নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবি ব্লগ - একটি বোটানিকেল গার্ডেনের ভিতরে থাকা গ্রীনহাউজে কিছুক্ষন

২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ২:৪০


গ্রীনহাউজে প্রবেশ করে প্রথমেই নজর পড়ল হাতের ডান দিকে থাকা মার্বেলপাথরে গড়া সিসিলির রূপকথার রাজার প্রতি।
জাহাপনাকে কুর্ণিশ করে পাশে দাঁড়িয় জানতে চেষ্টা করলাম উনাকে ।
১) সিসিলির রাজা রবার্টের সাথে কিছু আলাপন


আলাপের ভাষা ছিল পাশে থাকা তাঁর বিবরণ ফলক। ভাষান্তরে সংক্ষেপে জানা গেল উনি
ছিলেন সিসিলির এক অভিশপ্ত রূপকথার রাজা । দেবতার কোপে তাঁকে হতে হয়েছিল রাজ্যহারা। একাকী
নিঃসঙ্গ অবস্থায় বনে বাদারে ঘুরে বেড়ারার সময় তাঁর একমাত্র সঙ্গী ছিল একটি বানর । সকলেই তাঁকে ছেড়ে
গেলেও বানরটি তাকে ছেড়ে যায়নি। ভাবছিলাম উদ্যান কতৃপক্ষের কাছে এত এত নামি দামী ভাস্কর্য
থাকা সত্বেও শিল্পী জর্জ হেনরী পলিন ( ১৮৮৮-১৯৬২) কতৃক মার্বেল পাথরে সৃজিত বানরসহ এই মানব মুর্তীটিকে
কেন এই উদ্যানের সর্ব বৃহৎ গ্রীন হাউজের প্রবেশ পথের শুরুতেই ডান দিকে কেন স্থাপন করেছে?।ভাস্কর্যটির
ইতিহাস হিসাবে জানা যায় এটি আঠার শতকে উইলিয়াম লংফেলোর লেখা ‘টেল অফ কিং রবার্ট অফ সিসিলি’ কবিতা
হতে অনুপ্রাণীত। ভাবলাম শুধুই কি দৃষ্টি নন্দন, নাকি আরো কারণ কিছু আছে এর পিছনে।যাহোক, হয়ত বুঝা যাবে
এর পুরাটা একবারপরিদর্শন করে আসলে। এমনি একটি ইচ্ছা নিয়ে এগিয়ে গেলাম সামনে। পরিদর্শন শেষে
গবেষনার ফল যা পাব পোষ্টের শেষ দিকে তা জানিয়ে যাব ।

গ্রীনহাউজে ওয়ানওয়ে হাটা পথ। রাজার সাথে থাকা বানরের কথা ভাবছি আর দুদিকে থাকা বিভিন্ন দুর্লভ উদ্ভিদরাজি
দেখে চলছি । সবুজ প্রকৃতির গাছ গাছালী আর জীব বৈচিত্রের সাথে আদি মানবের কতই না ছিল পথ চলা। বিবিধ
কারণে প্রকৃতি আজ বিপন্ন সকলের তরে। খাবারের অভাবে পশু, পাখ পাখালী নাই বনে বাদারে। ফলজ বৃক্ষ আর উদ্ভিদ
এখন আর যায়না দেখা কোন উদ্যানে। আছে বাহারী জাতের ফূল আর কাষ্টসমৃদ্ধ কিছু গাছ গাছালী । বনের ফলাহারী
জীব খাবেটা কি? বনজ কলা এখন দেখা ভার। তবে এখানে দেখা গেল মাটি ফুরে কলাগাছে কি সুন্দর করে থোর গজায়,
কচি কচি মুচা কেমন করে চোখ মেলে। মানব আর ফলাহারী বানরকুল হবে ব্যকুল এমনতর দৃশ্য দেখে ।
২) মাটি ফুরে বেরোতে না বেরুতেই কলাগাছে ধরা থোর হতে কচি কচি মোচাগুলি চোখ মেলেছে


উদ্যানের ফুল আর ফলের জন্য ক্ষতিকর পোকা বড়ই শংকার কারণ। তাই খুঁজে খুঁজে মাছি আর পোকা মারার জন্য
পাকৃতিক ব্যবস্থা যথা ফ্লাই ইটার জাতীয় সুন্দর সুন্দর তরুলতা করেছে এই গ্রীন হাউজের শোভাবর্দ্ধন। দর্শক অবাক
হয়ে দেখছে মাছি কিংবা পোকা ফুলের পাপড়িতে মেলে ধরা ফাঁদে পা দিলে, কেমন করে চলে যায় ফুলটির
উদরে , অবাক করা কান্ডই বটে!
৩) ফ্লাই ইটার বা মাছি ভক্ষনকারী প্লান্ট


গ্রীন হাউসের এই কর্ণারে এক চক্কর দিয়ে ফিরে এলে প্রস্থানের পুর্বেই হাতের ডান দিকে দৃষ্টি পরবে এই
স্টেপিং স্টোন ভাস্কর্যের দিকে ।
৪) স্টেপিং স্টোন তথা পাথরে পদক্ষেপ


শিল্লী উইলিয়াম হ্যমো থর্নিক্রফট ( ১৮৫০-১৯২৫) এর সুনিপুন হাতে শ্বেতশুভ্র মার্বেল পাথরে গড়া ভাস্কর্যটিতে
দেখা যায়একজন সুন্দরী তরুনি তার ছোট্ট শিশু ভাইকে কুলে করে ছোট নদীর তীরে গিয়ে পানির কাছে শিলাতে
পা রেখেছে। ভাস্কর্যটি শুধু দৃষ্টিনন্দনই নয়, এর রয়েছে একটি ইঙ্গিতময় দিক। তথা ডানে মোর নিয়ে এই আঙ্গিনায়
প্রবেশ করলে চোখে পড়বে পাথরের বুকে কেমন করে জন্ম নিয়েছে বাহারী ক্যাকটাস। স্টেপিং স্টোন ভাস্কর্যটি
স্বার্থক প্রতিস্থাপনই বটে ।
৫)পাথরের ফাঁকে ফাঁকে বেড়ে উঠা বাহারী ফনিমনসা জাতীয় ক্যকটাস


