নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বহু গুণের আধার বেল কথন , কুমারী কন্যাদের বেল বিবাহ; সেসাথে বেল কাঠের কিছু চারুকলা সমাচার

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩


পুষ্টিকর আর উপকারী বেল ফলের সাথে আমরা সকলেই পরিচত । ইংরেজিতে বেলকে বলা হয় Wood Apple কারণ এ ফলের খোসা কাঠের মত শক্ত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Aegle marmelos Correa । বেল এর সংস্কৃত নাম বিল্ব। বেলের জন্ম ভারতবর্ষে হলেও এটা বাংলাদেশ, শ্রীলংকা , পাকিস্তান, নেপাল , মায়ানমার, ভিয়েতনাম , লাউস , কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড , মালএশিয়া, ইন্দোনেশিয়া , ফিলিপাইন , ফিজি , কেরিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ উপকূলেও জন্মে বলে জানা যায় । নিন্মে বেলের বৈশ্বিক অবস্থান দেখানো হল (গুল চিহ্নিত দাগ এলাকা) ।

ছবি-২/৩৬ : বেল ফল জন্মানোর বৈশ্বিক অবস্থান

সুত্র : Click This Link
বেল গাছ বড় ধরনের বৃক্ষ যার উচ্চতা প্রায় ১০-১৬ মিটার পর্যন্ত হয় । শীতকালে পাতা ঝরে যায়, আবার বসন্তে নতুন পাতা আসে। পাতা ত্রিপত্র যুক্ত, সবুজ, ডিম্বাকার ; পত্রফলকের অগ্রভাগ সূঁচাল। ফুল হালকা সবুজ থেকে সাদা রঙের ৪-৫টি পাঁপড়ি থাকে । ফুলে মিষ্টি গন্ধ আছে। ফল বড়, গোলাকার, শক্ত খোসাবিশিষ্ট। ফলের ভিতরে শাঁস বিভিন্ন খন্ডে বিভক্ত, কোয়ায় চটচটে আঠার সাথে অনেক বীজ লেগে থাকে। কাচা ফলের রঙ সবুজ, পাকলে হলদে হয়ে যায়। পাকা বেলে থেকে সুগন্ধ বের হয়। পাকা বেল গাছ থেকে ঝরে পড়ে।
বেলকে বলা হয় শ্রীফল কারণ হিন্দুদের পুজা-অর্চনায় বেলের পাতা ও ফল ব্যবহার করা হয়। হিন্দুরা বেল কাঠও পবিত্র জ্ঞান করে বিধায় কখনো বেল কাঠ পুড়িয়ে রান্না করে না।

ছবি-৩ /৩৬ : হিন্দুদের শিবপূজায় ত্রিনয়নের প্রতীক হিসাবে বিল্বপত্র ব্যবহৃত হয়।

বেল পাতা দিয়ে সমগ্র ভারতর্ষের হিন্দু সম্প্রদায়ের শিব পুজা ছাড়াও নেপালের নেওয়ারী হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বেলের সাথে কুমারী মেয়েদের বিবাহ দেয়া হয় । নেপালের কাঠমুন্ডু ভেলী এলাকায় প্রায় ৩০ লক্ষ নেওয়ারী হিন্দু সম্প্রদায়ের বাস , এরা নেপালে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে দেশের অপরাপর সম্প্রদায় হতে বেশ অগ্রগামী (UNDP ২০১৪) ।

ছবি -৪/ ৩৬ : নেপালের কাঠমুন্ডু ভেলী এলাকার নেওয়ারী হিন্দু সম্প্রদায়ের কুমারী কন্যাদের বেল বিবাহের প্রস্তুতি

বেল বিবাহ নেপালের নেওয়ার হিন্দু কমিউনিটিতে একটি অনন্য ঐতিহ্যময় স্বতন্ত্র সংস্কৃতি । নেওয়ার সম্প্রদায়ের কন্যাদের জীবনে তিনবার বিয়ে হয়, নেওয়ারি ভাষায় " "IHI" বা ‘’বেল’’ প্রথম বিবাহ নামে পরিচিত , দ্বিতীয় বিয়েটি হয় সূর্যের সাথে যা নেওয়ারি নেপালী ভাষায় "বারা তাইগু” নামে অভিহিত এবং শেষ বিয়েটা হয় একজন মানবের সাথে যেটা তাদের আসল বিবাহ । পুজা অনুষ্ঠান করে পুরোহিতের মাধ্যমে এই বিবাহ পরিচালিত হয় ।
যৌবনারম্ভের পুর্বে নেওয়ারী কুমারী মেয়েদের সাথে বেলের বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় , এই বিবাহের মাধ্যমে তাদের সক্রিয় এবং সুস্থ প্রজনন ক্ষমতা অধিগ্রহন নিশ্চিত করা হয় । বেল বিবাহ উপলক্ষে আয়োজিত পুজার জন্য মেয়েদেরকে বিভিন্ন মেক আপ, লাল কাপড় এবং বভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যময় অলংকারাদির দ্বারা নববধূরূপে সজ্জিত করা হয় ।

ছবি- ৫ / ৩৬ : লাল কাপড় পরিহিতা বিয়ের কনেকে অলংকারে সাজানো হচ্ছে

এই বিয়েতে বেল হয় বর এবং এই বেল প্রভু শিবের প্রতিনিধি হিসাবে হয় গন্য হয় , বেলটিকে হতে হয় পরিপুষ্ট , সুন্দর ও পাকা , বিয়ের পর বেলটিকে সযত্নে যথাযথ মর্যাদায় রাখতে হয় যাতে এর কোন ক্ষতি না হয় । নেওয়ারি সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা হয় যে, বেলটির যদি কোন ক্ষতি বা নস্ট হয় তাহলে মেয়েটির তৃতীয় বিয়ে কোন কুদর্শন ও অবিশ্বস্ত স্বামীর সাথে হবে এবং বাকি জীবনটা তার কুদর্শন স্বামীর সাথেই কাটাতে হবে । তাই নেওয়ারীরা বিবাহের পর বেলটিকে খুব সযত্নে সংরক্ষন করে রাখে ।

ছবি-৬/৩৬ : শিবকুমারের প্রতিনিধি বেল বরকে বেল বধু হাতে ধরে রেখেছে


ছবি-৭/ ৩৬ : বেল বধুকে বরন করে নেয়ার একটি দৃশ্য

এই বেল বিবাহের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ দিক হলো প্রতিকি ভাবে একবার প্রভু শিবপুত্রের সাথে মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে সে বিশুদ্ধ নারী থাকবে এমনকি তার বাস্তব স্বামী ভবিষ্যতে যদি মারাও যায় তাহলে সে বিধবা বলে গন্য হবেনা, কারন তার বিবাহ হয়েছে চিরঞ্জিব প্রভু শিব প্রতিনিধির সাথে ।এই বেল বিবাহ উপলক্ষে ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও আমন্ত্রিতগন নববধূকে অনেক উপহার সামগ্রিও দেয় । নেপালীরা মনে করে এই বেল বিবাহ তাদেরকে অভাবমুক্ত রাখতে ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমুজ্জলে ভুমিকা পালন করে ।

বাংলাদেশে বেল বিষযক কিছু প্রবাদ বাক্য

বেল নিয়ে রয়েছে অনেক প্রবাদ বাক্য যথা ন্যরা এক বারই বেল তলায় যায় , এ প্রবাদ বাক্যের রয়েছে অনেক বড় বড় ভাব সম্প্রসারণ । অবার অনেকেই বলে থাকেন বেল পাকলে তাতে কাকের কি , এ প্রবাদ বাক্যটিকে নিয়েও রয়েছে অনেক গান ও কথন । এককালের জনপ্রিয় বাংলা ছায়াছবি সুজন সখীর একটি গানের কলি ছিল ‘ হায়রে গাছে বেল পাকিলে তাতে কাকের কি’ , কাওয়ার কা কা ডাকে, একে একে যদি গাছের সব বেল ঝড়ে পড়ে, তাতে দোষের কি ? ছবিতে জনপ্রিয় নায়ক শালমানের কন্ঠে গাওয়া এই গানটি সেসময়ে ফিরত লোকের মুখে মুখে ।

ছবি - ৮ / ৩৬ : পাকা বেল খাওয়ার লোভে কাওয়ার কা কা ডাকে গাছের বেল ঝড়ে গেলে তাতে দোষের কি ?

মাথায় পরার ভয়ে বেল তলায় ন্যারা দুবার না গেলেও লক্ষি হুতোম পেচা তার ছানা নিয়ে বেল গাছের ডালায় বাসা বাধে পরম নির্ভয়ে , বেলের ফুল ধরা হতে শুরু করে বেল পাকতে দীর্ঘ সময় লাগায় পক্ষীকুল সেখানে নীড় বাধে অনেকটা দুর্ভাবনাহীন ভাবে । অনেক পাখী প্রেমিক বেল গাছে কলস বেধে দিয়ে কুটুম বাখী বা ভাত শালীকেরে বাসা বাধার সুযোগ দেয় করে ।

ছবি - ৯ /৩৬ : বেলগাছের মগডালে হুতোম পেচার নীড়

কার্টুন, গল্প ও ফিকশন কাহিণীতেও বেলগাছকে নীয়ে রচিত হতে দেখা যায় যায় কত সুন্দর সুন্দর চিত্রকথা । বেল গাছ ও হাতীকে নিয়ে দেখা যায় এমনি কিছু চিত্র। জানা যায় বেল ও পাতার গন্ধ হাতীদের খুব প্রিয় । বেল তলা দিয়ে যাওয়ার পথে বেল পাতা খাওয়ার কসরত দেখে জনৈক ফটোগ্রাফার তুলে ধরেছেন মনোমুগ্ধকর কিছু চিত্রকথা ।

ছবি -১০/৩৬ :হাতীর বেল পাতা ধরার দৃশ্য


ছবি -১১/৩৬ : বেল গাছের কাছে পরাজয় মেনে বলবান হাতীর ফিরে যাওয়া


বেল ফলের গুণাগুণ

বেল বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশীয় ফল। এতে প্রচুর শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম, লৌহ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে। কাচা পাকা বেল দুটোই সমান উপকারী। পাকা বেলের শরবত সুস্বাদু। বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এ এবং ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়ামের মত মূল্যবান পুষ্টি উপাদান।

ছবি- ১২ /৩৬ : কাঁচা বেলের মুরুব্বা ও পাকা বেলের সরবত

বাংলাদেশে আরো এক জাতের বেল আছে, সেটা হল কতবেল , এটাও খেতে সুস্বাদু ,। বাংলাদেশে হাটবাজারে ও স্কুলের সামনে বিশেষ করে মেয়েদের স্কুলের সামনে ফেরিওয়ালারা পাকা কতবেল ফেরী করে । কতবেল ফুটা করে তার মাঝে লবণ মরিচ গুড়া দিয়ে ঘুঁটে দেয় এবং তারে মাঝে একটা কাঠি দিয়ে ত্রেতার হাতে তুলে দেয় । কাঠি দিয়ে একটু একটু করে নিয়ে সেই পুরো কতবেল শেষ করতে কারো কারো আধা বেলা চলে যায় ! যারা খেছেছেন তারা বুঝতে পারবেন এর স্বাদই আলাদা।

ছবি- ১৩ /৩৬ : কতবেল গাছ এবং খাওয়া উযোগী পাকা কতবেল

বেলফুল , পাতা ও খোসায়( বেল ফলের) সুগন্ধী পারফিউম
বেলের পাতা, ফুল ও ফলের খোসা হতে বিভিন্ন ব্রান্ডের আশ্চর্যজনক সুগন্ধি হয়, এটার ঐশ্বরিক সুগন্ধ এবং চাকচিক্যময় বোতল খুবই আকৃষ্টময়, এই পারফিউম ব্যবহার সবসময় অনন্য । ম্যান এবং উইমেন সকলের জন্যই এই পারফিউম পাওয়া যায় বাজারে কিংবা অনলাইনে , সেলস প্রমোশনের জন্য এটার উপরে সারা বছর ধরে ডিসকাউন্ট একটি কমন ফেকটর ।

ছবি – ১৪ /৩৬ : পাতা , ফুল ও বেলের খোসা হতে তৈরী বিখ্যাত ব্রান্ডের সুগন্ধী পারফিউম


বেলের ভেষজগুণ

বেলের বহুবিদ ঔষধি গুণও রয়েছে। উল্লেখ্য বেলের ঔষধি গুণের বিষয় আয়ুরবেদিক পুথি পুস্তকে পাওয়া কথা( যেকোন চিকিৎসার জন্য পাঠককে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার জন্য অনুরোধ থাকল )। যাহোক, আয়ুরবেদিক সাস্রমতে (Manjeshwar et al , 2011) পেটের পীড়া, আমাশয় ও কোষ্ঠবদ্ধতায় বেল ও বেলের শরবত অত্যন্ত উপকারী। সব ফল পাকলেই তার গুণের উৎকর্ষ ঘটে, বেলের ক্ষেত্রে সেটি উল্টো। বেল কাঁচাই উপকারী। কাঁচা বেল অমৃতের সমান গুণকর। কাচা বেল ডায়রিয়া ও আমাশায় রোগে ধন্বন্তরী। বেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও আমাশয়ে উপকার করে। আধাপাকা সিদ্ধ ফল আমাশয়ে অধিক কার্যকরী। কাঁচা বেলের শরবত হজমশক্তি বাড়ায় এবং তা বলবর্ধক। উল্লেখ্য কাঁচা বেলকে সিদ্ধ করে নিতে হয় ।

ছবি -১৫/৩৬ : আমাসা ও ডায়রিয়ার জন্য কাঁচা বেলের সরবত

তথ্য সুত্র: Manjeshwar et al ( 2011), Phytochemistry and medicinal uses of the bael fruit (Aegle marmelos Correa): A concise review
বেলের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য ভেষজগুণের বিবরণ নীচে দেয়া হল :

যারা মেদস্বী, গায়ে ঘামের দুর্গন্ধ বেরোয়, তারা বেল পাতার রস পানিতে মিশিয়ে তা দিয়ে শরীর মুছে নিলে দোষটি মরে যায়। বেল পাতা আগুনে সেঁকে নিয়ে ঢেকে রেখে অতঃপর থেঁতো করলেই প্রয়োজনীয় রস পাওয়া যায়।

ছবি -১৬ / ৩৬ : সিদ্ধ বেল পাতার রস গায়ে মেখে ঘামের দুর্গন্ধ দুরীকরণ

তথ্য সুত্র : Manjeshwar et al ( 2011), Phytochemistry and medicinal uses of the bael fruit (Aegle marmelos Correa): A concise review

