নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিউজিল্যান্ডের হয়াংগানুই নদীর জীবন্ত মানুষের সমান আইনগত অধিকার প্রাপ্তি : বাংলাদেশ প্রসঙ্গসহ একটি সচিত্র বিবরণ

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:২৫


নিউজিল্যান্ডের এক নদীকে বিশ্বে এই প্রথমবারের মতো মানুষের সমান আইনগত অধিকার দেয়া হচ্ছে।
গত ১৫ ই মার্চ ২০১৭ তারিখে নিউজিল্যান্ডের সংসদে একটি বিল পাশ করা হয়েছে যেখানে হয়াংগানুই (Whanganui ) নদীকে জীবিত সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। নদীর এই ঐতিহাসিক অর্জনটি পৃথিবীব্যপী সকল সংবাদ মাধ্যমে ফলাওভাবে প্রচার হয়েছে ।

নিউজিল্যান্ডের প্রধান জাতিসত্তা মাওরি গোত্র ( Maori Tribe ) হয়াংগানুই নদীকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে দেখে থাকেন। মাওরিরা এই অধিকারটুকুর জন্য গত ১৬০ বছর ধরে লড়াই করেছে।

নিউজিল্যান্ড সেটেলমেন্ট এক্ট ১৮৬৩ অনুযায়ী ১৮৬৫ সনে হয়াংগানুই নদীর দুই তীরবর্তী তারানকি পাহাড় এলাকার মাওরি ট্রাইবসের ৩.০০ লক্ষ একর জমি নিউজিল্যান্ড সরকার বাজেয়াপ্ত করে । মাওরিদের নিকট হতে কেড়ে নেওয়া এই জমি ইউরোপিয়ান মিলিটারী সেটেলারদের কাছে বরাদ্ধ প্রদান করা হয়। সেই থেকে নদী ও জমি নিয়ে মাওরিদের সাথে নিউজিল্যান্ড সরকারের আইনি বিরোধ । সে সাথে যুক্ত হয় নদী হতে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য মাত্রাতিরিক্ত পানির ব্যাহার, নদী তীরে নগরায়নের ফলে নদী দুষনের কর্মকান্ড সমুহ । মাওরিদের কান্না আর নদীর কান্না মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় ।


এই আইনটি পাশের ফলে হয়াংগানুই জনগুষ্ঠি ক্ষতিপুরণ হিসাবে পাবে ৪৫ মিলিয়ন পাউন্ড আর নদীটি তার নীজের সুরক্ষার জন্য পাবে ১৭ মিলিয়ন পাউন্ড ।

এখন এই নদীর স্বার্থ দেখার দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া হয়েছে দু'জন মানুষের ওপর। এর জন হবেন ক্রাউন প্রতিনিধি ও অন্য একজন হবেন মাওরী নৃতাত্বিক জাতিগুষ্ঠির প্রতিনিধি ।

নিউজিল্যান্ডের কেবিনেট মিনিষ্টার ক্রিস্টফার ফিনলেসন বলছেন, মাওরিরা এই অধিকারটুকুর জন্য গত ১৬০ বছর ধরে লড়াই করেছে। লড়াইএর সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই পোষ্টের শেষ অংশে দেয়া হয়েছে ।


নদীটি নিউজিল্যান্ডের সেন্ট্রাল আইল্যান্ডে টংকারিউ পাহাড় অধিত্যকা হতে জন্ম নিয়ে ২৯০ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে তাসমান সাগরে পতিত হয়েছে । নদীটি নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় দীর্ঘতম নদী ।


আইনটি পাশের পর নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রী ক্রিস্টফার বলেন একটা প্রাকৃতিক সম্পদকে মানুষের আইনগত অধিকার দেয়ার ঘটনা অনেকের কাছে বিস্ময়কর বলে মনে হতে পারে।

সংসদের এই স্বীকৃতির ফলে নিউজিল্যান্ডের আদালতে এখন থেকে হয়াংগানুই নদীর পক্ষে কৌঁসুলিরা লড়াই করতে পারবেন।
সংসদে বিলটি পাশ হওয়ার খবরে মাওরি সম্প্রদায়ের লোকেরা আনন্দে কেঁদে ফেলেন। তারা খুশিতে নাচগান করতে থকেন।


মাওরিদের প্রতিনিধিত্বকারী এমপি এড্রিয়ান রুরাহে বলছেন, নদীই যাদের জীবন, নদীর ওপর যারা নির্ভরশীল, সার্বিকভাবে তাদের জন্য নদীর অস্তিত্ব খুবই জরুরি। তিনি বলেন এই নদীর কল্যাণের সঙ্গে মানুষের কল্যাণ সরাসরিভাবে জড়িত। তাই এর স্বতন্ত্র অস্তিত্ব স্বীকার করার বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড পত্রিকা খবর দিচ্ছে, সংসদের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি এক আইনি লড়াইয়ের অবসান ঘটলো।
এই নদীর জন্ম নিয়ে মাওরি জাতিসত্তার কাছে চালু আছে অনেক মিথ । মাওরী গল্প দাদুর ( নীচের ছবি) কাছ হতে শুনা কিংবদন্তির এই কাহিনীটির উপর ভিত্তি করে নিইজিলান্ডে ১৯৫২ সনে একটি ডকুমেন্টারী তৈরী হয়েছে , নিউজিলান্ড অর্কাইভ হতে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এর কিছু সচিত্র বিবরণ নীচে দেয়া হলো ।


গল্প দাদুর কথা অনুয়ায়ী হয়াংগানুই নদীর জন্ম বৃন্তান্ত নিয়ে যে সমস্ত মিথ রয়েছে তার সবগুলিই নিউজিল্যান্ডের সেন্ট্রাল উত্তর আইল্যান্ডের পর্বতমালাকে নিয়ে আবর্তিত । এর একটি মিথ অনুযায়ী সেন্ট্রাল উত্তর আআইল্যান্ড এলাকায় ‘রুফেলো’ নামে একটি আগ্নেয় পর্বত ( নীচের চিত্র ) একাকিত্ব অনুভব করতে ছিল ।


সে সময় আকাশ- পিতা ‘রাগিনিউ’ রুফেলো পর্বতের পাদমুলে দু ফুটা চোখের জল ফেলে দেন , যার এক ফুটা জল হতে হয়াংগানু নদীর জন্ম হয় । কিন্তু তারপরেও রুফেলুসের একাকিত্ব থেকেই যায় । ফলে তাকে সংগ দেয়ার জন্য আকাশ- পিতা নীচের ছবির মত আরো ৪টি পর্বতকে সেখানে পাঠালেন । এই চারটি পর্বত হলো টংগারিউ ( তার কাজ ছিল আকাশ পিতার দেয়া চোখের জলকে পাহারা দেয়া ) নাগাওরুহু , তারানকি এবং পিহাংগা ( পর্বত কুমারী ) ।


পিহাংগা পর্বতটি ছিল টংগারিউর প্রতিশ্রুত বধু । কিন্তু তারানকি তার প্রেমে মঝে এবং তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যেতে চায় । এতে টরাংরিউই খুবই ক্ষিপ্ত হয় । তাদের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায় । টংগারিউর বজ্রহুংকারে পর্বতচুড়ার উপরে নীচের ছবিরমত বিদ্যুত চমকাতে থাকে ।


ক্রুদ্ধ টংকারিউ তার ভিতর হতে অগ্নুতপাতের মত গলিত লাভা উদ্ঘিরণ করে তা তারানকার প্রতি ধাবিত করে ।


রাগাংন্বিত পর্বত টংগারিউর ছুড়ে দেয়া গলিত লাভার কাছে তারানকা পরাভুত হয় ।


টংগারিউ যুদ্ধে জয়লাভ করে এবং তারানকির এক পাশে বড় ফাটলের সৃস্টি হয় ফলে তারানকি পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় ।
তারানকি রাতের আঁধারে পশ্চিমের দিকে চলে যায় , যখন সুর্য উঠে তখন তারানকি তার বর্তমান অবস্থানেই থেমে গিয়ে স্থিত হয়ে যায় ।


স্থিত হওয়ার পরে তারানকি তার হারানো প্রেমিকা পিহাংগার জন্য খুব কাঁদতেছিল । এ সময় সৃর্যের কিরনের সাথে সে তার প্রমিকা পিহাংগাকে রেইন ক্লাউডের মধ্যে তার সাথে দেখতে পায় ।


এতে টাংগারিউ ক্ষিপ্ত হয়ে লাভা উদ্ঘিরণ করে তাকে আর ফিরে না আসার জন্য প্রকান্ড হুমকি দেয়


পরাভুত তারানাকা তার চলে যাওার পথে নীচের ছবির মত একটি গিরিপথের চিহ্ন রেখে যায়


দীর্ধদিন পর টংগারিউর ক্রোধের উপসম হলে সে তার এককালের সঙ্গী পর্বত তারানকিকে শিতল করার জন্য মনন্থির করে । তাই সে তার হেফাজতে থাকা আকাশ- পিতা প্রদত্ত দো ফোটা চোখের জল হতে কিছু জল দানের ব্যবস্থা করে ।


টংগারিউ তার তত্বাবধানে জমিয়ে রাখা কিছু জলের ধারা নির্ঝরের মত নীচের দিকে তারানকির রেখে যাওয়া গিরিপথের দিকে প্রবাহিত করে ।


ক্রমে ক্রমে হাজার হাজার নির্ঝর হতে ঝর্ণাধারার সৃস্টি হয়ে তা নীচে জলপ্রপাতের মত গড়িয়ে পড়ে ঘ


এখান হতেই জন্ম নেয় নীচের ছবির মত জলপুর্ণ স্রোতস্বিনী একটি নদীর ঘ


নদীটির নামকরণ নিয়েও রয়েছে একটি চমকপ্রদ কিংবদন্তি । এক আদিবসী জাতিগুষ্ঠির সর্দার ‘’হুয়াং’’ সাগরপারে তার পলাতক স্রীকে খুঁজার জন্য উপতক্যা বরাবর পশ্চিমের দিকে চলতে থাকে । কিছুদুর যাওয়ার পরে তার পথের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায় নীচের ছবির মত বিশালাকার এক খরস্রোতা নদী যা পশ্চিমের দিকে প্রবাহমান । এই নদী পারি দেয়ার জন্য তার কাছে সর্বোত্তম পন্থা বলে মনে হল Too wide to swim, too deep to wade, I will wait for the tide to turn" । এই চিন্তা হতে সে নদীটির নাম দেয় ‘হয়াংগানুই’ যার আক্ষরিক অর্থ হল – বড় অপেক্ষা (‘the big wait’ )।


এই নবসৃস্ট হয়াংগাইয়ুন নদীতে নীচের ছবির মত ডিঙ্গি ভাসিয়ে মাওরো উপজাতির লোকজন করে বিচরণ ও জীবিকার সন্ধান।


১৮৯০ সন হতে এই নদীতে স্টীম বোটে শুরু হয় পর্যটন ।


নদীতে পর্যটন শুরু হওয়ার ফলে এর গতানুগতিক ব্যবহার বিশেষ করে ইল ( গুতুম মাছ) শিকার হয় হুমকির সন্মুখীন । ১৯২১ সনে তোলা ফিসিং নেট ও ইল পটের ছবি ।


হয়াংগানুই জনগুষ্ঠির মানুয়েষরা মাছ ধরায় ছিল দারুন পটু এবং ইল মাছ শিকাড়ের জন্য ট্রেপিং ডিভাইস তৈরীতেও তারা ছিল সুদক্ষ । নিন্মের চিত্রটি ১৮৯০ সনের তোলা একটি ছবি


সারি সারি পাহাড়ের মাঝ দিয়ে উপত্যকা বেয়ে চলা এ নদীর দুই তীরে গড়ে উঠে দৃষ্টি নন্দন সবুজের সমারোহ । তবে ইউরোপিয় সেটেলমেন্টের সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় আদিবাসি ও ইউরোপিয় সেটেলার ডিসপুট ।


নদীর তীরে গড়ে উঠে গবাদিপশুর বিচরণের জন্য মনোরম চারণভুমিম , বিচরণ করে তাতে মেষের পাল যা হয়াংগায়ুন নদী অববাহিকার জনগুষ্ঠির জীবনাচারের অন্যতম প্রধান উপাদান ।


পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা নদীর শান্ত অংশে ‘কেনোপি’তে চলে ইউরোপিয়ান সেটেলারদের বিবিধ প্রকারের প্রমোদ ভ্রমন


নদী তীরে হয়াংগায়ুন জাতিগুষ্ঠির জমি দখল করে নিয়ে বিশাল এলাকা জুরে গড়ে তোলা হয় মনোরম গার্ডেন , এখান হতেই মুলত নদী ও জমি নিয়ে মাওরোদের সাথে মুল বিরোধের শুরু ।


হয়াংগায়ুন নদীর চলারমথের পথের প্রায় মাঝামাঝি অব স্থানে Moutoa Gardens নামে প্রজেক্টের আওতায় নদী তীরবর্তী মনোরম স্থানগুলির জমি স্থানীয়দেরকে বঞ্চিত করে ইউরোপিয় সেটেলারদের নিকট বরাদ্ধ দেয়া হয় ।

মাওরুদের স্বার্থের প্রতি হুমকীর মুখে পতিত এই নদীর অধিকারের জন্য আন্দোলন দানা বেধে উঠে । নদীর অধিকার আদায়ের জন্য ১৯ শতকের এই মাওরু প্রতিবাদ নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে দীর্ঘতম একটি আইনী লড়াই হিসাবে পর্যবেশিত হয় । ১৯৩০ সনে কোর্টে পিটিশন দাখিলের মধ্যে শুরু করে দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষে ১৯৯০ সনে এর ট্রাইবুনাল হিয়ারিং হয় , তার পরে এর ট্রাইবুনাল প্রসিডিংস চলতেই থাকে । ১৯৭০ সনে এই নদী হতে বিদ্যুত প্লান্টের জন্য পানি নেয়া শুরু হলে হয়াংগানু ট্রাইবস ( ও আন্যান্য পরিবেশবাদিরা) এর বিপক্ষে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলে ।

