নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গফ সফ করিতে চাহিবা মাত্র /nmaluZz এখানে যোগাযোগ করেন

নূর মোহাম্মাদ আল-আমিন

জীবনের প্রতি পদক্ষেপেই আমি উচ্চতর সাফল্যের সাথে ব্যার্থ হয়েছি, জী আর কিছু ?

নূর মোহাম্মাদ আল-আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি হিমু প্রেমের গল্প

১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

চন্দ্রিমা উদ্যান দাড়িয়ে আছি ।দুপুর সাড়ে বারোটা।এরকম ভরা দুপুরে যারা পার্কে আসে তাদের অধিকাংশরাই স্কুল কলেজ পড়ুয়া প্রেমিক প্রেমিকা ।ক্লাস ফাঁকি দিয়ে প্রেমের ক্লাস করে পার্কে বসে ।মাঝে মধ্যে বাদাম খায় ।পাঁচ টাকার বাদাম সকালে কিনে দুপুর পর্যন্ত খায় ।প্রেমের সাথে বাদামের সম্পর্ক আছে ।এমন খুব কম প্রেমিক প্রেমিকা আছে যারা বাদাম খায় না ।তাই পার্কে অনেক বাদাম বিক্রেতা পাওয়া যায় ।আমি দাড়িয়ে আছি চার পাশে তাকাচ্ছি ।একটা ফাকা বেঞ্চ খুঁজছি ।সাধারণত দুপুরে ফাঁকা বেঞ্চ পেতে খুব সমস্যা হয়না ।বিকেল বেলা কপোত কপতীর হাট বসে ।প্রেমের হাট ।আমি প্রেমের হাটের ক্রেতা বা বিক্রেতা নই ।নীরব দর্শক ।মানুষের প্রেম করা দেখি ।অনেক প্রেমিক আমার দিকে রক্ত চক্ষু নিয়ে তাকিয়ে থাকে ।মনে মনে বলে শালা লুইচ্যা ,আমার গার্ল ফ্রেন্ডের দিকে হা করে তাকায় আছে ।মানুষের চোঁখ দেখলেই মনের কথা অনেক সময় বুঝা যায় ।কেউ অকারনে রেগে গেলে তাকে রাগিয়ে দিতে ভাল লাগে ।প্রেমিকের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে আমি প্রেমিকার দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকি ।প্রেমিকা লজ্জা পায় ।তার চোঁখের ভাষায় লজ্জা ধরা পরে ।প্রেমিকের রক্ত চক্ষু আরো লাল হয় ,চোঁখ থেকে আগুন ঝরা আগুন ঝরা একটা ভাব ।
এরকম এক প্রেমিকার দিকে তাকিয়ে আছি ।প্রেমিকার চোঁখে চোঁখ পড়তেই আমি মুচকি হাসি ।আমার হাসি দেখে প্রেমিকা আরও লজ্জা পায় সেও হেসে ফেলে ।প্রেমিকার হাসি দেখে প্রেমিকের রাগ বেড়ে যায় ।আমি প্রেমিক কে আরো একটু রাগিয়ে দেয়ার উদ্দ্যেশ্যে তাদের দিকে এগিয়ে গেলাম ।মেয়েটা স্বর্ণকেশী ।স্বর্ণকেশী মেয়েরা লাজুক প্রকৃতির হয় ।
-শ্রাবনী কেমন আছো ????
ছেলে মেয়ে দুজনই চমকে গেল ।মেয়েটা আমাকে চিনে না ,আমিও তাকে চিনিনা ।যে বেঞ্চটায় বসে ছিলাম তার নিচে মেয়েটার আইডি কার্ড পরে ছিল ।নামটা সেখান থেকেই জেনেছি ।শ্রাবনী সরকার ।ক্লাস টেনে পড়ে ।
হঠাত্‍ করে চমকে যাওয়ায় দুজনের কারও মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না ।আবার বললাম