ছবি - ১৭/ ৩৬ : শোথে দেহের কোন অঙ্গপ্রতংগ ফুলে গেলে বা মুখে দাগ পরে গেলে কোন চিন্তা নাই, বেল পাতার রস সমপরিমাণ মধুসহ খেতে থাকলে শোথ অচিরাৎ কমে যায়।

তথ্য সুত্র : Manjeshwar et al ( 2011), Phytochemistry and medicinal uses of the bael fruit (Aegle marmelos Correa): A concise review

কচি বেল টুকরা করে কেটে রোদে শুকিয়ে নিলে তাকে বেল শুট বলে।

ছবি – ১৮/ ৩৬ : বেলশুট

যারা দীর্ঘদিন ধরে আন্ত্রিক ক্ষতে ভুগছেন, তারা কচি বেলের শুকনো টুকরো অর্থাৎ বেলশুট পরিমাণ মতো বার্লির সাথে একত্রে পাক করে পরে সেটি ছেঁকে নিয়ে বার্লিটা নিয়মিত খেয়ে নিলে অল্প দিনেই আলসার সেরে যায়।

ছবি – ১৯/ ৩৬ : বেলশুট সিদ্ধ ছেকা বার্লি নিয়মিত খেয়ে আলসার নিরাময়

তথ্য সুত্র : Manjeshwar et al ( 2011), Phytochemistry and medicinal uses of the bael fruit (Aegle marmelos Correa): A concise review
যে সমস্ত ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করেও তা মনে রাখতে পারে না, তাদেরাকে বেলের সরবত অল্প মিছরির গুঁড়ো মিশিয়ে প্রত্যহ একবার করে খেতে দিলে অল্প দিনেই তাদের স্মরণ শক্তি বেড়ে যায় এবং মেধাশক্তি প্রবল হয়। প্রতিদিন একটি করে বেল পাতা ঘি দিয়ে ভেজে চিনি সহ খেলেও স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে।

ছবি -২০/ ৩৬ : বেলের সরবত কিংবা পাতা ঘি দিয়ে ভেজে চিনি সহ খেলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে।

তথ্য সুত্র : Manjeshwar et al ( 2011), Phytochemistry and medicinal uses of the bael fruit (Aegle marmelos Correa): A concise review
গাত্রবর্ণ উজ্জ্বল করার জন্য যতগুলো উপাদান আছে বেলফুল তন্মধ্যে শ্রেষ্ঠ। পরিমাণমত বেল গাছের ফুল মসুর ডাল ধোয়া পানির সাথে উত্তমরূপে পেষণ করে মুখমন্ডলে ব্যবহার করলে অতি অল্প দিনেই চেহারা গোলাপের ন্যায় কমনীয়, পদ্মের ন্যায় উজ্জ্বল ও পূর্ণচন্দ্রের ন্যায় বিকশিত হয়ে ওঠে।

ছবি ২১/৩৬ : বেল গাছের ফুল মসুর ডাল ধোয়া পানির সাথে উত্তমরূপে পেষণ করে মুখমন্ডলে ব্যবহারে চেহারা গোলাপের ন্যায় কমনীয়তা পায়

তথ্য সুত্র : Manjeshwar et al ( 2011), Phytochemistry and medicinal uses of the bael fruit (Aegle marmelos Correa): A concise review

বেল চাষ ও ফলন

প্রাচীনকাল থেকেই এ ফলটি ধনী-গরিব সব মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই পুষ্টি ও ঔষধি গুণ সম্পন্ন বেল গাছ রোপণ ও তা সংরক্ষণের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। এবার এই উপকারী গাছটির চাষাবাদ সম্পর্কে একটু আলোকপাত করা যাক ।

উপযোগী জমি ও মাটি

বেল কষ্টসহিষ্ণু গাছ এবং যে কোনো মাটিতে জন্মাতে পারে। তবে সুনিষ্কাশিত মাটিতে ভালো হয়। পূর্ণ রৌদ্রযুক্ত স্থানে বেলের চাষ করা উচিত।

ছবি – ২২/৩৬ : শুকনো শুস্ক মাটিতেও বেল গাছ জন্মাতে ও ফল দিতে পারে


জাত নির্বাচন

বাংলাদেশে বেলের কোনো অনুমোদিত জাত নেই। দেশের সর্বত্র অসংখ্য জাতের বেল দেখা যায়। যে জাতের ফলের শাঁস মোলায়েম, সুগন্ধী ও কম আঁশময় এবং ফলে বীজ থলের সংখ্যা কম তাই উৎকৃষ্ট বলে বিবেচিত হয়।

ছবি -২৩/ ৩৬ : বাংলাদেশে জন্মানো বিভিন্ন জাতের বেল


বংশ বিস্তার

সাধারণত বীজ থেকেই বেলের চারা পাওয়া যায়। বীজের গাছে অনেক সময় মাতা গাছের বৈশিষ্ট্য অপরিবর্তিত থাকে না। এজন্য গুটি কলম অথবা কুঁড়ি সংযোজন পদ্ধতির মাধ্যমে উৎকৃষ্ট জাতের চারা উৎপাদন করতে হয় । বেল গাছের গোড়ার চারপাশের শেকড় থেকে অসংখ্য ফেকড়ি বের হয়, এগুলো মাটিসহ সাবধানে তুলে আনলেই নতুন চারা তৈরি হবে। হাতের কাছেই যারা বেল পাতা পেতে চান তারা টবেও বেলের চারা রোপন করতে পারেন ।

ছবি – ২৪ /৩৬ : টবে বেলের চারা রোপন


চারা রোপণের সময়

মধ্য আষাঢ় থেকে মধ্য শ্রাবণ পর্যন্ত চারা রোপণের উপযুক্ত সময়।

গর্ত তৈরি, সার প্রয়োগ ও চারা রোপণ

বাগান আকারে বেলের চাষ করতে হলে ১০ মিটার দূরত্বে চারা রোপণ করা উচিত। নির্ধারিত দূরত্বে ৫০ সেন্টিমিটার চওড়া ও ৫০ সেন্টিমিটার গভীর গর্ত করে প্রতি গর্তে ১০ কেজি পচা গোবর বা আবর্জনা পচা সার, ২৫০ গ্রাম টিএসপি ও ১৫০ গ্রাম এমওপি সার ভালোভাবে মিশিয়ে গর্তটি আবার ভরাট করে ৮-১০ দিন পর প্রতি গর্তে একটি করে চারা রোপণ করতে হবে। চারা লাগানোর পর গর্তের মাটি ভালো করে ভিজিয়ে দিতে হয়।

পরবর্তী পরিচর্যা

ঝড়-বাতাসে চারা হেলে বা পড়ে না যায়, সেজন্য গোড়া থেকে ১০-১৫ সেন্টিমিটার দূরে একটি শক্ত কাঠি পুঁতে তার সঙ্গে চারা বেঁধে দিতে হবে। চারা অবস্থায় ১-২ মিটারের মধ্যে গজানো ডালপালা ছেঁটে দিলে কাঠামো ঠিক থাকে।

ছবি -২৫/ ৩৬ : বেলের চারার পরিচর্যা


সার ব্যবহার
চারা রোপণের পরের বছর থেকে গাছপ্রতি ১৫-২০ কেজি পচা গোবর বা আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করতে হবে। সারের অভাবে অনেক সময় কচি বেল ঝরে পড়ে। তাই ফলন্ত গাছে কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে কিছু ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সার গোড়ার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

পানি সেচ

ফাল্গুন-চৈত্র মাসে ফুল ও ফল ধরে। এ সময় থেকে বর্ষার আগ পর্যন্ত ১০-১৫ দিন পর পর সেচ দেয়া ভালো। বড় গাছে সেচ দেয়ার প্রয়োজন হয় না বললেই চলে।

পোকা-মাকড় ও রোগ বালাই দমন

বেল গাছে সচরাচর যে পোকা দেখা যায়, তা হলো মাইট। এ পোকার আক্রমণে পাতার উপর চকচকে দাগ দেখা যায়, পাতা কুঁকড়ে বা মুড়িয়ে যায়। অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করে এ পোকা দমন করতে হবে। এছাড়া বেল গাছে তেমন মারাত্মক কোনো রোগ ও পোকা দেখা যায় না।

দেশে উন্নত জাতের বেল চাষ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র উদ্ভাবিত এই নীচের ছবিতে দেখানো গাছে সারা বছর ফলবে বেল। জাতের নাম রাখা হয়েছে- বারি বেল-১।

ছবি – ২৬/৩৬ : দেশে উন্নত জাতের বারি বেল-১

এই বেল চাষাবাদ করে চাষিরা লাভবান হবেন বলে মনে করছেন এর উদ্ভাবক। অতীতে বীজ থেকে জন্মানো গাছে ফলন পেতে ৮-১২ বছর অপেক্ষা করতে হতো। ফলে মানুষ বাণিজ্যিকভাবে বেল চাষ করত না। এই জাতটি কলমের মাধ্যমে জন্মানো যাবে, যার ফলে মাতৃগাছের গুণাগুণ একই রকম থাকবে এবং ফল আসতে সময় লাগবে মাত্র পাঁচ বছর। ফল মাঝারি আকারের, প্রতিটি ফলের গড় ওজন হবে ৯০০ গ্রাম। সাত বছর বয়সী প্রতিটি গাছে বছরে গড়ে ৩৮টি করে বেল ধরবে, যার মোট ওজন ৩৪ কেজি হিসাবে হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় ১৪ টনের মতো হবে । তবে গাছের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ফলনও বাড়বে।

ফল সংগ্রহ

ফুল ধরার সময় থেকে ফল পাকতে প্রায় এক বছর সময় লাগে। মার্চ-এপ্রিল মাসে ফুল আসে এবং পরের বছর ফেব্রুয়ারি-এপ্রিলে ফল পাকে। মাটিতে পড়ে ফেটে গেলে শাঁসে দ্রুত পচন ধরে। তাই সম্পূর্ণ পাকার পর মাটিতে না ফেলে একটি একটি করে বোঁটাসহ ফল সংগ্রহ করা উচিত।

ছবি- ২৭ / ৩৬ : গাছে পাকা বেল


বেলের বাজার

ছবি-২৮ /৩৬ : পাকা বেল হাতে নিয়ে উল্লসিত ছোট বড় সকলে ও বাজারে বেলের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতা


বেলগাছের কাঠ হতে তৈরী হস্ত শিল্পজাত দ্রব্যাদি ও কাষ্ঠ খোদাই চারুকলা শিল্প কর্ম

বিভিন্ন জাতের কাঠের সাথে বেল কাঠ ব্যবহার করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তৈরী হচ্ছে হরেক রকমের নিত্য ব্যবহার্য তৈজস পত্র । এ বিষয়ে সবচেয়ে অগ্রগামী হচ্ছে চীন ও থাইল্যান্ড। আমাদের দেশও এ ক্ষেত্রে একেবারে পিছিয়ে নেই । দেশে তৈরী এ জাতীয় কিছু দ্রব্যাদি ।

ছবি- ২৯ /৩৬ : অন্যান্য জাতের কাঠের মত বেল কাঠ দিয়ে তৈরী কিছু তৈজসপত্র


বিল্বকাষ্ঠের চারুকলা শিল্প

কাঠ খোদাই করে বিভিন্ন ধরণের শিল্প কর্ম অনাদিকাল হতেই চলে এসেছে দেশে দেশে । কাঠ খোদাই শিল্প ( Carving) কর্মে সকল জাতের কাঠ ব্যবাহার করা যায়না । এর জন্য প্রয়োজন হয় সুক্ষ আশ, খুব শক্তও নয় আবার নরমও নয় এবং কাঠের রং সাদার মধ্যে হলে ভাল হয় এমন জাতের কাঠ । কাঠের এই গুনাগুনের জন্য অন্যান্য জাতের মধ্যে বেল কাঠও অন্যতম । কার্ভিং নাইফ বা টুলস দিয়ে ব্রাস উড যথা পাইন কাঠের উপর কাজ করা বেশী স্বাচ্ছন্দ অনুভব করলেও এই কাঠের সহজ লভ্যতা সকল দেশে সব সময় নেই । বেলের প্রতি হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি বিশ্বাস থাকায় এই বেলের কাঠ দিয়ে দেশে দেশে বিশষ করে ভারত , থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া সহ অনেক দেশেই কিছু কাষ্ট খোদাই শিল্পের নিদর্শন দেখা যায় বিভিন্ন লিটারেচারে । নীচে ভারত, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার দারুশিল্পিদের তৈরী কিছু বিখ্যাত কাষ্ঠ খোদাই শিল্প কর্মের ছবি দেখানো হল ।

ছবি- ৩০ / ৩৫ : কাষ্ট খোদাই শিল্প কর্ম ভারতী


ছবি - ৩১ /৩৬ : অরনেট থাই কাষ্ঠ খোদাই শিল্প কর্ম


ছবি -৩২/ ৩৬ : ফিংগার ট্রান্ক এন্ড লাই থাই উডেন কার্ভিং শিল্প কর্ম


ছবি -৩৩ /৩৬ : বিখ্যাত ওয়ার্ক অফ আর্ট অন দি স্ক্রীন অফ ইন্ডিয়া এন্ড ইন্দোনেশিয়া


বাংলাদেশে দারু কারু শিল্প

বাংলাদেশে নির্মিত ঘরের কাঠের দরজা, জানালা, খুঁটি, কড়ি, বরগা, বাক্স, খাট, পালঙ্ক, আসনপিঁড়ি, পিঠার ছাঁচ, বাদ্যযন্ত্রের খোল, পাল্কি, রথ, নৌকা, পুতুল ইত্যাদি কাঠের উপর খোদাই করা নানারকম চিত্রদ্বারা অলঙ্কৃত করা হয়ে আসছে শত শত বছর ধরে । পদ্ম, পাখি, পুষ্পিত লতা, চক্র ও জ্যামিতিক নকশা দারুশিল্পের সাধারণ মোটিফ। দরজা, পাল্লা, পালঙ্ক, বাক্স ও আসনপিঁড়িতে পদ্ম, চৌকাঠ, খুঁটি, খাটের পায়া ও পাল্কির বর্ডারে পুষ্পিত লতা ও জ্যামিতিক ছক; বাদ্যযন্ত্রের খোলে ময়ূর ও টিয়া এবং নৌকায় পদ্ম ও ময়ূর মোটিফ হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। বাংলাদেশের অনেক বনেদি ঘর ও যাদুঘরে এগুলি দেখা যায় । প্রকৃত পক্ষে গ্রামীণ বাংলার ছুতার মিস্ত্রিরাই ছিলেন এসব চিত্রকর্মের রূপকার। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত ছুতার মিস্ত্রির কাজ করা সুন্দর সুন্দর দারুশিল্প কর্মের মধ্যে রয়েছে পালঙ্কে রচিত পুর্ণাঙ্গ নারীমূর্তি । হাতুড়ি, বাটালি, নরুন, হাত করাত, র্যঁদা, কুরনি, স্কেল, কাঠ পেন্সিল ইত্যাদি অতি সামান্য যন্ত্রপাতি দিয়ে এসব শিল্পকর্ম তারা নির্মাণ করেছেন শত বছর ধরে ।

