নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক সময় আমিও একজন ব্লগার ছিলাম!

মাসুম আহমদ ১৪

এখনও বলার মত তেমন কিছু অর্জন করতে পারিনি । কোন দিন যে অর্জন করতে পারব সে সম্ভবনাও নাই ।

মাসুম আহমদ ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গপ -রুমাল

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

আমি একজন লজিং মাস্টার। আমি যে বাড়িতে লজিং থাকি সে বাড়িটা একটা টিলা'র উপর অবস্থিত। বাড়িতে ঢুকতে হলে ১৯/২০ টা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়! বাড়িটা পুরা গ্রাম থেকে আলাদা, বাড়ির চারদিক বিভিন্ন রকম গাছগাছালিতে ভর্তি। দুর থেকে দেখলে মনে হয় বাড়িটা জঙলের ভিতর। সে বাড়িতে যারা থাকে তারা একটা যৌথ পরিবার। বাড়িতে অনেক মানুষ, অনেক বাচ্চাকাচ্চা। সকাল ও রাতে দুইবেলা বাড়ির বাচ্চাকাচ্চারা দলবেঁধে আমার ঘরে পড়তে আসে। আমি তাদের খুব মনযোগ দিয়ে পড়া দেখিয়ে দেই। বাচ্চাগুলার কিচির-মিচির মাঝেমাঝে ভালো লাগে, মাঝেমাঝে বিরক্ত লাগে। কিন্তু আমার কিছু করার নেই, সব ধরনের বিরক্তি নিয়ে আমাকে সে বাড়িতে লজিং থাকতে হয়। বাড়ীর বড় কর্তা বিদেশে থাকেন, প্রায়ই দেশে আসেন। উনি দেশে আসলে আমার দিন ভালো যায়, কারণ উনি আলাদা করে আমার খেয়াল করেন। আসার সাথে-সাথে তিনি কিছু টাকা আমার হাতে গুজে দেন, ঠিক তদ্রুপ যাওয়ার সময় কিছু টাকা আমার হাতে গুজে দিয়ে বলেন - মাস্টার সাহেব বাড়ীর ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার দিকে একটু খেয়াল রাখবেন।



আমার লজিং বাড়ি থেকে ৫/৬ মিনিট দুরে একটা ছোট রেল ষ্টেশন আছে। সেখানে লোকাল ট্রেনগুলা থামে, মাঝেমাঝে এক্সপ্রেস ট্রেনও থামে। স্টেশনে একজন স্টেশন মাস্টার ও একজন পিয়ন আছেন। দুইজনের সাথেই আমার ভাল পরিচয়। কারণ আমি প্রায়ই স্টেশনে যাই। স্টেশন-ই হল অবসর সময় কাটানোর সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। সেখানে যাত্রীদের চেয়ারে বসে আমি ট্রেনের আসা যাওয়া দেখি, ট্রেনের কুজিকজিক মিউজিক শুনি, ট্রেনের ভিতরের এবং বাহিরের মানুষ দেখি, প্রিয়জনদের বিদায় দেয়ার পর মানুষের মলিন মুখ দেখি, বিদায়ী কান্না দেখি। এসব দেখতে আমার ভালোই লাগে। আবার মাঝেমাঝে খারাপও লাগে। মাঝেমাঝে স্টেশন মাস্টারের কাছ থেকে লোকাল পত্রিকা চেয়ে নিয়ে এসে আরাম করে পড়ি। মাঝেমাঝে মোশারোফের সাথে দাবা খেলি। মোশারফ হল আমার মত আরেকজন লজিং মাস্টার, সে গ্রামের মেম্বারের বাড়িতে লজিং থাকে। সে খুব দাবা পাগল ছেলে, আমারে জোরে সেই দাবা খেলাটা শিখিয়েছে। মজার ব্যাপার হল এখন মাঝেমাঝে সে আমার কাছে হেরে যায়।



