নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধের বিষয়ে একটি পদ্ধতির প্রস্তাবনা : তিনটি পর্যায়ে প্রশ্নপত্র প্রনয়ন,চুড়ান্তকরণ, ছাপা ও বিতরণ

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১৫


একথা এখন সকলেই একবাক্যে স্বীকার করবেন যে দেশে প্রশ্নপত্র ফাঁস বলতে গেলে একটি মহামারী আকার ধারণ করছে । কেও কেও অবশ্য বলবেন যে এটা একেবারে নতুন কোন ঘটনা নয়। প্রতিবারের পিএসসি,জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি থেকে শুরু করে সবধরণের পরীক্ষায় প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস এখন দেশে আলোচনার একটি বড় অংশ দখল করে আছে । এ নিয়ে মিডিয়াতে দেখা যায় দেশের স্বস্বনামধন্য শিক্ষাবিদ , তথ্য প্রযুক্তিবিদ , মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, উচু পর্যায়ের সংস্লিষ্ট সরকারী আমলা , ছাত্র- শিক্ষক , অভিবাভক ও সচেতন নাগরিকদের অনেকেই উৎকন্ঠা প্রকাশ করছেন । দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বিধ্বংসি এই প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রায় প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ধরনের আশংকা ও মতামত প্রকাশ করছেন তাঁরা । বিষয়টি আমাদের মত ব্লগারদেরকেও বিচলিত করছে, এ নিয়ে ব্লগারগনও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ সোচ্চার হয়ে উঠেছেন দেখা যাচ্ছে । বিষয়টির ভয়াবহতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নাই । বিভিন্ন মাধ্যমে আসা গুটি কয়েক সংবাদ ভাষ্য হতেও এর ভয়াবহতা ও এর বিপক্ষে প্রতিবাদী কথা ও আচরণ অনুধবান করা যেতে পারে সহজেই ।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত লেখায় দেশে মুলত দুই ধরনের প্রশ্ন ফাঁসের দৃশ্য দেখা যায় । একটি পরীক্ষার দুএক দিন আগে ফাঁস হওয়া, আরেকটি পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ফাঁস হওয়া। পরীক্ষা বাণিজ্যের সঙ্গে এত দিন যুক্ত ছিল কোচিং সেন্টার, নোটগাইড বা অনুশীলন বই। এখন নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে প্রশ্ন ফাঁস, যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছু সংখ্যক শিক্ষক নামদারী অসৎ মানুষ, কোচিং সেন্টার, ছাত্র ও ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এখানে মোটা অংকের টাকার গন্ধ থাকায় প্রশ্ন ফাঁস বাণিজ্য রমরমা হয়ে উঠেছে । পরীক্ষাটাই যেন এখন একটা বিরাট প্রহসনে পরিনত হয়েছে ।

এখন পরীক্ষা হলেই প্রশ্ন ফাঁস , তাও আবার আগাম ঘোষনা দিয়ে । এমন মাত্রার প্রশ্ন ফাঁস ইতিপুর্বে দেখা যায়নি দেশে । প্রশ্ন ফাঁস রোধের এত সব উদ্যোগও দেখা যায়নি আগে । তবে বাস্তবতা হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়েও কোনোভাবেই তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না।

পরীক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের অনেকেই পরীক্ষা ব্যবস্থাটাকেই এখন প্রহসনে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন । প্রশ্ন ফাঁসের মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রে যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ক্ষোভ ও হতাশায় প্রতিদিন তারা ডুবে যাচ্ছে।
ছবি-২ : ক্ষোভ ও হতাশা নিয়ে পরীক্ষারত ছাত্র ছাত্রী।

এর পরিনামে দেশের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীগন প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠছেন । তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন দেশের সকল সচেতন মানুষ , তারাও আজ বিক্ষুব্ধ আর হতাশা গ্রস্থ । এ বিষয়ে চুপ করে থাকার সময় শেষ হয়ে এসেছে । মনে হয় সকলের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে ।
ছবি -৩ : প্রতিবাদে মুখর দেশের ভোক্তভোগী মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের সাথে যুক্ত হয়েছেন সচেতন অভিবাবকবৃন্দ

প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি পর্যালোচনায় দেখা যায় , শিক্ষাব্যবস্থায় যত বেশি পরীক্ষা বাড়ছে, ততই বাড়ছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বাজার। ফেসবুকে একেকটি গ্রুপে কয়েক হাজার সদস্য, ফাঁসকৃত প্রশ্ন একজন পেলেই এদের সবাই পেয়ে যায়, এরপর জ্যামিতিক হারে তা বাড়তে থাকে। হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইমো এবং ভাইবারেও প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ছে মহুর্তেই দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।
ছবি-৪ : মোবাইল ফোন দিয়ে প্রশ্ন ফাঁস

পরিস্থিতি এতটাই প্রকট হয়েছে যে খোদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ই বর্তমান প্রক্রিয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো কঠিন কাজ বলে মনে করছে । প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ও ফেসবুক বন্ধ রাখা, প্রশ্ন ফাঁসকারীকে ধরিয়ে দিলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণাসহ এক ডজনের বেশি সিদ্ধান্ত বা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি, সর্বশেষ প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে এই অভিযোগে গ্রেপ্তারের সংখ্যা শতের ঘর অতিক্রম করেছে । কিন্তু কোন উদ্যোগই কাজে আসছেনা । বিষয়গুলি নিন্মের চিত্রে খানিকটা অবলোকন করা যেতে পারে ।
ছবি-৫ : কোন উদ্যোগই কাজে আসছেনা

সুত্র : Click This Link

এ কথা সত্য যে প্রশ্ন ফাঁস আগেও হয়েছে তবে তা কখনো এতটা ভয়াবহ পর্যায়ে যায়নি। এখন অবস্থাটি বলতে গেলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে বিভিন্ন মহলে অআলোচনা হচ্ছে । দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও দায়বদ্ধতা না থাকায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন । শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত হিসেবে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা মূলত বহনকারী বা সুবিধাভোগী শিক্ষার্থী। প্রশ্নপত্র কোথা থেকে ফাঁস হয়েছে, তার উৎস চিহ্নিত হয়নি । অনেকের মতে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে এখন যা হচ্ছে, তা মূলত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড । তাই এটা দমনের লক্ষ্যে কতৃপক্ষ পর্যায়ে কিছু গ্রেফতারী কর্মকান্ড চোখে পড়লেও তা বিশেষ কোন কাজে আসেনি ।

অপর দিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও ডিজিটাল পদ্ধতিতেই প্রশ্ন ফাঁস রোধ সম্ভব বলে মনে করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী। তিনি প্রচলিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রশ্ন তৈরি শুরু হতে প্রশ্নটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর প্রক্রিয়াটি দীর্ঘদিন ধরে একভাবেই পরিচালিত হয়ে আসায় এর সাথে যুক্ত মানুষ ও পুরো প্রক্রিয়াটির মধ্যে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বিধান যে কারও জন্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন ।

বলা হচ্ছে প্রযুক্তিগত দিক থেকে যে কাউকে ট্রেস করা সম্ভব হলেও প্রযুক্তিতে যেমন অপরাধী চিহ্নিত করার সুযোগ আছে, তেমনি সেখানে ফাঁকি দেওয়ারও সুযোগ আছে। রিয়েল আইপি অ্যাড্রেস থাকলে সহজে শনাক্ত করা যায় , কিন্তু ভিপিএন ব্যবহার করলে শনাক্ত করা বেশ কঠিন । সরকারকে যারা ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছে, তারা প্রযুক্তিগত ভাবে বেশ সক্ষমতার অধিকারী, অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় তারা কয়েক ডিগ্রী উপর দিয়েই চলে ,তা না হলে এতসব সরকারী বিধি বিধান ও কর্মকান্ডের পরেও প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয় কি করে !!!

এ পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত হিসেবে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা মূলত বহনকারী বা সুবিধাভোগী শিক্ষার্থী। প্রশ্ন কোথা থেকে ফাঁস হয়েছে, তার উৎস চিহ্নিত হয়নি। এ ছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষায় জালিয়াতি ও প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে গিয়ে ধরা পড়া ঘটনায় ‘পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে’ মামলা হলেও কারও সাজা হয়নি। এ ধরনের মামলায় কেবল গ্রেফতারের খবরই দেখা যায় । এরপর প্রায় সব মামলার পরিণতিই জামিন আর খালাস, যার কোন খবর মিডিয়ায় তেমন আর আসেনা ।

প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে ,পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে জাতীয় সংসদে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দাবি করেছেন বিরোধী দলের একজন সাংসদ । এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী কি বিবৃতি দিয়েছেন তা সকলেরই জানা ।
( সুত্র : Click This Link
ছবি-৬ : জাতীয় সংসদ ভবন

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবিরাও পিছিয়ে নেই । প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে সরকারের ব্যর্থতার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের চারজন আইজীবীর দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৫ ই ফেব্রুয়ারী আদালত একটি রুলও জারি করেন। রুলিংয়ে বলা হয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জানাতে হবে কেন সরকারের এই নিষ্ক্রিয়তাকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না ।
ছবি-৭ : হাইকোর্ট ভবন

সুত্র : Click This Link তারিখ : ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০১৮

ইত্যাকার বিবিধ কারণে ইদানিং সরকারের সংস্লিষ্ট মহল/মন্ত্রনালয় বেশ নরে চরে বসেছেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখা যায় ।
গত ২০ শে ফেব্রুয়ারী ২০১৮ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রশ্ন ফাঁসের সম্ভাব্য ছয় ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা হয়( সুত্র : Click This Link , ।

সভার কার্যপত্রে বর্নিত প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভাব্য ছয়টি ক্ষেত্রের সংক্ষপ্ত বিবরণ

প্রথমত , বিজি প্রেসে প্রশ্নপত্র ছাপার কাজে অনেক লোক জড়িত থাকেন। তাঁরা প্রশ্ন কপি করতে না পারলেও স্মৃতিতে ধারণ করে নিয়ে আসতে পারেন। তিন থেকে চারজনের গ্রুপের পক্ষে এভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা অসম্ভব কিছুনা ।
দ্বিতীয়ত, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে ট্রেজারি বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশ থাকলেও বাস্তবে অনেক কেন্দ্রে পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না।
তৃতীয়ত, অতিরিক্ত কেন্দ্রের অনুমতি দেওয়ায় সেগুলি ব্যবস্থাপনার জন্য পর্যাপ্ত জনবলের অভাব রয়েছে।
চতুর্থত, মুল পরীক্ষা কেন্দ্রের অধীন কিছু পরীক্ষার স্থান/ভেন্যু অনেক ক্ষেত্রে মূল কেন্দ্র থেকে দূরে অবস্থিত। ফলে ৩০ মিনিট আগেই কেন্দ্রসচিব প্রশ্ন খুলতে বাধ্য হন। এখান থেকেও প্রশ্ন ফাঁসের কিছুটা সুযোগ থেকে যায় ।
পঞ্চমত, পরীক্ষার্থী বা পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর । গুটি কয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে গোটা প্রশ্নপত্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হয়ে য়ায়।
ষষ্ঠত, বিটিআরসির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন আপলোডকারীদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করাও সম্ভব হচ্ছে না।
তবে প্রশ্ন ফাঁসের ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত হলেও আন্ত মন্ত্রনালয় সভায় প্রশ্ন ফাঁসকারী চিহ্নিত হয়নি।

প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানোতে ব্যর্থতার কারণে আগামী বছর নতুন পদ্ধতিতে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া এবং নতুন পদ্ধতিতে কয়েক শ প্রশ্ন নিয়ে একটি ‘প্রশ্নব্যাংক’ তৈরী করে সেখান থেকে পরীক্ষার আগ মুহূর্তে চুড়ান্ত প্রশ্নপত্র তৈরি করার বিষয়ে আলোচনা হয় বলে দেখা যায় । একই সঙ্গে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) তুলে দেওয়ার বিষয়েও নীতিগতভাবে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানা যায় ।

আগামী ২০১৯ সনে অনুষ্ঠিতব্য এস এস সি পরীক্ষায় অনুসৃতব্য নতুন পদ্ধতিটি কী হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন কিছু অবশ্য এখনো জানা যায়নি । তবে প্রস্তাবিত প্রশ্ন ব্যাংকের ব্যাখ্যা সম্পর্কে প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদ ভাষ্যে জানা যায় প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, সংশোধন ও প্রশ্ন নির্বাচনের কাজটি একটি নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হবে। ওই সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারীদের ( শিক্ষক) কাছ থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে তা ‘প্রশ্নব্যাংকে’ রাখা হবে। সেখান থেকে প্রশ্নপত্রের সেট তৈরি হবে। একাধিক প্রশ্ন সেট অনলাইনে পরীক্ষার আগ মুহূর্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে পাঠানো হবে। সুরক্ষিত যন্ত্রের ( ডিভাইস) মাধ্যমে এই কাজটি করা হবে । এ প্রসঙ্গে এখানে উল্লেখ্য যে বর্তমানে এস এস সি সহ পাবলিক পরীক্ষায় বিজি প্রেসে দুই সেট প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে পাঠানো হয় । পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার নিয়ম। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো কেন্দ্রে এর আগেই প্যাকেট খোলা হয় এবং মুঠোফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাইরে পাঠিয়ে ফাঁস করা হয়।

এ অবস্থার প্রেক্ষিতে সরকার কেন্দ্রিয়ভাবে প্রশ্ন ছাপাবে নাকি পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো ডিভাইস দিয়ে তা করতে পারবে তা এখন একটি বিরাট ভাবনার বিষয় বটে । বর্তমান অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রে পরীক্ষার কিছুক্ষন পুর্বে একটি মাত্র প্রশ্ন ছাপিয়ে কোনো লাভ হবে বলে মনে হয়না । অপরদিকে এখন যে সময়ে কেন্দ্রে প্রশ্ন যাচ্ছে তাতেই ফাঁস হচ্ছে। আর কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ছাপাতে হলে তা ছাপতে হবে কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে । সুতরাং, ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনাতো থেকেই যাচ্ছে। সঙ্গত কারণে এমন কোনো পদ্ধতি আবিষ্কার করা প্রয়োজন যেখানে প্রশ্নপত্র ছাপাও হবে, বিতরণও হবে অথচ ফাঁস হবে না । এমতাবস্থায় প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত বিষয়ে, উপরে আলোচিত সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে প্রশ্নপত্র প্রনয়ন , ছাপানো ও তা পরীক্ষার্থীদের নিকট বিতরণ ও মাঝপথে ফাঁস হওয়া রোধ কল্পে একটি উপযুক্ত পন্থা নিয়ে আমাদের মত সাধারণ শিক্ষানুরাগী আমজনতার আলোচনা এখান হতেই শুরু হতে পারে ।

এখানে একটি কথা উল্লেখ্য যে, প্রশ্নপত্র প্রনয়ন ও বিতরণের মত জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন ও বাস্তবায়নে সমাজের সকল স্তরের মানুষের অংশগ্রহন যত স্বচ্ছ ও স্বতস্ফুর্ত হবে গৃহীত ব্যবস্থাটি তত বেশী নিখুত ও নির্ভরশীল হবে । গুটি কয়েক বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে গৃহীত ব্যবস্থা যে বার বার ব্যর্থতায় পর্যবেসিত হচ্ছে তা কি আর এখন বলার অপেক্ষা রাখে ।

তাই প্রশ্ন পত্র ফাঁসের মত জনগুরুত্বপুর্ন একটি বিষয়ে গুটি কতেক বিশেষজ্ঞ নিয়ে ছোট্ট পরিসরে মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহন কাঙিত ফল দিবে বলে মনে হয় না । এর জন্য প্রয়োজন সকলের সম্পৃক্ততা ও সহযোগীতা । এ লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করা প্রয়োজন । এই কমিটি একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় সমাজের সংস্লিষ্ট সকলের নিকট হতে উপযুক্ত কৌশল সম্বলিত বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্ববান করতে পারেন । প্রাপ্ত প্রস্তবনাগুলি পর্যালোচনা করে কমিটি এক বা একাধিক কনসেপ্ট পেপার তৈরী করতে পারেন । কমিটি কতৃক প্রনীত কনসেপ্ট পেপারটি শিক্ষা মন্ত্রনালয় তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সমাজের সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের সাথে ইফেকটিভ কনসালটেশন এর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ ও সেগুলি মুল্যায়ন করে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারে । সমাজের সকল স্তরের মানুষের অংশ গ্রহনের ফলে গুনগতমানের উপযুক্ত প্রশ্নপত্র প্রনয়ন থেকে শুরু করে সেগুলির বিতরন পর্যায় পর্যন্ত একটি উপযুক্ত কৌশল উদ্ভাবিত হতে পারে । তবে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের সাথে সংষ্লিষ্ট সকলের দায়িত্ব যতাযথভাবে পালিত হচ্ছে কিনা তা সুনির্দিষ্ট পন্থায় যথাযথভাবে তদারকি ও ব্যর্থতার দায় নিরোপন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করাটাও একান্ত জরুরী। খেয়াল রাখতে হবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায় শুধুমাত্র ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্র বহনকারীদের কাধেই না বর্তিয়ৈ , পুরা নেট ওয়ার্কটাই সনাক্ত করা প্রয়োজন , অবশ্য এ সবকিছু নির্ভর করে কতৃপক্ষের সদিচ্ছা ও নিষ্ঠর সহিত তা পালনের মানসিকতার উপর ।

যাহোক, এ আলোচনার ইতি টানার পুর্বে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ কল্পে এর প্রনয়ন ও বিতরন ব্যবস্থার বিষয়ে দেশের একজন অতি সাধারণ নাগরিক হিসাবে একটি কর্ম পন্থা নিয়ে কিছুটা আলোকপাত করা প্রয়োজন মনে করি । সবাই যদি শুধু বলি প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা প্রয়োজন , কিন্তু কিভাবে এটা রোধ করা যেতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে কিছু না বলা হয় তাহলে বলাটা অসম্পুর্ণ থেকে যায় । যদিও ধারণা করি প্রস্তাবিত পন্থাটি সম্পর্কে অনেকের বিভিন্ন রকমের দৃষ্টিভঙ্গী থাকতে পারে তথাপি এটি একটি ভাবনার শুরুতো হতে পারে ।

প্রস্তাবিত পন্থা/কৌশলটির মুল কাঠামো ও বাস্তবায়ন পর্যায় সমুহ

১) কর্মসুচী/পন্থাটি বাস্তবায়নের জন্য প্রথমেই পরীক্ষার প্রতিটি বিষয়ের জন্য একটি প্রশ্নপত্র প্রনয়ন ও নির্বাচন কমিটি গঠন করা যেতে পারে ।এই কমিটিতে সংস্লিশ্ট বিষয়ে দেশের বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ।

২) এই কমিটি দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়ের উপরে বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিকট হতে নির্ধারিত গাইড লাইনের আলোকে সংস্লিষ্ট বিষয়ের পাঠ্যক্রমের পরিধির ভিতরে থেকে প্রশ্ন প্রনয়ন করে মুল কমিটির নিকট প্রেরনের জন্য আহ্নবান জানাবে ।

৩) কমিটির বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের সদস্যগন প্রাপ্ত প্রশ্নপত্র সমুহের মধ্য হতে উপযুক্তমানের প্রশ্ন নিয়ে প্রতিটি বিষয়ের জন্য ২০ টি ইউনিক প্রশ্নপত্র প্রনয়ন করবে । কোন প্রশ্নের সাথে কোনটিই মিলতে পারবেনা । প্রতিটি প্রশ্ন সেটে পরীক্ষার স্তর ( যথা এস এস সি /এইচ এস সি ) অনুযায়ী ২/৩ ঘন্টা সময়ের মধ্যে উত্তর দান উপযোগী সর্বাধিক ১০ টির মত প্রশ্ন দিয়ে একটি প্রশ্নপত্র তৈরী করবে । বিষয় ভিত্তিক ১০টি করে প্রশ্ন নিয়ে গঠিত প্রশ্নটি হবে সে বিষয়ের জন্য একটি প্রশ্ন ব্যাংক । বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন ব্যাংকটি চুড়ান্ত করতে হবে পরীক্ষা শুরু হওয়ার মাত্র তিন দিন পুর্বে । এ পর্যায়ে প্রশ্ন ব্যাংক হতে দৈবক্রমে কোন সেটের প্রশ্ন ফাঁস হলেও কারো কোন লাভ হবেনা , কারন কেও জানবেনা কোন সেট দিয়ে পরীক্ষা হবে । অতএব এ পর্যায়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে দুশ্চিন্তার তেমন কোন কারণ নেই । তবে একটি বিষয়ে কিছু সম্ভাবনা থেকে যেতে পারে , তাহলো সংঘবদ্ধ প্রশ্নপত্র ফাঁস কারীরা ২০ টি সেটের অধীনে ২০০টি (২০ X ১০=২০০) প্রশ্নের উপর একটি 'উত্তর-পত্র ব্যাংক' তৈরী করে তাদের হাতের কাছে মজুদ রাখতে পারে ভবিষ্যতে মওকা মত ব্যবহার করার জন্য, সে সাথে পরীক্ষায় কমন পড়ার নিশ্চয়তা দিয়ে দেশ জোরে নোট বুকের একটি রমরমা বানিজ্যও ফেদে বসতে পারে !! তাই এ পর্যায়েও যথেষ্ট গোপনীয়তা রক্ষার কৌশল অবলম্বন প্রয়োজন হবে । গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা ও সেজন্য কঠোরতম শাস্তির বিধান রাখাটাও প্রয়োজন হবে । গন্ডিটা ছোট বলে এ পর্যায়ে দায়ীদেরকে সনাক্ত করা তেমন কোন কঠীন হবেনা বলেই মনে হয় ।

৪) পরীক্ষা শুরুর মাত্র দুই ঘন্টা পুর্বে একটি বিশেষ কমিটি কতৃক শিক্ষা বোর্ডের সন্মেলন কক্ষে সকলের সামনে চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রশ্নব্যাংক হতে ২০ সেট প্রশ্ন নিয়ে নিন্মের মত স্বচ্ছ একটি মিশ্রন বাক্সে ডেলে এলোমেলো করে সেখান হতে ১০ সেট প্রশ্ন রেনডমলি নির্বাচন করতে হবে । এ পর্যায়েও প্রশ্ন ব্যাংক হতে দৈবক্রমে কোন সেটের প্রশ্ন ফাঁস হলেও কারো তেমন কোন লাভ হবেনা , কারন কেও জানবেনা কোন সেট দিয়ে পরীক্ষা হবে । ১০ টি সেটের যে কোন একটি দিয়ে পরীক্ষা হতে পারে , অতএব কেও যদি ফাঁসকৃত প্রশ্নের প্রেক্ষিতে পরীক্ষা দিতে চায় তাহলে তাকে ১০ টি সেট হতেই ১০০টির মত বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উপরে প্রস্তুতি নিতে হবে যা দুই ঘন্টার মধ্যে করা সম্ভব হবেনা । তবে এ ক্ষেত্রেও উপরের মত 'উত্তর-পত্র ব্যাংক' সংক্নান্ত বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে ।

ছবি-৮ : প্রথম পর্যায়ে প্রশ্নপত্র মিক্সিং ও সেখান হতে রেনডমলী ২০ সেট প্রশ্নপত্র নির্বাচন
( ডিভাইসটি মুলত রাফেল ড্রতে ব্যবহৃত হয়)


৪) উপরে বর্নিত পন্থায় নির্বাচিত ১০ সেট প্রশ্ন পরীক্ষা শুরু হওয়ার মাত্র এক ঘন্টা পুর্বে প্রয়োজনীয় গোপনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অনলাইন/ই-মেইলের মাধ্যমে প্রতিটি পরিক্ষা কেন্দ্রে প্রেরণ করতে হবে । এই সময়ের মধ্যে ই-মেইলে প্রেরিত প্রশ্ন ফাঁস হলেও তেমন কোন সমস্যা নাই । কারন তখনো কেও নিশ্চিত হতে পারবেনা কোন প্রশ্নটি দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে ।

৫) অনলাইন/ ই - মেইলে ১০ সেট প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর পরীক্ষা কেন্দ্রের কম্পিউটারে সেগুলি ডাউনলোড করে প্রতিটি প্রশ্নপত্রের মাত্র একটি প্রিন্ট বের করতে হবে । প্রতিটি সেটের জন্য একটি করে মোট ১০ সেট প্রশ্নপত্রকে নিন্মের মত স্বচ্ছ একটি মিক্সিং বক্সে ডেলে এলোমোলো করে সেখান হতে কেন্দ্র কমিটি কতৃক ৫ সেট প্রশ্নপত্র রেনডমলি উঠাতে হবে ।

ছবি-৯: দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রশ্নপত্র মিক্সিং ও সেখান হতে রেনডমলী ১০ সেট প্রশ্নপত্র নির্বাচন

