নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

টেম্পল অব ফিলে ও আবু সিম্বলে নেফেরতিতির সাথে মোলাকাত…!!!

০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৪৬


-ওয়াও এমেঝিং…হোয়াট অ্যা……

সাহারার বুকে বালির ঢিবি বেয়ে হামাগুড়ি দিয়ে লাল টকটকে সূর্য্যি কাকু রাগী একটি ভাব নিয়ে উঠার পাঁয়তারা করছে। ঐ দৃশ্য দেখে দুই কোরিয়ান রূপবতীর উচ্ছসিত ভাব প্রকাশে লি (জোনাথন লি) ও আমি মুগ্ধ হয়ে কাকুরে বাদ দিয়ে কাকুর ভাতিজিদের দেখছি। বহুদিন পরে পুরান বান্ধবীরে দেখে যেমন ‘সখী গো’ বলে মেয়েরা মোচড়ামুচড়ি করে এদের অবস্থাও দেখছি সেরকম। চারিদিকে থৈ থৈ বালু। লি আমার কানে কানে জানালো, সে মূত্র বিসর্জন করার জায়গার খোঁজে জরাজীর্ণ দোকান ঘরটার পেছনদিকে যাচ্ছে। আমিও কানে কানেই বললাম, দেখে ঢালিস, ওদিকে দেড় জোড়া নেফেরতিতির খুড়তুতো বোনকে যেতে দেখলাম। লি আমার দিকে বোকা বোকা চোখে তাকিয়ে রওয়ানা হলো বিসর্জনে।

ইতোমধ্যেই দুই রূপবতীর একজন কাছে এসে, আমার আর জরিনার দুটা ফটো খিঁচে দিত রে কুদ্দুইস্যা, বলে ঠাস করে ক্যামেরাটা আমার হাতে গুঁজে দিল। গৌড়ের ফ্যারাও-এর বয়স এতটা বেশি নয় যে ‘না’ বলার মতো বুকের...। মাগুর মাছের ন্যায় একটি হাসি দিয়ে ডিএসএলআরে লাল কাকাকে পিছে রেখে গ্যাংনাম স্টাইলে কাকুর ভাতিজিদের সাহারার বুকে ছবি খিঁচে দিলাম। এর কয়েক মিনিট পরে আবার রওয়ানা হলাম কাকুর আরেক ভাতিজি নেফেরতিতিরে মোলাকাত করতে আবু সিম্বলে।
সাহারার বুকে লাল কাকুকে দেখার জন্য মোচড়ামুচড়ি নীলের বুকে এভাবেই জটাধরেরা গলাগলি করে বসবাস করছে



জোনাথন লি। সিঙ্গাপুরিয়ান। উইন্টার ভেকেশনে সোলো ট্রাভেলার হিসেবে এই ডিসেম্বরে মিশর সফর করছে। কায়রো থেকে আসওয়ান যাত্রা পথে ট্রেনে ওর সাথে পরিচয়। এরপর ‘যেখানে রাত, সেখানেই কাত’ বিবেচনায় কায়রোর বাইরে আসা আমরা আসওয়ানে মোটামুটি মাথা গোঁজার মতো এক হোটেলে উঠেছি। আগে হোটেল বুক না করায় হুলুস্থুল বিপদ। কায়রো, আলেক্সান্দ্রিয়া, লুক্সরে অবশ্য বুকিং ডট কমেই ভরসা ছিল। মিশরের শেষ প্রান্তে সুদানের দিকের এই শহর আসওয়ানে ইচ্ছে করেই হোটেল বুক করা ছিল না। ধারণা ছিল ঐ তপ্ত সাহারার বালুতে মুখ গোজার জন্য আর কতইবা আমাদের মতো বেয়াক্কল যাবে। কিন্তু গিয়েই টের পেলুম...দুনিয়াই বেক্কলের সংখ্যা ঊর্ধবমুখি...মাঝারি মানের হোটেলগুলোতে একটা রুমও খালি নেই। ফলে চান্দি ছিলা ইউছেপ কাকার হোটেলেই ঠাঁই নিতে হলো। সেটাও ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে রুম খালি হওয়া সাপেক্ষে। হোটেলে গিজগিজ অবস্থা। এই পক্ষী-হাগা (কবুতর) বিগত যৌবনা হোটেলে সাদা-বাদামী-কালো চেহারার বৈদেশিদের দেখে টাস্কিই খেলাম। ডিসেম্বরের এই সময়টা বৈদেশী পর্যটকের খাউজানি-দৌড়ানি মিশরে মনে হয় চরমমাত্রায় পৌঁছায়। কারণ বছরের অন্য সময় সাহারার মাথা আউলানো রাগ-ভৈরবী।
একপাশে বালুর পাহাড়...নীলের বুকে ফেলুক্কা... আসওয়ানে একদল ভারতীয় পর্যটকের সাথে দূর থেকে মোলাকাত...নৌকাতে...দেখেই চিনে ফেলেছে...এরপর হৈ হৈ...