ছবি -৩৪ /৩৬ : বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত ছুতার মিস্ত্রির কাজ করা একটি সুন্দর দারুশিল্প কর্ম ।


ছবি - ৩৫ / ৩৬ : খাট ও পালঙ্কের হেড বোর্ডে সুন্দর একটি দারু শিল্প কাজ


ছবি -৩৬/৩৬ : কাঠের উপর খোদাই করা গহনার বাক্স ।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যথা ঢাকা, জাহাঙ্গীর নগড়, রাজশাহী ও চট্রগাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে স্নাতক ও ম্নাতোকোত্তর পর্যায়ে কাষ্ঠ খোদাই শিল্প কর্মের উপর পাঠ কার্যক্রম চালু রয়েছে। আশা করি এই শিল্পে অন্য অনেক কাঠের মত দেশে সহজে প্রাপ্য বিল্ব কাষ্ঠকে নিয়েও কাজ করা যেতে পারে । তাদের সফল প্রচেষ্টায় এই বেলগাছটি হতে পারে দারু কারু শিল্পের জন্য একটি সম্বাবনাময় উপাদান ।

পরিশেষে বলা যায় যে বহুমুখী গুনের অধিকারী এই বেল গাছের বিকাশ ও চাষ বৃদ্ধি পাক যথাযথ পর্যায়ে । এর যেমন রয়েছে ধর্মীয় কাজে প্রয়োগ, তেমনি রয়েছে এর খাদ্যগুন , ভেষজকর্মে প্রয়োগ ও সর্বোপরি কাষ্ঠ খোদায় চারুকলায় প্রয়োগ করে খোদাই করে রাখা যায় এ দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বিকাশ ঘটানো যায় গ্রামীন জাত শিল্পী ছুতারদের জীবন জীবিকার জন্য নব প্রাণচাঞ্চল্য । এখানে একটি কথা বলে রাখি, উপলক্ষটা বেল নিয়ে হলেও অন্যতম আরো একটি লক্ষ্য হলো দেশে দারু চারুকলা শিল্পের বিকাশ, সে সাথে মেধাবী চারুকলা শিল্পী ও গ্রামীন ছুতারদের জন্য দেশে বিদেশে সমাদৃত অধিক মুল্য সংযোজনশীল কাষ্ঠ খোদাই শিল্প কলায় সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য সকলের সচেতনা ও সংস্লিস্টদের পৃষ্ঠপোষকতা আকর্ষন করা ।

ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ।

সুত্র :
ছবি সুত্র : গুগল অন্তরজাল
তথ্য সুত্র :
Gutschow, Niels; Michaels, Axel & Bau, Christian (2008). "The Girl's Hindu Marriage to the Bel Fruit: Ihi and The Girl's Buddhist Marriage to the Bel Fruit: Ihi". Growing Up—Hindu and Buddhist Initiation Ritual among Newar Children in Bhaktapur, Nepal. Wiesbaden, GER: Otto Harrassowitz Verlag. pp. 93–173. ISBN 3447057521.

Manjeshwar Shrinath Baliga, Harshith P. Bhat, Nandhini Joseph, Farhan Fazal (2011), Phytochemistry and medicinal uses of the bael fruit (Aegle marmelos Correa): A concise review, Food Research International, Volume 44, Issue 7, August 2011, Pages 1768-1775

Sharma PC (2007), A Review on Bael Tree. Available at nopr.niscair.res.in/bitstream/123456789/7856/1/NPR 6(2) 171-178.pdf

উইকিপিডিয়া (২০১৭), বেল ফল, https://bn.wikipedia.org/wiki

মন্তব্য ১২৩ টি রেটিং +২৭/-০

মন্তব্য (১২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: অনেক তথ্য বহুল পোষ্ট এবং এতে জানার মত অনেক কিছু ছিল।
ধন্যবাদ, বিষয়টি সামুতে আনার জন্য।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রথম মন্তব্য দানের জন্য রইল বিশেষ ধন্যবাদ ।
আপনার মত সামুর পাঠকদের কাছে ভাল লাগলে খুশী হব ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা হা ............ পেয়ে গেলাম!!

বহুদিন পর!!

বেলতলায় এলুম তবে!!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা , বেলতলায় গেলে এক বার নয় কপাল ভাল থাকলে তিনবার পাবেন।
শুভ কামনা থাকল ।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

বাকরখানি বলেছেন: বেলের সাথে বিয়াও করা যায়? নেপালে যাইতে হইব বেলের বিয়া খাইতে B-))

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, তাইতো মনে হয় , চল চল নেপাল চল
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: এতো তথ্য বহুল ,ছবি সহ পাকা বেলের গন্ধে ম ম করা সুলিখিত পোস্ট লেখেন কি করে? আমার তো ছোটোখাটো পোস্ট লিখতে গেলেই ন্যাড়ার বেল তলায় যাওয়ার মতো অবস্থা হয় !

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চমৎকার প্রসংসা মাখানো কথা শুনে ভাল লাগল ।
আপনার করা আগের করা মন্তব্যের জবাবে একটি লিংক দেয়া হয়েছিল , দেখেছেন কি তা ।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: মনোযোগ সহকারে আপনার লেখা পাঠ করলাম।
বেল এর এত গুণ তা তো আগে কখনো শুনিনি।
লেখক কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্রীতি ও আন্তরিক ভালবাসা ।
অভিনন্দন সহ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রিয় কবি লক্ষন ভান্ডারী , আপনার কথামালায় আপ্লুত । আসছি এখুনি আপনার কাব্যসুধা পানের জন্য ।
বেলের আরো অনেক ঔষদি গুন রয়েছে ব্লগ বলে সব কথা হয়নি তা বলা । মুল ইঙরেজী বইটি বাংলায় করার জন্য প্রকাশকের অনুমতি প্রার্থনা করেছি, অনুমতি পেলে লিখা হবে পুস্তক আকারে সবিস্তারে ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

বিজন রয় বলেছেন: সত্যের ছায়ার জন্য প্রথম হতে পারলুম না।
তাই বেলতলায় আবার এলুম।

আপনি এক মহা গবেষক।
দেশের গৌরব, এবার দেশে এসে আমাদের জন্য কিছু করুন।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দাদা প্রতি রইল শত শত নমস্কার , এই ব্লগে আমার শুরুতে মন্তব্যের আকালের সময়ে বেশীর ভাগ লিখাতেই দাদাকে পেতাম প্রথম কাতারে সে কথাটি সকল সময় মনে পড়ে কৃতজ্ঞ চিত্তে । দেশের গবেষনা যায় সব বছেদের নামে , সেই বিষয়টার কি হবে । এরকম উদাহরণ আমার ভুরি ভুরি আছে । একটি টিমের সাথে গবেষনা কর্মে যুক্ত থাকায় আর কিছুদিন থাকতে হবে তাদের সাথে ।

ধন্যবাদ আবার আসার জন্য ।

৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা হা হা ভাইয়া!!!!!!!!

পুরাটা পড়িনি তার আগেই বেল বরের গল্প শুনে হাসতে হাসতে মরে গেছি!!!!!!!

এটা শুনে যদি কোনো নেপালী রাগ করে আমার কিছু করার নেই!!!!!


পরম মমতায় বঁধুর হাতে ধরে রাখা বেল বর দেখে মরার পরেও মরেছি ভাইয়া!!!


ভাগ্যিস আমার ঐ দেশে জন্ম হয়নি!!!!!

এই বেল বরকে পেলে আমি আছাড় দেবার লোভ যে কেমনে সামলাতাম কে জানে!!!!!


অবশ্য তখন নিশ্চয় রুপকথার বেলকুমারের মত কোনো সুদর্শন রাজকুমার বের হয়ে আসতো বেল থেকে!!!!!!


হা হা হা

বাপরে এখন তো আবার আরেক কথা মনে পড়ে গেলো ব্যাঙ কুমারের গল্পটা!!!!!

মাই গড তার থেকে যাই বাবা আমি বিয়ে খেয়ে আসি সত্যিকারের মানবকুমার আর মানবী কুমারীর!!!!!! :) :) :)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



কুমারী কন্যাদের বিয়ে ছিল বলে পাওয়া গেল বেল তলাতে :)

ভাগ্যিস বেলটিকে যে ভাঙ্গনী তাহলে দেখতে কেমন বর পেতে !!

তোমার ব্যাঙ কুমারের পুরা গল্পটা শুনার কামনা রইল মনে

পারলে ছবি সহ লিংকটা দিও ।

বেল কুমারীদেরও তৃতীয় বিয়েটা হয় সত্যিকারের সুদর্শন মানবের সাথে

এর পর নেপালে যখন যাবে তখন কাঠমুন্ডু ভেলীতে গিয়ে

বেল কুমারীদের বিয়ে খেয়ে আসতে পার খুশী মনে

তারা বড়ই উদার অতিথি আপ্যায়নে ।

অনেক অনেক শুভ কামনা থাকল ।

৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

শায়মা বলেছেন: হইসে আমি আবার যাবো বেল তলা!!!!!!! :-P

নো নিড!!!!! :-P

শেষে এই বোকা কুমারীদের বেল নিয়ে তাদের মাথাতেও আমার ভাঙ্গার ইচ্ছা হতে পারে!

আমার তো শুনেই রাগ লাগছে!!!!!!!

ব্যাঙ কুমারের গল্প শুনাবো আরেক দিন। এখন বিয়েবাড়ি যাই......

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাগ্য ভাল যাও নাই
বেচে গেছে বেল কুমারীরা ।
ব্যাঙ কুমারের গল্প শুনার অপেক্ষায় থাকলাম ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপুমনি এত রেগে গেলে কি চলবে নীচের কথাগুলি একটু ভেবে দেখ রাগ কিছুটা কমলেও কমতে পারে ।
নেওয়ারী কুমারী কন্যাদের এ বেল বিবাহের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ সামাজিক দিক হলো প্রতিকি ভাবে একবার বেল রূপধারী প্রভু শিবপুত্রের সাথে মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে সে বিশুদ্ধ নারী থাকবে এমনকি তার বাস্তব স্বামী ভবিষ্যতে যদি মারাও যায় তাহলে সে বিধবা বলে গন্য হবেনা, কারন তার বিবাহ হয়েছে চিরঞ্জিব প্রভু শিব প্রতিনিধির সাথে । তুমি তো জানই হিন্দু বিধবা নারীদের কত যে দুর্গতি, হাতের শাখাচুরী ভাঙ্গা হতে শুরু করে সাদা থান কাপড় পড়ে নিরামিশ ভুজী হয়ে বেচে থাকতে হয় জীবন ভরে, আরো কত কত নিয়মের বেড়াজাল । একেতো বিধবা তার উপর আছে কত ধরনের কঠীন নিয়ম কানুন পালনের বাধ্যবাধকতা । কিন্ত সেখানকার বেল বধুরা এই দু:সহ জীবন হতে থাকে মুক্ত, সেও পালন করে সধবাদের মত সুন্দর একটি জীবন । অনেকেই দৈবক্রমে কচি বয়সে জীবনের শুরুতেই বিধবা হয়ে গেলে হয়না তাদের মরন । ভারত বর্ষের শত কোটি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য এটা হতে পারে একটি গুরুত্বপুর্ণ সামাজিক সংস্কার ।

৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন বেলােয়াজন!

অনন্য নান্দিনকতায় একটা সাধঅরন বিষয়ও যে অসাদঅরন হয় আপনার প্রতিটা পোষ্টেই সেই ছাপ স্পষ্ট!
মুগ্ধ হলাম বেল কথনে!

যদিও ঐ আঠার জন্য খেতে মোটেও স্বিস্ত পাইনা তবে খুবই উপকারী বটে।

ভাল লাগল অজানা বেল বিয়ে আর বেল কথনে

শুভেচ্ছা

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক প্রিত হলাম আপনার মুগ্ধকর কথা শুনে

কবির কল্পনা মিশিয়ে আপনি করেন যা রচনা

তা যায় যে শত পাঠকের হৃদয়ে গেথে ।

ভাল বড় জাতের বেল বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায়

যার ওজন প্রায় ৫ কেজিন মত হয়ে যায়

সেগুলিতে আঠালো বীজ নাই বললেই চলে

সেই বেল খেতে পারেন খুশী মতে ।

সেই বেলের ছবি সংগ্রহ করতে পারিনি বলে দেই নি এ সাথে

আমার দেখা মতে গাজীপুরের ভাওয়াল শালবনের ভিতরে

লাল মাটির টিলায় সেই বড় জাতের কিছু বেল গাছ আছে ।

বেল বিয়ে ভাল লেগেছে শুনে খুশী হলাম

বেল বিয়ের একটি গুরুত্বপুর্ণ সামাজিক দিক হলো

কোন কারণে তাদের বাস্তব মানব স্বামী মারা গেলেও তারা

বিধবা বলে গন্য হয়না ও বৈধ্যের দুর্গতিও পোহাতে হয় না

আমরা সকলেই জানি বিধবা নারীদের দু:সহ জীবন জ্বালা ।

অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।

১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার লেখালেখির একটা বড় অংশই প্রিন্ট মিডিয়ার সাথে জড়িত। অনেক জ্ঞানী গুনীকে প্রিন্ট মিডিয়ায় লেখালেখি করতে দেখি। তাঁরা কেউ অনলাইন মিডিয়ায় লেখেন না। কারণ যাই হোক, তাঁদের মধ্যে আপনার এই পোস্টটির মতো লেখা আজ পর্যন্ত কাউকে লিখতে দেখেছি বলে মনে করতে পারছি না। এত বিশাল তথ্যসমৃদ্ধ, শ্রমসাধ্য ও গুছিয়ে লেখা প্রবন্ধ সত্যিই বিরল। সংশ্লিষ্ট ছবিগুলো সংগ্রহ করাই তো এক দুঃসাধ্য কাজ। আমি সামান্য গল্পকার বলে এমন রিচ আর্টিকেল লেখার কথা কল্পনাও করতে পারি না। হ্যাটস অফ টু ইউ ডঃ এম এ আলী।

নেপালের বেল কুমারীদের বিয়ের নিয়ম কানুন পড়ে খুব মজা পেলাম। ধন্যবাদ ডঃ আলী।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



শ্রদ্ধেয় আশরাফুল ভাই , আপনি বিনয়ের অবতার , কথা শুনে মন গলে যায় ।

কে সামান্য আর কে অসামান্য গল্পকার সে বিচার গণ্পকারের নয় এটা নির্ণয়

পাঠকের দায় ভার । আপনার লিখা গণ্পগুলি হাজার পাঠকের মনে হয়ে থাকে

সুক্ষ অনুভুতির আধার । জীবনাশ্রয়ী গল্পগুলিতে থাকে মৌলিকতার কারুকার্যময়

ভাষার প্রয়োগ , যেমনি থাকে উপমা তেমনি থাকে তাতে সামাজিক সচেতনতার

অপুর্ব দিক নির্দেশন । প্রকাশিত লিখা পর্যালোচনায় করে লিখা যায় প্রবন্ধ কিন্ত

তাতে গল্পের মত থাকেনা মৌলিকতার নির্যাস। প্রিন্ট মিডিয়া ও এই সামুর পাতাতে

আমার অনেক লিখা থাকলেও এখন পর্যন্ত সাহস করে উঠতে পারিনি গল্প লিখার ।

একজান সব্যসাচী প্রখ্যাত গল্প লিখক হিসাবে তাই শ্রদ্ধা জানাই হাজার বার ।

অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।

১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আফসোস, নেপালে না জন্মে জন্ম নিলাম কোন এক ভুল জায়গায়!