এটা করতে হবে পরীক্ষা শুরু হওয়ার মাত্র ৩০ মিনিট পুর্বে, কেন্দ্র কমিটির সকল সদস্যের সম্মুখে । এ পর্যায়েও কেও নিশ্চিত হতে পারবেনা কোনটি দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে । এপর্যায়ে দৈব দুর্বিপাকে যদি ৫ সেট প্রশ্নই ফাঁস হয়ে যায় তাহলে পরীক্ষার্থীকে ৫ সেট প্রশ্নের উপরে প্রায় ৫০টির মত প্রশ্নের উত্তর তৈরী করতে হবে । বায়োনিক ক্ষমতা সমপন্ন কেও যদি তা করতে পারে তাহলে করতে পারে তবে সে সম্ভাবনা একেবারে কম । তাছাড়া পরীক্ষার্থীদেরকে তো পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পুর্বে পরীক্ষার হলে উপস্থিত থাকার জন্য একটি নির্দেশনা রয়েছেই , যা তখনো বলবত রাখতে হবে । কেন্দ্রে সে সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করে বাহির হতে পরীক্ষার্থীদেরকে প্রম্ট করার সুযোগ বন্ধ করার বিষয়টিও প্রস্তাবিত এই কর্ম কৌশলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ।

৬) এ পদ্ধতিতে নির্বাচিত ৫ সেট প্রশ্নপত্রকে ( সেট -ক, সেট - খ, গ, ঘ, ঙ নামে ভাগ করে ) কেন্দ্রের মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যার ভিত্তিতে ( পরীক্ষা কেন্দ্রে গড়ে মোট প্রায় ১৫০০ পরীক্ষার্থী ধরে নিয়ে ) প্রতি ৩০০ জনের জন্য ১ সেট প্রশ্নের প্রিন্ট নিলেই চলবে । উল্লেখ্য যে ফেব্রুয়ারী ২০১৮ তে অনুষ্ঠিত এস এস সি পরিক্ষায় ৮৫৫১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে মোট ১৭ লক্ষ চুয়াত্তর হাজার ৫৩৩ জন পরিক্ষার্থী দেশের ৩৪১২ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছে । এর মধ্যে দেশের বাইরে বিদেশে অবস্থিত ৮ টি কেন্দ্র হতে মোট ৪৫৮ জন পরীক্ষা দিয়েছে, সে সমস্ত কেন্দ্রে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে তেমন কিছু শুনা যায়না । তারপরেও বিদেশী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত নিরাপদ পদ্ধতিতে প্রশ্ন সরবরাহ করতে হবে । কারণ এ প্রযুক্তির যুগে বলাতো যায়না, সেখানে প্রশ্ন যাওয়া আসা ও বিতরনের সময় কোন মতে ফাঁশ হলে তা দেশে আসতে মহুর্তমাত্র সময়ই যথেষ্ট ।

পুর্বেই বলা হয়েছে কেন্দ্রিয় প্রশ্ন প্রনয়ন কমিটি কতৃক চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত বা প্রনীত প্রতিটি প্রশ্নই আবশ্যিক ভাবে গুনেমানে সমান গুরুত্ব ও মানের হবে । সে বিবেচনায় প্রতি সেটে ৩০০টি করে মোট ৫ সেট প্রশ্নপত্রকে উচ্চ গতির প্রিন্টিং ক্ষমতা সম্পন্ন লেজার প্রিন্টারের সাহায্যে মোট ১৫০০ কপি (পরীক্ষার্থীর সংখ্যানুযায়ী প্রয়োজনে কম বেশী হতে পারে ) প্রিন্ট করতে হবে । একটি এইচ পি লেজার জেট প্রিন্টারে ৩০০ কপি প্রিন্টের জন্য মাত্র ১০ মিনিট সময় প্রয়োজন হতে পারে । প্রিন্টিং এর জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে মাত্র ৫ টি লেজার প্রিন্টারের ব্যবস্থা রাখলেই চলবে , প্রিনটারের গতির উপরে নির্ভর করে সময় আরো কমও লাগতে পারে । এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট ও তার অর্থায়নের বিষয়গুলি লেখাটির পরের অংশে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে ।

ছবি -১০ : প্রশ্নপত্র প্রিন্টিং এর জন্য লেজার প্রিনটার সমুহ

তারপরে ছাপানো সকল প্রশ্নপত্রকে একসাথে নিন্মের মত বড় আকারের একটি স্বচ্ছ মিক্সিং বক্সে ডেলে দিয়ে কেন্দ্র কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে এলোমোলো করে একত্রে মিশাতে হবে ।
ছবি-১১: কেন্দ্র পর্যায়ে ছাপানো প্রশ্নপত্র একত্রে মিশিয়ে সেখান হতে রেনডমলী ৫ সেট প্রশ্নপত্র নির্বাচন

তারপর মিক্সিং বক্সের ভিতরে থাকা প্রশ্নগুলি হতে ৫ সেট প্রশ্নপত্র রেনডমলি তুলে নিয়ে সেগুলি হতে একের পর একটি করে পরিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে । যার ভাগে যা পরে তাই দিয়ে সে পরীক্ষা দিবে । প্রশ্ন নির্বাচন , ছাপানো ও তা পরীক্ষার্থীদের নিকট বিতরণ কর্মকান্ডের জন্য ৩০ মিনিট সময়ই যথেষ্ট । উল্লেখ্য যে পরীক্ষার স্থান/ভেন্যুগুলি মুল কেন্দ্র হতে কোন মতেই হাটা পথে ৫/৭ মিনিটের বেশী দুরত্বে হতে পারবেনা । কারণ দুরের ভেন্যুতে প্রশ্ন নেয়ার কালে যে কোন অঘটন ঘটে যেতে পারে । উপরে বর্নিত কৌশলাদি পরিচালনার জন্য প্রয়োজনে যতধরনের প্রস্তুতি মুলক প্রশিক্ষন বা অনুশীলনমুলক কর্মকান্ডের প্রয়োজন হবে তার ব্যবস্থা পুর্বাহ্নেই পরীক্ষা কেন্দ্র কতৃপক্ষকে করতে হবে । এই প্রযুক্তির যুগে এটা কোন অসম্ভব কর্ম নয় । এরকম কর্মকান্ডের ফলে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার জন্য ফাঁস কারীরা মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় হাতে পেতে পারে । তাও নিশ্চিত নয় কোন সেট কোন পরীক্ষার্থীর হাতে যাবে , এমনকি পাশাপাশি সিটে বসা দুজন পরীক্ষার্থী দুরকমের প্রশ্ন হাতে পেতে পারে , ফলে একে অপরে দেখা দেখি করে লেখাও সম্ভব হবেনা ।

এখানে আরো একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন সেটের প্রশ্নপত্রে পরিচালিত পরিক্ষার উত্তর পত্র মুল্যায়নের বিষয়টিও গুরুত্বপুর্ণ । প্রশ্নপত্র গুলি নির্ধারিত পাঠ্যক্রম যথাযথভাবে অনুসরন করে প্রনীত এবং প্রতি সেট প্রশ্নের প্রতিটি ক্রমিকে সম মান থাকার কারণে উত্তর পত্র মুল্যায়নে তেমন কোন অসুবিধা হবেনা । সকল মুল্যায়নকারীকেই উত্তরপত্র মুল্যায়নের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড গাইড লাইন সরবরাহ করা হলে সকল পরীক্ষার্থীর উত্তর পত্রই সমভাবে মুল্যায়িত হতে পারবে । তবে কমিটি কতৃক রেনডমলী নির্বাচিত প্রশ্নগুলি ও যেগুলির মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া হবে তা কমিটির সকল সদস্যের স্বাক্ষর যুক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রন কমিটি/কতৃপক্ষের নিকট অনলাইনে প্রেরন করে তা সংরক্ষন ও সে অনুযায়ী উত্তর পত্র মুল্যায়নের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহন করতে হবে ।

প্রস্তাবিত পন্থাটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক ( সরঞ্জাম) সাপোর্টের একটি ব্যয় প্রাক্কলন

পুর্ব বর্নিত তথ্য হতে দেখা যায় সারা দেশে এস এস সি স্তরের পরীক্ষা প্রায় ৩৫০০ টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে পারে । সে হিসাবে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক ( সরঞ্জাম) সাপোর্টের একটি ব্যয় প্রাকলন দেয়া হলো ।

উপরের ব্যয় প্রাক্কলন অনুযায়ী সর্বমোট ৮২ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকার সরঞ্জামের প্রয়োজন হতে পারে । এর মধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ৫ টি কম্পিউটার আছে ( পরীক্ষা কেন্দ্র হওয়ার মত যোগ্য হিসাবে বিবেচিত প্রায় প্রতিটি স্কুলে পাঁচটি কম্পিউটার/লেপটপ থাকা এখন একটি স্বাভাবিক বিষয়) । তাই উপরের ব্যয় প্রাক্কলন হতে কম্পিউটার খাতের অর্থ বাদ দিলে কর্মসুচীটির জন্য মোট প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমান দাঁড়াবে ৩০ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকার মত । বিভিন্ন মিডিয়া হতে জানা যায় এশিয়ান ডেভেলপসেন্ট ব্যাংক শিক্ষা অবকাঠামো খাতে শহজ শর্তে অনুদান/ঋণ দানে খুবই আগ্রহী । মোট কথা এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থান কঠীন কোন বিষয় নয় । তাছাড়া এই কর্মসুচী বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা ফিস হতে কিংবা সরকারী /বেসরকারী বা আন্তরজাতিক দাতা সংস্থার নিকট হতে অনুদান হিসাবে পাওয়া যেতে পারে । উল্লেখ্য যে, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আন্ত শিক্ষা বোর্ড কো অর্ডিনেশন সাব কমিটি ২০১৮ সনে এস এস সি পরীক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ১৫৫০ টাকা পরীক্ষা ফিস নির্ধারন করে দিয়েছে, সুত্র : http://www.observerbd.com/details.php?id=98971 ) ।
সে হিসাবে শুধুমাত্র দেশের এস এস সি স্তরের ১৭.৭৫ লক্ষ পরীক্ষার্থীদের নিকট হতে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার উপরে ফিস সরকারী খাতে আহরিত হতে পারে । এই অর্থের মধ্যে মাত্র ১০ ভাগ অর্থ ব্যয় করে উপরের প্রস্তাবিত কর্মসুচী বাস্তবায়ন করা যেতে পারে ।

যাহোক, প্রস্তাবিত পন্থাটি বিবেচিত হোক বা হোক তাতে কোন ক্ষতি নাই, তবে কামনা করি সংস্লিষ্ট সকলেই একনিষ্টভাবে যুক্ত হোক প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধের মিছিলে , জাতি মুক্তিপাক একটি মারাত্মক বিপর্যয় হতে , আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও কোটি কোটি শিক্ষানুরাগী কোমলমতি মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা মুক্তি পাক তাদের মানসিক যন্ত্রনা হতে, ফাঁস করা প্রশ্নে পাশ করা কোন ডাক্তারের হাতে যেন কাওকে ধাবিত হতে না হয় অকালে মরনের পথে, শিক্ষা ব্যবস্থার ভাবমুর্তী উজ্জল হোক দেশে ও বিদেশে ।

স্বাধিনতার মাসে সকলের প্রতি শুভেচ্ছা রইল ।


তথ্য ও ছবি সুত্র : যথাস্থানে লিংক আকারে দেয়া হয়েছে ।

মন্তব্য ১৬৫ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (১৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: প্রশ্ন ফাশে জড়িত কয়েকজনকে ধরে কঠিন শাস্তি দেয়া হোক, আপনাতেই দেখবেন সব বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু এটা এখন সরকারী ব্যবসা তাই কিছু হবে না। দেখেন না রওশন এরশাদ সুযোগ বুঝে দাও মারতে চাইছে। সংসদে বলেছে যে সরকার চাইলেই প্রশ্ন ফাশ রোধ করা সম্ভব। এটা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে উনার মুখ বন্ধ করার জন্য এখন সরকার উনার জন্য কিছু করবে।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , বিষয়টির উপর দেশের সচেতন সকল মহলের ব্যপক অআলোচনা স সচেতনতা ও প্রশ্নপ্ত্র ফাঁস রোধে সহযোগীতা প্রয়োজন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫২

নতুন বলেছেন: ১৭-১৮ লক্ষ প্রশ্ন প্রিন্ট করা জন্য কত সময় লাগবে?

সকল কেন্দে 1700000 ডিভাইস থাকবে.... সবই কি কাজ করবে ঠিক মতন পরিক্ষার আগে?

প্রশ্ন পরিক্ষার আগে কেন্দ্রে ছাপানো বাস্তব সম্মত সমাধান না। তাই প্রশ্ন আগেই ছাপাতে হবে।

১) তবে ৪ সেট ছাপানো যেতে পারে।
২) সেটা প্রতি কেন্দ্রের জন্য সিল করে + ডিজিটালই লক করে পাঠাতো হবে যেটা ম্যাজিট্রেট বা সেই লেভেলের কারুর উপস্হিতিতে পরিক্ষার ২০ মিনিট আগে খুলে শিক্ষকদের হাতে দিতে হবে। যেটা কখন খোলা হলো তা ট্রাক করা যাবে ।
৩) শিক্ষকরাও যেহেতু জড়িত ফাসের সাথে... তাই কেন্দ্রের মূল দায়ীত্বে থাকা কয়েকজন শিক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ফোন ব্যবহার করতে পারবেনা।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , মুল্যবান মতামতের জন্য । আপনার প্রস্তাবনাটি গুরুত্বের সহিত বিবেচনার দাবী রাখে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০১

নতুন বলেছেন: আর সবচেয়ে গুরুত্ব পূন বিষয় হইলো এটা আমাদের জাতীয় ভন্ডামীর একটা প্রমান।

দেশে এখন শিক্ষকরাও এর সাথে জড়িত.... অভিভাবকরা টাকা নিয়ে প্রশ্ন কিনতে চেস্টা করে।

সরকারী রাজনিতিক দলের সাথে জড়িত যারা তারা এটাকে ব্যবসা হিসেবে নেয়।

জাতিগত নৈতিক উন্নতি না হলে প্রশ্নপত্র ফাস রোধ করা আসলেই কঠিন। :(

০১ লা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , গুরুত্বপুর্ণ বিষয়টি বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে দেখার জন্য ।
খুবই মুল্যবান কথা বলেছেন জাতিগত নৈতিক উন্নতি না হলে প্রশ্নপত্র ফাস রোধ করা আসলেই কঠিন। :(

শুভেচ্ছা রইল

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

মিরোরডডল বলেছেন: what a nation!! everyone corrupted.
Political leader, parents, teacher, students all.
What a shame!!!
সমস্যাটি সমাধান করতে প্রত্যেকের মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
as always আপনার লেখা খুবই তথ্যপূর্ণ

০১ লা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মনযোগ দিয়ে পোষ্টটি পাঠের জন্য ।
সমস্যাটি সমাধান করতে প্রত্যেকের মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন কথাটির সাথে সহমত,
এ বিষয়ে দলমত নির্বিশেষে সকলের মিলিত প্রচেষ্টা লাগবেই লাগবে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: প্রশ্নফাঁস বন্ধ করা কোনো ব্যাপার'ই না।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , একেবারে খাটি কথা বলেছেন , প্রশ্নপত্রের ফাঁস রোধে কিছু উপযুক্ত কৌশলের কথা আশা করি আপনার মুল্যবান লেখনিতে উঠে আসবে । জাতির মঙ্গলের জন্য আপনার লেখনীতে সবসময় বেশ কিছু মুল্যবান দিক নির্দেশনা উঠে আসে ।
শুভ কামনা রইল ।

৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

চোরাবালি- বলেছেন: এ যুগে প্রশ্নফাসও যেমন সহজ রোধও তেমন সহজ। প্রতিটি ক্রেন্দের একজন করে প্রতিনিধি থাকবে। পরীক্ষার ১ঘন্টা আগে তার মোবাইলে প্রশ্ন হুক করা হবে। একটি প্রিন্টার রেডি থাকবে; ১০মিনিটে প্রশ্ন পিন্ট হয়ে পরীক্ষার্থীর হাতে চলে যাবে। প্রতিটি কেন্দ্রের প্রতিনিধির প্রশ্নের মধ্যে বিশেষ কোড ব্যবহার করা হবে। জলসাপ বা আলাদা কোন উপায়ে যাতে করে প্রশ্ন ফাস হলেও কোন প্রতিনিধির কাছ থেকে হয়েছে তাকে ধরা যায়। এ ধরনের অনেক অত্যাধুনিক ব্যবস্থা বর্তমানে বিরাজও মান।
দ্বিতীয়ত পরীক্ষা কেন্দ্রে নেতা/নেতারপরিবার/আত্মীয়/সাংবাদিক প্রবেশ নিষিদ্ধি করতে হবে। অধিকাংশ সময় প্রশ্ন ফাস হয় এদের সহযোগিতায়। আমাদের সময় এক নেতার ছেলে পরীক্ষা দিচ্ছেন তার বউ সুন্দর সাজগোজ করে পরীক্ষার হলের কোনায় দাড়িয়ে। প্রশ্নগুলি দেখার নাম করে কাগজে টুকে নিয়ে বইয়ের পাতা ছিড়ে তার ছেলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে দাড়িয়ে থাকছেন।
সবার আগে চাই নিজেদের সচেতনতা।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে খুবই মুল্যবান একটি ডিজিটাল পদ্ধতির কথা বলেছেন ।
বিষয়টি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রনয়ন ও কেন্দ্রে বিতরণের সাথে যুক্ত সরকারী প্রকৌশলীবিদগন গুরুত্বের
সহিত বিবেচনা ও পরীক্ষা করে দেখতে পারেন ।

আপনার দ্বিতীয় পরামর্শটিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনাযোগ্য । নেতার ছেলের পরীক্ষার সময় নেতার বউ এর ঘটনা খুইই আশংকা জনক , এরকম ভাবে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার কর্ম চললে কোন পদ্ধতিই কাজে আসবেনা ,তাই এদিকেও কতৃপক্ষকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: মন্তব্যে, নতুনের সাথে একমত।।।

আপনার লেখা পড়লাম, ভাবলাম। বিষয়টি নিয়ে অনেক লেখা পড়ছি। সব গুলোই সমীহ করার মত। তবে কথা গিয়ে, আমাদের মাছিমারা কেরানিরা প্রশ্নফাঁস রোধ কোন উদ্যোগ কী গ্রহন করবে???

নাকি চাঁদগাজীদের কাছে গালি খেতে হবে, "প্রশ্ন-ফাঁসের জেনারেশন??? "

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , নতুন খুবই মুল্যবান কিছু কথা বলেছেন । প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে সকলের সচেতনতা প্রয়োজন ।
ঠিকই বলেছেন মাছিমারা কেরানীদের হাতে পরার কারনেই প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধের বিষয়ে কোন শক্তিশালী কলাকৌশল বের হচ্ছেনা ।
তারা ব্যর্থ হওয়ার কৌশলগুলিতেই উদ্যোগ বেশি করে নিচ্ছে বলে দেখা গেছে । দেশের বিজ্ঞজনদের কাছ হতে উপযুক্ত মানের কৌশল উদ্ভাবন হওয়া প্রয়োজন । সকলে এগিয়ে আসা প্রয়োজন , তাহলে কারো কাছ হতে "প্রশ্ন-ফাঁসের জেনারেশন‌‌‌‌ প্রবচনটি শুনতে হবেনা ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আরেকবার পড়তে হবে; কমপ্লেক্স পদ্ধতির কথা বলেছেন।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবা‌দ , হ্যা আরো একবার পড়ুন । তবে "প্রশ্ন-ফাঁসের জেনারেশন" হতে বের হয়ে আসার বিষয়ে আপনার কাছ হতে একটি শক্তিশালী লেখা পৃথক পোষ্ট আকারে আসলে অনেক ভাল হয় বলে মনে করি ।

৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: নতুনের (২নং) বক্তব্যের সাথে সহমত।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , আমারও ধারণা নতুনের( ২ নং) মন্তব্যের সাথে প্রায় সকলেই সহমত পোষন করবেন ।
প্নশ্নপত্র ফাঁস রোধে জাতীয় ঐক্য একান্ত কাম্য । এ লক্ষ্যে সকলেরই সুসমন্বিতভাবে সহযোগীতা প্রয়োজন ।
তবে এর জন্য প্রয়োজন একটি উপযুক্ত মানের সুসম্বিত কর্ম কৌশল পদ্ধতি । এই পদ্ধতি নির্ধারনটিই এখন
অতি জরুরী ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১০| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

প্রািন্ত বলেছেন: যেকোন কাজ সঠিকভাবে করতে হলে উপযুক্ত যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকতে হয়। আমি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য একটি সমাধান দিতে পারি। তাহলো- “সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনকে বিএনপি থেকে ভাগিয়ে এনে তাকে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দিলেই একরাতেই সব সমাধন হয়ে যাবে”।

বি: দ্র: এই প্রস্তাব মানা হয়তো সম্ভব নয় কিন্তু অনেক কিছু এখান থেকে অনুধাবন করা যায়। যেমন- এহসানুল হক মিলনের মত অত্যন্ত কঠোর ও তীক্ষ্ন বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, যতার্থ বলেছেন , তবে বিবিধ কারনে আপনার প্রস্তাবের প্রথম অংশটুকু বাস্তবায়ন হয়তবা সম্ভব হবেনা এই মহুর্তে । তবে বলা হয়ে থাকে রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই , শুনেছি রাজনৈতিক মেরুকরনে আনেক ধরনের অংকই নাকি কশা হচ্চে এখন নির্বাচনকে সামনে রেখে , কে যে কোন দিকে ডিগবাজী দিবে তা বলা যায়না , শুধু দেখার পালা ।
তবে আপনার পরামর্শ অনুযায়ী এ মহুর্তে অত্যন্ত কঠোর ও তীক্ষ্ন বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ার বিষয়টি সকলেই ভেবে দেখতে পারেন ।
শুভেচ্ছা রইল

১১| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

পাকাচুল বলেছেন: এক সময় (১৯৯৪-১৯৯৫ সালের দিকে) ৫০০টা এমসিকিউ ছিল, যেটাকে প্রশ্ন ব্যাংক বলা হতো। সেখান থেকে ৫০টা প্রশ্ন আসতো এমসিকিউ। কেউ যদি ৫০০টা মুখস্থ করে যেত, তার ৫০ নাম্বার কনফার্ম ছিল। সেই পদ্ধতি অধিক সোজা হওয়ার কারণে এখন চালু নাই।

এমসিকিউ তুলে দিয়ে শুধু থিওরী এর জন্য এমন প্রশ্ন ব্যাংক তৈরি করা যেতে পারে। বোর্ড থেকেই বলে দেওয়া হবে বছরের শুরুতেই। ২০ সেট প্রশ্ন আগেভাগেই ফাঁস, প্রতিটি সেটই আলাদা থাকবে। যে ২০ সেট প্রশ্ন পড়লে পুরো বই এর কোন কিছুই যেন বাদ না পড়ে।

ছেলে মেয়েরা সবাই ২০ সেট প্রশ্ন নিজেরাই প্রিন্ট করে পরীক্ষার হলে নিয়ে আসবে।

পরীক্ষার ১০ মিনিট আগে, যখন সবাই পরীক্ষার হলে বসে যাবে, তখন টিভি/রেডিও/মোবাইল/ইমেইলে শিক্ষামন্ত্রী কোন সেটে পরীক্ষা হবে সেটা জানিয়ে দিবে লাইভ লটারী করে।

এরপর কেমনে প্রশ্ন ফাঁস হয় জানাবেন।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ, অসাধারন পদ্ধতির কথা বলেছেন ।
প্রস্তাবটির প্রতি শ্রদ্ধা রইল ।
আরো সুবিধা হয় ছাত্রদের পাঠ্যপুস্তকে প্রতিটি চ্যপ্টারের সাথে উপযুক্ত মানের কিছু প্রশ্ন জোরে দিলে ।
প্রতিটি বিষয়ে বিভিন্ন চ্যাপটার মিলিয়ে ২০০ টি প্রশ্ন থাকলে ও তাদের ক্রম ১ হতে ২০০ পর্যন্ত রাখলে
চ্যাপটার ভিক্তিক লটারীর মাধ্যমে ২০ টি প্রশ্ন নির্বচন করা যায় । এটা শিক্ষামন্ত্রী নীজেই করতে পারবেন।
ছেলে মেয়েরা সবাই ২০ সেট প্রশ্ন নিজেরাই প্রিন্ট করে পরীক্ষার হলে নিয়ে আসতে কোন অসুবিধা হবেনা
এক্ষেত্রে প্রশ্নের প্রিন্ট বের করতে ছাত্রদের নীজ নীজ স্কুল তাদের কম্পিউটার দিয়ে সহায়তা করতে পারে।
পরীক্ষার ১০ মিনিট আগে, যখন সবাই পরীক্ষার হলে বসে যাবে, তখন টিভি/রেডিও/মোবাইল/ইমেইলে শিক্ষামন্ত্রী কোন সেটে পরীক্ষা হবে সেটা লাইভ লটারী করে জানিয়ে দিলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভাবনা থাকবেনা । তবে পরীক্ষা শুরুর আগে ছাত্রদের কাছ হতে বাকী সেট নিয়ে নিতে হবে যেন প্রশ্নপত্র দেখার অযুহাতে কেও সাথে থাকা উত্তর পত্র দেখে নকল করতে না পারে ।
সম্ভব হলে আপনার প্রস্তাবনাটি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে কথা বলতে পারেন ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১২| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

সুমন কর বলেছেন: একবারও প্রশ্ন ফাঁস রোধ করা গেল না (সাময়িক সময়ে) !!! X(( X( X(( এটাই চিন্তার বিষয়। কেন কেন কেন !!!