এদিকে দুপুরের ছুটি নেয়ার পালা। পেটের ভেতরে হাঙ্গরেরা ভীষণ ঢোল পেটাচ্ছে। পাশের এক রেস্তরাঁ থেকে তোহোমা কিনে এনে সকলে গ্রোগ্রাসে গিল্লাম। এই তোহোমা ওদের অন্যতম প্রধান খাবারও বলা চলে। ভেটকি মাছের মতো পেটমোটা ফুলানো তন্দুরি রুটির--মেশিনে বানানো--ভেতরে বেগুন ভাজি, ডিম, ফ্রেঞ্জ ফ্রাই, চিকেন ইত্যাদি পুরে স্যান্ডউইচ স্টাইলে খাওয়া। রুটিগুলো ফটাফট মেশিনে বানাচ্ছে। বানিয়েরা গাচ্ছে। খাচ্ছে। অন্যরা নিয়ে যাচ্ছে।
নেফেরতিতির ভিলেইনাস খুড়তুতো ভাই আইসিসের মন্দিরের প্রবেশ মুখ
মাঝ বিকেলে হোটেলের ম্যানেজার ইউছেপ কাকা একটি প্রাগৈতিহাসিক ট্যাক্সি ঠিক করে দিল। ঘটাং ঘটাং স্টাইলে ছুটলাম দেখতে টেম্পল অব ফিলে। নীল নদের পানি আসওয়ানে এতটাই স্বচ্ছ যে নদীর অনেক গভীর পর্যন্ত দেখা যায়। রাস্তার ডান পাশে নীল নদের পাড় ধরে ছুটে চলছে পঙ্খিরাজ। নদীর মাঝের দ্বীপে হাজার বছরের এলিফেন্টাইন পার্ক সাথে ফাইভ স্টার হোটেল। নীলের বুকে ঐতিহ্যবাহী ফেলুক্কা মানে পাল তোলা নৌকা। একপাড়ে সারি সারি খেজুর গাছ। একদিকে সাহারা মরুভূমির লক্ষ বছর ধরে সিনা টান টান করে দন্ডায়মান বালির পাহাড়। মাঝদিয়ে ত্রস্ত হরিণের মোহনীয় রূপ নিয়ে ছুটে চলেছে অপরূপ নীল। এক মায়াময় দৃশ্য। কেন লোকজন এসব জায়গায় ছুটে আসে অনুমান করা যায়।
টেম্পল অব ফিলের একপাশে হেলে যাওয়া লাল কাকুর রাগী অভিব্যক্তি টেম্পলের ভেতরে হাজার বছরের পুরান এই সব লেখাজোকাওয়ালা পিলার টিকে আছে কালের সাক্ষী হয়ে
বিশ্বখ্যাত আসওয়ান ড্যাম দেখে ফেরার পথে টেম্পল অব ফিলে দেখতে গেলাম। সারাদিন তেতে থাকা লাল কাকা ততক্ষণে বিছানাপত্র বিছিয়ে শোয়ার বন্দোবস্ত করে ফেলেছে। এই কয়েক হাজার বছরের পুরাতন মন্দিরটি লো-ড্যাম ও হাই-ড্যাম এর মাঝখানের লেকের ভিতর অবস্থিত। প্রায় কিলো খানেক নৌকা বেয়ে সেখানে যেতে হয়। টিকিট কেটে নৌকা ঠিক করতে গিয়ে ফ্যারাও এর খুড়তুতো ভাইয়েরা আমাদের পকেট থেকে বাড়তি পাউন্ড খসানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আগে থেকেই প্রস্তুতি থাকাতে বেচারারা হাল ছেড়ে দিয়েছে। নৌকা ভাড়া ১৫০ মিশরীয় পাউন্ড রিজার্ভ। কিন্তু এক দালাল জনপ্রতি ১৫০ পাউন্ড খসার ধান্ধা করেছিল। যাহোক, হেলে যাওয়া সূর্যের মিঠা আলোর মাঝেই প্রায় জনমানবশূন্য টেম্পলে পৌছালাম। অথচ এই জায়গায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পর্যটকে গিজগিজ করে স্থানীয়দের মুখেই শুনলাম। কারণ প্যাকেজ ট্যুর গ্রুপগুলো ঐ সময়েই দাপাদাপি করে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ট্রাভেলার হওয়ার এই এক সুবিধা। নিজের ইচ্ছে মতো ঘোরা যায়।
নেফেরতিতির টেম্পলের ভেতরে দেয়ালে নানা আঁকিজুকি... নেফেরতিতির সাথে মোলাকাতের আবেগঘন দৃশ্য...