এই বিশাল লম্বা ফনিমনসা জাতীয় ক্যাকটাসির দিকে তাকিয়ে মনে পড়ল গত এক যুগ ধরে আমার প্রিয় কন্যা তার
ঘরের ভিতরে জানালার কাছে সখ করে যে ক্যকটাস করেছে লালন পালন,তা বড় হয়ে এতটুকু লম্বা হতে না জানি
লাগবে কত বছর ক্ষন। তাই মনে মনে কামনা করি মানব সেবায় রত ডাক্তার মেয়েটি আমার যেন পায় ততটুকু
দীর্ঘ জীবন ।
৬) গৃহকোণে বেড়ে উঠা আনন্দময়ী ছোট্ট একটি ক্যাকটাস ভুবন


অর্কিড মেনটিস এর ছবি আমরা দেখি সর্বত্রই,এ ব্লগেও দেখা যায় অনেক ব্লগারের নিকেই। প্রার্থনারত এই অর্কিড
মেনটিসের চাক্ষুষ দেখা মেলা ভার, যদিউ সৌন্দর্য বিতরনে এরা বড়ই উদার। অর্কিড মেনটিস যে শুধু প্রার্থনাই
করে তা কিন্তু নয়, তারা বৃক্ষের মরা পচনশীল ডালকে আশ্রয় করে মৃত প্রায় গাছের শোভাও বর্দ্ধন করে।
৭) মৃতপ্রায় গাছের শোভা বর্দ্ধনকারী অর্কিড মেনটিস


কন্টকময় দৃষ্টি নন্দন ফনিমনসার ভুবন পেরিয়ে নির্গমন প্রান্তে দেখা মিলল শিল্পী এডউইন রসকো মুলিনস
(১৮৪৮-১৯০৭) এর হাতে মর্মর পাথরে গড়া সৃষ্টির প্রথম মানব হযরতত আদম ( আ) এর ছেলে কাবিলের
একটি অনুশোচনাকাতর ভাস্কর্য।পাশে থাকা ফলকে ভাস্কর্যটির বিবরণে রয়েছে লেখা, হাবিলকে হত্যাকারী
কাবিল তার কৃত পাপ কর্মের জন্য বড়ই অনুশোচনা কাতর, এ ছাড়া তার উপরে রয়েছে প্রভুর অভিশাপ ,
তার বংশ যেথায় ছড়াবে, সেথায় মাটিতে শষ্য দানা না ফলবে (বাইবেল, জেনেসিস ৪.১৩)।একথা জেনে মনে
বাজে, পৃথিবীর মরুভুমি অঞ্চলে যেথায় শস্যদানা না ফলে, সেথায় মনে হয় কাবিলের বংশধর বেশী বসবাসে।
তাদের বসতি এলাকায় শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে হানা হানি মারা মারি চলে। বেশীরভাগ নবীই তাই মনে হয়
আবির্ভুত হয়েছেন পৃথিবীর মরু অঞ্চলে। শষ্য শ্যমলা আমরা সেই পুণ্যবান হাবিলের বংশধর তাতে সন্দেহ না
জাগে। তাই কৃতজ্ঞতা জানাই প্রভুর তরে।

কাবিলের ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে ভাবছি সকলেই যদি নীজের পাপের
জন্য এমনি অনুশোচনায় ভুগত তাহলে কতই না মঙ্গলময় হতো।
জগত মুক্তি পোতো পাপের ভার হতে ।
৮) অনুশোচনা কাতর কাবিলের একটি ভাস্কর্য


শুধু কি তাই, ক্রিতদাস প্রথা শুরু ও বিকাশের ধারাতেও ঐ ধুসর মরু অঞ্চলই বেশী দায়ী ।
অথচ ক্রিতদাসরাই বেশী অবদান রেখেছে প্রকৃতিকে শস্য শ্যামল করে গড়ে তুলতে।
এই উদ্যানে তাই শিল্পী এন্টিনিউ রোসেটির ( ১৮১৯-১৮৯১) হাতে গড়া একজন নিউবিয়ান ক্রিতদাসের ভাস্কর্য
শোভা পায়। উল্লেখ্য মিশরের দক্ষীনাঞ্চল ও সুদানের উত্তরাঞ্চলের বিস্তির্ণ এলাকায় ছিল প্রাচীন নিউবিয়ান গোত্রের
বসবাস। সেখানে ক্রিতদাস নির্যাতন চরমে পৌঁছে গিয়েছিল এই কিছুদিন আগেও।সে সময়কার ক্রীতদাস নির্যাতনের
কথা ছড়িয়ে আছে ইতিহাসের পাতায় পাতায়। আগ্রহী পাঠক ইচ্ছে করলে এখানে গিয়ে এই ছবিটি দেখে আসতে পারেন
এই ভাস্কর্য দেখে ও এর বিবরণ পাঠে এ প্রজন্ম জানতে পারবে ক্রিতদাস প্রথার সেই ভয়াল দিনগুলির কথা।
উদ্যান কতৃপক্ষকে সাধুবাদ জানাতেই হয়
৯) দি নিউবিয়ান স্লেভ

১০) এই উদ্যানের গোল্ডফিসগুলির মত ছবি ব্লগ প্রতিযোগীতার স্বর্ণপদক কারো না কারো জালে ধরা দিবেই!!