স্টেশনে রেগুলার যাওয়ার কারণে স্টেশন মাস্টার, পিয়ন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন মানুষের সাথে ভাল পরিচয় হয়ে গেছে। এর মধ্যে সোবহান সাহেব একজন, যার স্টেশনের পাশে একটা চায়ের স্টল আছে। যার স্টলে প্রায়ই মোশরফের সাথে দাবা খেলায় বাজিতে জিতে চা খাইতে যাই।উনি আমাদের প্রায় একটা বিস্কুট বেশি দেন। তারপর সামসু মিয়া, যে চানাচুর আর বাদাম বিক্রি করে। যার কাছে থেকে প্রতিদিন বাদাম কিনে খাই। মাঝেমাঝে তাকে বলি এমন ঝাল দিয়ে চানাচুর বানিয়ে দাও যাতে চোখ দিয়া অনর্গল পানি পড়ে! সে খুব যতন করে সে আমাদের স্পেসিয়াল ঝাল চানাচুর বানিয়ে দেয়। আমরা খুব আয়েশ করে সেই চানাচুর খাই, আমাদের চোখ দিয়ে অনর্গল পানি পড়ে। আর আরেকজন হল সফির, যাকে সবাই সফি নামে ডাকে ।আমাদের চোখের পানি দেখে প্রায়ই সফির আমাদের প্রশ্ন করে – ছ্যার আপনারা কান্তাছেন কেন? তাকে একটু ধমকের সুরে বলি – দেখছ’না আমরা সামসু মিয়ার স্পেশেয়াল ঝাল চানাচুর খাচ্ছি।



সফির হল ১০/১১ বছরের একটা ছেলে যে এই স্টেশনেই থাকে। সোবহান সাবের চায়ের স্টলে সোবহান সাবকে সাহায্য করে। সেই সাহায্য করার কারণে সোবহান সাহেব তাকে দুপুরের খাবারটা খাবার খাওয়ান। মাঝেমাঝে স্টেশন মাস্টারের ফুট-ফরমাস শুনে। যাত্রীদের ব্যাগ ট্রেনে তুলে দেয়,যাত্রীরা তাকে ২/৩ টাকা দেয়। সেই টাকা দিয়ে সে রাতের খাবার খায়। রাতের বেলা স্টেশনে ঘুমায়। তার গলায় একটা কালো রুমাল বাঁধা থাকে সবসময়। আমি একটা জিনিস খেয়াল করছি আমরা যখন দাবা খেলি সে খুব মনোযোগ দিয়ে আমাদের দাবা খেলা দেখে আর কিছুক্ষণ পরপর তার গলায় বাঁধায় রুমালের ঘ্রান নেয়। ট্রেন আসার সময় হলে স্টেশনের এই মাথা থেকে ঐ মাথায় দৌড়াদৌড়ি করে আর তার গলায় বাঁধা রুমালের ঘ্রাণ নেয়। ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং লাগে। আমি প্রায়ই ঠিক করি তাকে জিজ্ঞেস করব সে কেন কিছুক্ষণ পরে রুমালের ঘ্রাণ নেয় আর ট্রেন আসার সময় হলে এরকম দৌড়াদৌড়ি করে! কিন্তু কোনদিন সেরকম কিছু তাকে জিজ্ঞেস করা হয়না।



এক শুক্রবার নির্জন বিকেলে আমি স্টেশনে যাত্রীদের চেয়ারে বসে আছি। স্টেশন এমনিতেই শুনশান, তার উপর শুক্রবার হওয়ার কারণে আরও বেশি শুনশান। আমি পত্রিকা পড়ছিলাম। এমন সময় সফি আমার পাশে এসে দাঁড়াল। আমাকে জিজ্ঞেস করলো – ছ্যার চা খাইবেন, আনিয়া দিমু।আমি তাকে না বলে আমার পাশে বসতে বললাম। সে তার গলায় বাঁধায় রুমালের ঘ্রাণ শুকে-শুকে আমার পাশে বসলো। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম – তোমার গলায় সারাক্ষণ এই রুমাল বাঁধা থাকে কেন? সে বলে – এমনিই ছ্যার। বুঝলাম এমনিই তুমি রুমালটা তোমার গলায় ঝুলিয়ে রেখেছ। কিন্তু তুমি কেন কিছুক্ষণ পরপর এই রুমালের ঘ্রাণ নেও আর ট্রেন আসার সময় হলে এরকম দৌড়াদৌড়ি করো? এর উত্তরে সে একটা ছোট গল্প বলল। গল্পটা এরকম-