এখন পর্যন্ত শিক্ষকতা পেশায় আছি। একটা কথাই বলবো, প্রশ্ন ফাঁস রোধ করা কোন ব্যাপার না। শুধু সরকার চাইলেই হবে এবং শিক্ষকদের বিবেক জাগ্রত করতে হবে। বর্তমান শিক্ষার যে অবস্থা, তাতে নিজেরাই আতংকে থাকি। এখনকার ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ার মান ভয়াবহ !! তারা পরীক্ষার আগেও কত অধ্যায় আছে, কত অধ্যায় পড়া বাকি আছে, সেটাও মনে হয় জানে না !! তারা সারাদিন ঘুরে বেড়ায়। পরীক্ষার ১/২ মাস আগে, আমরা কি পড়া ছাড়া থাকতে পেরেছি !! আমাদের খাওয়া-ঘুম বন্ধ হয়ে যেত, আর এখনকার ছাত্র-ছাত্রীরা ঘুরে বেড়ায়, ফেসবুক চালায়, আড্ড দেয়, চেকইন দেয়.............

সমসাময়িক চমৎকার পোস্ট। কিন্তু কারো চোখে-কানে প‌ৌছাবে না !!

০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি শ্রদ্ধা রইল মুল্যবান মন্তব্যের প্রতি।
প্রশ্ন ফাঁস প্রসঙ্গে একজন শিক্ষকের নীজেরই আতংকে থাকার কথা শুনে বিচলিত বোধ করছি ।
পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে এ কথা থেকেই বুঝা যাচ্ছে ।

এখনকার ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনার মান ভয়াবহ পর্যায়ে নীচে নেমে যাওয়া, সেতো জাতির জন্য ভয়ানক দুর্যোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে । সমাজের সচেতন অংশের সকলেরই উচিত হবে এর প্রতিকারের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করা । ফেইস বুক টাকে শিক্ষার একটি মাধ্যম হিসাবে ব্যাহারের বিষয় শিক্ষা মন্ত্রনালয় ভাবতে পারে । যেহেতো ছাত্র ছাত্রীরা বেশীর ভাগ সময় ফেইস বুকে বিচরন করে সেহেতো শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের একটি বিশেষ সেল ফেইস বুকে পাঠ্যবই থেকে ধারাবাহিকভাবে কিছু কিছু অংশ তুলে ধরে সেখানে কিছু প্রশ্ন কুইজ আকারে আকর্ষনীয়ভাবে দিয়ে সম ক্লাসের ফেইজ বুক বন্ধুদের মধ্য একটি প্রতিযোগীতার আবহ সৃস্টি করতে পারে । সে ক্ষেত্রে ফেইস বুকে বিচরণকালে ছাত্র ছাত্রীরা নীজেদের পাঠ্য বই এর কিছু কিছু বিষয় নিয়মিত পাঠ ও অনুশীলন করতে পারবে ।

পোষ্টটি চমৎকার অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ । আপনি ঠিকই বলেছেন এটা সংস্লিষ্ট কারো চোখে- কানে পৌঁছাবেনা । তবু নীজের মনের তাগিদে এ বিষয়ে কিছু বলে গেলাম । তবে ধারনা করি আপনার মত মহান শিক্ষা পেশায় জড়িত অনেকেরই নজরে পড়বে ,সেটাই হবে বড় শান্ত না ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বর্তমানকালে প্রথম ও প্রধান সমস্যা নিয়ে সুন্দর আলোচনা পর্যালোচনা ও প্রতিকার সমৃদ্ধ পোষ্টের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতেই হয়।


আপনার প্রতিরোধ সিদ্ধান্তগুলো আমার কাছে দারুণ কার্যকর হবে বলে মনে হলো, আমার বিশ্বাস প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া রোধ করা সম্ভব হবে।


০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ সুপ্রিয় কবি , কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য কৃতজ্ঞ রইলাম ।
প্রশ্নপত্র ফাঁস ও তা রোধ প্রসঙ্গে সকলের সচেতনতা কামনা করছি ।

শুভেচ্ছা রইল ।

১৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন: খুবই ভাল হবে এটা করলে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখাটি সুন্দর অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ প্রসঙ্গে সকলে সোচ্চার হোক ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল

১৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪২

সোহানী বলেছেন: আলী ভাই যথারীতি গুড়ুত্বপূর্ণ বিষয় সমাধান সহ আসলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ যে আপনি অনেক গভীরে চিন্তা করেছেন এবং সে অনুযায়ী সমাধান দেয়ার চেস্টা করেছেন একেবারে বাজেট সহ প্রতিটি পদক্ষেপে। অনেক গভীর আলোচনায় এ মূহুর্তে যাবো না কারন পক্ষ বিপক্ষ আলোচনা দরকার, শুধু কিছু সীমাবদ্ধতা আলোচনা করবো নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে।

১) প্রশ্ন সেট তৈরী: কয়েক ঘন্টা পূর্বে মন্ত্রনালয়ের কক্ষে বসে প্রশ্ন তৈরী করা যায় সত্য কিন্তু তার গ্যারিন্টি কি যারা ভীতরে আছেন তারা সবাই সৎ? না সবাই সৎ হবে এমন কোন গ্যারিন্টি নেই। যতি তাই হতো তাহলে এখন যে পদ্ধতিতে ছাপানো হচ্ছে তা একটু নিয়ম এবং সৎ ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনলে প্রশ্ন কোনদিনই ফাঁস হবে না।

২) সময়: যে সময় বলেছেন তা এক প্রকার দূসাধ্য অন্তত দেশের পরিবেশে। এ স্বল্প সময়ে প্রশ্ন তৈরী, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ডিস্ট্রিবিউশান, প্রিন্ট ........ বিশাল কর্মযজ্ঞ। এর একটি একটু ঢিলে হলে পুরো সিস্টেম অচল হয়ে যাবে। এবং একটা হযবরল লাগার সমূহ সম্ভাবনা আছে। সরকারী ভীতর থেকে কাজ করেছি তাই একটু হলে ও লিমিটেশান বুঝি।

৩) আইটি সাপোর্ট: ওয়েল, পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করি। সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন অফিসে আই টি সাপোর্ট হিসেবে কম্পিউটার ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতি দেয়া হবে ডিজিটাল পোগ্রামের আওতায়। সে লক্ষ্যে প্রায় প্রথমে দুই হাজার কম্পিউটার, কয়েকশ প্রিন্টার ও সার্ভার এর টেন্ডার হবার পর যথারীতি ডিস্ট্রিবিউশান সর্ম্পন্ন হলো। তারপর একের পর এক কল বিভিন্ন জেলা থেকে। সবারই অভিযোগ কম্পিউটার চলে না। ফোনে আইটি বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সলিউশান দেবার পর ও কোন কূল পেল না। তখন একজন আইটি বিশেষজ্ঞকে জেলা পর্যায়ে পাঠানো হলো সমস্যা দেখার জন্য। সে বিশেষজ্ঞ ফিরে এসে হাসতে হাসতে ফিট কারন যে সব কম্পিউটার দেয়া হয়েছে সেটা আসলে খোলস ছাড়া কিছুই না। মনিটর সিপিইউ সবই আছে শুধু ভীতরে নেই হার্ডডিস্ক, মাদারবোর্ড................হাহাহাহাহাহা

এই হলো আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ!!! আমাদের গোঁড়ায় গলদ..... মাথা ঠিক করেন, বডি এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।

তাপরপরও অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেবার জন্য।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ, বেশ সময় নিয়ে প্রশ্ন ফাঁস সম্পর্কে দীর্ঘ একটি মন্তব্য দান করেছেন ।
আমি আর গভিরে কি যেতে পারলাম, বরং আপনি অনেক গভীরে গিয়ে অভিজ্ঞতার
আলোকে তুলে এনেছেন অনেক সমস্যা ও সীমাবদ্ধতার কথা , সমস্যাটি সমাধান
কল্পে পক্ষের থেকে বিপক্ষের আলোচনাটাই বেশী গুরুত্বপুর্ণ , কারন সে ধরনের
আলোচনা হতেই বেরিয়ে আসে সমস্যা সমাধানের উপযুক্ত পন্থা ।

১) বর্তমান পদ্ধতির ব্যর্থতার কারনেই সকলে নতুন কোন ভাল পদ্ধতি খুঁজছেন । কোন ভাবেই কতৃপক্ষ বর্তমান পদ্ধতির
ফাক ফোকর বন্ধ করতে পারছেনা , বলতে গেলে এ বিষয়ে কতৃপক্ষ তাদের অপারগতা প্রকাশ করছে বিবিধ ভাবে ।

২) প্রশ্ন পত্র তৈরী ও প্রিন্টের বিষয়ে শ্রদ্ধেয় পাকা চুল খুব সুন্দর ও গুরুত্বপুর্ণ কিছু কথা বলেছেন , উনার মন্তব্যগুলি দয়া করে একটু দেখতে পারেন । প্রশ্ন ছাপানোর জন্য কর্ম যজ্ঞ অনেকটা ছোট হয়ে আসবে , এমনকি সরকারী পর্যায়ে প্রশ্ন পত্র ছাপানোর কোন প্রয়োজনই হয়তবা হবেনা ।

৩) আইটি সাপোর্টের বিষয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় একটি সত্য দিক তুলে ধরেছেন । তবে এখন প্রযুক্তি ও সরকারী ক্রয় নীতিতে উল্লেখযোগ্য অনেক পরিবর্তন এসেছে , কারিগরী ও আর্থিক সব দিক দিয়েই , জোট যামেলা করার আগেই সারা পরে যায় দুনিয়া জোরে । তবু ঘাপলা ও দুর্নীতি যে হচ্ছেনা তা নয় । তবে আমার প্রস্তবনাটা যদি গৃহীত হয় তাহলে সরকারী ক্রয় প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে বেসরকারী আন্তর্জাতিক টেকনিক্যাল কমিটিতে বিশেষ করে প্রি শিপমেন্ট ইনসপেকসন টিমে আপনাকে রাখার জন্য একটি প্রস্তাবও এ সাথে করে রাখলাম :)

ডিজিটাল আর কাঠাল যে নামেই বলেন সবই মনে হয় হয়ে যাচ্চে মাকাল , পদ্ধতিতে একটি গুনগত পরিবর্তন আসা দরকার । পদ্ধতি ( সিসটেম) পরিবর্তন করতে পারলে মাথা লেজ এক হয়ে পুরাটাই হয়ে যাবে একটি সিসটেম । তখন মাথার আর লেজের বিশেষ কোন গুরত্ব থাকবেনা , সিসটেম তখন কথা বলবে ।

এই পোষ্টের অলোচনায় আপনার অংশ গ্রহন হৃদয়গ্রাহী হয়েছে

শুভেচ্ছা রইল

১৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪২

পাকাচুল বলেছেন: আপনার প্রশ্ন কিংবা সন্দেহেরও সমাধান আছে। শিক্ষাবোর্ড থেকে ২০ সেট প্রশ্নের বুকলেট সব পরীক্ষার হলে দেওয়া থাকবে। সেটা শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে ছাত্রদের দিবেন, পরীক্ষার পর আবার কালেক্ট করে নিয়ে ফেলবেন। কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। ছাত্রদেরও প্রিন্ট করে নেওয়ার দরকার নাই।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ অসাধারন চিন্তাভাবনা ও প্রস্তাবনা ।
এমন পদ্ধতিতে সহজেই প্রশ্নপত্র ফাঁস
ঠেকানো যাবে বলে মনে হচ্ছে ।
প্রস্তাবে সহমত ।

শুভেচ্ছা রইল

১৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

সোহানী বলেছেন: আরেকটা বিষয় শেয়ার করি, এবার প্রশ্ন একেবারে মূল কপিই ফাঁস হয়েছে। আমার আত্বীয়ের মেয়ে পরীক্ষা দিয়েছে এবার। সে বললো, প্রথম পরীক্ষার আগে ওর মোবাইলে আসল প্রশ্ন সহ উত্তর পাঠালো অজানা নাম্বার থেকে টেক্সক্ট করে। এবং টেক্সট করলো যে, প্রশ্নটা মিলিয়ে নেন আজকের পরীক্ষার সাথে। যদি মনে করেন মিলে যায় তাহলে ৩০০ টাকা এ নাম্বারে ফ্লেক্সি করেন পরবর্তী প্রশ্ন পাঠায়ে দিবো উত্তর সহ। এবং আমার আত্বীয় দেখলো হুবুহু একই প্রশ্ন।........

এবার বলেন, মাত্র ১৫০ টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন পেয়ে যাচ্ছে উত্তর সহ..........। আগে কিছু প্রশ্ন বের হতো তবে সেটা কিছু কোচিং সেন্টারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো। কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হতো এবং বিক্রির শর্ত ছিল রাতে তাদের সেন্টারে থাকতে হবে এবং সকালে তারাই কেন্দ্রে পৈাছে দিতো। কিন্তু এখন!!!! ১৫০ টাকার বিনিময়ে পাচ্ছে.............

দেশ আধুনিক হচ্ছে....................হাহাহাহাহা

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে যে তথ্য দিলেন তাতে আতংক গ্রস্থ না হয়ে পারা যায় না ।
এত কম টাকায় প্রশ্ন ফাঁস করছে দেখে বুঝা যাচ্ছে এর বাজার কত বিস্তৃত ।
এর হাত হতে বাচার জন্য দোহাই লাগে উপায় একটা বের করেন ,
তা না হলে জাতির জন্য ভয়াবহ এক অবস্থা দেখতে পাচ্ছি ।
সকলে মিলে চেষ্টা করলে উপাই একটা বের হতে পারে ।

দেশের আধুনিকতার চেয়ে একটি সত্যিকারের শিক্ষিত জনগুষ্টিই বেশী জরুরী ।
এটাই এখন বেশী প্রয়োজন ।

১৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বিষয়টা সরকারের মাথায় ঢুকবেনা। টাকলু নাহিদের ভিতর ঢোকার কথা না। তবে যা হউক উত্তম পদ্ধতি।।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , ভাল বলেছেন , সরকারের মাথায় ঢুকলেতো কথাই ছিল না ।
তাহলে বেহুদা কষ্ট করে এ লেখা লিখতে হতোনা ।
পদ্ধতিটা উত্তম মনে হওয়ায় খুশী হলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

১৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৬

নীলপরি বলেছেন: হ্যাটস অফ টু ইউ । কতোটা আপনি ভেবেছেন , আমি তাই ভাবছি । আপনার প্রতিটা পোষ্টই সংরক্ষণযোগ্য ।

পদ্ধতিটাও ভালো ।

++++++

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি ।
পদ্ধতিটা ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম ।
তবে এটা কোন দিনই বাস্তবায়ন হবেনা
আমাদের দেশে স্বার্থবাদীদের কাছে
এখন ভাল সবকিছুই ব্যর্থতায়
পরিনত হচ্ছে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২০| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আপনার মূল্যবান সময় ও শ্রম বেহুদা কাজে খরচ করেছেন ।
যে জাতির আগাপাশতলা দূর্নীতিতে ভরা , যে জাতি দু'পয়সার লোভ ছাড়তে অপারগ , যে জাতির রাজনীতিকরা আগাগোড়া অসাধু , যে জাতির প্রশাসনে মাথামোটা গর্ধভেরা বসে বসে জনগনের উপর " এক্সপেরিমেন্ট " চালায় ক্ষনে ক্ষনে আর যারা কমিশন বানিজ্যে হাফেজ , যে জাতি কোনও আইন-কানুনের ধার ধারেনা , যে জাতি ক্ষমতাবানদের সাতখুন মাপ করে দিয়ে আঙুল চোষে আর অপেক্ষায় থাকে এর পরে আর কি কি ধান্দা করা যায় ....( ইত্যাদি আর কতো বলবে !!! ) সে জাতির জন্যে কোনও ভালো কিছুই করার সাধ্য কারো নেই । এরা না শোনে কোনও কথা , না বোঝে দেশপ্রেম । নিজেরটা ছাড়া বোঝেনা কিছুই ।
আপনি আশিবাদী হতে পারেন কিন্তু আমি নই । অনেকেই লোক দেখানো , নিজেকে বুদ্ধিমান (?) আর শিক্ষিত (?) প্রমানে এই " আশাবাদ" এর নামে ছলনার ঢোল পেটাবেন সন্দেহ নেই । কিন্তু তারা নিজেরাও ভালো করে জানেন যে , আমাদের সামনে কোনও আশা নেই । যদি তাই হতো তবে, বছরের পর বছর ধরে আমাদের এতো এতো আশাবাদের খানিকটা হলেও আশার মুখ দেখতো । দেশ অন্যরকম হতো আর আপনার মতো এমন করে কাউকে লিখতে হতো না । আমাদের যাবতীয় সূচকের প্রেক্ষাপটে আশাবাদ হলো 'প্রতারনা"র আরেক নাম ।
আবারও দুঃখ প্রকাশ করছি, আপনার এমন সুচিন্তিত লেখাতেও আমায় এমন করে বলতে হলো বলে ।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দু:খ পাওয়ার মত কিছু বলেন নি বরং আপনার মুল্যবান কথামালায় পোষ্টটি ধন্য হয়েছে ।
বুঝতে পারছি প্রশ্ন ফাঁস ও তা প্রতিরোধে সরকারী কর্মকান্ডের ব্যর্থতার কারণে এটা আপনার ক্ষোভেরই বহিপ্রকাশ ।
গতকিছু দিন যাবত দেশ জোরে প্লশ্ন ফাঁস ও প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত লোকদের পরিচয় ও প্রশ্ন পত্র ফাঁস রোধে সরকার গৃহীত ব্যর্থ ও অসার কানডকারখানা ,সে সাথে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্গতি ও বিপর্যয় দেখে মনটা ব্যথায় ভরে যায় । জানি আমার মত সাধারন মানুষের এ বিষয়ে হা হুতাস ও ক্ষোভ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু করার নাই । তাই উপাই কিছু না দেখে ভাবলাম সামুর পাতায় সকলের সাথে বিষয়টা শেয়ার করে মনের ক্ষোভ কিছুটা মিটাই । এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মনে হলো আলোচনাটিকে ফলপ্রসু করতে হলে প্রশ্নপত্র ফাঁশ রোধে কিছু একটা বলে যাই। আমি ভাল করেই জানি এটা আমার বিষয় নয় , এ বিষয়ে কিছু বলা বা লেখার মত কোন যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা আমার নেই । , আমি এটাও ভাল করে জানি যে এটা আমার একটা বেহুদা পরিশ্রম ছাড়া কিছুই নয় , এ লেখায় কোন কিছুই হবেনা , যারা দেখার তারা এর ধারে কাছেও আসবেনা ।

এখন সত্যি সত্যিই মনে হচ্ছে বেহুদা কাজের যন্ত্রনা হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনার কথা মালা আমাকে দেখিয়েছে আলোর পথ ,এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে যায় কবি গুরুর গানের কথামালা
ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে আগুন জ্বালো।
একলা রাতের অন্ধকারে আমি চাই পথের আলো ॥

মনে হলো আপনার কথা মালা আমার বেহোদা কাজে লাগিয়ে দিয়েছে ঝড়ের হাওয়া , কথাগুলোর বজ্রশিখায় এক পলকে দুর করে দিয়েছে আমার মনের আশার কথা ।

আপনার পরের অংশের কথাগুলোও খুবই গুরুত্বপুর্ণ ।
‘’যে জাতির আগাপাশতলা দূর্নীতিতে ভরা , যে জাতি দু'পয়সার লোভ ছাড়তে অপারগ , যে জাতির রাজনীতিকরা আগাগোড়া অসাধু , যে জাতির প্রশাসনে মাথামোটা গর্ধভেরা বসে বসে জনগনের উপর " এক্সপেরিমেন্ট " চালায় ক্ষনে ক্ষনে আর যারা কমিশন বানিজ্যে হাফেজ , যে জাতি কোনও আইন-কানুনের ধার ধারেনা , যে জাতি ক্ষমতাবানদের সাতখুন মাপ করে দিয়ে আঙুল চোষে আর অপেক্ষায় থাকে এর পরে আর কি কি ধান্দা করা যায় ....( ইত্যাদি আর কতো বলবে !!! ) সে জাতির জন্যে কোনও ভালো কিছুই করার সাধ্য কারো নেই । এরা না শোনে কোনও কথা , না বোঝে দেশপ্রেম । নিজেরটা ছাড়া বোঝেনা কিছুই’’ ।

জাতি বলতে সকল নাগরিকই বুঝায়, তাই এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে সরকারি কাজে দুর্নীতি দূর করা কেন অসম্ভব বলে মনে হয়, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে নিকারাগুয়া সরকারি অডিট অফিসের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন , “সমাজের নাগরিকরাই যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, তাহলে সরকারি কর্মকর্তারাও দুর্নীতিগ্রস্ত হবে, কারণ তারাও সমাজের নাগরিক। এটাই হল দুর্নীতির প্রধান কারণ।” আপনিও এই বিষয়ে একমত হবেন যে, কোনো মানবসমাজ যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, তাহলে সেই সমাজের ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত যেকোনো সরকার অবশ্যই দুর্নীতিগ্রস্ত হবে? এটা যদি সত্য হয়, তাহলে দুর্নীতিবিহীন এক সরকার কেবলমাত্র এমন উৎস থেকে আসতে পারে, যা মানবসমাজের অংশ নয়। সেটা হতে পারে একমাত্র ঈশ্বরের রাজ্য। কিন্তু এখন অআমাদের যে অবস্থা তাতে ইশ্বরের রাজ্য কায়েম কি আদৌ সম্ভব !!!

তাছাড়া পরিবর্তনের জন্য কত কিছুই না হয়েছে শত শত বছর ধরে , মুঘল আমল থেকে নবাবী আমল , ওপনিবেশিক থেকে পাকি-বেসিক , একদলীয় শাসন , বহুদলীয় গনতন্ত্র , সামরিক তন্ত্র , জরুরী তন্ত্র , তক্তা সরকার , আপোষহীন , ভয় বিহীন কত পরিবর্তনই তো জাতি দেখেছে , কিন্তু জাতি যে তিমিরে সে তিমিরেই আছে । না বুজলো দেশ প্রেম, না বুঝলো নীজেরটা ছাড়া অন্য কিছু । এ অবস্থা আর কতদিন চলবে । একটা গুনগতমানের পরিবর্তনতো আনতেই হবে জাতি হিসাবে আমাদেরকে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে চলার জন্য । কারো না কারোকে তো এগিয়ে আসতেই হবে । সবাই যে বেহুদা পরিশ্রম করবে তাতো নয় , কারো না কারো কাজে সমাজে কিছু না কিছু ইতিবাক পরিবর্তনতো আসবেই । অন্তত এ বিষয়ে আমি আশাবাদী । বুকে জমে থাকা পুঞ্জিভুত ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলে এগিয়ে চলুন দৃপ্ত পদে সামনের দিকে, আছি আপনার পিছে । হতাশার হোক চীর অবসান।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল



২১| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:১১

সোহানী বলেছেন: নাহহহহহহ ...... জানটা এখনো আছে দেশের বাইরে থাকার কারনে। নাতি পুতির মুখ না দেখে মরতে চাই না। তাই আমাকে বেসরকারী আন্তর্জাতিক টেকনিক্যাল কমিটিতে বিশেষ করে প্রি শিপমেন্ট ইনসপেকসন টিমে রাখার প্রস্তাবটা আবার বিচেনায় নেয়ার অনুরোধ করছি।....... ;)

জী ভাইয়ের নৈরাশ্যবাদী মন্তব্যবের ক্ষতটা অনেক গভীর।.... "যে জাতির আগাপাশতলা দূর্নীতিতে ভরা , যে জাতি দু'পয়সার লোভ ছাড়তে অপারগ ..........................."।

হাঁ, অাশার কথা অনেক বলার চেষ্টা করি কিন্তু দিন শেষে সে অাশায় শুধু বালি না আরো নিকৃষ্ট কিছু দেখতে পাই। আবারো ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। সরকারী প্রজেক্ট ৯৫% ফান্ডিং আসে বিদেশী ডোনেশান। একজন আমলা চাইলো প্রজেক্ট ডিরেক্টর হতে কিন্তু মন্ত্রী তার আপন শালাকে বসালো সেখানে। তারপর প্রজেক্ট ডিরেক্টর হতে চাওয়া আমলা প্রতিটি ডোনারের কাছে দূর্নীতির সত্য মিথ্যা ফিরিস্তি দিয়ে মেইল করে প্রজেক্ট বন্ধ করার আকুল আবেদন জানায়। এবং যথারীতি প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে যায়। দূর্নীতি আমরা করি কিন্তু যখন প্রতিশোধ নিতে সেটাকে ইউজ করার নজির মনে হয় শুধু আমাদেরই আছে।.............