দেবী আইসিসের মন্দির। মন্দিরের ইতিহাস দেয়ালের গায়ে লিপিবদ্ধ। হাজার হাজার বছর ধরে লিখে রেখেছে মিশরীয় আর্টিজনেরা। বিস্ময়কর অঙ্কন। কয়েক হাজার বছর ধরে মানব সভ্যতার অন্যতম আদি নিদর্শন নিয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছে। যদিও এই মন্দিরটা আগে অন্য জায়গায় ছিল। কিন্তু ড্যাম তৈরি করার সময়ে স্থানান্তর করে এই উঁচু দ্বীপে স্থাপন করা হয়েছে। সেও এক প্রযুক্তির অভিনব কাজ।

টেম্পল অব ফিলে থেকে আসার পথে নৌকা ঘাটে গেটের বাইরে সারি সারি দোকান। সন্ধ্যা হওয়ায় দোকানিরা আজকের মতো ঝাঁপি বন্ধের এন্তেজামে ব্যস্ত। মাঝবয়েসী এক ভদ্রলোককে কৌতূহলী চোখে তাকানো দেখে সালাম দিলাম। আলাপ হল। তাদের জীবিকার উৎস এই টুরিস্ট। মাঝে আরব স্প্রিং ও এর পরের কয়েকবছর তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয় ছিল। এখন আবার কিছুটা গতি ফিরছে। আসওয়ান বা এই এলাকাতে খেজুর চাষ ও কিছু গম, সবজি-ফলমূল বাদে কিছু হয় না। চারিদিকে ধূ ধূ সাহারার হাঁ নিশ্বাস। ভদ্রলোককে বৃষ্টি-বাদলের কথা জিজ্ঞেস করায় বোয়াল মাছের মতো হাঁ করে চেয়েছিল। জানালো চার বছর আগে একবার পলকা বৃষ্টি হয়েছিল। এবার আমি দেড় মণি বাঘা আইড়ের মতো হাঁ করে চেয়েছিলাম। ভাবা যায়। আকাশে মেঘ নেই। বছরের পর বছর এক ফোঁটা বৃষ্টি নেই। বছরের বেশির ভাগ সময় ৪০ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা। এভাবেও প্রায় বিশ লাখ মানুষ এই শহরে টিকে আছে শুধুই নীলের উপর ভরসা করে। এজন্যই নীলকে বলা হয় মিশরের ধমনি।
আমি উনার সাথে মিশরের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করতেই উনি জানালেন এ বিষয়ে উনি কিছু জানেন না। এ পর্যন্তু মিশরে যে কয়েকজন লোককে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছি, কেউই উত্তর দিতে রাজি হয় নি। খালি মনে হয়েছে, এমন দমবন্ধ পরিবেশে দশকের পর দশক কীভাবে ইনারা…? এ কারণে মাঝে মাঝে মিশরে জনবিস্ফোরণ দেখি তাহরির স্কয়ারে। অর্থাৎ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তাঁরা মাঠে নামে। আবারও সেই ভয়ের সংস্কৃতি...।
মরুভূমির বুকে নাসের লেকের স্বচ্ছ পানি... সন্ধ্যায় পৃথিবীর প্রাচীনতম ভিলেজের অন্যতম নুবিয়ান ভিলেজে যাত্রা



টেম্পল থেকে ফিরে রাতের খাবার খেয়ে দ্রুতই শুয়ে পড়লাম। ইতোমধ্যে ২৮০ কিলোমিটার দূরের আবু সিম্বলে টেম্পল অব আবু সিম্বল ও টেম্পল অব নেফেরতিতি দেখতে যাওয়ার বন্দোবস্ত পাকা। এখানেই সেই দুই সুন্দরী কোরিয়ান এসে হাজির। মানে মাইক্রোবাস ভাড়া করে শেষ রাতে রওয়ানা হয়ে সকালে আবু সিম্বল পৌঁছানো। আবার ঘন্টা তিনেক সেখানে অবস্থান করে পুনরায় ফিরে আসা বিকেলের মধ্যে। সাহারার বুক চিরে এই যাত্রা। রাত পৌনে চারটায় রওয়ানা হলাম। সকাল আটটার মধ্যে পৌছানোর লক্ষ্য। আর সেই যাত্রাপথেই গ্যাংনাম কন্যাদ্বয়ের সাথে আলাপচারিতা। দুজনে মিলেই এবছর মাসাধিক কাল ধরে মিশর চষে বেড়ানোর প্লান নিয়ে ছুটি কাটাতে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। মাইক্রোবাসে আরও এক ভদ্রলোক ছিল। ইউরোপীয়ান মনে হয়। পরিচয়ও হয় নি। মাইক্রোবাসে উঠেই দে ঘুম। আসার পথেও ঘুম। ব্যাটা কুম্ভকর্ণ। মাঝে টেম্পল দেখেছে কিনা সেটাও জানি না। মনে মনে ভাবলুম, এ কি মিশরে ঘুমানোর জন্য এসেছে নাকি!