-সামনে তোমার এস.এস.সি পরীক্ষা ।পড়াশুনা বাদ দিয়ে প্রেম করলে পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ আসবে ।এ+ না পেলে তোমার বাবা তোমাকে বিয়ে দিবে বলেছে ।
শ্রাবনী এবার আরও চমকে গেল।শ্রাবনীর বাবা শ্রাবনীকে কি বলেছে তা আমার জানার কথা নয় ।তবে বাংলাদেশের সব বাবাই তাদের মেয়েদের এরকম বলে থাকে রেজাল্ট ভালো না করলে তারাতারি বিয়ে দিয়ে দেব ।
-আপনি কে ?আমাকে কিভাবে চিনেন ?
আমি শ্রাবনীর কন্ঠে ভয় দেখতে পেলাম ।এখন তার চোঁখে লজ্জা নেই ভয় আছে ।মেয়েটা ভয় পাচ্ছে ।ছেলেটাও ।ভীত প্রেমিক প্রেমিকাকে দেখে আমার হাসি পাচ্ছে ।তবে হেসে ফেললে তাদের ভয় কমে যাবে ।এই মূহুর্তে তাদের ভয় কমাতে ইচ্ছা করছে না আরও একটু ভয় পাক ।
-আমি কেউ না ।তবে তোমাকে চিনি ।
-কিভাবে চিনেন ?প্লিজ বলেন ।
-ভয় পাচ্ছ ?ভয়ের কিছু নেই ।আশরাফ সাহেব কে কিছু বলব না ।
আশরাফ সরকার শ্রাবনীর বাবার নাম ।এটাও তার আইডি কার্ডে লিখা ছিল ।শ্রাবনী আরও ভয় পেয়ে গেল সে ভাবছে আমি তার বাবাকে চিনি ।ভয়ে তার চোঁখে পানি আসি আসি ভাব ।মেয়েটার চোঁখ দুটা বড় বড় ।চোঁখ জলে ভরে গেল ।চোঁখ ভর্তি জল ।শখ করে কাজল দিয়ে এসেছে ।চোঁখের পানি পরলে কাঁজল ধুয়ে যাবে ।তখন তাকে দেখতে পেত্নীর মত লাগবে ।
প্রেমিকের রক্ত চক্ষু শীতল হয়ে গেছে ।সেও ভীত চোঁখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।আমি পকেট থেকে শ্রাবনীর আইডি কার্ড টা বের করে ওর হাতে দিয়ে বললাম
-এটা ঐ বেঞ্চাটার নিছে পরে ছিল ।তোমাকে চিনি না এখান থেকেই তোমার আর তোমার বাবার নাম জেনেছি ।
আমার কথা শুনে তাদের ভয় কেটে গেল ।শ্রাবনীর ঠোটের কোনায় হাসির আভা ।চোঁখে পানি ঠোটে হাসি ,অদ্ভুদ সুন্দর লাগছে মেয়েটাকে ।প্রেমিক যথারীতি অবাক অবাক চোঁখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।প্রেমিকার অদ্ভুদ সুন্দর রুপ তাতে টানছে না ।
আমি তাদের সামনে থেকে একমুঠো বাদাম নিলাম ।বললাম -হারিয়ে যাওয়া আইডি কার্ড ফেরত দিলাম এটা তার বখশিস ।
বলেই তাদের সামন থেকে হেটে চলে যাচ্ছি আর শিশ দিতে দিতে বাদাম ভাংছি ।দুজনই অবাক চোঁখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।আমি একবার পেছনে ঘুরে মুচকি একটা হাসি দিলাম ।
বললাম-
-হারিয়ে যাওয়া আইডি কার্ড ফেরত দিলাম এটা তার বখশিস ।
বলেই তাদের সামন থেকে হেটে চলে যাচ্ছি আর শিশ দিতে দিতে বাদাম ভাংছি ।দুজনই অবাক চোঁখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।আমি একবার পেছনে ঘুরে মুচকি একটা হাসি দিলাম ।
.
.

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.