আমি এতিম ছ্যার , জানিনা মা-বাবা কে, তারা কই আছে। কোনদিন আমি আমার মা-বাবারে দেখি নাই। তাই তারা দেখতে কেমন সেইটাও জানিনা। আমি একটা এতিম খানায় বড় হইছি। এতিমখানায় যখন থাকতাম তখন একদিন বিকালবেলা এতিমখানার পাহারাদার সিদ্দিক চাচা আমারে কয়েকটা লাড্ডু আইন্যা দেয়। সেই লাড্ডুগুলা এই রুমালে বান্ধা আছিলো। লাড্ডু দেওয়ার পর যখন তাকে জিকাইছিলাম এইগুলা তারে কে দিছে। সিদ্দিক চাচা কইছিলো – এইগুলা তর মা’য় দিয়া গেছে। মায়ের কথা শুইন্যাই আমি এক দৌড় দেই। সিদ্দিক চাচা আমার দৌড় থামাইয়া জিগায়ছিল-কই যাস। আমি তারে কই – আমার মায়েরে দেখতে যাই। চাচা বলে তর মা তো চইল্য গেছে। আমি বলছিলাম তরে দেইখ্যা যাওনের লাগি। সে কইলও-তর সাথে দেখা করলে নাকি তার ট্রেইন মিস হইয়া যাইব। এর কিছুদিন পর একদিন আমি এতিমখানায় থেকে পালাইয়া চলে আসি। পালাইয়া স্টেশনে আইসা ট্রেইনে উইঠা পড়ি, টিকেট মাস্টর টিকেট না থাকার জইন্য এই স্টেশনে নামাইয়া দেয়। এরপর থাইকা এই স্টেশনেই আছি ছ্যার।



সব শুনে একটা জোরে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম সবই শুনলাম এবং বুঝলাম। এবং এটাও বোঝালাম যে রুমাল টা তোমার মা তোমাকে দিয়েছে বলে সেটা তুমি তোমার ঝুলিয়ে রেখেছ। কিন্তু এটা আমার কাছে এখনও স্পষ্ট না তুমি কেন কিছুক্ষণ পরপর এই রুমালের ঘ্রাণ নাও আর ট্রেন আসার সময় হলে এরকম দৌড়াদৌড়ি করো? ছ্যার- আমি এই রুমালের মইধ্যে আমি আমার মা’র ঘেরাণ পাই, এরলাইগ্যা একটু পর পর ঘেরাণ নেই। এইটা রুমালের ঘেরাণ না ছ্যার, এইটা আমি আমার মায়ের ঘেরাণ নেই। আর ট্রেইন আসার সময় হইলেই মনে হয় এই বুঝি আমার মা এই ট্রেইন থাইক্য আইসা নামবো। তাই ট্রেইন আহনের সময় অইলেই আমার ভিতরে এক ধরনের জ্বালাতন শুরু হইয়া যায়। সেই জ্বালাতনে আমি স্টেশনের এই মাথা থেকে ঐ মাথায় দৌড় শুরু করি ছ্যার। যেইদিন সিদ্দিক চাচায় আমারে কইছিল আমার মা আমার সাথে দেখা না কইরা চইলা গেছে কারণ তার ট্রেইন মিস হইয়া যাইব, সেইদিন থাইকাই আমার মনে হইছে আমার মা’রে আমি ট্রেইন ষ্টেশনে খুইজা পাইমু। তাই ঠিক করছি ছ্যার ট্রেইন স্টেশনে-স্টেশনে ঘুইরা ঘুইরাই সারা জীবন কাটাইয়া দিমু - আর মায়েরে খুজুম।



সফি’র মুখে এসব শুনে কখন যে চোখে পানি চলে আসছে সেটা খেয়াল করিনি। খেয়াল হয় তখন যখন সফি আমাকে জিজ্ঞেস করে – ছ্যার আপনে কান্তাছেন কেন, এখন তো আপনে আর সামসু মিয়ার ঝাল ইসপিসাল চানাচুর খাইতাছেন না?

মন্তব্য ৮০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: ব্লগকে এ জন্যই ভালোবাসি। কত অসাধারণ গল্পকার নীরবে, নিভৃতে, গোপনে তৈরি করে দিলো।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ব্লগকে আমিও খুব ভালা পাই :)

এটা ঠিক ব্লগ না থাকলে হয়ত জীবনেও আর লেখালেখি হত না। কলেজ লাইফে যা লিখছিলাম সেগুলা ঘুনপোকারা খাইয়া শেষ করত। নতুন করে লেখালেখির তো প্রশ্নই আসত না!