আবু সিম্বলে যাত্রাপত্রে সেই দুই কোরিয়ান রূপবতীর সাথে নানা বিষয় নিয়ে কথা হল। তাদের মুখে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা। বিশেষ করে, বাংলাদেশের একজনের নাম বলেছিল (মনে পড়ছে না) ভদ্রলোক নাকি কোরিয়াতে সিনেমায় অভিনয় করে।

থাকা খাওয়ার খরচ কম হওয়াতে অসংখ্য পর্যটকে মিশর ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাস গমগম করে। বিকেলে ফিরেই একটু গড়াগড়ি করে সন্ধ্যার আগে নীল নদের পানিতে উষ্ঠাউষ্ঠি করার জন্য গেলাম। সন্ধ্যায় একটি নৌকা ভাড়া করে পাঁচ কিলোমিটার উজানে হাজার বছরের পুরান নুবিয়ান ভিলেজ দর্শন।

সভ্যতার আদিতম এই ভিলেজে ঘন্টাখানেক কাটিয়ে উমাইর ভাইয়ের ডিঙ্গিতে ডিং ডং ‘ইয়া হাবিবি’ আরবী গানের তালে তালে শহরে ফিরেই নুবিয়ানদের উত্তরপুরুষদের দেখার জন্য বের হয়ে গেলাম।

নেক্সট সকালেই ট্রেনে চেপে লুক্সরের পথে যাত্রা। সেখানে বৃহত্তম ও প্রাচীনতম কারনাক টেম্পল কমপ্লেক্স ও ভ্যালি অব কিংসে ফ্যারাও তথা ফেরাউনদের বিস্তির্ণ এলাকার পাহাড় কেটে শতমিটার গভীরে হাজারো বছর ধরে কীভাবে মণি-মাণিক্যসহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল সেটা চাক্ষুষ করতে………!!!
টেম্পল অব ফিলের পাশে দন্ডায়মান ট্রজান'স কিয়স্ক বা ফ্যারাও'স বেড সাহারার বুকে লাল কাকুর তেড়ে আসার দৃশ্য...

**************************************************মিশর নিয়ে আরো পড়তে চাইলে... :D
@আলেকজান্দ্রিয়া কড়চাঃ ক্লিউপেট্রা যেখানে হেঁটেছিল…!!!
@নেফারতিতির দেশেঃ মিশরের পিরামিডের বালুভূমিতে !!!

********************************************************************
আখেনাটেন/জুন-২০২১
ছবি: লেখক

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার বর্ণনাশৈলীতে বরাবরের মত মুগ্ধতা!
ফটাফট পটাপট এমন সুন্দর করে কিভাবে লিখেন আপনি ভেবে অবাক হই।
চমৎকার ভ্রমন বর্ণনা- মনে হচ্ছে গাট্টি বোচকা নিয়ে এক্ষুনি বেড়িয়ে পড়ি

০৯ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:১৮

আখেনাটেন বলেছেন: আপনারা হচ্চেন গিয়ে গুরু মানুষ......আমরা শিষ্যরা গুরুর পদধূলিতে এই এক্তু-আধটু করে কম্মে খাচ্চি....গুরুদের লেখায় অনুপ্রানিত হয়েই ভ্রমণ-ট্রমণ বিষয়ক লেখা দিচ্চি....এখন পাবলিকের বদহজম না হলেই হয়....ডরাই.....আরকি!!! :D


মনে হচ্ছে গাট্টি বোচকা নিয়ে এক্ষুনি বেড়িয়ে পড়ি --- করোনাটা পার হোক......এরপর সোজা গাট্টি (ভাবি) বোচকা(পোলাপাইন) বেঁধে ফেলুন...এরপর দে দৌড়......। :P

কথা কি মন্দ বলছি নি.....তপন দা.... :)