১৯৯৩ সনে এই নদীর প্রবাহের মাঝামাঝি পথে সৃজিত Conservation hut টি প্রতিবাদি হয়াংগাইনু জনগন ১৯৯৫ সনে নীজেদের দখলে নিয়ে নেয় ।


দখল টিকিয়ে রাখার জন্য চলে প্রতিরোধ যুদ্ধ । হয়াংগানু সিটির উপকন্ঠে নির্মিত ঐতিহাসিক গার্ডেনটি (পাকাইটর) হয়াংগানু জনগন দখল করে ৭৯ দিন নীজেদের দখলে রাখে । পরে শান্তিপুর্ণভাবে এই অবরোধের অবসান ঘটে এবং সরকারের সাথে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । এর চুক্তির অন্তরনিহিত সুত্রধরে নদীর প্রতি তাদের দাবী আরো জোরদার হয় ।

পানির দখল নিয়ে নদীর উজানের এন্টি-ইউরোপিয়ান উপজাতি গুষ্ঠি এবং এর ভাটির মানুষদের (ইউরোপিয়ান সেটেলার) সাথে নীচের ছবিতে দেখানো এই ক্ষুদ্র দ্বীপের উপরে একটি যুদ্ধ হয় । মাত্র আধ ঘন্টা স্থায়ী এই যুদ্ধে উজানের ৫০ জন উপজাতি ও ভাটির ১৫ জন ইউরোপীয় নিহত হয় ।


দুই বছর পর যখন সেখানে শান্তি স্খাপিত হয় তখন সেখানে চার হাত প্রসারিত ‘রিরি করি ‘’ ( যার অর্থ হ‘ল ‘no anger’ or ‘no battle’ ) নামে একটি পোল স্থাপন করা হয় ।


এই নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ অক্ষুন্ন রাখা , পানি দুষন প্রতিরোধ ও এর জমি রক্ষার জন্য হয়াংগায়ুন জনগন ১৯ শতকে আইনি প্রতিরোধ শুরু করে । এই আইনী লড়াই চলে বিংশ শতাব্দি পর্যন্ত । মাওটু গার্ডেন প্রকল্পের নামে এই নদী অববাহিকার জমি ও পানির ভিন্ন ব্যবহার ও সেটেলমেন্টের বিপক্ষে মাওরু জাতিসত্তার লোকজন তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে । ১৯৯৫ সনের ২৮ শে ফেব্রুয়ারী মাওরু উজাজাতি নেতারা সেখানকার মেয়রের সাথে কথা বলে , আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় তারা মাওটু গার্ডেন দখল করে অবরোধ কর্মসুচী পালন করে ।


১৯৯৫ সনের মার্চে আন্দোলনরত হয়াংগানু জনগন হাতে ব্যানার নিয়ে মিছিল করে রাস্তায় নামে ।


দাবী মেনে নেয়ার জন্য অবরোধকারীরা ৩০ শে মার্চ ১৯৯৫ পর্যন্ত সময় সীমা বেঁধে দেয় । তবে কোন পুলিশি একশন না হ ওয়ায় বিপুল সংখ্যক আন্দোলনকারী রাস্তায় নেমে সমবেত কন্ঠে গান গায় ।


আন্দোলনের প্রটেষ্ট ব্যানার


Pākaitore এই ব্যানারের বার্তা দ্বারা Bugger’ the English bulldog রা কোন রকম প্রভাবিত হয়নি বরং তারা কঠিন সতর্ক বার্তা দিয়ে নিন্মের মত পাবলিক নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় ।


ফলে ৭৯ দিন অবস্থানের পর অবরোধ প্রত্যাহার করে Niko Tangaroa এর নেতৃত্বে বিক্ষোভকারিরা হয়াংগানু ব্রিজের কাছে অবস্থান নেয় এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে । তাদের আন্দোলনের সুফল এই গত ১৫ ই মার্চ ২০১৭ সনে দেখা দেয় । নিউজিলাল্ডের পর্লামেন্টে তাদের দাবীর পক্ষে বিল পাশ হয়, নদী পায় মানুষের মত বাঁচার অধিকার ।


উল্লেখ্য নিউজিল্যান্ডের সেন্ট্রাল উত্তর আইল্যান্ডের আগ্নেয় অধিত্যকা( plateau) হতে প্রবাহিত এই নদীর ২৩০ কিলোমিটার নাব্য অংশের গতিপথে ৮০টির মত গ্রাম ও জনপদ গড়ে উঠেছে এর মধ্যে ওয়াংগানু শহড়টিও (নীচের ছবি) অন্তর্ভুক্ত ।


এই নদীর সাথে মাওরু নৃতাত্বিক জাতিসত্তার লোকজন ছাড়াও আরো কয়েকটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা যথা Raukawa and Ngāti Maniapoto, Ngāti Kahungunu এবং Ngāti Tūwharetoa জীবনও এই নদীকে ঘিরেই আবর্তিত । ২০১৩ সন পর্যন্ত এই সন্মিলিত আদিবাসি জাতিসত্তার মোট জনসংখ্যা ছিল ১৩৫০০ জন এবং হয়াংগানুই নদী অববাহিকায় বসবাসকারী এই অধিবাসিদেরকে সম্মিলিতভাবে ‘নাগাদি হাও’ নামে অভিহিত করা হয় ।

মাত্র ১৩৫০০ জন মানুষের একটি নৃতাত্বিক আদিবাসি জন গুষ্ঠি শত বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধ, কঠীন সংগ্রাম ও আইনি লড়াই এর মাধ্যমে তাদের জীবন মরণের সঙ্গী একটি নদীর জন্য জিবন্ত মানুষের মত যেভাবে অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে তা সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে একটি মহাবিস্ময় ও নদীর অধিকার আদায় ও তার জীবন রক্ষার জন্য সকলের কাছে একটি অনুকরনীয় পন্থা হয়ে থাকবে ।


বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। একসময় শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ৮০০ নদ-নদী বিপুল জলরাশি নিয়ে ২৪,১৪০ কিলোমিটার জায়গা দখল করে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতো বলে ইতিহাস কথা বলে । বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" হিসাব অনুযায়ি বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা ৪০৫টি, বলতে গেলে দেশের অর্ধেক নদীর মৃত্যু ঘটেছে । আমাদের বর্তমান নদীগুলির করুন অবষ্থাও আমরা সকলেই জানি । ফারাক্কার কারণে একসময়ের প্রমত্তা পদ্মা নদী এখন বলতে গেলে ধু ধু বালুচরে পরিনগত হয়েছে , ঘোড়ার গাড়ীতে শুস্ক মৌসুমে পদ্মা পাড়ি দেয়া যায় অনায়াসে।


এক তরফা ভাবে দীর্ঘদিন ধরে নদীর উজানে ভারতীয় অংশে পানি উত্তোলনের ফলে একসময়ের খরস্রোতা তিস্তা শুকিয়ে শুস্ক মৌসুমে এখন একফালি ফিতার আকার ধারন করেছে ।


ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দিয়ে প্রবাহিত বুড়াগঙ্গা নদীর পানি দুষন ও এর তীরের জমির অবৈধ দখল চলছে দুর্বার গতিতে , বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের প্রায় ৩ কোটি মানুষের জন্য ডেকে আনছে মহা বিপর্যয় ।


ঢাকার পশ্চিম প্রান্তের ধলেস্বরী ও পুর্ব প্রান্তের শীতলক্ষা নদীর অবস্থাও করুন থেকে করুনতর হচ্ছে বিবিধ প্রকারে। এর প্রধান উৎস ব্রম্মপুত্র নদ এখন ধু ধু বালুচরে পরিনত হয়েছে । উত্তরের তুরাগতো এখন বলতে গেলে নর্দমায় পরিনত । এককালের পাল তোলা নৌকা এখন যাদুঘরে যাওয়ার দিন গুনছে।


বাংলাদেশে নদী দুষন ও অবৈধ দখল বন্ধ করার জন্য নামকা ওয়াস্তে কিছু কিছু ব্যবস্থা যথা বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন ( নীচের ছবি) চললেও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের অভাবে নদী দুষন ,নদী ভাঙ্গন ও প্রয়োজনীয় ড্রেজিংএর অভাবে এর তলদেশ ভরাট হয়ে বর্ষাকালে বন্যার ভয়াবহতা ক্রমেই বাড়ছে । সে সাথে যুক্ত হচ্ছে বিদ্যুত কেন্দ্রের মত পরিবেশ ও নদীর জল দুষনকারী কলকারখানা , ট্যানারী ও জলযানের বজ্র । পশুর নদীর পানি দুষনের মত কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ওয়ার্লড হেরিটেজ সুন্দর বনও এখন যায় যায় করছে ।


নদী রক্ষার জন্য ২০০৯ সনের একটি রিট পিটিশনের উপরে হাই কোর্টের রায় বস্তবায়ন করার জন্য মার্চ ২০১৭ তারিখে একটি মানব বন্ধনের মত ( নীচের চিত্র ) কিছু বিচ্ছিন্ন ও অসংগঠিত পরিবেশ বাদী আন্দোলন হলেও কোন সুফল আসছেনা । নদী ও মানুষ এক না হলে বাংলাদেশের জন্য সমুহ বিপদ ।

বাঁধ , দখল, পানিদুষন, উজান কিংবা ভাটিতে অপরিকল্পিত ও অপরিনামদর্শী উন্নয়ন, এই হলো আমাদের দেশের নদীর জীবন ।


নদী বিপন্ন হলে মানুষের জীবন কি করে স্বচ্ছন্দ হয়? হয় না বলেই দেশের কোটি কোটি মানুষ আজ দিশেহারা। বাংলাদেশের ভবিষ্যত্ এখন ভয়াবহ আশঙ্কায় ঘেরা। যারা নদীর লাশ খেয়ে ফুলে ফেঁপে উঠে তাদের ওপর ভরসা করার উপায় নেই। অথচ এই নদী বাংলাদেশের মানুষের বর্তমান ও ভবিষ্যতের অস্তিত্বের অবলম্বন। চোখের সামনে খুন হচ্ছে নদী। চোখ বন্ধ করে থাকলেই জীবন বাঁচবে না। এগুলো কেবল নদী নয়, আমাদের সবার, দেশ ও মানুষের প্রাণ। আজ এদেশের বিপন্ন নদী গুলিও বলছে আমাদেরও জীবন আছে, আমরাও বাঁচতে চাই , আমরা বাঁচলে তোমরা বাঁচবে, না হলে কারো বাঁচার উপায় নাই । নদী ও মানুষের একাত্ব হওয়ার এখনই সময় । প্রয়োজন নিউজিলান্ডের মত নদীকে জীবন্ত মানুষের মত অধিকার প্রদানের জন্য ব্যপক গনসচেতনতা, গনসম্পৃক্ততা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ গড়ে তোলা ।

ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ।

তথ্য সুত্র : নিউজিল্যান্ড ফিল্ম আর্কাইভ ও উইকিপিডিয়া
ছবি সুত্র : অন্তরজাল


মন্তব্য ১২৮ টি রেটিং +৩০/-০

মন্তব্য (১২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: সোজা প্রিয়তে, অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্টের জন্য।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রথম মন্তব্যদান ও প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২৪

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: অনেক সুন্দর ও তথ্যবহুল পোষ্ট।

তবে নিউজিল্যান্ডের মানুষকে যতটা অত্যাধুনিক মনে করতাম তারা অাসলে ততোটা নয়, এখন দেখছি।

অাদিম যুগের মতো চিন্তাচেতনা।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্ট সুন্দর ও তথ্যবহুল অনুভুত হওয়ায় অনেক ধন্যবাদ । পোষ্ট টি মনযোগ দিয়ে পাঠের জন্য খুশি হলাম । হা নিউজিল্যান্ডে আদিবাসী জনগুষ্ঠির মধ্যে অনেক ধরণের বিশ্বাস প্রচলিত আছে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২৫

আহা রুবন বলেছেন: সকালটা স্বার্থক! আমরা বলি যাদের গ্রামে নদী নেই তারা মাতৃহীন সন্তানের মত। নদীকে মানুষের মত জীবন্ত স্বত্তা মনে করা উচিত। তথ্যগুলো কাজে লাগবে, প্রিয়তে রাখলাম। সুপ্রভাত আলী ভাই।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫৪

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: অসাধারণ ও পরিশ্রমসাধ্য পোস্ট শুভ হোক................