তাই ব্লগের কাছে সবসময় ঋণী হয়ে থাকবো

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভাল লিখসেন মাসুম ||

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রাদার

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫১

ঢাকাবাসী বলেছেন: গল্পটি ভাল লেগেছে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: একদম গল্প বলে মনে হয়নি। যেন সত্যিই চোখের সামনে দেখলাম। খুবই ভালো লিখেছেন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো!

ধন্যবাদ আপনাকে!

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: চমৎকার মাসুম ভাই

দুর্দান্ত

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: থ্যাংকস ব্রাদার!

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬

গোর্কি বলেছেন:
-গল্পের শেষে এসে চোখ অশ্রুতে টলমল হয়ে উঠলো।
-শেষ পঙ্ক্তিগুলো এখনও কানে বেজে যাচ্ছে।
-খুব সহজ ভাষায় ছোট গল্পের সুন্দর প্রকাশ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপটা পড়া এবং কমেন্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গোর্কি ভাই!

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮

ভোরের সূর্য বলেছেন: কি বলবো।শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ।ভাল লেগেছে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো!

ধন্যবাদ আপনাকে!

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৮

আবু রায়হান রাকিব বলেছেন: ভাই, অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারলাম। কারণ, (মা)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপটা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

বিষন্ন একা বলেছেন: হুমমম্

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: -------

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: মন ছুঁয়ে গেল...কি অদ্ভুত আমাদের জীবন! কেউ ছুটি টাকার পিছনে, কেউ কেউ নাম যশের নেশায় বিরামহীন দৌড়াই আর কেউবা...!!! লেখককে ধন্যবাদ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: মাসুম ভাই, অসাধারন লেখছেন! ব্লগে আসলেই অনেক ভাল ভাল লেখক এখন। কি সুন্দর হালকা কথার ফাকে 'মা' নিয়ে চমৎকার একটা গল্প শুনিয়ে দিলেন ! গ্রেট

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনার কমেন্ট ভালা লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!

এন্ড ওয়েলকাম টু মাই এফবি :)

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪

আরজু পনি বলেছেন:

এইটা রুমালের ঘেরাণ না ছ্যার, এইটা আমি আমার মায়ের ঘেরাণ নেই। আর ট্রেইন আসার সময় হইলেই মনে হয় এই বুঝি আমার মা এই ট্রেইন থাইক্য আইসা নামবো। তাই ট্রেইন আহনের সময় অইলেই আমার ভিতরে এক ধরনের জ্বালাতন শুরু হইয়া যায়..............

অনেক ভালো লাগা রইল মাসুম ।।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনে পড়ছেন, কমেন্টও করছেন সেটাও আমার অনেক ভালা লাগছে :)

১৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

১৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপ্লুত হয়ে গেলাম গল্প পড়ে। কত সাধারণভাবে অসাধারণ একটা গল্প বলে যাওয়া!

মুগ্ধ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনেও কিন্তু অনেক ভালো করে অসাধারণ গপকে সাধারণভাবে বলতে পারেন -

ধন্যবাদ প্রোফেসর

১৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এত সহজে ফুটিয়ে তুলেছেন ! চমৎকার লেগেছে মাসুম ভাই !

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ -

১৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গোর্কি বলেছেন:
-গল্পের শেষে এসে চোখ অশ্রুতে টলমল হয়ে উঠলো।
-শেষ পঙ্ক্তিগুলো এখনও কানে বেজে যাচ্ছে।
-খুব সহজ ভাষায় ছোট গল্পের সুন্দর প্রকাশ।


সহমত।
যারা বাবা-মা'র ভালবাসা হতে বঞ্চিত, খুঁজে ফেরে ভালবাসার চোরা স্রোত দিবানিশি সারাবেলা....... তাদের কান্না শুনেছি লেখক আপনার এই গল্পে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপটা পড়া এবং কমেন্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

১৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৯

শুঁটকি মাছ বলেছেন: গপের নাম দেখলাম রুমাল।শুরুর লাইনডা আবার দ্যাখলাম লজিং মাস্টার।তাই ধারনা করছিলাম যে লজিং মাস্টারের সাথে ঘরের মেয়ের পুতুরপুতুর প্রেমের গপ। :-P
ভাই অসসাম লিখছেন।পুরাই সেইইইইইইইইইইইইই!!!!!!!!!!!খ্যারি অন!!!!!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হাহাহাহাহা - আপনে তো এটলিস্ট পড়ছেন, আপনার মত অনেকে লুতুপুতু গপ মনে করে হয়ত গপটা পড়বেই না :) তবে এটা ঠিক যে গপের নাম আর শুরু দেখলে পুতুরপুতুর প্রেমের গপই মনে হওয়াটা স্বাভাবিক!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৪

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া

১৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ভাল লিখছেন ভাই! মন ছুয়ে গেল।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৭

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার হয়েছে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৭

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৬

ভিয়েনাস বলেছেন: কত রকমন গল্প যে আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে তা আমরা নিজেরাও জানি না। অসাধারন একটা টাচি গল্প । একটানে পড়লাম।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ঠিক বলছেন আমাদের নিজেদের গপ আমাদের নিজেদের অজানা!

ধন্যবাদ আপনাকে ভিয়েনাস ভাই

২২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২০

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:


ভাই কাহিনী কি সত্যি??? B:-)

অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন।


+++++++++

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: না ভাই কাহিনী সত্য না !

ধন্যবাদ আপনাকে

২৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫২

বটের ফল বলেছেন: ছোট ছোট কথা, বাক্য দিয়ে তৈরি অসাধারন সুন্দর এক গল্প পড়লাম আজ যেটাকে গল্প বলে মনে করতে একদমই সায় দিচ্ছেনা মন। চোখের সামনে জীবন্ত প্রতিটি দৃশ্য, কথা , সবকিছু।

লেখকের স্বার্থকতা এখানেই।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনার কমেন্ট টা ভালা লাগলো!

ধন্যবাদ আপনাকে - আপনেও ভালা থাকবেন!

২৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০১

মামুন রশিদ বলেছেন: অসাধারণ একটা গল্প পড়লাম ভাই । মা বেঁচে থাকতেও শফির এতিমখানায় থাকা, মা'কে দেখার জন্য শফির এতিমখানা থেকে পালিয়ে আসা, মায়ের স্মৃতি রুমালকে সারাক্ষন আঁকড়ে রাখা- সত্যি অসাধারণ ।

প্রথম অংশটাও সুন্দর হইছে । গল্পের মজবুত ভিত প্রথম অংশেই রচিত হইছে ।

গল্পে প্লাস +++

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনার কমেন্টেও ++ :)

ভালা থাকুন !

২৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৯

অদৃশ্য বলেছেন:




মাসুম ভাই


চমৎকার হয়েছে গল্পটা... দৃশ্যগুলো পরিষ্কার দেখলাম...


শুভকামনা...


১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে অদৃশ্য ভাই

২৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

কাউসার রানা বলেছেন: খুব চাপা একটা দীর্ঘশ্বাস বের হলো এখন। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও! আপনেও ভাল থাকুন!

২৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

সায়েম মুন বলেছেন: গল্পটাতে অনেক ভাললাগা রইলো।

অট. অনেক দিন আগে অমিত চক্রবর্তী'র একটা গল্প পড়েছিলাম। বিস্কুটের ঠোঙা শুকে মায়ের গন্ধ নেয়ার ব্যাপার ছিল গল্পটাতে। এখানে অমিতের পোস্টগুলো লাপাত্তা। চতুরেও তার লেখা খুঁজে পাওয়া যায় না।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ ভালা লাগায় ধন্যবাদ !!

অট - অমিতের লেখা আমিও খুব ভালা পাই। স্পেশিয়ালি কবিতা! কিন্তু কেন জানিনা ইদানিং উনি আর ব্লগিং করেন না!চতুরে মাঝখানে দেখছিলাম নিয়মিত এখন সেখানেও লেখেন না !

২৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: রুমালে মায়ের ঘ্রাণ নেয়া, স্টেশনে দৌঁড়ে তাকে খুঁজে বেড়ানো খুব সুন্দর করে মায়ের জন্য আকুতি ফুটিয়ে তুলেছেন। যার মা নেই, সেই বোঝে না থাকবার যন্ত্রণা।

গল্পে অনেক ভাল লাগা রইল।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনারেও অনেক ধন্যবাদ

২৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক টাচি একটা গল্প।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: থ্যাংকস ব্রাদার

৩০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

শায়মা বলেছেন: মাই গড ভাইয়া!!!!!!