"বেলের কাঁটা" নিকে ছিল এক বিখ্যাত ব্লগার ছিলেন; সবাই "বালের কাঁটা" সম্বোধন করতেন; কেহ জানলে উনার সম্পর্কে জানাবেন।

পোস্ট পড়ে ও ছবি দেখে খুবই প্রীত হলাম।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আসলেই নেপালে জন্ম নেয়া ভাগ্যের ব্যপার ।
সেখানকার মানস সরোবরে
জন্ম নেয়া ব্রম্মপুত্র ও গঙ্গার পানিতে ভারত বর্ষ
ও বাংলার জমিন সবুজে সয়লাব ।

দেখা যাক বেলের গন্ধে 'বেল কাঁটা' নিকের অআগমন ঘটে কিনা ,
আসলে জানান দিব সময় মতে ।

চাদগাজী ভাই কোন পোস্টে প্রীত সে বড় সৌভাগ্যে ব্যপার ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার পোষ্ট মানেই বিশেষ কিছু, আজকে এখন অফ লাইনে যাব, কালকে খুটিয়ে পড়ে নেবো।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ সাদা মনের মানুষ ভাই ।
আপনার পোস্টের বিশেষত্বের কোন
তুলনা নাই । প্রাথমিক মৌলিক সব
ছবি আমাদের জন্য তথ্যের ভান্ডার।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩২

আহা রুবন বলেছেন: বেল কাহন বেশ লাগল! বেশি ভাল লেগেছে বেল জামাইকে! :#)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ, বেল কাহন বেশ লেগেছে বলে ।
বেল জামাই আসলেই সুন্দর, কারণ এ বেল
জামাইতো লর্ড শিবকুমারের প্রতিনিধি
অবশ্য তা নেপালের নেওয়ারী হিন্দু
সম্প্রদায়ের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী ।

শুভেচ্ছা রইল

১৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: গাত্রবর্ণ উজ্জ্বল করার জন্য যতগুলো উপাদান আছে বেলফুল তন্মধ্যে শ্রেষ্ঠ। পরিমাণমত বেল গাছের ফুল মসুর ডাল ধোয়া পানির সাথে উত্তমরূপে পেষণ করে মুখমন্ডলে ব্যবহার করলে অতি অল্প দিনেই চেহারা গোলাপের ন্যায় কমনীয়, পদ্মের ন্যায় উজ্জ্বল ও পূর্ণচন্দ্রের ন্যায় বিকশিত হয়ে ওঠে।


আয় হায় ,আফসোস আপনি কেন আগে ব্লগিং এ আসেন নাই :(
সময়মত এই উপদেশে কি উপকার ই না হইত :P
আজকে আমার গাত্রবর্ণ ও চেহারা গোলাপের ন্যায় কমনীয়, পদ্মের ন্যায় উজ্জ্বল ও পূর্ণচন্দ্রের ন্যায় বিকশিত হয়ে উঠত ;)


তথ্যপূর্ণ পোষ্ট এ ভাললাগা প্রিয় ব্লগার :)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




খুব ভাল লাগল আপুমনিকে এখানে পেয়ে
বেল ফুল নিয়ে যাবলা হয়েছে আসলে সেটা তাই
যদি একটু খানি চোখ বুলিয়ে দেখতেন আয়ুর্বেদিক
পুস্তকখানি তাহলে এ বিষয়টি এ ব্লগে আমার আসার
আগেই জানা যেত সহজেই । যাহোক, আফছোছ করার
কোন কারণ নাই । আপনাকে কোনদিন স্ব-চক্ষে দেখিনাই
এখানে এই ব্লগের নিকে যে ছবি দেখা যায় তাতে কেবলি মনে
হয় শরতের ভোরের চেয়েও সুন্দর এ মুখের প্রতিচ্ছবি যা গোলাপের
কমনীয়তা, পদ্মের উজ্জলতা ও পুর্ণ চন্দ্রের থেকেও অনেক বেশী উজ্জল ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল

১৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
নেপালের মেয়েদের তিনবার বিয়ে,মজার ব্যপার তো B-)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবীর ভাই ।
সবিনয়ে জানাতে চাই নেপালের সব মেয়েদের তিন বার বিয়ে হয়না ।
শুধু কাঠমুন্ডু ভেলীর নেওয়ারী হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়েদের তিনবার বিয়ে হয়
যা নেপালের জনসংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ মাত্র ।
তবে বিয়েটা বেশ মঝার, এটলিস্ট সেই সম্প্রদায়ের লোকজন
তা খুব মঝা করেইপালন করে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩০

জুন বলেছেন: বেলের মহিমা বিশেষ করে হিন্দু ধর্মে আছে সেটা জানতাম । তার গুনাগুনও মোটামুটি জানা ডঃ এম আলী, কিন্ত তার সাথে যে মানুষ কন্যার বিয়ে হয় এটা অজানাই ছিল । কলাগাছের সাথে বিয়ের কথা শুনেছি কিন্ত বেলের কথা কখনো শুনি নি :-* যাক আপনার দেয়া ছবি দেখে সব কিছু পরিস্কার ।
মনিরা সুলতানার মত আমারও একই অভিযোগ প্রিয় ব্লগার । আয় হায় ,আফসোস আপনি কেন আগে ব্লগিং এ আসেন নাই :( তাহলেতো অল্প দিনেই আমার চেহারা গোলাপের ন্যায় কমনীয়, পদ্মের ন্যায় উজ্জ্বল ও পূর্ণচন্দ্রের ন্যায় বিকশিত হয়ে ওঠতো #:-S
অল্পদিন পরেই ইনশাআল্লাহ চিয়াং মাই যাচ্ছি। আপনি যে কিছু কাঠ খোদাই এর ছবি দিয়েছেন তার মধ্যে থাইল্যান্ডের ও আছে । আর এই চিয়াং মাই এর Baan Tawai গ্রাম কাঠ খোদাই এর জন্য পৃথিবী বিখ্যাত । ছবি তুলে আনবো দেখি যদি যাওয়া হয় শেষ পর্যন্ত :)
অনেক ভালোলাগা রইলো বেল পোষ্টে ।
+

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



নেপালী কুমারী কন্যাদের সাথে বেলের প্রতিকি বিবাহ হয় তাদের ধর্মমতে বিবিধ কারণে যা এ পোস্টে বর্ণিত ।
মনিরা আপুর সাথে আপনার অভিযোগটুকু মাথা পেতে নেয়া মহা আনন্দে । তবে আপনাকে না দেখলেও
আপনার লিখার গুণে বদ্ধমুল ধারনা এই তিনটি বিষয়ই আপনার মধ্যে এমনি বিকশিত হয়ে আছে যার
আর কোন বিকাশের প্রয়োজন নাই, তাই আফছোছেরও কোন কারণ নাই ।

মনে মনে ধারনা ছিল আপনার দেখা মিলবে অচিরাত, অপেক্ষায় ছিলাম কখন আসবেন ।
থাই কাষ্ঠ খোদাই নিয়েই আপনার সাথে কিছু কথা বলার ছিল । অামি জানতে পেরেছি থাইরা
কাষ্ঠ খোদাই শিল্পে এখন জগত সেরা , তাদের গ্রামীণ কাষ্ঠ খোদাই শিল্পী তথা ছুতারেরা এতই
দক্ষ যে তারা যে কোন মটিফকে কাঠে ফুটিয়ে তুলতে পারে । জেনে খুশী হলাম আপনি চিয়াং মাই
যাচ্ছেন । সম্ভব হলে তাদের কাষ্ঠ খোদাই শিল্প নিয়ে একটি সচিত্র পোস্ট দিলে তা এদেশের
কাষ্ট খোদাই শিল্প বিকাশের জন্য অনেক উপকারী হবে ।

পোস্ট ভাল লাগার জন্য রইল অনেক ধন্যবাদ ।

১৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব তথ্যবহুল একটি পোস্ট। বেলল সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।
নেপালের মেয়েদের বেলপুত্রের সাথে বিয়ের ব্যাপারটা শুনে খুব মজা পেলাম।
কত কি যে ঘটে দুনিয়ায়!!!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ , বেল সম্পর্কে অল্প কিছু জানাতে পেরেছি শুনে খুশী হলাম ।
সবিনয়ে জানাতে চাই নেপালের সব মেয়েদের বেলের সাথে বিয়ে হয়না ।
শুধু কাঠমুন্ডু ভেলীর নেওয়ারী হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়েদের বেলের সাথে
প্রতিকি বিয়ে হয় যা নেপালের জনসংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ মাত্র ।
তবে বিয়েটা বেশ মঝার তাতে কোন সন্দেহ নাই ।

শুভেচ্ছা রইল ।

১৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৩

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাই

অনন্য!:)

অসাধারন!:) পোস্ট

লাইক!:)

প্লাস!:)

প্রিয়তে!:)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিলিয়ার রহমান ভাই ।
মন্তব্যে নীজের মতামত প্রকাশের স্টাইলটি মনোমুগ্ধকর
ও অপুর্ব । এটা একটি পোস্টকে ভাললাগার সবগুলি
বিভাগকে করেছে রিকনসাইল । প্রিয়তে নেয়ার জন্য
রইল কৃতজ্ঞত্ ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

১৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: আগে জানতাম শুধু , বেল পাকিলে কাকের কি !

আজ এটাও জানলাম বেল পাকিলে (পাতা ;) ) হাতিরও কিছু না ।

আর যেটা চট করে মাথায় আসল, বেল ফুল এনে দাও চাই না বকুল ।

ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাইয়া । + +

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: হ্যা জাহিদ ভাই
বেল নিয়ে কথনের শেষ নাই
একে নিয়ে হয়েছে কত কথা
ও কাহিণী রচনা ।

বেল ফুলও খুব সরস এটা চিনিছে কয়জনা ।

বেল ফুল দেখতে চাইলে একবার চটকরে

ঘুরে আসুন নেপালের কাঠমুন্ডু ভেলী হতে

স্বচক্ষে দেখতে পাবেন সেখানে মাঝে মাঝে

কত বেল ফুল ফুটে !!!

শুভেচ্ছা রইল ।

২০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩১

শায়মা বলেছেন: হা হা হা জুন আপু আর মনিরা আপু কাজ নাই আর বেল পাতা, বেল বাটা মুখে মাখবা না!!!!!!!!!!!!!!

এই সব শত্রুতায় বিশ্বাস করোনা!!!!!!!!!

এহরে বেল থেকে গোলাপ, পদ্ম আবার চন্দ্রও !!!!!!!!!!!!!

এইসব কথায় আমি ভুলি না, যেই ভুলে ভুলুক!!!!!!!!!!!!!!!!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: হায়রে আপু বেলের উপর এত চটিছ কেন

বেলের প্রতি তোমার রাগ দেখে কারণ
অন্বেষনে কাটিয়েছি অনেকটা বেলা ।
বুঝেছি রাগের আসল কারণটা ।
অনেক খুঁজতে খুঁজতে দেখা মিলল
এশিয়া নিউজের প্রতিবেদনটা ।
দেখা গেল প্রতিবছর নেপালের
কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠান করে বিবাহ
হয় ৫০০ নেপালী নেওয়ারী কুমারী
মেয়েদর । এদের বয়স ৫ বছর থেকে
শুরু । এশিয়া প্রতিনিধি ৫ বছর বয়সি
অনেক মেয়ের মাথে কথা বলে জানতে
পেরেছে এ সমস্ত মেয়েরা বিয়ের ব্যপারে
কিছুই জানেনা, তাদের মায়েরা কোন এক
সকালে তাদেরকে লাল কাপড় পরিয়ে নিয় যায়
বেল তলায় কিংবা মন্দীরে বেলের সাথে বিয়ার তরে ।
বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা রয়েছে সনাতন হিন্দু সমাজ
সহ বিভিন্ন মহলে। কেও কেও বলেন এটা বাল্য বিবাহকে অনেকটা
উৎসাহিত করে । তবে নেওয়ারী সম্প্রদায়ের কাছে বিষয়টি গৌরবের
এবং সৌভাগ্যের বিষয় বলে গন্য হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে ।

আরেকটি বিষয় আপুমনির রাগের কারণটা ধরতে পেরে শ্রদ্ধাভরে
পোস্টের লিখা হতে 'পরম আদরে বেল বরকে হাতে ধরে রেখেছে' বাক্যটি
হতে 'পরম'' শব্দটি দিয়েছি কেটে, কারণ এ মেয়েগুলি তখনো বুজেনা বর কাকে বলে।
আগের ছবিতে বেল বরটি দেখে রাগ হয় বলে এর সাথে সুন্দর শিবকুমার ও প্রতিকি
একটি সুন্দর বেল বরকেও জুরে দেয়া হয়েছে ।
ধন্যবাদ আবার আসার জন্য ।

২১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩২

শায়মা বলেছেন: ১৯. ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৮ ০
জাহিদ অনিক বলেছেন: আগে জানতাম শুধু , বেল পাকিলে কাকের কি !

