নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক সময় আমিও একজন ব্লগার ছিলাম!

মাসুম আহমদ ১৪

এখনও বলার মত তেমন কিছু অর্জন করতে পারিনি । কোন দিন যে অর্জন করতে পারব সে সম্ভবনাও নাই ।

মাসুম আহমদ ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিচ্চি গপ -কাঁচের প্লেট

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

রহিমার মা একাগ্রচিত্তে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যাবতীয় গৃহস্হলী কাজ থেকে শুরু করে চেয়ারম্যানের বুড়ো মায়ের দেখাশুনা, চেয়ারম্যানের দুই মেয়ের দেখাশুনা সব কাজ ই করে থাকে। বিনিময়ে মা আর মেয়ের তিন বেলা খাবার জুটে আর রাতে থাকার জন্য বাড়ির ছাদের উপর খুপরির মত ছোট একটা ঘরে থাকার ব্যবস্থা আছে। চেয়ারম্যানের যমজ দুই মেয়ে শেফা এবং তোফা। ওরা কিছুটা শুচিবায়ু টাইপ। তাদের কোন জিনিসপত্র কেউ ছুঁতে পারবেনা। কেউ ছুঁইলে সেটা আর তারা ব্যবহার করেনা। তাই তাদের পানি খাওয়ার গ্লাস থেকে শুরু করে খাবার প্লেট সবকিছুই আলাদা করে রাখা। বাড়ির অন্যরাও সে বিষয়ে ভালভাবে অবগত আছেন। তাই কেউই তাদের জিনিসপত্রের ধারে কাছে যায়না।



একদিন রহিমা জেদ ধরে বসে সেও শেফা আর তোফার মত কাঁচের প্লেটে ভাত খাবে। এলুমিনিয়াম প্লেটে আর সে ভাত খাবেনা। তার মা তাকে অনেক বুঝায় যে কাঁচের প্লেটে তার জন্য না, তার জন্য এলুমিনিয়াম প্লেট বরাদ্দ করে রাখা। তাই তাকে সে কাঁচের প্লেটে ভাত দিতে পারবেনা। কিন্তু রহিমা যখন কিছুতেই মানছিল না তখন সে তাকে প্রমিজ করে যে তার জন্য আগামী বাজারের দিনে ইদ্রিসকে দিয়ে একটা কাঁচের প্লেট কিনিয়ে আনবো। ইদ্রিস হল চেয়ারম্যানের বডিগার্ডের মত, সবসময় চেয়ারম্যানের সাথে সাথে থাকে, আর বাড়ির বাজারপাতি করে থাকে।



পরের বাজারের দিন ইদ্রিস যখন বাজার থেকে ফিরল, তখন রহিমা দৌড়ে ইদ্রিসের কাছে জিজ্ঞেস করে – চাচা আমার কাঁচের প্লেট আনছেন?

ইদ্রিস অবাক হয়ে উত্তর দেয় – তোর কিসের কাঁচের প্লেট!!

- মা আপনাকে কাঁচের প্লেট আনতে টাকা দেয়নি।

- না তো, তোর মা কোন কিছু আনতে আমাকে টাকা দেয়নিতো।

সে মন খারাপ করে তার মায়ের কাছে জিজ্ঞেস করে মা আজকে না আমার জন্য কাঁচের প্লেট আনাবে বলছিলে! তার মা একটু অন্যমনস্ক হয়ে উত্তর দেয় – ভুলে গিয়েছিলাম। আগামী বাজারে আনিয়ে দিব।



পরেরদিন দুপুরের খেতে বসেছে সেফা ও তোফা। কিন্তু সেফার খাওয়ার প্লেট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে তো আর অন্য প্লেটে খাবে না। তাই বাড়িতে শুরু হল খুঁজাখুঁজি। বাড়ির কিছু হারালে প্রথমেই বাড়ির কাজের মানুষের দিকে দৃষ্টি যায় এটাই স্বাভাবিক। এখানেও ব্যতিক্রম হলনা। পরিশেষে প্লেটটা রহিমাদের ঘরে পাওয়া গেল। প্লেট পাওয়ার পর রহিমার মা রহিমাকে খুব মারধোর করলো এবং রহিমাকে দিয়ে সবার কাছে মাফ চাইয়ে নিল যে – সে আর কোনদিন এরকম করবেনা।



সেদিন রাতে রহিমা ঘুমানোর আগে সে তার মাকে আস্তে আস্তে করে বলে- মা শুন, আমি শেফা খালা’র প্লেট টা চুরি করিনি। তার মা খুব জোরে একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে উত্তর দেয় -সেটা আমি জানি মা। এই বলে সে এক হাত দিয়ে চোখ মুছে আর অন্য হাত দিয়ে রহিমাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়!

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ছোট গল্প হিসেবে সুন্দর গল্প।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব ভাই এর সাথে সহমত !