২| ০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৪

অপু তানভীর বলেছেন: ইন্ডিয়া ছাড়া এই একটা দেশ আমার ভ্রমনের খুব শখ । আপনি কত কিছু দেখে ফেলেছেন! আরও কয়েকটা ছবি যোগ করতেন ! সাথে কিছু ভিডিও ফুটেজ । আদৌও এখানে যাওয়া হবে কিনা কে জানে !
এক বক্স হিংসা মিশ্রিত প্লাস দিয়ে গেলুম পোস্টে ।

০৯ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: অপু তানভীর বলেছেন: ইন্ডিয়া ছাড়া এই একটা দেশ আমার ভ্রমনের খুব শখ । --- আমি কাছের জনদের বলি....সত্যিকারের ভ্রমণ পিপাসু হলে তাদের ঝুড়িতে ছয়টি দেশ অবশ্যই রাখতে হবে...মিশর, গ্রিস, তুরস্ক, ইতালি, ভারত ও চীন। এই দেশগুলো ছাড়া দুনিয়া দেখা সার্থক হবে না। বাকিগুলো বেশির ভাগই কৃত্রিম।

এক বক্স হিংসা মিশ্রিত প্লাস দিয়ে গেলুম পোস্টে । -- |-) :-B কোভিড মিঞা দুনিয়া থেকে বিদায় হোক....এরপর দিন ক্ষণ দেখে বেরিয়ে পড়ুন........ইয়াং মেয়েরা পর্যন্ত সোলো ট্রাভেলার হিসেবে বেরিয়ে পড়েছে......। ৭০ বছরের এক ওল্ড লেডিকে সাইকেল চালিয়ে ঘুরতে দেখেছিলুম......একাই একশ এই বয়সেও......। সুৎরাং....। B-)

৩| ০৯ ই জুন, ২০২১ রাত ৩:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অসাধারণ একটি ভ্রমন বিবরনী ।
আপনার সাথে মনে হলো যেন মিসরের হারিয়ে যাওয়া,
পরে পুনরুদ্ধার পাওয়া ঐতিহাসিক নিদর্শনের অপরুপ
ছবি দেখলাম সাথে মনোমুগ্ধকর বিবরণ ।
নীল নদ নামটি স্বার্থক তার নিলাভ পানির জন্য ।
আসোয়ান কুলের পুনরুদ্ধার কৃত মন্দিরের ছবিগুলি
সত্যিই প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষি ।

এক ছোট্ট বালকের নামে নামাঙ্কিত আবু সিমবেল এর ইতিহাস
পাঠে জানা গেল অনেক আজানা কথা । শুনেছি মন্দির নির্মাণের
মূল উদ্দেশ্য ছিলো মিশরের দক্ষিণী প্রতিবেশীদেরকে মিশর ও
তার ধর্মের জাঁকজমক দেখিয়ে বিমোহিত করে দেয়া, এবং ঐ
অঞ্চলে মিশরীয় ধর্মের প্রভাব বৃদ্ধি করা।তবে ধর্মের প্রভাব বৃদ্ধি
কেমন হয়েছিল তা জানা না গেলেও ঐতিহাসিক পুরাকৃত্তি হিসাবে
কালেরবুকে সাক্ষি হয়ে দাঁড়িয়েথাকার জন্য ভিষন প্রভাব বিস্তার
করেছে । ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসাবে স্বিকৃতি পেয়েছে ।
পৃথিবীর দুর দুরান্তের মানুষকে টেনে আনার জন্য প্রভাব বিস্তার
করছে দারুনভাবে।
সময় সুযোগ পেলে দেখে আসার প্রবল ইচ্ছা রাখি ।
আপাতত পোষ্টটি প্রিয়তে রাখি ।

শুভেচ্ছা রইল ।

০৯ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: মিশরীয় সভ্যতা একটি বিস্ময়। মরুভূমির বুক চিরে বয়ে চলা একটি নদীর উপর নির্ভর করে এত বছর পরেও এর ঐতিহ্য টিকে থাকা একটি সত্যিই বিস্ময়কর। সিন্ধুসহ অন্যান্য সমসাময়িক সভ্যতা কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। অথচ মিশরীয়দের নিদর্শন অটুট সিনা টান করে।

সময় সুযোগ পেলে দেখে আসার প্রবল ইচ্ছা রাখি । -- আশা রাখি আপনি শীঘ্রই নীল নদের বুকে চিহ্ন রেখে আসবেন।


চমৎকার মন্তব্যটির জন্য কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন। সাবধানে থাকুন।