আজ এটাও জানলাম বেল পাকিলে (পাতা ;) ) হাতিরও কিছু না ।

আর যেটা চট করে মাথায় আসল, বেল ফুল এনে দাও চাই না বকুল ।

ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাইয়া । + +


ভাইয়া এই গানের এই বেল ফুল বেল গাছের ফুল না বেলিফুলের আধা সংস্করণ!!!!!!!!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপুমনি তোমার ++ এ অনেক অনুপ্রানিত হলাম ।

বেল ফুল এনে দাও চাই না বকুল. চাই না হেনা, আনো আমের মুকুল।। গোলাপ বড় গরবী এনে দাও করবী. চাইতে যূথী আন টগর – কি ভুল।। কি হবে কেয়া, দেয়া নাই গগনে;. আনো সন্ধ্যামালতী গোধূলি-লগনে। গিরি-মল্লিকা কই' চামেলি পেয়েছে সই. চাঁপা এনে দাও, নয় বাঁধব না চুল। প্রিয় কবি নজরুলকে পেলে জিগাইতাম এটা কোন বেল ফুল । যাহোক, রওনক জাহানের
কণ্ঠে এই নজরুল সঙ্গীতটি
শুনতে থাক অার চিন্তা কর এটা বেল না বেলি ফলের অাধা সংস্করণ । এ বিষয়ে তুমি এক্সপার্ট, আমাকে জানিও কি মনে হল ।

ধন্যবাদ আবার আসার জন্য

২২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন:
এ পদক যদি কখনো আপনি পান তবে খুশী হব। এর থেকে বুঝে নিন কতটা ভাল লেগেছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্টটা দেখে ভাল লেগেছে বলে
অনেক ধন্যবাদ ভাই ।

একুশে পদককে সন্মান করি
পদকটির জন্য নয়
বাংলাদেশের জাতীয় কবি
কাজী নজরুল ইসলামকে
একুশে পদকটি দেয়া
হয়েছিল বলে
এরপর থেকে
এটাকে বেশীর ভাগই
রাজনৈতিক বিবেচনায়
দেয়া হয়েছে বলে
এর মহাত্বতা ক্ষুন্য হয়েছে
বহুলাংশে ।

কবি নজরুলকে দেয়া
পদকটি যা জাতির জন্য
ইতিহাস হয়ে থাকবে

২৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৭

কালীদাস বলেছেন: বেলের সাথে নিকাহ, বেলফুলে রুপে আগুন ধরানো....সিরিয়াসলি আগে জানতাম না। মজা পাইলাম পোস্টে :D

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোস্টে মঝা পাওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
হাতের কাছে সুলভে পাওয়া প্রকৃতির ফুল
দিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন করা যায়, এ কথাটি
আয়োর্বেদিক সাস্রের বইয়ে দেখে আমার
কাছেও ভাল লেগেছে বলে বিষয়টি
সকলের সাথে শেয়ার করলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বিশাল কর্মযজ্ঞ!! বেলতলায় না এসেও পারলাম না।। শুধু ছোটবেলায় ( আপনর বর্নিত) বেল খেতে নয়, এবার জানতে।। তৃপ্তি নিয়েই ফিরলাম।। ধন্যবাদ।।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কর্মযজ্ঞটি বিশাল কিনা জানিনা তবে একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ
শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে এই পোস্টটি লিখতে ব্রতি হয়েছি ।
জানিনা উদ্দেশ্য কতটা সফল হবে । তবে দেশের
চারু শিণ্প কলায় যদি বিল্ব কাষ্ঠকে ব্যবহার করা
হয় তাহলে দেশের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য অতি
সহজভাবে দেশে বিদেশে তুলে ধরা যাবে ।

বেল তলায় এসে তৃপ্তি নিয়ে ফিরেছেন শুনে ভাল লাগছে
সে সাথে অনুপ্রানিতও হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল

২৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

সুমন কর বলেছেন: কাঠের শিল্পগুলো দেখে ভালো লাগল। পোস্ট বিশাল, পরে আসার আশা রাখি।

+।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা ,
কাঠের শিল্প বিকাশটাই এ পোস্টের অন্যতম একটি লক্ষ্য ।
পরে আসলে কথা হবে ।
শুভেচ্ছা রইল

২৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৩

প্রামানিক বলেছেন: খুবই ভালো লাগল বেল কথন। ধন্যবাদ

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



প্রামানিক ভাই ,
রাত্র গভীর এখনো জেগে জেগে লিখছেন
বেল কথন ভাল লাগছে
নতুন ছড়া মনে হয় ছাড় হবে প্রভাতে ।

ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা জানবেন ।

২৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৪৮

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: বেল পাতা খাইতে হইব। স্মৃতিশক্তি বাড়ামু :)
অসাধারন পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, খুশী হলাম পোস্টটি অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ।
স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য শুধু বেল পাতা খেলে হবেনা
নিয়মমত হতে হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৮

শায়মা বলেছেন: উফ এই বেলতলায় দেখি আমাকে বার বার আসতে হচ্ছে!!!!!!

যদিও আমি নেড়া না বরং এই বয়সেও চুল বেল তলায় গেলে মোটা আস্তরণ দেবে মনে করে সেই ভরষাতেই বার বার আসা!!!!!!


তবে গানের সব কথাগুলি তো আমাকে ভাবালো ভাইয়া!!!!!:(

বেলীফুলকেও অনেকে বেলফুল বলে থাকে কিন্তু এইখানে লাইনের মাঝে আবার আমের মুকুল চায় হেনার বদলে কথাটাই তো আমাকে আবার ফল ফুলুরী নিয়ে ভাবালো। যে বকুলফুল ফুল্ল সৌন্দর্য্যের অধিকারী তার থেকেও বেলের ফুল মানে ফলের ফুল কবি চাইছিলো। আবার হেনার মত স্বকীয় ফুল্ল বৈশিষ্ঠ বাদ দিয়ে উনি আবারও ফলবাহক আমের ফুল চাইছিলেন!!!!!


মাই গড ! তার মানে উনি সত্যিকারের ফুল থেকেও ফল দেওয়া ফুল ভালোবাসতেন!!!!!!!!!!

এর কয়েকটা কারণ পেলাম.....

১। হয় উনি শুধু রুপ দেখে না ভুলে গুণদর্শী সৌন্দর্য্যকে বেশী লাইক করতেন। ( নইলে তো মাকালফুলও চাইতেন তাইনা!~)
২। নয় উনি খাদক একটু বেশি ছিলেন তাই যে ফুলের সৌন্দর্য্য শেষে ফলে গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই চাইতেন
৩। নয় উনার কোনো এক প্রেমিকা মালী ছিলো যার ফুল গাছ ছিলোনা ছিলো শুধু ফল গাছ!!!!!:)


উফ এত আর ভাবতে পারবোনা.....:(

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপুমনি তোমার মাথায় যে ঘন কালো চুল
বেল এমন মাথায় পরতে কভু করবেনা ভুল।

নজরুল সঙ্গীতটির কথা নিয়ে যেমনভাবে করলে চুল চেরা বিশ্লেশন তেমনটি এতদ বিষয় নিয়ে অতীতে হয়েছে কিনা তা জানা নেই । যেমন অন্তরদৃস্টি দিয়ে বেল ও বেলি ফুলের রহস্য উদ্ঘাটন করা হলো তাতে যুক্তি রয়েছে দারুন । গানের কলির শুরুতে 'বেল ফুল এনে দাও চাই না বকুল. চাই না হেনা, আনো আমের মুকুল' এর বিশ্লষনে অামের মুকুলের সাথে বেল ফলকে মিলিয়ে এই আলোচনায় গতি ময়তা দিয়েছ। প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে এ ফুল সম্ভবত বেল গাছেরই । বাকি যুক্তিগুলিও একে সাবস্টেনশিয়েট করে গেছে । বিধাতার দান নজরুল যে কত প্রতিভাবান ছিলেন তা ক্রমে তাঁর লিখার উপরে তোমার মত গুনী জনের মুল্যবান বিশ্লেষনে ক্রমেই হতরছে সম্প্রসারণ । এ ব্লগের এই সামান্য লিখায় নজরুলের নামটি ও তাঁর কালজয়ী গানের কথা ও বিশ্লেষন উঠে আসায় আমার এ পোস্ট হয়েছে ধন্য ।

তোমার আর কস্ট করে ভাবতে হবেনা । তোমার ভাবনাটুকু , আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও এ কালের নজরুল সাহিত্যের উপর বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক ড:শফিউদ্দীন সিদ্দকীর কাছে পাচার করে দেয়ার বিষয় ভাবছি । তোমার যদি আপত্তি না থাকে তবে তাঁর সাথে যোগাযোগ করে নজরূলের গানের কথায় ফুল ও ফলের ব্যবহার নিয়ে একটি গবেশনাধর্মী প্রবন্ধ কামনা করব । আর যদি এ বিষয়ে তুমি উৎসাহী হও তাহলে সবচেয়ে বেশী খুশী হব, কারণ বয়সের ভারে ড;সিদ্দকী জর্জরিত, তাই তিনি কতখানি এগিয়ে আসবেন তা এখনো জানিনা ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার প্রতিমন্তব্যের বিষয়ে দু'একটা কথা না বলে পারছি না। নিজের সৃষ্টিকে কোন বড় মাপের লেখক কখনো হাইলাইট করেন না। কারণ তিনি বড়। আপনার এই অসামান্য প্রবন্ধটির জন্য কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। লিখনশৈলী, তথ্যবিন্যাস, যথার্থ শব্দ প্রয়োগ, প্রাসঙ্গিক ছবি সংযোজন, রেফারেন্স ও ইতিহাসের প্রতি নিষ্ঠা সব কিছু মিলিয়ে এটি একটি শিল্পমণ্ডিত ক্ল্যাসিক সৃষ্টি। এই জায়গাতেই আপনার প্রবন্ধটি মৌলিকত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করি। একই মৌলিকত্ব একজন গল্পকার বা ঔপন্যাসিক তার উদ্ভাবনী শক্তির দ্বারা অর্জন করেন। দুয়ের মধ্যে পার্থক্যের সীমারেখা খুবই নগন্য।

আপনার লেখার আমি একজন ভক্ত। পড়া তো শুধু বিনোদনের জন্য নয়, কিছু শেখার জন্যেও। আমি আপনার লেখা পড়ে এই বয়সেও অনেক কিছু শিখতে পারি। ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আশরাফুল ভাই , আপনাকে আবার এখানে পাওয়ায় অনেক খুশী হয়েছি । আপনার মত গুণী লিখকের প্রসংসায় যতনা আপ্লুত তার চেয়ে বেশী হই অনুপ্রানিত । একটি লিখার মৌলিকত্ব নিয়ে আপনার মুল্যবান কথামালায় আমি অভিভুত । এ ব্লগে আমি বলতে গেলে আপনার তুলনায় অতি নবিন, তাই আপরার মুল্যবান সকল লিখাগুলি এখনো পাঠ করে উঠতে পারিনি , তবে একে একে সবগুলি লিখা পাঠেরই রয়েছে প্রবল আগ্রহ, সময় সুযোগে আশা করি পাঠ করে ফেলব । পরস্পরের লিখা পাঠে জানার আদান প্রদান হয় , আশা করি এই মিথক্রিয়া থাকবে অব্যাহত ।

অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।

৩০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ডাক্তার ভাই,
বেল নিয়ে অসাধারণ পোষ্ট দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ! বেল পাতা ঘি দিয়ে ভেজে খেলে নাকি স্মৃতি শক্তি বাড়ে, (মনে হয় তা ছোট পোলাপানদের) কিন্তু এখন যুবক বয়সে এসে যদি খাওয়া শুরু করি,তাহলে কি স্মৃতিশক্তি বাড়বে নাকি? B-) বেলে যা ভিটামিনগুলো আছে তা আমাদের শরীরের জন্য খুব দরকারী কিন্তু ঢাকা শহরে যে পাকা বেল পাওয়া যায়, তা নাকি সিদ্ধ করে পাকানো হয় । এ ধরণে বেল খেলে তাতেও কি ভিটামিন পাওয়া সম্ভবনা আছে নাকি ?

ছবি - ১৭/ ৩৬ : শোথে দেহের কোন অঙ্গপ্রতংগ ফুলে গেলে বা মুখে দাগ পরে গেলে কোন চিন্তা নাই, বেল পাতার রস সমপরিমাণ মধুসহ খেতে থাকলে শোথ অচিরাৎ কমে যায়।

মেকাপ সুন্দরীরা বেশির ভাগ উপরের সমস্যা ভোগেন।তাদের জন্য অতীব দরকারী বটে । =p~

এখনো পড়া শেষ হয়নি
পড়তে আবার আসবো।
আপাতত ভালো থাকুন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুপ্রিয় কবীর ভাই, একটি কথা সবিনয়ে জানাই , আমি কোন ডাক্তার নই , ডক্টর ইন ফিলসফি ( পিএই ডি), তাই প্রয়াস লব্দ ড: টাইটেলটা নামের আগে লাগাই, বিশেষ করে এ ব্লগের নিকে, কারণ এই ড: এর পরে ফুটা দুটো আমাকে সংযত হতে বাধ্য করে এ ব্লগের কোন কোন লিখার উপর কঠোর কোন মন্তব্য দানে । নিকের নামের সাথে ড: থাকায় ডাক্তারী বিষয় সংক্রান্ত কোন তত্বকথা চলে আসলে তার সুত্র উল্লেখ করে জানান দেই এটা আমার কোন কথা নয় । এছাড়াও আমার এ পোস্টের লিখার মাঝে উল্লেখ করে দিয়েছি কোন রকম প্রয়োজনে আয়োর্বেদিক সাস্রে উল্লেখিত ব্যবস্থাদি প্রয়োগের পুর্বে যেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া হয়।

যাহোক, মুল কথা হলো স্মৃতি শক্তির বিষয়ে রয়েছে অনেক বৈজ্ঞানিক বিশ্লেশন । তবে শরিরের সুস্থতা এ ক্ষেত্রে বিশেষ প্রয়োজন ।

শরীরের সুস্থতার জন্য কাঁচা পাকা বেল দুটোই উপকারী শুনে এসেছি সেই ছোট বেলা থেকেই , এখন আয়োর্বেদিক সাস্র পাঠে এ বিষয়ে জানা যায় আরো অধিক । মেচিউর্ড বয়সে স্মৃতি বাড়বে বেশী চর্চায় ও শরীরের সুস্থতায় তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এক পর্যায়ে তা ক্রমে ক্রমে কমবে এ কথা বলে সবাই ।

একটি কথা সত্য বলেছেন, বজারে কিছু অসাধু দোকানী কাঁচা বেলকে সিদ্ধ করে পাকা বেল বলে চালিয়ে দেয় , এ নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে বাক বিতন্ডা হতেও দেখা যায় । তবে একটি কথা বলা যায়, কাঁচা তরকারী সিদ্ধ করে খেলে যেমন তার ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্যগুন তেমন নস্ট হয়না , তেমনি কাঁচা বেল সিদ্ধ করলে এর গুনাগুন নস্ট হয়না বলেই দেখা যায় । আয়োর্বেদিক সাস্র মতে দেখা যায় পাকা বেল এর চেয়ে কাঁচা বেল সিদ্ধ করে খেলে তা পেটের পিড়ায় বেশী উপকার দেয় ।