সিসিলির রাজার বিষয়ে বলা কথামালা মনের মধ্যে গেথেই ছিল । গ্রীন হাউজ হতে বের হয়ে সারা উদ্যান ঘুরে
না দেখতে পেলাম কোন ফলজ বৃক্ষ, না দেখতে পেলাম কোন ফলাহারী বনজ প্রাণী বা পক্ষিকুল । তবে অবশেষে
দেখা গেল বাগানের একপ্রান্তে ষ্টোর রুমের কাছাকাছি এক নির্জন জায়গায় কাঠের বেড়ার উপর বসে লেজের শোভা
প্রদর্শন করে কাঠবিড়ালী একটি দুহাত ধরে কুটকুটিয়ে খাচ্ছে একটি অচেনা ফল। দুর হতেই উনাকে ধারণ করলাম
ক্যামেরার খাপে । মনে পড়ল জাতিয় কবি কাজী নজরুলের খুকী কবিতায় থাকা কবিতার সেই বিখ্যাত চরণখানি -
১১) কাঠ বেড়ালি কাঠ বেড়ালি, পেয়ারা তুমি খাও, গুড় মুড়ি খাও ……


হৃদয় জুড়ানো মনোরম দৃশ্যপট দেখা হতে বিদায় নিয়ে এই ছবি ব্লগ প্রতিযোগীতায় চলেই এলাম ।


ছবিসুত্র : নীজের মোবাইলে তোলা । স্থান একটি ব্যতিত অন্যগুলি হাইল্যাল্ডের একটি বোটানিকেল গার্ডেন ,
তারিখ ; ২৫শে জুন ২০২১, সময় রোদ্রজ্জল অপরাহ্ন বেলা।
অন্যটি নীজের গৃহান্তরে থাকা ছোট্ট অর্কিড ভুবনের একটি ।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০২১ ভোর ৪:৪৬

হাবিব বলেছেন: চোখ জুড়িয়ে গেল

২৭ শে জুন, ২০২১ ভোর ৫:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবদ ।

২| ২৭ শে জুন, ২০২১ ভোর ৫:১৯

ইসিয়াক বলেছেন: মনোমুগ্ধকর।

শুভ কামনা রইলো প্রিয় ব্লগার।

২৭ শে জুন, ২০২১ ভোর ৫:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মনোমুগ্ধকর অনুভুত হওয়ার
কথা শুনে ভাল লেগেছে ।

শুভেচ্ছা রইল

৩| ২৭ শে জুন, ২০২১ ভোর ৬:৫০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ছবি আর নেপথ্য কাহিনীর সংমিশ্রণ অসাধারণ। পোস্টে ++
কাবিলের ছবি দিলেন, হাবীলেরটা ছিল কি সেইখানে ?
সিসিলির রাজা রবার্ট কি আব্রাহাম লিঙ্কনের পূর্বপুরুষ ছিলেন নাকি ? ওই ভাস্কর্যের মুখে দাড়ি পরিয়ে দিলে অনেকটা লিঙ্কনের মতোই দেখাবে মনে হচ্ছে ! :P

২৭ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

পোষ্টটি অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
হাবিলের ছবি সেখানে ছিলনা ।
সিসিলির রাজা রবার্ট কি আব্রাহাম লিঙ্কনের পূর্বপুরুষ হলেও হতে পারে,
এটা একটি ভাল গবেষনার বিষয় ।
আমি ফটোশপের কাজ পারিনা । আপনি যদি পারেন তাহলে
দাঁড়ি লাগিয়ে দেখতে পারেন । ফলাফল জানালে খুশী হব ।
শুভেচ্ছা রইল

৪| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ৮:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: আকর্ষনীয় একটা পোস্ট। ছোটখাট কিছু বানান ভুল হয়েছে। একবার পড়ে ঠিক করে দেবেন।
রবার্ট অফ সিসিলি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
প্রতিটা ছবি এবং এর লেখার সাথে পরের লেখার কিছু লাইন গ্যাপ দিলে মনে হয় ভালো হতো। কোনটার লেখা কোনটার জন্য
বুঝতে সুবিধা হতো।
খুব সুন্দর একটা পোস্টের জন্য অভিনন্দন আপনাকে।

২৭ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গঠনমুলক মুল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ ।
এডিট করে ঠিক করে দিয়েছি । কোন ফাঁকে
ফোকরে যে বানান প্রমাদ থেকে যায় তা ঠাহর
করা বেশ কঠীন হয়ে পড়ে আমার জন্য ।
পোষ্টটি খুব সুন্দর অনুভুত হয়েছে জেনে
ভাল লাগছে ।
শুভেচ্ছা রইল

৫| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:১৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক সুন্দর ছবি ব্লগ+++

২৭ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

ছবি ব্লগ সুন্দর হয়েছে জেনে ভাল লাগল ।

শুভেচ্ছা রইল

৬| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বর্ণনাগুলো কাব্যিক, অর্থাৎ ছন্দোময় এবং আবেগে ভরা, যেটা ভালো লেগেছে। ১৮ শতকে সিসিলির রাজা অভিশপ্ত হলেন- এ বিষয়টাতে একটু বিস্মিত হলাম, এটা তো মডার্ন এরেনা, প্রাচীন কালে রাজা-মহারাজা-সাধুরা অভিশপ্ত হতেন।

ফুলের বর্ণনা ও ফুলও সুন্দর।

সুন্দর পোস্ট আলী ভাই। শুভেচ্ছা।

২৭ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পোষ্টের বর্ণনা ভালো লেগেছে শুনে খুশী হলাম ।
পোষ্ট প্রকাশের জন্য সময়সীমা থাকায় অনেকটা
তারাহুরা করে এই পোষ্টটি প্রণয়ন ও পেশ করা
হয়েছে । তাই বেশ বড় একটি ভুল করে ফেলেছি।
আসলে কিং রবার্ট ছিলেন ১৯ শতকের প্রথম
দিকে ভাস্কর্যবিদ জর্জ হেনরি পলিন( ১৮৮৮-১৯৬২)
সৃজিত একটি ভাস্কর্য । ভাস্কর্যটি আরেক বিখ্যাত কবি
লংফেলোর লেখা রূপকথার রাজা 'কিং রবার্ট'
শিরোনামের একটি কবিতা হতে উজ্জীবিত ।
আশা করি এবার বিস্ময়ের ঘোর কিছুটা কাটবে।

পোষ্টটি সুন্দর অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

৭| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:২১

সোহানী বলেছেন: আপনার ব্লগ মানেই দারুন কিছু। ছন্দময় অনেক কিছু। জানলাম, দেখলাম......... প্রতিযোগিতার কল্যাণে।

আর আমরা যে হাবিলের বংশধর হয়ে কাবিলের মতো কাজ করি তার কি হবে.............হাহাহাহাহা