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্ট অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সকালে এসেই আপনার লেখা দেখেই পড়তে শুরু করলাম। অনেক সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন।
নদী নিয়ে সরকারকেই মনে হয় বেশি ভাবতে হবে। আমরা মানুষ শুধু আজকাল নিজেদের নিয়েই ভাবি।
সব নদী বেঁচে থাক সুন্দর ভাবে এই কামনাই করি।
নদীও অধীকার পাক মানুষের মতই।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কথামালার জন্য । খুবই খুশী হলাম ।
নদীকে নিয়ে আপনার মত সকলের এমনই উপলব্দি
আসুক এ কামনাই করি ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাধারণ মানুষের বিরাট বিজয়কে আপনি ব্লগারদের কাছে এনেছেন আপনি। আমরাও আমাডের নদীকে সুস্হ ও সবল দেখতে চাই, ভারতীয়রাও নিশ্চয় নদীকে সুন্দর ও জীবন্ত দেখতে চায়; ২ দেশের মানুষের মংগলের জন্য নদীগুলোকে জীবন্ত রাখার জন্য ২ দেশের মানুষকে উৎসাহিত করার সময় হয়েছে; মগজহীন মমতার বুকে দুধ নেই, চোখে পানি নেই, হৃDye ভালবাসা নেই।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ।
ঠিকই বলেছেন মমতা মগজহীন মমতার বুকে দুধ নেই, চোখে পানি নেই, হৃদয়ে ভালবাসা নেই।
তবে মমতার সুর এখন অনেক নরম হয়ে এসেছে। সে মোদির সাথে মিউ মিউ করে কথা বলা
শুরু করেছে । তিস্তা নিয়ে বেশি বেশি বাড়াবাড়ি করলে তার খবর আছে । হাওরা ব্রিজের নীচে
গঙ্গার পানিতে দেখা যায় শুধু রাতের কলকাতাবাসির হাগামুতা । পিউর জল বলতে পেলাম নাতো
দেখতে কিছুই । পবিত্র গঙ্গা জলের জন্য ক্রন্দন করতে হবে দু'দেশ বাসিকেই ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সময়াভাবে চমৎকার এই পোস্টের শুধু ছবিগুলো দেখলাম। পরে পোস্টটি পড়বো।

ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আশরাফুল ভাই ।
ঠিক আছে ধিরে সুস্থে পড়েন । সংবাদটি
টিভিতে শুনে মনে হল নদীটি সম্পর্কে
একটু খুঁজ খবর নিয়ে দেখি আসলে
বিষয়টি কি । সেই কৌতুহল থেকে
দু্ই দিনের চেষ্টায় যা জানলাম মনে
হল সকলের সাথে তা একটু খানি
শেয়ার করি।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী অসাধারণ ব্যাপার!
আর আমরা কী করছি!

ধন্যবাদ অসাধারণ এই পোস্টের জন্যে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক খুশী হলাম পোস্ট টি অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৪

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। ঘন্টা খানিক আগে পড়েছি। ধন্যবাদ কষ্ট করে এত সুন্দর পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক খুশী হলাম পোস্ট সুন্দর ও অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ।
আপনার প্রসংসা আনুপ্রেরনা হয়ে থাকবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

রানা আমান বলেছেন: দুবার করে পড়লুম , জানলুম অনেককিছু । ধন্যবাদ অসাধারণ এই পোস্টের জন্যে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক খুশী হলাম পোস্ট সুন্দর ও অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য
কিছু জানাতে পেরেছি বলে নীজকে ধন্য মনে করছি ।
আপনার প্রসংসা আনুপ্রেরনা হয়ে থাকবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাল লাগল খুব

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুশী হলাম ভাল লাগার কথা শুনে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রাকৃতিক সম্পদকে আইনগত অধিকার দেওয়ার বিষয়টি সম্ভবত নিউজিল্যান্ডেই প্রথম ঘটলো। নদীকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে যে অর্থ দেওয়া হলো, তা' নদী সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হবে জেনে আমাদের দেশের হতশ্রী ও মৃতপ্রায় নদীগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। হায়! আমরা কোথায়?
হয়াংগানুই নদী সম্পর্কিত মাউরিদের মিথ এবং আর্কাইভের ছবিগুলো দেখে চমৎকৃত হলাম। নদীর প্রতি নিউজিল্যান্ড সরকার এবং মাউরিসহ অন্যান্য জাতিসত্ত্বার মানুষদের ভালোবাসা সত্যিই প্রশংসনীয়। পাশাপাশি পোস্টের শেষ ভাগে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ পড়ে শুধু কষ্টই পেলাম।

অসাধারণ একটি পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আশরাফুল ভাই কষ্ট করে আবার অসার জন্য, আমি কৃতজ্ঞ । নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীর ইতিহাস আর বাঙালির ইতিহাস মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে, এ কথাটা যেন মনে হয় অনেকেই ভুলেই গেছে , তাই নদী কিংবা নদী বিষয়ক কোন লিখা এ দেশে পায়না গুরুত্ব । নিউজিল্যন্ডের একটি নদীর মানুষের মত বাঁচার অধিকার পাওয়ার খবরটি বিশ্বের সকল প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হলেও আমাদের মিডিয়ার কাছে এটা পায়নি কোন গুরুত্ব । শুধু জনকন্ঠে ছোট করে একটি সংবাদ দেখেছিলাম মাত্র । আপনাদের মত গুনী কয়েকজন ব্যতিত এ পোষ্টটিও যে পাবেনা বিশেষ পাঠক দৃস্টি সে ব্যপারে ও আমি নিশ্চিত ।

যাহোক , নিউ জিল্যান্ডের ঐ হয়াংগায়ুন নদীটির সাথে আমাদের মেহের পুরের ভৈরব নদীর কাহিনীর একটি মিল পাই খৃঁজে ।
মেহেরপুর অঞ্চলের প্রধান অপ্রধান বেগবতী সব নদীই আজ নানাবিধ কারণে নাব্যতা হারিয়ে মৌসুমী জলাভূমিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এতদঞ্চলের ভাগ্যবঞ্চিত, শোষিত নিপীড়িত জনগণের শোষণ-বঞ্চনা ও লড়াই-সংগ্রামের সঙ্গে এই সব নদীই
একসময় জাগ্রত সত্তার মতো মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল ।

মেহেরপুর জেলার সর্বাপেক্ষা প্রাচীন এবং প্রধান নদী ভৈরব।কিন্তু সেই ভৈরব মনণোন্মুখ। অধ্যাপক সতীশ চন্দ্র মিত্রের মতে, ভৈরব একটি তীর্থ নদ। এক সময় এটা নামের অনুরূপ ভয়ঙ্কর মূর্তিতে বিরাজ করত। কিন্তু হুয়াংগায়ুন নদীতীরে ইউরোপীয় সেটেলমেন্ট গড়ার মত এদেশেও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্য কুঠি এবং নিষ্ঠুর নীলকরদের বহু নীলকুঠিও গড়ে ওঠে ভৈরবতীরের গ্রামগুলোতেই। ফলে স্থানীয়দের উপরে নেমে আছে এক দুর্বিসহ জীবন , অত্যাচার ও সংগ্রাম যা মীর মোশারফ হোসেনের নীল দর্পনে ফুটে এসেছে । শুধু কি তাই, কালের আবর্তে নদীটি এখন মৃত প্রায় । নদীতে পলি জমতে শুরু করে বহু আগে থেকেই। ১৮৭৩ সালে এ নদীর অংশ বিশেষ সংস্কারও একবার করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর আর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে মৃতপ্রায় এ নদী ক্ষীণ একটি স্রোতধারা হয়েই বর্তমানে বিরাজ করছে। কেবল বর্ষাকালেই বেগবতী হয়ৈ ওঠে। তবে ১৯৭১ সালে ঠিক ভৈরবমূর্তি ধারণ না করলেও বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে পরাক্রমশালী প্রতিরোধ যোদ্ধার ভূমিকার কারণেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে মুজিনগরের ভুমিটুকু যুদ্ধের শেষ দিন পর্যন্তক মুক্ত রাখা সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশের নদীর কষ্টে সবাই জেগে উঠুক , সোচ্চার হোক নদীর জীবনের দাবীতে ।

শুভ কামনা রইল ।

১৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
+।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা এসে শেয়ার করার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল

১৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৪

জুন বলেছেন: টিভিতে দেখেছিলাম নিউজিল্যান্ডের হয়াংগানুই নদীর জীবন্ত মানুষের সমান আইনগত অধিকার প্রাপ্ত হয়েছে । তবে এঘর থেকে ও ঘরে যেতে আসতে যতটুকু শোনা । কিন্ত আপনার লেখায় জানলাম তার দীর্ঘ ইতিহাস । আর বাংলাদেশের নদ নদীর কথা মনে হলে কষ্টই হয় । এই যে চিয়াং রাই গোল্ডেন ট্রায়াংগেলের কাছ গিয়ে দেখলাম জলভরা মেকং নদী। চীন থেকে উৎপন্ন হয়ে এসে তিনটি দেশ যথাক্রমে থাইল্যান্ড , লাওস আর মায়ানমারের পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে । ক্যম্বোডিয়াতেও দেখেছি কি বিশাল মেকং বয়ে যাচ্ছে নিরবিচ্ছিন্নভাবে । কেউ তো সেটাতে বাধ দেয়ার কথা কল্পনাও করছে না । আর আমাদের প্রতিবেশী দেশের কল্যানে কি ভাবে নদীগুলো মরে যাচ্ছে ভাবতেও কষ্ট হয় ।
আপনার পোষ্টগুলো সামহ্যোয়ারের অলংকার ।
+

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , এসে দেখায় খুব খুশী হলাম । নিউজ মিডিয়ায় সংবাদটি ভাইরাল হয়েছে দেখে এবং সারা বিশ্ব মাঝে নদীর অধিকার আন্দোলনে নদীটি একটি অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বিবেচনায় এটার বিস্তারিত ইতিহাস জানার জন্য বেশ ঘাটাঘাটি করতে হয় । আপনার মত ইতিহাসবিদের হাতে এই কাজ করা হলে অনেক ভাল হতো , এটাও হতে পারতো এই সামুতেও ভাইরাল।
আপনি ঠিকই বলেছেন প্রতিবেশী বড় ও শক্তিশালী হলে তারা নীজেদের স্বার্থে সবকিছুই করতে পারে এক তরফা ভাবে ।
এই মেকং রিভার নিয়েই চীন কি না করছে China has already built eight hydropower dams on the Mekong mainstream since 1995. As of November 2016, China has five more under construction, and another 11 planned or proposed. Laos has two dams under construction on the mainstream, and another seven planned or proposed; Cambodia has two planned or proposed। চীন নদীটিতে এত বাধ দেয়ার পরেও চিয়াং রাই গোল্ডেন ট্রায়াংগেলের কাছ এখনো দেখা যায় জলভরা মেকং নদী।


আমাদের দেশের প্রধান নদীগুলি ভারতের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়েছে । ভারতকে আন্তর্জাতিক নদী নীতিমালা মেনে চলার জন্য দেশে বিদেশে জনমত গড়ে তুলা প্রয়োজন । তাই এই বিষয়টি নিয়ে মিডিয়াতে যত তুলপার হবে ততই ভাল হবে ।

আমার লিখা একেবারেই রসকসহীন , আপনি সুসাহিত্যিক, পাঠক হৃদয়গ্রাহী ভাষায় আমাদের নদীর কান্না আপনার লিখায় তুলে নিয়ে আসুন, সেটাই হবে সামুর আসল অলংকার , প্রচুর সংখক পাঠকের নজরে তা পড়বে ফলে জনমত গঠনেও তা হবে খুবই সহায়ক । কামনা করি সামুর সকল গুণী লিখকের লেখায় নদীর কান্না নিয়ে উঠে আসুক প্রতিদিন লিখা , নদী দখলকারী ও নদীর পানি সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিপক্ষে সারা দেশ জুড়ে গড়ে উঠোক প্রবল জনপ্রতিরোধ ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।


১৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



আবারও তো সেই গবেষনা! কি ধন্যবাদ দেব, আলী ভাই! অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুধু আপনার উচ্ছল উজ্জ্বল উপলোপল পরিপূর্ন বিশ্বাসে আলো ঝলমল দীর্ঘায়ু কামনাই করছি।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় নতুন নকিব , আমার জন্য দোয়া করায় কৃতজ্ঞ ।
কামনা করি আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন ।
আপনার জন্যও উজ্জ্ল আলো ঝলমল দীর্ঘায়ু কামনাই করছি।

শুভেচ্ছা রইল ।

১৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,




লা-জওয়াব ।

হেমন্তের গলায় একটা গান আছে ----

ও নদীরে ..
একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে
বলো কোথায় তোমার দেশ
তোমার নেইকো চলার শেষ ...........


বাংলাদেশের সব নদীর চলাই শেষ হয়ে গেছে । তার দেশ তাকে বিতারিত করেছে । এখন আর কেউই সে সব নদীকে কিছুই শুধায় না ।
শুধু কিছু দূর্বল মানুষ "নদী বাঁচাও" বলে কেঁদে কেঁদে যায় আজও । সে কান্নায় রাষ্ট্রযন্ত্রের কোনও বোধদয় হয়না , হবেও না কোনদিন । নতজানু রাষ্ট্রের নদীগুলোর সুখ দুঃখের কথা এমনি করেই শুকিয়ে যাবে অপরিনামদর্শিতার হটকারী তাপে !!!!!!!

জয়তু হয়াংগানুই এর মানুষ ....................