আর একটি কথা বেল ও বিল্ব পত্রের সঠিক প্রয়োগে রুপ চর্যায় উপকারতো পাওয়া যাবেই কেননা এটা শত ভাগ পাকৃতিক , এতে নাই কোন ক্ষতিকর কেমিকেল।

অনেক ধন্যবাদ আপনার সুলিখিত মন্তব্যের জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

৩১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হিহিহি শায়মা মনি কে না সুন্দর হইতে চায় বল :P
তবে তোমার বেল বর কে আছাড় দেয়ার দৃশ্য কল্পনা করে আমি আনন্দিত =p~ =p~

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কুমারী কন্যাদের বেলের সাথে বিবাহ কর্মটির বিষয়ে আপনাদের মত দুই জন গুনী মহিয়সি নারীর বিদ্রোহটি বেশ ভাবিয়ে তুলেছে । বিষয়টি নিয়ে আরো বিশদ পরিসরে গবেষনা করতে হবে । এটা মনে হচ্ছে একটি বিশাল সামাজিক সংস্কারের আওতাধীন ।
ফেমিনিস্ট সোসসিউলজিস্টরা এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে পারেন বলে আমার ধারনা । আমি বৃটিশ সোসসিউলজি এসোসিয়সনের একজন সদস্য হিসাবে বিষয়টিকে যে কোন সুযোগে তাদের কাছে তুলে ধরার বাসনা রাখি । তবে যতটুকু জানতে পেরেছি তাতে দেখা যায়, নেপালের নেওয়ারী ও বৌদ্ধ উভয় সম্প্রদায় এটাকে শতাব্দীকাল ধরে ধর্মীয় বিশ্বাস হিসাবে পালন করে আসছে পরম শ্রদ্ধা ভরে । তাই একটি দেশের বড় সম্প্রদায় যারা শিক্ষা্ ও বহুবিদ বিষয়ে বেশ অগ্রসরমান তাদের ধর্ম বিশ্বাসের মুলে আঘাত আসে এমন বিষয় নিয়ে কথা বলতে হবে সকলকে সাথে নিয়ে যৌক্তিক ভাবে ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে ভাবনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল

৩২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০১

শায়মা বলেছেন: মনিরা আপুনি!!!!!!!!!!

সেই তো বললাম এই বেল বর কেউ আমার হাতে দিলে তখন আমার বয়স ২/৩/৪ হোক আর ২০/৩০/৪০ হোক আছাড় না দিয়ে আমি কখনই বসে থাকতাম না পরম মমতায় !!!!!!!!

এহ রে ফাজলামী না!!!!!!!

আসছেন বেলের সাথে বিয়ে দিতে .....

অবশ্য আরও এক কাজ করা যায়..... ঐ মেয়েগুলাকে পেলেও শিখায় দিতাম :)

মানে যেই পুরোহিত বিয়ে পড়াতে আসতো তার মাথায় বেল ভেঙ্গে তারই মাথা ফাটায় ভবলীলা সাঙ্গ করে দিতে যেন আর কোনো মেয়ের হাতে বেল দিয়ে, এই যে তোমার বর এখন মাথায় নিয়ে বসে থাকো বলতে না পারে............. :) :) :)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আশা করছি মনিরা আপু এসে যাবেন এখনি ।
এই ফাকে দু একটি কথা বলে নেই ।
আপুমনি তোমার ব্যক্তিগত বিষয় তেমন জানিনা তবে
বিভিন্ন মন্তব্য হতে বুঝতে পেরেছি মহান শিক্ষকতায়
নিয়োজিত আছ বলে । বৈবাহিক প্রসঙ্গ জানিনা কিছুই
তবে যদি কর্মটি হয়ে থাকে তবে তিনি সুদর্শন নিশ্চয়ই :)
তাই মনে হয় বয়স ২/৩ এ , যে সময়ের কথা তোমার মনে
নেই, সে সময়ে বেলের সাথে হয়েছিল, তাই এমন সুদর্শন
জুটেছে কপালে :) । হাহাহা সাহস করে ফাজলামী
একটু করলাম :)

তোমার মন্তব্যের শেষ অংশের প্রক্ষিতে না বলে আর পারছিনা
আমার শেষ বর্ষের ডাক্তারী পড়ুয়া মেয়েটা এই পোস্টের বেল
বিবাহের অংশ টুকু দেখে যতটুকু না হেসেছে তার থেকে বেশী
রেগে হয়েছে আগুন, সে তো বলেই দিয়েছে বেল যদি কোন
দিন আসে ঘরে তবে তার একদিন কি বেলের একদিন ।
এছাড়াও সে সিন্ধান্ত নিয়েছে তার ইউনিভার্সিটির রুল অনুসারে
এ বছরের মাঝামাঝিতে ইলেকটিভ বিষয় হিসাবে মাসখানেক
বিদেশী কোন সম্প্রদায়ের চিকিৎসার বিষয়ে বাধ্যতামুলক মাঠ
পর্যায়ের কর্মের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাই সে ও তার বিদেশী
বান্ধবী মিলে নেপালের এই সম্প্রদায়ের সাথে থেকে সেখানকার
এই বেল বিবাহটা ও এর ফলে তাদের মানসিকতা , শারিরিক ও
পরবর্তীতে তাদের বাল্য বিবাহে এর কি প্রভাব পরে তা পর্যবেক্ষন
করে প্রতিবেদন দিবে । বুঝ এখন ব্লগে লিখার ঠেলা কাকে বলে ।

যাহোক, তুমি আর মনিরা আপু এখন
এই বেল বিবাহ সামলাও আমি নাই
এর মাঝে।

ভাল লাগল আবার এসেছ বলে ।

৩৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বেল নিয়ে ব্যাফুক গবেষণার কারণে লেখককে " ডক্টর অব বেল" ডিগ্ৰী দিয়া সম্মানিত করা হইলো ! ( নো বেল পুরস্কার আইতাছে !)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । বেল নিয়ে গবেশনা মাত্র শুরু । ডক্টর উপাদি একটা আছেই । তবে বেল নিয়ে একটা পোস্ট ডক্টরেট করলে মন্দ হয়না ।
একজনে বলে গেছেন একুশে পদকের কথা আপনে বললেন নো বেল । তবে নো বেল না হলেও চলবে, কিন্ত বেল আমার চাই ।
অনেক ধন্যবাদ ভাল লাগল কথায় ।

শুভেচ্ছা জানবেন ।

৩৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: বেলের একমাত্র পুষ্টিগুণ ও ন্যাড়ার বেলতলা না যাওয়ার উপকারিতা ছাড়া বাকি সকল ব্যবহারিক কর্মকান্ডকে কুসংস্কার অথবা আত্ম/মানসিক প্রসাদ ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারলাম না !
অক্লান্ত পরিশ্রম করে ব্লগটি তৈরী করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না !
বলবো, সুস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনান্তে নিরন্তন ভালো থাকুন !

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্য ও সুস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনার জন্য ।
আপনার সুস্থ ও দীর্ঘায়ুর জন্যও রইল শুভ কামনা ।

৩৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭

সামিয়া বলেছেন: ইন্টারেস্টিং , কাঠের উপর খোদাই করা গহনার বাক্সটা আমার পছন্দ হয়েছে ভাইয়া।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্ট টি ইন্টারেস্টিং অনুভুত হওয়ায় ভাল লাগল
কাঠের উপর খোদাই করা গহনার বাক্সটা পছন্দ হ ওয়ায়
এ দারু চারু শিল্পটিকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার
অনুপ্রেরণা পেলাম ।

কাঠের উপরে খোদাই কাজ করা গহনার বাক্স নিয়ে রয়েছে
অনেক কাব্য কথা, এই সামু ব্লগেও আছে মেহগনি কাঠের
গহনার বাক্স নিয়ে মনিরা সুলতানা আপুর লিখা
একটি সুন্দর কবিতা ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৩৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বেল বিবাহ সত্যিই একটা চমকপ্রদ তথ্য

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বেল বিবাহ সত্যিই নেপালের নেওয়ার হিন্দু
সম্প্রদায়ের কাছে এটা একটি গুরুত্বপুর্ণ সামাজিক প্রথা ।
আপনি দেশে বিদেশে বিশেষ করে এশিয়ার এ অঞ্চলের দেশগুলিতে
ভ্রমনে যান মাঝে মাঝেই । তাই আবার কখনো নেপালে গেলে নেপালের
কাঠমুন্ডু ভেলী এলাকার এই বিবাহ সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ সচিত্র তথ্য সংগ্রহ
করতে পারেন বলে মনে করি ।

ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল

৩৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বেল নিয়ে অনেক দেশী বিদেশী কথা-উপকথা জানলাম। এমন ভাবে বাংলাদেশের প্রতিটা ফল নিয়ে আপনার কাছে বিশ্লেষণী পোষ্ট চাই। আচ্চা বেল বিয়ে সেই বেলটিকে কতোদিন ওরা ধরে রাখে? এক সময় তো বেলটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কাথা।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সাদা মনের মানুষ ভাই , আগেও বলেছি আমি আপনার পোস্ট হতে অনেক প্রাথমিক তথ্য পাই , সে গুলিই পরে আমি প্রয়োজনমত আমার মত করে সাজাই । চেষ্টা করব আপনার অনুরোধ রক্ষা করতে ।
বেলের বিষয়টা আমাকেও ভাবাচ্ছে এটা কত দিন ভাল থাকে কিংবা রাখতে হয় । তাই এই বিষয়টা আরো একটু ভাল করে জানতে চেষ্টা করব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

বেল নিয়ে এই মহাআখ্যান, এই বিশাল পর্বটির মাধ্যমে অনেক অজানার জানা হল। বেলের পাতার গুণ, বেলের শুট, বেলের ওষধি ব্যবহার, সুগন্ধিকারক গুণ জানা হল। কি করে বেলের চাষবাস কিভাবে করে, কিভাবে বেলের গুণাগুণ মান আমাদের উপকৃত করে জানলাম। সেই সাথে বেলের কাঠের যে এত কদর, শিল্পগুন সেও জানা হল। এমন বৃক্ষের এই অবদান স্মরনে কবি রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন-

মাটির অন্ধগর্ভ হতে শুনেছিলে সূর্যের আহব্বান
সেই থেকে বৃক্ষ তুমি প্রথম আদিপ্রাণ!




আসলেই প্রকৃতির মাঝে এতগুণ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই সবুজ বনানীতে কত কিছুই না আছে তা বলে শেষ করার নয়। এই জন্যই এলবার্ট আনইন্সটাইন বলেছিলেন-

Look deep into the nature and you will understand everything better.

তবুও বৃক্ষের প্রতি এমন ভালবাসা আজকাল আর দেখা জায় না। অনেক মুল্যবান গাছপালা হারিয়ে যেতে বসেছে। বৃক্ষের উপকারী গুণ, পৃথিবী এই বিশাল ভান্ডার মানুষের লোভে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এই জন্য মহাত্মা গান্ধী আক্ষেপ করে বলেছিলেন-

Earth has many things to provide every human's need, not every human's greed.


আমাদের এই পৃথিবীকে বসবাসযোগ্য করতে হলে আরো সুন্দর বৈচিত্র্যময় রাখতে হলে এই মুল্যবান সম্পদ ধরে রাখতে হবে। নয়ত একসময় মানুষের লোভে সব উজার হয়ে যাবে। বারাক ওবামার মত তাই আমাদের এই প্রকৃতি রক্ষায় উদাত্তস্বরে বলতে হবে-

We must stand united to protect our trees, forests, swamp lands, to build a green planet.




২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ , এই বিশদ তথ্যপুর্ণ মন্তব্যের কথামালায় আমি মুগ্ধ ।

এই অতি সাধারণ একটি পোস্টে উঠে এসেছে

বিশ্ব কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ও তাঁর কবিতার চরণ

বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী এলবার্ট আনইন্সটাইন এর নাম
ও তার মুল্যবান উদ্ধৃতি ।

আরো উঠে এসেছে গাছ ও প্রকৃতি নিয়ে মহাত্মা গান্ধীর মুল্যবান উক্তি ।

বারাক ওবামার মত বিখ্যাত রান্ট্রনায়কের আহ্বান সম্বলিত বার্তা ।

মুল্যবান উদ্ধৃতি ও উক্তিগুলির সংযোজন এই পোস্টটিকে নিয়ে গেছে অনেক উচ্চতায় ।

এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৩৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

শায়মা বলেছেন: ৩৭. ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২ ০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বেল নিয়ে অনেক দেশী বিদেশী কথা-উপকথা জানলাম। এমন ভাবে বাংলাদেশের প্রতিটা ফল নিয়ে আপনার কাছে বিশ্লেষণী পোষ্ট চাই। আচ্চা বেল বিয়ে সেই বেলটিকে কতোদিন ওরা ধরে রাখে? এক সময় তো বেলটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কাথা।

ভাইয়া বুঝলে না সেই সময় বালিকার বেল হাসব্যান্ডের মৃত্যু হয়!!!!!!!!! :P

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আপুমনি



দয়া করে এই পোস্টে তোমার মন্তব্যের
প্রতি উত্তরগুলি একটু দেখলে বুঝতে
আমি কি বুঝলাম। তবে এতটুকু বুঝলাম
এ বিষয়ে আমার আরো অনেক স্টাডি
করতে হবে ।

শুভেচ্ছা রইল

৪০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ভাবুক কবি বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল পোস্ট

ধন্যবাদ এমন বেলময় পোস্টের জন্য

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার প্রতিও রইল ধন্যবাদ

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

৪১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

জুন বলেছেন: @শায়মা
আমার মনে হয় ওই বেল স্বামী যদি কতবেল হতো তবে তুমি অবশ্যই ভাংতে। এ ব্যাপারে আমি শিউর। কেউ তোমাকে আটকে রাখতে পারতো না। :P
@ মনিরা শায়মা আমাদের সুন্দর হতে দিতে চায়না B:-/
=p~

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এই সামু ব্লগের শ্রদ্ধেয় তিন মহিয়সি নারী
জুন আপু, মনিরাপু ও শায়মা আপুরা মিলে
এই বেল বিবাহ ও বেল দিয়ে রূপ চর্চাকে
যতটুকু গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন তাতে
এই বাল্য বিবাহ প্রথাটি সহ
বেল নিয়ে রূপ চর্চার একটি গতি হবে
বলে মনে হচ্ছে । এখানে আমার
কিছু করনীয় নেই । আমি শুধু বলতে
পারি ও অাপুমনিরা তোমরা কোথায়
এসে দেখ যাও জুন আপু কি বলছে । :)