পাকাচুলের প্রস্তাবনা ঠিক আছে বুঝলাম, এখন বলেন হালকা পাতলা ঘুষ দিয়ে যদি স্বয়ং মন্ত্রীই এটা কোন কোচিং ব্যবসায়ীকে দেয় সেটা কি অপরাধ হবে??? কারন ওটাতো সহনীয় মাত্রায় ঘুষ .......... তাই নয় কি!

আলী ভাইরে, সবার আগে দরকার মানুষ হবার শিক্ষা, দূর্নীতি বন্ধের শিক্ষা.................... ওটা বন্ধ না হলে কিছুই বন্ধ হবে না আর প্রশ্ন ফাঁস চলতেই থাকবে, সহনীয় মাত্রায় দূর্নীতি ও চলতে থাকবে।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: হায় হায় বলেকি জান নিয়ে কথা, আমি নাই, তুলে নিলাম আমার প্রস্তবনার কথা ।

হ্যা বিলক্ষন বুঝতে পারছি জী ভাইয়ের নৈরাশ্যবাদী মন্তব্যবের ক্ষতটা অনেক গভীর

হাঁ, ঠিকই বলেছেন দূর্নীতি আমরা করি কিন্তু যখন প্রতিশোধ নিতে সেটাকে ইউজ করার নজির মনে হয় শুধু আমাদেরই আছে।............তাইতো শুনি অনেকেই বলে, যে নরকে বাংগালী আছে সেখানে পাহারাদার লাগবেনা !!!

পাকাচুলের প্রস্তাবনা ঠিক আছে বুঝলাম, এখন বলেন হালকা পাতলা ঘুষ দিয়ে যদি স্বয়ং মন্ত্রীই এটা কোন কোচিং ব্যবসায়ীকে দেয় সেটা কি অপরাধ হবে??? কারন ওটাতো সহনীয় মাত্রায় ঘুষ .......... তাই নয় কি! এধরনের বেকুবি কথা বলার জন্যইতো মন্ত্রীরা সর্বত্রই সমালোচনার মুখে থাকে , সত্যিই এটা আমাদের দুর্ভাগ্য ।

আলী ভাইরে, সবার আগে দরকার মানুষ হবার শিক্ষা, দূর্নীতি বন্ধের শিক্ষা.................... ওটা বন্ধ না হলে কিছুই বন্ধ হবে না আর প্রশ্ন ফাঁস চলতেই থাকবে, সহনীয় মাত্রায় দূর্নীতি ও চলতে থাকবে। একবারে সহি কথা বলেছেন ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২২| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: পরিকল্পনা ভালোলেগেছে!

বাস্তবায়িত হোক! টেনশন থেকে মুক্তি মিলুক!

০২ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , পরিকল্পনা ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে ।
সরকারের কাছে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধের অনেক অস্র আছে
নেই শুধু সদিচ্ছা ,তাদের সদিচ্ছা থাকলে এটা বন্ধ হতে
পারে ওয়ান টুর মধ্যে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

কানিজ রিনা বলেছেন: প্রশ্নপত্র এক সাব্জেক্টে চার সেট হওয়া
উচিৎ। বোর্ড কতৃপক্ষ পরিক্ষার
একদিন আগে ডিসি এসপির আওতায়
প্রশ্ন হস্তান্তর করবে তারপর থানা প্রধানদের
হস্তান্তর হবে পরিক্ষা যেদিন সেদিন রাত্রে।
ঠিক পরিক্ষার একঘন্টা আগে প্রশ্নপত্র
স্কুল কতৃপক্ষের দইজন বিশ্বস্ত লোকের
হাতে পাকেট খোলা বা সময় মত পরীক্ষার
হলে বিতরন হলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া
থেকে রক্ষা করা সম্ভব। এরপরও প্রশ্নপত্র
ফাঁস হলে স্কুল কতৃপক্ষ ওই দুইজন লোক
দায়ী থাকবে। এত একটা সহজ পদ্ধতি
অবলম্বনে সরকার এত গাফিলতি কেন
করছে বধগম্য নয়। ধন্যবাদ আপনার
অসাধারন যুক্তিযুক্ত পোষ্টে।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্ট টিকে অসাধারণ যুক্তিযুক্ত মনে হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনি প্রশ্ন ফাঁস রোধের কৌশলটিকে আরো সহজ করে দিয়েছেন ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার মনে হয়, টেকনোলোজিক্যালী আরো সহজ উপায় আছে।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: হ্যা ঠিকই বলেছেন টেকনোলোজিক্যালী আরো সহজ উপায় আছে।
আমিতো শুধু এ গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে একটি আলোচনা সকলের সাথে শেয়ার করেছি ।
আমাদের ব্লগারদের মধ্যে অনেক তথ্য প্রযুক্তিবিদ আছেন ,তারা বিষয়টির দিকে একটু
নজর দিলে আশা করি সহজ টেকনোলজিক্যাল উপায় বের হয়ে আসবে ।
তবে সবকিছুর পিছনে সরকারের সদিচ্ছা ,সততা ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকতে হবে।

শুভেচ্ছা রইল

২৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন:
একটু সময় নিয়ে আসতে হলো আপনার লেখায় ,সমসাময়িক বেশ ভয়ংকর এক সমস্যা তুলে এনেছেন।
আপনার সুচিন্তিত প্রস্তাবনা গুলো ও কার্যকরী হবার দাবী রাখে।
বিবেক বোধ এবং কঠোরতা ছাড়া প্রশ্ন পত্র ফাঁস রোধ সম্ভব না।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রশ্রপত্র ফাঁস নিয়ে দেশের সকলেই উৎকণ্ঠিত । দেশের সকলেই এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ও বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করছে ।
এই প্রতিবাদী মিছিলে সকলের শরিক হওয়ার তাগিদ থেকেই এই লেখাটি লিখেছি । তবে এই প্রতিবাদী মিছিলে তেমন কোন সারা দেখতে পাচ্ছিনা । বিষয়টা একটু অবাক করছে ।

বিবেক বোধ এবং কঠোরতা ছাড়া প্রশ্ন পত্র ফাঁস রোধ সম্ভব না মর্মে আপনি সঠিক কথাই বলেছেন । সহনীয় পর্যায়ে দুর্নিতির পক্ষাবলম্বনকারী মাথা মোটা শিক্ষা মন্ত্রীর কার্যকলাপ ও কথাবার্তায় যে আলামত পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে হয় আরো একটু বুদ্ধি মত্তা সম্পন্ন কারো একজনের দরকার এই কাজের জন্য, যিনি খুবই শক্তহাতে প্রশ্ন ফাঁস কারীদের বিপক্ষে কঠোরতমভাবে জিরু টলারেন্স দেখাবেন ও দ্রুততম সময়ে এর মুল শিকরসহ সকলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন ।

শুভেচ্ছা রইল

২৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৫৩

কালীদাস বলেছেন: বেহুদা সময় নষ্ট করেছেন :((

মাউশির কারও সাথেই অনেক অনেক বছর হয় যোগাযোগ নেই। ২০১২/১৩ পর্যন্ত যা জানতাম, সেটা খানিকটা বলতে পারি, তাহলে বুঝবেন আপনার বলা কয়েকটা স্টেপ এখনও বলবত আছে। প্রশ্ন করার জন্য যে টিচারদের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়, তাদের সাধারণত কখনও জানানো হয় না কোন বিভাগের জন্য প্রশ্ন করা হচ্ছে। র‌্যান্ডমনেসের মাত্রা মোটা দাগে ভালই। ফর এক্সাম্পল চিটাগাং ডিভিশনের একজন টিচারকে যেতে বলা হয় খুলনায় প্রশ্ন করার জন্য। প্রশ্ন করার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রশ্নকর্তাকে সমগ্র জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়, সেই রুমে মোবাইল তো দূরের কথা, সেকেন্ড কাগজের টুকরাও নিয়ে যাওয়া যায় না। মোট দুই সেট প্রশ্ন করতে হয়, কতটুকু কমন থাকতে পারে দুই সেটের মধ্যে সেটা এখন আমার খেয়াল নেই। সেই প্রশ্নগুলো ফাইনালি সিলগালা করে আলাদা আলাদা খামে জমা দিতে হয় পরীক্ষা কমিটির দায়িত্বরত শিক্ষক/কর্মকর্তার কাছে। এর পর আরেকটা কমিটি মিটিংএ বসে সেট নির্ধারণ করতে এবং র‌্যান্ডমনেস বজায় রাখতে। আমার সোর্সের কাছেই শুনেছি। চিটাগাং থেকে খুলনায় নিয়ে প্রশ্ন করার পর তিনি টের পেয়েছেন পরীক্ষার দুই মাস পরে যে তার প্রশ্ন বাস্তবে গেছে কুমিল্লা/রাজশাহী/ঢাকা বোর্ডে।

তাহলে ফাঁসটা হচ্ছে কোথায় এবং কেন? হ্যাঁ, এটার উপর অনেক চিন্তার ব্যাপার আছে। এই কাজটা হচ্ছে প্রশ্ন ফাইনাল করার পর থেকে বিডি প্রেসে যাওয়া এবং ছাপানোর স্টেজগুলোতে। বিডি প্রেসের অনেক কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধেই গত ৭/৮ বছর ধরে বিভিন্ন মাত্রার কমপ্ল্যান শোনা যাচ্ছে, রহস্যজনক কারণে কোন সিগনিফিকেন্ট শাস্তির কথা শোনা যায় না।

এবার আসা যাক: আপনার উল্লেখ করা পয়েন্টগুলোর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা নিয়ে। আপনি যেটা সাজেস্ট করেছেন এবং আরও অনেকেই যেটা করেছে বিভিন্ন পোস্টে: তাৎক্ষণিকভাবে সেন্টারে প্রশ্ন ছাপানো। ভুল, একেবারেই ভুল। পয়লা কারণ, কারেন্টের সমস্যা; এটা এখনও নিশ্চিত করার কোন উপায় নেই। সেকেন্ড, সরকারী অফিসগুলোতে যারা সামনে কম্পিউটার নিয়ে কাজ করে, জানিনা বিশ্বাস করবেন কিনা আশিভাগের বডি মুভমেন্ট এবং স্কিল দেখলে চটকনা মারতে ইচ্ছা করে। এদের দিয়ে এরকম গুরু দ্বায়িত্ব সম্পন্ন করা অজপাড়াগাঁয়ের বেশিরভাগ জায়গাতেই অসম্ভব, এটলিস্ট আরও দশ বারো বছর পর্যন্ত। থার্ড: এখন পর্যন্ত ফাঁস করার সোর্স হাতে গণা কয়েকজন। এত কম লোকের উপরও বিশ্বাস রাখা যাচ্ছে না, সেখানে রুট লেভেলে এতজনের কাছে দুইঘন্টা আগে প্রশ্ন গেলে জিনিষটা সম্পূর্ণরুপে কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাবে সেইম লজিকেই। কয়দিন আগে পেপারে একটা স্কুলের নামে রিপোর্ট দেখলাম, এখানে যাদের পরীক্ষা হয় প্রায় সবাই "জিপিএ পাইপ" পায়। কাকে বিশ্বাস করবেন?

আরেকটু যোগ করি, প্রশ্নব্যাংক নামে নতুন সমাধান নিয়ে। প্রথম যখন এমসিকিউ আসে তখন প্রশ্ন ব্যাংক নামে এক তামাশা ছিল প্রথম দুই বছর। সেটা হল ৫০০ এমসিকিউ ডিক্লায়ার করা থাকত আগে থেকেই, সেখান থেকে ৫০টা আসত ফাইনালে। সম্ভবত ৯৩/৯৪ এর কথা, সেই দুই বছরে ফার্স্ট ডিভিশনের একটা সার্জ ছিল আগে পরের বছর গুলোর তুলনায়। আমি বুঝি না, মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না কেন X( কোয়ালিটি মেইনটেইন করার জন্য জিনিষটা কতটা সুইসাইডাল সেটা কেউ ভাবে না। এখনও বলি: গ্রেডিং সিসটেম চেন্জ করার পর কোয়ালিটি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত ছিল। সেটা না করে পলিটিকালি লাভবান হবার জন্য গরুগাধা সবাইকে সমানে "গোল্ডেন জিপিএ পাইপ" দেয়ার কনসিক্যোয়েন্স এটা। পেপারে যে ছবিগুলো দেখেছি, ২০১৮ এসএসসি কোন স্টুডেন্টকে আমি নেব না দেশে বা বিদেশে।

আরও কিছু পয়েন্ট বলার ছিল, সুকঠিন জেট ল্যাগের জন্য লেখার ধৈর্য্য রাখা টাফ এমুহুর্তে আমার জন্য :(
ভাল থাকবেন :)

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, সুন্দর করে প্লশ্ন ফাঁসের বিষয়ে নীজের করে কিছু বলার জন্য । সকলের সম্মিলিত কথাগুলি মুল্যায়ন করে তবেই না একটা সমাধানে পৌঁছানো যাবে । কম্পিউটার ও প্রিনটার চালানোর জন্য প্রতিকেন্দ্রে একটি ছোট আকারের IPS ( Instant Power Supply ) device থাকলেই ( বিদ্যুত বিপর্যয় যদি ঘটেই যায় ) মনে হয় চলবে , যাহোক এটা অবশ্যই একটা সমস্যা । খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের চিন্তা প্রসুত আমার প্রস্তাবিত এই রূপক পন্থায় দুর্বল দিক অবশ্যই থাকবে বিবেচনায় এ বিয়য়ে আপনাদের মত বিজ্ঞ শিক্ষানুরাগী লোকজনদেরকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি করে একটি কনসেপ্ট পেপার প্রনয়ণপুর্বক তার উপরে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের কনসালটেশনের ভিত্তিতে একটি উপযুক্ত কর্ম কৌশল প্রনয়নের কথা এ পোষ্টে বলা হয়েছে , এ বিষয়টি সম্ভবত আপনার নজর এপিয়ে গেছে ।

প্রশ্ন পত্র ফাঁস রোধের মত একটি জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে সকলে যার যার বিবেচনায় মতামত রাখবেন । সকলেরটা্ইযে একেবারে সর্বসন্মতভাবে গ্রহনযোগ্য হবে তাতো নয় । দ্বিমত থাকতেই পারে । তাই এ বিষয়ে কেও কোন মতামত রাখলে তা যদি বেহোদা সময় নষ্ট হয় তাহলে তো বলার কিছু নেই । তবু ভাল এ বিয়য়ে পাঠক সমাজের কিছু মুল্যবান মতামততো পাওয়া গেল, সে জন্য আবারো সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ রইল ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল ।

২৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৫৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আলী ভাই, আপনার অনেক শ্রমসাধ্য পোস্টার জন্য ধন্যবাদ | খুবই জরুরি একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন | এখানে আমার মনে হয় আপনি যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছেন তার সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো টেকনোলজি আর সময়ের অসুবিধা | যেমন ত্রিশ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রশ্ন ছাপানো আমার মনে হয় খুব প্রাগমেটিক আইডিয়া না | কতগুলো কারণ বলি:
১. কারণ দেশ জুড়ে এই পরীক্ষা হবে | নানা কারণেই ইলেক্ট্রিসিটি নাই থাকতে পারে বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষার পুরো সময় জুড়ে | কেন্দ্রে ইলেক্ট্রিসিটি না থাকলে প্রিন্টার ইউজ করা যাবে না | তাই কেন্দ্রে আধা ঘন্টা আগে প্রশ্ন ছাপানো খুবই রিস্কি বলে মনে হয় আমার কাছে |
২. কন্টিনিউয়াস প্রশ্ন প্রিন্ট করতে করতে প্রিন্টার জ্যাম হতে পারে, পুরো নষ্টও হয়ে যেতে পারে | পরীক্ষার ঠিক আগে এমন যে কোনো ঝামেলা মারাত্মক বিপর্যয় বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে | তাই এই রিস্কগুলো কোনো ভাবেই পরীক্ষার দিন রাখা যাবে না |
৩. তাছাড়া প্রিন্টার কেনা, তার গুনগত মান পরীক্ষা নিরীক্ষা করার ঝামেলাতো আছেই |
৪. তাছাড়া এই সব কেনা কাটা নিয়ে সরকারি উদ্যোগে ক্রয়ের পুকির চুরির ব্যাপারটা থাকবেই | এটার একটা ইফেক্ট পরীক্ষায় পড়ার সম্ভাবনাও পড়তে পারে (নিম্ন মানের প্রিন্টার, কার্ট্রিজ কেনার কারণে) |

তাই আমার মনে হয়েছে আপনার প্রস্তাবিত সমাধান এখনই কার্যকর করার ক্ষেত্রে বেশ অসুবিধা হবে এখন | তাই আমি পারস্পরিকভাবে সম্পর্কযুক্ত দুই পর্যায়ের প্রশ্ন প্রণয়নের একটা সমাধান দিতে চাই | | আমার প্রস্তাবে বাড়তি কোনো খরচই হবে না | বরং এখনকার পরীক্ষা সংক্রান্ত ব্যয়ের চেয়ে ব্যয় কমবে |আমার প্রস্তাবগুলো হচ্ছে :
i. পরীক্ষার প্রশ্ন প্রকৃতি সংক্রান্ত
ii. প্রশ্ন প্রণয়ন সংক্রান্ত
পরীক্ষার প্রশ্ন প্রকৃতি সংক্রান্ত প্রস্তাব:
১. সব ধরণের এমসিকিউ টাইপ প্রশ্ন বাদ দিতে হবে |কারণ এই প্রশ্নগুলোই সহজে ফাঁস করা সম্ভব আর তাতে পরীক্ষার মূল্যায়নে বড় ধরণের হের্ ফের হয়ে যায় প্রশ্ন ফাঁস হলে | তাই সব রচনাধর্মী (essay type) প্রশ্ন হবে |
প্রশ্নগুলো হবে এনালাইটিকাল ধর্মী | "যাহা জান লিখো ...." ধরণের হতে পারবে না |
২. বোর্ডের বইয়ের প্রতিটি বিষয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত বই থেকে প্রত্যেকটা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন নিয়ে অধ্যায় ভিত্তিক ব্রড কোশ্চেন (essay type) আর ছোট প্রশ্ন (short question) নিয়ে ১০০ নাম্বারের প্রশ্নের জন্য ১০ টি প্রশ্নের একটি করে প্রশ্নের সেট হবে | প্রতিটা সাবজেক্টে এরকম প্রশ্নের সেট থাকবে অন্তত পনেরোটা |
৩. প্রতিটা সাবজেক্টের বোর্ড নির্ধারিত নির্ধারিত বইয়ের প্রতিটা চ্যাপ্টার থেকে ব্রড প্রশ্ন ছোট প্রশ্ন থাকবে প্রয়োজনমত |এটা নানা কম্বিনেশনে হতে পারে |যেমন উদাহৰণ দেই,
৭টা বড় প্রশ্ন ১০ নাম্বার করে - ৭০ (৭*১০)
আর ৬টা ছোট প্রশ্ন - ৩০ (৬*৫)
পূর্ণমান= ১০০
এভাবে পরীক্ষার পরিকল্পনা হলে প্রতিটি বিষয়ের জন্য ১৫সেটের জন্য অন্তত ১৫০টা ব্রড কোশ্চেনের সাথে ৯০টা শর্ট কোশ্চেনও থাকবে ১৫ সেট প্রশ্নে| এই প্রশ্ন অন্য কোনো কম্বিনেশনেও হতে পারে যেমন ৭+৩, ৮+২ ইত্যাদি |এই প্রশ্ন সংখ্যা আরো বেশি হতে বইয়ের কন্টেন্ট অনুযায়ী |
৪. শিক্ষাবোর্ডগুলো একটা আনুমানিক একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরী করে দেবে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর এক বছরের | শিক্ষাবোর্ড একাডেমিক ক্যালেন্ডারের ভিত্তিতে এই প্রশ্ন গুলো তাদের নির্ধারিত ওয়েব সাইটে চ্যাপ্টার বেসিসে দিয়ে দেবে শিক্ষা বছরের ক্যালেন্ডার হিসেব করে | প্রতিটি চ্যাপ্টারের প্রশ্ন মাস ভিত্তিতে ওয়েব সাইটে প্রকাশ করতে হবে | চ্যাপ্টারের উপর ভিত্তিতে করে মাসে একাধিক চ্যাপ্টারের প্রশ্নও ভেবে প্রকাশ করতে পারবে বোর্ড | তাতে ছাত্র ছাত্রীরা সারা বছর পড়াশোনায় মনোযোগী থাকবে |তবে শর্ত হচ্ছে এসএসসি অথবা এইচএসসি পরীক্ষার একমাস আগে অবশ্যই সব চ্যাপ্টারের প্রশ্ন ওয়েবে প্রকাশ করতে হবে | প্রতিটি বিষয়ে একই ভাবে পনেরো সেট প্রশ্ন হবে | ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের সময় নিজের স্কুল থেকে সেই প্রশ্ন বাধাই করা প্রতিটি সাবজেক্টের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নযুক্ত বই কিনবে বাধ্যতামূলকভাবে | সেই বইটা নিয়েই তারা বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষা হলে যাবে |
এতো গেলো প্রশ্নের প্রকৃতি সংক্রান্ত আলোচনা | এখন এর সাথে সম্পর্কিত প্রশ্ন প্রণয়ন নিয়ে আমার প্রস্তাবগুলো হলো :
১. এই পনেরো সেট প্রশ্নের থেকে মিলিয়ে পরীক্ষার একমাস আগে ফাইনাল প্রশ্ন বাছাই করবে বোর্ডের (পরীক্ষকের/শিক্ষকদের সম্মিলনেগঠিত) উচ্চতর বিশেষজ্ঞের একাধিক দল | খুব কম হলেও দশ সেট প্রশ্ন চূড়ান্ত হিসেবে তৈরী করতে হবে | যাতে ওই সিলেক্টেড কমিটির কেউ না জানতে পারে কোন প্রশ্ন মূল পরীক্ষায় ব্যবহার করা হবে | এই সেটগুলোর কোনো নাম্বার থাকবে না প্রশ্ন প্রণয়নকারী সদস্যদের নাম দিয়ে প্রশ্ন চিহ্নিত হবে |
২. ভিন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত (পরীক্ষকের/শিক্ষকদের সম্মিলনেগঠিত) একটি মডারেশন কমিটি প্রশ্নের সেটগুলো দেখবেন |দশ সেট প্রশ্নে যদি কোনো ওভারল্যাপ হলে শুধু সেগুলো পরিবর্তন করতে পারবেন |অন্য কোনো প্রশ্ন নয় | এই মডারেশন কমিটি পনেরো সেট প্রশ্নের থেকে দশটি সেট চূড়ান্ত পরীক্ষায় ব্যবহারের জন্য সিলেক্ট করবেন সেটের কোনো নাম্বার ছাড়া (সেট -১ . সেট -২ ইত্যাদি ) | তারা তাদের মডারেশনের পরই প্রশ্ন থেকে পূর্ববর্তী পর্যায়ে প্রশ্নপ্রণয়নকারী সদস্যদের নাম মুছে দেবেন দশ এবং সেট প্রশ্ন দশটি ভিন্ন ভিন্ন ইনভেলাপে ঢুকিয়ে সিলগালা করে দেবেন | বোর্ডের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে সিলগালা করা প্রশ্ন নিরাপদ ভল্টে রাখা হবে পরিবর্তী কার্যক্রমের জন্য | সেই ভোল্ট একাধিক ব্যক্তির কোড ছাড়া খোলা যাবে না সেই ব্যবস্থা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে |
৩. মডারেশনের পর তিন সদস্যের একটি কমিটি ইনভেলাপে দশ সেটের নাম্বারিং করবে সেট- ১, সেট -২, সেট -৩ ইত্যাদি | তারা ইনভেলাপ খুলতে পারবে না | এতে প্রশ্নপ্রণয়নকারী, মডারেশন কমিটি সদস্যরা জানবে না যে কার সেটের নাম্বার কত হচ্চে | নাম্বারিং কমিটি এছাড়া কোনো ধরণের পরিবর্তনই করতে পারবেন না |
৪. পরীক্ষার একসপ্তাহ আগে লটারির মধ্য দিয়ে কোন প্রশ্নটা ব্যবহার করা হবে সেটা নিৰ্ধাৰণ করা হবে | বোর্ড চেয়ারম্যান ও মন্ত্রীর (নাহিদ সাহেবকে এ থেকে দুইশ মাইল দূরে রাহতে হবে এই প্রক্রিয়া থেকে ) উপস্থিতিতে কোন সেট প্রশ্ন চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হবে | এক্ষত্রে শুধু কোন সেট প্রশ্ন চূড়ান্ত ভাবে ব্যবহার হবে সেই সিদ্ধান্ত নির্ধারিত হবে আগের পর্যায়ের প্রশ্নগুলো থেকে | কিন্তু কি কি প্রশ্ন সেখানে আছে সেটাও কেউ জানতে পারবে না |
৫. প্রতিটি বিষয়ের এসএসসি পরিক্ষার দিন বোর্ডের নির্ধারিত ওয়েব সাইটে আধা ঘন্টা আগে সেই ফাইনাল প্রশ্নের নাম্বারগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে | প্রত্যেক কেন্দ্র প্রধানের কাছে আগেই পাসওয়ার্ড আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে | নির্ধারিত কোড ইউজ করে মোবাইল বা কম্পেউটার থেকে কেন্দ্রের প্রধান, কেন্দ্রের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সেই প্রশ্নগুলোর নাম্বার লিখবেন /প্রিন্ট নেবেন এবং পরীক্ষার হলে জানিয়ে দেবেন |
৬. প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নে শুধু বলা থাকবে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোন সেটের কত নাম্বার প্রশ্ন পরীক্ষায় আনসার করতে হবে | এর বেশি কিছু নয় |যেহেতু ছাত্র ছাত্রীরা প্রশ্ন নিয়ে আসবে হলে তারা সেখান থেকে দেখে আনসার করবে প্রশ্নগুলো |
৭. পরীক্ষার উত্তর পত্র আর এই প্রশ্ন বইগুলো একসাথে পিন আপ করে জমা নিয়ে হবে যাতে কেউ ওগুলোতে কিছু লিখে নিয়ে এলে ধরা যায় | পরীক্ষা হলের শিক্ষক পরীক্ষার শুরুতেই প্রশ্ন বইগুলো দেখে স্বাক্ষর করবেন যে ওগুলোতে নাম রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো লেখা নেই |
আমার মনে হয় এই পদ্ধতিতে পরীক্ষার প্রশ্ন করলে বর্তমান প্রশ্ন প্রণয়ন পোষ্যটির অনেকগুলো দুর্বলতা সহজেই কাটানো যাবে | কোন প্রশ্ন আসবে এটা জানার যে সুযোগগুলো এখন আগে থেকেই আছে সেগুলো বন্ধ হবে | কোনো একটা গ্রূপের পক্ষেই নিশ্চিত হবার সুযোগ থাকবে না কোন প্রশ্নগুলো বা কোন সেট থেকে প্রশ্ন আসবে | বিজিপ্রেসের থেকে প্রশ্ন ছাপানোর পর্যায় থেকে কেন্দ্রে প্রশ্ন পৌঁছানো পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁসের যে সুযোগ থাকে সেগুলো সম্পূর্ণই নির্মূল হবে | কোনো অতিরিক্ত খরচও তেমন হবে না | রেজিস্ট্রেশনের টাকা থেকেই ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন বইগুলো দেওয়া যাবে কারণ প্রশ্ন যেহেতু ছাপাতে হবে না তাই লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর প্রশ্ন ছাপাবার খরচও বোর্ডের হবে না | আমি আশাকরি এই পদ্ধতিটা ভাবা যেতে পারে |