কাঠবিড়ালী আমার দারুন পছন্দের। কিন্তু ইদানিং তাদের সাথে আমার শত্রতা শুরু হয়েছে। আমার নতুন লাগানো গাছের ফল/সব্জী খেয়ে সাবাড় করছে। মাটি খুড়ে গর্ত করে রাখছে। কি যে যন্ত্রনায় আছি....।

আপনি কি নাসার মার্ক রবার্টের ইউটিউব দেখেন? সে কাঠবিড়ালী নিয়ে দুটো ভিডিও পোস্ট করেছে। দেখেবের সময় পেলে। আমি আবার তার কঠিন ভক্ত।

২৭ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




কিছুটা জানাতে পেরেছি জেনে ধন্য হলাম ।
হাবিলের বংশ ধরেরা যেন কাবিলের মত পাপ কর্ম না করে
এবং তার মত মাথায় হাত দিয়ে অনুশোচনায় না ভোগে
সেটাই ছবিটির মুল সুর ।

কাঠ বিড়ালীর দুষ্টামী আর শত্রুতা দুটোই সুন্দর । কি সুন্দর লেজ
তুলে দুহাত ধরে কুটকুটিয়ে খায় আর চারদিকে তাকায় । তাইতো
জাতীয় কবি নজরুল একে নিয়ে তার খুকী কবিতায় লিখের কবিতা।
কবিতাটি বাংলাভাষী সকলের মুখে মুখে একে দেখলে পরে।

কাঠ বিড়ালী আমার বাগানেও করে জ্বালাতন , অনেক গাছ , ফুল
ও সবজির কুরি খেয়ে সাবার করে । অনেক সময় জানালা খুলা পেলে
বাগানের গাছের উপর দিয়ে জনালায় উকি মারে । তবে এরা ঘরে
ঢুকেনা । আপনি সাবধান থাকবেন , সুযোগ পেলেই বাগানের সুন্দর
সুন্দর ফুলের উপর দিয়ে জানালা গলে ঘরে ঢুকে যেতে পারে ।

নাসার মার্ক রবার্টের ইউটিউবের লিংকটি দিলে আপনার ভক্তকে দেখব প্রাণভরে ।

শুভেচ্ছা রইল

৮| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:২৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: প্রাণী খেকো গাছও লাগানো হয়েছে । ভালোই পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম হবে। কিন্তু মূর্তিগুলো উদোম ক্যান হুহ, আর কলাগাছ দেখি বাংলাদেশী। নিশ্চয়ই আপনি তাদেরকে গিফট করেছেন :)

খুব সুন্দর ছবি ব্লগ

২৭ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



প্রাণী খেকো গাছ আরো ছিল। ছবির দেয়ার লিমিটেশনের কারনে দেয়া হয়ে উঠেনি তবে নীচে দেখতে পারেন
মাছি খেকো আরেকটি গাছ ।

আমরা তো সারা শহড়ে বিষ ছিটিয়ে মশা মাছি পোকা মাকর মারছি । মশা মাছি মারতে না পারার জন্য
আমরাতো সিটি করপোরেশনের গুষ্টি উদ্ধার করছি। তার চেয়ে কি ভাল হয়না মশা মাছি মারার জন্য গাছ
লাগানো।তাতে করে বিষের হাত থেকে নগড়বাসী রক্ষা পেতো , মশা মাছিউ মরত ।

সেগুলি মুর্তী নয় সেগুলি শিল্পীর হাতে গড়া দৃষ্টি নন্দন ভাস্কর্য। ভাস্কর্যগুলি উদোম হলেও সেগুলির পিছনে
রয়েছে নির্মম ইতিহাস । পোষ্টে থাকা লিংকটি ফলো করে ছবিগুলি দেখে আসলে বুঝতে পারতেন কতই
ছিল সে নির্মমতা।দেখতে পেতেন আমরা সভ্যতার দাবীদার মানুষেরা কেমন করে একটি মানবগুষ্ঠিকে উদোম
থেকে উদোমদতর করেছে। যাহোক পোষ্টর লিংকের ছবিটি এখানে দেয়া হল তুলে।

তাছাড়া দুটি ভাস্কর্যে প্রদর্শিত মানব যুগেতো পোশাক পরিচ্ছদই ছিলনা।তারা কিভাবে তাদের আব্রু
রক্ষা করতেন তা ইতিহাসই বলতে পারবে। যাহোক, আদিম উদোম ছবি ও তাদের প্রতি নির্মমতা
দেখলে মন হু হু করাই স্বাভাবিক ।

দুনিয়ার সর্বত্রই কলার চাষ ছড়িয়ে দিতে হবে যে যে ভাবে পারে ।
কলার বহুগুন । খনার বচনে আছে 'আট হাত আন্তর এক হাত খুই
কলা রুয়ে না কেটো পাত , তাতেই কাপড় তাতেই ভাত'
খনার বচন মনে হয় এখন জগতের সকলেই করছে অনুসরন ।

ছবি ব্লগ সুন্দর অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

৯| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৫০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: লেংটু মূর্তি আমাদের সাংস্কৃতি পরিপন্থি। আর সব খুব সুন্দর।

২৭ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ঠিকই বলেছেন লেংটো মুর্তী আমাদের সংস্কৃতির পরিপন্থি ।
তবে পোষ্টের সর্বত্রই বলা হয়েছে এগুলি শিল্পীল হাতে
গড়া অগনিত দর্শক নন্দিত ভাস্কর্য । মুর্তী ও ভাস্কর্যের
মুধ্য বিশাল ফারাক রয়েছে । যাহোক, সংস্কৃতি একটি
ব্যপক আকারের ভেলু জাজমেন্ট , এটা একেক
জনের কাছে এক এক রকম । কেহ দেখে বিষয়বস্তুর
গভীরে গিয়ে আর কেহ শুধু দেখে বহিরাঙ্গণ। তবে
সকলেই নীজ নীজ দৃষ্টিকোন হতে সঠিকই আছেন।
যাহোক অন্য ছবিগুলি সুন্দর হয়েছে জেনে খুশী
হলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

১০| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

মিরোরডডল বলেছেন:




সকলেই তাঁকে ছেড়ে গেলেও বানরটি তাকে ছেড়ে যায়নি
রাজার প্রতি বানরের ভালোবাসার এই ছবিটা দারুণ

ছবি চার সত্যিই অবাক করা কান্ড !