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য
শুভেচ্ছা রইল

৪২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,



দারুশিল্পিদের কুঁদে কুঁদে তোলা দৃষ্টিনন্দন শিল্পের মতোই নিপাট একটি লেখা । সবটুকু স্মৃতিতে অবিকল রেখে দিতে মনে হয় , বেলের সরবত অল্প মিছরির গুঁড়ো মিশিয়ে প্রত্যহ একবার করে খেয়ে যেতে হবে !
বেলের শরবতের মতোই সহজ ও সুখপাচ্য লেখা । জ্ঞানের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে এতে ।

কাঠের নিখুঁত কারুকাজগুলোই ভালো লাগলো বেশি ।
চমৎকার একটি এম, এ, আলীয় পোস্ট ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই
আমি মনে মনে আপনাকেই কামনা করেছিলাম,ভাবছিলাম পেয়ে যাব অচিরাৎ হলোও তাই ।


বেল কথন নিয়ে এ লিখাটিতে অত্যাবশ্যকীয় ভাবেই উঠে এসেছে এর কিছু খাদ্য ও ভেষজগুণের কথা । আয়োর্বেদিক সাস্রীয় সুত্র গুলি হতে বহল উল্লেখিত কিছু নির্বাচিত কথা তুলে ধরেছি এখানে , তবে এও বলে দিয়েছি এগুলি প্রয়োগের পুর্বে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে । আয়োর্বেদিক সাস্রের কথাগুলো বহূ পুরানো , এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান গিয়েছে অনেক এগিয়ে । আমার দাদীর ভাই সম্পর্কে আমার দাদা ছিলেন একজন নামকরা হাকিম ( আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক )উনার সংগ্রহে ছিল আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার উপরে অনেক পুথিপুস্তক, তাঁর চিকিৎসায় অনেক কঠীন রোগের হত নিরাময় । পেটের পিড়া সহ কিছু রোগের চিকিৎসায় হতে দেখেছি বেল, বেলশুট ও বেলপাতার প্রয়োগ । যাহোক, সে অনেক কথা । আপনার মত একজন
খ্যাতিমান চিকিৎসকের কাছে বেলের গুনাগুন যে নয় অচেনা তা আমার ভালই জানা । যাহোক, চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই মডার্ন যুগে বেলের বিকল্প আরো উত্তম চিকিৎসা রয়েছে ,তাই এ বিষয়টি নিয়ে তেমন আর কোন কথা নেই ।

কাঠের কারু শিল্পের বিকাসই ছিল আমার লিখাটির একটি অন্যতম উদ্দেশ্য । এই শিল্পটির রয়েছে দেশে বিদেশে বিশাল উপযোগীতা । গ্রামীন ছুতারেরা এ কারু শিল্পের প্রধান রূপকার হলেও আধুনিক প্রয়ুক্তি প্রয়োগ করে একে অন্যতম একটি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে রূপান্তর করা যায় । এই দারু কারু শিল্পে বেল কাঠই যে ব্যবহার করতে হবে তা কিন্তু নয় । যে কোন উপযুক্ত কাঠই হতে পারে এ শিল্পের উপাদান । তবে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হল এ শিল্পের জন্য দক্ষ দারু কারু শিল্পী তৈরী করা । দেশের সুধী জনেরা ও সংস্লিষ্ট সকলে এ বিষয়টির প্রতি মনযোগী হলে দেশে এর সুন্দর বিকাশ ঘটবেই ঘটবে বলে আমার বিশ্বাস ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ কাষ্ঠ খোদাই কাজগুলো আপনার কাছে ভাল লেগেছে বলে ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।


৪৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১০

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: বেল বিবাহ! দারুণ ব্যাপারতো। আগে জানাই ছিলনা এই সম্পর্কে। অসাধারণ পোস্ট। খুবই ভাল লাগল। তবে হাতি বেচারার বেল পাতা খেতে না পারার ব্যাপারটা কষ্ট দিল। সত্যি দুষ্টু বেল পাতা খুবই টক :)
বেলের ঔষধি গুণাগুণ ও শৈল্পিক গুণাগুণ জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এমন তথ্যবহুল একটি পোস্টের জন্য।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বেল বিবাহ দারুন লেগেছে জেনে ভালই লাগল । ঘুরে আসুন না একবার নেপালের কাঠমুন্ডু ভেলী হতে ।
সুন্দর একটি ভ্রমনও হবে আবার এই বেল কুমারীদের বিবাহও দেখা হবে , জানা হবে অনেক ।


'সত্যি দুষ্টু বেল পাতা খুবই টক' , এই কথাটি খুব ভাল লাগল

পোস্টটি তথ্যবহুল অনুভুত হয়েছে বলে প্রীত হলাম ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

৪৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২৯

কাঠমিস্ত্রি বলেছেন: অসাধারণ তথ্যবহুল লেখা। আপনাকে ভালোই পরিশ্রম করতে হয়েছে। লেখাটা পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম ।
লিখাটি মুলত যাদের জন্য বেশী প্রযোয্য অর্থাৎ দারু কারু শিল্পী তথা ছুতার তথা কাঠমিস্ত্রি যারা কাষ্ঠ খোদাই শিল্পে পারদর্শী তাদের মধ্য থেকে একজন এই পোস্ট এর লিখাটি দেখেছেন বলে নীজকে কৃতার্থ মনে করছি :)
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

৪৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৫১

রোকসানা লেইস বলেছেন: বেলের কথা মালা কাণ্ডকারখানা জেনে রাখলাম। এত্ত কিছু জানা ছিল না।
বেশ পরিশ্রমী পোষ্ট। শুভেচ্ছা

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ পোস্টটি দেখার জন্য
আপনার জন্যও রইল অনেক শুভেচ্ছা ।

৪৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ পোস্টটি দেখার জন্য
আপনার জন্যও রইল অনেক শুভেচ্ছা ।

৪৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার বেল কথন! ছবি এবং তথ্য মিলিয়ে নিঃসন্দেহে একটা অনবদ্য পোস্ট! তয় ভাবছি পোলা না হইয়া যদি বেল হইতাম, তাইলে মনে হয় এতদিনে আমার একটা গতি হইয়া যাইতো! মাত্রা ছাড়ানো আপচুচ আইসা জমা হইতাছে বুকের মধ্যে..... :( ;)

প্রিয় ফল না হলেও বেল খাওয়া আছে! এমনকি বাড়িতে কদবেল এবং সেরফল মিলিয়ে কয়েকটা গাছও আছে! সেরফল-এর মধ্য আঁঠা থাকায় খাইতে ভাল লাগে না, তবে কদবেলরে ভাল পাই! :)

চমৎকার পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্ট নিয়ে আপনার প্রসংসায় আল্পুত ।
বলেন কি এখনো গতি হয়নি, তাহলে তো খুবই ভাল আছেন ,
গতিরা সব ছুটে ছুটে আসবে । :)

কতবেল খুব কম বাড়ীতেই আছে। এটা আমার কাছে ভাল লাগে ।
আমাদের স্কুলের পাশে বাগানে একটি কতবেল গাছ ছিল,
স্কূলের টিফিন আওয়ারে দলবেধে বেল গাছ থেকে
ডিল দিয়ে দিয়ে পারতাম।এ কাজ করতে গিয়ে
সেই ছোটকালে বন্ধুদের মাথায় কত যে
ডিল পড়েছে আর নীজের মাথাতেও
পড়েছে তার কোন ইয়ত্যা নেই ।
শেরফলটা ঠিক চিনেতে
পারলামনা । এটাকি
আঠালো বেলফল
নাকি অন্য কিছু।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৪৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৪০

মহা সমন্বয় বলেছেন: লেখা লেখি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন নিশ্চই তাই আপনার জন্য বেলের শরবত করে নিয়ে আসলাম। B-)
হাঃ হাঃ এটা তো আমাদের জন্য এক বেলপিডিয়া :D বেল নিয়ে অনেক তথ্যই জানা হল।
বেলের বিভিন্ন উপকারের কথা জানি কিন্তু বেল কাঠ দিয়ে যে ফার্নিচারও হয় তা আগে জানতাম না। শিল্পকর্মগুলো দারুণ কিন্তু ওগুলো কি সত্যিই বেল কাঠের??? :-*
লেখা লেখি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন নিশ্চই তাই আপনার জন্য বেলের শরবত করে নিয়ে আসলাম। B-)


২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ফর ফ্রেস বেলের সরবত ।
অনেক সরবত, কামনা করি আপনিও শরিক থাকুন ।


বেলের কাঠ খুব ভাল , তবে পাওয়া যায় কম । ভাল মেচিউর্ড
বেলগাছের সংখ্যা খুবই কম। অতীতে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই
দু একটা বেলগাছ ছিল , এখন ফলের গাছ লাগানোর জন্য
জমির পরিমান ক্রমেই কমে অাসছে। মানুষ এই উপকারী
বেলগাছটি লাগায় কম । গাছে ফল আসতে কম পক্ষে
৮/১০ বছর লেগে যায় । তাই এই উপকারী গাছটির
আবাদ বৃদ্ধির জন্য নানামুখী প্রচেষ্টা এই কাঠের
ফার্নিচার ও কারুশিণ্প একটি উপলক্ষ মাত্র তবে
হতে পারে দারু কারু শিল্পের জন্য একটি
অন্যতম উপাদান, তাতে কোন সন্দেহ
নেই । প্রদর্শিত চিত্রগুলি মুলত কাস্ট
খোদাই শিল্পের কিছু নিদর্শন মাত্র।
বিভিন্ন লিটারেচার থেকে এদের
কথা জানা যায়,এর সঠিকতা
তারাই জানেন। তবে জানা
যায় এ কাজের জন্য বেল
কাঠ খুবই উপযোগী ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:১৮

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা.... কি মন্তব্য করবো =p~ । মনিরা, শায়মা আর জুনাপুদের মন্তব্য দেখে আমি উপযুক্ত বেল পা্ত্র চাই বলে বিজ্ঞাপনের চিন্তায় আছি .... বলাতো যায় না যদি কোন ব্লগের আপুনির গতি করতে পারি B-))

তবে মনিরাপু, চিন্তা নাই তার আগেই বেলফুল জোগাড়ের জন্য অনলাইনে সার্চ দিব........ সুন্দরী হবার জন্য বয়স বা সময় লাগে না... দেখেন না এলিজাবেথ আন্টি ১০০ বছরেও বেল পাতা ঘষে কি সুন্দরী :-B :-B


আর আলী ভাই কি শুরু করেছেন আপনি... টিউলিপের মাত্র বাল্ব্ লাগিয়েছি, দুইটা পাতা মাত্র গজাইছে। এরপর দিলেন ভোদর ধরায়ে... সেটা গুগুল সার্চ দিয়া মাত্র তথ্য সংগ্রহ করে বসতে না বসতেই.... দিলেন বেল ধরায়ে... X(

যাহোক ভাগ্যিস নেপালে জন্মাই নাই নতুবা শায়মার মতো হয় মাথায় বেল ভাংতে হতো নতুবা বেল বিধবা হয়ে জীবন কাটাতে হতো ;)

মনে পড়ে দাদুর বাড়িতে একটা বেল গাছ ছিল। বেলফুল যে কতটা সুন্দর আর কতটা সুঘ্রান এখনো মনে পড়ে। তখন মাত্র মেঝ কাকীমা নতুন বউ হয়ে আসলো.. অসাধারন সুন্দরী আর রুপান্জেলের মতো চুলের কাকীমার সাথে খাতির জমাতে যে কদিন ছিলাম প্রতিদিন বেলফুলেন মালা কাকীমার খোঁপায় দিতাম........ আহ্ সে সব দিন :((

অনেক অনেক ভালোলাগা.............

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

আশা করি বেল পাত্র পাওয়ার জন্য আপনার বিজ্ঞাপনটি অনেকের উপকারে আসবে ।
যতশীর্ঘ হবে ততই উত্তম ।

আমি ঘরের ভিতর টবে টিউলিপ বাল্ব লাগিয়েছে ২৩শে ডিসেম্বর , জাুনুয়ারীর ২০ তারিখ একটি দন্ডে সাদা ফুল ফুটেছে , আরো তিনটি ফোটার অপেক্ষায় আছে । আপনারটায় কতদিনে ফোটে জানালে খুশী হব ।

খোদা না করুন, বেল বধুরা বিধবা হলেও সধবার মত জীবন যাপন করতে পারে , অন্য বিধবাদের মত তাদের দু:সহ জীবন যাপন করতে হয়না , এটা নেপালের হিন্দু নেওয়ারী সম্প্রদায়ের জন্য একটি বিশাল সামাজিক অর্জন বলে গন্য, তাই সনাতন হিন্দু সম্পেদায়ের সমাজপতিদের কাছে এটা গাত্রদাহের কারণ । প্রতি বছর ৫০০ নেওয়ারী কুমারী কন্যার বেশ ঘটা করে বেলের সাথে প্রথম বিয়েটি অনুস্ঠিত হয় । যদি সময় সুযোগ পান কোন এক হলিডেতে নেপালের কাঠমুন্ডু ভেলী হতে ঘুরে আসতে পারেন । হিমালয়ের অপরূপ দৃশ্যের সাথে এই নেপালী মেয়েদের বেল বিবাহটিও দেখে আসতে পারবেন ।

আপনি ঠিকই বলেছেন বয়স কোন ফেকটর নয় , বেল ফুল দিয়ে যারা নিয়ম মোতাবেক রূপচর্চা করবে অতি অল্প দিনেই তাদের চেহারা গোলাপের ন্যায় কমনীয়, পদ্মের ন্যায় উজ্জ্বল ও পূর্ণচন্দ্রের ন্যায় বিকশিত হয়ে ওঠবে তাতে কোন সন্দেহ নে্ই ।


আপনার দাদু বাড়ির গল্পটা ভাল লাগল, সকলের জন্য শুভেচ্ছা রইল ।

ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।

৫০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪৭

ভাবনা ২ বলেছেন: বেল কথা, ছবি ও বেলের সাথে বিবাহের ইতিহাস ভাল লাগেছে
একটি অসাধারণ পোস্ট।
পোস্টে+++++

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্টটি ভাল লাগল বলে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

৫১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

রানা আমান বলেছেন: একটা বড় পোস্টের প্রতিটি লাইন পড়ার আগ্রহ সবাই তৈরী করতে পারেনা , আপনি পেরেছেন ডঃ এম এ আলী ভাই । চমৎকার পোস্টে ভাল লাগা! ভালো থাকবেন ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার অকুন্ঠ প্রসংসায় আমি আপ্লুত ।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।

৫২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সে-ই-------ই এলাহি কাজ-কারবার আপনার পোস্টে!!!!