৪| ০৯ ই জুন, ২০২১ সকাল ১০:৪১

শাহ আজিজ বলেছেন: ভারত চীন শেষ । মিশর বাকি । তারপর জাহাজে করে গ্রিস হয়ে ইতালি । এই কয়টা জায়গা না দেখলে জীবন অসম্পূর্ণ । অসাধারন বর্ণনা আপনার । বেচে থাকলে যেতে হবে পিরামিডে যেখানে ঘর্মাক্ত শ্রম দিয়েছেন আমার পূর্বপুরুষেরা , গড়েছেন পৃথিবী শ্রেষ্ঠ দালান কোঠা , ভাস্কর্য । কোন একটা মমি আমার পূর্ব পুরুষের যা খুঁটিয়ে হবে দেখতে ।

০৯ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: এই কয়টা জায়গা না দেখলে জীবন অসম্পূর্ণ । --- আমারও তাই মনে হয়। দেশগুলোর পরতে পরতে প্রাচীন মানব সভ্যতার ইতিহাস লিপিবদ্ধ। যারা প্রত্মতাত্ত্বিক বিষয় পছন্দ করে সেই সব ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এইসব দেশে যাওয়া বাধ্যতামূলক। :D


। কোন একটা মমি আমার পূর্ব পুরুষের যা খুঁটিয়ে হবে দেখতে । ---- হা হা হা। বেশির ভাগই পশ্চিমা চোরেরা চুরি করে তাদের মিউজিয়ামগুলো ভরে ফেলেছে মমিতে। এরপরও কায়রো মিউজিয়ামে যা আছে তা শুধু বিস্ময় সৃষ্টি করে....এই এক মিউজিয়াম ভালোভাবে দেখতে গেলে সপ্তাহ খানেক ঢু দিতে হবে।

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।

৫| ০৯ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

রানার ব্লগ বলেছেন: নেফেরতিতি নামটার প্রতি আমার দুর্বলতা আছে, সেই কোন কালে শুনেছিলাম তখন থেকেই এই দুর্বলতা।

০৯ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: রানার ব্লগ বলেছেন: নেফেরতিতি নামটার প্রতি আমার দুর্বলতা আছে, সেই কোন কালে শুনেছিলাম তখন থেকেই এই দুর্বলতা। === X( :D


দেখে আসেন দেয়ালে খোদাই করা কিংবা পাথরের বিস্ময়কর সৃষ্টিকে......টিকে আছে হাজার হাজার বছর পরেও...মানুষের মুখে মুখে....

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।


৬| ০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নেফারতিতি আজও ইতিহাস থেকে উঠে আসে আমাদের মন ও মণনে।

০৯ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: নেফারতিতি আজও ইতিহাস থেকে উঠে আসে আমাদের মন ও মননে। --- ঠিক তাই....


ধন্যবাদ ব্লগার মো: মাইদুল সরকার।

৭| ০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব, অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম।
সুন্দর একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন। ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে। আপনি কোন ক্যামেরা ব্যবহার করেন

আমি পরিবার নিয়ে ভালো আছি। দোয়া করবেন।

০৯ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

আখেনাটেন বলেছেন: হুম.........

শুধু ছবিগুলোই দেখেছেন.......লেখাতো পড়েন নি..... B:-)

নিকন....

আপনার পরিবার নিয়ে সুখে থাকুন.........


৮| ০৯ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: দারুন ভ্রমন কাহিনী। পাঁচ তারা

০৯ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

আখেনাটেন বলেছেন: :D


ধন্যবাদ ব্লগার ঢাবিয়ান....ভালো থাকুন।

৯| ০৯ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: সূয্যিমামার নতুন নামকরণ লালকাকু ভালো লেগেছে। সলো ট্রাভেলার হবার সুবিধা অনেক। মিশর সম্পর্কিত যেকোনোকিছুই জানতে-শুনতে ভালো লাগে। আপনার লেখা পড়ে জেনে নিলাম অনেক কিছু। বর্ণনা বেশ সরস। সুযোগ পেলে গাট্টি বোচকা থাকুক আর না থাকুক চলে যাবো মিশরে।

১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:১৩

আখেনাটেন বলেছেন: সুযোগ পেলে গাট্টি বোচকা থাকুক আর না থাকুক চলে যাবো মিশরে। ---- খোদা খেদমতগার আপনার নিয়ত পুরণ করুন। বাকি জীবন গল্প করার বিরাট রসদ পাবেন নিশ্চয়। :D

ভালো থাকুন ব্লগার মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল ।

১০| ০৯ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরেয় ব্যাস !!!
এমন ভ্রমণ গল্পে পয়সা থুক্কু সময় উসুল।
দারুণ !

