করি , বিজনেস করি, রেসিডেন্সি পারমিট নিয়েই বসবাস করি প্রচুর টাকা ট্যাক্স দিয়ে। সো হালকা করে চীন সম্পর্কে বলা যায়- এটা একটা শাখের করাত এবং ইন ফিউচার এটা ভয়ানক রুপ নিবে।

আম্রিকার ইতিহাস কোন সুখকর কিছুনা। তারা ন্যাটিভ আম্রিকার দের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আজকের সভ্যতার জয়গান গাইতাছে, আর লন্ডন নিবাসী রা ভুলে গেলে তারা সভ্যতাকে সভ্য করার জন্য পুরা দুনিয়ার উপর স্টিম রোলার চালিয়ে জেনোসাইড করেছে।

কিন্তু এরা এখনো এই মুহুর্তে সভ্যতার ধারক ও বাহক এবং সভ্য দাবিদার। এর একমাত্র কারন- চেক এন্ড ব্যালেন্স। আজকে নোয়াম চমস্কি রা জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে আম্রিকার বিদেশ নীতির ওপেন সমালোচনা করতে পারে আম্রিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে। আম্রিকার সিনেটে রিপাব্লিক আর ডেমোক্রেট রা একে অপর কে দায়বদ্ধ রাখে। হোক সেটা ইরাকে হামলা চালানো নিয়ে কিংবা আফগানিস্তান থেকে সৈণ্য প্রত্যাহারে। আম্রিকায় দাঁড়িয়ে ট্রাম্প এর প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তাকে নেংটা করে সমালোচনা করা যায়। এই ধারক ও বাহক দেশ গুলোর বিচার ব্যবস্থা এদের নেতাদের কাটগড়ায় দাড় করাতে পারে।

এই যে প্রতিবাদের স্বাধীনতা এবং বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং অন্যায় করলে সেটার বিচারে নিশ্চয়তা এই চেক এন্ড ব্যালেন্সের কারনেই আম্রিকা , ইউরোপ রা এখনো সভ্যতার নেতার সারিতে।

এবং এই চেক এন্ড ব্যালেন্স এর অভাবেই চীন এর উথান ক্ষতিকর কারন তাদের কে দায়বদ্ধ করার কিংবা তাদের অন্যায় একশান এর বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার নাই কারো।

আবার সামগ্রিক দিক থেকে বলতে গেলে, চীনের উথান ভাল। এখন পশ্চিমা মোড়ল গন নিজেদের উপর বাইরে থেকে আলাদা প্রেসার ফিল করবে এবং নিজেদের চেক এন্ড ব্যালেন্সের খাতায় আরো একটা শত্রু দেখতে পাবে এবং এটা পশ্চিমাদের কে ভুল ডিশিসান নিতে আরো বেশি করে ভাবাবে।

বাট দিন শেষে চীনের কোন এক শহরে একবার হাটলে লন্ডোন, আমস্টারডাম আর নিউ ইয়র্ক কে মিরপুরের বস্তি মনে হবে। এত এত দৃশ্যমান উন্নয়নের পরেও , এত এত শান্তিতে চলার পরেও , এত এত সুখে থাকার পরেও চীনের উথান ক্ষতিকর ও ভয়ানক কারন চেক এন্ড ব্যালেন্সের অভাব।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৬

আখেনাটেন বলেছেন: আমি নিজে চীন থাকি--তাহলে তো আপনার আরো ভালো জানার কথা, কীভাবে একটি জাতি নকলের মচ্ছব থেকে বের হয়ে উদ্ভাবনী চিন্তার দ্বারা দুনিয়া শাসন করার নীল নকশা আঁকছে.....যেমনটা অতীতে আপনি উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশরা, এখন আমেরিকানরা করছে....
আম্রিকার ইতিহাস কোন সুখকর কিছুনা। তারা ন্যাটিভ আম্রিকার দের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আজকের সভ্যতার জয়গান গাইতাছে, আর লন্ডন নিবাসী রা ভুলে গেলে তারা সভ্যতাকে সভ্য করার জন্য পুরা দুনিয়ার উপর স্টিম রোলার চালিয়ে জেনোসাইড করেছে। ----সে জন্যই হয়ত কবি বলেছেন, সকল হাসির পেছনেই একটি কুৎসিত পটভূমি রয়েছে......চীনও সে পথ বেছে নিলে......আমরা চুঁনোপুটি হয়ে আর কী করতে পারি......এখন তাইওয়ান ডরে আছে....ফিলিপাইন ভয়ে আছে.... দুদিন আগে সুপারসনিক ব্রাম্মোস মিসাইল অর্ডার দিলো...ভারত থেকে.....অস্ট্রেলিয়া নিউক্লিয়ার সাবমেরিন অর্ডার দিচ্ছে.....নিশ্চয় অজানা ভয়ে...

এত এত সুখে থাকার পরেও চীনের উথান ক্ষতিকর ও ভয়ানক কারন চেক এন্ড ব্যালেন্সের অভাব। -- শতভাগ সহমত...। যেখানে জবাবদিহিতার বালাই নেই, সেটা একটা ভীতিকর পরিবেশ...যা ইচ্ছা তাই করা যায়....

৪৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫০

নতুন বলেছেন: এত এত সুখে থাকার পরেও চীনের উথান ক্ষতিকর ও ভয়ানক কারন চেক এন্ড ব্যালেন্সের অভাব। -- শতভাগ সহমত...। যেখানে জবাবদিহিতার বালাই নেই, সেটা একটা ভীতিকর পরিবেশ...যা ইচ্ছা তাই করা যায়....

এই একটা কারনেই কিন্তু চীনের উ্‌ন্নয়নের বাবলকে ধংষ করতে পারে। মানুষ স্বাধীনতা চায়, হয়তো একটা সময় সবার সহ্যের বাধ ভেঙ্গে যাবে এবং একসাথে জেগে উঠবে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১২

আখেনাটেন বলেছেন: এই একটা কারনেই কিন্তু চীনের উ্‌ন্নয়নের বাবলকে ধংষ করতে পারে। মানুষ স্বাধীনতা চায়, হয়তো একটা সময় সবার সহ্যের বাধ ভেঙ্গে যাবে এবং একসাথে জেগে উঠবে। -- ঠিক তাই...তবে এটা শুধু চীনের ক্ষেত্রেই নয়, অপরাপর সকল দেশের জন্যই প্রযোজ্য।

নতুন ভাই, এ দেশে নতুন একটি ট্রেন্ড দেখছি-- ইদানিং প্রায় প্রতিটি গ্রামে হাফেজিয়া মাদ্রাসা গড়ে তোলার প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা কী কারণে ঘটছে বলে আপনার মনে হয়? এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব কেমন হতে পারে বলে মনে করেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.