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , খুবই মুল্যবান ও বিস্তারিত কর্ম পন্থা উল্লেখ করে মতামত রেখেছেন । এটি আমার এই পোষ্টের মুল উদ্দেশ্যকে স্বার্থক করেছে । আপনার পন্থার সাথে আমি সহমত পোষন করি । এই মহুর্তে সময়ের সল্বতার জন্য আলোচনা দীর্ঘায়িত করতে পারছিনা । তবে ঘন্টা কয়েক বাদে আলোচনায় ফিরে এসে আপনার মুল্যবান মতামত শেয়ার করব ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনি যতার্থই বলেছেন , আমার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে টেকনোলজি আর সময়ের অসুবিধাই সবচেয়ে বড় অসুবিধা । বিষয়টি নিয়ে আমিও বেশ ভেবেছি । আমাদের দেশে সরকারী পর্যায়ে প্রশ্নপত্র প্রনয়ন ও বিতরনের ক্ষেত্রে বর্তমানে যে টেকনোলজি ব্যবাহার করা হয় তা বলতে গেলে অতি সেকেলে । অপর দিকে যে সমস্ত স্কূলে বা কলেজে (স্কূল+কলেজ যেমন ভিকারুন্নেছা , আইডিয়েল , ক্যডেট স্কুল এন্ড কলেজ ইত্যাদি ) এস এস সি /এইচ এসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় সে সমস্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতে গেলে বেশ প্রতিষ্ঠিত এবং তাদের অবকাঠামো বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তি ( ইন্টারনেট , কম্পিউটা প্রিনটার, স্কুল কলেজ ল্যবে বিদ্যুত বিভ্রাট মোকাবেলা ব্যবস্থা ) প্রভৃতি একেবারে দুর্বল নয়। তথ্য প্রযুক্তির বর্তমান যুগে স্কূলের অনেক ছাত্র ছাত্রী ও টিচারদের কাছেও লেপটপ ও ইন্টারনেট সুবিধা আছে বলেই শুনা যায় । প্রযুক্তির এ যুগে পরীক্ষা কেন্দ্র হওয়ার মত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগ যথা কলা , বিজ্ঞান , কৃষি , বানিজ্য প্রভৃতি প্রতিটি বিভাগেই কমপক্ষে একটি করে কম্পিউটার ও প্রিনটার আছে বলেই ধরে নেয়া যায় । তাই সেগুলি দিয়েও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রয়োজনীয় প্রশ্ন ছাপার কাজটি করা যেতে পারে । এছাড়া প্রয়োজনীয় তথ্য প্রযুক্তিগত অবকাঠামো না থাকলে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র হিসাবে নির্বাচন করা সমীচিন হবেনা । তাদেরকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য বা নির্বাচিত করার জন্য কিছু কন্ডিসনালিটি যুক্ত করে দিলে কেন্দ্র উপযোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমুহ নীজ তাগিদেই নীজের মান মর্যাদা রক্ষা কিংবা তাদের ইমেজ তৈরীর জন্য নিজেরাই প্রয়োজনীয় তথ্য প্রযুক্তি অবকাঠামো সৃজন করে নিতে পারবে বলে দৃঢ়ভাবে ধারনা করি । গুটা চার পাচেক কম্পিউটারে একটু উচ্চ গতির প্রিনটারে ১০ মিনিটে প্রতি কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রশ্ন পত্র( প্রতি কেন্ত্রে গড়ে প্রায় ১৫০০ কপির মত) প্রিন্ট বের করা তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা না , বিদ্যুত বিভ্রাট বা লোড শেডিং এর বিষয়টাকে কেন্দ্রে থাকা একটি ছোট্ট যথোপযুক্ত ক্যাপাসিটির IPS ( Instant Power supply device) দিয়ে মিটানো যেতে পারে ।কম্পিউটারে সমস্যা কিংবা প্রিনটারে সমস্যা হতেই পারে বিবেচনায় একাধিক কম্পিউটার ও প্রিন্টারের ব্যবস্থা রাখার কথাও বলা হয়েছে । কম্পিউটার ও সহায়ক যন্ত্রপাতির গুনগত মান এবং কেনা কাটায় পুকুর চুরীর ব্যবস্থাটাও রোধ করা যেতে পারে । প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সমুহ কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সরকারীভাবে না কিনে একটা সময়ের ভিতরে কেন্দ্রগুলিকেই সেগুলি ক্রয় কিংবা নিজস্ব সংগ্রহ হতে মিটানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে , অপারগতায় প্রয়োজনে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেয়া যেতে পারে ।

যদি কোন কারণে প্রিনটিংএ সাময়িক সমস্যাও দেখা দেয় তাহলে পরীক্ষা একটু পরে শুরু করলেও তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা না , এমনকি ইতিমধ্যে অন্য কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হলেও তা আলোচ্য কেন্দ্রের পরীক্ষার্থিদের কাছে পৌঁছতে পারবেনা, কারন তারা মোবাইল বিহীনভাবে তখন পরীক্ষা হলের ভিতরেই অপেক্ষমান থাকবে । ।এমনিতেওতো প্রশ্ন পত্র ফাসের কারণে অনেক কেন্দ্রের পরীক্ষা স্থগিত রাখতে হয় । যাহোক, মুল কথা হল কেন্দ্রকে প্রশ্নপত্র আদৌ প্রিন্ট করতে হবেনা । বর্তমানের গতানুগতিক প্রিনটেট প্রশ্নের মাধ্যমে পরীক্ষা পরিচালনাকারী কতৃপক্ষকে একটু দেখিয়ে দেয়াটাই আমার লেখাটির মুল উদ্দেশ্য ছিল । বলতে চেয়েছি কেন্ত্রীয়ভাবে বিজি প্রেসের ( সরকারী মুদ্রন ব্যবস্থার) যাতা কলে প্রশ্ন ছাপিয়ে ঠেলা গাড়ীতে করে কেন্দ্রে প্রশ্ন পত্র পাঠিয়ে প্রশ্নের সুচিকাগার হতে শুরু করে কেন্দ্রে যাওয়া পর্যন্ত এবং সেখান হতে প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাওয়া রোধের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে, যদি তারা একটু বিকল্প কিছু চিন্তা করে । এর জন্য আপনার মত আরো অনেকের বিজ্ঞ আলোচনা ও মতামত একটি উপযুক্ত বিকল্প পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সহায়ক হবে বলে আমার বদ্ধমুল ধারনা ছিল ও এখনো আছে ।

২) আপনি ঠিকই বলেছেন আমার প্রস্তাবিত ব্যবস্থা এখনই কার্যকরি করতে বেশ অসুবিধা হবে । সে জন্য আমিও বলেছি পন্থাটি কার্যকর করতে হলে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সৃজনের পাশাপাশি স্ংষ্লিস্ট সকলকে প্রস্তুতিমুলক কর্মকান্ডের বিষয়ে যথাযথভাবে প্রশিক্ষন ও অনুশীলন করতে হবে , কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে অনুশীলন পর্যায়ে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার আলোকে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে নিতে হবে যথাযথ বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে । এত দীর্ঘ দিনেও বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিয়েও যখন প্রশ্ন পত্র ফাঁস রোধ করা যায়নি তখন হাতে আরো একটু সময় নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে দেশের বিজ্ঞ লোকদের সাথে ব্যপক আকারে কনসালটেশন করে একটি নিশ্ছিদ্র পন্থা উদ্ভাবন করাই বেশী প্রয়োজন এ মহুর্তে ।

৩) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রনয়ণ সংক্রান্ত আপনার প্রস্তাবনা সমুহ আমার খুবই ভাল লেগেছে। প্রশ্নগুলো অবশ্যই এনালাইটিকাল ধর্মী হতে হবে । বোর্ডের বইয়ের প্রতিটি বিষয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত বই থেকে প্রত্যেকটা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন নিয়ে অধ্যায় ভিত্তিক প্রশ্ন পাঠ্য বই এর ভিতরেই যুক্ত করে দিলে ভাল হয় বলে অআপনার প্রস্তাবনার সাথে সহমত পোষন করি । এ সম্পর্কে আমার পোষ্টের মুল লেখায় কিছু না বললেও এ পোষ্টের ১১ নম্বরে পাকা চুলের মুল্যবান একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছি
আরো সুবিধা হয় ছাত্রদের পাঠ্যপুস্তকে প্রতিটি চ্যপ্টারের সাথে উপযুক্ত মানের কিছু প্রশ্ন জোরে দিলে ।
প্রতিটি বিষয়ে বিভিন্ন চ্যাপটার মিলিয়ে ২০০ টি প্রশ্ন থাকলে ও তাদের ক্রম ১ হতে ২০০ পর্যন্ত রাখলে চ্যাপটার ভিক্তিক লটারীর মাধ্যমে ২০ টি প্রশ্ন নির্বচন করা যায় । এটা শিক্ষামন্ত্রী নীজেই করতে পারবেন। ছেলে মেয়েরা সবাই ২০ সেট প্রশ্ন নিজেরাই প্রিন্ট করে পরীক্ষার হলে নিয়ে আসতে কোন অসুবিধা হবেনা এক্ষেত্রে প্রশ্নের প্রিন্ট বের করতে ছাত্রদের নীজ নীজ স্কুল তাদের কম্পিউটার দিয়ে সহায়তা করতে পারে। পরীক্ষার ১০ মিনিট আগে, যখন সবাই পরীক্ষার হলে বসে যাবে, তখন টিভি/রেডিও/মোবাইল/ইমেইলে শিক্ষামন্ত্রী কোন সেটে পরীক্ষা হবে সেটা লাইভ লটারী করে জানিয়ে দিলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভাবনা থাকবেনা। তবে পরীক্ষা শুরুর আগে ছাত্রদের কাছ হতে বাকী সেট নিয়ে নিতে হবে যেন প্রশ্নপত্র দেখার অযুহাতে কেও সাথে থাকা উত্তর পত্র দেখে নকল করতে না পারে।
তবে এ ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রী নিজে যদি সততা বজায় রাখতে না পারেন তবে এই পদ্ধতি অবশ্য কোন কাজে আসবেনা ।

এ প্রসঙ্গে আপনি আরো সুন্দর করে বলে দিয়েছেন প্রত্যেকটা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন নিয়ে অধ্যায় ভিত্তিক ব্রড কোশ্চেন (essay type) আর ছোট প্রশ্ন (short question) নিয়ে ১০০ নাম্বারের প্রশ্নের জন্য ১০ টি প্রশ্নের একটি করে প্রশ্নের সেট হবে | এ প্রস্তাবের সাথে আমি সম্পুর্ণভাবে সহমত পোষন করি । প্রশ্নের যে কম্বিনেশন দিয়েছেন সেটাও চমৎকার হবে বলে মনে করি ।

শিক্ষা বোর্ডগুলী কতৃক একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রনয়ন ও তার বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে যে সমস্ত দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তা খুবই ইফেকটিভ হবে বলেও আমার কাছে মনে হয়েছে । শিক্ষা মন্ত্রনালয় বিষয়গুলি অত্যন্ত গুরুত্বের সহিত প্রস্তাবটি ভেবে দেখতে পারে । এরকম হলে কতৃপক্ষকে আর কষ্ট করে পরীক্ষার পুর্ব মহুর্তে প্রশ্নপত্র ছাপাতে হবেনা । আর কেন্দ্রীয় ভাবে কিংবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পরীক্ষা কেন্দ্র সমুহে প্রশ্ন ছাপানোর বিরম্বনা সইতে হবেনা ।

৪) প্রশ্ন পত্র প্রনয়ন ও বিতরন নিয়ে আপনার মুল্যবান প্রস্তবনাগুলি খুবই সুন্দর ও গ্রহন যোগ্য বলেই মনে হচ্ছে । একটি পর্যায়ে লটারীর প্রয়োজন হবে কারণ লটারীটির কারণে কেও নিশ্চিত হতে পারবেনা কোন সেট টি দিয়ে পরীক্ষা হবে। প্রশ্ন পত্র প্রনয়নের বিষয়ে প্রসঙ্গক্রমে একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই । বছর ত্রিশেক আগে পাষ্চাত্তের একটি নামকরা বিশ্ব বিদ্যালয়ে পোষ্ট গ্রাজুয়েট লেভেলে শিক্ষা বছরের মাঝামাঝিতে একটি টিউটরিয়াল পরীক্ষার বিষয়ে শ্রেণী শিক্ষক বলে দিয়েছিলেন পরীক্ষার হলে যে যত পারে বই খাতা , ক্লাশ নোট , টিচারদের লেকচারের রেকর্ড অর্থাৎ যার যা খুশী পরীক্ষার হলে নিয়ে যেতে পারবে । যথারিতি তাই করা হল । প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পরে দেখা যায় অবস্থা বেগতিক , সব প্রশ্নের উত্তরই প্রায় জানা আছে , এগুলি পাঠ্য বই ও ক্লাশে শিক্ষক যা লেকচার দিয়েছেন তার ভিতরেই অআছে । কিন্তু মুসকিল হল আরো একটু ভাল করে উত্তর দেয়ার জন্য বই খাতা খুলে এক সাথে যুতসই উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবেনা , উত্তরের জন্য বই খাতার বিভিন্ন জায়গায় দৌঁড়ালেও নীজের ভাষায় উত্তর দেয়া ছাড়া কোন উপাই নাই , আর সেরকম দৌঁরাদৌরি করে তার পরেও নীজের ভাষায় উত্তর লিখলে ১০ টি প্রশ্নের জায়গায় নির্ধারিত সময়ে তিনটির বেশী উত্তর দেয়া যাবেনা । আর তিনটি প্রশ্নের উত্তরে ফুল মার্কস পেলেও পরীক্ষায় পাশ হবেনা । তাই প্রশ্ন প্রণয়নের সময় বিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলি যদি যথোপযুক্ত কৌশল অবলম্বন করেন তাহলে পরীক্ষা শুরুর পুর্ব মহুর্তে প্রশ্র ফাঁস হলেও তেমন কোন সুবিধা হবেনা , শুধু শ্রেণী কক্ষে মুঠো ফোনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রন করতে হবে কঠোর ভাবে, যাতে করে বাইরে থেকে প্রশ্ন ফাঁসকারী সিন্ডিকেট কোন ডিভাইস দিয়ে অত্যাধুনিক কোন প্রযুক্তি ব্যাবহার করে উত্তরগুলি পরিক্ষার্থীদের নিকট প্রম্ট্ করতে না পারে । তার পরেও বলা যায়না, আমাদের কতৃপক্ষের চেয়ে প্রশ্ন ফাঁস কারীরাই টেকনোলজিকেলী অনেক বেশী এগিয়ে আছে, আর তাদের সহায়তা করার জন্য সর্ষের ভিতরের ভুতকে দমাবে কে !!!! তাই সব কথার মুল কথা মনে হচ্ছে যতক্ষন পর্যন্ত না প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত বিষয় গুলির মধ্যে সততা ও সংষ্লিস্টদের বিবেকবোধ জাগ্রত করা না যাবে ততদিন আমরা কোন পদ্ধতি হতেই সুফল পাবনা ।
তারপরেও আশাবাদী হতে দুষ কি , সকলের ঐকান্তিক সহযোগীতায় হয়ত কোন সুফল আসলেও আসতে পারে ।

প্রশ্ন ফাঁস রোধ সংক্রান্ত আলোচনায় মুল্যবান মতামত রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২০

কালীদাস বলেছেন: ভুল বুঝেছেন কিনা আমার স্টার্টিং লাইনটার জন্য শিওর হতে পারলাম না আপনার রিপ্লাইয়ে, তাই আবার ঢুকলাম। বেহুদা সময় নস্ট করার কথাটা বলার কারণ আমাদের পলিসি মেকাররা সম্পূর্ণরুপে জনবিচ্ছিন্ন, সাধারণ মানুষ কি ভাবছে বা বিভিন্ন অফিশিয়াল ডিসিশন কতটুকু প্রাকটিকাল সে সম্পর্কে এরা কোন কেয়ারই করে না, যে কারণে আপনার আমার ভাবনা এদের কাছে পুরাই মিনিংলেস। সেজন্যই বলেছি বেহুদা সময় নষ্ট করেছেন :(( অবশ্যই সবাই মতামত দেবে নিজের দৃষ্টিভংগী থেকে, দেবে না কেন? আমাদের সমস্যা হল, সবই অপাত্রে দান করা হয়। ফর এক্সাম্পল আপনার অনেক পোস্টেই গুরুত্বপূর্ণ অনেক পলিসি সাজেস্ট করেছেন, পঠিত সংখ্যা বলে পলিসি মেকার দুচারজনের চোখেও গেছে হয়ত (এটলিস্ট ফেসবুকে কপিপেস্ট থেকে)। কোন ইমপ্লিকেশন নেই।

এই ধরণের জাতীয় বিপর্যয়ের পর যেকোন সুসভ্য দেশের সংশ্লিষ্ট সেক্রেটারি পদত্যাগ করত। আমাদের সচিবরা জায়গায় জায়গায় উদ্ভোবনী অনুষ্ঠানের প্রধাণ অতিথি হয়। অল্প কয়েকজনের সিন্ডিকেটকে না খুঁজে চুনোপুঁটি প্রশ্নবিক্রেতাদের এরেস্ট করে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে। আপনার/আমার সব লেখাই অর্থহীন এদের জন্য।

আশা করি নিজের অবস্হান পরিষ্কার করেছি। এরপরও আপনাকে হতাশ করে থাকলে বা আহত করে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ কালীদাস , কোন রকম ভুল বুঝি নাই, বরং বুঝতে পেরেছি এ বিষয়ে আমাদের দায়ত্বশীলদের প্রতি এটি আপনার ক্ষোভের একটি প্রকাশ মাত্র । ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা । একান্ত অনুরোধ রইল caeteris paribus তথা Other things remaining constant অর্থাৎ বর্তমান আমলাতান্ত্রিক অব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামো সহসা পরিবর্তন করা যাবেনা ধরে নিয়েই প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সদ্ধবহার করে কি করে জাতিকে এই মহা বিপর্যয়ৈর হাত থেকে মুক্ত করা যায় সে বিষয়ে সহজে বাস্তবায়ন যোগ্য এমন উপযুক্ত কর্ম কৌশলের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করুন । সংলিষ্ট কতৃপক্ষ তা না দেখলেও জনমত সৃজনে তা যথেষ্ট গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করবে , আর এ কারণেইতো মিডিয়ার বিষয়ে তাদের এত ভয়, এত সব বিধি নিষেধের বেড়াজাল বিছানো হচ্ছে চতুর্দিকে ।

২৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

দয়িতা সরকার বলেছেন: আমি এই পোষ্টে দুইবার আসলাম। অনেকেই আপনার পদ্ধতির পক্ষে আবার কেও কেও (কালিদাস) সীমাবদ্ধতা নিয়েও আলোচনা করেছেন, আবার কেও নিজের পদ্ধতি বলেছেন । আমার কাছে আপানার পদ্ধতির চেয়ে পাকাচুল উনার টা সহজ মনে হয়েছে। আমি পদ্ধতি সম্পর্কে বলবনা সুমন করের মতো বলব শিক্ষকদের বিবেক জাগ্রত করতে হবে সাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সব ছাত্রছাত্রী দের এ + পেতে হবে , এমন মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের চেষ্টা ও মেধায় যতোটুকু রেজাল্ট করতে পারে তাতে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দুবার করে এসে পোষ্ট টির লেখা পাঠের পর মুল্যবান মন্তব্য রাখার জন্য ধন্যবাদ । আপনি ঠিকই বলেছেন , আমার কাছেও পাকা চুলের পদ্ধদিটি খুবই পছন্দ হয়েছে , উনি খুবই কম কথায় বিষয়টির একটি সুন্দর সমাধান দিয়েছেন । কতৃপক্ষ প্রস্তবনাটি গুরুত্বের সাথে ভেবে দেখতে পারেন । সুপ্রিয় কবি সুমন করও খুবই মুল্যবান কথা বলেছেন । আপনার শেষ কথাটি বেশ প্রনিধান যোগ্য । অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের চেষ্টা ও মেধায় যতোটুকু রেজাল্ট করতে পারে তাতে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আপনার এ বক্তব্যটির সাথে সর্বোতভাবে সহমত পোষন করি ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৩০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আলী ভাই, প্রথমেই আমার মন্তব্যের উত্তরে আরো সুন্দর করে একটা প্রতি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি | আমি আবার আমার প্রায় একই কমেন্টটা দিলাম অল্প কয়েকটা জায়গা ক্লারিফাই করে | বোল্ড করে দিলাম সে জায়গাগুলো | খুব কম যোগ করেছি ক্ল্যারিফিকেশন ছাড়া |কয়েকটা প্যারা করে দিলাম বড় মন্তব্যটা পড়ার সুবিধার্থে |আগেরবার প্যরাগুলো করেই দিয়েছিলাম কিন্তু কেন ডিস্টর্টেড হয়ে গেছে |

আপনি আপনার প্রস্তাবে যা বলেছেন সেগুলো সময় নিয়ে করলে সবই ডুএবল |কিন্তু পরীক্ষার দিন প্রশ্ন প্রিন্ট করার মধ্যে যে অনিশ্চয়তা থাকবে এই হাজার হাজার পরীক্ষা কেন্দ্রে তা পরীক্ষার্থীদের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে | যেমন, ঠিক সময়ে যদি প্রশ্ন পত্র ছাপা না হয় আরো আধা ঘন্টা সময় বেশি লাগে সেটা অনেকের উপর একটা অসম্ভব রকমের বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে | এই অন্যায় চাপে অনেক ভালো ছাত্র ছাত্রীরই পরীক্ষা খারাপ হবার সম্ভাবনা থাকবে | সেটার দায়িত্ব কে নেবে ? কেন্দ্র ?শিক্ষা মন্ত্রণালয় ? না সরকার ? সব দোষ কিন্তু শেষে সরকারের উপর বর্তাবে | প্রতি বছর এরকম হলে কোনো না কোন কেন্দ্রে (সে সম্ভাবনা প্রচুর থাকবে) এরকম বিভ্রাট কিন্তু পুরো পরীক্ষা পদ্ধতির ওপর ব্যাপক অসুন্তুষ্টির কাৰণ হয়ে যেতে পারে | সেটা না করাই মনে হয় উচিত হইব |পরীক্ষার হলে কাঠামোগত কারণে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হতে দেওয়া যাবে না |