লাইক দেওয়া যায়না বটে তবে প্রিয়তে নিতে চাই।


এমন গল্প তুমি কি করে লিখলে!!!!!!!!!!


আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ভাইয়া।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আরেকটা ব্লগে অনেকদিন আগে এরকম একটা কমেন্ট পেয়েছিলামজন্মদিন এবং মৃত্যুদিন গপে, আপনার কমেন্ট পড়ে সেই কমেন্টের কথা মনে পড়ে গেল :)

ভাল থাকুন এবং পড়া, কমেন্ট করা এবং প্রিয়তে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ!

৩১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪

আহসান জামান বলেছেন:
নরোম বিষাদে মায়াগল্প! মাসুম ভাই, খুব ভালো লাগছে, চলুক। অদ্ভূত লেখা!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: প্রিয় জামান ভাই!

৩২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

মনে দাগ কাটল গপটি

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৩৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪২

এহসান সাবির বলেছেন: মাসুম ভাই কেন জানি মন খরাপ হয়ে গেল... হয়তো হৃদয় ছুঁয়ে গেছে তাই। চমৎকার লেখা ভাই।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

৩৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
কবিতার পাশাপাশি আপনি গল্প ও লিখেন দারুন।
ভালো লাগলো ভাই।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনার কম্পলিমেন্টে অনুপ্রাণিত হলাম! ধন্যবাদ আপনাকে

৩৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৬

জুন বলেছেন: ব্লগার শুটকি মাছের মত আমিও ভেবেছিলুম বাড়ীর কোন মেয়ের সাথে লজিং মাষ্টারের প্রেম। ভিলেন বাবা অন্যকোথাও জোর করে মেয়ের বিয়ে ঠিক করায় স্বৃতিস্বরূপ একখানি রুমাল দিয়ে যাওয়া, যাতে লাল সুতোয় লেখা " যাও পাখী বলো তারে, সে যেন ভুলে না মোরে"।
কিন্ত কি অসাধারন একটা প্রেক্ষাপট নিয়ে লিখেছো মাসুম। মনটা আমার আদ্র হয়ে উঠলো। কেন জানি না এতিমদের প্রতি আমার অন্য রকম এক সহানুভূতি কাজ করে।
+

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হাহাহাহাহাহা ঠিক কইছেন রুমাল দেখলেই আমাদের চোখে ভাসে - লাল সুতোয় লেখা " যাও পাখী বলো তারে, সে যেন ভুলে না মোরে" সেই অমর প্রেমের বানী!

ব্লগার শুটকি মাছ কে আপনার ১৪ বছরের কমেন্ট খুলিয়া বলার পরেও তো আমারে ১৪ বছরের পিচ্ছি ভাবতাছেন :)

এতিমদের প্রতি আমারও সব সময়ই অন্য রকম এক অনুভূতি কাজ করে। এতিমদের জন্য সবসময় কিছু করার ইচ্ছে করে কিন্তু সবসময় উপায় থাকেনা!

৩৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গপ বড়ই ভালা পাইলাম মাগার পিলাচ দিতে পারলাম না ,খালি ঘুরতেই আছে , ঘুরতেই আছে । =p~ =p~

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে :)

এই ঘুরার ব্যাপারে সামু নিরব কেনু সেটা বুঝতাছি !

৩৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: ভালো লাগলো গপ :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৫

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: ভাল লাগলো , মন ছুয়ে গেল , মন খারাপ হল ।

সফির মা এমন কেন ?সেকি ইচ্ছে করেই সফির সাথে দেখা করেনি ?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হয়ত সফির মা'র মনে কোন অজানা অপরাধবোধ কাজ করছিলো

ধন্যবাদ আপনাকে

৩৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৯

এক্সপেরিয়া বলেছেন: গল্পটা তিনবার পড়লাম!!!

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: তাহলে তিনটা ধন্যবাদ :)

৪০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

সাদমান সাদিক বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার লেখাটা , ধন্যবাদ, শুভ কামনা রইল :)

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.