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

আশিক মাসুম বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ মিতা

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সুন্দর গল্প

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৯:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: পিচ্চি গপ, গল্পটা ছোট কিংবা ছোট কারো গল্প ।



কিন্তু এই গল্পটা পড়লে পাঠকের মন খারাপ না হয়ে পারবে না । গল্পে ভালোলাগা ।

০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দুঃখের গল্প , না পাওয়ার গল্প , অতৃপ্তির গল্প , বেদনার গল্প ।
কষ্ট লাগলো ।
সুখের গল্প লেখেন একটা ।

০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আগামী মাসের ৩২ তারিখে লিখমুনে, আপনে ৩৩ তারিখ এসে চেক করে যাইয়েন :P

৭| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: সুন্দর তবে মন খারাপ করে দেয়া গল্প! :(

০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: শেষের দিকে কিছুটা মন খারাপ হয় বটে -

ধন্যবাদ আপনাকে

৮| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০২

খেয়া ঘাট বলেছেন: রহিমা চুরি করেনি, শুধুই খাওয়ার জন্য নিয়েছিলো।- এটাই কি বুঝাতে চেয়েছেন?

০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: না সেটা বুঝাই নাই খেয়াঘাট ভাই। আসেন কানে-মুখে আপনারে শুধু বলি - আপনে কাউরে বলিয়েন না -

আসলে চুরিটা রহিমার মা করেছিল, কারণ ................................ কারণ টা আপনার নিজের মত করে বুঝে নিয়েন :)

৯| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: এবার বুঝেছি, রহিমার মা"ই মেয়ের জন্য চুরি করেছিলো।
আহারে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,বড়ই দুঃখের।

এই জিনিসটা কি শুধু আমিই বুঝিনি!!!!

০৭ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৫:০২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আরে আপনে প্রথম না, এর আগে আরও অনেকেই বুঝে নাই :)

১০| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: ভালো লাগছে ।

তার মা খুব জোরে একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে উত্তর দেয় -সেটা আমি জানি মা।

দীর্ঘশ্বাস!

০৭ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৫:৩৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হুম দীর্ঘশ্বাস!

১১| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

এরিস বলেছেন: সেদিন রাতে রহিমা ঘুমানোর আগে সে তার মাকে আস্তে আস্তে করে বলে- মা শুন, আমি শেফা খালা’র প্লেট টা চুরি করিনি। তার মা খুব জোরে একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে উত্তর দেয় -সেটা আমি জানি মা। এই বলে সে এক হাত দিয়ে চোখ মুছে আর অন্য হাত দিয়ে রহিমাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়! রহিমার মায়ের অসৎ হবার কোন জোর উদ্দেশ্য ছিল না। ধরা না পড়লে এই চুরিটুকুতে একটি সুখের গল্প রচিত হতো। ধরা পড়াতেই হয়ে গেল দুঃখের গল্প। মন খারাপ লাগলো।

০৭ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

১২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনুভূতিগুলোর বর্ণন আরো ভালো হওয়া দরকার ছিলো। মোটামুটি লাগলো।

০৭ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৪৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনার কমেন্ট মাথা নিয়ে সময় করে বসে এডিট করার টেরাই নিমু --

১৩| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৮

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: গল্পের সারমর্ম হলো।

আরো ভালো হতো যদি রহিমার আকুতি বা আক্ষেপ আরো ফুটিয়ে তোলা যেত।

''বাড়ির কিছু হারালে প্রথমেই বাড়ির কাজের মানুষের দিকে দৃষ্টি যায় এটাই স্বাভাবিক।'' আমার মনে হয় এই উদৃত অংশটুকুতে যা বলা হল, তা আপনি বলতে চান নি। বিষয়টা স্বাভাবিক হতে পারে না, স্বাভাবিক মনে করা হয়।

শুভ কামনা।

০৭ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৪৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: এই স্বাভাবিক বলতে স্বাভাবিক মনে করা হয় :)

আশা করি ভাল আছেন

১৪| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: এমন গল্প গুলো পড়লে কেন জানি মন খারাপ হয়ে যায়!

০৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: মঝেমাঝে এমন আমারও হয় ---- এমন লেখা পড়ে ------

১৫| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: বেচারী মা।

সাধ্যের বাইরের জিনিসগুলোও বাচ্চাকে দিতে বুঝি জীবন পর্যন্ত দিতে পারে।

০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হুমম, বেচারি মা :(

১৬| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০০

আরজু পনি বলেছেন:

বাড়িতে যা কিছু চুরি হয়, গিন্নি বলে কেষ্ট বেটাই চোর ! :(

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:২৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ব্যপারটা খুব রেডিকুলাস

১৭| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

অদৃশ্য বলেছেন:




মাসুম ভাই

গল্পটা চমৎকার... তবে এই লিখাটিতে কোথাও কিছুটা তাল কেটে গেলো বলেই মনে হলো... কোথায় ভাবছি...

পরে যদি লিখাটিতে আবার আসি ... খুঁজে দেখবো

আপনার ছোটা লিখার হাত ভালো... তাই ছোট গল্পেও আপনার কাছ থেকে আশা থাকে বেশি...

শুভকামনা...

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনার তাল কেটে যাওয়ার ব্যাপারটা মাথায় থাকবে অদৃশ্য ভাই


সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.