আরেকটা কথা,পরীক্ষার অবকাঠামো সন্তোষজনক না হলে পরখ কেন্দ্র হওয়া যাবে না এটা শুনতে খুব সুন্দর শোনা গেলেও বাস্তবে আমাদের অর্থ সামাজিক আর অবকাঠামোগত অবস্থায় কিন্তু কার্যকর করা খুবই কঠিন | কারণ প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত যে কেন্দ্রের কথা আপনি বলছেন সিপিইউ, কমপিউটার, প্রিন্টার ইত্যাদি সমৃদ্ধ সেটা এখনও সব গ্রামে কতখানি আছে বা অচিরেই কত গ্রামে করা সম্ভব আমি জানি না | এগুলো নিশ্চিত করতে একটা বুর আর্থিক ব্যয়ও আছে | এপর্যায়ে সেটা একটা বাড়তি ব্যয় | শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি এই ব্যয় করতে পারবে ? তাছাড়া এই সন্তোষজনক অবকাঠামো না থাকার কারণে যদি গ্রাম এলাকায় পরীক্ষা কেন্দ্র অনেক দূরে দূরে হয়ে যায় তাহলে আর্থিক কারণেই অনেক ছেলে মেয়ের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটবে তা আমি নিশ্চিত | এই ইস্যুগুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের উপায় খুঁজতে গিয়ে |

আমার মনে হয় তিনটি পর্যায়ে প্রশ্নপত্র প্রনয়ন,চুড়ান্তকরণ, ছাপা ও বিতরণ -এর যে পদ্ধতিটি এখন আছে তার মধ্যে ছাপা ও বিতরণ -এর পদ্ধতি ও পর্যায়টি প্রশ্ন ফাঁসের অন্যতম কারণ ও স্থান| এই পর্যায়টা সহজেই বাদ দেওয়া যায় আমার প্রস্তাব কার্যকর করলে | তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের একটা বুর কাৰণ সহজেই অপসারণ করা যাবে বলেই আমি বিশ্বাস করি | আর এই পর্যায়টা বাদ দেওয়া গেলে শিক্ষার্থীদের ওপর অন্যায় আর অমানবিক অনিশ্চয়তার শাস্তিটা (প্রশ্ন ফাঁস হলে তাদের রেজাল্ট কেমন হবে বা নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী প্রশ্ন চাপাতে দেরি হচ্ছে এই সব ইত্যাদি) আর থাকবে না | প্রশ্ন প্রনয়ন,চুড়ান্তকরণ পর্যায়ে শিক্ষকদের থেকেও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ শোনা যায় | তাই এই দুই পর্যায়ে প্রশ্ন সংক্রান্ত সবধরণের গোপনীয়তারক্ষা করতে হবে | আমার ধারণা মডারেশন পর্যায়ে আমি যা প্রস্তাব করেছি সে ভাবে এই গোপনীয়তা রাখা করা সম্ভব হবে |

ক্ল্যারিফিকেশনসহ আমার আগের মন্তব্য

আলী ভাই, আপনার অনেক শ্রমসাধ্য পোস্টার জন্য ধন্যবাদ | খুবই জরুরি একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন | এখানে আমার মনে হয় আপনি যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছেন তার সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো টেকনোলজি আর সময়ের অসুবিধা | যেমন ত্রিশ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রশ্ন ছাপানো আমার মনে হয় খুব প্রাগমেটিক আইডিয়া না | কতগুলো কারণ বলি:
১. কারণ দেশ জুড়ে এই পরীক্ষা হবে | নানা কারণেই ইলেক্ট্রিসিটি নাই থাকতে পারে বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষার পুরো সময় জুড়ে | কেন্দ্রে ইলেক্ট্রিসিটি না থাকলে প্রিন্টার ইউজ করা যাবে না | তাই কেন্দ্রে আধা ঘন্টা আগে প্রশ্ন ছাপানো খুবই রিস্কি বলে মনে হয় আমার কাছে |

২. কন্টিনিউয়াস প্রশ্ন প্রিন্ট করতে করতে প্রিন্টার জ্যাম হতে পারে, পুরো নষ্টও হয়ে যেতে পারে | পরীক্ষার ঠিক আগে এমন যে কোনো ঝামেলা মারাত্মক বিপর্যয় বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে | তাই এই রিস্কগুলো কোনো ভাবেই পরীক্ষার দিন রাখা যাবে না |

৩. তাছাড়া প্রিন্টার কেনা, তার গুনগত মান পরীক্ষা নিরীক্ষা করার ঝামেলাতো আছেই |

৪. তাছাড়া এই সব কেনা কাটা নিয়ে সরকারি উদ্যোগে ক্রয়ের পুকির চুরির ব্যাপারটা থাকবেই | এটার একটা ইফেক্ট পরীক্ষায় পড়ার সম্ভাবনাও পড়তে পারে (নিম্ন মানের প্রিন্টার, কার্ট্রিজ কেনার কারণে) |

তাই আমার মনে হয়েছে আপনার প্রস্তাবিত সমাধান এখনই কার্যকর করার ক্ষেত্রে বেশ অসুবিধা হবে এখন | তাই আমি পারস্পরিকভাবে সম্পর্কযুক্ত দুই পর্যায়ের প্রশ্ন প্রণয়নের একটা সমাধান দিতে চাই | | আমার প্রস্তাবে বাড়তি কোনো খরচই হবে না | বরং এখনকার পরীক্ষা সংক্রান্ত ব্যয়ের চেয়ে ব্যয় কমবে |আমার প্রস্তাবগুলো হচ্ছে :
i. পরীক্ষার প্রশ্ন প্রকৃতি সংক্রান্ত
ii. প্রশ্ন প্রণয়ন সংক্রান্ত

পরীক্ষার প্রশ্ন প্রকৃতি সংক্রান্ত প্রস্তাব:

১. সব ধরণের এমসিকিউ টাইপ প্রশ্ন বাদ দিতে হবে |কারণ এই প্রশ্নগুলোই সহজে ফাঁস করা সম্ভব আর তাতে পরীক্ষার মূল্যায়নে বড় ধরণের হের্ ফের হয়ে যায় প্রশ্ন ফাঁস হলে | তাই সব রচনাধর্মী (essay type) প্রশ্ন হবে | প্রশ্নগুলো হবে এনালাইটিকাল ধর্মী | "যাহা জান লিখো ...." ধরণের হতে পারবে না |

২. বোর্ডের বইয়ের প্রতিটি বিষয়ের জন্য বোর্ড নির্ধারিত বই থেকে প্রত্যেকটা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন নিয়ে অধ্যায় ভিত্তিক ব্রড কোশ্চেন (essay type) আর ছোট প্রশ্ন (short question) নিয়ে ১০০ নাম্বারের প্রশ্নের জন্য ১০ টি প্রশ্নের একটি করে প্রশ্নের সেট হবে | প্রতিটা সাবজেক্টে এরকম প্রশ্নের সেট থাকবে অন্তত পনেরোটা |

৩. প্রতিটা সাবজেক্টের বোর্ড নির্ধারিত নির্ধারিত বইয়ের প্রতিটা চ্যাপ্টার থেকে ব্রড প্রশ্ন ছোট প্রশ্ন থাকবে প্রয়োজনমত |এটা নানা কম্বিনেশনে হতে পারে |যেমন উদাহৰণ দেই,
৭টা বড় প্রশ্ন ১০ নাম্বার করে - ৭০ (৭*১০)
আর ৬টা ছোট প্রশ্ন - ৩০ (৬*৫)
পূর্ণমান= ১০০
এভাবে পরীক্ষার পরিকল্পনা হলে প্রতিটি বিষয়ের জন্য ১৫সেটের জন্য অন্তত ১৫০টা ব্রড কোশ্চেনের সাথে ৯০টা শর্ট কোশ্চেনও থাকবে ১৫ সেট প্রশ্নে| এই প্রশ্ন অন্য কোনো কম্বিনেশনেও হতে পারে যেমন ৭+৩, ৮+২ ইত্যাদি |এই প্রশ্ন সংখ্যা আরো বেশি হতে বইয়ের কন্টেন্ট অনুযায়ী | এই প্রশ্নগুলো ১-১৫০ পর্যন্ত নাম্বার (বা প্রয়োজন হলে আরো বেশি) হবে | অর্থাৎ প্রথম অধ্যায়ের ১০টা প্রশ্নের পর দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রশ্ন হবে ১১ -২০| এই ধারাবাহিকতায় ১৫০ পর্যন্ত চ্যাপ্টার ভিত্তিক সব প্রশ্ন সাজানো থাকবে (এটা পুরো প্রসেসের সাফল্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ) |

৪. শিক্ষাবোর্ডগুলো একটা আনুমানিক একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরী করে দেবে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর এক বছরের | শিক্ষাবোর্ড একাডেমিক ক্যালেন্ডারের ভিত্তিতে এই প্রশ্ন গুলো তাদের নির্ধারিত ওয়েব সাইটে চ্যাপ্টার বেসিসে দিয়ে দেবে শিক্ষা বছরের ক্যালেন্ডার হিসেব করে | প্রতিটি চ্যাপ্টারের প্রশ্ন মাস ভিত্তিতে ওয়েব সাইটে প্রকাশ করতে হবে | চ্যাপ্টারের উপর ভিত্তিতে করে মাসে একাধিক চ্যাপ্টারের প্রশ্নও ভেবে প্রকাশ করতে পারবে বোর্ড | তাতে ছাত্র ছাত্রীরা সারা বছর পড়াশোনায় মনোযোগী থাকবে |তবে শর্ত হচ্ছে এসএসসি অথবা এইচএসসি পরীক্ষার একমাস আগে অবশ্যই সব চ্যাপ্টারের প্রশ্ন ওয়েবে প্রকাশ করতে হবে | প্রতিটি বিষয়ে একই ভাবে পনেরো সেট প্রশ্ন হবে | ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের সময় নিজের স্কুল থেকে সেই প্রশ্ন বাধাই করা প্রতিটি সাবজেক্টের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নযুক্ত বই কিনবে বাধ্যতামূলকভাবে | সেই বইটা নিয়েই তারা বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষা হলে যাবে | কেন্দ্রে কিছু প্রশ্ন বই রাখা যেতে পারে |কেউ হারিয়ে ফেললে কেন্দ্রের থেকে কিনতে হবে প্রশ্ন বই | তাহলে সবাই সাবধান থাকবে ওগুলো যত্ন করার ব্যাপারে | মূল্য আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হবে | তাই সবাই প্রয়োজনীয় মূল্য নিয়েই আসবে যদি কারো প্রশ্ন বই হারিয়ে যায় | এতো গেলো প্রশ্নের প্রকৃতি সংক্রান্ত আলোচনা |

এখন এর সাথে সম্পর্কিত প্রশ্ন প্রণয়ন নিয়ে আমার প্রস্তাবগুলো হলো :

১. এই পনেরো সেট প্রশ্নের থেকে মিলিয়ে পরীক্ষার একমাস আগে ফাইনাল প্রশ্ন বাছাই করবে বোর্ডের (পরীক্ষকের/শিক্ষকদের সম্মিলনেগঠিত) উচ্চতর বিশেষজ্ঞের একাধিক দল | খুব কম হলেও দশ সেট প্রশ্ন চূড়ান্ত হিসেবে তৈরী করতে হবে | যাতে ওই সিলেক্টেড কমিটির কেউ না জানতে পারে কোন প্রশ্ন মূল পরীক্ষায় ব্যবহার করা হবে | এই সেটগুলোর কোনো নাম্বার থাকবে না প্রশ্ন প্রণয়নকারী সদস্যদের নাম দিয়ে প্রশ্ন চিহ্নিত হবে | এই প্রশ্নগুলোর সিরিয়াল নাম্বার হতে হবে পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নের সিরিয়ালের সাথে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ | পরীক্ষার মূল প্রশ্নের পাশে একটি কলামে প্রশ্নের সিরিয়াল অনুযায়ী ১-১০ এবং পাশের কলামে বইয়ের সিরিয়াল অনুযায়ী প্রশ্নের যে নাম্বার সেটা উল্লেখ করে দিতে হবে |তাহলে কোন প্রশ্ন উত্তর করতে হবে সে সম্পর্কে কোনো ভুলবোঝাবুঝির সৃষ্টি হবে না |

২. ভিন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত (পরীক্ষকের/শিক্ষকদের সম্মিলনেগঠিত) একটি মডারেশন কমিটি প্রশ্নের সেটগুলো দেখবেন |দশ সেট প্রশ্নে যদি কোনো ওভারল্যাপ হলে শুধু সেগুলো পরিবর্তন করতে পারবেন | অন্য কোনো প্রশ্ন নয় | এই মডারেশন কমিটি পনেরো সেট প্রশ্নের থেকে দশটি সেট চূড়ান্ত পরীক্ষায় ব্যবহারের জন্য সিলেক্ট করবেন সেটের কোনো নাম্বার ছাড়া (সেট -১ . সেট -২ ইত্যাদি ) | তারা তাদের মডারেশনের পরই প্রশ্ন থেকে পূর্ববর্তী পর্যায়ে প্রশ্নপ্রণয়নকারী সদস্যদের নাম মুছে দেবেন এবং দশ সেট প্রশ্ন দশটি ভিন্ন ভিন্ন ইনভেলাপে ঢুকিয়ে সিলগালা করে দেবেন | বোর্ডের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে সিলগালা করা প্রশ্ন নিরাপদ ভল্টে রাখা হবে পরিবর্তী কার্যক্রমের জন্য | সেই ভোল্ট একাধিক ব্যক্তির কোড ছাড়া খোলা যাবে না সেই ব্যবস্থা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে |

৩. মডারেশনের পর তিন সদস্যের একটি কমিটি ইনভেলাপে দশ সেটের নাম্বারিং করবে সেট- ১, সেট -২, সেট -৩ ইত্যাদি | তারা ইনভেলাপ খুলতে পারবে না | এতে প্রশ্নপ্রণয়নকারী, মডারেশন কমিটি সদস্যরা জানবে না যে কার সেটের নাম্বার কত হচ্চে | নাম্বারিং কমিটি এছাড়া কোনো ধরণের পরিবর্তনই করতে পারবেন না |

৪. পরীক্ষার একসপ্তাহ আগে লটারির মধ্য দিয়ে কোন প্রশ্নটা ব্যবহার করা হবে সেটা নিৰ্ধাৰণ করা হবে | বোর্ড চেয়ারম্যান ও মন্ত্রীর (নাহিদ সাহেবকে এ থেকে দুইশ মাইল দূরে রাহতে হবে এই প্রক্রিয়া থেকে ) উপস্থিতিতে কোন সেট প্রশ্ন চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হবে | এক্ষত্রে শুধু কোন সেট প্রশ্ন চূড়ান্ত ভাবে ব্যবহার হবে সেই সিদ্ধান্ত নির্ধারিত হবে আগের পর্যায়ের প্রশ্নগুলো থেকে | কিন্তু কি কি প্রশ্ন সেখানে আছে সেটাও কেউ জানতে পারবে না |

৫. প্রতিটি বিষয়ের এসএসসি পরিক্ষার দিন বোর্ডের নির্ধারিত ওয়েব সাইটে আধা ঘন্টা আগে সেই ফাইনাল প্রশ্নের নাম্বারগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে | প্রত্যেক কেন্দ্র প্রধানের কাছে আগেই পাসওয়ার্ড আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে | নির্ধারিত কোড ইউজ করে মোবাইল বা কম্পেউটার থেকে কেন্দ্রের প্রধান, কেন্দ্রের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সেই প্রশ্নগুলোর নাম্বার লিখবেন /প্রিন্ট নেবেন এবং পরীক্ষার হলে জানিয়ে দেবেন |

৬. প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নে শুধু বলা থাকবে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কত নাম্বার প্রশ্ন পরীক্ষায় আনসার করতে হবে | এর বেশি কিছু নয় |যেহেতু ছাত্র ছাত্রীরা প্রশ্ন নিয়ে আসবে হলে তারা সেখান থেকে দেখে আনসার করবে প্রশ্নগুলো |

৭. পরীক্ষার উত্তর পত্র আর এই প্রশ্ন বইগুলো একসাথে পিন আপ করে জমা নিয়ে হবে যাতে কেউ ওগুলোতে কিছু লিখে নিয়ে এলে ধরা যায় | পরীক্ষা হলের শিক্ষক পরীক্ষার শুরুতেই প্রশ্ন বইগুলো দেখে স্বাক্ষর করবেন যে ওগুলোতে ছাত্র/ছাত্রীদের নাম রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো লেখা নেই |

শেষ কথা

আমার মনে হয় এই পদ্ধতিতে পরীক্ষার প্রশ্ন করলে বর্তমান প্রশ্ন প্রণয়ন পোষ্যটির অনেকগুলো দুর্বলতা সহজেই কাটানো যাবে | কোন প্রশ্ন আসবে এটা জানার যে সুযোগগুলো এখন আগে থেকেই আছে সেগুলো বন্ধ হবে | কোনো একটা গ্রূপের পক্ষেই নিশ্চিত হবার সুযোগ থাকবে না কোন প্রশ্নগুলো বা কোন সেট থেকে প্রশ্ন আসবে | বিজিপ্রেসের থেকে প্রশ্ন ছাপানোর পর্যায় থেকে কেন্দ্রে প্রশ্ন পৌঁছানো পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁসের যে সুযোগ থাকে সেগুলো সম্পূর্ণই নির্মূল হবে | কোনো অতিরিক্ত খরচও তেমন হবে না | রেজিস্ট্রেশনের টাকা থেকেই ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন বইগুলো দেওয়া যাবে কারণ প্রশ্ন যেহেতু ছাপাতে হবে না তাই লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর প্রশ্ন ছাপাবার খরচও বোর্ডের হবে না | আমি আশাকরি এই পদ্ধতিটা ভাবা যেতে পারে |

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার এসে আলোচনায় অংশ নিয়ে আরো অর্থপুর্ণ যুক্তি দিয়ে প্রশ্নপত্র প্রনয়ণ ও ফাঁস রোধের বিষয়ে মুল্যবান মতামত রাখার জন্য । কস্ট ইফেকটিভ ও আরো নিরাপদ প্রযুক্তি নির্ভর পন্থা ও কৌশল অবলম্বনের জন্য দিক নির্দেশনা মুলক একটি মডিফাইড মন্তব্য যুক্ত করে এই পোষ্টের আলোচনাকে আরো অনেক বেশী গতিময়তা দান ও সমৃদ্ধ করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন আপনার প্রস্তাবনার সাথে আমি সহমত পোষন করি ।

একথা ঠিক যে আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো যে পশ্চাদপদ অবকাঠামো আছে সেগুলি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা উপযোগী করতে হলে বেশ বড় ধরনের একটি বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে । আর সে ধরনের বিনিয়োগ করে অবকাঠামো সৃজন করে স্থানীয় পর্যায়ে প্রশ্ন ছাপানোর ব্যবস্থা নিলে বিভিন্ন রকমের দৃশ্ ও অদৃশ্য হাতের কারসাজিতে ব্যবস্থাটি হ-য-ব-র-ল হতে বেশী সময় লাগবেনা , একে আবার ইস্যু বানিয়ে মাঠে নামতেও বেশী দেরী হবেনা । তখন প্রশ্ন ফাঁসের থেকেও বেশী জরুরী হয়ে পড়বে গদি সামলাও । আপনার তুলে ধরা সমস্যা সহ ইত্যাকার আরো অনেক অবস্থার কথঅ বিবেচনা করে আমি আপনার প্রথম মন্তব্যের প্রতি উত্তরে এক জায়গায় বলেছি কেন্দ্রে হয়তবা প্রশ্ন ছাপাবার আদৌ কোন প্রয়োজন হবেনা যদি প্রযুক্তি নির্ভর আরো কোন উন্নত মানের কৌশল উদ্ভাবন ও প্রয়োগ করা যায় । আমি বরাবরেই বলে আসছি প্রশ্ন পত্র ফাঁস সংক্রান্ত বিষয়ে দেশের বিভিন্ন মহল হতে প্রাপ্ত মতামত গুলিকে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয় হতে একটি কনসেপ্ট পেপারের খসড়া তৈরী করে তার উপরে জাতীয় ভিত্তিতে দেশের শিক্ষানুরাগী বিশেষজ্ঞ ও কলাকুশলিদের সাথে একটি উন্মোক্ত কনসালটেশনের ভিত্তিতে প্রশ্ন পত্র প্রনয়ন ও বিতরন কৌশল নির্ধারন করা হলে সম্ভবত অনেক ভাল হয় ।

কামনা করি আপনার মুল্যবান প্রস্তাবনাটি যথাযথ কতৃপক্ষের কারো না কারো নজরে পড়ুক । শিক্ষা মন্ত্রনালয় প্রকাশ্যে এ বিষয়ে দেশের সকলের কাছ হতে মতামত আহ্নবান করলে আপনার মত অনেক বিজ্ঞ শিক্ষানুরাগীই তাঁদের মুল্যবান মতামত সরাসরি তাদের কাছে পৌঁছাতে পারত । এক্ষেত্রে কতৃপক্ষের সদিচ্ছার একান্ত প্রয়োজন ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৩১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

শায়মা বলেছেন: এই বিষয় নিয়ে তুমি যখন ভেবেছো এটা অবশ্য ভালো উদ্যোগ হবে।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ধন্যবাদ , এসে দেখে মুল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য ।
তবে ভাবগতিক দেখে মনে হচ্ছে প্রশ্ন পত্র ফাঁস রোধ করা বেশ কঠিন হবে ।
প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রটি বিভিন্ন ভাবে তাদের নেটোয়ার্ক বিস্তার করে রেখেছে
তারা নিত্যনতুন কৌশল বের করে তাদের ক্রিয়া কলাপ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে ।
এদেরকে উপযুক্ত পন্থা ব্যতিত ঠেকাতে যাওয়াই হবে মহা বিরম্বনার কাজ ।
যাহোক তোমরা উদ্যোগ নিলে আশা করি অনেক বেশী ভাল হবে ।
এমন একটি আশাবাদই ব্যক্ত করলাম ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৩২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন, এই জন্য যে একটা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনা করে সেটাকে উপযিক্ত কর্তৃপক্ষের এবং আপামোর জনসাধারণের বিবেচনার জন্য এখানে তুলে ধরেছেন। এতে প্রচুর শ্রম ও সময় দিতে হয়েছে, তা সহজে অনুধাবনযোগ্য। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ইতিবৃত্ত এখানে অনেক যত্নের সাথে তুলে ধরেছেন এবং নিজের কিছু সাজেশনও বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করেছেন। এই বিরাট কর্মযজ্ঞের জন্য আন্তরিক সাধুবাদ!
প্রসঙ্গান্তরে, আপনার "বিড়ালের চেয়ে ইঁদুর বড়" পোস্টে দেয়া ইঁদুরের ছবিটা দেখে সত্যিই বেশ বিস্মিত হ'লাম।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অভিনন্দন জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন । দেশে মহামারী আকারে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মর্মাহত ও হাতাসাগ্রস্ত হয়ে এ বিয়য়ে জাতীয় পর্যায়ে সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি ও দলমত নির্বিশেষে সকলে মিলে এ বিয়য়ে উপযুক্ত কোন কর্ম পরিকল্পনা প্রনয়নের লক্ষ্যে একটি তাগিদ বোধ থেকে লেখাটি এখানে দিয়েছে । আশা করি দেশের শিক্ষানুরাগী সকল বিজ্ঞজনেরা এ বিয়য়ে একটি উপযুক্ত কর্মকৌশল উদ্ভাবন করে জাতিকে এই মহা বিপর্যয় হতে রক্ষা করবেন ।

আপনার মত আমিউ বিড়ালের চেয়ে ইদুর বড় দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম । তাই এটি সকলের সাথে শেয়ার করেছি । ধন্যবাদ অনেক পুরাতন একটি পোষ্ট দেখে মুল্যবান মন্তব্য দেয়ার জন্য ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৩৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপারটি এমন মহামারী আকার ধারণ করলো কেন? কেন এ সমস্যাটা বিশ্বের আর কোন দেশেই এতটা বা এর কাছাকাছিও প্রকট নয়? কেনইবা এমন একটি সমস্যার পেছনে জাতিকে এতটা মেধা, শ্রম, সময় এবং অর্থের সমাবেশ করতে হবে?
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং জিরো টলারেন্স কি এর সমাধান করতে পারতো না?