১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: :D :D

লাল কাকুর ভাতিজি দর্শনে সময় উসুল হয়েছে, ভুসুল হয়নি জেনে খুশি হলুম। B-)

অনেক ধন্যবাদ মনিরাপা। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১১| ০৯ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন গল্প, ছবিও দারুণ।

১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:১৮

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত হলুম। :D

ভালো থাকুন ব্লগার মাহমুদুর রহমান সুজন। শুভেচ্ছা।

১২| ১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৪১

জুন বলেছেন: আখেনাটেন কোরিয়ায় বাংলাদেশী অভিনেতার নাম যতদুর মনে হয় মাহবুব লী। আমিতো ব্লগের কলিমুদ্দি দফাদারকেই জিজ্ঞেস করেছিলাম সেই অভিনেতা কি উনি নাকি B-)
আপনার আবু সিম্বল আর টেম্পল অফ ফীলে নিয়ে বিস্তারিত পড়ে অনেক বছর আগে নিজের দেখাটাকে ঝালাই করে নিলাম। আমরা কিন্ত খুব ভোরে রওনা দিয়ে আবু সিম্বল দেখে,আসোয়ান বাধ ঘুরে সেদিনই ফিলের মন্দির দেখেছি। জাহাজ থেকে যত সকালেই যাই না কেন, আবু সিম্বল এর গরম আমাদের তামা তামা করে দিয়েছিল। তবে ফীলের সময় রোদটা নরম হওয়ায় খুব ভালো লেগেছিল।
+

১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

আখেনাটেন বলেছেন: কোরিয়ায় বাংলাদেশী অভিনেতার নাম যতদুর মনে হয় মাহবুব লী। ----আপা আপনি তো দেখছি ব্লগের এনসাইক্লোপিডিয়া। হা হা। আপনার মন্তব্য দেখে গুগল সার্চ করে দেখি, উনাকে নিয়ে তো অনেক লেখা, যেখানে সেখানে। প্রথম আলোতেও দেখলাম একটি লেখা। :D


জাহাজ থেকে যত সকালেই যাই না কেন, আবু সিম্বল এর গরম আমাদের তামা তামা করে দিয়েছিল। --- আপনারা কোন মাসে গিয়েছিলেন....আপা....ডিসেম্বের মাসের তাপমাত্রা সহনীয়...ছিল..।

ফিলেতে যাওয়ার সন্ধ্যার আগে ভ্রমণ নীলের বুকে আসলেই ভালো লাগার মতো...। :D

১৩| ১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩

জুন বলেছেন: আর হ্যা কোরিয়ান মেয়েরা সহ পর্যটক হিসেবে খুবই ভালো। ভাষার জন্য মনে হয়। আমাদের কয়েকটা সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছে।

১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০১

আখেনাটেন বলেছেন: আমাদের কয়েকটা সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছে। -- আপনিও কি কোরিয়ানদের মোলাকাত করেছিলেন...

মিশরে বাস্তবেই ফার-ইস্ট ও সাউথ-ইস্ট এশিয়ার পর্যটক বেশি দেখলাম....।

ধন্যবাদ জুনাপা.....সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১৪| ১০ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

জুন বলেছেন: মিশরের লুক্সর টু আসোয়ান রিভার ক্রুজে আমাদের সংগী ছিল সব শেতাঙ্গ ইউরোপীয়ান আর আমেরিকান। তার মাঝে হলিউডের এক অভিনেতাও ছিল। আর সমগ্র এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছিলাম আমরা দুজন B-) সকালের ব্যুফে নাস্তায় অমলেট ছিলনা বলে এক ইউরোপীয়ান মহিলা শেফকে ধুয়ে কাপড় পরিয়ে দিল। আর আমার ব্যাবহারে মুগ্ধ হয়ে শেফ নিজের হাতে মাছ ভাজা নিয়ে এসেছিল আমার টেবলে। সে দেখেছিল আমি কাউন্টারে মাছ ভাজা খুজছিলাম ;)
এছাড়াও ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট ডেজার্ট ট্যুরেও ওই ইওরোপ আম্রিকান্রাই ছিল সহ পর্যটক। কোরিয়ানদের সাথে মোলাকাত চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড বিশেষ করে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, চিয়াং রাই, ফুকেট আর ব্যাংকক, আয়ুথিয়া এই সব ট্যুরে।

১০ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৯

আখেনাটেন বলেছেন: ...তবে এখন মনে হয় সময় পাল্টেছে আপা...........এশিয়ানরা সর্বক্ষেত্রে......ভারতীয় পর্যটকও যত্রতত্র....কায়রোতে কলকাতার এক ব্যবসায়ীর সাথে পরিচয়....এক পুরোহিতকে সাথে নিয়ে দুজনেই বেরিয়ে পড়েছে ভ্রমণে....সে পুরোহিত আবার জীবনের প্রথমবার দেশের বাইরে গিয়েছে...লুক্সরে বাংলাদেশের একদল ডাক্তারের সাথে দেখা...... :D