২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ভাই । গত তিনদিন আগে হয়াংগানুই নদীর এই খবরটি সংবাদ পত্রে দেখে তংখনাত সিদ্ধান্ত নেই এর উপরে একটি পোষ্ট দিব সামুতে । প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহে দিন দুই কেটে যায় । এই ডিজিটাল যুগে অনলাইনে প্রকাশিত সবকিছুই চলে যায় দুনিয়ার এ প্রান্ত হতে ও প্রান্তে । জনমত গঠনে হয় সহায়ক , তাই এর সাথে বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি জুড়ে দিই ।

আগামী ১৬মে তে ফারাক্কা দিবস । আজ থেকে প্রায় ৪১ বছর আগে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ‘মরণ বাঁধ ফারাক্কা’-র বিরুদ্ধে এক বিশাল জনযাত্রা কর্মসূচি নিয়েছিলেন। ফারাক্কার অভিমুখে ডাকা লংমার্চে অসংখ্য মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। এই অধমও ছিল সে্ই লং মার্চে । ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে ভারতের যে নদীবিধ্বংসী উন্নয়ন যাত্রা শুরু তা গত ৪১ বছরে এমনস্থানে পৌঁছেছে যে, বাংলাদেশের বৃহত্ নদী পদ্মা ও তার সাথে যুক্ত অসংখ্য ছোট নদী খালবিলও এখন বিপর্যস্ত, এমনকি অনেক ছোটখাট নদী মৃত্যু বরন করেছে ।

শুধু তাই নয়, পদ্মা নদীর এই ক্ষয় তার সাথে সংযুক্ত নদীগুলোকেও দুর্বল করেছে। এই প্রভাব গিয়ে পড়ছে সুন্দরবন পর্যন্ত। অন্যদিকে ফারাক্কার বিষক্রিয়া পশ্চিমবঙ্গ ও তার আশেপাশেও পড়ছে। একদিকে পানিশূন্যতা অন্যদিকে অসময়ের বন্যা এবং অতিরিক্ত পলি। সম্প্রতি বিহারের মানুষ শাবল নিয়ে মিছিল করেছেন ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে দেবার দাবিতে এ বিষয়টি সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই অবহিত আছেন ।

কিন্তু এসব অভিজ্ঞতা ভারতের বাঁধকেন্দ্রিক উন্নয়ন চিন্তা ও বাঁধব্যবসায়ীদের থামাতে পারেনি। তাছাড়া ভারতের শাসকদের চিন্তা পদ্ধতিতে ভাটির দেশ বাংলাদেশের স্বার্থ ও অধিকার বিষয় একেবারেই অনুপস্থিত। মণিপুরে টিপাইমুখ বাঁধের প্রস্তুতি পুরোটাই চলেছে একতরফাভাবে। এখনো এর হুমকি চলে যায়নি।

অন্যদিকে ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম নদীসংযোগ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্প অনুযায়ী ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গার পানি ১৪টি নতুন খননকৃত খালের মাধ্যমে পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতের দিকে প্রবাহিত করা হবে। এটি কার্যকর হলে অন্যান্য নদীর সাথে বাংলাদেশের আরেকটি বৃহত্ নদী যমুনা আক্রান্ত হবে। শুকিয়ে যাবে অধিকাংশ নদী ও শাখা নদী ।

ভারত যেভাবে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্ নদীগুলোর জীবন সংশয় ঘটাচ্ছে তা শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারতের জনগণের এবং সর্বোপরি সমগ্র মানবসমাজের জন্য বড় ক্ষতি। বাংলাদেশ যারা চালান তারা জনগণের স্বার্থ কেন্দ্রে রেখে উন্নয়ন নীতি সাজালে এই নদী ও খালবিলগুলোর জীবনও সচল করতে পারতেন , এবং ভারতের এসব আগ্রাসী তত্পরতার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভূমিকা গ্রহণ করতে পারতেন কিংবা এখনো পারেন । দেখা যাক তিস্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে কি ফল নিয়ে আসে ।

আপনি ঠিকই বলেছেন ,
হেমন্তের মত ঐরকম একটি গানই এখন সকলের গাওয়া দরকার ।
ও নদীরে ..
একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে
বলো কোথায় তোমার দেশ
তোমার নেইকো চলার শেষ ...........


নদীকে দেয়া হোক তার বাঁচার অধিকার সে সাথে নদীর সাথে জড়িত সকলের জন্য নিশ্চিত করা হোক বাঁচার অধিকার ।
এখন যারা নদী ও মানুষের বাঁচার জন্য করে যাচ্ছেন সংগ্রাম তাদের কন্ঠস্বরকে করা হোক সকলের সন্মিলিত প্রচেষ্টায় বেগমান , এই হোক সকলের জন্য আজকের দৃঢ় প্রত্যয় ।

শুভেচ্ছা রইল ।

১৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: একসাথে দুটি দেশের নদী নিয়ে গবেষণা, বিস্তারিত জানতে পারা আমার সৌভাগ্য মনে করছি। অনেক অনেত ভালো লাগা রইল। এমন গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট সবসময় প্রিয়তেই সোভা পায়।

শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ নাঈম জাহাঙ্গীর ভাই । অআমাদের নদী নিয়ে অনেক গবেশনার প্রয়োজন রয়েছে । নদী নিয়ে সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন । নদীই অআমাদের জীবন , নদীই আমাদের জীব বৈচিত্রের প্রাণ । তাই নদীকেই দিতে হবে তার নীজের প্রাণের অধিকার । প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মাওরী রূপকথাকে প্রকৃতির সাথে মিশায়ে আপনি সুন্দর এক ঐতিহাসিক কাহিনী বলেছেন, খুবই সুন্দর। দেরীতে হলেও, ইউরোপিয়ানরা আসল অধিবাসীদের সন্মান করছেন।

ভারতীয়রা সহসা আমাদের সন্মান করবে বলে মনে হয় না; আমরা ন্যাংটা রাজা, যার পরনে কিছু নেই, মাথায় মুকুট আছে!

২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, আবার এসে মুল্যবান কথা বলার জন্য । অআপনি ঠিকই বলেছেন ভারতীয়রা সহসা আমাদের সন্মান করবে বলে মনে হয় না; আমরা ন্যাংটা রাজা, যার পরনে কিছু নেই, মাথায় মুকুট আছে । এই মহুর্তে মনে পড়ে অআজ থেকে ৪১ বছর অআগে ফারাক্কা অভিমুখে মৌলানা ভাষানীর লংমার্চের কথা । মনে পরে যায় লংমার্চে অংশ গ্রহনের স্মৃতির কথা । ১৯৭৬ সালের ১৭ই নবেম্বর শতাব্দীর গণমানুষের আন্দোলন সৃষ্টির অন্যতম নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ইন্তেকাল করেন। ১৯৭৬ সালের ১৫ই মে রাজশাহী মাদরাসা ময়দানেই সম্ভবত তার শেষ ঐতিহাসিক ভাষণ। ১৯৭৬ সালের ১৫ই মে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জাতির উদ্দেশ্যে তার শেষ দিক-নির্দেশনামূলক ভাষণ দেন ।

সকাল ১০.৩০ মিনিটে বক্তব্য প্রদানের জন্য মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী উঠে দাঁড়ালে লাখো মানুষের কোলাহলমুখর রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান মুহূর্তের মধ্যেই পিন-পতন নিস্তব্ধতা নেমে অআসে । অশীতিপর বৃদ্ধ জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর যখন বক্তৃতা করছিলেন জনতার মধ্য থেকে হাজার কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছিল লও লও লও সালাম মওলানা ভাসানী। ধ্বনিত হচ্ছিল সিকিম নয়, ভুটান নয়, এদেশ মোদের বাংলাদেশ।

মাওলানা ভাসানী অনেক কথাই বললেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিল আধিপত্যবাদীরা বাংলাদেশের জনগণের সম্পদ পানি, গ্যাস, লুণ্ঠন করে নিয়ে যেতে চায়, তারা বাংলাদেশে নতুন করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর গোড়া পত্তন করতে চায়। তারা সিকিম ভুটানের মতন, বাংলাদেশকে মর্যাদাহীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য সকলের প্রতি তিনি উদাত্ত আহবান জানান ।

তার ভাষন শেষে ১১.১০ মিনিটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে শুরু হয় ঐতিহাসিক ফারাক্কা মিছিল। মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী একটি খোলা জীপে চড়ে জনতার গণমিছিলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩২ মাইল পথ লাখ লাখ মানুষ পায়ে হেঁটে চলছে মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ফারাক্কা অভিমুখে। রাস্তার দুই ধারে বৃদ্ধ, নারী শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষ এসেছে পানি, মুড়ি, চিঁড়া, কাঁচা আম দিয়ে মিছিলকারীদের সহানুভূতি জানাতে। সে এক অপরূপ দৃশ্য। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সন্ধা ৬টার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসে উপস্থিত হলেন। স্ন্ধা ৭টায় ফারাক্কা লংমার্চে ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে বের হলো ঐতিহাসিক মশাল মিছিল।

পরদিন সকাল ৮টার দিকে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ফারাক্কা অভিমুখে মিছিল শুরু হলো, নদীর উপরে নৌকা দিয়ে পোলের মতন করে দেয়া হয়েছিল । চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফারাক্কা পাদদেশ-সোনামসজিদ পর্যন্ত ১৫ মাইল পথে শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে আসরের নামাজ আদায় করলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, ঐতিহাসিক সোনা মসজিদে নামাজের পরে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করলেন। কয়েকমাস পড়ে মাওলানা নভেম্বর ১৯৭৬ এ মাৌলানার মৃত্যুর পরে ফারাক্কা অআন্দোলন স্তিমিত হয়ে যায় ।

এখন সময় এসেছে একটি বলিষ্ট নেতৃত্বের অধীনে দেশের আপামর সকল জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করে নদী ও মানুষের বাঁচার অধিকার আদায় করার লক্ষে দেশের সকল নদী বাঁচাও আন্দোলনকে বেগবান করার ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অসাধারণ তথ্যসম্বলিত পোস্টটি সত্যিই অপূর্ব। আপনার কষ্ট সাদ্য পোস্টটি পড়ে জানতে পাড়লাম একটি দেশ ও স্বাধিকার কতটুকু ভাল বাসেন। আর আমাদের কি অবস্থ্যা!

২০ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টটি অপুর্ব অনুভুত হওয়ার জন্য ।
একটি নদীর অধিকার আদায়ের জন্য মানুষের
সংগ্রাম ও ভালবাসা সত্যিই বিস্ময়কর ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২০| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০১

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার পোস্ট থেকে নতুন অনেক কিছু জানা যায়। ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাই।
প্রিয়তে নিলাম। শুভেচ্ছা রইল।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
পোষ্ট হতে কিছু জানা যায় শুনে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২১| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বুড়িগঙ্গাকে এমন অধিকার না দিলে, বা আন্দোলন না হলে, আপনার এই পোষ্ট পড়বোই না!!

২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আন্দোলনের লক্ষে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করার জন্য ।
বুগিগঙ্গার জন্য তীব্র আন্দোলন প্রয়োজন ।
শুরু করুন আমি আছি সাথে ।
অগ্রীম শুভেচ্ছা রইল ।

২২| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: নিউজিল্যান্ডের বিষয়টা জেনে বেশ ভালো লাগল।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য ।
নিউজিল্যান্ডের এই অর্জনটা সারা
বিশ্বের জন্য অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত
হয়ে থাকবে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৫৪

বিলুনী বলেছেন: অসাধারারণ পোষ্ট ।
বাংলাদেশের বিপন্ন নদীগুলির জন্য
এরকম দাবী তুলা দরকার ।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্ট অসাধারণ আনুভুত হওয়ার জন্য
শুভেচ্ছা রইল ।

২৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৪৯

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: পরিবেশ ও জীবন ঘনিস্ঠ বিষয় নিয়ে চমতকার এ লেখাটির জন্যে সাধুবাদ ! ড:আলী বেশ বলেছেন : প্রাকৃতিক সম্পদকে আইনগত অধিকার দেওয়ার বিষয়টি সম্ভবত নিউজিল্যান্ডেই প্রথম ঘটলো। নদীকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে যে অর্থ দেওয়া হলো, তা' নদী সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হবে জেনে আমাদের দেশের হতশ্রী ও মৃতপ্রায় নদীগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। হায়! আমরা কোথায়?

আমি শহরের ছেলে হলেও ছোটবেলায় নদীর সাথে মিতালী ছিলো ! কিন্তু এ বেলায় এসে দেখতে হল; কুটীল ভূরাজনীতির কবলে পড়ে আমাদের নদীগুলোকে কি করুনভাবে হত্যা করা হচ্ছে !

এখন আমাদের খুব খুব দরকার একজন মাওলানা ভাসানী !

শুধু বুড়িগঙ্গাকে নয়, আমাদের সবগুলো নদীর জন্যে ,পরিবেশের জন্যে, জীবনের জন্যে আন্দোলন করতে হবে ! তা না হলে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে আমদের জবাবদিহী করতে হবে !