ছোট্ট অর্কিড ভুবনের প্রার্থনারত অর্কিড ভালো লেগেছে । কালারফুল অর্কিড বরাবরই সুন্দর হয় ।

কাবিলের ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে ভাবছি সকলেই যদি জন্য এমনি অনুশোচনায় ভুগত তাহলে কতই না মঙ্গলময় হতো।
জগত মুক্তি পোতো পাপের ভার হতে ।


ভেরি ট্রু । অনুশোচনা কাতর কাবিলের এই সুঠামদেহী ভাস্কর্য খুবই আকর্ষণীয় ।

চমৎকার পোস্ট ।

২৭ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



কিং রবার্টের কুলে বসে থাকা বানর সহ
মানবের ছবিটি ছবিটি ভাল লেগেছে জেনে
খুশী হলাম।নিঃসঙ্গ মানবের প্রতি বন্যপ্রাণী
বানবেরভালবাসা দেখে সে অনুভুতিটুকু বুকে
ধারন করে এই উদ্যানের ভিতর ও বাইরের
জীব বৈচিত্রগুলি পর্যবেক্ষন করেছিলাম ।

ছবির ক্রমিকে আমার একটু ভুল হয়েছিল ।
আপনার দেখার সময়ের ৪ নং ক্রমিকটি
এখন ত নং হয়ে গেছে । ছবি ঠিকই আছে।

মেন্টিস তথা প্রার্থনারত অর্কিড আসলেই খুবই
সুন্দর । একে নিয়ে একটি পৃথক পোষ্ট দেয়ার
ইচ্ছা রাখি ।

ঠিকই বলেছেন , পাপের জন্য প্রত্যেকেরই অনুশোচনা
থাকা উচিত । কাবিল কিন্তু প্রথমে শাস্তি পেয়েছে প্রভুর
তরফ হতে। তার পর সে তার কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনায়
রত হয়েছে । তাই পাপীকে তার পাপের শাস্তি দিতেই হবে ।
সাজাপ্রা্প্ত হয়ে সে যেন নতুন পাপের জন্য প্রতিশ্রতি না নিয়ে
বরং পাপের জন্য অনুশোচনা করে । এখন ভারতে জেলখানার
নাম কারাগার না দিয়ে সংশোধনাগার কিংবা রিহেভ রেখেছে ।
পাপীর সাজা হোক, সাথে সে সংশোধন হোক তবেইতো হবে
তার আসল শাস্তি ।

পোষ্টটি চমৎকার অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

১১| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫১

মিরোরডডল বলেছেন:




কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কিন্তু মূর্তিগুলো উদোম ক্যান হুহ,

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: লেংটু মূর্তি আমাদের সাংস্কৃতি পরিপন্থি।


হা হা হা…… I cant stop laughing.

কেউ বা আকর্ষণ অনুভব করে আবার কেউ …………… :)

মানুষে মানুষে আমাদের কত ভেদাভেদ । এটাই মানুষ হবার সৌন্দর্য ।




২৭ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

প্রত্যেকেরই নীজ নীজ দৃষ্টিকোণ হতে "ভ্যালু জাজমেন্ট" রয়েছে।
তা্ই কিছুটা হাসি পেলেও প্রত্যেকের স্বকীয়তায় আমার শ্রদ্ধা রয়েছে ।

১২| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার সব ছবি স্যার।

২৭ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

ছবি চমৎকার অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

১৩| ২৭ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:১৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। সুন্দর বিন্যাস। বাইরে মেঘ কালো আকাশ ছিল মনে হচ্ছে।
ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে। আর আপনার বর্ননার সে তো সব সময়ই দারুণ।

৬ এবং ৭ নাম্বারে যাকে ফনীমনশার মতন অর্কিড বলছেন, সেটা ক্যাকটাস হবে। ৮ নাম্বারের ঝুলন্ত গাছ গুলো অর্কিড।
শুভকামনা

২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


পোষ্ট ও বিন্যাস সুন্দর হয়েছে জেনে খুশী হলাম ।
মেঘ রোদ্দরের অআলো ছায়া খেলা চলছিল ।
ফকফকা রোদ দেখে গ্লীন হাউজে ঢুকার কিছু
পরেই সুর্যিমামা মেঘে ঢেকে যায় । তিনি কভু
আসেন কভু মেঘের আরে মুখ লোকান । তাই
এরকম দৃশ্যই বাইরে থেকে আপনার কাছে
ধরা পরেছে ।

আপনি যখন দেখেছিলেন তখন ছবির নং৬ ও ৭ ছিল।
তবে ক্রমিকে ভ্রম থাকায় পরে ঠিক করে দিয়েছি ।
এখন ৬ ও ৭ নং ক্রমিক ৫ এবং ৬ হয়ে গেছে ,
তবে আপনার দেখা সেই ছবি একই আছে ।
ঠিকই বলেছেন ফনিমনসা অর্ডিড না হয়ে ক্যকটাসই হবে।
ফনিমনসা আমাদের দেশে একটি পরিচিত নাম।
আসলেফনিমনসা এক ধরনের ক্যাকটাসই। ক্যাকটাস
নানা বর্ণের নানা বৈচিত্রের হয়ে থাকে। কোনটা
অল্প কাঁটা, কোনোটা বেশি কাঁটা, এতে বিভিন্ন
রংয়ের ফুল ফোটে।আমার ভ্রম সংশোধন করে
দিচ্ছি । ভ্রমটুকু ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।



এই গাছের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এই গাছ
খুব ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে এবং কোনোরকম ক্ষতি
না করলে এটি বহু বছর ধরে জীবিত থাকে। যদি
প্রজাতি হিসেবে ধরা হয় তো সারা বিশ্বে এই
গাছের ২৫ রকমের প্রজাতি দেখতে পাওয়া যায়।
অপনার দেখা ৮ নং ছবিটি এখন ৭ নং হয়েছে ।
ছবি পুর্বেরটিই রয়েছে । হ্যাঁ এটা অর্কিডই ।