এত চমক জাগানিয়া ইনফোরমেশন আপনি পাইলেনন কই? :||


বিয়ের প্রথার নানান অদ্ভুত কিছু কানে এসেছিল কিন্তু এইরকম ৩ টা বিয়ে তাও আবার পয়লাটা পাতার সাথে!!

প্রতিবেশী নেপালের এই ব্যাপারটা খুবই চরম লাগলো!!!!!

:)

শুভকামনা জানবেন। :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ইনফরমেশন সুত্রগুলি পোস্টে উল্লেখিত ।

বেলের সাথে নেপালী নেওয়ারী সম্প্রদায়ের হিন্দু কুমারী মেয়েদের বিবাহের বিষযটি
আমাকেও অভিভুত করেছে ।

শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি এসে দেখায় আনন্দিত হলাম । :)

শুভেচ্ছা রইল ।

৫৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

আখেনাটেন বলেছেন: তথ্য-ছবি-উপাত্তে যেভাবে পোষ্টকে সাজিয়েছেন এককথায় অসাধারণ। এতো পরিশ্রমলব্ধ লেখা ইদানিং মূলধারার পত্রিকাতেও দেখা যায় না।

আর বেল নিয়েও যে এত্তবড় লেখা লেখা যায় তা পোষ্ট না পড়লে জানা মুশকিল। বেলের এতসব বাহারী ব্যবহার দেখে ভালো লাগল।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আখেনাটেন ।
আপনার প্রসংসামুলক মুল্যবান মন্তব্যে আমি
আপ্লুত ।

বেল লিখে গুগলে সার্চ দিলে কিছু লিখা দেখা যায়,
সব গুলিতেই দেখি বেল নিয়ে প্রায় একই রকম
গতানুগতিক কিছু কথা । তাই ভাবলাম বেল নিয়ে
আমাদের সাংস্কৃতিক কিছু ঐতিহ্যের দিক তুলে
ধরে একটি লিখা লিখলে কেমন হয় । সামুর পাতা
সহ এটাকেও হয়তা দেখা যাবে গুগলে বেল কথন
লিখে সার্চ দিলে । আর কিছু না হোক বেল নিয়ে
কিছুটা বৈচিত্রময় একটি লিখা থেকে যাবে সেখানে।

সামুর পাতায় অনেক লিখক এবং পাঠকের
ভাললাগা দেখেও অনেক আনন্দ লাগছে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৫৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

নীলপরি বলেছেন: পোষ্টটা দেখেছিলাম । কিন্তু একটু অনিয়মিত হয়ে যাওয়ার জন্য পড়তে দেরী হয়ে গেলো ।

কমন একটা বিষয়ে অনেক অজানা তথ্য জানলাম । খুব ভালো লাগলো ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় কবি নীলপরি । বেল বিবাহ কেমন লাগল ?
পোস্ট ভাল লাগায় খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৫৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বেল উপকারী ফল এটুকুই জানতাম। কিন্তু, বেল যে এতটা উপকারী আর কাজের তা আগে জানতাম না। বেলের গুণাগুণ সাথে কাঠের শিল্প অংকন দেখে মুগ্ধ। প্রিয়তে রাখলাম, পরে আরেকবার পড়বো।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ নয়ন ভাই ,
পোস্টে মুগ্ধ হওয়ায় অামি আপ্লুত
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৫৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখক বলেছেন: কুমারী কন্যাদের বেলের সাথে বিবাহ কর্মটির বিষয়ে আপনাদের মত দুই জন গুনী মহিয়সি নারীর বিদ্রোহটি বেশ ভাবিয়ে তুলেছে । বিষয়টি নিয়ে আরো বিশদ পরিসরে গবেষনা করতে হবে । এটা মনে হচ্ছে একটি বিশাল সামাজিক সংস্কারের আওতাধীন ।
ফেমিনিস্ট সোসসিউলজিস্টরা এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে পারেন বলে আমার ধারনা । আমি বৃটিশ সোসসিউলজি এসোসিয়সনের একজন সদস্য হিসাবে বিষয়টিকে যে কোন সুযোগে তাদের কাছে তুলে ধরার বাসনা রাখি । তবে যতটুকু জানতে পেরেছি তাতে দেখা যায়, নেপালের নেওয়ারী ও বৌদ্ধ উভয় সম্প্রদায় এটাকে শতাব্দীকাল ধরে ধর্মীয় বিশ্বাস হিসাবে পালন করে আসছে পরম শ্রদ্ধা ভরে । তাই একটি দেশের বড় সম্প্রদায় যারা শিক্ষা্ ও বহুবিদ বিষয়ে বেশ অগ্রসরমান তাদের ধর্ম বিশ্বাসের মুলে আঘাত আসে এমন বিষয় নিয়ে কথা বলতে হবে সকলকে সাথে নিয়ে যৌক্তিক ভাবে ।


আলহামদুলিল্লাহ আমি ভাগ্যবান যে আমি আমার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি ,নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের চার কন্যার একজন হয়েও নিজেকে কখন ও সমাজের অপ্রয়োজনীয় একজন হিসেবে মুহূর্তের ভাবনা ও আসে নাই ।
আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমি ভাগ্যবান যে আমার জন্ম ,নেপাল ,ভারত , শ্রীলংকা ,এমন সব দেশে না হয়ে বাংলাদেশে হয়েছে ;

ফেমিনিস্ট সোসসিউলজিস্টরা শুধু না এমন ব্যাপারে পরিবার গুলোর ই এগিয়ে আসবার কথা ছিলো ভাইয়া :(
বিশ্ব সুন্দরী হবার পর ও ঐশ্বরিয়া কে বার কয়েক কলা গাছের সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছে ,বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট তাকে কুকুরের সাথে বিয়ে হওয়া থেকে রক্ষা করেছে মাত্র ।

============================================================================
শায়মা কে দেয়া আপনার মন্তব্য প্রতিউত্তরের শেষ অংশ
তোমার মন্তব্যের শেষ অংশের প্রক্ষিতে না বলে আর পারছিনা
আমার শেষ বর্ষের ডাক্তারী পড়ুয়া মেয়েটা এই পোস্টের বেল
বিবাহের অংশ টুকু দেখে যতটুকু না হেসেছে তার থেকে বেশী
রেগে হয়েছে আগুন, সে তো বলেই দিয়েছে বেল যদি কোন
দিন আসে ঘরে তবে তার একদিন কি বেলের একদিন ।
এছাড়াও সে সিন্ধান্ত নিয়েছে তার ইউনিভার্সিটির রুল অনুসারে
এ বছরের মাঝামাঝিতে ইলেকটিভ বিষয় হিসাবে মাসখানেক
বিদেশী কোন সম্প্রদায়ের চিকিৎসার বিষয়ে বাধ্যতামুলক মাঠ
পর্যায়ের কর্মের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাই সে ও তার বিদেশী
বান্ধবী মিলে নেপালের এই সম্প্রদায়ের সাথে থেকে সেখানকার
এই বেল বিবাহটা ও এর ফলে তাদের মানসিকতা , শারিরিক ও
পরবর্তীতে তাদের বাল্য বিবাহে এর কি প্রভাব পরে তা পর্যবেক্ষন
করে প্রতিবেদন দিবে । বুঝ এখন ব্লগে লিখার ঠেলা কাকে বলে ।


আপনার কন্য , মা মনির জন্য অনেক ভালোবাসা অনেক শুভ কামনা ও দোয়া !
আমরা অনেক কিছুকেই অতিক্রম করতে পারি নাই আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অনায়াসে তাদের জয় করবে বলেই আমার বিশ্বাস ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অনেক অনেক খুশী হয়েছ আপুমনির কথা শুনে ।
‌এই বেল কুমারী বিবাহের অন্ধ ধর্মীয় কুসংস্কৃতির বিষয়টি
নিয়ে অনেকেই বেশ সরব হয়েছেন বলে দেখা যাচ্ছে ।
বিষয়টি অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে ।

কুটনৈতিক পরিবা্রে থেকে দক্ষীন এশিয়ার দেশগুলির
বিভিন্ন সংস্কৃতি ও কৃস্টির সাথে আপনার জানাশুনা
অনেক বেশী । আপনার গল্প কবিতার লিখনীতে এরকম
ধর্মীয় অপসংস্কৃতি ও অন্ধবিশ্বাস মুলে কশাঘাত
দেয়ার জন্য কলম উঠতে পারে ঝলছে , এতেই ফল হবে
বেশী, মানুষষের কোমল মনে কবিতা ও গল্প যত না ঝড়
তুলতে পারে তা আর অন্য কিছুতেই সম্ভব নয় ।
আশা করি প্রচেষ্ঠা অব্যাহত থাকবে ।

আপনার শুভেচ্ছা ও দোয়া জানিয়ে দেয়া হয়েছে মেয়েটাকে।
আপনার প্রতি সে ছালাম জানিয়েছে ।

সে তার বান্ধবী মহলে
বেল কুমারী মেয়েদের বিবাহ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড়
তুলেছে । বিদেশী মেয়েরা নেপালী এই কুমারী কন্যাদের
বেলের সাথে বিবাহ দেখে বিস্মিত ও বিক্ষোভে ফেটে
পরেছে । শত শত বছরের পুরানো একটি অন্ধ ধর্মীয়
বিষয়ের বিপক্ষে জনমত গঠনে আমার পোস্টটি একটু
হলেও ভুমিকা রাখায় নীজকে ধন্য মনে হচ্ছে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।


৫৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৪

জেন রসি বলেছেন: বেশ কিছুদিন ব্লগে ছিলামনা। আপনার পোস্টগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ। মনযোগ দিয়ে পড়ার কথা শুনে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৫৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ। মনযোগ দিয়ে পড়ার কথা শুনে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল

৫৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ব্যস্ততার কারনে, দেরিতে পড়া! পড়ে মুগ্ধ!!!!!
শ্রমসাধ্য চমৎকার পোস্টের জন্য অভিনন্দন !!!!!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই, কেমন করে আপনার এত সুন্দর মন্তব্যটির উত্তর না দিয়ে পরের মন্তব্যের উত্তর দিয়েছি তার কোন
কুল কিনারা পাচ্ছিনা । এমন কর্ম আমার একেবারেই নাই বললেই চলে । কোন ভুলে যে এমন কাজ করেছি তা ভেবে নীজকে খুবই অপরাধি এবং লজ্জা অনুভব করছি । আশা করি আমার এই অমার্জনীয় ভুলের জন্য নীজ গুণে ক্ষমা করবেন ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৬০| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: হিন্দুরা বেল কাঠও পবিত্র জ্ঞান করে বিধায় কখনো বেল কাঠ পুড়িয়ে রান্না করে না। -- এ কথাটা আগে জানতাম না। ধন্যবাদ।
যারা খেছেছেন তারা বুঝতে পারবেন এর স্বাদই আলাদা। -- আমি খেয়েছি এবং আমি একমত।
সব ফল পাকলেই তার গুণের উৎকর্ষ ঘটে, বেলের ক্ষেত্রে সেটি উল্টো। বেল কাঁচাই উপকারী। কাঁচা বেল অমৃতের সমান গুণকর। -- এ তথ্যটাও আগে জানা ছিলনা। জেনে সমৃদ্ধ হ'লাম।
যে সমস্ত ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করেও তা মনে রাখতে পারে না, তাদেরাকে বেলের সরবত অল্প মিছরির গুঁড়ো মিশিয়ে প্রত্যহ একবার করে খেতে দিলে অল্প দিনেই তাদের স্মরণ শক্তি বেড়ে যায় এবং মেধাশক্তি প্রবল হয় -- বাহ! চমৎকার তথ্য!
বেল কষ্টসহিষ্ণু গাছ এবং যে কোনো মাটিতে জন্মাতে পারে -- এটাও একটা চমৎকার তথ্য! ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি এমন একটা তথ্যবহুল, উপকারী পোস্ট দেয়ার জন্য।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা রইলো...

০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।
বেল কথন ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম ।
বানান ভুল নিয়ে বেশ সমস্যাতেই আছি
প্রিন্ট মিডিয়াতে তেমন কোন সমস্যা হয় না
কেননা সেখানে প্রুফ রিডার সার্ভিসটা ভাল
পাওয়া যায় , কিন্তু এখানে অনলাইনে লিখায়
সমস্যাটা থেকেই যায়, ইংরেজীর মত
বানান ভুলের জন্য ভুল শব্দের নীচে একটি
লাল দাগ আসতো আর অটো কারেকসনের
সুযোগ থাকতো তাহলে কতই না ভাল হত,

কৃতজ্ঞতা জানবেন ভুল
দেখিয়ে দেয়ার জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল


৬১| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মধ্য আষাঢ় থেকে মধ্য শ্রাবণ পর্যন্ত চারা রোপণের উপযুক্ত সময় -- বৃক্ষপ্রেমীদের কাছে এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
মনিরা সুলতানা এর সরস মন্তব্য (১৪ নং) ভাল লেগেছে।
একটা বড় পোস্টের প্রতিটি লাইন পড়ার আগ্রহ সবাই তৈরী করতে পারেনা , আপনি পেরেছেন ডঃ এম এ আলী ভাই -- রানা আমান এর এই মন্তব্যটা যথার্থ। আমি একমত।

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , খুশী হলাম প্রসংসা মুলক কথায় ।
শুভেচ্ছা রইল

৬২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: শুধু আমি নই, বংশগত ভাবে আমাদের গোষ্টি বেল কতবেলের ভক্ত। বেল কতবেল নিয়ে আমার জীবনে মজার মজার ঘটনা আছে আমি অবস্যই ব্লগে লিখবো। ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাই, বেল নিয়ে এতো তথ্য দেয়া লেখা আমার জীবনে আমি কখনো পড়িনি। আমি প্রিয়তে নিয়ে রেখেছি যাতে কখনো কোনো তথ্য চাইতে সাথে সাথে পেয়ে যাই।

আপনাকে একটি মজার তথ্য দিতে চাই, মোঘল সাম্রাজ্যের বাদশাহদের পছন্দের একটি পানীয় ছিলো পাকা বেলের শরবত। এটি বাদশাহ বাবরের আদরের কন্যা ও বাদশাহ হুমায়ুনের আদরের ভগ্নি গুলবদনের “বাবুর নামা” তে উল্লেখ আছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ , গুষ্ঠিসুদ্ধ বেল ভক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে দেখে ভাল লাগল ।
হা এই মহাগুণী বেল নিয়ে ব্লগে লিখুন । এর অআবাদ বাড়ুক দেশ জুরে ।
এর বানিজ্যিক মর্যাদা বাড়ুক বিশ্বময় , পেটের পিড়ায় রাসায়নিক ফ্লাজিলের
ব্যবহার দুর হোক, মানুষ ব্যবহার করুক কাঁচা পাকা বেল ও শাহী বেলের
সরবত । প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.