২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ এই বড় পোষ্টটি পড়া ও ছবি দেখার জন্য
মনে হয় মন্তব্য ও প্রতি মন্তব্যগুলিও দেখেছেন ।
খুব খুশী হলাম আমাদের মৃতপ্রায় বিপন্ন নদী
গুলির পাশে দাঁড়িয়ে এদের জীবনী শক্তি
ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সুদৃঢ় প্রত্যয়
ব্যক্ত করার জন্। যতার্থ বলেছেন
এই মহুর্তে আমাদের দরকার
একটি বলিষ্টনেতৃত্ব যিনি
নদীর আধিকারের
জন্য সংগ্রাম
করবেন।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১২

সোহানী বলেছেন: হাঁ, আমরা শুরু করেছিলাম ফারাক্কা দিয়ে। তারপর একে একে বাকি সব তিস্তা, ব্রম্মপুত্র, বুড়িগঙ্গা, ডাকাতিয়া। সারাবছর ধুধু বালুচর মাঠি ফেটে চৈাচির আর বর্ষাকালে সারা দেশ বন্যার পানিতে তলিয়ে যাই। তারপরও শেষ নেই, এখন দিচ্ছি সুন্দরবন, তারপর দিব দেশের ভীতরের ছোটা ছোট বন.....ভালোতো তাই না..। আর আমাদের ভালা ভালো উদাহরন দেখিয়ে কোন লাভ নেই কারন আমরা ভালো কিছু কখনই শিখি না। নিজেদের দু'টুকরা মাংসের জন্য দেশকে বিকিয়ে দিতে আমরা একটু ভাবি না। লোভী আর অমানুষে পরিনত হচ্ছি দিন দিন।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ খুবই সুন্দর কথামালার জন্য ।
নদীর উজানোর লোকজন তাদের মত করে চেষ্টা করবে ।
আর আমাদের চেষ্টা করতেহবে আমাদের মত করে
সমবেত ভাবে জান প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করতে হবে
বাঁচার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল

২৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

সালমা অক্তার বলেছেন: খুবই সুন্দর লিখেছেন এবং ছবিও খুব সুন্দর।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ লিখাটি সুন্দর অনুভুত হওয়ার জন্য ।
নদীর অধিকার আদায়ের জন্য সকলের সোচ্চার
ও প্রতিবাদী কন্ঠ হতে হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

জুন বলেছেন: হয়াংগানুই নদী নিয়ে উপকথার চরিত্রের নাম পড়তে গিয়ে দাত ভাঙ্গার উপক্রম ড: এম আলী :)
আমার নিজের হাতের তোলা নীচে দেয়া মেকং নদীর ছবি দুটো দেখেন ।
এর অবস্থা দেখে কি আমাদের মৃতপ্রায় তিস্তা পদ্মার কথা মনে হয় ?? এত বাঁধ দেয়ার পরও তো পানির কমতি নেই ।
শুকনো সিজনে তোলা দুটো ছবিই দুকুল ভাসিয়ে ছুটে চলেছে দেশের পর দেশ পেরিয়ে মোহোনার পানে ।


থাইল্যান্ড সাইড থেকে তোলা । ওপারে লাওস ।

এটা নমপেন হোটেলের বারান্দা থেকে তোলা । সামনে তুনলে সাপ আর ঐ দিকে তাকিয়ে দেখেন মেকং আসছে রাজকীয়ভাবে । দুটো নদী মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে অদুরের মোহনায় । আপনার কি দেখে মনে হলো তারা গোমতীর মত মরে যাচ্ছে পানির অভাবে ??
আমরা সচেতন হয়েও কি লাভ বলুন আমাদের প্রতিবেশী দেশের মত যদি ভয়ংকর স্বার্থপর না হতে পারেন ।

২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আসলেই রূবকথার চরিত্রের নামগুলি পাঠে দাঁত ভাংগার উপক্রম । এটা তো আদিম কালের কথা । পলিনেশিয়ান আমলের মাওরোদের নামগুলিও বিদঘুটে । ইতিহাসের ছাত্রদের এমন উচ্চারণের নামের সাথে হর হামেশাইতো মোলাকাত করতে হয় , দাঁত ভেঙ্গে গেলে আমাদের উপায় কি হবে !!

জলপুর্ণ মেকং নদীর ছবি দুটি খুব সুন্দর হয়েছে । শুস্ক মৌসুমেই যদি নদীতে এত পানি থাকে তাহলে বর্ষাকালে জানি কি রূপ ধারণ করে । এদের একটি সুবিধা হলো তারা মেকং নদীতে বাধ দিয়ে তার নীচ দিয়ে সকল পানি আবার নদীতেই ছেড়ে দেয় । অআমাদের উজানের দেশ ভারত গঙ্গা নদীর নদীর পানির নাব্যতার জন্য নদীর সিংহভাগ পানিকে কিত্রিম ফিডার খাল দিয়ে হুগলী নদীতে চালান করে দেয় , তারা নদীর পানি তুলে নিয়ে যায় । ফারাক্কা বাধটা শুরু হয় ষাটের দশকে পাকিস্তানী আমলে । সে সময়ে তারা এ অঞ্চলের পানি সমস্যা নিয়ে ভারতের সাথে বড় কোন বিরোধে যায় নাই । তাদের মাথা ব্যথা ছিল সিন্ধু নদের পানি নিয়ে । তাই সে সময়ে তারা পুর্বপাকিস্তানের ন্বার্থ বিসর্জন/ছাড় দিয়ে সিন্ধু নদের পানি প্রবাহ অক্ষুন্য রাখে । সে সময় সিন্ধু নদের মত যদি তারা গঙ্গা/পদ্মা নদী নিয়ে ভারতের সাথে চুক্তি করত তাহলে আজকের এই সমস্যা হতোনা । যাহোক, সে অনেক কথা । এখন আমাদেকেই নদীর এই পানি সমস্যার সমাধান করতে হবে ।

আমাদের জনগনকে প্রতিবাদী করে তুলতে হবে । একাজে রাজনীতিবিদেরা একেবারেই ব্যর্থ । তাই এগিয়ে আসতে শিল্পি সাহিত্যিকদের । মানুষের মনে গড়ে তুলতে হবে ছোটকাল থেকেই প্রতিরোধের স্পৃহা । নীচে একটি ছবিতে দেখুন শিল্পীর আঁকা একটি ছবি যেখানে ছোটকাল থেকেই মাওরু জাতি গোষ্ঠির একটি বাচ্চা মেয়ের হাতি লাঠি ও নদীর অধিকার আদায়ের জন্য চোখে প্রতিরোধের আগুন জ্বলছে । ছোটকাল হতেই তাকে নদীর অধিকার অধিকার আদায়ের সংগ্রামের সৈনিক হিসাবে তৈরী করা হচ্ছে ।

পরিনত বয়সের মাওরু যুবকেরাও নদীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে কিরকম প্রত্যয়ী তাও উঠে এসেছে শিল্পীর নিপুন হাতের তুলিতে ।

এগুলি সংগ্রামী এক জাতি গুস্ঠি তৈরীতে দারুন ভুমিকা রেখেছে , তাইতো তারা নদীর অধিকার আদায়ের জন্য ১৬০ বছর ধরে যুদ্ধ করতে পেরেছে । আমাদের শিল্পি সাহিত্যকেরা কি নিয়েছে এ ধরনের কোন উগ্যোগ !!! তাই এ দেশের সকল গুণী শিল্পী সাহিত্যক লেখক ও ব্লগার ভাইবোনদের প্রতি মিনতী রেখে গেলাম সকলেই ঝাপিয়ে পড়ুন আমাদের প্রাণ নদীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ।

অনেক শুভকামনা রইল

২৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

রাশিদা রাজাপুর বলেছেন: খুবই সুন্দর লিখেছেন এবং ছবিও খুব সুন্দর।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্টের লিখা ও ছবি সুন্দর হয়েছে শুনে ভাল লেগেছে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নদী ও মানুষের একাত্ব হওয়ার এখনই সময় । প্রয়োজন নিউজিলান্ডের মত নদীকে জীবন্ত মানুষের মত অধিকার প্রদানের জন্য ব্যপক গনসচেতনতা, গনসম্পৃক্ততা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ গড়ে তোলা , সহমত !

হয়াংগানুই নদীর জন্য মাওরি দের লেগেছে ১৬০ বছর জানি না আমাদের কতদিন লাগে নিজেদের নাব্যতার ন্যায্য অধিকার পেতে ।
" ভালবাসলে নারীরা হয়ে যায় নরম নদী " কবিতায় নদীর উপমা দেয়ার দিন শেষের পথে এই দেশে :(

অসাধারন এক পোষ্ট এ জন্য আপনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা !!!

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , প্রসংসায় আপ্লুত হলাম ।
আমাদের বিপন্ন নদীগুলির কান্না ও
তাদের বাঁচার অধিকার টুকু তুলে নিয়ে আসুন
আপনার শক্তিশালি লিখনীতে গল্প ও কবিতায় ।
ঢাকা হতে নবাবগঞ্জ যাওয়ার পথে চিরপরিচিত
ধলেশ্বরী এখন প্রায় মরতে বসেছে ।


নদীর অধিকার আদায়ের জন্য হয়াংগায়ুনদের ১৬০ বছর লাগলেও আমাদের হয়ত মাত্র ১৬ মাস কিংবা ১৬ বছর লাগবে!!!
প্যালেসটাইনীরা সারা মুসলিম বিশ্বের সাপোর্ট পেয়েও অর্ধ শতাব্দি ধরে যুদ্ধ করেও স্বাধিনতা অর্জন করতে পারছেনা
আর আমরা আল্লার রহমতে মাত্র ৯ মাসের যুদ্ধেই তা অর্জন করতে পেরেছি । সবাই মিলে সে রকমভাবে চেষ্টা করলে
আমরা নদীগুলিকে খুব কম সময়ের মধ্যেই বাঁচাতে পারব বলে আশা করি ।

আপুমনি নদীকে নিয়ে লিখে যান, অমর দাবী রাখলাম ।


৩০| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়লাম! খুবই রিচ ব্লগ!


‘আমার আন্তরিক আশা, তুমি স্বচক্ষে দেখিলেই ইহার আশু প্রতিকার হইবে এবং বাংলাদেশ ও হিন্দুস্থানের মধ্যে ঝগড়া-কলহের নিষ্পত্তি হইয়া পুনরায় বন্ধুত্ব কায়েম হইবে। ফারাক্কা বাঁধের দরুন উত্তর বঙ্গের উর্বর ভূমি কিভাবে শ্মশানে পরিণত হইতেছে তাহাও স্বচক্ষে দেখিতে পাইবে।’

ইন্দিরা গান্ধীকে মওলানা ভাসানীর লেখা একটি চিঠি
প্রিয় মিসেস ইন্দিরা গান্ধী, প্রধানমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী ভারত সরকার আপনার ১৯৭৬ সালের ৪ মে’র পত্র ফারাক্কা সমস্যা সম্পর্কে সরকারি বিবৃতির পুনরাবৃত্তি মাত্র। আপনার প্রখ্যাত পূর্বপুরুষ— মতিলাল নেহরুর নাতি এবং জওয়াহেরলাল নেহরুর কন্যার নিকট থেকে এরূপ পত্র আশা করিনি। আপনি নিজে বঞ্চিত লোকের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সকল ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সকল সময় সংগ্রাম করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকালে আপনি এবং ভারতের সকল জনগণ যে সাহায্য করেছে এজন্য আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
ফারাক্কা সম্পর্কে আপনাকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল পরিদর্শন করে কৃষি এবং শিল্প উত্পাদনের যে ক্ষতি হবে তা পরিমাপ করা জন্য পুনরায় অনুরোধ করছি। সম্পূর্ণ সরকারি প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর না করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করছি। কারণ তাতে বর্তমান অবস্থা প্রতিফলিত হয় না।
এককভাবে গঙ্গার পানিপ্রবাহ প্রত্যাহার করার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আমি ব্যাপকভাবে পরিদর্শন করি।
পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য আপনার উদ্যোগকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। কিন্তু সমাধান স্থায়ী ও বিস্তারিত হতে হবে। দু’মাসের নিম্ন প্রবাহের মধ্যে তা সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না; সারা বছরের স্রোত অন্তর্ভুক্ত থাকার ভিত্তিতে ফারাক্কা সমস্যা সমাধানের জন্য পূর্বে আপনাকে কয়েকবার টেলিগ্রাম করেছি। বাংলাদেশের সাড়ে তিন কোটি মানুষের জীবন-মরণ সমস্যা অন্যদের দিয়ে সমাধান সম্ভব নয়। দুই দেশের নেতাদের একত্রে বসে সমাধানে পৌঁছা উচিত।
সম্মুখ বিরোধ ও সংঘর্ষ বাদ দিয়ে আমি অনুরোধ করছি আপনি নিজে হস্তক্ষেপ করে নিজে সমাধান করবেন, যা আট কোটি বাংলাদেশীর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে।
যদি আমার অনুরোধ আপনি গ্রহণ না করেন, তাহলে অত্যাচারিত মানুষের নেতা আপনার পূর্বপুরুষ এবং মহাত্মা গান্ধীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সমস্যা সমাধানের জন্য কর্মসূচি প্রণয়ন করতে বাধ্য হব। এ সঙ্কট সমাধানে আমার সর্বোচ্চ সহযোগিতা এবং দু’দেশের বন্ধুত্ব সম্পর্ক শক্তিশালী করার জন্য নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
শুভেচ্ছান্তে—
আপনার বিশ্বস্ত
আবদুল হামিদ খান ভাসানী

“আজ আমি বড়ই দুঃখের সঙ্গে জানাই, হিন্দুস্তানের প্রাইম মিনিস্টার ইন্দিরা গান্ধীর পিতা আমার অতি ঘনিষ্ট বন্ধু এবং সহকর্মী ছিলেন । তার দাদা আমার সহকর্মী ছিলেন । আমি তাদের কাছ থেকে যে স্নেহ ও ভালোবাসা, ন্যায়নীতির আদর্শ শিক্ষা লাভ করেছি, মৃত্যুর শেষ পর্যন্ত আমি তা ভুলব না । কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয় – বার বার আমি ইন্দিরা গান্ধীকে পত্র লিখেছি আমাদের জাতিসংঘের প্রয়োজন হবেনা, অন্য কোন দেশের মুখাপেক্ষী হয়ে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে না, তুমি নিজে এসে দেখ ফারাক্কা বাঁধের পরিণতি কি হয়েছে – মাত্র একটি বৎসরে প্রায় অধিকাংশ নদীর মাছ ধরা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে । যে মাছ পৃথিবীর সেরা – পদ্মার ইলিশের মত সুস্বাদু মাছ আর কোথাও পাওয়া যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি না । তাছাড়া ফসলের দিক থেকে দশ আনি ফসল কম হয়ে গেছে । আগামী বছর কি হবে একমাত্র খোদা-তালাই জানেন । ইন্দিরা গান্ধীকে আমি ভয় দেখাবার জন্য আন্দোলন আরম্ভ করি নাই । ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে ন্যায়-বিচার পাবার জন্য আন্দোলন আরম্ভ করেছি । সারা দুনিয়ার ন্যায়পরায়ণ শান্তি প্রিয় মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আমি ফারাক্কা বাঁধ বিরোধী আন্দোলন আরম্ভ করেছি । ”

[ মাওলানা ভাসানীর ভাষণ – ১৩ নভেম্বর, ১৯৭৬ ; দরবার হল, সন্তোষ ]