শুভ কামনা রইল

১৪| ২৭ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:৪০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভাস্কর্যের ছবিগুলো বেষ্ট।

২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভাস্কর্যের ছবিগুলি বেষ্ট অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা রইল

১৫| ২৭ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার সাথে সাথে আমরা ও ঘুরে এলাম দারুণ ভাবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ারের জন্য।

২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৪১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

দারুনভাবে ঘুরে এসেছেন শুনে ভাল লাগল ।

শুভেচ্ছা রইল

১৬| ২৭ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার। ছবি ও বর্ণনায় অসাধারণ।

২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

ছবি ও বর্ণনা অসাধারণ হয়েছে শুনে ভাল লাগল ।

শুভেচ্ছা রইল

১৭| ২৭ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

সোহানী বলেছেন: দিলাম একটা মার্ক এর ভিডিও। সবগুলো ভিডিওই অসাধারন।

https://www.youtube.com/watch?v=DTvS9lvRxZ8

আর মি:কাঠবিড়ালী আমার বাসার নেট ছিঁড়ে ক'দিন পরপরই.....দেখুন!

https://www.youtube.com/watch?v=DTvS9lvRxZ8

২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ইউটিউবের লিংক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
সময় নিয়ে দেখব ।
কাঠ বিড়ালের ছবিটা খুব সুন্দর হয়েছে ।
আমি জানালায় বসে এদেরকে দেখি ।
আমার বাসার পিছনের বাগানের
ঝোপে ও গাছে এরা স্থায়ী আবাস
গড়েছে । হটাৎ হটাৎ বের হয়ে আসে ।

১৮| ২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,





দারুন কাব্যময় করে লিখেছেন।
ভাস্কর্যগুলো সুন্দর, সাথের বর্ণনাও। ফ্লাই ইটার অপূর্ব, ক্যালিডোস্কোপিক।
জেনে রাখার মতো পোস্ট।

২৮ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ভাস্কর্যগুলি সুন্দর ও বর্ণনা কাব্যময় লেগেছে
জেনে ভাল লাগল ।
অনেক জায়গা জুড়ে ফুটে থাকা ফ্লাই ইটার দেখত
আসলেই খুব সুন্দর । ক্যলিডোস্কোপিক তথা
বহুরূপি দর্শন, একটি মাত্র শব্দে ভাললাগার
মুর্ত আর বিমুর্ত সকল প্রকাশ হয়েছে বাঙময় ।
যদি পেতাম এমনি একটি ক্যলিডোমিক টি্‌উব
তাহলে ছবি ব্লগ মাতিয়ে দিতে পারতাম ।

আর এটার সাথে যদি রিফ্লেক্ট করে ছবি তোলার মত
একটি ক্যমেরা পেতাম তাহলে বহুরূপদর্শী ছবি তুলে
পাহাড়কেও উল্টিয়ে দিতে পারতাম।


সুন্দর একটি আইডিয়া দিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল

১৯| ২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: ফ্লাই ইটার গাছ গুলো দেখে বেশ লাগলো । তবে লম্বা ক্যাকটাসটা সব থেকে বেশি পছন্দ হয়েছে ।

ছবির সাথে বর্ণনা । চমৎকার একটা ছবি ব্লগ !

২৮ শে জুন, ২০২১ রাত ১:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ফ্লাই ইটার পাশাপাশি লম্বা ক্যাকটাসটি সবচেয়ে
বেশী পছন্দ হয়েছে শুনে ভাল লাগল ।
ছবি ব্লগ চমৎকার হয়েছে জেনে খুশী হয়েছি ।
শুভেচ্ছা রইল

২০| ২৮ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমরা কি হাবিলের বংশধর! হাবিল কাবিলের সমস্যা এখনও বিদ্যমান। বাংলাদেশে সিভিল কোর্টে দেখা যায় সবচেয়ে বেশী মামলা চলছে ভাই - ভাই, ভাই - বোন, ও স্বামী - স্ত্রী। নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। টিভি নাটকের নামী দামি অভিনেতা ও অভিনেত্রী দম্পতি। অভিনেতার সুইডেন প্রবাসী আপন বোনের বাংলাদেশী টাকা সম পরিমাণ প্রায় সাত কোটি টাকা বাংলাদেশে ব্যবসা (হোটেল ও রিসের্টি) নামে আত্মসাৎ করেন। বোন দেশে এসে দেখতে পান তার নামে অরিজিনাল অংশীদারি নামা সহ আর্টিকেল অব মেমোরেন্ডাম, ট্রেড লাইসেন্স সহ সকল জমির দলিলপত্রে কোথাও কোনো নামদাম নেই!

অথচ - তারা আপন ভাই বোন। আপন ভাই - আপন বোনের সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছিলেন আমি ব্লগে লিখেছিলাম শত্রুতা করার জন্য/হিংসা করার জন্য আত্মীয় বন্ধু পরিচিতজন হতে হয়। অপরিচিত কেউ কারো কোনো ক্ষতি করতে পারে না।

ছবিব্লগ খুবই ভালো হয়েছে। হাবিল কাবিলের প্রসঙ্গে গল্প ভিন্ন দিকে চলে গিয়েছে। শুভ কামনা জানবেন।


২৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ঠিকই বলেছেন , হাবিল কাবিলের সমস্যা এখনো বিদ্যমান ।
শুধু কোর্ট কাছারিতেই নয় , এই সমস্যা বলতে গেলে প্রায়
পরিবারেইবিবিধভাবে বিদ্যমান, কোনটা প্রকট, আর কোনটা
খুবই গোপন , তবে প্রকাশ যখন পায় তখন অবস্থা ধারণ করে বিকট ।
আর তখনই তা কোর্ট কাছারিতে গড়ায় ।সুইডেন প্রবাসীর মত এমন
অনেক কাহিনি ঘটার খবর মাঝে মধ্যে খবরের কাগজে দেখা যায় ।

ছবি ব্লগ ভাল লেগেছে জেনে খুশী হলাম ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২১| ২৮ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৫২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এটা তো ছবি ব্লগ মহাকাব্য।

তোমার আর সব পোস্টের মতই জানার আছে অনেক কিছুই......

২৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

মন্তব্যের কথামালায় আপ্লুত ।
তবে আপুমনির পোষ্ট হতে
জানা যায় আরো বেশী এবং
সেটা জানা যায় বেশ মজাদার
ও রসালো উপভোগ্য রসদের
সাথেই । শিক্ষক হিসাবে তুমিই
সেরা এ কথা মানবে সকলেই ।

শুভেচ্ছা রইল

২২| ২৮ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:০০

ঢুকিচেপা বলেছেন: গ্রীনহাউজ এবং ভাস্কর্যের ছবি চমৎকার হয়েছে।
ফ্লাই ইটার দেখা এবং জানা হলো।
ছবির সাথে উপস্থাপনা অসাধারণ।

২৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ছবি চমৎকার এবং উপস্থাপনা অসাধারণ
অনুভুত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

২৩| ২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ৩:৪৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আলী ভাই,
এই বোটানিক্যাল গার্ডেনটা কি গ্লাসগোতে ? আর কিছুদিন পরেতো এই বোটানিক্যাল গার্ডেনটার কোনো মিউজিয়াম বা আর্ট গ্যালারি হয়ে যাবার বিশাল সম্ভাবনা আছে মনে হচ্ছে । এতো সুন্দর সুন্দর স্কাল্পচার । এগুলোতো যে কোনো মিউজিয়ামেই জায়গা পাবার দাবিদার । দি নিউবিয়ান স্লেভের মূর্তিটা দেখে ভাবছি এরা ইতিহাসের কত যত্ন করে ! দাস প্রথার কলঙ্ক এখন স্বীকার করেও তার ইতিহাসটা ঠিকই রেখেছে । আর আমরা মাত্র পঞ্চাশ বছর আগের দেশ হবার ইতিহাসটাই কতবার কতভাবে লিখছি নিজেদের স্বার্থে আর সেটা কাটাছেড়া করছি বারবার । যাক আপনার কোলা গাছের ফটো দেখে মনে হচ্ছে এই জাতের কোলা গাছ কি দেশে আছে ? এই কলা গাছেতো মনে হয় লাগাবার দেড় দুই মাসের মধ্যেই কলার ছড়া চলে এসেছে । আমাদের দেশে এই দ্রুত বর্ধনশীল জাতের কলা থাকলেতো মানুষের জন্য ভালোই হবে । আর আপনাদের কাঠবিড়ালিতো আমাদের এখানকার কাঠবিড়ালির মতো এতো দুরন্ত না ! কি সুন্দর বসে আছে শান্ত শিষ্ট । চমৎকার ফটো ব্লগ ।দেখবার সাথে সাথে জানলাম শিখলাম অনেক কিছু।

২৯ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




বোটানিকেল গার্ডেনের অবস্থান আপনি ঠিকই ধরেছেন ।
ছবিসুত্রে অবস্থান হাইল্যান্ড বলে আমি বোদ্ধাদের জন্য
ক্লো দিয়ে দিয়েছিলাম । এটা এখনই মিউজিয়াম হতে
কম যায়না । এটাতে দুনিয়ার শিক্ষনার্থীদের ভীর লেগেই
আছে । তবে এই করোনায় সামাজিক দুরত্ব মেইনটেইন
করে দর্শনার্থী প্রবেশে একটু কড়াকড়ি আছে । বিশাল
উদ্যানজুরে শিশু কিশোরদের মেলা বসে , সামারে যেন
চাঁদের হাট, পাখ পাখালির সাথে বিশেষ করে পায়ে পায়ে
ঘুরা কবুতরের সাথে শিশুরা আনন্দে মেতে উঠে । গ্রীন
হাউজের মধ্যে কিশুর কিশুরিরা বেশীর ভাগই শিক্ষার্থী
হাতে ক্যমেরায় আর মোবাইলে ফুল লতা পাতা গাছ
গাছালীর ছবি ও ফলকে লেখা পরিচিতি টুকে টুকে
প্রজাপতির মত ফুল থেকে ফুলে ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য
দেখার মতো । আনন্দ উচ্ছাস তাদের চোখে মুখে ঝড়ে
পরে ।
কলা গাছ অসলেই তুলনামুলকভাবে তারাতারি বেড়ে উঠে
ফলবান হয়ে যায় । এখানে এই উদ্যানের বৈজ্ঞানিক
কর্মকান্ড পরিচালনার সাথে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ওতপ্রোতভাবে জড়িত , নিয়তই তাদের গবেষনা
কর্ম চলে এখানে । ট্রপিকেল কলা চাষের বিষয়ে
তারা নিরন্তর গবেষনা করে চলেছে । আমাদানি
নির্ভর কলাখোর দেশটি নীজেরা তাদের গ্রীনহাউজে
এটাকে বানিজ্যিক ভাবে চাষ করতে পারবে কিনা
তা প্রয়োগিক গবেষনা করে দেখছে ।

এখানকার কাঠ বিড়ালীর আরেকটা অন্য বৈশিষ্ট হলো
এখানে বেশ কিছু রেড স্কুইরাল প্রজাতির কাঠ বিড়ালের
পুণরুর্ভাব ঘটেছে । রেড স্কুইরাল অনেকটাই বিলুপ্তির
পথে চলে গিয়েছিল এখন এটা আবার প্রত্যবার্তন করা
শুরু করেছে । আমারিকাতেও এখন নাকি অনেক
রেড স্কুইরাল দেখা যায় ।

ছবি ব্লগের ফটো চমৎকার হয়েছে শুনে ভাল লাগল ।
শিখাটা ভাইস ভারসা , আপনার মুল্যবান পোষ্টগুলি
হতেও অমাদের জন্য অনেক কিছু শিখার থাকে ।

শুভেচ্ছা রইল

২৪| ২৯ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:২০

জুন বলেছেন: আমি চাই আমাদের রাজনীতিবিদ আর ব্যাবসায়ীরা কাবিলের মত অনুশোচনা করুক ডঃ এম এ আলী ভাই,তবে মৃত্যুর আগে নয়।
বোটানিক্যাল গার্ডেনেও যে এত শিক্ষনীয় বিষয় থাকতে পারে যা দেশ বিদেশে দু একটা দেখেছি তাতে লক্ষ্য করিনি। গাছ লতা ফুল পাখি আর মাছই দেখেছি ঠিক তাদের মত করেই।
অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো।
শুভকামনা সকালের :)