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপারটি এমন মহামারী আকার ধারণ করলো কেন সুন্দর একটি প্রশ্ন রেখেছেন । মহামারী আকারে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের কারণের বিষয়টি এখন অনেকের মুখেমুখেই ঘুরছে , আর তা হল সরকারী সংস্লিষ্ট প্রশাসনের ব্যর্থতা । তবে এ কথাও সত্য যে প্রশ্নপত্র আগেও ফাঁস হয়েছে, তবে তা কখনো এতটা ভয়াবহ পর্যায়ে যায়নি। এখন অবস্থাটি বলতে গেলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। শাস্তি ও দায়বদ্ধতা না থাকায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই । এ পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের জন্য কিছু গ্রেফতারী কর্মকান্ড চোখে পড়লেও তা বিশেষ কোন কাজেই আসেনি । আপনি ঠিকই বলেছেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং জিরো টলারেন্স এর সমাধান করতে পারতো কার্যকরভাবে । কিন্তু এ পথে তারা যে হাটবেনা তা বুঝতে কারো অসুবিধা হওয়ার কথানা । তাই উপযক্ত কৌশল অবলম্বন করে প্রশ্নপত্র ফাঁস নেটোয়ার্কটিকেই ( মাথা হতে লেজ পর্যন্ত ) মুলোৎপাটন করা প্রয়োজন ।

জিরো টলারেন্সে কি কাজ হবে ? সুপ্রিম কোর্টের উকিলেরা একদিকে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের বিপক্ষে আদালতে রিট করে, আর দিকে উকিলদেরই একটি অংশ প্রেফতারকৃত প্রশ্নপত্র ফাঁস কারীদের পক্ষে উকালতি করে তাদেরকে জামিনে মুক্ত করে নিয়ে আসে !!! জিরো টলারেন্সটা কার্যকরী হবে কিভাবে !!!! সেটাই এখন এক বিরাট প্রশ্ন? !! তবু বলতেই হবে জিরু টলারেন্সের কোন বিকল্প নেই ।

অনেক ধন্যবাদ মুল্যবান মতামত রাখার জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

৩৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১০

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: এইজন্য প্রয়োজন নৈতিকতা; সেই নৈতিকতার শিক্ষা কই?

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান মতামত রাখার জন্য ।
ঠিকই বলেছেন , নৈতিকতার চর্চা খুবই দরকার ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৩৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

দি রিফর্মার বলেছেন: সরকারকে প্রথমেই শপথ নিতে হবে যে শিক্ষা খাতকে সর্বপ্রকার দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে, তবেই যদি এই সমস্যার সমাধান হয়। আপনার পোস্ট মন্তব্যের সংখ্যা দেখেই বুঝা যায় আপনার লেখা সার্থক হয়েছে। অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সঠিক কথা বলেছেন সরকারকে প্রথমেই শপথ নিতে হবে যে শিক্ষা খাতকে সর্বপ্রকার দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে।
প্রকৃত অর্থে লেখাটি সার্থক হবে যখন প্রশ্ন পত্র ফাঁস বন্ধ হবে এবং দেশের জনগন প্রশ্রপত্র ফাঁস কারীদের বিপক্ষে ফুসে উঠবে ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল

৩৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

কালীদাস বলেছেন: অনন্য দায়িত্বশীল আমি সবচেয়ে দামি কমেন্টটা করেছেন এই পোস্টে সবার এরকম অসংখ্য সমাধান খোঁজার চেয়ে। এক্সাক্টলি। পরীক্ষা তো আপনি আমিও দিয়ে এসেছি, তখন তো এরকম হয়নি। এখন এরকম হচ্ছে কেন? এবং জিনিষটা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে কেন? কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাচ্ছে কেন? সেইম প্রশ্ন ৩৩ নাম্বারে খায়রুল সাহেবও করে গেছেন।

এগুলো ক্লিয়ারলি ইন্ডিকেট করে আমাদের পড়ানোর সিসটেমেই বিশাল গলদ রয়ে গেছে যে কারণে "আই এম জিপিএ পাইপ" বা ধুমসে নকলের ঘটনাগুলো বিগত বছরগুলোতে ঘটছিল। তাতেও মনমত রেজাল্ট না আসায় এখন অলস লোভী বাংলাদেশিরা চলে গেছে প্রশ্ন ফাঁসে। আগেও অনেক পোস্টে বলেছি, স্টুডেন্টদের কোয়ালিটি বছরের পর বছর কেবলই নিম্নগামী। ইউনিগুলোর ফার্স্ট ইয়ারে ক্লাস নিতে গেলে আয়ু কমে যায়। কনটেন্ট এবং কোয়ালিটি নিম্নগামী সেখানে এরকম লাখ লাখ "জিপিএ পাইপ" দিয়ে জাতি কি করবে? সেটার সমাধানে না গিয়ে আরও বাড়ানোর চেষ্টার কনসিক্যোয়েন্স এই প্রশ্ন ফাঁস+নকল।

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার কথার সাথে সহমত অনন্য দায়িত্বশীল আমি দামী কমেন্ট করেছেন, তবে সকল কমেন্টকারীর প্রতি আমার সমান শ্রদ্ধা রইল , সকলেই কমেন্টের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস এবং এর প্রতিরোধের বিষয়ে মুল্যবান মতামত রেখেছেন । শ্রদ্ধেয় সহ ব্লগার খাইরুল আহসান একটি সুন্দর প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন । কঠোর হস্তে দমন করলে প্রশ্র পত্র ফাঁস সীমা ছাড়াতে পারতনা । আমিও বিশ্বাস করি সরকার ইচ্ছা করলে এটা অতি সহজেই দমন করতে পারে , কিন্তু সে পথ কেন তারা মারাচ্ছেনা তা এখন সকলের কাছেই কোটি টাকার প্রশ্ন ।

আপনি ঠিকই বলেছেন স্টুডেন্টদের কোয়ালিটি বছরের পর বছর ধরে নিন্মগামী হচ্ছে । কোয়ালিটির সাথে সামগ্রীকভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষকদের উদ্ভাবনীমুলক ও পাঠ সহায়ক প্রচেষ্টা জড়িত , এটাও সত্যিকথা । দেশে এর তীব্র অভাব রয়েছে । তবে এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে আমাদের দেশের ছাত্রদের মাঝে সুপ্ত রয়েছে এটি মেধা ক্ষমতা । এখনো দেখা যায় বাংলাদেশ থেকে যারা স্ব-অর্থায়নে কিংবা বৃত্তি নিয়ে বিদেশে পড়াশুনা করতে যাচ্ছে তারা সেখানকার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে খুবই ভাল ফলাফল করছে ( অবশ্য কিছু ব্যতিক্রম দেখা যায়, বিশেষ করে যারা শুধুমাত্র বিদেশে পারি জমানোর জন্য স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়াশুনা করতে যায় , তারা পড়াশুনায় মনযোগী হওয়ার চেয়ে বিবিধ প্রকারে শিক্ষা জীবন থেকে ডিসএপিয়ার হয়ে যায় ) । তবু বলতেই হয় সিংহভাগ বাংলাদেশী ছাত্ররা দেশের বাইরে পড়াশুনায় ভাল ফলাফল করছে , এটা সম্ভব হচ্ছে তাদের মেধা ও কোয়ালিটি অর্জনের জন্য নিবেদিত সেখানকার উন্নত ও যথাযথ শিক্ষা ব্যবস্থা । মোদ্দা কথা হল আমাদের দেশের ছাত্রদের কোয়ালিটি বৃদ্ধি করার জন্য সামগ্রিকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার যথাযথ অবকাঠামো সৃজন ও নিয়ম শৃঙখলা বজায় রাখার পাশাপাশি শিক্ষায় অর্জিত সার্টিফিকেট/ডগ্রী নিয়ে যেন তারা সম্পুর্ণ মেধার ভিত্তিতে ( অন্য কোন কোটায় নয় ) চাকুরী বাজারে চাকুরী পায় তার ব্যবস্থা করা। এগুলি মেইনটেইন করতে পারলে আমাদের দেশের ছাত্রদের কোয়ালিটি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করি । আর একটি বিষয়, যতই অবকাঠামো সৃজন করা হোক না কেন ছাত্রদেরকে রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তির কাজে লাগালে তাদের কোয়ালিটি সুশিক্ষার চেয়ে কুশিক্ষাতেই বেশী বিকাশমান হবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই , এর নজিরতো অহরহ দেশে দেখা যাচ্ছেই । তবে কামনা করি যে কোন মল্যে দেশে প্রশ্ন পত্র ফাঁস বন্ধ করতেই হবে ।

ধন্যবাদ আবার এসে মুল্যবান মতামত রাখার জন্য ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৩৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসীম ধৈর্যে পুরোটা পাঠ (উইদ কমেন্টস) :)

সবার সব কথার পর শুধু এটুকুই বলতে পারি- মনে পড়ে গেল সেই জুতা আবিস্কারের কাহিনী!

সারা দুনিয়ার সব ভাবনা ঝেড়ে শুধু পা দুখানি মুড়িয়ে দেয়ার ভবান ভাবলেইতো চলে!
যদি পারেন আর কি?

কারণ?
যে অসততা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চালূ থাকে তাকে ট্যাংক কামানের যুদ্ধ ঘোষনা করেও থামাতে পারবেন না।
আগে চাই গোড়ার গলদ ঠিক করা। ফুল ফল আপনাতেই ঠিক হয়ে যাবে।
অনির্বচাতি স্বৈরচারচারিতার সরকার তার সহজাত স্বভাবজাত কারণৈই কিছূ ফ্যাক্টের উপর অতি নির্ভরশীল!
সেই অতি নির্ভলমীলতার দুর্বলতা কাজে লাগাচ্ছে কিছূ সুবিধাভৌগী মানুষ! তার সাতৈ যুক্ হচ্ছে সমাজের নীতি- নৈতিকতা, অধার্মিক বৃহত লৌভী অংশ! ব্যাস লেগে গেছে লাগ ভেলকি লাগ খেলা!!!!!!!
জাতি হচ্ছৈ পংগু! প্রজন্ম হচ্ছৈ জ্ঞানহীন!

তাই আগে জুতা তৈরী করুন। পায়ে দিন! ধূলৌ আর পায় লাগবে না।

দেশের সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকারের দায় থাকে অনেক। সেই দায় থেকেই অনেক অনৈতিকতা নিয়ণ্ত্রনে থাকে।
ডিম আগে না মুরগী আগে ;) সমাধান হবে না অনন্তকালৈ! দেশ জনতার স্বার্থে সত্য বলতে হবে দলান্ধতার বাইরে গিয়ে
ভাবতে হবে সকলকে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ধৈর্য সহকারে লেখাটি পাঠের জন্য ।
আপনি যতার্থ বলেছেন প্রশ্ন পত্র ফাঁসের বিষয়টিকে সুবিধাভোগী মানুষেরা কাজে লাগাচ্ছে বিবিধ প্রকারে।
তাইতো কেও চায় এটা বন্ধ হোক আবার মহল বিশেষ চায় এটা অবাধে চলুক ।
যারা যেভাবে পারে এর থেকে ফায়দা লোটার সুযোগ নিক বের করে ।

আসল জায়গায় জুতা পরিয়ে দিলে হয়ত সুফল কিছু আসতে পারে ।
তবে এ ভেজালের যুগে পচা চামড়া কিংবা নরম রাবারে মোড়ানো জুতার তলা ফুটা করে চোরাকাটা ডুকে যেতে পারে ভিতরে
আর ফাস হয়ে যেতে পারে যা আছে ভিতরে । চলার পথে প্রচ্ছন্নভাবে ছড়িয়ে আছে অনেক চোরাকাটা যা জুতার তলা দিতে পারে
ফুটা করে । তাইতো সিসটামেই করে দিতে এমন যাতে করে চোরাকাটা সব ভুতা হয়ে যেতে পারে ।
প্রশ্ন পত্র ফাঁসের বিশয়ে অনেক কিছুই হয়ে যাচ্ছে ফাঁস , একেই বলে ধর্মের কল বাতাসে নরে । জনগন ধরবে ঠেসে এদেরে ।
যাহোক , প্রশ্ন ফাঁস রোধে জাতিকে একাট্টা হতে হবে একসাথে । ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে হাতে হাত ধরে রোধিতে হবে
প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদেরে যে কোন প্রকারে ।

শুভেচ্ছা রইল

৩৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৪

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার প্রস্তাব। আপনি এগুলো নিয়ে ভেবেছেন সেজন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আলী ভাই।

তবে এটুকু বিশ্বাস করি সরকার চাইলে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই এর সমাধান করতে পারে। শুধু ডিনায়াল সিনড্রোম থেকে বের হয়ে বাস্তবতাকে স্বীকার করতে হবে। আর তদ্বানুযায়ী মাঠে নামতে হবে।

সর্ষের ভিতর ভূত থাকলে যতই টেকনিক অবলম্বন করা হোক না কেন কোনো লাভ হবে না।

আপনার এই সুন্দর লেখার জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রস্তাবটি চমৎকার অনুভুত হওয়ায় ।
আপনি যতার্থ বলেছেন, সরকার চাইলে এটা খুব সহজেই বন্ধ করতে পারে ।
কিন্তু সর্ষের ভিতরে ভুত থাকলে একে তারাবে কে ?
জাতির সকলে ঠেসে ধরলে হয়ত কোন সুফল আসতে পারে ।

আমার ধারনা সিসটেমটাকে একটু জটিল করে দিলে প্রশ্ন ফাঁস হলেও তা দিয়ে বিশেষ কোন কাজ হবেনা
বরং প্রশ্ন ফাঁসকারীকারিরাই উপর হতে নীচ পর্যন্ত ফেসে গিয়ে জনতার হাতে ধোলাই খেতে পারে ভাল করে।

আপনাদের মত শিক্ষানুরাগী বিশেষজ্ঞদের নিকট হতে এ বিষয়ে জাতি যথাযথ কৌশল সমৃদ্ধ প্রস্তাব আশা করে,
এ কামনাই রেখে গেলাম এ প্রতি মন্তব্যের ঘরে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৩৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




প্রশপত্র ফাঁস সম্পর্কে পুংখানপুংখ আলোচনা, দূর্বলতা, উত্তরণের উপায় নিয়ে বেশ গুছালো একটা লেখা লিখেছেন । তবে সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হলো সবার মধ্যে নৈতিকতার বিস্তার । কারণ চোরের জন্য আপনি যতই শক্তিশালী দালান তুলেন না কেনো সেই দালানটা শুধু আপনার জিনিসপত্রের নিরাপত্তা দেবে কিন্তু চোরের চরিত্র পালটাতে পারবে না । তাই এই চরিত্রের বিবর্তনটা খুব জরুরী ।

বেশ সমৃদ্ধ পোস্ট । যদিও আপনি এমন করেই সবসময় লেখেন । ডেডিকেটেড রাইটার ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: উত্তর দিতে বিলম্ববের জন্য দু:খিত ।
অসুস্থতার জন্য দিন কয়েক ধরে সময় নিয়ে ব্লগে বিচরণ করতে পারছিনা ।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে আপনার মুল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ ।
আপনি ঠিকই বলেছেন সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হলো সবার মধ্যে নৈতিকতার বিস্তার ।
সংস্লিষ্টদের মধ্যে নৈতিকতার বিস্তার ঘটুক এ কামনাই করি ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৪০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:২৭

কালীদাস বলেছেন: এখন শরীর কেমন?

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এসে শারিরিক কুশল জানার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
পুরানো একটি ব্যক পেইন অনসাবধানতার কারণে আবার সতেজ হয়ে উঠায় দিন কয়েক যাবত খুবই ভুগছি ।
বেশ লম্বা রেস্ট নিতে হবে বলে ডাক্তারের করা করি হুশিয়ারী ।
আমার পোষ্টে পাঠকের মুল্যবান মন্তব্যের জবাব দেয়ার জন্য মাঝে মধ্যে একটু সময়ের জন্য ব্লগে আসি ।
দোয়া করবেন সুস্থ হয়ে যেন ব্লগে নিয়মিত বিচরণ করতে পারি ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৪১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৭

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , পোষ্ট টি অসাধারণ অনুভুত হয়েছে জেনে খুশী হয়েছি ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৪২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:



এখন নিশ্চয় ভাল আছেন ?

শুভ কামনা রইলো । দ্রূত সুস্থ হয়ে উঠুন । পূর্বের থেকেও তরতাজা হয়ে উঠুন ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , কুশল জানতে চাওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
খুব একটা ভাল নেই । পুরনো ব্যাক পেইনটা সেরে উঠতে সময় লাগবে বলেই মনে হচ্ছে ।
দোয়া করবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩০

সনেট কবি বলেছেন: যেহেতু ছেলে-মেয়েরা পড়াশুনা না করলেও তাদের পাশ করা অতীব জরুরী। যেহেতু মেধা মূল্যায়নে চাকুরী হয়না। যেহেতু পরীক্ষায় ভালো ফল মান সম্মানের বিষয়। এটা সরকার এবং জনগণ উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সেহেতু সংশ্লিষ্ট মহল তাদের করনিয়টাই করে থাকে। আর জাতির যেহেতু ইজ্জত নেই কাজেই সেটা চলে যাওয়ারও ভয় নেই।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ নীজ চিন্তা প্রসুত মতামত রাখার জন্য ।
একটি কথা ঠিকই বলেছেন, তা হল
পরীক্ষায় ভালো ফল মান সম্মানের বিষয়
এই ভাল ফলাফলটা নৈতিকতার ভিতর দিয়ে হলে আরো ভাল হয় ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৪৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কি পুরোপুরি সুস্হ নন?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ কুশল জানতে চাওয়ার জন্য ।
না, এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারিনি ।
দোয়া করবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: সরকার বিশেষ করে মন্ত্রী চাইলেই প্রশ্নপত্র ফাস রোধ করা সম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কি তা চান????

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ।
সঠিক কথা বলেছেন , শিক্ষামন্ত্রী মনে প্রাণে চাইল প্রশ্ন পত্র ফাঁস রোধ করতে পারেন ।
কিন্তু অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় তিনি তা করার জন্য যথাযথভাবে সঠিক পন্থা অবলম্বন করছেন না ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৪৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

প্রামানিক বলেছেন: লেখা মন্তব্য পড়ে অনেক কিছু জানা হলো।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুশী হলাম । অসুন্থতার জন্য ব্লগে বিচরন করতে পারছিনা বলে অআপনার সুন্দর সুন্দর ছড়া গুলি পাঠ করা হয়ে উঠছেনা ।
একসময় অদেখা সবগুলি ছড়া পাঠ করে আসব ইনসাল্লাহ ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

সেতুর বন্ধন বলেছেন: চমৎকার আইডিয়া।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আইডিয়া চমৎকার অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

জুন বলেছেন: ড: এম আলী আপনার লেখাটি গভীর মনযোগের সাথে পড়লাম । সহব্লগার নতুন, সোহানী, আহমেদ জী এস, সুমন কর, কালীদাস ছাড়াও আরো অনেকের মন্তব্যের সাথে সহমত। একটা কথা কি আমরা ছোটবেলায় যে নীতিশিক্ষা বইটি পড়েছি তা মনে হয় এখনকার ছাত্রছাত্রী দুরস্থ শিক্ষকদের অনেকেই তা পড়েন নি মনে হয়। এই অন্যায়টা কেন করবো ! এই যে
ন্যায় অন্যায় নীতিজ্ঞ্যান বিষয়ে শিক্ষাটি জন্ম থেকেই গজিয়ে উঠেছে অনেক জাতির মাঝে তা আমাদের মাঝে জন্ম হয়নি । তাই এই প্রশ্নফাস জেনারেশনের উদ্ভব।
আপনার পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত করবে কে ! তাহলে ছাত্রছাত্রী নিয়ে ব্যবসা করবে কারা ! আর আমরা অভিভাবক রাও এখন এই দৌড় প্রতিযোগীতায় জঘন্যভাবে লিপ্ত যা দেখা যায় বিভিন্ন স্কুলে অপেক্ষারত কিছু অভিভাবকদের কথা বার্তা আর আচার আচরনে। তা্রা নিজেরাই হয়তো অমুক ভাবীর ছেলে/মেয়ের উপর টেক্কা দেয়ার জন্য টাকা দিয়ে ছেলেমেয়েদের হাতে ফাঁসকরা প্রশ্ন কিনে এনে দিচ্ছে।
বড্ড হতভাগ্য জাতি আমরা।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্টটি মনযোগ দিয়ে পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন । যৌক্তিক মতামত রেখেছেন , প্রিত হলাম । প্রিয় সকল সহব্লগারদের যৌক্তিক মন্তব্য সমুহের সাথে সহমতের কথা শুনে ভাল লাগল । অসুস্থতার জন্য ইদানিং ব্লগে বিচরণ করতে পারছিনা ।
এত চমতকার মন্তব্যের জন্য অনেক কথা বলার ইচ্ছা থাকার পরেও অসুস্থতার জন্য লিখা হয়ে উঠছেনা । দোয়া করবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৪৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

নীলপরি বলেছেন: কেমন আছেন ?

বৈশাখী শুভেচ্ছা রইলো ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , বেশী ভাল নেই
কঠিন নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ।
পুরাপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি নেই ।
বৈশাখী শুভেচ্ছা গৃহীত
আপনার প্রতিউ রইল
বৈশাখী শুভেচ্ছা ।

৫০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

জুন বলেছেন: সহব্লগার খায়রুল আহসান এর কোন এক মন্তব্য থেকে জানলাম আপনি পিঠের ব্যথায় আক্রান্ত । এখনো সুস্থ হননি ড: এম আলী ?
আমার মনে হয় উত্তর মেরুতে গিয়ে অরোরা বোরিয়ালিস দেখার সময়ই আপনি এতে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রচন্ড ঠান্ডা আর সাথে ভারী বোঝা বয়ে নিয়ে যাওয়াই এর কারন ।
দোয়াকরি দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুন আপনার চমকপ্রদ সব লেখনী নিয়ে ।
শুভকামনা রইলো সব সময়ের জন্য :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এসে খুঁজ খবর নেয়ার জন্য । আপনি ঠিকই বলেছেন প্রচন্ড ঠান্ডায় পিঠে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেছিলাম । সেটা এখনো আছে । পারিবারিক বিশেষ কারণে বলতে গেলে এখন পৃথিবীর উত্তর প্রান্তেই অবস্থান করছি, শীতের প্রকোপ যতেষ্ট, সে সাথে পিঠে ও কোমরের পুরানো ব্যথাটাতো আছেই । সুস্থতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে কঠোর নিয়মের বাধনে থাকতে হওয়ায় লেখালেখির জগতে বেশ ছেদ পরে যাচ্ছে । মনের তাগিদে মাঝে মধ্যে স্বল্প সময়ের জন্য ব্লগে আসছি । যারা কষ্ট স্বীকার করে কুশল জানার জন্য অামার ব্লগে এসে কৃতজ্ঞতা বাধনে আবদ্ধ করছেন তাঁদেরকে প্রতিউত্তর করা একান্ত করনীয় বলে মনে করি । দোয়া করবেন শীঘ্রই যেন লেখালেখির জগতে ফিরে আসতে পারি ।

শুভেচ্ছা রইল

৫১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৪৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেকদিন আপনাকে দেখিনা! কেমন আছেন শ্রদ্ধেয় সুপ্রিয় ?
ভালো আছেন নিশ্চয় ! আপনার কোমর ব্যথা নাকি বেড়েছিল শুনেছিলাম! এখন কেমন আছেন ?
আপনার সুস্থতা কামনা করি মহান আল্লাহ্'র নিকট।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ।
এসে কুশল জানতে চাওয়ায় খুশী হয়েছি , কৃতজ্ঝতা জানবেন ।
ব্যথাটা এখনো সারেনি একটু সময় লাগবে । দোয়া করবেন ।
শুভ কামনা রইল ।

৫২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৬

সোহানী বলেছেন: ঠিকানা দেন, আপনাকে দেখতে যাই আপেল কমলা নিয়ে ... :-B

মজা করলাম.... সত্যিই ফিরে আসুন। আপনার লিখা ছাড়া ব্লগ কেমন শূন্য মনে হয়...........................

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বড়ই প্রীত হলাম এসে খুঁজ খবর নেয়ার জন্য ।
ঠিকানা কি দিব বলেন ! মুল্লু জোরে তাল্লুক আমার যখন যেথাই যাই, সেথায় ঘর বাড়ী বানাই ,
ছালাম ছাড়া সালামীও সঙ্গে কিছু পাই। আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিলে চিঠি নাকি পাওয়া যায়,
তাই নিয়ত যখন করেছেন তখন ধরে নিতে পারেন আপেল কমলা আমি পেয়েই গেছি ,
সত্যিই পেয়ে গেছি , এইতো মঝা করে খাচ্ছি :)
অনেক অনেক ধন্যবাদ । দোয়া করেন ব্লগে যেন নিয়মিত হতে পারি ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৫৩| ২৩ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:০২

সোহানী বলেছেন: কোথায় আপনি? এখনো কি সুস্থ্য নন? কোথাও দেখি না আপনাকে? আপনার কি কোন লিখা মিসিং? কেন যেন মনে হচ্ছে কিছু পোস্ট মিসিং..........