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , আমাদের সকলের প্রাণপ্রিয় মজলুম জননেতা মাওলানা ভাষানীর ঐতিহাসিক মুল্যবান চিটি দুটি এখানে তুলে ধরার জন্য, এই চিঠি দুটি আমার পোষ্টটিকে করছে গর্বিত । মাওলানা ভাসানীর ভাষণ – ১৩ নভেম্বর, ১৯৭৬ ; দরবার হল, সন্তোষ এটাই সম্ভবত মৃত্যুর পুর্বে তাঁর শেষ ভাষন ।

আমাদের নবপ্রজন্মের সকলেরই এই মুল্যবান চিঠি দুটি দেখা প্রয়োজন । এর মধ্যে করনীয় সম্পর্কে অনেক দিক নির্দেশনা আছে বলে মনে করি ।

নদী অধিকার নিয়ে আমাদের আন্দোলন এখন একেবারেই বিচ্ছিন্ন ও অসংগঠিত । ব্যপক গনসচেতনতা প্রয়োজন । যদি সম্ভব হয় তাহলে এই ঐতিহাসিক দুটি চিঠির প্রেক্ষাপট , গুরুত্ব ও ভবিষ্যত প্রভাব নিয়ে যদি একটি পৃথক পোষ্ট দেন তাহলে অনেকেই তা জানতে পারবে । নদীর অধিকার নিয়ে আন্দোলন একটি গতি পাবে ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল

৩১| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৬

নীলপরি বলেছেন: হয়াংগানুই নদীর বিষয়ে এতো অজানা বিষয় জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ । অনবদ্য লাগলো পোষ্ট ।

শুভকামনা ।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ , এসে দেখার জন্য ।
লিখে ফেলেন নদীর বাঁচার অধিকার
নিয়ে কবিতা একটা ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩২| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,




প্রতিমন্তব্যের অর্থবোধক বিশালতায় চমৎকৃত ।
লিখেছেন ----ভারত যেভাবে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্ নদীগুলোর জীবন সংশয় ঘটাচ্ছে তা শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারতের জনগণের এবং সর্বোপরি সমগ্র মানবসমাজের জন্য বড় ক্ষতি ।
সন্দেহ নেই এতোটুকুও । নদীকে মেরে ফেলা হচ্ছে বাঁধ দিয়ে বিদ্যুত উৎপাদনে, সেচ প্রকল্পে পানির জোগান দেয়াতে ।
খোদ ভারতেই অসংখ্য আন্দোলন হয়েছে এবং হচ্ছে এইভাবে মেরে ফেলা নদীকে বাঁচাও নিয়ে । এই সব আন্দোলনে নেমেছেন হাযার হাযার সমাজকর্মী, পরিবেশবিদ, মানবাধিকার সংগঠনগুলো সহ মায় ছাত্র-জনতা আর নদীতীরবর্তি মানুষজনেরা ।
গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ আর মহারাষ্ট্রের ভিতর দিয়ে বয়ে চলা নর্মদা নদীতে “সরদার সরোভর ড্যাম” সহ আরও অনেক বাঁধের
ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে “ নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন” সারা ভারতে তুমুল সাড়া ফেলে দিয়েছিলো । মেধা পাটেকর এর নেতৃত্বে এখানে যোগ দিয়েছিলেন সাহিত্যে বুকার পুরষ্কারপ্রাপ্ত অরুন্ধতী রায়, ভারতে কুষ্ঠরোগের বিরূদ্ধে যুদ্ধের নায়ক বাবা আমতে , বিহারের মুখ্য মন্ত্রী নিতীশ কুমার , এমন কি বলিউডের স্বনামখ্যাত চিত্রনায়ক আমিরখান পর্যন্ত । তৈরী হয়েছে ফিল্ম , ডকুমেন্টারী ।
আসামের মানুষজনও থেমে থাকেনি । উজানে থাকা অরুনাচল প্রদেশের বিভিন্ন নদীতে ছোটখাটো সহ বড় বড় অনেক বাঁধের কারনে পরিবেশ, ভূ-বৈচিত্র , আর্থ-সামাজিক ক্ষতির বিরূদ্ধে সোচ্চার হয়েছে তারা ।
মরনবাঁধ ফারাক্কার জন্যে ভারতের মানুষজনও এখন ধীরে ধীরে ফুঁসে উঠছে ।
উত্তর ভারতের বারানসী, হরিদ্বার, মথুরা, এলাহাবাদে “গঙ্গা বাঁচাও” আন্দোলন চলছে গান্ধীর অহিংস ধারার অনুকরণে ।
উরিষ্যার “ হিরাকুদ ড্যাম” এর বিরূদ্ধেও সোচ্চার আন্দোলন হয়েছে । উত্তর প্রদেশের ভাগীরথি নদীর উপরে গড়ে তোলা
“ তেহেরী ড্যাম” এর বিরূদ্ধেও নেমেছে মানুষ । মিছিল,
গণ জমায়েত, আমরন অনশন থেকে শুরু করে আইনি লড়াই কিছুই বাদ যায়নি ।এমনি হয়েছে অনেক এবং হচ্ছে । থেমে নেই।

এমনকি স্বয়ং চায়নাতেও ইয়াংসি নদীর উপরে গড়ে তোলা অসংখ্য বাঁধের বিরূদ্ধাচরন করা হচ্ছে নদীকে বাঁচাতে যাতে বেঁচে থাকতে পারে তার তীরবর্তি মানুষ, রক্ষা হয় পরিবেশ, চলমান থাকে যেন জীবন জীবিকা ।

এসব যদি ভারত , চায়নার মানুষেরা পারে আমরা পারিনে কেন ?

একা প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে কিছু হবেনা । তার হাতে হোমওয়র্কের কোনও কাগজ নেই । নেই বাংলাদেশে বছরের পর বছরকঠিন, দূর্বার আন্দোলনের তথ্য-উপাত্ত । তাঁর হাতে যদি এককোটি লোকের স্বাক্ষর করা “নদীর হিস্যা চাই” নামে একটা কাগজও থাকতো তবে উনি কিছুটা হলেও লড়তে পারতেন । আমরা জনগণই তো “ম্যান্দা মারা” । গুটিকয়েক ক্ষীনকন্ঠ শুধু “ নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও” বলে আহাজারি করছেন ।
বাকী সতেরো কোটি লোকের কন্ঠ কই ? এই সতেরো কোটি লোক যদি একসঙ্গে গর্জে উঠতে পারতো তবে তার শব্দেই তো ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে যাবার কথা !
আমরা সবাই খাই-দাই ঘুরি ফিরি । কিছু আছে যারা আবার খাল-বিল-নদীতে বাঁধ দিয়ে আখের গোছায় ।

নদী মরে গেলে কি হয় তা দেখতে সম্প্রতি সহব্লগার বিদ্রোহী ভৃগুর এই পোস্টটিতে চোখ বোলাতে পারেন ----- পানি সংকট: বাস্তবতা আর নদী অধিকার আদায়ে আমাদের ন্যায্যতার লড়াই (রিপোষ্ট)

পারেন আমার লেখা এসব পোস্টেও ------ “এখানে এক নদী ছিলো”

কষ্টে শুকিয়ে যাওয়া এক সাগর

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এই বিষদ তথ্যপুর্ণ মন্তব্যের জন্য । অনেক কিছি জানা হল
এ ব্লগের অনেক পুরাতন মুল্যবান পোষ্টের সাথে আমার এখনো
পরিচয় হয়ে উঠেনি ।

আপনার লিংক ফলো করে সেখানে গিয়ে দেখি বিশাল কারবার ।
অনেক সময় কেটে গেল সেখানে থাকা লিংকগুলি ফলো করে
কিছু লিখা পাঠের জন্য ।

দেশের নদীকে বাঁচাও দাবীর জন্য দেশের প্রতিবাদী কন্ঠের
মধ্যে আপনার কন্ঠটিউ যে বেশ জোগালো ও ধারে ভারে
পরিপুর্ণ তা বুঝা গেল লিখাগুলি পাঠে ।

এটাই এখন সময়ের দাবী , সোচ্চার হতে হবে সকলেই
যে যে অবস্থানেই থাকুন না কেন সামিল হবে পানির দাবীর
আন্দোলনের সাথে । মিইয়ে যাওয়া প্রতিবাদী কন্ঠগুলিতে
করতে হবে প্রাণ সঞ্চার ।

আপনার দেয়া লিংকের সবগুলি পোষ্টেই আশা রাখি যাব একবার ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৩৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১২

টুনটুনি০৪ বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট । পড়ে অনেক বালো লাগছে।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: টুনটুনি সোনামনির কাছে পোষ্ট সুন্দর হয়েছে শুনে হলাম ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৩৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৩৭

সোহানী বলেছেন: কি কইলাম আর উত্তর দিলেন আলী ভাই B:-) B:-) B:-) B# B:-) B:-) B:-) ...

যাকগা্ ...... ভালো থাকেন :(

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, আমি তো বলেছিই খুব সুন্দর কথা বলেছেন । এর মধ্যে আপনার সব কথাই আছে ।
আমিতো পোষ্টে ফারাক্কা, তিস্তা সহ বিপন্ন নদীগুলি কিভাবে শুকিয়ে চৌচির হচ্ছে তাও বলেছি , ছবি ও দেখিয়েছি যা আপনার মন্তব্যে আছে , তাই আপনার মন্তব্যের উত্তরতো সেখানেও আছে ।

আর আমাদের ভালা ভালো উদাহরন দেখিয়ে কোন লাভ নেই কারন আমরা ভালো কিছু কখনই শিখি না।
তার পরেও তো চেষ্টা কিছু করতে হবে নীজেদের বাঁচার তাগিদে । কিছু না শিখলে তো এরকম চলতেই থাকবে ।
এ বিষয়টিতে আপনিউ নিশ্চয়ই একমত হবেন ।

নিজেদের দু'টুকরা মাংসের জন্য দেশকে বিকিয়ে দিতে আমরা একটু ভাবি না।
ঠিকই বলেছেন , দুটুকরো মাংসের জন্য কেও বেচে দেশ, কেও বা আবার এক টুকরা রূটি কিংবা একটু ভাল থাকার জন্য ,,,,,,।

লোভী আর মানুষে পরিনত হচ্ছি দিন দিন।
ধন্যবাদ খাটি সত্যি কথা বলেছেন
কিন্তু অনেকেইতো অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা স্বীকার করে নীজের জীবনকে বিপন্ন করে দেশে বিদেশে থেকে নির্লোভ হয়ে আছেন , , তাই যদি বলি আমরা লোভী আর মানুষে পরিনত হচ্ছি দিন দিন তাহলে এটা দেশের নির্লোভ ত্যাগি মানুষদের প্রতি কি সুবিচার করা হবে? যাহোক। আমরা চেষ্টা করব সেভাবেই কথা বলতে যাতে কারো মনে যেন কোন কষ্ট না লাগে ।

তবে কারো কোন আন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে জান প্রাণ দিয়ে । ১৯৭৬ সনে প্রিয় মজলুম জননেতা মাওলানা ভাষানীর নেতৃত্রে মে মাসের রোদের খরতাপ আর বৃষ্টিতে ভিজে রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দান হতে শুরু করে দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে ফারাক্কার পাদদেশ-সোনামসজিদ পর্যন্ত গিয়েছিলাম । ভারতের নদী অাগ্রাসীর বিরোদ্ধে বুকে আগুন এখনো জ্বলে । পরবর্তী সময়ে ভারতের ফারাক্কা বাঁধের কাছে গিয়ে চোখের জল ফেলে এসেছি , আর ভারতীয় কাউন্টারপার্টদেরকে বলেছি এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে , তোমাদেরকে এর জন্য একদিন চোখের জল ফেলতে হবে । আন্তর্জাতিক নীতিমালা লংগন করে আন্তর্জাতিক কোন নদীর পানি দখলে নেয়ার জন্য ভারতের আগ্রাসী কার্যকলাপের বিপক্ষে জোড়ালো ভাবে দেশে বিদেশের সকল বাংলাদেশীকে যার যার মত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে । ছোট করে বলেছি তারা তাদের মত করে করবে, আর আমরা আমাদের মত করে চেষ্টা করব । আমার কথার মুল সুর ছিল এটাই । আমাদের সকলের প্রচেষ্টার মধ্যে সরকারী প্রচেষ্টাও অন্তভুক্ত , কারণ আমাদের শব্দটা একটা ব্যপক অর্থবোধক , এর মধ্যে আমরা সকলেই আছি । সরকারী প্রচেষ্টায় ভুল কিংবা দুর্বলতাগুলি এক এক করে তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে । তবে এটা এই মন্তব্যের ছোট ঘরে সম্ভব নয় , এর জন্য আরো বড় পরিসরে বিজ্ঞজনদেরকে কথা বলতে হবে ।

ধন্যবাদ আবারো এসে অামার না বলা কথা গুলো বলার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল

৩৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: একটা নদী, একটা উপজাতি - একটা বিল পাশ !!! সুদীর্ঘ ইতিহাসটা পড়তে পড়তে অভিভূত হয়ে গেলাম । পরিশেষে বাংলাদেশের নদীর কথা বলে পুরো পোস্টটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন । প্রিয়তে নিলাম !! পোস্টটি কী স্টিকি করা যায় ?

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , আপ্লুত হলাম প্রসংসামুলক কথা মালায় । নদীটি জগতবাসীর কাছে নীজের অধিকার অআদায়ের জন্য একটি অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে । একটি নদীর মানুষের মত আইনি অধিকার প্রাপ্তির সংবাদটি ইউরোপ , আমিরিকা ও আলজাজিরা সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে । পোষ্টটি স্টিকি করা কতৃপক্ষীয় ব্যপার । পোষ্টটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৩৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: স্বচিত্র বর্ননা সমেত আপনার পোস্টটা অনন্য।


পোস্টের মাঝের দিকের ছবিগুলো দেখে বড়ই আরাম লাগল।


আর শেষের দিকে এসে নিজের দেশের অবস্থা সম্পর্কে কি আর বলব!!!! মনের ব্যাথাটা বুঝে নিয়েন!!!!