২৯ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



রাজনীতিবিদ আর ব্যাবসায়ীরা কাবিলের মত
অনুশোচনা করুক ,তবে মৃত্যুর আগে নয়
বেশ
ভাল কথা বলেছেন । তবে এদের মৃত্যুতো
অনেক ক্ষত্রেই প্রলম্বিত হয় । মরার পরেও
আর্টিফিসিয়ালী আরো কিছুদিন দুনিয়ার বুকে
রেখে দেয়া হয় । অনুশোচনা করার সময়
কোথাই তাদের । অনুশোচনাতো কেবল
আমাদের মত সাধারণ মানুষদের তরেই।
কথায় কাজে সামান্য ভুল হলেও আমরা
অনুশোচনায় যাই মরে । চিন্তায় থাকি
ভুলের লাঘব হবে কি করে ।

আমি যা দেখি ভাবি তার থেকে বেশী, এই মোর জ্বালা
যত ভাবী ততই ভ্রান্তি পাশে পড়ি । ভ্রান্তি যখন
ঘুচে তখন তাতে অনেকটা বিলম্ব হয়ে যায় ।
ততক্ষনে দ্বিতীয় ভ্রান্তি পাশে পতিত হওয়ার
জন্য চিত্ত ব্যকুল হয়ে উঠে , ভ্রান্তি যেন আর
কিছুতেই কাটেনা । যাহোক চিত্ত কিছুটা
শুদ্ধ হয়, আপনাদের মত প্রিয় জনদের
মধুমাখা কথা শুনে ।

যাহোক গাছ লতা ফুল পাখি আর মাছই দেখুন
ঠিক তাদের মত করেই। এটাই স্বাভাবিক এটাই
পাকৃতিক, এটাতেই বেশী নির্মল আনন্দ ঝড়ে।
সে আনন্দ বিতরনেও আপনি সিদ্ধহস্ত , আমরাও
সেখান হতে আনন্দ সুধা উপভোগ করি প্রাণভরে।

শুভেচ্ছা রইল

২৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনন্য, অসাধারন, মুগ্ধ ভ্রমন :)

প্রমাণ হলো যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে ;)
গুনিজন যাতেই হাত দেস তাই সোনা হয়ে যায়

আপনার ছবি ব্লগ তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ

++++

১৯ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার মুগ্ধতায় আমি আপ্লুত ।
ভাইজান আমার চুল মনে হয়
আপনার চুলের কাছাকাছি
লম্বা হবে । তাই চুল আমাকে
রেগুলারই বাঁধতে হয়। তাতে
সোনা ফলেনা , লাভের মধ্যে
চুল পড়া ঠেকে এই যা প্রাপ্তি ।

শুভেচ্ছা রইল

২৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: শুরুতেই বানর কোলে নিয়ে বসা সিসিলি'র রূপকথার ভাগ্যাহত রাজা রবার্টের কথা জেনে তার প্রতি সহানুভূতি জন্মালো। ফ্লাই ঈটার প্ল্যান্টগুলো দেখে কিছুটা ভয়ও হলো। হয়তো পৃথিবীর কোথাও না কোথাও ম্যান ঈটার প্ল্যান্টও থাকতে পারে।

কাব্যিক বর্ণনাসহ চমৎকার ছবি ব্লগে ২৩তম ভাল লাগা। + +

স্পোর্টিং স্পিরিট নিয়ে ছবি ব্লগ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের জন্য ধন্যবাদ।


২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৩:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




সিসিলির ভাগ্যাহত রূপকথার রাজা আপনার সমবেদনার কথা শুনে প্রফুল্য হবে এমনটাই আশা করছি ।

অপনার হয়তবা মনে অছে, আমাদের সেই পাঠশালার দিনগুলিতে (সম্ভবত ক্লাশ ফোর বা ফাইভ হবে )
বাংলা পাঠ্য বাইয়ে আফ্রিকার গহীন বনের মানুষ খেকো গাছ নামে সচিত্র একটি গল্প ছিল । সেখানে
দেখানো হয়েছিল অক্টোপাশের মত ডানা মেলে ভুমি হতে মানুষ তুলে নিয়ে গাছ কিভাবে ভক্ষন করতো।
জেমস ডব্লিউ বুয়েল‌স নামে একজন লেখক তার সমুদ্র ও ভুমি (১৮৯৯) নামক গ্রন্থে সচিত্র দেখিয়েছেন
আফ্রিকা এবং মধ্য আমেরিকার গহীন জঙ্গলে ইয়াতেভিয়ো নামের একটি বৃক্ষ কিভাবে মানুষ ভক্ষন করে ।
স্প্যানিশ বাক্যাংশ "ইয়া-তে-ভিয়ো" ( "এখন-আমি- তোমাকে -দেখছি ";) বৃক্ষটিতে অসংখ্য বিষাক্ত
স্পাইনস রয়েছে যা ক্রুদ্ধ হয়ে যেতে পারে এবং তার দিকে ধেয়ে আসা কোনও শত্রু ভাবাপন্ন প্রাণীকে
নাগালের মধ্যে পেলে ধরে খেয়ে ফেলতে পারে ।

ছবি ব্লগ প্রতিযোগীতায় শুধু অংশ গ্রহনই নয়, প্রতিযোগীতার ছবির মুল্যায়ন নিয়েও পাঠকের দৃষ্টিকোন
হতে কিছু ভাবনা সকলের সাথে শেয়ার করার জন্য একটি পোষ্টও দিয়েছি ।

এই পোষ্টে আপনার লাইক পেয়ে ভাল লগল ।

শুভেচ্ছা রইল




২৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, আপনার প্রতিমন্তব্য পড়ে এখন মনে হচ্ছে যে আমিও পাঠ্য বই এ সেই আফ্রিকার গহীন বনের মানুষ খেকো গাছ নামে সচিত্র গল্পটি পড়েছিলাম। খুবই ভয়ঙ্কর ব্যাপার!

৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
স্মরণে আসার জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.