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিলম্বে উত্তর দানের জন্য দু:খিত । অসুস্থতার জন্য ব্লগে বিচরণ করতে পারছিনা । একটু সুস্থ বোধ করলেই প্রিয় ব্লগে আগের মত থাকতে পারব । আপনার অনেক লেখাই অদেখা রয়ে গেছে । অল্প সময়ের ভিতরেই সেগুলি দেখব । আমার জন্য দোয়া করবেন ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৫৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:৫৮

খনাই বলেছেন: অনেক দিন পরে এলেন |কেমন আছে শরীর আপনার এখন ? আশাকরি ভালো আছেন | সবাই আপনাকে ব্লগে অনেক অনেক মিস করে কিন্তু |

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই খুশী হলাম এসে কুশল জানার জন্য । আমিও ব্লগে অনেকের মুল্যবান লেখা মিস করছি ।
আশা করি খুব শিঘ্রই ব্লগে নিয়মিত হতে পারব । আমার জন্য দোয়া করবেন ।

৫৫| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

জুন বলেছেন: আপনি সুস্থ হয়েছেন যেনে খুব ভালোলাগলো ডঃ এম আলী । ব্লগে আপনি সহ আপনার অসাধারন লেখাগুলো ভীষন মিস করছি । আশাকরি এবার থেকে নিয়মিত হবেন :)
ওয়া ফিহি শেফাউল লিন্নাস । আল্লাহ রাব্বুল আল- আমীন আপনাকে পরিপুর্ন সুস্থতা দিন

০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , এসে কুশল জানা ও দোয়া করার জন্য কৃতজ্ঞতা জনবেন ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৫৬| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:০১

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আশা করি ভালো আছেন। ব্লগে আপনার অনুপস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক ছিল।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এখানে এসে কুশল জানার জন্য । আমার প্রতি দরদ ও মমতা প্রকাশের কথা শুনে ভাল লাগল । মনে হয় আরো কিছুদিন সময় লাগবে ব্লগে নিয়মিত বিচরণ করতে । আমার জন্য দোয়া করবেন , আল্লাহ যেন আমাকে পুর্ণ সুস্থতা দান করেন ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৫৭| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২২

টেকনিক্যাল এনালিসিস বলেছেন: অনেক ভাবনার উপকরণ আছে এই পোস্টে।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টটির উপরে মুল্যবান মন্তব্য দানের জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৫৮| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ব্লগে নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করছি, আর ব্লগে এস আপনাকে দেখছি না, পাচ্ছি না।
না, না, এটা ঠিক না।

চলে আসুন, সাড়া দিন।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় কবি বিজনবদা। ব্লগে এসে কুশল জানার জন্য খুশী হয়েছি । বিলম্বিত উত্তরের জন্য দু:খিত । বেশ কিছু দিন ধরে ব্যক পেইনে ভুগছি । লম্বা সময় ধরে বসে বা চিত কাত হয়ে লিখতে খুবই কষ্ট হচ্ছে । ব্লগে ডুকলে পছন্দের কোন লিখা পাঠ করলে সে বিষয়ে মনের মত দীর্ঘ একটি মন্তব্য না করে থাকতে পারিনা । কখন যে অনেকটা সময় কেটে যায় তা বুঝতে পারি যখন ব্যথাটা চিন চিন করে উঠে । তাই ডাক্তার ও থেরাপিষ্টের পরমর্শে দিন কয়েক লেখালেখি হতে একটু দুরে থাকতে হচ্ছে । তবে আর একটু সুস্থতা অনুভব করলে চলে আসব , দাদার ডাকে সারা দিবনা তা কি হয় ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

৫৯| ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৫

নীলপরি বলেছেন: কেমন আছেন ?

ঈদের শুভেচ্ছা রইলো ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুপ্রিয় কবি, সময়মত প্রতি উত্তর দিতে পারিনি বলে দু:খিত ও ক্ষমাপ্রার্থী । শরীরটাও ভাল যাচ্ছেনা তাছাড়া নীজের প্রফেশনাল
কিছু বিষয় কর্মে ব্যস্ত থাকার জন্য সামুতে মোটেও সময় দিতে পারছিনা । সামুতে একবার ডুকলে অনেক সময় কেটে যায় । তাই আপাতত এদিকে একটু নজর কম দিচ্ছি । সময় করে আপনার আঙ্গিনায় বিচরণ করতে যাব । অনেক মুল্যবান লেখা দেখার বাকি আছে । সবগুলি একে একে দেখব ।

শুভেচ্ছা রইল

৬০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ২:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: স্যার, শুভেচ্ছা নেবেন। ব্লগে আসার পর থেকে আপনার নাম শুনছি। কিন্তু আজই প্রথম আপনাকে পেলাম। হয়তো ব্যস্ততার জন্য আসতে পারেন না। নতুন লেখা দিলে খুশি হতাম। শুভ কামনা রইলো, স্যার।

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বেশ পুরাতন একটি লেখা পাঠের জন্য । বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দু:খিত । ঠিকই বলেছেন , ইদানিং বেশ ব্যস্ত সময় যাচ্ছে , শরীরটাও ভাল যাচ্ছেনা । সময় করে আপনার লেখা পাঠের চেষ্টা করব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৬১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



কেমন আছেন?

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সময়মত প্রতি উত্তর করতে পারিনি বলে দু:খিত ও ক্ষমাপ্রার্থী । শরীরটাও ভাল যাচ্ছেনা, তাছাড়া নীজের প্রফেশনাল
কিছু লেখার কাজ নিয়ে একটু ব্যস্ত থাকার জন্য সামুতে মোটেও সময় দিতে পারছিনা । আগামী মাসের মাঝামাঝিতে ফিলাডেলফিয়াতে অনুস্ঠিতব্য আমিরিকান সোসিওলজিক্যাল এসোসিয়েসনের এনুয়েল কনফারেন্সে আমন্ত্রিত আলোচক হিসাবে অংশগ্রনের জন্যও কিছুটা প্রস্তুতিমুলক কাজে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে । জায়গাটা নিউইয়র্কের মোটামুটি কাছেই , কিছু নিকট আত্মিয়ের সাথে দেখা করার জন্য সেখানেও যাওয়া হবে । সময় করতে পারলে আপনার সাথে দেখা করার চেষ্টা করব ।
শুভেচ্ছা রইল

৬২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

নীলপরি বলেছেন: হুম । সময় পেলে আমার ব্লগে অবশ্যই যাবেন । আপনার , সুচিন্তিত ও উৎসাহদায়ক মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম ।
আশাকরি আপনি তাড়াতাড়ি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন ।
অনেক শুভকামনা রইলো

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আবার এসে আমার সুস্থতা কামনা করার জন্য । বয়স বাড়ছে, পুরোপুরি সুস্থ কি আর হবো । বেশ কিছু নিয়ন্ত্রনের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যাবে জীবন । নবীনদের জয় হোক, তারা এগিয়ে চলুক দৃপ্ত পদে এ কামনাই রইল ।

৬৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২০

সনেট কবি বলেছেন: আপনাকে খুব মিস করি!

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় কবি । একটু ব্যস্ততার মাঝে সময় কাটছে । দেখা হবে লেখাতে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৬৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকা আসার পর, আপনার এই পোষ্টে জানাবেন।

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , জানা থাকল ।

৬৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:৩৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আলী ভাই, আপনি ভালো আছেন আবার ব্লগে এসেছেন অনেকদিন পরে সেটা দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেলো অনেক দিন পরে এসে ... I

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, এখনো তেমন ভাল নেই । তার পরেও একটুখানি ব্যস্ত সময় কাটছে বিবিধ কারণে । কারণ তেমন গুরুত্বপুর্ণ না হলেও সময়টা ভালই দিতে হয় । অপনার মনটা ভাল হয়ে গেল শুনে ভাল লাগছে ।
শুভেচ্ছা রইল

৬৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

তারেক ফাহিম বলেছেন: ভাইয়া জুন-জুলাই একসাথে বড় অাঁকারে পোষ্ট করবেন বুঝি B-)
অনেক দিন আপনাকে দেখি না, তাই বললাম।

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে এসে কুশল বিনিময় করার জন্য । একটু ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি । নতুন কোন পোষ্ট দিতে সময় লাগবে । তবে ব্লগে আগের থেকে একটু বিচরণ বাড়বে বলে আশা রাখি ।

শুভেচ্ছা রইল

৬৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া কেমন আছো?

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মাপু । আগের থেকে একটু ভাল আছি ।
পরে কোন এক সময়ে মেইলটা চেক করো ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৬৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: চোর তো মন্ত্রনালয় আর ডিসি অফিসেই বসে আছে। মাঝে মাঝে আধা ঘন্টা আগে যে শিক্ষক দায়িত্বে থাকেন সেও করেন। এসব চোরদের না ধরে এই ৮৫ কোটি টাকা খরচ তার সাথে দেখা যাবে অনেক অজোপাড়াগা এর স্কুলে কম্পিউটার কেনা, সময় মতো বিদ্যুৎ থাকবে না, অথবা বিটিএস ডাউন বা লিংক কাজ করবে না। এত কাহিনী। তারপর দেখা গেলো যেই ইমেইলে পাঠানো হবে সেটার পাসওয়ার্ড কার কার কাছে থাকবে.....চোরের চুরির বুদ্ধির হবে না। চোর রেকে আপনি যাই করেন, চুরি হবেই।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল কথা বলেছেন । এখন তাহলে উপাইটা কি । আমার মনে পরীক্ষারই দরকার নাই । বছর যাবে আর পাশ করবে ।
সরকারী খাতের চাকরি ব্যবস্থা বাদ দিয়ে সব বেসরকারী খাতে ছেড়ে দিলে যার যোগ্যতা ও মেধা আছে সেই চাকরীপাবে । চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা উঠিয়ে দিতে হবে , রিটাআরমেন্ট এইজের একদিন আগেও যেন কেও ইচ্ছা করলে চাকুরীতে প্রবেশ করতে পারে তার ব্যবস্থা রাখতে হবে । যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরী না পেলে নীজের যোগ্যতা অনুযায়ী সেল্‌ফ এমপ্লয়মেন্ট খুঁজে নিবে ।

৬৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




বেশ ক'দিন ধরে আপনাকে ব্লগে দেখে ভালো লাগছে । শারীরিক অসুস্থ্যতা নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তার রহমতে সহনীয় হয়ে আসছে !
লেখা দিন ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিলম্বিত উত্তরের জন্য দু:খিত । একটু ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি । ডিক্স প্রল্যাপ্স জনিত কোমরের ব্যথায় ভুগছি । এটা যে পুরাপুরিই সারবেনা তা একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক হিসাবে আপনিও ভাল জানেন । ফিজিউথেরাপির জন্য নিয়মিত হেলথ ক্লিনিকে যেতে হয় । ঘরে বাইরে কড়া নিয়মের মধ্যেই আছি , বাইরে থেরাপিষ্ট, ঘরে ডাক্তার মেয়ের কড়াকড়ি নজরদারী । বেশিক্ষন শুয়ে বসে লিখতে দিচ্ছেনা , খালি বলে বেশী করে হাটাহাটি করতে । হেটে হেটে লেখার ভাল কোন কৌশল বের করতে পারছিনা । তাই দীর্ঘক্ষন সময় নিয়ে লেখালেখি বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে ।তারপরেও মুক্তি যুদ্ধের দিনগুলি নিয়ে একটি স্মৃতি কথা লিখছি । আপনার একটি পোষ্ট এর লেখা হতেই অনুপ্রেরনা পেয়েছি । মনে হচ্ছে সে দিনগুলির বাস্তব কিছু আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট , চিন্তা, চেতনা ও সেদিনগলির দুর্বিসহ অথচ গৌরবময় ঘটনাগুলির যতটুকু নীজে দেখেছি ও অনুভব করেছি তা যদি কিছুটা হলেও লিখে রেখে যাই তাহলে হয়তবা অন্যের কাছে না হলেও আমার নীজ পারিবারিক পরিমন্ডলে স্মৃতি হিসাবে রক্ষিত থাকবে । মুক্তিযুগ্ধের দিনগুলি নিয়ে অনেকের অনেক লেখাই পড়ছি ,আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে অনেকেই যেভাবে দেখছেন, ভাবছেন ও লিখছেন তা পাঠে মন অনেক সময় ব্যথাতুর হয়ে উঠে । মনটা বিষাদে ভরে যায় । আমার লেখার ক্ষমতা শক্তিশালী নয় , দুর্বল লেখনি শক্তি নিয়ে কিইবা আর করতে পারি । এখনকার ইয়ং জেনারেশন এর কিছু মেধাবীদের মনে ও আবেগে যে সকল ভ্রান্ত ধারনা জমে আছে তা ভাঙার কাজটি খুব এটি সহজ কর্ম নয় , কেননা যে কোন কারণেই হোক ভ্রান্তির মধ্যে থাকলেও তারা যে খুবই মেধাবী ও টেলেন্টেড তাতে কোন সন্দেহ নেই । তাই তাদের ভুল ভ্রান্ত ধারনাকে সঠিক পথে ধাবিত করার জন্য তেমনি ক্ষুরদার শক্তি সম্পন্ন একটি ইয়ং জেনারেশনই লাগবে । সে কাজটা তাই মুক্তিযুদ্ধের বিষয়াবলি নিয়ে সঠিক তথ্য ও জ্ঞান নিয়ে বেড়ে উঠা ইয়ং জেনারেশনের উপরই ছেড়ে দিলাম । আমরা অতীতের গৌরবময় স্মৃতি রোমন্ধন করেই না হয় কাটিয়ে দিব জীবনের বাকী কয়টি দিন। আমাদের স্মৃতি কথায় যদি কারো কোন বোধদয় হয় সেটাই হবে বড় শান্তনা । যাহোক দোয়া করবেন আমার জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৭০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকে ব্লগে ফিরতে দেখে খুব খুশী লাগছে, ডঃ এম এ আলীফিলাডেলফিয়াতে অনুস্ঠিতব্য আমিরিকান সোসিওলজিক্যাল এসোসিয়েসনের এনুয়েল কনফারেন্সে আপনার সাফল্য কামনা করছি।
৫২ নং প্রতিমন্তব্যটা ভাল লেগেছে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার ভাল লাগার কথা শুনে খুশী হয়েছি ।
আপনার সাফল্য কামনাটুকু সাথে করে নিয়ে যাব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৭১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫০

অন্তরন্তর বলেছেন: আপনার মত ব্লগার ব্লগে না আসলে সব ব্লগারদের ক্ষতি। আপনি আবার ব্লগে এসেছেন এটাতে খুব খুশি হয়েছি। আপনার পোস্টে অনেক ব্লগাররা অনেক কিছু বলেছেন। ব্লগার কালিদাস যা বলেছেন তা অনেকটাই ঠিক। বিজিপ্রেস থেকেই এ প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে। কিন্তু কেন সরকার ওদের এ ঘৃণ্য কাজটি বন্ধ করতে চাচ্ছে না ( পারছে না বললাম না ) তা একমাত্র সরকারই জানে। আসল কথা হল আমরা সকলেই চরম দুর্নীতিগ্রস্থ। সমাজের প্রতিটিস্থরে এবং সমাজের প্রতিটি মানুষ দুর্নীতিগ্রস্থ ( অনেকেই হয়ত মনে কিছু করতে পারে আমার এভাবে বলার জন্য )। শুভ কামনা সতত।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ অআপনার মুল্যবান অনুভবের জন্য । ব্লগে না আসলে অআমারই ক্ষতি বেশী , কারো জন্য কেও বসে থাকেনা । ব্লগে অআমার অবস্থান এতটাই নগন্য যে তাতে আমার পায়ের চিহ্ন এ বাটে না পড়লেও কারো কিছু এসে যাবেনা । সরকারের ভিতরে থাকা অনেকেই হয়তবা জড়িত থাকতে পারে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের সাথে , তা না হলে এমনটা হবে কেন । তবে বিষয়টি নিয়ে সমাজের সকলেই সচেতন হলে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোদ করা সম্ভব হলেো হতে পারে । এর মধ্যে এক ফাকে ঘুরে এলাম আপনার ব্লগ বাড়ী হতে, প্রায় সাত বছর ব্লগে বিচরণ করেও কোন পোষ্ট না দেখে কিছুটা বিস্মিত হলাম , নাকি পোষ্টগুলিকে ড্রাফটে নিয়ে গেছেন ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৭২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:৪৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পড়াশোনার যে অবস্থা, তার ওপর যে ভাবে ওপেন দুর্নীতি। এসব পড়ালেখা করেও লাভ নেই, না করলেও লস। আমাদের সমস্যার গোড়া একটাই সুশাসন। সুশাসন ও জবাবদিহিমূলক শক্তিশালী সমাজব্যাবস্থা আর বিচার ব্যাবস্থা থাকলে এসব কারগরী কিছুরই দরকার হতো না। আফসোস আমরা এসব গোড়ার সমস্যা নিয়ে কেউ কথা বলি না

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনি যতার্থই বলেছে , সততার সহিত দায়িত্বপালনের জন্য যথাযথ মূল্যবোধ ও নীতিমালার ভিত্তিতে প্রশ্নপত্র প্রনয়নকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব প্রাপ্ত সকল ব্যক্তিবর্গ এবং টেক হোল্ডারদের কার্যক্রম গ্রহণ ব্যতিরেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস সক্রান্ত যে কোন কার্যকলাপ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া কার্যকরী করা সম্ভব হবেনা । আইনের শাসন ও গনতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চ্চা, সুষ্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং জবাবদিহিতা ও প্রতিনিধিত্বমুলক শাসন কাঠামোরো প্রয়োজন রয়েছে । প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রতিরোধ সংক্রান্ত যে কোন কার্যক্রমের সুফলকে সঠিকভাবে এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ে কার্যকরী করতে হলে সমাজের সকল সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ের প্রতিষ্টান এবং সংগঠনে সু-শাসনের চর্চ্চা এবং প্রয়োগও একান্ত আব্যশক। তবে এ কথা ঠিক যে দেশে সর্বক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় স্থানীয়ভাবে কিছু চ্যালেঞ্জ বা বাধাও অনেক সময় ব্যাঘাত ঘটায়। যাহোক, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সকলের সচেতনতা প্রয়োজন ।

৭৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

বিজন রয় বলেছেন: ভাল তো সব খবর??

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , সব খবরই ভাল । ফিলাডেলফিয়াতে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সন্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য ব্যস্ত থাকায় উত্তর দিতে বিলম্বের জন্য দু:খিত । আজকেই ব্লগে ফিরার ফুরসত পেলাম । কথা হবে অনেক ব্লগের বিবিধ পোষ্টে ।

৭৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আশা করছি সুস্থ্য আছেন! ভালো আছেন!
নিজেই অনেকদিন পর ব্লগে , তাই জানতে এলাম কেমন আছেন ?

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ফিলাডেলফিয়াতে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সন্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য ব্যস্ত থাকায় উত্তর দিতে বিলম্বের জন্য দু:খিত । আজকেই ব্লগে ফিরার ফুরসত পেলাম । নিশ্চয়ই এর মধ্যে অনেক মুল্যবান পোষ্ট দিয়েছেন । সব দেখা হবে একে একে । ঈদ মোবারক এসাথে রইল ।

৭৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

বিজন রয় বলেছেন: প্রিয় ডঃ, কথা বলুন।
ব্লগে আসুন।

এভাবে দূরে থাকা ঠিক নয়।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কথাতো বলবই প্রিয় কবির সাথে । দুরেই তো আছি , তবে মনে মনে প্রিয় কবির খুবই কাছে আছি ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৭৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহূ। আপনি দীর্ঘ দিন ব্লগে অনুপস্থিত থাকায় চিন্তিত ছিলাম। আশা করি কুশলে আছেন। নিচের লিঙ্কযুক্ত কবিতাটি লেখার সময় আপনাকে স্মরন করেছিলাম। সময় হলে ব্লগে দাওয়াত থাকলো। অনেক ভাল থাকার প্রার্থনা।

করুনা[link||view this link]

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অলাইকুম সালাম । ধন্যবাদ , স্মরনে সারা দিয়ে এসেছি ।
ভাল থাকার শুভকামনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভেচ্ছা রইল

৭৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

বিজন রয় বলেছেন: আপনাকে তো মিস করতে চাই না। কিন্তু আপনি ভুলে থাকেন।

কেমন আছেন?
যদি সময় হয় জানান দেন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ কুশল জানার জন্য ।
আমি খুবই অসুস্থ । ব্লগে নিয়মিত বিচরণ করতে পারছিনা ।
আমার জন্য আর্শিবাদ চাই ।
শুভেচ্ছা রইল

৭৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আপনার দ্রুত আরোগ্যের জন্যে দোয়া করছি।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ।
কামনা করি আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন ।
অসুস্থতার ব্লগে বিচরণ করতে না পারায় উত্তর দিতে বিলম্ব হলো।
আশা করি ক্ষমার চোখে দেখবেন ।
শুভেচ্ছা রইল

৭৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:০৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আলী ভাই, অনেক দিন পরে আপনাকে দেখলাম ব্লগে I আশাকরি ভালো আছেন এখন I অনেক ভালো থাকুন সেই কামনা সব সময়ই I

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার মঙ্গল কামনা মাথায় পেতে নিলাম । নীজের পোষ্টে করা মন্তব্যের জবাব না দিয়ে তার আগেই নতুন পোষ্ট দিয়ে অন্যায় করে ফেলেছি । বিলম্বিত উত্তর ও উত্তর না দিয়ে আবেগ তারিত হয়ে সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পোষ্ট দেয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।
শুভেচ্ছা রইল

৮০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: এর আগেও শুনেছিলাম আপনি অসুস্থ, এখন আবার বললেন। আসলে আপনার এই ব্যাপারে আমি বা আমরা বিস্তারিত জানতে চাই। কিভাবে জানতে পারি, আপনার সাথে তো আমার অন্য কোন উপায়ে যোগাযোগ করার উপায় নাই। একটা উপায় করুন। সবকিছু জানান আমাদের।

ফেসবুক, ইমেইল বা অন্য কিছু??

জীবনে অন্তত একবার হলেও আপনার সাথে দেখা করতে চাই।
প্রিয় আলী ভাই আশাকরি আমার ডাকে সাড়া দিবেন!!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় দাদা, অআমার সাথে দেখা করার কথা শুনে খুশী হলাম , এটা অআমার খুবই সৌভাগ্য যে অআপনি দেখা করার ইচ্ছা পোষন করেছেন । অসুস্থতার কারণে অনেক দিন ধরে ব্লগে আসতে পারিনি বলে এই মন্তব্যটি দেখা হয়ে উঠেনি । ব্লগ খুলেই নির্বাচিত পাতায় আমাকে নিয়ে পোষ্ট দেখে আবেগ তারিত হয়ে সে বিষয়ে প্রথমেই সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গতকাল একটি পোষ্ট দিয়েছি । নীজের পোষ্টের উপর মন্তব্যের জবাব না দিয়ে নতুন পোষ্ট দেয়া শালিনতা বিরোধি । আর এই কাজটিই হয়ে গেছে দেখে নীজের উপরই বিরক্ত লাগছে । আশা করি ক্ষমার চোখে দেখবেন । নীচের ইমেইলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন । তবে এই মেইলের নোটিফিকেশন আমি পাইনা । মেইল করলে আমাকে এখানে জানান দিলে আমার সুবিধা হবে ।
[email protected]
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

৮১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সনেট কবি বলেছেন: আমিও অন্তত একবার আপনার সাথে দেখা করতে চাই।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: নীজের পোষ্টে করা মন্তব্যের জবাব না দিয়ে তার আগেই নতুন পোষ্ট দিয়ে অন্যায় করে ফেলেছি । বিলম্বিত উত্তর ও উত্তর না দিয়ে আবেগ তারিত হয়ে সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পোষ্ট দেয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।আমার সাথে দেখা করার কথা শুনে খুশী হলাম । এই [email protected] এ আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন । নোটিশ পা্ইনা বলে মেইল করে এখানে জানান দিলে আমার জন্য সুবিধা হয়।
শুভেচ্ছা রইল

৮২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

বলেছেন: স্যার লেখাটি এর আগেও পড়েছিলাম আজ সবগুলো মন্তব্য পড়লাম।

আপনি এত সুন্দর করে গোছানো উওর দেন যা দেখে সত্যি বিমোহিত ।

সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা রইলো।

১২ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মন্তব্যের নোটিফিকেশন না পাওয়ায় অনেক পুরাতন এই পোষ্টে আপনার
এই মন্তব্যের জবার দিতে বিলম্ব হওয়ার জন্য দুঃখিত ও ক্ষমা প্রর্থনা করছি ।
মন্তব্যের কথামালায় অনুপ্রানীত হয়েছি ।
শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.