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় বিলিয়র রহমান । পোষ্ট আনন্য হয়েছে জেনে খুশী হলাম ।
মাঝের ছবিগুলি দেখে আরাম লাগার কথা শুনে ভাল লাগল
আর শেষের দিকে আমাদের নদীগুলি নিয়ে সকলের
মনে ব্যথা দেয়ার জন্যইতো এই আয়োজন ।

কামনা করি আপনার মত সকলেই হোন ব্যথাতুর
আর গর্জে উঠুন নদীর বেঁচে থাকার অধিকার
আদায়ের আন্দোলনে ।

শুভেচ্ছা রইল

৩৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

শেয়াল বলেছেন: লাভ নাই গা মামু ! 8-|

হেগোর মাথা কবরে গেলেও কুনু লাভ নাই । 8-|

মোগ মাতা ঠিক করতোবো আগে ।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ঠিক কথা কইছ মামু জান
এত দিনে এইটা একটা পন্ডিতের মত কথা কইছ ,
আগে নীজেরে ঠিক করতে অইবো ।

শুভেচ্ছা রইল

৩৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট , আমাদের অবস্থা দেখে মন খারাপ হয়ে গেল। আমাদের অযোগ্য রাষ্ট্র নেতাদের কবে বোধোদয় হবে?

২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্ট চমৎকার অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের অবস্থার উন্নয়নের জন্য আপনাদের মত গুণী লেখনীকে করতে হবে শক্তিশালী হাতিয়ার ।
আমাদের অযোগ্য রাস্ট্র নেতাদেরকে বল বুদ্ধি সাহস দিয়ে চালিত করতে হবে নদীর বাঁচার জন্য
উপযুক্ত কর্মসুছি গ্রহণ করতে দেশে ও বিদেশে । আর নদী খাতক এদেশবাসীর টুটি ধরতে হবে চেপে ।

নদীতে আবর্জনা ফেলার জন্য করতে হবে জেল জরিমানা , সচেতনতা দরকার জনে জনে ।

শুভেচ্ছা জানবেন সুলেখক শ্রদ্ধেয় লিটন ভাই ।

৩৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট
পড়ে ভালো লাগলো ভাই ।

২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্ট অসাধারণ অনুভুত হওয়ায় খুশী হলাম ।
পোষ্ট পাঠে ভাল লাগায় লিখাটি স্বার্থক হল বলে মনে করি ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪০| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

মানবী বলেছেন: পাহাড়, নদী আর লেক নিয়ে আমেরিকার আদিবাসীদের বিশ্বাস আর গল্পগুলো বরাবরই আকৃষ্ট করে। খুব রোমান্চকর মনে হয়। আজ নিউজিল্যান্ডের আদিবাসীদের গল্পটা জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ডাঃ এম এ আলী।


হয়াংগানুই নদীকে বিজয়ের অভিনন্দন!

২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মানবী , আপনার পরবর্তী কোন লিখায় আমিরিকার আদিবাসীদের সংগ্রামী ইতিহাস উঠে আসলে তা পাঠে অনেক ভাল লাগবে , আমরা জানতে পারব অনেক নতুন গল্প । মিসিসিপি নদী কুলবর্তী এই প্রায় হরিয়ে যাওয়া আদিবাসী জনগুষ্ঠি কি সংগ্রামটাই না করেছে তাদের আদিবাসী সংস্কৃতি নিয়ে বেচে থাকার জন্য ।


হয়াংগানুই নদীর প্রতি আপনার অভিনন্দন সহ সামুর সকলের অআভিনন্দন বার্তা ইমেইলে পৌঁছাইয়া দেয়া হলো নিউজিল্যান্ডের হেরাল্ড সংবাদ পত্রের বার্তা বিভাগে ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৪১| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

বিষাদ সময় বলেছেন: বিষয় বস্তু নির্বাচন, উপস্থাপন, ছবি সংযোজন, পরিশিষ্টে এসে পোস্টের টুইস্ট, সর্বোপরি যে বিষয়টির কথা আলাদা ভাবে না বললেই না তা হচ্ছে পোস্ট এবং প্রতি মন্তব্যে অসম্ভব শ্রম প্রদান, সব মিলে অসাধারণ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । আপনার প্রসংসামুলক মন্তব্যে আমি আপ্লুত ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৪২| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: নদী অধিকার নিয়ে আমাদের আন্দোলন এখন একেবারেই বিচ্ছিন্ন ও অসংগঠিত । ব্যপক গনসচেতনতা প্রয়োজন। এই ঐতিহাসিক দুটি চিঠির প্রেক্ষাপট, গুরুত্ব ও ভবিষ্যত প্রভাব অপরিসীম আপনার বক্তব্যের সাথে সহমত।

১। আমাদের ক্ষমতার বলয়ে এবং বাইরের নেতৃত্ব দুরদর্শী হলে, উনারা দলীয় ব্যাকগ্রাউন্ডের বাইরে নদী ও পানি বিষয়ে একটি সর্বজন নাগরিক আন্দোলন চালু রেখে ভারতের সাথে নেগোশিয়েশনের ট্রাম্প খোলা রাখতেন। আজ আমাদের নেতারা ভারতের সাথে কথা বলতে জাচ্ছেন শুধু হাত পা আর সুন্দর জামা কাপড় পরে। কারো সাথে জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও মাথা নেই। নেই নদী ও পানির অধিকারের নৈতিক অবস্থানের বোধ, নেই জন আন্দোলনের ইস্যু, নেই বুদ্ধিবিত্তিক নেগোশিয়েশনের এলিমেন্ট।

২। ফলে ভারত জানে যে, সে বাংলাদেশকে পানি দিলেও জন আন্দোলন, সচেতনতা, ইন্টীকচুয়াল মুভ না থাকায় এবং নেতৃত্ব একেবারেই অদুরদর্শী হওয়ায় এটা তাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোন বিপদে ফেলবে না।

৩। প্রেসিডেন্ট জিয়ার আমলে যে গ্যারান্টি ক্লজ যুক্ত গঙ্গা চুক্তি আমরা পেয়েছিলাম তার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। প্রথমত- মওলানা ভাসানীর সূচিত ব্যাপক জনান্দোলনের প্রভাব। ২। দ্বিতীয়ত-বিষয়টি জাতিসংঘে তুলে ভারতের মান সম্মানে টান দেয়া। এখন জন আন্দোলনও নাই, আর বর্তমানের প্রধান দলগুলো ক্ষমতার সমীকরণে কেউই ভারতকে চটাতে চায় না, আর নদী ও পানির গুরুত্ব এবং সাটেইনেবিলিটির জ্ঞানও এদের কারো নাই।

৪। ভারতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অসম্মানিত করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গঙ্গা, তিস্তা,যমূনার পানি হিস্যার দাবী জানানো খুবই কার্যকরী হবে, তবে বাংলাদেশে পানি হিস্যার জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক সামাজিক আন্দোলনের অনুপুস্থিতে এই সময়ে এটা আমাদের জন্য বুমেরাং হবে। এর পরোক্ষ ফল ভালো নাও হতে পারে।

৫। "ভারত যে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে বা একতরফাভাবে বন্যার পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ভাসিয়ে দেয়, এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক পরিবেশ ফোরামে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। যেমন— সিবিডি নামে একটি কনভেনশন রয়েছে, অর্থাত্ কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি। এছাড়া রয়েছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কনভেনশন, রামসার কনভেনশন, ইন্টারন্যাশনাল ওয়েট ল্যান্ড কনভেনশন। এসব কনভেনশনের আলোকে কিছু ফোরাম গঠিত হয়েছে, এ চুক্তিগুলোর অধীনে কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নদী ও নদীর পানি নিয়ে আরগুমেন্টগুলো করা সম্ভব। যেমন— বায়োডাইভারসিটি কনভেনশনের যে ফোরাম রয়েছে, সেখানে বলা সম্ভব যে ভারত পানি প্রত্যাহার করছে বলে আমাদের প্রাণবৈচিত্র্যের ক্ষতি হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কনভেনশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বলতে পারে, ভারত পানি প্রত্যাহার করার কারণে আমাদের যে বিশ্বঐতিহ্য রয়েছে, সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রামসার কনভেনশনে বাংলাদেশ বলতে পারে, ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করার কারণে দেশের ওয়েটল্যান্ডগুলোর ওপর এর প্রভাব পড়ছে। আন্তর্জাতিক পরিবেশ ফোরামগুলোর কাছে এগুলো অবশ্যই তুলে ধরা যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ এটা করছে না। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিষয়টি তুলেছিল। এর পর একটা ঐক্যমতে আসতে ভারত বাধ্য হয়েছিল। যে কারণে আমরা একটা অসাধারণ চুক্তি পেয়েছিলাম, আর তা হলো— বাংলাদেশকে ন্যূনতম ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দিতে হবে শুষ্ক মৌসুমে। কিন্তু এ ধারাবাহিকতা কোনো রাজনৈতিক দলই পরবর্তীতে আর রাখেনি।, আসিফ নজরুল" ।

সময় করে মওলানা ভাসানীর দৃষ্টি ভঙ্গিকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ অতি সুন্দরভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন ।
আপনার পয়েন্টগুলি খুবই যুক্তিপুর্ণ ।এ্‌ই কৌশলগুলি অবলম্বন করলে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ
সরকার জাতিসংঘে বিষয়টি নিয়ে বেশ শক্ত অবস্থানে থেকে লড়াই করতে পারবে ।

তবে দেশের ভিতরেও এমন একটি অবস্থা সৃস্টি করতে হবে যেন ভারত অনুভব করতে পারে
পানির রাজনীতি করলে ভাটির পানি উজানেও পেতে পারে বিবিধ উপায়ে । কৌশলগত উপায়গুলি
সরকারকেই নির্ধারণ করতে হবে । আর ভাটি হতে অন্য যে বিষয়গুলি উজানে যায় সেগুলিকে টাইট
দিতে হবে উপযুক্তভাবে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৪৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাইয়া, আপনার অনুপ্রেরণায় লিখিত,

http://www.somewhereinblog.net/blog/fateee/30187106

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , দেখে এসেছি ও সেখানে ছোট একটি মন্তব্য রেখে এসেছি ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৬

ক্লে ডল বলেছেন: মাওরিদের প্রতিনিধিত্বকারী এমপি এড্রিয়ান রুরাহে বলছেন, নদীই যাদের জীবন, নদীর ওপর যারা নির্ভরশীল, সার্বিকভাবে তাদের জন্য নদীর অস্তিত্ব খুবই জরুরি। তিনি বলেন এই নদীর কল্যাণের সঙ্গে মানুষের কল্যাণ সরাসরিভাবে জড়িত। তাই এর স্বতন্ত্র অস্তিত্ব স্বীকার করার বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চমৎকার কথা বলেছেন তিনি। আমরা যে কবে এভাবে ভাববো!!!

তারানকি আর পিহাংগা এর প্রণয়কাহিনীও পড়লাম। দারুণ!!

অনেক অনেক অনেক গুলো প্লাস!! :)

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , আমাদের সকলকে নদীর কথা ভাবতে হবে ।
আশা করি একদিন নদীর বাঁচার মত করেই ভাববে।
পাহাড়ের আদি প্রনয়কাহিণি দারুন হয়েছে শুনে
খুশী হলাম ।
অনেক অনেক প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল । :)

৪৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৫৫

বনলতা আবেদিন বলেছেন: বেশ তথ্যে পরিপূর্ণ , আবার আসবো পড়তে । অনেক কিছুই জানার আছে এখানে ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ, লিখাটিকে তথ্যপুর্ণ মনে হওয়ার জন্য ।
অপেক্ষায় রইলাম আপনার আসার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

খাইরুন নাহার বিনতে খলিল বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, পোষ্ট সুন্দর অনুভুত হওয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: আসলে একটি দেশকে আপাত দৃষ্টিতে যতই উন্নত মনে হোকনা কেন কিছু কিছু চিন্তা ধারা ঐতিহ্যগত ভাবেই সেই দেশের জনসাধারণের মাঝে চলে আসে। একটা নদীকে নিয়ে এত কিছু!
বরাবরের মত শ্রমসাধ্য পোস্ট। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এসে দেখার জন্য ।
নদীকে নিয়ে এত কিছু ! এখন ঠেলা বুঝেন ?
হ্যা পোষ্ট অবশ্যই শ্রমসাধ্য।
ধন্যবাদ সাদরে গৃহীত ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৪৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৬

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: এত মানুষের ভিরে, ক্ষুদ্র এই মানুষটির শুভেচ্ছা। খুব বড় পোষ্ট পড়তে খুব বিরক্ত লাগে। কিন্তু আপনার পোস্টটা আগ্রহ নিয়ে পুরোটা পড়লাম। অনেক অজানা জানা হল সাথে কিছু অসাধারণ ছবি। ধন্যবাদ।।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , কি যে বলেন দফাদার ভাই ,আপনি আদৌ কোন ক্ষুদ্র মানুষ নন , আপনাকে খুঁজে বের করলাম সেই সুদুর কোরিয়াতে । দেখে আসলাম সেখানে কেমন করে ভ্রমন করছেন আর কি কি মঝাদার খানা খাচ্ছেন, অআমাদেরকে তা দেখাচ্ছেন । :)

বড় পোষ্ট পাঠে বিরক্তি লাগলেও এটা পাঠ করেছেন দেখে ভাল লাগে । আমি কিন্তু উল্টা , ছোট ছোট পোষ্টগুলিকেও অনেকবার বার উল্টিয়ে পাল্টিয়ে পাঠ করে সময় কাটাই । আপনার কোরিয়া ভ্রমন নিয়া লিখা পোস্টটি অনেক মনযোগ দিয়ে দীর্ঘ সময় নিয়ে পাঠ করেছি , পাঠের সময় গুগল সার্চ করে কোরিয়ার খাবার দাবার সহ আরো অনেক বিষয় ঘন্টা খানেক লাগিয়ে দেখেছি ও কোরিয়ার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি ।

শুভেচ্ছা রইল

৪৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

অপ্‌সরা বলেছেন: অবাক এবং মুগ্ধ হলাম ভাইয়া!