ভালো থাকুন।


১৫| ১৫ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:০৭

আমি সাজিদ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলুম। :D


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১৬| ১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:২৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনায় পুরো ভ্রমন উপভোগ করলাম।

২০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: প্রীত হলুম জেনে........। :D


ভালো থাকুন ব্লগার ঢুকিচেপা।

১৭| ২০ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রাচীন সভ্যতার লালনক্ষেত্র মিশর কে নিয়ে লেখা একটি অসাধারণ, অনবদ্য ভ্রমণ পোস্ট। পড়ে নীলনদের বেলাভূমিতে পদচিহ্ন রেখে আসার প্রবল ইচ্ছে জাগছে। গেলে সোলো ট্রাভেলার হিসেবেই যাওয়ার আশা রাখি।

আপনার বর্ণনাগুণে সব ভ্রমণপোস্টই (এ যাবত যতগুলো পড়েছি) একেবারে জীবন্ত হয়ে চোখে ধরা দেয়।

পোস্টে একাদশতম ভাল লাগা + +।

২০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: পড়ে নীলনদের বেলাভূমিতে পদচিহ্ন রেখে আসার প্রবল ইচ্ছে জাগছে। গেলে সোলো ট্রাভেলার হিসেবেই যাওয়ার আশা রাখি। ---সোলো এবং ইন্ডিপেনডেন্ট। তাহলেই মজা....যেখানে ইচ্ছা থাকলেন, খাইলেন, ঘুমালেন.....। শীঘ্রই আপনার পদচারণা ঘটুক নীলের পাড়ে.....এই কামনা।

তবে যাওয়ার আগে আরবী ভাষাটা একটু ঝালাই করে গেলে বিরাট সুবিধা পাবেন। :D


প্রশংসায় খুশি হলাম.......। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

১৮| ২০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,




ভাঙাচোরা দেওয়ালের ল্যাহা আর পুরাইন্না দলান দ্যাহার লৈগ্যা আর উষ্টাউষ্টি কইর‍্যা পহেডের ট্যাহা মাইনসেরে দেতে দুফাইর‍্যা রৌদে অদ্দুর গ্যালেন ক্যা ? ;) :) গংনাম কন্যাদ্বয়ের মতো বেআক্কল হৈলেন ???? :#)
পুরাইন্না ঢাহায় যাইতেন বলাকা বাসে । পোটকা মাছের মতো ফোলা ফোলা লুচি খাইতেন দেশীয় স্বাদে! পানি তো স্বচ্ছই হেইয়া দ্যাকতে কাছা মাইর্রা মরার মাইনষের দ্যাশে যাওন লাগে ? বুড়ী গঙ্গার সেন্টমাখা ঘন পানির গন্দ লইতেন ফ্রী। :-P :|

২১ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: :P =p~


এংকা কতা কলে ত বেড়া কুড়া করা সমস্যাত পড়ে যাবে.......। :D


ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য প্রিয় ব্লগার আহমেদ জী এস...... ভালো থাকুন......

১৯| ২২ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট। জাজাকাল্লাহ খাইরান

২৩ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:৩৩

আখেনাটেন বলেছেন: খুশি হলুম ছবিপা। :D


মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২০| ২৩ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:১৪

করুণাধারা বলেছেন: নিজের কিছু সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় লগ ইন করা হয়নি দেখে এই চমৎকার পোস্টে লাইক দিতে পারিনি আগে, এখন দিলাম। পড়েছি কিন্তু আগেই। এখন আরেকবার পড়তে গিয়ে মনে হলো এই ছবিগুলো প্রতিযোগিতায় দিলে পুরষ্কার পাবার ভালো সম্ভাবনা আছে, ভেবে দেখতে পারেন।

ছবিগুলো খুবই সুন্দর, বর্ণনাও সাবলীল...

২৪ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: ছবিগুলো খুবই সুন্দর, বর্ণনাও সাবলীল... -- জেনে খুশি হলুম। :D

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা....আপনি মন্তব্য করেছেন এ জন্য কৃতজ্ঞতা।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

২১| ২৪ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: সামুতে শিক্ষিত, বেয়াদব, ধান্দাবাজ লোক আছে, এবার ১০০% নিশ্চিত হলাম।

দেখে খুবই ফ্রাস্টেড বোধ করছি। :|

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: :| :|

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.