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, অবাক কেন?! :) মুগ্ধতায় আপ্লুত
শুভেচ্ছা রইল

৫০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৫

জুন বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের উত্তর সাথে আমার পাথরগুলো দেখবেন না ডাঃ এম আলী !

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ জুনাপু , দেখে এসেছি , এবং আমার ভাল লাগার কথা বলে এসেছি ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৫১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ( কেমন আছেন ভাই ?)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , ভাল আছি , এইতো এখনই ঘুরে আসলাম আপনার বাড়ী হতে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৫২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৪

তামান্না আক্তার কেয়ামনি বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , খুব ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৫৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বর্ষন হোমস বলেছেন:
আপনার পোষ্টে আমার করা প্রথম মন্তব্য।আপনার পোষ্ট গুলো অনেক বড়।তাই পড়তে আলসেমি চলে আসে।তবে অনেক কিছু জানা যায়।একদিন সময় নিয়ে আপনার সকল পোষ্ট দেখে আসার ইচ্ছে রয়েছে।

শুভকামনা রইলো :)

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুস্বাগতম বর্ষন হোমস , আপনার আগমনে আমি আপ্লুত । আপনি ঠিকই বলেছেন আমার পোষ্টগুলি আকারে বেশ বড় , অনেকের কাছে তা পাঠে বিরক্তি ধরে যায় । কিন্তু কি করব , আমি যা বলতে চাই তা অল্প কথায় গুছিয়ে বলতে পারিনা , এটা আমার অক্ষমতা কিংবা দুর্বলতাই বলতে পারেন । তারপরেও আমার বলা কথাগুলিকে আরো একটু সহজভাবে তুলে ধরার জন্য অনেক প্রাসঙ্গিক ছবি ও ইমেজ সংযোজন করে ফেলি । তবে আমার মনে হয় অনেক পাঠক পোষ্টের লিখাগুলি পাঠ না করেও তাঁদের নীজ বিজ্ঞতায় ছবি বা ইমেজ দেখেই বুঝে নেন কি আছে সেথায় । তাই আমার মনে হয় পোষ্টটি লম্বা হলেও অল্পসময়েই পোষ্টটির প্রতিপাদ্য বিষয় বুঝা যায় ।

আমার পোষ্ট গুলি সময় করে দেখার কথা শুনে অনেক খুশী হলাম ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৫৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২২

১২৩৪ বলেছেন: দারুন একটা পোস্ট। খুবই ইন্টারেষ্টিং! ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্ট ইন্টারেষ্টিং অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল

৫৫| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:১৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: তিস্তার পানি উজানে কোথায় কোথায় ভারত সরিয়ে নিয়েছে তা পরিস্কার দৃশ্যমান। গুগল আর্থে যেয়ে যে কেউ দেখে নিতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর অ্যাটমসফিয়ারিক রিসার্চের প্রতিবেদন অনুসারে পৃথিবীর ৯২৫টি নদীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশের পানি কমে গেছে বিভিন্ন কারণে। হ্রাস পাওয়া নদীপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে ২১৪টি আন্তর্জাতিক নদীর অনেকগুলোই। তিস্তা সহ ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবাহিত অন্য ৫৩টি নদীর পানি এভাবেই ক্রমশ: হ্রাস পাচ্ছে। এর দায় ভারতকে নিতে হবে, বাংলাদেশ কেবল বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে ভাটির দেশ হিসেবে কুফল ভোগ করবে সে কেমন কথা?

ভারত এ অঞ্চলে সবচেয়ে বড় দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক আইনের ন্যায়পরায়ণতার নীতি অনুসারে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে অভিন্ন নদীর অববাহিকার দেশগুলোকে বর্তমান পানি চাহিদার সাথে সাথে অভীষ্ট ব্যবহারের হিসাব বিবেচনায় নিতে পারছে না। ভারত নিজের স্বার্থ ষোলআনা বুঝবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু বন্ধুত্বের খাতিরে বাংলাদেশের যে পরিমাণ জমিকে সেচসুবিধা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তিস্তা ব্যারাজ নির্মাণ করা হয়েছিল, তা অবশ্যই তিস্তা চুক্তি করার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ খুবই মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ।
আপনার কথাগুলি অতি গুরত্বের সহিত
সকলের বিবেচনায় নেয়া একান্ত প্রয়োজন
শুভেচ্ছা রইল ।

৫৬| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৭

জেন রসি বলেছেন: আমাদের দেশের নদীগুলো মরে যাচ্ছে। কোথাও আবার নদী ভাঙ্গনে মানুষ গৃহহীন হচ্ছে। সব মিলিয়ে কোথাও কোন সঠিক পদক্ষেপ দেখিনা এসব বিষয়ে।

১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এ পুরাতন পোষ্টে এসে মুল্যবান দানের জন্য । বাংলাদেশে পরিকল্পনার গোরাতেই অনেক গলদ রয়ে গেছে , এবং এ গলদ ধরা ও মেরামত করার মত দক্ষতা ও যোগ্য জনবল নেই ।

৫৭| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২১

জেন রসি বলেছেন: দক্ষতা এবং যোগ্য জনবল নেই নাকি স্বদিচ্ছা নেই? সঠিক পরিকল্পনা থাকলে আমার মনে হয় আমাদের দেশের জনবলকে বেশ ভালো ভাবেই কাজে লাগানো যাবে।

১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আমাদের দক্ষ ও যোগ্য জনবলের কোন অভাব নেই এ কথা ধ্রুব সত্য । দেশের পরিকল্পনা কমিশন ও মন্ত্রনালয় সমুহের পরিকল্পনা কোষে( Planning Cell) পদায়নকৃত জনবলকে যদি মুল্যায়ন করে দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন ইকনমিক কিংবা প্রশাসন ক্যাডারের জনবলকে তাদের স্পেশালিষ্ট সাবজেকন্টের বাইরে পদায়ন করা হয়েছে , যথা ইতিহাসের লোককে পদায়ন করা হয়েছে পানি সম্পদ বিষয়ক বিভাগে , প্রকৌশলীকে পদায়ন করা হয়েছে ধর্ম বিষয়ক বিভাগে , উদাহরণ আর নাই বা দিলাম , তাই বলছি সঠিক কাজের জন্য সঠিক দক্ষ ও যোগ্য জনবল দ্বারা প্রকল্প প্রনয়ন ও অনুমোদন কর্মকান্ড পরিচালনা না করার কারণে আমাদের পরিকল্পনাগুলি কাংখীত ফলাফল দিতে পারছেনা ।

৫৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০১

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: অসাধারন এক কাজ করেছেন।
দুর্দান্ত পোস্ট।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কোনরকম নোটিশ পাইনি বলে উত্তর দানে অস্বাভাবিক বিলম্বের জন্য দু:খিত ও ক্ষমাপ্রার্থী ।
পোষ্টটি অসাধারণ অনুভুত হ ওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৫৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার আবেদন এ বছল পূর্নতা পেল!
বাংলাদেশে তুরাগ কে জীবন্ত স্বত্তা হিসেবে হাইকোর্ট যুগান্তকারী রায় দিয়েছে।

অভিনন্দন আপনাকে সময়ের দাবীকে যথাসময়ে তুলে ধরায়।

:)

শুধু কাগুজে বাঘ হয়ে নয় বাস্তবতায় তা পূর্নতর রুপ লাভ করুক- এই কামনা।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এসে দেখে মুল্যবান মতামত রেখে যাওয়ার জন্য ।
প্রস্তাবিত নদী রক্ষা কমিশনকে শক্তিশালী ভুমিকা পালনের মত ক্ষমতা ও দায়ীত্ব প্রদান করার
জন্য সকলের জোরালো ভুমিকা রাখা প্রয়োজন হবে ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকলকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে ।
এ বিষয়ে আপনার আবদেনগুলি কতৃপক্ষ সিরিয়াসলি বিবেচনায়
নিলে তা আমাদের বিপন্ন নদ -নদী গুলির জন্য মঙ্গলময় হবে ,
নদী বাঁচবে সাথে আমরাও ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৬০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অভিনন্দন ভাইয়া !

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আপুমনির অভিনন্দন হৃদয়ে গেথে নিলাম ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৬১| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি নদীকে মানুষের সমপরিমাণ আইনগত মর্যাদা দান করার কথাটি ভাবতে গেলে প্রথমে একটু খটকা লাগলেও, একটু গভীরভাবে দুচোখ বুঁজে ভাবলে এ পরিপক্ক সিদ্ধান্তের পেছনে যে প্রজ্ঞা রয়েছে, তার আলো আমাদের দৃষ্টিকে খুলে দেয়। আর পোস্ট পড়ে আমরা বুঝতে পারি, কেন একটি নদী বা জলাশয়কে আমাদের মানবসন্তানের মতই লালন করতে হবে। এ গবেষণামূলক দীর্ঘ পোস্টটির জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন! + +

নিউযীল্যান্ড একটি প্রকৃতি ও পরিবেশবান্ধব দেশ। ওরা প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং আপোষহীন। ২০২০ সালে দেশটি সফরের সময় আমার কাছে এমনটিই মনে হয়েছে।

২৪ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


চোখের সমস্যার কারণে লেখালেখিতে খুব অসুবিধা হচ্ছে ।
একটু ভাল ফিল করলে আপনার মুল্যবান মন্তব্যের
জবাব দিব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৬২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: নিউযীল্যান্ডের হয়াংগানুই নদীর এ বিরল সম্মান এবং অধিকার আদায়ের জন্য দেশটির প্রধান জাতিসত্তা ‘মাওরি’ সম্প্রদায় ১৬০ বছর ধরে লড়াই করার এ তথ্যটি সে সম্প্রদায়ের নদীভক্তি এবং তা বাস্তবায়নে তাদের লড়াকু মনোভাবের স্বাক্ষ্য বহন করে।

"মাওরিদের কান্না আর নদীর কান্না মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়" - কি গভীর একটি অনুভবের কথা! এমনটি হতে পারলেই বুঝি নদী মানুষকে তার আপন সন্তানের মতই বুকে তুলে নেয়, এবং মানুষের জন্যেও সম্ভব হয় তার মাতৃসম নদীর ললাটে এমন একটি বিরল সম্মান যুক্ত করা।

২৪ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


চোখের সমস্যার কারণে লেখালেখিতে খুব অসুবিধা হচ্ছে ।
একটু ভাল ফিল করলে আপনার মুল্যবান মন্তব্যটির
জবাব দিব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৬৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "নদী পায় মানুষের মত বাচার অধিকার" - সংগ্রামী মানুষের এ অভূতপূর্ব বিজয় যুগ যুগ ধরে মানুষকে সংগ্রামের প্রেরণা যুগিয়ে যাবে। এ পোস্টটি পড়ে এ মুহূর্তে আমার মনে যে ভাবনাটি বিরাজ করছেঃ
নদী ও নরনারী পরস্পরের লালনকারী!

৬৩ নং মন্তব্যটা ভুলক্রমে অসমাপ্ত অবস্থায় চলে গেছে। দয়া করে মুছে দিবেন।

২৪ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


অনুরোধ কৃত মন্তব্যটি মোছে দেয়া হয়েছে ।
চোখের সমস্যার কারণে লেখালেখিতে খুব অসুবিধা হচ্ছে ।
একটু ভাল ফিল করলে আপনার মুল্যবান মন্তব্য গুলির
জবাব দিব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৪ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



চোখের সমস্যার কারণে লেখালেখিতে খুব অসুবিধা হচ্ছে ।
একটু ভাল ফিল করলে আপনার মুল্যবান মন্তব্যটির
জবাব দিব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৬৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: পবিত্র রমজানের এ প্রথম দিনটিতে আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন এর দরবারে দোয়া রাখছি, আপনার চক্ষুরোগের আশু নিরাময়ের জন্য। চোখ সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত ব্লগে এসে চোখের উপর কোন চাপ সৃষ্টি করবেন না। আমি পোস্ট লেখার ছয় বছর পরে মন্তব্য করেছি। আমার মন্তব্যের জবাবটাও তাই ছয় বছর পরে দিলেও চলবে। :)

হয়াংগানুই নদী এবং নদীর দুই তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা 'ওয়াংগানু' শহরটির জনবসতির ছবি দেখে চোখ ও মন দুটোই জুড়িয়ে গেল। নদীমাতৃক জনপদের একটি আদর্শ ছবি যেন এটা।
বাংলাদেশের ৮০০ নদীর মধ্যে ইতোমধ্যে প্রায় ৪০০ নদীর মৃত্যু ঘটেছে জেনে যেমন ব্যথিত হ'লাম, তেমনি শংকিতও হ'লাম।
"পোস্টের শেষ ভাগে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ পড়ে শুধু কষ্টই পেলাম" (১২ নং মন্তব্য) - মরহুম আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম আপনার এ পোস্ট পড়ে আমার মনের কথাটিই বলে গিয়েছিলেন।
এক নিরুদ্দেশ পথিক এবং আহমেদ জী এস এর মন্তব্যগুলো (৩০,৩২,৪২ নং) ভালো লেগেছে।
পোস্টে ৩০তম প্লাস। + +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.